Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India US Relation: ভারতের জিডিপি ৭.৮% হারে বাড়ছে আর আমেরিকার ৩.৩%! ‘মৃত’ অর্থনীতি বলে বেকায়দায় ট্রাম্প

    India US Relation: ভারতের জিডিপি ৭.৮% হারে বাড়ছে আর আমেরিকার ৩.৩%! ‘মৃত’ অর্থনীতি বলে বেকায়দায় ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক অভিনব বিদ্রূপের চিত্র ফুটে উঠেছে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির মঞ্চে। যেখানেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (India US Relation) ভারতের অর্থনীতিকে “মৃত” বলে অভিহিত করেছিলেন, সেখানেই সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের এপ্রিল-জুন মাসে ভারত ৭.৮% হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এর বিপরীতে, ট্রাম্পের প্রশংসায় ভরপুর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি একই সময়ে মাত্র ৩.৩% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের অর্থনৈতিক (Indian Economy) এই সাফল্য মূলত ভর করেছে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা, পরিষেবা খাতের দৃঢ়তা এবং উৎপাদন খাতের পুনরুজ্জীবনের উপর। নতুন প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যাশার চেয়েও ভালো ফল দেখিয়েছে ভারতের অর্থনীতি।

    বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি

    বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও আইএমএফ ইতিমধ্যেই আগামী কয়েক বছরে ভারতের প্রবৃদ্ধিকে ৬.৩% থেকে ৬.৪% হারে থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে। এর ফলে স্পষ্ট হয়ে উঠছে কেন ভারতকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যেখানে ক্রমশ শ্লথ হয়ে আসছে, সেখানে ভারত নিজের গতি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত কঠোর শুল্কের মধ্যেও। ট্রাম্পের “মৃত অর্থনীতি” মন্তব্যে শুধু ভারতেই নয়, অস্ট্রেলিয়াসহ বহু দেশের মধ্যেই প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অস্ট্রেলিয়া ভারতকে “অসাধারণ সম্ভাবনার দেশ” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের অর্থনীতি কোনওভাবেই ধ্বংসের মুখে নয় – বরং ২০৩৮ সালের মধ্যে ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুযায়ী (PPP) দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠতে পারে, যেখানে জিডিপি হবে প্রায় ৩৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    মোদি সরকারের কৌশলী নীতি

    ভারতে জিডিপি-র (Indian Economy) প্রবৃদ্ধি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে স্বস্তি দিয়েছে। সরকারের পরিকাঠামো খাতে বিনিয়োগ, উৎপাদন-ভিত্তিক ব্যবস্থা ও আত্মনির্ভর ভারত তৈরির স্বপ্ন সফল হচ্ছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) অবশ্য মার্কিন সুরক্ষা নীতিকে ঝুঁকি হিসেবে দেখলেও, বলেছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা যথেষ্ট শক্তিশালী, যা বাইরের চাপ সামাল দিতে সক্ষম। বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে, ভারতীয় অর্থনীতিই আজ সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। গত ২৭ অগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ করে শুল্ক নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের যুক্তি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে এই পদক্ষেপ করেছেন তিনি। পূর্ব ইউরোপের ওই সংঘাত শুরু হওয়া ইস্তক মস্কোর থেকে সস্তা দরে অপরিশোধিত খনিজ তেল আমদানি করে চলেছে নয়াদিল্লি। ট্রাম্প মনে করেন, এতে সংঘর্ষ চালিয়ে যাওয়ার মতো অর্থ পেয়ে যাচ্ছে ক্রেমলিন। আর তাই রাশিয়াকে ‘ভাতে মারতে’ ভারতের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। কিন্তু ট্রাম্পের শুল্কনীতির কড়া সমালোচনা করে ভারত জানিয়েছে, কোনওভাবেই মাথা নোয়াবে না দিল্লি। দেশের মানুষের স্বার্থে যা করা উচিত তাই করা হবে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত

    ট্রাম্পের এ-হেন শুল্কনীতির অবশ্য আমেরিকার ভিতরেই শুরু হয়ে গিয়েছে কড়া সমালোচনা। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক এডোয়ার্ড প্রাইস বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রেসিডেন্ট অর্থনীতির কিছুই বোঝেন না। ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের নামে বেপরোয়া এবং বিপজ্জনক পদক্ষেপ করছেন তিনি। অবিলম্বে নয়াদিল্লির পণ্যে ৫০ শতাংশ কর প্রত্যাহার করুক হোয়াইট হাউস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আমাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। ২১ শতকের পৃথিবী কৌশলগত অংশীদারদের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। সেখানে ভারতের মতো বন্ধুকে হারানো চরম মূর্খামি।’’

    ট্রাম্পের বোকামি

    গত ৩০ জুলাই নিজের সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে নয়াদিল্লি ও মস্কোকে নিশানা করে একটি পোস্ট করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করছে, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। ওরা ‘মৃত অর্থনীতি’কে একসঙ্গে ধ্বংস করতে পারে। আমি সব কিছুর জন্য চিন্তা করি। আমরা ভারতের সঙ্গে খুব কম ব্যবসা করেছি। কারণ, নয়াদিল্লির শুল্ক অনেক বেশি। একে বিশ্বের সর্বোচ্চ বলা যেতে পারে। রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে প্রায় কোনও ব্যবসা নেই বললেই চলে।’’ তাঁর এই পোস্টের পরেই শুরু হয় হইচই। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, অগাস্টের একেবারে শেষে চলতি আর্থিক বছরের (২০২৫-’২৬) এপ্রিল থেকে জুনে জিডিপির হার প্রকাশ করে কেন্দ্র। মোদি সরকারের দেওয়া সেই তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে ৭.৮ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে সূচক। পরে ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘দ্রুত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে ভারত।’’ বর্তমানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে নয়াদিল্লির নাম। সমীক্ষক সংস্থা ‘ইওয়াই ইকোনমিক ওয়াচ’ আবার তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ১৩ বছরের মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির (Indian Economy) দেশ হয়ে উঠবে ভারত। পাশাপাশি, তালিকায় এক নম্বর স্থানে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (India US Relation) গদি টলমল হওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। সেখানে চিনের উঠে আসার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছেন তাঁরা।

     

     

     

     

  • Kashi Vishwanath: কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কর্মীদের মাইনে বাড়ছে তিনগুণ!

    Kashi Vishwanath: কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কর্মীদের মাইনে বাড়ছে তিনগুণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Vishwanath) মন্দির ট্রাস্ট নয়া নিয়মাবলীতে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এর ফলে ট্রাস্টের কর্মচারীরা রাজ্য সরকারের কর্মচারীর মর্যাদা পাবেন। এই মর্যাদা পরিবর্তনের সঙ্গে মন্দিরের কর্মচারী ও পুরোহিতদের বেতনও তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে। সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয় চলতি মাসের ৪ সেপ্টেম্বর শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্ট কাউন্সিলের ১০৮তম সভায়।

    কর্মচারী সেবা ম্যানুয়াল অনুমোদিত (Kashi Vishwanath)

    ডিভিশনাল কমিশনার এস রাজালিংহামের সভাপতিত্বে কমিশনার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় প্রায় ২৪টি প্রস্তাব-সহ কর্মচারী সেবা ম্যানুয়াল অনুমোদিত হয়। ডিভিশনাল কমিশনার জানান, এর আগে পুরোহিতদের দেওয়া হত ৩০ হাজার টাকা করে। এখন তাঁদের বেতন হবে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে। ট্রাস্টের মতে, ম্যানুয়াল বাস্তবায়নের পর বেতনের পাশাপাশি ভাতা, পদোন্নতি, ছুটি ও অন্যান্য সুবিধাও দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, পুরোহিত, কর্মচারী ও সেবাদার নিয়োগের জন্য প্রস্তাবিত ম্যানুয়ালে চারটি ক্যাটাগরি নির্ধারিত হয়েছে। রাজ্য কর্মচারীদের মতোই পুরোহিতদের গ্রেড এবং ম্যাট্রিক্সও দেওয়া হবে।

    সাম্মানিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে

    গত অর্থবর্ষের বাজেট শ্রী কাশী বিশ্বনাথ বিশেষ ক্ষেত্র উন্নয়ন পরিষদ ও এক্সিকিউটিভ কমিটির সভায় অনুমোদিত হয়। পরিষদের অধীনে নিযুক্ত বিভিন্ন শ্রেণির কর্মচারীর সাম্মানিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে বলে তাতে বলা হয়। পূর্ণকালীন কর্মচারীদের ডিএ গত বছরের মতো বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বনাথ ধামে অত্যাধুনিক ডিজিটাল মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হবে (Kashi Vishwanath)। ব্যবসায়িক কার্যকলাপ আরও দ্রুত করার জন্য এম্পোরিয়াম-সহ অন্যান্য সম্পত্তি পরিচালনার জন্য নয়া ভাড়ার হার নির্ধারণ করা হবে। আয় বৃদ্ধির নতুন বিকল্প নিয়ে পরামর্শ দিতে পরিষদ একটি নতুন পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগ করবে।

    প্রসঙ্গত, শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ১৯৮৩ সালে রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করে। তখন থেকে পরিষেবা ম্যানুয়াল প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বহুবার চেষ্টা করা হলেও, কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির আইন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০১ এর অধীনে ১৩ই অক্টোবর ১৯৮৩ সালে কার্যকর হয় (Kashi Vishwanath)।

  • Census 2027: মোদি সরকারের অভিনব আদমশুমারি! জিও-ট্যাগিংয়ের আওতায় আসবে দেশের সব বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান

    Census 2027: মোদি সরকারের অভিনব আদমশুমারি! জিও-ট্যাগিংয়ের আওতায় আসবে দেশের সব বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৭ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আদমশুমারি, আর এই আদমশুমারি (Census 2027) ভারতের ইতিহাসে অন্যতম সবচেয়ে বড় তথ্য সংগ্রহ প্রকল্প হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই আদমশুমারিতে শুধুমাত্র দেশের বিপুল জনসংখ্যার গণনা করা হবে, এমনটাই নয়—এই জনগণনার সময়ে প্রত্যেকটি বাড়ি এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জিও-ট্র্যাগিং (Geo Tag) করারও পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    এতদিন ব্যবহার হত হাতে আঁকা মানচিত্র

    এই অভিনব উদ্যোগটিকে (Census 2027) ঐতিহাসিক মাইলফলকও বলা যায়। কারণ, এর মাধ্যমে সঠিক ও স্বচ্ছ তথ্য উঠে আসবে। এর আগে সাধারণভাবে হাতে আঁকা মানচিত্রের উপর নির্ভর করতে হত, এবং এগুলো ভুল ও অসঙ্গতিপূর্ণ হত। কিন্তু এবার জিও-ট্র্যাগিংয়ের ফলে সে সমস্যা আর থাকবে না। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে যখন আদমশুমারি হতো, তখন কর্মীরা গ্রাম ও শহরগুলিতে ঘুরে হাতে আঁকা মানচিত্র ব্যবহার করতেন। বিশেষ করে বর্তমান আমলে, যখন দ্রুত নগরায়ন ঘটছে, সেখানে উন্নয়নের গতি দেখে এই সমস্ত হাতে আঁকা মানচিত্র একেবারেই কার্যকর ছিল না।

    নির্ভুলভাবে অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ নির্ধারণ করে ডিজিটাল মানচিত্র তৈরি করা হবে

    ২০২৭ সালের মধ্যে এই পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল লেআউট ম্যাপিং চালু হবে এবং জিআইএস প্রযুক্তির ব্যবহারে নির্ভুলভাবে অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ নির্ধারণ করে ডিজিটাল মানচিত্র তৈরি করা হবে। এ নিয়ে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নতুন এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে (Census 2027) পূর্বের ভুল আর হবে না এবং গ্রাম ও শহরের প্রতিটি আবাসনের স্বচ্ছ রেকর্ড রাখা যাবে। এক্ষেত্রে বাড়িগুলিকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা হবে—যেমন, যেখানে মানুষ বসবাস করেন সেগুলি আবাসিক, যেখানে কেউ থাকেন না সেগুলি অনাবাসিক, আংশিকভাবে বসবাসযোগ্য বাড়ি এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ও সরকারি ভবন।

    ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ভারতে মোট ৩৩.০৮ কোটি বাড়ি ছিল

    ২০১১ সালের আদমশুমারির সংজ্ঞা অনুযায়ী, একটি পরিবার মানে একসঙ্গে থাকা এবং একই রান্নাঘর ব্যবহার করা কয়েকজন মানুষকে বোঝানো হয়। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে মোট ৩৩.০৮ কোটি বাড়ি ছিল। এর মধ্যে ৩০.৬১ কোটি ছিল বসবাসযোগ্য এবং বাকি ২.৪৬ কোটি বাড়ি ছিল খালি। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রামীণ ভারতে বাড়ির সংখ্যা ছিল ২২.০৭ কোটি এবং শহরাঞ্চলে ছিল ১১.০১ কোটি। কিন্তু বিগত দশকে দ্রুত বেড়েছে নগরায়ন। ফলে ২০২৭ সালের আদমশুমারিতে শহরাঞ্চলে বাড়ির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন এই ব্যবস্থার ফলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসবে, যাতে শহর পরিকল্পনা, পরিকাঠামো এবং বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি সঠিকভাবে নেওয়া যায়।

    দুটি ধাপে হবে আদমশুমারি

    জানা যাচ্ছে, ২০২৭ সালের আদমশুমারি সম্পন্ন হবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপ শুরু হবে ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে। এই পর্যায়ে হাউস লিস্টিং অপারেশন (Geo Tag) চলবে। এই ধাপে যারা তথ্য সংগ্রহ করবেন, তাঁরা বিভিন্ন আবাসন, আবাসনের মালিকানা ও জিও-ট্যাগ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন। দ্বিতীয় ধাপে হবে আসল জনগণনা, যেটি ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই দেশের বেশিরভাগ অংশে অনুষ্ঠিত হবে।

  • Hindus: দেশে-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু-হিন্দু ধর্মের ওপর হামলা

    Hindus: দেশে-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু-হিন্দু ধর্মের ওপর হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু (Hindus) ও হিন্দু ধর্মের ওপর হামলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই এই নির্যাতন পরিণত হচ্ছে গণহত্যায়। দশকের (Roundup Week) পর দশক ধরে বিশ্ব এই হামলাগুলির প্রকৃত গভীরতা ও বিস্তৃতি উপেক্ষা করে এসেছে। হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, উৎসবে হামলা, মন্দির ও মূর্তির অবমাননা, হিংসাত্মক বক্তব্য, যৌন নির্যাতন থেকে শুরু করে সংবিধানগত ও আইনি বৈষম্য এসব হামলার মাধ্যমে হিন্দুরা তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় ক্রমশ কঠোর প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এ সপ্তাহে বিশ্বের ছবিটা।

    ভারত (Hindus)

    কোলাপুরে ২২ অগাস্ট রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জখম হয়েছেন ১০ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি যানবাহন। কোলাপুরের এই হিংসা কেবল দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ নয়, এটি একটি পরিকল্পিত আক্রমণ। এখানে ইসলামি উগ্রপন্থীরা এসসি সম্প্রদায়ের সদস্যদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। সাঙ্গলির মিরাজ থানা পুলিশ বৈভব রাজারাম অবলের বিরুদ্ধে বরাহ জয়ন্তী মিছিল আয়োজনের অভিযোগে মামলা করেছে। যদিও বৈভবের কাছে মিছিলের জন্য পুলিশের অনুমতি ছিল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বরেলি থানা একটি আন্তঃরাজ্য ধর্মান্তর চক্র ভেঙে দিয়েছে। এই চক্রের মূল লক্ষ্য কন্যা নয়, যুবক। তদন্তকারীরা একে লাভ জিহাদ ২.০ বলে উল্লেখ করেছেন। এই চক্র হিন্দু পুরুষদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করত বিবাহ, মনস্তাত্ত্বিক প্রলোভন এবং এমনকি মাদকাসক্তির মাধ্যমে।

    লাভ জিহাদ

    সাধ্বী প্রাচী জানান, মুসলিম বিউটি পার্লার, স্কুল, কলেজ, সেলাইয়ের দোকান এবং দরগাগুলি এখন লাভ জিহাদ কার্যক্রমের আখড়া হয়ে উঠেছে। তাঁর মতে, যতক্ষণ না ধর্মান্তর ও লাভ জিহাদে উৎসাহদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর সরকারি পদক্ষেপ করা হচ্ছে, ততক্ষণ এই কার্যকলাপ চলতেই থাকবে (Hindus)। এদিকে, ইসলামি জোরপূর্বক ধর্মান্তরের পরে নিখোঁজ এসসি পরিবারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যার জেরে মহাপঞ্চায়েত ডাকা হয়েছে হরিয়ানার নুহে। উত্তরপ্রদেশের দেউরিয়া থেকে ধর্মীয় প্রতারণা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের একটি উদ্বেগজনক ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। অভিযুক্ত গহ্বর আনসারি জনৈক লক্ষ্মী সিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গহ্বর মেয়েটিকে প্রলোভিত করে একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে করে (Roundup Week)।

    মুসলমানদের ওপর হামলা

    মহারাষ্ট্রের কোলাপুর জেলার কানওয়াদ গ্রামে অক্ষয় কোলি ও তাঁর পরিবারের ওপর প্রায় ১৫ জন মুসলমান হামলা চালায়। এক দম্পতিকে কানওয়াদ থেকে পালাতে সাহায্য করায় অক্ষয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই অভিযোগ তুলে মুসলিমদের একটি দল অক্ষয়ের বাড়িতে হামলা চালায়। মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূট জেলার মউ থানার আহিরি গ্রামে খ্রিস্টান ধর্মান্তরিতকরণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ, ফুলচন্দ্র নামে এক অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে খ্রিস্টান ধর্মান্তর কার্যকলাপ চলছিল। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেফতার করে। আগ্রার শাহগঞ্জ থানা একটি বড় ধর্মান্তকরণ চক্রের চাঁই রাজকুমার লালওয়ানির বাড়িতে অভিযান চালায়। লালওয়ানি নিয়মিত রবিবার প্রার্থনা সভার আয়োজন করত। সেখানে লোকদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হতে উদ্বুদ্ধ করা হত (Hindus)।

    হিন্দু কিশোরীকে বোরখা পরতে বাধ্য করা

    উত্তরপ্রদেশের বাগপতে এক হিন্দু কিশোরীকে বোরখা পরতে বাধ্য করা, ধর্ষণ করা এবং তাকে বিয়ে করতে ব্ল্যাকমেল করার ঘটনা সামনে এসেছে। প্রতিবেশী হাসিম কিশোরীটিকে ধর্মান্তরিত করার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশেরই মৈনপুরিতে উবেশ খান নামে এক মুসলিম যুবক এক হিন্দু কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফাঁসিয়ে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। কিশোরীটি তার ঘর থেকে লক্ষাধিক টাকার গয়না ও নগদ অর্থ নিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, কর্ণাটকের ডেপুটি চিফ মিনিস্টার ডিকে শিবকুমার ঘোষণা করেছেন, চামুন্ডি পাহাড় শুধু হিন্দুদের (Roundup Week) সম্পত্তি নয়। দক্ষিণ ভারতের অন্যতম পবিত্র শক্তি পীঠের মর্যাদা হানি হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। মন্দিরে চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেঙ্গালুরু পুলিশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করেছে মহম্মদ রাব্বি, মহম্মদ ইউসুফ ও মহম্মদ বাবুকে। উদ্ধার করা হয়েছে ২২টি মূর্তি, মন্দিরের জিনিসপত্র এবং প্রায় ৬.৫ লক্ষ টাকার একটি অটোরিকশা।

    বাংলাদেশ

    গাইবান্ধা জেলায় দুর্গা মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, মূর্তি ভাঙচুর। সদরুলপুর উপজেলার হামিন্দপুর গ্রামের একটি সংখ্যালঘু হিন্দু ব্যক্তি দুর্গা মন্দিরের মধ্যে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। স্থানীয়রা ছুটে আসার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় মূর্তিগুলি। যশোর জেলার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিচিত মুখ ছিলেন বিজন কুমার দে। দিন দুয়েক আগে একটি ভেড়িতে মেলে তাঁর মৃতদেহ (Hindus)।

    বিশ্বের ছবি

    নেপালের মধেশ প্রদেশের রাজধানী জনকপুরধাম শহরে গণেশের মূর্তি বিসর্জনের সময় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের (Roundup Week) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমেরিকার পিটার নাভারো সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক প্রণয়নের জন্য ভারতকে ‘ক্রেমলিনের লন্ড্রম্যাট’ আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ব্রাহ্মণরা ভারতীয় জনগণের শোষণে মুনাফা অর্জন করছে (Hindus)।

  • Maoist: ঝাড়খণ্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা, মাথার দাম ছিল ১০ লাখ

    Maoist: ঝাড়খণ্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা, মাথার দাম ছিল ১০ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) পশ্চিম সিংভুম জেলার গভীর জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হল মাওবাদীদের জোনাল কমান্ডার অমিত হাঁসদা ওরফে ‘আপ্তন’ (Maoist)। দীর্ঘদিন ধরে সে সশস্ত্র মাওবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছিল এবং তার মাথার দাম ঘোষিত হয়েছিল দশ লক্ষ টাকা।

    রবিবার ভোরের অভিযানেই খতম আপ্তন

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, রবিবার ভোরে রেলাপারাল বনাঞ্চলে যৌথ অভিযানে নামে ঝাড়খণ্ড পুলিশ, সিআরপিএফ, কোবরা এবং ঝাড়খণ্ড জাগুয়ার বাহিনী। অভিযান শুরু হতেই, মাওবাদীরা (Maoist) নিরাপত্তা বাহিনীর উপর গুলি চালায়। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা গুলির লড়াইয়ে শেষে নিহত হয় ‘আপ্তন’। ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার হয় একটি SLR রাইফেল, প্রচুর গুলি ও অন্যান্য সামগ্রী।

    বোকাড়োর বাসিন্দা ছিল এই মাওবাদী নেতা (Maoist)

    বোকাড়োর (Jharkhand) বাসিন্দা অমিত হাঁসদা ওরফে ‘আপ্তন’ গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পশ্চিম সিংভুম, খুঁটি ও সেরাইকেলা-খারসাওয়ান এলাকায় সক্রিয় ছিল। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, তোলাবাজি ও গ্রামীণ এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করাই ছিল তার মূল কার্যকলাপ। ঝাড়খণ্ড পুলিশের মতে, তার মৃত্যু মাওবাদীদের ওপর বড় আঘাত।

    কী বলছে পুলিশ?

    কলহান রেঞ্জের ডিআইজি অনুরঞ্জন কিসপোত্তা বলেন, ‘‘আপ্তনের মৃত্যুর ফলে মাওবাদীদের সংগঠন দুর্বল হবে। বহুদিন ধরেই তাকে ধরার চেষ্টা চলছিল। অবশেষে আজকের অভিযানে তা সফল হল।’’ পুলিশ সুপার রাকেশ রঞ্জনও জানিয়েছেন, অভিযান এখনও চলছে। এলাকায় মাওবাদী দমন অভিযান জোরদার করা হবে। প্রসঙ্গত, অমিত হাঁসদার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, বিস্ফোরণ ও অস্ত্র মামলার অভিযোগ ছিল। তাকে ঝাড়খণ্ডের উদীয়মান মাওবাদী নেতাদের (Maoist) অন্যতম হিসেবে মনে করা হত। তাই নিরাপত্তা বাহিনীর মতে, তার খতম হওয়া মাওবাদী কার্যকলাপ রুখতে এক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য।

    ৩ সেপ্টেম্বরের অভিযান

    প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর পালামৌ জেলার মানাতু থানার কেদাল জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই পুলিশকর্মী শহিদ হন এবং গুরুতর জখম হন আরও এক পুলিশ কর্মী। সেদিন, মাওবাদী সংগঠন তৃতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি (টিএসপিসি)–র কুখ্যাত জোনাল কমান্ডার শশীকান্ত গঞ্জুর অবস্থান সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার পরই বিশেষ তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। শশীকান্ত গঞ্জুর মাথার দাম ছিল ১০ লাখ টাকা। অভিযানের সময় হঠাৎই শশীকান্ত ও তার সশস্ত্র দল নিরাপত্তা বাহিনীর উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। তবে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান দুই পুলিশকর্মী, আরেকজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

  • Uttarakhands Minority Education Bill: সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল ২০২৫ পাশ করল উত্তরাখণ্ড বিধানসভা, কী আছে এতে?

    Uttarakhands Minority Education Bill: সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল ২০২৫ পাশ করল উত্তরাখণ্ড বিধানসভা, কী আছে এতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনে সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল, ২০২৫ পাশ করল উত্তরাখণ্ড বিধানসভা (Madrasa)। এই বিলটি পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারের নীতিগত কাঠামো সংস্কারের একটি প্রচেষ্টা,  যেটি মূলত মাদ্রাসাগুলির ওপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছিল এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকে অগ্রাহ্য করেছিল (Uttarakhands Minority Education Bill)।

    মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন (Uttarakhands Minority Education Bill)

    ১ জুলাই ২০২৬ থেকে এই বিল কার্যকর হয়ে উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৬ এবং উত্তরাখণ্ড বেসরকারি আরবি ও ফার্সি মাদ্রাসা স্বীকৃতি বিধিমালা, ২০১৯ বাতিল করবে। যা এই বিলটিকে পূর্ববর্তী আইনগুলির থেকে আলাদা করে তা হল এর অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সংশোধনাত্মক চরিত্র। উত্তরাখণ্ড বিল মুসলিমদের পাশাপাশি অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকেও স্বীকৃতি দেয় এবং সংখ্যালঘু মর্যাদার সুবিধা দেয়। এখানে শিখ, জৈন, খ্রিস্টান, পার্শি এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কংগ্রেস সরকারের শাসনকালে এগুলিকেই পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিলটির মূল লক্ষ্য হল, উত্তরাখণ্ডের সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে বজায় থাকা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা। পূর্ববর্তী আইনগুলি মাদ্রাসার জন্য একটি নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা তৈরি করেছিল, যা বিদ্যালয় ব্যবস্থার অনুরূপ হলেও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকে আইনগত স্বীকৃতি ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে রেখেছিল।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    মাদ্রাসার ঘাটতি এবং অ-মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবহেলার মূল কারণ উত্তরাখণ্ডের পূর্বতন কংগ্রেস সরকার তুষ্টিকরণের রাজনীতি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি সংস্কার করার পরিবর্তে কংগ্রেস সরকার ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির স্বার্থে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে অনিয়ম ও অপূর্ণ সম্ভাবনায় ভরপুর একটি ব্যবস্থা তৈরি করেছিল। ইসলামি মৌলবাদীদের ক্ষোভের ভয়ে কংগ্রেস সরকার শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং সমতা প্রতিষ্ঠার প্রতি নজর দেয়নি (Uttarakhands Minority Education Bill)। এরই ফলস্বরূপ মাদ্রাসায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এই সমস্যাগুলির মধ্যে ছিল বৃত্তি বিতরণে অনিয়ম, মিড-ডে মিল কর্মসূচিতে অসঙ্গতি এবং মাদ্রাসা পরিচালনায় স্বচ্ছতার অভাব। এই কারণে সংস্কার অনিবার্য হয়ে উঠেছিল (Madrasa)।

    মাদ্রাসার সংখ্যাবৃদ্ধি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগ

    সংবেদনশীল সীমান্ত এলাকায় বেআইনি মাদ্রাসার সংখ্যাবৃদ্ধি জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগ তৈরি করেছে। অনেক মাদ্রাসা অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে, অননুমোদিত নির্মাণ হচ্ছে অথবা শিক্ষার আড়ালে উগ্রপন্থী মতবাদ প্রচার করা হচ্ছে বলে সন্দেহ। এনসিপিসিআর প্রকাশিত একটি রিপোর্টে মাদ্রাসার কার্যক্রমের মূল সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে। এগুলি হল, ইসলাম ধর্মের উচ্চতা প্রচারে অতিরিক্ত জোর, শুধুমাত্র প্রতীকীভাবে এনসিইআরটির বই অন্তর্ভুক্তি, প্রায়ই অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষার অভাবে পুরনো শিক্ষাদান পদ্ধতি, এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, যা ছাত্রছাত্রীদের মূলধারার সুযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে (Uttarakhands Minority Education Bill)।

    উগ্রবাদ প্রতিরোধে বহুবিধ পদক্ষেপ

    নয়া এই বিলটি শিক্ষার আড়ালে ছড়িয়ে পড়া উগ্রবাদ প্রতিরোধে বহু দিক থেকে পদক্ষেপ করেছে। প্রথমত, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা প্রচারের জন্য গুরুমুখী ও পালি ভাষা পড়াশোনার বিধান রাখা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, সব সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান পরিচালনার তদারকির জন্য উত্তরাখণ্ড স্টেট অথরিটি ফর মাইনরিটি এডুকেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এই বিলে ইউএসএমইএ নামে একটি নতুন ১২ সদস্যের সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে ছ’জন করে শিক্ষাবিদ এবং একজন সমাজকর্মীকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা (Madrasa)।

    উত্তরাখণ্ড স্কুল শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত

    শিক্ষার গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ হিসেবে এই বিলটি অবশ্যই উত্তরাখণ্ড স্কুল শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিধান দিয়েছে, যাতে প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালনা পদ্ধতি এবং পাঠ্যক্রমের মান একরকমভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি সরাসরি এনসিপিসিআর রিপোর্টে উল্লিখিত উদ্বেগগুলি মোকাবিলা করে। নয়া কাঠামোর আওতায় ইউএসএমইএ এবং ইউবিএসই দ্বারা প্রণীত নিয়মাবলী সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলির সমস্ত শিক্ষাগত, প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রমে প্রযোজ্য হবে। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, সামঞ্জস্য ও গুণগত মান উন্নত হবে (Uttarakhands Minority Education Bill)।

    বিলটিতে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা

    বিজেপি সরকারের আনা এই বিলটি ধর্মীয় স্বাধীনতার সংরক্ষণ ও সমন্বিত শিক্ষাগত মান বজায় রাখার মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫ ও ২৬ ধর্ম বিশ্বাস প্রকাশ এবং পালন করার অধিকার সুরক্ষিত করেছে। তবে দুটিই যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধের আওতায় থাকে। আনজুম কাদারি বনাম ভারত সংঘ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য করেছে। এটি হল, একদিকে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলিতে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানের অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় নির্দেশনা ও প্রবর্তন অনুচ্ছেদ ২৮-এর কারণে সীমিত (Madrasa)।

    উত্তরাখণ্ডের এই বিলটি এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং এটি ধর্মীয় শিক্ষা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করছে না, বরং এনসিইআরটি এবং রাজ্য বোর্ডের মানদণ্ড মেনে চলার শর্ত দিয়ে তার ক্ষেত্র নির্ধারণ করছে। বিলটি সংখ্যালঘু অধিকার হরণ করছে এমন দাবি থেকে বহু দূরে, বরং এটি (Madrasa) নিশ্চিত করে যে প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় স্বাধীনতা শিক্ষাগত মানের সঙ্গে সুসঙ্গতভাবে বজায় থাকবে (Uttarakhands Minority Education Bill)।

  • Chhattisgarh: বর্ষার পরে ফের ছত্তিশগড়ে জোর দেওয়া হবে মাও দমনে

    Chhattisgarh: বর্ষার পরে ফের ছত্তিশগড়ে জোর দেওয়া হবে মাও দমনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার পরে ফের ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) জোর দেওয়া হবে মাও দমনে (Maoist)। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশ থেকে নকশাল দমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্ষার আগে জোর কদমে চলেছিল মাও দমন অভিযান। আপাতত তাতে ঢিলে দেওয়া হলেও, বর্ষার পরে ফের জোরদার করা হবে মাও দমন অভিযান। সরকারি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ৪৩ জন শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডারের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বর্ষার মরশুম শেষ হলে তাদের লক্ষ্য করে জোরদার অভিযান চালানো হবে।

    শীর্ষ নকশাল নেতা (Chhattisgarh)

    ওই তালিকায় রয়েছে ২৫ জন ছত্তিশগড়ভিত্তিক শীর্ষ নকশাল নেতা, যার মধ্যে রয়েছে মাদাভি হিদমা, নিষিদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ৪৩ জন ওয়ান্টেডের মধ্যে ৫ জন নকশাল অন্ধ্রপ্রদেশের, আর ৪ জন করে ঝাড়খণ্ড ও তেলঙ্গনার। ওই তালিকায় রয়েছে, মুপাল্লা লক্ষ্মণ রাও এবং মিশির বেসরাও। মিশির ঝাড়খণ্ডের ওয়েস্ট সিংভূম-কোলহান অঞ্চলে সক্রিয় বলে মনে করা হচ্ছে। মাওবাদীদের শীর্ষ ক্যাডারদের লক্ষ্য করে অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সিনিয়র আধিকারিকদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে। কর্তৃপক্ষের মতে, নজরদারির অধীন রাজ্যগুলির মধ্যে রিয়েল টাইম তথ্য বিনিময় এবং গোয়েন্দা সংগ্রহ ব্যবস্থায় সমন্বয় বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানগুলি আরও গোয়েন্দা নির্ভর করা হবে এবং বাহিনীগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)  প্রযুক্তিও ব্যবহার করবে (Chhattisgarh)।

    মাওবাদীকে নিরস্ত্র

    ছত্তিশগড়ে নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে বাহিনী তাদের অভিযান জোরদার করেছে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৪০০-এরও বেশি মাওবাদীকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে পরিচালিত এক অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল মাওবাদী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও বা বসবরাজুকে গুলি করে হত্যা করেছে। প্রসঙ্গত, সরকার গত কয়েক বছরে তীব্র অভিযান ছাড়াও নকশাল বিদ্রোহে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শয়ে শয়ে নিরাপত্তা শিবির স্থাপন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আবুজমাড অঞ্চলের অন্তর্গত এলাকা, যা নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর প্রাক্তন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত (Maoist) ছিল। ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা-সহ অন্যান্য প্রতিবেশী রাজ্যেও একই ধরনের অভিযান বিশেষ সাফল্য এনে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীকে (Chhattisgarh)।

  • PM Modi: ১৩ সেপ্টেম্বর মণিপুর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি

    PM Modi: ১৩ সেপ্টেম্বর মণিপুর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর মণিপুর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত, মণিপুরে (Manipur) ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি—এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত ব্যাপক হিংসা চলছে। সেই ঘটনার পর থেকে এটাই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম মণিপুর সফর।

    জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সফরের আগে সেখানে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। মণিপুরের (Manipur) রাজধানী ইম্ফলের ঐতিহ্যবাহী কাংলা দুর্গে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে একটি বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। ঐতিহাসিক এই দুর্গের সঙ্গে মণিপুরের গৌরবোজ্জ্বল অতীত জড়িত থাকায় সমগ্র প্রাঙ্গণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে এবং নতুন করে রং করা হচ্ছে।

    কাংলা দুর্গে তৈরি বিশাল মঞ্চ

    প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাংলা দুর্গে যে বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে তার সামনে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের আসনব্যবস্থা করা হয়েছে। মঞ্চ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় নানা উপকরণ মণিপুরের বাইরে থেকে আনা হয়েছে এবং ১০০ জনেরও বেশি শ্রমিক দিন-রাত কাজ করছেন।

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে

    অশান্ত মণিপুরে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। মঞ্চস্থলে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী যে রাস্তা দিয়ে দুর্গে পৌঁছাবেন—ইম্ফল বিমানবন্দর থেকে কাংলা দুর্গ পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়ক—সেই পুরো পথ সংস্কার করা হচ্ছে এবং রাস্তাঘাটের আশেপাশে থাকা গাছপালা ছাঁটা হয়েছে।

    প্রস্তুত বিজেপি নেতৃত্ব

    শুধু ইম্ফল নয়, চুরাচাঁদপুর জেলাতেও একই ধরনের সৌন্দর্যায়ন কার্যক্রম চলছে। প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) স্বাগত জানাতে মণিপুরের বিজেপি নেতৃত্বও ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের উন্মাদনা তুঙ্গে রয়েছে।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে সংঘর্ষের পর মুখ্যমন্ত্রী এন. বিরেন সিং পদত্যাগ করেন। পরবর্তীকালে কেন্দ্র সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে এবং বিধানসভাকে স্থগিত রাখা হয়।

  • Punjab Floods: পাঞ্জাবে বন্যা, ১২ হাজার পরিবারের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিল আরএসএস

    Punjab Floods: পাঞ্জাবে বন্যা, ১২ হাজার পরিবারের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS Swayamsevaks) পাঞ্জাবে (Punjab Floods) বন্যা মোকাবিলায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে এবং বন্যাদুর্গতদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করছে। প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন স্বয়ংসেবকরা। আরএসএস-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় ১,৭০০ স্বয়ংসেবক এই কাজে নিয়োজিত রয়েছেন এবং তাঁরা বন্যাদুর্গতদের নানাভাবে সহায়তা করছেন।

    পাঞ্জাবের প্রান্ত-সংঘচালক ইকবাল সিং কী বলছেন?

    পাঞ্জাবের প্রান্ত-সংঘচালক ইকবাল সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছি। আরএসএস-এর (RSS Swayamsevaks)স্বয়ংসেবকরা (Punjab Floods) উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন, পাশাপাশি ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন পাঞ্জাবের ৪১টি অঞ্চলে।

    নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ

    জনগণের প্রয়োজন অনুসারে স্বয়ংসেবকরা নানান ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করছেন। শুধু শুকনো খাবার নয়, তারা রান্না করা খাবারও দুর্গতদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন, যাতে অসহায় মানুষজন তৎক্ষণাৎ খেতে পারেন। পাশাপাশি চাল, ডাল, আটা, লবণ, তেল, চিনি ইত্যাদি রেশন সামগ্রীর প্যাকেট বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, যাতে কয়েকদিনের জন্য হলেও পরিবারগুলো স্বাভাবিকভাবে রান্না চালিয়ে যেতে পারে।এছাড়াও বিশুদ্ধ পানীয় জলের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসব এলাকায় পানীয় জলের বড় সংকট তৈরি হয়েছে, সেখানে বোতলজাত জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। স্বয়ংসেবকরা ত্রিপল বিতরণ করছেন, যাতে দুর্গত মানুষ অন্তত অস্থায়ীভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করতে পারেন। একইসঙ্গে বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে কম্বল, চাদর ও বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    চিকিৎসার দিকটিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে

    চিকিৎসার দিকটিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধ, সর্দি-কাশি ও জ্বরের ওষুধ, স্যালাইন, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী দুর্গতদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। মশার উপদ্রব বাড়ায় মশার ধূপ, কয়েল ও স্প্রে পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শুধু মানুষ নয়, গবাদিপশুদের কথাও ভুলে যাননি স্বয়ংসেবকরা। যেসব পরিবার গরু-ছাগল বা অন্য প্রাণী নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন, তাদের জন্য বিশেষভাবে পশুখাদ্য, খড় ও খাদ্যেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে কৃষক পরিবারগুলোও কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন।

    মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করছেন স্বয়ংসেবকরা

    জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন অঞ্চলের স্বয়ংসেবকরা মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করছেন। ইতিমধ্যেই আরএসএস-এর স্বয়ংসেবকরা ১২ হাজারেরও বেশি পরিবারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছে দিয়েছেন। দুধ, চিনি ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় (Punjab Floods) জিনিসপত্র গ্রামেগ্রামে পৌঁছে দিচ্ছেন স্বয়ংসেবকরা। উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে কপূরথালা জেলা, যেখানে অসংখ্য স্বয়ংসেবক সেবামূলক কাজে নেমেছেন এবং বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রান্ত-সংঘচালক ইকবাল সিং জানিয়েছেন, স্বয়ংসেবকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের পাশে দাঁড়ান। এই ত্রাণ ও সেবামূলক কাজে সেবা ভারতী, ভারত বিকাশ পরিষদ, বিদ্যাভারতী, কৃষক সংঘ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ প্রভৃতি সংগঠনও যুক্ত রয়েছে (Punjab Floods) ।

  • Lunar Eclipse 2025: আজ চন্দ্রগ্রহণ, পিতৃপক্ষের শুরু! জেনে নিন ভারতে কখন শুরু হবে সূতক, কী করবেন আর কী করবেন না?

    Lunar Eclipse 2025: আজ চন্দ্রগ্রহণ, পিতৃপক্ষের শুরু! জেনে নিন ভারতে কখন শুরু হবে সূতক, কী করবেন আর কী করবেন না?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse 2025) হতে চলেছে রবিবার। সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ এই চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের রঙ হবে লাল। একে ব্লাড মুন বলা হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, এই গ্রহণের সূতক কাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দু ক্যালেন্ডার এবং জ্যোতির্বিদ্যার গণনা অনুসারে, ৭ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে চন্দ্রগ্রহণ ঘটবে। এই গ্রহণ শুরু হবে রাত ১০ টা ৫৯ মিনিটে এবং শেষ হবে ৮ সেপ্টেম্বর ভোর ৩ টে ২৩ মিনিটে। সামগ্রিকভাবে, এই গ্রহণ প্রায় ৩ ঘন্টা ২৪ মিনিট স্থায়ী হবে। ভারত ছাড়াও, বিশ্বের অনেক জায়গায় এই গ্রহণ দেখা যাবে। এই জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত ঘটনাটি এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে যেমন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অঞ্চল, ফিজি দ্বীপপুঞ্জ এবং অ্যান্টার্কটিকার কিছু অংশে দেখা যাবে।

    সূতক কাল কখন শুরু হবে?

    জ্যোতিষশাস্ত্রে, গ্রহণের (Lunar Eclipse 2025) সঙ্গে সম্পর্কিত সূতক সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূতক সময় চন্দ্রগ্রহণের ৯ ঘন্টা আগে শুরু হয়। এই দৃষ্টিকোণ থেকে, ৭ সেপ্টেম্বর সূতক সময় দুপুর ১২ টা ৫৯ মিনিট থেকে শুরু হবে। হিন্দু ধর্মে, গ্রহণকে একটি ‘অশুভ সময়’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গ্রহণের সময় সাধারণভাবে কোনও শুভ কাজ করা হয় না। এই সময়ে, ধর্মীয় কাজ, পুজো এবং শুভ কার্যকলাপ এড়িয়ে চলার একটি ঐতিহ্য রয়েছে। এইবার চন্দ্রগ্রহণ ভারতে সম্পূর্ণরূপে দৃশ্যমান হতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে, এর সূতক সময়ও ভারতে বৈধ হবে। এই কারণে, মন্দিরের দরজা নির্ধারিত সময়ের আগে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিও সূতক সময় শেষ হওয়ার পরেই অনুষ্ঠিত হবে।

    পিতৃপক্ষে গ্রহণের গুরুত্ব

    সনাতন ধর্মে সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে (Lunar Eclipse 2025) বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় ৷ পিতৃপক্ষের শুরুতেই ভারত থেকে স্পষ্ট দেখা যাবে চন্দ্রগ্রহণ। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের গুরুত্ব অনেক ৷ এই সময়ে পূর্বপুরুষদের নামে তর্পণ করা এবং দানধ্যান করা শুভ। এবছর পিতৃপক্ষ ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু । চলবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেদিনই মহালয়া। দেবীদুর্গার আগমন বার্তার সঙ্গে সঙ্গেই পিতৃপক্ষের অবসান ঘটবে। গ্রহণের সময় জপ, মন্ত্রোচ্চারণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে । শাস্ত্র মতে, এই সময়ে করা ধর্মীয় কাজ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ১০০ গুন বেশি ফলপ্রসূ হয়। গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও, গ্রহণের সময় শাকসবজি বা যে কোনও ধরনের জিনিসপত্র কাটা-কুটি এড়িয়ে চলায় ভালো। পণ্ডিতরা বিশ্বাস করেন গ্রহণের সময়টি মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্যও উপযুক্ত। যেহেতু এবারের এই চন্দ্রগ্রহণ পিতৃপক্ষের প্রথম দিনে পড়েছে, তাই পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা ও পুজোর গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। এই দিনে পিতৃ তর্পণ, দান এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করতে পারেন।

LinkedIn
Share