Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • BrahMos Missile: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ বাজিমাত, কীভাবে বিশ্বের নয়নের মণি হয়ে উঠল বাজপেয়ী-কালামের ‘মানসপুত্র’ ব্রহ্মোস

    BrahMos Missile: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ বাজিমাত, কীভাবে বিশ্বের নয়নের মণি হয়ে উঠল বাজপেয়ী-কালামের ‘মানসপুত্র’ ব্রহ্মোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ মে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতের ১৬টি জায়গায় হামলার চেষ্টা চালায় পাক সেনা। এর প্রত্যাঘাত হিসেবে ১০ মে ভোররাতে পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে আকাশপথে পিন-পয়েন্ট অভিযান চালায় ভারত (Operation Sindoor)। প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের গভীরে ঢুকে রফিকি, মুরিদ, নূর খান, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর, সারগোধা এবং চুনিয়ান বিমানঘাঁটির মতো গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে অভিযান চালায়। অভিযান চালানো হয় স্কার্দু, ভোলারি, জাকোবাবাদ এয়ারবেস এবং সিয়ালকোট ও পারসুরে অবস্থিত রেডার স্টেশনেও।

    প্রথমবার লড়াইতেই বাজিমাত ব্রহ্মোসের

    একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কার্দু থেকে শুরু করে ভোলারি, জাকোবাবাদ এবং সারগোধার এয়ারবেসগুলিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবেদনগুলিতে এও দাবি করা হয়, ওই ক্ষতির নেপথ্যে ছিল নাকি ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missile)। সেখানে বলা হয়, প্রথমবারের মতো ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি সরাসরি যুদ্ধে ব্যবহার করেছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। যদিও, ভারত সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে খোলসা করা হয়নি। কিন্তু, ১১ তারিখ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরাসরি জানান, ব্রহ্মোসের ক্ষমতা টের পেয়েছে পাকিস্তান। এর পরই, একাধিক সংবাদমাধ্যমে জোরালো হতে শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ সাফল্যের নেপথ্যে ব্রহ্মোসের ভূমিকার কথা।

    আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ‘শব্দভেদী’ ব্রহ্মোস

    পাকিস্তানে মোতায়েন চিনা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এইচকিউ-০৯’ এবং ‘এইচকিউ-১৬’ ব্রহ্মোসের উপস্থিতি টেরই পায়নি। যদিও এই প্রথম নয়। মিয়াঁ চান্নুর কথা অনেকেরই মনে থাকার কথা। ২০২২ সালে ভারতের ব্রহ্মোস ভুলবশতঃ পাকিস্তানে গিয়ে আছড়ে পড়ে। ভারত জানিয়েছিল, ওটা ‘মিসফায়ার’ হয়েছে। পাকিস্তানের আকাশসীমার ভিতরে মিসাইলটি প্রায় দেড় মিনিট ছিল। কিন্তু, ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) কোনও মিসফায়ার নয়। উল্টে এটা ছিল একেবারে ক্যালকুলেটেড, প্রিশিসন স্ট্রাইক। নির্দিষ্ট লক্ষ্যেই আঘাত। যাতে সম্পূর্ণ সফল ভারতের ব্রহ্মোস। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকে একদিকে বিশ্বে চিনা প্রতিরক্ষা সিস্টেমের ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে, চিনা যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র যেমন বিশ্বে হাসির পাত্র হয়ে উঠেছে। তেমন উল্টোদিকে, এখন তামাম বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ভারতের ‘শব্দভেদী’ ব্রহ্মোস (BrahMos Missile)। চিনা এয়ার ডিফেন্সকে ভূপতিত করে রাতারাতি জায়ান্ট-কিলার হয়ে উঠে এসেছে ভারত-রাশিয়ার যৌথ সহযোগিতায় তৈরি এই সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এতদিন বিশ্ববাসী শুধু ব্রহ্মোসের গুণগান শুনেছিল। এবার প্রথমবার তারা এই ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করল। আর হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এও বলা হচ্ছে, ব্রহ্মোসে ঘায়েল হয়েই পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বুঝে যান, ভারতকে রোখা অসম্ভব। আর কোনও উপায় নেই দেখে সঙ্গে সঙ্গে হোয়াইট হাউস নিবাসীকে ফোন করেন।

    ১৭টি দেশ কিনতে চায় ব্রহ্মোস

    ব্রহ্মোস নিয়ে যে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ মেতে উঠেছে, তা নিছক কল্পনা নয়, ঘোর বাস্তব। এর প্রমাণ মিলতে শুরু করে দিয়েছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিশ্বের অন্তত ১৭টি দেশ ব্রহ্মোস কেনার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা সকলেই ব্রহ্মোসকে ঘরে তুলতে চায়। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এদের অনেককেই চিনের মোকাবিলা করতে হয়। ফলে, বিশ্বে স্পষ্ট বার্তা চলে গিয়েছে— চিনের মোকাবিলা করতে একমাত্র ভরসা ভারত, মায় ভারতের ব্রহ্মোস (BrahMos Missile)। ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্সের মতো দেশকে ৩৭.৫ কোটি ডলারে ব্রহ্মোস বিক্রি করেছে ভারত। এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ-আফ্রিকা থেকে লাতিন আমেরিকা— সকলেই ব্রহ্মোস কেনার বিষয়ে বিপুল উৎসাহ প্রকাশ করেছে। কে নেই সেই তালিকায়— ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, মিশর, সৌদি আরব, আমিরশাহি, কাতার, ওমান, ব্রাজিল, চিলি, আর্জেন্টিনা, ভেনেজুয়েলা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ও বুলেগেরিয়া।

    উপসাগরীয় যুদ্ধ দেখায় প্রয়োজনীয়তা

    তবে, ব্রহ্মোসের এই বিশ্ব-জয় একদিনে আসেনি। আজকের এই সাফল্য ভারতের দুই ভবিষ্যৎদ্রষ্টার চিন্তাভাবনা এবং কয়েক দশকের প্রচেষ্টার ফসল। ব্রহ্মোসের (BrahMos Missile) ভাবনার পত্তন হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। সে বছর শুরু হয় ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আবদুল কালামের নেতৃত্বে এই প্রোগ্রাম চলাকালীন, ভারতীয় রকেট বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীরা পৃথ্বী এবং অগ্নি ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করেছিলেন, যা বর্তমানে দেশের পারমাণবিক-ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষায় অবদান রাখে। তবে, ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধ, ব্যালিস্টিক মিসাইলের পাশাপাশি অস্ত্রাগারে ক্রুজ মিসাইল থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। ভারতীয় নৌসেনা এই প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন ছিল। ভারত মহাসাগীয় অঞ্চলে সামরিক ও প্রযুক্তিগত আধিপত্য অর্জন করা ভারতের মতো দ্রুত উন্নয়নশীল নৌবাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল। সেই সময়ে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করাকে পাখির চোখ করেছিল, অবশ্যই তৎকালীন জোটনিরপেক্ষ নীতির সুক্ষ্ম ভারসাম্যকে ভেঙে না ফেলে।

    বাজপেয়ী-কালামের মানসপুত্র ব্রহ্মোস

    অতঃপর, ১৯৯৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, ভারত ও রাশিয়ার সরকার যৌথ সংস্থা ব্রহ্মোস প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ব্রহ্মোস হল দুই দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ নদী, ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং রাশিয়ার মস্কোর নামের প্রাথমিক অক্ষরের সংমিশ্রণ। রাশিয়ার এনপিও মাশিনোস্ত্রোয়েনিয়া এবং ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) মধ্যে একটি আন্তঃসরকারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য একটি সমবায় সংস্থা গঠন হয় এবং ব্রহ্মোস এরোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড (বিএপিএল) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাই, প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে ব্রহ্মোস (BrahMos Missile) প্রকল্পের জন্য প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিশিষ্ট ভারতীয় রকেট বিজ্ঞানী ডঃ এপিজে আবদুল কালাম, যিনি তখন ডিআরডিও-র দায়িত্বে ছিলেন।

    ২০০১ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ

    সেই সময় এই সংস্থার মূলধন হিসেবে ২৫ কোটি ডলার অনুমোদিত হয়েছিল, যার বর্তমান মূল্য ২,১৩৫ কোটি টাকারও বেশি। গবেষণার জন্য অনুমোদিত অর্থের ৫০.৫ শতাংশ ভারত থেকে এসেছিল, বাকি ৪৯.৫ শতাংশ রাশিয়া সরবরাহ করেছিল। অর্থাৎ, রুশ এবং ভারত সরকার যথাক্রমে ১২.৩৭৫ কোটি ডলার এবং ১২.৬২৫ কোটি ডলার অনুদান দেয়। প্রকল্পটি সেই বছরই একাধিক ডিআরডিও এবং এনপিওএম ল্যাবে শুরু হয়েছিল। ঠিক ২ বছর পর, ২০০১ সালের ১২ জুন, প্রথমবার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয় ব্রহ্মোসের (BrahMos Missile)। ওড়িশার চাঁদিপুরের মিসাইল টেস্ট রেঞ্জের একটি ফিক্সড লঞ্চার থেকে এই উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সেই বছরের অগাস্ট মাসে মস্কোর আন্তর্জাতিক এভিয়েশন শোয়ে আত্মপ্রকাশ করে ব্রহ্মোস। আরও ২ বছর পর, ২০০৩ সালে বঙ্গোপসাগরে একটি জাহাজ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের নৌ-সংস্করণের প্রথম পরীক্ষা হয়। পরের বছর, অর্থাৎ ২০০৪ সালে, মোবাইল গ্রাউন্ড লঞ্চার থেকে প্রথমবার উৎক্ষেপণ করা হয় ব্রহ্মোস।

    আর ফিরে তাকাতে হয়নি…

    ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। বাজপেয়ীর নেতৃত্বে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন ও মোতায়েনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্দেজ। ভারতীয় সেনাবাহিনী ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের (BrahMos Missile) প্রথম অর্ডার দিয়েছিল। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো আইএনএস রণবীর থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে উল্লম্বভাবে (ভার্টিক্যাল লঞ্চ) উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। আর ফিরে তাকাতে হয়নি ব্রহ্মোসকে। ২০০৫ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীতে, ২০০৭ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এবং ২০১২ সালে ক্ষেপণাস্ত্রের বিমান থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য (এয়ার-লঞ্চ) সংস্করণটি অন্তর্ভুক্ত হয় বায়ুসেনায়।

  • India Turkey Relation: অকৃতজ্ঞ! কেন্দ্রের আতসকাচের তলায় ভারতে ‘পাক-প্রেমী’ তুরস্কের বহু প্রকল্প

    India Turkey Relation: অকৃতজ্ঞ! কেন্দ্রের আতসকাচের তলায় ভারতে ‘পাক-প্রেমী’ তুরস্কের বহু প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের পাহেলগাঁও হামলার পর ভারতের (India Turkey Relation) ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে তুরস্কের সঙ্গে একাধিক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক চুক্তি এখন সঙ্কটে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তুরস্কের সঙ্গে সব প্রকল্পের ওপরই কঠোর নজরদারি করছে মোদি সরকার। সূত্রের খবর, টানেল নির্মাণ, মেট্রো রেল, তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিমান পরিবহণসহ বিভিন্ন খাতে চলমান তুরস্কের বিনিয়োগ পুনর্মূল্যায়ন করতে চলেছে কেন্দ্র। এই পর্যালোচনার পেছনে রয়েছে তুরস্কের ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তান-প্রীতি বক্তব্য ও ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান।

    প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন

    তুরস্ক (India Turkey Relation) প্রাথমিকভাবে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলাকে “সন্ত্রাসী কার্যকলাপ” হিসেবে নিন্দা জানিয়েছিল, পরে তাদের অবস্থান ভারতীয় কূটনীতিক মহলে সন্দেহ সৃষ্টি করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এরদোগান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে পাহেলগাঁও হামলার পরে সাক্ষাৎ করেন। নয়াদিল্লির মতে এই সাক্ষাত পাকিস্তানের প্রতি প্রকাশ্যে তুরস্কের সংহতির বার্তা বহন করে। তুরস্ক অপারেশন সিঁদুরকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর “অন্যায্য আঘাত” হিসেবে অভিহিত করে। এর পরপরই ৮–৯ মে রাতে পাকিস্তান তুরস্ক-নির্মিত ড্রোন দিয়ে ভারতের বিভিন্ন সামরিক ও অসামরিক স্থাপনায় নজিরবিহীন হামলা চালায়। লেহ থেকে গুজরাটের স্যর ক্রিক পর্যন্ত ৩৬টি স্থানে হামলা চালানো হয়। এই হামলায় পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে একটি পরিবারের তিন সদস্য আহত হন। এই ঘটনার জেরে মোদি সরকার এখন ভারতের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে যুক্ত তুরস্কের কোম্পানিগুলোর ভূমিকা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা শুরু করেছে। প্রায় ১০.৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।

    অকৃতজ্ঞ তুরস্ক

    পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। তার জেরে পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। সেই সময়ই তুরস্ক পাশে দাঁড়ায় পাকিস্তানের। অথচ, বছর দুয়েক আগের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে যখন তছনছ হয়ে গিয়েছিল তুরস্কের বিস্তীর্ণ অংশ, তখন সবার প্রথমে ত্রাণ নিয়ে সে দেশে হাজির হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। সেই কারণে অন্তত ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল তুরস্কের। তা না করে তারা সমর্থন করল ইসলামাবাদকে।

    কোন কোন চুক্তিতে প্রশ্নচিহ্ন

    বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইন্ডিয়া ব্র্যান্ড ইক্যুইটি ফাউন্ডেশনের (IBEF) ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তুরস্ক থেকে ভারতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) এসেছে ২৪০.১৮ মিলিয়ন ডলার। এই বিনিয়োগ মূলত নির্মাণ, উৎপাদন, বিমান চলাচল, মেট্রো রেল এবং শিক্ষা ও গণমাধ্যমের মতো জ্ঞানভিত্তিক খাতে কেন্দ্রীভূত। গত এক দশকে ভারত ও তুরস্কের মধ্যে বহু সমঝোতা চুক্তি (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আফিম বীজের বাণিজ্য, টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও কূটনৈতিক সহযোগিতা। তবে এখন এই সম্পর্কে চির ধরছে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “তুরস্ক প্রতিষ্ঠান যুক্ত সব প্রকল্প এখন সরকারের বিশেষ পর্যালোচনার আওতায়। সরকারি ও বেসরকারি খাতের সব চুক্তির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।” এই পর্যালোচনায় রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের অটল টানেলের ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল অংশে ২০২০ সালে যুক্ত তুরস্কের একটি কোম্পানি এবং ২০২৪ সালে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (RVNL) সঙ্গে একটি মেট্রো প্রকল্পে তুরস্কের অংশীদারিত্ব।

    ভারতের অবস্থান স্পষ্ট

    তুরস্কের (India Turkey Relation) কাশ্মীর ইস্যুতে বারবার হস্তক্ষেপ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ফলে এই কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক কৌশলগত পুনর্মূল্যায়ন আরও জোরালো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, জম্মু ও কাশ্মীর এবং দিল্লি – অন্তত পাঁচটি রাজ্যে তুরস্কের বিনিয়োগ রয়েছে। এইসব রাজ্যে মেট্রো প্রকল্প, বিমানবন্দর পরিচালনা এবং উৎপাদন কেন্দ্রের মতো উচ্চ-প্রোফাইল প্রকল্পে তুরস্কের অংশীদারিত্ব রয়েছে। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ভারত সফরকালে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো এখন অনেকটাই অর্থহীন হয়ে উঠেছে। সরকারি সূত্র মতে, এখন পর্যন্ত কোনও প্রকল্প বাতিলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও, স্পষ্ট যে ভারত ধীরে ধীরে তুরস্কের অংশীদারিত্ব থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। “ভারত এখন বৈশ্বিক অবস্থান স্পষ্ট করছে। যে কোনও অংশীদারিত্ব ভারতের কৌশলগত স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে তা আস্তে আস্তে বাতিলের পথে যেতে পারে” বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। ভারত-পাক ‘যুদ্ধ’-এ সংঘর্ষবিরতির চার দিন পর পাঞ্জাবের আদমপুরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন, ‘সন্ত্রাস এবং আলোচনা’, ‘সন্ত্রাস এবং বাণিজ্য’ একসঙ্গে চলতে পারে না।

    তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মৌ চুক্তি বাতিল

    ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে সম্প্রতি তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মৌ চুক্তি বাতিল করে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ৷ জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাতে তুরস্ক ও চিনের তৈরি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে ৷ যদিও তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং সেনাবাহিনী ৷ পাকিস্তানের ছোড়া সশস্ত্র ড্রোন, ইউএভি-র বেশ কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছে ৷ সেগুলি পরীক্ষা করে ভারত জানতে পেরেছে, ওই ড্রোনগুলি পাকিস্তানকে সরবরাহ করেছে তুরস্ক ৷ তুরস্কের এই ভারত-বিরোধী অবস্থানের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে বয়কটের ডাক দিয়েছে পর্যটন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যবসায়ী সংগঠন ৷ কার্যত একই পথে হেঁটেছে জেএনইউ ৷

    মার্বেল ব্য়বসায়ীরা মুখ ঘোরাচ্ছে

    জেএনইউ-এর এক শীর্ষ কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, “আমরা তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে করা মৌ চুক্তি বাতিল করেছি ৷ এই চুক্তির আওতায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অধ্যাপক আদান-প্রদানের পরিকল্পনা ছিল ৷ পাশাপাশি দুই দেশের পড়ুয়ারা দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগও পেতেন ৷ কিন্তু এখন আর তা হবে না ৷” চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি এই চুক্তি হয় ৷ দুই দেশের সাংস্কৃতিক গবেষণা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতাকে শক্তিশালী করতে ভারত-তুরস্কের এই চুক্তি হয়েছিল ৷ ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেই সম্পর্ক ছিন্ন করল জেএনইউ ৷ অন্যদিকে, রাজস্থানের মার্বেল ব্য়বসায়ীরা তুরস্কর থেকে মার্বেল পাথর আনতে চাইছেন না ৷ আপেল ও শুকনো ফলের ব্যবসায়ীরাও একই পথে হেঁটেছেন ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল- তিন মাসে ভারত-তুরস্কের মধ্যে ৫.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি বাণিজ্য হয়েছে ৷ কিন্ত ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় তুরস্কের ভূমিকার জন্য এবার বাণিজ্যের পরিমাণ কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের ৷

  • Encounter in Pulwama: ‘জৈশ-ই-মহম্মদ’-এর ৩ জঙ্গি খতম, জম্মু-কাশ্মীরে আরও ৮ সন্ত্রাসবাদীর খোঁজে অভিযান

    Encounter in Pulwama: ‘জৈশ-ই-মহম্মদ’-এর ৩ জঙ্গি খতম, জম্মু-কাশ্মীরে আরও ৮ সন্ত্রাসবাদীর খোঁজে অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের বিষদাঁত গুঁড়িয়ে দিতে তৎপর ভারত সরকার। মঙ্গলবারের পরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফের বড় সাফল্য উপত্যকায়। বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) পুলওয়ামা (Encounter in Pulwama) জেলার ত্রাল এলাকার নাদির গ্রামে জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে খতম করল সেনাবাহিনী। সূত্রের খবর, এই তিনজনের নাম আসিফ আহমেদ শেখ, আমির নাজির ওয়ানি এবং ইয়াওয়ার আহমদ ভাট। তারা প্রত্যেকেই জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা ছিল বলে খবর।

    জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের খোঁজে অভিযান

    সূত্রের খবর, আসিফ আহমেদ শেখের বয়স ২৮। জৈশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের হয়ে ২০২২ সাল থেকে অবন্তীপুরায় সক্রিয় ছিল। আমির নাজির ওয়ানির বয়স ২০। ইয়াওয়ার আহমেদ ভাটের বয়স ২৪ বছর। এরা জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদে ছিল ২০২৪ সাল থেকে। পুলওয়ামায় সক্রিয় ছিল। গত ৪৮ ঘণ্টায় এই নিয়ে দ্বিতীয় এনকাউন্টার হলো ভূস্বর্গে। মঙ্গলবার সকালেই কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার কেল্লারে তিন জঙ্গিকে খতম করেছিল বাহিনী। তারা লস্কর-ই-তৈবার সদস্য ছিল বলে জানা গিয়েছে। পহেলগাঁও হামলার পরে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) জঙ্গি নিকেশ করতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে অভিযান। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি সূত্রের দাবি, পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পরে লস্করের ১৪ জঙ্গি জম্মু-কাশ্মীরে (Encounter in Pulwama) সক্রিয় ছিল। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬ জঙ্গি সেনাবাহিনীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার নিহত হয় শাহিদ কুট্টে, আদনান সফি দার এবং আসান আহমেদ শেখ। সূত্রের খবর, এখনও হাই প্রোফাইল ৮ সন্ত্রাসবাদী জম্মু-কাশ্মীরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পাক জঙ্গিদের লজিস্টিক-সহ যাবতীয় সাপোর্ট জোগাচ্ছে তারা। তাদের ধরতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। গোয়েন্দাদের অনুমান, উত্তর কাশ্মীরে এখনও ৪৪ জন পাকিস্তানি জঙ্গি লুকিয়ে আছে। স্থানীয় জঙ্গির সংখ্যা ৬৬। দক্ষিণ কাশ্মীরে স্থানীয় জঙ্গির সংখ্যা ১০৯। পাক জঙ্গির সংখ্যা মাত্র ৭। আর এদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে পহেলগাঁওয়ের নারকীয় হত্যালীলা চালানো পিশাচরা। তাঁদের চিহ্নিত করে নিকেশ না করা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলবে সেনা অপারেশেন।

    মণিপুরে হত ১০ জঙ্গি

    মণিপুরেও (Manipur) সেনাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হল ১০ জঙ্গির। বুধবার সে রাজ্যের মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া চান্দেল জেলায় জঙ্গিদের উপস্থিতির কথা জানতে পারে সেনা। তার পরেই ওই জেলার নিউ সামতাল গ্রামে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। জঙ্গিদের তরফে গুলি ছোড়া শুরু হয়। পাল্টা গুলি চালিয়ে ১০ জঙ্গিকে নিকেশ করেন অসম রাইফেলসের সদস্যেরা। ওই জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে মণিপুরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া ওই এলাকায় হানা দেন অসম রাইফেলসের স্পিয়ার কর্পসের সদস্যেরা। তল্লাশি এবং জঙ্গিদমন এখনও চলছে বলে সেনার তরফে জানানো হয়েছে।

  • Operation Sindoor: মাত্র ২৩ মিনিটেই সফল ‘অপারেশন সিঁদুর’, কীভাবে চিনা প্রতিরক্ষা ধ্বংস করা হয়, জানাল কেন্দ্র

    Operation Sindoor: মাত্র ২৩ মিনিটেই সফল ‘অপারেশন সিঁদুর’, কীভাবে চিনা প্রতিরক্ষা ধ্বংস করা হয়, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ২৩ মিনিটেই ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) সফল করতে সক্ষম হয়েছে। বুধবারই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবিষয়ে জানিয়েছে। পাকিস্তানের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকেজো করেই এই হামলা চালিয়েছে ভারত। এই ভাবেই ধ্বংস করা হয়েছে একের পর এক জঙ্গিঘাঁটি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, সম্পূর্ণ অভিযানে ভারতের কোনও সম্পত্তির কোনও ক্ষতি হয়নি।

    কী বলা হল প্রতিরক্ষামন্ত্রকের বিবৃতিতে?

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে (Operation Sindoor) বলা হয়েছে, ‘‘অপারেশন সিঁদুরে পেচোরা, ওএসএ-একে এবং এলএলএডি বন্দুকের মতো যুদ্ধ-প্রমাণিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (ব্যাট্‌ল প্রোভেন এডি) ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবহৃত হয়েছে ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র। ‘আকাশ’ একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, যা সংবেদনশীল এলাকাগুলিকে আকাশপথে হামলার হাত থেকে রক্ষা করে। ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থলবাহিনী, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার সম্মিলিত সম্পদের মাধ্যমে গঠিত, যা দেশের আকাশে অভেদ্য দেওয়াল তৈরি করে দিয়েছিল। পাকিস্তান এর ফলে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।’’

    দেশের উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রুখে দেয় পাক হামলার প্রচেষ্টা

    প্রসঙ্গত, ৭ এবং ৮ মে রাতে পাকিস্তান ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র (Operation Sindoor) ব্যবহার করে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরে এই হামলার চেষ্টা করা হয়। অবন্তীপোরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভূজ সহ বেশ কয়েকটি শহরে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। ভারতের (India) উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এগুলিকে অকেজো করে দেয়।

    ‘লয়টারিং মিউনিশনস্‌’ বা আত্মঘাতী ড্রোন হামলা চালায় ভারত

    ভারত (India) প্রত্যাঘাত চালানোর জন্য নিশানা করে পাকিস্তানের নূর খান এবং রহিমইয়ার খান বায়ুসেনা ঘাঁটিকে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Operation Sindoor) জানিয়েছে, এই ঘাঁটিগুলিতে হামলার জন্য ‘লয়টারিং মিউনিশনস্‌’ ব্যবহার করা হয়েছে। এটি কী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ‘লয়টারিং মিউনিশনস্‌’ এক ধরনের আত্মঘাতী বা কামিকাজে ড্রোন, যা নির্দিষ্ট এলাকায় পৌঁছায়। এরপর আকাশে বেশ কিছু ক্ষণ ঘুরে বেড়ায়। তারপরেই হামলার উপযুক্ত জায়গা চিহ্নিত করে এবং আঘাত হানে।

    কোনও হামলাতেই ভারতের কোনও সম্পত্তির ক্ষতি হয়নি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘কোনও হামলাতেই (Operation Sindoor) ভারতের সম্পত্তি ধ্বংস হয়নি। আমাদের প্রযুক্তি, পরিকল্পনা এবং নজরদারির কার্যকারিতা এর থেকেই প্রমাণিত হয়। ভারতের বায়ুসেনা চিনের দেওয়া পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা পাশ কাটিয়েছে এবং অকেজো করে দিয়েছে। সমগ্র মিশন ২৩ মিনিটে সম্পন্ন হয়েছে। ভারতের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ এর থেকে প্রমাণিত হয়।’’

    চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ও তুরস্কের ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার

    একইসঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) পাকিস্তানের কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রমাণ সহ তুলে ধরেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। পাকিস্তানের হামলার চেষ্টার পরেই ভারতের মাটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চিনে তৈরি পিএল-১৫ মিসাইলের টুকরো। একইসঙ্গে তুরস্কের ইউএভি ‘ইহা’ এবং একাধিক রকেটও উদ্ধার হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়েছে কোয়াডকপ্টার ও ড্রোনেরও। এগুলি পাকিস্তান থেকে ছোড়া হয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    বহুস্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তান যে প্রত্যাঘাতের চেষ্টা চালাবে তা আগেই আন্দাজ করেছিল ভারতীয় সেনা। সেই অনুযায়ীই বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছিল সমস্ত যুদ্ধ সরঞ্জাম। ভারতের সীমান্তের আকাশজুড়ে তৈরি ছিল ‘কাউন্টার আনম্যান্‌ড এরিয়াল সিস্টেম’, ‘শোল্ডার-ফায়ার্‌ড অস্ত্র, লিগ্যাসি এয়ার ডিফেন্স অস্ত্র এবং মডার্ন এয়ার ডিফেন্স অস্ত্র। এমন বহুস্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান।

    সাহায্য করেছে ইসরোর উপগ্রহ

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একথাও নিজেদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরোর ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ অনবরত কাজ করছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে সফল করতে। তাদের সাহায্যেই সমুদ্র ও ভারতের বিস্তীর্ণ উত্তর ভাগে নজরদারি চালানো হয়।

    আকাশের মতো দেশীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও ব্যবহার করা হয়

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর অংশ হিসেবে, পেচোরা, ওএসএ-একে এবং এলএলএডি বন্দুক এর মতো যুদ্ধ সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এর ফলেই ভারত রুখে দেয় পাকিস্তানের বিমান, ড্রোন ও মিসাইল হামলা। আকাশের মতো দেশীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এতেই কুপোকাত হয় পাকিস্তানের হামলার প্রচেষ্টা। প্রসঙ্গত, আকাশ হল একটি স্বল্প-পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম। বিমান হামলা থেকে স্থানগুলিকে রক্ষা করে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এতে ইলেকট্রনিক কাউন্টার-কাউন্টার মেজারস (ECCM) বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে অপপ্রচার! চিন-তুরস্কের সোশ্যাল হ্যান্ডল নিষিদ্ধ করল ভারত, কোপ বাংলাদেশের ৬টিতেও

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে অপপ্রচার! চিন-তুরস্কের সোশ্যাল হ্যান্ডল নিষিদ্ধ করল ভারত, কোপ বাংলাদেশের ৬টিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের পর এবার চিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল স্ট্রাইক করল ভারত। ভারতীয় সেনা এবং অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে, চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস (Global Times) এবং শিনহুয়া সংবাদ সংস্থার এক্স হ্যান্ডেল নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতে। এর আগেও বেজিংয়ে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে গ্লোবাল টাইমস-কে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, ভুল তথ্য ছড়ানোর আগে যাচাই করে নিতে। বেশকিছু পাকিস্তান সমর্থিত প্রচারমাধ্যম লাগাতার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে জনগনের সামনে ভুল তথ্য পরিবেশন করছে এবং জনমানসে ভুল ধারণা তৈরি করছে বলে অভিযোগ। চিনের প্রচারমাধ্যমের সঙ্গেই তুরস্কের প্রচারমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড-এর এক্স হ্যান্ডেলও নিষিদ্ধ হয়েছে ভারতে।

    কেন নিষিদ্ধ

    ‘গ্লোবাল টাইমস’ ভারতীয় সেনার অভিযান ‘অপরেশন সিঁদুর’ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন ভারতীয় নাগরিককে হত্যার পর পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়েছে ভারত। এই হামলা নিয়েই চিনা মিডিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ করেছে দিল্লি। ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর মতোই অভিযুক্ত সংবাদসংস্থা ‘শিনহুয়া’র এক্স হ্যান্ডল। সেটিকেও ভুল তথ্য পরিবেশনের অভিযোগে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

    চিনের ‘ইগো হার্ট’ 

    চলতি সপ্তাহের শুরুতে বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাস নিন্দা করেছিল গ্লোবাল টাইমসের বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন নিয়ে। পাশাপাশি তাদের সম্প্রচার নিয়ে সতর্কও করা হয়েছিল। দূতাবাসের বার্তায় বলা হয়, “প্রিয় গ্লোবালটাইমস আমাদের সুপারিশ হল বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করার আগে তথ্য যাচাই করুন এবং তথ্যের উৎসগুলি যাচাই করুন।” পাশাপাশি দূতাবাসের এক্স হ্যান্ডেলে আরও জানানো হয়, পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল একাধিক সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ভারতীয় বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত ভিত্তিহীন দাবি প্রচার করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের বন্ধুত্বের কথা এখন আট থেকে আশি সকলেরই জানা। ভারতের সঙ্গে সংঘাতের আবহে একাধিক চিনা অস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। তবে সেসবই ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে ভারত। তাতেই চিনের ‘ইগো হার্ট’ হয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। তাই এমন প্রচার বলে মনে করা হচ্ছে।

    নিষিদ্ধ বাংলাদেশের ৬টি ইউটিউব চ্যানেল

    এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুরোধে ভারতে ছয়টি বাংলাদেশি ইউটিউব চ্যানেলও নিষিদ্ধ করেছে ইউচিউব। সেগুলি হল— যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন এবং মোহনা টিভির ইউটিউব চ্যানেল। সময় টিভি ও ডিবিসি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলের সম্প্রচারও ভারত থেকে বন্ধ করা হয়েছে। চ্যালেনগুলি ওপেন করা হলে বলা হচ্ছে, ভারতে এগুলি দেখা যাবে না। জাতীয় নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার উদ্দেশে প্রদর্শন বন্ধ রাখা হয়েছে। এর আগে পাকিস্তানের বহু অভিনেতা ও নেটপ্রভাবীদের ইউটিউব চ্যানেল ভারতে ব্লক করা হয়।

  • NDA: অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনে খড়কুটোর মতো ভেসে গেলেন বিরোধীরা

    NDA: অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনে খড়কুটোর মতো ভেসে গেলেন বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Polls) খড়কুটোর মতো ভেসে গেলেন বিরোধীরা। বিপুল জয় পেল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)। বছর ঘুরলেই অসম বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের শাসক দল যে বাড়তি অক্সিজেন পেল, তা বলাই বাহুল্য।

    জেলা পরিষদে বিপুল জয় (NDA)

    অসমে জেলা পরিষদের আসন রয়েছে ৩৭৬টি। তার মধ্যে ৩০০টিতেই জয়ী হয়েছেন এনডিএ প্রার্থীরা। শতাংশের বিচারে এনডিএ পেয়েছে ৭৬ শতাংশেরও বেশি ভোট। পঞ্চায়েতেও জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রেখেছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দল এবং তাদের সহযোগীরা। রাজ্যে পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ২ হাজার ১৯২টি। তার মধ্যে এনডিএ পেয়েছে ১ হাজার ৪৩৬টি আসন। শতাংশের বিচারে ভোটের হার ৬৬।

    কী বললেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক জয় পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, “এই ফল বিজেপি ও আমাদের এনডিএ অংশীদারদের ওপর জনগণের আস্থার প্রতিফলন ঘটায়। তারা আমাদের ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে প্রাণিত করেছে। ওই নির্বাচনে আমরা কমপক্ষে ৯৫টি আসন জিততে পারি।” অসম বিধানসভার আসন সংখ্যা ১২৬। গত বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ জিতেছিল ৭৫টি আসনে। উপনির্বাচনের পর এনডিএর আসন বেড়ে হয়েছে ৮৪টি।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর হিমন্ত বলেন, “অসম বিধানসভায় এনডিএর আসন সংখ্যা ছুঁতে পারে ১০৪-এর কোঠা।” বিপুল ভোটে জয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ এবং বিএল সন্তোষকেও।

    অসমের বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ শইকিয়া বলেন, “গ্রামীণ উন্নয়নের প্রতি এনডিএ (NDA) সরকারের প্রতিশ্রুতি আমাদের জেলা পরিষদ এবং আঞ্চলিক পরিষদের ৮০ শতাংশেরও বেশি আসন নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে।” তিনি বলেন, “ঐতিহাসিক এবং নির্ণায়ক এই জয় দেখায় যে মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে ভোট দিয়েছেন।”

    প্রসঙ্গত, অসমে মোট গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন ২১ হাজার ৯২০ জন। তার মধ্যে (Panchayat Polls) মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন ১০ হাজার ৮৮৩টি (NDA)।

  • Bhargavastra: ওড়িশায় সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ, শত্রুর সোয়ার্ম ড্রোন হামলা রুখতে আসছে ‘ভার্গবাস্ত্র’

    Bhargavastra: ওড়িশায় সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ, শত্রুর সোয়ার্ম ড্রোন হামলা রুখতে আসছে ‘ভার্গবাস্ত্র’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘ভার্গবাস্ত্র’-এর (Bhargavastra) সফল পরীক্ষা করল ভারত (India)। ভার্গবাস্ত্র হল এক কম খরচের ড্রোন-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা আকাশপথে শত্রুদের সোয়ার্ম ড্রোন হামলা দক্ষভাবে প্রতিহত করবে। সদ্য শেষ হওয়া সংঘাতে প্রধানত ড্রোন হামলাকেই হাতিয়ার করেছিল পাকিস্তান। সেই কারণে ভারতের এই নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সফল পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভার্গবাস্ত্র নিয়ে এক কথায়, ইসলামাবাদকে (Islamabad) বার্তা দিয়ে রাখল নয়াদিল্লি (New Delhi)।

    কীভাবে তৈরি ভার্গবাস্ত্র

    দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘ভার্গবাস্ত্র’ মঙ্গলবার সফল ভাবে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পাকিস্তান থেকে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। তার বেশির ভাগই প্রতিহত করেছে ভারত। এই অবস্থায় মঙ্গলবার ওড়িশার গোপালপুর উপকূলে দেশীয় ‘মাইক্রো মিসাইল’গুলি পরীক্ষা করা হয় এবং সেগুলি প্রতিটি মাপকাঠিতেই সফল হয়েছে বলে খবর। ড্রোন ধ্বংসকারী ছোট মাপের এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি তৈরি করেছে ‘সোলার ডিফেন্স অ্যান্ড এরোস্পেস লিমিটেড’ (এসডিএল)। নির্মাতা সংস্থা ‘সোলার গ্রুপ’ জানিয়েছে, ‘মাইক্রো মিসাইলের’ উপর ভিত্তি করে এই ড্রোন ধ্বংসকারী ব্যবস্থাটি তৈরি করা হয়েছে।

    তৈরির খরচ খুব বেশি নয়

    এটি তৈরির খরচ খুব বেশি নয়, ‘হার্ড কিল মোড’-এর সাহায্যে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন আক্রমণ ঠেকিয়ে দিতে পারবে এই সিস্টেম। ১৩ মে ওড়িশার গোপালপুরে সিওয়ার্ড ফায়ারিং রেঞ্জে ভার্গবাস্ত্রের পরীক্ষা হয়। আর্মি এয়ার ডিফেন্স-এর শীর্ষ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে তিনটি ট্রায়ালে সমস্ত লক্ষ্য পূরণ করেছে ভার্গবাস্ত্র সিস্টেমের মাইক্রো রকেটগুলি। প্রথম দুটি ট্রায়ালে একটি করে রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। তৃতীয় ট্রায়াল হয়েছে স্যালভো মোডে অর্থাৎ এক্ষেত্রে দুই সেকেন্ডের ব্যবধানে দুটি রকেট ছোড়া হয়। চারটি রকেটই নিজেদের অভীষ্ট্য লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে আকাশপথে হামলায় ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা শক্তিশালী করল ভার্গবাস্ত্র।

    ভার্গবাস্ত্রের কার্যকারিতা

    প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূর পর্যন্ত সন্দেহজনক ড্রোনের গতিবিধি শনাক্ত করার ক্ষমতা রয়েছে ‘ভার্গবাস্ত্রের’। যে কোনও ছোট মাপের ড্রোন শনাক্ত করে সেগুলি ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এগুলির। মনুষ্যবিহীন আকাশযান (UAV) হামলায় দারুণ কার্যকর ভার্গবাস্ত্র। এতে রয়েছে দ্বি-স্তরীয় আক্রমণ পদ্ধতি। আগামী দিনে ড্রোন হানার মোকাবিলা করতে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেশকে অনেকাংশে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Arunachal Pradesh: চিন যতই নিত্যনতুন নামকরণ করুক, অরুণাচল নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি ভারতের

    Arunachal Pradesh: চিন যতই নিত্যনতুন নামকরণ করুক, অরুণাচল নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে এবার বেজিংকে নরমে-গরমে সতর্ক করল নয়াদিল্লি। ভারতের অংশ অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) নিয়ে চিনের দাদাগিরি যে মোটেও বরদাস্ত হবে না, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিল সাউথ ব্লক। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে, চিন ক্রমাগত ভারতের অন্তর্ভুক্ত রাজ্য অরুণাচলের নাম পরিবর্তনের অযৌক্তিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটা একেবারেই নীতি বিরুদ্ধ।’

    অরুণাচল প্রদেশের নাম পরিবর্তনের চেষ্টা ‘ব্যর্থ’

    বেজিঙের অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) কিছু অংশের নাম পরিবর্তনের চেষ্টার আর‌ও এক বার তীব্র প্রতিবাদ জানাল ভারত। চিনকে মনে করিয়ে দিল, অরুণাচল প্রদেশ ভারতেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ! ভারতের বিদেশ মন্ত্রক চিনের প্রচেষ্টাকে ‘ব্যর্থ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘‘আমরা লক্ষ্য করছি, চিন ভারতের অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানের নামকরণের জন্য নিরর্থক এবং অযৌক্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’’ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমাদের নীতিগত অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা চিনের প্রচেষ্টাকে সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। নামকরণ করলেই তা অনস্বীকার্য বাস্তবতাকে পরিবর্তন করতে পারবে না। চিন যতই নিত্যনতুন নামকরণ করুক, অরুণাচল ভারতেরই অংশ ছিল, আছে এবং সর্বদাই থাকবে।’’ অরুণাচলের ভৌগোলিক অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এবং চিনের সীমান্ত- বিবাদের অন্যতম কারণই অরুণাচলের উপর বেজিঙের দাবি। ভারতের এই রাজ্যটি চিনের তিব্বতের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে। বেজিং বরাবর দাবি করে, অরুণাচল ঐতিহাসিক ভাবে তিব্বতেরই অংশ। যদিও ভারত সেই দাবির বিরোধিতা করে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অরুণাচল নিয়ে আঞ্চলিক বিরোধের পাশাপাশি এই রাজ্যের জলসম্পদ ব্যবহার নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

    নাম পরিবর্তন প্রথম নয়

    অরুণাচল (Arunachal Pradesh) তাদের অংশ বলে বহু দিন ধরেই দাবি করে আসছে চিন। ভারত এবং চিনের মধ্যে সংঘাতের অন্যতম কারণই হল অরুণাচল। চিন প্রায়শই উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্থানের নাম পরিবর্তন করে মানচিত্র প্রকাশ করে থাকে। গ্লোবাল টাইমস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বেজিং অরুণাচল প্রদেশের নাম পরিবর্তন করে জাংনান করে দিয়েছে। এ ছাড়াও ওই রাজ্যের ১২টি পাহাড়, চারটি নদী, একটি হ্রদ, একটি পর্বত গিরিপথ, ১১টি জনবসতিপূর্ণ এলাকার নাম বদলে দিয়েছে চিন। এই প্রথম নয়, ২০১৭ সাল থেকে এই নাম পরিবর্তনের খেলা খেলছে বেজিং। সেই বারই প্রথম নিজেদের দেশের প্রকাশিত মানচিত্রে অরুণাচলপ্রদেশের ছয়টি জায়গার নাম পরিবর্তন করে দেয় চিন। পরে ২০২১ ও ২০২৩ সালেও অরুণাচলপ্রদেশের জায়গার নতুন নতুন নামের তালিকা প্রকাশ করে তারা।

  • India Bangladesh Relation: ‘গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব’, বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ নিষিদ্ধ হওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    India Bangladesh Relation: ‘গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব’, বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ নিষিদ্ধ হওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকারের আমলে একাধিক কাজকর্ম নিয়ে এর আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। এবার শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগকে (Awami League) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা নিয়ে গর্জে উঠল নয়াদিল্লি (India Bangladesh Relation)। বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এভাবে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উদ্বেগজনক। ভারতের স্পষ্ট বার্তা – সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ছাড়া রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা গণতন্ত্র-বিরোধী।

    ভারতের প্রতিক্রিয়া (India Bangladesh Relation)

    মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আওয়ামি লিগকে প্রক্রিয়া ছাড়াই নিষিদ্ধ করার ঘটনা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। আমরা রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক পরিসর সংকুচিত হওয়া নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের পক্ষে ভারত। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আশা করি, বাংলাদেশে দ্রুত অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করা হবে। গণতন্ত্র ফিরবে।” বাংলাদেশ সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা নিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও হাসিনা উচ্ছেদ আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”

    বাংলাদেশের বিবৃতি

    ভারতের ওই প্রতিক্রিয়ার পর বাংলাদেশের তরফে মহম্মদ ইউনূসের একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, “আমরা দেখেছি, কীভাবে আমাদের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করেছে আওয়ামি লিগ, রাজনৈতিক পরিসর কম করে দিয়েছে, গত ১৫ বছরের শাসনকালে আমাদের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার কারণেই এই দলটিকে নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন ছিল।” অন্তর্বর্তী সরকারের (India Bangladesh Relation) তরফে আরও বলা হয়, “আমরা দেখেছি, কীভাবে ভোটের নামে প্রহসন করা হয়েছে এতদিন। আমরা দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চাই। নির্বাচন একেবারেই আমাদের নিজস্ব বিষয়। আমাদের নির্বাচন, সার্বভৌমত্বকে সবাই সম্মান করি, এবং এটাই আমাদের কাম্য।”

    ছেঁদো যুক্তি!

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার জেরে শুরু হয় ভারত-পাক সংঘাত। এই আবহে গত শনিবার মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামি লিগের কার্যকলাপ।’ ইউনূস সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই (Awami League) আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থেই আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে (India Bangladesh Relation)।

    শাহবাগ ব্লকেড

    জুলাই আন্দোলনের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। তার পর থেকেই সে দেশে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠতে শুরু করে। আওয়ামি লিগের ছাত্র শাখা বাংলাদেশ ছাত্র লিগকে কয়েক মাস আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি বাংলাদেশের নয়া রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবিতে টানা তিন দিন ধরে কর্মসূচি শুরু করেছিল। গত শুক্রবার থেকে শাহবাগ ব্লকেড নামে একটি কর্মসূচিও শুরু করেছে তারা (India Bangladesh Relation)। সেই আবহেই শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টার ওই বৈঠক শেষে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাকিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা-সহ অন্যান্য যা যা বিষয়ে বিচার চলছে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ থাকবে আওয়ামি লিগের সব রকমের কার্যক্রম। এদিনের ওই বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনের সংশোধনীও অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুসারে ট্রাইব্যুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার শাখা সংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকেও এবার থেকে শাস্তি দিতে পারবে (Awami League)।

    একাধিকবার শিরোনামে এসেছে বাংলাদেশ

    সম্প্রতি ওয়াকফ অশান্তি ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার আগে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে ছিল বাংলাদেশ। কারণ সেই সময় বাংলাদেশে মৌলবাদীদের দাপট চরমে ওঠে। যখন যা ইচ্ছে, তাই করে তারা। হিন্দুদের ওপর আক্রমণও করতে শুরু করে। ভাঙতে থাকে মাজারও (India Bangladesh Relation)। বাংলাদেশের মহিলা ফুটবল টিমের খেলা বন্ধ করে দেয়। এই মৌলবাদীরা ক্রেন-বুলডোজার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বাড়িও ভাঙে। তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। দেদার লুটপাট করতে শুরু করে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়িতেও তাণ্ডব চালায়। বাংলাদেশজুড়ে আওয়ামি লিগ নেতাদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। সব দেখে শুনেও মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূস! যারা তাণ্ডব চালাচ্ছে, তাদের গ্রেফতার না করে, যাদের ওপর হামলা হচ্ছে (Awami League), তাদের ধরতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করে ইউনূস সরকার। সেই ইউনূস সরকারই এবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিল আওয়ামি লিগকে।

    ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে গিয়েছে খোদ ইউনূসেরও (India Bangladesh Relation)!

  • BSF: ভারতের চাপে ২২ দিন পর বাংলার বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ানকে ফেরাল পাকিস্তান

    BSF: ভারতের চাপে ২২ দিন পর বাংলার বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ানকে ফেরাল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের চাপের কাছে অবশেষে নতি স্বীকার করল পাকিস্তান (India Pakistan Conflict)। অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের আরও বড় কূটনৈতিক জয়। ২২ দিন পর পাকিস্তান থেকে ছাড়া পেলেন বাংলার বাসিন্দা, বিএসএফ (BSF) জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ ওরফে পিকে সাউ। সীমান্তের ওপারে ভুলবশত চলে গিয়েছিলেন পূর্ণম সাউ (Purnam Sau)। ২৩ এপ্রিল থেকে পাকিস্তানের রেঞ্জার্সের কাস্টডিতে ছিলেন। বুধবার তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ জানিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরেছেন পূর্ণম।

    ২২ দিন পর মুক্তি

    বিএসএফ (BSF) আইজি পাঞ্জাব ফ্রন্টিয়ার জানালেন, আটারি সীমান্তে বুধবার সকালে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। তারপর পাকিস্তান পূর্ণম সাউকে ভারতের হাতে তুলে দেয়। জানা গিয়েছে, শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন পূর্ণম। তবে তিনি মানসিকভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পরদিন গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের পাঠানকোটে কর্মরত অবস্থায় ভুল করে পাকিস্তানে ঢুকে গাছের তলায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন পূর্ণম। তখনই পাক রেঞ্জার্স তাঁকে ধরে। সীমান্তে এমন ঘটলে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’-এর পরে সংশ্লিষ্ট জওয়ানকে মুক্তি দেওয়াই দস্তুর। কিন্তু পূর্ণমকে তখন ছাড়েনি পাকিস্তান। ২২ দিন ধরে আটকে রেখেছিল।

    ভারতের কূটনৈতিক জয়

    অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) রীতিমতো পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে ভারত। স্থগিত করা হয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। কেবল অস্ত্রে নয়, ভারতের কূটনৈতিক চালেও পাকিস্তান বিধ্বস্ত। প্রবল চাপের মুখে শেষমেশ পূর্ণমকে ছাড়তে বাধ্য হল পাকিস্তান। পূর্ণম হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা। উত্তরপাড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে পূর্ণমকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সতীশচন্দ্র দুবে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘অভিনন্দনের মতো (বায়ুসেনার পাইলট গ্রুপ ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্তমান) পূর্ণমকেও ছাড়িয়ে আনা হবে।’’

    অবশেষে প্রত্যর্পণ

    পূর্ণম পাঞ্জাবের পঠানকোটের ফিরোজপুরে ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল। স্বামীকে মুক্ত করার ব্যাপারে তদ্বির করতে আট বছরের ছেলে এবং আত্মীয়দের নিয়ে গত ২৮ তারিখ হিমাচল প্রদেশের কাংড়ায় বিএসএফের সদর দফতরে গিয়েছিলেন স্ত্রী রজনী সাউ। স্বামীর কর্মস্থলেও যান তিনি। তাঁরা ফিরোজপুর সীমান্তেও যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে সেখানে যাওয়ার ছাড়পত্র মেলেনি। বাড়ি ফিরে স্বামীর মুক্তির অপেক্ষায় প্রহর গুনেছেন রজনী। অবশেষে অভিনন্দনের মতো মুক্তি পেলেন তাঁর স্বামী। বুধবার বিএসএফ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের নিরন্তর চেষ্টা, পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সঙ্গে ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’ এবং বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আলোচনা সফল হয়েছে। পূর্ণমকে প্রত্যর্পণ করেছে পাকিস্তান।

    পাক রেঞ্জারও ফিরলেন দেশে

    পূর্ণমের ছাড়া পাওয়ার পরেই সৌজন্যতা বজায় রেখে রাজস্থান থেকে আটক পাক রেঞ্জারকে মুক্তি দিল ভারত। পাকিস্তানি রেঞ্জার মোহাম্মদ্দুল্লাহ্‌কেও মুক্তি দিয়েছে ভারত। দিন কয়েক আগে রাজস্থান থেকে আটক করা হয়েছিল তাঁকে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার সকালে ওই পাক রেঞ্জারকে তাঁর দেশে ফিরিয়েছে ভারত। জানা যাচ্ছে, প্রোটোকল মেনে দুই দেশ বন্দিদের হস্তান্তর কার্যকর করল।

LinkedIn
Share