Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Amit Shah: উপত্যকায় ভারতের সংবিধানের প্রতি আস্থা, বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকে হুঁশিয়ারি শাহের

    Amit Shah: উপত্যকায় ভারতের সংবিধানের প্রতি আস্থা, বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকে হুঁশিয়ারি শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐক্যবদ্ধ ভারতের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গি ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। জোর দিয়ে এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জম্মু ও কাশ্মীর সফরে থাকাকালীনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, “জম্মু কাশ্মীর ইসলামিক পলিটিক্যাল পার্টি, জম্মু ও কাশ্মীর মুসলিম ডেমোক্রেটিক লিগ এবং কাশ্মীর ফ্রিডম ফ্রন্ট নামে আরও তিনটি সংগঠন হুরিয়ত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করেছে। এটি উপত্যকার মধ্যে ভারতের সংবিধানের প্রতি জনগণের আস্থার একটি উল্লেখযোগ্য প্রদর্শন।”

    ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী ভারত

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এক্স হ্যান্ডলে আরও জানান, “একটি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী ভারতের জন্য মোদিজির দৃষ্টিভঙ্গি এখন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, কারণ এখনও পর্যন্ত এই ধরনের ১১টি সংগঠন বিচ্ছিন্নতাবাদকে পরিহার করে সরকারের প্রতি অটল সমর্থন ঘোষণা করেছে।” প্রসঙ্গত, মার্চে শাহ এক এক্স পোস্টে জানিয়েছিলেন যে, দুইটি সংগঠন—জম্মু কাশ্মীর তাহরিকি ইস্তিকলাল এবং জম্মু কাশ্মীর তাহরিক-ই-ইস্তিকামাত—হুরিয়ত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। শাহ তখন বলেন, “মোদি সরকারের অধীনে, বিচ্ছিন্নতাবাদ শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং কাশ্মীরে ঐক্যের জয়ধ্বনি শোনা যাচ্ছে।” সোমবার, মরণোত্তর কীর্তি চক্র প্রাপ্ত পুলিশ ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট হুমায়ুন মুজাম্মিল ভাটের স্ত্রী ও তাঁর ২০ মাসের পুত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শাহ। হুমায়ুন ২০২৩ সালে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে নিহত হন।

    কী বললেন শাহ

    শাহ (Amit Shah) তার এক পোস্টে লিখেছেন, “ডিএসপি হুমায়ুন মুজাম্মিল ভাট কাশ্মীরের কোকারনাগে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিয়ে আত্মত্যাগ করেছিলেন, তিনি সাহসিকতা এবং দেশপ্রেমের এক অমর উদাহরণ স্থাপন করেছেন। আজ, আমি তার পরিবারকে শ্রীনগরে গিয়ে সমবেদনা জানালাম।” রবিবার রাতে তিনদিনের জন্য কাশ্মীর সফরে গিয়েছেন অমিত শাহ। সোমবার জম্মুর কাঠুয়ায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শনে যান। দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে কেন্দ্র বৈদ্যুতিন নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহার করা শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।

  • Pradhan Mantri Mudra Yojana: ‘‘অসংখ্য মানুষকে সুযোগ দিয়েছে’’, ১০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার প্রশংসায় মোদি

    Pradhan Mantri Mudra Yojana: ‘‘অসংখ্য মানুষকে সুযোগ দিয়েছে’’, ১০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার প্রশংসায় মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার (Pradhan Mantri Mudra Yojana) ১০ বছর পূর্তি। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার এই ফ্ল্যাগশিপ স্কিমের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মুদ্রা যোজনা অসংখ্য মানুষকে তাদের উদ্যোগী দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ দিয়েছে। এই প্রকল্পের কিছু সুবিধাভোগীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের যাত্রা প্রেরণাদায়ক।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (Pradhan Mantri Mudra Yojana)

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর আলোচনায় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প মূল্যায়ন ও উন্নত করার প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই সরকার এমন যে এটি দশ বছর পরে কোনও প্রকল্পের ফল মূল্যায়ন করে। আমরা সুবিধাভোগীদের তাদের অভিজ্ঞতা জানতে চাইছি এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে উন্নতি আনা হবে।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, মুদ্রা যোজনা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য উদ্যোক্তা তৈরি করে মানসিকতায় মৌলিক পরিবর্তন এনেছে। এ পর্যন্ত এই প্রকল্পের অধীনে ৫২ কোটিরও বেশি ঋণ বিলি করা হয়েছে, যার অপরিশোধিত ঋণের হার আশ্চর্যজনকভাবে কম। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (PMMY) অ-কর্পোরেট, অ-কৃষি ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলিকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ দান করে। এই প্রকল্প উৎপাদন, বাণিজ্য ও সেবা খাতের পাশাপাশি ডেয়ারি, পোল্ট্রি এবং মৌমাছি পালনের মতো কৃষি-সম্পর্কিত ক্ষেত্রে যাঁরা রোজগার করতে চান, তাঁদের জন্য।

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার সুবিধা কারা পায়?

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (Pradhan Mantri Mudra Yojana) মূলত অ-কর্পোরেট, ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলিকে সাহায্য করে যেগুলি সাধারণত একক মালিকানায় বা অংশীদারিত্বে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে নানা ধরনের স্থানীয় উদ্যোক্তারা রয়েছেন। যেমন, ক্ষুদ্র উৎপাদনকারী, দোকানদার ও বিক্রেতা, অটো ও ট্রাক চালক, খাবারের স্টল ও সেবা প্রদানকারী, কারিগর ও মেরামত টেকনিশিয়ান, কুটির শিল্প ও প্রক্রিয়াকরণকারী (PM Modi)। এই তৃণমূলস্তর পর্যায়ে পৌঁছানোর কারণে মুদ্রা সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় ঋণ কীভাবে পাওয়া যাবে?

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার অধীনে ঋণ দেওয়া হয় মেম্বার লেন্ডিং ইনসস্টিটিউশন (MLIs)-এর একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এর মধ্যে রয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি খাতের ব্যাঙ্ক, আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক (RRB), রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক, মাইক্রো ফাইনান্স ইনস্টিটিউশন (MFI), নন-ব্যাঙ্কিং ফাইনান্সিয়াল কোম্পানি (NBFC), ক্ষুদ্র অর্থ ব্যাঙ্ক (SFB) এবং মুদ্রা লিমিটেড দ্বারা অনুমোদিত অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। মুদ্রা ঋণের সুদের হার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান দ্বারা নির্ধারিত হয়। ঋণগ্রহীতার প্রোফাইল ও উদ্যোগের প্রকৃতিভেদে এই সুদের হার ভিন্ন হতে পারে।

    চার্জ এবং প্রসেসিং ফি

    ব্যাঙ্কগুলি তাদের (Pradhan Mantri Mudra Yojana)অভ্যন্তরীণ নীতির ভিত্তিতে অগ্রিম ফি ধার্য করতে পারে। তবে ‘শিশু’ লোনের প্রসেসিং ফি সাধারণত বেশিরভাগ ব্যাংকই মকুব করে দেয়। এটি প্রথমবার এবং ক্ষুদ্রঋণগ্রহীতাদের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করে। অর্থমন্ত্রক ও পিআইবির তথ্য অনুযায়ী, মুদ্রা লোনের ৬৮ শতাংশ গ্রহণ করেছেন মহিলা উদ্যোক্তারা। ৫০ শতাংশ অ্যাকাউন্ট এসসি, এসটি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। আর ১১ শতাংশ সংখ্যালঘুদের দ্বারা গৃহীত। এ সবই এই প্রকল্পের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত (PM Modi)।

    লোনের বিভাগ এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের চাহিদা

    মুদ্রা লোন তিনটি ভাগে বিভক্ত। এগুলি হল, শিশু (৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত), কিশোর কিশোর (৫০,০০০ – ৫ লাখ টাকা) এবং তরুণ (৫ – ১০ লক্ষ টাকা)। উচ্চমূল্যের লোনের দিকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। ২০২৫ অর্থবর্ষে কিশোর লোন বিলির পরিমাণ ছিল ৪৪.৭ শতাংশ। ২০১৬ অর্থবর্ষের চেয়ে এই বৃদ্ধির হার ৫.৯ শতাংশ। এই সময়ে গড় লোনের আকার তিনগুণ বেড়ে ৩৮,০০০ টাকা থেকে ১.০২ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছে।

    মহিলাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সহায়তা

    ২০১৬ অর্থবর্ষ (Pradhan Mantri Mudra Yojana) থেকে ২০২৫ অর্থবর্ষ পর্যন্ত, মহিলাদের গড় ঋণ ১৩ শতাংশ (PM Modi) সিএজিআরে বৃদ্ধি পেয়ে ৬২,৬৭৯ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে তাঁদের গড় ডিপোজিট ব্যালেন্স বার্ষিক ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯৫,২৬৯ টাকায় পৌঁছেছে। মহিলাদের জন্য বেশি লোন বিতরণকারী রাজ্যগুলিতে মহিলা নেতৃত্বাধীন এমএসএমইতে কর্মসংস্থান বেশি দেখা গিয়েছে। এমএসএমইদের জন্য ২০১৪ অর্থবর্ষে ঋণ ৮.৫১ লাখ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৪ অর্থবর্ষে হয়েছে ২৭.২৫ লাখ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে এটি ৩০ লাখ কোটি টাকার গন্ডি পার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সামগ্রিক ব্যাঙ্ক ঋণের মধ্যে এমএসএমই ঋণের অংশ ১৫.৮ শতাংশ থেকে প্রায় (PM Modi) ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে (Pradhan Mantri Mudra Yojana)।

  • Muslim Rashtriya Manch: ওয়াকফ আইন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বিরোধীরা, মোকাবিলায় পথে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ

    Muslim Rashtriya Manch: ওয়াকফ আইন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বিরোধীরা, মোকাবিলায় পথে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের সর্বনাশ করে ছেড়েছেন তাঁরা। তার পরেও ক্ষমতায় ফিরতে নয়া ওয়াকফ আইন (Waqf Act) নিয়ে গুজব এবং অপপ্রচার করে চলেছে বিরোধী দলগুলি। অথচ খোদ মুসলমানদেরই একটা বড় অংশ সমর্থন করছেন ওয়াকফ আইনকে। জনমানসে বিভ্রান্তি কাটাতে এবং বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব দিতে পথে নামছে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ (Muslim Rashtriya Manch)। মঞ্চের সিদ্ধান্ত, নয়া আইন সম্পর্কে গুজব দূর করতে এবং বিভ্রান্তি কাটাতে দেশজুড়ে ১০০টিরও বেশি প্রেস কনফারেন্স করা হবে। আয়োজন করা হবে ৫০০-রও বেশি আলোচনাসভার। নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের মেন্টর ইন্দ্রেশ কুমার জানান, নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে যে ভুল ধারণা ও গুজব ছড়ানো হয়েছে, তা দূর করতে তাঁরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ কুমার (Muslim Rashtriya Manch)

    দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইন্দ্রেশ কুমার। সেখানেই তিনি বলেন, “এই আইনের উদ্দেশ্য এবং সুবিধাগুলি প্রতিটি ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মঞ্চ সারা দেশে ১০০টিরও বেশি প্রেস কনফারেন্স এবং ৫০০টিরও বেশি সেমিনারের আয়োজন করবে। এই আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের আত্মমর্যাদা, ন্যায়বিচার ও সমানাধিকারকে আরও বেশি করে শক্তিশালী করবে।” দীর্ঘদিন ধরে ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহার ও অব্যবস্থাপনার বিষয়গুলির উল্লেখ করে ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ওয়াকফ সংশোধনী আইন এই সম্পত্তিগুলির স্বচ্ছ ও সমতাভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করবে। এর ফলে উপকৃত হবেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। তিনি বলেন, “নয়া এই আইন কারও বিরুদ্ধে নয়, বরং সকল মুসলমানের স্বার্থেই প্রণয়ন করা হয়েছে।”

    যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল সম্পর্কিত যৌথ সংসদীয় কমিটির (JPC) চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল বলেন (Muslim Rashtriya Manch), “এই নয়া আইনটিতে সম্মতি দিতে গোটা দেশ যেন একজোট হয়েছে, এমন একটা অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি হয়েছে।” নয়া ওয়াকফ আইনকে (Waqf Act) মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “এই আইনটি সমাজে দীর্ঘদিনের ভুল ধারণা, দুর্নীতি ও অবিচার দূর করতে একটি সুবর্ণ সুযোগ দিয়েছে।” জেপিসির চেয়ারম্যান বলেন, “এই আইনটি কেবল ওয়াকফ সম্পত্তির স্বচ্ছ ও অ্যাকাউন্টেবল ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করবে না, বরং সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও বঞ্চিত অংশের অধিকার সুরক্ষিত করতেও সাহায্য করবে।”

    কী বলছেন রামলাল

    আরএসএস নেতা রামলাল ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ও সম্প্রীতি বাড়ানোর দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “এই পরিবর্তন ভারতীয় সমাজকে নতুন শক্তি দেবে এবং সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এই মন্ত্র বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” রামলাল আরও বলেন, “নতুন এই আইনটি কেবল একটি আইনি পরিবর্তন নয়, বরং এটি সামাজিক ও নৈতিক সংস্কারের দিকে একটি বড় অগ্রগতি (Muslim Rashtriya Manch)।” রামলাল জনগণকে তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে নতুন ওয়াকফ আইনের (Waqf Act) ইতিবাচক দিকগুলি সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে সমাজের প্রতিটি অংশ এর তাৎপর্য বুঝতে পারে।

    ওয়াকফ আইন

    ওয়াকফ আইনটি সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর এবং গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদন পাওয়ার পর আইনে পরিণত হয়েছে। এই বিলটি নিয়ে ১২ ঘণ্টা বিতর্কের পর ৩ এপ্রিল ভোর রাতে লোকসভায় পাশ হয়। সেখানে বিলটি সমর্থন করেছিলেন ২৮৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৩২ জন। এরপর ৪ এপ্রিল সকালে রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হয়। সেখানে ১২৮ সদস্য সমর্থন করেছিলেন, বিরোধিতা করেছিলেন ৯৫ জন। নয়া এই আইনটি ভারতের ওয়াকফ সম্পত্তির ম্যানেজমেন্ট ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধন করে করা হয়েছে। এরা মুসলিমদের দ্বারা দান করা সম্পত্তি পরিচালনা করে।

    সরকারের দাবি

    নয়া আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ কাউন্সিলে সর্বোচ্চ চারজন অমুসলিম সদস্য থাকতে হবে, যার মধ্যে দু’জন মহিলা সদস্যও থাকবেন। এছাড়াও, কোনও সম্পত্তি ওয়াকফের না সরকারের, তা এখন থেকে জেলা কালেক্টরের পদমর্যাদার ঊর্ধ্বের পদস্থ কর্তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয় (Muslim Rashtriya Manch)। বিরোধী দলগুলি নয়া ওয়াকফ আইনের সমালোচনা করে একে অসাংবিধানিক ও মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এটি কোনও মুসলিম-বিরোধী পদক্ষেপ নয়, বরং নতুন এই আইন ওয়াকফ সম্পত্তি ম্যানেজমেন্টে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে (Waqf Act)। কংগ্রেস, এআইএমআইএম এবং আপ-সহ বিরোধী দলগুলির কিছু নেতা নয়া ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পৃথক আবেদন দাখিল করেন (Muslim Rashtriya Manch)।

  • Waqf Amendment Act: নতুন ওয়াকফ আইনে রয়েছে ‘৫ বছরের অপেক্ষা’ সংস্থান, কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    Waqf Amendment Act: নতুন ওয়াকফ আইনে রয়েছে ‘৫ বছরের অপেক্ষা’ সংস্থান, কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি সংসদে দুই পক্ষের পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Act)। পর, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষর করায় তা এখন আইনে পরিণত। এই আইনের একটা সংস্থান হল জমি বা সম্পত্তি দানে ‘৫ বছরের অপেক্ষা’। কী এটা? নতুন আইন অনুযায়ী, ইসলাম ধর্ম পাঁচ বছর ধরে পালন করলে, তারপরেই ওয়াকফ দান করা যাবে।

    কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?

    অতীতে ওয়াকফ দান ঘিরে একাধিক দুর্নীতি এবং অনিয়মের ছবি সামনে এসেছে। অনেকক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, হিন্দুদের জমি জোর করে দখল করা হয়েছে এবং পরবর্তীকালে ওই হিন্দুকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। পরে বলা হয়েছে, তিনি ওই জমি ওয়াকফ হিসেবে দান করেছেন। ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ উঠেছে যে, বহু হিন্দু ব্যক্তিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানো হয়েছে স্রেফ তাঁর জমি দখল করার দুরভিসন্ধি নিয়ে। কিন্তু নতুন নিয়ম তার প্রতিকার দেওয়া রয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্মকে পালন করলে তবেই ওয়াকফ দান করা যাবে। অর্থাৎ যারা ধর্মান্তরিত হচ্ছেন তাঁরাও আগে পাঁচ বছর ধরে ইসলামকে পালন করুক। ইসলামকে বুঝুক। তার পর যদি তাঁদের মনে হয়, ওয়াকফে দান করবেন, তখন তাঁরা জমি দান (Waqf Amendment Act) করতে পারবেন।

    কেন এই সংস্থান তাৎপর্যপূর্ণ?

    এ নিয়েই একজন বিজেপি সাংসদ যিনি জেপিসি-র সদস্যও বটে, তিনি বলেন, এটা করার উদ্দেশ্য হল, ধর্মান্তরিতরা যাতে না প্রতারিন হন, তা নিশ্চিত করা। আর পাঁচ বছর সময়সীমা রাখা হয়েছে, কারণ, এটা বাস্তবসম্মত। কোনও নতুন বিষয়কে বোঝার জন্য পাঁচ বছর সময় দরকার। তিনি এও জানান, এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না যাঁরা মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করছেন তাঁদের ক্ষেত্রে। এটা প্রযোজ্য যাঁদেরকে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে ইসলাম ধর্মে তাঁদের ক্ষেত্রেই। কারণ তাঁদেরকে বুঝতে সময় দেওয়া উচিত যে তাঁরা যেটা করছেন সেটা ঠিক কি! এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় জানিয়েছিলেন যে ১৯১৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ড মিলিতভাবে ১৮ লক্ষ একর জমির মালিক ছিল। কিন্তু বিগত ১২ বছরে তারা অতিরিক্ত ২১ লক্ষ একর জমির মালিকানা (Waqf Amendment Act 2025) দাবি করছে।

    কীভাবে করা যাবে চিহ্নিত?

    কিন্তু সরকার কীভাবে সেই সমস্ত মুসলিমদেরকে চিহ্নিত করবে যারা পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্মকে (Waqf Amendment Act) পালন করছে! এমন প্রশ্নই সংসদে করেছিলেন আসাউদ্দিন ওয়েসি এবং সৈয়দ নাসির হোসেন। এ নিয়ে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজেজু নিজের উত্তরে বলেন, ‘‘নতুন ওয়াকফ আইন যখন বাস্তবায়িত হবে, সেখানেই এনিয়ে বিস্তৃত লেখা থাকবে। কে মুসলিম কে অমুসলিম সেটা বাছাই করা হবে প্রামাণ্য নথি দিয়েই।’’

  • Mangal Pandey: তিনিই জ্বালিয়েছিলেন সিপাহী বিদ্রোহের মশাল, ৮ এপ্রিল মঙ্গল পাণ্ডের তিরোধান দিবস

    Mangal Pandey: তিনিই জ্বালিয়েছিলেন সিপাহী বিদ্রোহের মশাল, ৮ এপ্রিল মঙ্গল পাণ্ডের তিরোধান দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজকের দিনেই ফাঁসি হয়েছিল দেশের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী বলে পরিচিত মঙ্গল পাণ্ডের (Mangal Pandey)। ১৮৫৭ সালের ৮ এপ্রিল ফাঁসি হয় তাঁর। প্রসঙ্গত, ১৮২৭ সালে উত্তরপ্রদেশের এক ব্রাহ্মণ পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন মঙ্গল পাণ্ডে। ২২ বছর বয়সে এই বীর সিপাহী পদে চাকুরি নিয়েছিলেন ব্রিটিশ সরকারের অধীনে। ভারতে সিপাহী বিদ্রোহ (Sepoy Mutiny Of 1857) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ১৮৫৭ সালের মে মাসে। এই আন্দোলন এককথায় শুরু করেন মঙ্গল পাণ্ডে। সেটা ছিল ১৮৫৭ সালের মার্চ মাস। এরপর এপ্রিলেই তাঁর ফাঁসি হয়।

    ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ বিদ্রোহ শুরু করেন মঙ্গল পাণ্ডে (Mangal Pandey)

    ব্রিটিশ সরকারের চোখে মঙ্গল পাণ্ডে (Mangal Pandey) একজন বিশ্বাসঘাতক। তবে দেশের মানুষের চোখে আজও তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের (Indian Revolutionary) এক অন্যতম মহানায়ক। ইতিহাসবিদরা বলছেন, তাঁর হাত ধরেই ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল। দিনটি ছিল ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ। ওই দিন রবিবার ছিল বলে জানা যায়। ব্রিটিশদের জন্য দিনটি ছিল ছুটির দিন। তাঁরা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ঘরে। কলকাতার বারাকপুরের পঞ্চম ব্যাটেলিয়ন বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্য মঙ্গল পাণ্ডে ঘুরছিলেন বারাকপুর প্যারেড গ্রাউন্ডের আশেপাশেই। সেদিন সিপাহীদের প্যারেড ময়দানে প্রথম ইংরেজ বিরোধী এক অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন মঙ্গল পাণ্ডে।

    খবর পৌঁছায় ব্রিটিশ সেনা আধিকারিকদের কাছে

    জানা যায়, ওই দিন বিকেলের মধ্যেই ইংরেজদের কাছে এই খবর পৌঁছে যায়। খবর যায়, বেঙ্গল নেটিভ ইনফ্যান্ট্রির সেনাপতির সহকারী লেফটেন্যান্ট বাও (Lieutenant Baugh) এর কাছে। তিনি জানতে পারেন যে বারাকপুরে বেশ কয়েকজন সিপাহী বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে। তিনি আরও জানতে পারেন যে মঙ্গল পাণ্ডে নামের এক সিপাহী গাদা বন্দুক-সহ প্যারেড ময়দানে সেনাবাহিনীর প্রহরী কক্ষের সামনে রয়েছেন। এই ব্যক্তিই ডাক দিয়েছেন সিপাহী বিদ্রোহের।

    ইংরেজ অফিসার বাও-এর সঙ্গে মঙ্গল পাণ্ডের লড়াই

    এ কথা জানার পরেই বাও অস্ত্র হাতে ঘোড়ায় চড়ে সেখানে উপস্থিত হন। তখনও সেখানে হাজির ছিলেন মঙ্গল পাণ্ডে। এরপর মঙ্গল পাণ্ডে ৩৪তম কোয়ার্টার-গার্ডের সামনে থাকা স্টেশন বন্দুকের পিছনে অবস্থান নেন। তারপরে বাওকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন। মঙ্গল পাণ্ডের লক্ষ্য সঠিকভাবে আঘাত হাতে পারেনি। বাওয়ের ঘোড়াকে আঘাত করে মঙ্গল পাণ্ডের গুলি। এরপরেই বাও মাটিতে পড়ে যান। বাও দ্রুত নিজেকে রক্ষার্থে মঙ্গল পাণ্ডের দিকে গুলি করতে করতে এগিয়ে যান। এবার লক্ষ্যভ্রষ্ট হন বাও নিজেও। এরপর বাও নিজের তলোয়ার বের করার আগেই মঙ্গল পাণ্ডে তাঁর ওপর তলোয়ারের আঘাত হানেন। তাঁকে মাটিতে ফেলে দেন। এরপরে হিউসন নামের এক ব্রিটিশ সেনা বাওকে সেখানে থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।

    মৃত্যুদণ্ডের কথা জানতে পেরেও শান্ত ছিলেন মঙ্গল পাণ্ডে

    এইভাবে বিদ্রোহ চলাকালীনই ব্রিটিশ সেনা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন মঙ্গল পাণ্ডে। তিনি সেই মুহূর্তে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন বলে জানা যায়। তখনই মারাত্মক আহত হয়ে পড়েন তিনি। তবে তিনি সুস্থ হতে না হতেই মাত্র এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়। বিচারে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে এ কথা জেনেও বীরত্ব দেখিয়েছিলেন মঙ্গল পাণ্ডে (Mangal Pandey)। কেউ কি তাঁকে বিদ্রোহ করতে প্ররোচনা দিয়েছিল? এর উত্তরে মঙ্গল পাণ্ডে বলেন, তিনি নিজেই বিদ্রোহ করেছেন এবং তাঁকে অন্য কোনও ব্যক্তি এই কাজ করতে উৎসাহিত করেনি। অবশেষে ১৮৫৭ সালের ৮ এপ্রিল মঙ্গল পাণ্ডেকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

    ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র এবং সিপাহী বিপ্লবের সূচনা

    জানা যায়, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে হিন্দু এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের যুবকরাই কাজ করতেন। এমন সময় ১৮৫৩ সালে ক্যালিবার এনফিল্ড ৫৫৭ (পি/৫৩) নামে একটি রাইফেল আমদানি করে ব্রিটিশ সরকার। উল্লেখ্য এই রাইফেলের কার্তুজ লোড করতে হলে তা প্রথমে দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে নিতে হত। এই সময়ই গুজব রটে যায় যে কার্তুজগুলো তৈরি করা হত গরু ও শূকরের চর্বি দিয়ে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে গরুর চর্বি এবং মুসলিমদের শূকরের চর্বিতে ছিল নিষেধাজ্ঞা। এর ফলে ভারতীয় সৈন্যরা সরাসরি এর বিরোধিতা শুরু করে। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে তারা সাফ জানায়, বন্দুক ব্যবহার তারা কোনওভাবেই করতে পারবে না।

    দীর্ঘদিনের অত্যাচার ক্ষোভের সঞ্চার করে ভারতবাসীর মনে, এগিয়ে আসেন মঙ্গল পাণ্ডে (Mangal Pandey)

    প্রবল চাপের মুখে এই বন্দুক প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেয় ব্রিটিশরা। কিন্তু গড়িমসি চলতেই থাকে। এর ফলে সিপাহীদের মধ্যে জন্মাতে থাকে প্রবল বিদ্রোহ, যা পরিবর্তিত হয় সিপাহী বিদ্রোহে। ভারতবাসীর ওপর দীর্ঘদিনের অত্যাচার, নিপীড়নের ফলে ভেতরে ভেতরে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। সেই পূঞ্জীভূত ক্ষোভই ঘটিয়ে দেয় মহাবিদ্রোহ। যে বিদ্রোহের সঙ্গে মঙ্গল পাণ্ডের নাম জড়িয়ে। ১৮৫৭ সালে প্রথমবারের জন্য বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন যে যুবক তিনি মঙ্গল পাণ্ডে।

    বৃথা যায়নি মঙ্গল পাণ্ডের আত্মবলিদান

    প্রসঙ্গত, মঙ্গল পাণ্ডের এই আত্ম বলিদান বৃথা যায়নি। যে বিদ্রোহের সূচনা তিনি করেছিলেন করেছিলেন, তা স্ফূলিঙ্গের আকারে ছড়িয়ে পড়ে ভারতের মিরাট, দিল্লি সহ বিভিন্ন অংশে। এদিকে তৎকালীন বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল যেমন চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা, পাবনা, দিনাজপুরে এর ব্যাপক প্রভাব পরে যায়। বিদ্রোহীরা ক্যান্টনমেন্ট থেকে অস্ত্রাগার লুট করে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে অত্যাচারী ব্রিটিশ পুলিশ আধিকারিকদের হত্যাও করতে থাকে বিদ্রোহীরা। পরবর্তীতে এই বিদ্রোহ দিল্লি পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় এবং বেশ কিছুদিনের জন্য স্থায়ী হয়। তবে এই বিদ্রোহকে দমন করতে সমর্থ হয় ব্রিটিশরা।

    মঙ্গল পাণ্ডেকে নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাও

    মঙ্গল পাণ্ডের বীরত্বকে স্মরণ করে ভারতে নির্মিত হয়েছে সিনেমাও। ‘মঙ্গল পাণ্ডে: দ্য রাইজিং’ নামক সিনেমাটিতে অভিনয় করেন আমির খান। মঙ্গল পাণ্ডের জীবনের ওপর নির্মিত এই সিনেমা মুক্তি পায় ২০০৫ সালে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, বীর সাভারকর সিপাহী বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন। মঙ্গল পাণ্ডের নাম ভারতের ইতিহাসে চিরকাল থেকে যাবে। কারণ, দেশের প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধ তিনিই শুরু করেছিলেন। তাঁর সূচনা করা বিদ্রোহ ব্রিটিশদের ভিত নাড়িয়ে দিতে সমর্থ হয়েছিল।

  • Maoists Surrender: মাওবাদীদের ‘ভাই’ সম্বোধন শাহের, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জনের

    Maoists Surrender: মাওবাদীদের ‘ভাই’ সম্বোধন শাহের, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নকশাল ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা অস্ত্রসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসুন।” শনিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) এক সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মাওবাদীদের (Maoists Surrender) উদ্দেশে এই বার্তাই দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন, “একজন মাওবাদীর মৃত্যু হলেও, আমরা আনন্দিত হই না।” শাহের এই ভাই সম্বোধনের পর আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ করলেন ২৬ জন মাওবাদী। সোমবার ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের দান্তেওয়াড়া জেলার তিন মাওবাদী কমান্ডার-সহ আত্মসমর্পণ করলেন ২৬ জন গেরিলা। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা।

    মাওবাদী কমান্ডারের মাথার দাম (Maoists Surrender)

    পুলিশ জানিয়েছে, তিন মাওবাদী কমান্ডারের মাথার দাম ছিল সাড়ে চার লাখ টাকা। দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই বলেন, “অন্তর্দ্বন্দ্ব ও নাশকতার আদর্শের প্রতি মোহভঙ্গের কারণেই এঁরা আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে শামিল হচ্ছেন।” তিনি জানান, নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএর বস্তার ডিভিশনে সক্রিয় বিভিন্ন দলমের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন আত্মসমর্পণকারী ২৬ নেতা-কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা জনমিলিশিয়া, বিপ্লবী পার্টি কমিটি, জনতানা সরকার, দণ্ডকারণ্য আদিবাসী কিষান মজদুর সংগঠন এবং চেতনা নাট্যমণ্ডলীর মতো শাখা সংগঠনগুলির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। তাঁর দাবি, এঁদের আত্মসমর্পণ নিরাপত্তা বাহিনীকে বাড়তি মনোবল জোগাবে। তিনি বলেন, “আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ প্রচার কর্মসূচির ফলেই এই সাফল্য।”

    মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা

    এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ (Maoists Surrender) করেছেন তাঁদের মধ্যে রাজেশ কাশ্যপ আমদই অঞ্চলের জনমিলিশিয়া কমান্ডার হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৩ লাখ টাকা। জনতানা সরকার স্কোয়াডের প্রধান কোসা মাদভি ও সিএনএমের নেতা ছোটু কুঞ্জামের মাথার দাম ছিল যথাক্রমে এক লাখ ও ৫০ হাজার টাকা। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মাওবিরোধী অভিযান আরও গতি পেয়েছে। গত বছর বস্তার অঞ্চলে মাওদমন অভিযানে মৃত্যু হয়েছিল ২৮৭ জনের। গ্রেফতার করা হয়েছে হাজারেরও বেশি জনকে। সে বছর আত্মসমর্পন করেছিলেন ৮৩৭ জন। চলতি বছরে মাত্র তিন মাসে খতম হয়েছেন ১৩০ জন মাওবাদী। এতেই চাপে পড়ে গিয়েছে মাওবাদীরা। এদিকে, সরকার ডাক দিয়েছে ঘরে ফেরার (Chhattisgarh)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে ঘরে ফিরছেন মাও-গেরিলারা (Maoists Surrender)।

  • Amit Shah: জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, পরিদর্শন করলেন আন্তর্জাতিক সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট

    Amit Shah: জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, পরিদর্শন করলেন আন্তর্জাতিক সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মুর কাঠুয়া জেলায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের (Jammu Kashmir) একটি ফরওয়ার্ড পোস্ট পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ওই এলাকায় গত দুই সপ্তাহ ধরে পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিল ভারতীয় সেনা। সোমবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ জম্মু থেকে হেলিকপ্টারে হিরানগর সেক্টরে পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে তিনি বিএসএফ আউটপোস্ট ‘বিনয়’-এ পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।

    সীমান্ত পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ৬ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরে তিনদিনের সফরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সরকারি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সেখানে জনসভাও করবেন তিনি। একইসঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর পদস্থ কর্তাদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল দালজিৎ সিং চৌধুরী, জম্মু ফ্রন্টিয়ার বিএসএফের ইন্সপেক্টর জেনারেল শশাঙ্ক আনন্দ এবং জম্মু জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল ভীম সেন তুতি এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ প্রধান নলিন প্রভাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপত্যকায় স্বাগত জানান। রবিবার রাতে শাহ জম্মু পৌঁছানোর পর বিজেপি বিধায়ক ও দলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ব্যাপী বৈঠক শেষে, শাহ ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীরের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাবে।”

    উপত্যকায় উচ্চ সতর্কতা

    স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ভূস্বর্গে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গেও একান্তে বৈঠক করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। এই কাঠুয়াতেই (Jammu Kashmir) গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। যদিও শাহের সফরের সঙ্গে এই অভিযানকে যুক্ত করতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী আবদুল্লা। তিনি বলেন, ‘কাঠুয়ার অভিযানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের কোনও যোগ নেই। অভিযানের আগেই এই সফরের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জম্মুতে সভা করবেন তিনি। তারপর শ্রীনগরে বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।’ উল্লেখ্য জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের পর এটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রথম সফর। তাঁর সফরের জন্য উপত্যকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

  • Shaheen Bagh: পাল্টে গেল শাহিনবাগ! ওয়াকফ আইনের সমর্থনে মুসলিমদের মিছিল, মোদির প্রশংসায় উঠল স্লোগান

    Shaheen Bagh: পাল্টে গেল শাহিনবাগ! ওয়াকফ আইনের সমর্থনে মুসলিমদের মিছিল, মোদির প্রশংসায় উঠল স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার খবরের শিরোনামে চলে এল দিল্লির শাহিনবাগ (Shaheen Bagh)। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে এই শাহিনবাগেই দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল আন্দোলন। কয়েকশো মহিলা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে ধর্নায় বসেছিলেন (Waqf Property)। রবিবার সেই শাহিনবাগেই বের হল বিশাল মিছিল। নয়া ওয়াকফ আইনের সমর্থনেই এদিন পদযাত্রায় যোগ দেন মুসলিমরা। ‘ক্লিন ওখলা গ্রিন ওখলা’ সংগঠনের আহ্বায়ক শাহজাদ আলি ইদ্রিসি বলেন, ‘ক্লিন ওখলা গ্রিন ওখলা’ সংগঠনের এই সমাবেশে শাহিনবাগ ও পার্শ্ববর্তী ওখলা – উভয়ই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা থেকে ৭০ জনেরও বেশি মুসলিম পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন।

    পদযাত্রায় মুসলিমরা (Shaheen Bagh)

    তিনি বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী বিলের সমর্থনে সংগঠনের কর্তারা বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জাতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।” ইদ্রিসি বলেন, “এতকাল ধরে স্বঘোষিত মুসলিম নেতারা, আইএমপিএলবি এবং রাজনৈতিক সুবিধাবাদীরা আমাদের সম্প্রদায়ের কথাকে হাইজ্যাক করে রেখেছে। আজ শাহিনবাগ দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা প্রগতির পক্ষে, তাদের পক্ষে নয় যারা ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবহার করে তাদের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে বা অশান্তির সৃষ্টি করে।” তিনি বলেন, মুসলিম নারীরা, যাঁদের অনেকেই একসময় একই রাস্তায় সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁরাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংস্কার আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। এদিনের পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সিদ্দিকি। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেশ কিছু মুসলিম ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেন, “এটি রাজনীতি সম্পর্কিত কোনও বিষয় নয়। এটি গরিব ও প্রান্তিক সম্প্রদায়ের অধিকার ফিরে পাওয়ার বিষয়। ওয়াকফ লুটের মাধ্যমে যারা নিজেদের (Waqf Property) পকেট ভারী করেছে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার বিষয় (Shaheen Bagh)।”

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    প্রসঙ্গত, ৩০ মার্চ লোকসভায় পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। বিলটি রাজ্যসভায়ও পাশ হয়ে যায়। পরে অনুমোদনের জন্য সেটি পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করায় মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই বিলটি পরিণত হয় আইনে। ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে নানা সময় বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ধর্মীয়, সামাজিক ও দাতব্য কাজের জন্য দান করা ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Property) রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ধর্মগুরু ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ব্যক্তিগত জমিদারিতে পরিণত হয়েছিল।

    দেশজুড়ে সমীক্ষা

    বিলটি লোকসভায় পেশ করার আগে কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে একটি সমীক্ষা করে। সেই সমীক্ষায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। বেরেলিতে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে একটি বাড়ির উল্লেখ থাকলেও, প্রকৃত পক্ষে সেখানে ছিল ২১টি দোকান, দুটি বাড়ি এবং একটি মসজিদ। হাথরাসে তহশিল রেকর্ডে ওয়াকফ সম্পত্তিকে অবৈধভাবে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ছত্তিশগড়ের রায়পুরে ৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে আয় হয়েছিল মাত্র ৫ লাখ টাকা। রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান সালিমরাজ স্বীকার করেন, “প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধ রেজিস্ট্রির পর প্রাইম ওয়াকফ সম্পত্তিতে দোকান ও শোরুম খুলেছে।” বিহারে শিয়া ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে (Shaheen Bagh)।

    এআইএমপিএলবির বিরুদ্ধাচরণ করার ডাক

    ভামসি ডিজিটাল পোর্টালে হাজার হাজার আনভেরিফায়েড ওয়াকফ সম্পত্তি জমা হয়েছে। তা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ও শিয়া বোর্ড সহ রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলি দুবছর আগে জমা দেওয়া সমীক্ষায় প্রাপ্ত ডেটা যাচাই করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজস্থানেই ৭০৬টি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল হওয়ায় ভাজনলাল শর্মার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার রাজ্যস্তরে তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, এদিনের পদযাত্রাটি কেবল ওয়াকফ বিল আইনে পরিণত হওয়ার কারণেই নয়, এটি ছিল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (এআইএমপিএলবি) বিরুদ্ধে এক হওয়ার ডাক। কারণ এই সংস্থাই সুপ্রিম কোর্টে নয়া আইনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভ প্রদর্শনের ডাক দিয়েছে (Waqf Property)।

    কী বললেন সিদ্দিকি

    এদিন সিদ্দিকি সাফ জানিয়ে দেন, “এআইএমপিএলবির কোনও আইনি সংস্থা নয়, জনমানসে তাদের কোনও গ্রহণযোগ্যতাও নেই, অথচ তারা দাবি করে যে তারা সব মুসলমানের পক্ষে কথা বলে। আমি আগেই তাদের ‘বোর্ড’ শব্দটি সরানোর জন্য লিখিত অনুরোধ করেছি। এখন আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তাদের অর্থনীতি, কার্যক্রম এবং মুসলমানদের ভুল পথে চালিত করার ভূমিকা তদন্তের অনুরোধ করব (Shaheen Bagh)।”

    উল্লেখ্য, এই সংস্থাটি মূলত ধর্মীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য গঠিত হলেও, এখন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংস্কারে বাধা দেওয়া, অবৈধ ওয়াকফ সম্পত্তি দখল রক্ষা করা এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার। ইদ্রিসি বলেন, “ওয়াইসি ও মাদানি পরিবার নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয়ে আছে। এই দেশের গরিব মুসলমানদের চাকরি, শিক্ষা ও নিরাপদ বাসস্থান (Waqf Property) চাই, কেবল বিক্ষোভ নয় (Shaheen Bagh)।”

  • Stock Market Crash: রক্তাক্ত শেয়ার বাজার! চার হাজার পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স, কেন এমন হাল? রইল ৫ কারণ

    Stock Market Crash: রক্তাক্ত শেয়ার বাজার! চার হাজার পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স, কেন এমন হাল? রইল ৫ কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক দেশের উপরে বিরাট অঙ্কের শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার জেরে রক্তক্ষরণ গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারে (Stock Market Crash)। বর্ধিত শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই বিপুল অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে ওয়াল স্ট্রিটে। ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর থেকেই ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা ছিল ১৯৮৭ সালের ‘ব্ল্যাক মানডে’র মতোই শেয়ার বাজারে বিরাট ধস নামতে পারে। সোমবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে শুরু করেছে বিশ্বের বাজারে। চিনের সাংহাই কম্পোজিট ইন্ডেক্স ৪.২১ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। ৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে জাপানের নিক্কেই সূচক। দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপির সূচক পড়েছে ৪.৮ শতাংশ। হংকংয়ের শেয়ার বাজার পড়েছে ৯ শতাংশেরও বেশি। অস্ট্রেলিয়া এবং তাইওয়ানের শেয়ার বাজার যথাক্রমে ৬ এবং ৯.৮ শতাংশ পড়েছে। শেয়ার বাজারে (Share Market) রক্তক্ষরণের একই ছবি দেখা যেতে পারে ভারত এবং আমেরিকাতেও। সবমিলিয়ে, ব্ল্যাক মানডের সেই বিপুল ধসের স্মৃতি আবারও ফিরছে বিশ্বের বাজারে।

    ভারতীয় শেয়ার বাজারে পতন

    ভারতের শেয়ার বাজারেও (Stock Market Crash) নামল ধস। সোমবার বাজার খুলতেই একধাক্কায় প্রায় চার হাজার পয়েন্ট পড়ল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) সূচক সেনসেক্স। হাজার পয়েন্ট পড়েছে নিফটিও। বেলা গড়াতে বাজারের হাল খানিকটা ফিরলেও রক্তক্ষরণ অব্যাহত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চড়া হারে শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করার পরেই নিম্নমুখী ভারতের শেয়ার বাজার। লাগাতার পড়েছে সেনসেক্স-নিফটির সূচক। তবে সোমবার বড়সড় পতন হবে গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারে, সেই আশঙ্কা ছিলই। আশঙ্কা সত্যি করে বিরাট পতন হল শেয়ার বাজারে। সপ্তাহের শুরুতে সোমবার বাজার খুলতেই দেখা যায়, প্রায় চার হাজার পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স। ৩৯৩৯.৬৮ পয়েন্ট পড়ে ৭১ হাজারের ঘরে নেমে যায় সেনসেক্স। প্রায় ৩.৯ শতাংশ পতন হয়েছে সোমবার সকালে।

    ধাক্কা নিফটি-সেনসেক্সে

    ট্রেন্ট, টাটা স্টিল, টাটা মোটরস, জেএসডব্লিউ স্টিল, শ্রীরাম ফিনান্স- একের পর এক সংস্থার শেয়ারের দাম হুহু করে পড়ছে। ৪ থেকে ৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে গাড়ি-আইটি সংস্থাগুলির শেয়ার। ৭ শতাংশ পড়েছে আদানি গোষ্ঠীর একাধিক সংস্থার শেয়ার। এই সময়ের মধ্যে নিফটিও ১,১৬০.৮ পয়েন্ট কমে ২১,৭৪৩.৬৫ এ পৌঁছোয়। বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের কারণেই শেয়ার বাজারে এই রক্তক্ষরণ। শুধু দালাল স্ট্রিট নয়, রক্তাক্ত সমগ্র এশিয়ার স্টক মার্কেটই। মার্কিন শেয়ার সূচক ন্যাসড্যাক এবং ডাও জোন্স-এও বড় ধস নেমেছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শুল্ক নীতি ঘোষণার পর পরই। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ভারতের শীর্ষ ৩০টি সংস্থার মিলিত সূচক ২,৫০০ পয়েন্টেরও বেশি কমে। বিনিয়োগকারীদের ১৯ লক্ষ কোটি টাকা এক নিমেষে উধাও হয়ে যায় সপ্তাহের প্রথম দিনেই। বিএসই তালিকাভুক্ত শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টাটা স্টিল (-১০%), টাটা মোটরস (-৭.৮৬%), ইনফোসিস (-৬.৯৮%), টেক মাহিন্দ্রা (-৬.৩৬%) এবং এল অ্যান্ড টি (-৬.৪৫%)। পরে অবশ্য কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার।

    ভারতীয় শেয়ার বাজারে (Stock Market Crash) ধসের প্রধান ৫টি কারণ

    ১. বৈশ্বিক বাজারে বিক্রির প্রবণতা: বিশ্বের প্রায় সব দেশের বাজারে সোমবার ধস নেমেছে। যার মূল কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতিতে কোনও ছাড়ের লক্ষণ না থাকা। তিনি রবিবার বলেছেন যে, শুল্ক একটি ‘ওষুধ’ হিসেবে কাজ করছে এবং তিনি আশা করছেন যে বিদেশি সরকারগুলো শুল্কের হার কমানোর জন্য ব্যাপকভাবে অর্থ প্রদান করবে। ট্রাম্প বলেছেন, “আমি চাই না কিছুই নষ্ট হোক। কিন্তু কখনও কখনও কোনও কিছু ঠিক করতে ওষুধের প্রয়োজন হয়।” এর পরিপ্রেক্ষিতে, এশিয়া, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যাপক ধস নেমেছে। বিশেষ করে এশিয়ায়, তাইওয়ান ওয়েটেড ১০ শতাংশ এবং নিক্কেই ৭ শতাংশ কমেছে।

    ২. শুল্ক প্রভাব: ট্রাম্প প্রশাসন ১৮০টিরও বেশি দেশের উপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছে, যা বাজারে আরও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের শেয়ার বাজারে এই শুল্কের প্রভাব পুরোপুরি মূল্যায়ন করা হয়নি, যার ফলে পরবর্তী সময়ে আরও পতন হতে পারে। এমকেয় গ্লোবাল বলেছে, “প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের শেয়ার বাজারে আরও অবনতি হতে পারে, যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের প্রতি ভারতের সাড়া এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক।”

    ৩. বৃদ্ধির ধীর গতি: এ নিয়ে উদ্বেগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্পের শুল্কের কারণে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে, যা কর্পোরেট লাভ কমিয়ে দেবে এবং গ্রাহক মনোভাবকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। যেহেতু ট্রাম্প এপ্রিল ২ তারিখে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন এবং চিন ৩৪ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির উপর তার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। জেপি মরগান তাদের পূর্বাভাস বাড়িয়ে দিয়েছে, বলেছে যে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি ৬০ শতাংশে পৌঁছেছে।

    ৪. বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীদের (FPI) তহবিলের প্রবাহে হ্রাস: গত মাসে ভারতীয় শেয়ার বাজারে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা কেনাকাটা শুরু করলেও, এপ্রিল মাসে তারা আবার শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেছে। এপ্রিল মাসে ১৩,৭৩০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে, যার ফলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে যে, যদি ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি অনুকূল চুক্তি না করতে পারে তবে বিদেশি তহবিল প্রবাহ আরও কমে যেতে পারে।

    ৫. আরবিআই মনিটরি পলিসি কমিটি (MPC): এপ্রিল ৯ তারিখে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বৈঠক এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিক কোম্পানি ফলাফলগুলির দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আরবিআই সুদের হার কমাতে পারে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য অন্যান্য পদক্ষেপ নিতে পারে। টিসিএস তার মার্চ ত্রৈমাসিক ফলাফল ১০ এপ্রিল প্রকাশ করবে। শেয়ার বাজারের ওপর এই ফলাফল প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতীয় বাজারের পতন এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের অনুমান, আগামী দিনে বাজারে আরও ঝুঁকি বাড়তে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্বেগজনক।

    বিক্রির চাপ, সব সেক্টরে নেতিবাচক প্রবণতা

    বাজারে এমন অস্থিরতা দেখা গেছে যে, প্রতিটি সেক্টরেই নেতিবাচক প্রবণতা ছিল। ব্যাঙ্কিং, টেকনোলজি, অটোমোবাইল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল—সবই বড় ধাক্কা খেয়েছে। এমনকি ঐতিহ্যগতভাবে নিরাপদ বলে বিবেচিত সেক্টরগুলোও বাজারের এই পতনে বাদ পড়েনি। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক স্পষ্ট, যেহেতু কোনও সেক্টরেই ইতিবাচক সংকেত ছিল না।

    বিশ্ব বাজারেও (Stock Market Crash) ধস, ভারতের আশা

    বিশ্ববাজারে এমন পতন শুধু ভারতেই নয়, অন্যান্য বড় বাজারেও দৃশ্যমান। এমএসসিআই এশিয়া এক্স-জাপান ইনডেক্স ৬.৮% কমেছে, জাপানের নিক্কেই ৬.৫% পড়ে গেছে। এদিনের ধসের পেছনে মূল কারণ ছিল শুক্রবার ইউএস ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের মন্তব্য। তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ‘‘অপ্রত্যাশিতভাবে বড়’’ এবং এটি মার্কিন অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতিতে বিশাল প্রভাব ফেলবে। ড. বিজয়কুমার ভারতের জন্য কিছু আশার দিকও দেখছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য খুবই সীমিত, দেশের জিডিপির মাত্র ২ শতাংশের সমান, তাই ট্রাম্পের শুল্ক ভারতের অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব ফেলবে না।’’ এছাড়াও, তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ভারত-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে শুল্ক কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু সেক্টর যেমন ফাইন্যান্স, এভিয়েশন, হোটেল, সিমেন্ট, প্রতিরক্ষা এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম কোম্পানিগুলি এই সংকটের মধ্যেও তুলনামূলকভাবে ভালো পারফর্ম করবে। বিশ্ববাজারের অস্থিরতার প্রভাব ভারতীয় শেয়ার বাজারে (Share Market) বড় ধস সৃষ্টি করেছে, তবে এই পরিস্থিতি সাময়িক হতে পারে। বিনিয়োগকারীদের জন্য এখন সেরা কৌশল হল ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’।

  • PM Modi: আরোগ্যই হল পরম সৌভাগ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে জানালেন মোদি

    PM Modi: আরোগ্যই হল পরম সৌভাগ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস (World Health Day)। প্রতিবছর ৭ এপ্রিল এই দিনটি পালন করা হয়। স্বাস্থ্যই সম্পদ- এ কথাই ফের একবার চর্চিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে। এদিন স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে শোনা গেল ১৪০ কোটি দেশবাসীর প্রধানমন্ত্রীকেও। ভালো স্বাস্থ্য গড়ে তুলতে কী কী করণীয়, সে উপায়ও বাতলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানালেন স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ঠিক কতটা।  তাঁর মতে, ‘‘আরোগ্যই হল পরম সৌভাগ্য।’’  অর্থাৎ ভালো স্বাস্থ্যই হল প্রকৃত সৌভাগ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে নিজের এক্স মাধ্যমে এ নিয়ে লেখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘‘আমাদের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে সংকল্প নিতে হবে, যাতে স্বাস্থ্যকর বিশ্ব আমরা তৈরি করতে পারি।’’

    ভালো স্বাস্থ্য যেকোনও সমাজের ভিত মনে করেন মোদি

    প্রসঙ্গত, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে (World Health Day) উন্নত করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার (PM Modi)। বিগত ১০ বছরে চালু হয়েছে অসংখ্য প্রকল্প। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি তাঁর সরকারের লক্ষ্য রয়েছে বলেও নিজের পোস্টে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার সরকারের লক্ষ্য হল স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও উন্নত করা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের কল্যাণ করা।’’ ভালো স্বাস্থ্য যে কোনও সমাজের ভিত বলেও মন্তব্য করেন মোদি।

    কমাতে হবে রান্নার তেলের পরিমাণ, স্বাস্থ্য রক্ষায় আহ্বান মোদির

    একইসঙ্গে নিজের এক্স মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী এবং তিনি সেখানে লেখেন (PM Modi), ‘‘ওবেসিটি বা স্থূলত্ব হল বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’’ এনিয়ে জনগণের কাছে তিনি আবেদনও জানান। মোদির মতে, বর্তমানে গৃহস্থের বাড়িতে যে পরিমাণে তেল ব্যবহার করা হয়। তার ১০ শতাংশ যেন কম খরচ করেন তাঁরা। এর পরেই তিনি লেখেন, ‘‘আরোগ্যম পরম ভাগ্যম।’’ অর্থাৎ আরোগ্যই হল পরম সৌভাগ্য। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি লাইফ স্টাইল রোগগুলির ওপরেও বলেন। বিশেষত তাঁর বক্তব্য উঠে আসে স্থূলত্ব নিয়ে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে সারা বিশ্বের কাছে স্থূলত্ব একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটি রিপোর্টে বলছে ২০৫০ সালে সারা পৃথিবীতে ৪৪ কোটি মানুষ স্থূলত্বের সমস্যায় ভুগবেন।’’

    উন্নত স্বাস্থ্যচর্চা আমাদের ভালো ভবিষ্যতকে নির্মাণ করে, জানালেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘উন্নত স্বাস্থ্যচর্চা আমাদের ভালো ভবিষ্যতকে নির্মাণ করে। আমাদের প্রতিদিনের যে জীবন যাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে এতে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে ৪৪ কোটি মানুষ স্থূলত্বের সমস্যায় ভুগবেন। এত সংখ্যা সত্যিই আশঙ্কার। আমাদেরকে এর উপর কাজ করতে হবে। যে পরিমাণ রান্নার তেল আমরা ব্যবহার করি তা কমাতে হবে। এর সঙ্গে প্রতিদিন আমাদের শারীরিক অনুশীলনও করতে হবে। এতেই সুস্থভাবে বাঁচতে পরারব আমরা। নিজেকে ফিট রাখতে হবে আমাদের। যাতে বিকশিত ভারতের উন্নতির জন্য আমরা অবদান রাখতে পারি।’’ দেশের মানুষের স্বাস্থ্যপরিষেবার উন্নতির জন্য সদা পদক্ষেপ করছে মোদি (PM Modi) সরকার। যেমন আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাচ্ছেন দেশজুড়ে অসংখ্য মানুষ। এর পাশাপাশি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতাতেও অনেক পদক্ষেপ করা হয়েছে। শিশু স্বাস্থ্য দিকেও নজর দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

    চলতি বছরে হু-এর থিম ‘স্বাস্থ্যকর সূচনা, আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যৎ’

    প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ (WHO) থিম রেখেছে ‘স্বাস্থ্যকর সূচনা, আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যৎ’। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে সচেতনতা ছড়ানো হয় স্বাস্থ্যের গুরুত্বর ওপর। এনিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, সেমিনার ইত্যাদি। ভালো স্বাস্থ্য রাখতে কী কী প্রয়োজন সে বিষয়ের ওপরেও আলোকপাত করেন বক্তারা। একই সঙ্গে বর্তমান বিশ্বে, স্বাস্থ্যের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ কী কী রয়েছে সে নিয়েও আলোচনা করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৫০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে ৭ এপ্রিলকে ঘোষণা করে। বিভিন্ন দেশের সরকার, প্রতিষ্ঠান এবং নানা গোষ্ঠী এই দিনটি পালন করে থাকে।এদিনই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সরকারি বিবৃতি সামনে এসেছে। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (এনএইচএম) ভারতের জনস্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই উদ্যোগগুলি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

LinkedIn
Share