Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Pahalgam Attack: ‘আল্লাহু আকবর’ বলছে জিপলাইন অপারেটর, তারপরেই শুরু গুলি, ভাইরাল পর্যটকের ভিডিও

    Pahalgam Attack: ‘আল্লাহু আকবর’ বলছে জিপলাইন অপারেটর, তারপরেই শুরু গুলি, ভাইরাল পর্যটকের ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) জঙ্গি হামলার ঘটনায় ফের সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে জিপ লাইন অপারেটর যুবক, জিপলাইন শুরু হওয়ার আগে আচমকা বলে উঠছে ‘আল্লাহু আকবর’। পরপর তিনবার। এর পরেই জিপলাইনে থাকা পর্যটককে দড়িতে তুলে দেয় সে। ঋষি ভাট নামের পর্যটকের সেলফি ক্যামেরায় ধরা পড়ে একের পর এক হত্যালীলা। পর্যটক প্রথমে শব্দ শুনলেও, বিষয়টা অতটা বুঝতে পারেননি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পিছনে গুলি লেগে পড়ে যাচ্ছেন এক পর্যটক। সবাই চিৎকার করছেন। প্রায় ১৫ ফুট উঁচুতে দড়িতে ঝুলছিলেন ওই পর্যটক। প্রথমটায় তিনি কিছুই বুঝে কী উঠতে পারেননি। এই ভিডিও সামনে আসতেই ওই জিপ লাইন অপারেটরকে ডেকে পাঠিয়েছে এনআইএ।

    কী বলছেন ঋষি ভাট?

    ঋষি ভাট তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে যান পহেলগাঁওয়ে। একাধিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋষি ভাট বলেন, “আমরা যখন জিপ লাইনে পৌঁছই, তখন কয়েকটা ছবি তুলি (Pahalgam Attack)। এরপর, আমরা জিপ লাইনের টিকিট কেটে জিপ লাইন শুরু করি। আমার স্ত্রী, পুত্র ও আরও চারজন জিপ লাইনে পার হয় প্রথমে। তারপর আমার জিপ লাইনে যাওয়ার পালা।” আচমকা অপারেটর তিনবার বলে ওঠে ‘আল্লাহু আকবর’। ওই অপারেটরকে সন্দেহের তালিকায় রাখছেন ঋষি। রাতে যখন তিনি তাঁর নিজের ক্যামেরায় তোলা ভিডিও দেখেন, তখনই বুঝতে পারেন, তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে ওই অপারেটর কী বলেছিলেন। এরপরেই ঠিক গোলাগুলি শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঋষি।

    ৬-৭ ফুট দূরত্বেই কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ হতে দেখেন ঋষি

    হত্যালীলা শুরু হতেই (Pahalgam Attack) ওই পর্যটকের স্ত্রী যখন নীচ থেকে চিৎকার করেন, তখনই ঋষি বুঝতে পারেন তিনি বুঝতে পারেন কিছু একটা হচ্ছে। এরপরেই জিপ লাইনের দড়ি খুলে ১৫ ফুট উপর থেকে মাটিতে ঝাঁপ দিয়ে পড়েন তিনি। এরপর নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। ঋষি ভাট আরও জানিয়েছেন, ৬-৭ ফুট দূরত্বেই কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ (Pahalgam Attack Video) হতে দেখেছেন তিনি নিজে। এরপরেই কোনওক্রমে দৌড়ে জঙ্গলে লুকিয়ে পড়েন তিনি।

    জিপলাইনে অন্যান্য পর্যটকরা সওয়ার হলে ‘আল্লাহু আকবর’ বলেনি ওই অপারেটর

    আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করে ঋষি ভাট জানিয়েছেন যে তাঁর আগে যে সমস্ত পর্যটকরা (Pahalgam Attack) জিপলাইনে সওয়ার হয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ‘আল্লাহু আকবর’ বলেনি ওই অপারেটর। আবার যখনই পর্যটকের স্ত্রী এবং সন্তানরা পার হয় তখনও তাকে ‘আল্লাহু আকবর’ বলতে শোনা যায়নি। ওই পর্যটক বলেন, যখন আমি জিপলাইনে সওয়ার হলাম তখনই ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দেয় ওই অপারেটর। এর পরেই গুলি চালানো শুরু হয়।

    আমার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে আমি দৌড়াতে শুরু করি

    এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,‘‘আপনারা ভিডিওতে (Pahalgam Attack Video) দেখতে পাচ্ছেন একজন লোক পড়ে যাচ্ছে। সেই মুহূর্তেই আমি বুঝতে পারলাম যে কিছু একটা সমস্যা এখানে হয়েছে। এরপরে আমি জিপলাইনে দড়িটিকে খুলে দিই। আর প্রায় ১৫ ফুট উঁচু থেকে লাফ দিয়ে পড়লাম। তখন আমার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে আমি দৌড়াতে শুরু করি। আমার মাথায় তখন অন্য কিছু আসেনি। শুধু আমার নিজের জীবন এবং আমার পরিবারের জীবন বাঁচানোর কথা ভাবছিলাম।’’ ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানিয়েছেন জঙ্গলের দিকে প্রথমে তিনি যান, তারপর পার্কিং এরিয়ার দিকে দৌড়াতে থাকেন। এরপর তিনি শ্রীনগরে চলে যান।

    তাঁর স্ত্রীর পাশে থাকা দুই দম্পতিকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা

    ঋষি ভট্ট নিজের কথা যেমন বলেছেন ওই সাক্ষাৎকারে, তেমনই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঠিক কী হয়েছে মাঠে সেটাও তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর পাশে আরও দুইজন দম্পতি ছিলেন। সন্ত্রাসবাদীরা এসে তাঁদের নাম এবং ধর্ম জিজ্ঞেস করে। তারপরেই তাঁদের উপরে গুলি চালায়। ঋষির মতে, ‘‘আমি রোপওয়েতে ছিলাম বলে আমার জীবন রক্ষা পেল। যদি আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে থাকতাম। তাহলে জানিনা আমার কী হত।’’

    ১৮ মিনিটের মধ্যেই আসে সেনাবাহিনী

    প্রত্যেকটি পর্যটক যে দাবি করেছেন সেই একই দাবি উঠে এসেছে ঋষি ভাটের কথাতেও। অর্থাৎ জঙ্গিরা বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করেছে। তাঁদের ধর্ম জিজ্ঞেস করেছে এবং তাঁরা কলেমা পড়তে পারে নাকি সে কথাও জেনেছে। তারপরেই হত্যা করা হয় হিন্দুদের। ঋষির আরও দাবি, যখন গুলি বর্ষণ শুরু হয়, তখন ঘটনাস্থলে কোনও স্থানীয় লোককে তিনি দেখতে পাননি। স্থানীয়রা প্রথমেই পালিয়ে যায়। তাই পর্যটকদের সাহায্য করার জন্য কেউ ছিল না। কিন্তু তাঁরা যখন জঙ্গলে পৌঁছান তার ১৮ মিনিটের মধ্যেই সেনাবাহিনী এসেছিল বলে জানিয়েছেন ঋষি।

  • Anurag Thakur: “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা নির্লজ্জভাবে একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল,” কংগ্রেসকে তোপ অনুরাগের

    Anurag Thakur: “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা নির্লজ্জভাবে একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল,” কংগ্রেসকে তোপ অনুরাগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নেন। তাঁরা একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল।” সোমবার কথাগুলি বললেন সাংসদ বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে মন্তব্যের জন্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস (Congress) নেতা সৈফুদ্দিন সোজের উদ্দেশে কটাক্ষ বাণ হেনে অনুরাগ বলেন, “কংগ্রেসের আসল চেহারা প্রতিনিধিত্বকারী সোজের মতো ব্যক্তিরা সরকারের সিদ্ধান্তে বিচলিত।”

    অনুরাগের অভিযোগ (Anurag Thakur)

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে অনুরাগ অভিযোগ করেন, “সৈফুদ্দিনের মতো নেতারা যাঁরা নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নেন, তাঁরা একটি দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল।” তিনি বলেন, “পাকিস্তান অভ্যাসগতভাবেই অপরাধী, যা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নকে রাষ্ট্রনীতি হিসেবে নিয়ে ভারতকে ক্ষতবিক্ষত করতে ও বিশ্বকে বিপদে ফেলতে উৎসাহিত করে। তাই তাদের জবাবদিহি করতে হবে। নরেন্দ্র মোদি সরকার সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার মাধ্যমে পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, শত্রুতার বিনিময়ে আতিথেয়তা আশা করো না।”

    নিশানায় কংগ্রেস

    অনুরাগ আরও লিখেছেন, “মোদি সরকারের কূটনৈতিক পদক্ষেপ, যা পাকিস্তান ও তার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংযমের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে, তাকে সমগ্র দেশ অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী সৈফুদ্দিন সোজের মতো লোকেরা, যাঁরা কংগ্রেসের আসল চেহারা তুলে ধরেন, তাঁরা সরকারের সিদ্ধান্তে কষ্ট পাচ্ছেন। পাকিস্তানের পক্ষে নির্লজ্জভাবে দাঁড়িয়ে তাঁদের হৃদয় এই দুশ্চরিত্র রাষ্ট্রের জন্য ব্যাকুল।”

    বিজেপি সাংসদ (Anurag Thakur) বলেন, “পাকিস্তান যদি এই ধরনের হামলা চালাতেই থাকে, তবে ভারত এক ফোঁটা জলও দেবে না। পাকিস্তান ও তার বন্ধুদের ক্লাবকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিই যে তোমরা আমাদের রক্তের এক ফোঁটা ঝরালে, ভারত জল দেবে না এক ফোঁটাও।”

    প্রসঙ্গত, এদিন সকালে সৈফুদ্দিন বলেন, “ভারতের উচিত নয় এতদূর যাওয়া, কারণ সিন্ধু জলচুক্তি যুদ্ধের সময়ও ভালোভাবে কাজ করেছে।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে, তা মর্মান্তিক এবং গ্রহণযোগ্য নয়। প্রত্যেক ভারতীয়ের উচিত (Congress) প্রধানমন্ত্রী যে নীতি গ্রহণ করেছেন, তা মেনে চলা (Anurag Thakur)।”

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলরা জবাবে ভারতে নিষিদ্ধ ১৬ পাক ইউটিউব চ্যানেল, নোটিশ বিবিসি-কেও

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলরা জবাবে ভারতে নিষিদ্ধ ১৬ পাক ইউটিউব চ্যানেল, নোটিশ বিবিসি-কেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) জবাবে এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ ভারতের। এর আগে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে প্রায় সবরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এবার বেশকিছু পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল (Pakistan Youtube Channel) ব্যান করল ভারত (India)। উল্লেখ্য, এর আগে নিষিদ্ধের তালিকায় ছিল পাকিস্তান সরকারের সোশ্যাল মিডিয়া, এবং পাক সংবাদমাধ্যমের সোশ্যাল সাইট। আর এবার নিষিদ্ধ করা হল পাকিস্তানি সমস্ত ইউটিউব চ্যানেল। ভারতে বসে আর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম বা অন্য কোনও ব্যক্তির ইউটিউব চ্যানেল দেখা যাবে না। এই চ্যানেলগুলির সম্মিলিত গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৩০ লক্ষপাশাপাশি বিবিসি-কেও চিঠি লিখে সতর্ক করা হয়েছে।

    কোন কোন চ্যানেল বন্ধ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, সিন্ধু জল চুক্তি, বন্ধ সীমান্ত, পাকিস্তানিদের আর দেওয়া হবে না ভিসা-ও। এবার আরও এক বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের। ডন নিউজ, ইরসাদ ভাটি, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ, বোল নিউজ, রফতার, দ্য পাকিস্তান রেফারেন্স, জিও নিউজ, সামা স্পোর্টস, জিএনএন, উজায়ের ক্রিকেট, উমর চিমা এক্সক্লুসিভ, আসমা সিরাজি, মুনিব ফারুক, শুনো নিউজ, রাজি নামা নামের চ্যানেলগুলি ব্যান করা হয়েছে। ভারতীয় ইউজাররা এখন এসব ইউটিউব চ্যানেল দেখতে গেলে একটি বার্তা দেখতে পাচ্ছেন। দেখাচ্ছে, “এই বিষয়বস্তু এই দেশে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে না, কারণ এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কারণে সরকারের নির্দেশে সরানো হয়েছে। সরকারি অনুরোধ সম্পর্কে আরও জানতে গুগল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট দেখুন।” প্রসঙ্গত, আজ সরকারি তরফে যে সমস্ত অ্যাকাউন্টের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে অনেক চ্যানেলকেই চিরতরে ‘সাসপেন্ড’ করা হয়েছে। অর্থাৎ, পাকিস্তানের ওই সমস্ত চ্যানেলে কোনওদিন ভারত থেকে ‘অ্যাকসেস’ করা যাবে না। যদিও অ্যাকাউন্ট ব্যানড হলেও সেখানে আপলোড করা অনেক পুরনো ভিডিও ইউটিউবের অ্যাপ ও ওয়েবসাইট—দু’জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে।

    বন্ধ আখতারের চ্যানেলও

    প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের চ্যানেলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভারতে। যার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় ৩৫ লক্ষ। উল্লেখ্য, রশিদ লতিফ, বাসিত আলির মতো একাধিক ক্রিকেটারের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হলেও ভারতে তাদের বাজার বেশ জনপ্রিয়। কেন্দ্রের কোপে আপাতত সমস্ত চ্যানেলই ‘ব্যানড’। এই তালিকায় রয়েছেন শোয়েব আখতারও। যদিও বাকিদের চেয়ে কয়েক কদম এগিয়ে ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’। বিভিন্ন বিষয়ে অকপট মন্তব্যের জন্য দুই মুলুকের তামাম ক্রিকেটভক্তের মধ্যে সুখ্যাতি রয়েছে শোয়েবের।

    কেন বন্ধ চ্যানেলগুলি

    সরকারের অভিযোগ, পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে ভারত, ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক, সাম্প্রদায়িক ও মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। সেই কারণেই ইউটিউব চ্যানেলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হল। সরকারি সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। সম্প্রতিই কেন্দ্রের নজরে এসেছে যে পাকিস্তানের ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য় সম্প্রচার করা হচ্ছে। বিশেষ করে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর এমন কিছু কন্টেট পোস্ট করা হচ্ছে, যা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বা হিংসার সৃষ্টি করতে পারে। জাতীয় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলগুলি ব্যান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বিবিসি-র উপর ক্ষুব্ধ সরকার

    অন্যদিকে, কেন্দ্রের তরফে বিবিসি-কেও চিঠি লিখে সতর্ক করা হয়েছে তাদের সংবাদ পরিবেশন নিয়ে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার খবরের শিরোনামে লেখা ছিল “কাশ্মীরের হামলার পর পাকিস্তান ভারতীয়দের জন্য ভিসা বন্ধ করল।” এছাড়া সন্ত্রাসবাদী হামলাকেও ‘মিলিট্যান্ট অ্যাটাক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপরই কেন্দ্রের তরফে বিবিসি ইন্ডিয়ার প্রধান জ্যাকি মার্টিনকে চিঠি লেখা হয় এবং জানানো হয় যে বিদেশ মন্ত্রক বিবিসির রিপোর্টিংয়ে নজর রাখবে।

    মোদি-রাজনাথ বৈঠক

    এর আগে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। ২২ এপ্রিলের ওই নাশকতায় প্রাণ হারান ২৬ জন। তাঁদের অধিকাংশই ভারতীয় হিন্দু পর্যটক। এই হামলার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি বিবৃতি পেশ করে। যেখানে বলা হয়, ‘উস্কানিমূলক ও ‘সাম্প্রদায়িক সংবেদনশীল কন্টেন্ট তৈরি, বিভ্রান্তিমূলক ন্যারেটিভ বানানো এবং ভারত নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের ইউটিউব চ্যানেলগুলি ব্যান করা হল।’ এরপর কোন কোন চ্যানেল পুরোপুরি নিষিদ্ধ, তার তালিকা পেশ করেছে কেন্দ্র। সামা টিভি, ডন নিউজ, ইরশাদ ভাট্টি-র মতো একগুচ্ছ চ্যানেল এই তালিকায় রয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পাকিস্তানের বিরদ্ধে কোন পথে সেনা এগোবে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। প্রসঙ্গত, সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া-সহ গোটা বিশ্বই।

  • Rajnath Singh: রাজনাথের সঙ্গে চল্লিশ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, দুয়ারে যুদ্ধ!

    Rajnath Singh: রাজনাথের সঙ্গে চল্লিশ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, দুয়ারে যুদ্ধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই দেশের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ঠিক তার পরের দিনই রাজনাথ গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। ২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জম্মু-কাশ্মীরে যে সেনা অভিযান চলছে সেই ব্যাপারে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁকে ব্রিফিং দেন। পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় জঙ্গিরা বেছে বেছে খুন করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন হন স্থানীয় এক কাশ্মীরি মুসলমান। এদিন প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হয় মিনিট চল্লিশেক।

    রুদ্ধদ্বার বৈঠক (Rajnath Singh)

    রুদ্ধদ্বার ওই কক্ষে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে রাজনাথ দক্ষিণ ব্লকে যান, যেখানে সেনাপ্রধান তাঁকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি, বিশেষত পহেলগাঁওয়ে সর্বশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া অঞ্চলটি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফিং দেন। পহেলগাঁওয়ের ওই ঘটনার জেরে ভারতে তো বটেই, আন্তর্জাতিকভাবেও ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভারত সরকার এই হামলার সীমান্ত-পার্শ্ববর্তী সংযোগের কথা উল্লেখ করে জোরালো ও সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’

    রবিবারই তাঁর ১২১তম ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পহেলগাঁও হামলায় অপরাধী ও ষড়যন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সব চেয়ে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ‘মন কি বাতে’ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে সমগ্র বিশ্ব ১৪০ কোটি (Rajnath Singh) ভারতবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আমি আবারও আশ্বাস দিচ্ছি, তারা ন্যায়বিচার পাবে। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে।” ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে বলেন, “এটি কাশ্মীর ও দেশের শত্রুদের একটি হতাশাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যারা এই অঞ্চলের অসাধারণ অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে চায়।”

    এই হামলাকে “সন্ত্রাসবাদে প্রশ্রয়দানকারীদের” হতাশার প্রতিফলন বলেও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যে সময়ে কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল, স্কুল-কলেজে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছিল, গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়ে উঠছিল, পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং যুবসমাজের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল, সেই (Pahalgam Attack) সময়ে জম্মু-কাশ্মীর ও দেশের শত্রুরা এটিকে মেনে নিতে পারেনি। জঙ্গিরা আবারও কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায় (Rajnath Singh)।”

  • NIA: হামলায় পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট, পহেলগাঁওয়ের তদন্তভার নিল এনআই, ২০ এপ্রিলের আগে রেইকি করে জঙ্গিরা

    NIA: হামলায় পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট, পহেলগাঁওয়ের তদন্তভার নিল এনআই, ২০ এপ্রিলের আগে রেইকি করে জঙ্গিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Aerror Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করা হয়। পাকিস্তানের মদতে সংঘটিত হওয়া এই হত্যাকাণ্ডে লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ এই হত্যা লীলা চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এবার পেহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্তভার নিল এনআইএ (NIA)। রবিবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। নিজেদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্র উন্মোচনের জন্য পুরো এলাকা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তাঁরা। অন্যদিকে, এই ঘটনায় পাকিস্তান যোগের প্রমাণও মিলেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। ২০ এপ্রিলের আগেই জঙ্গিরা হামলার স্থান রেকি করে যায়।

    জঙ্গিদের প্রবেশ ও প্রস্থান পথকে পর্যবেক্ষণ করছে এনআইএ (NIA)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কাছ থেকে এই মামলার যাবতীয় দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে এনআইএ। এনআইএ-র (NIA) ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় সাখারের নেতৃত্বে একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং একজন পুলিশ সুপারিটেনডেন্টের সমন্বয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এরপরেই এনআইয়ের দল পেহেলগাঁওয়ে অবস্থিত বৈসরনে যেখানে হামলা চালানো হয় সেখানে তদন্তে নামে। এনআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। যাঁরা নিজেদের চোখের সামনে এই হত্যালীলা সংঘটিত হতে দেখেছিলেন। সন্ত্রাসবাদীদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার জন্য তদন্তকারী দলগুলি বৈসারনে জঙ্গিদের প্রবেশ ও প্রস্থান পথকেও পর্যবেক্ষণ করছে। একইসঙ্গে ফরেনসিক এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞ দল সেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করছে, যাতে সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রকে উন্মোচন করা যায়।

    ২০ এপ্রিলের আগেই পহেলগাঁওয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে জঙ্গিরা

    এনআইএ-র (NIA) তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য রাজ্যে যে সমস্ত পর্যটক পহেলগাঁও হামলার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বর্তমানে জেলে থাকা লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদ এবং অন্যান্য মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। আতস কাচের তলায় রয়েছে অসংখ্য সহযোগী, তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলায় জড়িতদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। এই কাজে একসঙ্গে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এনআইএ-র তরফ থেকে তদন্তে উঠে এসেছে যে ২০ এপ্রিলের আগেই পেহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Aerror Attack) বৈসরনে এবং আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপরে নজরদারি চালিয়েছিল ওই জঙ্গিরা।

    পাকিস্তান যোগের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে

    ইতিমধ্যে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মুজাফফরবাদ এবং করাচির কিছু জায়গায় যোগ রয়েছে এই সন্ত্রাসী হামলায়। তাই স্বাভাবিকভাবে এখানে পাকিস্তানের হাত স্পষ্টভাবেই রয়েছে। ঠিক যেমনটা ২৬/১১ তে মুম্বাই হামলার সময় পাকিস্তান করেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে যে তথ্য অনুযায়ী, চার থেকে পাঁচ জন সন্ত্রাসবাদি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। তাদের কাছে অত্যাধুনিক মাধ্যমের যোগাযোগ যন্ত্র ছিল। এদের মধ্যে কেউ কেউ সামরিক পোশাকও পরেছিল এবং হাতে ছিল একে-৪৭। গোয়েন্দাদের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেখানে জানতে পারা যাচ্ছে পাকিস্থানে বসে থাকা এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ডদের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র ছিল হামলাকারী সন্ত্রাসবাদীদের। মুজাফফরবাদ এবং করাচিতে বেশ কিছু জায়গায় এমনই ডিজিটাল প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

    স্থানীয় মাঠকর্মীরাই ওই সন্ত্রাসবাদীদের খাদ্য আশ্রয় এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করে

    শুধু তাই নয় গোয়েন্দাদের আরও দাবি, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আইএসআই এই বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভারতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের জন্য সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এবং মার্চ মাসে এনআইএ জম্মু-কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি স্থানে ব্যাপক তল্লাশি চালায় তখনই উঠে আসে এমন তথ্য।
    এনআইএ-র সন্দেহ ভারতে প্রবেশের পরে স্থানীয় মাঠকর্মীরাই ওই সন্ত্রাসবাদীদের খাদ্য আশ্রয় এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করে। জানা গিয়েছে, এনআইয়ে নিজেই মার্চ মাসে একটি বিবৃতি জারি করেছিল। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীরা কাঠুয়া, উধমপুর, ডোডা, কিস্তোয়ার এবং পুঞ্চে উপত্যকায় প্রবেশ করেছে।

    চিহ্নিত আরও ১৪ সন্ত্রাসবাদী

    ইতিমধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ গত শুক্রবারই তিনজন সন্ত্রাসীর স্কেচ প্রকাশ করেছে। যাদের মধ্যে দুজনকে পাকিস্তানি বলে জানা গিয়েছে। এরা হল আলি ভাই এবং হাসিম মুসা। স্থানীয় জঙ্গি আদিলের নাম রয়েছে। এদের প্রত্যেকের মাথার দাম কুড়ি লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে মুসা জম্মু কাশ্মীরের আগে তিনটি সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে ভারতীয় বিমানবাহিনীর কনভয়ের ওপর অতর্কিত হামলাতেও সে জড়িত ছিল। এর পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আরও ১৪ জন সন্ত্রাসবাদীকে চিহ্নিত করেছে। এদের মধ্যে ৮ জন লস্কর-ই-তৈবার তিনজন জৈশ-ই-মহম্মদের এবং ৩ জন হিজবুল মুজাহিদিনের।

  • IWT: পাকিস্তানের সঙ্গে জল চুক্তি স্থগিত, নয়া জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ছে ভারত! চলছে একাধিক বিকল্পের পরীক্ষা

    IWT: পাকিস্তানের সঙ্গে জল চুক্তি স্থগিত, নয়া জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ছে ভারত! চলছে একাধিক বিকল্পের পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। দক্ষিণ কাশ্মীরের পাহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে এই পদক্ষেপ করেছে (IWT) ভারত। এতে একদিকে যেমন বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান। তেমনি অন্যদিকে, আখেরে লাভ হয়েছে ভারতের। সিন্ধু অববাহিকার তিন পশ্চিমাঞ্চলীয় নদী সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাবের জল আরও ভালোভাবে ব্যবহারের জন্য একাধিক বিকল্প সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখছে ভারত। এর মধ্যে চেনাব (চন্দ্রভাগা) নদী থেকে রাভি (ইরাবতী) নদীতে জল স্থানান্তরের জন্য ১০-১২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সুড়ঙ্গ নির্মাণের প্রস্তাবও রয়েছে। ইন্ডাস ওয়াটার্স ট্রিটি (আইডব্লিউটি) অনুযায়ী, ভারত পূর্বাঞ্চলীয় নদীগুলো –শতদ্রু, ইরাবতী এবং বিয়াসের (বিপাশা) জল ব্যবহারের দাবিদার। আর পাকিস্তান পেয়ে থাকে পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলির জল ব্যবহারের অধিকার।

    ভারতের অধিকার (IWT)

    পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরে এখন সব জলের ওপর কায়েম হয়েছে ভারতের অধিকার। চেনাব নদীতে একটি টানেল নির্মাণের প্রস্তাবটি উঠে এসেছে দুটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে। এই বৈঠক দুটির একটি হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে, অন্যটি হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে। দুই বৈঠকেই আলোচনা হয়েছে তিনটি পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীর জল কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে। বৈঠকগুলিতে উপস্থিত ছিলেন পিএমও, স্বরাষ্ট্র, বিদ্যুৎ এবং জলশক্তি মন্ত্রক-সহ বিভিন্ন মন্ত্রকের পদস্থ কর্তারা।

    জোড়া বৈঠক

    বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন এক পদস্থ কর্তা সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “এটি বিবেচনাধীন একটি বিকল্প। চেনাবে টানেল নির্মাণের প্রযুক্তিগত ও সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ জলশক্তি মন্ত্রককে দেওয়া হয়েছে। কেবলমাত্র যদি এটি সম্ভবপর বলে প্রমাণিত হয়, তবেই আমরা প্রকল্পটি এগিয়ে নেব। সমীক্ষা শেষ হলে কী পরিমাণ জল এবং কোন জায়গা থেকে সরবরাহ করা যাবে – এসব তথ্যই স্পষ্ট হয়ে যাবে।” তিনি বলেন, “চেনাবে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরে কিশতোয়ার জেলায় অবস্থিত চারটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ৮৫০ মেগাওয়াট রাতলে, ১ হাজার মেগাওয়াট পাকাল দুল, ৬২৪ মেগাওয়াট কিরু এবং ৫৪০ মেগাওয়াট কওয়ারের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। আর এক সরকারি কর্তা বলেন, “পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলিতে চারটি প্রস্তাবিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (IWT)।

    সুড়ঙ্গ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ

    এগুলির মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত ১ হাজার ৮৫৬ মেগাওয়াটের সাওয়ালকোট, ৯৩০ মেগাওয়াটের কীরথাই-২ হাজার ২৬০ মেগাওয়াটের দুলহাস্তি পর্যায়-২ এবং ২৪০ মেগাওয়াটের উরি ১ পর্যায় -২ প্রকল্প।” সুড়ঙ্গ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ যে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প, তা স্বীকার করে নেন বৈঠকে উপস্থিত কর্তারা। তিনি বলেন, “এগুলিতে সময় লাগবে। তবে বর্তমানেই পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলিতে আমাদের পরিকাঠামোর ক্ষমতা বাড়ানো শুরু করা উচিত বলে মনে করা হয়েছে।” স্বল্পমেয়াদে ভারত পূর্বাঞ্চলীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলিতে যে জলাধারগুলি রয়েছে, সেগুলিতে ড্রাউনডাউন ফ্লাশিং বা পলি অপসারণ পদ্ধতি পরিচালনার কথাও বিবেচনা করছে। সিন্ধু জল চুক্তি অনুযায়ী জলাধারে ড্রাউনডাউন ফ্লাশিং নিষিদ্ধ। ফ্লাশিং না করলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জলাধারে পলি জমে দীর্ঘমেয়াদে সেগুলি অকার্যকর হয়ে পড়ে। ওই কর্তা বলেন, “যেহেতু আইডব্লিউটি বর্তমানে স্থগিত রয়েছে, ভারত পূর্বাঞ্চলীয় নদীগুলির জলাধারেও ড্রাউনডাউন ফ্লাশিং করতে পারবে, যা চুক্তি অনুযায়ী অনুমোদিত নয় (IWT)।”

    ইন্ডাস জল চুক্তি

    ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্ততায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ইন্ডাস জল চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী, ভারতকে ইরাবতী, বিয়াস ও শতদ্রুর পূর্বাংশের জল ব্যবহারের সম্পূর্ণ অধিকার দেওয়া হয়েছে, যা সিন্ধু নদ ব্যবস্থার মোট জলের প্রায় ২০ শতাংশ। অন্যদিকে, পাকিস্তানকে পশ্চিমাংশের সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর জল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যা সিন্ধু নদের প্রায় ৮০ শতাংশ জল বহন করে। এই চুক্তি অনুসারে, ভারত এই তিনটি পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীর জল “অ-খরচযোগ্য” উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে। যেমন, নদীর প্রবাহভিত্তিক জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, কৃষি ও গৃহস্থালির কাজে এই জল ব্যবহার করা যেতে পারে। “রান-অফ-দ্য-রিভার” প্রকল্প বলতে বোঝায় এমন বিদ্যুৎকেন্দ্র যেখানে জলাধার নির্মাণ ছাড়াই সরাসরি নদীর প্রবাহ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

    জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রভূত সম্ভাবনা

    ভারত পূর্বের নদীগুলির নিজের ভাগের প্রায় ৯৫ শতাংশ জল বাঁধের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যবহার করলেও, পশ্চিমের নদীগুলির জল ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি। পশ্চিমের তিন নদীতে ভারতের নির্মিত প্রধান জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে বাগলিহার, সলাল ও কিশনগঙ্গা (IWT)। এক সরকারি আধিকারিকের মতে, “বর্তমানে আইডাব্লুটি স্থগিত থাকায় ভারত এই সুযোগে পশ্চিমের নদীগুলিতে থাকা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিকে দ্রুত শেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জল সংরক্ষণের নতুন পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চাইছে।” প্রসঙ্গত, বর্তমানে পশ্চিমের নদীগুলি থেকে ভারত যে জল ব্যবহার করতে পারে, তা দিয়ে ১৮ হাজার ৫৬৯ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে (IWT)।

  • Pahalgam Terror Attack: উপস্থিত বুদ্ধিতে বাজিমাত! জানেন কীভাবে পহেলগাঁওয়ে ৪০ জনের প্রাণ বাঁচালেন প্রাক্তন সেনাকর্তা?

    Pahalgam Terror Attack: উপস্থিত বুদ্ধিতে বাজিমাত! জানেন কীভাবে পহেলগাঁওয়ে ৪০ জনের প্রাণ বাঁচালেন প্রাক্তন সেনাকর্তা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখের সামনে তখন শুরু হয়ে গিয়েছে হত্যালীলা। মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। শুধু নিজের ভাই, প্রাক্তন সেনাকর্তার উপস্থিত বুদ্ধির জোরে জঙ্গিদের চোখে ধুলো দিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন মাইসোরের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র প্রসন্ন কুমার ভাট। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে (Pahalgam Terror Attack) উপস্থিত ছিলেন তিনিও। চোখের সামনেই দেখেছেন জঙ্গিদের হাতে একে একে ২৬টি ভ্রমণপ্রেমীকে লাশ হয়ে যেতে। সেদিন মৃত্যুর মুখ থেকে কী ভাবে বেঁচে ফিরেছেন, তাই এক্স হ্যান্ডলে দেশবাসীকে জানালেন প্রসন্ন।

    কী ভাবে বেঁচে গিয়েছেন

    বাকিদের মতোই বৈসরনের স্বর্গীয় সৌন্দর্য গায়ে মেখে সারাজীবনের মতো মুহূর্তগুলোকে ক্যামেরাবন্দি করছিলেন প্রসন্ন। তাঁর স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রী একটি ক্যাফেতে বসে কাওয়া (কাশ্মীরি চা) পান করছিলেন। হঠাতই দুটো গুলির শব্দ। আচমকা জঙ্গি হামলা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চলছে গুলি। ওখানে উপস্থিত সকলকে প্রায় ঘিরে ফেলেছে জঙ্গিরা। গুলির শব্দ শুনে বেরোনোর জন্য গেটের দিকে পালাবেন, এটা খুবই স্বাভাবিক, পালাচ্ছিলেনও সকলে। কিন্তু গুলি মারার জন্য সেখানেই ওঁত পেতে বসেছিল জঙ্গিরা। সে দিন সঙ্গে তাঁর ভাই না থাকলে তিনি বাঁচতেন না বলে পোস্টে দাবি করেছেন ভাট। আসলে তাঁর ভাই প্রাক্তন সেনাকর্মী।

    ভয়ঙ্কর স্মৃতি ভোলার নয় 

    সে দিনের ভয়ঙ্কর স্মৃতি মনে করে প্রসন্ন লিখেছেন, ‘খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভ্রমণ দু’দিন স্থগিত রাখার পর, ২২ এপ্রিল দুপুর নাগাদ বৈসরন যাই। সঙ্গে বাচ্চারা ছাড়াও ছিলেন আমার স্ত্রী, ভাই ও ভ্রাতৃবধূ। ঘড়িতে তখন দুপুর ২.২৫। বাচ্চারা পিকনিকের মুডে খেলা করছিল। হঠাৎ ভেসে এল গুলির শব্দ। ভাই শুনেই বুঝতে পারে এটা একে-৪৭-এর আওয়াজ। বাচ্চাদের টেনে নিয়ে দৌড়ে গিয়ে কাছের ভ্রাম্যমান শৌচাগারের পাশে লুকোলাম। ততক্ষণে সেখান থেকে মাঠে দুটো মৃতদেহ পড়তে দেখা হয়ে গিয়েছে। ভাই বলল জঙ্গি হামলা। সঙ্গে সঙ্গে উল্টো দিকে দৌড়নোর পরামর্শ দিল। ভাই শুধু আমাদের পরিবারকেই নয়, আশপাশে থাকা ৩৫-৪০ জনকেও নির্দেশ দেন উল্টো দিকে দৌড়তে।’

    প্রাক্তন সেনাকর্তার উপস্থিত বুদ্ধি 

    এখানেই শেষ নয়, প্রাক্তন সেনাকর্তা হওয়ার দরুণ ভাই বুঝেছিলেন প্রধান প্রবেশপথ দিয়ে পালানোর চেষ্টা মানেই মৃত্যুর ফাঁদে পড়া। সেই মুহূর্তে তিনি প্রায় ৩৫-৪০ জন পর্যটককে সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে একটি জলনিষ্কাশনের পাইপের ফাঁকা জায়গা দিয়ে বের করে দেন। ভাট লেখেন, “ভাই বললেন, সবাই যেন দল বেঁধে না দৌড়ায়, বরং আলাদা আলাদা হয়ে স্লোপ ধরে নিচে নেমে যাই। স্লোপে জল ছিল, কাদা ছিল, অনেকে পিছলে পড়ে যাচ্ছিল, কিন্তু তাতেই জীবন রক্ষা পেয়েছে।” তাঁর নির্দেশ মতোই, বেড়ার নীচের গর্ত দিয়ে বেড়িয়ে নীচের ঢালে সবাই নেমে গিয়েছিলেন, যাতে জঙ্গিদের চোখের আড়ালে চলে যাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে দৌড়ও প্রায় প্রাণে হাতে করে দৌড়ের সামিল ছিল বলে জানিয়েছেন প্রসন্ন কুমার ভাট। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে লাগাতার গুলি। বহুক্ষণ ওখানেই ছিলেন তাঁরা।

    চারিদিকে চিৎকার, আর্তনাদ, কান্না আর ছুটোছুটি

    অত্যন্ত দুর্বল মোবাইল নেটওয়ার্ক থাকা সত্ত্বেও গর্তের নীচ থেকেই ভাটের ভাই স্থানীয় সেনা ইউনিট এবং শ্রীনগরের হেডকোয়ার্টারে খবর পাঠাতে সক্ষম হন। দীর্ঘক্ষণ ওই ঢালে থাকার প্রায় ৪০ মিনিট পরে হেলিকপ্টারে শব্দ পেয়ে তাঁরা আবার উপত্যকার উপরে ফিরে আসেন। কিন্তু সেখানে আসার পর যে দৃশ্য তাঁরা দেখেছেন তা লাইফটাইম ট্রমা বলে জানাচ্ছেন এই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ভাট বলেন, “রক্তাক্ত দেহ, কাঁদতে থাকা মানুষ—এই দৃশ্য আমাদের সারা জীবনের জন্য এক ক্ষত দিয়ে গেল।” তিনি জানিয়েছেন, এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এখনো তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মানসিকভাবে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রসন্ন কুমার ভাট লেখেন, “আমরা ওই বিভীষিকা থেকে বেঁচে ফিরেছি, গুলির শব্দ এখনও কানে বাজছে। ঘুম উড়েছে প্রায় সকলের। চারিদিকে চিৎকার, আর্তনাদ, কান্না আর ছুটোছুটি। ভুলতে পারছি না।” এই হামলাকে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর ভারতের সবচেয়ে ভয়ানক জঙ্গি হামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    ভারতীয় সেনার প্রতি কৃতজ্ঞ

    প্রসন্ন লিখেছেন, পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকার (Pahalgam Terror Attack) সৌন্দর্য অবর্ণনীয়। সেদিন স্বর্গীয় সেই সৌন্দর্য রক্তের লাল রঙে ভাসছিল। ঈশ্বরের কৃপা, ভাগ্য এবং একজন সেনা অফিসারের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং ক্ষিপ্রতাই আমাদের গোটা পরিবার-সহ ৩৫-৪০ জনের জীবন বাঁচিয়েছিল। পোস্টের একদম শেষে নিজের ভাই এবং ভারতীয় সেনার সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান যুবক। নিরাপদে কর্নাটকে ফিরে গিয়েছেন বলেও জানান প্রসন্ন। এখন তাঁদের একটাই আশা, কেউ যেন আর কখনও এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন না হন।

  • Pahalgam Terror Attack: উপত্যকায় আরও তিন জঙ্গির ঘর গুঁড়িয়ে দিল সেনা, মোট সংখ্যা ৯! তল্লাশি অভিযানে মিলল বাঙ্কারের হদিস

    Pahalgam Terror Attack: উপত্যকায় আরও তিন জঙ্গির ঘর গুঁড়িয়ে দিল সেনা, মোট সংখ্যা ৯! তল্লাশি অভিযানে মিলল বাঙ্কারের হদিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার (Pahalgam Terror Attack) পর থেকে জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে নিরাপত্তাবাহিনী। জঙ্গিদের তালিকা তৈরি করে তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। গুঁড়িয়েও দেওয়া হচ্ছে তাদের বাড়ি। প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত মোট ৯ জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের ঘর ধ্বংসে ব্যবহার করা হচ্ছে ডিনামাইট ও প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভ। তল্লাশি অভিযানে জঙ্গিদের একটি বাঙ্কারেরও হদিস পেয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী।

    কাদের বাড়ি ধ্বংস করা হল

    দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার ওয়ানডিনা গ্রামে আদনান শফির বাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সে গত বছর সন্ত্রাসবাদী দলে যোগ দিয়েছিল। একইভাবে পুলওয়ামা জেলায় উড়িয়ে দেওয়া হয় আরেক সক্রিয় জঙ্গি আমির নাজিরের বাড়ি। উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলায় ধ্বংস করা হয়েছে ২০১৬ সাল থেকে সক্রিয় লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি জামিল আহমদ শেরগোজরির বাড়ি। শুক্রবার ধ্বংস করা হয়েছিল পুলওয়ামার কচিপোরা এলাকার হারিস আহমদের (সক্রিয় ২০২৩ সাল থেকে), শোপিয়ানের চোটিপোরা গ্রামের শাহিদ আহমদ কুটাই (সন্ত্রাসবাদে যোগ দেয় মার্চ ২০২৩), এবং পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি ফারুক তিদওয়ার বাড়ি।

    নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনকে সহায়তা

    প্রশাসনের মতে, দক্ষিণ কাশ্মীরের চার জেলা থেকে বহু জঙ্গি সমর্থকদের আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাহির আহমদ কুমার ও শবির আহমেদ গনাই-কে জননিরাপত্তা আইনের (PSA) অধীনে আটক করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, “এই দুজন সক্রিয়ভাবে জঙ্গি কার্যকলাপে সহায়তা করছিল — যেমন চলাফেরা, আশ্রয়, লজিস্টিক সহায়তা। এদের কাজই ছিল তরুণদের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা।” সূত্রের খবর, পহেলগাঁও এবং পুলওয়ামাকাণ্ডের সঙ্গে যে সব স্থানীয় জঙ্গির নাম উঠে এসেছে, সে রকম ১৪ জঙ্গির একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ বার সেই জঙ্গিদের খুঁজে বার করে খতম করার কাজ শুরু করে দিয়েছে সেনা।

    সেই তালিকায় রয়েছে—

    ১। আদিল রহমান দেন্তু: জম্মু-কাশ্মীরের সপোরের লস্কর কমান্ডার। ২০২১ সাল থেকে সক্রিয়। আদিলের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী।

    ২। আসিফ আহমেদ শেখ: জইশ জঙ্গি। অবন্তীপুরার জেলা কমান্ডার। ২০২২ সাল থেকে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত।

    ৩। এহসান আহমেদ শেখ: পুলওয়ামার লস্কর জঙ্গি।

    ৪। হরিশ নাজির: পুলওয়ামার বাসিন্দা। লস্কর জঙ্গি।

    ৫। আমির নাজির ওয়ানি: জইশ জঙ্গি। পুলওয়ামায় সক্রিয়।

    ৬। ইয়াবর আহমদ ভট্ট: জইশ জঙ্গি। পুলওয়ামায় সক্রিয়।

    ৭। আসিফ আহমেদ কন্ডে: সোপিয়ানের বাসিন্দা। ২০১৫ থেকে হিজবুল জঙ্গিগোষ্ঠীর হয়ে কাজ করছে। পাক জঙ্গিদের মদতদাতা।

    ৮। নাসির আহমেদ ওয়ানি: লস্করের  সক্রিয় সদস্য। সোপিয়ানের বাসিন্দা।

    ৯। শাহিদ আহমেদ কুটে: লস্কর আর টিআরএফের সঙ্গে যুক্ত। সোপিয়ানে সক্রিয়।

    ১০। আমির আহমেদ দার: লস্কর আর টিআরএফের সক্রিয় সদস্য।

    ১১। আদনান সফি দার: ২০২৪ সালে লস্কর আর টিআরএফ-এ যোগ দিয়েছে। পাক জঙ্গিদের মদতদাতা।

    ১২। জুবেইর আহমেদ ওয়ানি: হিজবুল জঙ্গি। অনন্তনাগে হিজবুলের অপারেশনাল কমান্ডার।

    ১৩। হারুন রশিদ গনি: হিজবুল জঙ্গি। অনন্তনাগে সক্রিয়। পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে সম্প্রতি।

    ১৪। জুবেইর আহমেদ গনি: লস্কর জঙ্গি। কুলগামে সক্রিয়।

    উদ্ধার প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র

    গত ২২ তারিখ পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে জঙ্গিরা। ধর্ম জেনে বেছে বেছে খুন করা হয় বলে সেখানে উপস্থিত নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানান। এরপর থেকেই উপত্যকাজুড়ে চিরুনি তল্লাশিতে নেমেছে সেনা। চলছে অভিযান। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়ার পরেই উপত্যকার সেদোরি নালা মুস্তাকাবাদ মছিলের জঙ্গলে সম্প্রতি অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকেই জঙ্গিদের বাঙ্কারের হদিসও মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ। সেগুলির মধ্যে রয়েছে পাঁচটি একে-৪৭ রাইফেল, আটটি একে-৪৭ ম্যাগাজিন, একটি পিস্তল, একটি পিস্তল ম্যাগাজিন, একে-৪৭-এর ৬৬০টি কার্তুজ এবং এম৪ বন্দুকের ৫০টি কার্তুজ। পহেলগাঁও জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার অন্তর্গত। গোটা জেলা জুড়ে তল্লাশি অভিযানে এখনও পর্যন্ত আটক হয়েছেন ১৭৫ জন। নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে খবর, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

    জঙ্গিদের গ্রেফতারই লক্ষ্য

    পহেলগাওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর সন্ত্রাস দমনে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। গত কয়েক দিনে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে জম্মু কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সুরক্ষা বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, জঙ্গিদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। এ বার সেই কাজই শুরু হয়ে গেল জম্মু-কাশ্মীরে। তবে সেনার তরফে এও জানানো হয়েছে, শুধু জঙ্গিদের বাড়ি ধ্বংস করা নয়, তাদের গ্রেফতার করাটাই মূল উদ্দেশ্য। কুলগামের কাইমো এলাকার ঠোকরপোরা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা জঙ্গিদের সহযোগী ছিল বলে সেনার অনুমান।

  • JNUSU Elections: জেএনইউতে ইতিহাস গড়ল এবিভিপি, ছাত্র সংসদের ৪২টির মধ্যে ২৪ আসনে এল জয়

    JNUSU Elections: জেএনইউতে ইতিহাস গড়ল এবিভিপি, ছাত্র সংসদের ৪২টির মধ্যে ২৪ আসনে এল জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইতিহাস তৈরি করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (JNUSU Elections)। ছাত্র সংসদের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৪টিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি। প্রসঙ্গত, ৪২ জন ছাত্র-ছাত্রী প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ১৬টি স্কুল এবং অন্যান্য কেন্দ্র থেকে। এর পাশাপাশি সেন্ট্রাল প্যানেলে সহ-সম্পাদক পদে জয় ছিনিয়ে এনেছেন এবিভিপি প্রার্থী বৈভব মিনা। এবিভিপি-র এই বিপুল জয়ে আর কখনও এটা বলা যাবে না যে জেএনইউ লাল দুর্গ। এবিভিপির (ABVP) এই বিপুল উত্থানে একেবারেই লাল দুর্গ ভেঙে পড়ল এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। অনেকেই বলছেন, এটি একটি মাইলফলকও বটে, বিশেষত ছাত্র আন্দোলনের ক্ষেত্রে। এই বিপুল জয়ে পড়ুয়ারা জাতীয়তাবাদী মতাদর্শকেই গ্রহণ করল বলে জানাচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সেন্ট্রাল প্যানেলের একটিমাত্র সহ-সম্পাদক পদে জয় এলেও বাকি সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদেও এবিভিপি জোর টক্কর দিয়েছে। শেষ রাউন্ড পর্যন্ত ঘাড়ের উপরে নিঃশ্বাস ফেলেছে বামপন্থী ছাত্র জোটের উপরে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, সমস্ত বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের মধ্যে লড়াই করে এবিভিপির বিরুদ্ধে। এর সত্ত্বেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এবিভিপি লড়াই দিয়ে যায়।

    রাজস্থানের বাসিন্দা  এবিভিপির বৈভব মিনা জিতলেন সহ-সম্পাদক পদে

    সেন্ট্রাল প্যানেলে সহ-সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন এবিভিপির বৈভব মিনা। জানা যাচ্ছে,  তিনি আদতে রাজস্থানের বাসিন্দা। সে রাজ্যের কারাওলি থেকে তিনি পড়তে আসেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। বৈভব মিনা একজন তফশিলি জাতির ছাত্র। রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক হন। জয়পুরে পড়াশোনা শেষ করে পরবর্তীকালে হিন্দি সাহিত্যে তিনি স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি নেন বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে তিনি হিন্দি সাহিত্যের ওপরে গবেষণা করছেন, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজে। একইসঙ্গে তিনি সম্পূর্ণ করেছেন তাঁর দুবছরের এনএসএস প্রোগ্রামও। বর্তমানে তিনি জেএনইউ-র জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNUSU Elections) কাবেরি হস্টেলের সভাপতি রয়েছেন।

    এক নজরে আমরা দেখে নেব, এবিভিপি (ABVP) কোথা থেকে কত আসন জিতল

    স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে রয়েছে পাঁচটি আসন। এর মধ্যে এবিভিপি জয় পেয়েছে দুটি আসনে।

    স্কুল অফ সোশ্যাল সায়েন্সে রয়েছে পাঁচটি আসন। এর মধ্যে এবিভিপি জয় পেয়েছে দুটি আসনে।

    স্কুল অফ বায়োটেকনোলজিতে রয়েছে দুটি আসন। এখানে এবিভিপি জয় পেয়েছে একটি আসনে।

    স্পেশাল সেন্টার ফর মলিকুলার মেডিসিন এখানে রয়েছে একটি আসন, এবিভিপি জয় পেয়েছে ওই আসনে।

    স্কুল অফ কম্পিউটেশনাল এবং ইন্টিগ্রেটিভ সায়েন্স, এখানে দুটি আসনের মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    স্কুল অফ কম্পিউটার অ্যান্ড সিস্টেম সায়েন্স, এখানে রয়েছে তিনটি আসন যার মধ্যে এবিভিপি জয় পেয়েছে দুটি আসনে।

    স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, এখানে চারটি আসনের মধ্যে চারটিতেই এবিভিপি জয় পেয়েছে।

    স্পেশাল সেন্টার ফর ন্যানো সায়েন্স, এখানে রয়েছে একটি আসন এবিভিপি একটিতেই জয় পেয়েছে।

    স্কুল অফ সংস্কৃত অ্যান্ড ইন্ডিক্ট স্টাডিজ, এখানে রয়েছে তিনটি আসন, তিনটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    অ্যামালগামেটেড সেন্টারে দুটি আসনের মধ্যে দুটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    স্কুল অফ এনভারমেন্টাল সায়েন্সে দুটি আসনের মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    অটল বিহারী বাজপেয়ি স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিয়েন্সিপ, এখানে একটি আসনের মধ্যে একটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    স্কুল অফ ফিজিক্যাল সায়েন্সে তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    সার্টিফিকেট প্রফেসিয়েন্সির একটি আসনের মধ্যে একটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    প্রসঙ্গত, জেএনইউ-র সোশ্যাল সায়েন্সকে মনে করা হত যে বামেদের শক্ত ঘাঁটি। কিন্তু ২৫ বছর পরে এবিভিপি এই জায়গা থেকে দুটি আসন দখল করতে সমর্থ হয়েছে।

    কী বলছেন এবিভিপি নেতৃত্ব (ABVP)

    এ নিয়ে এবিভিপির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNUSU Elections) শাখার সভাপতি রাজেশেখরকান্ত দুবে বলেন, ‘‘আমাদের এই জয় শুধুমাত্র এটা প্রমাণ করে না যে আমরা কতটা সক্রিয় ছাত্র আন্দোলনে, এর পাশাপাশি এটাও প্রমাণ করে বিদ্যার্থী পরিষদের ওপর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিক কতটা বিশ্বাস এবং ভরসা রয়েছে।’’ এবিভিপি তরফ থেকে নবনির্বাচিত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সম্পাদক বৈভব মিনা বলেন, ‘‘আমি এটিকে আমার ব্যক্তিগত জয় হিসেবে দেখছি না। এটা হচ্ছে জাতীয়তাবাদী ভাবাদর্শের জয়।’’

  • Pakistan: বাতিল স্বল্প মেয়াদি ভিসা, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে গত দু’দিনে ভারত ছেড়েছেন ২৭২ জন পাকিস্তানি

    Pakistan: বাতিল স্বল্প মেয়াদি ভিসা, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে গত দু’দিনে ভারত ছেড়েছেন ২৭২ জন পাকিস্তানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে পাকিস্তানিদের এদেশ ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমাও। তথ্য বলছে, অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে গত দু’দিনে ভারত ছেড়েছেন ২৭২ জন পাকিস্তানি। এমনটাই জানা গিয়েছে সরকারি সূত্রে। অন্যদিকে, পাঞ্জাবে এই সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ভারতে ফিরেছেন ৬২৯ জন নাগরিক। জানা যাচ্ছে, এঁদের মধ্যে ১৩ জন কূটনীতিক এবং আধিকারিক রয়েছেন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারত ছেড়েছেন ১৯১ জন পাকিস্তানি। অন্যদিকে শনিবার ওই পথে ভারত ছেড়েছেন আরও ৮১ জন। আবার শুক্রবার ওই সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে এ দেশে ফিরেছেন ২৮৭ জন ভারতীয়। শনিবারে দেশে ফিরেছেন ৩৪২ জন ভারতীয় (India)।

    সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি (Pakistan) মহারাষ্ট্রে

    জানা যাচ্ছে, স্বল্পমেয়াদি ভিসায় ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি ছিলেন মহারাষ্ট্রে। এই সংখ্যাটা প্রায় ১০০০। জানা যাচ্ছে, এমনিতে মহারাষ্ট্রে রয়েছেন প্রায় ৫,০৫০ পাকিস্তানের (Pakistan) নাগরিক। এঁদের বেশির ভাগই দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় রয়েছেন। এর ফলে তাঁদের ভিসা বাতিল হয়নি। অন্যদিকে, তেলেঙ্গানার পুলিশ প্রধান জিতেন্দ্র জানিয়েছেন, সে রাজ্যে পাকিস্তানির সংখ্যা ২০৮। তাঁদের মধ্যে ১৫৬ জন দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় রয়েছেন।সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কিছু পাকিস্তানি বিমানবন্দর দিয়েও ভারত ছেড়েছেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি উড়ান চালু নেই। মনে করা হচ্ছে, তৃতীয় দেশের মাধ্যমে তাঁরা পাকিস্তানে ফিরতে পারেন।

    গুজরাটে থাকা পাকিস্তানিদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু

    অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের পাকিস্তানির (Pakistan) সংখ্যা ২২৮। সে রাজ্যের সরকার জানিয়েছে, বেশিরভাগই পাক নাগরিকই বর্তমানে চলে গিয়েছেন নিজেদের দেশে। ওড়িশায় রয়েছেন ১২ জন পাকিস্তানি। সরকারি তথ্য বলছে, গোয়ায় রয়েছেন তিন জন পাকিস্তানি নাগরিক।অন্যদিকে গুজরাটে স্বল্পমেয়াদি ভিসায় রয়েছে সাত জন পাকিস্তানি নাগরিক। দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় রয়েছেন ৪৩৮ জন। তবে গুজরাটে থাকা পাকস্তানিদের মধ্যে বেশিরভাগজনই হিন্দু (India) বলেই জানা গিয়েছে। যাঁরা নাগরিকত্বের আবেদন জানিয়েছেন।

LinkedIn
Share