Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • RSS: বিজেপির ৩ মুখ্যমন্ত্রীই আরএসএস-এর স্বয়ংসেবক

    RSS: বিজেপির ৩ মুখ্যমন্ত্রীই আরএসএস-এর স্বয়ংসেবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার রাজ্যে বিধানসভার ফল ঘোষণা হয়েছে গত ৩ ডিসেম্বর। রাজস্থান, ছত্তিসগড়, মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একটি সাধারণ মিল। তা হল, প্রত্যেকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের স্বয়ংসেবক। ১৯২৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু হয় আরএসএস-এর। সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক এই সংগঠন ব্যক্তি নির্মাণের মাধ্যমে রাষ্ট্রনির্মাণ নীতিতে বিশ্বাস রাখে। ১৯৫১ সালে জনসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার পরে বা ১৯৮০ সালে বিজেপির প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে বহু আরএসএস প্রচারক বসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও আরএসএস-এর প্রচারক। তিনিও ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন। এছাড়া হরিয়ানার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরও সঙ্ঘের প্রচারক হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। এবার ৩ রাজ্যে বসলেন আরএসএস-এর ৩ কর্মী।

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত আরএসএস-এর সঙ্গে

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলা ভজনলাল শর্মা দীর্ঘদিন ধরেই করেছেন আরএসএস-এর কাজ (RSS)। তিনি ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৯০ সালে কাশ্মীর থেকে পণ্ডিতদের বিতাড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে এবিভিপি। সক্রিয় ছিলেন ভজনলাল। কাশ্মীর আন্দোলনে সামনের সারিতেই দেখা যায় তাঁকে। ১৯৯২ সালের রামজন্মভূমি আন্দোলনেও তিনি ছিলেন।

    মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীও আরএসএস-এর কর্মী

    মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) আদর্শে বড় হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি ছিলেন সে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী। অন্যদিকে ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই-এর নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা হতেই তিনি হাজির হন ছত্তিসগড় রাজ্যের আরএসএস-এর সদর কার্যালয়ে। জানা যায়, বিষ্ণু দেও সাই-এর পুরো পরিবারই আরএসএস ঘনিষ্ঠ। তাঁর বাবাও ছিলেন দীর্ঘদিন ভারতীয় জনসঙ্ঘের বিধায়ক। আবার ১৯৭৭ সালে তাঁর বাবা জনতা পার্টির টিকিটে সাংসদও হন। আদিবাসী সমাজের অন্যতম মুখ তথা এই আরএসএস-এর স্বয়ংসেবককে এবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয় বিজেপি।

    আরও পড়ুন: প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সাতসকালেই ইডি-র হানা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhajanlal Sharma: বসেছিলেন বৈঠকের শেষ সারিতে! তার পরেই ভজনলালকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা

    Bhajanlal Sharma: বসেছিলেন বৈঠকের শেষ সারিতে! তার পরেই ভজনলালকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই বিজেপি ঘোষণা করেছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ভজনলাল শর্মার (Bhajanlal Sharma) নাম। প্রথমবার বিধায়ক হয়েই মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাচ্ছেন ভজনলাল। যদি বাকি দুটি রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করা যায় ছত্তিসগড় অথবা মধ্যপ্রদেশ, সেখানে দেখা যাবে মোহন যাদব অথবা বিষ্ণু দেও সাই-দুজনেই প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলেছেন। মোহন যাদব মধ্যপ্রদেশের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন এবং বিষ্ণু দেও সাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু সেদিক থেকে ভজনলাল শর্মা একেবারেই আনকোরা।

    কোনও আভাস পায়নি কেউ-ই

    ভজনলালকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করে বিজেপি সব বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞকে পাঁচ গোল দিয়ে দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যে পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পরে যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে ভজনলাল শর্মাকে (Bhajanlal Sharma) দেখা যাচ্ছে একেবারে শেষের সারিতে তিনি বসে রয়েছেন। এই ছবি ভাইরাল হয়েছে। খবরে প্রকাশ, মুখ্যমন্ত্রী পদে নাম নির্বাচনের বৈঠকেও একেবারে শেষের সারিতে বসেছিলেন ভজনলাল। সেই সময় তিনি কোনও আভাসই পাননি যে, কিছুক্ষণের মধ্য়েই তাঁর জীবন আমূল পাল্টাতে চলেছে…!

    পরিবারবাদে বিশ্বাস রাখে না বিজেপি

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আসলে এটাই বিজেপি। বিজেপি একটি সাংগঠনিক দল। শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। কখনই পরিবারবাদে বিশ্বাস রাখে না। রাজস্থান সহ তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে সেই নীতিরই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। এখানে যে কোন কর্মীও সর্বোচ্চ পদপ্রাপ্তির কথা ভাবতে পারেন। তাঁকে নির্দিষ্ট কোনও পরিবার থেকে আসতে হয় না। ব্যক্তি প্রাধান্য এখানে দেখা যায় না। নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সূচনা অবশ্য ছাত্র রাজনীতি থেকে করেছিলেন ভজনলাল শর্মা (Bhajanlal Sharma)। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের বিভিন্ন দায়িত্ব সামলানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় ভজনলালের সাংগঠনিক যাত্রা।

    ভজনলাল শর্মা ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে

    তাঁকে মনোনীত করার জন্য ভজনলাল শর্মা ইতিমধ্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। ভজনলাল শর্মা (Bhajanlal Sharma) জিতেছেন সানগানের আসনটি থেকে। কিন্তু তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা নন, ভরতপুরের বাসিন্দা। সানগানের আসনটি বিজেপির একটি শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির শক্তিশালী ভোট ব্যাঙ্ক সেখানে রয়েছে। কখনই সেখানে ৫০ শতাংশের নিচে ভোট নামে না গেরুয়া শিবিরের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajasthan CM : প্রথমবার বিধায়ক হয়েই মরুরাজ্যের দায়িত্বে! রাজস্থানের নয়া মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল

    Rajasthan CM : প্রথমবার বিধায়ক হয়েই মরুরাজ্যের দায়িত্বে! রাজস্থানের নয়া মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারুণ্যের জোয়ার! ফের নতুন মুখকেই কুর্সিতে বসাল বিজেপি। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হলেন ভজনলাল শর্মা। রাজনাথ সিংয়ের হস্তক্ষেপে জট কাটল মরুরাজ্যে। মঙ্গলবার জয়পুরের সর্দার পটেল মার্গে বিজেপি-র রাজ্য দফতর থেকে ঘোষণা করা হয় নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম। মঙ্গলবার বিকেলে জয়পুরে দলীয় বিধায়ক এবং পর্যবেক্ষকদের এক বৈঠকের পর বিজেপি জানিয়েছে, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ভজনলাল শর্মাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। 

    রাজস্থানের রাজনীতিতে চেনা নাম ভজনলাল

    আরএসএসের ঘনিষ্ঠ ভজনলাল শর্মা হলেন রাজস্থানের ভরতপুরের নেতা। সাঙ্গানের থেকে এবার বিধানসভা ভোটে বিপুল ব্যবধানে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের পুষ্পেন্দ্র ভরদ্বাজকে ৪৮ হাজার ৮১ ভোটে এবার পরাজিত করেন তিনি। মজার বিষয় হল, এই নির্বাচনেই প্রথমবার বিধায়ক হিসেবে জয়ী হয়েছেন ভজনলাল শর্মা। নির্বাচনী ময়দানে ভজনলালএই প্রথম নামলেও, রাজনীতিতে তিনি বেশ পোড় খাওয়া নাম। রাজস্থানে চারবার রাজ্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরই এদিন ভজনলাল শর্মাকে দেখা যায় রাজনাথ সিংয়ের পাঁ ছুঁয়ে প্রণাম করতে। উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর বিপুল জনসমর্থন নিয়ে মরুরাজ্যে ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উঠে আসে একাধিক নাম। এদিন রাজস্থানের দুই উপমুখ্যমন্ত্রীও বেছে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে থাকা রাজপুত দিয়া কুমারীকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রেমচাঁদ বেরোয়াকেও বসানো হয়েছে এই পদে। আর বিধানসভার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন বাসুদেব দেবনানী।

    এদিনের বৈঠকে বসুন্ধরা রাজে-সহ বিজেপির সকল বিজয়ী বিধায়কই অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং দুই সহ-পর্যবেক্ষক – বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি সরোজ পান্ডে এবং জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Article 370: ৩৭০ ধারা বিচ্ছিন্নতাবাদকেই প্রশয় দিচ্ছিল, রাজ্যসভায় জানালেন অমিত শাহ

    Article 370: ৩৭০ ধারা বিচ্ছিন্নতাবাদকেই প্রশয় দিচ্ছিল, রাজ্যসভায় জানালেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই বেরিয়েছে ৩৭০ ধারা (Article 370) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়। কেন্দ্রের সিন্ধান্ত যে অসাংবিধানিক নয়, তা সাফ জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর পরেই ‘সুপ্রিম রায়’কে হাতিয়ার করে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করলেন অমিত শাহ। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যসভায় বলেন, ‘‘৩৭০ ধারাই কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছিল।’’ তবে অমিত শাহ যে শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়কে আক্রমণ করেননি, সেটাও তিনি নিজের ভাষণে উল্লেখ করেন। তিনি জানিয়েছেন, মুসলিমরা বেশি সংখ্যায় রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর ছাড়াও এরকম অনেক রাজ্য রয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনও রকমের সন্ত্রাসবাদ নেই কারণ ৩৭০ ধারাই (Article 370) সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছিল।

    খুশি নয় কংগ্রেস

    অমিত শাহ এদিন কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায়ে হয়তো কংগ্রেস নেতারা খুশি নন এবং তাঁরা প্রকাশ্যেই বলছেন যে তাঁরা এই রায়ের সঙ্গে একমত নন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা (Article 370) তুলে নেয় মোদি সরকার। এর পর থেকেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অজস্র মামলা জমা হতে থাকে সুপ্রিম কোর্টে। সব মামলাগুলিকে এক করে সোমবার রায়দান করে শীর্ষ আদালত। এদিন কাশ্মীর ইস্যুতে নেহরু সরকারকেও তুলোধনা করেন অমিত শাহ।

    কাশ্মীরে ভুল করেছিলেন নেহরু

    সোমবার রাজ্যসভায় শাহ বলেন, ‘‘কাশ্মীর ইস্যুতে যে দুটি বড় ভুল করেছিলেন, তা স্বীকার করে নিয়েছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরু।’’ এরপর অমিত শাহ নেহরুর একটি উদ্ধৃতি পড়তে শুরু করেন। সেটি হল, ‘‘সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সেটা ভালো মনে হয়েছিল। কিন্তু এই বিষয়টা আমরা ঠিক ভাবে সামলাতে পারিনি। পরিস্থিতিটা বুঝতে পারিনি। আরও কিছুটা ভাবনা-চিন্তা করে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’’ প্রসঙ্গত, নেহরুর আমলে পাকিস্তান যুদ্ধের সময়ই ভারতীয় সেনা যদি আর ২ দিন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকত, তাহলে গোটা উপত্যকা ভারতের হত বলে এদিন রাজ্যসভায় শাহ জানান। শাহ দাবি করেন, তিনি যে উদ্ধৃতি পড়েছেন, সেটা বলেছিলেন স্বয়ং নেহরু। তার পরেই বিরোধীদের নিশানা করে বলেন, ‘‘এবার তো ওঁর কথা মেনে নেবেন… মানবেন যে উনি ভুল করেছিলেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রামমন্দিরের উদ্বোধনে হাজির থাকছেন পর্দার রাম অরুণ গোভিলও

    Ram Mandir: রামমন্দিরের উদ্বোধনে হাজির থাকছেন পর্দার রাম অরুণ গোভিলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাকি রয়েছে আর মাত্র এক মাস। ইতিমধ্যে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যে সমস্ত বিশিষ্ট জন্য উপস্থিত থাকবেন তাদের তালিকা তৈরি করা হয়ে গেছে। রাম মন্দিরের অতিথি তালিকায় রয়েছেন পর্দার রাম অভিনেতা অরুণ গোভিল। সূত্রের খবর, আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন পর্দার সীতা দীপিকা চিখলিয়াও। এক সাক্ষাৎকারে অরুণ গোভিল বলেন, “হ্যাঁ আমি আমন্ত্রণ পেয়েছি। এ এক বিরাট মুহূর্ত, খুশির মুহূর্ত এবং সুবর্ণ সুযোগ।” 

    কারা আমন্ত্রিত?

    আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন, অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমার, কঙ্গনা রানাউত, সুনীল গাওস্কর, শচীন তেন্ডুলকর, রতন টাটা, বিরাট কোহলি, মুকেশ অম্বানী, গৌতম আদানির মতো ব্যক্তিত্ব। আমন্ত্রিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও অন্যান্য রাজনীতিবিদ। সেই তালিকায় যুক্ত হলেন অরুণ গোভিল। আমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যা মোট ৪ হাজার।

    গর্ভগৃহের ছবি প্রকাশ্যে 

    ইতিমধ্যে শনিবারে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহের ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে, মন্দিরের গর্ভগৃহের দুটি ছবি পোস্ট করেছেন। জানা গিয়েছে, সেখানেই রামলালার মূর্তিকে প্রতিষ্ঠা করা হবে। মূর্তি প্রতিষ্ঠার দিনে মোট ৫০ টি দেশের আমন্ত্রিত প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। পুজোর পরে বিগ্রহের চক্ষুদানও করা হবে। পুজোয় যজমানের ভূমিকায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রামলালার তিনটি মূর্তি তৈরীর কাজ বর্তমানে চলছে এবং পাথর আনা হয়েছে কর্ণাটক ও রাজস্থান থেকে।  রামলালার মূর্তি তৈরীর কাজ করে চলেছেন গণেশ ভাট, অরুণ যোগীরাজ এবং সত্যনারায়ণ পান্ডে। জানা গিয়েছে, উপরের অংশের ৭০টি পিলারের ভাস্কর্যের কাজ এখনও বাকি রয়েছে। দক্ষিণ দিকের বেসমেন্টের কাজ বর্তমানে শেষ হয়েছে। জানা গিয়েছে, রামলালা অবস্থান করবেন গর্ভগৃহে। সেই গর্ভগৃহ নির্মাণের কাজও ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আবার সমগ্র রাম মন্দির জুড়ে থাকবে আলোর মালা, সেই আলোকসজ্জার কাজও প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya: বিশ্বমানের শহর হিসেবে রামনগরীকে গড়ে তুলতে সরকারের ৮ নীতি কী কী?

    Ayodhya: বিশ্বমানের শহর হিসেবে রামনগরীকে গড়ে তুলতে সরকারের ৮ নীতি কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনগরী অযোধ্যাকে (Ayodhya) নতুন ভাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সেখানে চলছে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প। চলতি মাসের ১৫ তারিখ অযোধ্যায় বিমানবন্দরেরও উদ্বোধন হতে চলেছে। জানা গিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার অযোধ্যাকে নতুনভাবে একটি সোলার সিটিতে পরিবর্তন করতে চলেছে এবং বৈদ্যুতিক শক্তির ব্যবহার কমাতেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ৮টি নীতি গ্রহণ করেছে অযোধ্যাকে (Ayodhya) নতুনভাবে গড়ে তুলতে। অযোধ্যাতে বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ১৭৮টি প্রকল্প চলছে। এখানে বিনিয়োগ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

    নয়া অযোধ্যা নির্মাণে সরকারের ৮ নীতি

    সাংস্কৃতিক অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে সারা ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে অযোধ্যাকে গড়ে তুলতে চায় কেন্দ্র ও রাজ্য। মঠ, মন্দির, আশ্রম এই সমস্ত কিছুই বানানো হচ্ছে এই নীতির আওতায়।

    সক্ষম অযোধ্যা

    নরেন্দ্র মোদি সবসময় আত্মনির্ভরতার কথা বলেন। সক্ষম অযোধ্যা মানে হল আত্মনির্ভর অযোধ্যা (Ayodhya)। চাকরি, পর্যটন সমস্ত ক্ষেত্রে অযোধ্যা যেন আত্মনির্ভর হয়।

    আধুনিক অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যাকে (Ayodhya) বিশ্বমানের শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চায় কেন্দ্র ও রাজ্য।

    সুগময় অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে চায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। এর জন্য সেখানে তৈরি করা হচ্ছে মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরামচন্দ্র ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। এর পাশাপাশি সরযূ নদীর জলপথকেও ব্যবহার করা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে।

    সুরময় অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যার সৌন্দর্যায়নে দৃষ্টি দিচ্ছে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার।

    ভাবনাত্মক অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মের মানুষের আবেগকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

    স্বচ্ছ অযোধ্যা

    এই নীতির মাধ্যমে অযোধ্যাকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    অযোধ্যার উল্লেখ মেলে পুরাণেও

    অত্যন্ত পুরাতন নগর বলে পরিচিত অযোধ্যার কথা পাওয়া যায় পুরাণ থেকে শুরু করে বেদ সর্বত্র। ভগবান রামের জন্মস্থান হিসেবেও তা প্রসিদ্ধ। ২০১৪ সালে মোদি সরকার আসার পর থেকেই অযোধ্যার উপরে বিশেষ দৃষ্টি দেয় কেন্দ্র সরকার। পরবর্তীকালে ২০১৭তে উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতাতেও আসে বিজেপি সরকার। সেই সময় থেকেই কেন্দ্র এবং রাজ্য যৌথভাবে অযোধ্যার উন্নয়নে দৃষ্টি দেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Article 370: জমি কেনা থেকে শুরু করে চাকরি, বিয়ে…জেনে নিন কী কী নিষেধাজ্ঞা ছিল ৩৭০ ধারায়?

    Article 370: জমি কেনা থেকে শুরু করে চাকরি, বিয়ে…জেনে নিন কী কী নিষেধাজ্ঞা ছিল ৩৭০ ধারায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ৩৭০ ধারা বাতিল করে মোদি সরকার। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট। ৩৭০ ধারার মাধ্যমে উপত্যকার মানুষজনকে কিছু বিশেষ এবং বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। এই ধারার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের ছিল আলাদা পতাকাও। এমনকী সেখানকার জমি পর্যন্ত কিনতে পারেতেন না অন্য রাজ্যের মানুষজন। এক কথায়, ভারতের অভ্যন্তরে জম্মু ও কাশ্মীর হয়ে উঠেছিল আলাদা একটি রাষ্ট্র। তবে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর সেসব আর কিছু থাকল না। আসুন দেখে নিই, কী কী নিষেধাজ্ঞা ছিল এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর পরিস্থিতি কী দাঁড়াল।

    ৩৭০ ধারা বাতিলের আগে ও পরে…

    ১) উপত্যকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে কেন্দ্র

    সংবিধানে ৩৭০ নম্বর ধারা (Article 370) অনুযায়ী, ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসের আগে পর্যন্ত প্রতিরক্ষা, বিদেশ, অর্থ এবং যোগাযোগ ছাড়া জম্মু-কাশ্মীরের অন্য কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার ছিল না ভারত সরকারের। কিন্তু বর্তমানে উপত্যকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ করাতে আর কোনও বাধাই রইল না।

    ২) জম্মু ও কাশ্মীরের ছিল আলাদা পতাকা, এখন আর তা রইল না

    ৩৭০ ধারা (Article 370) যখন লাগু ছিল, তখন জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য কোনও আইন প্রণয়ন করতে পারত না ভারতের সংসদ। আইন প্রণয়ন করতে হলে সে রাজ্যের সম্মতির প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া আলাদা পতাকাও ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের। ৫ অগাস্ট ২০১৯ সালের পর কোনও আলাদা পতাকা নেই উপত্যকায়। ভারতের সংসদ এখন জম্মু ও কাশ্মীরে আইন প্রণয়নের ব্যাপারে পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী।

    ৩) উপত্য়কায় জমি কিনতে পারতেন না ভারতের অন্য রাজ্যের লোকজন, এখন তা বাতিল

    ভারতবর্ষের অন্যান্য অংশের লোক জম্মু-কাশ্মীরের জমিও কিনতে পারতেন না। তার কারণ, স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া কেউ কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবেন না, এমন নিয়ম সেখানে জারি করা ছিল। ধারা ৩৫-এ অনুযায়ী বলা হয়, যে সে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা কে, তা স্থির করতে পারবে একমাত্র জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভা। বর্তমানে দেশের যে কোনও নাগরিক জমি কিনতে পারেন উপত্যকায়।

    ৪) জম্মু ও কাশ্মীরে চাকরির আবেদনও করতে পারতেন না অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা, এখন তা কার্যকর নয়

    জম্মু-কাশ্মীরে যে কোনও চাকরির ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারতেন না অন্য রাজ্যের মানুষ। সে রাজ্যের কোনও মহিলা স্থায়ী বাসিন্দা ভারতের অন্য অংশের মানুষকে বিয়ে করলে তিনি সম্পত্তির অধিকার থেকেও বঞ্চিত হতেন। বর্তমানে দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতোই জম্মু ও কাশ্মীরে চাকরির আবেদন করতে পারেন সবাই।

    প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরকে ৩৭০ ধারার মাধ্যমে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিল ভারতের সংবিধান সভা। কিন্তু ১৯৫৭ সালে সংবিধান সভাকেই ভেঙে দেওয়া হয়। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় ৩৭০ ধারার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হলেও সেখানে লেখা ছিল অস্থায়ী সংস্থান অর্থাৎ তা সামরিক হিসেবেই গণ্য করা হয়। ৩৭০ ধারার ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয় যে রাষ্ট্রপতি ইচ্ছা করলে ওই বিশেষ মর্যাদা যে কোনও সময় তুলে নিতে পারেন। রাষ্ট্রপতির সেই ক্ষমতাকে ব্যবহার করেই এই বিশেষ মর্যাদাকে প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৩৭০ ধারা বাতিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দেন। সরকারের তরফে তখন জানানো হয় কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অস্থায়ী একটি ব্যবস্থা। এরপর মামলা এবং যার চূড়ান্ত পরিণতি এদিনের সুপ্রিম কোর্টের রায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Article 370: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ বৈধ! রায় সুপ্রিম কোর্টের, জানেন এই ধারার ইতিহাস?

    Article 370: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ বৈধ! রায় সুপ্রিম কোর্টের, জানেন এই ধারার ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের সঙ্গে সহমত দেশের শীর্ষ আদালত। ৩৭০ ধারা (Article 370 in Jammu and Kashmir) একটি ‘অস্থায়ী বিধান’। রাষ্ট্রপতির হাতে এটি বাতিল করার ক্ষমতা ছিল। সোমবার এমনই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত আরও জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর সাংবিধানিক পরিষদ ভেঙে যাওয়ার পরেও ৩৭০ ধারা রদের বিজ্ঞপ্তি জারি করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির আছে। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, এটি আশা, অগ্রগতি এবং ঐক্যের বার্তা দেয়। 

    ৩৭০ ধারা কী?

    ৩৭০ ধারা ভারতীয় সংবিধানের একটি অস্থায়ী সংস্থান (‘টেম্পোরারি প্রভিশন’)। এই ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে (Article 370 in Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল। সংবিধানের ১১ নম্বর অংশে অস্থায়ী, পরিবর্তনশীল এবং বিশেষ সংস্থানের কথা বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ীই জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ সংবিধানের ধারাগুলি অন্য সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে।

    কবে অন্তর্ভুক্ত?

    ৩৭০ ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারা বলে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। এই ধারা বলে ওই রাজ্যে সংসদের ক্ষমতা সীমিত। ১৯৪৭ সালে এই ৩৭০ ধারার খসড়া প্রস্তুত করেন শেখ আবদুল্লা। জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী মহারাজা হরি সিংহ এবং জওহরলাল নেহরু তাঁকে নিয়োগ করেন। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্যপালের জন্য সদর-এ-রিয়াসত চালু ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর বদলে ছিল প্রধানমন্ত্রী। যদিও ১৯৬৫ সালের পর তা উঠে যায়।

    ৩৭০ ধারায় বিশেষ সুবিধা

    ৩৭০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসের আগে পর্যন্ত প্রতিরক্ষা, বিদেশ, অর্থ এবং যোগাযোগ ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে হস্তক্ষেপের অধিকার ছিল না কেন্দ্রের। জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও আইন প্রণয়নের অধিকার ছিল না সংসদেরও। আইন প্রণয়ন করতে হলে রাজ্যের সম্মতি নিতে হত। তাছাড়া আলাদা পতাকাও ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের। ৩৭০ ধারার (Article 370 in Jammu and Kashmir) অধীনেই ছিল ৩৫এ ধারা। এই ৩৫এ ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাও বিশেষ সুবিধা পেতেন। স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া অন্য রাজ্যের কেউ সেখানে স্থাবর সম্পত্তি কিনতে পারতেন না। কিনতে হলে অন্তত ১০ বছর জম্মু-কাশ্মীরে থাকতে হত। এবার যে কোনও রাজ্যের বাসিন্দা সেখানে জমি কিনতে পারবেন।

    ৩৭০ ধারার ইতিহাস

    ১৯৪৭ সালের ২৬ শে অক্টোবর শেষ শাসক মহারাজা হরি সিং জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের পক্ষে আনার ক্ষেত্রে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন। ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ২৭ অক্টোবর, তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন সেই চুক্তি অনুমোদন করেন। পুরো বিষয়টি কয়েকটি ক্ষেত্রের মধ্যেই সীমাবন্ধ ছিল। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ ধারা ৩৭০ অনুযায়ী প্রথম আদেশ জারি করেন। যা ছিল জম্মু এবং কাশ্মীরের জন্য। যার মাধ্যমে বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট করা হয় এবং যা সূচিবন্ধ করা হয়। ১৭ নভেম্বর, ১৯৫৬ সালে জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধান হয়। ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং থাকবে , সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: “৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়”, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার

    ২০১৯ সাল, ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় মোদি সরকার। আর সেই মতো পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয় জম্মু এবং কাশ্মীরকে ভেঙে। মোদি সরকারের এহেন সাহসী সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন ওঠে। আইনগত এবং সংবিধানিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত কতটা বৈধ, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কেন্দ্রের যুক্তি, দেশের সংবিধান সভা জম্মু ও কাশ্মীরকে ৩৭০ ধারায় বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিল। কিন্তু স্বাধীন দেশে সংবিধান প্রণয়নের পর ১৯৫৭ সালে সংবিধান সভা ভেঙে দেওয়া হয়। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় ৩৭০ ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হলেও সেই মর্যাদা স্থায়ী ছিল না, বরং ছিল ‘অস্থায়ী সংস্থান’ ওই অনুচ্ছেদের ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ইচ্ছে করলে ওই ‘বিশেষ মর্যাদা’ তুলে নিতে পারেন। রাষ্ট্রপতির ওই ক্ষমতাকে ব্যবহার করেই ২০১৯ সালে ‘বিশেষ মর্যাদা’ প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। 

    সুপ্রিম সিদ্ধান্ত

    যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা (Article 370 in Jammu and Kashmir) প্রয়োগ করা হয়েছিল। তা ছিল অস্থায়ী ব্যবস্থা। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ছিল না। সংবিধানের ৩৫৬ ধারা মোতাবেক জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল। তাই জম্মু কাশ্মীর থেকে কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই। এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বলল, ৩৭০ ধারা ছিল অস্থায়ী। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরে তাদের সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে সমর্পণ করেছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vishnu Deo Sai: ছত্তিসগড়ের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই, এক নজরে দেখে নিন তাঁর উত্থান

    Vishnu Deo Sai: ছত্তিসগড়ের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই, এক নজরে দেখে নিন তাঁর উত্থান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর এতদিন কে হবেন ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনায় এবার ইতি পড়ল। রবিবার সামনে এসেছে ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর নাম। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই হচ্ছেন ছত্তিসগড়ের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে রায়পুরে নির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষক দলের বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই বৈঠকেই বিষ্ণু দেও সাই-কে মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আদিবাসী সম্প্রদায়ের মুখ বলে পরিচিত বিষ্ণু দেও সাই

    আদিবাসী সম্প্রদায়ের মুখ বলে পরিচিত বিষ্ণু দেও সাই দলীয় সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন। ছত্তিসগড়ের রাজ্য সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। এবার তিনি দাঁড়িয়েছিলেন কুনকুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। তাঁর জয়ের মার্জিন ছিল ২৫ হাজার ৫৪১।

    এক নজরে বিষ্ণু দেও সাই

    ১) ১৯৬৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন বিষ্ণু দেও সাই। ছত্তিসগড়ে রাজ্যের যশপুর জেলার বাগিয়া গ্রামে তাঁর জন্ম। জানা যায়, স্থানীয় লয়লা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তিনি স্কুল শিক্ষাজীবন শেষ করেন। পরবর্তীকালে কৃষিকাজকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।

    ২) প্রথমে নিজের রাজনৈতিক যাত্রা তিনি স্থানীয় গ্রাম প্রধান হিসেবে শুরু করেন। নিজের গ্রামেই তিনি এই দায়িত্ব সামলান। পরবর্তীকালে অবিভক্ত মধ্যপ্রদেশের ১৯৯০ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি বিধায়ক ছিলেন।

    ৩) ১৯৯৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা লোকসভার সদস্য হন বিষ্ণু দেও সাই। ছত্তিসগড়ের রায়গড় কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে পার্টির সিদ্ধান্তে তিনি রায়গড় কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।

    ৪) ছত্তিসগড় রাজ্যের বিজেপির সভাপতি দায়িত্বও সামলেছেন বিষ্ণু দেও সাই। ২০০৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত। পরবর্তীকালে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব সামলেছেন।

    ৫) কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইস্পাত, খনি এবং শ্রম বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

    ৬) ২০২৩ সালের নির্বাচনে স্থানীয় কুনকুড়ি বিধানসভা থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থীকে ২৫ হাজার ৫৪১ ভোটে তিনি পরাস্ত করেন।

    ৭) ১৯৯১ সালে বিষ্ণু দেও সাই-এর বিবাহিত জীবন শুরু হয়। কৌশল্যা দেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। জানা যায়, বর্তমানে তাঁর এক পুত্র এবং এক কন্যা রয়েছেন।

    ৮) রাজনীতির বাইরে তাঁর সখ রয়েছে ব্যাডমিন্টন এবং ফুটবলের প্রতি। এছাড়াও বই পড়তে তিনি খুব ভালোবাসেন। সমাজসেবাও তাঁর ভালো লাগার কাজ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের পুরোহিত হলেন মোহিত পাণ্ডে, বেতন কত জানেন?

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের পুরোহিত হলেন মোহিত পাণ্ডে, বেতন কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের পুরোহিত পদে নিয়োগ পেলেন মোহিত পাণ্ডে। উত্তরপ্রদেশের দুধেশ্বরের এই পড়ুয়াকে ইতিমধ্যে বেছে নেওয়া হয়েছে। মোহিত পাণ্ডের ছবি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতাও প্রকাশ পেয়েছে। ছয় মাসের জন্য তাঁর প্রশিক্ষণ চলবে বলে জানিয়েছে ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ (Ram Mandir)। প্রসঙ্গত রাম মন্দিরের এখন ফিনিশিং টাচ চলছে। আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে মন্দিরের। আগেই শুরু হয়েছিল পুরোহিত বাছার প্রক্রিয়া এবং সেখানেই নিয়োগ পেয়েছেন মোহিত। জানা গিয়েছে, দুধেশ্বরনাথ বৈদ্য বিদ্যাপীঠের ছাত্র মোহিত পাণ্ডে ৩ হাজার জন পূজারীর সঙ্গেই আবেদন করেছিলেন এবং তার মধ্যে থেকে বাছা হয় কুড়িজনকে। সেখানেই স্থান পেয়েছেন মোহিত। জানা গিয়েছে, সবথেকে এগিয়েও রয়েছেন তিনি। ২০ জনেরই ছয় মাস পর্যন্ত ট্রেনিং হবে।

    কী বলছেন দুধেশ্বরনাথ বিদ্যাপীঠের আচার্য

    দুধেশ্বরনাথ বিদ্যাপীঠের আচার্য লক্ষীকান্ত পাড়ি এ বিষয়ে বলেন, ‘‘মোহিত সীতাপুরের বাসিন্দা। দুধেশ্বরনাথ বৈদ্য বিদ্যাপীঠে তিনি সাত বছর পর্যন্ত সামবেদের শিক্ষালাভ করেছেন। এরপর আচার্য পদের শিক্ষার জন্য তিনি তিরুপতি পাড়ি দেন।’’ জানা গিয়েছে বর্তমানে পিএইচডি-এর প্রস্তুতি নিচ্ছেন মোহিত পাণ্ডে। দুধেশ্বরনাথ মন্দিরের মহন্ত নারায়ণগিরি বলেন, ‘‘গোটা জেলার কাছে গর্বের বিষয়। এর আগে আচার্য তয়োরাজ উপাধ্যায় এবং আচার্য নিত্যানন্দকে প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir) সমারোহে সামিল হওয়ার জন্য আমন্ত্রপত্র পাঠানো হয়েছে।’’

    পুরোহিত পদের যোগ্যতা ও বেতন

    রাম মন্দির ট্রাস্ট-এর তরফে জানানো হয়েছে যে প্রত্যেক পুরোহিত পদপ্রার্থীর বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। শর্ট লিস্টেড পুরোহিত প্রার্থীদের ছয় মাস পর্যন্ত ট্রেনিং চলবে। প্রত্যেক আবেদনকারীকে অবশ্যই গুরুকুল শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষিত হতে হবে। সম্প্রতি, পুরোহিতদের বেতন বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রধান পুরোহিতের বেতন বর্তমানে ২৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৩২ হাজার ৯০০ হয়েছে। অন্যদিকে সহকারী পুরোহিতদের বেতন বর্তমানে ২০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩১ হাজার টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share