Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেস তার শাহজাদার বয়সের চেয়ে কম আসন পাবে, রাহুলকে খোঁচা মোদির

    Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেস তার শাহজাদার বয়সের চেয়ে কম আসন পাবে, রাহুলকে খোঁচা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা নিজেদের হার স্বীকার করে নিয়েছে, কংগ্রেস তার শাহাজাদার বয়সের চেয়েও কম আসনে জিতবে।’’ শনিবার ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঝাড়খণ্ডের ছাতরায় এদিন মোদির সভায় উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদির সভায় এমন ভিড়ই বলে দিচ্ছে, তৃতীয়বার তাঁর ক্ষমতায় আসা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ঝাড়খণ্ডে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে দুপাশে অজস্র মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং তাঁরা পুষ্প বৃষ্টি করছিলেন। জনতা জনার্দনকে অভিবাদন জানাতে প্রধানমন্ত্রী হাত নাড়েন তাঁদের উদ্দেশে।

    কী বললেন মোদি

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘প্রথম তিন দফার ভোটের পরই বিরোধীরা বুঝতে পেরেছে তারা হারছে। ইন্ডিয়া জোটের সব দল মিলেও লোকসভাতে বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার মতো আসন জিততে পারবে না। সেজন্যই ইন্ডিয়া জোটের এক বর্ষীয়ান নেতা বলছেন, ভোটের পর ছোট ছোট দলগুলির কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যাওয়া দরকার। বিরোধী দলের মর্যাদা পেতেই এই কথা বলছেন ওই নেতা।’’

    প্রসঙ্গ রাহুল গান্ধী

    তিনি আরও বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধীর বয়স ৫৩ বছর। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৫২টি আসন জিতেছিল। তার পাঁচ বছর আগে আরও কম আসন পেয়েছিল দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলটি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস জিতেছিল ৪৪টি আসন।’’ দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এবারের নির্বাচন শুধু সরকার গঠনের নির্বাচন নয়। এবারের নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) দেশ গঠনের নির্বাচন। চোর-লুঠেরাদের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর নির্বাচন।’’

    সোমবার ৪ আসনে ভোট ঝাড়খণ্ডে 

    প্রসঙ্গত ১৬ মার্চ দেশে লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তারপর দেশের প্রথম দফার ভোট হয় ১৯ এপ্রিল, পরে ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফা এবং কয়েকদিন আগে তৃতীয় দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে ৭ মে। সোমবারই রয়েছে চতুর্থ দফার ভোট। ১৩ মে ঝাড়খণ্ডের ৪ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই ৪ আসনের প্রচারের জন্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবারে ঝড় তোলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “পাকিস্তান পরমাণু বোমা বানায় বিক্রির জন্য”, আইয়ারকে মুখের মতো জবাব মোদির

    PM Modi: “পাকিস্তান পরমাণু বোমা বানায় বিক্রির জন্য”, আইয়ারকে মুখের মতো জবাব মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কংগ্রেসকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শনিবার ওড়িশার কান্ধামালে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, “পাকিস্তান পরমাণু বোমা তৈরি করে বিক্রির জন্য। কারণ আর্থিক দৈন্য মেটানোই এখন তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।”

    কী বলেছিলেন আইয়ার? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের একটি প্রেক্ষাপট রয়েছে। সেটি হল, ১৫ এপ্রিল কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার বলেছিলেন, “পাকিস্তান একটি শ্রদ্ধেয় দেশ। তাদের পরমাণু বোমাও রয়েছে। তাই ভারতের অবশ্যই তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন।” আইয়ারের সেই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (PM Modi) বলেন, “পাকিস্তানের পরমাণু বোমা নিয়ে ভারতবাসীকে ভূতের ভয় দেখাচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের এই দুর্বল মনোভাবের ফলেই সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছিল পাকিস্তান। কংগ্রেস লাগাতার নিজের দেশের মানুষকেই ভয় দেখানোর চাল চালছে। ওরা বলে চলেছে, পাকিস্তান সম্পর্কে সাবধান। ওদের হাতে পরমাণু বোমা রয়েছে।”

    মোদির জবাব

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সব দুর্বল মানুষ ভারতের জোশকে খুন করার চেষ্টা করছে। আজ নয়, কংগ্রেস চিরকাল এটাই করে এসেছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তান এখন এমন একটা দেশে পরিণত হয়েছে যে ওদের নিজেদের পরমাণু বোমা মজুত করার ক্ষমতা নেই। ওরা অন্য দেশকে পরমাণু বোমা বিক্রি করতে চাইছে। কিন্তু কেউ কিনছে না। কারণ সেগুলোর মান খুবই খারাপ।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওদের এই ভীরু মনোভাবের কারণেই জম্মু-কাশ্মীরকে জঙ্গিদের উপদ্রব সহ্য করতে হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “সংখ্যালঘুরা বিপদে রয়েছেন, এ দাবি সর্বৈব মিথ্যা”, বললেন মোদি

    লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন আইয়ারের বেফাঁস মন্তব্যে বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই আইয়ারের থেকে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছে সোনিয়া গান্ধীর দল। দলের নেতা পবন খেরা বলেন, “আইয়ারের এই দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে এক মত নয় কংগ্রেস। এটা দলেরও মত নয়। আইয়ার কোনও অধিকারেই দলের তরফে এমন (PM Modi) মন্তব্য করার হকদার নন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: “পোখরান পরমাণুপরীক্ষা জাতীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছে”, স্মৃতিচারণ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “পোখরান পরমাণুপরীক্ষা জাতীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছে”, স্মৃতিচারণ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পোখরান পরমাণু পরীক্ষা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছে।” কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার ১৯৯৮ সালে পোখরান পারমানবিক পরীক্ষার কথা স্মরণ করেন তিনি।

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (S Jaishankar)

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি বলেন, “বর্তমান এনডিএ সরকার সেই ভিত্তির ওপর ভিত্তি তৈরি করেছে। দৃঢ়ভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং আমাদের সীমান্ত পরিকাঠামো তৈরি করেছে।” তিনি বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে কে, কোথায় দাঁড়িয়ে তা জানতে হবে দেশকে। আমাদের রাজনৈতিক পছন্দগুলি শেষ পর্যন্ত ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পছন্দ।”

    পোখরান পরীক্ষা

    ১৯৯৮ সালের ১১ ও ১৩ মে রাজস্থানের পোখরানে (S Jaishankar) ধারাবাহিক পারমাণবিক পরীক্ষা করে ভারত। এই পরীক্ষাগুলি শক্তি সিরিজ নাম খ্যাত। প্রথম দিন ৪৫ কোটি থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র, একটি ১৫ কোটি ফিশন ডিভাইস এভং ০.২ কোটি সাব কিলোটন ডিভাইস পরীক্ষা করা হয়। এর ঠিক দু’দিন পরে সাব-কিলোটন রেঞ্জের আরও দু’টি পরীক্ষা হয়। পরে বোর-হোল নমুনার রেডিওকেমিক্যাল গবেষণার মাধ্যমে পরীক্ষার ফল নিশ্চিত করে পরমাণু শক্তি কমিশন।

    আরও পড়ুুন: বাংলায় বিজেপির ক্লিন স্যুইপ, ভোটের ফল নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    ২০০৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পরমাণু শক্তি কমিশনের জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘১৯৯৮ সালের ২১ মে অনুষ্ঠিত পরমাণু শক্তি কমিশনের বৈঠকে কমিশনকে পরীক্ষার প্রযুক্তিগত বিবরণ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল। ২৬ মার্চ, ১৯৯৯ এবং ওই বছররেই ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কমিশনের সভায় বোর-হোল নমুনার রেডিও রাসায়নিক বিশ্লেষণের ফল পুনঃনিশ্চিত করা হয়।’ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিবৃতির উপসংহারে বলা হয়েছে, ‘১১ মে, ১৯৯৮ সালে করা থার্মো নিউক্লিয়ার পরীক্ষার ফল নিয়ে পরমাণু শক্তি কমিশনের সন্দেহ করার কোনও কারণ নেই (S Jaishankar)।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Lok Sabha Election 2024: অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন চলছে, জানুন আগের গুলো সম্পর্কে  

    Lok Sabha Election 2024: অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন চলছে, জানুন আগের গুলো সম্পর্কে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলছে অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন। কেমন ছিল আগের সতরোটি সাধারণ নির্বাচন, বদলই বা হয়েছে কেমন, আসুন জেনে নেওয়া যাক (Lok Sabha Election 2024)।

    প্রথম লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)

    দেশ স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট। তারপর প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সালে। মোট আসন ছিল ৪৯৯টি। নির্বাচন হয়েছিল ৬৮ দফায়। নির্বাচন শুরু হয়েছিল ১৯৫১ সালের ২৫ অক্টোবর। শেষ হয়েছিল পরের বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি। প্রথম ভোট পড়েছিল হিমাচল প্রদেশের ছিন্নি ও পাঙ্গি তহশিলে। সেবার কংগ্রেস পেয়েছিল ৩৬৪টি আসন। সিপিআই জিতেছিল ১৬টি কেন্দ্রে। সোশ্যালিস্ট পার্টি জিতেছিল ১২টি আসনে। বিআর অম্বেডকরের দল শিডিউল কাস্ট ফেডারেশন পেয়েছিল ২টি আসন। হেরে গিয়েছিলেন অম্বেডকর স্বয়ং। সংসদের প্রথম স্পিকার ছিলেন গণেশ বসুদেব মাভালঙ্কার।

    দ্বিতীয় লোকসভা নির্বাচন

    দ্বিতীয় লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। আসন সংখ্যা ৫০৫। এবারও ক্ষমতায় আসে জাতীয় কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী হন জওহরলাল নেহরু। ৪৯৪টি আসনে প্রার্থী দিয়ে নেহরুর দল জিতেছিল ৩৭১টিতে। সিপিআই জিতেছিল ২৭টিতে। প্রজা সোশ্যালিস্ট পার্টি জিতেছিল ১৯টি আসন। এবারের সাধারণ নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে ছিল ৪টি জাতীয় পার্টি, ১১টি রাজ্য পার্টি। ২২ জন মহিলাও জিতেছিলেন। এর সিংহভাগই মধ্যপ্রদেশ থেকে (Lok Sabha Election 2024)।

    তৃতীয় লোকসভা

    তৃতীয় সাধারণ নির্বাচনে আসন বেড়ে হয় ৫০৮টি। কংগ্রেস জয়ী হয় ৪৪.৭২ শতাংশ ভোট পেয়ে। সিপিআই পায় ৯.৯৪ শতাংশ ভোট। প্রথমবার নির্বাচনে লড়ে স্বতন্ত্র পার্টি পায় ৭.৮৯ শতাংশ ভোট। এবারও সরকার গড়ে কংগ্রেস। সরকার জড়িয়ে পড়ে চিন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে। নেহরু প্রধানমন্ত্রী ছিলেন স্বাধীনতার দিন থেকে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে। এই সময় দুজন অ্যাক্টিং প্রাইম মিনিস্টার হন, একজন গুলজারিলাল নন্দ এবং অন্যজন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। ১৯৬৪ সালের ১১ জানুয়ারির পর প্রধানমন্ত্রিত্বের রশি চলে যায় ইন্দিরা গান্ধীর হাতে। এই ভোটেই প্রথম সহজে মোছা যায় না এমন কালি ব্যবহার করা হয়।

    চতুর্থ লোকসভা নির্বাচন

    এই সময় লোকসভার আসন বেড়ে হয় ৫২৩টি। আবারও জেতে কংগ্রেস। ইন্দিরা হন দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। এই সময় কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। কংগ্রেস দাবি করে সংসদের তারাই সংখ্যা গরিষ্ঠ। আর স্বতন্ত্র পার্টি এবং ভারতীয় জনসংঘের আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৪৪ এবং ৩৫টি। কংগ্রেস, ডিএমকে এবং বিজেএস এস-এসটি আসনে ভালো ফল করে।

    কংগ্রেসে ভাঙন

    অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে ১৯৬৯ সালে ভাঙন ধরে কংগ্রেসে। ইন্দিরাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়। নয়া দল গড়েন ইন্দিরা নাম হয় কংগ্রেস (আর), মাদার কংগ্রেসের নাম হয় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (ও)। কামরাজ, মোরারজি দেশাই, নিজলিঙ্গাপ্পা এবং এসকে পাতিল মাদার কংগ্রেসের নেতা।

    পঞ্চম লোকসভা নির্বাচন

    ১৯৭১ সালের এই নির্বাচনে মোট আসন ৫২১টি। ‘গরিবি হঠাও’ স্লোগান দেন ইন্দিরা। এই সময় স্বাধীন বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭৭ সালের ২৫ জুন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে ইন্দিরা সরকার। ইন্দিরার নেতৃত্বে কংগ্রেস জেতে ৩৫২টি আসনে। সিপিআই জিতেছিল ২৫টি আসনে। ২৩টি আসনে জেতে ডিএমকে।

    আরও পড়ুুন: বাংলায় বিজেপির ক্লিন স্যুইপ, ভোটের ফল নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    ষষ্ঠ লোকসভা নির্বাচন

    এই সাধারণ নির্বাচনে আসন সংখ্যা ছিল ৫৪৪টি। মোরাজজি দেশাইয়ের নেতৃত্বে দেশে প্রথম অ-কংগ্রেসি সরকার গঠিত হয়। এই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয় কংগ্রেস। ২৯৫টি আসন পায় ভারতীয় লোকদল।

    সপ্তম লোকসভা নির্বাচন

    নির্বাচন হয় ১৯৮০ সালে। আসন সংখ্যা ৫৩১। ৩৫৩টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী হন ইন্দিরা। পাঞ্জাবে মাথাচাড়া দেয় বিচ্ছিন্নতাবাদ। আন্দোলন দমনে অপারেশন ‘ব্লু-স্টার’ করে ইন্দিরা সরকার। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন ইন্দিরা।

    অষ্টম লোকসভা নির্বাচন

    ভোট হয় ১৯৮৪ সালে। আসন সংখ্যা ৫১৬। প্রধানমন্ত্রী হন ইন্দিরা-তনয় রাজীব। শিখ বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়। প্রকাশ্যে আসে বোফর্স কেলেঙ্কারি। এই সময় রাজনীতির ময়দানে আত্মপ্রকাশ করে বিজেপি।

    নবম লোকসভা নির্বাচন

    ১৯৮৯ সালে হয় নবম লোকসভা নির্বাচন। আসন ছিল ৫৩১টি। কেন্দ্রে আসে কোয়ালিশন সরকার। প্রধানমন্ত্রী হন জনতা দলের ভিপি সিং। মণ্ডল ও মন্দির রাজনীতি নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ।

    দশম লোকসভা নির্বাচন।

    ১৯৯১ সালের দশম লোকসভা নির্বাচনে আসন ছিল ৫০৮টি। প্রধানমন্ত্রী হন কংগ্রেসের নরসিমা রাও। সরকার গ্রহণ করে মুক্ত অর্থনীতি। বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়। মণ্ডল কমিশনের রিপোর্টের জেরে শুরু হয় হিংসা।

    একাদশতম লোকসভা নির্বাচন

    ভোট হয় ১৯৯৬ সালে (Lok Sabha Election 2024)। আসন সংখ্যা ৫৪৫টি। জনতা দলের নেতৃত্বে গঠিত হয় ইউনাইটেড ফ্রন্ট সরকার। এই নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয় ১৬১টি আসনে।

    দ্বাদশতম লোকসভা নির্বাচন

    নির্বাচন হয় ১৯৯৮ সালে। আসন সংখ্যা ৫৪৫টি। অটল বিহারি বাজপেয়ীর নেতৃত্বে সরকার গড়ে বিজেপি। সরকার টিকেছিল ১৩ মাস।

    ত্রয়োদশতম লোকসভা নির্বাচন

    নির্বাচন হয় ১৯৯৯ সালে। আসন সংখ্যা ৫৪৫টি। নির্বাচন হয় পাঁচ দফায়। ক্ষমতায় আসে বিজেপি। এই সময়ই হয় কার্গিল যুদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্প এবং পোটা আইন হয় এই সময়।

    চতুর্দশ লোকসভা নির্বাচন

    নির্বাচন হয় ২০০৪ সালে। আসন সংখ্যা ৫৪৫টি। কংগ্রেসের মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে গঠিত হয় সরকার। আরটিআই, এনআরএজিএস চালু হয় এই সময়। ইন্দো-ইউএস সিভিল নিউক্লিয়ার ডিলও হয়। এবারই প্রথম ভোট গ্রহণ হয় ইভিএমে।

    পঞ্চদশ লোকসভা নির্বাচন

    ২০০৯ সালে হয় পঞ্চদশ লোকসভা নির্বাচন। সরকার গড়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ। লোকসভার স্পিকার হন মীরা কুমার।

    ষোড়শ লোকসভা নির্বাচন

    ভোট হয় ২০১৪ সালে। ‘আচ্ছে দিনে’র স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। জিএসটি, ডিমানিটাইজেশন, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্বচ্ছ ভারত অভিযান চালু হয়। প্রথমবারের মতো নোটা চালু হয়।

    সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন

    নির্বাচন হয় উনিশে। ৩৫০টি আসনে জিতে ফের মোদির নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে এনডিএ। নির্বাচন হয় ৫৪৩টি আসনে। সরকার সফলভাবে মোকাবিলা করে কোভিডের। লাগু হয় সিএএ। জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। এবারই প্রথম ইভিএমের সঙ্গে যুক্ত হয় ভিভিপ্যাট। ২০২৪ সালের ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচন হবে সাত দফায় (Lok Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Primary Recruitment Scam: দেড় বছর জেলে, শীর্ষ আদালত থেকে খালি হাতে ফিরলেন মানিক

    Primary Recruitment Scam: দেড় বছর জেলে, শীর্ষ আদালত থেকে খালি হাতে ফিরলেন মানিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাময়িক স্বস্তি স্বরূপ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেও ভাগ্য খোলেনি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Manik Bandyopadhyay) । কেজরি ফিরেছেন বাড়িতে। কিন্তু দেড় বছরের বেশি জেলবন্দী থেকেও বাড়ি ফেরা হল না প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) মামলায় ধৃত পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জামিনের আবেদন করেছিলেন মানিকবাবু। তার মামলা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিল শীর্ষ আদালত (SC) ।

    কলকাতা হাইকোর্টে মেলেনি জামিন (Primary Recruitment Scam)

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বহুবার দরবার করেও মেলেনি জামিন। অগত্যা সুপ্রিম কোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিকবাবু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। সুপ্রিম কোর্ট থেকেও খালি হাতেই ফিরতে হল তাঁকে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল জামিন পেতে গেলে হাইকোর্টেই দরবার করতে হবে। এই মামলায় তাঁর পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যকে আগেই জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মানিক হয়ত আশা করেছিলেন ছেলের মত তাঁকেও হয়ত জামিন দেওয়া হতে পারে। কিন্তু কপাল খুলল না। মানিকবাবুর বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। বেশ কিছু নথিও জমা দিয়েছিলেন মানিকবাবুর আইনজীবী। তাঁর দাবি এই নথি গুলি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়নি। শীর্ষ আদালত মানিক বাবুর আইনজীবীকে নতুন করে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করতে বলেছেন। সেখানেই চলবে মামলা (Primary Recruitment Scam)। ইডির আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন মামলাটি হাইকোর্টে ফেরানো হলে তাঁদের তরফে কোন আপত্তি নেই।  

    আরও পড়ুন: বাংলায় বিজেপির ক্লিন স্যুইপ, ভোটের ফল নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    ২০২২ সাল থেকে জেলে মানিক

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Recruitment Scam) দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার হয়েছিলেন। ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জেল হেফাজতের আবেদন জানায়। তার পর থেকে জেলেই আছেন মানিক। কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে অপসারণের নির্দেশও দিয়েছিলেন। একই মামলায় মানিক বাবুর স্ত্রী ও পুত্রকেও হেফাজতে নিয়েছিল ইডি। মানিক বাবুর স্ত্রী হাইকোর্টে জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সৌভিক ভট্টাচার্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পান। কিন্তু মানিক বাবুর আর ভাগ্য খুললো না। আপাতত জেলেই থাকতে হবে প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ৩২৫ জন প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় ফেল করলেও তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন মানিক বাবুর নির্দেশে। তাঁদের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন মানিকবাবু। এছাড়া আরো ১০ জন পরীক্ষার থেকে পাস করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এখানেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সীমিত নয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাথমিক শিক্ষকের ট্রেনিং দেওয়া হবে বলে ভুয়া সেন্টার চলছিল তাঁর অঙ্গুলিহেলনে এমনটাই অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: আজ চতুর্থ দফায় দেশের ৯৬ আসনে নির্বাচন, ১৭১৭ প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা

    Loksabha Election 2024: আজ চতুর্থ দফায় দেশের ৯৬ আসনে নির্বাচন, ১৭১৭ প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ মার্চ দেশে লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছিল কমিশন। তারপর থেকে অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল দেশে প্রথম দফায় নির্বাচন হয়। আজ সোমবার ১৩ মে, দেশে চতুর্থ দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, নির্বাচনে ভাগ্য পরীক্ষা করছেন মোট ১,৭১৭ জন প্রার্থী। প্রসঙ্গত, এর আগে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ভোট হয় গত ২৬ এপ্রিল ও ৭ মে। ১৩ মে ভোট হচ্ছে দেশের দশটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৯৬টি আসনে।

    কোন রাজ্যে কতগুলি আসনে ভোট (Loksabha Election 2024)

    জানা গিয়েছে, চতুর্থ দফায় অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫ টি আসনে, বিহারের পাঁচটি আসনে, জম্মু কাশ্মীরের একটি আসনে (Loksabha Election 2024), ঝাড়খণ্ডের চারটি আসনে, মধ্যপ্রদেশের আটটি আসনে, মহারাষ্ট্রের এগারোটি আসনে, ওড়িশার চারটি আসনে, তেলেঙ্গনার সতেরোটি আসনে, উত্তর প্রদেশ তেরোটি ও পশ্চিমবঙ্গের আটটি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, চতুর্থ দফার ভোট সকাল সাতটা থেকে শুরু হবে এবং বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে। ভোটাররা নিজেদের ভোটার কার্ড সমেত অন্যান্য কমিশন নির্ধারিত পরিচয়পত্র নিয়ে ভোট দিতে পারবেন।

    চতুর্থ দফায় রাজ্য অনুযায়ী কোন কোন আসনে ভোট (Loksabha Election 2024)

    অন্ধ্রপ্রদেশ: আরাকু (ST), শ্রীকাকুলাম, ভিজিয়ানগরম, বিশাখাপত্তনম, আনাকাপল্লী, কাকিনাদা, অমলাপুরম (SC), রাজামুন্দ্রি, নরসাপুরম, এলুরু, মাছিলিপত্তনম, বিজয়ওয়াড়া, গুন্টুর, নরসারাওপেট, বাপটলা (SC), ওঙ্গোল, নন্দিয়াল, কুর্নিশ তিরুপতি (SC), রাজামপেট, চিত্তুর (SC)

    বিহার: দ্বারভাঙ্গা, উজিয়ারপুর, সমস্তিপুর, বেগুসরাই, মুঙ্গের

    জম্মু ও কাশ্মীর: শ্রীনগর

    মধ্যপ্রদেশ: দেওয়াস, উজ্জয়নী, মন্দসৌর, রতলাম, ধর, ইন্দোর, খারগোন, খান্ডওয়া

    মহারাষ্ট্র: নন্দুরভার, জলগাঁও, রাভার, জালনা, ঔরঙ্গাবাদ, মাভাল, পুনে, শিরুর, আহমেদনগর, শিরডি, বিড

    ওড়িশা: কালাহান্ডি, নবরঙ্গপুর (ST), বেরহামপুর, কোরাপুট (ST)

    তেলঙ্গানা: আদিলাবাদ (ST), পেদ্দাপল্লী (SC), করিমনগর, নিজামবাদ, জাহিরাবাদ, মেদক, মালকাজগিরি, সেকেন্দ্রাবাদ, হায়দ্রাবাদ, চেভেল্লা, মাহবুবনগর, নালগোন্ডা, নাগারকুরনুল (SC), ভুবনগিরি, ওয়ারঙ্গল (SC), মাহবুবাবাদ (ST), খাম্মাম

    উত্তরপ্রদেশ: শাহজাহানপুর, খেরি, ধারুহারা, সীতাপুর, হারদোই, মিসরিখ, উন্নাও, ফারুখাবাদ, ইটাওয়া, কনৌজ, কানপুর, আকবরপুর, বাহরাইচ (SC)

    পশ্চিমবঙ্গ: বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান-পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর, বীরভূম

    ঝাড়খণ্ড: সিংভূম, খুন্তি, লোহারদাগা, পালামৌ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election: বাংলায় বিজেপির ক্লিন স্যুইপ, ভোটের ফল নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    Lok Sabha Election: বাংলায় বিজেপির ক্লিন স্যুইপ, ভোটের ফল নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বিজেপি ক্লিন স্যুইপ করবে। একই পথে হাঁটবে ওড়িশা-সহ সারা দেশ। শুক্রবার ভুবনেশ্বরে এক সাক্ষাতকারে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) প্রচারে ইতিমধ্যেই বাংলায় বেশ কয়েকবার প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। ঝাঁঝালো বক্তৃতায় তিনি তুলোধনা করেছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনা করেছেন মোদি। এবার তিনি বাংলায় ভোটের দেওয়াল লিখন স্পষ্ট করলেন।

    তৃণমূলের প্রতি মানুষ বীতশ্রদ্ধ

    সম্প্রতি ওড়িশায় (Odisha) নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তারই ফাঁকে এক সাক্ষাতকারে বাংলার প্রসঙ্গ তুলে একযোগে তিনি আক্রমণ শানিয়েছেন বাম-তৃণমূলকে। প্রধানমন্ত্রীর রোষের হাত থেকে বাদ যায়নি কংগ্রেসও। এবারের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি বিরাট সাফল্য পাবে বলে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “বাংলায় বিজেপি ক্লিন স্যুইপ করবে। একই পথে হাঁটবে ওড়িশা-সহ সারা দেশ। বাংলায় যেভাবে দুর্নীতি হয়েছে তাতে তৃণমূলের প্রতি মানুষ বীতশ্রদ্ধ। সকলে শুধু ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ৪ জুন ফল প্রকাশ হলেই সেটা দেখতে পাবেন।”

    মমতার মধ্যে বদল

    শুক্রবারও রাজ্য সফরে এসে রামপুরহাটের সভা (Lok Sabha Elections 2024) থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলা থেকে ৩০টি আসনে বিজেপিকে জেতানোর আহ্বান রেখেছেন। তবে সন্দেশখালি কাণ্ডের পর বারাসতের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) দাবি করেছিলেন, “৪২ এ ৪২ চাই।” এবার সংখ্যার উল্লেখ না করলেও মোদির দাবি, “এবারের লোকসভা ভোটে বাংলায় ক্লিন স্যুইপ করবে বিজেপি। তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে মানুষ মুখিয়ে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি হচ্ছে। মমতার মধ্যে বদল এসেছে, এটা বাংলার মানুষ মেনে নিতে পারছেন না।”

    আরও পড়ুন: দেশে নির্বাচন পরিচালনায় পথিকৃৎ সুকুমার সেন, জানেন তাঁর কথা?

    প্রধানমন্ত্রীর কথায়, তিনি বলেন, “কলকাতা আগে দেশের আর্থিক রাজনীতি ছিল। দেশে যত আর্থিক পরিবর্তন এসেছে কয়েক দশক ধরে বাংলা তার নেতৃত্ব দিয়েছে। বাংলার যুবকদের ক্ষমতার ওপর আজও আমার ভরসা আছে। কিন্তু ভুল নেতৃত্বের কারণে বাংলা পিছিয়ে পড়েছে। প্রথমে বামেরা এবং এখন তৃণমূলের আমলে বাংলা ধ্বংস হয়েছে। কংগ্রেসও আছে এর সঙ্গে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Loksabha Election 2024: ফের বঙ্গ সফরে মোদি, রবিবার জমিয়ে দেবেন প্রচার

    Loksabha Election 2024: ফের বঙ্গ সফরে মোদি, রবিবার জমিয়ে দেবেন প্রচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট প্রচারে (Loksabha Election 2024) ফের বঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী রবিবার রাজ্যে একই দিনে চারটি সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) । একটি সভা উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়, একটি হাওড়ায় ও দুটি সভা হবে হুগলি জেলায়।

    কবে কোথায় সভা মোদির (Loksabha Election 2024)

    বিজেপি সূত্রে খবর হুগলি ও শ্রীরামপুরে বিজেপি (BJP) প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করবেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় উপস্থিত থাকবেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chattopadhyay) ও শ্রীরামপুরের প্রার্থী কবীর শংকর বসু। হুগলি জেলার আরেকটি কেন্দ্র আরামবাগের বিজেপি প্রার্থী অরূপ কান্তি দিগরের সমর্থনে পুড়শুড়ায় সভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির। আরও জানা গেছে রবিবার মোদির সভা করার কথা রয়েছে সাঁকরাইলে। হাওড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী এবং উলুবেড়িয়া কেন্দ্রের পদ্মপ্রার্থী অরুণ উদয় পালচৌধুরীর সমর্থনে প্রচার করবেন প্রধানমন্ত্রী। যে পাঁচ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর জন্য গলা ফাটাবেন প্রধানমন্ত্রী সেই পাঁচ কেন্দ্রে ২০ মে পঞ্চম দফায় (Loksabha Election 2024) নির্বাচন রয়েছে।

    বিজেপির টার্গেট আরামবাগ

    লোকসভা (Loksabha Election 2024) ভোটের আগে ১ মার্চ আরামবাগে সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলায় সন্দেশখালি সহ বিভিন্ন জায়গায় মহিলাদের সম্মানহানির কথা তুলে ধরেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন সভায় উঠে এসেছে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। লোকসভা নির্বাচনের আগে খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে তৃণমূলের কাছে আরামবাগে হেরেছিল বিজেপি। এবার তৃণমূল শিবির আরামবাগে যথেষ্ট চাপে রয়েছে। বিদায়ী সাংসদ অপরুপা পোদ্দারকে টিকিট দেওয়ার সাহস দেখাতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। অপরুপা পোদ্দার অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি সহ নানান অভিযোগে অভিযুক্ত। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চে উঠতে পারেননি অপরূপা। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বিজেপির অন্দরে। এই আসন ঘাসফুলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে পদ্ম শিবিরের কাছে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আরামবাগ মহকুমার ৪ কেন্দ্রে জোড়া ফুলকে সরিয়ে ফুটেছিল পদ্মফুল। বদলে যাওয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিজেপির আশা আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে প্রথমবার জয়ী হওয়ার সুযোগ রয়েছে তাঁদের কাছে। তাই প্রচারে ত্রুটি রাখতে চায় না তাঁরা।

    আরও পড়ুন: “সংখ্যালঘুরা বিপদে রয়েছেন, এ দাবি সর্বৈব মিথ্যা”, বললেন মোদি

    বিজেপির রাজ্যে তারকা প্রচারকের তালিকায় বঙ্গ সফর  

    বিজেপির এক শীর্ষ রাজ্য নেতৃত্বের কথায়, তৃতীয় দফার (Loksabha Election 2024) নির্বাচন শেষ হলেই দেশের একটা বড় অংশে ভোট পর্ব শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে বাংলার দিকে অতিরিক্ত নজর দেওয়ার সুযোগ থাকছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। সোমবার দেশে চতুর্থ দফার নির্বাচন হবে। তার আগে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এখন পর্যন্ত যা ঠিক হয়েছে তাতে মাজদিয়া, রামপুরহাট ও ঘাটালের আনন্দপুরে সভা করবেন অমিত শাহ। ধীরে ধীরে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতারাও প্রচারে আসতে শুরু করেছেন। বিজেপির তরফ থেকে এটি রাজনৈতিক কৌশলের অঙ্গ। প্রথম থেকেই এক ঝাঁক নেতা এনে বঙ্গে একুশের নির্বাচনের সুফল তুলতে পারেনি তাঁরা। এর জন্যই সুকৌশলে প্রথমে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়ে সভা তৈরি করে রাজ্যে একটা হাওয়া তোলা হয়েছে। এরপর চতুর্থ পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফায় তারকা প্রচারকদের সংখ্যা বাড়াতে চলেছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ঘুরে গিয়েছেন হেমন্ত বিশ্বশর্মা ও যোগী আদিত্যনাথ। এরপর শিবরাজ সিং চৌহানকেও ময়দানে নামাতে চলেছে পদ্ম শিবির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় অশান্তির আশঙ্কা! বাড়ল স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা

    Loksabha Election 2024: চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় অশান্তির আশঙ্কা! বাড়ল স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করেছে ভোটযুদ্ধ (Loksabha Election 2024) । ফলে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। চতুর্থ দফায় ভোট গ্রহণ ১৩ মে। এদিন ভোটগ্রহণ হবে বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বীরভূম, বর্ধমান-পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল ও বোলপুরে। আটটি লোকসভা আসনের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের কর্মতীর্থ বোলপুর আসনে রয়েছে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর বুথ। এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    বোলপুরে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর বুথ

    কমিশন সূত্রে খবর চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) প্রায় ২৩.৫% এবং ২০শে মে পঞ্চম দফায় ৫৭.১৯% বুথ স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। চতুর্থ দফায় মোট ১৫,৫০৭টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যে ৩৬৪৭টি স্পর্শকাতর ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে।  নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর শুধু বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে ৬৫৯টি স্পর্শকাতর ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে ৬৪০টি। বহরমপুরে ৫৫৮টি, বর্ধমান-দুর্গাপুরে ৪৪২টি, রানাঘাটে ৪১০টি, বর্ধমান পূর্বে ৩০১টি, আসানসোলে ৩১৯ টি এবং কৃষ্ণনগরে ৩৩৮টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

    অনুব্রতহীন বীরভূম তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ

    প্রসঙ্গত ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন এবং পঞ্চায়েত ভোটে বোলপুর সহ গোটা বীরভূম জেলায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। বিধানসভা ভোটে তৎকালীন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে তিহারে জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতহীন বীরভূমে (Loksabha Election 2024) অশান্তির আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অনুব্রত জেলবন্দী থাকলেও কাজল শেখের  নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা মোটেই এই আসন হাতছাড়া হতে দিতে চান না। অনুব্রতহীন বীরভূমে কাজল শেখকে তাঁর অস্তিত্ব বাঁচাতে বোলপুর ও বীরভূম আসনে দলের প্রার্থীকে জেতানোর বাড়তি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই কারণেই গন্ডগোলের আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

    কীভাবে স্পর্শকাতর বুথ নির্বাচন

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতে যেখানে কোন ধরনের গোলমালের নজির রয়েছে এবং বর্তমানে (Loksabha Election 2024) সেখানে রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে কী না এসব খতিয়ে দেখে স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করা হয়। কমিশন সূত্রে আরও জানা গেছে কোনও বুথে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়লে কিংবা কোন বুথে ১০ শতাংশের কম ভোট পড়লে সেই বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়। এছাড়া কোনও প্রার্থী ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে সেই বুথকে অতি স্পর্শকাতর চিহ্নিত করা হয়। সেই মত ওই বুথগুলিতে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়াও স্পেশাল পুলিশ অবজার্ভার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর কুইক রেসপন্স টিমের কাছেও সেই সমস্ত বুথের তালিকা জমা দেওয়া হয়ে থাকে। চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় স্পর্শকাতর বুথে বাড়তি নজর রাখতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: “নয়া সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে রুপির বাণিজ্য চুক্তি”, বললেন শাহ

    পঞ্চম দফায় ৭৭১১টি বুথ স্পর্শকাতর ঘোষণা

    চতুর্থ দফা শেষ হলে ২০ মে পঞ্চম দফায় (Loksabha Election 2024) ভোট হবে রাজ্যের বনগাঁ, বারাকপুর, শ্রীরামপুর, হুগলি, আরামবাগ, হাওড়া ও উলুবেড়িয়া কেন্দ্রে। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ওই আসনগুলির মোট বুথের সংখ্যা ১৩,৪১৮টি। এর মধ্যে ৭৭১১টি বুথ স্পর্শকাতর। এই কেন্দ্রগুলিতে স্পর্শকাতর বুথের মধ্যে হুগলিতে সর্বাধিক। সেখানে ১৭৮৭টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। সংখ্যার বিচারে সবার শীর্ষে রয়েছে আরামবাগ কেন্দ্র। আরামবাগে ১৭৭০টি, শ্রীরমপুরে ১২৩৬টি, বারাকপুরে ১০৫৯টি, উলুবেড়িয়ায় ৬৯৪টি, হাওড়ায় ৬০৫টি এবং বনগাঁয় ৫৫০টি স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পঞ্চম দফায় হুগলিতে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পুনরায় টিকিট দিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে এবার এই কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে ভরসা রেখেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। লকেট এবং রচনার প্রতিদ্বন্দ্বিতা সংবাদ শিরোনামে এসেছে। অন্যদিকে নানান অর্থনৈতিক অভিযোগে অভিযুক্ত আরামবাগে বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে এবার টিকিট দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “সংখ্যালঘুরা বিপদে রয়েছেন, এ দাবি সর্বৈব মিথ্যা”, বললেন মোদি

    PM Modi: “সংখ্যালঘুরা বিপদে রয়েছেন, এ দাবি সর্বৈব মিথ্যা”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতে সংখ্যালঘুরা বিপদে রয়েছেন বলে যা বলা হচ্ছে, তা সর্বৈব মিথ্যা।” সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “সংখ্যালঘুদের নিয়ে যা বলা হচ্ছে, তা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতের হিন্দুর সংখ্যা কমেছে ৮ শতাংশ। আর সংখ্যালঘুরা বেড়েছেন ৪৩ শতাংশ। এই যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেখানে কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। যে যেভাবে পারছে, অর্থ করছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    তিনি (PM Modi) বলেন, “এটা যদি তথ্যই হয়, তাহলে মনে হবে ভারতে সংখ্যালঘুরা দমিত হয়ে রয়েছেন। এ দেশে তাঁদের স্বর পাত্তা পায় না। আসলে তো তা নয়। এই সমস্ত ব্যাখ্যা তৈরি করা হচ্ছে। ভারতের বিরুদ্ধে এভাবে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। দয়া করে সত্যটা জানুন, এবং ঠিকঠাক ব্যাখ্যা দিন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত সামনের দিকে এগোচ্ছে। এজন্য প্রত্যেকের সাহায্য প্রয়োজন। প্রত্যেকের কল্যাণের প্রয়োজন। প্রত্যেককেই মনে রাখতে হবে ‘বসুধৈব কুটুম্বকমে’র সেই চিরন্তনী আপ্তবাক্য।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইএসি-পিএম একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে দাবি করা হয়েছে, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সাল এই পর্বে ভারতে সংখ্যাগুরু হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ৭.৮২ শতাংশ। এই সময়সীমায় মুসলমানের হার ৯.৮৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪.৯ শতাংশ। 

    আরও পড়ুুন: “নয়া সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে রুপির বাণিজ্য চুক্তি”, বললেন শাহ

    ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আমাদের। এবং এজন্য যে মন্ত্র আমি অনুধ্যান করি তা হল, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। ২০১৪ সালে আমি যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ শুরু করি, আমি এর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলাম আরও দু’টি শব্দবন্ধ। সেগুলি হল, ‘সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস’। সরকার যে কাজ করবে, সেখানে কোনও বৈষম্য থাকা উচিত নয়। সেটা ধর্ম হোক কিংবা বর্ণ অথবা লিঙ্গ – কোনও দিক থেকেই কোনও বৈষম্য কাম্য নয়।” তিনি (PM Modi) বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ ভয়ঙ্কর জিনিস। কোনও দেশ এভাবে এগোতে পারে না। মোদি কখনও হিন্দু-মুসলমান দুই দুই করেনি। দেশের কাছে অগ্রাধিকার আপনার কাজ। আর দেশকে শিক্ষিত করা আমার কাজ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share