Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Rahul Gandhi: আরও একটি নির্বাচন, আরও একবার পরাজয়! রাহুলকে পুরস্কার দিন, তোপ অমিত মালব্যের

    Rahul Gandhi: আরও একটি নির্বাচন, আরও একবার পরাজয়! রাহুলকে পুরস্কার দিন, তোপ অমিত মালব্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একটি নির্বাচন, আরও একটি পরাজয়! বিহারে হারের (Bihar Election Results) পর রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে তোপ দাগল বিজেপি। বিহারে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে একটি মানচিত্র প্রকাশ করে গত দুই দশকে ৯৫টি নির্বাচনী পরাজয় দেখিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতার সমালোচনা করেছে বিজেপি। কার্যত রাহুলের নেতৃত্বে লালুপুত্র তেজস্বীকেও বড়সড় হারের মুখে পড়তে হয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। সোনিয়া গান্ধীর পর দলের কমান সামলেছেন পুত্র রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তবে আশানুরূপভাবে সাফল্য পায়নি দল। একের পর এক কংগ্রেস শাসিত রাজ্য হাত ছাড়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বিহার ভোটের প্রচারে রাহুল জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং এসআইআর ইস্যুতে ভোট চুরির প্রসঙ্গ তুলে ধরলেও, বিহারবাসী ইভিএমের ভোটে তার কড়া জবাব দিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    পরাজয়ের পুরস্কার (Rahul Gandhi)!

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য একটি পোস্ট করে রাহুলকে নিশানা করে বলেন, “২০০৪ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নানা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) যেখানে যেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেখানে সেখানে পরাজয়ের মুখ দেখেছে কংগ্রেস। বিহারের এই নির্বাচন (Bihar Election Results) আরও এক পরাজয়। তবে হ্যাঁ এই পরাজয় ধারবাহিক পরাজয়। এভাবে লাগাতার পরাজয়ের জন্য যদি কোনও পুরস্কার থেকে থাকতো তাহলে সবগুলি পুরস্কার তিনি একাই পেতেন।”

    লোকসভা বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজয়

    ভারতের একটি মানচিত্রের গ্রাফিক্স প্রকাশ করেন বিজেপি নেতা মালব্য। তাতে রাজ্যগুলির ৯৫টি তির চিহ্ন দিয়ে মানচিত্রও শেয়ার করেছেন। সেখানে রাহুল দলের কেন্দ্রীয় প্রচারক হয়ে ভোট প্রচারে যাওয়ার জন্য সেখানে সেখানে কংগ্রেসকে পরাজয়ের মুখ দেখাতে হয়েছে। এই তালিকায় প্রায় প্রতিটি প্রধান রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমন- হিমাচল প্রদেশ (২০০৭, ২০১৭) এবং পাঞ্জাব (২০০৭, ২০১২, ২০২২) থেকে শুরু করে গুজরাট (২০০৭, ২০১২, ২০১৭, ২০২২), মধ্যপ্রদেশ (২০০৮, ২০১৩, ২০১৮, ২০২৩), মহারাষ্ট্র (২০১৪, ২০১৯, ২০২৪) এবং দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের একাধিক ভোট কেন্দ্র রয়েছে। তবে এই তালিকায় উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পরাজয় এবং ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের নানা আসনও রয়েছে। ওই মানচিত্রে ভোটকেন্দ্র এবং আসনগুলি লোকসভা এবং বিধানসভা উভয় কেন্দ্রের পরাজয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    সরকার গড়ার পথে এগিয়ে এনডিএ

    বিহারে (Bihar Election Results) বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ কুমার। বিজেপি, জেডিইউ, চিরাগ পাসয়ানের দল, জিতেন রাম মাঝির দল এখন বিরাট জয়ের পথে। সরকার গড়তে গেলে বিহারে ২৪৩টি আসনের মধ্যে ১২২টি আসন প্রয়োজন। তবে এখনও পর্যন্ত ২০৩টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। তাই জয় নিশ্চিত মনে করেছে এনডিএ জোট। অপরে বাম কংগ্রেস এবং আরজেডি মহাজোট ৩৬ আসনে এগিয়ে।

    মোদির সভায় বেশি জয়

    এই জয়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, “সুশাসন, বিকাশ, জনকল্যাণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জয় হয়েছে। বিহারে শাসকজোটের এই সাফল্য ঐতিহাসিক এবং অভূতপূর্ব। মানুষের এই রায় সাধারণ জনতার সেবা করার এবং বিহারের জন্য নতুন সংকল্পে কাজ করার শক্তি দেবে আমাদের।” উল্লেখ্য এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী যে যে এলাকায় সভা করেছেন সেখানে সেখানে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। আর রাহুল (Rahul Gandhi) যেসব এলাকায় প্রচারে গিয়েছেন, সেখানে কংগ্রেসের ভোট কমেছে।

    প্রভাব ফেলেছে এসআইআর

    পরিসংখ্যান বলছে, বিহার নির্বাচনে ২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টি কেন্দ্রে এসআইআরের কারণে সবচেয়ে বেশি নাম বাদ পড়েছে। পটনা, মধুবনি এবং পূর্ব চম্পারণ জেলা বাতিলের তালিকায় শীর্ষে। এসআইআর প্রভাবিত এই ১০৬টি আসনের মধ্যে অধিকাংশ জায়গায়ই জয়ী হতে চলেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট। মহাগঠবন্ধনের দখলে থাকতে পারে হাতেগোনা কয়েকটি আসন। ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট, এসআইআরের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অপপ্রচার এবং অভিযোগ ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলেনি।

  • Bihar Assembly Election 2025: রক্তপাতহীন নির্বাচন দেখল বিহার, এনডিএ জমানায় শেষ ‘জঙ্গলরাজ’!

    Bihar Assembly Election 2025: রক্তপাতহীন নির্বাচন দেখল বিহার, এনডিএ জমানায় শেষ ‘জঙ্গলরাজ’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নীতীশ কুমারের জমানায় জঙ্গলরাজের অবসান বিহারে (Bihar Assembly Election 2025)। এ রাজ্যে শেষ কবে গোলাগুলি, বুথদখল ছাড়া নির্বাচন হয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না বিহারের প্রবীণ বাসিন্দারাও। তবে এবার হল (Violence)। ২০২৫ সালের নির্বাচন রাজ্যের নির্বাচনী ইতিহাসে স্থাপন করল নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। দু’দফায় ভোট হয়েছে রাজ্যে, তবে হিংসার কোনও ঘটনা ঘটেনি, হয়নি পুনর্নিবাচনও। কয়েক দশক ধরে চলে আসা রক্তাক্ত নির্বাচনের বিপ্রতীপ ছবিই দেখা গেল এবারের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে।

    কংগ্রেস জমানায় রক্তারক্তিকাণ্ড (Bihar Assembly Election 2025)

    স্মৃতির সরণি বেয়ে ফিরে যাওয়া যাক আটের দশকে। ১৯৮৫ সালে রাজ্যে  নির্বাচনের সময় মৃত্যু হয়েছিল ৬৩ জনের। পুনর্নির্বাচন হয়েছিল ১৫৬টি বুথে। সেই সময় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের চন্দ্রশেখর সিং। ওই নির্বাচনের পর রাজ্যের হাল ধরেন কংগ্রেসেরই বিন্দেশ্বরী দুবে। এর ঠিক পাঁচ বছর পরে ১৯৯০ সালে যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল, সেই ভোটে রক্ত ঝরেছিল আরও অনেক বেশি। সেবার নির্বাচনী হিংসার বলি হয়েছিলেন ৮৭ জন। সেবারই পালাবদল ঘটেছিল বিহারে। কংগ্রেসের জগন্নাথ মিশ্রর হাত থেকে বিহারের রাজপাটের রশি যায় আরজেডির লালু প্রসাদ যাদবের হাতে।

    নজিরবিহীন হিংসা

    পরের বিধানসভা নির্বাচনের ছবিটা আরও করুণ। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার টিএন শেষন নজিরবিহীন হিংসা ও নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগে চার-চার বার স্থগিত করে দিয়েছিলেন বিহারের নির্বাচন। পরে দু’বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসেন লালু (Bihar Assembly Election 2025)। তাঁর পরে ওই আসনে বসেন তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী। তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত। ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল ২০০৫ সালেও। সেবার হিংসা ও বিশৃঙ্খলার কারণে পুনর্নির্বাচন হয় ৬৬০টি বুথে। ক্ষমতায় আসেন জেডিইউয়ের নীতীশ কুমার।

    প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচন হয় দু’দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হয় ৬ নভেম্বর, তার পরের দফার ভোট হয় ১১ তারিখে। এই দু’দফার ভোটেই মেলেনি (Violence) কোনও হিংসার খবর, প্রয়োজন হয়নি পুনর্নির্বাচনেরও (Bihar Assembly Election 2025)।

  • Bihar Assembly Election 2025: বিহার পদ্মময়, কুর্সিতে ফিরছে এনডিএ, রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন মহাজোটেই!

    Bihar Assembly Election 2025: বিহার পদ্মময়, কুর্সিতে ফিরছে এনডিএ, রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন মহাজোটেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ (NDA) ঝড়ে বিহারে (Bihar Assembly Election 2025) কুপোকাত আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাজোট। কংগ্রেসকে পেছনে ফেলে উঠে এল বামেরা। লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বীর আরজেডি নেমে গেল তিন নম্বরে। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩টি। এর মধ্যে এনডিএর ঝুলিতে যেতে পারে ২০৮টি। তেজস্বীর দল এগিয়ে রয়েছে ৪১টি আসনে। এনডিএ যে ২০৮টি আসনে জয় পেতে চলেছে, তার মধ্যে পদ্মের একার ঝুলিতেই পড়েছে ৯০টিরও বেশি আসন। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউয়ের হাতে যেতে চলেছে ৮১টি আসনের রাশ।

    উল্লসিত বঙ্গ বিজেপি (Bihar Assembly Election 2025)

    বিহারের গেরুয়া ঝড়ে যারপরনাই উল্লসিত বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিহারে গেরুয়া ঝড়। এবার পালা বাংলার। এসআইআর দিয়ে শুদ্ধ ভোটার তালিকায় ভোটে জিতবে বিজেপি। একদম চিন্তা করবেন না, বিহারে এসআইআরের পরে ভোট হয়েছে। অপশাসনের তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলাকে পরিষ্কার করবে বিজেপি।” প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁয়ের গলায়ও। তিনিও বলেন, “বিহারে জয়ের পথে আমরা, এবার পালা বাংলার।” চলতি বছরই নির্বাচন কমিশন দেশজুড়ে চালাচ্ছে এসআইআর কর্মসূচি। এই কর্মসূচির নান্দীমুখ হয়েছিল বিহারে। তার পরেই এনডিএর বিপুল জয়ে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছে বিরোধী দলগুলি।

    কুর্সি ধরে রাখার লড়াই

    কেবল এসআইআর নয়, বিহারের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এবার আরও একটি কারণে দেশবাসীর আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল নীতীশ কুমারের এই রাজ্য। নীতীশের নেতৃত্বে এ রাজ্যে এনডিএ লড়লেও, তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে ভোটের ময়দানে নামে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগটবন্ধন। নীতীশের কাছে এই নির্বাচন ছিল ২০ বছরের কুর্সি ধরে রাখার লড়াই। আর তেজস্বীর লড়াই ছিল বিহারের মসনদে বসা। নির্বাচন হওয়ার পরেই যে প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিল রাজনীতির অন্দরমহলে, সেটি হল তেজস্বী কি পারবেন নীতীশকে মাত দিতে? নাকি ক্ষমতা ধরে রাখবে বিহারে জঙ্গলরাজের অবসান ঘটিয়ে আইনের শাসন ফেরানো ‘সুশাসন বাবু’? নীতীশ জমানায় বিহারে যে সুশাসন ফিরেছে তার হাতে গরম প্রমাণ তো এই বিধানসভা নির্বাচনই। এ রাজ্যের একটি বুথেও পুনর্নির্বাচন হয়নি। লাঠালাঠি-হানাহানির কোনও খবরও মেলেনি কোথাও (NDA)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটকে বিহারবাসী ভোট দিয়েছেন দু’হাত উপুড় করে।

    এনডিএর জয়জয়কার

    এদিন সকালে গণনা শুরু হতেই দেখা যায়, একের পর এক আসনে এগিয়ে চলেছে এনডিএ। এনডিএর জয়ের লেখচিত্র যেমন তরতরিয়ে (Bihar Assembly Election 2025) ওপর দিকে উঠছে, ঠিক তেমনিই দ্রুত নীচে নামছে মহাগটবন্ধনের জয়ের গ্রাফ। ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা গিয়েছিল, বিজেপি ছাপিয়ে গিয়েছিল নীতীশের জেডিইউকে। সেবার ১১৫টি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল নীতীশের দল, জয়ী হয়েছিল মাত্র ৪৩টি আসনে। আর ১১০টি আসনে লড়ে ৭৪টিতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত গণনার ফল অনুযায়ী, ২০৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। আর মহাগটবন্ধনের ঝুলিতে পড়তে চলেছে মাত্র ৩৬টি আসন। গেরুয়া ঝড়ে পায়ের তলায় মাটিই খুঁজে পায়নি কংগ্রেস। তারা এগিয়ে রয়েছে মাত্র একটি আসনে। এমতাবস্থায় রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেসকে ডুবন্ত নৌকার সঙ্গে তুলনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনি বলেন, “তিনি (রাহুল) নিজেও ডুবছেন, জোটসঙ্গীদেরও ডোবাচ্ছেন। তিনি সব সময় অ্যাটম বোমা, হাইড্রোজেন বোমার কথা বলে বেড়ান। আমার মনে হয়, তিনি সব বোমা নিজের দল এবং জোটসঙ্গীদের ওপরই ফাটিয়েছেন। অন্তত ভোটের ফল তো তা-ই বলছে (Bihar Assembly Election 2025)।”

    মহাগটবন্ধন ভূপতিত

    এদিকে, বিহারে মহাগটবন্ধন ভূপতিত হতেই ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়লেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের শোচনীয় হালে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ শশী থারুর। তিনি বলেন, “বিপুল সংখ্যক মানুষের রায় যে এনডিএর সঙ্গেই রয়েছে, তা ভীষণভাবে (NDA) স্পষ্ট। এটি হতাশাজনক। যদি শেষ পর্যন্ত এটিই চূড়ান্ত ফল হয়, তা হলে আমাদের আত্মসমালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আত্মসমালোচনা বলতে আমি শুধু এ বিষয়ে বসে চিন্তাভাবনা করার কথা বলছি না। কৌশলগত দিক থেকে বার্তা দেওয়ার দিক থেকে এবং সাংগঠনিক দিক থেকে আমাদের কী ভুল হয়েছে, তাও দেখতে হবে।” থারুর বলেন, “আমি বিহার ভোটে প্রচার করিনি। আমাকে প্রচার করার জন্য ডাকাও হয়নি। তাই আমি এ বিষয়ে সরাসরি কোনও তথ্য দিতে পারব না (Bihar Assembly Election 2025)। তবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কোথায় ভুল হয়েছে, তা অবশ্যই আমাদের দলের নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণ করা উচিত।”

    পিন্ডি চটকাল ইন্ডির!

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে পরাস্ত করতে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল যে জোট গঠন করেছিল, সেই ‘ইন্ডি’ জোটে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। বিহারে মহাগটবন্ধন পরাভূত হতেই কংগ্রেসকে নিশানা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাদের সাফ কথা, বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেস যে ব্যর্থ, তা আরও একবার প্রমাণিত (NDA)। এনডিএ ঝড়ে বিহারে কাবু ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টিও। এই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক-ই মমতার দলকে গত বিধানসভায় নির্বাচনী বৈতরণী পার করে দিয়েছিল বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের। সেই ‘কিং-মেকারে’র দলই স্বভূমিতে (পিকে বিহারেরই বাসিন্দা) স্বখাত সলিলে। নিজের রাজ্যেই খাতা খুলতে পারেনি পিকের দল। বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায় পিকে মমতার দলকে জেতাতে কতটা সফল হবে, ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে।

    রেকর্ড ভাঙল এনডিএ

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলে এনডিএ ভেঙে দিয়েছে নিজেই নিজের রেকর্ড (Bihar Assembly Election 2025)। ২০১০ সালের তারা পেয়েছিল ২০৬টি আসন। এবার এদিন বিকেল পর্যন্ত এনডিএ এগিয়ে রয়েছে ২০৮টি কেন্দ্রে। প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভার নির্বাচন হয় দু’দফায়। প্রথম দফায় ভোট হয়েছিল ৬ নভেম্বর, দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোট হয়েছে ১১ নভেম্বর। সব মিলিয়ে দু’দফায় ভোটদানের হার ছিল ৬৭.১৩ শতাংশ। বেশিরভাগ এক্সিট পোলে এনডিএর ক্লিন সুইপের পূর্বাভাস মিললেও, আরজেডির তেজস্বী যাদব সেই ভবিষ্যদ্বাণী উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছিলেন, মহাজোট বিরাট ব্যবধানে জয়ী হয়ে সরকার গড়বে। যদিও সেই আশা আপাতত দূরঅস্ত।

    পতনের পথে তেজস্বী

    এদিন বিকেল ৪টে পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, নিজের গড় রাঘোপুর আসনে পিছিয়ে পড়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তেজস্বীর পাশাপাশি হারতে চলেছেন লালুর আর এক ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবও। আরজেডি থেকে তাঁকে বহিষ্কার করেছিলেন লালু। তার পরেই ‘জনশক্তি জনতা দল’ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। নেমে পড়েন লড়াইয়ের ময়দানেও। মহুয়া কেন্দ্রে প্রার্থী হন তেজপ্রতাপ স্বয়ং। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে তিনি নেমে গিয়েছেন চতুর্থ স্থানে (Bihar Assembly Election 2025)। এদিকে, বিজেপির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার ভোটযুদ্ধে নেমেই কিস্তিমাত করে দিয়েছেন জনপ্রিয় গায়িকা মৈথিলী ঠাকুর। আলিনগর কেন্দ্রে জিততে চলেছেন (NDA) তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই!

    এনডিএর জয়জয়কারের ছবি সামনে আসতেই রাজধানী পাটনায় নীতীশ কুমারের কার্যালয়ে উচ্ছ্বাসের ছবি। সেলিব্রেশনে মেতেছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরাও। জানা গিয়েছে, বিহারে দশমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নীতীশ কুমার। গত বারের চেয়ে এবার আরজেডির শক্তি কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। এদিন সন্ধেয় নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মোদি-শাহ জুটি

    রাজনৈতিক মহলের মতে, বিহারে বিজেপির হয়ে বাজিমাত করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জুটি। বিজেপির এই দুই সৈনিক যেসব জায়গায়ই প্রচারে গিয়েছেন, সেখানেই পদ্মের রমরমা। এঁদের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত (Bihar Assembly Election 2025) দিয়েছেন নীতীশের দলের নেতা-কর্মীরা। সব মিলিয়ে বিহার ফের এনডিএর (NDA) দখলে।

  • Bihar Election Results: “বিহার জয়ের পর এবার টার্গেট  বাংলা”, গণনার মধ্যেই হুঁশিয়ারি গিরিরাজের

    Bihar Election Results: “বিহার জয়ের পর এবার টার্গেট বাংলা”, গণনার মধ্যেই হুঁশিয়ারি গিরিরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের (Bihar Election Results) পর এবার বাংলার পালা। বিজেপি জোট তথা এনডিএ জোট বিহারের নির্বাচনে বিরাট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। আরও একবার সরকার গড়ার পথে বিজেপি জোট। এই আবহে বিহারের পর বাংলা জয়ের ডাক দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj singh)। বিহারে কিছু দিন আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর করেছে। ৬৫ লক্ষের বেশি ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। বাংলায় এসআইআর-এর কাজ চলছে ফলে জাল ভোটারের নাম বাদ যাবে, তাই বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের প্রক্রিয়াও অনেক সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    অনুপ্রবেশকারীমুক্ত হলেই বাংলা জয় (Bihar Election Results)

    শুক্রবার সকাল ৮টা থেকেই বিহারের ভোট গণনা (Bihar Election Results) শুরু হয়। গণনার তিন ঘণ্টার মধ্যে মমতার শাসনকে উৎখাত করার হুঁশিয়ারি দিয়ে নিশানা করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা গিরিরাজ সিং (Giriraj singh)। তিনি স্পষ্ট বলেন, “বিহার জয়ের পর এবার বাংলা টার্গেট। বিহার আমাদের জয় হবেই। বাংলায় দিদির পরাজয় পরবর্তী পালা। বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের তাড়াতে পারলেই বাংলা অনুপ্রবেশকারীমুক্ত হবে। আর তা হলেই বাংলা জয় নিশ্চিত। লালু নিজেকে গরিবের মসিহা বলেছিলেন। শেষে দেখা গেলো ওঁর পরিবার সব থেকে বেশি লাভবান হয়েছে। মহিলাদের জন্য নরেন্দ্র মোদি এবং নীতীশ কুমার লাখপতি দিদি-র মতো প্রকল্প এনেছেন। বিহারের প্রত্যকে মহিলা নীতীশ এবং মোদিকে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করেন। আমি প্রথম দিন থেকেই বলে আসছিলাম যে বিহারে আমাদের ফলাফল দারুণ হবে। বিহারের মানুষ এই সরকারের প্রতি সবসময় উৎসাহী ছিল। জনজীবনে শান্তি, ন্যায়বিচার এবং উন্নয়নের পক্ষে সবসময় ভোট দিয়েছে মানুষ।”

    সরকার গড়বে বিজেপি

    বিহার ভোট গণনা (Bihar Election Results) শুরু হয়ে গিয়েছে। শেষ আপডেট পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে ২৪৩ আসনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এগিয়ে ২০২ টি-তে। মহাগঠবন্ধন জোট ৩৫টি আসনে এগিয়ে। এখনও পর্যন্ত হিসেবে এনডিএ জোট বিরাট মার্জিনে এগিয়ে। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। আরজেডি, কংগ্রেস এবং তৃণমূলকে ব্যাপক ভাবে তুলোধনা করছে বিজেপি। তোষণের রাজনীতিকে সম্পূর্ণ ভাবে নস্যাৎ করতে বিজেপি আরও দৃঢ় প্রত্যয়ী।

  • Bihar Election Results: রাহুল গান্ধীর ‘ভোট চুরি’ স্লোগানে সাড়া নেই, ২০২০-র তুলনায় আরও নিচে নামল কংগ্রেস

    Bihar Election Results: রাহুল গান্ধীর ‘ভোট চুরি’ স্লোগানে সাড়া নেই, ২০২০-র তুলনায় আরও নিচে নামল কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বিরোধিতায় ব্যর্থ কংগ্রেস, আরও একবার প্রমাণিত গেরুয়া ঝড়ে মুখ থুবড়ে পড়ল ‘হাত’। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Election Results) আবারও কোনও ছাপ ফেলতে ব্যর্থ হল কংগ্রেস। প্রাথমিক গণনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে, তারা লড়াই করা ৬০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫টিতে এগিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ রূপান্তর হার ১০ শতাংশেরও নিচে—২০২০ সালের তুলনায় আরও বড় ধাক্কা। ২০২০ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ৭০টি আসনে লড়াই করে ১৯টি আসনে জয় পেয়েছিল।

    ‘ভোট চুরি’ স্লোগানে কাজ হল না

    লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর আক্রমণাত্মক প্রচার—যার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল তথাকথিত “ভোট চুরি”—এবারও ভোটে পরিণত হয়নি। একাধিক জনসভা, ভোটার অধিকার যাত্রা, ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে কেন্দ্র ও ইসি-কে নিশানা করেও তিনি ভোটারদের মন জিততে পারেননি। পর্যবেক্ষকদের মতে, জাতীয় ইস্যুর তুলনায় বিহারের ভোটাররা বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন স্থানীয় সমস্যা, জাতপাত সমীকরণ ও শাসনকার্যের মূল্যায়নকে। বিহারে ভোটের মুখে রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেস প্রচারের মূল ইস্যু হিসাবে তুলে এনেছিলেন এসআইআর-কে, ভোটচুরিকে। যা কোনওভাবেই বিহারের স্থানীয় ইস্যু নয়। তাছাড়া এসআইআর শেষ হয়ে যাওয়ার পর বেশি বৈধ ভোটারের নাম বাদ না যাওয়ায়, সেই ইস্যুও ধোপে টেকেনি। মাঝখান থেকে মূল যে ইস্যু সেই বেকারত্ব, দলিত নির্যাতন, দুর্নীতি, সেসব পিছনে পড়ে গিয়েছে। তাছাড়া শেষবেলায় এসে তেজস্বী যে সব পরিবারকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন, সেটাও বিশেষ বিশ্বাসযোগ্য হয়নি আমজনতার।

    প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে কংগ্রেস

    একসময় জাতীয় ও প্রাদেশিক রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থান থাকা কংগ্রেস এখন বিহারে কার্যত প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। একাধিক আসনে দল তৃতীয় বা চতুর্থ অবস্থানে নেমে যাচ্ছে। রাজ্যে তাদের শেষ উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখা গিয়েছিল ১৯৯০ সালে জগন্নাথ মিশ্রের নেতৃত্বে। তারপর থেকে বিহারে সংগঠন পুনর্গঠনে কংগ্রেস বারবার ব্যর্থ হয়েছে। কংগ্রেসের খারাপ পারফরম্যান্স মহাগঠবন্ধনের প্রধান দল আরজেডি-র উপরও প্রভাব ফেলেছে। যদিও আরজেডি এখনও ৩০টির মতো আসনে এগিয়ে রয়েছে এবং তাদের মূল ভোটব্যাঙ্ক বেশি। অপরদিকে, এনডিএ এগিয়ে চলেছে মসৃণ জয়ের দিকে। প্রাথমিক গণনায় এনডিএর আসন প্রায় ১৯০ ছুঁয়েছে—যা ২০১০ সালের ২০৬ আসনের রেকর্ডের কাছাকাছি। এনডিএর এই শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রমাণ করেছে জোটের নেতৃত্ব, সংগঠন ক্ষমতা এবং ভোটার আস্থার প্রভাব।

    জঙ্গল-রাজের আতঙ্ক

    ‘যব তক রহেগা সমোসে মে আলু, বিহার মে রহেগা লালু।’ অরণ্যের প্রাচীন এই প্রবাদ হয়তো এবার ‘জঙ্গলে’ ফেলার সময় এসে গিয়েছে। কারণ বিহারবাসী এখনও লালুর জঙ্গলরাজের আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। অন্তত ২০২৫ সালের বিহার ভোটের ফলাফলের (Bihar Election Result) ট্রেন্ড সে কথাই বলছে। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, তখনও পর্যন্ত বিহারের ফলাফল বলছে, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ দু’শোর কাছাকাছি আসন পেতে পারে। আর তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধন ৫০ আসন পাওয়া নিয়েও সংশয়ে।

    কংগ্রেসের দুর্বলতায় চাপ বাড়ল মহাগঠবন্ধনের ওপর

    মহাগঠনন্ধনের শুরুটা ভালো হয়েছিল। রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রায় একসঙ্গে প্রচার শুরু করেছিলেন রাহুল-তেজস্বীরা। কিন্তু যাত্রা শেষ হতেই ছন্দপতন। আসন সমঝোতা নিয়ে রীতিমতো খেয়োখেয়ি করল বিরোধী শিবির। এমন পরিস্থিতি দাঁড়াল যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন পেরিয়ে গেলেও আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হল না। তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসাবে ঘোষণা করা হল একেবারে শেষবেলায়। যে চক্করে মাসখানেক প্রচারে সেভাবে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা, এমনকী আরজেডির শীর্ষ নেতাদেরও প্রচারে দেখা গেল না। ততদিনে ঘর গুছিয়ে ফেলেছে এনডিএ। যার সুফল মিলল ভোটের ফলে।

    কংগ্রেসের সামনে কঠিন পথ

    আরও একবার হতাশাজনক ফলাফলের পর বিহারে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ঘনিয়েছে। প্রচারকে ভোটে রূপান্তর করতে ব্যর্থতা, গ্রাসরুটে পৌঁছতে না পারা এবং দুর্বল স্থানীয় নেতৃত্ব—এই সব মিলিয়ে দল ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। এনডিএ শক্তিশালী হচ্ছে, আঞ্চলিক দলগুলো নিজেদের ভিত্তি ধরে রাখছে—এ অবস্থায় বিহারে পুনর্জাগরণের জন্য কংগ্রেসকে জরুরি ভিত্তিতে সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাসে নামতে হবে।

  • Ukase Turkiye: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার জড়াল তুরস্কের নাম, কীভাবে জানেন?

    Ukase Turkiye: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার জড়াল তুরস্কের নাম, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Blast) আগেই জড়িয়েছে পাকিস্তানের বন্ধু তুরস্কের নাম (Ukase Turkiye)। জানা গিয়েছে, ইসলামিক রাষ্ট্র তুরস্কের কোনও এক হ্যান্ডলারের অঙ্গুলিহেলনেই জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত ভারতে থাকা চিকিৎসক-জঙ্গিরা। এই বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা পেয়েছেন একটি কোডনেম। সূত্রের খবর, ‘উকাসা’ নামে এক ব্যক্তির নাম জানা গিয়েছে, যে ওই চিকিৎসক-জঙ্গিদের নিয়ে তৈরি মডিউল পরিচালনা করত। এই মডিউলের নেতা ছিল আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক-শিক্ষক উমর উন নবি। জানা গিয়েছে, ভারতে এই হামলার ছক কষা হয়েছিল তুরস্কে বসেই।

    উকাসা (Ukase Turkiye)

    গোয়েন্দাদের অনুমান, জইশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ এই দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর হ্যান্ডলার এবং দিল্লি মডিউলের মধ্যে প্রধান যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে এই উকাসা। প্রাথমিক তদন্তে তদন্তকারীরা মনে করছেন, ২০২২ সালে তুরস্কে এই হামলার নীল নকশা তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময়ই উমর ও তার সঙ্গীরা তুরস্কে গিয়েছিল। তারা গিয়েছিল ওই বছরেরেই মার্চ মাসে। সেই সময় প্রায় দু’সপ্তাহ আঙ্কারায় ছিল সে। এই সমস্ত ষড়যন্ত্রের অন্যতম অংশীদার ছিল সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাপ। প্রথমে টেলিগ্রামের মতো অ্যাপ ব্যবহার করা হলেও, পরে বেছে নেওয়া হয়েছিল সিগন্যাল ও সেশনের মতো অ্যাপ। তদন্তকারীদের ধারণা, উকাসা নামের এই হ্যান্ডলার চিকিৎসক-জঙ্গিদের তালিম দিয়েছিল, কীভাবে গোপনে ফোনালাপ করতে হয়, কীভাবেই বা এড়িয়ে চলতে হয় ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, তুরস্কের এই হ্যান্ডলারই মডিউলের কাজকর্ম ঠিক করে দিত, যাবতীয় নির্দেশও দিত ওই হ্যান্ডলাররা। উকাসার ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট খুঁজতে এবং আরও কোনও যোগাযোগের সূত্র পেতে বিদেশি ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির সাহায্য নিচ্ছেন গোয়েন্দারা (Delhi Blast)।

    পুলিশের স্ক্যানারে আরও এক চিকিৎসক

    এদিকে, লালকেল্লা বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় পুলিশের স্ক্যানারে রয়েছে আরও এক চিকিৎসকও। এই চিকিৎসক আর কেউ নয়, সে হল গ্রেফতার হওয়া চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাঠির দাদা মুজাফফর। তদন্তকারীদের অনুমান, দিল্লি বিস্ফোরণে চিকিৎসক মেডিক্যাল টেরর মডিউলের বিদেশি যোগসূত্র ও অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী এই মুজাফফর। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রের খবর, পুলওয়ামার এই বাসিন্দা ভারতে মূল মডিউল ও তাদের পাক হ্যান্ডলারদের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ করত। গত অগাস্টে সে দুবাইয়ে চলে গিয়েছে (Ukase Turkiye)। এখন সে আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে কাজ করছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তার হদিশ পেতে রেড কর্নার নোটিশ জারি করতে চাইছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। সেজন্য ইন্টারপোলের সাহায্য চেয়েছে তারা।

    ‘উকাসা’ শব্দের অর্থ

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, তুরস্কের হ্যান্ডলার উকাসা আদতে একটি সাংকেতিক নাম। এক আধিকারিক জানান, আরবি ভাষায় ‘উকাসা’ শব্দের অর্থ হল ‘মাকড়সা’। পরিচয় গোপন করে বিদেশে বসে থেকে নাশকতা, জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদত এবং মৌলবাদী কাজকর্মে ইন্ধন জোগাত এই উকাসা (Delhi Blast)। এই উকাসার সঙ্গে দেখা করতেই তুরস্কে গিয়েছিল মুজাফফরও। তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে বৈঠকে বসে অপারেশন ও ফান্ডিংয়ের রুটম্যাপ ঠিক করা হয়। অনুমান, সেখানেই কষে নেওয়া হয়েছিল লালকেল্লায় বিস্ফোরণের মতো একাধিক বড় নাশকতার ছক। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাইকে জঙ্গি কার্যকলাপে টেনে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল (Ukase Turkiye) মুজাফফর। ভাইয়ের সঙ্গে উমর, মুজাম্মিল সাকিল ও মৌলবি ইরফানের সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল সে-ই। একের পর এক সহযোগীর গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে উমরকে দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছিল মুজাফফর। ছিল, পুলওয়ামার ধাঁচে নাশকতার নির্দেশও।

    স্লিপার সেলে নিয়োগ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, উকাসাই উমরদের পরিচালনা করত। কীভাবে স্লিপার সেলে নিয়োগ করতে হবে, কীভাবেই বা ডিজিটাল তথ্য লোপাট করতে হবে, সেই সবই চিকিৎসক-জঙ্গিদের শিখিয়ে পড়িয়ে নিয়েছিল তুরস্কের ওই হ্যান্ডলার। তদন্তকারীদের অনুমান, ভারতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের যে ছক কষা হয়েছিল এবং সেই হামলার জন্য যে জঙ্গি মডিউল তৈরি করা হয়েছিল, সে ক্ষেত্রে উকাসার বড় ভূমিকা রয়েছে। তদন্তকারীরা উকাসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করছেন। পাক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে এই হ্যান্ডলারের কোনও যোগ ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। কীভাবে চিকিৎসক মডিউলকে উকাসা পরিচালনা (Delhi Blast) করছিল, এই উকাসা আসলে কে বা কারা, তাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

    প্রসঙ্গত, ১০ নভেম্বর লালকেল্লার কাছে উমরের হুন্ডাই আই-২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। এই গাড়িতেই ছিল চিকিৎসক-জঙ্গি উমর। তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখনও পর্যন্ত ফরিদাবাদ থেকে ইকোস্পোর্টটি উদ্ধার করেছে। তল্লাশি চালানো হচ্ছে ব্রেজা গাড়িটির খোঁজে। আধিকারিকদের সন্দেহ, নিখোঁজ হওয়া গাড়িটিতে লুকানো থাকতে পারে বিস্ফোরক (Ukase Turkiye)।

  • Delhi Blast: ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত পরিচয়, দিল্লি-হামলাকারী উমরের পুলওয়ামার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল নিরাপত্তা বাহিনী

    Delhi Blast: ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত পরিচয়, দিল্লি-হামলাকারী উমরের পুলওয়ামার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল নিরাপত্তা বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালকেল্লার কাছে দিল্লি বিস্ফোরণ (Delhi Red Fort blast) মামলায় বড় পদক্ষেপ করল ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী (security forces)। নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে উড়িয়ে দেওয়া হল সন্দেহভাজন চিকিৎসক উমর উন নবির (Umar Nabi) পুলওয়ামার বাড়ি (Pulwama house demolition)। বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে যে, চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে বাড়িটি একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। গত সোমবার লাল কেল্লা বিস্ফোরণে জড়িত হুন্ডাই আই২০ গাড়িটির সঙ্গে কাশ্মীরের একজন চিকিৎসক উমর-উন-নবির সম্পর্ক রয়েছে। সেই গাড়ি চালাচ্ছিল। উমরই ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে নিশ্চিত পরিচয়

    উমর নবি, যাঁকে এই সপ্তাহের শুরুতেই লালকেল্লায় ঘটা বিস্ফোরণের (Delhi Blast) মূল সন্দেহভাজন হিসেবে দেখা হচ্ছে, তাঁর বাড়ি ঘিরে আগেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া করা হয়েছিল। সোমবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটি সরাসরি যুক্ত হয়েছে উমর-উন-নাবির সঙ্গে। বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল, আহত হন ২০–এর বেশি মানুষ। কাশ্মীরের এই চিকিৎসকই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে ধারণা তদন্তকারীদের। বিস্ফোরণে তাঁর ভূমিকা ঠিক কতটা, তা এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ টানা রাতভর তল্লাশি চালায়। গ্রেফতার হয় মোট ছয়জন, যাদের মধ্যে তিনজন উমরের পরিবারের সদস্য। বিস্ফোরণস্থল থেকে সংগৃহীত ডিএনএ নমুনা তাঁর মায়ের নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে উমরের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকে আটক করা হয়েছিল উমরের মাকে। দিল্লিতে বিস্ফোরণের পরেই সোমবার রাতে উমরের মা এবং দুই ভাইকে আটক করা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের এক কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “সন্দেহভাজনের মাকে আমরা ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহের জন্য আটক করেছিলাম। বিস্ফোরণস্থল থেকে পাওয়া দেহাংশের সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হয়।”

    কেন গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বাড়ি

    পুলিশ জানিয়েছে, উমর নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন আরও দুই কাশ্মীরি চিকিৎসকের সঙ্গে, যাঁদের ফরিদাবাদ সন্ত্রাস মডিউল ফাঁস হওয়ার পরে আটক করা হয়েছিল। সেই মডিউল থেকেই উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক, যা তদন্তকে আরও গভীর করেছে। স্থানীয় মানুষের মতে, একসময়ে উমর ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, পড়াশোনায় মনোযোগী চিকিৎসক, সমাজেও তাঁর পরিচিতি ছিল ইতিবাচক। তদন্তকারীরা বলছেন, গত দুই বছরে তাঁর আচরণে বড় পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের একাধিক র‌্যাডিকাল গ্রুপে যোগ দেন তিনি, এবং ক্রমশ কঠোর মতাদর্শের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন। উমরের সম্ভাব্য সহযোগী, যোগাযোগের নেটওয়ার্ক, অর্থের উৎস – সব দিকেই নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য তদন্তকারী সংস্থাগুলি। পুলওয়ামার (Pulwama) বাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মূলত সম্ভাব্য বিস্ফোরক বা নথি উদ্ধার-ঝুঁকি এড়ানোর জন্য, এবং তদন্তের নির্দিষ্ট প্রোটোকলের অংশ হিসেবে।

    কীভাবে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Delhi Blast) ঘটিয়েছিল উমরই। সেই ছিল সুইসাইড বম্বার বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সিসিটিভি ফুটেজে গাড়ির চালকের আসনে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল তাকে। তদন্তে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী জৈশ-ই-মহম্মদের লজিস্টিক টিমের সদস্য ছিল উমর। ফরিদাবাদ, লখনউ এবং কাশ্মীরে কাজ করত তারা। এই চক্রের ৯-১০ জনের মধ্যে অধিকাংশই চিকিৎসক। সেই পরিচয়কে কাজে লাগিয়েই বিস্ফোরক এবং রাসায়নিক তৈরির উপকরণ জোগাড় করত উমর। কিন্তু ফরিদাবাদের একটি গুদাম থেকে ২,৯০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাজেয়াপ্ত হওয়ার পরেই ভয় পেয়ে গা ঢাকা দেয় উমর। পুলিশ জানিয়েছে যে, দলটি ২৬ লক্ষ টাকারও বেশি নগদ সংগ্রহ করেছিল। তদন্ত অনুসারে, গুরুগাঁও, নুহ্ এবং আশেপাশের এলাকার সরবরাহকারীদের কাছ থেকে প্রায় ২৬ কুইন্টাল এনপিকে সার – যার মূল্য প্রায় তিন লক্ষ টাকা – কেনার জন্য এই অর্থ ব্যবহার করা হয়েছিল। অন্যান্য রাসায়নিকের সঙ্গে মিশ্রিত, এনপিকে হল ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের একটি প্রধান উপাদান। প্রায় আটজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি জোড়ায় বিভক্ত হয়ে চারটি শহরে সমন্বিত বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

    প্রজাতন্ত্র দিবসে হামলার রেকি

    লালকেল্লার কাছে একটি সাদা রঙের হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ হয় সোমবার। তাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩। ওই দিনই সকালে ফরিদাবাদে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং হরিয়ানা পুলিশের যৌথ দল। গ্রেফতার করা হয়েছিল মুজাম্মিল আহমেদ-সহ একাধিক ব্যক্তিকে। মুজাম্মিলের ফোন ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে একাধিক বার তিনি লালকেল্লার সামনে গিয়েছিলেন। অনুমান, প্রজাতন্ত্র দিবসে হামলার রেকি করা হয়েছিল। শুধু মুজ়াম্মিল নন। আর এক চিকিৎসক উমর নবিও তাঁর সঙ্গে লালকেল্লার সামনে গিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

     

  • Bihar Polls: বিহারে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিজেপি! মগধভূমে ফের সিংহাসনে বসতে চলেছেন নীতীশ

    Bihar Polls: বিহারে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিজেপি! মগধভূমে ফের সিংহাসনে বসতে চলেছেন নীতীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনা শুরু হতেই বিহারে (Bihar Polls) উঠল গেরুয়া ঝড়। প্রথম রাউন্ডেই আপাতত ১৩০ আসনে এগিয়ে এনডিএ, মহাগঠবন্ধন জোট এগিয়ে ৬৫ আসনে। একক দল হিসেবেও সবচেয়ে বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। বিজেপি সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিহারের ৪৬টি গণনাকেন্দ্রে চলছে ভোটগণনা। ২৪৩ আসনে লড়াই করা মোট ২,৬১৬ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে আজই। দুই দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছে এবার বিহারে। সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার হল ১২২। বিহারের ভোট গণনার শুরুতেই এগিয়ে যাচ্ছে এনডিএ।

    কে কত আসনে এগিয়ে

    আজ, ১৪ নভেম্বর, শুক্রবার, ভোট গণনা এবং দুপুরের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে উঠবে কার দখলে পাটনার মসনদ। ইতিমধ্যে ভোট গণনা যা ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাতে সরকার গড়তে চলেছে এনডিএ জোট। আগের বার ১২৫ আসনের থেকেও এবার অনেক বেশি আসন পেয়ে বিহারের (Bihar Polls) মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নীতীশ কুমার। এনডিএ-র মধ্যে বিজেপি ৬৫টি ও জেডিইউ ৬৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। রাজ্যের ৩৮টি জেলায় মোট ৪৬টি ভোট গণনা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১২২ জন রিটার্নিং অফিসার ও অবসার্ভারের তরফ থেকে এই প্রথমবার বিহারের কোনও বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি ওঠেনি। আরজেডি থেকে বহিষ্কারের পর আলাদা দল করে নির্বাচনে লড়ছেন লালু প্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদব। গণনার শুরুতে সামান্য পিছিয়ে পড়লেও, ফের এগিয়ে গিয়েছেন তেজ প্রতাপ। রঘুপুর থেকে লড়ছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। ভোট গণনার শুরুতে আপাতত এগিয়ে রয়েছেন তেজস্বী। মহাগঠবন্ধনে আরজেডি ৫৭টি আসনে এগিয়ে থাকলেও কংগ্রেস মাত্র ৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

    কীভাবে চলছে গণনা

    বিহারের (Bihar Polls) ভোট গণনা সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা চলছে এবং ৯টা থেকে ইভিএম গণনা শুরু হয়েছে। ভোট গণনার সময়, প্রতিটি গণনা হলে ১৪+১ টেবিলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ১৪টি টেবিলে ইভিএমের গণনা চলছে, আর একটি টেবিল সহকারী নির্বাচনী অফিসার পরিচালনা করছেন। প্রতিটি টেবিলে একজন কাউন্টিং সুপারভাইজার, একজন কাউন্টিং সহকারী এবং একজন মাইক্রো ওভসারভার রয়েছেন। ভোট গণনার ফলাফলের অফিসিয়াল তথ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে বিহারে প্রথম দফায় ভোট দিয়েছেন ৬৫.০৮ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দফায় ভোট দিয়েছেন ৬৮.৭৬ শতাংশ। দু’দফা মিলিয়ে বিহারে মোট ভোটদানের হার ৬৬.৯১ শতাংশ। যা গতবারের তুলনায় ৯.৬২ শতাংশ বেশি। অতীতে কখনই এই হারে বিহারের মানুষ ভোট দেননি। এর আগে বিহারে সবথেকে বেশি ভোট পড়েছিল ২০০০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, ৬২.৫৭ শতাংশ। ১৯৯৮ সালের লোকসভা ভোটে বিহারে ভোট দিয়েছিলেন ৬৪.৬০ শতাংশ ভোটার। ঐতিহ্য বজায় রেখে এবারেও বিহারে পুরুষদের অনুপাতে মহিলারা বেশি সংখ্যায় ভোট দিয়েছেন। প্রায় ৭১.৬ শতাংশ।

  • Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে নাম জড়াল আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ সিদ্দিকির

    Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে নাম জড়াল আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ সিদ্দিকির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Blast) এবার উঠে এল আরও একজনের নাম। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Al Falah University) প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ট্রাস্টি জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকি। বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রধান তিন সন্দেহভাজনের মধ্যে রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জনও, একজন শাহিন সাঈদ এবং অন্যজন মুজাম্মিল শাকিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়ন নিয়ে আলাদাভাবে তদন্ত শুরু করেছে ইডি।

    প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছিল সিদ্দিকির (Delhi Blast)

    সূত্রের খবর, সিদ্দিকির বিস্তৃত কর্পোরেট নেটওয়ার্ক রয়েছে। ৭.৫ কোটি টাকার প্রতারণার একটি পুরানো মামলায় নাম জড়িয়েছিল সিদ্দিকি ও তাঁর এক সহযোগীর। তিন বছর জেলও খেটেছিলেন তাঁরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি উপদেষ্টা মহম্মদ রাজি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সিদ্দিকির বিরুদ্ধে সব প্রতারণার অভিযোগ, যার মধ্যে ৭.৫ কোটি টাকার মামলাটিও রয়েছে, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি জানান, শাকিলকে নিয়োগের বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই। নতুন নিয়োগ ও যাচাই-বাছাই সম্পূর্ণভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব।

    ন’টি কোম্পানির বোর্ডে সিদ্দিকি!

    মধ্যপ্রদেশের মহৌতে জন্ম সিদ্দিকির। বর্তমানে (Delhi Blast) তিনি রয়েছেন ন’টি কোম্পানির বোর্ডে। এগুলি সবই আল-ফালাহ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত। এই সংস্থাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকলাপ তত্ত্বাবধান করে। এই ন’টি প্রতিষ্ঠান শিক্ষা, সফটওয়্যার, আর্থিক পরিষেবা এবং জ্বালানি খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদিও এদের অধিকাংশেরই ঠিকানা একই, দিল্লির একটি ভবন। এই প্রতিষ্ঠানগুলির বেশিরভাগই ২০১৯ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। পরে সেগুলিতে ঝাঁপ পড়ে যায়। যদিও আল-ফালাহ মেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন সাফল্যের মুখ দেখে। এটি ১৯৯৭ সালে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে পথ চলা শুরু করে। বর্তমানে ৭৮ একর জমির ওপর চলছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।

    আল-ফালাহ ভবনটি আল-ফালাহ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অফিস হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের জেরে যে পুরানো ফৌজদারি মামলাটি ফের সামনে এসেছে, সেটি দায়ের করা হয়েছিল দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি থানায়। অভিযোগকারীর দাবি, সিদ্দিকি ও তাঁর সহযোগীরা ভুয়ো বিনিয়োগ প্রকল্প চালু করেছিলেন। তাঁরা বিনিয়োগকারীদের আল-ফালাহ কোম্পানির আমানতে টাকা রাখতে রাজি করান। পরে জাল নথি তৈরি করে দেখানো হয় যে এই আমানতগুলি শেয়ারে রূপান্তরিত হয়েছে (Al Falah University)। এভাবে সংগৃহীত ৭.৫ কোটি টাকার তহবিল অভিযুক্তদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয় (Delhi Blast)।

  • Delhi Blast: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতে ৬ ডিসেম্বর হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা!

    Delhi Blast: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতে ৬ ডিসেম্বর হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার অদূরে বিস্ফোরণের (Delhi Blast) ঘটনায় ফের মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের (Babri Masjid Demolition) বদলা নিতে জঙ্গিরা ৬ ডিসেম্বর দিল্লি ও তার আশপাশে সিরিয়াল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানোর নীল নকশা ছকেছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহভাজন জঙ্গি মডিউলই এই পরিকল্পনা করেছিল। চক্রের কয়েকজন চাঁই আগেই গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় ভেস্তে যায় জঙ্গিদের যাবতীয় প্ল্যান। সেই কারণেই তড়িঘড়ি ঘটানো হয় বিস্ফোরণ।

    প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ (Delhi Blast)

    সোমবারের প্রাণঘাতী ওই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন সাধারণ মানুষ। ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, মডিউলটি মোট পাঁচটি ধাপে গোটা হামলাটা চালানোর ছক কষেছিল। প্রথম ধাপে জইশ ও আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ যুক্ত সেল তৈরি করা। দ্বিতীয় ধাপে নুহ ও গুরুগ্রাম থেকে আইইডি তৈরির রাসায়নিক, বিস্ফোরক এবং কার্তুজ জোগাড় করা। তৃতীয় ধাপে ছিল আইইডি বানানো এবং সম্ভাব্য হামলার জায়গা রেকি করা। চতুর্থ ধাপে ষড়যন্ত্রীদের পরিকল্পনা ছিল, তৈরি আইইডি, বোমা সদস্যদের হাতে পৌঁছে দেওয়া। আর সব শেষে ছিল একই সঙ্গে দেশের ৬-৭টি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো। যাতে সহজে এই পরিকল্পনার কূল খুঁজে না পাওয়া যায়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, প্রথমে ঠিক ছিল হামলা চালানো হবে অগাস্ট মাসে। কিন্তু প্রস্তুতিপর্বে দেরি হয়ে যাওয়ায় পাল্টে দেওয়া হয় তারিখ। তখনই ঠিক হয়, হামলা হবে ৬ ডিসেম্বর, বাবরি মসজিদ ভাঙার বর্ষপূর্তিতে।

    বাবরি মসজিদ

    প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভেঙে ফেলা হয় বাবরি মসজিদ। পরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জমি হস্তান্তর হয় রাম মন্দির ট্রাস্টের হাতে। ২০২০ সালে শুরু হয় নতুন রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। উদ্বোধন হয় ২০২৪ সালের মকর সংক্রান্তির পরে পরে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জইশ প্রধান মাসুদ আজহার বহুবার তার লেখা সাপ্তাহিক কলামে অযোধ্যা টার্গেট করার হুমকি দিয়েছিল। গোয়েন্দাদের অনুমান, জইশ প্রধান মাসুদ আজহার চায় বাবরি মসজিদ বিতর্ক খুঁচিয়ে ভারতে সম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি করতে। বহু বছর ধরেই তারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে (Delhi Blast)। জানা গিয়েছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতেই ছক কষেছিল জইশের হোয়াইট কালার মডিউল (Babri Masjid Demolition)। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনআইএর জেরায় সে কথা কবুলও করেছে ধৃতরা। তারাও জানিয়েছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতেই এই দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছিল।

    নয়া সিসিটিভি ফুজেট

    এদিকে, লালকেল্লায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় সামনে এল নয়া সিসিটিভি ফুজেট। সেই ফুটেজে জঙ্গি চিকিৎসক উমর নবিকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের আগে তুর্কমান গেটের কাছে একটি মসজিদ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে জঙ্গি চিকিৎসক উমর। একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিসিটিভি ফুটেজে উমরের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দিল্লি পুলিশ। বিস্ফোরণস্থলের অদূরেই রয়েছে তুর্কমান গেট মসজিদ। সেই মসজিদেই গিয়েছিল উমর। মসজিদে কিছুটা সময় কাটানোর পর বের হয়ে গিয়েছিল। এখান থেকে গাড়ি নিয়ে চলে যায়।

    বিস্ফোরণের বিরাট পরিকল্পনা

    ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে মোট ৩২টি গাড়ি ব্যবহার করে ৬ ডিসেম্বর ওই বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত চিহ্নিত করা গিয়েছে ৪টি গাড়ি (Delhi Blast)। আই-২০ ছাড়াও একটি ব্রেজা, একটি সুইফট ডিজায়ার এবং একটি ফোর্ড ইকো স্পোর্টস কার উদ্ধার করা হয়েছে (Babri Masjid Demolition)। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পুরানো, সেকেন্ড বা থার্ড হ্যান্ড গাড়িই বেছে বেছে কেনা হত, যাতে পুলিশের পক্ষে গাড়িগুলি ট্রেস করা কঠিন হয়। হরিয়ানা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লির প্রত্যন্ত এলাকা থেকে গাড়িগুলি কেনা হত।

    একযোগে বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জঙ্গিদের এই মডিউলটি দিল্লি, গুরগাঁও এবং ফরিদাবাদ জুড়ে একযোগে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ২০০টিরও বেশি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল। আধিকারিকরা জানান, তাদের উদ্দেশ্য ছিল জনবহুল ও ধর্মীয় স্থানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করা (Delhi Blast)। নিখোঁজ বিস্ফোরকের খোঁজে এবং মডিউলের সঙ্গে যুক্ত সম্ভাব্য স্লিপার সেলগুলি শনাক্ত করতে বিভিন্ন রাজ্যে যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এই নেটওয়ার্কটির শেকড় উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং সীমান্তবর্তী চোরাচালান পথ পর্যন্ত বিস্তৃত। অবশিষ্ট (Babri Masjid Demolition) অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করে বড়সড় জঙ্গি হামলা চালানোর আশঙ্কায় সরকার সংবেদনশীল কাঠামো ও বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে জোরদার করেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Delhi Blast)।

LinkedIn
Share