Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Amit Shah: “নয়া সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে রুপির বাণিজ্য চুক্তি”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “নয়া সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে রুপির বাণিজ্য চুক্তি”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে রুপির বাণিজ্য চুক্তি। এ নিয়ে অনেকগুলি দেশের সঙ্গে ভারতের আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।” শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “নতুন সরকারের অগ্রাধিকারই হবে এটি (রুপির বাণিজ্য চুক্তি)। নির্বাচনের কারণে বিষয়গুলি স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে আমি আপনাকে বলতে চাই যে, আমরা অনেক দেশের সঙ্গে আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছি।”

    শাহি আলোচনায় জার্মানি প্রসঙ্গ (Amit Shah)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “আমাদের ডেফিসিট রয়েছে। কিন্তু দেখুন, জার্মানির মতো দেশ দু’ভাবে ব্যবসা করতে পারে। ইউরো দিয়ে এবং রুপি দিয়ে। আন্তর্জাতিক মুদ্রায় ট্রেড ডেফিসিট হতে পারে, বিরাট অঙ্কের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আমরা আমাদের দেশীয় মুদ্রায় শিফট করতেই পারি।” জেনোফোবিয়ার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থমকে গিয়েছে ভারত, চিন, রাশিয়া এবং জাপানের মতো দেশগুলিতে। সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিন সে প্রসঙ্গও এসেছে সাক্ষাৎকারে।

    মার্কিন মন্তব্যে শাহি প্রতিক্রিয়া

    শাহ বলেন, “আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন কী মন্তব্য করেছেন, তা জানি না। তবে এটা তো সত্যি যে, গত দশ বছরে আমরা বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছি। আগামী দু’-তিন বছরের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার রোডম্যাপও তৈরি হয়ে রয়েছে।” তিনি বলেন, “এখন আমাদের রফতানি ক্রমবর্ধমান। অর্থনৈতিক উৎপাদনের জন্য ভারতকে একটি সম্ভাব্য কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আমাদের অর্থনীতি বছরের পর বছর অন্যদের চেয়ে ওপরে উঠছে। তাই এখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নেই, এমন ধারণা করা কারও পক্ষেই ঠিক হবে না বলে আমি মনে করি।”

    আরও পড়ুুন: “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিথ্যা মামলা দেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২০১৪ সালের চেয়ে ঢের বেশি বেড়েছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, “২০১৪ সালে ডিম্যাটের সংখ্যা ছিল ২.২২ কোটি। বর্তমানে সেটা বেড়ে হয়েছে ১৫.১ কোটি। এই বৃদ্ধির মূল কারণ হল ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বাজারে বিনিয়োগকারী মধ্যবিত্ত-উচ্চ মধ্যবিত্ত, শিক্ষিত যুবক, গৃহিনী ও অন্যদের অংশগ্রহণ।” তিনি (Amit Shah) জানান, মনমোহন সিং সরকারের আমলে শেয়ার বাজার ছিল ৮৫ লক্ষ কোটি টাকার। বর্তমানে সেটাই দাঁড়িয়েছে ৪০০ লক্ষ কোটি টাকায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattishgarh: ছত্তিসগড়ের বিজাপুরে খতম ১২ মাওবাদী, বাহিনীর প্রশংসা মুখ্যমন্ত্রীর

    Chhattishgarh: ছত্তিসগড়ের বিজাপুরে খতম ১২ মাওবাদী, বাহিনীর প্রশংসা মুখ্যমন্ত্রীর

    নিউজ ডেস্ক: ছত্তিসগড়ে (Chhattisgarh) টানা মাও দমন অভিযান অব্যাহত। এবার আধা সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা হল ১২ জন মাওবাদী। এদের মধ্যে কয়েকজন মাও দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতা। মাওবাদীদের সঙ্গে যুদ্ধে আধা সেনার কোন ক্ষতি হয়নি ।

    ছত্তিসগড়ে মাও দমনে বাহিনীর সাফল্য (Chattishgarh)

    শুক্রবার দুপুরে ছত্রিশগড় (Chhattisgarh) রাজ্যের বিজাপুর জেলার গঙ্গলুরে মাও অধ্যুষিত এলাকায় অভিযান চালায় বাহিনী। অভিযানে ১২ জন মাওবাদীর (Maoist News) মৃত্যুর খবর সরকারিভাবে নিশ্চিত করেছেন ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেব সাঁই (Vishnudev Saai) । সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিষ্ণুদেব সাঁই বলেন, “বিজাপুর জেলার গঙ্গলুর এলাকায় পিড়িয়া থানা এলাকায় বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলি বিনিময় হয়েছে। সেনাবাহিনী এই অভিযানে সাফল্য পেয়েছে। ১২ জন মাওবাদীর দেহ পাওয়া গিয়েছে। বাহিনীর কারও ক্ষতি হয়নি। জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশি চলছে। অভিযানের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক বাহিনীর সদস্যকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা সরকারের আসার পরেই এই মাওবাদ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কড়া হাতে পদক্ষেপ নিয়ে চলেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছত্রিশগড়ের মানুষকে এই মাওবাদ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বদ্ধপরিকর।”

    চলতি বছর শতাধিক মাওবাদী খতম 

    প্রসঙ্গত চলতি এপ্রিল মাসে পুলিশ এবং আধা সেনার যৌথ অভিযানে ছত্রিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তরে ২৯ জন মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছিল। সরকারি সূত্রের দাবি চলতি বছর প্রথম সাড়ে চার মাসে সারা দেশে শতাধিক মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনাকে মাওবাদ দমন অভিযানে বড় সাফল্য মনে করছে আধা সামরিক বাহিনী। বর্তমানে মোদি জামানায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে সশস্ত্র মাও দলে ভর্তি খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপর এক ধাক্কায় শতাধিক মাওবাদিনি নিকেশ ওই জঙ্গি দলের জন্য বিশাল বড় ধাক্কা। ছত্রিশগড়ের (Chhattisgarh) যে কটি এলাকায় রয়েছে মাও সমস্যা রয়েছে তাঁর মধ্যে বিজাপুর অন্যতম। গত কয়েকদিন ধরে এই এলাকায় মাওবাদী কার্যকলাপ সম্পর্কে খবর পাচ্ছিল বাহিনী। এর পরেই তাদের নিকেশ করতে অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়।

    “নয়া সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে রুপির বাণিজ্য চুক্তি”, বললেন শাহ

    মোদি জমানায় মাও দমনে সাফল্য

    মাওবাদ সমস্যার জেরে ছত্রিশগড়ের (Chhattisgarh) গ্রামের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে তফসিলি জাতি এবং তফসিলি জনজাতির মানুষরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একসময় দুদিক থেকে চাপ আসত তাঁদের উপর। মাওবাদীদের সাহায্য না করলে কিংবা পুলিশকে খবর দিলে মাওবাদীরা গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার করত। আবার মাওবাদীদের সাহায্য করলে পুলিশ তাদের উপর অত্যাচার করতে বলে অভিযোগ উঠত। এর জেরে জন্ম নেয় সাওলয়া জুড়ুম। পরে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নানা সমস্যা তৈরি হয়। সেসব অবশ্য মোদি জমানায় অতীত।

    কমছে মাও অধ্যুষিত এলাকা

    এখন মাওবাদীরা গ্রামে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ কম পাচ্ছে। জঙ্গলেই লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু জঙ্গলে থেকেও রেহাই নেই। টানা পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী তাদের খুঁজে বেড়াচ্ছে। এবং যেখানেই পাচ্ছে নিকেশ করছে। মোদি জামানায় রেড ডিস্ট্রিক্ট (Red District) অর্থাৎ মাও অধ্যুষিত অঞ্চলের পরিধি কমছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • National Technology Day: আজ জাতীয় প্রযুক্তি দিবস, ভারতে এই দিনের গুরুত্ব অপরিসীম, জানুন ইতিহাস

    National Technology Day: আজ জাতীয় প্রযুক্তি দিবস, ভারতে এই দিনের গুরুত্ব অপরিসীম, জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে  প্রযুক্তিগত উন্নতির (National Technology Day) দিক থেকে পৃথিবীর প্রথম সারির দেশগুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। যত সময় এগোচ্ছে, প্রযুক্তিগত দিক থেকে তত উন্নত হচ্ছে দেশ। জাতীয় স্তরে নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার এবং ব্যবহারের কথা স্মরণ করার জন্য প্রতিবছর ১১ মে পালন করা হয় জাতীয় প্রযুক্তি দিবস। প্রতিবছর ভারত সরকার ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সাইন্স এন্ড টেকনোলজি কমিউনিকেশন, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিভাগ, বিভিন্ন এনজিও, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র সহ আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই দিনটি উদযাপন করেন। চলতি বছর বক্তৃতা, সেমিনার, তর্ক বিতর্ক, রেডিও বা টিভিতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে এই দিনটি উদযাপন করা হবে। প্রযুক্তিকে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে এই দিনটি পালন করা হয়।

    জাতীয় প্রযুক্তি দিবসের ইতিহাস

    জাতীয় প্রযুক্তি দিবসের (National Technology Day) একটা ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে ভারতে। এই দিনটিকে ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কৃতিত্ব হিসেবে স্মরণ করা হয়। কারণ, ১৯৯৮ সালের আজকের দিনেই অর্থাৎ ১১ মে পোখরানে (Pokhran Operation) সফল ভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা করেছিল ভারত। প্রতি বছর এই দিনে অনবদ্য কৃতিত্বের জন্য ভারতের বিজ্ঞানীদের সম্মান প্রদান করা হয়। ভারত তার সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিগত অগ্রগতি দেখেছিল ১৯৯৯ সালের ১১ মে, যখন বিজ্ঞানীরা বেঙ্গালুরুতে প্রথম দেশীয় বিমান “হাঁসা ৩” উড়িয়েছিল। এই একই দিনে ত্রিশূল ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার সাক্ষী হয়েছিল দেশবাসী। ভারতের প্রযুক্তগিত অগগ্রতির কথা বিবেচনা করে ১৯৯৯ সালের ১১ মে তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রতি বছর এই দিনটিকে জাতীয় প্রযুক্তি দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: দেশে নির্বাচন পরিচালনায় পথিকৃৎ সুকুমার সেন, জানেন তাঁর কথা?

    পোখরান দিবস

    ১৯৯৮ সালের ১১ মে, রাজস্থানের পোখরানে সফলতার সঙ্গে দ্বিতীয়বার পরমাণু বোমা পরীক্ষা করেছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। এই প্রজেক্টের নাম ছিল পোখরান টু (Pokhran 2 Nuclear Test)। পোখরানের টেস্ট রেঞ্জ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দ্বারা ৫টি বিস্ফোরণ করা হয়।

    এরপর ভারতের মাস্টারমাইন্ড প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আবদুল কালামের নির্দেশে এবং অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের নেতৃত্বে ‘অপারেশন শক্তি’ নামে পোখরানে একের পর এক ৫টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হয়। পরমাণু পরীক্ষার দিন তথা ১১ মে দিনটিকে ভারতের জাতীয় প্রযুক্তি দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়। ভারতের অন্যতম রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আবদুল কালামের জন্য একটি ‘পারমাণবিক শক্তি’ দেশ হয়ে ওঠে ভারত। তাঁর নির্দেশনায় সফলভাবে পরিচালিত হয়েছিল পোখরান পরীক্ষা। তাই তিনি ‘ইন্ডিয়ান মিসাইল ম্যান’ নামে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গে! কড়া চিঠি দিল কমিশন

    Loksabha Election 2024: নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গে! কড়া চিঠি দিল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলছে লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election 2024)। ইতিমধ্যে তিন দফার ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আরও চার দফা ভোট বাকি রয়েছে। ঠিক এই আবহে শুক্রবারই কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এ বাধা দানের অভিযোগ করল নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সভাপতি ভোট দানের তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছিলেন। কংগ্রেস সভাপতির এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে কমিশন। কড়া ভাষায় চিঠিতে তোপ দেগে কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় বিভ্রান্তি ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন খাড়গে।’ ভোটারদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কমিশন। স্বভাবসিদ্ধ ভাবেই কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলতে থাকে।

    কী বলল কমিশন?

    খাড়্গের সমালোচনা করে কমিশন বলেছে, “নির্বাচন চলছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় বিভ্রান্তি, ভুল নির্দেশনা এবং প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার জন্যই, এর মধ্যে ভোটদানের তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত ভিত্তিহীন অভিযোগগুলি নকশা করা হয়েছে। এই ধরনের বিবৃতি (Loksabha Election 2024) ভোটারদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং দেশ জুড়ে এই বিশাল নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা হতাশ হয়ে যেতে পারেন।”

    আরও পড়ুন: মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফর, ট্রোল নেটিজেনদের 

    কড়া বার্তা কমিশনের

    কমিশন আরও বলেছে, “আমরা বাক-স্বাধীনতার অধিকারকে সম্মান করি। একে অপরকে চিঠি লেখা ও যোগাযোগ করা রাজনৈতিক দল এবং তাদের নেতাদের বিশেষাধিকার (Loksabha Election 2024) বলে মনে করি। তবে ফলাফল যে কাজগুলি নির্বাচন পরিচালনার মূল আদেশ প্রদানের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে, ফলাফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত এমন ধরনের কাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কমিশনের দায়িত্ব।”

    আরও পড়ুন: ভক্তদের জন্য সুখবর! অক্ষয় তৃতীয়ায় খুলে গেল কেদারনাথ ধামের দ্বার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukumar Sen: দেশে নির্বাচন পরিচালনায় পথিকৃৎ সুকুমার সেন, জানেন তাঁর কথা?

    Sukumar Sen: দেশে নির্বাচন পরিচালনায় পথিকৃৎ সুকুমার সেন, জানেন তাঁর কথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের মাঝপথে দেশ। সাত দফা ভোটের তিন দফা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে আর চার দফা। ভারতের প্রথম গণতন্ত্রের উৎসব পরিচালনার দায়িত্ব ছিল এক বঙ্গ সন্তানের হাতে। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু সেই দুরূহ কাজের জন্য ভরসা করেছিলেন বর্ধমানের এক বাঙালির উপরে। প্রায় ৭২-৭৩ বছর আগের কথা। ভারতের প্রথম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেন। এই প্রজন্ম তাঁকে হয়তো মনে রাখেনি। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় রয়ে গিয়েছে তাঁর নাম।

    কে সুকুমার সেন

    সুকুমার সেনের জন্ম ১৮৯৯-এ। বাবা অক্ষয়চন্দ্র সেন ছিলেন আইসিএস। বর্ধমানে শৈশব, কৈশোর কেটেছে এই বাঙালির। স্কুলের পড়াশোনা করেছেন বর্ধমানের মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলে। পরে ফিরেছিলেন এই বর্ধমানেই, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হয়ে। বাইশ বছর বয়সে, ১৯২১ সালে সুকুমার সেন যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে। প্রথমে কাজ করেছিলেন নানা জেলায়। তার পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব পদে যোগ দেন। সেখানে তাঁর কর্মদক্ষতার কথা পৌঁছেছিল প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কানে।  গণিতে সুকুমার সেনের ছিল বিশেষ জ্ঞান। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পাশ করে সুকুমার সেন পড়তে যান লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে গণিতে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। তাঁর পারদর্শীতার কথা শুনেই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহেরু ঠিক করেন নির্বাচন পরিচালনার ভার সুকুমার সেনকেই দেবেন। 

    কাজটা সহজ নয়

    স্বাধীনতার দু’বছর পরেই গঠিত হল নির্বাচন কমিশন। নেহরুর আশা ছিল ১৯৫১-র প্রথম দিকেই স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন করানো যাবে। সদ্য স্বাধীন ভারতে  তখন হাজারো সমস্যা। খাদ্য-সহ নানা বিষয়ে দেশ তখন স্বনির্ভর নয়। উপরন্তু শিক্ষার হার মাত্র ১৫ শতাংশ। ফলে লোকসভা নির্বাচন কী, কিই বা তার প্রয়োজনীয়তা, সাধারণ লোককে তা বোঝানোই ছিল দুরুহ কাজ। বেশ কয়েক দফা আলোচনার পর ঠিক হয় যে নির্বাচন কমিশনের মাথায় বসানো হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যসচিব , ১৯২১ ব্যাচের আই সি এস সুকুমার সেনকে। জানা যায় দেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব হাতে পাওয়ার দিন পনেরোর মাথায় সুকুমারবাবুর ডাক পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর অফিসে। সেখানে গিয়ে সুকুমার সেন প্রধানমন্ত্রী নেহরুকে আর একটু অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। ভারতের নির্বাচন পরিচালনায় পথিকৃৎ সুকুমার বুঝেছিলেন কাজটা সহজ নয়। একুশ বছর বা তার বেশি বয়সের ১৭ কোটি ৬০ লক্ষ ভারতীয় ভোট দেবে, তার মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ পড়তে বা লিখতে জানে না। প্রত্যেকটি ভোটারকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে, নাম লিখে নথিভুক্ত করতে হবে। নিরক্ষর এক নির্বাচকমণ্ডলীর জন্য কী ভাবে পার্টি প্রতীক, ভোটপত্র আর ব্যালট বাক্স তৈরি হবে তা নিয়েও চলে বিস্তর ভাবনা চিন্তা।

    এক বিশাল কর্মযজ্ঞ

    নির্বাচন কী সে বিষয়ে কোনও ধারণাই তখন ছিল না নির্বাচকদের। কেন্দ্রীয় বাহিনী তখন তৈরিই হয়নি, অতএব শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ভরসা ছিলেন প্রায় সওয়া দু’লাখ পুলিশকর্মী। সে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। ৪৫০০ আসনে ভোট। ৫০০টি সংসদের, বাকি বিভিন্ন রাজ্য বিধানসভার। ২,২৪,০০০ ভোটদান কেন্দ্র। কুড়ি লক্ষ ইস্পাতের ব্যালট বাক্স, বানাতে লেগেছে ৮২০০ টন ইস্পাত। ৫৬০০০ প্রিসাইডিং অফিসার, সহায়ক আরও ২৮০০০০ কর্মী। নির্বাচকদের নাম টাইপ করে নির্বাচনকেন্দ্র অনুযায়ী সাজিয়ে ভোটার লিস্ট তৈরি করার জন্য ছ’মাসের চুক্তিতে নিয়োগ করা হয়েছিল ১৬৫০০ কর্মীকে। ভোটার লিস্ট ছাপতে লেগেছিল ৩,৮০,০০০ রিম কাগজ।

    আরও পড়ুন: ইসরোর মহাকাশযান নিয়ে গবেষণায় সুযোগ পেল দক্ষিণ দিনাজপুরের নবম শ্রেণির অর্পিতা

    প্রথমবার ভোট হয় ৬৮টি দফায়, ৭৩ দিন ধরে। শুরু হয় ১০ ডিসেম্বর, ১৯৫১ এবং শেষ হয় ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২। অশিক্ষায় জর্জরিত দেশের ভোট গ্রহণের জন্য আলাদা আলাদা রঙে আলাদা আলাদা দলের ব্যালট বাক্সের ব্যবস্থা করেছিলেন সুকুমার সেন। শুধু তাই নয় ১৯৫৭ সালের ভোটেও ওই বাক্সগুলিই ব্যবহার করা হয়েছিল যাতে খরচ বাঁচানো যায়। এই ভাবনাটিও ছিল সুকুমারবাবুর মস্তিষ্কপ্রসূত। এতেই শেষ নয়। কিভাবে ভোট দেবেন আমজনতা, তা বোঝানোর দরকার ছিল। সুকুমার সেনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল প্রায় ৩০০০ নিউজ রিল। আকাশবাণী টানা তিনমাস লাগাতার রেডিওতে প্রচার করেছিল ভোট দেওয়ার পদ্ধতি। 

    সুদানে সুকুমার

    ১৯৫২-র শুরুর দিকে স্বাধীন ভারতে প্রথম ভোট হল। আর সেটা সামগ্রিক ভাবে ছিল সফল। তুরস্ক থেকে আসা এক সাংবাদিক ভোট শেষ হলে তাঁর দেশের এক প্রতিনিধি দলকে নিয়ে সুকুমার সেনের সঙ্গে দেখা করেন। সে দেশে ভোট পরিচালনায় সাহায্য চান। ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহর লেখা থেকে জানা যায়, ‘মুখ্য নির্বাচন কমিশনার তাঁদের ভোট বাক্স, ভোটপত্র আর প্রতীকের কিছু নমুনা দেখান, সেই সঙ্গে দেখান ভোটকেন্দ্রের ছক, যাতে তাঁরা তাঁদের নিজেদের দেশে গণতন্ত্রের ব্যাহত প্রক্রিয়াকে নতুন করে চালু করতে পারেন।’ ১৯৫৭-র দ্বিতীয় নির্বাচনও পরিচালনা করেন সুকুমার সেন। পরে সুদানে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ১৯৫৩ সালে সুদান তাঁকে আমন্ত্রণ জানায়। ১৪ মাস সে দেশে নির্বাচন ব্যবস্থার কাজ বুঝিয়েছিলেন সুকুমার সেন। স্বাধীন গণতান্ত্রিক ভারতে ভোট ব্যবস্থার রূপকার সুকুমার সেনকে পদ্মভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল। ১৯৬৩ সালে মাত্র ৬৫ বছর বয়সে প্রয়াত হন সুকুমার সেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta Highcourt: “তথ্য প্রমাণ লোপাট হতে পারে”, NIA-কে তদন্তভার দিয়েও চিন্তিত হাইকোর্ট

    Calcutta Highcourt: “তথ্য প্রমাণ লোপাট হতে পারে”, NIA-কে তদন্তভার দিয়েও চিন্তিত হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মরশুমে ফের চাপ বাড়ল শাসকদলের উপর। মুর্শিদাবাদের রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় এবার তদন্ত করবে এনআইএ। এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt) । মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন। এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের মন্তব্য, “যত সময় গড়াবে ততই তথ্য প্রমাণ বিকৃতি করার সম্ভাবনা বাড়বে। পুলিশি রিপোর্ট অনুযায়ী বোমা ছোড়ার অভিযোগ রয়েছে।”

    রামনবমীর মিছিলে হামলার তদন্তে এনআইএ (Calcutta Highcourt)

    প্রসঙ্গত গত বছরের মত এবছরও রামনবমীর দিন রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত একাধিক জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটে কোথাও বাড়ি ছাদ থেকে আবার কোথাও মসজিদ থেকে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে বাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে আহত হন বহু রাম ভক্ত। মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এনআইএকে তদন্তভার দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt) ।  শুক্রবার মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় শুক্রবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় এনআইএ। এর পরই আদালত জানায় মুর্শিদাবাদের রামনবমীর মিছিলে বোমাবাজি ও হামলার ঘটনায় তদন্ত করবে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    কী হয়েছিল রামনবমীর মিছিলে

    চলতি বছর রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদের রেজিনগর বিধানসভা এলাকার শক্তিপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। প্রথমে একদল দুষ্কৃতী রামনবমীর মিছিলের উপর একতরফা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল আশপাশের বাড়ি থেকে মুখ ঢেকে বোমা ও পাথর ছুঁড়ছে একদল দুষ্কৃতি। শক্তিপুরের পাশাপাশি মানিক্যহার এলাকাতেও মিছিলের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতিরা। বাড়ির ছাদ থেকে মিছিলকে লক্ষ্য করে সেখানেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। সিবিআই এবং এনআইএ তদন্তের তদন্তের দাবি জানিয়ে Calcutta Highcourt) দুটি জনস্বার্থ মামলা হয়।

    আরও পড়ুন: ভক্তদের জন্য সুখবর! অক্ষয় তৃতীয়ায় খুলে গেল কেদারনাথ ধামের দ্বার

    তথ্য প্রমাণ লোপাটের চিন্তা আদালতের (Calcutta Highcourt)

    প্রসঙ্গত এতদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হিংসার ঘটনার তদন্ত করছিল সিআইডি। তবে এনআইয়ের তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার। এখন সেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থায়ী তদন্তভার পেল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্ট Calcutta Highcourt) রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। যত দিন যাবে ততদিন মামলার তথ্য প্রমাণ লোপাট করার বিষয়ে চিন্তা প্রকাশ করে আদালত। এমনকি বহরমপুরে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্যে, “যেখানে মানুষ আট ঘণ্টা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের উৎসব পালন করতে পারে না, সেখানে ভোটের কোন প্রয়োজন নেই।” একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি জেলাশাসককে নির্দেশ দেন, “ওই জেলায় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে কোন মন্তব্য বা প্রচার করতে পারবেন না রাজনীতিকরা। এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নজরদারি রাখতে হবে তাঁকে। এ নিয়ে প্রচার করার নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।” মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন। সেদিন প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে এনআইএ-কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali News:  “সন্দেশখালির মহিলাদের ভয় দেখানো হচ্ছে”, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ মহিলা কমিশনের

    Sandeshkhali News:  “সন্দেশখালির মহিলাদের ভয় দেখানো হচ্ছে”, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ। চর্চায় সন্দেশখালি (Sandeshkhali News) । সন্দেশখালিতে প্রায় ১০০টি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এরই মাঝে নির্বাচন কমিশনের কাছে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার অভিযোগ, “সন্দেশখালির মহিলাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন সদনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে চিঠি পাঠিয়ে এই অভিযোগ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা।

    মহিলা কমিশনের অভিযোগ 

    মহিলা কমিশনের তরফে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে চিঠির প্রতিলিপি পোস্ট করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, আমাদের নজর এসেছে ভোটের মাঝে সন্দেশখালির মহিলাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। ভয় দেখানো হচ্ছে। তাদের প্রভাবিত করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন যাতে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। কমিশনের চেয়ারপার্সন ওই অভিযোগপত্রে সরাসরি নালিশ জানিয়েছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। চেয়ারপার্সনের বক্তব্য, “তৃণমূল কর্মীরা সন্দেশখালির (Sandeshkhali News) মহিলাদের মধ্যে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করছেন। মহিলারা যাতে এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য না হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছে মহিলা কমিশন।”

    ভয় দেখিয়ে স্টিং অপারেশন! (Sandeshkhali News)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ্য শাসক দলের ঘনিষ্ঠ এক প্রাক্তন সাংবাদিক বর্তমানে ইউটিউবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali News)  গিয়ে একটি স্টিং অপারেশন করে বলে অভিযোগ। ভয় দেখিয়ে কয়েকজন আন্দোলনকারি এবং এক বিজেপি কর্মীর মুখ থেকে কিছু কথা বলিয়ে নেন বলে অভিযোগ। যদিও ওই বিজেপি কর্মী স্পষ্ট করে বলেছেন, “যে কণ্ঠস্বরটি শোনা যাচ্ছে সেটা তাঁর নয়। আন্দোলনকারী মহিলা বলেছেন তাঁকে মামলা তুলে নেওয়া হবে এই প্রলোভন দেখিয়ে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে চাপ দিয়ে অনেক কথা বলিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরে শাসক দলের তরফে ওই ইউটিউবারের ভিডিওকে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা হয়।

    আরও পড়ুন: জমি হাতিয়েছিলেন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মিজানুর! সন্দেশখালি গিয়ে খোঁজ নিল সিবিআই

    ভাইরাল ভিডিওর পর আসরে তৃণমূল! (Sandeshkhali News)

    এরপর দেখা যায় আন্দোলনকারি সেজে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী দাবি করেছেন তাদের ওপর নাকি চাপ দেওয়া হয়েছিল অভিযোগ করার জন্য। এ নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর। এরই মাঝে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মহিলা কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। শাসকদলের তরফ থেকে সন্দেশখালি জুড়ে যে চাপ তৈরি করা হচ্ছে তাতে সন্দেশখালির (Sandeshkhali News) তদন্ত প্রভাবিত বলে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: জামিন পেয়েও রেহাই নেই! আবগারি দুর্নীতির চার্জশিটে নাম জড়াল দলের

    Arvind Kejriwal: জামিন পেয়েও রেহাই নেই! আবগারি দুর্নীতির চার্জশিটে নাম জড়াল দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েও কেজরির (Arvind Kejriwal) কপালে চিন্তার ভাঁজ। আগে অভিযুক্ত ছিলেন তিনি এবং তাঁর মন্ত্রীরা। এবার জড়িয়ে গেল দলের নাম। সূত্রের খবর ইডি-র চার্জশিটে অভিযুক্ত তালিকায় নাম রয়েছে আপ-এর।

    চার্জশিটে নাম জড়াল দলের 

    ইডি সূত্রে খবর চার্জশিটে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) নাম ও অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় আগেই দীর্ঘ দিন জেলে কাটিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবার নাম জড়াল তাঁর পার্টি আম আদমি পার্টির। আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনে অভিযুক্ত হিসেবে আম আদমি পার্টির (AAP) নামের উল্লেখ রয়েছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চার্জশিটে। শুক্রবার ইডির সূত্র উদ্ধৃত করে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রথম দেশের কোন স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের নামে দুর্নীতি মামলার উল্লেখ হয়েছে চার্জশিটে। তবে এখনও ওই চার্জশিট আদালতে জমা দেয়নি ইডি।

    আম আদমি পার্টিকে কোম্পানির সঙ্গে তুলনা

    প্রসঙ্গত দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সংক্রান্ত শুনানিতে আম আদমি পার্টিকে একটি কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করেছিল তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) । শুধু তাই নয় কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) কোম্পানি ডিরেক্টর বলে উল্লেখ করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে। তাদের যুক্তি ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইডি বেআইনী আর্থিক লেনদেন বা পিপালস মানি লন্ডারিং অ্যাক্টর (PMLA) ৭০ নম্বর ধারার কথা উল্লেখ করেছিল আদালতে। কোন কোম্পানির ডিরেক্টর, ম্যানেজার, সেক্রেটারি উচ্চপদস্থ কোন আধিকারিক যদি আর্থিক তছরুপের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে সেক্ষত্রে ঠিক যেভাবে দুর্নীতি হয় সেভাবেই এক্ষেত্রে হয়েছিল বলে দাবি করে ইডি।

    “রাজনীতি করবেন না”, বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    ভোট গণনার দিন থাকতে হবে জেলেই (Arvind Kejriwal)

    লোকসভা ভোটের মাঝে মুক্তি পেলেও ভোট গণনার দিন তাঁকে (Arvind Kejriwal) থাকতে হবে জেলেই। আপাতত ২৩ দিনের জন্য জামিন পেয়েছেন কেজরিওয়াল। যদিও তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘবি  জামিনের মেয়াদ ৫ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাতে সরাসরি না বলে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে ২ জুন কেজরিওয়ালকে পুনরায় আত্মসমর্পণ করতে হবে। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচন শেষ দফার ভোটগ্রহণের সময় জেলের বাইরে থাকবেন কেজরি। কিন্তু পরের দিনই তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় ২১ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তারপর থেকে জামিন পাওয়ার অনবরত চেষ্টা করেছেন কেজরিওয়াল। আপাতত অল্প স্বস্তি পেলেও পুনরায় তিহার জেলে ফিরে আসতে হবে। কারণ তাঁকে শর্ত সাপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। জামিন পেলেও মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। যদিও তাতে আপত্তি জানার নেই কেন্দ্রের আইনজীবী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Hindu Population: ভারতে হিন্দু জনসংখ্যায় হ্রাস, ‘‘কংগ্রেসের হাতে দেশ ছাড়লে…’’, তোপ বিজেপির

    India Hindu Population: ভারতে হিন্দু জনসংখ্যায় হ্রাস, ‘‘কংগ্রেসের হাতে দেশ ছাড়লে…’’, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর ইকোনমিক অ্যাডভাইসারি কাউন্সিলের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতে হিন্দুদের সংখ্যা কমেছে ৭.৮%। অন্যদিকে, এই সময় দ্রুত বেড়েছে সংখ্যালঘু মুসলমান-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ সমেত অন্যান্য সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা। এই ইস্যুতে বিজেপি তোপ দেগেছে কংগ্রেসকে (India Hindu Population)। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের ইনচার্জ অমিত মালব্য হিন্দু জনসংখ্যা কমার জন্য কংগ্রেসকেই দায়ী করেছেন। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘যদি কংগ্রেসের হাতে দেশকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে এই পৃথিবীতে কোনও দেশই আর হিন্দুদের থাকবে না।’’

    উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের তোপ

    অমিত মালব্যের মতোই উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য একইভাবে তোপ দেগেছেন কংগ্রেসকে। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেসের মুসলিম তোষণ নীতির কারণেই দেশে দ্রুত বেড়েছে মুসলিম জনসংখ্যা এবং কমেছে হিন্দু জনসংখ্যা। এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেশব প্রসাদ মৌর্য বলেন, ‘‘কংগ্রেস পার্টি চিরকালই (India Hindu Population) মুসলিম তোষণ করে এসেছে। জনসংখ্যার ভারসাম্য থাকছে না বলেই প্রয়োজন হয়েছে ইউনিফর্ম সিভিল কোড-এর। ইউনিফর্ম সিভিল কোড লাগু হলে হিন্দু মুসলিম সমেত অন্যান্য সমস্ত সম্প্রদায় শুধুমাত্র একটি বিয়েই করতে পারবে।’’ কেশব প্রসাদ মৌর্য সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেন, ‘‘ইউনিফর্ম সিভিল কোড লাগু হলে ‘হাম ৫ হামারে ২৫’- এই ফর্মুলা কাজ করবে না।’’

    কমেছে হিন্দুর হার

    ১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ এই পর্বে ভারতে হিন্দু জনসংখ্যার ভাগ ৮৪ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৭৮ শতাংশ। এই সময় মুসলমানদের ভাগ ৯.৮৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪.০৯ শতাংশ। ভারতে হিন্দুদের জনসংখ্যা যে হারে কমছে, সেদিক থেকে ভারতের স্থান হয়েছে পড়শি দেশ মায়ানমারের পরেই। এখানে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ১০ শতাংশ। ভারতে এই হার ৭.৮ শতাংশ। হিন্দুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ নেপালেও। এখানেও হিন্দুরাই সংখ্যা গরিষ্ঠ। তবে তাদের বৃদ্ধির হার মাত্রই ৩.৬ শতাংশ। যে রিপোর্টের ভিত্তিতে এসব বলা হচ্ছে, তা সংগ্রহ করা হয়েছে বিশ্বের ১৬৭টি দেশ থেকে। গবেষণাপত্রটির লেখকদের মতে, বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ভারতে সংখ্যালঘুরা কেবল নিরাপদেই রয়েছেন তা নয়, তাঁরা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশে (India Hindu Population)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Row: আর ভুল হবে না! মোদীকে কটাক্ষ প্রসঙ্গে ভারতে এসে নতিস্বীকার মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীর

    India Maldives Row: আর ভুল হবে না! মোদীকে কটাক্ষ প্রসঙ্গে ভারতে এসে নতিস্বীকার মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বিরুদ্ধে মলদ্বীপের কয়েকজন মন্ত্রীদের অবমাননাকর (India Maldives Row) মন্তব্য প্রসঙ্গে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন বিদেশমন্ত্রী মুসা জমির। ভারতে তার প্রথম সরকারি সফরে এসে বলেছেন, “তার সরকার ওই নেতাদের মন্তব্য থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে এবং “সঠিক ব্যবস্থা” নিয়েছে। ওই ঘটনার কোনও পুনরাবৃত্তি হবে না। নিশ্চিত করবে মলদ্বীপ।” 

    নতিস্বীকার মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীর

    সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী জমির বলেছেন, ” আমরা আগেই বলেছি ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে যে মন্তব্য করা হয়েছে তা আমাদের সরকারের অবস্থান নয় বা এটি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নয়। এবং আমরা বিশ্বাস করি এটি করা উচিত ছিল না। এবং তারপরে এটি যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

    প্রসঙ্গত ভারতে এসেছিলেন মলদ্বীপের (Maldives) বিদেশমন্ত্রী মুসা জমির। দেখা করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। মুইজ্জু (Md. Muijju) ক্ষমতায় এসে ভারতের বিরুদ্ধে উগ্র মনোভাব (India Maldives Row) দেখালেও ধীরে ধীরে ভারত ছাড়া যে তাদের গতি নেই তা ভালই বুঝতে পেরেছে দ্বীপরাষ্ট্রের সরকার পক্ষ।ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishakar) মুসা জমিরের (Musa Jameer) সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পর বলেন, “ভারত (India) ও মলদ্বীপর সম্পর্ক পারস্পরিক উন্নয়ন এবং পারস্পরিক সংবেদনশীলতার উপর নির্ভরশীল। আমরা অতীতে মলদ্বীপকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। কোভিড কালে ভ্যাকসিন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠিয়েছি। দেশটির বিপদের সময় ভারত পাশে ছিল।”  প্রসঙ্গত মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর (India Maldives Row) এটাই মুসা জমিরের প্রথম ভারত সফর। প্রথম সফরের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি একটি ভালো সফর ছিল এবং ভারতের তরফে খুবই উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আমাদের আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। আমি ভারত সরকারকে এবং ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রককে ধন্যবাদ জানাই।”

    আরও পড়ুন: ভারতে হিন্দু জনসংখ্যার হার কমেছে ৮ শতাংশ, তরতরিয়ে বেড়েছে সংখ্যালঘুরা

    দূরত্ব বজায় নীতি থেকে সরছে মলদ্বীপ (India Maldives Row)

    প্রসঙ্গত ১৯৬৫ সালে মলদ্বীপ যখন স্বাধীন হয়েছিল তখন ভারত মলদ্বীপকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলির মধ্যে প্রথম ছিল। কিন্তু রাজনীতির স্বার্থে মুইজ্জু প্রথম থেকেই ভারত বিরোধী নীতি নিয়েছিলেন। “ইন্ডিয়া আউট” (India Maldives Row) স্লোগান তুলে তিনি দেশের মসনদে বসেন। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার নীতি তার রাজনীতির অঙ্গ ছিল। দেশের মসনদে বসে তিনি প্রথমে চিন সফরে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেই তিনি বুঝতে পারেন ভারত ছাড়া তাঁর চলবে না। যদিও ভারত কখনই মুইজ্জুর বিরোধিতার পরেও মলদ্বীপকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেনি। সম্প্রতি মলদ্বীপকে ভারত চিনি, গম, চাল, পেঁয়াজ এবং ডিম সহ প্রয়োজনীয় পণ্যের  রফতানির ঘোষণা করেছে। যাতে ওই দেশের মানুষ রাজনীতির শিকার হয়ে খাদ্যাভাবে না ভোগেন। 

    প্রথম সফরের অভিজ্ঞতা বয়ান মন্ত্রীর

    মলদ্বীপের বিদেশ মন্ত্রী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, “নয়া দিল্লিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয় শংকরের সঙ্গে দেখা করে আনন্দিত। আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের আমাদের দীর্ঘ ইতিহাসকে প্রতিফলিত করেছি। আমরা দুই দেশের (India Maldives Row) মধ্যে সম্পৃক্ততা এবং আদান-প্রদানের বিষয়ে অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share