Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Fadnavis: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে,” রাহুলের খোঁচার জবাবে বললেন ফড়নবীশ

    Fadnavis: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে,” রাহুলের খোঁচার জবাবে বললেন ফড়নবীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে এ কথাই বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Fadnavis)। গত বছর হয়েছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন। সম্প্রতি এই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল। এই নির্বাচনে বিজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত জোট ২৮৮টির মধ্যে ২৩৫টি আসনে জয়ী হয়। মুখ থুবড়ে পড়ে কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা গোষ্ঠী এবং শরদ পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত মহা বিকাশ আগাড়ি জোট। ওই নির্বাচনে বিজেপি একাই ১৩২টি আসনে জয়ী হয়।

    রাহুলের অভিযোগ (Fadnavis)

    রাহুল তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “নির্বাচনে কারচুপি করার প্রথম ধাপ হল নির্বাচন কমিশন নিয়োগের প্যানেলে জালিয়াতি করা। দ্বিতীয়ত, ভোটার লিস্টে ভুয়ো ভোটার প্রবেশ করানো। তৃতীয়ত, ভোটের হার বেশি করে দেখানো। চতুর্থত, বিজেপি যেখানে জিততে চায়, সেখানে বেশি করে জালিয়াতির জাল বিস্তার করা। পঞ্চমত, প্রমাণ গোপন করা।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “রিগিং একটি ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের মতো — যারা ফিক্স করে তারা হয়তো একটি খেলা জিততে পারে, কিন্তু এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর ও জনগণের ফলাফলের প্রতি আস্থা চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়।” তিনি বলেন, “ম্যাচ-ফিক্সড নির্বাচন যে কোনও গণতন্ত্রের পক্ষে বিষের মতো।” রাহুল গান্ধীর পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পর, নির্বাচন কমিশন এ বছরের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত একটি নথি পুনরায় প্রকাশ করে জানিয়ে দেয়, তাঁর অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ অবাস্তব (Fadnavis)।

    ইভিএমের দোষ!

    ফড়নবীশ রাহুলের মন্তব্যের জবাবে বলেন, “যদি আপনি মানুষকে বোঝাতে না পারেন, তাহলে তাঁদের বিভ্রান্ত করুন—এই নীতিই রাহুল গান্ধী গ্রহণ করেছেন।” তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ইভিএমের দোষ দিয়ে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর গণতন্ত্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তিনি বলেন, “এখন মহারাষ্ট্রে প্রতিটি নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর অভ্যাস হয়ে গিয়েছে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলা। ইভিএম নিয়ে সব মামলাই সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী এমন একজন নেতা যিনি পরাজয় মেনে নিতে পারেন না।” তাঁর প্রশ্ন, “যেসব নির্বাচনে কংগ্রেস সরকার জেতে, সেই সব ইভিএম কি ঠিক (Rahul Gandhi)?” তিনি বলেন, “জনগণের রায়কে সম্মান করুন (Fadnavis)।”

  • Assam Govt. “১৯৫০ সালে পাশ হওয়া আইন প্রয়োগ করেই অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো যাবে”, বললেন হিমন্ত

    Assam Govt. “১৯৫০ সালে পাশ হওয়া আইন প্রয়োগ করেই অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো যাবে”, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Immigrants) তাড়াতে অসম সরকারকে (Assam Govt.) ফি বার আদালতে যেতে হবে না। ১৯৫০ সালে পাশ হওয়া একটি পুরানো আইন ব্যবহার করেই এটি করা সম্ভব। শনিবার নলবাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ কথাই বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি জানান,

    ইমিগ্র্যান্টস অ্যাক্ট, ১৯৫০ (Assam Govt)

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে “ইমিগ্র্যান্টস (এক্সপালশন ফ্রম আসাম) অ্যাক্ট, ১৯৫০” এখনও বৈধ এবং এই আইন ব্যবহার করে রাজ্য সরকার আদালতের দ্বারস্থ না হয়েই অবৈধ বিদেশিদের বিতাড়ন করতে পারে। তিনি বলেন, “একটি পুরনো আইন আছে যার নাম ‘ইমিগ্র্যান্টস এক্সপালশন অর্ডার (১৯৫০)’, এবং নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারা সম্পর্কিত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে এই আইন এখনও কার্যকর। এই আইনের আওতায় এমনকি একজন জেলাশাসকও অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর আদেশ দিতে পারেন।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোনও এক কারণে এই বিধানটি ভুলে যাওয়া হয়েছিল এবং সরকারপক্ষের আইনজীবীরাও এর উল্লেখ করেননি। সম্প্রতি এই আইনের অস্তিত্বের বিষয়টি সামনে আসে। তাই এখন রাজ্য সরকার এই আইন ব্যবহার করেই অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেবে।” তিনি বলেন, “এখন থেকে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করার পর আর বিষয়টি ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর দরকার হবে না, আমরা সরাসরি সীমান্তে তাদের তাড়িয়ে দেব (Illegal Immigrants)।”

    কী বললেন হিমন্ত?

    হিমন্ত বলেন, “অসমে এনআরসির কারণে যে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া একেবারে ধীরগতিতে চলছিল, এখন তা দ্রুত গতিতে হবে। একবার শনাক্ত হলে, আমরা তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাব।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান (Assam Govt.), অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ও প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে শুরু করা হবে এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও চলছে। তিনি বলেন, “এখন এসব বিষয় ট্রাইবুনালে পাঠানোর প্রয়োজন পড়বে না। ফলে প্রক্রিয়াটি আরও দ্রুত হবে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, যেসব ব্যক্তি তাঁদের নির্বাসনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছেন, আদালত সেই বিষয় নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত তাঁদের নির্বাসন দেওয়া হবে না।

    অসমের নাগরিকত্ব আইন

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ঘোষিত রায়ে অসমের নাগরিকত্ব আইনের ধারা ৬এ-র বৈধতা সমর্থন করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ১৯৫০ সালের ‘অসম থেকে অভিবাসী বহিষ্কার আইন’-এর বিধানসমূহকেও ধারা ৬এ-র অন্তর্ভুক্ত হিসেবে পড়া হবে এবং অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে তা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হবে।” সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, ‘ইমিগ্রান্টস এক্সপালশন’ আইনটি নাগরিকত্ব আইনের ধারা ৬এ-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় এবং দুটি আইন একসঙ্গে চলতে পারে (Illegal Immigrants)। শীর্ষ আদালত বলেছে, সংসদ যখন এই আইন প্রণয়ন করেছে, সেটিই প্রমাণ করে যে “বাংলাদেশ থেকে অসমে বিপুল সংখ্যক অভিবাসীর অনুপ্রবেশ সবসময়ই একটি ‘উদ্বেগের কারণ’ ছিল এবং এই সমস্যার সমাধানে সংসদ ইতিপূর্বেও পদক্ষেপ করেছে।”

    কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা

    উল্লেখযোগ্যভাবে, পশ্চিম সীমান্তের জন্য প্রণীত অনুরূপ আইন—“পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ (নিয়ন্ত্রণ) আইন”—১৯৫২ সালের জানুয়ারিতে বাতিল করা হয়। কিন্তু শুধুমাত্র অসমে প্রযোজ্য পূর্ব সীমান্তের আইনটি কার্যকর ছিল। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলে যে, ১৯৫০ সালের ‘অসম থেকে অভিবাসী বহিষ্কার আইন’ প্রণয়ন করা হয়েছিল। কারণ তৎকালীন ‘ফরেনার্স অ্যাক্টে’ পাকিস্তান থেকে আগত অভিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি (Assam Govt.)। অসমবাসী বহিরাগত (বহিষ্কার) আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী, যদি কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে যে অসমের বাইরে থেকে আগত কোনও ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি ভারতের সাধারণ জনগণের বা জনগণের কোনও নির্দিষ্ট অংশের বা অসমের কোনও নির্ধারিত জনজাতির স্বার্থের পরিপন্থী হয়, তবে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের অসম ত্যাগ করার নির্দেশ দিতে পারে এবং তাদের অসম থেকে অপসারণের আদেশ জারি করতে পারে (Illegal Immigrants)।

    কেন্দ্রের ক্ষমতা

    যদিও এই ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া হয়েছে, আইনটি কেন্দ্রীয় সরকারকে এই ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও আধিকারিক অথবা অসম, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ড রাজ্য সরকারের কোনও আধিকারিকের ওপর ন্যস্ত করার অনুমতি দেয় (Assam Govt.)। প্রসঙ্গত, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের স্বদেশে ফেরাতে কাঠখড় পোড়াতে হয় বিস্তর। তাই বিএসএফ রাতের অন্ধকারে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। এতে লাভ হচ্ছে দুটো। এক, আগের তুলনায় অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা কমেছে। আর দুই, শনাক্ত করার পরেই অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Immigrants) দ্রুত তাদের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হচ্ছে (Assam Govt.)।

  • Mineral Diplomacy: কমবে চিনের দাপট! খনিজ কূটনীতিতে মধ্য এশিয়ার ৫ দেশের সঙ্গে চুক্তি ভারতের

    Mineral Diplomacy: কমবে চিনের দাপট! খনিজ কূটনীতিতে মধ্য এশিয়ার ৫ দেশের সঙ্গে চুক্তি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে চলছে চতুর্থ ইন্ডিয়া-সেন্ট্রাল এশিয়া ডায়লগ (Mineral Diplomacy)। এখানেই খনিজ কূটনীতিতে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—একটি কৌশলগত চুক্তিতে এবার থেকে পাঁচটি মধ্য এশীয় দেশ কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং ভারত একসঙ্গে খনিজ উত্তোলনের কাজ করবে।

    এবার কমবে চিনের দাপট

    প্রসঙ্গত, এই অঞ্চলের বেশিরভাগ খনিজ-সমৃদ্ধ এলাকায় (Mineral Diplomacy) এতদিন চিনের দাপট ছিল। ভারতের এই কূটনৈতিক পদক্ষেপে এবার চিনের একাধিপত্য কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই খনিজসমূহ পৃথিবীর অন্যতম বিরল খনিজের মধ্যে পড়ে। এগুলির উত্তোলন থেকে শুরু করে শোধন পর্যন্ত— সবকিছুই এতদিন নিয়ন্ত্রণ করত চিন (Central Asia)। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে পৃথিবীর ছয়টি বিরল খনিজের উপর নিজেদের প্রভাব আরও জোরদার করার কথা ঘোষণা করে চীন, যার মধ্যে ছিল চুম্বকও।

    সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়(Mineral Diplomacy)

    সম্প্রতি খনিজ উত্তোলন নিয়ে নয়াদিল্লিতে একটি উচ্চপর্যায়ের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের খনিজ মন্ত্রক এই সেমিনারের আয়োজন করে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি. কিষণ রেড্ডি এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন। এই অনুষ্ঠানে ২০০-র বেশি স্টেকহোল্ডার অংশ নেয়, যাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাও ছিল। উল্লেখযোগ্য যে, এই জটিল খনিজগুলো (Central Asia) শুধুমাত্র কোনও বস্তুর উৎস নয় বরং এগুলি ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির অন্যতম মূল উপাদান।

    ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে

    ভারতের বিভিন্ন সংস্থা এই খনিজ (Mineral Diplomacy) ব্যবহার করবে বিদ্যুৎ, সৌরশক্তি, সেমিকন্ডাক্টর, এরোস্পেস ইত্যাদি ক্ষেত্রে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর ফলে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ভারত আরও শক্তিশালী হবে। প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া-সেন্ট্রাল এশিয়া ডায়লগে সমস্ত দেশের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিরাই জোর দিয়েছেন ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর। পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গে এই দেশগুলির ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার বিস্তার, ব্যাংকিং সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ব্যবসা ও পর্যটনের প্রসার নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

  • Madhavi Latha: চেনাব সেতু নির্মাণের নেপথ্যে থাকা মাধবী লতাকে চেনেন?

    Madhavi Latha: চেনাব সেতু নির্মাণের নেপথ্যে থাকা মাধবী লতাকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৭ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক প্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক মাধবী লতা (Madhavi Latha)। তাঁর সেই অধ্যাবসায়ের ফল হল বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতু চেনাব সেতু। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়র হলেন মাধবী লতা।

    চেনাব সেতু, একটি চ্যালেঞ্জিং স্বপ্ন (Madhavi Latha)

    কাশ্মীরের চেনাব সেতু (Chenab Bridge) প্রকল্পের সঙ্গে মাধবী লতা যুক্ত হয়েছিলেন সেই ২০০০ সালে, যখন এই সেতুটি ছিল স্রেফ একটি চ্যালেঞ্জিং স্বপ্ন। নেপথ্যে থেকে কাজ করলেও, সেতু তৈরিতে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন জিওটেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে প্রায় দুদশক ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে এসেছেন মাধবী লতা। চেনাব সেতুটি তৈরি হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ভূতাত্ত্বিকভাবে দুর্বল ভূখণ্ডে। এই সময় তিনি প্রযুক্তিবিদদের সাহায্য করেছেন জটিল ঢাল স্থিতিশীলতা কৌশল এবং সাব-স্ট্রাকচার নিরাপত্তা নকশা নিয়ে কাজ করতে। কেবল পরামর্শ দেওয়াই নয়, মাধবী লতা বারবার সাইট পরিদর্শন করেছেন, করেছেন তথ্য বিশ্লেষণও, কাঠামোগত মূল্যায়নও করেছেন, যেগুলি মাটির পরিবর্তনশীল আচরণ, উচ্চ ভূমিকম্পপ্রবণতা এবং অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার কারণে বারবার নতুন করে ক্যালিব্রেট করতে হয়েছে।

    মাধবী লতার অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন

    মাধবী লতার অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন চোখ ধাঁধানো। ১৯৯২ সালে তিনি জওহরলাল নেহরু টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক করেন। এরপর এনআইটি ওয়ারাঙ্গাল থেকে জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এম টেক করেন। অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য স্বর্ণপদকও লাভ করেন তিনি। ২০০০ সালে মাদ্রাজ আইআইটি থেকে জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জিওটেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু জাতীয় সম্মান অর্জন করেন তিনি (Madhavi Latha)।

    সেরা মহিলা জিওটেকনিক্যাল গবেষক পুরস্কার

    ২০২১ সালে তিনি ইন্ডিয়ান জিওটেকনিক্যাল সোসাইটি থেকে “সেরা মহিলা জিওটেকনিক্যাল গবেষক পুরস্কার” পান। পরের বছর তিনি ভারতের শীর্ষ ৭৫ জন এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) ক্ষেত্রের নারীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। এটি বিজ্ঞানে ও প্রযুক্তিতে তাঁর অবদানের এক উজ্জ্বল স্বীকৃতি (Chenab Bridge)। বর্তমানে তিনি আইআইএসসিতে এইচএজি গ্রেডের অধ্যাপক। নয়া প্রজন্মের টেকনিক্যাল পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। চেনাব সেতুটি চেনাব নদীর ওপর ৩৫৯ মিটার উচ্চতায় নির্মিত হয়েছে। এটি আইফেল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার, যা একে শুধু একটি প্রযুক্তিগত কৃতিত্ব নয়, বরং একটি লজিস্টিক ও ভূতাত্ত্বিক ধাঁধায় পরিণত করেছে। এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি খাড়া, ঢালু এবং গভীর খাত দিয়ে গঠিত। দুর্বল শিলা দিয়ে গঠিত ভূমি। তাই ধসের আশঙ্কা প্রতি পদে।

    লতার কাজ

    অধ্যাপক লতা ছিলেন এই ঢালগুলির চরিত্র বিশ্লেষণ এবং এমন স্থিতিশীলকরণ পদ্ধতি নির্ধারণের দায়িত্বে, যা চরম আবহাওয়া ও ভূতাত্ত্বিক চাপও সহ্য করতে পারে (Chenab Bridge)। তাঁর অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল টিমের জন্য এমন গভীর ভিত্তি এবং বিশাল আর্চ সমর্থন ডিজাইন করতে সহায়তা করা, যা ঘণ্টায় ২২০ কিমি পর্যন্ত বায়ু প্রবাহ সহ্য করতে পারে এবং এই ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের কম্পনেও অনড় থাকতে পারে। এক বিবৃতিতে লতা বলেন, “এত জটিল ভূপ্রকৃতিতে ভিত্তি ডিজাইন করার অর্থ ছিল একাধিক ভাঙনের সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা। সেতুটি এমন একটি জায়গায় অবস্থিত, যা কল্পনাতীতভাবে কঠিন। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি কাঠামোগত সিদ্ধান্ত তিনবার করে যাচাই করা হয়েছে (Madhavi Latha)।”

    ভূগর্ভস্থ দুর্ঘটনা রুখতে পদক্ষেপ

    প্রধান নির্মাণ সংস্থা আফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সঙ্গে কাজ করার সময় মাধবী লতা ভূ-প্রযুক্তিগত সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করতেন। ঢালের চরিত্র পর্যবেক্ষণ করতেন। অপ্রত্যাশিত কোনও ভূগর্ভস্থ দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, তাই প্রায়ই তিনি কাঠামোগত নকশায় পরিবর্তনের সুপারিশ করতেন (Chenab Bridge)। এই ধরনের বৃহৎ প্রকল্পে সাধারণত রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের ওপর বেশি ফোকাস পড়ে। কিন্তু অধ্যাপক মাধবী লতার মতো প্রযুক্তিবিদরা দেশকে মনে করিয়ে দেন যে, বৈজ্ঞানিক পরিশ্রম, কারিগরি দক্ষতা এবং গভীর প্রতিশ্রুতিই একমাত্র দর্শনকে বাস্তবে রূপ দেয় (Madhavi Latha)।

    ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তিগত প্রকল্পের ইতিহাসে মাধবী লতার নাম চিরস্থায়ীভাবে খোদাই করা হয়ে গিয়েছে। লতা কেবল একজন অধ্যাপক নন, তিনি নিজেই এই সেতুর এক স্তম্ভ — দৃঢ়, স্থিতিশীল এবং অপরিহার্য। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরের রেসি জেলার বাক্কাল ও কুরির মধ্যে একটি ইস্পাত ও কংক্রিট খিলান যুক্ত রেল সেতুই হল চেনাব সেতু (Chenab Bridge)। সেতুটি চেনাব নদীর তলদেশ থেকে ৩৫৯ মিটার উঁচু। বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু এটি (Madhavi Latha)।

  • RSS: ‘‘স্বয়ংসেবকদের জীবনযাপন সাধারণ কিন্তু চিন্তাভাবনা উচ্চস্তরের’’, বললেন মোহন ভাগবত

    RSS: ‘‘স্বয়ংসেবকদের জীবনযাপন সাধারণ কিন্তু চিন্তাভাবনা উচ্চস্তরের’’, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর স্বয়ংসেবকেরা (RSS) অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করেন, কিন্তু তাঁদের কাজ ও চিন্তাভাবনা থাকে অত্যন্ত উচ্চস্তরের। সমাজের বিকাশ এবং উন্নতির লক্ষ্যে এই কাজ করেন তাঁরা।’’ — এমন কথাই উঠে এল আরএসএস-এর সরসংঘচালক ড. মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) বক্তব্যে।

    সংঘ জীবন নামের একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই কথাগুলি বলেন ভাগবত

    নাগপুরের শৈক্ষিক সহকারী ব্যাঙ্ক অডিটোরিয়ামে সংঘ জীবন নামক একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য রাখেন। বইটি লিখেছেন রামচন্দ্র দেবদরে এবং এটি প্রকাশ করেছে নচিকেত প্রকাশন। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘সংঘের স্বয়ংসেবকরা (RSS) সর্বদা সমাজের জন্য ভালো কাজ করে চলেছেন এবং সেই কাজ তারা করে থাকেন নিঃস্বার্থভাবে ও ধারাবাহিকভাবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আরএসএস সামুহিক সিদ্ধান্তের ওপরেই জোর দেয় সর্বদা। সংঘের প্রতিটি কর্মসূচি ও কার্যকলাপের মধ্যেই এর চেতনা প্রতিফলিত হয়।’’

    প্রচারের আড়ালে কাজ করেন স্বয়ংসেবকরা (RSS)

    তিনি আরও বলেন, ‘‘নেতৃত্বকে আমরা সাধারণভাবে চোখে দেখতে পাই, কিন্তু সেই উৎসর্গীকৃত মানসিকতা সম্পন্ন এবং প্রচারের আড়ালে থাকা অসংখ্য কর্মী যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে সমাজকে সংগঠিত করতে কাজ করে চলেছেন, তাঁদের চোখে দেখা যায় না, কিন্তু তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য।’’ ড. ভাগবত আরও বলেন, ‘‘ভারত ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছে সামুহিক সংঘর্ষের মাধ্যমেই, কিন্তু সেই সংগ্রামের পেছনে ছিল একটি গভীর চেতনা ও আত্মত্যাগের ইতিহাস।’’

    বই সম্পর্কে কী বললেন আরএসএস প্রধান (RSS)

    এই বই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘রামচন্দ্র দেবদরের অভিজ্ঞতাই এই গ্রন্থে প্রতিফলিত হয়েছে তিনি তা অত্যন্ত সরল ও হৃদয়গ্রাহী ভাষায় লিপিবদ্ধ করেছেন এই বই যা পাঠকদের সহজেই বোধগম্য হবে।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই বইয়ের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়েছে সেই সকল স্বয়ংসেবকদের (RSS) প্রতি, যাঁরা নিরন্তর ও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে চলেছেন সমাজের জন্য।

  • INS Arnala: অগভীর জলেও চলতে পারদর্শী, নৌসেনায় যোগ দিচ্ছে সাবমেরিন-ঘাতক ‘আইএনএস অর্নালা’

    INS Arnala: অগভীর জলেও চলতে পারদর্শী, নৌসেনায় যোগ দিচ্ছে সাবমেরিন-ঘাতক ‘আইএনএস অর্নালা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮ জুন বিশাখাপত্তনমে অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার শ্যালো ওয়াটার ক্র্যাফট (ASW-SWC) সিরিজের প্রথম যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস অর্নালা’ (INS Arnala) ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। উল্লেখ্য, গত ৮ মে এই যুদ্ধজাহাজটি নৌবাহিনীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল।

    ৮৮ শতাংশেরও বেশি উপকরণ দেশীয়ভাবে প্রস্তুত

    এই যুদ্ধজাহাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, এর ৮৮ শতাংশেরও বেশি উপকরণ দেশীয়ভাবে প্রস্তুত। আত্মনির্ভর ভারতের স্পষ্ট ছাপ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, এলঅ্যান্ডটি, মহীন্দ্রা ডিফেন্স সহ একাধিক শীর্ষস্থানীয় দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে এই যুদ্ধজাহাজ। ‘অর্নলা’র (INS Arnala) যাত্রায় উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান।

    গার্ডেন রিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড তৈরি করেছে

    জানা গিয়েছে, এই জাহাজ (INS Arnala) তৈরি করেছে গার্ডেন রিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (জিআরএসই)। সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের নৌবাহিনীকে (Anti Submarine Warfare) সহায়তা করবে এই জাহাজ। জাহাজটি ৭৭.৬ মিটার লম্বা এবং ১০.৫ মিটার চওড়া। ‘অর্নালা’র যাত্রা শুরুর দিনে দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন পূর্বাঞ্চলীয় নৌ কমান্ডের ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ ভাইস অ্যাডমিরাল রাজেশ পেনধারকর। একই সঙ্গে এই জাহাজের নির্মাণ শ্রমিকরাও অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন।

    দেশের যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের ইতিহাসে এমন ঘটনা

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য়, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথভাবে এই জাহাজটি তৈরি করা হয়েছে। দেশের যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের (INS Arnala) ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম। জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা হচ্ছে মোট ১৬টি যুদ্ধজাহাজ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আয়তনে ছোট হলেও এই জাহাজ যথেষ্ট কার্যকরী। সমুদ্রে তুলনায় অগভীর এলাকাগুলিতে এই জাহাজ কাজে লাগানো হবে। হাল্কা ওজনের টর্পিডো, সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী রকেটে সমৃদ্ধ হবে এই রণতরী। এই জাহাজকে শক্তি জোগাবে এক জোড়া ডিজেল ইঞ্জিন এবং ‘ওয়াটার জেট প্রোপালসান’ সিস্টেম। বহুক্ষেত্রে শত্রুর সাবমেরিন সেই সব অগভীর সমুদ্রাঞ্চল বা খাঁড়িতে মোতায়েন থাকে বা ঘাপটি মেরে বসে থাকে যেখানে বড় জাহাজ ঢুকতে পারে না। সেখানে অতি সহজেই ঢুকে যাবে ‘আইএনএস অর্নালা’।

    কেন যুদ্ধজাহাজটির নাম ‘অর্নালা’?

    যুদ্ধজাহাজটির নাম ‘অর্নালা’ কেন রাখা হল, তা নিয়ে অনেকের কৌতূহল থাকতেই পারে। এই নামটির পেছনে রয়েছে এক ঐতিহাসিক গুরুত্ব। আসলে, ‘অর্নালা’ নামটি এসেছে মহারাষ্ট্রের এক উপকূলীয় দুর্গ থেকে থেকে। সেটিরও নাম ছিল ‘অর্নালা’ । ১৭৩৭ সালে মারাঠা নেতা চিমাজি আপ্পা-র নেতৃত্বে এই দুর্গটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় বইতোরনা নদীর মুখ এবং উত্তর কোঙ্কন উপকূলকে শত্রু আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য এই দুর্গ ছিল গড়ে তোলা হয়েছিল। এই দুর্গ উপকূল রক্ষার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত ছিল।

  • Extreme Poverty Rate: ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য

    Extreme Poverty Rate: ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার বিশ্বব্যাংকের মুখে শোনা গেল মোদি-স্তুতি। কারণ কী জানেন? কারণ মোদি জমানায় ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য। তামাম বিশ্বের মতো করোনা অতিমারির ধাক্কা লেগেছিল ভারতেও। সেই অভিঘাত কাটিয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণে (Extreme Poverty Rate) ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে ভারত। বিশ্বব্যাংকের (World Bank) সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, সামগ্রিকভাবেও গত এক দশকে ভারতে চরম দারিদ্র্য কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ২০১১-১২ সালে যেখানে চরম দারিদ্র্যের হার ছিল ২৭.১ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা কমে হয়েছে ৫.৩ শতাংশ। বলা বাহুল্য, এই পুরো সময়টাই দেশ চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত (Extreme Poverty Rate)

    বিশ্বব্যাংকের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ওই এক দশকে ২৬ কোটি ৯০ লাখের কিছু বেশি মানুষকে চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করেছে ভারত। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নিরিখে একে উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের করোনা অতিমারি পর্বে ভারতে অন্তত ৫.৬ কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে গিয়েছিলেন বলে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাংকের পভার্টি অ্যান্ড শেয়ার্ড প্রসপারিটি শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছিল।

    অতিমারি পর্বের ধাক্কা

    অতিমারি পর্বের সেই ধাক্কা সামলে মোদি জমানায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি। ২০১১-১২ সালে ভারতে চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি। ২০২২-২৩ সালে তা নেমে এসেছে সাড়ে সাত কোটিতে। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা যাচ্ছে, ২০১১-২৩ সালের মধ্যে নিম্ন-মধ্য আয়ের দারিদ্র্যও ৫৭.৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.৯ শতাংশে। বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্যের সংজ্ঞা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগে দৈনিক ২.১৫ মার্কিন ডলার খরচের ক্ষমতাসীমা মেনে চলত। ২০২১ সালে তা বাড়িয়ে করা হয় ৩ মার্কিন ডলার। তার পরেও ভারতে কমেছে দরিদ্র্যের সংখ্যা।

    বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট

    বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুসারে, গ্রামীণ ও শহুরে উভয় ক্ষেত্রেই দারিদ্র্য হ্রাসে ভারত অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। গ্রামীণ এলাকায় চরম দারিদ্র্য ২০১১-১২ সালে ১৮.৪ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ সালে ২.৮ শতাংশে নেমেছে। শহুরে এলাকায় এই হার ১০.৭ শতাংশ থেকে ১.১ শতাংশে কমেছে। গ্রামীণ ও শহুরে দারিদ্র্যের ব্যবধানও ৭.৭ শতাংশ পয়েন্ট থেকে মাত্র ১.৭ শতাংশ পয়েন্টে নেমে এসেছে, যা বার্ষিক ১৬ হ্রাসের ইঙ্গিত দেয় (Extreme Poverty Rate)। আয়ের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ অ্যাক্সেসের মতো ক্ষেত্রগুলি বিবেচনা করে বিশ্বব্যাঙ্কের বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক অনুসারে, ভারতের অ-আর্থিক দারিদ্র্যও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০০৫-’০৬ সালে এই সূচক ছিল ৫৩.৮ শতাংশ, যা ২০১৯-২১ সালে ১৬.৪ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ সালে আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৫ শতাংশে। এই অগ্রগতি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং মৌলিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস বৃদ্ধির ফল।

    চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যা

    উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশের মতো পাঁচটি রাজ্য ২০১১-১২ সালে ভারতের চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ নিয়ে গঠিত ছিল। এই রাজ্যগুলি ২০২২-২৩ সালের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাসে দুই-তৃতীয়াংশ অবদান রেখেছে (World Bank)। তবে এই রাজ্যগুলি এখনও ২০২২-’২৩ সালে দেশের চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ এবং ২০১৯-’২১ সালে বহুমাত্রিক দরিদ্র জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ নিয়ে গঠিত (Extreme Poverty Rate)।

    মোদির ক্রেডিট

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প এই সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আয়ুষ্মান ভারত, জন ধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা এবং পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনার মতো প্রকল্পগুলি মৌলিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস বাড়িয়েছে এবং দারিদ্র্য কমাতে সাহায্য করেছে। সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলির কার্যকর করায় প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

    দারিদ্র্যের মানদণ্ড

    এই অগ্রগতি নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। তবে বিশ্বব্যাংক এবং অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, দারিদ্র্যের মানদণ্ড খুবই কম হতে পারে। ২.১৫ মার্কিন ডলার প্রতিদিনের সীমা মাসিক ৫ হাজার ২০০ টাকার কম খরচের সমতুল, যা বাস্তব জীবনে পর্যাপ্ত নাও হতে পারে। এছাড়া, আয়ের বৈষম্য এখনও একটি চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব বৈষম্য ডেটাবেস অনুসারে, ২০২৩ সালে ভারতের আয়ের গিনি সূচক ৫২ থেকে ৬২-তে উন্নীত হয়েছে এবং শীর্ষ ১০ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিম্ন ১০ শতাংশের তুলনায় ১৩ গুণ বেশি আয় করে (Extreme Poverty Rate)। ওই রিপোর্টে দারিদ্র্য হ্রাসের ভিত পোক্ত করতে বিশ্বব্যাংক শিক্ষা, স্যানিটেশন এবং আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে আরও উন্নতির ওপর জোর দিয়েছে (World Bank)।

    প্রসঙ্গত, মোদি জমানায় যে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারদ চড়চড়িয়ে বাড়ছে, তার প্রমাণ মিলেছে আগেও। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে থাকা ভারত বর্তমানে উঠে এসেছে চতুর্থ স্থানে (Extreme Poverty Rate)।

  • Ram Mandir: ‘‘রামমন্দির হল সভ্যতার ধ্বনি ও জাতীয় গৌরবের প্রতীক’’, বললেন চম্পত রাই

    Ram Mandir: ‘‘রামমন্দির হল সভ্যতার ধ্বনি ও জাতীয় গৌরবের প্রতীক’’, বললেন চম্পত রাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ জুন অযোধ্যায় রাম দরবারের আটটি মন্দিরের উদ্বোধন হয়। এই আবহে রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক তথা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সহ-সভাপতি শ্রী চম্পত রাই অর্গানাইজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাম মন্দিরের আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক এবং জাতীয় তাৎপর্য তুলে ধরেন (Ram Mandir)। তাঁর মতে, ‘‘রামমন্দির হল সভ্যতার ধ্বনি ও জাতীয় গৌরবের প্রতীক।’’

    এটি ভারতবর্ষের আত্মমর্যাদা এবং সাংস্কৃতিক সার্বভৌমত্বের প্রতীক

    চম্পত রাই বলেন, ‘‘রাম মন্দিরের তাৎপর্য শুধুমাত্র ধর্মীয় দিকেই নেই এটি একটি সভ্যতার প্রতীক। ভারতের জাতীয় গৌরবের পুনরুত্থান সম্ভব হয়েছে এই মন্দির নির্মাণের মাধ্যমে। এপ্রসঙ্গে তিনি ইতিহাসও টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘‘১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে রাম মন্দির ধ্বংস করা হয়েছিল এবং আজ আমরা তা পুনরায় স্থাপন করেছি। এটি ভারতবর্ষের আত্মমর্যাদা এবং সাংস্কৃতিক সার্বভৌমত্বের প্রতীক।’’ তিনি (Champat Rai) বলেন, ‘‘রাম মন্দিরের পুনরুত্থান লক্ষ লক্ষ ভক্তের বিশ্বাস ও মর্যাদার এক জীবন্ত দলিল। তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে মন্দির পরিচালনা করছে। ভক্তদের সুবিধা-অসুবিধা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, নির্মাণ পরিকাঠামোর মধ্যে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৃঙ্খলা, ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, ভক্তদের বিশ্রামাগার ইত্য়াদি সবই রয়েছে।

    স্থানীয় অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধি (Ram Mandir)

    রাম মন্দিরকে (Ram Mandir) কেন্দ্র করে অযোধ্যার স্থানীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে বলেও তিনি জানান। চম্পত রাইয়ের (Champat Rai) মতে, ২০১৯ সালের আগে প্রতিদিন ২০০০ থেকে ৪০০০ মানুষ অযোধ্যায় আসতেন। কিন্তু ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর প্রতিদিন প্রায় চার লক্ষ তীর্থযাত্রী মন্দির পরিদর্শনে আসতে শুরু করেন সেই সময়টাতে। এর ফলে অযোধ্যায় ব্যাপক অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে বলেও জানান তিনি।

    বেড়েছে দিন মজুরদের রোজগার

    তাঁর মতে, রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের পর থেকেই অযোধ্যার স্থানীয় শ্রমিকদের রোজগার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যাঁরা দিনমজুরের কাজ করেন, তাঁরা এখন প্রতিদিন প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করছেন। এ থেকেই বোঝা যায়, রাম মন্দির নির্মাণের ফলে অযোধ্যায় কতটা অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘রাম মন্দিরকে শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে ভুল হবে এটি ভারতের জাতীয় গৌরবের প্রতীক।’’

  • Elon Musk: ভারতে ছাড়পত্র পেল ইলন মাস্কের সংস্থা, কবে থেকে মিলবে স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট পরিষেবা?

    Elon Musk: ভারতে ছাড়পত্র পেল ইলন মাস্কের সংস্থা, কবে থেকে মিলবে স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট পরিষেবা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ইলন মাস্কের (Elon Musk) সংস্থা স্টারলিঙ্ককে ছাড়পত্র দিল ভারত সরকার। ভারতে ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স পেয়ে গেল স্টারলিঙ্ক (Starlink)। ২০২২ সাল থেকে এই লাইসেন্সের জন্যই অপেক্ষা করছিল সংস্থাটি। শুক্রবারই জানা গিয়েছে, ভারতের টেলিকম মন্ত্রক স্টারলিঙ্ককে লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা মাস্কের সংস্থার তরফে এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

    স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট

    স্টারলিঙ্ক হল একটি ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এই সংস্থা দূরদুরান্তে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের বাজারে তারা প্রবেশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এবং আরও কিছু কারণে বার বার স্টারলিঙ্কের সরকারি ছাড়পত্র পাওয়া পিছিয়ে গিয়েছে। শেষমেশ মিলল ছাড়পত্র। তবে এখনও অ্যামাজনের কুপিয়েরকে লাইসেন্স দেয়নি কেন্দ্র।

    লো আর্থ অরবিট

    স্টারলিঙ্কের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, লো আর্থ অরবিট-এ অবস্থিত ছোট ছোট স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা দেয় মাস্কের এই সংস্থা। প্রসঙ্গত, ভূপৃষ্ঠের ১৬০ থেকে ২০০০ কিলোমিটার উচ্চতার মধ্যে কক্ষপথগুলিকে লো আর্থ অরবিট বলা হয়। নিচু অবস্থানের কারণে এই স্যাটেলাইট থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া যায়। ভারতের বাজারে স্টারলিঙ্ক (Starlink) ব্যবসা শুরু করলে ইন্টারনেট পরিষেবা আরও জোরদার হবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে স্টারলিঙ্কের অধীনে রয়েছে ৬ হাজার ৭৫০টি স্যাটেলাইট। তামাম বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ স্টারলিঙ্কের (Elon Musk) এই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।

    প্রসঙ্গত, ভারতের অন্যতম প্রধান দুই টেলিকম তথা ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থা এয়ারটেল এবং রিলায়েন্স জিওর সঙ্গে ইতিমধ্যেই স্টারলিঙ্কের চুক্তি হয়েছে। ভারতের বাজারে স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট আনার জন্য গত মার্চে মাস্কের স্পেসএক্সের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেছিল এয়ারটেল। পরে মুকেশ আম্বানিরাও একই চুক্তি করেন। তবে উভয়ক্ষেত্রেই চুক্তি ছিল শর্তাধীন। বলা হয়েছিল, ভারত সরকারের ছাড়পত্র পেলে তবেই স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট এ দেশে ব্যবহার করবে এয়ারটেল বা জিও। শেষমেশ (Starlink) মিলল সেই কাঙ্খিত ছাড়পত্র (Elon Musk)।

  • PM Modi: জি৭ সামিটে কানাডায় আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: জি৭ সামিটে কানাডায় আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ জি৭ (G7 Summit ) সামিটে আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কানাডায় হবে এই সম্মেলন। এই সম্মেলনেই যোগ দিতে মোদিকে আমন্ত্রণ জানালেন কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। এই বৈঠকে ভারতের যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। শেষমেশ কানাডা থেকে এল আমন্ত্রণ। এবং সে খবর জানালেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। শুধু তাই নয়, খালিস্তানি কাঁটায় দুই দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েন সত্ত্বেও কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে তিনি জানান, এই বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন তিনি।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক জে কার্নির ফোন পেয়ে খুশি হলাম। কানাডার সাম্প্রতিক নির্বাচনে জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন। চলতি মাসের শেষে কানানাস্কিসে আয়োজিত হচ্ছে জি৭ বৈঠক সেখানে আমায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ভিত্তিতে আবদ্ধ দুই গণতান্ত্রিক দেশ ভারত ও কানাডা। এক অপরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নতুন উদ্যমে হাতে হাত রেখে কাজ করতে প্রস্তুত দুই দেশ। এই সম্মেলনে আমাদের সাক্ষাতের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।

    জি৭ কী

    জি৭ হল বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির দেশগুলির একটি গোষ্ঠী। এর সদস্য দেশগুলি হল ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন, জাপান, আমেরিকা এবং কানাডা। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়ে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনের সময় এগিয়ে এলেও, ভারত ডাক না পাওয়ায় জল্পনা ছড়িয়েছিল। তাই ভারত ওই সম্মেলনে যোগ দেবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছিল। শেষমেশ এল আমন্ত্রণ (PM Modi)। এই বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি এই বৈঠকে আমন্ত্রিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও রাষ্ট্রসংঘ।

    কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জমানায় গত কয়েক বছর ধরে ভারত ও কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল খালিস্তান ইস্যুতে। কানাডার মাটিতে খালিস্তানি নিজ্জর খুনে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন (PM Modi) ট্রুডো। যদিও ভারত তা অস্বীকার করে। তার জেরে ভারত- কানাডা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। ঘরে-বাইরে সমালোচনার জেরে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন ট্রুডো। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে এসে মার্ক কার্নি যে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চান, মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোই তার প্রমাণ (G7 Summit )।

LinkedIn
Share