Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Terror Attack on PM Modi: ফ্রান্স সফরের মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর বিমানে জঙ্গি হামলার হুমকি! মুম্বই পুলিশে উড়ো ফোন

    Terror Attack on PM Modi: ফ্রান্স সফরের মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর বিমানে জঙ্গি হামলার হুমকি! মুম্বই পুলিশে উড়ো ফোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Terror Attack on PM Modi) বিমান উড়িয়ে দেবে জঙ্গিরা! ফোনের ওপার থেকে মুম্বই পুলিশকে এমনই জানিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবারই এই হুমকি ফোন পেয়ে তদন্তে নেমে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। বর্তমানে ফ্রান্সে রয়েছেন তিনি। এর পর নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতে করতে যাবেন আমেরিকায়। তার আগে মুম্বই পুলিশের কাছে মোদির বিমানে বিস্ফোরণের হুমকি দিয়ে একটি উড়ো ফোন কল আসে।

    মুম্বই পুলিশে উড়ো ফোন

    মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ১১ ফেব্রুয়ারি কন্ট্রোল রুমে একটি ফোন আসে। সেই ফোনে এক ব্যক্তি জানান, বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রীর বিমানে হামলা চালানো হতে পারে। জঙ্গিরা বিমানে বোমা-হামলা করার ছক কষেছে। খবর পাওয়ামাত্রই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। বিভিন্ন সংস্থাকে হুমকি ফোনের বিষয়টি জানানো হয়। তদন্তে নেমে মুম্বইয়ের চেম্বুর থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করেন তদন্তকারীরা। জানা যায়, তিনিই কন্ট্রোল রুমে ফোন করেছিলেন। গ্রেফতার করে তাঁকে ওই হুমকি ফোনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাথমিকভাবে এমনই অনুমান পুলিশের।

    বিদেশেই হুমকি

    সোমবার বিদেশ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (Terror Attack on PM Modi)। ফ্রান্স সফর সেরে যাবেন আমেরিকায়। মঙ্গলবার প্যারিসে এআই সম্মেলনে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বুধবার মোদি এবং ম্য়াক্রঁ, দু’জনে মার্সেইতে যুদ্ধের সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শন করেন। যুদ্ধে শহিদ ভারতীয় সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানন প্রধানমন্ত্রী। ফ্রান্স সফর সেরে আমেরিকায় পাড়ি দেবেন মোদি। তার মধ্যেই এল প্রাণনাশের হুমকি তবে এটা নতুন নয়, গত বছর ডিসেম্বরে মুম্বই ট্র্যাফিক পুলিশের কন্ট্রোল রুমে হুমকি ফোন এসেছিল। আইএস জঙ্গিযোগের কথাও বলা হয়েছিল। সেই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গত বছর কান্দিবলির বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সি শীতল চৌহানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

  • Delhi Election: “‘ইন্ডি’ ব্লকের অন্ধকার দশা চলছে,” বিরোধীদের নিশানা প্রকাশ রেড্ডির

    Delhi Election: “‘ইন্ডি’ ব্লকের অন্ধকার দশা চলছে,” বিরোধীদের নিশানা প্রকাশ রেড্ডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ইন্ডি’ ব্লকের (INDIA Block) অন্ধকার দশা চলছে।” দিল্লি নির্বাচনে (Delhi Election) আপ দুর্গে ধস নামানোর পর মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা প্রকাশ রেড্ডি। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মুখোমুখি লড়াই হয়েছিল আপ এবং কংগ্রেসের। অথচ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল ‘ইন্ডি’ জোট। এই জোটে রয়েছে আপও।

    মুখোমুখি লড়াই (Delhi Election)

    সেই আপের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের জেরে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আপ এবং কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ হলে দিল্লি বিধানসভার অন্তত ১৩টি আসনের ফল অন্যরকম হত। তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীর, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে ব্যর্থ হয়েছে ‘ইন্ডি’ ব্লক। প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, “দিল্লি নির্বাচনের পর রাজনৈতিক মহল বিশ্লেষণ করছে যে ভারতের রাজনীতিতে আর কোনও নির্বাচনের জন্য ইন্ডি জোট থাকবে না। সংসদ নির্বাচনের পর ইন্ডি জোট জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং এখন দিল্লিতে এক সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি।” এর পরেই তিনি বলেন, “ইন্ডি জোটের এখন অন্ধকার দশা চলছে (Delhi Election)।”

    বিজেপি নেতার বক্তব্য

    এই বিজেপি নেতা বলেন, “এই ঘটনাগুলোই জোটের অন্দরে যে ফাটল দেখা দিয়েছে, তা প্রমাণ করে। উদাহরণস্বরূপ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য। তিনি বলেছেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে স্বাধীনভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, কোনও জোটের সঙ্গে যুক্ত হবে না।” ইন্ডি জোটের অন্দরে এই কোন্দলের জন্য রেড্ডি দায়ী করেছেন কংগ্রেসকে। তাঁর দাবি, “আঞ্চলিক দলগুলি এখন নিজেদের শক্তির ওপর নির্ভর করে নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, জোটের অংশ হিসেবে নয়। এসবই ইঙ্গিত করে ইন্ডি জোট ভেঙে গিয়েছে। কংগ্রেসের হাল দেখে সব দল একা একা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক দলগুলি।”

    প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর ইন্ডি জোটের দুই সদস্য দল কংগ্রেস এবং আপকে নিশানা করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ইন্ডি জোটের (INDIA Block) প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহারাষ্ট্রের শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীও (Delhi Election)।

  • Satyendra Das: প্রয়াত রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, আধ্যাত্মিক জগতে শোকের ছায়া

    Satyendra Das: প্রয়াত রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, আধ্যাত্মিক জগতে শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মহন্ত সত্যেন্দ্র দাস (Satyendra Das)। বুধবার সকালে উত্তরপ্রদেশের লখনউতে সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (Ram Mandir)। বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    শোক প্রকাশ যোগীর (Satyendra Das)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “পরম রামভক্ত, শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দির, শ্রী অযোধ্যা ধামের পুরোহিত শ্রী সত্যেন্দ্র কুমার দাসজি মহারাজের মৃত্যুর খবর অত্যন্ত দুঃখের। এটা আধ্যাত্মিক জগতের অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁকে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।” হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, “অযোধ্যা রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাসজি আজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। নিউরোলজি ওয়ার্ডের হাই-ডিপেনডেন্সি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল।”

    রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    রাম মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি চম্পত রাই বলেন, “সত্যেন্দ্র দাস মহারাজের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তিনি লখনউতে পিজিআই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ৪৮ ঘণ্টা আগে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তিনি হনুমানঘড়ির সাধু ছিলেন। তিনি ‘বিরাক্ত’ ছিলেন, যিনি শিশুদের সংস্কৃত ব্যাকরণ পড়াতেন।” অযোধ্যায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র শরদ শর্মা মহন্ত সত্যেন্দ্র দাসের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “তাঁকে সবাই শ্রদ্ধা করতেন। অযোধ্যার আন্দোলনের বিষয়ে খুব কম লোকের জ্ঞান আছে। তিনি সেই স্বল্প সংখ্যকদের মধ্যে একজন (Satyendra Das)। আমরা তাঁর মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত।”

    ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদকাণ্ডের সময় সত্যেন্দ্র দাস রাম মন্দিরের অস্থায়ী পুরোহিত ছিলেন। সেই থেকেই তিনি রামলালার সেবায় নিয়োজিত। ধীরে ধীরে তিনি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পদে উন্নীত হন। নির্বাণী আখড়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সত্যেন্দ্র। ভক্তরা চাইলেই তাঁর সাক্ষাৎ পেতেন। যে কোনও সমস্যায় তাঁরা ছুটে যেতেন সত্যেন্দ্রর কাছে। অযোধ্যা ও রাম মন্দির সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান ছিল গভীর। ২০২৪ সালে নতুন মন্দিরে রামলালার অভিষেকের সময় সত্যেন্দ্রর সঙ্গে পরিচয় ঘটে দেশবাসীর। রাম মন্দিরের তরফে প্রদীপ দাস জানান, এদিনই হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হবে প্রবীণ পুরোহিতের দেহ (Ram Mandir)। বৃহস্পতিবার সরযূ নদীর তীরে হবে তাঁর শেষকৃত্য (Satyendra Das)।

  • Execution in Jammu Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীরে আট, ভারতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তের সংখ্যা বেড়ে ৫৪৪

    Execution in Jammu Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীরে আট, ভারতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তের সংখ্যা বেড়ে ৫৪৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে আটজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় রয়েছেন, এমন তথ্য প্রকাশ করেছে জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে লোকসভায় দেওয়া সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীর (Execution in Jammu Kashmir) এমন রাজ্যগুলির মধ্যে পড়ে যেখানে মৃত্যুদণ্ডের রায় এখনও কার্যকর হয়নি, যার ফলে দেশব্যাপী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা বেড়ে ৫৪৪ হয়েছে।

    কী বলছে তথ্য

    জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তর প্রদেশ, যেখানে ৯৫ জন মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত বন্দি রয়েছেন। এর পরেই রয়েছে গুজরাট (৪৯), ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্র (প্রত্যেকটিতে ৪৫), এবং মধ্যপ্রদেশ (৩৯)। অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে কর্নাটক (৩২), হরিয়ানা (২১), রাজস্থান (২০), এবং কেরালা (১৯) উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত বন্দির কথা জানানো হয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে অসমে ৯ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রয়েছে, তবে অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মিজোরাম এবং নাগাল্যান্ডে মৃত্যুদণ্ডের কোনও মামলা নেই। প্রসঙ্গত, মৃত্যুদণ্ড ভারতীয় আইনে বৈধ হলেও এর বাস্তবায়ন কখনোই সাধারণ ঘটনা নয়। এটি শুধুমাত্র সবচেয়ে নৃশংস অপরাধের ক্ষেত্রে কার্যকর করা হয়।

    কেন দেরি

    জম্মু ও কাশ্মীরের (Execution in Jammu Kashmir) এই তালিকায় অন্তর্ভুক্তি অঞ্চলটির আইনি পরিপ্রেক্ষিতকে তুলে ধরে, যেখানে আদালতগুলি বিরলতম এবং নৃশংস অপরাধের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। আইনি বিশেষজ্ঞরা বিলম্বের জন্য দায়ী করছেন যে অনেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি আপিল, ক্ষমা প্রার্থনা এবং বিচারিক পর্যালোচনার জন্য অপেক্ষা করছেন। এনসিআরবি রিপোর্টে ক্ষমা প্রার্থনা বা তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি, তবে ভারতে অনেক বন্দি রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, যা আরও বিলম্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক কালে মৃত্যুদণ্ড সত্যিই ন্যায়বিচারের উপযুক্ত মাধ্যম কিনা, তা নিয়ে জনমত গঠন করা হচ্ছে। এক শ্রেণির মতে, মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

  • Rahul Gandhi: ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য! রাহুল গান্ধীকে তলব আদালতের

    Rahul Gandhi: ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য! রাহুল গান্ধীকে তলব আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় বছর আগে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। এই সংক্রান্ত একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলকে তলব করল লখনউয়ের একটি আদালত। মার্চের শেষ সপ্তাহে লখনউয়ের এমপি-এমএলএ আদালতে রাহুলকে হাজির হতে হবে বলে নোটিসে জানানো হয়েছে।

    কীসের ভিত্তিতে অভিযোগ

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ভারত জোড়ো যাত্রার সময় সেনাবাহিনী নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই সময়ে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন’ (বিআরও)-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর উদয়শঙ্কর শ্রীবাস্তব। ওই মামলাতেই লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে তলব করেছে আদালত। ঘটনাচক্রে, ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনার ‘বিজয় দিবস’। এ প্রসঙ্গে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলোক ভার্মা ২৪ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করে বলেন, রাহুল গান্ধীকে ওই দিন লখনউয়ের এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরা দিতে হবে। ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতাকে নোটিশ পাঠিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

    কী বলছে আদালত

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, উদয়শঙ্কর শ্রীবাস্তব যে মামলা দায়ের করেন তাতে অভিযোগ করা হয় যে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, সেখানে রাহুল জানিয়েছিলেন যে সাংবাদিকরা তাঁকে চিন নিয়ে কোনও প্রশ্ন করবে না বলে তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন। রাহুলের দাবি ছিল, চিন ভারতের মাটিতে ঢুকে ভারতীয় সেনাকে হত্যা করেছে এবং অরুণাচল প্রদেশ-সহ ভারতের প্রায় ২ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে। তারপরেও সেনা কিছু করেনি। তিনি এ নিয়ে ঠিক ছিলেন এবং দেশ তা দেখেছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। রাহুলের ওই মন্তব্যর পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্বে রাহুল ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্পের সমালোচনা করায় তাঁর বিরুদ্ধে ‘সেনার অবমাননা’র অভিযোগ তুলেছিল বিজেপিও।

  • Woman Chief Minister: এবার দিল্লিতে ফের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী! কে কে রয়েছেন দৌড়ে?

    Woman Chief Minister: এবার দিল্লিতে ফের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী! কে কে রয়েছেন দৌড়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৭ বছর পরে হয়েছে দিল্লি বিজয়। সেই সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Woman Chief Minister) ছিলেন প্রয়াত বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ। তার পর দিল্লিতে (Delhi) কায়েম হয় কংগ্রেস ও আপের রাজত্ব। এবার ফের পালাবদল ঘটেছে। দিল্লির রাশ ফের এসেছে পদ্ম-পার্টির হাতে। এবারও কি তাহলে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পেতে চলেছেন দিল্লিবাসী? চলছে নানা গুঞ্জন।

    মহিলা মুখ্যমন্ত্রী! (Woman Chief Minister)

    এক পক্ষের মতে, আরএসএসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন কাউকে বেছে নেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী পদে। তবে বিজেপিরই অন্য এক অংশের মতে, এবার কোনও মহিলার মাথায় উঠতে পারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্বের তাজ। অসমর্থিত সূত্রের খবর, সামাজিকভাবে প্রতিনিধিত্বশীল পটভূমি থেকে একজনকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হতে পারে। দিল্লির এই নয়া মন্ত্রিসভায় মহিলা এবং দলিতদের জোরালো উপস্থিতিও দেখা যেতে পারে।

    মোদি দেশে ফিরলেই ঘোষণা!

    সদ্য সমাপ্ত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ৭০ আসনের বিধানসভায় গেরুয়া পার্টি পেয়েছে ৪৮টি। বাকি ২২টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। এবার দিল্লিতে একটি আসনও পায়নি কংগ্রেস। যেহেতু দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি, তাই সরকার গড়বে পদ্ম পার্টি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে কাকে বসানো হবে, তা জানা যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিদেশ সফর সেরে ফিরলে।

    এক প্রবীণ বিজেপি নেতার ইঙ্গিত, বিজেপি যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে সম্ভাব্য বিকল্পগুলি বিবেচনা করছে। এই বিবেচনা থেকেই বেছে নেওয়া হতে পারে পূর্বাঞ্চলীয় পটভূমির কোনও প্রার্থীকে। শিখ কিংবা কোনও জাঠ নেতাকেও বসানো হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। কোনও মহিলাকেও মনোনীত করা হতে পারে। বিজেপির ওই নেতার কথায়, এটাই হবে সব চেয়ে উপযুক্ত (Woman Chief Minister)।

    মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে যেসব মহিলা এগিয়ে রয়েছেন, তাঁরা হলেন রেখা গুপ্ত। শালিমার বাগের বিধায়ক তিনি। বিজেপির মহিলা ইউনিটের জাতীয় সহ সভাপতি তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে তিনি হারিয়েছেন সাড়ে ২৯ হাজারেরও বেশি ভোটে। দৌড়ে রয়েছেন গ্রেটার কৈলাশের বিধায়ক শিখা রায়, ওয়াজিপুরের বিধায়ক (Delhi) পুনম শর্মা, নজফগড়ের বিধায়ক নীলম পেহলওয়ান, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশুরি স্বরাজ (Woman Chief Minister)।

  • PM Modi: সন্ধ্যার আগেই খেতে হবে রাতের খাবার, হৃদরোগ-ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে দাওয়াই মোদির

    PM Modi: সন্ধ্যার আগেই খেতে হবে রাতের খাবার, হৃদরোগ-ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে দাওয়াই মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ধ্যার আগেই রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে। তবেই মিলবে মুক্তি স্থূলতা, হৃদ্‌রোগ, ডায়াবিটিস, উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা থেকে। এমনটাই মত দেশের প্রধানমন্ত্রীর। একইসঙ্গে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোনোর পরামর্শও দিয়েছেন মোদি (PM Modi)। এপ্রসঙ্গে তিনি (PM Modi) বলেন, ‘‘ঠিক যেমন একজন কৃষক তাঁর রোজের অভ্যাসে করে থাকেন।’’

    ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের সঙ্গে মত বিনিময়

    প্রসঙ্গত, ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানের অষ্টম পর্বে পড়ুয়াদের সঙ্গে মত বিনিময় করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) পুষ্টিতত্ত্ব নিয়েও নানা কথা বলেন। দিন ওই অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, ওজন যদি কমাতে হয় ও শরীর সুস্থ (Early Dinner Benefits) রাখতে হয়, তা হলে সন্ধ্যা ৭টার আগেই রাতের খাওয়াদাওয়া সেরে নিতে হবে। উদাহরণ দিয়ে বললেন, “একজন চাষি সন্ধ্যা নামার আগেই রাতের খাওয়া সেরে নেন। বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যেই তাঁদের খাওয়াদাওয়া হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে খুব ভোরে ওঠেন। এই জন্যই তাঁরা এত কর্মঠ। তাঁদের স্বাস্থ্যও ভালো এবং জটিল অসুখবিসুখেও ভোগেন না চট করে।”

    মোদির (PM Modi) টোটকায় সিলমোহর স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞদের

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সুস্থ থাকতে দু’টি টোটকা জানালেন—এক, সন্ধ্যা ৭টার আগেই খাওয়া দাওয়া সেরে নেওয়া এবং দুই, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া। এতেই পরিপাক প্রক্রিয়া সঠিক নিয়মে চলবে এবং মেদও জমতে পারবে না শরীরে। মোদির এই কথায় সিলমোহর দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন নিউট্রিশন’ জার্নালে এই বিষয় নিয়েই একটি প্রতিবেদন লেখা হয়েছিল। সেখানেই গবেষকেরা জানিয়েছিলেন, সন্ধ্যা ৭টার আগে যাঁরা রাতের খাবার খেয়ে নেন, তাঁদের আয়ু ৩৫ শতাংশ বেড়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, তাড়াতাড়ি খাওয়া সারলেএবং হালকা খাবার খেলে ঘুমও ভালো হয়। গবেষকেরা বহু মানুষের ওপরে এই সমীক্ষা চালিয়ে তার ফলাফলও ব্যক্ত করেন।

    পুষ্টি সঙ্গে ঘুমের সরাসরি সম্পর্ক

    বলা হয়, পুষ্টির সঙ্গে ঘুমের সরাসরি যোগসূত্র আছে। হজম যদি ভালো হয় এবং শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান পায়, তা হলে ঘুমের কোনও সমস্যাই হবে না। একইসঙ্গে ঠিক থাকে হরমোনের ভারসাম্যও। শরীরে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড ও রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত হবে। এরফলে হৃদ্‌রোগ ও ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ধরেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার আগে রাতের খাওয়া সেরে নিতে হবে। খেতে হবে হালকা খাবার। কার্বোহাইড্রেট না খেতেই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ডায়েটে রাখতে হবে অল্প প্রোটিন। সব্জি দিয়ে স্যুপ, একটা রুটি খেলে সবচেয়ে ভালো হয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। রাতে জাঙ্ক খাবার বা ভাজাভুজি খেতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। ঘুমোনোর আগে চা, কফি বা মিষ্টি খেলেই কোলেস্টেরল বাড়বে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞরা। একইসঙ্গে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে শরীরচর্চা জরুরি বলে মত চিকিৎসকদের। হাঁটাহাঁটি, দৌড়নো, জগিং, সাঁতার অথবা যোগব্যায়াম করলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।

  • Manipur: জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন! মণিপুরে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? আজ বৈঠক দিল্লিতে

    Manipur: জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন! মণিপুরে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? আজ বৈঠক দিল্লিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার পরে মণিপুরের (Manipur) রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার হাতে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তবে, যতদিন নতুন মুখ্যমন্ত্রী বা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে ততদিন বীরেন সিংকেই কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল।

    পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী

    সূত্রের খবর, মণিপুরের (Manipur) পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবে তা ঠিক করতে আজ, বুধবার দিল্লিতে একটি বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ওই বৈঠকে সেই রাজ্যের দলের সব বিধায়কে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লির ওই বৈঠকে কুকিদের ১০ জন বিধায়কও যোগ দেবেন বলে সূত্রের খবর। বিদায়ী বিধানসভার স্পিকার টি সত্যব্রত, মন্ত্রী ওয়াই খেমচাঁদ ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সারদা দেবীর নাম আলোচনায় ছিল। কিন্তু উত্তর-পূর্বের ভারপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র দফায় দফায় বৈঠক করেও নাম চূড়ান্ত করতে পারেননি। তাই বুধবারের বৈঠক। দলীয় সূত্রে জানানো হয়, বীরেনের বদলে এমন কোনও মুখ বেছে নিতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, যাঁর গ্রহণযোগ্যতা মেইতেই ও কুকি উভয়পক্ষেই রয়েছে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন!

    মণিপুরে (Manipur) রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হতে পারে বলেও জল্পনা চলছে। তবে, সেখানে তাঁরা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার বিরোধিতা করবেন বলে জানিয়েছেন মণিপুরের কংগ্রেস সভাপতি কে মেঘচন্দ্রা। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে সম্ভাব্য অশান্তির আশঙ্কায় রবিবার সন্ধ্যা থেকে ইম্ফল জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই মণিপুরে কুকি এবং মৈতৈ জনজাতির মধ্যে সংঘাত বজায় রয়েছে মণিপুরে। গত ২০২৩ সালের ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে।

     

  • Manipur: মণিপুরে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? রুদ্ধদ্বার বৈঠক বিজেপির

    Manipur: মণিপুরে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? রুদ্ধদ্বার বৈঠক বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সম্প্রতি সরে দাঁড়িয়েছেন বীরেন সিং। এই আবহে মণিপুরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর খোঁজ শুরু করে দিয়েছে পদ্ম শিবির। বিজেপি সূত্রে খবর, ইম্ফলে সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র (Resignation) পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। দীর্ঘ ২ বছর ধরে মণিপুরে (Manipur) লাগাতার হিংসার মাঝে অবশেষে ইস্তফা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (N Biren Singh)। রবিবার ইম্ফলে রাজভবনে রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার কাছে ইস্তফাপত্র পেশ করেছেন তিনি। বীরেনের ইস্তফার পর কে হবেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী? চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বিজেপি নেতৃত্ব নয়াদিল্লিতে কুকি-জো বিধায়কদের সাথে আলাদা করে দেখা করতে চলেছেন বলেও জানা গিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব এমনক এক নেতাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন, যিনি মৈতৈ এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যকার এই চলমান হিংসা এবং সংঘাত মোকালিবা করতে পারবে।

    বিজেপির বৈঠক

    উত্তরপূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র আপাতত ইম্ফলের এক হোটেলে আছেন। এর আগে বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের সময়ও তিনি তাঁর সঙ্গে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, সোমবার হোটেলের ঘরেই স্পিকার টি সত্যব্রত সিং, শিক্ষামন্ত্রী ওয়াই খেমচাঁদ, টিএইচ বিশ্বজিৎ, প্রাক্তন মন্ত্রী থ রাধেশ্যাম এবং মন্ত্রী আওয়াংবোই নিউমাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন সম্বিত পাত্র। মনে করা হচ্ছে, বীরেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে এঁদের কাউকে। খেমচাঁদকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে কুকিদের কোনও আপত্তি নাও থাকতে পারে। এই আবহে সম্বিত পাত্রের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় খেমচাঁদ বলেন, ‘দলের হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তা মেনে নেব। আমাদের লক্ষ্য রাজ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা।’ পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, ‘হাইকমান্ড যদি আমাকে প্রজেক্ট করে, আমি তা মেনে নেব।’

  • Ram Mandir: অযোধ্যার রাম মন্দিরে নামছে ভক্তের ঢল, সময় বাড়ল দেবদর্শনের

    Ram Mandir: অযোধ্যার রাম মন্দিরে নামছে ভক্তের ঢল, সময় বাড়ল দেবদর্শনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Mandir) দেখতে এমনিতেই নিত্য ভিড় হয়। তার ওপর উত্তরপ্রদেশেরই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে চলছে মহাকুম্ভ মেলা। স্বাভাবিকভাবেই এক যাত্রায় পৃথক ফল যাতে না হয়, তাই কুম্ভে অমৃতস্নান করে পুণ্যার্থীরা চলে যাচ্ছেন অযোধ্যার রাম মন্দির দর্শনে। স্বাভাবিকভাবেই অযোধ্যায় ভিড় বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। এই ভিড় সামাল দিতেই মন্দিরের দর্শন (পুজো)-এর সময়সূচি পরিবর্তন করলেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, এখন থেকে মন্দির খোলা থাকবে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত। এর আগে রামলালার এই মন্দিরের দ্বার ভক্তদের জন্য খুলত সকাল ৭টায়।

    বদলাল আরতির সূচিও (Ram Mandir)

    যেহেতু দর্শনের সময়সীমা এক ঘণ্টা বেড়েছে, তাই বদলে গিয়েছে আরতির সূচিও। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগে মঙ্গল আরতি হত ভোর সাড়ে ৪টায়। এখন থেকে সেটাই হবে ভোর ৪টায়। এর পর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে মন্দিরের দ্বার। সকাল ৬টায় হবে শৃঙ্গার আরতি (Ram Mandir)। সেই সময় থেকেই ভক্তরা করতে পারবেন দেব দর্শন। মন্দির ট্রাস্ট আরও জানিয়েছে, রামলালাকে রাজভোগ নিবেদন করা হবে দুপুর ১২টায়। তখনও ভক্তরা দর্শনের সুযোগ পাবেন। সন্ধ্যা আরতি হবে সন্ধ্যা ৭টায়। এই সময় মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকবে ১৫ মিনিটের জন্য। তারপর ফের খোলা হবে। দিনের শেষ আরতি যা শয়ন আরতি নামে পরিচিত তা হবে ১০টায়। আগে হত রাত্রি সাড়ে ৯টায়। এই শয়ন আরতির পরেই দেবতার বিশ্রামের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা। খুলবে ফের পরের দিন ভোরে, মঙ্গল আরতির সময়।

    রাম মন্দিরে ভক্তের ঢল

    প্রসঙ্গত, গত বছর ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরের। সেদিনই হয় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। তার পর থেকেই ফি দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দর্শনার্থীর সংখ্যা। এই অযোধ্যা থেকেই মাত্র ১৬০ কিলোমিটার দূরে হচ্ছে মহাকুম্ভ উপলক্ষ্যে মেলা। সেই মেলা দেখতে এসেই রামলালার দর্শন সেরে যাচ্ছেন ভক্তকুল। পর্যটন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম ছ’মাসে উত্তরপ্রদেশে এসেছেন ৩২.৯৮ কোটি পর্যটক। এঁর সিংহভাগই ঘুরে গিয়েছেন অযোধ্যা ও বারাণসী। উত্তরপ্রদেশ সরকারের মতে, জানুয়ারির ২৬ তারিখ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীর দিন পর্যন্ত (Ayodhya) মাত্র নদিনে এক কোটিরও বেশি ভক্ত অযোধ্যা পরিদর্শন করেছেন (Ram Mandir)।

LinkedIn
Share