Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Defence Purchase: ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের! ১ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক কেনাকাটায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের, কী কী থাকছে?

    Defence Purchase: ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের! ১ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক কেনাকাটায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের, কী কী থাকছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনার ক্ষমতা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বের। আত্মনির্ভর ভারতের ক্ষমতা তাক লাগিয়ে গিয়েছে প্রথম বিশ্বের দেশগুলিকে। এবার আরও শক্তি বাড়তে চলেছে। এবার সেনাকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন করে আরও অস্ত্র কেনার (Defence Purchase) জন্য তৎপরতা শুরু করল কেন্দ্র। শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের (Defence Acquisition Council) দেশীয় উৎস থেকে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ১০টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যা অপারেশন সিঁদুরের পর সামরিক বাহিনীর জন্য তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।

    কী কী থাকছে কেনাকাটার (Defence Purchase) তালিকায়?

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ডিএসি-র (DAC) বৈঠকে যে যে সামরিক সরঞ্জামের কেনার বিষয়ে ছাড়পত্র মিলেছে, তাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাথায় রেখে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখাকেই (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামরিক কেনাকাটার (Defence Purchase) তালিকায় অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে, ‘ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র’, সাঁজোয়া গাড়ি (আর্মার্ড রিকভারি ভেহিকল্‌) এবং অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিন যুদ্ধব্যবস্থার (ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার) উপকরণ। নৌসেনার জন্য আকাশহানা প্রতিরোধী ‘সুপার র‌্যাপিড গান’, মাইন চিহ্নিতকারী জাহাজ এবং উচ্চ গতিসম্পন্ন ‘সাব-মার্সিবল অটোনোমাস ভেসেল’ রয়েছে এই তালিকায় (Defence Purchase)। দেশেই হবে ১২টি মাইন কাউন্টার মেজার ভেসেল (MCMVs) নির্মাণ। এই জল সুরক্ষা যান তৈরির বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৪৪,০০০ কোটি টাকা। এই ৯০০-১,০০০ টনের বিশেষ যুদ্ধজাহাজগুলি জলের নিচে মাইন নিস্ক্রিয় করতে কার্যকরী, যুদ্ধের সময় বন্দর বা জলপথ অবরোধ করা প্রতিহত করতেও কাজে লাগবে।

    ১০,০০০ কোটি টাকায় তিনটি গুপ্তচর বিমান

    আবার বায়ুসেনার জন্য কেনা হবে (Defence Purchase) বিশেষ গুপ্তচর বিমান। ১০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেলিয়ান্স, টার্গেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রিকনেসেন্স (ISTAR) বিমান। ৩৬,০০০ কোটি টাকার কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইল (QRSAM) কেনা হবে। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) এটি তৈরি করবে সেনাবাহিনীর তিনটি রেজিমেন্ট ও বিমানবাহিনীর তিনটি স্কোয়াড্রনের জন্য। এই মিসাইলগুলি অত্যন্ত দ্রুত শত্রুপক্ষের বিমান, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন ধ্বংস করতে পারে, ৩০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে যে কোনও শক্তিকে প্রতিহত করতে পারে।

  • Dalai Lama: দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, চিনের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল ভারত

    Dalai Lama: দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, চিনের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর উত্তরসূরি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা (Dalai Lama)। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রচলিত প্রথা মেনেই তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন হবে। সেই অধিকার থাকবে তাঁদের সংস্থা গাদেন ফোদরাং ট্রাস্টের হাতেই।

    ভারতের জবাব (Dalai Lama)

    তিব্বতি ধর্মগুরুর ঘোষণার পরেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল চিন। শি জিনপিংয়ের নাম না নিয়েই এর জবাব দিল ভারত (India Slams China)। তিব্বতি ধর্মগুরু নির্বাচনে চিনের নাক গলানোর বিষয়টি যে ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না, সেকথা শি জিনপিংয়ের দেশকে বুঝিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, পরবর্তী দলাই লামা নির্বাচনের অধিকার রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও বর্তমান দলাই লামার হাতেই। সাংবাদিক বৈঠকে রিজুজু বলেন, “বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেন দলাই লামা। তাঁর অনুগামীরা চাইছেন, দলাই লামার ইচ্ছে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্থাই উত্তরসূরি বেছে নিক। এর বাইরে অন্য কারও এই প্রক্রিয়ায় নাক গলানোর অধিকার নেই।”

    তিব্বতি এই ধর্মগুরুর ৯০তম জন্মদিন

    ৬ জুলাই ধর্মশালায় পালিত হবে তিব্বতি এই ধর্মগুরুর ৯০তম জন্মদিন। সেখানে কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজু। থাকবেন আরও এক মন্ত্রী রাজীব রঞ্জনও। ৯০তম জন্মদিনের কয়েক দিন আগেই বুধবার তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে ফের নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন দলাই লামা। তিনি জানিয়েছিলেন, ছ’শো বছরের প্রাচীন প্রথা ও ঐতিহ্য মেনেই চলবে আমাদের সংস্থার কাজকর্ম (Dalai Lama)। উত্তরসূরি নির্বাচনের অধিকার থাকবে কেবল গাদেন ফোদরাং ট্রাস্টের হাতেই। অন্য কেউ নাক গলাতে পারবে না।

    প্রসঙ্গত, ১৯৫৯ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে লাসা (তিব্বতের রাজধানী) থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন দলাই লামা। কারণ সেই সময় তিব্বত আক্রমণ করেছিল চিন। তার পর থেকে চিন তাঁকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে দেগে দিয়েছে। পরে তিনি আশ্রয় নেন ভারতে। ওয়াকিবহাল মহলের (India Slams China) মতে, তাঁর সাম্প্রতিক এই ঘোষণাটি কেবল তাঁর আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা নয়, চিনা রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ থেকে তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মীয় ঐতিহ্যের স্বাধীনতাকেও জোরালোভাবে তুলে ধরে (Dalai Lama)।

  • Prant Pracharak Baithak: আজ থেকে শুরু আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক, কী কী নিয়ে আলোচনা?

    Prant Pracharak Baithak: আজ থেকে শুরু আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক, কী কী নিয়ে আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে দিল্লিতে বসছে তিনদিনব্যাপী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক (Prant Pracharak Baithak)। দিল্লিতে আরএসএস-এর ভবন কেশব কুঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সরসংঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। উপস্থিত থাকবেন সকল সহ-সরকার্যবাহ, কার্যবিভাগের প্রধান এবং আরএসএস-অনুপ্রাণিত ৩২টি সংগঠনের অখিল ভারতীয় সংগঠন সম্পাদক। এছাড়া দেশের সমস্ত প্রান্ত প্রচারক (Prant Pracharak Baithak), সহ-প্রান্ত প্রচারক এবং ক্ষেত্র প্রচারক এবং সহ-ক্ষেত্র প্রচারকরা হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) গঠন অনুযায়ী ১১টি ক্ষেত্র এবং ৪৬টি প্রান্ত রয়েছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রীয় প্রচারক ও প্রান্ত প্রচারকরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

    কী নিয়ে আলোচনা হবে?

    ২০২৫ সালের মার্চ মাসে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, বিশেষ করে সংঘের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে। পরবর্তীকালে সেই শিবিরগুলি অনুষ্ঠিত হয় এপ্রিল, মে ও জুন মাসে। এরপরেই, প্রতিনিধি সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আগামী বর্ষে সংঘের কর্মসূচি কী হবে, তা স্থির করতেই এই বৈঠক (Prant Pracharak Baithak) অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। সংঘের তরফে জানানো হয়েছে, বৈঠকে মূলত সাংগঠনিক বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করা হবে। এটি কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ সভা নয়। আলোচনাগুলি বিভিন্ন প্রান্তে সাংগঠনিক কাজের অগ্রগতি এবং অভিজ্ঞতার চারপাশে আবর্তিত হবে।

    ২ অক্টোবর শতবর্ষে পা দিচ্ছে আরএসএস (RSS)

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে। ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই সংগঠন। চলতি বছরে বিজয়া দশমী পড়েছে ২ অক্টোবর। শতবর্ষ উপলক্ষে আরএসএস (RSS) একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, এই বিষয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল অম্বেকর জানান, এই সভার মূল লক্ষ্য হল শতাব্দী বর্ষ (শতবর্ষ)। সমস্ত প্রান্ত প্রচারক এবং ক্ষেত্র প্রচারকরা নিজ নিজ রাজ্যে পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছেন। সেই রিপোর্ট জমা পড়বে। যা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। সভার (Prant Pracharak Baithak) পরে এই সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।

    বিভিন্ন কার্যবিভাগের কার্যকারিতা নিয়েও আলোচনা

    মার্চ থেকে সারা দেশে ১০০টি প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫টি ৪০ বছরের কম বয়সি স্বয়ংসেবকদের জন্য এবং ২৫টি ৪০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে বয়সিদের জন্য। এই প্রশিক্ষণ শিবিরগুলির সময়, সেবা বিভাগ (পরিষেবা বিভাগ) সহ বিভিন্ন কার্য বিভাগগুলি বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এর পাশাপাশি, স্বয়ংসেবকরা স্থায়ী প্রকল্পের (স্থায়ী সেবা প্রকল্প) সঙ্গেও জড়িত এবং দুর্যোগের সময় ত্রাণ কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ, তারা পুরী জগন্নাথ রথযাত্রা এবং আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার সময় উদ্ধারকার্যে এগিয়ে এসেছিলেন। সভায় বিভিন্ন কার্যবিভাগের কার্যকারিতা নিয়েও আলোচনা করা হবে। প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি কীভাবে অনুষ্ঠিত হল (RSS), কত জন অংশগ্রহণ করেছেন এবং আগামী পরিকল্পনাগুলি কী কী, সেইসব বিষয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে।

    শতাব্দী বর্ষে বছরব্যাপী উৎসব নিয়ে আলোচনা

    ২ অক্টোবর নাগপুরে বিজয়াদশমী উৎসবের মাধ্যমে সরসংঘচালক মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে শতাব্দী বর্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। এরই ধারাবাহিকতায় পুরো এক বছর চলবে শতাব্দী বর্ষের অনুষ্ঠান। একই দিনে, সারা দেশে শাখা, মণ্ডল এবং বস্তি (ইউনিট, সার্কেল এবং স্থানীয়) স্তরে উদযাপন করা হবে। স্বয়ংসেবকরা একটি গৃহ যোগাযোগ অভিযান (ঘরে-ঘরে যোগাযোগ অভিযান) পরিচালনা করবেন, যেখানে তারা বাড়ি বাড়ি যাবেন, সংঘ সাহিত্য (আরএসএস সাহিত্য) বিতরণ করবেন এবং আলোচনা করবেন।

    সারা দেশে নগর/খণ্ড (বিভাগ) স্তরে, সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক (সামাজিক সম্প্রীতি সভা) আয়োজন করা হবে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ একত্রিত হয়ে সামাজিক কুফল দূর করে এবং সম্প্রীতি ও ঐক্য গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়াও, জেলা কেন্দ্রগুলিতে (জেলা কেন্দ্রগুলিতে), প্রধান নাগরিক গোষ্ঠী (বিশিষ্ট নাগরিক সেমিনার) অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশগুলিতে হিন্দুত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং ভবিষ্যতের ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করা হবে। শতাব্দী বর্ষ উপলক্ষে যুবসমাজের অংশগ্রহণের উপর জোর দিয়ে বিশেষ কর্মসূচিও আয়োজন করা হবে।

    আরএসএস (RSS) নিয়ে যুবসমাজে উৎসাহ

    অম্বেকর বলেন, সংঘ সম্পর্কে জানতে এবং তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য সমাজে কৌতূহল এবং উৎসাহের এক দৃশ্যমান ঢেউ দেখা যাচ্ছে। বিপুল সংখ্যক যুবক-যুবতী সংঘে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এই বছরের প্রশিক্ষণ বর্গে উল্লেখযোগ্যভাবে যুবসমাজের অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাছাড়া, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে, “জয়েন আরএসএস” প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ২৮,৫৭১ জন অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করেছেন।

  • Photonic Radar: আর অদৃশ্য নয় শত্রুর স্টেলথ বিমান, যুগান্তকারী ‘ফোটনিক রেডার’ তৈরি করল ভারত, কী বিশেষত্ব?

    Photonic Radar: আর অদৃশ্য নয় শত্রুর স্টেলথ বিমান, যুগান্তকারী ‘ফোটনিক রেডার’ তৈরি করল ভারত, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেডার প্রযুক্তিতে বিরাট লাফ দিতে চলেছে ভারত। দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এমন একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির রেডার তৈরি করেছে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতার সংজ্ঞা নতুন করে লিখবে। আর এই বৈল্পবিক প্রযুক্তি সম্পন্ন রেডারের নাম হল ‘ফোটনিক রেডার’ (Photonic Radar)। এটি তৈরি করেছে ডিআরডিও (DRDO) অধিনস্থ সংস্থা ইন্সট্রুমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্ট্যাবলিশমেন্ট (আইআরডিই)। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক হলে, শীঘ্রই হবে এর পরীক্ষা। তার পর আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধবিমানে মোতায়েন করার কাজ শুরু হবে।

    এই ফোটনিক রেডার ঠিক কী?

    সাধারণত, ভারত সহ সবকটি উন্নত দেশ যে রেডার বর্তমানে ব্যবহার করে, তা হল এইএসএ প্রযুক্তির। পুরো অর্থ অ্যাকটিভ ইলেকট্রোনিক্যালি স্ক্যানড্ অ্যারে। এই ধরনের রেডারগুলি ইলেকট্রনিক পদ্ধতি মেনে কাজ করে। এই সব রেডারে ইলেকট্রনিক সিগন্যালের মাধ্যমে বস্তুকে ট্র্যাক করা হয়। কিন্তু, ফোটনিক রেডার (Photonic Radar) এখানে সবার চেয়ে আলাদা। এটি কোনও সাধারণ রেডার নয়। এটি এমন এক প্রযুক্তি যা ইলেকট্রনিকের বদলে ফোটনিক ব্যবহার করে। অর্থাৎ এতে ইলেকট্রনিক সিগন্যালের পরিবর্তে আলো (লেজার বা অপটিক্যাল সিগন্যাল) ব্যবহার করা হয়, যার ফলে এই রেডার বহু গুণ বেশি শক্তিশালী, দ্রুত ও নির্ভুল।

    কীভাবে কাজ করে ফোটনিক রেডার?

    বর্তমান রেডার সিস্টেমগুলি বস্তু সনাক্ত করার জন্য রেডিও ওয়েভ বা বেতার তরঙ্গ নির্গত করে কাজ করে। তবে, এই সিস্টেমগুলি স্টেলথ বিমান সনাক্তকরণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। কারণ, স্টেলথ বিমানগুলির শরীরে এমন বিশেষ ধরনের কোটিং করা থাকে, যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) সংকেত এড়াতে বা শোষণ করতে সক্ষম। ফলে, তরঙ্গগুলি রেডারে ফিরে আসে না। যার জেরে, রেডারে বিমানগুলি ধরাও পড়ে না। অন্যদিকে, ফোটনিক রেডারগুলি আলোক বা লেজার তরঙ্গ বিকিরিত করে। অর্থাৎ, বর্তমান সার্কিটের বদলে এখানে ব্যবহৃত হয় লাইট-ভিত্তিক উপাদান। এই লেজার তরঙ্গ বা ওয়েভ সংকেতগুলি উচ্চ নির্ভুলতার সঙ্গে পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ যুদ্ধবিমানগুলিও সনাক্ত করতে সক্ষম।

    ফোটনিক রেডারে সিগন্যাল তৈরি হয় লেজার লাইটের মাধ্যমে। এখানে মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল তৈরির জন্য ২টি লেজারের মধ্যে ইন্টারফেরেন্স বা বিটিং করা হয়। ইলেকট্রনিক রেডারের মতো ট্র্যাডিশনাল সিগন্যাল জেনারেটর ব্যবহার হয় না — এখানে আলো দিয়েই রেডার সিগন্যাল তৈরি হয়। যে কারণে, ফোটনিক রেডার ভবিষ্যতের যুদ্ধে একটি গেম-চেঞ্জিং সমাধান প্রদান করতে চলেছে বলে বিশ্বাস প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।

    ফটোনিক রেডারের (Photonic Radar) বিশেষত্ব

    ফটোনিক রেডার খুব বেশি ব্যান্ডউইথে কাজ করতে পারে, ফলে “অত্যন্ত কম রেডিও ক্রস-সেকশন” লক্ষ্যবস্তু যেমন স্টেলথ বিমানের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়। উদাহরণ স্বরূপ, মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের আরসিএফ হল ০.০১ বর্গমিটার। যা একটা পাখির সমান। ফলে, সাধারণ রেডারে এই বিমান ধরা পড়ে না। যেহেতু ফোটনিক রেডার লেজার প্রযুক্তি বা আলোর কণা ব্যবহার করে, তাই ইলেকট্রনিক রেডারের তুলনায় অনেক দ্রুত তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে। যেহেতু ফটোনিক রেডার (Photonic Radar) অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে, তাই একে জ্যাম করা কঠিন, এবং শত্রুপক্ষ সহজে এর সিগন্যাল ধরতে পারে না। এটি একসঙ্গে ট্র্যাক, স্ক্যান, জ্যাম এবং যোগাযোগ ফাংশন চালাতে সক্ষম। অপটিক্যাল উপাদান ব্যবহারের কারণে এটি ছোট ও হালকা হয়, যা ফাইটারের জন্য আদর্শ।

    বিশ্বে ফোটনিক রেডার নিয়ে গবেষণা

    বর্তমানে চিন, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলি ইতিমধ্যেই ফোটনিক রেডার নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। কিন্তু ডিআরডিও এই প্রযুক্তি হাতে আনতে পারলে, এটি হবে ভারতের জন্য একটি বিরাট লাফ। ভারতীয় বায়ুসেনা এই রেডার রাফাল, সুখোই-৩০ ও তেজস যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া, আকাশ-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবে এই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হলে, এটি ভারতকে স্টেলথ প্রযুক্তি ও হাইপারসনিক অস্ত্রের যুগে রেডার-সেন্সর এবং নেটওয়ার্ক ভিত্তিক যুদ্ধশৈলীতে প্রবল শক্তিশালী করে তুলবে। যা জানা যাচ্ছে, ২০২৮ সালের মধ্যে যুদ্ধবিমানে বসিয়ে এই ফোটনিক রেডারের ফ্লাইট-টেস্ট পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায় ডিআরডিও (DRDO)। ইতিমধ্যেই ফোটনিক সিগন্যাল জেনারেটর, অপটিক্যাল অ্যামপ্লিফায়ার এবং রেডার হেড-এর প্রোটোটাইপগুলি তৈরি হচ্ছে। এই প্রযুক্তি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ভারত দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের জন্য সম্পূর্ণ দেশীয় ফোটনিক রেডার (Photonic Radar) হাতে পাবে।

    ভারত যদি এই রেডার মোতায়েনে সফল হয়, তাহলে চিন, আমেরিকা তাদের স্টেলথ যুদ্ধবিমান নিয়ে যে আস্ফালন করে, তা এক লপ্তে ফিকে হয়ে যাবে। ফলে, এশিয়া তথা বিশ্বের ভূ-রাজনীতিতে যে বিরাট একটা পরিবর্তন আসবে, তা বলা বাহুল্য। এখন, ভারত কত দ্রুততার সঙ্গে এই যুগান্তকারী রেডার প্রযুক্তি সম্পূর্ণ করায়ত্ত এবং মোতায়েন করতে পারে, সেটাই দেখার।

  • Article 370: ৩৭০ ধারা বাতিলের পদক্ষেপকে সমর্থন দেশের প্রধান বিচারপতি গাভাইয়ের

    Article 370: ৩৭০ ধারা বাতিলের পদক্ষেপকে সমর্থন দেশের প্রধান বিচারপতি গাভাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিলোপ করা হয় ৩৭০ ধারা (Article 370)। তা নিয়ে দেশজুড়ে কম বিতর্ক হয়নি। মোদি সরকারকে তীব্র নিশানা করেন ‘তুষ্টিকরণের রাজনীতি’র কারবারিরা। তবে কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পদক্ষেপকে সমর্থন করেন দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) বিআই গাভাই। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সংঘবদ্ধ ভারতের জন্য একটি সংবিধানের ভাবনা ছিল বাবাসাহেব বিআর আম্বেডকরের। কিন্তু ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ তাঁর সেই ভাবনার পরিপন্থী।”

    বাবাসাহেবের কথা মনে পড়েছিল (Article 370)

    নাগপুরে কনস্টিটিউশনার প্রেম্বল পার্কের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। সেখানেই তিনি বুঝিয়ে দেন, ৩৭০ ধারা বাবাসাহেবের মতাদর্শের পরিপন্থী। এদিন বক্তৃতা দিতে গিয়ে গাভাই মনে করিয়ে দেন, “সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে উঠেছিল ৩৭০ ধারা বাতিলের মামলা। সেখানে পাঁচ বিচারপতিই কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন।” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, “৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। মামলা হয়। এ নিয়ে যথন শুনানি চলছিল, তখন আমার বাবাসাহেবের কথা মনে পড়েছিল।” তিনি বলেন, “দেশকে যদি সংঘবদ্ধ রাখতে হয়, তাহলে আমাদের একটা মাত্র সংবিধান চাই।” দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বলেন, “গোটা দেশের জন্য একটাই সংবিধান প্রয়োজন। দেশ পরিচালিত হবে একটি মাত্র সংবিধানের ভিত্তিতে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমরা যদি দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চাই, তবে আমাদের একটাই সংবিধান প্রয়োজন (Article 370)।”

    সংঘবদ্ধ ভারতের জন্য একটিই সংবিধান

    তিনি বলেন, “সংঘবদ্ধ ভারতের জন্য একটিই সংবিধানের ভাবনা ছিল বিআর আম্বেডকরের। কিন্তু ৩৭০ নম্বর ধারা তাঁর সেই ভাবনার পরিপন্থী।” তিনি (CJI) বলেন, “সংসদ নয়, আমার কাছে সংবিধানই সর্বোচ্চ।” গাভাই বলেন, “সংসদ সংবিধানের মূল কাঠামো সংশোধন করতে পারে, কিন্তু তাকে বদলাতে পারে না।” তিনি বলেন, “বাবাসাহেব আম্বেডকর একাধিকবার সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন এই জন্য যে, ভারতীয় সংবিধানে অতিরিক্তভাবে ফেডারেলিজম রাখা হয়েছে, যা যুদ্ধ বা সংকটের সময় দেশের ঐক্যের পক্ষে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু (CJI) আম্বেডকর স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, ভারতীয় সংবিধান সম্পূর্ণ কেন্দ্রভিত্তিক নয়, আবার পুরোপুরি ফেডারেলও নয়। এটি তার অ্যাডাপটাবিলিটির দিক থেকে একক এবং অনন্য (Article 370)।”

  • Amarnath Yatra 2025: পহেলগাঁও হামলা অতীত! কড়া নিরাপত্তা, ভয় কাটিয়ে অমরনাথের পথে পুণ্যার্থীরা

    Amarnath Yatra 2025: পহেলগাঁও হামলা অতীত! কড়া নিরাপত্তা, ভয় কাটিয়ে অমরনাথের পথে পুণ্যার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বম বম ভোলে” ও “হার হার মহাদেব” ধ্বনিতে মুখরিত চারপাশ। পহেলগাঁও হামলা, অপারেশন সিঁদুরের জের কাটিয়ে পরম শান্তির খোঁজে বুধবার সকালে জম্মুর ভাগবতী নগরের যাত্রী নিবাস বেস ক্যাম্প থেকে অমরনাথ যাত্রার (Amarnath Yatra 2025) প্রথম দল রওনা দিল। এই যাত্রার সূচনা করেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। মোট ৫,৮৯২ জন তীর্থযাত্রী ও ৩১০টি গাড়ির কনভয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে যাত্রা শুরু হয়। আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত সিআরপিএফের গাড়ি এই কনভয়কে পূর্ণ নিরাপত্তা দিচ্ছে।

    বেস ক্যাম্পে পুজো

    এদিন হালকা বৃষ্টির মধ্যে ভক্তরা শঙ্খ বাজিয়ে, ভজন-স্তোত্রে পরিবেশকে ধন্য করে তুলেছিলেন। যাত্রা শুরু আগে মনোজ সিনহা বেস ক্যাম্পে পুজো করেন এবং যাত্রা শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন সম্পন্ন হওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন। ডোগরা ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি পরে, মুখে হাসি নিয়ে তিনি তীর্থযাত্রীদের উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান। পহেলগাঁও রুটে ১৪৪টি গাড়িতে ৩,৪০৩ জন তীর্থযাত্রী যাত্রা শুরু করেন, যাঁদের মধ্যে ২,৬৪৭ জন পুরুষ, ৪৬৭ জন মহিলা, ৮ জন শিশু, ১৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের যাত্রী, ২০০ জন সাধু এবং ৬৫ জন সাধ্বী ছিলেন। অন্যদিকে, বালতাল রুটে ১৬৬টি গাড়িতে ২,৪৮৯ জন তীর্থযাত্রী যান—যাঁদের মধ্যে ছিলেন ১,৭৪৮ জন পুরুষ, ৫৭৬ জন মহিলা, ২৩ জন শিশু, ১৩৫ জন সাধু এবং ৭ জন সাধ্বী।

    কড়া নিরাপত্তায় যাত্রার শুরু

    এদিন অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra 2025) শুরুর সময় মনোজ সিনহা বলেন, “এই পবিত্র যাত্রা আত্ম-অনুসন্ধানের এক পরম পথ। আশা করি প্রতিটি ভক্তের জন্য এই যাত্রা এক গভীর আত্মিক অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে। জম্মু শহর এখন এক নতুন প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে উঠেছে। ভক্তদের উৎসাহ অসাধারণ। সন্ত্রাসী হামলার ভয় উপেক্ষা করে ভোলেবাবার ভক্তরা বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত হচ্ছেন। আশা করি এই বছরের যাত্রা অতীতের যে কোনও বছরের চেয়ে বেশি ঐতিহাসিক হবে।” সিনহা আরও জানান, প্রশাসন, জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ, শ্রী অমরনাথজি শ্রাইন বোর্ড, পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী সবদিক দিয়ে তীর্থযাত্রীদের জন্য সুব্যবস্থা করেছে। উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর থেকে আগত ৩৭ বছর বয়সি তীর্থযাত্রী মনোজ কুমার বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনও ভয় নেই। ভোলের বাহিনী আনন্দেই থাকবে। ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলা আমাদের মনোবল ভাঙতে পারেনি।” তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছেন। আমাদের সুরক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শত্রুরা আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।” আজমগড়ের ৫১ বছর বয়সি রাম প্রসাদ বলেন, “এটাই যাত্রার প্রথম দিন, কিন্তু দেখুন, ভক্তদের মধ্যে কী উন্মাদনা! দিন যত যাবে, সংখ্যাও ততই বাড়বে।” শিরডির ৪৭ বছর বয়সি আশিস কাম্বলি, যিনি তৃতীয়বার অমরনাথ যাত্রায় এসেছেন, বলেন, “এবারের আয়োজনে আরও উন্নতি হয়েছে। কোনও সমস্যায় পড়িনি। প্রশাসন আমাদের সর্বাত্মক সাহায্য করছে।”

  • INS Tamal: কাঁপছে চিন-পাকিস্তান! নতুন যুগে পা, ভারতীয় নৌসেনার হাতে ‘দেবরাজ ইন্দ্রের’ তমাল

    INS Tamal: কাঁপছে চিন-পাকিস্তান! নতুন যুগে পা, ভারতীয় নৌসেনার হাতে ‘দেবরাজ ইন্দ্রের’ তমাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ধাপে অনেকখানি শক্তি বাড়ল ভারতের নৌসেনার। মঙ্গলবার, ১ জুলাই নৌসেনায় যোগ হল স্টেলথ প্রযুক্তির যুদ্ধজাহাজ আইএনএস তমাল (INS Tamal)। রাশিয়ার সংস্থা কালিনিনগ্রাদে ইয়ান্তার শিপইয়ার্ডে ইন্দো-রাশিয়ান যৌথ সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে যুদ্ধজাহাজটি। সমুদ্রে চিনের কড়া অবস্থানের মোকাবিলায় তমাল ভারতের নৌসেনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। আইএনএস তমাল হল তলোয়ার ক্লাস ফ্রিগেট। এটাই বিদেশ থেকে কেনা শেষ রণতরী হতে পারে। কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদির আত্মনির্ভর ভারত সাম্প্রতিককালে দেশেই রণতরী এবং সাবমেরিন তৈরির ওপর মন দিয়েছে।

    ইন্দ্রের তলোয়ারই হল তমাল

    স্বর্গের দেবতা ইন্দ্রের তলোয়ারের নাম তমাল। ভারতীয় সেনার নতুন এই রণতরীর নাম ইন্দ্রদেবের সেই অস্ত্রের নামেই। আইএনএস তমাল রণতরীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪১০ ফুট। বিশালাকার রণতরীর ওজন ৩ হাজার ৯০০ টন। সমুদ্রে রণতরীর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ নট বা ৫৬ কিলোমিটার। এটি গ্যাস টার্বাইন দ্বারা চালিত। আইএনএস তমাল নির্মাণে ২৬ শতাংশ দেশীয় উপকরণ ব্যবহার হয়েছে।

    জাহাজের মূলমন্ত্র: “সর্বত্র সর্বদা বিজয়”

    ভারতীয় আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই যুদ্ধ জাহাজ নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পশ্চিম নৌ কমান্ডের প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল সঞ্জয় জসজিৎ সিং, যিনি নিজে উপস্থিত থেকে কমিশনের নেতৃত্ব দেন। উপস্থিত ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল রাজারাম স্বামীনাথন ও রাশিয়ান নৌবাহিনীর সিনিয়র অফিসার ভাইস অ্যাডমিরাল সের্গেই লিপিন। আইএনএস তামাল ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি জলে নামানো হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম ট্রায়াল হয়। এর পর ধারাবাহিকভাবে ফ্যাক্টরি ট্রায়াল, স্টেট কমিটি ট্রায়াল এবং ডেলিভারি অ্যাকসেপ্ট্যান্স ট্রায়াল সম্পন্ন করে ২০২৫ সালের জুন মাসে সম্পূর্ণ যুদ্ধ প্রস্তুত অবস্থায় কমিশন হয়। জাহাজটি সমুদ্র, আকাশ, জলের নিচে এবং ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম — এই চারটি ক্ষেত্রেই সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করতে পারবে। জাহাজটি পরিচালিত হবে প্রায় ২৬ জন অফিসার ও ২৫০ জন নাবিকের দল দিয়ে। এই ,জাহাজের মূলমন্ত্র: “সর্বত্র সর্বদা বিজয়”।

    নৌযুদ্ধের মহড়ায়  উত্তীর্ণ তমাল

    নৌসেনা সূত্রের খবর, শত্রুপক্ষের রাডারের নজরদারি এড়াতে বিশেষ ধাতুতে তৈরি আইএনএস তমাল। এই ইঞ্জিনও পৃথক প্রযুক্তির। ৩৯০০ টনের এই যুদ্ধজাহাজে হেলিকপ্টার ওঠানামা এবং ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে, শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ খোঁজার জন্য অত্যাধুনিক ‘সোনার’ এবং তাকে ধ্বংস করার জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টর্পিডো। ইতিমধ্যেই সফল ভাবে নৌযুদ্ধের মহড়ায় (সি ট্রায়াল) উত্তীর্ণ হয়েছে তমাল। বর্তমানে বিশ্বের সেরা স্টেল্‌থ রণতরীটি আমেরিকার, ইউএসএস জুমওয়াল্ট ডেস্ট্রয়ার। তার পরেই নাম আসে রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি তলোয়ার গোত্রের ফ্রিগেটের নাম। যার নবতম সংস্করণ আইএনএস তমাল।

    তমাল-এ থাকবে ২৪টি মিসাইল

    আইএনএস তমাল-এর মধ্যে রয়েছে ২৪টি মিসাইল। প্রতিটির রেঞ্জ ৭০ কিলোমিটার। দীর্ঘ ৩ মাস ধরে সমুদ্রে রণতরীর ট্রায়াল করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয় রণতরীর আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। করা হয়েছে মিসাইল টেস্টও। আইএনএস তমাল থেকে ব্রহ্মস মিসাইল ছোড়া যাবে। এছাড়া স্থিল-১ স্যাম এয়ার ডিফেন্সও ব্যবহার করা যাবে এই রণতরী থেকে। এই রণতরীতে ১০০ এমএম বন্দুক আছে। এতে-৬৩০ সিআইডাব্লুএস, টর্পিডো এবং আরবিইউ-৬০০০ অ্যান্টি সাবমেরিন রকেট আছে। এই রণতরীতে একটি হেলিকপ্টার ওঠা-নামা করতে পারবে। আইএনএস তমাল ‘তলোয়ার শ্রেণি’র রণতরী। রাশিয়া থেকে আমদানি করা চতুর্থ রণতরী এটি। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রাশিয়া থেকে দুটি যুদ্ধজাহাজ কেনার জন্য একটি চুক্তি সই করে। ভারতীয় মুদ্রায় সেই চুক্তির অর্থমূল্য প্রায় ৮০০০ কোটি টাকা। সেই চুক্তিতেই আইএনএস তমাল কেনার কথা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ওই রণতরী ২০২২ সালেই ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে ওই রণতরী নির্ধারিত সময়ে সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।

    তমাল-এ ভীত চিন-পাকিস্তান

    রিপোর্ট অনুযায়ী, আইএনএস তমাল নৌবাহিনীর পশ্চিম কমান্ডের অধীনে আরব সাগরে মোতায়েন করা হবে, একটি কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এখানে ভারত ও পাকিস্তানের সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে। এখান থেকে করাচির দূরত্ব খুব কম। একদিকে আরব সাগর, অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগর। অন্যদিকে, পাকিস্তান এবং চিনের মতো দুটি প্রতিকূল দেশের সাথে স্থল সীমান্ত ভারতের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। এই আবহে নৌসেনায় তমালের অন্তর্ভুক্তি ভারতকে বেশ সুবিধা দেবে। আইএনএস তমাল এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে শত্রু রাডার এটিকে কোন ভাবেই সনাক্ত করতে না পারে। এই সমস্ত আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে, ভারত তার নৌবাহিনীর শক্তিকে আরও বাড়ানোর দিকে বিশেষ জোর দিচ্ছে এই যুদ্ধজাহাজটি অত্যাধুনিক ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত থাকবে, যার পাল্লা ২৯০ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার। থাকবে আধুনিক হেলিকপ্টার ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। যার সাহায্যে এটি সাবমেরিন এবং আকাশপথে হামলা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।

  • PM Modi: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফরে রওনা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, যাবেন ৫ দেশ

    PM Modi: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফরে রওনা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, যাবেন ৫ দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফরে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি মোট পাঁচটি দেশ সফর করবেন। যা শুরু হচ্ছে আজ, ২ জুলাই থেকে। আট দিনের এই সফরে প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণ করবেন ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে। এর পাশাপাশি তিনি ঘানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, আর্জেন্টিনা ও নামিবিয়া সফর করবেন। এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বিতীয় দীর্ঘতম বিদেশ সফর। এর আগে, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে তিনি টানা আট দিনের জন্য বিদেশে ছিলেন, সেই সময় তিনি রাশিয়া ও মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশ সফর করেছিলেন।

    ২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদি পৌঁছাবেন ঘানা

    ২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) পৌঁছাবেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানায় এবং ৩ জুলাই পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই প্রথম তিনি আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলে সফর করছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, বিগত ৩০ বছরে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ঘানা সফর করেননি। ঘানার পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, যেখানে তিনি ভারত-ঘানা সম্পর্কের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বাণিজ্য এবং উন্নয়নমূলক নানা সহযোগিতা নিয়ে কথা বলবেন। এছাড়াও তিনি বৈঠক করবেন ঘানার রাষ্ট্রপতি জন মহামা-র সঙ্গে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ভারত সফরে এসে ইন্ডিয়া-আফ্রিকা ফোরাম সামিটে অংশগ্রহণ করেছিলেন জন মহামা।

    ঘানা পশ্চিম আফ্রিকার অন্যতম দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ এবং সোনা রফতানিতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। বর্তমানে ভারত ঘানা থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা আমদানি করে। দুই দেশের মধ্যে এই সফরে অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা, শক্তি এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফর

    ৩ জুলাই মোদি (PM Modi) পৌঁছাবেন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে। এই সফর দুই দিন চলবে। ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এই দ্বীপরাষ্ট্র সফর করছেন। এই দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুজনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত, এবং তাঁরা মোদিকে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে প্রচুর ভারতীয় বংশোদ্ভূত জনগণের বাস বলে জানা যায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি অংশগ্রহণ করবেন একটি যৌথ সংসদ অধিবেশনে। এর পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিশ্বেশ্বর-এর সঙ্গে।

    বৈঠকে ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, ডিজিটাল পরিকাঠামো, কৃষি, দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ইত্যাদি ইস্যুতে আলোচনা হবে। ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ভারতের ইউপিআই (UPI) পেমেন্ট প্রযুক্তি ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছে, যা দুই দেশের ডিজিটাল সহযোগিতার নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।

    আর্জেন্টিনা সফর

    ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) পৌঁছাবেন আর্জেন্টিনা, যেখানে তিনি বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলায়ে-র সঙ্গে। আর্জেন্টিনা ও ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের অন্যতম স্তম্ভ হল পেট্রোলিয়াম পণ্য, অ্যাগ্রোকেমিক্যাল, অর্গানিক কেমিক্যাল, দুই চাকার যানবাহন এবং খনিজ সম্পদ।

    এই সফরে আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে থাকবে, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, টেলিমেডিসিন, পরিকাঠামো উন্নয়ন, খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা। আর্জেন্টিনার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দক্ষিণ আমেরিকায় ভারতের অবস্থানকে আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ব্রাজিল সফরে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন

    ৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদি পৌঁছাবেন ব্রাজিল, যেখানে তিনি অংশগ্রহণ করবেন ১৭তম ব্রিকস (Brics Summit) সম্মেলনে। এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে রিও ডি জেনেইরোতে। ব্রিকস শুরু হবে ৫ জুলাই থেকে চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত।

    ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদি বক্তব্য রাখবেন জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক কাঠামো নিয়ে। মোদি তাঁর বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও তুলে ধরবেন বলে মনে করা হচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার মতো ঘটনা ও ভারতের অপারেশন সিঁদুর উঠে আসবে তাঁর ভাষণে।

    ব্রাজিলে মোদি বৈঠক করবেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা-র সঙ্গে (Brics Summit)। প্রতিরক্ষা, মহাকাশ প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য ও শক্তি সম্পদের উপর আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা চলে সয়াবিন তেল, চিনি, তুলো, কাঠ, কেমিক্যাল এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য নিয়ে। এবারের ব্রাজিল সফর আরও একটি দিক দিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। এবার প্রধানমন্ত্রী মোদি ব্রাজিলে স্টেট ভিসিট বা রাষ্ট্রীয় সফর করবেন।

    মোদির নামিবিয়া সফর

    ৮ জুলাই সফরের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি পৌঁছাবেন নামিবিয়া, যেখানে তিনি বৈঠক করবেন রাষ্ট্রপতি নেতুঙ্গ নন্দি-র সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানাবেন নামিবিয়ার প্রতিষ্ঠাতা নেতা ড. স্যাম নজোমা-কে এবং বক্তব্য রাখবেন সে দেশের সংসদে। নামিবিয়া সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। নামিবিয়া থেকে ভারত সবচেয়ে বেশি হীরা (ডায়মন্ড) আমদানি করে এবং রপ্তানি করে রিফাইনড পেট্রোলিয়াম। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২২ সালে নামিবিয়া থেকে ভারতে আনা হয়েছিল আটটি চিতা, যাদের মধ্যপ্রদেশের একটি অভয়ারণ্যে ছাড়া হয়।

  • Agni-5 Bunker Buster: মার্কিন এমওপি বনাম অগ্নি বাঙ্কার-বাস্টার, মারণশক্তির বিচারে এগিয়ে কে? অঙ্ক কষে তুলনা

    Agni-5 Bunker Buster: মার্কিন এমওপি বনাম অগ্নি বাঙ্কার-বাস্টার, মারণশক্তির বিচারে এগিয়ে কে? অঙ্ক কষে তুলনা

    সুশান্ত দাস

    মার্কিন জিবিইউ-৫৭এ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর (GBU 57A MOP) নাকি ভারতের অগ্নি-৫ বাঙ্কার বাস্টার (Agni-5 Bunker Buster)— কে বেশি শক্তিশালী? কার মারণ ক্ষমতা বেশি? ভারতের সুপার-অস্ত্র কি সত্যি আমেরিকাকেও ছাপিয়ে যাবে? আবেগ নয়, একেবারে অঙ্ক দিয়ে ব্যাখ্যা এবং বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করা হল, দুই শক্তিশালী বোমার ক্ষমতাকে (Agni-5 Bunker Buster vs GBU 57A MOP)।

    জনমানসে ‘বিবি’ নিয়ে বিরাট কৌতুহল

    যবে থেকে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচার হতে শুরু করেছে যে, ভারত নিজস্ব এবং সম্পূর্ণ স্বদেশীয় বিধ্বংসী বাঙ্কার বাস্টার (সংক্ষেপে ‘বিবি’ উল্লেখ করা হয়) তৈরি করছে, তখন থেকেই জনমানসে বিরাট একটা কৌতুহল তৈরি হয়েছে। কাগজ থেকে চ্যানেল, বা পোর্টাল হোক বা সোশ্যাল— সর্বত্র এই নিয়ে জোর চর্চা। শুধু তাই নয়। সদ্য ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন বোমারু বিমান বি-২ থেকে নিক্ষিপ্ত বাঙ্কার বাস্টার জিবিইউ-৫৭এ বোমা নাকি ভারতের অগ্নি বাঙ্কার-বাস্টার, কোনটা বেশি শক্তিশালী তা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। কিন্তু, সেই সব আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক একটা বিষয়তেই সীমাবদ্ধ। তা হল ওজন দিয়ে তুলনা। আবার সেটাও সঠিকভাবে করা হচ্ছে না। ফলে, যুক্তির থেকে সেখানে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে আবেগ। অঙ্কের থেকে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে দেশপ্রেম। কিন্তু, এই দুই ভিন্ন বোমার তুল্যমূল্য বিচার করতে হলে আগে জানতে হবে কতটা বিস্ফোরক আছে? হিসেব করতে হবে বেগ। তার পর গণনা করতে হবে কতটা শক্তি উৎপন্ন করছে এই বোমাগুলি। সেই সব করে তুলনা টানা সম্ভব হবে।

    তুল্যমূল্য বিশ্লেষণ শুরুর আগে, প্রথমেই বলে রাখা দরকার, এই দুই বোমা, অর্থাৎ জিবিইউ-৫৭এ এবং অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার— একেবারে ভিন্ন চরিত্রের। এর প্রধান কারণ হল, মার্কিন ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর আদতে একটি বোমা। অন্যদিকে, অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার একটি মডিফায়েড ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

    বোমা বনাম ক্ষেপণাস্ত্র

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক জিবিইউ-৫৭এ বোমা ঠিক কীভাবে কাজ করে। বোমারু বিমানে চাপিয়ে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে একে স্রেফ ড্রপ বা ফেলে দেওয়া হয়। অর্থাৎ, একে বিমানে বহন করে লক্ষ্যের কাছে পর্যন্ত পৌঁছে নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে ফেলা হয়। এর পিছনে কোনও রকেট/মিসাইল ইঞ্জিন নেই। ফলে, লাগে না কোনও জ্বালানির। স্রেফ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ওপর ভর করে এটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে যাতে এটি পৌঁছতে পারে, তার জন্য ছোট ডানা (ফিন) এবং পিছনে প্রপেলার আছে, যা একে দিশা দেয়। ফলে, বাতাসে কার্যত ভেসে এটি দ্রুত গতিতে নামতে থাকে। ভারী হওয়ায় এটি বিপুল গতি উৎপন্ন করে, যা পড়তে পড়তে ক্রমশ বাড়তে থাকে। একটি জিবিইউ-৫৭এ বোমায় বিস্ফোরক থাকে ২,৩০০ কেজির মতো। তবে, গোটা বোমার ওজন যা নেমে আসে, তা প্রায় ১৩,৫০০ কেজির মতো।

    অন্যদিকে, এবার দেখে নেওয়া যাক ভারতের অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার ঠিক কেমন। অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার একটি মডিফায়েড ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ভারতের অগ্নি-৫ হল পরমাণু অস্ত্রবহণে সক্ষম ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা ইন্টার-কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম)। এর পাল্লা ৫ হাজার কিলোমিটার। কিন্তু, ভারতের ডিআরডিও- বিজ্ঞানীরা ওই ক্ষেপণাস্ত্রে বদল ঘটিয়ে এর একটি বাঙ্কার বাস্টার ভেরিয়েন্ট তৈরি করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রে দুই প্রধান বদল করা হয়েছে। এর ওয়ারহেড বা বিস্ফোরকের পরিমাণ বাড়িয়ে পাল্লা বা দূরত্ব কমানো হয়েছে। যেখানে অগ্নি-৫ আইসিবিএমের ওয়ারহেড ৩ থেকে ৪ হাজার কেজি, সেখানে অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার সংস্করণটির ওয়ারহেডে ৭,৫০০ কেজি সাধারণ বা অপারমাণবিক বিস্ফোরক বহন করা যায়। ফলে, এর পাল্লা ৫০০০ থেকে কমে ২৫০০ করা হয়েছে।

    অগ্নি-৫ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ওজন (নিক্ষেপের সময়) ৫০ থেকে ৫৬ হাজার কেজি। কারণ, এতে কঠিন জ্বালানি থাকে। থাকে থ্রি-স্টেজ বা তিন-স্তরের রকেট, যা ক্ষেপণাস্ত্রটিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে এটি আবার প্যারাবোলিক কার্ভ বা পরাবৃত্তীয় বক্ররেখা পথ অনুসরণ করে ফিরে আসে এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আছড়ে পড়ে। তবে, নিচে নামার সময় গোটা ক্ষেপণাস্ত্র থাকে না। বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে পৌঁছে রকেটের মতো এরও স্টেজ সেপারেশন হয়। অর্থাৎ, নামার আগে স্টেজ সেপারেশন হওয়ার সময় এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাথার (ওয়ারহেড থাকে যেখানে) অংশ বাকি অংশের থেকে আলাদা হয়ে যায়। অগ্নি সিরিজের সব সংস্করণের কার্যপদ্ধতি একই রকম। ধরে নেওয়া যেতে পারে, সাড়ে সাত হাজার বিস্ফোরক সমেত বাঙ্কার-বাস্টার সংস্করণটির ওজন সেই সময় দাঁড়াবে আনুমানিক ১০ থেকে ১২ হাজার কেজি।

    তফাত গড়ে দেয় বেগ

    এতো গেল ওজনের কথা। এবার আসা যাক, দ্বিতীয় তথা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরের বিষয়ে। তা হল বেগ। সংবাদমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই বোমা যখন নেমে আসে তখন এর বেগ প্রায় মাক ৩। অর্থাৎ বাতাসে শব্দের গতির ৩ গুণ। অন্যদিকে, অগ্নি-৫ যখন নামে তখন তার বেগ দাঁড়ায় মাক ২০। অর্থাৎ, শব্দের গতির ২০ গুণ! স্পষ্ট, আছড়ে পড়ার সময় প্রবল হাইপারসনিক মোড-এ চলে যায়। আর, এই বেগই ফারাক গড়ে দেয়। সাধারণ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পক্ষে একে কোনওভাবে আটকানোর ক্ষমতা নেই। এমনকী, এস-৪০০ বা তার সমগোত্রীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পক্ষেও একে রোখা দুঃসাধ্য।

    দুটি ফ্যাক্টর— অর্থাৎ ওজন বা ভর এবং বেগ — এই দুইয়ের তুল্যমূল্য পরিসংখ্যান তো মিলল। কিন্তু, মারণক্ষমতা! সেটা পেতে ভর এবং বেগের প্রয়োজন হবে। তার আগে, এটা বুঝে নেওয়া যাক, একটি কনভেনশনাল বা অপারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষমতা নির্ভর করে সে কতটা শক্তি উৎপন্ন করতে সক্ষম। যা আবার নির্ভর করে ভর ও বেগের সমীকরণের ওপর। কাইনেটিক এনার্জি (কেই) বা গতিশক্তির একক হচ্ছে জুল। আর এই গতিশক্তিকে ধরে বের করতে হয় মারণ ক্ষমতা। গণিতের ফর্মুলা অনুযায়ী, কোনও বস্তুর গতিশক্তি বের করতে হলে, প্রথমে বস্তুটির মাস বা ভরের অর্ধেক বের করতে হবে। সেই সংখ্যাকে বস্তুর ভেলোসিটি বা বেগের বর্গফলের সঙ্গে গুণ করতে হবে। যে সংখ্যা প্রাপ্ত হবে, সেটাই ওই বস্তুর কাইনেটিক এনার্জি বা গতিশক্তি। এখানে ভর ধরা হবে কিলোগ্রামের হিসেবে, আর বেগ মাপা হবে মিটার প্রতি সেকেন্ড হিসেবে। অর্থাৎ, গতিশক্তি = ১/২ * m * v²। এখানে, m = বস্তুর ভর, v = বস্তুর বেগ। 

    আসল তুলনা, কার শক্তি কতটা?

    প্রথমে জিবিইউ-৫৭এ এমওপি-র গতিশক্তি দেখে নেওয়া যাক। ওজন – ১৩৫০০ কেজি বা ১৩.৫ টন। বেগ – মাক ৩ বা প্রতি সেকেন্ডে ১০২৯ মিটার (বাতাসে শব্দের গতি = ৩৪৩ মিটার/সেকেন্ড। যাকে ‘মাক ১’ বলা হয়)। ফলে, এর কাইনেটিক এনার্জি বা গতিশক্তি দাঁড়াবে: ৬৭৫০ * ১০৫৮৮৪১ = ৭১৪৭১৭৬৭৫০ জুল বা ৭.১৪ গিগাজুল। যা ১.৭ টন টিএনটির সমতুল্য। ফলে, জিবিইউ-৫৭এ এমওপি-র ইমপ্যাক্ট পাওয়ার (বিস্ফোরণের প্রতিঘাতে তৈরি হওয়া শক্তি) বা মারণ ক্ষমতা হল ৭.১ + ১৩.৫ = ২০.৬ টন টিএনটির সমতুল্য।

    এবার দেখে নেওয়া যাক, অগ্নি-৫ বাঙ্কার বাস্টারের গতিশক্তি। ওজন – ১০০০০ কেজি বা ১০ টন। বেগ – মাক ২০ বা প্রতি সেকেন্ডে ৬৮৬০ মিটার। ফলে, এর কাইনেটিক এনার্জি বা গতিশক্তি আনুমানিক: ৫০০০ * ৪৭০৫৯৬০০ = ২৩৫২৯৮০০০০০০ জুল বা ২৩৫ গিগাজুল। যা ৫৬ টন টিএনটির সমতুল্য। ফলে, অগ্নি-৫ বাঙ্কার বাস্টারের মারণ ক্ষমতা হল ৫৬ + ১০ = ৬৬ টন টিএনটির সমতুল্য।

    তিনগুণ বেশি মারণ ক্ষমতা ভারতের অগ্নি-র

    পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, মার্কিন এমওপি-কে একেবারে কার্যত উড়িয়ে দেবে ভারতের অগ্নি-৫ বাঙ্কার বাস্টার। আবেগ নয়, একেবারে অঙ্ক কষে বলা হচ্ছে, ভারতের অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার মার্কিন এমওপি-র তুলনায় কতটা বেশি শক্তিশালী হতে চলেছে। যে কারণে, ডিআিডিও জোরালো দাবি, ভারতের বাঙ্কার বাস্টার মাটির ৮০ থেকে ১০০ মিটার গভীর পর্যন্ত শক্ত কংক্রিটের নিচে লুকানো শত্রুপক্ষের বাঙ্কার, কমান্ড সেন্টার, ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি বা পারমাণবিক পরিকাঠামো ধ্বংস করতে সক্ষম। এখন ভারত কবে এই বাঙ্কার বাস্টারের পরীক্ষা করে, সেটাই দেখার।

  • RailOne: টিকিট বুকিং থেকে খাবার অর্ডার, মিলবে এক অ্যাপেই, ‘রেলওয়ান’-এর উদ্বোধন করলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব

    RailOne: টিকিট বুকিং থেকে খাবার অর্ডার, মিলবে এক অ্যাপেই, ‘রেলওয়ান’-এর উদ্বোধন করলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রী সুবিধার্থে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করল রেল। মঙ্গলবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ‘রেলওয়ান’ (RailOne) নামের নতুন মোবাইল অ্যাপ লঞ্চ করলেন। এতদিন পর্যন্ত রেলওয়ের বিভিন্ন পরিষেবা ব্যবহারের জন্য একাধিক অ্যাপ বা পোর্টালের প্রয়োজন হত। তবে ‘রেলওয়ান’ অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীরা সমস্ত রকম পরিষেবা এক প্ল্যাটফর্মেই সহজে পেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।

    যাত্রীদের জন্য সহজ হবে ভ্রমণ (RailOne)

    এই নতুন অ্যাপে সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত টিকিট বুকিং, প্ল্যাটফর্ম টিকিট কাটার সুবিধা, ট্রেনের পিএনআর অনুসন্ধান, যাত্রাপথ সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য জানা, এমনকি ট্রেনযাত্রার (RailOne) আগে থেকেই খাবার অর্ডার দেওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটি ভারতীয় রেলের পরিষেবাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। রেলওয়ে আধিকারিকদের মতে, এই অ্যাপের মূল লক্ষ্য হল যাত্রীদের ভ্রমণ আরও সহজ, সুন্দর ও ঝামেলা-মুক্ত করে তোলা। রেলওয়ে (RailOne App) যাত্রীরা যেন তাঁদের সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবা হাতের মুঠোয় পান, সেদিকেই নজর দেওয়া হয়েছে।

    অ্যাপটি কীভাবে ডাউনলোড করবেন?

    অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘RailOne’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন।

    অ্যাপে লগইন প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সহজ করা হয়েছে।

    এতেও R-Wallet নামক একটি ডিজিটাল ওয়ালেট যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে সংরক্ষিত টিকিট কাটলে যাত্রীরা ৩ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন।

    ‘রেলওয়ান’ অ্যাপের প্রধান ফিচারসমূহ এক নজরে

    সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত টিকিট বুকিং

    যাত্রীরা এই অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই সংরক্ষিত (Reserved) ও অসংরক্ষিত (Unreserved) ট্রেন টিকিট বুক করতে পারবেন।

    প্ল্যাটফর্ম টিকিট বুকিং

    স্টেশনে প্রবেশ করার জন্য প্ল্যাটফর্ম টিকিট কাটার দরকার হলে, সেটিও এই অ্যাপের মাধ্যমেই করা যাবে।

    ট্রেন সম্পর্কিত তথ্য ও জিজ্ঞাসা

    ট্রেনের সময়সূচি, নির্দিষ্ট ট্রেন কোথায় আছে, কত নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসবে, দেরি হচ্ছে কি না—এইসব প্রশ্নের উত্তর এই অ্যাপ থেকে সহজেই জানা যাবে।

    নিজের পিএনআর স্ট্যাটাস পরীক্ষা

    বুকিংয়ের পরে টিকিট কনফার্ম হয়েছে কি না, ওয়েটিং আছে কি না, এসব জানার জন্য আলাদা কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। শুধু পিএনআর নম্বর দিলেই অ্যাপেই দেখা যাবে স্ট্যাটাস।

    যাত্রাপথ ও ভ্রমণ পরিকল্পনায় সহায়তা

    যাত্রীরা কোন স্টেশন থেকে কোথায় যাবেন, কোন ট্রেন ধরবেন, টাইমিং কী—এসব নিয়ে যদি দ্বিধা থাকে, তাহলে অ্যাপটি পরিকল্পনা করতেও সাহায্য করবে।

    রেলের হেল্পডেস্ক ও সহায়তা পরিষেবা

    যাত্রাপথে কোনও সমস্যা হলে অ্যাপ থেকেই সরাসরি অভিযোগ দায়ের বা হেল্পডেস্কে যোগাযোগ করা যাবে।

    ট্রেনে আগাম খাবার বুকিং

    যাত্রীরা রওনা হওয়ার আগেই তাঁদের পছন্দের খাবার অর্ডার দিতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট স্টেশনে সেই খাবার তাদের আসনে পৌঁছে দেওয়া হবে।

LinkedIn
Share