Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Indian Economy: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত! ২০৩৮ সালের মধ্যে উত্থান, দাবি রিপোর্টে

    Indian Economy: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত! ২০৩৮ সালের মধ্যে উত্থান, দাবি রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে (Indian Economy) পরিণত হতে পারে ভারত। ‘আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং’ (ইওয়াই) নামে একটি বেসরকারি সংস্থার রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ট্রাম্প (Donald Trump) বলেছিলেন ‘ডেড ইকোনমি’ (Dead Economy), সেই ভারতের অর্থনীতি নিয়ে এবার বড় দাবি করল ‘আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং’। তাদের দাবি, ২০৩৮ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতির মোট মূল্য হবে ৩৪.২০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    ভারতের শক্তি কী

    সংস্থার প্রধান নীতি উপদেষ্টা ডি কে শ্রীবাস্তব বলেন, “ভারতের শক্তি হল, তার তরুণ এবং দক্ষ কর্মী এবং শক্তিশালী সঞ্চয় ও বিনিয়োগের হার। গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগুলিতে স্থিতিস্থাপকতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে, ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশ বিকশিত ভারত হওয়ার যে লক্ষ্যে তার অনেক কাছে পৌঁছে যাবে।” সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, উচ্চ সঞ্চয় ও বিনিয়োগের হার এবং ক্রমহ্রাসমান সরকারি ঋণের কারণে আগামী ১৩ বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে (Indian Economy) খুব সহজেই পৌঁছতে পারে। এই মুহূর্তে ভারতের অর্থনীতির মোট মূল্য ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পেরিয়ে গিয়েছে। বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় জাপানকে টপক ভারত এখন চতুর্থ স্থানে। একমাত্র আমেরিকা, চিন এবং জার্মানিই ভারতের চেয়ে এগিয়ে।

    কতটা এগোবে ভারত

    ‘আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং’-এর রিপোর্ট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) অনুমানের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি হল এর জনসংখ্যা। ২০২৫ সালে ভারতের গড় বয়স মাত্র ২৮.৮ বছর। সঞ্চয় হারের দিক থেকেও ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে (Indian Economy) রয়েছে। সরকারের ঋণ-জিডিপি অনুপাত ২০২৪ সালে ৮১.৩ শতাংশ থেকে কমে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭৫.৮ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে তার সমকক্ষ দেশগুলিতে ঋণের মাত্রা বাড়ছে। আইএমএফের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি ২০.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে।

    ভারতের এই উত্থানের কারণ

    ভারতীয় অর্থনীতির (Indian Economy) এ-হেন উত্থানের নেপথ্যে একাধিক যুক্তি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট সমীক্ষক সংস্থা। তাদের দাবি, বর্তমানে এ দেশের জনগণের গড় বয়স ২৮.৮ বছরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় আমজনতার আর্থিক সঞ্চয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে লগ্নি করছেন তাঁরা, যা দেশের আর্থিক বৃদ্ধির সূচককে ক্রমশ উপরের দিকে উঠতে সাহায্য করছে। দ্বিতীয়ত, গত কয়েক বছরে সরকারি ঋণ এবং মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) অনুপাত বেশ অনেকটাই কমেছে। গত বছর (পড়ুন ২০২৪) এই সূচক দাঁড়িয়েছিল ৮১.৩ শতাংশে। ২০৩০ সালের মধ্যে সেটা ৭৫.৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ‘ইওয়াই ইকোনমিক’। এর জেরে আর্থিক শক্তির নিরিখে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশে পরিণত হওয়া ভারতের পক্ষে সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ‘অগস্ট-২০২৫’ শীর্ষক আর্থিক রিপোর্টে ‘আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার’ বা আইএমএফ-কে (IMF) উদ্ধৃত করেছে সংশ্লিষ্ট সমীক্ষক সংস্থা। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৮-’৩০ সালের মধ্যে ভারত ও আমেরিকার আর্থিক বৃদ্ধির হার যদি ৬.৫ এবং ২.১ শতাংশে স্থির থাকে, তা হলে ২০৩৮ সালের মধ্যে ক্রয়ক্ষমতার নিরিখে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাবে নয়াদিল্লি। অর্থাৎ, পিপিপি-র (পড়ুন পারচেজ়িং পাওয়ার প্যারিটি) দিক দিয়ে একে উঠে আসবে ভারত।

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমন অভিযান! অবুঝমাড়ে বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল নিরাপত্তা বাহিনী

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমন অভিযান! অবুঝমাড়ে বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল নিরাপত্তা বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) নারায়ণপুর জেলার অবুঝমাড় অঞ্চলে মাওবাদী-বিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণে অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী (Anti Maoist campaign)। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ২৯ অগাস্ট যৌথ বাহিনীর অভিযানে এই অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধার হয়। নারায়ণপুরের পুলিশ সুপার রবিনসন গুড়িয়া এক বিবৃতিতে জানান, ২৪ আগস্ট থেকেই নিরাপত্তা বাহিনী এই অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করে। অভিযানে অংশ নেয় ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (DRG), স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) এবং ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (ITBP)। অভিযান চালিয়ে চার-পাঁচটি ভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

    কী কী উদ্ধার করা হল

    রবিনসন গুড়িয়া আরও জানান, অবুঝমাড় অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিছু আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের কাছ থেকেও অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী (Chhattisgarh), এই অভিযানে উদ্ধার হয়েছে— ৪৯টি বন্দুক,একটি ইনসাস রাইফেল, একটি এসএলআর রাইফেল, একটি স্টেনগান, একটি লাইট মেশিনগান (LMG), আটটি ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার (BGL), বিভিন্ন মাপের ছোট ও মাঝারি সাইজের গ্রেনেড সেল। প্রসঙ্গত, ২৮ অগাস্ট (বুধবার) ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চলের ৩০ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেন। ছত্তিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা এক বিবৃতিতে জানান, আত্মসমর্পণকারীদের সরকারি পুনর্বাসন নীতির আওতায় পুনর্বাসন দেওয়া হবে (Chhattisgarh)। তিনি আরও আহ্বান জানান, যারা এখনও উগ্র বামপন্থা অনুসরণ করছেন, তারা যেন সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসেন (Chhattisgarh)। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৭ অগাস্টও ছত্তিশগড় পুলিশের (Anti Maoist campaign) কাছে আরও চারজন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেন।

    মাওবাদী অভিযান চলছেই

    প্রসঙ্গত, মাওবাদী মুক্ত দেশ গড়ার ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এই লক্ষ্যে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ তারিখকে একটি নির্ধারিত ডেডলাইন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাঁর এই ঘোষণার পর থেকেই দেশজুড়ে জোরকদমে চলছে মাওবাদী-বিরোধী অভিযান, যার ইতিবাচক ফলও মিলতে শুরু করেছে। সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মাওবাদীদের একাধিক শীর্ষনেতাক খতম করা গিয়েছে। এই ঘটনার পর আরও গতি পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান। এই প্রেক্ষাপটে সরকারও মাওবাদীদের উদ্দেশে সরকার আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসে। সরকারের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেক মাওবাদী ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করছেন।

  • Vladimir Putin: ভারতে আসছেন পুতিন, শুল্ক-সংঘাতের আবহে আরও কাছাকাছি আসছে ভারত-রাশিয়া!

    Vladimir Putin: ভারতে আসছেন পুতিন, শুল্ক-সংঘাতের আবহে আরও কাছাকাছি আসছে ভারত-রাশিয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্পের চড়া শুল্কহারের জেরে আরও কাছাকাছি আসছে ভারত (India) ও রাশিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। শুক্রবার সরকারিভাবে এ কথা ঘোষণা করে দিল মস্কো। ক্রেমলিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির ক্ষেত্রে পুতিনের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

    শুল্ক আরোপ আমেরিকার (Vladimir Putin)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে মস্কোকে কাঠগড়ায় তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছিল। তাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। তার জেরে দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর সব মিলিয়ে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে আমেরিকা। সঙ্গে চাপিয়ে দেয় মোটা অঙ্কের জরিমানাও। এই আবহে ৩১ অগাস্ট দু’দিনের চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লক্ষ্য, এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়া। এই সম্মেলনে যোগ দেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টও। সোমবার তাঁদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা। তার ঠিক আগেই পুতিনের নয়াদিল্লি সফরের বার্তা দিল ক্রেমলিন।

    মোদির ডাকে সাড়া

    প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ও দু’জনের মধ্যে হয়েছিল পার্শ্ববৈঠক। সেই সময়ই তিনি ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্টকে। চলতি বছরের মার্চ মার্চ মাসে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছিলেন, মোদির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন পুতিন। যদিও সেই সময় পুতিনের ভারত সফরের সম্ভাব্য দিনক্ষণ সম্পর্কে কিছু জানাননি লাভরভ। চলতি মাসে মস্কোয় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই সময় (Vladimir Putin) তিনিই জানিয়েছিলেন, চলতি বছরই ভারতে আসতে পারেন পুতিন। শুক্রবার সেটাই নিশ্চিত করল রাশিয়া।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভারতে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। গত সপ্তাহেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিরও ভারতে (India) আসার খবর মিলেছিল। নয়াদিল্লিতে ইউক্রেনের দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শীঘ্রই ভারতে আসবেন জেলেনস্কি। তিনি চান, বন্ধু দেশ রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধ থামানোর ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করুক ভারত। তবে জেলেনস্কি ঠিক কবে নয়াদিল্লিতে আসবেন, তা এখনও জানানো হয়নি ইউক্রেনের তরফে (Vladimir Putin)।

  • Telangana: বন্যায় বিপর্যস্ত তেলেঙ্গানা, উদ্ধারকাজে সামিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ

    Telangana: বন্যায় বিপর্যস্ত তেলেঙ্গানা, উদ্ধারকাজে সামিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক দিনের লাগাতার অতি ভারী বৃষ্টিতে তেলেঙ্গনার (Telangana) কামারেড়ি জেলা ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। হায়দরাবাদ শহর থেকে প্রায় ১১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই অঞ্চলের পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে ওঠে। এলাকার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া মানাইয়ার নদী, যা গোদাবরী নদীর একটি শাখা, তীব্র বর্ষণে প্লাবিত হয়ে যায় এবং বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জলমগ্ন অবস্থা তৈরি হয়।

    জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ

    এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে প্রথম থেকেই উদ্ধার ও ত্রাণকার্যে নেমে পড়েন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) ও সেবা ভারতী-র স্বেচ্ছাসেবকরা। তারা রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছেন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই আটজন মানুষকে সরাসরি জলবন্দি অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে (Telangana)।

    এক হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গেছেন

    সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী (Telangana), সেবা ভারতী-র কর্মীরা ও সংঘের স্বয়ংসেবকরা এক হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গেছেন। উদ্ধারকাজের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চালানো হচ্ছে ত্রাণ বিতরণ। প্লাবিত এলাকার মানুষদের মধ্যে খাবার, বিশুদ্ধ পানীয় জল, কলা, বিস্কুট, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

    বন্যা পীড়িত মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে খাবার

    তেলেঙ্গানার প্লাবিত এলাকাগুলিতে সেবা ভারতী এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ-এর স্বেচ্ছাসেবকরা একনিষ্ঠভাবে ত্রাণ ও সেবামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে রান্নার ব্যবস্থা করে দুর্গত মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে উষ্ণ ও পুষ্টিকর খাবার। কোথাও কোথাও আবার কেন্দ্রীয়ভাবে রান্না করে তা পাঠানো হচ্ছে আশ্রয় শিবিরগুলিতে, যাতে একসঙ্গে বহু মানুষ খাবার পান।উদ্ধার হওয়া ও আশ্রয়হীন মানুষদের অভুক্ত না রাখার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সংঘ ও সেবা ভারতীর স্বেচ্ছাসেবকরা। শুধু খাবারই নয়, বিশুদ্ধ পানীয় জল, ওষুধ, শিশুদের জন্য দুধ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রীও বিতরণ করা হচ্ছে নিয়মিত।স্থানীয় স্তরে এই সহায়তা ও ত্রাণ কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করা হয়েছে। জলবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থাও, যেখানে তারা অন্তত কিছুদিন নিরাপদে থাকতে পারবেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবারের জন্য এই সহায়তা এখন একমাত্র আশার আলো।সেবা ভারতী-র তরফে জানানো হয়েছে, যতদিন না পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে, ততদিন তারা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবেন এবং এই মানবিক সহায়তা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

  • Sambhal Report: মাত্র ১৫ শতাংশে এসে ঠেকেছে হিন্দু! ষড়যন্ত্র কীভাবে ঘটেছিল পরিষ্কার সম্ভল হিংসার রিপোর্টে পেশ

    Sambhal Report: মাত্র ১৫ শতাংশে এসে ঠেকেছে হিন্দু! ষড়যন্ত্র কীভাবে ঘটেছিল পরিষ্কার সম্ভল হিংসার রিপোর্টে পেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্ভলের সাম্প্রতিক হিংসার (Sambal Report) বিচার বিভাগীয় কমিশনের রিপোর্টে ২০২৪ সালের দাঙ্গার পিছনে থাকা ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস হয়েছে, বলে জানালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি এই রিপোর্ট পেশ করে। শুক্রবার, যোগী বলেন, “রিপোর্টে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা উঠে এসেছে তা হল সম্ভলে জনসংখ্যার বড়সড় পরিবর্তন। স্বাধীনতার সময় সম্ভলে হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ৪৫ শতাংশ, বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশে। অপরদিকে মুসলিম জনসংখ্যা এখন ৮৫ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশ এখন তুষ্টির রাজনীতি ছেড়ে সন্তুষ্টির পথে হাঁটছে। জনসংখ্যা পরিবর্তনের কোনও সুযোগ আর দেওয়া হবে না।”

    রিপোর্টে কী বলা হয়েছে

    উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের হিংসা নিয়ে সেই রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে রিপোর্ট জমা পড়ল। তিন সদস্যের এক কমিটি এই রিপোর্ট তুলে দেন যোগীর হাতে। ৪৫০ পাতার এই রিপোর্টে ওই এলাকার জনবিন্যাস, হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক, স্বাধীনতা পরবর্তী ও বর্তমান সময়ের সম্ভলের যাবতীয় তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ, সম্ভলে এখন মাত্র ১৫ শতাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। অথচ স্বাধীনতার সময় সম্ভলের পুরসভা এলাকায় সেই জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪৫ শতাংশ। অর্থাৎ উল্লেখযোগ্য হারে ওই এলাকায় হ্রাস পেয়েছে হিন্দু বসবাসকারীর সংখ্যা।

    শাহি জামা মসজিদকে ঘিরে অশান্তি

    গত বছর সম্ভলের (Sambal Report)  শাহি জামা মসজিদকে ঘিরে অশান্তি হয়। সেই মসজিদের জরিপের নির্দেশ দিয়েছিল স্থানীয় আদালত। দাবি করা হয়েছিল, সেই মসজিদটি আগে মন্দির ছিল। কিন্তু সেখানে জরিপের জন্য সরকারের তরফে আধিকারিক ও পুলিশকর্মীরা গেলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। এমনকী মসজিদের কাছে জড়ো হওয়া একদল লোক পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়েন। নিরাপত্তাকর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। গাড়িতে অগ্নিসংযোগ চলে। ২০ জনেরও বেশি পুলিশকর্মী জখম হন। এই হিংসার জেরে অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বিচারক দেবেন্দ্র আরোরার নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। আরও দুই সদস্য হলেন প্রাক্তন আইপিএস একে জৈন ও অমিত প্রসাদ।

    ১৫ টি সাম্প্রদায়িক হিংসার সাক্ষী সম্ভল

    কমিটির দেওয়া রিপোর্টে উল্লেখ, ১৯৪৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১৫ টি সাম্প্রদায়িক হিংসার সাক্ষী থেকেছে সম্ভল। যার মধ্যে ১৯৪৮, ১৯৫৩, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৮০, ১৯৯০, ১৯৯২, ১৯৯৫, ২০০১ এবং ২০১৯ সালের হিংসার উল্লেখও রয়েছে। সূত্রের খবর, যোগীর কাছে পেশ করা রিপোর্টে উল্লেখ সম্ভলে স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই পুরসভা এলাকার জনবিন্যাসে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। সেই সময় হিন্দু ও মুসলিমের শতকরা ভাগ ছিল ৪৫ ও ৫৫। তবে তারপর থেকে হিন্দুদের সংখ্যা কমতে শুরু করে। এখন সেখানে হিন্দু কমে এসে দাঁড়িয়েছে ১৫ শতাংশে। হিন্দুদের সংখ্যা কমার কারণ হিসেবে তুষ্টিকরণের রাজনীতিকে দায়ি করা হয়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরের ঘটনা সম্পর্কে কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জিয়া উর রহমান বারকের ২২ নভেম্বরের মন্তব্যের পর ধর্মান্তরিত হিন্দু পাঠানরা বিক্ষোভ শুরু করে। তার ২ দিন পর তুর্কি ও পাঠানদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে ক্রস ফায়ারিং হয়, যেখানে চারজন নিহত হন।

    সক্রিয় যোগী সরকার

    সম্ভল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যোগী বলেন, “আগের সরকারগুলির সময়ে (বিশেষ করে সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস শাসনকালে) হিন্দুদের নিশানা বানানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে দাঙ্গা ঘটানো হয়েছে। হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। দাঙ্গাকারীদের বাইরে থেকে আনা হয়েছে। কিছু উগ্রপন্থী সংগঠন, বেআইনি অস্ত্র এবং মাদকের চক্র সক্রিয় ছিল এই অঞ্চলে অশান্তি ছড়ানোর জন্য।” রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী গুলাব দেবী প্রশ্ন তুলেছেন, “যেখানে স্বাধীনতার সময় হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৪৫ শতাংশ, এখন তা ১৫ শতাংশ—তাহলে বাকি ৩০ শতাংশ কোথায় গেল? তারা কি দেশ ছেড়েছে? ধর্মান্তরিত হয়েছে? নাকি খুন হয়েছে?” তিনি বলেন, “এই রিপোর্টের ভিত্তিতে হাইকোর্ট কিংবা সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।” রিপোর্টে রাজ্য পুলিশের ভূমিকাকে প্রশংসা করে বলা হয়েছে, “তাদের সময়মতো হস্তক্ষেপের কারণে একটি বড়সড় গণহত্যা রোখা সম্ভব হয়েছে।” রাজ্য সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, “জনসংখ্যার ভারসাম্য পরিবর্তন করলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।” সূত্রের খবর, সেখানে আরও উল্লেখ, সম্ভলে একসময় ৬৮টি তীর্থস্থান এবং ১৯টি পবিত্র কূপ ছিল। যোগী আদিত্যনাথ সরকার সেগুলোর পুনরুজ্জীবনের জন্য পরিকল্পনা শুরু করেছে।

     

     

     

     

     

  • Droupadi Murmu: কাছাকাছি ভারত-চিন! মার্চে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘গোপন’ চিঠি লেখেন চিনা প্রেসিডেন্ট

    Droupadi Murmu: কাছাকাছি ভারত-চিন! মার্চে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘গোপন’ চিঠি লেখেন চিনা প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই চিঠির মাধ্যমে ভারত-চিন সম্পর্ক নতুন করে কোন পথে এগোতে পারে, তার সম্ভাবনা যাচাই করতে চেয়েছিল বেজিং। ভারতের এক শীর্ষ প্রশাসনিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

    চিঠি পৌঁছায় মোদির হাতে

    প্রতিবেদন অনুসারে, রাষ্ট্রপতির দফতকে (Droupadi Murmu) পাঠানো সেই চিঠি পরে পৌঁছে যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে। তার কয়েক মাসের মধ্যেই, জুন মাসে, ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাতের উত্তাপ কিছুটা কমে আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগে নামে উভয় দেশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সম্প্রীতির পিছনে বড় একটি ভূমিকায় ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসনের শুল্কনীতি।

    শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে ভারত ও চিনের একসঙ্গে কাজ করা উচিত

    চিনের বার্তা ছিল স্পষ্ট (Droupadi Murmu)— যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে ভারত ও চিনের একসঙ্গে কাজ করা উচিত, কারণ এই দুই দেশেরই সামনে অভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ দাঁড় করিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেই বার্তাই পরোক্ষভাবে তুলে ধরা হয়েছে শি জিনপিংয়ের (Chinese President) চিঠিতে। চিঠি প্রকাশ্যে আসার কিছুদিন পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর সম্মেলনে যোগ দিতে চিন সফরে যান। প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলনের পাশাপাশি মোদির সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা রবিবার অনুষ্ঠিত হতে পারে।

    ভারতের ওপর শুল্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আমেরিকার বিরোধী দল

    মার্চ থেকে অগাস্ট— এই কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক কূটনীতির পরিমণ্ডলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির কারণে ভারতের পণ্যের উপর প্রায় ৫০ শতাংশ আমেরিকান শুল্ক চাপানো হয়, যা মোদি প্রশাসনের জন্য চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে, চিন (Chinese President) রাশিয়া থেকে ভারতের তুলনায় অনেক বেশি তেল আমদানি করলেও, তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনো শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। এই বৈষম্য নিয়ে আমেরিকার বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে। কারণ, গত দুই দশকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের প্রভাব ঠেকাতে ভারতকে কৌশলগতভাবে পাশে চেয়েছিল আমেরিকা। এখন সেই ভারতই যদি বাণিজ্য নীতিতে কোণঠাসা হয়, তা হলে সেই কৌশলগত বোঝাপড়ার ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

    চিন তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আমেরিকার ‘দাদাগিরি’র বিরোধিতা করে আসছে

    চিন বারবার তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আমেরিকার ‘দাদাগিরি’র বিরোধিতা করে আসছে। ভারতও একইসঙ্গে বিশ্ব কূটনীতিতে নিজস্ব ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এই প্রেক্ষাপটে, দু’দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করা, কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করা এবং সীমান্ত সংক্রান্ত দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলির সমাধানে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মতো বিষয়গুলিতে সাম্প্রতিক সময়ে অগ্রগতি হয়েছে। কয়েক দিন আগেই চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ভারতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কূটনৈতিক মহলের মতে, চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্জীবিত করতে চাইছে এবং এর পেছনে তাদের স্পষ্ট ও কৌশলগত স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।

  • India DEW Laser Weapon: ভারতের লেজার অস্ত্র পরীক্ষায় চিনের চোখ কপালে, ‘‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’’ লিখল গ্লোবাল টাইমস

    India DEW Laser Weapon: ভারতের লেজার অস্ত্র পরীক্ষায় চিনের চোখ কপালে, ‘‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’’ লিখল গ্লোবাল টাইমস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহে ওড়িশার উপকূলে দেশীয় ‘সুদর্শন চক্র’-র (Sudarshan Chakra) তকমা পাওয়া ‘ইন্টিগ্রেটেড এয়ার ডিফেন্স ওয়েপন্স সিস্টেম’ (আইএডিডব্লিউএস)-এর প্রাথমিক পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)। ফলে, হাতে ডাইরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন (DEW) সিস্টেম থাকা দেশগুলির এলিট তালিকায় যোগ দিয়েছে ভারত। এই কৃতিত্বের দৌলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চিন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ইজরায়েলের সঙ্গে একাসনে যুক্ত হল ভারত, যাদের কাছে এই অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। ভারত এই মাইলফলক অর্জন করার পর প্রতিক্রিয়ায় চিন স্বীকার করেছে যে, লেজার-ভিত্তিক আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নয়াদিল্লির এই সাফল্য আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে একটি ‘‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’’। মোদির চিন-সফরের মুখে ভারতের অস্ত্র-পরীক্ষা নিয়ে চিনা স্তুতি বিশেষ অর্থবহ।

    ভারতের নিজস্ব ‘সুদর্শন চক্র’

    গত বৃহস্পতিবার (২১ অগাস্ট) ওড়িশা উপকূলে পরীক্ষা চালানো হয় আইএডিডব্লিউএস-এর (IADWS) পরীক্ষা।। দুদিন পর, সেই কথা খোলসা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আইএডিডব্লিউএস একটি বহু-স্তরযুক্ত প্রতিরক্ষা ঢাল হিসাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা তিনটি অত্যাধুনিক দেশীয় প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়েছে। এগুলি হল— (১) কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (কিউআরএসএএম), (২) অ্যাডভান্সড ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (ভিএসএইচওআরএডিএস) ক্ষেপণাস্ত্র এবং (৩) উচ্চ-শক্তি লেজার-ভিত্তিক নির্দেশিত শক্তি অস্ত্র (ডিইডব্লিউ)।

    আইএডিডব্লিউএস-এর তিন বাহু

    এই তিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাজেও ফারাক রয়েছে। কিউআরএসএএম- দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম। এটি ৩ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত শত্রুর বিমান হামলা বা ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করতে সক্ষম। ভিএসএইচওআরএডিএস- স্বল্প দূরত্বের কোনও লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে। কাছাকাছি কোনও বিপদ আঁচ করলেই এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে উঠবে। এই সিস্টেম কাছাকাছি দূরত্বে আসা হুমকি যেমন – ড্রোন ও হেলিকপ্টার ধ্বংস করতে কার্যকর। অন্যদিকে, ডিইডব্লিউ- এটি অত্যাধুনিক লেজার-ভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। শত্রুপক্ষের কোনও অস্ত্র আকাশসীমায় ঢুকলেই তা নষ্ট করে দেবে। এটি আলোর গতিতে শত্রুর বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন সহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম। এই অস্ত্র বহুবার ব্যবহার করা যায় এবং অত্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে।

    চমকে গিয়েছে চিন…

    ভারতের এই পরীক্ষা যে বিশ্বের নজর কেড়েছে তা বলাই বাহুল্য। চিন ভারতের আইএডিডব্লিউএস পরীক্ষার ওপর নজর রাখছিল। তবে, কিউআরএসএএম এবং ভিএসএইচওআরএডিএস প্রযুক্তি নিয়ে বেশি মাতামাতিকে নারাজ চিন। তবে, ডিইডব্লিউ নিয়ে চিনা সামরিক বিশেষজ্ঞদের মধ্য বিশাল আগ্রহ। বেজিং-ভিত্তিক এয়ারোস্পেস নলেজ ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস-কে বলেন, “ভারতের আইএডিডব্লিউএস (IADWS) সিস্টেম মূলত ক্রুজ মিসাইল, ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং কম উচ্চতায় উড়তে থাকা বিমান থামানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে।”

    ওয়াং আরও বলেন, “কিউআরএসএএম এবং ভিএসএইচওআরএডিএস প্রযুক্তিগতভাবে তেমন নতুন কিছু নয়, কিন্তু লেজার-ভিত্তিক সিস্টেম প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।” চিনের বিশেষজ্ঞের এই মন্তব্য দুটি কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথম কারণ, চিন সাম্প্রতিক সময়ে নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে এবং পাকিস্তানকেও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করছে। দ্বিতীয় কারণ, ৯ বছর পর চলতি সপ্তাহের শেষে চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ডিইডব্লিউ ঠিক কী?

    ডাইরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন সিস্টেম (ডিইডব্লিউ) হল একটি উন্নত এবং উচ্চ প্রযুক্তির উন্নত যন্ত্র। এটি শত্রুর লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস বা ক্ষতি করার জন্য প্রচলিত গোলাবারুদের পরিবর্তে কেন্দ্রীভূত শক্তি (Directed Energy) ব্যবহার করে। ডিইডব্লিউ গুলি বা বিস্ফোরক ওয়ারহেডের পরিবর্তে আলোর গতিতে চলা উচ্চ-শক্তির লেজার রশ্মি, মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ বা পার্টিকেল বিম ব্যবহার করে।

    • হাই এনার্জি লেজার (এইচইএল): এটি শত্রুর ড্রোন, বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে মাঝ-আকাশেই পুড়িয়ে বা অক্ষম করতে ঘনীভূত আলোক বিম ব্যবহার করে।

    • হাই পাওয়ার মাইক্রোওয়েভ (এইচপিএম): এটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ দিয়ে শত্রুর ড্রোন, বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ইলেকট্রনিক সার্কিটগুলিকে নষ্ট করে তাদের অক্ষম করতে পারে।

    • পার্টিকেল বিম ওয়েপন (পিবিডব্লিউ): এটি তীব্র চার্জযুক্ত কণার স্রোত ব্যবহার করে শত্রুর ড্রোন, বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে অক্ষম করে দেয়। বর্তমানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।

    প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রের পরিবর্তে ডিইডব্লিউ-গুলি শান্তভাবে নিজেদের কাজ করে। এখানে রিলোডিং-এর সমস্যা নেই। ফলে, যতবার খুশি চালানো যেতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, শট প্রতি খরচ অত্যন্ত কম। ফলে, কামিকাজে ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল এবং সস্তার সোয়ার্ম ড্রোন মোকাবিলায় এগুলি একটি গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে।

  • Mohan Bhagwat: প্রত্যেক ভারতীয় পরিবারকে তিনটি সন্তান নেওয়ার কথা বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: প্রত্যেক ভারতীয় পরিবারকে তিনটি সন্তান নেওয়ার কথা বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের উচিত কমপক্ষে তিনটি সন্তান থাকা।

    কী বললেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)?

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) নিজের বক্তব্যে বলেন, “ডাক্তাররা আমাকে বলেছেন—সঠিক বয়সে বিয়ে করা এবং তিনটি সন্তান থাকলে বাবা-মা ও সন্তান, উভয়েরই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে তা উপকারী। বাড়িতে যদি তিন ভাইবোন থাকে, তাহলে শিশুদের মধ্যে অহংকার কমে এবং ভবিষ্যতে তাদের পারিবারিক জীবনে জটিলতা দেখা দেয় না।” সংঘপ্রধান বলেন, ‘‘ভারতের জনসংখ্যা নীতিতে ২.১ সন্তান থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা গড় হিসাবে ঠিক আছে। কিন্তু আপনার কখনওই ০.১ সন্তান থাকতে পারে না। গণিতে, ২.১ হলে ২ হয়, কিন্তু যখন জন্মের কথা আসে, দুইয়ের পরে তিন জন হতে হয়। চিকিৎসকেরা আমাকে এটাই বলেছেন।’’

    জনসংখ্যা আশীর্বাদও হতে পারে, আবার বোঝাও হয়ে উঠতে পারে

    তিনি (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, “একটি দেশের জনসংখ্যা আশীর্বাদও হতে পারে, আবার বোঝাও হয়ে উঠতে পারে—কারণ, দিন শেষে সকলকেই খাওয়াতে হয়। তাই জনসংখ্যা নীতি থাকা জরুরি। এই নীতির মধ্যে থেকেই এমন ভারসাম্য রাখা প্রয়োজন, যাতে প্রতিটি পরিবারে তিনটি সন্তান থাকে, কিন্তু তার বেশি নয়। এই লক্ষ্যটি সর্বজনগ্রাহ্য হওয়া উচিত।” মোহন ভাগবত এদিন বলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, তিনটির কম সন্তান হলে বংশবিস্তারের গতি কমে যায়। এর ফলে সেই পরিবার তথা কোনও সম্প্রদায় ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।’’

    হিন্দুদের জন্মহার প্রথম থেকেই কম

    মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) মতে, বর্তমানে সমস্ত সম্প্রদায়ের মধ্যেই জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে, তবে হিন্দুদের মধ্যে তা তুলনামূলকভাবে বেশি। তিনি বলেন, “হিন্দুদের জন্মহার প্রথম থেকেই কম। অন্য সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে আগে এটি বেশি ছিল, তবে এখন কমছে। তবুও, সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে তাদের নতুন প্রজন্মকে তিনটি সন্তান নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে।”

  • RSS: ভারতের প্রত্যেকটা ভাষাই হল জাতীয় ভাষা, বললেন মোহন ভাগবত

    RSS: ভারতের প্রত্যেকটা ভাষাই হল জাতীয় ভাষা, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) শতবর্ষের পথচলা — এই শীর্ষক বক্তৃতা সিরিজে বৃহস্পতিবার সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) ভারতে ভাষা সম্প্রীতির কথা বলেন। ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে ভারতের বিভিন্ন ভাষার গুরুত্ব এবং তিনি জানান যে ভারতের প্রত্যেকটা ভাষাই হল জাতীয় ভাষা। তাঁর নিজের ভাষায়, “ভারতের প্রত্যেক কথ্য ভাষাই হল এ দেশের জাতীয় ভাষা।”

    ভাষার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ভাগ হওয়া উচিত নয়

    তিনি এদিন আরও বলেন যে ভাষার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ভাগ হওয়া উচিত নয় এবং প্রত্যেকটা ভারতীয় ভাষার মধ্যেই প্রতিধ্বনিত হয় দেশপ্রেম, যখন একজন মানুষ অপরজনের সঙ্গে কথা বলেন। এদিনের বক্তব্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত আরও বলেন, ভাষার বিবিধতা এবং বৈচিত্র্যতাই এ দেশের বড় শক্তি। এদিন আরএসএস প্রধান যে কোনও দুটি ভারতীয় ভাষার (RSS) মধ্যে বিভেদ আনার প্রবণতার বিরুদ্ধে সরব হন এবং তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা জাতীয় ঐক্য এবং সংহতিকে নষ্ট করবে। ভাষাগত বিভেদ নিজেদের মধ্যে আনা উচিত নয়।

    কথোপথন ভারতীয় ভাষাতেই হওয়া উচিত (RSS)

    এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রত্যেক ভারতীয় ভাষাই হল জাতীয় ভাষা এবং আমরা যখন নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা বা কথোপকথন করব, তখন যেন অবশ্যই যে কোনও ভারতীয় ভাষাতে কথা বলি — কোনও বিদেশি ভাষায় নয়।’’ সব মিলিয়ে ডঃ মোহন ভাগবত এদিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য় রাখলেন। বিশেষত ভারতীয় ভাষা নিয়ে যখন দেশে বিতর্ক চলছে। আঞ্চলিক ভাষা এবং হিন্দি প্রসঙ্গে। মোহন ভাগবতের এই ভাষা-সম্পর্কিত মন্তব্য জাতীয় ঐক্য এবং সংহতিকে জোরদার করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    আরএসএস কখনও কাউকে বিদেশি মনে করে না

    এদিনের বক্তব্যে ডঃ মোহন ভাগবত বলেন, ১৯৪৮ সালে জয়প্রকাশ নারায়ণ ‘জ্বলন্ত মশাল’ হাতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কার্যালয় পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জরুরি অবস্থার পরে তিনিই সংঘের একটি শিবিরে উপস্থিত হয়ে বলেন, “পরিবর্তন একমাত্র সংঘের মাধ্যমেই আশা করা যায়।” মোহন ভাগবতের মতে, আরএসএস কখনও কাউকে বিদেশি মনে করে না — গোটা সমাজই আমাদের আপন। তিনি আরও বলেন, “অখণ্ড ভারতের ধারণা কখনও রাজনৈতিক নয়, এটি সাংস্কৃতিক।” এদিনের বক্তৃতায় উঠে আসে জনবিন্যাস পরিবর্তনের প্রসঙ্গও। ডঃ ভাগবত বলেন, “যখন জনবিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে, তখনই দেশভাগের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।” হিন্দু-মুসলিম ঐক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হিন্দু ও মুসলমান ভিন্ন নয়, তারা এক। তাই তাদের মধ্যে আলাদা করে কোনও ‘ঐক্য’ গঠনের প্রয়োজনই নেই।” এদিনের বক্তব্যে মোহন ভাগবত আরও বলেন, ব্যক্তি নির্মাণের মাধ্যমেই সামাজিক পরিবর্তন সম্ভব। প্রথমে সমাজকে বদলাতে হয়, তারপরই রাষ্ট্রের ব্যবস্থা বা কাঠামো পরিবর্তিত হয়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ কোনও হিংসাত্মক সংগঠন নয়। যদি সংঘ সত্যিই হিংসা ছড়াত, তাহলে দেশের ৭৫ হাজার স্থানে তার শাখা গড়ে উঠত না।

  • Bihar Assembly Election: “চরম লজ্জাজনক!” বিহারে ভোটার অধিকার যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য

    Bihar Assembly Election: “চরম লজ্জাজনক!” বিহারে ভোটার অধিকার যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’-র একটি ভাইরাল ভিডিওকে ঘিরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিহারে কংগ্রেসের একটি সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর ভাষায় স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’র সময়েই দ্বারভাঙায় একটি সভা থেকে এই স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছে বিজেপি।

    বিজেপির অভিযোগ

    দ্বারভাঙার সিমরি থানার অন্তর্গত বিথৌলির ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে একটি সভায় এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় কংগ্রেস নেতা এবং আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট প্রত্যাশী মহম্মদ নওশাদ-এর উদ্যোগে এই মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মঞ্চ থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর মায়ের (হীরাবেন মোদী) নামে কুরুচিকর ভাষায় স্লোগান দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। বৃহস্পতিবার এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিজেপি লেখে, “রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত যাত্রার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির প্রয়াত মা সম্পর্কে চরম অশালীন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতের রাজনীতিতে এরকম অধঃপতন আগে কখনও দেখা যায়নি। এই যাত্রা অপমান, ঘৃণা এবং অশ্লীলতার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।”

    বিহারের মানুষ ক্ষমা করবে না

    ওই পোস্টেই রাহুল এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে আক্রমণ করে বলা হয়, ‘এটি এমন একটি ভুল যে রাহুল এবং তেজস্বী যদি হাজার বার কান ধরে ওঠবোস করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তবুও বিহারের মানুষ তাঁদের ক্ষমা করবে না।’যদিও এই ভাষায় আক্রমণকে ‘নিন্দনীয়’ বলেই জানানো হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। কংগ্রেসের ওই মিটিংয়ের ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ বিহারে ১৬ দিনের এক রাজনৈতিক অভিযান, যা ২০টি জেলায় ১,৩০০ কিমি পথ অতিক্রম করছে। এই যাত্রার মূল উদ্দেশ্য ভোটার তালিকায় অনিয়ম ও “ভোট চুরি”-র বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা। যাত্রাটি ১ সেপ্টেম্বর পাটনায় শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে।

LinkedIn
Share