Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Tejas Mk-1A: ৬২ হাজার কোটি টাকায় ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত, হ্যালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

    Tejas Mk-1A: ৬২ হাজার কোটি টাকায় ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত, হ্যালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু যুদ্ধে অংশ নেওয়া বুড়ো ঘোড়াদের অবসরের আগের দিনই নতুন অশ্ব কেনার বরাত দিল ভারত।

    বায়ুসেনায় মিগ যুগের অবসান

    ভারতীয় বায়ুসেনায় মিগ যুগের অবসান হতে চলেছে৷ আর তার জায়গা নিচ্ছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তেজস৷ আজ শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর অবসর নিতে চলেছে বায়ুসেনার কিংবদন্তী মিগ-২১ (MiG-21) যুদ্ধবিমানগুলি। ঠিক তার আগের দিন, ৯৭টি মাল্টি-রোল সুপারসনিক লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (এলসিএ) তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)-এর সঙ্গে চুক্তি করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। চুক্তির মূল্য ৬২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। গতমাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি এই চুক্তিতে ছাড়পত্র দিয়েছিল৷

    ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষ থেকে ডেলিভারি!

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, হ্যাল ৯৭টি যুদ্ধবিমান তৈরি করবে। এর মধ্যে থাকবে ৬৮টি ফাইটার যুদ্ধবিমান। আর বাকি ২৯টি থাকবে টুইন সিটার প্রশিক্ষণ বিমান। ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষ থেকে এই যুদ্ধবিমানের ডেলিভারি শুরু করবে হিন্দুস্তান অ্যারনটিক্স লিমিটেড। বাকি যুদ্ধবিমানগুলি সরবরাহ করা হবে প্রথম ডেলিভারি থেকে শুরু করে ৬ বছরের মধ্যে। এর আগে হ্যালকে ৮৩টি তেজস মার্ক-১ যুদ্ধবিমান তৈরির বরাত দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    হাতে আসেনি প্রথম বরাতের প্রথম বিমান!

    এর আগে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বায়ুসেনা ৪৮,০০০ কোটি টাকায় ৮৩টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ বিমানের অর্ডার দিয়েছিল। কিন্তু চার বছর অতিক্রান্ত হওয়া সত্বেও সেই বিমান সরবরাহ শুরু হয়নি। এই নিয়ে প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। উৎপাদনকারী সংস্থা হ্যালের তরফে জানানো হয়, আমেরিকা থেকে ইঞ্জিন আসতে দেরি হওয়ার কারণেই এই বিলম্ব। সূত্রের খবর, প্রথম অর্ডারের প্রথম বিমান হাতে আসতে পারে ২০২৫ সালের অক্টোবরে। হ্যালের নাসিকের কারখানা থেকে প্রথম এলসিএ মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) যুদ্ধবিমানটি শীঘ্রই আকাশে উড়বে। তার আগেই কেন্দ্রের তরফে দ্বিতীয় অর্ডার চলে হল।

    মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ উৎপাদন

    নতুন বরাতের ফলে, ভারতীয় বায়ুসেনায় মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান আসতে চলেছে। জানা গিয়েছে, হ্যালের বেঙ্গালুরুর কারখানা প্রতি বছর ১৬টি এবং নাসিকে ২৪টি তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) বিমান তৈরি করতে পারে। সেই অনুযায়ী, ২০৩২ সাল নাগাদ ১৮০টি বিমান সরবরাহ হতে পারে বলে অনুমান। এর মধ্যেই সূত্রের খবর, হ্যাল ভবিষ্যতে আরও ২০০টির বেশি তেজস মার্ক–২ এবং সমসংখ্যক পঞ্চম প্রজন্মের উন্নত মাঝারি যুদ্ধবিমান অ্যামকা তৈরির বড় অর্ডার পেতে চলেছে।

    ১১,৭৫০ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর্মসংস্থান

    ৪.৫ প্রজন্মের এলসিএ তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানগুলির ৬৪ শতাংশই তৈরি হবে দেশীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে। ফলত, প্রায় ৫০০টি দেশীয় শিল্প, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলি, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক ব্যবসার সুযোগ পাবে। বার্ষিক প্রায় ১১,৭৫০ জনের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রকল্পটি ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অগ্রদূত হিসেবে ধরা হচ্ছে। এটি হতে চলেছে ভারতের প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম বড় প্রতীক।

    উত্তম আয়েসা, স্বয়ম রক্ষা কবচ

    এই ফাইটার জেটগুলিতে ৬৭টি অতিরিক্ত ইক্যুইপমেন্ট অন্তর্ভুক্ত থাকবে। উত্তম অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে রেডার (UTTAM AESA), স্বয়ম রক্ষা কবচ এবং কন্ট্রোল সারফেস অ্যাকচুয়েটর্সের মতো ইক্যুইপমেন্ট থাকবে এই ধরনের যুদ্ধবিমানে। ইতিমধ্যেই জিই-৪০৪ ইঞ্জিন এসেছে হ্যালের হাতে। এই ধরনের যুদ্ধবিমানে তৈরির জন্য ওই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। এই যুদ্ধবিমানে মিড-এয়ার রিফুয়েলিং ক্ষমতা থাকবে।

  • Zoho India: মাইক্রোসফট বা গুগল নয়, অশ্বিনী বৈষ্ণব শুরু করলেন ভারতীয় অ্যাপ জোহো-র ব্যবহার

    Zoho India: মাইক্রোসফট বা গুগল নয়, অশ্বিনী বৈষ্ণব শুরু করলেন ভারতীয় অ্যাপ জোহো-র ব্যবহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। জনপ্রিয় বিদেশি সফটওয়্যার যেমন মাইক্রোসফট অফিস ও গুগল ওয়ার্কস্পেস ছেড়ে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি জোহো সফটওয়্যার (Zoho India) ব্যবহার শুরু করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার, ক্যাবিনেট ব্রিফিং করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আর তখনই তৈরি হল ইতিহাস। সেই ব্রিফিংয়ে তিনি ব্যবহার করলেন জোহো। এবং সেই ব্রিফিংয়ের শুরুতেই তিনি ঘোষণা করলেন, এদিনের যে পিপিটি তৈরি করা হয়েছে, সেটা জোহোতেই তৈরি করা হয়েছে।

    জোহো-তে স্থানান্তরের ঘোষণা

    গত ২২ সেপ্টেম্বর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) ঘোষণা করেন যে ডকুমেন্ট, স্প্রেড শিট ও প্রেজেন্টেশনের জন্য তিনি এবার থেকে ব্যবহার করবেন জোহো। তিনি লেখেন, ‘‘আমি এবার জোহোতে চলে যাচ্ছি। আমাদের নিজেদের প্ল্যাটফর্ম।’’ অর্থাৎ তিনি সেদিনই জানিয়ে দেন অফিসের যে একাধিক কাজের জন্য এবার থেকে মাইক্রসফট অফিস বা গুগলের ডকস তিনি আর ব্যবহার করবেন না। এটি ছিল কার্যত এক নতুন অধ্যায়ের সূচনার ঘোষণা।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রেরণা

    প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশের জনগণকে লেখা একটি চিঠিতে উৎসবের মরসুমে মেড-ইন-ইন্ডিয়া পণ্যগুলিকে সমর্থন করার জন্য আহ্বান জানানোর ঠিক পরেই এই আবেদন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মোদি এই পদক্ষেপকে ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’-এর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, যে স্বদেশি পণ্য কেনা কেবল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে না বরং স্থানীয় কারিগর, শ্রমিক এবং শিল্পকেও সহায়তা করে। তাঁর কথায়, ‘‘যখনই আপনি আমাদের কারিগর, শ্রমিক এবং শিল্পের তৈরি পণ্য কিনবেন, তখন আপনি পরিবারগুলিকে তাদের জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করছেন এবং আমাদের যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছেন।’’

    জোহো আসলে কী?

    ১৯৯৬ সালে শ্রীধর ভেমবু ও টনি টমাস জোহো (Zoho India) তৈরি করেন। এই সংস্থার সদর দফতর চেন্নাইয়ে। জোহো একটি সফটওয়্যার কোম্পানি, যা ব্যবসায়ী ও পেশাদারদের জন্য ৫৫টির বেশি ক্লাউড-ভিত্তিক টুল সরবরাহ করে। ইমেল, অ্যাকাউন্টিং, এইচআর বা প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্টের মতো সব ধরনের কাজের জন্য সফটওয়্যার রয়েছে জোহোর। আমেরিকায় এই সংস্থা নথিবদ্ধ হলেও সংস্থার বেশিরভাগ কাজই হয় তামিলনাড়ু থেকে। ১৫০টিরও বেশি দেশে জোহোর ১০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। ফলে, এই সংস্থা যে কেবলমাত্র স্বনির্ভর ভারতের প্রতীক, এমনটা নয়। এই সংস্থা প্রমাণ করে যে ভারতীয় সংস্থাগুলোও পারে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোকে কঠিন চ্যালেঞ্জ দিতে পারবে।

    স্বদেশির টান

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশিয়ানায় জোর দেওয়ার এই ডাক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নতুন করব্যবস্থাকে ‘জনবান্ধব সংস্কার’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘উৎসবের মরসুমে আসুন আমরা সকলে ঠিক করি, দেশীয় পণ্যকেই সমর্থন করব। এর অর্থ হচ্ছে, যে কোনও ভারতীয় শিল্পী, শ্রমিক বা কারখানার ঘাম-রক্তে তৈরি সামগ্রী কেনা। সেটা যে ব্র্যান্ড বা সংস্থাই তৈরি করুক না কেন।’ এই প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী ও দোকানদারদেরও বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা গর্বের সঙ্গে বলি, যা কিনছি তা স্বদেশি। আমরা গর্বের সঙ্গে বলি, যা বিক্রি করছি তা স্বদেশি।’ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর অশ্বিনী বৈষ্ণব দেশের মানুষের কাছে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের অনুরোধ জানালেন। তিনি নিজেও স্বদেশি প্রযুক্তিকে আপন করে নিয়েছেন।ডেটা প্রাইভেসি ও মূল্য?

    ডেটা প্রাইভেসিতে জোর

    জোহোর (Zoho India) অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল ব্যবহারকারীর ডেটা প্রাইভেসিতে জোর দেওয়া। তারা বিজ্ঞাপন থেকে রাজস্ব উপার্জন করে না, এবং ব্যবহারকারীর তথ্য গোপন রাখতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। বিভিন্ন দেশের আইন মেনে ডেটা হোস্ট করা হয়। এছাড়াও, জোহো ওয়ার্ক স্পেসের মূল্য সাধারণত মাইক্রোসফট ও গুগলের তুলনায় অনেকটাই কম, যা বিশেষ করে ভারতের ছোট ও মাঝারি ব্যবসার মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

  • Railway Employees Bonus: দুর্গাপুজোতে রেলকর্মীদের ৭৮ দিনের বোনাস দেবে মোদি সরকার

    Railway Employees Bonus: দুর্গাপুজোতে রেলকর্মীদের ৭৮ দিনের বোনাস দেবে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোতে রেলকর্মীদের ৭৮ দিনের বোনাস (Railway Employees Bonus) ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) ও নবরাত্রির মধ্যে এই সুখবরে রেলকর্মী মনে খুশির আবহ তৈরি করেছে। রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রেলকর্মীদের অসাধারণ কর্মক্ষমতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উৎসবের আবহে যখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের প্রাপ্য ডিএ থেকে বঞ্চিত, সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার কর্মীদের প্রতি কতটা সজাগ দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় রাখে, এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে সেটাও একবার প্রমাণিত হল।

    ১৮৬৫.৬৮ কোটি টাকার পিএলবি দেওয়া হবে (Railway Employees Bonus)

    রেলমন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, রেলের কর্মীদের কাজের প্রতি নিষ্ঠার কথা ভেবেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষ সিদ্ধান্ত (Railway Employees Bonus) নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে উৎসবের মরশুমে বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ১০,৯১,১৪৬ জন রেল কর্মচারীকে ১৮৬৫.৬৮ কোটি টাকায় ৭৮ দিনের পিএলবি বা প্রোডাক্টিভিটি লিঙ্কড বোনাস অনুমোদন করেছে। ঠিক এমন কথাই জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। প্রতিবছর এই বোনাস দেওয়া হয় পুজোর সময়। গত বছরও এই বোনাস ১১,৭২,২৪০ জন রেল কর্মচারীদের ২,০২৮.৫৭ কোটি টাকা পিএলবি দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবছর প্রায় ১০.৯১ লক্ষ নন গেজেটেড রেল কর্মচারীকে ৭৮ দিনের বেতনের সমপরিমাণে পিএলবি (Railway Employees Bonus) দেওয়া হয়। পিএলবি হল মানুষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অনুপ্রাণিত করার পুরস্কার। একে একপ্রকার ইনসেনটিভ বলাও হয়ে থাকে।

    প্রয়োজন অতরিক্ত ব্যয়কে রোধ

    অন্যদিকে, সাধারণ মানুষের টাকায় আর কেনা যাবে না অপ্রয়োজনীয় জিনিস। দীপাবলির (Durga Puja 2025) আগে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। এবার থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকারি অর্থে আর কেনা যাবে না অন্যান্য উৎসবের উপহার সামগ্রীও। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ব্যয় বিভাগের তরফ থেকে নির্দেশিকা তাৎক্ষণিক ভাবেই কার্যকর হয়েছে। প্রয়োজন অতরিক্ত ব্যয়কে রোধ করতে এবং জনসাধারণের অর্থের বিচক্ষণতাকে আরও সক্রিয় করতে এই নির্দেশিকা সরকারের রেলমন্ত্রক সাংবাদিক সম্মলেন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রাজস্ব শৃঙ্খলা ও জনসাধারণের সম্পদের ব্যবহারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে, ভারত সরকারের সব মন্ত্রক দীপাবলি ও অন্যান্য উৎসবের (Durga Puja 2025) জন্য উপহার সম্পর্কিত জিনিসপত্রের ওপর কোনও ব্যয় করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

  • Agni-Prime Missile Launch: ট্রেন থেকে অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ! বিশ্বকে তাক লাগাল ভারত

    Agni-Prime Missile Launch: ট্রেন থেকে অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ! বিশ্বকে তাক লাগাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করল ভারত। এই প্রথমবার ট্রেন থেকে ২ হাজার কিলোমিটার পাল্লার অগ্নি-প্রাইম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (Agni-Prime Missile Launch) সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করল দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)। ওড়িশার চাঁদিপুরে অবস্থিত আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে একটি রেল মোবাইল লঞ্চার (Rail-Based Mobile Launcher) থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এর ফলে, বিশ্বের হাতে গোনা গুটিকয়েক সেই সব দেশের তালিকায় ঢুকে পড়ল ভারত, যাদের হাতে এই বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ প্রযুক্তি রয়েছে। এই উৎক্ষেপণের ফলে ভারতের সাফল্যে মুকুটে যে আরও একটা সাফল্যের পালক জুড়ল, তা বলাই যায়।

    কী বললেন রাজনাথ সিং?

    এই সফল ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর জন্য ডিআরডিওকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করার আরও একটি প্রক্রিয়া সফল হল। এর জন্য গোটা দেশ গর্বিত। এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে তিনি লেখেন, “অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার জন্য ডিআরডিও, স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড (SFC) এবং ভারতীয় সেনাকে অভিনন্দন। এই সফল উৎক্ষেপণ (Agni-Prime Missile Launch) ভারতকে সেই সমস্ত নির্বাচিত দেশগুলির দলে জায়গা করে দিল, যারা মোবাইল রেল নেটওয়ার্ক থেকে ক্যানিস্টারাইজড লঞ্চ সিস্টেম তৈরির ক্ষমতা রাখে।” রাজনাথ আরও বলেন, “আগামীদিনে কী কী পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে সে কথা মাথায় রেখেই এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছে৷ বিভিন্ন উন্নত সরঞ্জাম বা প্রযুক্তির মাধ্যমে সেভাবেই এটিকে ডিজাইন করা হয়েছে৷”

    রেল লঞ্চার সিস্টেম ঠিক কী?

    এটি এক ধরনের বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। ক্ষেপণাস্ত্র বহন ও উৎক্ষেপণকারী ক্যানিস্টারকে (সিলিন্ডার সদৃশ যার মধ্যে বসানো থাকে ক্ষেপণাস্ত্রটি) একটি পণ্যবাহী ট্রেনের পিছনে বগির মতো জুড়ে দেওয়া হয়। কোনও ভাবেই বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয় যে, এটি একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা (Agni-Prime Missile Launch। দেখতে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রেনের মতোই মনে হতে পারে। ফলে, একে রেলপথে যে কোনও জায়গায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়ে সেখান থেকেই উৎক্ষেপণ করা যায়। এতদিন পর্যন্ত কেবলমাত্র স্থায়ী লঞ্চপ্যাড থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বা নিক্ষেপ করা সম্ভব হত। কিন্তু, এখন থেকে রেল মোবাইল লঞ্চার (Rail-Based Mobile Launcher) ব্যবস্থাও ভারতের হাতের মুঠোয় চলে এল। এর ফলে, শত্রু ঠাওর করতে পারবে না, কোথায় রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র। শত্রুপক্ষের নজর সহজে এড়ানো যাবে। চলতে চলতেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে পারে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

    অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব কী?

    অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে ২০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতা। এই মিসাইলের আরেকটি বিশেষত্ব হল, এটি যে কোনও স্থান থেকে নিক্ষেপ (Rail-Based Mobile Launcher) করা সম্ভব। একে দেশের যে কোনও সীমান্তে দ্রুত স্থানান্তর করা সম্ভব, কারণ এটি রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে সক্ষম। ক্যানিস্টারাইজড সিস্টেমে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে এটিকে খুব সহজেই স্টোরেজ করা যেতে পারে। এছাড়া, ক্ষেপণাস্ত্রটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে এর রেডার ফাঁকি দেওয়া এবং অত্যাধুনিক নেভিগেশন সিস্টেমের মাধ্যমে শত্রুর অবস্থানকে সঠিকভাবে নিশানা করার ক্ষমতা। অত্যাধুনিক ইনর্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম ছাড়াও এই ক্ষেপণাস্ত্রে (Agni-Prime Missile Launch) রয়েছে অপটিক্যাল জিপিএস এবং দেশীয় নাবিক স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম, যা লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত করতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি দুই ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করে। এই মিসাইল অগ্নি-১ এবং অগ্নি-২ ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় হালকা, আরও আধুনিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত।

  • Sonam Wangchuk: লেহ্-তে হিংসায় উসকানি দিয়েছিলেন সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক, বলল কেন্দ্র

    Sonam Wangchuk: লেহ্-তে হিংসায় উসকানি দিয়েছিলেন সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক, বলল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বুধবার লেহ্-তে যে হিংসাত্মক (Leh Violence) ঘটনা ঘটেছিল, তা উসকে দিয়েছিলেন সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক (Sonam Wangchuk)।’ এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এদিন হিংসায় আগুন লাগানো হয়েছে বিজেপির পার্টি অফিসে। পোড়ানো হয়েছে সিআরপিএফের গাড়ি। ভাঙচুর করা হয়েছে সরকারি সম্পত্তি। বুধবার সন্ধ্যার পরে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, ওয়াংচুক হিংসা উসকে দেন। যদিও তাঁর দাবিগুলি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির সঙ্গে যে আলোচনা চলছে, তার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতি (Sonam Wangchuk)

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যেসব দাবির ভিত্তিতে ওয়াংচুক অনশন করেছিলেন, সেগুলি ইতিমধ্যেই এইচপিসি আলোচনার অংশ। বহু নেতা তাঁকে অনশন ভাঙার আহ্বান জানালেও তিনি অনশন চালিয়ে যান এবং আরব বসন্তধর্মী আন্দোলনের উল্লেখ ও নেপালে জেন জি প্রতিবাদের উদাহরণ টেনে জনগণকে বিভ্রান্ত করেন।” বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, “২৪ সেপ্টেম্বর সকাল প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত হয়ে একদল লোক অনশন মঞ্চ থেকে বেরিয়ে এসে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় এবং লেহ্-এর সিইসি-র সরকারি কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা এই অফিসগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয়, নিরাপত্তা কর্মীদের আক্রমণ করে এবং পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগায়। উন্মত্ত জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায়, যাতে ৩০ জনেরও বেশি পুলিশ এবং সিআরপিএফ কর্মী জখম হন। জনতা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করতে থাকে এবং পুলিশকে আক্রমণ করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়, যাতে দুর্ভাগ্যবশত হতাহতের ঘটনা ঘটে।”

    উসকানিমূলক বক্তব্য

    মন্ত্রক জানিয়েছে, বিকেল ৪টের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিবৃতিতে ফের উল্লেখ করা হয়, “এটি পরিষ্কার যে, শ্রী সোনম ওয়াংচুক তাঁর উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে জনতাকে হিংসায় প্ররোচিত করেছিলেন (Sonam Wangchuk)।” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হিংসার ঘটনার মধ্যেই সোনাম ওয়াংচুক অনশন ভঙ্গ করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কোনও চেষ্টা না করেই অ্যাম্বুলেন্সে করে নিজের গ্রামে ফিরে যান তিনি (Leh Violence)। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, “এটি সুপরিচিত যে ভারতের সরকার একই বিষয়ে লেহ্ এপেক্স বডি এবং কারগিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে আলোচনা চালিয়ে আসছে। এ সংক্রান্ত একাধিক বৈঠক হয়েছে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির আনুষ্ঠানিক চ্যানেল এবং উপকমিটির মাধ্যমে, এছাড়াও নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অসাধারণ ফল পাওয়া গিয়েছে। লাদাখের তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ ৪৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করা হয়েছে। কাউন্সিলগুলিতে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। ভুটি ও পুরগি ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একই প্রক্রিয়ায় ১৮০০ পদে নিয়োগের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে (Sonam Wangchuk)।”

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “তবে কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যক্তি এইচপিসির অধীনে হওয়া অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট নয় এবং তারা আলোচনার প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।” মন্ত্রক জানিয়েছে, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির পরবর্তী বৈঠক ৬ অক্টোবর নির্ধারিত হয়েছে। ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর লাদাখের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে (Leh Violence)।

  • AADHAAR Deactivation: সারা দেশে ১.৪ কোটিরও বেশি আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করল ইউআইডিএআই

    AADHAAR Deactivation: সারা দেশে ১.৪ কোটিরও বেশি আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করল ইউআইডিএআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে ১.৪ কোটিরও বেশি আধার নম্বর (AADHAAR Deactivation)। এগুলি নিষ্ক্রিয় করেছে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI)। এই আধার নম্বরগুলি মৃত ব্যক্তিদের। মোদি সরকারের গত বছর শুরু হওয়া পরিস্কার অভিযানের অংশ হিসেবে ইউআইডিএআই এই পদক্ষেপ করেছে, যাতে করে কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা সঠিক ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছায় এবং মৃত ব্যক্তিদের নামে কোনও ভুয়ো দাবি না করা যায়।

    ভুবনেশ কুমারের বক্তব্য (AADHAAR Deactivation)

    ইউআইডিএআইয়ের সিইও ভুবনেশ কুমার বলেন, “মৃত ব্যক্তিদের আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করা প্রয়োজন, যাতে সরকারি কল্যাণ প্রকল্পগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় থাকে এবং কোনও ধরনের অপব্যবহারের সুযোগ না থাকে। এর ফলে সরকারি অর্থ প্রতারণামূলক দাবি বা পরিচয় জালিয়াতির পেছনে নষ্ট হবে না।” মনে রাখতে হবে, ৩৩০০–এরও বেশি সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আধার। ইউআইডিএআইয়ের লক্ষ্য হল চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মৃত ব্যক্তিদের প্রায় ২ কোটি আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করা (AADHAAR Deactivation)। ইউআইডিএআইয়ের আধিকারিকদের মতে, এই অভিযানের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল মৃত্যুর তথ্য নিবন্ধনে আধার নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুর নথিতে আধার নম্বর একেবারেই লেখা হয় না, অথবা ভুল বা অসম্পূর্ণ লেখা হয়। তথ্য বিভিন্ন আর্থিক এবং অ–আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে। তাই তথ্য যাচাই ও মিলিয়ে দেখা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে।

    মৃত ব্যক্তিদের নামেও সরকারি সুবিধা দেওয়া হয়েছে!

    প্রসঙ্গত, সরকার লক্ষ্য করেছে যে, অতীতে একাধিকবার এমন ঘটনাও ঘটেছে যেখানে মৃত ব্যক্তিদের নামেও সরকারি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য ইউআইডিএআই (UIDAI) ধারাবাহিকভাবে প্রচার করে চলেছে। ইউআইডিএআই নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাতে তাঁরা মৃত্যুর ঘটনা এমআধার (mAadhaar) পোর্টালে রিপোর্ট করেন। সিইও কুমার বলেন, “সঠিক ও আপডেটেড ডেটাবেস বজায় রাখা লক্ষ লক্ষ সুবিধাভোগীর সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য এবং এটি ভারতের ডিজিটাল পরিচয় ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে (AADHAAR Deactivation)।”

  • ECI: ভোট ‘চুরি’ রুখতে নয়া দাওয়াই নির্বাচন কমিশনের, কী করতে হবে ভোটারকে?

    ECI: ভোট ‘চুরি’ রুখতে নয়া দাওয়াই নির্বাচন কমিশনের, কী করতে হবে ভোটারকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আরও বেশি স্বচ্ছতা আনতে বড় উদ্যোগ নিল ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। যেহেতু এবার সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে ভোটার কার্ড নিয়ে (Online Voter), তাই আর ভোট চুরির অভিযোগ তোলা যাবে না, ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে না আর কোনও ভোটারের নাম। এবার জেনে নেওয়া যাক নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তটা ঠিক কী, ভোটার তালিকায় নাম রাখার জন্য ভোটারদেরই বা কী করতে হবে।

    রাহুল গান্ধীর অভিযোগ (ECI)

    কর্নাটকে ভোট চুরি হয়েছে বলে গলা ফাটিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, কর্নাটকের আলন্দ বিধানসভায় অন্তত ৬ হাজার ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেখানে ভোট চুরি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। যদিও রাহুলের অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এসব নিয়ে রাজনৈতিক তরজা যখন তুঙ্গে, তখনই নয়া নিয়ম আনল নির্বাচন কমিশন। বিতর্কের আবহেই নিজেদের পোর্টালে ‘ই-স্বাক্ষর’ ব্যবস্থা চালু করল নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, এই ব্যবস্থায় একমাত্র আধার কার্ডের মাধ্যমেই ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা নাম বাদ দেওয়া কিংবা তথ্য সংশোধন করা যাবে।

    কমিশনের নয়া নিয়ম

    কমিশনের নয়া নিয়ম অনুযায়ী, অনলাইনে যদি কোনও ভোটার তাঁর নাম সংযোজন, বাদ দেওয়া বা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেন (ECI), তখন তাঁকে বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, এত দিন ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ফর্ম ৬, নাম বাদ দেওয়ার জন্য ফর্ম ৭ এবং তথ্য সংশোধনের জন্য ফর্ম ৮ ফিল-আপের সময় এপিক নম্বর দিতে হত ভোটারদের। আলাদাভাবে আর কোনও তথ্য যাচাই করা হত না। এবার ফর্ম ফিলআপের সময় আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর দিয়ে ভেরিফিকেশনও করতে হবে।

    মঙ্গলবার থেকে চালু হয়েছে নয়া নিয়ম। নতুন এই ব্যবস্থায় তিনটি ফর্ম ফিল-আপের সময়ই আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর দিয়ে তথ্য যাচাই করা হবে। দেখা হবে, যাঁর নাম বাদ যাবে, তিনি নিজেই আবেদন করছেন, না কি তাঁর হয়ে অন্য কেউ?

    জানা গিয়েছে, ভোট দিতে হলে আবেদনকারীকে প্রথমে ফর্ম ফিল-আপ করতে হবে। সেটি জমা দিতে গেলেই খুলবে একটি ‘ই-স্বাক্ষর’ পোর্টাল। সেখানে আবেদনকারীকে নিজের আধার নম্বর দিতে হবে। তাতে ওই আধার নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি যাবে। সেই ওটিপি দিলে তবেই সম্পূর্ণ হবে যাচাই প্রক্রিয়া (Online Voter) এবং আবেদনকারীর আবেদন সঠিকভাবে জমা পড়বে (ECI)।

  • Ladakh Unrest: অশান্তির আগুনে পোড়ানো হল বিজেপির পার্টি অফিস, গাড়ি, তপ্ত লেহ

    Ladakh Unrest: অশান্তির আগুনে পোড়ানো হল বিজেপির পার্টি অফিস, গাড়ি, তপ্ত লেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখকে রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে উত্তপ্ত লেহ (Ladakh Unrest)। বিক্ষোভকারীদের দাবি, লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের আওতায় এনে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হোক। এই দাবিতেই বুধবার লাদাখের লেহতে বিক্ষোভ (Statehood Protests) শুরু হয়। পরে তা হিংসার আকার ধারণ করে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন সন্ধে পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে চারজনের। জখম হয়েছন প্রায় ৭০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয়েছে কারফিউ।

    বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন (Ladakh Unrest)

    জানা গিয়েছে, এদিন বিক্ষোভ চলাকালীনই লেহতে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আগুন লাগানো হয় পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সিআরপিএফের একটি গাড়িতেও। তার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। করা হয় লাঠিচার্জও। হিংসাত্মক প্রতিবাদের কারণে লাদাখ উৎসবের চতুর্থ ও শেষ দিনের উদ্‌যাপন বাতিল করা হয়। উৎসবের প্রথম তিন দিন উদযাপিত হয়েছিল নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে। প্রচুর দর্শকও এসেছিলেন। শেষ দিনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল লেফটেন্যান্ট গভর্নর কাবিন্দর গুপ্তার, যিনি মাত্র এক মাস আগে বিজেপি নেতা হিসেবে এখানকার দায়িত্ব নিয়েছেন। সরকারি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন অনিবার্য কারণে লাদাখ উৎসবের শেষ দিনের অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছে। স্থানীয় শিল্পী, সাংস্কৃতিক দল, পর্যটক এবং লাদাখের মানুষ যাঁরা অধীর আগ্রহে এই অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় ছিলেন, তাঁদের সবার অসুবিধার জন্য প্রশাসন গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে (Ladakh Unrest)।’’

    হিংসায় ক্ষুব্ধ লাদাখ আন্দোলনের অন্যতম মুখ

    এদিন প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিল লেহ অ্যাপেক্স বডির যুব শাখা। এই সংগঠনের চেয়ারম্যান থুপস্তান সোয়াং বলেন, “লাদাখে মূলত চারটি দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। কিছু ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে হিংসার চেহারা নেয় আন্দোলন।” লাদাখের এদিনের ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ সোনম ওয়াংচুক। বস্তুত, লাদাখ আন্দোলনের অন্যতম মুখই (Statehood Protests) তিনি। ওয়াংচুক বলেন, “হিংসার কাছে হেরে গেল শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। লাদাখের রাজনৈতিক দলগুলিও অযোগ্য। তারা তরুণ প্রজন্মকে সঠিক দিশা দেখাতে ব্যর্থ।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, কোনও হিংসাত্মক আন্দোলনই সমর্থন করেন না তিনি (Ladakh Unrest)।

  • Sanjeev Sanyal: “ভারতের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিচার ব্যবস্থা”, বললেন সঞ্জীব সান্যাল

    Sanjeev Sanyal: “ভারতের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিচার ব্যবস্থা”, বললেন সঞ্জীব সান্যাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার খবরের শিরোনামে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল (Sanjeev Sanyal)। গত কয়েক দিনে ভারতীয় বিচারব্যবস্থা (Judiciarys Long Vacations) নিয়ে তাঁর মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে। দিল্লিতে অ্যাডভোকেট জেনারেলদের একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি বলেন, “ভারতের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিচার ব্যবস্থা। আইন অনেক সময় সমস্যার সমাধান তো করেই না, উল্টে বিষয়টিকে জটিল করে তোলে।”

    উন্নত দেশ হওয়ার পথে বড় বাধা (Sanjeev Sanyal)

    সঞ্জীবের মতে, বিচারব্যবস্থা ভারতের ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার আশার পথে সব চেয়ে বড় বাধা। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘মাই লর্ড’ সম্বোধনের মতো সেকেলে রীতি, ‘প্রেয়ার্স’ নামের ঔপনিবেশিক ধারা, দীর্ঘ গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার প্রথা, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব। তাঁর কথায়, “সময়ে ন্যায়বিচার মেলে না। এটা অন্যতম বড় সমস্যা।” আদালতের দীর্ঘ ছুটি দেওয়া নিয়েও আপত্তি রয়েছে সঞ্জীবের। তিনি বলেন, “বিচার বিভাগও একটি জনসেবা। হাসপাতাল কি এক মাস বন্ধ রাখা যায়?”

    ভারতবাসীরই কণ্ঠস্বর

    সঞ্জীবের মন্তব্যে বিরক্ত প্রকাশ করেছেন আইনজীবী মহল। তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সঞ্জীবের ভাইরাল হওয়া বক্তব্য আদতে ভারতবাসীরই কণ্ঠস্বর। মনে রাখতে হবে, এটি শাসনব্যবস্থার কোনও বাইরের লোকের হালকা সমালোচনা নয়। বরং এটি সেই অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি, যা প্রতিটি মামলাকারী, উদ্যোক্তা এবং নাগরিক অনুভব করেছেন। ভারতে ন্যায়বিচার দেরিতে মেলে, ব্যয়বহুল এবং অপ্রাপ্য। ভারতের আইন পেশা এখনও সবচেয়ে আঁটসাঁট একটি পেশা, যা রক্ষণশীল, ঔপনিবেশিক এবং পরিবর্তনের বিপ্রতীপ। সান্যালের মন্তব্য সরাসরি বিচারব্যবস্থার অদক্ষতার সঙ্গে দেশের বৃহত্তর প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের আশার মধ্যে একটা সীমারেখা টেনে দেয় বই কি!

    আইনি ডিগ্রির প্রয়োজন

    সঞ্জীবের (Sanjeev Sanyal) মতে, সব ক্ষেত্রেই আইনি ডিগ্রির প্রয়োজনও হয় না। নিজের দাবির স্বপক্ষে সওয়ালও করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সঞ্জীব বলেন, “ভারতীয় আইনি ব্যবস্থা কেবল প্রক্রিয়ার কারণেই নয়, মানসিকতা ও সংস্কৃতির কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আইনি ব্যবস্থা মধ্যযুগীয় কাঠামোর। এর বিভিন্ন স্তর রয়েছে, যেমন সিনিয়র অ্যাডভোকেট, অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড এবং অন্যান্য। একবিংশ শতাব্দীতে এত স্তর কেন? অনেক ক্ষেত্রে মামলা লড়তে আইনি ডিগ্রিরও প্রয়োজন হয় না। কারণ আজকের বিশ্বে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো সাহায্য করতে পারে প্রযুক্তিও।”

    ছ’সপ্তাহের গ্রীষ্মকালীন ছুটি (Judiciarys Long Vacations)

    সান্যালের বক্তব্য যে নিছক অর্থহীন, তা বলা যাবে না। কারণ সুপ্রিম কোর্টে সাধারণত ছ’সপ্তাহের গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকে। এর সঙ্গে দশেরা ও বড়দিনে ছোট ছোট ছুটিও থাকে। হাইকোর্টগুলিও একই ধরনের ছুটির সময়সূচি মেনে চলে। সঞ্জীবের কথায়, ‘বিচার বিভাগও একটি জনসেবা। হাসপাতাল কি এক মাস বন্ধ রাখা যায়? আপনি কি পুলিশ বিভাগ বা হাসপাতালগুলিকে মাসের পর মাস বন্ধ রাখতে পারেন?’ যদিও ছুটিতেও বেঞ্চ বসে। সঞ্জীবের মতে, দীর্ঘ ছুটির এই প্রতীকী দিকটি জনগণের আস্থাকে ক্ষুণ্ণ করে, বিশেষ করে যখন বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাসে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড থেকে জানা গিয়েছে, সারা দেশে প্রায় পাঁচ কোটি বিচারাধীন মামলা রয়েছে। বর্তমানে যেভাবে বিচারপ্রক্রিয়া চলছে, তাতে এই অমীমাংসিত মামলাগুলি শেষ করতে বহু বছর লেগে যাবে।

    বিচার ব্যবস্থার অদক্ষতা

    সান্যালের (Sanjeev Sanyal) মূল বক্তব্য হল, বিচার ব্যবস্থার অদক্ষতা ভারতের অর্থনৈতিক উত্থানকে দুর্বল করে দিচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের ডুইং বিজনেস ২০২০ রিপোর্টে চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভারতকে ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৬৩তম স্থানে রাখা হয়েছে, যেখানে একটি বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গড়ে ১ হাজার ৪৪৫ দিন সময় লাগে। পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি প্রায়ই মামলার জটে আটকে থাকে। আর ভূমি ও সম্পত্তি-সংক্রান্ত বিরোধ ভারতের আদালতগুলির সবচেয়ে সাধারণ দেওয়ানি মামলার মধ্যে অন্যতম (Judiciarys Long Vacations)।

    প্রি-লিটিগেশন মধ্যস্থতার অবস্থা

    ২০১৮ সালের কমার্শিয়াল কোর্টস অ্যাক্টের অধীনে প্রি-লিটিগেশন মধ্যস্থতা চালু করা হয়েছিল যাতে এই জাতীয় বিরোধগুলিকে বিচার ব্যবস্থা থেকে দূরে সরানো যায়। কিন্তু বাস্তবে মুম্বইয়ের মতো বড় শহরে এর সাফল্যের হার খুবই কম। আর অনেক মামলাকারীকে শেষ পর্যন্ত আবার আদালতে ফিরে যেতে হয়। ফলস্বরূপ, মামলার চাপ কমার বদলে প্রায়ই সময় এবং খরচ আরও বেড়ে যায়। এর পরিণতি হল, বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি মূল্যায়নের সময় আইনি অনিশ্চয়তাকে হিসেবের মধ্যে রাখে। ব্যবসাগুলি এমন খাতে সম্প্রসারণে দ্বিধা করে, যেখানে চুক্তি বাস্তবায়ন অপ্রত্যাশিত থাকে। সাধারণ মানুষের জন্য ‘তারিখ পে তারিখ’ অর্থাৎ একের পর এক মুলতুবি শুনানি এক পরিচিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    আইনের নিষ্পত্তি

    সান্যাল (Sanjeev Sanyal) আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। নীতিনির্ধারকরা প্রায়ই আইন তৈরি করেন অতিরিক্ত জটিল করে। কারণ তাঁরা মনে করেন অল্প সংখ্যক মানুষ এর অপব্যবহার করতে পারে। এর ফলে আইনে অসংখ্য ব্যতিক্রম ও শর্ত যোগ হয়, যা পরে বিচারিক ব্যাখ্যার স্তরে স্তরে জমা হয়ে যায়। দেউলিয়াত্ব ও দেউলিয়া আইন (Insolvency and Bankruptcy Code) এই সমস্যার একটি উদাহরণ। যদিও আইনটির ৩৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তবে বাস্তবে মামলাগুলি প্রায় দ্বিগুণ সময় নেয় (Judiciarys Long Vacations)। যদি বিচারব্যবস্থার ওপর বিশ্বাস থাকত যে এটি সোজাসাপ্টা নিয়ম দ্রুত ও আগাম অনুমানের ভিত্তিতে কার্যকর হবে, তবে আইন প্রণেতারা প্রতিরক্ষামূলক আইন বানাতে বাধ্য হতেন না। তাই বিচার ব্যবস্থার সংস্কার শুধু মামলা-পেন্ডেন্সি কমানো নয়, বরং আরও স্পষ্ট এবং সরল শাসনব্যবস্থা তৈরির শর্ত তৈরি করা।

    স্বাধীনতা হল সর্বাধিক পবিত্র একটি মূল্যবোধ

    বিচারব্যবস্থার রক্ষকরা বলেন, স্বাধীনতা হল এর সর্বাধিক পবিত্র একটি মূল্যবোধ। এটি সঠিক, কিন্তু স্বাধীনতা মানে জবাবদিহি থেকে মুক্তি নয়। জবাবদিহি মানে নির্বাহী নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং নাগরিকের কাছে সহজলভ্যতার জন্য জবাবদিহি থাকা। দু’টি ধারণা এক সঙ্গে রাখা (Sanjeev Sanyal) সম্ভব। বিচারব্যবস্থা হল এক্সিকিউটিভ কর্তৃত্বের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধ। কিন্তু এটি ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের পথে অন্তরায়ও হয়ে উঠতে পারে, যখন এটি পুরনো পদ্ধতি আঁকড়ে ধরে থাকে, বছরের পর বছর মামলা ঝুলিয়ে রাখে এবং আধুনিকীকরণের পথে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়। স্বাধীনতা বিচার ব্যবস্থাকে নিজেদের সংস্কার করতে ক্ষমতাবান করে তুলবে। তাদের উচিত নয়, জনগণের সমালোচনা থেকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা (Judiciarys Long Vacations)।

    ‘বিকশিত ভারত’

    সান্যালের বক্তব্যটি শক্তিশালী। কারণ তিনি কোনও আইনজীবী বা বিচারক নন। তিনি অর্থনীতিবিদ, যিনি বিচারব্যবস্থাকে একটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। বিচার বিভাগীয় সংস্কারকে ভারতের উন্নয়নের গতিপথের সঙ্গে যুক্ত করে তিনি বিতর্ককে নতুনভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর কথা গভীরভাবে অনুরণিত হয়, কারণ তা বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রতিফলন। যতক্ষণ না আদালত ন্যায়বিচার দিচ্ছে, ততক্ষণ সত্যি সত্যিই ভারতের অগ্রগতি অসম্পূর্ণই থেকে যাবে। সঞ্জীব (Sanjeev Sanyal) বলেন, “আমার দৃষ্টিতে বিচারব্যবস্থাই ‘বিকশিত ভারত’ হওয়ার এবং দ্রুত অগ্রসর হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। যথা সময়ে চুক্তি কার্যকর করতে না পারা কিংবা ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হওয়া এখন এত বড় সীমাবদ্ধতা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে আমি আপনাদের বলছি যদি আমরা পুরো আইনি কাঠামোয় বড় ধরনের কোনও সংস্কার না দেখি, তবে সিস্টেমের অন্য যে ক্ষেত্রেই যত কাজই করি না কেন, তার কোনও গুরুত্ব থাকবে না।”

    আগেও বিচারব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন সঞ্জীব

    প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে অন্য একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়ে সঞ্জীব বলেছিলেন, “এটি (বিচার বিভাগ) ভারতের প্রবৃদ্ধির পথে কিছু দিক থেকে সবচেয়ে (Judiciarys Long Vacations) বড় বাধা। এটি এখন আমলাতন্ত্রের চেয়ে সময়ের চেয়েও ঢের বেশি পিছিয়ে।” তিনি তখনও বলেছিলেন, “এর বিশাল পরিবর্তন প্রয়োজন। আমি অবশ্য কেবল বিচারব্যবস্থাকেই দোষারোপ করব না, বিচারকদের ক্ষেত্রে – একটি সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র রয়েছে এবং বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে এটি আইনজীবী এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট, বার কাউন্সিল ইত্যাদির পদস্থ ব্যক্তিরা আসলে অগ্রগতি থামিয়ে দিচ্ছেন (Sanjeev Sanyal)।”

  • Khalistani Pannun: মোদির বিরুদ্ধে শিখ সৈনিকদের উস্কানি দেওয়ায় পান্নুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল এনআইএ

    Khalistani Pannun: মোদির বিরুদ্ধে শিখ সৈনিকদের উস্কানি দেওয়ায় পান্নুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে শিখ সৈনিকদের উস্কানি দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে পুরস্কার দেবেন ১১ কোটি টাকা। কার্যত এমন প্রস্তাব করার অভিযোগে খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের (Khalistani Pannun) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ (NIA)। ২০২৫ সালের ১৫ অগাস্টে স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় উস্কানির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য এই কুখ্যাত জঙ্গির বিরুদ্ধে বাইরের দেশে বসে ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক ষড়যন্ত্রের ছক করার মতো আরও গুরুতর একাধিক মামলা রয়েছে।

    পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার)!

    নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) পান্নুনের (Khalistani Pannun) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই সন্ত্রাসবাদী গুরপতবন্ত সিং পান্নুন হলেন নিষিদ্ধ খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠন শিখ ফর জাস্টিস-এর প্রতিষ্ঠাতা। তবে এই সংগঠন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে চললেও ভারতের অভ্যন্তরে বিশেষ করে পঞ্জাবকে অস্থির করে রাখাই মূল উদ্দেশ্য। জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় পাতাকা উত্তোলনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা জানিয়েছিলেন। এই কথা পাকিস্তানের একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার হিসেবে দিয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তান যে জঙ্গি উৎপাদন করে একথা সকলেই জানে, আর তাই ভারতের ক্ষতি করতে পান্নুন পাকিস্তানকে সবসময়ে পাশে চান।

    খালিস্তানের মানচিত্রে

    পান্নুনের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৬১ (২), ১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন-এর ধারা ১০ এবং ১৩ ব্যবহার করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যে ভিডিওর ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে তা ২০২৫ সালের ১০ অগাস্ট পাকিস্তানের লাহোর প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মিট দ্য প্রেসের পক্ষ থেকে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় পান্নুনের। ওয়াশিংটন, ডিসি থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটিতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন এই জঙ্গি।

    তবে এফআইআরে বলা হয়, “ভিডিওতে বক্তব্য দেওয়ার সময় পান্নুন দাবি করেন, দিল্লি হবে খালিস্তান (Khalistani Pannun)। সেইসঙ্গে একটি গণভোটের ভিত্তিতে মানচিত্রকে উন্মোচন করেছিলেন। তাঁর প্রস্তাবিত খালিস্তানের মানচিত্রে পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ এবং দিল্লিকে অন্তর্ভুক্ত ছিল। মামলায় (NIA) প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে পানুন্নের নাম ছাড়াও আরও অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তিদেরও যুক্ত করা হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে প্ররোচনা এবং উস্কানি দিয়ে ভারতের সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।”

LinkedIn
Share