Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Padma Awards 2024: দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন চিরঞ্জিবী ও বৈজয়ন্তীমালা

    Padma Awards 2024: দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন চিরঞ্জিবী ও বৈজয়ন্তীমালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালা ও দক্ষিণী তারকা চিরঞ্জিবী (Actor Chiranjivi) । তাঁদের পদ্মবিভূষণ সম্মানে সম্মানিত করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে পদ্ম সম্মানের (Padma Awards 2024) পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

    সপরিবারে এসেছিলেন চিরঞ্জীবী

    চিরঞ্জীবী যখন রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার (Padma Awards 2024) নিচ্ছিলেন তখন উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুরেখা, ছেলে অভিনেতা রামচরণ এবং তাঁর স্ত্রী উপাসনা কনিডেলা। কালো বন্ধগোলা স্যুটে দরবার হলে এসেছিলেন চিরঞ্জীবী। বর্ষীরান অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালা এদিন হলুদ রঙের শাড়ি পরে উপস্থিত হয়েছিলেন পদ্ম সম্মানের অনুষ্ঠানে। চলতি বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পদ্ম সম্মানের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল বহু মানুষকে। এর মধ্যে ৫ জনকে পদ্মবিভূষণ, ১৭ জনকে পদ্মভূষণ এবং ১১০ জনকে পদ্মশ্রী পুরষ্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল। চলতি বছর অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালা, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু, তেলেগু সিনেমার সুপারস্টার চিরঞ্জীবী, নৃত্যশিল্পী পদ্মা সুব্রমান্যম, ও সুলভ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিন্দেশ্বর পাঠককে  পদ্মবিভূষন (Padma Awards 2024) পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

    মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফর, ট্রোল নেটিজেনদের

    মিঠুন ও উষা পেয়েছিলেন পদ্মভূষন 

    অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) , গায়িকা উষা উথুপ, ও রাজাগোপাল, কেরালার বিজেপি নেতা তেজস মধুসূদন প্যাটেল, গুজরাটের কার্ডিওলজিস্ট রাম নায়েক, প্রবীণ বিজেপি নেতা এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন রাজ্যপাল হরমুসজি এন. কামা, বোম্বে সমাচারের সিনিয়র প্রকাশক শিল্পপতি সীতা রাম জিন্দাল, প্রবীণ মারাঠি চলচ্চিত্র পরিচালক দত্তাত্রয় আম্বাদাস মায়ালু, হিন্দি সঙ্গীত পরিচালক প্যারেলাল শর্মা এবং সিনিয়র সাংবাদিক কুন্দন ব্যাসও চলতি বছর পদ্মভূষণে (Padma Awards 2024) ভূষিত হয়েছেন।

    পশ্চিমবঙ্গ থেকে যারা পেলেন পদ্মশ্রী 

    এবছর পশ্চিমবঙ্গ থেকে মরণোত্তর পদ্মভূষণ (Padma Bhushan) পেয়েছেন সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়। বাংলা থেকে পদ্মশ্রী (Padma Awards 2024)সম্মান পেয়েছেন আটজন। পুরুলিয়া জেলার আদিবাসী পরিবেশকর্মী দুখু মাঝি, ছৌ নাচের মুখোশ শিল্পী নেপালচন্দ্র সূত্রধর। নেপালচন্দ্রকে মরণোত্তর এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। মৃৎশিল্পী সনাতন রুদ্রপাল (Sanatan Rudra Pal) ও ভাদুশিল্পী রতন কাহার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছেন একলব্য শর্মা ও নারায়ণ চক্রবর্তী। শিল্পে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তাকদিরা বেগম এবং গীতা রায় বর্মন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kedarnath Dham: ভক্তদের জন্য সুখবর! অক্ষয় তৃতীয়ায় খুলে গেল কেদারনাথ ধামের দ্বার

    Kedarnath Dham: ভক্তদের জন্য সুখবর! অক্ষয় তৃতীয়ায় খুলে গেল কেদারনাথ ধামের দ্বার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে লম্বা অপেক্ষার অবসান। ৬মাস টানা বন্ধ থাকার পর অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য দিন থেকে ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হল কেদারনাথ ধামের (Kedarnath Dham) দরজা। অগণিত ভক্তদের অপেক্ষা থাকে এই বিশেষ দিনের। গত বছর এপ্রিলেই কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রীর দরজা খুলে গেলেও এবার অপেক্ষা করতে হল মে মাস পর্যন্ত। শুক্রবার অর্থাৎ ১০ মে খুলে গেল কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রীর দরজা। সকাল ৭টায় খুলল মন্দিরের দরজা। প্রথম দর্শনের জন্য ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। যদিও বদ্রীনাথের দরজা ভক্তদের জন্য খুলবে ১২ মে।   

    চারধাম যাত্রা (Char Dham Yatra 2024)

    চারধাম যাত্রার জন্য অনলাইন রিজার্ভেশন শুরু হয়েছিল ১৫ এপ্রিল থেকে। ভক্তরা চারধাম যাত্রা শুরু করেন যমুনোত্রী থেকে। তারপর গঙ্গোত্রী ও কেদারনাথ ধাম (Kedarnath Dham) হয়ে শেষ হয় বদ্রিনাথ ধামে। হিন্দু ধর্মে এই চারধাম যাত্রার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিবছর মূলত এপ্রিল-মে থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রা শুরু হয় আর শেষ হয় অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। বিশ্বাস করা হয় যে একজন ভক্ত ঘড়ির কাঁটার দিক নির্দেশ মেনে এই পবিত্র যাত্রা সম্পূর্ণ করে থাকেন। 

    পুজোর রীতি (Kedarnath Dham)

    শীত পড়তে না পড়তেই আবহাওয়ার উপর ভিত্তি করে নভেম্বরের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় কেদারনাথ ধামের (Kedarnath Dham) দরজা। নিয়ম অনুযায়ী, বৈশাখের তৃতীয়া তিথি অর্থাত্‍ অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকেই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয় কেদারনাথ মন্দিরের প্রধান দরজা। ৬মাস টানা বন্ধ থাকার পর কেদারনাথ মন্দিরে নিয়ে এসে পুজো করা হয় ভৈরবনাথকে। কেদারনাথ মন্দির খোলার জন্য রয়েছে বেশ কিছু রীতি। প্রতিবছর এই প্রথা মেনেই কেদারনাথে মূর্তি দোলায় করে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেই বিশেষ দিনটি হল অক্ষয় তৃতীয়া। শুধুমাত্র এপ্রিল মাসের শেষ থেকে কার্তিক পূর্ণিমা অবধি খোলা থাকে মন্দির। আর শীতের সময়, কেদারনাথ মন্দিরের মূর্তিগুলিকে ছয় মাসের জন্য উখিমঠে নিয়ে গিয়ে পুজো করা হয়। জানা গিয়েছে, এবছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উখিমঠের ওমকারেশ্বর মন্দিরে পুজো হবে ভৈরবনাথের। ভগবান শিবের পাঁচটি মন্দির কেদারনাথ, মদমহেশ্বর, তুঙ্গনাথ, রুদ্রনাথ, কল্পনানাথের সম্মিলিত পুজো দিয়ে পঞ্চ কেদারের শীতকালীন আসন উখিমঠের ওমকারেশ্বর মন্দিরে ভগবান ভৈরবনাথের পুজোর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর পঞ্চমুখী ডলি বা দোলায় চড়ে ভৈরবনাথ মূর্তি কেদারনাথ ধামের (Kedarnath Dham) উদ্দেশ্যে রওনা হয়। যে সময় ভৈরবনাথ মূর্তি কেদারনাথ ধামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সে সময় হেলিকপ্টার থেকে ফুল বর্ষণ করা হয়। ইতিমধ্যেই হাজার হাজার ভক্তের উল্লাস নিয়ে কেদারনাথে পৌঁছেছে বাবা কেদারের পঞ্চমুখী ডলি।

    আরও পড়ুন: মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফর, ট্রোল নেটিজেনদের 

    ভক্তদের আমন্ত্রণ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর 

    এবছর কেদারনাথ মন্দির (Kedarnath Dham) সাজানো হয়েছে ৪০ কুইন্টাল ফুল দিয়ে। ইতিমধ্যে সমাজমধ্যম সেই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এই বিপুল পরিমানে ফুল সেখানে পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই মন্দির সজ্জায় উচ্ছ্বসিত তীর্থযাত্রীরা। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সমাজমাধ্যমে কেদারনাথ ধামে ভক্তদের স্বাগত জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Adhai Din Ka Jhonpra: রাজস্থানে সংস্কৃত স্কুল ভেঙে তৈরি হয়েছিল মসজিদ! পরিদর্শন করলেন জৈন সাধুরা

    Adhai Din Ka Jhonpra: রাজস্থানে সংস্কৃত স্কুল ভেঙে তৈরি হয়েছিল মসজিদ! পরিদর্শন করলেন জৈন সাধুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবার জৈন সম্প্রদায়ের একটি দল মুনি সুনীল সাগরের নেতৃত্বে দ্বাদশ শতকের মসজিদ ‘আড়াই দিন কা ঝোঁপরা’ (Adhai Din Ka Jhonpra) পরিদর্শন করেন। রাজস্থানের আজমের জেলাতে অবস্থিত রয়েছে এই মসজিদ। জানা যায়, এই মসজিদ আগে ছিল একটি সংস্কৃত স্কুল। মুসলিম শাসনের তা ভেঙে মসজিদের রূপান্তরিত করা হয়।

    কাঠামো পরিদর্শন

    প্রসঙ্গত, মসজিদের আশেপাশে থাকা স্থানীয়রা দাবি করেন, ওই সন্ন্যাসীরা কোনও রকমের পোশাক না পরে ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। কিন্তু এরপরেই সন্ন্যাসীরা দাবি করেন, যে এটা হল তাঁদের অধিকার। জৈন সম্প্রদায়ের এই মসজিদ পরিদর্শনের সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মকর্তারাও। তবে এই মসজিদ পরিদর্শনের (Adhai Din Ka Jhonpra) সময় সেখানকার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে তাঁরা প্রবেশ করেননি।

    কী বললেন মুনি সুনীল সাগর?  

    সন্তদের দলের নেতা মুনি সুনীল সাগর সেখানে একটি পাথরের উপরে উঠে দশ মিনিট বক্তব্য রাখেন। ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘এই ধাঁচা (Adhai Din Ka Jhonpra) তাদের আসল মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া উচিত। প্রার্থনা করা যদি আমাদের চিরাচরিত প্রথা হয়, তবে তাই এখানে করা উচিত। আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। আমরা সত্যটাকে স্বীকার না করে অন্যের সম্পত্তির ওপর দখল দিই, তখন তা শত্রুতা বৃদ্ধি করে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সম্প্রীতির জন্য কাজ করতে হবে।’’

    মন্দিরের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

    জানা যায়, এই সংস্কৃত কলেজটির নাম ছিল সরস্বতী কন্ঠভরণ মহাবিদ্যালয় (Adhai Din Ka Jhonpra)। এই মন্দিরটি উৎসর্গ করা হয়েছিল মাতা সরস্বতীকে। এই কলেজটি তৈরি করেছিলেন মহারাজা চতুর্থ বিগ্রহরাজ। তিনি ছিলেন চৌহান বংশের রাজা। জানা যায়, মূল ভবনটি ছিল বর্গাকার আকৃতির। তার প্রতিটি কোণে একটি করে টাওয়ার ছিল এবং এই ভবনের পশ্চিম পাশে মাতা সরস্বতীর মন্দির ছিল। পরবর্তীকালে দাদ্বশ শতকে এই স্থাপত্য ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maldives Foreign Minister: মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফর, ট্রোল নেটিজেনদের

    Maldives Foreign Minister: মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফর, ট্রোল নেটিজেনদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী (Maldives Foreign Minister) মুসা জমির আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সফরে এসেছেন। তাঁর এই সফর ঘিরে নেটাগরিকরা ব্যাপক ট্রোল শুরু করেছেন। কেউ কেউ লেখেন, মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। এদেশে রওনা হওয়ার আগে মুসা জমির একটি ট্যুইট করেন এবং যেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ভারতের বিদেশমন্ত্রক জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করার বিষয়ে তিনি মুখিয়ে রয়েছেন।’’ ওই ট্যুইটে তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর লক্ষ্যে তাদের আলোচনা চলবে।’’

    নয়া দিল্লিতে নেমে কী জানালেন মুসা জমির

    অন্যদিকে, নয়া দিল্লিতে নেমে মুসা জমির (Maldives Foreign Minister) লেখেন,‘‘নতুন দিল্লিতে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারতে এলাম। ইতিবাচক আলোচনার দিকে তাকিয়ে আছি। দুই দেশের মধ্যে সন্ধি স্বাক্ষরিত হবে। এর পাশাপাশি ভারতের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিকে উপভোগ করব।’’

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের ট্যুইট

    অন্যদিকে মলদ্বীপের মন্ত্রীর (Maldives Foreign Minister) এমন সফরে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘মুসা জমিরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে। বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করা হবে।’’

    চিনপন্থী মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে নামেন

    প্রসঙ্গত, মলদ্বীপের (Maldives Foreign Minister) রাষ্ট্রপ্রধান চিনপন্থী মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে নামেন। মলদ্বীপ থেকে ভারতের সেনা সরানোর পক্ষে সওয়াল করেন। এনিয়ে বিবিসি-কে সাক্ষাৎকারও দেন তিনি। এছাড়াও একাধিক ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত সামনে এসেছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় এসেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nirmala Sitharaman: “আগামী বছরেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত” দাবি অর্থমন্ত্রী নির্মলার

    Nirmala Sitharaman: “আগামী বছরেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত” দাবি অর্থমন্ত্রী নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:আর মাত্র এক বছরের অপেক্ষা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করার পরই ভারত আগামী বছরের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। ঝাড়খণ্ডে বৃহস্পতিবার নির্বাচনী জনসভায় এমনই দাবি করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তাঁর কথায়, অদূর ভবিষ্যতে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত। চিন, জার্মানি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় দেশগুলি বর্তমানে আর্থিক সংকটে রয়েছে। কিন্তু তারই মধ্যে এগিয়ে চলেছে ভারতের অর্থনীতি।

    কী বললেন নির্মলা

    বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্যের সময় নির্মলা (Nirmala Sitharaman) জানান, ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করার কথা আগেও বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথামতোই এগিয়ে চলেছে দেশ। মোদি সরকার তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলেই সামনের বছরই অর্থনীতিতে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে দেশ। নির্মলা বলেন, ” প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ভারতের অর্থনীতি আগামী বছর পঞ্চম স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে যাবে। ভারতের জিডিপি ক্রমশ বাড়ছে। ভারত বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম উজ্জলতম স্থান। সম্প্রতি ব্রিটিশ যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয় ভারত।  ভারত এখন শুধুমাত্র আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, চিন, জাপান ও জার্মানির পেছনে রয়েছে।”  দেশের মঙ্গল এবং দুর্নীতিমুক্ত শাসনের জন্য ঝাড়খণ্ডবাসীকে ভোট দিতে আহ্বান জানান নির্মলা। 

    আরও পড়ুন: ‘ছাপ্পা কমতেই বাংলায় কমেছে ভোটের হার’ দাবি নির্বাচন কমিশনের

    রেটিং এজেন্সিদের মতে

    বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতি হিসাবে ভারতের কথা উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্য একাই ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। যা খুবই স্বাস্থ্যকর একটি পরিবেশ। 8 মে, প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন বলেছিলেন যে ২০২৪ অর্থনৈতিক বর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ স্পর্শ করার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় কেন্দ্রের পূর্বাভাস, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের অর্থনীতি ৭ শতাংশ হারে বাড়বে। চলতি অর্থবছরে অর্থনীতি ৭.৩% হারে বাড়বে বলে সরকারের অনুমান। বিশেষজ্ঞমহলের মতে, এই আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাসকে মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) এই দাবি করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Navneet Rana: “আমাদের ১৫ সেকেন্ড সময় লাগবে”- ওয়াইসিকে হুঁশিয়ারি নবনীত রানার

    Navneet Rana: “আমাদের ১৫ সেকেন্ড সময় লাগবে”- ওয়াইসিকে হুঁশিয়ারি নবনীত রানার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মরশুমে এবার খোলা মঞ্চ থেকে সরাসরি আকবরউদ্দিন ওয়াইসিকে (Akbaruddin owaisi) হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী নবনীত রানা। হায়দরাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী মাধবী লতার হয়ে প্রচারে এসে সভা থেকে হুঁশিয়ারি দেন নবনীত রানা।  

    কোন প্রসঙ্গে এই মন্তব্য? 

    ২০১৩ সালে এক সভায় অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন নেতা আকবরউদ্দিন ওয়াইসি (Akbaruddin owaisi) ‘১০০ কোটি হিন্দু’কে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, “১৫ মিনিটের জন্য পুলিশ তুলে নিলে তারা কী করতে পারে, তা দেখিয়ে দেবে তাঁর সম্প্রদায়।” এবার সেই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে এদিন নবনীত (Navneet Rana) জানান,”পুলিশকে সরিয়ে দেওয়া হলে বা সরে দাঁড়াতে বাধ্য করা হলে আমাদের ১৫ সেকেন্ড সময় লাগবে। আপনার ১৫ মিনিট সময় লাগতে পারে, কিন্তু আমাদের সময় লাগবে মাত্র ১৫ সেকেন্ড।”  
    উল্লেখ্য, আসাদউদ্দিন ২০০৪ সাল থেকে হায়দরাবাদ থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন। এর আগে তিনি পূর্বতন অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে দুবার বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    নবনীত রানার বক্তব্য নিয়ে ওয়ারিস পাঠান (Navneet Rana)

    অন্যদিকে নবনীত রানার (Navneet Rana) বক্তব্য শুনে পাল্টা আবার ওয়ারিস পাঠান বলেছেন, “নবনীত রানা বুঝতে পেরেছেন যে তিনি অমরাবতীতে নির্বাচনে হারতে চলেছেন। সেই কারণেই তিনি এসব বলছেন।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “১৫ সেকেন্ডের জন্য পুলিশকে সরিয়ে দিয়ে তারা কী করবে? তারা কি সব মুসলমানকে হত্যা করবে? পুলিশ প্রশাসন কি করছে? এখন পর্যন্ত কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং নির্বাচন কমিশন কী করছে? নির্বাচন কমিশনের (Election commission) উচিত এই বক্তব্যকে আমলে নিয়ে বিজেপি সাংসদ নবনীত রানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। ওরা (বিজেপি) মেরুকরণ ও সাম্প্রদায়িক বিভেদের চেষ্টা করছে।”   

    আরও পড়ুন: “নদিয়ার সৌন্দর্য ফেরাতে রানিমাকে জেতাতে হবে,” রোড শো থেকে আর্জি জানালেন মিঠুন

    মাধবী লতার হয়ে প্রচারে নভনীত রানা 

    প্রসঙ্গত, এদিন মাধবী লতার হয়ে প্রচারে নভনীত রানা (Navneet Rana) বলেন, “মাধবী লতা ভারতের সঙ্গে থাকা মানুষের কাছ থেকে যে ধরনের সমর্থন পাচ্ছেন- তারা সবাই এবার মাধবী লতাকে ভোট দেবেন। আমি আশা করি ভোট হলে মাধবী লতা অবশ্যই হায়দরাবাদকে পাকিস্তানে পরিণত হওয়া থেকে বিরত রাখবেন এবং সংসদের মাধ্যমে হায়দরাবাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kulgam Encounter: কুলগামে ৪০-ঘণ্টার সেনা অভিযানে খতম লস্করের শীর্ষ কমান্ডার সহ ৩ জঙ্গি

    Kulgam Encounter: কুলগামে ৪০-ঘণ্টার সেনা অভিযানে খতম লস্করের শীর্ষ কমান্ডার সহ ৩ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরের (J&K) কুলগ্রাম এলাকায় (Kulgam Encounter) টানা ৪০ ঘণ্টা পর শেষ হল জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গুলি বিনিময়। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে সেনার এই যৌথ অভিযানে নিকেশ হয়েছে এক শীর্ষ কমান্ডার সহ তিন জঙ্গি। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রচুর গোলাবারুদ ও নথি।

    নিকেশ লস্করের শীর্ষ কমান্ডার

    ৬ মে মধ্যরাত্রি থেকে পুলিশ ও সেনার যৌথ অভিযান শুরু হয়েছিল। সামাজিক মাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে ভারতীয় সেনার তরফে এই অভিযানের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। অভিযানে লস্কর-এ-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) শাখা সংগঠন টিআরএফের (The Resistance Front) এক শীর্ষ কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর ভারতীয় সেনার চিনার কোর (Chinar Corps) এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিল। রেডওয়ানি পাইন এলাকায় ৬ মে গভীর রাতে এই অভিযান শুরু হয়। জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনী ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। চিনার কোর জম্মু কাশ্মীর শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

    ৪০ ঘণ্টা চলল সেনার অভিযান

    সেনার তরফে ৪০ ঘন্টা সময় তিন জঙ্গিকে খতম করতে লাগল কেন জানতে চাওয়া হলে এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “যাতে কোন সাধারণ মানুষের ক্ষতি না হয় তার জন্যই সেনার তরফে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। তাই বেশি সময় লেগেছে।” প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম (Kulgam Encounter)  এলাকার রেডওয়ানি পাইন এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে ভারতীয় সেনার গুলি বিনিময় হয়েছিল। তারপরেই সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এই যৌথ অভিযান শুরু করে।

    আরও পড়ুন: পুঞ্চে বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলায় জড়িত তিন জঙ্গির নাম ও ছবি প্রকাশ

    প্রথমে জঙ্গিরা বিমান বাহিনীর কনভয়ের উপর হামলা চালায় 

    এর আগে ৪ মে পুঞ্চ জেলায় পাক সমর্থিত জঙ্গিরা সেনাবাহিনীর কনভয়ের উপরে হামলা চালিয়ে ছিল। ওই হামলায় ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) একজন জওয়ানের মৃত্যু হয়। এবং চারজন জখম হয়েছিলেন। ভারত পাক সীমান্ত লাগোয়া মেন্ধর (Mendhar) এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। হামলায় ভারতীয় বায়ুসেনার যে জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল তার নাম ভিকি পাহাড়ে বলে জানা গিয়েছে। তার বাড়ি মহারাষ্ট্রের নাগপুর জেলায়। সেখানেই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব শেষ শ্রদ্ধা জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Odisha: ওড়িশায় আত্মসমর্পণ করল ২ মহিলা ক্যাডার সহ ৯ জন মাওবাদী, জানেন কেন?

    Odisha: ওড়িশায় আত্মসমর্পণ করল ২ মহিলা ক্যাডার সহ ৯ জন মাওবাদী, জানেন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করল ২ জন মহিলা ক্যাডার (Female cadres) সহ ৯ জন মাওবাদী। ৭ মে, মঙ্গলবার ওড়িশার (Odisha) ভুবনেশ্বরে নিষিদ্ধ ঘোষিত সিপিআই (মাওবাদী) এর ৯ জন সদস্য একসঙ্গে ওড়িশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। জানা গিয়েছে, ওই ২ মহিলা ক্যাডার সহ ৯ জন মাওবাদী এর আগে কুখ্যাত কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এদিন বৌধ জেলায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে তারা।  

    পুলিশ তরফে জানানো হয়েছে 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা ক্যাডার যোগী মাদভি ওরফে জ্যোতি এবং পোজে মাদভি সহ নয়জন মাওবাদীই পার্শ্ববর্তী ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া জেলার মুলের গ্রামের বাসিন্দা। যোগী যখন ২০১৯ সালে সিপিআই (মাওবাদী) তে যোগ দিয়েছিল তখন তিনি মাওবাদী নেতা সিলা ওরফে নাগমনির ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। এরপরে ২০২০ সালে কেকেবিএন বিভাগের চতুর্থ কোম্পানির বিভাগীয় কমিটির সদস্য (DCM) বিকাশ ওরফে জগদীশের সঙ্গে চরমপন্থী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল। 

    কী বলল আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা?

    আত্মসমর্পণকারী অন্যদের মধ্যে কেকেবিএন বিভাগের ডিসিএম সাময় মাদকাম ওরফে নরেশও রয়েছে। তিনি ডিভিশনের চতুর্থ কোম্পানিতে ১ম প্লাটুনের কমান্ডার ছিল এবং এর আগে ওডিশার কান্ধমাল, বৌধ এবং নুয়াপাদা জেলায় তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা বিচারাধীন ছিল। এই দুজন ছাড়া বাকিরা মাওবাদী (Maoists) সংগঠনে দলীয় সদস্য হিসেবে কাজ করছিল। মাদকাম পুলিশের কাছে জানিয়েছে, দলের মধ্যে নিচুতলার কর্মী-সদস্যদের ওপর ভীষণভাবে শোষণ ও নীপিড়ন হতো। বিশেষ করে, মহিলা সদস্যদের ওপর লাগাতার যৌন নির্যাতন চলত। এসব দেখে তারা মূলস্রোতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়।

    আরও পড়ুন: বাংলায় তিন দফায় ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোট, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের প্রশংসা কমিশনের

    ছত্তিশগড়েও মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ (Maoists surrender)

    অন্যদিকে সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া জেলায় ৩৫জন মাওবাদী, পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। রবিবার দান্তেওয়াড়া পুলিশের প্রচার অভিযানের জেরে ওই রেঞ্জের ডি আই জি পুলিশ কমললোচন কাশ্যপ এবং সিআরপিএফ ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সামনে তারা আত্মসমর্পণ করে। জানা গিয়েছে ভইরামগড় এবং কাটেকল্যাণ এলাকায় মাওবাদী (Maoists) সংগঠনের কাজকর্মে যুক্ত ছিল তারা। এদের বিরুদ্ধে রাস্তা অবরোধ সহ বিভিন্ন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগ রয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Hindu Population: ভারতে হিন্দু জনসংখ্যার হার কমেছে ৮ শতাংশ, তরতরিয়ে বেড়েছে সংখ্যালঘুরা

    India Hindu Population: ভারতে হিন্দু জনসংখ্যার হার কমেছে ৮ শতাংশ, তরতরিয়ে বেড়েছে সংখ্যালঘুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যাগুরু হিন্দুদের সংখ্যা (India Hindu Population) দ্রুত কমছে। আর যারা সংখ্যালঘু তাদের বংশলতিকা বাড়ছে বর্ষার লবঙ্গলতিকার মতো। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে ভারতের জনসংখ্যার এই ছবি। প্রধানমন্ত্রীর ইকনোমিক অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলের (EAC-PM Study) প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতে সংখ্যাগুরু হিন্দুদের সংখ্যা কমেছে ৭.৮ শতাংশ। অথচ এই সময়সীমায় ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে সংখ্যাগুরু (পড়ুন মুসলমান) জনসংখ্যা বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে।

    বেড়েছে সংখ্যালঘু (India Hindu Population) 

    কেবল প্রতিবেশী দেশগুলিতে নয়, ভারতেও যেখানে হিন্দুদের সংখ্যা কমছে, সেখানেও সংখ্যালঘু মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং শিখ সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বাড়ছে। আর উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে জৈন ও পার্শিদের সংখ্যা। ১৯৫০ থেকে ২০১৫ এই পঁয়ষট্টি বছরে (India Hindu Population) ভারতে মুসলমান জনসংখ্যার হার বেড়েছে ৪৩.১৫ শতাংশ। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বেড়েছে ৫.৩৮ শতাংশ। জনসংখ্যা বেড়েছে শিখ এবং বৌদ্ধদেরও। শিখদের জনসংখ্যা বেড়েছে ৬.৫৮ শতাংশ। বৌদ্ধদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে সামান্য।

    কমেছে হিন্দুর হার

    সংখ্যালঘুদের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তার চেয়ে তুলনায় ঢের কমছে সংখ্যাগুরু হিন্দু জনসংখ্যা (India Hindu Population)। ১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ এই পর্বে ভারতে হিন্দু জনসংখ্যার ভাগ ৮৪ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৭৮ শতাংশ। এই সময় মুসলমানদের ভাগ ৯.৮৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪.০৯ শতাংশ। ভারতে হিন্দুদের জনসংখ্যা যে হারে কমছে, সেদিক থেকে ভারতের স্থান হয়েছে পড়শি দেশ মায়ানমারের পরেই। এখানে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ১০ শতাংশ। ভারতে এই হার ৭.৮ শতাংশ। হিন্দুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ নেপালেও। এখানেও হিন্দুরাই সংখ্যা গরিষ্ঠ। তবে তাদের বৃদ্ধির হার মাত্রই ৩.৬ শতাংশ। যে রিপোর্টের ভিত্তিতে এসব বলা হচ্ছে, তা সংগ্রহ করা হয়েছে বিশ্বের ১৬৭টি দেশ থেকে। গবেষণাপত্রটির লেখকদের মতে, বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ভারতে সংখ্যালঘুরা কেবল নিরাপদেই রয়েছেন তা নয়, তাঁরা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশে (India Hindu Population)।

    এগিয়ে বাংলাদেশ

    সংখ্যাগুরু হওয়া সত্ত্বেও ভারতে যেখানে হিন্দুদের সংখ্যা কমছে, সেখানে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে সংখ্যাগুরু মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ছে তরতরিয়ে। সব চেয়ে বেশি বেড়েছে বাংলাদেশে। এদেশে মুসলমান বেড়েছে ১৮.৫ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে পাকিস্তান। সেখানে বেড়েছে ৩.৭৫ শতাংশ। এই তালিকার একেবারে শেষে রয়েছে আফগানিস্তান। সেখানে বেড়েছে মাত্রই ০.২৯ শতাংশ। গবেষণাপত্রটির লেখক শমিকা রবি, আব্রাহাম জোশ এবং অপূর্বকুমার মিশ্র। তাঁরা বলছেন, পাকিস্তানে হানিফ মুসলমানের সংখ্যা বেড়েছে ৩.৭৫ শতাংশ। এদেশে সামগ্রিকভাবে মুসলমানের সংখ্যা বেড়েছে ১০ শতাংশ। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে গিয়ে বাংলাদেশ আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পরেও পাকিস্তানে অব্যাহত মুসলমান জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার। ভারতের পূর্ব দিকের প্রতিবেশী মায়ানমার। সেখানে জনসংখ্যার হার কমেছে ব্যাপকভাবে। ১৯৫০ থেকে ২০১৫ এই সময়সীমায় সে দেশে থেরাভাদা বৌদ্ধদের সংখ্যা কমে গিয়েছে ১০ শতাংশ। এদেশে এরাই সংখ্যাগুরু (India Hindu Population)। গবেষণায় জানা গিয়েছে, ভারত এবং মায়ানমারের পরে নেপালে সংখ্যাগুরু হিন্দুদের জনসংখ্যা কমেছে ৩.৬ শতাংশ।

    পিছিয়ে মলদ্বীপও

    ভারত মহাসাগরের বুকে ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপ। এখানেও মুসলমানেরাই সংখ্যাগুরু। তবে এঁরা সফি সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলমান। কমেছে এঁদের হারও। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে ১.৪৭ শতাংশ। ভারতের আরও দুই প্রতিবেশী দেশে বৌদ্ধরা সংখ্যাগুরু। এই দুই দেশের একটি হল ভুটান, অন্যটি শ্রীলঙ্কা। চলতি বছরের মে মাসে যে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ভুটানে বৌদ্ধ জনসংখ্যার হার বেড়েছে ১৭.৬ শতাংশ। আর শ্রীলঙ্কায় এই হার ৫.২৫ শতাংশ। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশে সংখ্যালঘুদের মোট জনসংখ্যার শেয়ারের পরিবর্তন থেকে ওই দেশের সংখ্যালঘুদের স্টেটাস কী, তা বোঝা যায়।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের হাতে সিয়াচেন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী?

    বিশ্বেও হ্রাস পাচ্ছে সংখ্যাগুরুরা

    ওই গবেষণা থেকে আরও জানা গিয়েছে, কেবল ভারতেই (India Hindu Population) নয়, গোটা বিশ্বেই কমছে সংখ্যাগুরুদের বৃদ্ধির হার। চিন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড এবং পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের কথা অবশ্য আলাদা। এই দেশগুলিতে ভারতের চেয়ে বেশি বেড়েছেন সংখ্যালঘুরা। বিশ্বের যে ১৬৭টি দেশে ধর্মীয় জনগণনা করা হয়েছিল, সেখানে গড়ে জনসংখ্যা কমেছে ২২ শতাংশ (১৯৫০-২০১৫ এই সময় সীমায়)। লাইবেরিয়ায় কমেছে ৯৯ শতাংশ। আর নাবিমিয়ায় বেড়েছে ৮০ শতাংশ। ১২৩টি দেশে সংখ্যাগুরুদের সংখ্যা কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে।

    ভারতে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ

    কী কারণে ভারতে বাড়ছে সংখ্যালঘুরা? গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, ভারতে সংখ্যালঘুরা যে নিরাপদেই রয়েছেন, এটা তার একটা বড় প্রমাণ। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সংখ্যাগুরুদের জনসংখ্যা হ্রাসের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রমাণ করে দেশের নীতি রয়েছে সঠিক পথে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও রয়েছে ঠিকঠাক। তার জেরেই জনসংখ্যা বাড়ছে সংখ্যালঘুদের। ভারতের যে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের বাতাবরণ রয়েছে, তাও যে সত্য, তা প্রমাণিত এ দেশে সংখ্যালঘুদের বাড়বাড়ন্তে (India Hindu Population)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Poonch IAF Convoy Attack: পুঞ্চে বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলায় জড়িত তিন জঙ্গির নাম ও ছবি প্রকাশ

    Poonch IAF Convoy Attack: পুঞ্চে বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলায় জড়িত তিন জঙ্গির নাম ও ছবি প্রকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের পুঞ্চে (Poonch IAF Convoy Attack) বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলায় জড়িত তিন জঙ্গির নাম ও ছবি প্রকাশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তিনজন জঙ্গির পরিচয় জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে একজন পাকিস্তানি সেনার এসএসজি-তে কর্মরত ছিলেন। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে জম্মু কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টায় যুক্ত হয় হরদুন ইলিয়াস ফৌজি নামে ওই ব্যাক্তি।

    জঙ্গিদের পরিচয় প্রকাশ

    গত ৫ মে পুঞ্চে (Poonch IAF Convoy Attack) বিমানবাহিনী কনভয়ে জঙ্গি হামলায় কর্পোরাল ভিকি পাহাড়ির মৃত্যু হয়। তাঁর চার সহকর্মী জখম হন। এই ঘটনায় যুক্ত ৩ জঙ্গির পরিচয় প্রকাশ্যে এসেছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনজনই আমেরিকায় তৈরি এম ফোর এস এবং রুশ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল একে ৪৭ ব্যবহার করেছিল। যে তিনজনের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তারা হল, ইলিয়াস। সে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কমান্ডো। পাকিস্তানি জঙ্গি হাদুন এবং আবু হামজা। এই নামগুলি আসল নাও হতে পারে। বিশেষত আবু হামজার নামটি ছদ্মনাম বলেই ধারণা। কারণ, লস্কর-ই-তোইবা জঙ্গি অপারেশনের কমান্ডারের নাম গোপন রাখার জন্য সাংকেতিক নাম ব্যবহার করে থাকে।

    জম্মু-কাশ্মীর (Jammu And Kashmir) পুলিশ এর আগে হামজার আঁকা ছবি প্রকাশ করেছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল, হামজার বয়স আনুমানিক ৩০-৩২ বছর। মাঝারি স্বাস্থ্য এবং ফরসা। ছোট ছাঁটের চুল কাটা। শেষবার তাকে একটি পাঠানি স্যুটের উপর বাদামি রঙের শাল গায়ে দেখা গিয়েছিল। একটি কমলা রঙের ব্যাগ ছিল তার সঙ্গে। তাকে গ্রেফতারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ। পুঞ্চ (Poonch IAF Convoy Attack) সেক্টরে গতবছর বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলা হলেও এ বছর এটাই ছিল প্রথম রক্তক্ষয়ী ঘটনা। 

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের হাতে সিয়াচেন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share