Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • North Frontier Railway: কাশ্মীর পরবর্তী অধ্যায়ে জোর! বাংলাদেশ সীমান্তে রেলের সম্পত্তি রক্ষায় যৌথ টহল শুরু

    North Frontier Railway: কাশ্মীর পরবর্তী অধ্যায়ে জোর! বাংলাদেশ সীমান্তে রেলের সম্পত্তি রক্ষায় যৌথ টহল শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সরকার বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করেছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) যৌথভাবে সীমান্ত এলাকায় টহল শুরু করেছে। সীমান্ত সুরক্ষা জোরদার এবং রেলওয়ে সম্পদ ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে (North Frontier Railway)। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রেল সুরক্ষা বাহিনী (RPF), রেল পুলিশ (GRP) এবং বিএসএফ-এর (BSF) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সীমান্তের নিকটবর্তী সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিতে যৌথ টহল কর্মসূচি চলছে। এই অভিযানের লক্ষ্য হল নজরদারি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক সীমানার কাছাকাছি রেললাইনের সামনে যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ করা।

    কেন এই পদক্ষেপ

    পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যার পর সতর্ক বিএসএফ। এরপরই উত্তর-পূর্ব ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা এলাকায় রেল সম্পত্তির সুরক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনী নজরদারি জোরদার করেছে। জাতীয় স্বার্থ এবং যাত্রী নিরাপত্তা রক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে, নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের (North Frontier Railway) রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ) সরকারি রেল পুলিশ (জিআরপি) এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে যৌথ টহল কার্যক্রম চালায়। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অধীনস্থ বিভিন্ন ডিভিশনে এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন সেক্টর গুলিতে এক বিশেষ যৌথ টহল পরিচালন করা হয়। এই যৌথ অভিযানগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল সীমান্তবর্তী রেলপথে নজরদারি বৃদ্ধি ও কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা প্রতিরোধ। এনএফআরের বিভিন্ন বিভাগে এই যৌথ টহল পরিচালিত হয়, বিশেষভাবে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলিতে জোর দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো আন্তঃবাহিনী সমন্বয় এবং সতর্কতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।

    রেল সুরক্ষায় জোর

    এনএফআর এর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রেলপথের অবকাঠামো তদারকি করা হচ্ছে, যাতে কোনো ধরনের চুরি, ভাঙচুর, অবৈধ অনুপ্রবেশ বা অন্য কোনো ঝুঁকি এড়ানো যায়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে রেল সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রস্তুতিরও মূল্যায়ন করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিভিন্ন রেল স্টেশন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, সীমান্তবর্তী এই এলাকা দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের অবৈধ যাতায়াতের রুট হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে বলে দাবি সরকারের। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে বাংলাদেশি নাগরিকদের বেআইনি প্রবেশের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। এমনকি বিভিন্ন রেল স্টেশন থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে কিছু ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পাশাপাশি, দীর্ঘদিন ধরেই এই সীমান্ত এলাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনুপ্রবেশের একাধিক পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত ঘেঁষা রেলপথে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে নজরদারি বাড়ানো জরুরি হয়ে ওঠে।

    কোথায় কোথায় টহল

    এনএফআরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (সিপিআরও) কপিঞ্জল কিশোর শর্মা বলেন যে এই উদ্যোগের একটি প্রধান অংশ ছিল লামডিং বিভাগের বদরপুর (দক্ষিণ অসম) রেল স্টেশনে নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরীক্ষা করা। নিরাপত্তা কর্মীরা স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম এবং আশেপাশের এলাকা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিদর্শন করেছেন যাতে কোনও অননুমোদিত কার্যকলাপ শনাক্ত করা যায় এবং প্রতিরোধ করা যায়, যার ফলে ভ্রমণকারী জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মহড়ায়, লামডিং ডিভিশনের শিলচর এবং কাটাখাল বিভাগের মধ্যে একটি যৌথ মোটর ট্রলি পরিদর্শন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আলিপুরদুয়ার ডিভিশন নিউ ময়নাগুড়ি থেকে নিউ দোমোহনী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত যৌথ পায়ে হেঁটে টহল দিচ্ছে যৌথবাহিনী। একইভাবে, কাটিহার ডিভিশনে, হলদিবাড়ি জিরো পয়েন্ট থেকে হলদিবাড়ি রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত যৌথ পায়ে আগেই টহল দেওয়া হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সীমান্তের খুব কাছাকাছি অবস্থিত এই অঞ্চল। এর ফলে এখানে নিরাপত্তার উপর জোর দিতে হয়।

    জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় অগ্রণী রেল

    সিপিআরও-এর মতে, এই সক্রিয় যৌথ উদ্যোগগুলি জাতীয় স্বার্থ রক্ষার প্রতি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর অটল প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। যৌথ টহল কেবল রেল কর্মী এবং যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তার অনুভূতিই বৃদ্ধি করেনি, বরং বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবেও কাজ করেছে। শর্মা বলেন, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে রেল নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিতে অটল এবং এই অঞ্চল জুড়ে যাত্রী, সম্পদ এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষার জন্য আরপিএফ, জিআরপি এবং বিএসএফের সাথে একযোগে কাজ চালিয়ে যাবে। এনএফআর উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলা এবং উত্তর বিহারের পাঁচটি জেলায় কাজ করে।

  • Vizhinjam Seaport: “নতুন যুগের উন্নয়নের প্রতীক”, কেরলের ভিজিনজাম সমুদ্রবন্দর উদ্বোধন করলেন মোদি

    Vizhinjam Seaport: “নতুন যুগের উন্নয়নের প্রতীক”, কেরলের ভিজিনজাম সমুদ্রবন্দর উদ্বোধন করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহেই শুক্রবার কেরলের ভিজিনজাম আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর (Vizhinjam International Seaport) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার কেরলের তিরুবনন্তপুরমে ভারতের প্রথম ট্রান্সশিপমেন্ট হাব ‘ভিজিনজাম আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর’-এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মোদি। প্রকল্পটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে আনুমানিক ৮৮৬৭ কোটি টাকা। এই উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এবং তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। এই বন্দর উদ্বোধনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিপিং ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

    বিকশিত ভারতের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ

    পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় ভারতের বৃহত্তম বন্দর (Vizhinjam Seaport) উন্নয়ন সংস্থা আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড (APSEZ), এই প্রকল্পটি গড়ে তুলেছে। যার দুই-তৃতীয়াংশ খরচ বহন করেছে কেরল সরকার। এই প্রকল্পকে রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় লগ্নি বলে বর্ণনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বন্দরটি ২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক কমিশনিং সার্টিফিকেট পায়। সমুদ্রবন্দরটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেরলে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বন্দরটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুক্রবার সকাল ১০.৩০ টায় শুরু হয়। আদানি গ্রুপের অধীনস্থ আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড (APSEZ) এই প্রকল্পটি নির্মাণ করেছে, যা দেশের বন্দর পরিকাঠামোয় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই বন্দর উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভিজিনজাম কেবল একটি বন্দর নয়, এটি ভারতের বিকশিত ভারত লক্ষ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।” কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন এই দিনকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করে, প্রধানমন্ত্রী ও আদানি গ্রুপকে অভিনন্দন জানান।

    বিশেষত্ব ও কৌশলগত গুরুত্ব

    ভিজিনজাম বন্দরটি (Vizhinjam Seaport) আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট থেকে মাত্র ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত। এই কৌশলগত অবস্থান বড় বড় কার্গো জাহাজগুলোর জন্য একে আদর্শ গন্তব্যে পরিণত করেছে। এতদিন ভারতের প্রায় ৭৫ শতাংশ ট্রান্সশিপমেন্ট কন্টেইনার শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে হ্যান্ডেল হতো। এখন এই নির্ভরতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বন্দরের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, এটি দেশের সবচেয়ে গভীর এবং শক্তিশালী ব্রেকওয়াটার, যা প্রায় ৩ কিলোমিটার লম্বা এবং ২৮ মিটার গভীর। এটি খারাপ আবহাওয়াতেও ধারাবাহিক অপারেশন নিশ্চিত করবে।

    প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

    ভিজিনজাম হবে দেশের প্রথম আধা-স্বয়ংক্রিয় বন্দর, যেখানে থাকবে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ইয়ার্ড ক্রেন এবং রিমোট-অপারেটেড শিপ-টু-শোর ক্রেন। এর পাশাপাশি, এটি ভারতের প্রথম ঘরোয়া প্রযুক্তিতে তৈরি এআই-চালিত ভেসেল ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (VTMS) ব্যবহার করবে, যা আইআইটি মাদ্রাজের সহায়তায় তৈরি হয়েছে। এই বন্দর ইতিমধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম শিপিং কোম্পানি এমএসসি-এর ‘জেড সার্ভিসের’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা ইউরোপ ও এশিয়াকে আফ্রিকার কেপ অব গুড হোপ-এর মাধ্যমে সংযুক্ত করে। ২০২৮ সালের মধ্যে বন্দরের বার্ষিক ক্ষমতা ৩০ লক্ষ টিইইউ-তে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর জন্য প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে আদানি পোর্টস দেবে।

    প্রাচীনকাল থেকেই এই বন্দরের গুরুত্ব

    তথ্য বলছে, প্রাচীন আমল থেকেই কেরলের ভিজিনজাম বন্দর (Vizhinjam Seaport) সমুদ্রপথে বাণিজ্যের একটি বড় কেন্দ্র ছিল। একটা সময় ত্রিবঙ্কুরের রাজ্যের বাণিজ্য হত এই সমুদ্রবন্দর ধরে। বিশ্বের সঙ্গে কেরলকে সংযুক্ত করেছিল এই বন্দর। জানা যায়, এই জায়গার ভৌগলিক অবস্থান গ্রিক, রোম, আরব, চিনের সঙ্গে প্রাচীন যুগে কেরলকে সংযুক্ত করত। তার দ্বারা খাদ্যাভ্যাসগত, আর্কিটেকচার-গত, সংস্কৃতিগত আদানপ্রদানও চলত। ইতিহাস বলছে, এই সমুদ্র বন্দর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগেও ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। কেরলের মশলার বাণিজ্যে থাবা বসাতে এই বন্দরেই আসত বহু ডাচ, পর্তুগিজ, ব্রিটিশ বাণিজ্য জাহাজ। এই বন্দেরর ভৌগলিক অবস্থান ভারতকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব দিচ্ছে। গভীর জলের বন্দর হিসাবে এই বন্দর অত্যন্ত সহায়তা করবে দেশকে, বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    ভারতের সুবিধা

    এতদিন পর্যন্ত ভারতের ৭৫ শতাংশ ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’র কন্টেনার শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দর দ্বারা পরিচালিত হত। যার ফলে একটা মোটা অঙ্কের ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ’ ও রাজস্বের ক্ষতি হত। মনে করা হচ্ছে, দেশের সেই অসুবিধার জায়গাটি কাটিয়ে দেবে ভিজিনজাম। এটি গভীর জলের বন্দর হওয়ায় বড় কার্গো জাহাজ নোঙর করার ক্ষেত্রে এটি লাভদায়ক ভৌগলিক অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বন্দরটি এখন কিংডাও, সাংহাই, বুসান এবং সিঙ্গাপুরের মতো বিশ্বব্যাপী তাবড় বাণিজ্য কেন্দ্রের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবে। মনে করা হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার জলপথ বাণিজ্যের রুটে ভিজিনজাম একটি তাবড় হাব হতে চলেছে। এই বন্দরকে মাল্টি মডেল হাব হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। ফলত, এরসঙ্গে ন্যাশনাল হাইওয়ে ৬৬-র যোগ রয়েছে। যা দেশের বাণিজ্যকে শক্তিশালী করতে সক্ষম। খুব শীঘ্রই এই বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগেরও নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে খবর।

  • ECI: নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত করতে বিরাট উদ্যোগ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের, তিন সংস্কারের ঘোষণা

    ECI: নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত করতে বিরাট উদ্যোগ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের, তিন সংস্কারের ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত করতে চেষ্টার কসুর করছে না ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। নির্বাচনী ত্রুটি রুখতে এবার তারা তিনটি সাহসী সংস্কারের পদক্ষেপ (Fake Voters) করল। এর মধ্যে রয়েছে অপ্রচলিত ভোটার তালিকা, বিএলও-র বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব এবং বুথ পর্যায়ে ভোটারদের বিভ্রান্তি দূর করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তিন সংস্কার বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে নির্বাচন পরিচালনার পদ্ধতিতে বিপ্লব ঘটাবে।

    নির্বাচন কমিশনের বৈঠক (ECI)

    চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের নির্দেশনায় এবং নির্বাচন কমিশনার ড. সুখবীর সিং সান্ধু ও ড. বিবেক জোশীর উপস্থিতিতে প্রধান নির্বাচনী আধিকারিকদের উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনার পর এই তিন সাহসী উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে একটি পরিষ্কার ও স্বচ্ছ নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যেই কমিশনের এই উদ্যোগ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    সংস্কার-১: মৃতদের নাম বাদ

    ভারতের ভোটার তালিকা থেকে মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হল রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছ থেকে মৃত্যু নথিভুক্তকরণের ডেটা ইলেকট্রনিকভাবে সংগ্রহ করা। দশকের পর দশক ধরে ভারতের ভোটার তালিকায় “ভুতুড়ে ভোটার” নামে পরিচিত মৃত ব্যক্তির নাম থাকায় তালিকাগুলি দীর্ঘায়িত হত। এতে সৃষ্টি হত প্রতারণা ও জালিয়াতির সুযোগ। ১৯৬০ সালের নির্বাচকদের (ECI) নিবন্ধন বিধির রুল ৯ এবং ১৯৬৯ সালের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনের সংশোধিত ধারা ৩(৫)(বি)-র আইনি ভিত্তিতে এই সংস্কার বাস্তবায়িত হচ্ছে। এখন থেকে আরজিআই সরাসরি মৃত্যুর ডেটা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে শেয়ার করবে। এই স্বয়ংক্রিয় ডেটা প্রবাহের মাধ্যমে (Fake Voters) ইলেকট্রোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসাররা তৃতীয় পক্ষের তথ্য বা জটিল ফর্ম ৭ প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা না করেই সক্রিয়ভাবে মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার কাজ শুরু করতে পারবেন। তবে, যে কোনও ভুল অপসারণ এড়াতে বুথ লেভেল অফিসাররা (বিএলও) ফিল্ডে গিয়ে যাচাই করবেন, যা স্বয়ংক্রিয়তা ও ফিল্ড-পর্যায়ের তদন্তের মাধ্যমে বৈধতা নিশ্চিত করবে। এই উদ্যোগটি আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলেই আশা করা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনকে মসৃণভাবে গতি ও নির্ভুলভাবে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করতে সাহায্য করবে।

    সংস্কার-২: ফটো পরিচয়পত্র দেওয়ার নির্দেশ

    স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যাতে ভোটারদের আস্থার ভিত মজবুত হয়, তাই একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে নির্বাচন কমিশন সব বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-কে একটি অভিন্ন, জাল-প্রতিরোধী ফটো পরিচয়পত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই আইডি কার্ডটি দরজায় দরজায় ভোটার সংযোগ কার্যক্রমের সময় অনায়াসেই শনাক্তকরণের জন্য (Fake Voters) ডিজাইন করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিত্ব (ECI) আইন, ১৯৫০-এর ধারা ১৩বি(২) অনুযায়ী, নিয়োগপ্রাপ্ত বিএলওরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মেরুদণ্ড এবং স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করে। তবে, যথার্থ পরিচয়পত্রের অভাবে অনেক ভোটারই বাড়ি বাড়ি যাচাইয়ের সময় প্রকৃত তথ্য দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। কখনও কখনও সন্দেহও প্রকাশ করেন। তাই অনেক সময় এই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা যায় না। নয়া এই নির্দেশিকার মাধ্যমে বিএলওরা এখন সহজে শনাক্তযোগ্য, পেশাদার ও দায়িত্বশীল হবেন। এতে ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে এবং নাগরিকদেরকে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগে সক্ষম করে তুলবে। এই সংস্কার বিশেষত গ্রামীণ ও আধা-শহরাঞ্চলে প্রাসঙ্গিক, যেখানে অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল কর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক প্রায়ই অস্পষ্ট থেকে যায়।

    সংস্কার-৩: ভোটারবান্ধব ভোটার স্লিপ

    ভোটারদের জন্য ভোটের দিনের অভিজ্ঞতাকে আরও ভালো করতে কমিশন ভোটার তথ্য স্লিপকে ভোটারবান্ধব করে পুনর্বিন্যাস করেছে। এই স্লিপগুলি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা ভোটারদের সঠিক ভোটকেন্দ্রের নির্দেশনা দেয় এবং নির্বাচনী তালিকায় তাঁদের নাম আছে (Fake Voters) কিনা, তা নিশ্চিত করে। নয়া বিন্যাসে ভোটকেন্দ্রে (ECI) ব্যবহৃত মূল শনাক্তকারী তথ্য যেমন সিরিয়াল নম্বর ও পার্ট নম্বর বড় ও পরিষ্কার ফন্টে প্রদর্শিত হবে। এতে প্রবীণ, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এবং প্রথমবারের ভোটারদের জন্য তথ্য পড়া সহজ হবে। এই ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ডিজাইন আপডেটের জন্য ভোটকেন্দ্রে ভিড় ও বিভ্রান্তি কমবে। কারণ ভোটার ও কর্মকর্তারা দ্রুত নাম খুঁজে পেয়ে তথ্য যাচাই করতে পারবেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ প্রতিটি ভোটারের বয়স বা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করে ব্যাপক অংশগ্রহণের লক্ষ্যকেও সমর্থন করে।

    প্রসঙ্গত, এই তিনটি উদ্যোগ বিচ্ছিন্ন প্রশাসনিক কোনও সিদ্ধান্ত নয়। এগুলি ভোটারের আস্থা বৃদ্ধি, নির্বাচনী জালিয়াতি রোধ এবং ভারতের নির্বাচনী পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের একটি সুসংহত জাতীয় কৌশলের অংশ (Fake Voters)। জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “সংস্কার কোনও এককালীন ঘটনা নয়। এটি একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। প্রতিটি ভোটারই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিটি ভোটই অবশ্যই প্রকৃত হতে হবে (ECI)।”

  • Tahawwur Rana: রানার কণ্ঠস্বর ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে এনআইএ, অনুমতি আদালতের

    Tahawwur Rana: রানার কণ্ঠস্বর ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে এনআইএ, অনুমতি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার অন্যতম মূল চক্রী তাহাউর রানার (Tahawwur Rana) কণ্ঠস্বরের নমুনা ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ (NIA)। ইতিমধ্যেই দিল্লির আদালতে এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে এনআইএ। শুধু তাই নয়, এই ষড়যন্ত্রীর এনআইএ হেফাজতের মেয়াদও বাড়িয়ে দিয়েছেন দিল্লির বিশেষ এনআইএ আদালতের বিচারক চান্দেরজিৎ সিং। ২৮ এপ্রিল রানাকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক আরও ১২ দিনের জন্য তাঁকে এনআইএ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে শুনানির সময় এনআইএ আদালতে জানিয়েছিল মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত রানার বিরুদ্ধে প্রচুর প্রামাণ্য নথি তাদের হাতে রয়েছে। যদিও কোন নথি রয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনেনি জাতীয় তদন্তকারী এই সংস্থা।

    হেডলির সঙ্গে রানার নিরন্তর যোগাযোগ (Tahawwur Rana)

    জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার আগে পাক বংশোদ্ভূত জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে রানার নিরন্তর যোগাযোগ ছিল। এনআইএ সূত্রে খবর, মুম্বই হামলার আগে ভারতে আটবার রেকি করতে এসেছিলেন হেডলি। সেই সময় তিনি মোট ২৩১ বার ফোন করেছিলেন রানাকে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম ভারতে এসেছিলেন হেডলি। সেই সময় রানাকে মোট ৩২ বার ফোন করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার ভারতে এসে তিনি রানাকে (Tahawwur Rana) ফোন করেন ২৩ বার, তৃতীয় বারের বেলায় এসে ফোন করেন ৪০ বার, পঞ্চমবার ভারতে এসে তিনি ফোন করেন ৩৭ বার এবং ষষ্ঠবার তিনি ফোন করেছিলেন ৩৩ বার। অষ্টমবারের বেলায় হেডলি রানাকে সবচেয়ে বেশিবার ফোন করেন। এই যাত্রায় তিনি রানাকে ফোন করেন মোট ৬৬ বার।

    কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ

    এসব তথ্য নিশ্চিত করতেই রানার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছে এনআইএ। তদন্তকারীদের অনুমান, নমুনা সংগ্রহের পর ২৬/১১ জঙ্গি হানায় রানার যোগসূত্র আরও স্পষ্ট হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। হামলা চলেছিল তিন দিন ধরে। ওই হামলায় নাম জড়ায় রানার। তাই হামলার (NIA) সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র প্রমাণ করা এনআইএর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের (Tahawwur Rana)।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে রাম দরবারের নির্মাণ কাজ, বসল প্রথম সোনার দরজা

    Ram Mandir: অযোধ্যায় দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে রাম দরবারের নির্মাণ কাজ, বসল প্রথম সোনার দরজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় সম্পূর্ণ রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের দ্রুত অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রথম তলায় গড়ে উঠছে রাম দরবার (Ram Darbar)। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাম দরবারে সোনার দরজা স্থাপন করা হয়েছে। মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় মাইলফলক বলেই জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। রাম দরবারের নির্মাণের মাধ্যমেই নতুন অধ্যায়ের সূচনা  হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, রাম দরবারে ভগবান রাম, সীতা, লক্ষণ এবং হনুমানের মূর্তি স্থাপন করা হবে। রাম দরবারের কাজ এখন পুরোদমে চলছে।

    ব্যস্ত নির্মাণ কর্মীরা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন (Ram Mandir)

    নির্মাণ কর্মীরা খুবই ব্যস্ত। নিজেদের নাওয়া-খাওয়া ভুলে সদা ব্যস্ত তাঁরা। প্রতিনিয়ত তাঁরা রাম দরবারকে কীভাবে আরও সুন্দর করা যায়, সেই ভাবনাই ভাবছেন। রাম দরবারে (Ram Darbar) প্রতিষ্ঠিত সোনার দরজা কেবলমাত্র একটি দরজাই নয়, তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানাচ্ছে যে, এটি একটি আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজের বিষয়ে দেশের কোটি কোটি ভক্তের আগ্রহ তুঙ্গে। রাম নগরীর মন্দিরের প্রতিটি আপডেট পেতে তাঁরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। এই আবহে রাম দরবার নিয়ে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে।

    রাম দরবারের (Ram Mandir) কাজ শেষ হলে আরও বেশি ভক্ত সমাগম হবে

    রাম মন্দির আজ আর কেবল হিন্দু ধর্মের আস্থা বা বিশ্বাসের প্রতীক হয়েই নেই। উপরন্তু এদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পরম্পরা এবং জাতীয় অস্মিতার প্রতীক হয়ে উঠেছে রাম মন্দির। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, রাম দরবারের (Ram Darbar) নির্মাণ কাজ শেষ হলে আরও বেশি সংখ্যক লক্ষ লক্ষ তীর্থ যাত্রা এখানে হাজির হবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০২০ সালের অগাস্টে ভূমি-পূজন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের (Ram Mandir)।

  • Amit Shah: ‘‘বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে’’, পহেলগাঁওকাণ্ডে হুঙ্কার অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘‘বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে’’, পহেলগাঁওকাণ্ডে হুঙ্কার অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর প্রথমবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর হুঙ্কার, ‘‘বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে। কেউ যদি ভাবে কাপুরুষের মতো হামলা চালিয়ে জিতে যাবে, তাহলে তাদের মনে রাখা দরকার এটা নরেন্দ্র মোদির ভারত। তাই একে একে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়া হবে।’’

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে রয়েছে

    বৃহস্পতিবারই নয়াদিল্লির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘দেশের প্রতিটি ইঞ্চি থেকে সন্ত্রাসবাদকে উপড়ে ফেলা আমাদের লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্য পূরণ হবেই। কেবল ১৪০ কোটি ভারতীয় নন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে রয়েছে। বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্র একজোট হয়ে ভারতের সঙ্গে আছে। আমি সকলকে মনে করিয়ে দিতে চাই, যতদিন পর্যন্ত না সন্ত্রাসের মূল ধ্বংস হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। যারা এই জঘন্য হামলা চালিয়েছে তাদের প্রত্যেককে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে।’’

    হামলার পরেই জম্মু-কাশ্মীরে ছুটে যান অমিত শাহ (Amit Shah)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Attack) বৈসরানে পর্যটকদের ওপর ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। এরপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীনগরে ছুটে যান। ঠিক পরের দিন ২৩ এপ্রিল তিনি নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং সমবেদনা জানান। শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর সময় অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘এই জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার (Pahalgam Attack) সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না।’’ সম্প্রতি, মন কি বাত অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী দোষীদের কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল। গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছিল। স্কুল-কলেজের সংখ্যা এবং পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু শত্রুদের এটি পছন্দ হয়নি। সন্ত্রাসবাদীরা আবারও কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায়। আমি নিহতদের পরিবারগুলিকে আশ্বস্ত করছি, তাঁরা ন্যায়বিচার পাবে। এই হামলার নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের কঠোরতম শাস্তি হবে।’’

  • Supreme Court: সেনার মনোবল ভাঙবেন না! পহেলগাঁওকাণ্ডে বিচারবিভাগীয় কমিশনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: সেনার মনোবল ভাঙবেন না! পহেলগাঁওকাণ্ডে বিচারবিভাগীয় কমিশনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) ঘটনায় বিচারবিভাগীয় কমিশন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল জনস্বার্থে মামলা। বৃহস্পতিবার ১ মে তা খারিজ করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং এন কোটেশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছে, এমন কিছু আর্জি জানানো উচিত নয় যা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর মনোবলকে ভেঙে দেয়। বিচারপতিদের বেঞ্চ মামলাকারীদের ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘‘কবে থেকে একজন অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠলেন সন্ত্রাসের মতো বিষয় তদন্ত করার বিষয়ে?’’

    এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আগে দায়িত্বশীল হোন

    সুপ্রিমকোর্ট (Supreme Court) এদিন আরও বলে, ‘‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়, যখন আমাদের দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাঁদের এমন লড়াইকে কখনও খাটো করা উচিত নয়। এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ইস্যু।’’ বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আগে দায়িত্বশীল হোন। দেশের প্রতিও আপনার কিছু কর্তব্য রয়েছে। এটি এমন গুরুত্বপূর্ণ সময় যখন প্রতিটি ভারতীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য হাত মিলিয়েছে। বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেবেন না। বিষয়টির সংবেদনশীলতা খতিয়ে দেখুন।’’

    তিন মামলাকারী হলেন ফতেশকুমার শাহু, মহম্মদ জুনায়েদ এবং ভিকি কুমার

    এক আবেদনকারী দাবি করেন যে, পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের উপর দেশের নানা প্রান্তে হামলা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনি যা আবেদন করছেন সে সম্পর্কে আপনি কি নিশ্চিত?’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনার তদন্ত হোক সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বিচারবিভাগীয় কমিশনের মাধ্যমে। এমনই আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাশ্মীরের তিন নাগরিক। বৃহস্পতিবারই তা খারিজ করল শীর্ষ আদালত। এই তিন মামলাকারীরা হলেন ফতেশকুমার শাহু, মহম্মদ জুনায়েদ এবং ভিকি কুমার। জানা গিয়েছে, তিন জনেই কাশ্মীরের বাসিন্দা। এই তিন ব্যক্তি পহেলগাঁওয়ের ঘটনার তদন্ত করতে চেয়েছিলেন একটি বিচারবিভাগীয় কমিশনের তদারকিতে। তাঁদের আর্জি ছিল কমিশনের মাথায় থাকবেন শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতি। কিন্তু এমন আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।

  • India-Pakistan Conflict: পাক বিমানকে ‘লক্ষ্যভ্রষ্ট’ করতে সীমান্তজুড়ে জিপিএস জ্যামার মোতায়েন ভারতের

    India-Pakistan Conflict: পাক বিমানকে ‘লক্ষ্যভ্রষ্ট’ করতে সীমান্তজুড়ে জিপিএস জ্যামার মোতায়েন ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan Conflict) পশ্চিম সীমান্তে অত্যাধুনিক জ্যামার বসাল ভারত। এর ফলে পাকিস্তানি সেনার বিমান যে ‘গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম’ (জিএনএসএস) ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান স্থির করে, তা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতাও কমিয়ে দেবে। উপগ্রহ-নির্ভর নেভিগেশন সিস্টেমগুলো ব্যাহত হওয়ায় দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

    ভারতের সর্বাধুনিক জ্যামিং প্রযুক্তি, বেকায়দায় পাকিস্তান

    নয়াদিল্লির একটি সূত্র বলছে, পাকিস্তানের সেনাবিমান লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান জানার জন্য জিপিএস (আমেরিকা), গ্লোনাস (রাশিয়া), বেইডু (চিন)— এই তিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কিন্তু এই তিন প্রযুক্তিকেই মাত দিতে পারে ভারতের জ্যামিং প্রযুক্তি, এমনটাই দাবি করছে ওই সূত্র। এই প্রযুক্তির ব্যবহারে পাকিস্তান সেনা তার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানতে ব্যর্থ হতে পারে। সেই লক্ষ্যবস্তুর বিষয়ে যথাযথ তথ্য থেকেও বঞ্চিত হতে পারে তারা। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশির ভাগই হিন্দু পর্যটক। এরপরই ভারত ২০২১ সালের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে। দ্রুত মোতায়েন করা হয়েছে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, যার মাধ্যমে জিপিএস, গ্লোনাস এবং ভারতীয় ‘নাবিক’-সহ বিশ্বব্যাপী ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট সিগন্যালকে ব্যাহত করা হচ্ছে।

    জ্যামারের কাজ কী

    ভারত-পাক সীমান্তে পাক খাচ্ছে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান। এই যুদ্ধবিমানকেই আকাশ প্রতিরক্ষায় পাঠিয়েছে পাকিস্তান। এফ-১৬ সহ একাধিক পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানকেও পাক খেতে দেখা গিয়েছে। ভারত হাত গুটিয়ে থাকার পাত্র নয়। সীমান্তে পাকিস্তানের জারিজুরি কৌশলকে আটকে দিতে এবং যুদ্ধবিমানে থাকা ফ্রিকোয়েন্সি যাতে সমস্যায় পড়ে, তার জন্য ভারতীয় সীমানায় মোতায়েন করা হল অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির জ্যামার সিস্টেম। জ্যামারের কাজই হল, বিমানের ফ্রিকোয়েন্সিকে আটকে দেওয়া। জ্যামার থাকলে বিমান এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমস্যায় পড়বে, আকাশে বিভ্রান্ত হয়ে পাক খেতে হবে। সীমান্তে এই উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির জ্যামার নিয়ে যাওয়ায় পাক বায়ুসেনা আকাশপথে অনেকটাই বিপাকে পড়বে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

    কীভাবে কাজ করে এই জ্যামিং সিস্টেম

    জ্যামার মূলত শক্তিশালী রেডিও সিগন্যাল নির্গত করে, যা উপগ্রহ থেকে নির্দিষ্ট যন্ত্রে (যেমন যুদ্ধবিমান বা ড্রোনে) পাঠানো জিএনএসএস তথ্যকে বিকৃত বা বিঘ্নিত করে। টার্গেটিং সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করে না, প্রিসিশন গাইডেড মিসাইল বা স্মার্ট বোমার সফলতা কমে যায়। রিয়েল-টাইম সিচুয়েশনাল অ্যাওয়ারনেস বিঘ্নিত হয়।

    ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের দখলই আসল

    এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, “এলওসি বরাবর সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, কুপওয়ারায় সংঘর্ষ এবং গুজরাটের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (SEZ) কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা—এই সব কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভবিষ্যতের যুদ্ধে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের দখলই নির্ধারণ করবে বিজয়ী পক্ষ।” ভারত ইতিমধ্যেই মোতায়েন করেছে ‘সম্যুক্তা’ ইডব্লিউ সিস্টেম (রেঞ্জ ২০০ কিমি), ‘হিমশক্তি’ হিমালয় ও উচ্চ-অঞ্চলে, রাফাল জেটে সংযুক্ত ‘স্পেকট্রা’ ইডব্লিউ স্যুট, নৌবাহিনীর ইডব্লিউ সিস্টেম, ‘কালী-৫০০০’ এবং ডিরেক্টেড এনার্জি অস্ত্র (ডিইডব্লু) ব্যবস্থা।

    চিনের সহায়তার আশায় পাকিস্তান

    অন্যদিকে পাকিস্তান চিনের সহায়তায় গঠিত ‘জারব’ উপকূলীয় ইডব্লিউ সিস্টেম, জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানে যুক্ত ইডব্লিউ প্ল্যাটফর্ম এবং বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ চিনা জ্যামার ব্যবহার করে ভারতীয় ড্রোনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (PAF) তাদের ৫২টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের মধ্যে অর্ধেকই সরিয়ে নিয়েছে আরব সাগরের উত্তর উপকূলের পাসনি এয়ারবেসে, যাতে ভারতের রুশ-উৎপাদিত অত্যাধুনিক এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেমের রাডার কভারেজ থেকে দূরে রাখা যায়। সাউথ ব্লকের এক আধিকারিকের কথায়, “ভারতের সমন্বিত নজরদারি ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ঝুঁকি এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, পাকিস্তান তাদের সবচেয়ে মূল্যবান বিমানসম্পদ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।” জানিয়েছেন এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

  • Indus Waters Treaty: পহেলগাঁও হামলার বদলা, পাকিস্তানকে ভাতে মারতে আইএমএফের দ্বারস্থ হতে পারে ভারত

    Indus Waters Treaty: পহেলগাঁও হামলার বদলা, পাকিস্তানকে ভাতে মারতে আইএমএফের দ্বারস্থ হতে পারে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত (Indus Waters Treaty) করে পাকিস্তানকে (Pakistan) ‘জলে’ মারতে চেয়েছে ভারত। এবার আক্ষরিক অর্থেই পড়শি ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’টিকে ভাতে মারতে চায় ভারত। জানা গিয়েছে, আর কয়েক দিন পরেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের বোর্ডের সভা। এই সভায় পাকিস্তান ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চাইতে পারে। পাকিস্তানের ওই চাওয়ায় বাধা দিতে পারে ভারত। অন্তত সূত্রের খবর এমনই।

    আইএমএফ বোর্ডের সভা (Indus Waters Treaty)

    আগামী ৯ মে আইএমএফ বোর্ড জলবায়ু সহনশীলতা ঋণ কর্মসূচির অধীনে পাকিস্তানের জন্য ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নয়া ঋণ পরিকল্পনা মূল্যায়ন করবে। এছাড়াও, বর্তমানে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক সাহায্য প্যাকেজ এবং নীতি সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। সূত্রের খবর, এই ঋণ অনুমোদনের সময় বোর্ড সভায় প্রতিবেশী দেশটির সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনের বিষয়টি তুলে ধরবে ভারত। সেটা হলে পাকিস্তানের পক্ষে ঋণ পাওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে।

    ভোটদানে বিরত ছিল ভারত

    ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আইএমএফের সঙ্গে পাকিস্তান ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্প্রসারিত তহবিল সুবিধা (ইএফএফ) চুক্তিতে পৌঁছায়। এই কর্মসূচির আওতায় পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি, কাঠামোগত সমস্যার সমাধান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর নীতি ও সংস্কার বাস্তবায়নের শর্ত পূরণ করতে হয়েছিল। আইএমএফ ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিস্তিতে দিচ্ছে। পরবর্তী ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিস্তি ছাড়ার জন্য বোর্ডের অনুমোদন অপরিহার্য। এর আগে, প্রতিবেশী দেশের লড়াই চালিয়ে যাওয়া অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে দেওয়া আর্থিক সাহায্য প্যাকেজে ভারত ভোটদানে বিরত ছিল।

    প্রসঙ্গত, ভারত পাকিস্তানের জন্য আইএমএফের সাহায্যের বিরুদ্ধে নেতিবাচক ভোট দিতে পারে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এজন্য তহবিল তছরুপ ও প্রযুক্তিগত কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সিন্ধু নদী জল চুক্তি (Indus Waters Treaty) স্থগিতও।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সাতটি অস্থায়ী সদস্য দেশের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা করেছেন। অনুমান, তিনি তাদের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি ঘটনায় সীমান্ত পারের যোগসূত্র সম্পর্কে জানিয়েছেন। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় পাক (Pakistan) মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তারা বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন হন স্থানীয় এক মুসলিমও (Indus Waters Treaty)।

  • Pahalgam Attack: পাক আকাশসীমা এড়াতে লেহ্-হিন্দুকুশ হয়ে বিমান চালাবে ভারত!

    Pahalgam Attack: পাক আকাশসীমা এড়াতে লেহ্-হিন্দুকুশ হয়ে বিমান চালাবে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের (Pahalgam Attack) পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে ভারত। তার জেরে ভারতের জন্য আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পাকিস্তান (Pakistans Airspace) । স্বাভাবিকভাবেই ঘুরপথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে হচ্ছে ভারতীয় বিমানগুলিকে। যেমন ইউরোপ ও আমেরিকাগামী বিমানগুলি দিল্লি থেকে নিচের দিকে আহমেদাবাদ হয়ে আরব সাগরের ওপর দিয়ে মাস্কাট হয়ে যাচ্ছে। এতে খরচ হচ্ছে বেশি, সময়ও লাগছে। সেই কারণেই নয়া ফ্লাইট রুট খোঁজার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি। সমস্যা মেটাতে ভারতের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং এয়ারলাইন্সগুলির শীর্ষ কর্তারা সমাধানের পথ খুঁজতে আলোচনায় বসেছেন। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্তারা পশ্চিমাঞ্চলের আকাশপথের যানজট কমাতে এবং বিকল্প হিসেবে নয়া ফ্লাইট পথ পরিকল্পনার কথা ভাবছেন।

    বিমান চলাচল সংস্থার কাছে আপিল! (Pahalgam Attack)

    এছাড়াও, ভারত সরকার আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার কাছে আপিল করার কথাও ভাবছে। তাদের যুক্তি হল, পাকিস্তানের এই নিষেধাজ্ঞা ১৯৪৪ সালের বেসামরিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত কনভেনশনে গৃহীত সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন। প্রসঙ্গত, পাকিস্তান নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগোর মতো ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলিকে একাধিক রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।

    বিকল্প পথের খোঁজে আলোচনা

    সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা, বিদেশমন্ত্রক ও অসামরিক বিমান মন্ত্রকের কর্তারা গত সপ্তাহে বিকল্প পথ নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক করেছেন (Pahalgam Attack)। কর্তৃপক্ষ বিমান সংস্থাগুলিকে এই পথের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করতে বলেছেন, যেখানে দিল্লি থেকে যাত্রা শুরু করা একটি বিমান লেহ্-এর উত্তর দিকে এগিয়ে হিন্দুকুশ পর্বতমালার ওপর দিয়ে উড়ে কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের আকাশসীমা অতিক্রম করে ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকার দিকে যেতে পারে। এতে এড়ানো যাবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের আকাশসীমা।

    ২০২১ সালে এয়ার ইন্ডিয়া “পাপা ৫০০” নামে একটি নতুন বিমানপথ চালু করে, যা এয়ারোনটিক্যাল চার্টে উল্লেখ করা হয়। তবে এই পথে যাত্রার সময় বিমানকে পাকিস্তানের আকাশসীমার একটি ছোট অংশ অতিক্রম করতে হয়। প্রস্তাবিত ধারণা অনুযায়ী, বিমানটিকে আরও উত্তরে উড়ে চিনের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে হতে পারে। এক সরকারি কর্তা বলেন, “রুটটির সম্ভাব্যতা যাচাই করতে এয়ারলাইন্সগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে সরকার চিনের অনুমতি চাইতে পারে। এতে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি প্রবেশাধিকার মিলতে পারে। সেক্ষেত্রে বিরতির প্রয়োজন পড়বে না (Pahalgam Attack)।”

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ হওয়ার পরে এখন উত্তর ভারত, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে চলাচলকারী ফ্লাইটগুলি দক্ষিণ দিকে (Pakistans Airspace) আহমেদাবাদের কাছাকাছি দিয়ে উড়ছে। সেখান থেকে আরব সাগর পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁচ্ছছে (Pahalgam Attack)।

LinkedIn
Share