Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Jagannath Mandir: সংস্কারের পর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারে ফিরল রত্নালঙ্কার

    Jagannath Mandir: সংস্কারের পর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারে ফিরল রত্নালঙ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরী জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Mandir) রত্নভান্ডার সংস্করণের পরে এবার সরিয়ে নেওয়া মূল্যবাণ রত্নালঙ্কার ফেরানো হল রত্নভান্ডারেই। চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নিরাপত্তারক্ষীদের অভিযানে শ্রীশ্রী পুরীধামের মন্দিরের মূল্যবান অলঙ্কার এবং ধনরত্নগুলিকে পুনরায় যথাযথভাবে পুরনো জায়গায় রাখা হয়েছে। জগন্নাথধামে ২০২৪ সালে রত্নগুলোকে (Ratna Bhandar) একটি স্ট্রংরুমে সুরক্ষিত রেখে রত্নভান্ডারের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছিল। এবার ২০২৫ সালের জুলাই মাসে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (ASI) বিশেষ সমীক্ষা চালায়। আর তারপর চলতি সপ্তাহে ধর্মীয় যথাযথ নিয়ম কঠোরভাবে পালন করে, সরকারের বিধিনিষেধ মেনে সমস্ত সম্পত্তি সংরক্ষণ করা হয়েছে। রত্নভান্ডারের সমস্ত মূল্যবান সামগ্রীকে পুনরায় স্থাপানা করে ভিডিওগ্রাফি করে সিল করা হয়েছে।

     ভক্তদের মধ্যে বিশ্বাসের পুনরুদ্ধার (Jagannath Mandir)

    একেই বলে যেই কথা সেই কাজ। ওড়িশায় সরকারে আসার আগেই রত্নভান্ডার খোলা নিয়ে বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখেই স্বচ্ছতার সঙ্গে এই সংস্করণের কাজ করেছে প্রশাসন। মন্দিরে (Jagannath Mandir) গত ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০.৫৫ মিনিটে শুরু হয় রত্নালঙ্কারগুলির পুনর্স্থাপনের অভিযান এবং দুপুর ২.৫৫ মিনিটে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে প্রতিস্থাপন করার এই বিশেষ অভিযানটি চালানো হয়। শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রধান প্রশাসক ড. অরবিন্দ কুমার পাধী বলেছেন, “রত্নভান্ডারের এই সংস্কারটি ১৯৬০ সালের শ্রী জগন্নাথ মন্দির বিধিমালার বিধান এবং রাজ্য সরকারের দ্বারা অনুমোদিত নির্দেশিকা অনুসারেই করা হয়েছে। সমস্ত অলংকারগুলিকে মন্দিরের শয়নকক্ষের পাশেই অস্থায়ী স্ট্রংরুমে রাখা হয়েছিল। সেই সঙ্গে মূল্যবান ধন-রত্নগুলিকে ফুলঘরে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। এই রত্নভান্ডার দেশের অন্যতম পবিত্র এবং সুরক্ষিত ভান্ডার (Ratna Bhandar)। এখানেই ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র, দেবী সুভদ্রার অলঙ্কার এবং নৈবেদ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। রত্নগুলি নিজের স্থায়ীগৃহে ফিরিয়ে আসায় কেবল পুনরুদ্ধার হয়নি বরং ভক্তদের মধ্যে বিশ্বাস এবং আস্থার জায়গাও ফিরে এসেছে।”

    বিশেষ পোশাকে সজ্জিত হয়ে গোটা সংস্কারের কাজ

    রত্নভান্ডার (Ratna Bhandar) -এর ঐতিহ্য এবং পরম্পরা মেনে যথারীতি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহাপ্রভুর আশীর্বাদ নিয়ে শ্রী জগন্নাথের (Jagannath Mandir) সামগ্রীকে স্থানান্তরিত করা হয়। মন্দিরের রত্নভান্ডারের যে কমিটি রয়েছে এবং উচ্চ পর্যায়ের এএসআই সমীক্ষার কমিটির সকল সদস্য এদিন বিশেষ পোশাকে সজ্জিত হয়ে গোটা সংস্কারের কাজটি সুসস্পন্ন করেন। কোষাগার থেকে প্রাপ্ত চাবি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই অস্থায়ী স্টংরুম খোলা হয়। এরপর উদ্ধারকৃত সামগ্রী রত্নভান্ডারে রাখার পর কাজ শেষ হলে কক্ষটিকে তালাবদ্ধও করা হয়।

  • BSF Drone Commando: মধ্যপ্রদেশে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বিএসএফের ড্রোন কমান্ডোদের প্রথম ব্যাচ, কমিশন নবরাত্রিতেই

    BSF Drone Commando: মধ্যপ্রদেশে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বিএসএফের ড্রোন কমান্ডোদের প্রথম ব্যাচ, কমিশন নবরাত্রিতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রি, দুর্গাপুজো, দিওয়ালি, কালীপুজো উৎসবের মরসুমেও সতর্ক ভারতীয় সেনা। আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যেই বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)-এর নতুন ড্রোন ওয়ারফেয়ার স্কুল (newly established Drone Warfare School) থেকে প্রথম ব্যাচের ৪৭ জন জওয়ান ড্রোন কমান্ডো হিসেবে প্রশিক্ষণ শেষ করে পাস আউট করবেন। মধ্যপ্রদেশের টেকানপুরে (Tekanpur, Madyapradesh) এখন তার প্রস্তুতি তুঙ্গে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (Border Security Force) ৪৭ জন কমান্ডো অফিসারের প্রশিক্ষণ চলছে সেখানে। এই প্রশিক্ষণ অবশ্য ভিন্ন ধরনের। কমান্ডোর ক্ষিপ্রতায় ড্রোন পরিচালনার কৌশল শেখানো হচ্ছে তাঁদের (Drone Commandos)।

    ড্রোন নিয়েই লড়বেন কমান্ডোরা

    বিএসএফের ওই অ্যাকাডেমির অতিরিক্ত ডিজি শামশের সিং জানিয়েছেন, শত্রুর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জওয়ান, অফিসারেরা রাইফেল, লাইট মেশিনগান ব্যবহার করে থাকেন। এবার থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ৪৭ কমান্ডো অফসার লড়াই করবেন ড্রোন নিয়ে। তাঁদের কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেওয়া আছে। লড়াইয়ের সময় ড্রোনকে তারা শত্রুর বিরুদ্ধে কমান্ডোর ক্ষিপ্রতায় ব্যবহার করবেন। তারই প্রশিক্ষণ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। বিএসএফ সূত্রে বলা হচ্ছে, ড্রোন কমান্ডার নিয়ে ভাবনাচিন্তার শুরু অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর। ওই লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা হল, যুদ্ধের কৌশলে আমূল পরিবর্তন আনা দরকার। তাই বিমান বাহিনীর মতো সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও ড্রোন লড়াইয়ের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের ট্রেনিং সেন্টারে যে ৪৭ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে দুর্গাপুজো বা নবরাত্রির মধ্যে সীমান্তে তাঁদের মোতায়েন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) নবরাত্রির (Navaratri) একদিন সীমান্তে সেনা, সীমান্ত রক্ষীদের শিবিরে কাটান। বিএসএফের যে কোনও সীমান্ত পোস্টে তিনি ড্রোন কমান্ডোদের সঙ্গে মিলিত হতে পারেন।

    ড্রোন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক

    ইতিমধ্যেই জওয়ান এবং আধিকারিকদের জন্য ড্রোন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে বিএসএফ ৷ তার ফলে এখন থেকে বাহিনীর ২ লাখ ৭০ হাজার সদস্যকেই ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে হবে ৷ পাশাপাশি শত্রুদের দিক থেকে আসা ড্রোন কীভাবে প্রতিহত করতে হবে সেটাও শিখতে হবে তাঁদের ৷ অপারেশন সিঁদুরের পর বাহিনীর কর্তাদের মনে হয়েছে আধুনিক পৃথিবীতে সামরিক সংঘাতের গতি-প্রকৃতি যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে তাতে বিএসএফের জওয়ান থেকে শুরু করে সকলেরই ড্রোন সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা আবশ্যক ৷ আর তাই মধ্যপ্রদেশে বাহিনীর যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেখানে ড্রোন সংক্রান্ত কৌশল শেখাতে একটি বিশেষ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে একমাত্র বিএসএফেরই নিজস্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে ৷

    ড্রোন প্রশিক্ষণের নানা পদ্ধতি

    নতুন ড্রোন যুদ্ধবিদ্যা স্কুলে জওয়ানদের ড্রোন ওড়ানো, নজরদারি, আক্রমণ এবং শত্রুপক্ষের ড্রোন প্রতিরোধের কৌশল শেখানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে সিনিয়র অফিসারদের জন্যও ড্রোন যুদ্ধকৌশল সংক্রান্ত একটি বিশেষ কোর্স চালু করা হবে। শামশের সিং বলেন, “অপারেশন সিন্দুর এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের শিখিয়েছে যুদ্ধ শুধু ট্যাঙ্ক আর রাইফেলের নয়, এখন এটি আকাশপথেও হচ্ছে। আমাদের জওয়ানরা যেমন মাত্র ১৫ সেকেন্ডে একটি ইনসাস রাইফেল খুলে আবার জোড়ার দক্ষতা রাখে, তেমনি আমরা চাই ড্রোনকেও তারা যেন তাদের ব্যক্তিগত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।” এই স্কুলে দুটি মূল প্রোগ্রাম চালু হয়েছে— ‘ড্রোন কমান্ডো’ (জওয়ানদের জন্য) এবং ‘ড্রোন ওয়ারিয়র’ (অফিসারদের জন্য)। স্কুলটি তিনটি শাখায় বিভক্ত— ফ্লাইং অ্যান্ড পাইলটিং, ট্যাকটিক্স (প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ কৌশল) এবং গবেষণা ও উন্নয়ন। প্রশিক্ষণের বিষয়ে স্কুলের ট্রেনিং প্রধান ব্রিগেডিয়ার রুপিন্দর সিং জানান, কোর্সে ফ্লাইং, কারিগরি এবং কৌশলগত বিভিন্ন মডিউল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিএসএফ অ্যাকাডেমির আইজি উমেদ সিং জানান, সব প্রশিক্ষণ কোর্সেই এখন থেকে ড্রোন সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

  • Airspace Ban on Pakistan: পাকিস্তানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি করল ভরত

    Airspace Ban on Pakistan: পাকিস্তানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি করল ভরত

    মাধ্যম নিউ ডেস্ক: পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা (Airspace Ban on Pakistan) বন্ধই রাখল ভারত। এই নিয়ে একটি নতুন নোটাম (NOTAM) জারি করে ভরত আবারও পাকিস্তানের-নিবন্ধিত বিমানের আকাশসীমা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। জারি করা নোটাম অনুসারে, এই নিষেধাজ্ঞা কেবল পাকিস্তানি এয়ারলাইন্সের বিমানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে না, বরং পাক অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত বিমান বা ভাড়া করা বিমান এমনকি সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

    পাক বিমানের জন্য ভারতের আকাশসীমা বন্ধ

    আবারও পাকিস্তানের-নিবন্ধিত বিমানের (Airspace Ban on Pakistan) আকাশসীমা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। জারি করা NOTAM অনুসারে, এই নিষেধাজ্ঞা কেবল পাকিস্তানি এয়ারলাইন্সের বিমানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে না, বরং পাকিস্তানি অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত বিমান বা ভাড়া করা বিমান এমনকি সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পাল্টা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ করেছে ভারত। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ভিসা। এই আবহে পাকিস্তানের জন্য বন্ধ করা হয়েছে আকাশসীমা।

    আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি

    পহেলগাঁও হামলার পরেই ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করেছিল পাকিস্তানও। সেই মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়েছে ইসলামাবাদ। এই নিয়ে ছ’বার ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে পাকিস্তান। শুক্রবারই নতুন করে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ (Airspace Ban on Pakistan) রাখার সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে ইসলামাবাদ। এই নিয়ে একটি নতুন নোটাম (NOTAM) জারি করে পাকিস্তান এয়ারপোর্ট অথরিটি। ওই নোটাম বা নোটিস টু এয়ারম্যানে জানানো হয়েছে, আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই সময় পর্যন্ত ভারতের কোনও বিমান পাকিস্তানের ওপর দিয়ে যেতে পারবে না। এবার ভারতও একই সিদ্ধান্ত নিল। এই নিয়ে ষষ্ঠবার দুই দেশ একে অপরের জন্য আকাশসীমা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল। উল্লেখ্য,গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। এর পর থেকেই উভয় দেশ একে অপরের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে ভারত ও পাকিস্তান প্রতি মাসে পারস্পরিক বন্ধের সময়সীমা বাড়িয়েছে।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তকে কেন আটকেছিল পুলিশ? কলকাতা বিমানবন্দরের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ লোকসভার সচিবালয়ের

    Sukanta Majumdar: সুকান্তকে কেন আটকেছিল পুলিশ? কলকাতা বিমানবন্দরের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ লোকসভার সচিবালয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা সফরের দিন বিমানবন্দরে কেন আটকানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে জানতে চাইল লোকসভার সচিবালয়। সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল? এবার তা জানতে চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যকে রিপোর্ট তলব করবে। ১৫ দিনের মধ্যে এই নিয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ তুলে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দেওয়ার পর এই পদক্ষেপ করেছে লোকসভার সচিবালয়। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে।

    সুকান্তর অভিযোগ

    ওম বিড়লাকে লেখা চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে তিনি গত ১৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। কিন্তু, বিমানবন্দরে প্রথম ব্যারিকেডেই তাঁর গাড়ি আটকান একজন সাব ইন্সপেক্টর এবং একজন কনস্টেবল। কিন্তু, একই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুজিত বসুর গাড়িকে ৪ নম্বর ভিভিআইপি গেট দিয়ে যেতে দেওয়া হয়। কোনও বাধাই দেওয়া হয়নি। সুকান্ত চিঠিতে আরও লেখেন, তাঁকে আটকানোর কারণ জানতে চাইলে ওই পুলিশকর্মীরা জানান, বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার ঐশ্বর্য সাগরের নির্দেশে এই কাজ করেছেন। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, এতে স্পষ্ট যে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে আটকানো হয়েছে। স্বাধিকার ভঙ্গ ও লোকসভার মর্যাদাহানির অভিযোগ করেন তিনি। এই নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।

    শোকপ্রকাশ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর

    মঙ্গলবার সকালে জলমগ্ন কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘শহর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই শোকের সময় নিহতদের পরিবারবর্গের প্রতি জানাই আমার আন্তরিক সমবেদনা।’’ সেই সঙ্গে তিনি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কাছে অনুরোধ করেছেন, সাময়িক ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্রুত উদ্ধারকার্য শুরু করতে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের কাছেও আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

  • Ujjwala Yojana: চলতি অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় আরও ২৫ লাখ এলপিজি সংযোগ

    Ujjwala Yojana: চলতি অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় আরও ২৫ লাখ এলপিজি সংযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি অর্থবর্ষে (২০২৫–২৬) প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা (PMUY)-এর আওতায় অতিরিক্ত ২৫ লাখ এলপিজি সংযোগ (New LPG Connections) দেওয়া হবে। সোমবারই একথা ঘোষণা করেছে শক্তি ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক। এর ফলে উজ্জ্বলা যোজনার (Ujjwala Yojana) আওতায় মোট সংযোগের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০.৫৮ কোটিতে। এই সংযোগের জন্য সরকার মোট ৬৭৬ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে ৫১২.৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে ২৫ লক্ষ জামানতমুক্ত সংযোগ প্রদানে (প্রতি সংযোগের জন্য ২,০৫০ টাকা হারে) এবং ১৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ভর্তুকি হিসেবে। মনে রাখতে হবে, ১৪.২ কেজির প্রতিটি গৃহস্থ এলপিজি সিলিন্ডারে ৩০০ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়া হবে। একজন গ্রাহক বছরে সর্বোচ্চ ৯ বার এই ভর্তুকি পেতে পারবেন। ৫ কেজির সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে ভর্তুকির পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে নির্ধারিত হবে।

    প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা (Ujjwala Yojana)

    প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় উপভোক্তারা পান একটি ডিপোজিট-মুক্ত এলপিজি সংযোগ। এর মধ্যে থাকে সিলিন্ডারের সুরক্ষা বাবদ জামানত, প্রেশার রেগুলেটর, সুরক্ষা হোস, ডোমেস্টিক গ্যাস কনজিউমার কার্ড বুকলেট এবং ইনস্টলেশন চার্জ। প্রথমবারের রিফিল এবং ওভেনও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। উপভোক্তাদের এলপিজি সংযোগ, প্রথম রিফিল কিংবা ওভেনের জন্য কানাকড়িও দিতে হয় না।

    সিলিন্ডার সংযোগ বেছে নেওয়ার সুযোগ

    উপভোক্তারা চাইলে ১৪.২ কেজি একক সিলিন্ডার সংযোগ, ৫ কেজি একক সিলিন্ডার সংযোগ অথবা ৫ কেজি ডাবল সিলিন্ডার সংযোগ বেছে নিতে পারেন। আরও স্বচ্ছতা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে এই যোজনার আওতায় এলপিজি সংযোগ পাওয়ার প্রক্রিয়াটি সহজীকরণ ও প্রযুক্তি-নির্ভর করা হয়েছে বলে মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে (Ujjwala Yojana)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের মে মাসে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ৮ কোটি জামানত-মুক্ত এলপিজি সংযোগ দেওয়া। বাকি দরিদ্র পরিবারগুলির জন্য ২০২১ সালের অগাস্টে চালু করা হয় উজ্জ্বলা ২.০। পরে সরকার অতিরিক্ত ৬০ লাখ সংযোগ (New LPG Connections) অনুমোদন করে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আরও ৭৫ লাখ সংযোগ দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত পিএমইউওয়াই সংযোগ দেওয়া হয়েছে ১০.৩৩ কোটিরও বেশি (Ujjwala Yojana)।

  • Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীর খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হয়ে যাবে,” মরক্কোয় বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীর খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হয়ে যাবে,” মরক্কোয় বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (POK) খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হয়ে যাবে।” অন্তত এমনই দাবি করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য আক্রমণ করার প্রয়োজনও পড়বে না। তাঁর দাবি, ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবি তুলেছেন সেখানকার মানুষই।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Rajnath Singh)

    দু’দিনের সফরে রবিবার মরক্কোয় গিয়েছেন রাজনাথ। সেখানে তিনি দেখা করেন সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে। সেই সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর খুব শীঘ্রই ভারতের অংশ হবে। সেখানকার মানুষ ইতিমধ্যেই সেই দাবি তুলতে শুরু করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “পাঁচ বছর আগে আমি কাশ্মীর উপত্যকায় ভারতীয় সেনার এক অনুষ্ঠানে বলেছিলাম পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে আমাদের আক্রমণ করার প্রয়োজন নেই। ওটা এমনিতেই আমাদের হবে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাই বলবেন, আমরা ভারতের অংশ। ওই দিন আসতে চলেছে।” রাজনাথ বলেন, “সেখানকার মানুষই বর্তমান প্রশাসনের কাছে স্বাধীনতার দাবি তুলেছেন। পিওকের সেই স্লোগান আপনারাও নিশ্চয়ই শুনেছেন।”

    ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ

    ভারত বরাবরই পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে আসছে। কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রীকেও বলতে শোনা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। গত বছর এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বলেছিলেন, “পিওকে (পাক অধিকৃত কাশ্মীর) কখনওই ভারতের বাইরের অংশ ছিল না। সেটি এই দেশের অংশ। ভারতীয় সংসদের একটি রেজোলিউশন রয়েছে, যাতে বলা আছে, পিওকে ভারতেরই অংশ। এখন অন্যের কাছে পিওকের নিয়ন্ত্রণ কী করে গেল, তা আলোচনার বিষয়।”

    কী বললেন রাজনাথ

    এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ৭ মে অপারেশন সিঁদুর চালানোর সময় পিওকে দখলের সুযোগ হাতছাড়া করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। বিভিন্ন বিরোধী দলের বহু নেতা সমালোচনা করেছিলেন এই বলে যে ভারত একাধিক পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার পরেও যখন ভারতের প্রাধান্য ছিল, তখন কেন্দ্র কেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হল। তাঁদের দাবি ছিল, তখন পাকিস্তান অধিকৃত ভূখণ্ড দখল করার যথেষ্ট সুযোগ ছিল।”

    গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

    প্রসঙ্গত (Rajnath Singh), মরক্কোয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেরেশিদে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমসের নয়া উৎপাদন কারখানার উদ্বোধন করবেন। এখানে হুইলড আর্মার্ড প্ল্যাটফর্ম ৮*৮ তৈরি হবে। এটি আফ্রিকায় ভারতের প্রথম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হবে। রাজনাথ মরক্কোর নয়া (POK) উৎপাদন কেন্দ্রটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁর মতে, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উপস্থিতিকে প্রতিফলিত করে। উল্লেখ্য, এটি ভারতের কোনও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মরক্কো সফরের প্রথম ঘটনা। তিনি মরক্কোর প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদেলতিফ লৌদিয়ির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন।

    মউ স্বাক্ষর

    রাজনাথের এই সফরে ভারত ও মরক্কো প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি মউ স্বাক্ষর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও প্রসারিত ও গভীর করার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দেবে, যার মধ্যে থাকবে বিনিময়, প্রশিক্ষণ ও শিল্পখাতের সংযোগ। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজগুলি নিয়মিতভাবে কাসাব্লাঙ্কা বন্দরে নোঙর করছে। এই চুক্তি সেই সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।

    অপারেশন সিঁদুর

    অপারেশন সিঁদুর নিয়েও মুখ খুলেছেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “চাইলে আমরা (পাকিস্তানের) যে কোনও সেনাঘাঁটি বা লোকালয়ে হানা দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেটা চাইনি। ভারতকে আমরা নীতিবিচ্যুত হতে দিইনি।” পহলেগাঁওয়ে ধর্ম পরিচয় জেনে জঙ্গিরা গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাজনাথ বলেন, “আমরা কাউকে ধর্ম পরিচয়ের জন্য হত্যা করিনি। হত্যা করেছি তাদের কাজকর্মের জন্য।” অপারেশন সিঁদুর ফের যে কোনও দিন শুরু হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “ভারত যে কোনও সময় অপারেশন সিঁদুরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপ শুরু করতে পারে। পাকিস্তান যদি জঙ্গি হামলা চালানোর বা অনুপ্রবেশকারীদের পাঠানোর সাহস দেখায়, তাহলে ভারত আবারও অপারেশন সিঁদুর শুরু করতে দ্বিধা করবে না (POK)।”

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সেখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই, মিলছে না প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও। বেহাল দশা শিক্ষা ব্যবস্থার। তার ওপর চাপানো হয়েছে মোটা অঙ্কের কর। তাই তাঁরা পাক সরকারের শাসনে থাকতে রাজি নন (Rajnath Singh)।

  • SIR: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এসআইআর-এর সব প্রস্তুতি শেষ করতে হবে, নির্দেশ কমিশনের

    SIR: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এসআইআর-এর সব প্রস্তুতি শেষ করতে হবে, নির্দেশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে হবে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR)। প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নিয়ে ইতিমধ্যে প্রস্তুত থাকতে বলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সাফ কথা, ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখের মধ্যেই সব রাজ্যের সিইও দফতরগুলিতে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলতে হবে। দেশজুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের চারটি মূল উদ্দেশ্যে। প্রথম) মৃত ভোটারদের নাম বাদ। দ্বিতীয়) একাকধিক জায়গায় একই ব্যক্তির নাম থাকলে বাদ। তৃতীয়) ঠিকানা বদল হয়েছে এমন ব্যক্তির নাম বাদ। এবং চতুর্থ) অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিয়ে নিবিড় সংশোধন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এই কাজের জন্যই রণংদেহি মুডে ময়দানে নেমে পড়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।

    অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকেই শুরু এসআইআর

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (SIR) কাজ শুরু হবে। তাই চলতি মাসের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিইও-দের প্রস্তুতি শেষ করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন, রাজ্যের প্রধান নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকও করেছে। সেখান থেকেই রাজ্যগুলিতে ১০-১৫ দিনের এসআইআর-এর কাজের সবরকম প্রস্তুতিকে শেষ করার কথা বলা হয়েছিল। এইবার দিনক্ষণ বেধে দিয়ে চূড়ান্ত সময়ে প্রস্তুতির কাজ শেষ করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।

    পশ্চিমবঙ্গে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০৩ সালে

    কমিশন আরও জানিয়েছে, গতবারের এসআইআর-এর (SIR) সাপেক্ষে প্রত্যেক রাজ্যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের দফতরে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০৩ সালে, দিল্লিতে হয়েছিল ২০০৮ সালে, উত্তরাখণ্ডে হয়েছিল ২০০৬ সালে। ইতিমধ্যে কমিশন ১১টি নথি দিয়ে ভোটারদের নাম তোলার বিষয়কে নিশ্চিত কোর্টে বলা হয়েছে। এবার সুপ্রিম কোর্ট আধারকে যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে। যদিও মামলার আগামী শুনানি অক্টোবরের প্রথমে হলে আধার গ্রহণ হবে কিনা চূড়ান্ত হবে।

    অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ভোট দিতে না পারে

    ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, পুদুচেরি এবং তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন। তাই এই নির্বাচনে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ভোট দিতে না পারে এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী না হতে পারে, তা নিয়েও কমিশন আগেই কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছে। তবে সমীক্ষার (SIR) মূল উদ্দেশ্য ভোটারদের জন্মস্থান যাচাই করে নাম তোলা হবে। অপারেশন সিঁদুরের পর গোটা দেশজুড়ে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা এবং পাকিস্তানিদের ব্যাপক ভাবে ধরপাকড়ের খবর উঠে আসছে। আর তাই কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধনে ব্যাপক তৎপর।

  • PM Modi in Arunachal: কংগ্রেসের সমালোচনা, চিনকে বার্তা! অরুণাচলে হাইড্রো প্রজেক্ট ও ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে উদ্বোধন করে কী বললেন মোদি?

    PM Modi in Arunachal: কংগ্রেসের সমালোচনা, চিনকে বার্তা! অরুণাচলে হাইড্রো প্রজেক্ট ও ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে উদ্বোধন করে কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচলপ্রদেশের ইটানগরের জনসভা থেকে অরুণাচল ও উত্তর-পূর্বের অনুন্নয়নের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Arunachal)। সোমবার অরুণাচল প্রদেশে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ৫,১২৭ কোটিরও বেশি টাকার একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ১,৮৪০ কিমি দীর্ঘ অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে (NH-913)। প্রায় ৪২,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই দুই লেনের হাইওয়ে ঐতিহাসিক ম্যাকমাহন লাইন বরাবর নির্মিত হবে, যা ভারত-চিন সীমান্তকে চিহ্নিত করে। চিনের পক্ষ থেকে এখনও অরুণাচলের কিছু অংশ নিয়ে দাবি তোলা হচ্ছে, এই প্রেক্ষিতে মোদির এই সফর কূটনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    অরুণাচল নিয়ে মোদির অবস্থান

    এদিন ইটানগরে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, অরুণাচল প্রদেশ শুধুমাত্র ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, বরং এটি দেশপ্রেম, সাহসিকতা ও সরলতার এক অপূর্ব উদাহরণ। এই ভূমি যেন জাতীয় পতাকার গেরুয়া রঙের প্রতিচ্ছবি—অগ্রগামী, উৎসাহী ও দেশপ্রেমে ভরপুর। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিশ্বের কোনও শক্তিই অরুণাচলকে ভারতের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারবে না।” চিনের সম্প্রসারণবাদী মনোভাবের সমালোচনা করে তিনি বলেন, চিন যদি শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়, তবে সম্প্রসারণের চিন্তা ত্যাগ করে গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

    কংগ্রেসকে কটাক্ষ

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Arunachal) বলেন, “আক্ষেপের কথা, সূর্যের কিরণ অরুণাচলে সবার আগে এলেও, বিকাশের কিরণ পৌঁছাতে কয়েক দশক লেগে গেল। এখানে এত সম্পদ, এত দক্ষ মানুষ কিন্তু আগের আমলের দিল্লির শাসকেরা বারবার অরুণাচলকে অবহেলা করেছে। কংগ্রেস ভাবত অরুণাচলে মাত্র দু’টো আসন, তাই এখানে নজর দিয়ে লাভ নেই।’’ তিনি আরও জোড়েন, ‘‘গোটা উত্তর-পূর্বই তাদের এই মনোভাবের জন্য পিছিয়ে পড়েছে। ২০১৪ সাল ক্ষমতায় এসেই আমি প্রথম এই কংগ্রেসের চিন্তা থেকে দেশকে মুক্ত করতে মন দিই।” তাঁর আরও দাবি, “আমরা ভোট আর আসনের অঙ্ক করি না, আমাদের কাছে দেশই প্রথম। আমাদের মন্ত্র নাগরিক দেব ভব! যাঁদের কেউ কখনও পাত্তা দেয়নি, মোদী তাঁদের পুজো করে। বিস্মৃত উত্তর-পূর্ব এখন উন্নয়নের কেন্দ্র। বিজেপির আমলে আট শতাধিকারবার কেন্দ্রের মন্ত্রীরা এখানে এসেছেন। রাত কাটিয়েছেন। আমি নিজেও সত্তর বারের বেশি এসেছি। আট রাজ্যকে অষ্টলক্ষ্মী হিসেবে পুজো করে বিজেপি এখানকার উন্নয়নের বরাদ্দ বাড়িয়ে এক লক্ষ কোটি করা হয়েছে।’’

    মেড ইন চায়না নয় ঘরের জিনিস কিনুন

    চিনের বরাবরের দাবি তাওয়াং-সহ অরুণাচলের উপরে। প্রধানমন্ত্রী এক দিকে অরুণাচলবাসীর তীব্র দেশপ্রেমের কথা উল্লেখ করলেন বারবার। সেই সঙ্গে তাওয়াং থেকে শুরু করে রাজ্যের সব শহরের বাজারে ভরে থাকা ‘মেড ইন চায়না’ সামগ্রী বাদ দেওয়ার অনুরোধও রাখলেন, নাম না করেই। তিনি এ দিন সভার আগে স্থানীয় দোকানদার, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশা, দাবি, প্রতিক্রিয়া জেনে নেন। পরে সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘নবরাত্রির প্রথম দিনেই জিএসটি উৎসবের সূচনা হল অরুণাচল থেকে। জিএসটি কমায় রান্নাঘরের সামগ্রী, বাচ্চাদের পড়ার জিনিস, কাপড়, জুতো সস্তা হল। এখন আপনারা নিশ্চিন্তে নতুন বাড়ি বানান। বাইক কিনুন। বেড়াতে যান। খেতে যান। এখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের উৎসাহ অনুভব করতে পেরেছি।’’ উল্লেখ্য, জিএসটির নতুন হার বলবৎ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম জনসভা করলেন অরুণাচলপ্রদেশের রাজধানী ইটানগরে। বলাই বাহুল্য, ভাষণের অনেকটা জুড়েই থাকল জিএসটি কমার সুফলগাথা ও স্বদেশী জিনিস ব্যবহারের আহ্বান।

    অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে, কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি

    আজ প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Arunachal) যে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করবেন তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে। এই হাইওয়ে পশ্চিমে তাওয়াং জেলার নাফরা থেকে শুরু হয়ে পূর্বে চাংলাং জেলার বিজয়নগর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। এটি কেবলমাত্র সীমান্তে সেনাবাহিনীর দ্রুত চলাচলকে সহজতর করবে না, বরং পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী সাধারণ মানুষের জন্য বহু প্রতীক্ষিত সংযোগের সুযোগ এনে দেবে।

    হাইড্রো পাওয়ার-এর অগ্রগতি

    ইটানগরে প্রধানমন্ত্রী ৩,৭০০ কোটির দুইটি প্রধান জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। হেও (Heo) হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্ট (২৪০ মেগাওয়াট) ও তাটো-I (Tato-I) হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্ট (১৮৬ মেগাওয়াট)। এই দুটি প্রকল্প সিয়ম (Siyom) নদীর উপ-খাতে অবস্থিত এবং এর মাধ্যমে রাজ্যের হাইড্রো পাওয়ার সম্ভাবনা কাজে লাগানো হবে, যা ভারতের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে অরুণাচলের বিপুল জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো এবং টেকসই শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণ করা হবে। পাশাপাশি, এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও ঘটবে বলে কেন্দ্রের আশা।

    তাওয়াং-এ পর্যটন ও সংস্কৃতির উন্নয়নে আধুনিক কনভেনশন সেন্টার

    তাওয়াং-এ প্রায় ৯,৮২০ ফুট উচ্চতায় একটি আধুনিক কনভেনশন সেন্টারের শিলান্যাস করেন মোদি। যেখানে একসঙ্গে ১,৫০০ প্রতিনিধি বসতে পারবে। এটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীর জন্য ব্যবহৃত হবে এবং এই সীমান্ত জেলার পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন যেগুলির মোট মূল্য ১,২৯০ কোটি টাকা। যার মধ্যে রয়েছে: যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ, ফায়ার সেফটি সিস্টেম, কর্মরত নারীদের জন্য হোস্টেল। এই প্রকল্পগুলি অরুণাচলের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সাহায্য করবে, বলে বিশ্বাস উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের।

    চিনের জন্য কূটনৈতিক বার্তা?

    চিন বর্তমানে তিব্বতের ইয়ারলুং জাংবো নদীতে মেডোগ হাইড্রো প্রজেক্ট নির্মাণ করছে, যা বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হতে চলেছে। এতে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেরও জলনিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। মোদির সফরকে তাই বিশেষজ্ঞরা চিনের প্রতি একটি “নীরব কৌশলগত বার্তা” হিসেবে দেখছেন। এদিন অরুণাচল প্রদেশের শি ইয়োমি জেলার চিন সীমান্তঘেঁষা অঞ্চলে দুইটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সোমবার এই প্রকল্পগুলির সূচনা করে তিনি বলেন, “ডবল ইঞ্জিন সরকারের ডবল লাভ পাচ্ছে উত্তর-পূর্ব।” চিন সীমান্ত সংলগ্ন অরুণাচলের প্রায় ৪৫০টি গ্রামের উন্নয়নে কেন্দ্র বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান মোদি।

    ‘লাস্ট ভিলেজ’ নয় ‘ফার্স্ট ভিলেজ’ 

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে যেসব সীমান্তবর্তী গ্রামকে ‘লাস্ট ভিলেজ’ বলে অবজ্ঞা করা হত, আজ সেগুলিকে ‘ফার্স্ট ভিলেজ’ হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়নের মূলস্রোতে যুক্ত করা হয়েছে। ভাইব্রেন্ট ভ্যালেজেস প্রোগ্রাম-এর অধীনে অরুণাচলের ৪৫০টিরও বেশি সীমান্ত গ্রামে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, রাস্তা ও অন্যান্য মৌলিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এখন এই এলাকাগুলি পর্যটনের কেন্দ্র হয়ে উঠছে এবং সেখানে আর আগের মতো মানুষ শহরে চলে যাচ্ছেন না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সীমান্তে কৌশলগত স্থিতিশীলতার পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিও মজবুত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী পর্যটনের প্রসঙ্গে বলেন, গত এক দশকে অরুণাচল প্রদেশে পর্যটকের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে এবং এই প্রবৃদ্ধি আগামী দিনে আরও জোরদার হবে। নতুন কনভেনশন সেন্টার ও উন্নত বিমান যোগাযোগের কারণে আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণও বাড়বে।

    উত্তর-পূর্বে নয়া গতি

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অরুণাচল প্রদেশের রাজ্যপাল লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেটি পারনাইক (অবসরপ্রাপ্ত), মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু-সহ একাধিক মন্ত্রী ও আধিকারিক। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Arunachal) দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি। এই লক্ষ্য তখনই পূরণ হবে, যখন প্রতিটি রাজ্য, প্রতিটি অঞ্চল, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের মতো দূরবর্তী এলাকাগুলি সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে।” প্রধানমন্ত্রী মোদির এদিনের সফর অরুণাচল প্রদেশের জন্য যেমন এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, তেমনই গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নকেও এক নতুন গতি প্রদান করল বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত।

     

     

     

     

  • Navratri: শুরু নবরাত্রি উৎসব, শক্তির আরাধনার উত্তরাধিকার ধরে রেখেছে আরএসএস

    Navratri: শুরু নবরাত্রি উৎসব, শক্তির আরাধনার উত্তরাধিকার ধরে রেখেছে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গেল নবরাত্রি (Navratri) উৎসব। হিন্দু চান্দ্র-সূর্য ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ফি বছর আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে সূচনা হয় নবরাত্রি উৎসবের। শেষ হবে ২ অক্টোবর, বিজয়া দশমীর দিন। এই উৎসব পালিত (RSS) হবে ঘটস্থাপন, ব্রত, দুর্গা সপ্তশতী পাঠ, উপোস এবং আঞ্চলিক রীতিনীতি মেনে।

    হিন্দু সভ্যতার চেতনার প্রতিরূপ (Navratri)

    নবরাত্রি কেবলমাত্র একটি উৎসব নয়, এটি হিন্দু সভ্যতার চেতনার প্রতিরূপ – একটি আচার, একটি দর্শন এবং কর্মে আহ্বান। ন’রাত ধরে হিন্দুরা মা দুর্গা, মা চণ্ডী এবং মা ভবানীর উপাসনা করেন। এর মাধ্যমেই আহ্বান করা হয় সেই চিরন্তন শক্তিকে, যা সমাজকে পরাধীনতা ও নৈতিক অধঃপতন থেকে রক্ষা করেছে। এই আহ্বান আধ্যাত্মিক এবং অস্তিত্বময় উভয়ই। এটি মনে করিয়ে দেয় যে পরিচয়, সাহস এবং ধর্মকে সচেতনভাবে রক্ষা করতে হবে এবং কাজে প্রতিফলিত করতে হবে।

    হিন্দু সমাজকে বারবার দমিয়ে রাখার চেষ্টা

    গত এক হাজার বছরের ভারতীয় ইতিহাস প্রমাণ করে মুঘল আক্রমণ থেকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন পর্যন্ত, এবং আধুনিক যুগে মতাদর্শগত আক্রমণ থেকে সাংস্কৃতিক বিকৃতি পর্যন্ত হিন্দু সমাজকে বারবার দমিয়ে রাখার চেষ্টা হয়েছে। তা সত্ত্বেও হিন্দু পরিচয়ের সূত্র কখনও ছিন্ন হয়নি। রাজা ও ঋষি উভয়েই দেবীর আহ্বান করেছেন সম্মিলিত চেতনায় শক্তি জাগ্রত করতে। এই শক্তিই রক্ষা করেছেন মহারানা প্রতাপের মেবারের সার্বভৌমত্ব, প্রাণিত করেছেন গুরু গোবিন্দ সিংজি খালসাকে। এই শক্তির সাহায্যেই ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আত্মমর্যাদা ও ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করেছেন। এসব কাজ কেবল যুদ্ধজয়ের ঘটনা নয়, বরং সভ্যতার স্থিতিশীলতা, নৈতিক সাহস এবং ধর্মনির্ভর জাতীয়তাবাদের ঘোষণাপত্র।

    ভারতীয় সংস্কতিকে বাঁচাতে আরএসএসের পদক্ষেপ

    ভারতীয় সংস্কতিকে বাঁচাতে গত ১০০ বছর ধরে এর চারা গাছে নিত্য জল দিয়ে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ, সংক্ষেপে আরএসএস (RSS)। তাদের লক্ষ্য শুধু সমাজকে সুসংগঠিত করা নয়, বরং হিন্দু সভ্যতার চিরন্তন শক্তিকে পুনর্জাগরণ করা – শৃঙ্খলা, নৈতিক সাহস, সাংস্কৃতিক আত্মসচেতনতা এবং সমষ্টিগত পরিচয় (Navratri)। এটাই হিন্দু জাতীয়তাবাদের মূল সত্তা। এটি একটি দৃঢ়, আত্মসচেতন এবং নৈতিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত চেতনা, যা আক্রমণাত্মক না হয়ে বা আপোস না করেই নিজের পরিচয়কে রক্ষা ও উদযাপন করে চলেছে। এ বছরের নবরাত্রি ও বিজয়া দশমীর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। কারণ ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আরএসএস প্রতি বিজয়া দশমীতে মা ভারতীকে আহ্বান করেছে শক্তি, সাহস ও ধর্মীয় কর্তব্যবোধ জাগ্রত করতে।

    শতবর্ষে আরএসএস

    ২০২৫ সালের ২ অক্টোবর ১০০ বছর পূর্ণ করবে আরএসএস। এটি হিন্দু সভ্যতা রক্ষায়, পরিচয়, মূল্যবোধ ও জাতীয়তাবাদ সংরক্ষণে এক শতাব্দীর নিবেদিত সেবার প্রতীক। এই শতবার্ষিকী আমাদের প্রাণবন্তভাবে স্মরণ করিয়ে দেয় যে শক্তির চিরন্তন দর্শন হল সত্যকে রক্ষা করা, অত্যাচারের বিরোধিতা করা এবং শুভের দ্বারা অশুভের জয় নিশ্চিত করা – চিরকালীন ও প্রতিটি প্রজন্মে জীবন্ত। নবরাত্রি নিজেই শক্তিবোধের এক গভীর পাঠ। এটি অন্তর্নিহিত ও সামষ্টিক শক্তির জাগরণ। শৈলপুত্রী থেকে সিদ্ধিদাত্রী পর্যন্ত দেবীর ন’টি রূপ শুধু আধ্যাত্মিক গুণের প্রতীকই নন, বরং সাহস, প্রজ্ঞা ও কর্মের বাস্তব নীতিরও প্রতিফলন। নির্ভীক কালরাত্রি শেখান যে অন্ধকার, অজ্ঞতা ও অন্যায়কে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করতে হবে। কল্যাণময়ী মহাগৌরী শেখান ন্যায়, পবিত্রতা ও শৃঙ্খলাই মজবুত কোনও শক্তির ভিত্তি। এই প্রতীকগুলির মাধ্যমে নবরাত্রি এক সাংস্কৃতিক পাঠ্যক্রমে রূপান্তরিত হয়েছে, যা আমাদের শেখায় যে টিকে থাকা, আত্মসম্মান ও পরিচয় রক্ষার জন্য অন্তরের শক্তি যেমন প্রয়োজন, তেমনি অপরিহার্য জগতের সঙ্গে সক্রিয় সম্পৃক্ততাও (Navratri)।

    মহিষাসুর-বধ জয়ের উৎসব

    বিজয়া দশমী দেবীর মহিষাসুর-বধ জয়ের উৎসব। এটি হল সেই প্রতীক যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় প্রতিটি যুগে যখনই হিন্দু সমাজ অস্তিত্ব সংকটে পড়ে, তখনই সে বিজয়ী হয়েছে। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় পরিচয়ের সংরক্ষণ এবং ধর্মের প্রতিষ্ঠা সাহস, কর্ম এবং ঐক্যের থেকে অবিচ্ছেদ্য। যে শক্তি এক সময় ঐতিহাসিক যোদ্ধাদের প্রাণিত করেছিল, সেই একই শক্তিই আজ সমাজকে প্রাণিত করছে সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণে, জাতীয় আত্মসম্মানে এবং নৈতিক স্পষ্টতায় (RSS)। আধুনিক বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে হিন্দু পরিচয় এবং জাতীয়তাবাদ চাপের মুখে রয়েছে। কখনও অভ্যন্তরীণ বিভাজন, কখনও বা বহিরাগত বর্ণনার জেরে। তবুও, নবরাত্রির আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামো আমাদের স্থিতিশীলতার একটি বার্তা দেয়। সেটি হল শক্তির আহ্বান, নৈতিক সাহসের বিকাশ, ধর্মের মাধ্যমে ঐক্য, এবং সত্য রক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ।

    হিন্দু জাতীয়তাবাদ

    অতএব, হিন্দু জাতীয়তাবাদ কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি সভ্যতাগত, নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক। এটি ঘোষণা করে (RSS) যে, যে জাতি তার শেকড়, তার ধর্ম এবং তার শক্তিকে জানে, তাকে কখনও দমন করা, বিকৃত করা বা মুছে ফেলা যায় না (Navratri)।

  • Madras High Court: দাবি ছিল ১১০০ একরের বেশি, মিলল ২.৩৪ একর, মসজিদের সম্পত্তি মামলায় রায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    Madras High Court: দাবি ছিল ১১০০ একরের বেশি, মিলল ২.৩৪ একর, মসজিদের সম্পত্তি মামলায় রায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    মাধ্যম ডেস্ক নিউজ: তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলিতে ১১০০ একরের বেশি জমির উপর মসজিদের দাবি খারিজ করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court)। উচ্চ আদালত রায়দানের সঙ্গে স্পষ্ট করে জানায়, ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালের (Waqf) পূর্ববর্তী নির্দেশ সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি। ১৭১২ সালের যে ঐতিহাসিক অনুদান পাওয়া গিয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে মসজিদের ওয়াকফ সম্পত্তির পরিমাণ ২.৩৪ একর জমি। তাই মসজিদের দাবি খারিজ করে দিয়েছে মাদ্রাজ উচ্চ আদালত।

    মসজিদের অধিকার ২.৩৪ একরে সীমাবদ্ধ (Madras High Court)

    বিচারপতি (Madras High Court) এম.ধান্দাপানির বেঞ্চে ২০১৮ সালে রাজ্য সরকারের দায়ের করা একটি দেওয়ানি মামলার পুনর্বিবেচনার আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রায় ঘোষণা করেন। ২০১৬ সালের ১৮ অগাস্টে কান্দিয়াপেরির কান্মিয়া পল্লীভাসালের পক্ষে ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে, মসজিদের জন্য ১৭১২ সালে দানকরা সম্পত্তির নথি বৈধ। কিন্তু ১৯৫৫ সালে টিনেভেলি অধস্তন আদালতের অনুমোদন অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, আর তাই দানকৃত জমিতে উল্লিখিত জমির পরিমাণ ৭৫টি কোট্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকারাই কথা। এবার সমসাময়িক জমির পরিমাপ অনুসারে প্রতিটি কোট্টার পরিমাণ মাত্র ০.০৩১২৪ একরের সমান ফলে মসজিদের অধিকার ২.৩৪ একরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

    ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছিল

    হাইকোর্টের (Madras High Court) অতরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল বীর কাঠিরভান বলেন, “২০১১ সালের মামলায় মসজিদ কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃত সমস্ত জমির জরিপ নম্বর ১৯৬৬ সালের তামিলনাড়ু ইনাম আইনের অধীন ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল। তবে এই জমির অনেক জমি ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছিল। এমনকি ৩৬২ জন কৃষক নিজেরাই জমিকে চাষের জন্য ব্যবহার পর্যন্ত করেছিলেন।” সুতরাং ওয়াকফের জমি হিসেবে মসজিদের দাবি যে বেআইনি তা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে।

    আরও কয়েকটি রায়

    উল্লেখ্য সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওয়াকফ (Waqf) মাদ্রসা কাসিমুল উলুম সম্পর্কিত একটা মামলায় একই রকমের রায় প্রদান করেছে। ৭৩ নম্বর জাতীয় সড়কের জমিতে মাদ্রাসা একটি অবৈধ নির্মাণ করেছিল। মাদ্রাসা ওয়াকফের সম্পত্তি হিসেবে দাবি করলে আদালতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে না পারায় বেইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেয় কোর্ট। অপর দিকে রাজস্থান হাইকোর্ট মদিনা জামা মসজিদ সম্পর্কিত একটি মামলায় স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, ওয়াকফ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, কোনও ভাবেই মসজিদের সম্পত্তি ওয়াকফের নয়।

LinkedIn
Share