Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Manipur: অশান্ত মণিপুরকে ঠান্ডা করতে জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন

    Manipur: অশান্ত মণিপুরকে ঠান্ডা করতে জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরকে (Manipur) ঠান্ডা করতে শেষমেশ জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন। দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন এন বীরেন সিং। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয় উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে জারি করা হবে রাষ্ট্রপতি শাসন (Presidents Rule)। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় চিত্রাঙ্গদার দেশে।

    মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি (Manipur)

    বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বয়ানে লেখা হয়েছে, ‘আমি মণিপুরের রাজ্যপালের থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। ওই রিপোর্ট দেখে ও অন্য তথ্যগুলির ভিত্তিতে আমার মনে হয়েছে, সংবিধান অনুসারে সেখানে সরকার চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’

    মণিপুরের পরিস্থিতি

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে উতপ্ত মণিপুর। ২০২৩ সালে মে মাসে প্রথম মেইতেই ও কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছুদিনের জন্যে শান্ত ছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। গত সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে (Manipur) নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এবং রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্রের খবর, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরে সাময়িক বিরতি হয় অশান্তিতে। কিছুদিন পরেই ফের তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজ্যবাসীকে সংযত হওয়ার অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে রাজ্যে। তার পরেও (Presidents Rule) অশান্তির আগুনে পুড়েছে রাজ্য। তার জেরেই জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন (Manipur)।

  • Religious Tourism: ধর্মীয় পর্যটন বৃদ্ধিই লক্ষ্য, বিশ্বের ৩২ লাখ মন্দিরকে একত্রিত করে একটি ব্লক গঠনে উদ্যোগী কেন্দ্র

    Religious Tourism: ধর্মীয় পর্যটন বৃদ্ধিই লক্ষ্য, বিশ্বের ৩২ লাখ মন্দিরকে একত্রিত করে একটি ব্লক গঠনে উদ্যোগী কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ হিসেবে, বিশ্বের প্রায় ৩২ লাখ মন্দির, প্রধানত ভারতে, একটি একক ফেডারেশনের আওতায় সংযুক্ত হতে চলেছে, যার মোট অর্থনীতি প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা। এর লক্ষ্য হলো মন্দিরগুলোর কার্যক্রম এবং ধর্মীয় পর্যটন (Religious Tourism) ব্যবস্থাপনাকে সংগঠিত ও আধুনিকভাবে পরিচালনা করা, যাতে সেগুলি সাধারণ জনগণের জন্য সহজে এবং স্বচ্ছভাবে প্রবেশযোগ্য হয়। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য, “ইন্টারন্যাশনাল টেম্পলস কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপো (ITCX) ২০২৫” অনুষ্ঠিত হবে, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মন্দির প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সম্মেলন। এটি ১৭-১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে তিরুপতির আশা কনভেনশনে অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনটি আন্তঃযোগাযোগ এবং আধুনিকীকরণের মাধ্যমে মন্দির ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে একত্রিত করবে।

    ৫৮টি দেশের ২০০০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ

    প্রাথমিকভাবে, এই সম্মেলনে ৫৮টি দেশের প্রায় ২০০০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এই সম্মেলন, যেটি “মহাকুম্ভ অফ টেম্পলস” হিসেবে পরিচিত, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে (Religious Tourism) আরও সক্রিয় ও শক্তিশালী করার পাশাপাশি মন্দির অর্থনীতিকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করবে। কোভিড পরবর্তী সময়ে, আধ্যাত্মিক পর্যটন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে প্রতিদিন ৩২,০০০ থেকে ৪০,০০০ তীর্থযাত্রী আসেন, যা কোভিডের আগে ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ ছিল।

    পর্যটন মন্ত্রক, সংস্কৃতি মন্ত্রকের নয়া উদ্যোগ

    এই সম্মেলনে মন্দির পরিচালনা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, যেমন তহবিল ব্যবস্থাপনা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা প্রোটোকল, এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল টুলস এবং ফিনটেক সলিউশন। বিশেষত খাবার বিতরণ ব্যবস্থা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পুনর্ব্যবহার, এবং টেকসই শক্তি ব্যবস্থার মতো বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করা হবে। এতে মন্দিরগুলোর বিভিন্ন সামাজিক সেবাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যেমন স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা প্রোগ্রাম এবং দাতব্য উদ্যোগ। ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক, সংস্কৃতি মন্ত্রক এবং “ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া” উদ্যোগের অংশ। মহারাষ্ট্র ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনও (MTDC) এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এবং অন্ধ্র প্রদেশ, কেরালা, কর্নাটকসহ বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটন এবং এনডোওমেন্ট বোর্ডও এতে সহযোগিতা করছে।

  • Somnath Shivling: মামুদের ভাঙা সোমনাথ মন্দিরের শিবলিঙ্গের ভাঙা অংশ সংরক্ষণ করবেন ধর্মগুরু রবিশংকর

    Somnath Shivling: মামুদের ভাঙা সোমনাথ মন্দিরের শিবলিঙ্গের ভাঙা অংশ সংরক্ষণ করবেন ধর্মগুরু রবিশংকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাচীন ভারতে হিন্দুদের পীঠস্থান সোমনাথ মন্দিরের (Somnath Shivling) শিবলিঙ্গকে ভেঙে চুরমার করেছিলেন গজনির সুলতান মামুদ। সেই ভাঙা জ্যোতির্লিঙ্গগুলি দীর্ঘদিন ধরেই সংরক্ষিত হয়েছিল। বর্তমানে সেই জ্যোতির্লিঙ্গের ভাঙা অংশগুলি নিজের কাছে রাখতে চলেছেন ভারতবর্ষের অন্যতম আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবি শংকর। জানা গিয়েছে, গজনির সুলতান মামুদ ওই জ্যোতির্লিঙ্গকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করার পরে সেই ভাঙা অংশগুলি ছিল অগ্নিহোত্রী ব্রাহ্মণদের কাছে। বিগত ২১ বছর ধরে এই জ্যোতির্লিঙ্গের ভাঙা অংশগুলি ছিল সীতারাম শাস্ত্রী নামের এক অগ্নিহোত্রী পুরোহিতের কাছে এবং তিনি দেখাশোনা করেছিলেন এগুলি। সীতারাম শাস্ত্রী এগুলিকে হস্তান্তর করে দেন শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের (Sri Sri Ravishankar) হাতে।

    কী বললেন সীতারাম শাস্ত্রী?

    সীতারাম শাস্ত্রী জানিয়েছেন (Somnath Shivling), তাঁরা দুই প্রজন্ম ধরে এই জ্যোতির্লিঙ্গের ভাঙা অংশগুলিকে সংরক্ষণ করে আসছেন। শাস্ত্রীর কাকা জ্যোতির্লিঙ্গের ভাঙা অংশগুলিকে সীতারাম শাস্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করেছিলেন বলে জানা যায়। সীতারাম শাস্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি একুশ বছর আগেই মূর্তিগুলিকে পেয়েছিলাম। এর আগে আমার কাকা এগুলোকে নিজের কাছে রেখেছিলেন। তিনি আমাকে এই মূর্তিগুলিকে দিয়েছিলেন এবং তিনি আমাকে বলেছিলেন এর মধ্যে অন্তত দুটি মূর্তি যেন গুজরাতের সোমনাথ মন্দিরে তুমি স্থাপন করবে। সোমনাথ শাস্ত্রী জানিয়েছেন এই জ্যোতির্লিঙ্গের ভাঙা অংশগুলির বয়স হাজার বছর হয়ে গেছে। প্রায় আমার কাকা তাঁর গুরু প্রবীন্দ্র সরস্বতীর কাছ থেকে এগুলি পেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে আমার কাকার কাছ থেকে এগুলি আমি পাই।’’

    কী বললেন শ্রী শ্রী রবিশংকর (Somnath Shivling)

    অন্যদিকে শ্রী শ্রী রবিশংকর এই বিষয়গুলির ওপরে বলেন, ‘‘সীতারাম শাস্ত্রীর কাকা তাঁর গুরু পরবেন্দ্র সরস্বতীর কাছ থেকে শিবলিঙ্গের অংশগুলি পেয়েছেন। ১০০ বছর আগে এই শিবলিঙ্গের অংশগুলি পেয়েছিলেন তিনি। তখন কাঞ্চির শংকরাচার্যের কাছে তিনি এগুলি নিয়ে যান। শংকরাচার্য তাঁকে বলেছিলেন যে সোমনাথ মন্দিরের শিবলিঙ্গ পবিত্র হতে ১০০ বছর সময় লাগবে। তাই তিনি সেই সময় পর্যন্ত অংশগুলিকে সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’’ জানা যায়, এক হাজার বছর আগেই শিবলিঙ্গটিকে ধ্বংস করেন গজনির সুলতান মামুদ এবং সোমনাথ মন্দিরের (Somnath Shivling) প্রবেশের সময় মামুদ পঞ্চাশ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিলেন বলে জানা যায়। মন্দিরে সমস্ত জিনিসপত্র গজনির সুলতান লুট করেছিলেন এবং শিবলিঙ্গকে ধ্বংস করেছিলেন।

  • New Income Tax Bill: রয়েছে সাড়ে পাঁচশোরও কম ধারা, লোকসভায় নতুন আয়কর বিল পেশ নির্মলার

    New Income Tax Bill: রয়েছে সাড়ে পাঁচশোরও কম ধারা, লোকসভায় নতুন আয়কর বিল পেশ নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান, বৃহস্পতিবার, লোকসভায় নতুন আয়কর বিল পেশ (New Income Tax Bill) করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের সংশোধন নয়, বরং পুরনো আইনকে ভুলে নতুন আয়করের বিধানে দেশকে চালাতে চান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নতুন বিলে ‘করবর্ষ’ চালু করার কথা বলেছে সরকার। আর্থিক বছরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই করবর্ষ আনা হচ্ছে বলে খবর সূত্রের।

    নয়া বিলে কী পরিবর্তন

    সংসদে বিলটি পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) জানান, ‘আয়কর আইনের ধারা কমিয়ে ৮১৯ থেকে নামানো হয়েছে ৫৩৬এ’। যার মাধ্যমে সাধারণের কাছে আগের তুলনায় আয়কর বিধিগুলি বুঝতে অনেকটা সহজ বলে মত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের। তবে আয়করের ধারা কমানো ছাড়াও আরও এক গুচ্ছ পরিবর্তন আনা হয়েছে এই নতুন আইনে। সূত্রের খবর, বিল আইনে পরিণত হলে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আরও সহজ হবে। এই নয়া আইনের হাত ধরে আয়কর স্ল্যাব সম্বন্ধে সাধারণের ধারণা আরও স্পষ্ট হবে। অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে, না বুঝে আয়কর নিয়ে আইনি সংঘাতে পড়ে যান বহু করদাতা। সেই সমস্যার সুরাহা করতেই নয়া বিলে আনা হয়েছে পরিবর্তন। আইনি সংঘাত কমাতে নেওয়া হয়েছে বড় পদক্ষেপ।

    কেন পরিবর্তন

    চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২৫-’২৬ আর্থিক বছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা (Nirmala Sitharaman)। বাজেট বক্তৃতাতেই নতুন আয়কর বিল আনার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এর পর গত সপ্তাহে প্রথামাফিক বিলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভা। দেশের কর ব্যবস্থাকে সরল ও আধুনিক করতে নতুন বিলটি আনা হয়েছে বলে দাবি করেছে সরকার। প্রসঙ্গত, নয়া বিল আনা হলেও নতুন করে কোনও আয়কর আরোপ করা হবে না বলে আগেই স্পষ্ট করেছিল কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে অর্থসচিব বলেন, ‘‘বিলটি আইনে পরিণত হলে আয়করের ক্ষেত্রে হ্রাস পাবে আইনি জটিলতা। করদাতারা সহজ সম্মতিতে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।’’ কেন্দ্রের দাবি, বর্তমানে চালু থাকা আইনের তুলনায় ৫০ শতাংশ ধারা কমিয়ে নতুন বিলটি তৈরি করা হয়েছে। এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল মামলা-মোকদ্দমার সংখ্যা কমানো।

  • Kejriwal: মানকে সরিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কেজরিওয়াল? আপের বৈঠক ঘিরে শুরু জল্পনা

    Kejriwal: মানকে সরিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কেজরিওয়াল? আপের বৈঠক ঘিরে শুরু জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে আপের। খোদ পরাস্ত হয়েছেন দলের সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Kejriwal)। এই অবস্থায় জল্পনা শুরু হয়েছে পাঞ্জাবে আপের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে এবং কেজরিওয়াল হতে পারেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির দাবি, কেজরিওয়াল মানকে (Bhagwant Mann) মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গেরুয়া শিবিরের এই দাবির পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনীতিতে।

    মঙ্গলবার বৈঠক হয় আপের (Kejriwal)

    জল্পনা আরও বাড়ে গত মঙ্গলবার। ওই দিন রাজধানীতে কাপুরথালা হাউসে আপের একটি বিশেষ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেজরিওয়াল, দলের প্রবীণ নেতা মণীশ সিসোদিয়া, মুখ্যমন্ত্রী মান এবং পঞ্জাবের সমস্ত বিধায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ দলীয় নেতারা। এরপরেই বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা রাজৌরি গার্ডেনের নবনির্বাচিত বিধায়ক মনজিন্দর সিং সিরসা একটি ভিডিওতে দাবি করেছেন, ‘আপের জাতীয় আহ্বায়ক মানকে ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

    বিজেপির দাবি

    দিল্লির নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরেই এই বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। শোনা যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Kejriwal) দিল্লিতে মানকে অযোগ্য বলে চিহ্নিত করে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। মহিলাদের জন্য ১,০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়া, মাদকের অপব্যবহার- এই সব কারণের জন্যই নাকি কেজরিওয়াল সরিয়ে দিতে চান মানকে। বৈঠকের পরেই বিজেপি দাবি করে, দিল্লির নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Kejriwal) দিল্লিতে পাঞ্জাবের বিধায়কদের একটি সভা ডেকেছেন। শোনা যাচ্ছে, তিনি মানকে অযোগ্য বলে চিহ্নিত করে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি পাঞ্জাবের আপ বিধায়কদের বলতে বাধ্য করছেন যে কেজরিওয়াল একজন ভালো মানুষ এবং মানের পরিবর্তে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত।প্রসঙ্গত, ১১৭ সদস্যের পাঞ্জাব বিধানসভায় আপের ৯৩ জন এবং কংগ্রেসের ১৬ জন বিধায়ক রয়েছে।

  • Uttarakhand: ইউসিসি রেজিস্ট্রেশনে ব্যাপক সাড়া উত্তরাখণ্ডে, সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে বেড়েই চলেছে ভিড়

    Uttarakhand: ইউসিসি রেজিস্ট্রেশনে ব্যাপক সাড়া উত্তরাখণ্ডে, সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে বেড়েই চলেছে ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৭ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) কার্যকর হয় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC Registration)। তারপর থেকে এনিয়ে সারা রাজ্যের মানুষের মধ্যে বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির নিয়মে কী কী পরিবর্তন এসেছে, সে সংক্রান্ত সবকিছু জানতে বিপুলসংখ্যক মানুষ বিভিন্ন সরকারি দফতরের ওয়েবসাইটগুলিতে প্রবেশ করছেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিন্ন অভিন্ন অনুযায়ী একত্রবাসের ক্ষেত্রেও একাধিক নিয়মে বদল আনা হয়েছে এবং রেজিস্ট্রি করার পরে পরে লিভ-ইন করা যাবে উত্তরাখণ্ডে।

    সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে ব্যাপক ভিড়

    এই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে সে রাজ্যের মানুষ ব্যাপকভাবে প্রবেশ করছেন সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পোর্টালে যাঁরা প্রবেশ করছেন এই সংখ্যা ব্যাপক। ২৭ জানুয়ারি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১,০০৬ জন এই পোর্টালে প্রবেশ করেছেন এবং তাঁরা নিজেদের বিবাহকে রেজিস্ট্রি করেছেন।

    কী বললেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী?

    ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যে সমস্ত মানুষ অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতা করছিলেন, তাঁরাও বর্তমানে বুঝতে পারছেন যে এই নিয়ম বিধির আমাদের রাজ্যের জন্য ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই আইন কারও বিরুদ্ধে আনিনি, কাউকে হয়রানি করতেও আনিনি। এই আইন আনা হয়েছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) জনগণের সুবিধার জন্য।

    প্রতিদিন ওয়েবসাইটে শত শত মানুষ বিবাহ রেজিস্ট্রি করছেন

    প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি ইউসিসি পোর্টালে গিয়ে নিজের বিবাহকে নিবন্ধন করিয়েছেন। তারপর থেকেই প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ তাঁদের বিবাহ নিবন্ধন করিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত ওই পোর্টালে কোনওরকমের বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয় কেউ নিবন্ধন করেনি বলে জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। উত্তরাখণ্ডের অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে দেখার পরেই গুজরাতে বিজেপির সরকার কমিটি তৈরি করেছে। মনে করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি গুজরাতেও চালু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি।

  • RSS: দিল্লিতে নির্মিত আরএসএস-র সদর দফতর, সবমিলিয়ে ৩০০ কক্ষ, রয়েছে হাসপাতালও

    RSS: দিল্লিতে নির্মিত আরএসএস-র সদর দফতর, সবমিলিয়ে ৩০০ কক্ষ, রয়েছে হাসপাতালও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) সদর দফতর নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হল। রাজধানীর ঝন্ডেবালানে ‘কেশব কুঞ্জ’ (Keshav Kunj) নামের আরএসএস-র নয়া সদর দফতরটির নির্মাণ হয়েছে। মোট তিনটি টাওয়ার রয়েছে আরএসএস-র নয়া সদর দফতরে। প্রতিটি টাওয়ার ১২ তলা করে। তিনটি টাওয়ারের নাম হল, ‘সাধনা’, ‘প্রেরণা’ এবং ‘অর্চনা’। জানা গিয়েছে, ৩.৭৫ একর জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে আরএসএস-র সদর দফতরটি। সবমিলিয়ে এই কার্যালয়ে ৩০০ কক্ষ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরএসএস-র তরফে জানানো হয়েছে মোট ১৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে সদর দফতর নির্মাণে। দেশজুড়ে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষের আর্থিক অনুদানেই তৈরি হয়েছে এই দফতর। যেকোনও রকমের বড় অনুষ্ঠান এবার থেকে এই সদর দফতরেই হবে বলে জানিয়েছেন সংঘ নেতারা।

    রয়েছে ৫ শয্যার হাসপাতাল (RSS)

    গোটা ভবনে প্রাচীন এবং আধুনিক স্থাপত্যের নিদর্শনও চোখে পড়ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকেই শুরু হয় নির্মাণকাজ। মূল অডিটোরিয়ামটি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অশোক সিংঘলের স্মৃতিতে তৈরি হয়েছে। অযোধ্যায় রামমন্দির আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন অশোক সিংঘল। দফতরে ঢোকার মুখেই রয়েছে আরএসএস প্রতিষ্ঠিত কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের একটি মূর্তি। ১৩৫টি গাড়ি দাঁড় করানোর পার্কিং-ও রয়েছে আরএসএস-র দফতরে। নয়া সদর দফতরে রয়েছে সৌরবিদ্যুতের জোগানও। এরসঙ্গে রয়েছে একটি বড় গ্রন্থাগার (RSS), সেখানে রয়েছে ৮৫০০ বই। গবেষণার জন্য বিনামূল্যে সেখানে প্রবেশ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে নয়া দফতরে রয়েছে পাশাপাশি, একটি ক্লিনিক এবং পাঁচ শয্যার একটি হাসপাতাল।

    ‘পাঞ্চজন্য’ ও ‘অর্গানাইজার’-এর দফতরও থাকছে এখানে

    জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি নয়া দফতরে উপস্থিত হবেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত এবং সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। সেখানেই হবে একটি সম্মেলন হবে। সংঘের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লির ওই সদর দফতর থেকেই আরএসএস-র (RSS) যাবতীয় কাজকর্ম সম্পাদিত হবে। জানা গিয়েছে, গুজরাতের বাসিন্দা অনুপ দাভে এই নয়া সদর দফতরের নকশা তৈরি করেছেন। সংঘের মুখপত্র ‘পাঞ্চজন্য’ ও ‘অর্গানাইজার’-এর দফতরও থাকছে এখানে। এর পাশাপাশি, ‘সুরুচি প্রকাশনে’র দফতরও থাকছে নয়া সদর দফতরে।

  • Assam: অসমে মৌলবাদীদের হামলার শিকার হিন্দু পরিবার, বিক্ষোভে সামিল হাজারেরও বেশি গ্রামবাসী

    Assam: অসমে মৌলবাদীদের হামলার শিকার হিন্দু পরিবার, বিক্ষোভে সামিল হাজারেরও বেশি গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে (Assam) এক হিন্দু পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে সে রাজ্যের গরুমারা দলনি গ্রামে। জানা গিয়েছে, এই গ্রামটি গুয়াহাটি শহর থেকে চল্লিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং তা ময়ং পুলিশ স্টেশনের অন্তর্ভুক্ত। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাজার হাজার গ্রামবাসী পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি। তাঁরা দাবি জানান যে যারা এই ঘটনার অভিযুক্ত তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। অর্গানাইজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঝামেলার সূত্রপাত গত ৯ ফেব্রুয়ারি। যেখানে একটি গোষ্ঠী জোর করে এক হিন্দু পরিবারের মাঠের ঘাস কেটে নিতে থাকে।

    বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের (Assam)

    এর পরেই ওই হিন্দু পরিবার (Assam) প্রতিবাদ জানালে আরও বড় সংখ্যায় গোষ্ঠী জড়ো হয় এবং তারা ওই পরিবারের ওপর হামলা চালায়। জানা যায়, ওই পরিবারের পাঁচজনকেই ব্যাপকভাবে আহত করা হয়। যাঁদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুরাও ছিল। এর পরবর্তীকালে আহতদের গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। আহত ওই পরিবার ময়ং পুলিশ থানাতে অভিযোগপত্র দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেনি বলেই জানা গিয়েছে। সে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের এমন গড়িমসিভাব গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রবল বিক্ষোভ তৈরি করেছে। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ সামলাতে আসে বিরাট পুলিশ বাহিনী।

    কী জানালেন পুলিশ কর্তা

    অসমের (Assam) উচ্চপদস্থ এক পুলিশ অফিসার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন যে আমরা জনতাকে আশ্বস্ত করছি যে বা যারা অভিযুক্ত তাদেরকে খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে এবং এই ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনা নতুন বা প্রথম কিছু নয়। এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে অসমে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সৌজন্যে খবরের শিরোনামেও এসেছে ওই ঘটনাগুলি। ঐদিন হিন্দু জনতা যে বিক্ষোভ দেখায়, সেখানে তারা স্লোগান তোলে যে যদি কঠিন শাস্তি না দেওয়া হয় দোষীদের, তাহলে (Assam) এই ধরনের ঘটনা বেড়েই চলবে এবং এর পরেও কোনও না কোনও পরিবার আবার আক্রান্ত হবে।

  • Sikh Riots Case: শিখ বিরোধী দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমার

    Sikh Riots Case: শিখ বিরোধী দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্দিরা গান্ধী হত্যা-পরবর্তী শিখ দাঙ্গা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার। ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সরস্বতী বিহারে শিখ ধর্মাবলম্বী পিতা-পুত্রকে খুনের ঘটনায় সজ্জন প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। গুরুদ্বারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা সংক্রান্ত ওই মামলায় ‘প্রধান প্ররোচনাকারী’ বলে হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে সজ্জনকে।

    কী বলল আদালত

    বুধবার বিশেষ বিচারক কাবেরী বাওয়েজা, প্রাক্তন কংগ্রসে সাংসদকে দোষী সাব্যস্ত করার আদেশ দেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর সাজার পরিমাণ নিয়ে যুক্তিতর্ক হবে। এদিন সজ্জন কুমারকে তিহার জেল থেকে আদালতে হাজির করানো হয়। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর ১৯৮৪ সালে কার্যত শিখনিধন যজ্ঞ চলেছিল দেশে। সেই অশান্তি চলাকালীন ১ নভেম্বর যশবন্ত সিং নামের এক ব্যক্তি ও তাঁর পুত্র তরুণদীপ সিংকে খুনের ঘটনায় কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের নাম জড়ায়। সেইসময় দিল্লির রাজনগরেরই সাংসদ ছিলেন সজ্জন কুমার। প্রাথমিক ভাবে পাঞ্জাবি বাগ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই এক বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হলে তাদের হাতেই তদন্তের দায়ভার দেওয়া হয়। ২০২৪-এর ডিসেম্বরেই এই মামলার শুনানি সম্পূর্ণ হয়েছিল। শুনানির সময়, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল সজ্জন কুমারের নেতৃত্বে সশস্ত্র জনতা শিখ সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছিল। বহু মানুষের ঘর-বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল, তাদের সম্পত্তি ধ্বংস করেছিল।

    কোন কোন মামলায় অভিযুক্ত

    দিল্লিতে শিখবিরোধী হিংসার অন্য একটি মামলায় ২০১৮ সালে দোষী সাব্যস্ত সজ্জনের যাবজ্জীবন জেলের সাজা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি তিহাড় জেলে বন্দি। সেখান থেকেই রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল তাঁকে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজের শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পরই দেশ জুড়ে শিখবিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়। ১ নভেম্বর দক্ষিণ দিল্লির রাজনগরে এক শিখ পরিবারের পাঁচ জন সদস্যকে হত্যা এবং ওই এলাকার একটি গুরুদ্বার জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাতেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সজ্জন কুমার। সেই মামলায় ২০১৮ সালে তাঁর সাজা হয়েছিল।

  • Supreme Court: ‘বিনামূল্যে পেয়ে কাজের ইচ্ছা চলে যাচ্ছে’ খয়রাতির রাজনীতি নিয়ে কঠোর পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ‘বিনামূল্যে পেয়ে কাজের ইচ্ছা চলে যাচ্ছে’ খয়রাতির রাজনীতি নিয়ে কঠোর পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনামূল্যে রেশন। পরিশ্রম না-করেই অ্যাকাউন্টে টাকা! খয়রাতির রাজনীতি, অর্থাৎ, নির্বাচনের আগে বিনামূল্যের উপহার ঘোষণা করার প্রথার তীব্র নিন্দা করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালত বলেছে বিনামূল্যে রেশন এবং অর্থ পেয়ে মানুষ কাজ করার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলছে। আর এই ভাবে তৈরি হচ্ছে একটা পরজীবী শ্রেণি। আদালতের বক্তব্য, এর ফলে মানুষ কাজ করতে চাইছেন না। বিনামূল্যে খাবার পেয়ে গেলে, বিনা শ্রমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভরে গেলে আর পরিশ্রম করার প্রয়োজন পড়ে না। এতে সমাজের ক্ষতি হচ্ছে।

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

    শহরাঞ্চলে দারিদ্র দূর করার লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ্‌র বেঞ্চে। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানায়, শহরাঞ্চলে দারিদ্র দূরীকরণ মিশন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। যাঁরা শহরের রাস্তায় গৃহহীন, তাঁদের আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করা হবে। এ ছাড়াও শহরবাসী দরিদ্র মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রেক্ষিতেই বিচারপতি গাভাই বলেন, ‘‘শহরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জন্য যে আপনারা ভাবছেন, সেটা খুবই ভাল কথা। কিন্তু তাঁদের যদি সমাজের মূলস্রোতের অঙ্গ করে তোলা যায়, তাঁদের যদি দেশের উন্নয়নের কাজে লাগানো যায়, সেটা কি আরও ভাল হবে না?’’

    কেন এই পর্যবেক্ষণ

    শহরাঞ্চলে দারিদ্র্য দূরীকরণ অভিযান কার্যকর করতে কত সময় লাগবে, তা কেন্দ্রের কাছ থেকে যাচাই করার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানিকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ভেঙ্কটরমানি জানান, নগরাঞ্চলে দারিদ্র্য দূরিকরণ অভিযান চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে কেন্দ্র। এই অভিযান নগরাঞ্চলে গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন বিষয়ের মোকাবিলা করবে। ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। মানুষের সুবিধার্থে নানা নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়। কোথাও বলা হয়, বিনামূল্যে রেশন পাবেন মানুষ। কোথাও আবার মাসে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থসাহায্যের কথা ঘোষণা হয়। সরকারি এই প্রকল্পগুলির ফলে মানুষকে আর আগের মতো পরিশ্রম করতে হয় না। বিনা পরিশ্রমেই মেলে সুযোগসুবিধা। ভোট-রাজনীতির এই ‘খয়রাতি’ নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। ছ’সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

LinkedIn
Share