Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Donald Trump: ভারত বিরোধী ট্রাম্প! মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুশপুতুল নিয়ে বিক্ষোভ নাগপুরের মারবাট উৎসবে

    Donald Trump: ভারত বিরোধী ট্রাম্প! মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুশপুতুল নিয়ে বিক্ষোভ নাগপুরের মারবাট উৎসবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে নাগপুরে (Nagpur) চলছে মারবাট উৎসব। শনিবার এই উৎসবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) একটি বিরাট কুশপুত্তলিকা নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয় এবং সেখানে অনেক সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তারা বলতে থাকে যে ভারতীয় পণ্যের উপর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যেভাবে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে যেভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন, তারই প্রতিবাদ হিসেবে তারা এই প্রদর্শনী করছেন।

    কী কী লেখা ছিল কুশপুতুলে?

    বিশাল কুশপুত্তলিকার সঙ্গে অনেক প্ল্যাকার্ড দেখা যায় (Donald Trump)। ওই প্ল্যাকার্ডগুলিতে লেখা ছিল— “আমাদের ভয় দেখানোর জন্য শুল্ক আরোপ করেছে তারা, কিন্তু তারা অচিরেই বুঝবে ভারতের শক্তি।” একইসঙ্গে আরও লেখা ছিল। “আমাদের পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ যারা করবে, তাদের নিজেদেরই ব্যবসা ধ্বংস হবে।”

    ট্রাম্পকে চাচা বলে সম্বোধন

    ট্রাম্পকে (Donald Trump) উদ্দেশ্য করে কিছু কিছু আন্দোলনকারী হাতে প্ল্যাকার্ড এনেছিলেন, যেখানে লেখা ছিল— “ট্রাম্প, আপনি ভারতকে বলেছিলেন ‘তুমি আমার বন্ধু’, কিন্তু আপনি পর্দার আড়ালে পাকিস্তানকেই ভালোবাসেন।” কেউ কেউ আবার ট্রাম্পকে চাচা বলে সম্বোধন করে লিখে রাখেন— “আমেরিকান চাচা ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন, তবু রাশিয়ার পণ্য নিজেই গ্রহণ করেন।”

    রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে শুল্ক যুদ্ধ (Donald Trump)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাশিয়া থেকে তেল কেনার ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং এই নিয়ে ভারত সরকার ও বিদেশ মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট যা বলছেন তা অনর্থক এবং অযৌক্তিক, এবং ভারত কোথায় ব্যবসা করবে, তা এই দেশ নিজেই ঠিক করবে। রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় চুলচে পণ্যের উপর আমেরিকাতে শুল্কের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৫০ শতাংশ। নতুন যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তা ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। প্রসঙ্গত, নাগপুরের মারবাট উৎসব হলো এক ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। এই উৎসবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা নিয়ে প্রদর্শন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলেই মনে করছেন অনেকে।

  • Kiren Rijiju: “বিপজ্জনক পথে হাঁটছেন রাহুল গান্ধী,” তোপ কিরেন রিজিজুর

    Kiren Rijiju: “বিপজ্জনক পথে হাঁটছেন রাহুল গান্ধী,” তোপ কিরেন রিজিজুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী ( Rahul Gandhi) একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক পথে হাঁটছেন।” শনিবার কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলের বিরুদ্ধে “ভারত-বিরোধী” হিসেবে পরিচিত জর্জ সোরোসের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে কাজ করার অভিযোগও করেন। তিনি অবশ্য এও জানিয়ে দেন, এসব ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ নিরাপদেই রয়েছে।

    রিজিজুর অভিযোগ (Kiren Rijiju)

    সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিজিজু বলেন, “রাহুল গান্ধী একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক পথে হাঁটছেন। জর্জ সোরোস বলেছেন যে ভারত সরকারকে অস্থির করতে এক ট্রিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে। কানাডা, আমেরিকা, ব্রিটেন এবং বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠনে বসে থাকা ভারত-বিরোধী খালিস্তানপন্থী শক্তিগুলি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস তাদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে দেশকে দুর্বল করছে। এটি খুবই উদ্বেগজনক। তবে মোদীজির নেতৃত্বে কেউই দেশকে অস্থিতিশীল করতে পারবে না।”

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তোপ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর (Kiren Rijiju) অভিযোগ, কংগ্রেস যখনই নির্বাচনে জিততে ব্যর্থ হয়, তখনই তারা ভারত-বিরোধী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে মিলে যায়। তিনি বলেন, “যখন কংগ্রেস ভোটে জিততে পারে না, তখন তারা এবং ভারতবিরোধী শক্তি মিলে সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণ করতে শুরু করে, যাতে সাধারণ মানুষ এই দেশের প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর আস্থা হারায়। তারা বারবার বলে এসেছে যে বিচারব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশন বিক্রি হয়ে গিয়েছে, তাদের দুর্বল করার জন্য।” রিজিজু বলেন, “এই ধরনের কাজকর্মের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করা। যখন তারা জাতিকে দুর্বল করার জন্য এবং সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করে, তখন তার ফলশ্রুতিতে আন্দোলন শুরু হয়। তারা বামপন্থী মানসিকতা নিয়ে কাজ করছে।” তিনি (Kiren Rijiju) বলেন, “রাহুল গান্ধী যখন কিছু বলেন, তখন তাঁর দলের সব সাংসদ খুব অস্বস্তি বোধ করেন। তাঁরা ভয় পান, উনি (Rahul Gandhi) হয়তো উল্টোপাল্টা কোনও কথা বলে বসবেন, আর তার ফল ভুগতে হবে পুরো দলকে।”

  • Guru Granth Sahib: বিশ্ববাসীকে শেখায় মানবতার পাঠ, ২৪ অগাস্ট ‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’ প্রকাশ উৎসব

    Guru Granth Sahib: বিশ্ববাসীকে শেখায় মানবতার পাঠ, ২৪ অগাস্ট ‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’ প্রকাশ উৎসব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের দেশ ভারত হল মুনি-ঋষিদের ভূমি। এই ভারতেই রচিত হয়েছে অনেক ধর্মশাস্ত্র, যেগুলি সারা পৃথিবীর মানুষকে পথ দেখিয়েছে এবং নৈতিক জীবন গড়ে তোলার উপদেশ দিয়েছে। এই ধর্মশাস্ত্রগুলির মধ্যে অজস্র গ্রন্থ রয়েছে—বেদ, গীতা, রামচরিতমানস প্রভৃতি (Guru Granth Sahib)। এরই মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় গ্রন্থ হল গুরুগ্রন্থ সাহিব, যা ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে এক অনন্য স্থান অধিকার করে আছে। সারা পৃথিবীজুড়ে কোটি কোটি মানুষ এই গুরুগ্রন্থ সাহিব-কে অনুসরণ করেন। এটি শুধু শিখ সমাজের ধর্মীয় গ্রন্থ নয়—এখানে আলোচিত হয়েছে মানবতার কথা, নৈতিকতার কথা এবং একটি সৎ, শুদ্ধ জীবনযাপনের পথ।

    স্থাপন করা হয় ১৬০৪ খ্রিস্টাব্দে (Guru Granth Sahib)

    গুরুগ্রন্থ সাহিব (Guru Granth Sahib) প্রথমবার রচনা করা হয় এবং তা হরিমন্দির সাহিব-এ (যাকে আমরা স্বর্ণমন্দির, অমৃতসরে বলি) স্থাপন করা হয় ১৬০৪ খ্রিস্টাব্দে। গুরুগ্রন্থ সাহিব রচনা করেন গুরু অর্জন দেব। একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রন্থের প্রতিষ্ঠা হয়, যেখানে বাবা বুদ্ধজি গ্রন্থটিকে তাঁর মাথার উপর ধারণ করে স্বর্ণমন্দিরের পবিত্র গর্ভগৃহে স্থাপন করেন। এরপর থেকে একে ঘিরে শুরু হয় নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। গুরুগ্রন্থ সাহিবের প্রথম গ্রন্থি হিসেবে নিযুক্ত হন বাবা বুদ্ধজি, যিনি এই গ্রন্থের দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করেন কেয়ারটেকার হিসেবে (Guru Granth Sahib Prakash Utsav)।

    শিখ ধর্মে গুরুগ্রন্থ সাহিব একটি মহান পবিত্র ধর্মগ্রন্থ

    শিখ ধর্মে গুরুগ্রন্থ সাহিব (Guru Granth Sahib Prakash Utsav) একটি মহান পবিত্র ধর্মগ্রন্থ, যেখানে আলোচিত হয়েছে ভ্রাতৃত্ববোধ, আধ্যাত্মিকতা, এবং এক ঈশ্বর বিশ্বাসের কথা। এতে বহু শিখ গুরুর রচিত শ্লোক স্থান পেয়েছে, যেমন—নামদেব থেকে রামানন্দ—প্রত্যেকেই এতে অন্তর্ভুক্ত। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের জয়দেব, গুজরাটের ত্রিলোচন, রাজস্থানের ধন্না, সিন্ধ প্রদেশের সাধন—এই সব মহাপুরুষদের রচনাও গুরুগ্রন্থ সাহিবে স্থান পেয়েছে। পরবর্তীকালে ভারতের বাইরে থেকে আগত আক্রমণকারীরা—বাবর থেকে শুরু করে ইব্রাহিম লোদী পর্যন্ত—এদেশে এসে হিংসার পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং বহুক্ষেত্রে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ ঘটায়। এই প্রসঙ্গেই শিখদের প্রথম গুরু গুরু নানক, তাঁর শ্লোকগুলিতে সেইসব শাসকদের নৃশংসতা ও ধর্মদ্রোহী কার্যকলাপের তীব্র সমালোচনা করেন—যারা ধর্মে আঘাত করত এবং সাধারণ মানুষকে নিপীড়ন করত।

  • Hindus Under Attack: অব্যাহত ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দুধর্মের ওপর আক্রমণের ঘটনা, দেখুন এক সপ্তাহের ছবি

    Hindus Under Attack: অব্যাহত ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দুধর্মের ওপর আক্রমণের ঘটনা, দেখুন এক সপ্তাহের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দুধর্মের ওপর আক্রমণ। পৃথিবীর অনেক অঞ্চলে এই নির্যাতন ধীরে ধীরে এক প্রকার গণহত্যার রূপ নিচ্ছে (Hindus Under Attack)। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ববাসী এই আক্রমণগুলির প্রকৃত গভীরতা ও ব্যাপকতাকে উপেক্ষা করেছে, যার খেসারত দিতে হচ্ছে হিন্দুদের। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, উৎসবে হামলা, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত – সব ক্ষেত্রেই বিদ্বেষের শিকার হিন্দুরা। গত ১৭ অগাস্ট থেকে ২৩ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে আমরা এক ঝলকে দেখে নিই বিশ্বজুড়ে ‘ধর্মসংকটে’র ছবিটা (Roundup Week)।

    ছেলেকে খুন (Hindus Under Attack)

    প্রথমেই আসা যাক ভারতের ক্ষেত্রে। পুলিশ বারাণসীর রামনগর এলাকায় ১০ বছর বয়সি একটি ছেলের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর্দা ফাঁস করেছে। অভিযোগ, প্রেমিক ফয়জানের সাহায্যে ছেলেটিকে খুন করেছে ছেলেটিরই নিজের মা। বাংলাদেশি লেখক আহমেদ হোসেনের একটি লেখায় পাকিস্তানের আন্দোলনকে ধর্মীয় বিচ্ছিন্নতাবাদ নয়, বরং কৃষক ও নিপীড়িত শ্রেণির জমিদার ও ঔপনিবেশিক শোষণের বিরুদ্ধে “শ্রেণিসংগ্রাম” হিসেবেই দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের পুলিশ কনস্টেবল সোহেল খানের একটি ভিডিও ফুটেজের জেরে বিতর্ক ছড়িয়েছে। জন্মাষ্টমীতে একটি মন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে সেলফি তুলে সেটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে আপলোড করেন। ছবির ক্যাপশনে লেখা, “আল্লাহ ছাড়া কোনও উপাস্য নেই, তিনিই একমাত্র উপাসনার যোগ্য।”

    হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ

    সকাল হিন্দু সমাজ এক হিন্দু কন্যার দুর্দশার ছবি তুলে ধরেছে, যাকে তার মুসলিম মহিলা ‘বন্ধু’ ওকিনাওয়া ফিটনেসে যোগ দিতে রাজি করিয়েছিল। জনৈক শিফা শেখ ওই হিন্দু মেয়েটিকে জিমে ভর্তি করিয়েছিল। এরপর জিম ট্রেনার জামিল খান মেয়েটির সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। জিম ট্রেনিং দেওয়ার পাশাপাশি সে তাকে মার্শাল আর্টও শেখাত। অভিযোগ, একদিন ট্রেনিংয়ের সময় জামিল মেয়েটিকে চেঞ্জিং রুমে নিয়ে গিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপও দেওয়া হয়েছিল। অসমের শ্রীভূমি জেলায় এক নাবালিকা বধির ও বোবা হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে চারজন মুসলিম যুবক। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ইসলাম উদ্দিন, মোনির উদ্দিন, দিলাওয়ার হোসেন এবং এক নাবালক মুসলিম ছেলে। বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে, রাষ্ট্র জ্যোতি একটি ফিল্ড তদন্ত চালায়। সেখানে একটি অবৈধ খ্রিস্টান ধর্মান্তর চক্রের হদিশ মেলে। এরা কোচিং সেন্টার চালানোর ছদ্মবেশে গ্রামে ঢুকেছিল (Roundup Week)।

    লাভ জিহাদের  ঘটনা

    হায়দরাবাদের বানজারা হিলস এলাকায় প্রকাশ্যে লাভ জিহাদের  ঘটনা। এখানে ফাহাদ নামে এক পাক বংশোদ্ভূত ব্যক্তি ভুয়ো নথি ব্যবহার করে কীর্তি নামে এক মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে (Hindus Under Attack)। বারাণসীর সারনাথ পুলিশ  গ্রেফতার করেছে বছর সাতাশের এক মুসলিম যুবককে। তার নাম মহম্মদ শরাফ রিজভি। অভিযোগ, সে বিয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হিন্দু মেয়েদের ফাঁদে ফেলত, পরে তাদের ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করত এবং শেষে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করত। সে সম্রাট সিংহ  নামে ভুয়ো প্রোফাইল বানিয়ে ফাঁদ পেতেছিল। আহমেদাবাদের সেভেন্থ-ডে অ্যাডভেন্টিস্ট স্কুলে  সিন্ধি সম্প্রদায়ের দশম শ্রেণির ছাত্র নয়নকে ছুরি দিয়ে খুন করে অষ্টম শ্রেণির এক মুসলিম ছাত্র। খোদ দিল্লিতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই মহিলাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় দিল্লি পুলিশ উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার বছর ছাব্বিশের মহম্মদ সোহিল ওরফে সোনুকে গ্রেফতার করেছে। শুধু তাই নয়, সে ওই মহিলার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও তুলে তা ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে দেয়। পুলিশ ঘটনাটিকে “লাভ জিহাদের” দৃষ্টিকোণ থেকেও তদন্ত করছে (Roundup Week)।

    হিন্দু পরিবারের নিরাপত্তা ও মর্যাদা লঙ্ঘিত

    বারাণসীর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আবারও এক হিন্দু পরিবারের নিরাপত্তা ও মর্যাদা লঙ্ঘিত হয়েছে। রাউনক আলি নামের এক মুসলিম যুবক যে হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করার জন্য কুখ্যাত, জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই ফের একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এর আগেও সে এক কিশোরীকে অপহরণের দায়ে গ্রেফতার ও জেল খেটেছিল। এদিকে, শুক্রবার মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ছড়ায়। এলাকায় ব্যাপক পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় রাস্তায় পার্ক করা একাধিক গাড়িতে (Hindus Under Attack)।

    পড়শি দেশ বাংলাদেশেও অব্যাহত হিন্দুদের ওপর হামলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বরকতের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক ও সংগঠিত নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কোনও হিন্দুই অবশিষ্ট থাকবে না। বাংলাদেশে একটি উগ্র ইসলামি গোষ্ঠী পবিত্র সীতাকুণ্ড পাহাড়ে মসজিদ নির্মাণের কথা ঘোষণা করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। মুন্সিগঞ্জ জেলার মেঘনা নদী থেকে জনপ্রিয় (Roundup Week) হিন্দু সাংবাদিক বিভু রঞ্জন সরকারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে (Hindus Under Attack)।

  • PM Modi: বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা সারাতে পারে ভারতই, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা সারাতে পারে ভারতই, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইটি ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। ২২ অগাস্ট তাঁর বক্তব্যে উঠে এল ভারতের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তির কথা এবং তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এই দেশ শুধুমাত্র পৃথিবীর দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির (Indian Economy) দিকে এগিয়ে চলেছে তা নয়, একই সঙ্গে সারা বিশ্বজুড়ে যেভাবে অর্থনীতির মন্দা দেখা দিয়েছে, সেখান থেকেও সেই পরিস্থিতিকে টেনে তুলে আনতে পারে ভারতের অর্থনীতি।

    নতুনভাবে লেখা হয়েছে ট্যাক্স আইন (PM Modi)

    তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও জানান যে, তাঁর সরকার ভারতের ইনকাম ট্যাক্স আইনকে নতুনভাবে লিখেছে এবং বিগত ৬০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার হয়েছে। এই ইনকাম ট্যাক্স আইনকে (PM Modi) দেশের জনগণের জন্য অতি সরল করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এই আইন বুঝতে আর কারও অসুবিধা হচ্ছে না।
    তিনি আরও বলেন যে, যেভাবে সংস্কার চলছে তা আগামী দিনেও চলতে থাকবে। সম্প্রতি তিনি বড় ঘোষণা করেছেন জিএসটি সংস্কারের কথা এবং তা দীপাবলিতেই নয়া উপহার হিসেবে দেশবাসীকে (Indian Economy) দেবেন বলে জানিয়েছেন।

    জিসটি নিয়ে কী বললেন?

    তিনি বলেন যে, নতুন জিএসটিতে অনেক জটিল বিষয় সরল করা হয়েছে। এই নতুন জিএসটির ফলে অনেক জিনিসের দাম কমবে। এর ফলে উৎপাদন শিল্প আরও বাড়বে এবং জনগণের মধ্যে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে। তাঁরা অনেক ভালোভাবেই ব্যবসা করতে পারবেন। নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, ২০১৭-র পর থেকে মুদ্রাস্ফীতি এখন সবচেয়ে কম চলছে এবং ইন্টারেস্ট রেটও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইপিএফও রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ২৪ লাখ নয়া ফর্মাল চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করা গিয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

    প্রত্যেক মাসে বিনিয়োগকারীরা এসআইপির মাধ্যমে বিনিয়োগ করছেন

    তিনি বলেন যে, প্রত্যেক মাসে বিনিয়োগকারীরা এসআইপির মাধ্যমে বিনিয়োগ করছেন। প্রথমত স্বাধীনতা দিবসে তিনি যে কথা বলেছিলেন, নয়া দিল্লিতে ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামেও তিনি একই কথা বলেন এবং জানান যে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে এবং ভারতেই তৈরি হচ্ছে সেমিকন্ডাক্টর চিপ। একইসঙ্গে ৬জি প্রযুক্তির অগ্রগতির নিয়েও তিনি বলেন। নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের কথা বলেন এবং এর ভিত্তি হবে ‘আত্মনির্ভর ভারত’—তাও তিনি জানান।

    ভারতের ‘স্পোর্টস ইকোনমি’ আরও বাড়ছে

    ভারতের ‘স্পোর্টস ইকোনমি’ আরও বাড়ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ওই মঞ্চ থেকে তিনি প্রাইভেট কোম্পানিগুলিকে আহ্বান জানান কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বায়োটেকনোলজি, ক্লিন এনার্জি, ব্যাটারি স্টোরেজ—এই সমস্ত বিষয়গুলিতে এগিয়ে আসার জন্য। বক্তব্যের একেবারে শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান যে, ভারত সম্পূর্ণ প্রস্তুত বিশ্বের উন্নয়নের সামনের সারিতে থাকার জন্য।

  • RSS: শতবর্ষে আরএসএস, বিজয়াদশমীতে নাগপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির থাকবেন রামনাথ কোবিন্দ

    RSS: শতবর্ষে আরএসএস, বিজয়াদশমীতে নাগপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির থাকবেন রামনাথ কোবিন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)। এই সংগঠন চলতি বছরের বিজয়া দশমীর দিনে ১০০ বছরে পা দিচ্ছে। এই দিনটি পড়েছে ২ অক্টোবর ২০২৫। ১০০ বছর উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আরএসএস। জানা যাচ্ছে, অক্টোবরের ২ তারিখে বিজয়া দশমী উৎসব সংঘটিত হবে ঠিক সকাল সাতটা চল্লিশ মিনিটে, নাগপুরের (Nagpur) রেশিমবাগ মাঠে। এখানেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯২৫ সালে এবং তা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ডঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার(RSS)।

    হাজির থাকবেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ রামনাথ কোবিন্দ

    এই উপলক্ষে সেখানে হাজির থাকবেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ রামনাথ কোবিন্দ এবং তিনি এই বিজয়া দশমীর সম্মেলনের প্রধান অতিথি হবেন। অন্যদিকে, শততম বর্ষে স্বয়ংসেবকদের (RSS) উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন মোহন ভাগবতজি এবং তিনি ব্যাখ্যা করবেন আগামী শতকে সংঘের কাজ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কাছে বিজয়া দশমী সর্বদাই একটি আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে। এটাই সেই দিন যেদিন ডঃ কেশব বালিরাম হেডগেওয়ার এই সংগঠনের স্থাপন করেছিলেন (Nagpur)। তিনি চেয়েছিলেন একটি শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ এবং সাংস্কৃতিক ভারত নির্মাণ করতে।

    জাগরণের বার্তা পৌঁছায় সংঘ

    ১০০ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে কাজ করে চলেছে—তা সে শিক্ষা হোক, স্বাস্থ্য হোক, গ্রামীণ উন্নয়ন হোক, দুর্যোগ মোকাবিলা হোক কিংবা সমাজ সংস্কার হোক। প্রতিবছর আরএসএস-এর বিজয়া দশমী কেবলমাত্র একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান হিসেবে পালন করা হয় না বরং এই দিনের মাধ্যমে সারা দেশজুড়ে একটি গভীর ও শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়। এই বার্তা শুধুমাত্র একটি উৎসবের আবহ নয়—এটি এক জাতীয় চেতনার আহ্বান। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় জাতীয় জাগরণের গুরুত্ব, নিজেদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা, সাংগঠনিক শক্তির মাধ্যমে সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার তাগিদ এবং মাতৃভূমির প্রতি আত্মনিবেদনের মহান আদর্শ।

  • Gujarat: গাজা হিংসার নামে মসজিদ থেকে অর্থসংগ্রহ! গুজরাট পুলিশের জালে সিরিয়ার ব্যক্তি

    Gujarat: গাজা হিংসার নামে মসজিদ থেকে অর্থসংগ্রহ! গুজরাট পুলিশের জালে সিরিয়ার ব্যক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় ইজরায়েলের আগ্রাসনের নামে গুজরাটের (Gujarat) বিভিন্ন মসজিদ থেকে চলছিল ধারাবাহিক অর্থসংগ্রহ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এই অর্থ তোলা হচ্ছিল একটি সিরিয়ার একটি গ্যাংয়ের মাধ্যমে, যারা ওই অর্থ গাজার (Gaza) জন্য নয়, নিজেদের লাভের উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির নাম আলি মেগাত আল-আজহার, যিনি সিরিয়ার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে বসবাস করছিলেন বলে জানা গেছে।

    নিজেদের স্বার্থেই ব্যবহার করা হত অর্থ (Gujarat)

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজহার ও তাঁর আরও তিন সহযোগী গত কয়েক মাস ধরে গুজরাটের (Gujarat) বিভিন্ন মসজিদ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। তাঁরা দাবি করতেন, এই অর্থ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার সহায়তার জন্য তৈরি একটি তহবিলে প্রদান করা হবে। তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ জানতে পারে, এই অর্থ গাজার উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছিল না বরং চক্রটি তা আত্মসাৎ করছিল। এরপরই অভিযান চালিয়ে আজহারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরার মুখে তিনি স্বীকার করেন যে, সংগৃহীত অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া হত। তবে এখনও পর্যন্ত তার তিন সহযোগীর কোনো হদিস মেলেনি। পুলিশ তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক

    পুলিশের এক আধিকারিক (Gujarat) বলেন, “আজহার-সহ চার যুবকই টুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গাজা হিংসার নামে মসজিদগুলি থেকে অর্থসংগ্রহ করে তাঁরা নিজেরা আত্মসাৎ করতেন। তবে এর নেপথ্যে আরও কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে।” গুজরাট ক্রাইম ব্রাঞ্চের জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ শরৎ সিংহল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার কাছ থেকে ৩,৬০০ মার্কিন ডলার এবং নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এরা সকলেই সিরিয়ার নাগরিক এবং ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে আসে। ২২ জুলাই তারা কলকাতায় অবতরণ করে এবং এরপর ২ অগাস্ট আমেদাবাদে পৌঁছায়।

  • S Jaishankar: “ভারতকে আক্রমণ করতে যে যুক্তিগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি চিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি,” পশ্চিমী বিশ্বকে নিশানা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ভারতকে আক্রমণ করতে যে যুক্তিগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি চিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি,” পশ্চিমী বিশ্বকে নিশানা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতকে আক্রমণ করতে যে যুক্তিগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি চিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি।” ঠিক এই ভাষায়ই পশ্চিমী বিশ্বকে আক্রমণ শানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ইকনমিক টাইমস ওয়ার্ল্ড লিডারশিপ ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি ভারতের রুশ তেল আমদানিকে সঠিক বলেই সমর্থন করেন। তিনি এদিন ফের একবার সাফ জানিয়ে দেন, ভারত (India) কেবলমাত্র তার জাতীয় স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেবে, এমনকি যদি তা অন্য দেশগুলির প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না-ও হয়, তাহলেও।

    জয়শঙ্করের সাফ কথা (S Jaishankar)

    তিনি বলেন, “যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলি রাশিয়ার তেল পছন্দ না করে, তবে তাদের উচিত নয় ভারত থেকে সেই পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনা, যা রুশ অপরিশোধিত তেল শোধন করে তৈরি হয়।” তিনি জানান, রাশিয়া থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত ভারতের নিজের স্বার্থে, আবার বৈশ্বিক স্বার্থেও। তিনি বলেন, “শেষ পর্যন্ত আমরা সেই সিদ্ধান্তই নেব, যা জাতীয় স্বার্থে হবে। ভারতের মতো একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা কোনওভাবেই আপসযোগ্য নয়।”

    বিমাতৃসুলভ আচরণ!

    পশ্চিমী দেশগুলির সমালোচনার জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারতের তেল বাণিজ্যকে আলাদা করে দেখা উচিত নয়। একে তেলের সমস্যা হিসেবে দেখানো হয়, অথচ বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক চিনের ক্ষেত্রে একই যুক্তি প্রয়োগ করা হয় না। ভারতকে আক্রমণ করতে যে যুক্তিগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি চিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি।” এর পরেই ভারতের অবস্থান নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের উদ্দেশে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আপনারা যদি পছন্দ না করেন, তবে কিনবেন না। কিন্তু ইউরোপও কেনে, আমেরিকাও কেনে। যদি পছন্দ না হয়, আমাদের কাছ থেকে কিনবেন না (S Jaishankar)।” জয়শঙ্কর মনে করিয়ে দেন, ২০২২ সালে যখন বৈশ্বিক তেলের দাম দ্রুত বাড়ছিল, তখন অনেক দেশই ভারতের রাশিয়ান তেল কেনার বিষয়ে কোনও আপত্তি করেনি। কারণ এতে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য হয়েছিল (India)। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “সেই সময় অনেকে বলেছিল, যদি ভারত রাশিয়ান তেল কিনতে চায়, তাহলে কিনুক, কারণ এতে দামের স্থিতিশীলতা আসবে (S Jaishankar)।”

  • Illegal Betting Racket: অনলাইন বেটিং চক্র চালানোর অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার কংগ্রেস বিধায়ক

    Illegal Betting Racket: অনলাইন বেটিং চক্র চালানোর অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার কংগ্রেস বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইন বেটিং চক্র (Illegal Betting Racket) চালানোর অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার কর্নাটকের বিধায়ক কংগ্রেসের (Congress MLA) কেসি বীরেন্দ্র। শনিবার সিকিমের অনলাইন ও অফলাইন জুয়া মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। প্রসঙ্গত, অনলাইন বেটিং চক্র বন্ধে সম্প্রতি বিল এনেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার ঠিক একদিন পরেই গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা। শুক্রবার দেশের একাধিক রাজ্যের ৩১টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে নগদ ১২ কোটি টাকা, ৬ কোটি টাকা মূল্যের সোনা এবং প্রায় ১০ কেজি রুপো।

    বাজেয়াপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদ (Illegal Betting Racket)

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার এই অনলাইন বেটিং মামলায় বীরেন্দ্র, তাঁর ভাই ও অন্যান্য সহযোগীর একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালান ইডির আধিকারিকরা। তল্লাশি চলে তাঁদের ৬টি ক্যাসিনো-সহ অফিস এবং বাড়িতেও। তখনই বাজেয়াপ্ত হয় ওই বিপুল পরিমাণ সম্পদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। এর পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রাও। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার চিত্রদুর্গের বছর পঞ্চাশের ওই বিধায়ককে গ্রেফতার করার পর সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হয়। তাঁকে বেঙ্গালুরুতে আনতে ইডির তরফে আবেদন জানানো হয় ট্রানজিট রিমান্ডের।

    দু’টি অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্ম চালাতেন!

    তদন্তকারীদের তরফে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই বিধায়ক কিং ৫৬৭ ও রাজা ৫৬৭ নামে দু’টি অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্ম চালাতেন। বীরেন্দ্র ও তাঁর সহযোগীরা একটি ক্যাসিনো লিজ নিতে গ্যাংটকে গিয়েছিলেন। তল্লাশি অভিযানে বীরেন্দ্রর ভাই কেসি নাগরাজ ও ছেলে পৃথ্বী এন রাজের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির দাবি, বীরেন্দ্রর আর এক ভাই কেসি থিপ্পেস্বামী দুবাইয়ে অনলাইন বেটিং গেমের কারবার চালান (Illegal Betting Racket)। আরও জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া বিধায়কের সঙ্গীরা অনলাইন গেমিংয়ের মাধ্যমে টাকা তুলতেন। গোটা কাজটি করা (Congress MLA) হত দুবাই থেকে। বিধায়ক ওই টাকায় বহু জমি-জমাও কিনেছেন বলে খবর। অর্থ তছরুপের এই মামলাটির তদন্ত করছে ইডির বেঙ্গালুরু জোন (Illegal Betting Racket)।

  • S Jaishankar on US Tariff: ‘‘সমস্যা থাকলে কিনবেন না’’, ভারত থেকে শোধিত তেল কেনা নিয়ে আমেরিকাকে স্পষ্ট জবাব জয়শঙ্করের

    S Jaishankar on US Tariff: ‘‘সমস্যা থাকলে কিনবেন না’’, ভারত থেকে শোধিত তেল কেনা নিয়ে আমেরিকাকে স্পষ্ট জবাব জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনা নিয়ে মার্কিন সমালোচনার জবাবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar on US Tariff) শুক্রবার কঠোর মন্তব্য করেন। ‘ইকোনমিক টাইমস ওয়ার্ল্ড লিডারস ফোরাম ২০২৫’-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আপনার যদি ভারত থেকে (পরিশোধিত) তেল বা পণ্য কেনা নিয়ে সমস্যা থাকে, তাহলে কিনবেন না। কেউ আপনাকে জোর করছে না।” তিনি আরও বলেন, “যে প্রশাসন নিজেকে প্রো-বিজনেস বলে দাবি করে, তাদের মুখে অন্যদের ব্যবসা নিয়ে অভিযোগ শুনে একটু মজাই লাগে।”

    কৃষকদের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত

    আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে খোঁচা দিয়ে এদিন জয়শঙ্কর বলেন, “কাউকে বাধ্য করা হয়নি ভারত থেকে রিফাইন্ড তেল বা অন্য কোনও পণ্য কিনতে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুরে জয়শঙ্কর আরও বলেন, ট্রাম্পের শুল্কবাণের জবাবে ভারতের নীতি খুব স্পষ্ট— কোনওভাবে ভারতবাসীর স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়, কৃষক-মজুরের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন কাজ করা হবে না। ভারতের সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত— বিশেষ করে কৃষক ও ক্ষুদ্র উৎপাদকদের সুরক্ষার প্রশ্নে। তিনি বলেন, “আমাদের লাল রেখা হলো আমাদের কৃষক ও মৎস্যজীবীদের স্বার্থ এবং কিছুটা ক্ষুদ্র উৎপাদকদের ক্ষেত্রেও। সেই স্বার্থ রক্ষা করাই আমাদের অঙ্গীকার, এবং তা নিয়ে কোনও আপস নয়।”

    রাশিয়ান তেল অনেকেই কিনছে

    রাশিয়া থেকে তেল কেনা প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “রুশ তেলের বৃহত্তম ক্রেতা চিন। রুশ গ্যাসের বৃহত্তম ক্রেতা ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০২২ সালের পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য লাফিয়ে বেড়েছে এমনটাও নয়। ঘটনাচক্রে আমরা আমেরিকা থেকেও তেল কিনি, সেই পরিমাণটাও বেড়েছে। তাই মার্কিন মিডিয়া যে যুক্তি দিচ্ছে সেটা খুবই অগোছালো, ভুলভাল।” অর্থাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে রুশ তেল কেনার ‘অপরাধে’ ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছেন, সেই পদক্ষেপকেই যুক্তিহীন বলে অভিহিত করলেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমরাই বা টার্গেট হচ্ছি কেন? চিন রাশিয়ার সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা, তাদের ওপর তো এমন কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।”

    মার্কিন-পাক সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য

    ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “তাদের একে অপরের সঙ্গে দীর্ঘ ইতিহাস আছে, এবং তারা নিজেদের ইতিহাসকে ভুলে যাওয়ারও ইতিহাস রাখে। যে সেনাবাহিনী অ্যাবোটাবাদে গিয়ে কাকে পেয়েছিল, মনে আছে তো?”— এই মন্তব্যে ওসামা বিন লাদেনের খোঁজ পাওয়ার ঘটনার দিকেই ইঙ্গিত করেন তিনি। জয়শঙ্করের কথায়, “এই বিষয়ে ১৯৭০ সাল থেকে ভারতের একটি নির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। তা হল পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা কারও মধ্যস্থতা গ্রহণ করি না। যদিও ট্রাম্প বারবার মধ্যস্থতার দাবি করে চলেছেন।”

    ট্রাম্পের কূটনৈতিক ধরন নিয়ে সমালোচনা

    ট্রাম্পের বিদেশনীতি নিয়েও মুখ খোলেন বিদেশমন্ত্রী। বলেন, “বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতো গোটা বিশ্ব এমন কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেখেনি যিনি এমন প্রকাশ্যে বিদেশনীতি ঠিক করেন।” রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার বিষয়টিও ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার আগে আলোচনা হয়নি বলে জানান বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। ট্রাম্পের অস্বাভাবিক ও প্রকাশ্য কূটনৈতিক স্টাইল নিয়েও কটাক্ষ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “ট্রাম্পের বিশ্ব-সম্পর্কের ধরন ঐতিহ্যগত কূটনীতির থেকে একেবারেই আলাদা। কোনও সিদ্ধান্ত আগে ঘোষণা করা হয়, তারপর আলোচনা হয়— এই রীতির ফলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “এটা শুধু ভারতের জন্য নয়, আমেরিকার অভ্যন্তরীণ বিষয়েও প্রযোজ্য।”

    মার্কিন হুমকি ওড়াল ভারত

    প্রসঙ্গত, ভারত-আমেরিকার সুসম্পর্ক থাকলেও, সম্প্রতিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপরে প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং পরে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপান। এর পিছনে যুক্তি দেন যে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনে। তবে এই শুল্ক যুদ্ধের আবহে দীর্ঘদিনের ‘বাণিজ্যবন্ধু’ রাশিয়াকে আরও কাছে টানে ভারত। মস্কোর প্রতি বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর আরও মজবুত বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ার বার্তা দেন। রুশ সংস্থাগুলিকে ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। সেই সঙ্গেই তাঁকে বলতে শোনা যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের সবচেয়ে স্থিতিশীল সম্পর্ক ভারত ও রাশিয়ার। অর্থাৎ ট্রাম্পের হুমকিকে ‘ডোন্ট কেয়ার’ করেই আপাতত এগিয়ে চলেছে ভারতের বিদেশনীতি।

LinkedIn
Share