Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Devendra Fadnavis: আজ ফড়ণবীশের শপথ মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে, হাজির থাকবেন মোদি, শাহ, নাড্ডা

    Devendra Fadnavis: আজ ফড়ণবীশের শপথ মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে, হাজির থাকবেন মোদি, শাহ, নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন দেবেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ (Devendra Fadnavis)। জানা গিয়েছে, এদিন বিকাল পাঁচটায় দক্ষিণ মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, আজ দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যেমন শপথ নেবেন, একইভাবে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন একনাথ শিন্ডে এবং এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে (Devendra Fadnavis) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও হাজির থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ এনডিএ শাসিত সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীদের। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

    আমন্ত্রিত বিরোধী নেতারাও

    জানা গিয়েছে, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধী নেতাদের মধ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে উদ্ধব ঠাকরে ও শারদ পাওয়ার সমেত অন্যান্যদেরও। দেশের শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি সহ বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেক বিখ্যাত অভিনেতাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। মঞ্চে আজ পারফর্ম করবেন সঙ্গীত শিল্পী কৈলাশ খেরও।

    কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত (Maharastra) 

    বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় সন্ন্যাসীদেরও এদিন দেখা যাবে দিনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। (Devendra Fadnavis) মহারাষ্ট্র বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৪২ হাজার জনের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। এই হাইভোল্টেজ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য নিরাপত্তার কড়াকড়ি বন্দোবস্ত করেছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন। জানা গিয়েছে, চার হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে, থাকবে ক্যুইক রেসপন্স টিম এবং বোম্ব ডিটেকশন এন্ড ডিস্পোসাল স্কোয়ার্ডও।

    মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। তার মধ্যে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছিল ১৪৯টি আসনে। পদ্ম ফুটেছে ১৩২টি কেন্দ্রে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট (মহারাষ্ট্রে মহাযুতি জোট নামে পরিচিত)-এর বাকি দুই শরিক শিবসেনার একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী পেয়েছে ৫৭টি আসন। আর এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী পেয়েছে ৪১টি আসন। শিন্ডেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। তাই তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা চেয়েছিলেন শিন্ডেকেই ফের বসানো হোক মুখ্যমন্ত্রী পদে। তবে যেহেতু বিজেপিই একক বৃহত্তম দল এবং জোটের মধ্যে তারই ঝুলিতে রয়েছে সব চেয়ে বেশি আসন, তাই মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিল বিজেপিই। সেই দাবিতেই পড়ল সিলমোহর। মুখ্যমন্ত্রী পদে (Maharashtra) বসানো হচ্ছে গৈরিক শিবিরের ফড়ণবীশকে (Devendra Fadnavis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: ৬১টি রেল প্রকল্প নিয়ে অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে সাক্ষাৎ সুকান্তর, কী বার্তা দিলেন রাজ্যকে?

    Sukanta Majumdar: ৬১টি রেল প্রকল্প নিয়ে অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে সাক্ষাৎ সুকান্তর, কী বার্তা দিলেন রাজ্যকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটে পিট ও সিক লাইনের কাজ প্রায় শেষের দিকে আসতেই, দূরপাল্লার ট্রেন চালু নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnav) দ্বারস্থ হলেন বালুরঘাটের (Balurghat) সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও উত্তর পূর্ব উন্নয়ন দফতরে প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের ৬১টি রেল প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন এবং আগামী দিনে রাজ্যের রেল-মানচিত্রে কী কী নতুন কাজ করা যায়, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। একইসঙ্গে রেল প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য রাজ্য সরকারকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘উন্নয়নের স্বার্থে, রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রশ্নে কোনও রাজনীতি হওয়া উচিত নয়!’’

    কী কী বিষয় নিয়ে কথা হল? (Sukanta Majumdar)

    রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বালুরঘাট থেকে বেঙ্গালুরু এবং বালুরঘাট থেকে গুয়াহাটি জোড়া ট্রেনের দাবি জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। শুধু তাই নয়, কথা হয়েছে বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্প, বুনিয়াদপুর-কালিয়াগঞ্জ রেল প্রকল্পের কাজ, গঙ্গারামপুর রেলস্টেশনকে অমৃত ভারতের আওতায় আনা, রামপুরে শিলিগুড়ি ইন্টারসিটির দাঁড়ানো এবং হাওড়া ও তেভাগা দৌলতপুর রেল স্টেশনে দাঁড়ানো সহ জেলার রেল পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত নানা দাবি লিখিতভাবে রেলমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

    রাজ্যকে কী বার্তা দিলেন সুকান্ত?

    রাজ্যের ৬১টি রেল প্রকল্প, যার মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের একাধিক রেল প্রকল্পও যুক্ত রয়েছে, সেই সমস্ত রেল প্রকল্পগুলির বাস্তব রূপায়ণের বিষয় নিয়ে সুকান্ত মজুমদার কথা বলেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বালুরঘাটের সঙ্গে দেশের অন্যান্য প্রান্তের যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য লিখিত অনুরোধপত্রও এদিন জমা দিলেন সুকান্ত। আর এই সব রেল প্রকল্পের বাস্তবায়নের সূত্রেই রাজ্য সরকারের সাহায্যে প্রার্থনা করলেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কারণে ৬১টির মতো প্রকল্প আটকে রয়েছে। আমরা সেই প্রকল্পগুলিকে দ্রুত কার্যকরী করতে চাইছি। পাশাপাশি উন্নয়নের স্বার্থে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি। উন্নয়নের স্বার্থে রাজনীতি করা ঠিক নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam: প্রকাশ্যে বিক্রি নয়, হোটেল-রেস্তোরাঁয় মিলবে না গোমাংস, নয়া সিদ্ধান্ত অসম সরকারের

    Assam: প্রকাশ্যে বিক্রি নয়, হোটেল-রেস্তোরাঁয় মিলবে না গোমাংস, নয়া সিদ্ধান্ত অসম সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোটেল-রেস্তোরাঁ কিংবা বিয়েবাড়িতেও পরিবেশন করা যাবে না গোমাংস (Beef Ban)। প্রকাশ্যে গোমাংস বিক্রিতেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ধরা পড়লেই পেতে হবে কঠিন শাস্তি। বুধবার এমনই ঘোষণা করলেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

    গোমাংস নিয়ে আগের নিয়ম (Assam)

    প্রসঙ্গত, অসমে গোমাংস নিষিদ্ধ না হলেও, অসম গো-সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, হিন্দু, শিখ বা জৈন ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত এলাকায় গোহত্যা ও গোমাংস বিক্রি নিষিদ্ধ। মন্দির কিংবা ধর্মীয় স্থানের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যেও গোমাংস বিক্রিতে নিষাধাজ্ঞা জারি ছিল। এবার তা জারি করা হল হোটেল-রেস্তোরাঁ-বিয়েবাড়িতেও।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, অসমে কোনও হোটেল বা রেস্তোরাঁয় গোমাংস বিক্রি করা যাবে না। কোনও অনুষ্ঠানে পরিবেশন বা প্রকাশ্যে গোমাংস বিক্রিও করা যাবে না।” তিনি জানান, রাজ্য ক্যাবিনেট বৈঠকেই গোমাংস পরিবেশনে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই আইনেও পরিবর্তন আনা হবে এবং নয়া এই বিধিগুলির সংযোজন করা হবে। হিমন্ত জানান, আগে তাঁদের সিদ্ধান্ত ছিল মন্দিরের কাছে গোমাংস খাওয়া বন্ধ করা হবে। কিন্তু এবার থেকে গোটা অসমেই বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অসমের মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা। তিনি বলেন, “আমি অসম (Assam) কংগ্রেসকে অনুরোধ করছি, তারা যেন গোমাংস নিষিদ্ধ করাকে স্বাগত জানায়।”

    এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “অসম গো সংরক্ষণ আইন – ২০২১ আরও শক্তিশালী করতে মন্ত্রিসভা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনও হোটেল, রেস্তরাঁ বা জনসমাগমস্থলে গরুর মাংস পরিবেশন বা খাওয়া যাবে না। এটি আইনে সংযোজন করা হবে।”

    আরও পড়ুন: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা ও ধুবড়ির সাংসদ রকিবুল হুসেন অভিযোগ করেন সামাগুড়ির সংখ্যালঘু ভোটারদের আকৃষ্ট করতে গোমাংস পার্টির আয়োজন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। কংগ্রেস নেতার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভূপেন বোরা ও রাকিবুল হুসেন-সহ কংগ্রেস নেতারা অসমে গোমাংস খাওয়া নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন (Beef Ban)। আমি আশা করি, তাঁরা আগের আইনে এই নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে আমাদের সহযোগিতা করবেন (Assam)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India Foreign Secretary: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

    India Foreign Secretary: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে (Bangladesh) তুঙ্গে উঠেছে হিন্দু নির্যাতন। তা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লিখেছিলেন সে দেশের এক হিন্দু কিশোরী। তার পরেও সরাসরি কোনও পদক্ষেপ করেনি ভারত। তবে, এবার বড় পদক্ষেপ করল মোদি সরকার। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে যেতে পারেন ভারতের বিদেশ সচিব (India Foreign Secretary)। অন্তত, তাঁঁর বাংলাদেশে আসার কথা জানিয়েছে ইউনূস প্রশাসনের বিদেশ উপদেষ্টা। এর পর থেকেই ভারত নিয়ে সুর নরম বাংলাদেশের। ঢাকার মুখে এখন দিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা। 

    বাংলাদেশ সফরে ভারতের বিদেশ সচিব (India Foreign Secretary)

    সম্প্রতি হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে তপ্ত হয়েছে ভারতের পূব দিকের এই প্রতিবেশী দেশে। নিত্যদিন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন সে দেশের হিন্দুরা। হিন্দু-সহ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইউনূস প্রশাসনকে বারংবার বার্তা দিয়েছে ভারত। তার পরেও থামেনি হিন্দু নির্যাতন। চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। এহেন আবহে এবার বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি (India Foreign Secretary)। ১০ ডিসেম্বর ঢাকা যেতে পারেন তিনি।

    কী বলছে বাংলাদেশ?

    ভারতের তরফে অবশ্য বিদেশ সচিবের এই ঢাকা সফর নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে ইউনূস প্রশাসনের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসবেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি।” তাঁর সঙ্গে ভারতের এক প্রতিনিধি দলেরও ঢাকায় যাওয়ার কথা। ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মহম্মদ জসীমউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বিক্রম।

    ভারতের বিদেশ সচিবের (India Foreign Secretary) আসার খবরে সুর নরম বাংলাদেশের। এদিন তৌহিদের মুখে শোনা গিয়েছে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার সুর। তিনি বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশের স্বার্থেই দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকা উচিত। দু’পক্ষকেই তার জন্য উদ্যোগী হতে হবে।”

    আরও পড়ুন: “মুসলিম তোষণ করতেই সাম্ভালে যাওয়ার চেষ্টা রাহুলের”, তোপ বিজেপির

    ভারত-বাংলাদেশ দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিদেশ সচিব পর্যায়ের (India Foreign Secretary) বৈঠকে আলোচনা হতে পারে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ এবং বাংলাদেশিদের ভারতের ভিসা দেওয়া নিয়েও হতে পারে আলোচনা। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেছে হাসিনার নামে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তিও রয়েছে। ভারতের তরফে হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হবে ওই বৈঠকে (Bangladesh)। চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারির বিষয়টিও উঠতে পারে দুপক্ষের আলোচনায় (India Foreign Secretary)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: “মুসলিম তোষণ করতেই সাম্ভালে যাওয়ার চেষ্টা রাহুলের”, তোপ বিজেপির

    BJP: “মুসলিম তোষণ করতেই সাম্ভালে যাওয়ার চেষ্টা রাহুলের”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিম তোষণ করতেই সাম্ভালে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বুধবার এমনই অভিযোগ করল বিজেপি (BJP)। এদিন সাম্ভালে যাওয়ার চেষ্টা করেন কংগ্রেস সাংসদ। দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে দিল্লি পুলিশ আটকে দেয় তাঁকে।

    রাহুলকে নিশানা মৌর্যের (BJP)

    রাহুলের এই সফরকে নাটক বলেও কটাক্ষ করেছে পদ্ম-পার্টি। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এ নিয়ে নিশানা করেন রাহুলকে। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অখিলেশ ও রাহুল দুজনেই মুসলিম ভোট পাওয়ার জন্য রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। তাঁরা একটি নাটক মঞ্চস্থ করছেন। সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের পতন নিশ্চিত। এসপি ‘সমাপ্তবাদী পার্টি’ হয়ে যাবে এবং ভারত কংগ্রেস-মুক্ত হবে।” তিনি বলেন, “২৪ নভেম্বর সংঘটিত সাম্ভাল হিংসা – যেখানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে – তা সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক এবং সাংসদের দ্বন্দ্বের ফল।”

    কী বলছেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “রাহুল গান্ধী প্রাশসনকে আগে থেকে না জানিয়েই সাম্ভাল দেখতে যেতে চেয়েছিলেন।” তিনিও বলেন, “কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি মুসলিম ভোটের জন্য লড়াই করছে। রাহুল গান্ধী ইন্ডি জোটে তার অংশীদারকে তাঁর সঙ্গে না নিয়েই সেখানে গিয়েছিলেন শুধুমাত্র মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। দুই দলের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব চলছে, সেটাও স্পষ্ট।”

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র বলেন, “রাহুল গান্ধী কোনও সহানুভূতির কারণে সাম্ভাল পরিদর্শনের চেষ্টা করেননি। তিনি বরং সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং তাঁর (BJP) দলের সহযোগী সমাজবাদী পার্টির নেতাদের তুলনায় ভালো ছবি তোলার সুযোগ পেতে চেয়েছিলেন।” তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা। তাঁর এই সফরের বিষয়ে প্রশাসনকে আগে থেকেই জানানো প্রয়োজন ছিল। কারণ প্রধানমন্ত্রীর পরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পান তিনিই।”

    আরও পড়ুন: ফড়ণবীশেই সিলমোহর, বৃহস্পতিতে জমকালো অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ দেবেন্দ্রর

    সুধাংশু বলেন, “রাহুল গান্ধীর কাছে জেড-প্লাস এএসএল  সুরক্ষা রয়েছে। এএসএল মানে অ্যাডভান্সড সিকিউরিটি লিয়াজ়ন। এটি প্রধানমন্ত্রীর পর সবচেয়ে উচ্চতর স্তরের সুরক্ষা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ এই সুরক্ষা পান না।” তিনি বলেন, “যদি আপনি সত্যিই সেখানে (সাম্ভালে) যেতে চাইতেন এবং তার প্রতি কিছু সহানুভূতি থাকত, তাহলে আপনি আগেই প্রশাসনকে একটি তথ্য দিতেন… আপনি সেখানে যাওয়ার কোনও ইচ্ছে দেখাননি। আপনি শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা (Rahul Gandhi) পালন করলেন এবং তারপর ফিরে এলেন (BJP)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Devendra Fadnavis: ‘‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’’, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে কী বার্তা দিলেন ফড়ণবীশ?

    Devendra Fadnavis: ‘‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’’, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে কী বার্তা দিলেন ফড়ণবীশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগপুরের কাউন্সিলার থেকে তৃতীয়বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। মাত্র ৫৪ বছরের জীবনে রাজনৈতিক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে চাণক্য-বুদ্ধিতে পথের নানান কাঁটা উপড়ে ফেলে ফের মুখ্যমন্ত্রীর পাগড়ি পরতে চলেছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে, তিনি জোট একতার উপর জোর দিলেন। বুধবার বিধান পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পরেই দেবেন্দ্র বলেন, ‘‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়।’’

    মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়

    বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার আগে ফড়ণবীশ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় বলেন সমস্ত ধর্মগ্রন্থের চেয়ে ভারতের সংবিধানই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তাঁর কাছে। ভোটের ফলাফলে আমি খুশি। আমার উপর এক নয়া দায়িত্ব কাঁধে চাপল। আবার একবার প্রমাণ হল, মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।’’ উল্লেখ্য, এবার রাজ্যে ১৪৯টি আসনে লড়াই করে ১৩২টি আসনে জিতেছে বিজেপি। যা রাজ্যের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এছাড়াও তদারকি মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবসেনা ৫৭টি এবং অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর এনসিপি ৪১ আসনে জয়ী হয়।

    এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়

    ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা জারির সময় তাঁর বাবা গঙ্গাধররাও ফড়ণবীশকে জেলে পাঠিয়েছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। যা কিশোর দেবেন্দ্রর মনে তিক্ত ছাপ ফেলেছিল। নাগপুরের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। ছাত্র বয়স থেকেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্য হিসেবে তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। সেই থেকে রাজনীতি করে ১৯৮৯ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে কনিষ্ঠতম কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এবং মাত্র ২৭ বছর বয়সে নাগপুরের কনিষ্ঠতম মেয়র হন দেবেন্দ্র। ২০১৪ সালে রাজ্যের অষ্টাদশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গদিতে বসেন। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কেবল একটা টেকনিক্যাল নাম। আসলে আমি, একনাথ শিন্ডে ও অজিত পাওয়ার একসঙ্গে জোট বেঁধে যে কোনও কাজ করব। সবার মত নিয়েই সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। এক থেকে মহারাষ্ট্রকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এই সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ‘আপনার লজ্জা পাওয়া উচিত’, জামিন চেয়ে সুপ্রিম দুয়ারে ভর্ৎসিত পার্থ

    Partha Chatterjee: ‘আপনার লজ্জা পাওয়া উচিত’, জামিন চেয়ে সুপ্রিম দুয়ারে ভর্ৎসিত পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম দুয়ারেও (Supreme Court) ধাক্কা খেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরাসরি একজন দুর্নীতিবাজ বলে উল্লেখ করলেন বিচারপতি। এই ধরনের দুর্নীতিবাজদের জামিন দিলে সমাজে কী প্রভাব পড়বে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাকি সবাই জামিন পেলে পার্থ কেন পাবেন না, শীর্ষ আদালতে প্রশ্ন তোলেন পার্থর আইনজীবী। এই প্রশ্ন শুনেই তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি সূর্যকান্ত শর্মা। জানিয়ে দেন, বাকিরা কেউ শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন না। তাই অন্যদের সঙ্গে নিজের তুলনা করা উচিত নয় পার্থর।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়ে আদালতে সওয়াল করছিলেন পার্থর আইনজীবী। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যরা জামিন পেলে পার্থ কেন পাবেন না, আদালতে পার্থর হয়ে সওয়াল করেন তিনি। এতেই কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি সূর্যকান্ত। পার্থর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনি নিজেকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করবেন না। সবাই শিক্ষামন্ত্রী ছিল না, আপনি ছিলেন। অন্যদের সঙ্গে তুলনা করার আগে আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত। এঁরা সবাই আপনার সঙ্গেই কাজ করেছেন। আপনি মন্ত্রী ছিলেন।’’ বিচারপতি বলেন, ‘‘একজন মন্ত্রী হয়েও একাধিক লাভজনক সংস্থায় যুক্ত ছিলেন। তাঁর ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মালিকানাধীন সংস্থার নামে সম্পত্তি কেনা হয়েছে। তিনি ভুয়ো সংস্থা খুলে তাতে ভুয়ো ডিরেক্টর নিয়োগ করেছেন। উনি খুব ভালো করে জানতেন যে তিনি নিজেই মন্ত্রী। তাই এর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা আর কারও নেই। আর তিনি নিজে তো নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেবেন না। আদালত ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতায় এই সব তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।’’ এদিন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, গোটা মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা খতিয়ে দেখে জামিনের ব্যাপারে বিবেচনা করা হোক।

    আরও পড়ুন: ‘‘নৌসেনার অঙ্গীকার দেশের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করে’’, নৌ-দিবসে কুর্নিশ মোদি-শাহের

    রায়দান স্থগিত

    কলকাতা হাইকোর্টে জামিন না পেয়েই সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন পার্থ। তাঁর আইনজীবীর যুক্তি ছিল, পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর আড়াই বছর কেটে গিয়েছে। অথচ এখনও চার্জশিটই জমা পড়েনি। এই মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছর জেল হতে পারে, যার এক তৃতীয়াংশের বেশি সময় জেলে কাটিয়ে ফেলেছেন পার্থ। এ প্রসঙ্গে পার্থর বয়স, শারীরিক অসুস্থতার কথাও আদালতে তুলে ধরেন পার্থর আইনজীবী। কিন্তু জামিনের সেই শুনানিতেই এদিন পার্থকে ভর্ৎসনা করল আদালত। এদিন এই মামলার শুনানি শেষ হলেও, রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kavach 5.0: ভারতে উচ্চ-গতি সম্পন্ন ট্রেন হবে কবচ ৫.০, প্রতি ঘণ্টায় ছুটবে ২৮০ কিমি বেগে

    Kavach 5.0: ভারতে উচ্চ-গতি সম্পন্ন ট্রেন হবে কবচ ৫.০, প্রতি ঘণ্টায় ছুটবে ২৮০ কিমি বেগে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কবচ ৫.০ ট্রেন (Kavach 5.0) ভারতে ২৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে ছুটবে। ভারতীয় রেলের আরও এক হাই—স্পিড ট্রেন (Train) চালু হবে। উল্লেখ্য ভারতের রেল ব্যবস্থায় মোদির আমালে বিরাট পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করছেন যাত্রীদের একাংশ। এক দিকে বুলেট ট্রেন, বন্দে ভারত ট্রেন এবং অপর দিকে অত্যাধুনিক উন্নত সিগন্যালিং সিস্টেম, যা রেল যোগাযোগে এক আমূল পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে দেশ।

    ৩২০ কিমির বেশি রেলপথে কাজ সম্পন্ন প্রায় (Kavach 5.0)

    কবচ ৫.০ ট্রেন (Kavach 5.0) একটি দেশীয় উচ্চ-গতি সম্পন্ন ট্রেন। এই ট্রেনের (Train) বিশেষত্ব হল উচ্চ গতি সম্পন্ন। অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থাও রয়েছে ট্রেনে। আপাতত মুম্বই-আমেদাবাদ রুটে এই ট্রেন চালানো হবে। ইতিমধ্যে ৩২০ কিমির বেশি রেলপথের জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং কাজ চলছে জোর কদমে। খুব দ্রুত এই রেলপথে এই ট্রেন ছুটবে। উল্লেখ্য মহারাষ্ট্রে এনডিএ সরকার গঠনের পর থেকে রেলের প্রকল্পে ব্যাপক প্রচার প্রসার লাভ করেছে।

    রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, “এমএএইচএসআর প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল, ভারতে উচ্চগতি সম্পন্ন রেল পথের বিস্তার করা। ভারত দ্রুত বুলেট ট্রেন করিডোরে সজ্জিত হবে। ২৫০ কিমি রেলপথ এবার ঘন্টায় ২৮০ কিমি গতিবেগে চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বুলেট ট্রেনের মাধ্যমে। এই ট্রেন উন্নত বগি এবং পাওয়ার ট্রেন যুক্ত রেলের বডি থাকবে। এই প্রকল্প শেষ হতে আরও ৩ বছর সময় লাগবে।”

    আরও পড়ুনঃ এক অ্যাকাউন্টে চার নমিনি! ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিল পাশ লোকসভায়

    জাপানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারত

    কবচ ৫.০ (Kavach 5.0) ট্রেন প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (ICF) এবং ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (BEML) এই হাই-স্পিড ট্রেনগুলি তৈরি করার জন্য চালু করা হয়েছে। ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, টুলিং এবং টেস্টিং সুবিধা সহ বিইএমএল (BEML) প্রতি ইউনিট ২৭.৮৬ কোটি টাকায় কোচ তৈরি করবে, যার মোট খরচ হবে ৮৬৬.৮৭ কোটি টাকা। জাপানের শিনকানসেন সিস্টেমের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতের কোম্পানিগুলি একত্রে কাজ করবে। এমএএইচএসআর (MAHSR) করিডোরের জন্য লাইনের কাজ ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে। এই ভাবনা একটি শক্তিশালী অগ্রগতির ইঙ্গিত। ৩২০ কিমি ঘণ্টা গতিতে চলা এই হাই-স্পিড ট্রেনটি (Train) মুম্বই এবং আমেদাবাদের মধ্যে ৫০৮.১৭ কিমি দূরত্ব মাত্র দুই ঘন্টায় অতিক্রম করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shamsi Shahi Masjid: বদায়ুঁর শামসি শাহী মসজিদ আসলে নীলকণ্ঠ মহাদেবের মন্দির, কীভাবে ভাঙা হয়েছিল জানেন?

    Shamsi Shahi Masjid: বদায়ুঁর শামসি শাহী মসজিদ আসলে নীলকণ্ঠ মহাদেবের মন্দির, কীভাবে ভাঙা হয়েছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর শামসি শাহী মসজিদ (Shamsi Shahi Masjid) হল হিন্দু নীলকণ্ঠ মহাদেবের মন্দির (Nilkanth Mahadev Mandir)। ঐতিহাসিক তথ্য এবং প্রমাণ তুলে ধরে হিন্দুরা মসজিদ থেকে মন্দির উদ্ধারের জন্য দাবি তুলেছেন। ইতিমধ্যে মামলা আদালতে গড়ালে আইনি লড়াইকে দ্রুত নিস্পত্তি করতে ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্ট গঠন করা হয়। ৩ ডিসেম্বর মামলার শুনানি ছিল আদালতে কিন্তু মুসলিম পক্ষ উপস্থিত না থাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। সম্ভলের মসজিদ যেমন হরিহর মন্দির ঠিক, একই ভাবে শামসিও শৈব মন্দির। আসুন জেনে নিই এই মন্দিরের ইতিহাস।

    প্রত্নতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের তরফ থেকে সংরক্ষণ করা হয়েছে (Shamsi Shahi Masjid) 

    হিন্দু পক্ষ থেকে মুকেশ প্যাটেল দাবি তুলে বলেন, “বদায়ুঁর শামসি শাহী মসজিদের (Shamsi Shahi Masjid) বিতর্কিত কাঠামোটি আদতে শিবের মন্দির। প্রথমে সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বাদী-বিবাদী পক্ষ নিজেদের বিষয় রাখবেন। মুসলিম পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা উপস্থিত ছিলেন না। মন্দিরের (Nilkanth Mahadev Mandir) সম্পূর্ণ এলাকা প্রত্নতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের তরফ থেকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। মামলার বিষয় যেহেতু ধর্মীয় সংবেদনশীলতায় পূর্ণ তাই নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।” আবার হিন্দুপক্ষের আইনজীবী বেদ প্রকাশ সাহু বলেন, “মুসলিমপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশ্য মামলাটি দীর্ঘায়িত করা। একই ভাবে তাঁরা মামলায় যুক্তির নামে আমাদের সময় এবং আদালতের সময় নষ্ট করতে চাইছে।”

    আরও পড়ুনঃ স্বর্ণমন্দিরে অকালি প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, ধৃত হামলাকারী

    হিন্দু-মুসলিম পক্ষের বক্তব্য

    প্রসঙ্গত স্থানীয় হিন্দু পরম্পররা ইতিহাস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জামে মসজিদ শামসি (Shamsi Shahi Masjid) তৈরি হয়েছে হিন্দু দেবতা নীলকণ্ঠ মহাদেবের মন্দিরটিকে (Nilkanth Mahadev Mandir) ভেঙে ফেলার মাধ্যমে। এক সময় এই মসজিদ কাঠামোর উপর শৈব মন্দির দাঁড়িয়ে ছিল। আবার পাল্টা মুসলিম পক্ষের দাবি, মসজিদ যে মন্দির ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছে তার কোনও উল্লেখ নেই। এই শামসি মসজিদটি সুফি সাধক বাদশা শামসুদ্দিন আলতামাশ নির্মাণ করেছিলেন। এই এলাকায় আল্লার ইবাদত করতে এই মসজিদ স্থাপন হয়েছিল।

    মসজিদের ছোট খোদাই করা স্তম্ভ মন্দিরের অংশ

    উত্তরপ্রদেশে বদায়ুঁ জেলার গেজেটিয়ারের মতো ঐতিহাসিক নথি এই মন্দির বিতর্কটিকে ব্যাপকভাবে চাঞ্চাল্য তৈরি করেছে। গেজেটিয়ার থেকে জানা গিয়েছে, শামসি শাহী মসজিদটি (Shamsi Shahi Masjid) মন্দিরের (Nilkanth Mahadev Mandir) ভাঙা পাথরের উপর নির্ভর করে গড়া হয়েছে। শহরের মৌলভি টোলা এলাকার উচু জায়গায় রয়েছে। আগে এই এলাকায় প্রচুর হিন্দু বসবাস করত। এখানেই উঁচু স্থানে মন্দির প্রথমে ছিল, যা পরে মসজিদের জন্য জায়গা নির্ধারিত করা হয়। এখানকার প্রথম গভর্নর শামস-উদ্দিন ইলতুৎমিশ ১২০২ থেকে ১২১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তাঁর শাসনামলে মসজিদের নির্মাণ হয়। মসজিদের মিহরাবের পাশে ছোট খোদাই করা স্তম্ভ, যা পুরানো হিন্দু মন্দিরের অংশ। উত্তর থেকে দক্ষিণে মোট বিস্তৃতি হল আনুমানিক ৮৫.৩ মিটার।

    মহিপাল দ্বারা নির্মিত হরমান্দর মন্দিরকে ভাঙা হয়

    ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, প্রাচীন মন্দিরের বেলে পাথরের ব্লকগুলি মসজিদ (Shamsi Shahi Masjid) নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। একই ভাবে দুই পাশে দণ্ডায়মান স্তম্ভগুলি হিন্দু ভবন থেকে নেওয়া হয়েছে। তবে মসজিদের জন্য কিছুটা ছোট করা হয়েছে। একইভাবে গাঙ্গেয় প্রদেশ ভ্রমণের রিপোর্ট (১৮৫৭-৭৬ এবং ১৮৭৭-৭৮) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মসজিদ হল আদতে পালরাজা মহিপাল দ্বারা নির্মিত হরমান্দর নামে একটি মন্দির। খুব পরিকল্পনার সঙ্গে ইসলামি আক্রমণের সময় মন্দিরটিকে ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। একই ভাবে মসজিদের গাত্রে হিন্দু শৈলী, শিল্পকলা, নকশা এবং নানাবিধ উপকরণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। এত সব প্রমাণের উপর নির্ভর করে হিন্দু পক্ষের দাবি এই মসজিদ আগে হিন্দু মন্দিরই (Nilkanth Mahadev Mandir) ছিল।

    হিন্দু সংস্কৃতির পুনঃজাগরণ

    উল্লেখ্য এই মামলায় ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক মন্ত্রককে পক্ষ করা হয়েছে। এই মসজিদ (Shamsi Shahi Masjid) কাঠামো বিতর্কে ২০২২ সালে প্রথম মামলা দায়ের করা হয়েছিল। একই ভাবে গত ২৪ নভেম্বর সম্ভলে মসজিদ জরিপ করতে গেলে সরকারি কাজে বাধা দিয়ে উস্কানি ছড়ায় উন্মত্ত মুসলমানরা। তদন্তে দুষ্কৃতীরা যে অস্ত্র ব্যবহার করেছেন তাতে পাকিস্তান-আমেরিকার নাম এসেছে। ফলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন মসজিদের কবল থেকে মন্দিরকে (Nilkanth Mahadev Mandir) পুনঃপ্রতিষ্ঠা যথার্থ ভাবে হিন্দু সংস্কৃতির পুনঃজাগরণ বটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘নৌসেনার অঙ্গীকার দেশের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করে’’, নৌ-দিবসে কুর্নিশ মোদি-শাহের

    PM Modi: ‘‘নৌসেনার অঙ্গীকার দেশের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করে’’, নৌ-দিবসে কুর্নিশ মোদি-শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌবাহিনীর অঙ্গীকার দেশের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে। নৌবাহিনী দিবসে (Indian Navy Day 2024) বাহিনীর জওয়ানদের সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়ে এই কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতি বছর ৪ ডিসেম্বর নৌবাহিনী তার প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে নৌবাহিনীর হামলার স্মরণে এই প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়। এদিন নৌসেনাদের স্যালুট জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ অন্যান্যরা।

    প্রধানমন্ত্রীর কুর্ণিশ

    বুধবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) লিখেছেন, “নৌবাহিনী দিবসে, আমরা ভারতীয় নৌবাহিনীর বীর জওয়ানদের অভিবাদন জানাই, যাঁরা অতুলনীয় সাহস এবং নিষ্ঠার সঙ্গে আমাদের সমুদ্র রক্ষা করেন। তাঁদের অঙ্গীকার আমাদের দেশের সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে। ভারতের সমৃদ্ধ সামুদ্রিক ইতিহাসেও আমরা গর্ব করি।”

     স্যালুট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও (Amit Shah) টুইট বার্তায় ভারতীয় নৌবাহিনীর অভূতপূর্ব সাহস এবং কৌশলগত দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমাদের নৌবাহিনী কেবল সমুদ্রপথ রক্ষা করে না বরং বৈদেশিক নীতির উন্নতিতেও সাহায্য করে। নৌবাহিনী দিবসে, আমি আমাদের সাহসী নৌ কর্মীদের এবং তাদের পরিবারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আমরা আমাদের সামুদ্রিক সীমান্ত রক্ষায় নৌবাহিনীর বীরত্ব, নিষ্ঠা ও অঙ্গীকারকে অভিনন্দন জানাই।’’

    সবসময় পাশে নৌসেনা

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও (Rajnath Singh) নৌসেনাদের কুর্নিশ জানান। তিনি লেখেন, ‘‘ভারতীয় নৌবাহিনীর অবদান শুধু দেশের নিরাপত্তায় নয়, বিদেশ নীতিকেও শক্তিশালী করে। আমাদের সমুদ্রপথের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা, মানবিক কাজে নৌবাহিনীর অবদান অতুলনীয়। এই দিনটি নৌবাহিনীর আত্মত্যাগ এবং তাদের অনন্য কর্মকে স্মরণ করার এক অভাবনীয় সুযোগ। ভারতীয় নৌবাহিনীর ইতিহাস সমৃদ্ধ ও গৌরবময়। স্বাধীনতা সংগ্রামেও ভারতীয় নৌবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। আজও তারা আমাদের সামুদ্রিক এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share