Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • CRPF: সিআরপিএফের স্কুলে যাচ্ছে বাড়ির বাচ্চারা, খুশি ছত্তিশগড়ের মাও-অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা

    CRPF: সিআরপিএফের স্কুলে যাচ্ছে বাড়ির বাচ্চারা, খুশি ছত্তিশগড়ের মাও-অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রাল রিসার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ (CRPF) ছত্তিশগড়ের সুকমা-বিজাপুর জেলার তেকালগুডেম নামক জায়গাতে স্কুল তৈরি করেছে। এই অঞ্চল একদা মাওবাদী অধ্যুষিত ছিল। কিন্তু ক্রমশই সেখানে মাওবাদীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। অনেক বছর ধরেই মাওবাদীরা এই অঞ্চলে যেকোনও ধরনের পরিকাঠামো নির্মাণ তথাপি স্কুল নির্মাণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যারাই এই কাজগুলো করতে যেত তাদেরই প্রাণ বিপন্ন হয়ে উঠত। কিন্তু বর্তমানে সে সমস্যা মিটেছে। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF) ওই অঞ্চলে স্কুল তৈরি করেছে। পরিচালনায় বাহিনীর ১৫০ নম্বর ব্যাটালিয়ন।

    কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    ওই অঞ্চলের একজন স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, আমাদের গ্রামে আগে কখনও স্কুল (CRPF) ছিল না এবং মাওবাদীরা এই অঞ্চলের দাপিয়ে বেড়াত। যে কোনও রকমের স্কুল তৈরিতেও তারা বাধা দিত। যদি কেউ স্কুল তৈরি করতে চেয়েছে, এমন কয়েকজনকে তারা হত্যাও করেছে। কিন্তু আমরা এখন ধন্যবাদ জানাতে চাই সিআরপিএফ-কে (Chhattisgarh)। আমাদের কাছে এখন স্কুল আছে। আমাদের বাচ্চারা এখন স্কুলে যেতে প্রতিনিয়ত এবং তারা সেখানে খাবার পাবে।

    কী বললেন জেলার পুলিশ সুপার?

    সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানদের প্রচেষ্টাতেই তৈরি হয় এই স্কুল এবং সেখানে সহযোগিতা করে জেলা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলার পুলিশ সুপার কিরণ গঙ্গারাম চৌহান বলেন, ‘‘যে মাওবাদী মুক্ত অভিযান চলছে সুকমা জেলাতে, সেই অভিযানেরই অন্যতম অংশ হল নতুনভাবে স্কুল তৈরি করা। সিআরপিএফ জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনের সহায়তায় আমরা বেশ কিছু স্কুল এখানে তৈরি করতে পেরেছি এবং বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চারা সেখানে যাচ্ছে। তারা খাবার, বই এবং খেলার নানা সামগ্রী পাচ্ছে। ২০২৪ সাল থেকে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে এবং গ্রামের মানুষজন প্রশাসনকে যথেষ্ট বিশ্বাস করছে।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ এ দেশে মাওবাদীদের শেষ দিন হতে চলেছে (Chhattisgarh)। তার আগেই দেশ থেকে নির্মূল করা হবে মাওবাদীদের। গত বছরই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে ২০৭ জন মাওবাদী।

  • Sam Pitroda: চিন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য স্যাম পিত্রোদার, কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    Sam Pitroda: চিন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য স্যাম পিত্রোদার, কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চিন ভারতের শত্রু নয়। চিনের থেকে ভারতের কী ক্ষতি হতে পারে, বোঝাই যায় না।” বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের প্রধান স্যাম পিত্রোদা (Sam Pitroda)। কংগ্রেস নেতার এহেন বক্তব্যকে হাতিয়ার করে সোনিয়া গান্ধীর দলকে একেবারে ধুয়ে দিল বিজেপি (BJP)।

    বিজেপির তোপ (Sam Pitroda)

    দলের জাতীয় মুখপাত্র তুহিন সিনহা বলেন, “কংগ্রেস জমানায় ভারতের ৪০ হাজার বর্গ মিটার জমি দখল করে নিয়েছে চিন। তবু ওরা ড্রাগনকে বিপজ্জনক ভাবতে পারছে না। রাহুল গান্ধী চিনের প্রতি এতটাই মুগ্ধ যে চিনা প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের হয়েও সওয়াল করেছেন।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “যারা চিনের কাছে আমাদের ৪০,০০০ বর্গ কিলোমিটার ভূমি ছেড়ে দিয়েছে, তারা এখনও ড্রাগনের কোনো হুমকি দেখতে পায় না… আশ্চর্যের কিছু নেই যে রাহুল গান্ধী চিন নিয়ে মুগ্ধ এবং আইএমইইসি ঘোষণার এক দিন আগে পর্যন্ত বিআরআইয়ের পক্ষে ছিলেন… কংগ্রেসের চিনের প্রতি অতি আগ্রহের মূল রহস্য লুকিয়ে আছে ২০০৮ সালের কংগ্রেস-সিসিপি সমঝোতা স্মারকে।”

    পদ্ম নেতার নিশানায় কংগ্রেস

    পদ্ম শিবিরের আর (Sam Pitroda) এক সৈনিক প্রদীপ ভাণ্ডারী বলেন, “ভারতের চেয়েও চিনের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেয় কংগ্রেস।” রাহুলকে চিনের হাতের পুতুল বলেও তোপ দাগেন তিনি। সম্প্রতি পিত্রোদা বলেন, “আমি চিনের থেকে আসা হুমকিটা বুঝি না। আমার মনে হয়, এই বিষয়টি প্রায়ই অতিরঞ্জিত করা হয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু নির্ধারণের একটি স্বভাব রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এখন সময় এসেছে, সমস্ত জাতির সহযোগিতা করার, সংঘাতের নয়।”

    প্রসঙ্গত, দু’দিনের সফরে আমেরিকা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। সেই সময় ট্রাম্প ভারত ও চিনের বিরোধের মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই পিত্রোদার এহেন মন্তব্য।

    বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী পিত্রোদাকে নিশানা করে বলেন, “চিনের বিষয়ে তাঁর মন্তব্য কংগ্রেসের মানসিকতার প্রতিফলন। এটি (BJP) ভারতের মর্যাদার ওপর আঘাত।” তাঁর দাবি, তাঁর (পিত্রোদার) মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে যেন ভারতই আগ্রাসী (Sam Pitroda)।

  • Earthquake in Delhi: কম্পনেই ঘুম ভাঙল রাজধানীর, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি সহ উত্তর ভারত

    Earthquake in Delhi: কম্পনেই ঘুম ভাঙল রাজধানীর, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি সহ উত্তর ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্পনেই ঘুম ভাঙল রাজধানীর। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ভূমিকম্প (Earthquake in Delhi) অনুভূত হয় দিল্লিতে। কম্পন টের পাওয়া যায় দিল্লি সংলগ্ন এলাকাগুলি সহ উত্তর ভারতে। জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.০। সোমবার সকালে ভূমিকম্পের পর সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি লিখেছেন, ‘‘দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। সকলের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা শান্ত থাকুন। ভূমিকম্পের আফ্‌টারশক হতে পারে, তার জন্য সতর্ক থাকুন। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।’’

    ভূমিকম্পের উৎসস্থল

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ভোর ৫টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ৪ মাত্রার ভূমিকম্প (Earthquake in Delhi) হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। সেখানে দুর্গাবাই দেশমুখ কলেজ অফ স্পেশ্যাল এডুকেশনের জমির ঠিক নীচে ভূমিকম্প হয়েছে। মাটি থেকে তার গভীরতা খুব বেশি নয়, মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজধানীর এই অংশটি বরাবর ভূমিকম্পপ্রবণ। কাছাকাছি একটি লেক রয়েছে। প্রতি দুই থেকে তিন বছর অন্তর অন্তর এই লেকের ধারে স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হতে দেখা গিয়েছে। তবে শেষ বার এই অংশে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছিল ২০১৫ সালে। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৩।

    কেন এত ভূমিকম্প দিল্লিতে

    মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য কম্পন (Earthquake in Delhi) অনুভূত হয়, তবে কম্পনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। ভূমি থেকে কম্পনের উৎসস্থলের গভীরতা খুব বেশি নয় বলেই তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়েছে, মত বিশেষজ্ঞদের। বহু মানুষ ভয়ে-আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। এর আগেও একাধিকবার ভূমিকম্পে কেঁপেছে দিল্লি। সিসমিক জোন-৪ এ অবস্থিত হওয়ায়, মাঝারি থেকে শক্তিশালী ভূমিকম্পের সম্ভাবনা থাকে দিল্লিতে। এদিনের ভূমিকম্পটি মাঝারি মাত্রার ছিল। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারিও দিল্লি-এনসিআরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। চিনের শিনজিয়াংয়ে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে দিল্লিতেও কম্পন অনুভূত হয়। তার আগে ১১ জানুয়ারিও আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে দিল্লিতেও ভূমিকম্প হয়েছিল।

  • Lalu Yadav: ‘‘কুম্ভ ফালতু’’, বিতর্কিত মন্তব্য লালুর, ‘‘উনি হিন্দু বিদ্বেষী’’, পাল্টা বিজেপি

    Lalu Yadav: ‘‘কুম্ভ ফালতু’’, বিতর্কিত মন্তব্য লালুর, ‘‘উনি হিন্দু বিদ্বেষী’’, পাল্টা বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে নয়া দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে মহিলা, শিশু-সহ মোট ১৮ জনের। এনিয়েই মন্তব্য করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিহারের আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Yadav)। তাঁর বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মকে অপমান করার অভিযোগও তুলেছে বিজেপি। রবিবার পদপিষ্টের ঘটনায় প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের লালু (Lalu Yadav) বলেন, ‘‘কুম্ভের (Mahakumbh) কি কোনও অর্থ আছে? সবটাই অর্থহীন, ফালতু।’’ এর পাশাপাশি লালু প্রসাদ যাদব আরও বলেন, ‘‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি।’’ প্রসঙ্গত, পদপিষ্টের ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণা করেছে রেল। মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এর পাশপাশি, এই ঘটনায় যাঁরা গুরুতর জখম হয়েছেন, তাঁদের দেওয়া হবে আড়াই লক্ষ টাকা। যাঁরা সামান্য আঘাত পেয়েছেন তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।

    চলতি বছরেই রয়েছে বিহার ভোট

    চলতি বছরেই রয়েছে বিহারের ভোট। সবকিছু ঠিক থাকলে ব্যাপক ভাবে সেখানে আসন নিয়ে জিততে চলেছে এনডিএ জোট। এই আবহে লালুর এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এমন মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি তোষণের রাজনীতি করছেন বলেই মত অনেকের। তাঁর এই মন্তব্যে আসলে প্রতিফলিত হয়েছে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

    তোষণের রাজনীতির অভিযোগ বিজেপির

    লালুপ্রসাদের (Lalu Yadav) এহেন মন্তব্যে রাজনীতির পারদও চড়ছে। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিও লালু-সহ আরজেডিকে হিন্দু বিদ্বেষী তোপ দেগেছে। বিহার বিজেপির মুখপাত্র মনোজ শর্মার দাবি, এটাই হিন্দু ধর্মের প্রতি আরজেডির মানসিকতা প্রকাশ করেছে। মনোজ বলেন, ‘‘তোষণের রাজনীতির কারণে এই ধরনের মন্তব্য করছেন লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Yadav)। আরজেডি নেতারা সর্বদা হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিকে অপমান করেছেন। লালুপ্রসাদের মহাকুম্ভকে অর্থহীন বলে সর্বশেষ বিবৃতি হিন্দু ধর্মের প্রতি দলের মানসিকতাকে তুলে ধরছে।’’ লালু বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মনোজ শর্মা আরও বলেন, ‘‘নিজের রাজনৈতিক রুটি সেঁকতেই এমন কথা বলছেন তিনি। এটা প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার হিন্দুদের অপমান করেছেন তিনি।’’

  • USA: ‘‘শিকলে বাঁধা ছিল হাত-পা’’, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত দলজিৎ সিং শোনালেন অভিজ্ঞতা

    USA: ‘‘শিকলে বাঁধা ছিল হাত-পা’’, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত দলজিৎ সিং শোনালেন অভিজ্ঞতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতেই আমেরিকা (USA) থেকে অমৃতসরে পৌঁছায় সে দেশ থেকে বিতাড়িতদের বিমান। এই বিমানেই ছিলেন একজন। তাঁর নাম দলজিৎ সিং। রবিবার তিনি বিস্ফোরক দাবি করেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। তিনি জানান যে আমেরিকা (USA) থেকে নিয়ে আসার সময় তাঁদের হাত ও পা শিকল দিয়ে বাঁধা ছিল। পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে নেমে সাংবাদিকদের এই কথাগুলো বলেন দলজিৎ সিং।

    হোশিয়ারপুর জেলার কুড়ালা কালাম গ্রামের বাসিন্দা দলজিত সিং

    জানা গিয়েছে পাঞ্জাবের (Punjab) হোশিয়ারপুর জেলার কুড়ালা কালাম গ্রামের বাসিন্দা দলজিত সিং। প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার রাতে অবৈধ বসবাসের অভিযোগে ১১৬ জন ভারতীয়কে নিয়ে একটি বিমান নামে অমৃতসরে এবং সেই বিমানেই ছিলেন দলজিৎ সিং। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে তাঁকে বেআইনি পথ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (USA)। অন্যদিকে দলজিৎ সিং-এর স্ত্রী কমলপ্রীত কৌর অভিযোগ করেছেন যে তাঁর স্বামীকে একজন ট্রাভেল এজেন্ট প্রতারিত করেছিল। ওই এজেন্ট তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরিবর্তে তাঁকে বেআইনিভাবেই সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এতে তাঁর (দলজিৎ সিং) কোনও দোষ নেই বলেই জানিয়েছেন কমলপ্রীত। জানা গিয়েছে, গ্রামের একজন বাসিন্দা দলজিৎকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ট্রাভেল এজেন্ট এর সাহায্য নিয়ে আমেরিকা (USA) গেলে সুবিধা হবে। গ্রামের ওই ব্যক্তি ট্রাভেল এজেন্টের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল দলজিতকে। ট্রাভেল এজেন্ট দলজিৎ সিংকে বৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু জানা যায় তাঁকে সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র না নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই দলজিৎ তাঁর যাত্রার বৈধতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেন।

    কোন কোন রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন বিমানে

    শনিবার রাত ১১:৩৫ নাগাদ অবতরণ করে সি১৭ বিমান। সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে ফেরে। এরপরে রবিবার ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ পাঞ্জাব (Punjab) পুলিশের গাড়িতে করে বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। হরিয়ানার যে সমস্ত বাসিন্দা আমেরিকাতে ছিলেন, অবৈধ অভিবাসীরূপে, তাঁদেরও পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার রাতে যে বিমান নামে, সেখানে ৬৫ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার, আটজন গুজরাটের, দুইজন উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের এবং একজন করে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা ছিলেন। বেশিরভাগেরই বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর। আজ রবিবার ১৫৭ জন ভারতীয়কে নিয়ে তৃতীয় বিমানটি অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Qatars Amir: মোদির আমন্ত্রণে সাড়া, ভারতে আসছেন কাতারের আমির

    Qatars Amir: মোদির আমন্ত্রণে সাড়া, ভারতে আসছেন কাতারের আমির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) আমন্ত্রণে ভারত সফরে আসছেন কাতারের আমির (Qatars Amir) তামিম বিন হামাদ আল থানি। ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি ভারত সফর করবেন বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমিরের সঙ্গে মন্ত্রী ঊর্ধ্বতন কর্তা এবং একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল সহ একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল থাকবে।

    কাতারের আমির (Qatars Amir)

    প্রসঙ্গত, মোদি জমানায়ই এনিয়ে দু’বার ভারতে আসতে চলেছেন কাতারের আমির। প্রথমবার তিনি ভারতে পা রেখেছিলেন ২০১৫ সালের মার্চ মাসে। তারপর আসছেন আগামী সপ্তাহে। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হবে তাঁকে। সেখানে তাঁর সম্মানে আয়োজন করা হয়েছে ভোজসভার। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। সেখানে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা করবেন।

    এস জয়শঙ্কর

    এ বছরের শুরুতে দোহা (কাতারের রাজধানী) সফর করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই সময় তিনি দেখা করেছিলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির (Qatars Amir) সঙ্গে। পরে এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লিখেছিলেন, “আজ দোহায় প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সঙ্গে দেখা করতে পেরে আমি আনন্দিত। ২০২৫ সালে এটি আমার প্রথম কূটনৈতিক আলোচনা। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার একটি ফলপ্রসূ পর্যালোচনা ও সাম্প্রতিক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়নের ওপর বিস্তৃত আলোচনা হবে।” বিদেশমন্ত্রক উল্লেখ করেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি এবং জনগণের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক সহ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, কাতারে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায় কাতারের বৃহত্তম প্রবাসী সম্প্রদায় ও কাতারের অগ্রগতি ও উন্নয়নে তাদের ইতিবাচক অবদানের জন্য তারা প্রশংসিত। আমিরের এই সফর আমাদের ক্রমবর্ধমান (PM Modi) বহুমুখী অংশীদারিত্বকে আরও গতিশীল করবে (Qatars Amir)।

  • Indian Railway: রেলের টিকিটে প্রবীণদের ৫০ শতাংশ ছাড়, জানুন বিস্তারিত

    Indian Railway: রেলের টিকিটে প্রবীণদের ৫০ শতাংশ ছাড়, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল শনিবার অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য টিকিটের দামে ছাড় চালু করল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, ৫৮ বছর বা তার বেশি বয়সি মহিলারা ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন এবার থেকে টিকিটে। অন্যদিকে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ছাড় হবে ৪০ শতাংশ। জানা গিয়েছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল সীমিত আয়ের প্রবীণ নাগরিকদের (Senior Citizen) ভ্রমণের খরচ কমানো।

    আরও খুঁটিনাটি (Indian Railway)

    ছাড়ের প্রধান শর্ত হল, মহিলাদের বয়স কমপক্ষে ৫৮ বছর এবং পুরুষদের কমপক্ষে ৬০ বছর হতে হবে। এছাড়া, নিয়মিত বুকিংয়ের ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের জন্যই এই ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। তবে একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, তৎকাল টিকিটে এই ছাড় প্রযোজ্য নয়। অনলাইন বুকিংয়ের (Indian Railway) ক্ষেত্রে প্রথমে যেতে IRCTC ওয়েবসাইটে। এরপর লগ ইন করে ভ্রমণের বিবরণ পূরণ করতে হবে। তারপর সিনিয়র সিটিজেন কনসেশন বিকল্পটি বাছতে হবে। এরপর বয়সের প্রমাণপত্র আপলোড করে টাকা জমা দিতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি হয়ে গেলে টিকিট ডাউনলোড করতে পারবেন।

    প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুযোগ

    অনুরোধ করলে প্রধান স্টেশনগুলিতে হুইলচেয়ারের সহায়তা পেয়ে থাকেন দেশের প্রবীণ নাগরিকরা (Indian Railway)। টিকিট বুকিং এবং চেক-ইন প্রক্রিয়ার সময় পৃথক সারির ব্যবস্থা থাকে, যা সময় বাঁচাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, স্লিপার এবং এসি কামরায় লোয়ার বার্থ মেলে।

    কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    এই ছাড় মেল, এক্সপ্রেস, রাজধানী, শতাব্দী এবং দুরন্ত ট্রেনগুলিতে প্রযোজ্য থাকবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেল। আইআরসিটিসি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে এই ছাড় পেতে পারেন অথবা আধার কার্ড বা ভোটার আইডির মতো বৈধ নথিপত্র-সহ রেলের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট বুক করা যেতে পারে। বন্দে ভারত এবং তেজসের মতো ট্রেনগুলির ক্ষেত্রে টিকিটে প্রবীণদের জন্য ছাড়-সহ বেশ কিছু সুযোগ-সুবিদা দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে ভারতীয় রেল। ভবিষ্যতে নামমাত্র মূল্যে অতিরিক্ত ভ্রমণ বিমাও চালু করতে পারে রেল (Indian Railway)।

  • Manipur: গত ২ দিনে মণিপুরে গ্রেফতার ১১ জঙ্গি, জানাল নিরাপত্তা বাহিনী

    Manipur: গত ২ দিনে মণিপুরে গ্রেফতার ১১ জঙ্গি, জানাল নিরাপত্তা বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দুই দিনে মণিপুর (Manipur) থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জন জঙ্গিক। একথা জানিয়েছে সে রাজ্যের পুলিশ। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে কুকি ন্যাশনাল আর্মির সাতজন সদস্য রয়েছে। যাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ। গত শুক্রবার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর জেলা থেকে বেশ কয়েকজনকে (Security Forces) কুকি ন্যাশনাল আর্মির জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়।

    শনিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার হুইকাপ গ্রামে অভিযান (Manipur)

    অন্যদিকে গতকাল শনিবার ইম্ফল (Manipur) পূর্ব জেলার হুইকাপ গ্রামে আরেকটি অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। জানা গিয়েছে, এই অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন কাঙ্গেলিপাক কমিউনিস্ট পার্টি (পিডব্লিউজি গ্রুপ) এর চারজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে দুই মহিলাও রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই জঙ্গিদের (Manipur) কাছ থেকে দুটি AK-47 রাইফেল, পিস্তল, গুলি ও বিভিন্ন নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন জারি (Manipur)

    গত বৃহস্পতিবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বয়ানে লেখা হয়েছে, ‘আমি মণিপুরের রাজ্যপালের থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। ওই রিপোর্ট দেখে ও অন্য তথ্যগুলির ভিত্তিতে আমার মনে হয়েছে, সংবিধান অনুসারে সেখানে সরকার চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’

    উত্তপ্ত মণিপুর

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। ২০২৩ সালে মে মাসে প্রথম মেইতেই ও কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছুদিনের জন্যে শান্ত ছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। গত সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে (Manipur) নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এবং রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্রের খবর, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরে সাময়িক বিরতি হয় অশান্তিতে। কিছুদিন পরেই ফের তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজ্যবাসীকে সংযত হওয়ার অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে রাজ্যে। তার পরেও অশান্তির আগুনে পুড়েছে রাজ্য। সম্প্রতি জারি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন।

  • Mohan Charan Majhi: “২০২৬ সালের আগেই ওড়িশা মাওবাদী মুক্ত হবে,” বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    Mohan Charan Majhi: “২০২৬ সালের আগেই ওড়িশা মাওবাদী মুক্ত হবে,” বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২৬ সালের আগেই ওড়িশা মাওবাদী মুক্ত হবে।” কথাগুলি বললেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি (Mohan Charan Majhi)। তাঁর দাবি, ওড়িশায় ডাবল ইঞ্জিন সরকার জনগণের জন্য সেবা প্রদান করতে শুরু করেছে। মাও দমনে (Maoist Free) ডেড লাইন বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    মাওবাদী মুক্ত রাজ্য (Mohan Charan Majhi)

    তিনিও বলেছিলেন, “৩১ মার্চের মধ্যেই মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ।” বিধানসভার রাজ্যপালের ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব বিতর্কের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের বিজেপি সরকার অগ্রগতি সাধন করছে এবং প্রথম আট মাসের মধ্যে তার সাফল্য বিজেডির ২৪ বছরের কাজের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডাবল ইঞ্জিন সরকারের প্রভাব বিশেষ করে পরিকাঠামো খাতে তো আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। সড়ক, রেল, বন্দর, বিমানবন্দর এবং অন্যান্য পরিবকাঠামো খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ হয়েছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।” তিনি জানান, তাঁর সরকার ওডিশার ৩০টি জেলাকেই রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

    রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সম্পর্কে বিরোধীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী (Mohan Charan Majhi) বলেন, “গত আট মাসে সমস্ত মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মহিলা সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার একক সংখ্যায় ছিল। আইপিসি সংক্রান্ত মামলার হার ১২ শতাংশের নীচে ছিল। আগামী দিনে আপনি অবশ্যই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হারে উন্নতি দেখতে পাবেন।”

    মাওবাদী ও নকশাল সমস্যা মোকাবিলায় তাঁর সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি এই আগস্ট হাউসকে আশ্বস্ত করতে চাই যে ৩১ মার্চ, ২০২৬-এর জাতীয় সময়সীমার অনেক আগেই ওডিশা থেকে মাওবাদী হিংসার অবসান ঘটবে। আপনারা জানেন, ওডিশার কিছু এলাকা একসময় মাওবাদী-প্রভাবিত ছিল। তবে গত কয়েক দিনে আমরা এই অঞ্চলটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পেরেছি।” মাওবাদীদের (Maoist Free) প্রতি তাঁর আবেদন, “হিংসা ছেড়ে আপনারা সমাজের মূলস্রোতে যোগ দিন। তা না হলে ভয়ঙ্কর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে (Mohan Charan Majhi)।”

  • Modi Script: “মোদি লিপি শিখলে কাজের সুযোগ রয়েছে”, বললেন গবেষক মাহেশ

    Modi Script: “মোদি লিপি শিখলে কাজের সুযোগ রয়েছে”, বললেন গবেষক মাহেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মোদি লিপি (Modi Script) শিখলে কাজের সুযোগ রয়েছে। মোদি লিপি পড়লে ইতিহাস (Glorious History) সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানা যাবে। ১৯৫০ সালের আগে স্কুলে পড়ানোও হত মোদি লিপি। ১৮৮৮ সালের মোদি লিপিতে লেখা একটি দ্বিতীয় শ্রেণীর পাঠ্যবই এখনও পাওয়া যায়। মহারাষ্ট্রের গৌরবময় ইতিহাসও মোদি লিপিতে লেখা।” কথাগুলি বললেন মোদি লিপির বিশেষজ্ঞ মাহেশ জোশী। মোদি লিপির ওপর কর্মশালার আয়োজন করতে তিনি পুনে থেকে বদর্ভের অমরাবতী যাত্রা করেন।

    মোদি লিপি নিয়ে কী বললেন গবেষক? (Modi Script)

    এই কর্মশালার আয়োজন হয়েছিল ভগবান শিবাজিরাও পাটিল কলেজে। মাহেশ বলেন, “অনেকে মোদিকে একটি ভাষা বলে মনে করেন। তবে এটি ভুল ধারণা। মোদি কখনওই একটি ভাষা ছিল না। এটি ছিল একটি লিপি।” তিনি বলেন, “যদি আপনি মোদি লিপি পড়েন, তবে বুঝতে পারবেন মোদি লিপির প্রতিটি শব্দই মারাঠি ভাষায় বিদ্যমান। মোদি লিপির ইতিহাস ৭০০ বছরের পুরানো। এটি যাদব রাজবংশের সময় থেকে প্রচলিত রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই লিপি পরিবর্তিত হয়ে আরও পরিশুদ্ধ হয়েছে। যাদব যুগের নথিপত্র অবশ্য এখন আর পাওয়া যায় না।”

    মোদি লিপি

    জোশী বলেন, “ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ যুগের চিঠিগুলি এখনও পাওয়া যায়। তবে সেগুলি আসল রূপে নেই। কারণ ব্রিটিশরা রায়গড় দুর্গের একটি জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেয়। এই দুর্গটি ছিল ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের রাজধানী।” তিনি বলেন, “মোদি লিপির (Modi Script) বেশিরভাগ নথি পেশওয়া যুগ থেকে পাওয়া যায়। পেশওয়ারা মোদি লিপিকে রাজ্যের ভাষার মর্যাদা দিয়েছিলেন। তাই তাদের যুগের বহু নথি পাওয়া যায়। শুধুমাত্র পুনেতেই প্রায় পাঁচ কোটি মেলে। মুম্বই, নাগপুর এবং ছত্রপতি সম্ভাজিনগরেও মোদি লিপির নথি পাওয়া যায়।”

    তিনি বলেন, “কিছু পরিবারও আছে, যাদের কাছে এখনও মোদি লিপির নথি সংরক্ষিত রয়েছে। ১৮৮৮ সালের মোদী লিপির দ্বিতীয় স্ট্যান্ডার্ড পাঠ্যপুস্তকটি এখনও পাওয়া যায়।” তিনি বলেন, “মরাঠাদের শাসনকালে মোদী লিপির মাধ্যমে বার্তা আদান-প্রদান করা হত। ওই সময় মোদি লিপি গোপন লিপি হিসেবে ব্যবহৃত হত।” মাহেশ বলেন, “একজন রুশ অধ্যাপক পেচাকাভ, নেদারল্যান্ডসের ম্যাডাম এলিজাবেথ এবং অন্যান্য দেশের মানুষ ভারতে এসে মোদি লিপি শিখেছিলেন। উইলিয়াম কেরি ১৮১৮ সালে মোদি (Glorious History) থেকে ইংরেজি ভাষার একটি অভিধানও তৈরি করেছিলেন (Modi Script)।”

LinkedIn
Share