Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ram Mandir: প্রায় সম্পূর্ণ অযোধ্যা রাম মন্দিরের নির্মাণের কাজ, বৈদিক রীতিতে সম্পন্ন কলসি পুজো

    Ram Mandir: প্রায় সম্পূর্ণ অযোধ্যা রাম মন্দিরের নির্মাণের কাজ, বৈদিক রীতিতে সম্পন্ন কলসি পুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় সম্পূর্ণ অযোধ্যার রাম মন্দিরের নির্মাণের কাজ। গত পরশু অর্থাৎ বুধবার ২ এপ্রিল অযোধ্যার (Ayodhya) রাম জন্মভূমিতে (Ram Mandir) সম্পন্ন হয় কলসি পুজো। সম্পূর্ণ বৈদিক রীতিতে এই কলসি পুজো সম্পন্ন হয়। এই অনুষ্ঠানে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন। কলসি পুজোয় শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই এর পাশাপাশি হাজির ছিলেন অনিল মিশ্র, গোপাল রাই প্রমুখরা।

    নির্মাণ সংস্থার আধিকারিকরাও হাজির ছিলেন পুজোয় (Ram Mandir)

    একইসঙ্গে রাম জন্মভূমির মন্দির নির্মাণের (Ram Mandir) কাজ করেছে যে এল অ্যান্ড টি কোম্পানি এবং টিসিএস, তাদের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। এই কোম্পানির আধিকারিকরা পুজোতেও অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের প্রার্থনা করতেও দেখা যায়। প্রসঙ্গত, আগামী ৬ এপ্রিল রয়েছে রামনবমী। সেই আবহে ২ এপ্রিলে কলসি পুজো সম্পন্ন হল। মন্দির নির্মাণ কমিটির (Ram Mandir) চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, ২৪ মার্চ তাঁরা একটি বৈঠক করেন। এই বৈঠকেই আলোচিত হয় রাম মন্দির নির্মাণের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। নৃপেন্দ্র মিশ্র আরও জানিয়েছেন, রাম মন্দিরের ভিতরে সপ্ত মন্দিরে নির্মাণও প্রায় সম্পূর্ণ। ভগবান রামের মূর্তিও খুব তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠা করা হবে।

    আগেই জানানো হয় মন্দির নির্মাণ হতে সময় লাগবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত

    রামমন্দিরের চত্বরে আরও সাতটি মন্দির রয়েছে। এগুলি সম্পূর্ণ হওয়ার কাজও চলছে। এই সাতটি মন্দিরে মহর্ষি বাল্মীকি, শবরী, নিষাদরাজ, অহল্যা, বশিষ্ঠ, বিশ্বকর্মা ও অগস্ত্য মুনির পুজো হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হয়। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন আরএসএস প্রমুখ মোহন ভাগবতও। তখনই রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়, সম্পূর্ণ মন্দির নির্মাণ হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। ২০২৫ সালের রামনবমীর আবহে অযোধ্যা নগরীর রাম মন্দির প্রায় সম্পূর্ণ ।

  • Waqf Amendment Bill: গভীর রাতে রাজ্যসভাতেও পাশ সংশোধিত ওয়াকফ বিল, রাষ্ট্রপতির সই হলেই কার্যকর নতুন আইন

    Waqf Amendment Bill: গভীর রাতে রাজ্যসভাতেও পাশ সংশোধিত ওয়াকফ বিল, রাষ্ট্রপতির সই হলেই কার্যকর নতুন আইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। বুধবার লোকসভার (Lok Sabha) মতোই বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই বিলটি রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পাশ হয়। লোকসভায় পাশ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদের উচ্চকক্ষেও স্বীকৃতি পেল ওয়াকফ বিল (Waqf Amendment Bill)। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সই করলেই আইনে পরিণত হবে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল।

    ৭০ বছরের পুরনো আইনে বদল

    বদলে যাবে ৭০ বছরের পুরনো আইন। ১৯৫৪ সালের আইনকে সংশোধন করে ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু ৩০ বছর পরে যে সংশোধনে সিলমোহর দিল ভারতীয় সংসদ, তাতে বোর্ডের ক্ষমতা এবং কার্যকারিতার খোলনলচে বদলে যেতে চলেছে। দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ ওয়াকফ বোর্ড পেতে চলেছে দেশ। সমস্ত বিতর্ক এবং সংশোধনী নিয়ে ভোটাভুটি শেষে বৃহস্পতিবার রাত ২টো ১৯ মিনিটে ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’ পাশ করানোর প্রস্তাব পেশ করেন সংসদীয় বিষয়ক এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ধ্বনিভোটের ফলাফলে বিরোধী শিবির সন্তুষ্ট হয়নি। তাঁরা বিভাজন (ডিভিশন) চান। ভোটাভুটি শেষে রাত ২টো ৩৪ মিনিটে ফল ঘোষিত হয়। তাতে দেখা যায় বিলের পক্ষে পড়েছে ১২৮টি ভোট। আর বিপক্ষে পড়েছে ৯৫টি ভোট। ৩৩ ভোটের ব্যবধানে ওয়াকফ বিল (Waqf Amendment Bill) রাজ্যসভায় পাশ হয়ে যায়।

    গরিব মুসলিমদের রক্ষা করবে এই বিল

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়াও ওয়াকফ বিলকে (Waqf Amendment Bill) সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘‘এই বিল গরিব মুসলিমদের রক্ষা করবে তাঁদেরই ধনী অংশের হাত থেকে। ন্যায়ের স্বার্থে এই নতুন বিল আমাদের সংবিধানের বুনিয়াদি নীতিগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ কথা মনে রাখতে হবে যে, নতুন ওয়াকফ বিল মুসলিমদের ধর্মাচরণে কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করছে না।’’ দেশে যে বিপুল পরিমাণ ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে, তার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যেই এই বিল আনা হয়েছে বলে মত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর।

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫-র নয়া নাম উমিদ

    এদিনও ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’ নিয়ে বিতর্ক চলে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। সংসদীয় বিষয়ক এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, ‘‘কেউ কেউ বলছেন, আমরা এই বিলের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের ভয় দেখাচ্ছি। কিন্তু ভয় আমরা দেখাচ্ছি না। ভয় আপনারা দেখাচ্ছেন। সিএএর সময়েও অনেকে ভয় দেখিয়েছিলেন। বলেছিলেন, সিএএ পাশ হলেই অনেকের নাগরিকত্ব চলে যাবে। কিন্তু সিএএ পাশ হওয়ার পরে তেমন কিছু হয়নি। ওয়াকফ বিলের ক্ষেত্রেও আগে থেকে অনেকে ভয় দেখানোর কাজ করছেন। কিন্তু বিল পাশ হওয়ার পর দেখবেন, আগামিকাল থেকেই একে কী ভাবে স্বাগত জানানো হয়।’’ তিনি আরও জানান, ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫-র নাম বদলে রাখা হচ্ছে উমিদ (ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট এমপাওয়ারমেন্ট এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) বিল।

    ওয়াকফ বোর্ডে মুসলিমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ

    এদিন রাজ্যসভায় আলোচনার শুরুতেই রিজিজু বলেন, ওয়াকফ সম্পত্তির মূল উদ্দেশ্য দরিদ্র, অনাথ শিশু ও মহিলাদের কল্যাণ। অথচ এত সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও আয় হচ্ছে সামান্যই। সাচার কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৬ সালে দেশে ৪.৯ লক্ষ ওয়াকফ সম্পত্তি ছিল, যেখান থেকে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা থাকলেও আদতে আয় হয়েছিল মাত্র ১৬৩ কোটি। ২০১৩ সালে আইনে কিছু পরিবর্তন আনা হলেও আয় খুব একটা বাড়েনি। নতুন আইন এই ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। নতুন আইনে কেন ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, বিরোধীদের এই প্রশ্নের জবাবে রিজিজু বলেন, ‘‘ওয়াকফ বোর্ড একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। একটি বিধিবদ্ধ সংস্থায় শুধু মুসলিমরা থাকবেন, আর কেউ থাকতে পারবেন না, এটা কী ভাবে হবে?’’ রিজিজুর কথায়, ‘‘বিধিবদ্ধ সংস্থাকে ধর্মনিরপেক্ষ হতে হবে এবং সব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব সেখানে থাকা উচিত।’’ তবে রিজিজু এ-ও জানান যে, ২২ সদস্যের বোর্ডে সর্বোচ্চ চারজন অমুসলিম সদস্য থাকতে পারবেন। ফলে বিল (Waqf Amendment Bill) পাশ হয়ে তা আইনে পরিণত হলেও ওয়াকফ বোর্ডে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠই থাকবেন।

  • Waqf Bill 2025: ওয়াকফ বিলকে সমর্থন চন্দ্রবাবু-নীতীশের, কীভাবে হল অসাধ্য সাধন?

    Waqf Bill 2025: ওয়াকফ বিলকে সমর্থন চন্দ্রবাবু-নীতীশের, কীভাবে হল অসাধ্য সাধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-কে নিজেদের ফেভারে নিয়ে এসে বিরোধীদের মাত দিল বিজেপি (BJP)। জেডিইউ এবং টিডিপির সমর্থনে বর্তমানে লোকসভায় এনডিএর সাংসদ সংখ্যা ২৯৩। নীতীশ এবং চন্দ্রবাবু বেঁকে বসলেই বিপদ হতে পারত। লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ (Waqf Bill 2025) পাশ করাতে ব্যর্থ হতে পারত তৃতীয় মোদি সরকার। যার অর্থ হত, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাত এনডিএ সরকার। বস্তুত, বিরোধীদের আশাও ছিল তেমনই। তবে শেষমেশ তাঁদের সে গুড়ে বালি দিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের দল। সূত্রের খবর, এই অসাধ্য সাধন হয়েছে বিজেপির জোট অংশীদারদের কাছ থেকে বিতর্কিত বিষয়ে সমর্থন আদায়ের নিরন্তর প্রচেষ্টায়।

    টিডিপি এবং জেডিইউয়ের ভোটব্যাংক (Waqf Bill 2025)

    টিডিপি এবং জেডিইউয়ের ভোটব্যাংক হলেন মুসলমান ভোটাররা। সেই কারণে মুসলমানদের সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে, বিশেষত ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মতো বিষয়ে বিজেপির বিপরীত অবস্থান নিয়েছে এই দুই দল। এবারও তেমনটাই হবে বলে আশা করেছিলেন বিরোধীদের সিংহভাগ অংশ। যদিও পর্দার আড়ালে আলোচনার মাধ্যমে এই দুই দলকে বিলটি সমর্থনে রাজি করায় পদ্ম শিবির। তার জেরেই লোকসভায় পাশ হয়ে যায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫।

    বিলটির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা

    অগাস্ট মাসে বিলটি আনার আগে প্রবীণ মন্ত্রীরা টিডিপি এবং জেডিইউ নেতৃত্বকে বিলটির গুরুত্ব সম্পর্কে সম্যক অবহিত করেছিলেন। বিলটির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেছিলেন এনডিএ জোটের অন্যান্য শরিকদের কাছেও। সেই সময় ওই দলগুলির নেতাদের বিজেপি নেতৃত্ব পইপই করে বুঝিয়েছিলেন বিলটি মুসলিম স্বার্থ রক্ষা এবং নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে প্রণয়ন করা হয়েছে, বিরোধী দলগুলির অভিযোগের মতো সম্প্রদায়গুলিকে (Waqf Bill 2025) বিভক্ত করার জন্য নয়।

    এনডিএ জোটের শরিকদের বোঝানোর পালা শেষ হওয়ার পর বিলটি পাঠানো হয় যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। সেখানে টিডিপি এবং জেডিইউয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা-সহ ১৪টি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। তার পরেই বিলটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় মন্ত্রিসভায়। পরে পেশ হয় লোকসভায় (BJP)। বিলটি সমর্থন করে টিডিপি এবং জেডিইউ দলের নেতারা বলেন, “এটি মুসলমান নারী ও প্রান্তিক সম্প্রদায়ের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ (Waqf Bill 2025)।”

  • Manipur Violence: শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করছে সরকার, সংসদে পাশ মণিপুর-প্রস্তাব

    Manipur Violence: শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করছে সরকার, সংসদে পাশ মণিপুর-প্রস্তাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন (Manipur Violence) জারি নিয়ে সংবিধিবদ্ধ প্রস্তাব গৃহীত হল লোকসভায়। ওয়াকফ বিল পাশের পরে বুধবার গভীর রাতে বিরোধীরা দাবি তুললেন মণিপুরে নিয়ে আলোচনার। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ইস্তফা দিয়েছিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। তার পরে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। নিয়ম অনুযায়ী, কোথাও রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে দু’মাসের মধ্যে সংসদীয় অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। বুধবার সেই প্রস্তাবই পাশ হয়েছে।

    শাহি জবাব

    এদিন মণিপুর (Manipur Violence) প্রসঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করা হচ্ছে। সেখানে দুই জাতির সংঘর্ষ। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীল। বিরোধীরা শুধু রাজনীতি করার জন্যই মণিপুর নিয়ে এত কথা বলছে।” অমিত শাহর ভাষণের পর মণিপুর প্রস্তাবও পাশ হয়ে যায়। রাত ২টো ৪১ নাগাদ লোকসভা মুলতুবি হয়। উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন এন বীরেন সিং। আর ১৩ ফেব্রুয়ারি মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। প্রায় দু’বছর ধরে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষে বিরামহীন হিংসার সাক্ষী থেকেছে মণিপুর। এই নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয় বীরেন সিংকে। প্রবল চাপের মুখে পদত্যাগ করেন বীরেন সিং। ফেব্রুয়ারি মাসেই মণিপুরে জারি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন।

    সাংবিধানিক কারণেই মধ্যরাতে আলোচনা

    বুধবার লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী পাশ হয় রাত ১টা ৫৭ মিনিটে। এরপর অধিবেশন মুলতুবি না করে স্পিকার ওম বিড়লা জানান এবার মণিপুর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। মধ্যরাতে বিরলতম ঘটনার সাক্ষী থাকে সংসদ। কেন বুধবার রাতে মণিপুর নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার কারণ জানিয়েছেন কংগ্রেসের সাংসদ শশী তারুর। তিনি জানান, সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তার কারণেই এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কী কারণে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে তা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। লোকসভা মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবিধিবদ্ধ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

  • WAQF Amendment Bill: লোকসভায় পাশ সংশোধিত ওয়াকফ বিল, আজ পেশ রাজ্যসভায়

    WAQF Amendment Bill: লোকসভায় পাশ সংশোধিত ওয়াকফ বিল, আজ পেশ রাজ্যসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার গভীর রাতে লোকসভায় পাশ হল সংশোধিত ওয়াকফ বিল (WAQF Amendment Bill)। বিলের পক্ষে ২৮৮ এবং বিপক্ষে ২৩২ জন সাংসদ ভোট দিলেন। ব্যবধান ৫৬। মোট ভোট পড়ল ৫২০। বৃহস্পতিবার বিল পেশ হবে রাজ্যসভায়। ঘড়ির কাঁটা তখন পার করেছে মধ্যরাত। ততক্ষণে লোকসভায় ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছে ডিবেট। খাতায় কলমে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তারিখ তখন ৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। আর সেই বৃহস্পতির রাত ২ টোয় লোকসভায় পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল।

    ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫ পেশ রিজিজুর

    বুধবার লোকসভায় বিল পেশের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় সরকারের অবস্থানের কথা জানান। এর পরে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’ পেশ করেন। বিরোধীরা বিল নিয়ে ভুল তথ্য এবং গুজব ছড়াচ্ছেন বলে বুধবার লোকসভায় অভিযোগ করেন রিজিজু। বিলের সমালোচনা যাঁরা করছেন, তাঁদের নিশানা করে রিজিজু বলেন, “যখন আমরা কোনও ইতিবাচক সংস্কার আনছি, তখন কেন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে?” আলোচনা এবং সকলের মতামত নেওয়ার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসিকে ধন্যবাদ জানান রিজিজু। তিনি বলেন, “আমি জেপিসির সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ২৮৪টি প্রতিনিধিদল, ২৫টি রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং ওয়াকফ বোর্ড এই বিষয়ে জেপিসির কাছে নিজেদের মতামত জানিয়েছে।”

    ইউপিএ সরকারকে আক্রমণ

    বিল (WAQF Amendment Bill) পেশের পর পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে আক্রমণ করে রিজিজু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওয়াকফের হাতে সংসদ ভবনের অধিগ্রহণ আটকেছেন। ইউপিএ সরকার সংসদ এবং বিমানবন্দরের জমি ওয়াকফের হাতে তুলে দিয়েছিল।” তাঁর দাবি, মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করছে না সংশোধিত ওয়াকফ বিল। শুধুমাত্র ওয়াকফ সম্পত্তির যথাযথ দেখভাল এবং পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের কল্যাণের উদ্দেশ্যেই ওয়াকফ আইন সংশোধনের এই উদ্যোগ। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আজ, আমাদের দেশে মোট ওয়াকফ সম্পত্তির সংখ্যা ৪.৯ লক্ষ থেকে বেড়ে ৮.৭২ লক্ষ হয়েছে। যদি এই পরিমাণ ওয়াকফ সম্পত্তি সঠিক ভাবে পরিচালিত হত, তা হলে কেবল মুসলমানদের জীবনকেই উন্নত করত না, সমগ্র দেশের ভাগ্যকেও বদলে দিত…।’’

    ভুল বোঝাচ্ছে বিরোধীরা

    ওয়াকফ বিল (WAQF Amendment Bill) বিতর্কে বুধবার লোকসভায় বিরোধীদের বিঁধলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবে অন্যের জমি দান করে দেওয়া যায় না। দান একমাত্র নিজের জমিই করা যায়।’’ সংসদে একটি তালিকা হাতে নিয়ে শাহ জানালেন, কোন কোন জমি ওয়াকফকে দান করা হয়েছে। শাহের বক্তব্য, তার মধ্যে মন্দিরের জমি যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে অন্যান্য ধর্মীয় স্থান এবং সরকারের জমি। বুধবার, লোকসভায় এই বিল পেশ করার পরেই বিরোধিতা করতে শুরু করেন কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি-সহ বিভিন্ন দলের সাংসদরা। এমনকী যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রস্তাব মানা হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়। তবে, লোকসভায় ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের উপর বিরোধী সদস্যদের আনা সংশোধনীগুলি গ্রহণ করা হয়েছে বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কিরেন রিজিজুর দাবি, বিশ্বের একমাত্র ভারতে সব থেকে নিশ্চিন্তে আছেন সংখ্যালঘুরা। তাঁর দাবি, মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করছে না সংশোধিত ওয়াকফ বিল।

    বিরোধীদের তোপ শাহের

    বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘একজন মুসলিম তো চ্যারিটি কমিশনার হতেই পারেন। তাঁকে ট্রাস্ট দেখতে হবে না, আইন অনুযায়ী ট্রাস্ট কীভাবে চলবে, সেটা দেখতে হবে। এটা ধর্মের কাজ নয়। এটা প্রশাসনিক কাজ। সব ট্রাস্টের জন্য কি আলাদা আলাদা কমিশনার থাকবে? আপনারা তো দেশ ভাগ করে দিচ্ছেন। আমি মুসলিম ভাই-বোনদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আপনাদের ওয়াকফ বোর্ডে কোনও অমুসলিম থাকবে না। এই আইনে এমন কিছু নেই। আমি স্পষ্ট করে দিচ্ছি, মুসলিমদের ধর্মকর্ম, তাদের যে দানের ট্রাস্ট, তাতে সরকার কোনও দখলদারি চায় না। ওয়াকফ আপনাদেরই থাকবে।’’ শাহের দাবি, ‘‘ওয়াকফ বোর্ড ও ওয়াকফ পরিষদ কী করবে? ওয়াকফ সম্পত্তি যারা বিক্রি করে খাচ্ছে তাদেরকে তাড়ানো হবে। ওয়াকফের টাকা, যা দিয়ে সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন করা দরকার, সেই টাকা যারা চুরি করছে, তাদের ধরার কাজ করবে ওয়াকফ পরিষদ।’’ বিরোধীরা শুধু তোষণের জন্য বিরোধিতা করছেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ নেই, বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

  • Waqf Bill: “ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলমানদের উন্নয়নে সাহায্য করবে”, বললেন জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন

    Waqf Bill: “ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলমানদের উন্নয়নে সাহায্য করবে”, বললেন জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Bill) ২০২৫ মুসলমান সম্প্রদায়ের উন্নয়নে সাহায্য করবে (Darakhshan Andrabi)।” বুধবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন দারাখশান আন্দরাবি। তিনি বলেন, “সংসদে পেশ করা বিলটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে বলে মনে হয় না। যদি ওয়াকফের এত জমি থাকে, তাহলে এত মুসলমান গরিব কেন? যদি বোর্ডটি সঠিকভাবে পরিচালিত হয় এবং দায়বদ্ধ করা হয়, তাহলে আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়ন সম্ভব হবে।”

    জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সনের বক্তব্য (Waqf Bill)

    তিনি বলেন, “বিলটি মুসলমানদের কল্যাণের জন্যই পেশ করা হয়েছে বলে মনে হয়। বিলটিতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে এমন কিছুই নেই।” এদিন সকালে লোকসভায় বিলটি পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু প্রশ্ন তোলেন, “কেন ওয়াকফের সম্পত্তি দেশ ও মুসলমানদের উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়নি।” তিনি জানান, ভারতের কাছে বিশ্বের সব চেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, “যখন আমাদের দেশের কাছে বিশ্বের সব চেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে, তখন সেগুলি দরিদ্র মুসলমানদের শিক্ষা, চিকিৎসা, দক্ষতা উন্নয়ন ও আয় বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়নি কেন (Darakhshan Andrabi)? এ ব্যাপারে এতদিনে কেন কোনও অগ্রগতি হয়নি?” তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের মুসলমানদের উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে বাধা দিচ্ছেন। মন্ত্রী জানান, দেশে ওয়াকফ সম্পত্তির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। তাদের আয়ও বেড়েছে।

    ওয়াকফ সংশোধনী বিলের লক্ষ্য

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের লক্ষ্য হল, ভারতের ওয়াকফ সম্পত্তির প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা উন্নত করা। এটি পূর্ববর্তী আইনের ত্রুটিগুলো দূর করে ওয়াকফ বোর্ডের দক্ষতা বাড়ানো, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া উন্নত করা এবং ওয়াকফ রেকর্ড ম্যানেজমেন্টে প্রযুক্তির ভূমিকা বাড়ানোর চেষ্টা করে।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশের আগে গঠন করা হয়েছিল যৌথ সংসদীয় কমিটি। সেই কমিটি দেশের বিভিন্ন (Waqf Bill) নাগরিক কমিটি ও সংগঠনগুলির কাছ থেকে ৯৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৭২টি মেমোরান্ডাম পেয়েছে। দারুল উলুম দেওবন্দ, জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ এবং জামায়াতের বিভিন্ন শাখার মতো বিশিষ্ট মুসলিম সংগঠনগুলির পরামর্শ নেওয়া হয়। সেখানে ওয়াকফ সম্পদ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পর্কিত আইনি, প্রশাসনিক এবং সাম্প্রদায়িক (Darakhshan Andrabi) উদ্বেগগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল (Waqf Bill)।

  • Waqf Amendment Bill 2025: “স্রেফ ভোটব্যাংকের স্বার্থে ওয়াকফ বিল নিয়ে ভীতি ছড়ানো হচ্ছে,” লোকসভায় তোপ শাহের

    Waqf Amendment Bill 2025: “স্রেফ ভোটব্যাংকের স্বার্থে ওয়াকফ বিল নিয়ে ভীতি ছড়ানো হচ্ছে,” লোকসভায় তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওয়াকফ বিল মুসলিমদের ধর্মীয় বিষয় ও তাদের দান করা সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করবে – এই ধরনের ভীতি ছড়ানো হচ্ছে শুধুমাত্র ভোটব্যাংকের স্বার্থে।” বুধবার ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ (Waqf Amendment Bill 2025) নিয়ে আলোচনার সময় কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন লোকসভায় বিল পেশের সময় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও বলেছিলেন, এই বিলের উদ্দেশ্য হল ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনা চালু করা, জটিলতাগুলি সমাধান করা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

    কী বললেন শাহ? (Waqf Amendment Bill 2025)

    শাহ বলেন, “একজন মুসলমান তো চ্যারিটি কমিশনার হতেই পারেন। তাঁকে ট্রাস্ট দেখতে হবে না, আইন অনুযায়ী ট্রাস্ট কীভাবে চলবে, সেটা দেখতে হবে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটা ধর্মের কাজ নয়। এটা প্রশাসনিক কাজ। সব ট্রাস্টের জন্য কি আলাদা আলাদা কমিশনার থাকবে?” বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা তো দেশ ভাগ করে দিচ্ছেন। আমি মুসলমান ভাই-বোনেদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আপনাদের ওয়াকফ বোর্ডে কোনও অমুসলিম থাকবে না। এই আইনে এমন কিছুই নেই।”

    ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা!

    এদিন বক্তৃতায় অংশ নিয়ে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকেও নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ওয়াকফ ৬০২ বর্গ কিলোমিটার জমি দখল করতে চেয়েছিল। সেজন্য হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “পাঁচতারকা হোটেলের জন্য জমি মাসে ১২ হাজার টাকায় ওয়াকফকে দেওয়া হয়েছিল। তারা (কংগ্রেস) মনে করে যে এভাবে তারা ভোট বৈতরণী পার হবে।”

    তিনি বলেন, “ভারতে অনেক গির্জা ওয়াকফ বিলকে সমর্থন করছে। চার বছরের মধ্যে মুসলমানরা বুঝতে পারবেন যে এই বিল তাঁদের উপকারে আসবে। বিভিন্ন ধর্মের অন্তর্গত বেশ কিছু সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রয়াগরাজের চন্দ্রশেখর আজাদ পার্কও রয়েছে। সরকার মুসলমানদের চ্যারিটি ও দানের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবে না।” শাহ বলেন, “ওয়াকফ ইসলামের নীতিগুলি (Waqf Amendment Bill 2025) থেকে এসেছে। আমি সব মুসলমানকে বলতে চাই, অমুসলিমরা আপনাদের (Amit Shah) ওয়াকফে প্রবেশ করবে না।

    ওয়াকফ পরিষদ সম্পত্তির কার্যকারিতা তদারকি করে। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও অবৈধভাবে জমি দখল করে, তারা তাদের ধরবে (Waqf Amendment Bill 2025)।”

  • Waqf Bill 2024: ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ সম্পর্কে অজানা তথ্য, কেন কেন্দ্র চাইছে এই নয়া আইন?

    Waqf Bill 2024: ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ সম্পর্কে অজানা তথ্য, কেন কেন্দ্র চাইছে এই নয়া আইন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বুধবার সংসদে পেশ হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় পেশ করা হতে পারে এই বিল। এদিন সংসদের নিম্নকক্ষে এই বিলটি পেশ করেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪-এর উদ্দেশ্য হল ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলির সমাধান করা। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের মতে, সংশোধনী বিলের মূল উদ্দেশ্য ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তির প্রশাসন ও পরিচালনার উন্নতি করা।

    ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪-এর ব্যাখ্যা

    ওয়াকফ বোর্ডের কাজকে সুনির্দিষ্ট জায়গায় আনা এবং ওয়াকফ সম্পত্তির সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২৪ সালের ৮ অগাস্ট দুটি বিল, ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪ এবং মুসলমান ওয়াকফ (বাতিল) বিল ২০২৪, লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল।
    ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪-এর উদ্দেশ্য হল, ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় ওয়াকফ আইন, ১৯৯৫-এর সংশোধন করা। সংশোধনী বিল ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির পরিচালন ব্যবস্থায় উন্নয়ন ঘটাতে চায়। এর লক্ষ্য হল :
    ● পূর্ববর্তী আইনগুলির ত্রুটি কাটিয়ে উঠে আইনের নাম পরিবর্তনের মতো বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে ওয়াকফ বোর্ডগুলির কার্যকারিতা  বাড়ানো।
    ● ওয়াকফের সংজ্ঞা হালনাগাদ করা।
    ● নিবন্ধন প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটানো।
    ● ওয়াকফের নথিপত্র রাখার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ভূমিকা আরও বাড়ানো।

    নীচের প্রশ্নোত্তরগুলি ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ সম্পর্কে বুঝতে সহায়ক হবে—

    ১) ভারতে ওয়াকফ ব্যবস্থাপনার ভার কোন কোন প্রশাসনিক সংস্থার ওপর রয়েছে এবং তাদের ভূমিকা কী?

    ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা ওয়াকফ আইন ১৯৯৫ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি কেন্দ্রীয় সরকার প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করে। ওয়াকফ ব্যবস্থাপনায় জড়িত প্রধান প্রশাসনিক সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে :
    ❖ কেন্দ্রীয় ওয়াকফ পরিষদ (সিডব্লিউসি) – এটি সরকার এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলিকে নীতি সংক্রান্ত পরামর্শ দেয়, কিন্তু ওয়াকফ সম্পত্তিগুলি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে না।
    ❖ রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড (এসডব্লিউবি) – প্রতিটি রাজ্যের ওয়াকফ সম্পত্তিগুলি রক্ষা ও পরিচালনা করে।
    ❖ ওয়াকফ ট্রাইবুনাল – এই বিচারবিভাগীয় সংস্থা ওয়াকফ সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের নিষ্পত্তি করে।
    এই পদ্ধতিতে ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির পরিচালনা ও বিবাদের নিষ্পত্তি হয়। বছরের পর বছর ধরে চলা বিভিন্ন আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে ওয়াকফ পরিচালন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ, কার্যকরী ও দায়বদ্ধ করে তুলেছে।

    ২) ওয়াকফ বোর্ডের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলি কী?

    ১. ওয়াকফ সম্পত্তির অপরিবর্তনীয়তা

    ● “একবার ওয়াকফ, বরাবরের ওয়াকফ” নীতি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। বেট দ্বারকার দ্বীপপুঞ্জের ওপর অধিকার আদালতগুলিকেও বিভ্রান্ত করছে।
    ২. আইনি বিরোধ ও দুর্বল পরিচালন ব্যবস্থা
    ওয়াকফ আইন ১৯৯৫ এবং ২০১৩ সালের সংশোধনী কার্যকর হয়নি। যেসব সমস্যা দেখা দিয়েছে তা হল :
    ● ওয়াকফ জমির অবৈধ দখল
    ● সুপরিচিত ব্যবস্থার অভাব এবং মালিকানা নিয়ে বিবাদ
    ● সম্পত্তির নিবন্ধীকরণ ও সমীক্ষায় দেরি
    ● বিপুল সংখ্যক মামলা এবং মন্ত্রকের কাছে অজস্র অভিযোগ

    ৩. বিচারবিভাগীয় তত্তাবধানের অভাব

    ● ওয়াকফ ট্রাইবুনালের সিদ্ধান্ত উচ্চতর আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায় না।
    ● এর ফলে ওয়াকফ পরিচালন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা কমে যায়

    ৪. ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির অসম্পূর্ণ সমীক্ষা 

    ● জরিপ কমিশনারের কাজের মান ভালো না হওয়ায় বিলম্ব হয়।
    ● গুজরাট ও উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলিতে জরিপের কাজ এখনও শুরুই হয়নি।
    ● উত্তরপ্রদেশে ২০১৪ সালে একটি জরিপের নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনও তা কার্যকর হয়নি।
    ● অভিজ্ঞতা অভাব এবং রাজস্ব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় না থাকায় নিবন্ধনের প্রক্রিয়া  ধীর গতিপ্রাপ্ত হয়।

    ৫. ওয়াকফ আইনের অপব্যবহার

    ●কিছু রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করায় সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
    ●ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারার ব্যাপক অপপ্রয়োগ ঘটিয়ে ব্যক্তিগত সম্পত্তিগুলিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে আইনি লড়াই ও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
    ● ৩০টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে মাত্র ৮টি রাজ্যের তথ্য পাওয়া গেছে, যেখানে ৪০ নম্বর ধারার আওতায় ৫১৫টি সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

    ৬. ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা

    ● ওয়াকফ আইন শুধুমাত্র একটি ধর্মের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, অন্য কোনও ধর্মের ক্ষেত্রে এমন আইন নেই। ওয়াকফ আইন সাংবিধানিকভাবে বৈধ কী না সেই প্রশ্ন তুলে দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবস্থান জানাতে বলেছে।

    ৩) এই বিল আনার আগে মন্ত্রক কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে?

    সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বিল নিয়ে আলোচনা করেছে। যেসব বিষয় আলোচনায় উঠেছে, তার মধ্যে রয়েছে সাচার কমিটির প্রতিবেদন, জনপ্রতিনিধিদের উদ্বেগ, অব্যবস্থা নিয়ে সংবাদমাধ্যম এবং সাধারণ মানুষের বক্তব্য ওয়াকফ আইনের অপব্যবহার, ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির সঠিক ব্যবহার না করা প্রভৃতি। মন্ত্রক বিষয়টি নিয়ে রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলির সঙ্গেও আলোচনা করেছে।
    মন্ত্রক ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের সংস্থানগুলি খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এই নিয়ে দুটি বৈঠক হয়। ২৪.০৭.২৩ তারিখে একটি বৈঠক হয় লখনউতে, অপরটি ২০.০৭.২৩ তারিখে, দিল্লিতে। দুটি বৈঠকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সমস্যার সমাধানে যথাযথ আইনি সংশোধন আনা যে প্রয়োজন, সে বিষয়ে সব পক্ষই সহমত পোষণ করেন।
    ● কেন্দ্রীয় ওয়াকফ পরিষদ (সিডব্লিউসি) এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলির গঠনের ভিত্তি আরও প্রসারিত করা
    ● মুটাওয়ালিদের ভূমিকা ও দায়িত্ব
    ● ট্রাইবুনালগুলির পুনর্গঠন
    ● নিবন্ধন প্রক্রিয়ার উন্নতি
    ● স্বত্বাধিকার ঘোষণা
    ● ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির জরিপ
    ● ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির মিউটেশন
    ● মুটাওয়ালিদের হিসাবপত্র দাখিল
    ● বার্ষিক হিসাবপত্র দাখিলের ক্ষেত্রে সংস্কার
    ● উচ্ছেদ করা সম্পত্তি/সীমাবদ্ধতা আইনের সংস্থানগুলির পর্যালোচনা
    ● ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনা
    এছাড়া, মন্ত্রক সৌদি আরব, মিশর, কুয়েত, ওমান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওয়াকফ ব্যবস্থাপনার আন্তর্জাতিক রীতিনীতি বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে, সাধারণত সরকারি আইন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমেই ওয়াকফ সম্পত্তিগুলি নিয়ন্ত্রিত হয়।

    ৪) ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৪ পেশ হওয়ার প্রক্রিয়াটি কী ছিল?

    ● ওয়াকফ সম্পত্তির দেখাশোনা এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় খামতি দূর করার লক্ষ্যে ২০২৪–এর ৮ অগাস্ট পেশ করা হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৪।
    ● ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট সংসদের উভয় পক্ষই এই বিলটি পর্যালোচনার জন্য ২১ জন লোকসভা এবং ১০ জন রাজ্যসভার সদস্যের যৌথ কমিটির কাছে পাঠায়।
    ● এই বিলের গুরুত্ব এবং ব্যাপক তাৎপর্যের প্রেক্ষিতে ঐ কমিটি সাধারণ মানুষ এবং বিশেষজ্ঞ/সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের মতামত যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
    ● যৌথ সংসদীয় কমিটির ৩৬টি বৈঠক হয়েছে, যেখানে শোনা হয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রক/দফতরের প্রতিনিধিদের মতামত: সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক, আইন মন্ত্রক, রেল মন্ত্রক (রেল বোর্ড), আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক, সংস্কৃতি মন্ত্রক (ভারতের পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ), বিভিন্ন রাজ্য সরকার, রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট নানা পক্ষ ও বিশেষজ্ঞ।
    ● প্রথম বৈঠকটি হয় ২০২৪–এর ২২ অগাস্ট। যেসব সংগঠন ও পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, সেগুলি হ’ল:
    —অল ইন্ডিয়া সুন্নি জামিয়াতুল উলামা, মুম্বই;
    —ইন্ডিয়ান মুসলিমস্ অফ সিভিল রাইটস্ (আইএমসিআর), নতুন দিল্লি
    —মুত্তাহিদা মজলিস–এ–উলেমা, জম্মু ও কাশ্মীর (মিরওয়াইজ উমর ফারুক)
    —জাকাত ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া
    —অঞ্জুমান ই শিতেআলি দাউদি বোহরা কম্যুনিটি
    —চাণক্য ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, পাটনা
    —অল ইন্ডিয়া পাসমান্দা মুসলিম মাহাজ, দিল্লি
    —অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি), দিল্লি
    —অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানাশিন কাউন্সিল (এআইএসএসসি), আজমেঢ়
    —মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ, দিল্লি
    —মুসলিম উইমেন ইন্টেলেকচ্যুয়াল গ্রুপ – ডঃ শালিনী আলি, জাতীয় আহ্বায়ক
    —জামিয়ত উলামা-ই-হিন্দ, দিল্লি
    —শিয়া মুসলিম ধর্মগুরু অ্যান্ড ইন্টেলেকচ্যুয়াল গ্রুপ
    —দারুল উলুম দেওবন্দ
    ● কমিটি কাগুজে এবং ডিজিটাল পন্থায় মোট ৯৭,২৭,৭৭২টি স্মারকলিপি পেয়েছে।
    ● ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৪–এর পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনার পর কমিটির সদস্যরা দেশের বিভিন্ন শহরে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেন। এইসব সফরের সুবাদে আরও নানা পক্ষের মতামত শোনা, বাস্তব পরিস্থিতি বোঝা এবং ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনার ব্যবস্থা সংক্রান্ত আঞ্চলিক নানা বিষয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া গেছে। ১০টি শহরে সফরের সময়সূচি:
    —সেপ্টেম্বর ২৬ – অক্টোবর ১, ২০২৪: মুম্বাই, আমেদাবাদ, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু
    —নভেম্বর ৯ – ১১, ২০২৪: গুয়াহাটি, ভুবনেশ্বর
    —জানুয়ারি ১৮ – ২১, ২০২৫: পাটনা, কলকাতা, লখনউ
    ● প্রশাসনিক এবং আইনি নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কমিটি ২৫টি রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছে (দিল্লিতে ৭টি, বিভিন্ন সফরে ১৮টি)।
    ● এরপর, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫ যৌথ কমিটির ৩৭তম বৈঠকে বিলটির সব ধারার বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। সদস্যদের বিভিন্ন সংশোধনী প্রস্তাব গৃহীত হয় ভোটাভুটির মাধ্যমে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে।।
    ● গৃহীত এই খসড়া প্রতিবেদন পেশ করার দায়িত্ব দেওয়া হয় চেয়ারপার্সনকে। ৩৮তম বৈঠক হয় ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে।
    ● যৌথ কমিটি লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে প্রতিবেদন তুলে দেয় ৩১.০১.২০২৫ তারিখে। সংসদের উভয় সভার কাছে তা পাঠানো হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে।

    ৫) ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৪–এ প্রস্তাবিত মূল সংস্কারগুলি কী?

    ২০২৪–এর এই বিলের আওতায় প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলির লক্ষ্য– ভারতের ওয়াকফ প্রশাসনকে আরও সুবিন্যস্ত, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ করে তোলা। ওয়াকফ সম্পত্তির পরিচালন সংক্রান্ত বিষয়টিকে প্রযুক্তিচালিত এবং উপযুক্ত আইন বিধি অনুযায়ী এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় সরকার। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দিকটিতেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

     সংযুক্ত ওয়াকফ ব্যবস্থাপনা

    ● ওয়াকফ সম্পত্তির অসম্পূর্ণ সমীক্ষা।
    ● বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল ও ওয়াকফ বোর্ড – এ মোকদ্দমা জমে থাকা।
    ● মুতাওয়ালিদের উপর নজরদারি এবং হিসেব-নিকেশে স্বচ্ছতার অভাব।
    ● ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির মিউটেশন ঠিকভাবে হয়নি।

    কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলির ক্ষমতায়ন

    ● সিদ্ধান্ত গ্রহণে দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বাড়াতে অমুসলিম, অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠী, মুসলিমদের মধ্যে অন্যান্য অনগ্রসর গোষ্ঠী এবং মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিনিধিত্ব।

     রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলির দক্ষতা

    ● ওয়াকফ নিবন্ধন, সর্বেক্ষণ, মিউটেশন, অডিট, লিজ এবং মামলা-মোকদ্দমার বিষয়টি বৈজ্ঞানিক ও দক্ষ পন্থায় সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ডিজিটাল পোর্টাল ও ডেটাবেস।

    ওয়াকফ – এর বিকাশ

    ● পোর্টাল-ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা প্রশাসনকে জোরদার করবে।
    ● ধারা ৬৫ অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডগুলি প্রশাসনিক এবং আয় সংক্রান্ত বিষয়ে রিপোর্ট দাখিল করবে ছ’মাসের মধ্যে, যাতে সময় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    ● ধারা ৩২ (৪) অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডগুলি প্রয়োজন মতো মুতাওয়ালিদের থেকে পাওয়া সম্পত্তি এবং ওয়াকফ জমিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিপণন কেন্দ্র কিংবা আবাসন গড়ে তুলবে।

    ৬) ওয়াকফ আইন ১৯৯৫ এবং ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪–এর মধ্যে পার্থক্য কী?

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪, ওয়াকফ বিল ১৯৯৫–এ বেশ কিছু পরিমার্জনা এনে ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনার বিষয়টি আরও স্বচ্ছ ও দক্ষ করে তুলতে চায়। পার্থক্যগুলি নিম্নরূপ:

    বর্গ —> ওয়াকফ আইন, ১৯৯৫ —> ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৪

    আইনের নাম —> ওয়াকফ আইন, ১৯৯৫ —> নতুন নাম ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৯৫

    ওয়াকফ – এর গঠন —> ঘোষণা অনুযায়ী, ব্যবহারকারী কিংবা প্রাপ্ত (ওয়াকফ-আলাল-অউলাদ) —> ব্যবহারকারীর মাধ্যমে ওয়াকফ বাতিল, প্রাপ্তি সংক্রান্ত ঘোষণা শুধু অনুমোদিত। দাতাদের ৫ বছরের বেশি সময় মুসলিম ধর্মাবলম্বী হতে হবে। মহিলাদের উত্তরাধিকার অস্বীকার করা যাবে না।

    ওয়াকফ হিসেবে সরকারি সম্পত্তি —> কোনও স্পষ্ট সংস্থান নেই —> ওয়াকফ হিসেবে চিহ্নিত সরকারি সম্পত্তি বলে কিছু থাকবে না। বিবাদ মীমাংসা করবেন কালেক্টর, রিপোর্ট দেবেন রাজ্য সরকারকে।

    ওয়াকফ নির্ধারণের ক্ষমতা —> ওয়াকফ বোর্ড – এর ক্ষমতা রয়েছে —> এই সংস্থান থাকছে না

    ওয়াকফ – এর সমীক্ষা —> সার্ভে কমিশনার এবং অ্যাডিশনাল কমিশনারদের মাধ্যমে —> রাজ্যের রাজস্ব আইন অনুযায়ী সমীক্ষা চালাবেন কালেক্টররা

    সেন্ট্রাল ওয়াকফ কাউন্সিল —> সব সদস্যই হবেন মুসলিম, দু’জন মহিলা থাকবেন —> দু’জন অ-মুসলিম; সাংসদ, প্রাক্তন বিচারক এবং বিশিষ্টজনদের মুসলিম হওয়ার দরকার নেই। এই সদস্যদের মুসলিম হতে হবে: মুসলিম সংগঠনের প্রতিনিধি, ইসলামিক আইন বিশেষজ্ঞ, ওয়াকফ বোর্ড- এর চেয়ারপার্সন। মুসলিম সদস্যদের মধ্যে দু’জন মহিলা থাকবেন।

    রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড —> দু’জন পর্যন্ত নির্বাচিত মুসলিম সাংসদ/বিধায়ক/বার কাউন্সিল সদস্য; অন্তত দু’জন মহিলা —> রাজ্য সরকার সদস্য মনোনীত করবে, এর মধ্যে দু’জন অমুসলিম, শিয়া, সুন্নি, পিছিয়ে পড়া মুসলিম, বোহরা এবং আগাখানিদের মধ্য থেকে একজন। অন্তত দু’জন মহিলা সদস্য দরকার।

    ট্রাইব্যুনাল – এর গঠন —> একজন বিচারকের নেতৃত্বে, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং মুসলিম আইন বিশেষজ্ঞ থাকবেন —> মুসলিম আইন বিশেষজ্ঞ থাকার প্রয়োজন নেই; থাকবেন জেলা বিচারক (চেয়ারম্যান) এবং একজন যুগ্মসচিব (রাজ্য সরকার)

    ট্রাইব্যুনাল – এর নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন —> শুধুমাত্র বিশেষ পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করবে —> ৯০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আবেদন জানানো যেতে পারে।

    কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা —> রাজ্য সরকারগুলি ওয়াকফ – এর হিসেব চাইতে পারে যে কোনও সময়েই —> কেন্দ্রীয় সরকার ওয়াকফ নিবন্ধন, হিসেব এবং অডিট সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী (সিএজি/দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক)

    বিভিন্ন গোষ্ঠীর আলাদা ওয়াকফ বোর্ড —> শিয়া ও সুন্নিদের জন্য আলাদা বোর্ড (যদি শিয়া ওয়াকফ ১৫ শতাংশের বেশি হয়) —> বোহরা ও আগাখানি ওয়াকফ বোর্ড – এরও সংস্থান

    ৭) যৌথ কমিটির মূল সংস্কারমূলক প্রস্তাবগুলি কী?

    ওয়াকফ আইন ১৯৯৫–এ যে সংশোধনীগুলি এনে যৌথ কমিটি ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ (জেসিএডব্লিউবি)-এ যুক্ত করতে চায়, তা ইতিবাচক সংস্কারের কথা বলে:

    ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৪–এ মূল সংস্কারের বিষয়গুলি

    ● i. ওয়াকফ–এর সঙ্গে ট্রাস্টের তফাত: মুসলিমদের তৈরি কোনও ট্রাস্ট আর কোনোভাবেই ওয়াকফ হিসেবে বিবেচিত হবে না। এর ফলে, ট্রাস্টগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়বে।
    ● ii. প্রযুক্তি ও কেন্দ্রীয় পোর্টাল: ওয়াকফ সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ, নিবন্ধন, হিসেব-নিকেশ, আর্থিক অনুদান, মামলা-মোকদ্দমা সবই পরিচালিত হবে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে। ব্যবস্থাটিকে স্বয়ংক্রিয় করে তুলতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
    ● iii. ওয়াকফ-এ সম্পত্তি প্রদানের যোগ্যতা: শুধুমাত্র মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা (অন্তত ৫ বছর) নিজেদের সম্পত্তি ওয়াকফ’কে প্রদান করতে পারবেন, এক্ষেত্রে ২০১৩ সালের আগের সংস্থান ফিরে আসছে।
    ● iv. ‘ওয়াকফ বাই ইয়ুজার’ সম্পত্তি রক্ষা: শুধুমাত্র নিবন্ধিত সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে থাকবে, যদি না বিতর্ক থাকে বা সরকারি জমি হিসেবে চিহ্নিত হয়।
    ● v. ওয়াকফ অনুসারে পরিবারের মহিলাদের অধিকার: ওয়াকফ-কে উৎসর্গ করার আগে মহিলারা তাঁদের অধিকার অনুযায়ী প্রাপ্য সম্পদ পাবেন, এক্ষেত্রে বিধবা, বিবাহ বিচ্ছিন্না মহিলা এবং অনাথদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
    ● vi. স্বচ্ছ ওয়াকফ ব্যবস্থাপনা: দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির জন্য মুতাওয়ালিসদের ছয় মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় পোর্টালে সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রার করতে হবে।
    ● vii. সরকারি জমি এবং ওয়াকফ-এর মধ্যে বিবাদ: বিধিবহির্ভূত দাবি বন্ধ করতে যেসব সরকারি সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ডে দাবি করা হয় সেগুলির বিষয়ে তদন্ত একজন আধিকারিক করবেন। পদমর্যাদার নিরিখে এই আধিকারিককে কালেক্টরের উর্ধতন পদে কর্মরত হতে হবে।
    ● viii. ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালকে শক্তিশালী করা হবে: নির্ধারিত একটি ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। নির্ধারিত একটি সময়ে তারা কর্মরত থাকবেন। এর মধ্য দিয়ে দক্ষভাবে স্থায়ী এক ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন বিবাদের নিষ্পত্তি করা হবে।
    ● ix. অ-মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব: এই প্রক্রিয়ায় সকলের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ডে দু-জন অ-মুসলিম সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
    ● x. বার্ষিক অনুদানের পরিমাণ হ্রাস: ওয়াকফ বোর্ডকে ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানগুলি যে বাধ্যতামূলক অনুদান দিয়ে থাকে তার পরিমাণ ৭% থেকে কমিয়ে ৫% করা হবে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলি দাতব্য কর্মসূচিতে আরও তহবিল বরাদ্দ করতে পারবে।
    ● xi. লিমিটেশন অ্যাক্টের প্রয়োগ: ওয়াকফ সম্পত্তির দাবির ক্ষেত্রে লিমিটেশন অ্যাক্ট ১৯৬৩ প্রয়োগ করা যাবে। এর ফলে, দীর্ঘদিন ধরে আইনি প্রক্রিয়ার অবসান ঘটবে।
    ● xii. বার্ষিক হিসেব নিকেশের সংস্কার: যেসব ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর ১ লক্ষ টাকার উপর আয় করে তাদের রাজ্য সরকারের নিযুক্ত হিসেব রক্ষককে দিয়ে হিসেব নিকেশের তথ্য যাচাই করাতে হবে।
    ● xiii. একতরফা সম্পত্তি দাবির অবসান: এই বিলে ৪০ নম্বর ধারাকে অপসারিত করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়াকফ বোর্ড এক তরফাভাবে কোনো সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে ঘোষণা করতে পারবে না। ফলস্বরূপ, পুরো একটি গ্রামকে ওয়াকফ ঘোষণার মত ক্ষমতার অবব্যবহার বন্ধ করা যাবে।

    ওয়াকফ বোর্ডগুলির এক তরফা এবং অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতার কারণেই এই সমস্যাগুলি দেখা দিত। তাই, ওয়াকফ আইনে ৪০ নম্বর ধারাটিকে বাতিল করা হবে। এর মধ্য দিয়ে ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনার জন্য স্বচ্ছ প্রশাসন নিশ্চিত করা যাবে।

    ৮) মুসলমান নন এমন ব্যক্তিদের সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসেবে ঘোষণা করার নজির কী কী আছে?

    ২০২৪-এর সেপ্টেম্বর অনুযায়ী ২৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ওয়াকফ বোর্ডের প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ৫,৯৭৩টি সরকারি সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
    ● আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের ২০২৪-এর সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী ভূমি ও উন্নয়ন দপ্তরের ১০৮টি সম্পত্তি, দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ১৩০টি সম্পত্তি এবং সর্বসাধারণের জন্য নির্ধারিত ১২৩টি সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে, সেগুলির আদালতে বিচার চলছে।
    ● কর্ণাটক (১৯৭৫ এবং ২০২০): কৃষি জমি, সর্বসাধারণের জন্য স্থান, সরকারি জমি, গোরোস্থান, রদ এবং মন্দির সহ মোট ৪০টি ওয়াকফ সম্পত্তিকে প্রজ্ঞাপিত করা হয়েছে।
    ● পাঞ্জাব ওয়াকফ বোর্ড দাবি করেছে পাতিয়ালায় শিক্ষা দপ্তরের জমিটি তাদের।

    অ-মুসলিম সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসেবে ঘোষণার আরও কিছু উদাহরণ:

    ● তামিলনাড়ু: থিরুচেনথুরাই গ্রামের এক কৃষক তাঁর জমি বিক্রি করতে পারছেন না, কারণ ওয়াকফ বোর্ড দাবি করেছে ওই গ্রামের সমস্ত জমি তাদের। অপ্রত্যাশিত এই পরিস্থিতির ফলে ওই কৃষক তার জমিটি বিক্রি করতে পারছেন না। তাঁর মেয়ের বিয়ের জন্য তিনি যে ঋণ নিয়েছিলেন তা পরিশোধের জন্য তিনি তাঁর জমি বিক্রি করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
    ● বিহারের গোবিন্দপুর গ্রাম: বিহারের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে দাবি করে ওই গ্রামের পুরো সম্পত্তি তাদের। এর ফলে ৭টি পরিবার প্রভাবিত হয়। ফলস্বরূপ, পাটনা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এটি এখন বিচারাধীন।
    ● কেরল: এর্নাকুলাম জেলার ৬০০টি খ্রীষ্টান পরিবার ২০২৪-এর সেপ্টেম্বরে জানায় তাঁদের পূর্বপুরুষের জমি ওয়াকফ বোর্ড নিজেদের বলে দাবি করেছে। সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলি যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে এই মর্মে আবেদনও জানিয়েছে।
    ● কর্নাটক: ওয়াকফ বোর্ড বিজয়পুরায় ১৫,০০০, একর জমি নিজেদের বলে দাবি করায় কৃষকরা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। বল্লারি, চিত্রদূর্গ, ইয়াদগীর এবং ধারওয়াড়েও বেশ কিছু বিবাদ দেখা দিয়েছে। সরকার অবশ্য আশ্বস্ত করে জানিয়েছে যে ওই জায়গা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না।
    ● উত্তরপ্রদেশ: রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার বহু অভিযোগ জমা পড়েছে।

    ৯) ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪-এর ফলে দরিদ্র মানুষেরা কীভাবে উপকৃত হবেন?

    সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষদের জন্য ধর্মীয়, দাতব্য এবং বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে ওয়াকফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে, অব্যবস্থাপনা, দখলদারি এবং স্বচ্ছতার অভাবের কারণে এই প্রতিষ্ঠানগুলি আকার্যকর হয়ে পরে। দরিদ্র মানুষদের উপকারের জন্য ওয়াকফের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ:

    স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতার উদ্দেশে ডিজিটাইজেশন

    ● আরও ভালোভাবে চিহ্ণিত করা, নজরদারি চালানো এবং যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কাজ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় স্তরে একটি ডিজিটাল পোর্টাল ওয়াকফ সম্পত্তির উপর নজরদারি চালাবে।
    ● আর্থিক অব্যবস্থা প্রতিহত করতে এবং বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে যাতে তহবিলের অর্থ ব্যয় করা হয় তা নিশ্চিত করতে অডিট করা হবে।

    বিভিন্ন কল্যাণমূলক ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তহবিল বৃদ্ধি

    ● ওয়াকফের জমি অপব্যবহার এবং অবৈধ দখলদারি প্রতিহত করে ওয়াকফ বোর্ডগুলির আয় বৃদ্ধি করা হবে। এর ফলে, এই বোর্ড বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে বেশি অর্থ ব্যয় করতে পারবে।
    ● স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন এবং জীবিকায় সহায়তার জন্য তহবিল বরাদ্দ করা হবে, এর ফলে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা সম্প্রদায়গুলি প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।
    ● নিয়মিত হিসেব পরীক্ষা এবং পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে আর্থিক ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। এর ফলে, ওয়াকফ ব্যবস্থাপনার প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাবে।

    ১০) ওয়াকফ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে অ-মুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার ফলে ওয়াকফ ব্যবস্থাপনায় কী ধরনের সুবিধা হবে এবং এই সদস্যদের ভূমিকা কী হবে, বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তারা কতটা প্রভাব বিস্তার করবেন?

    ● অ-মুসলিম স্টেক হোল্ডার: ওয়াকফ ব্যবস্থাপনায় দাতা, মোকোদ্দমাকারী, লিজধারী এবং ভাড়াটিয়ারা যুক্ত হতে পারবেন। এর ফলে, তারা ওয়াকফ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে, যার মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।
    ● বিভিন্ন ধর্মনিরপেক্ষ কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ: ধারার ৯৬ অনুসারে ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানগুলির প্রশাসনিক, সামাজিক, আর্থিক এবং বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকবে। আদালতের আদেশানুসারে এই ক্ষমতা নিশ্চিত হয়েছে।
    ● কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলের নজরদারি চালানোর ভূমিকা: কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল রাজ্যস্তরের ওয়াকফ বোর্ডের উপর নজরদারি চালায়। ওয়াকফ সম্পত্তির উপর কোনো প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ এক্ষেত্রে হয় না। ধর্মীয় হস্তক্ষেপের উর্ধে ওয়াকফ ব্যবস্থাপনায় এর ফলে আর্থিক নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকবে।
    ● অ-মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব:
    —রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড: ১১ জন সদস্যের মধ্যে (যাঁরা পদাধিকার বলে এই বোর্ডের সদস্য, তাঁদের ব্যতিরেকেই) ২ জন অ-মুসলিম হতে পারেন।
    —কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল: ২২ জন সদস্যের মধ্যে (যাঁরা পদাধিকার বলে এই বোর্ডের সদস্য, তাঁদের ব্যতিরেকেই) ২ জন অ-মুসলিম হতে পারেন।
    ● সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে সিদ্ধান্তগুলি গ্রহণ করা হবে। অ-মুসলিম সদস্যরা প্রশাসনিক এবং কারিগরি বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় অংশ নিতে পারবেন। এর মদ্য দিয়ে ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।

  • George Soros: জর্জ সোরোসের সংস্থা থেকে ২৫ কোটি টাকা পেয়েছিল বেঙ্গালুরুর তিন কোম্পানি!

    George Soros: জর্জ সোরোসের সংস্থা থেকে ২৫ কোটি টাকা পেয়েছিল বেঙ্গালুরুর তিন কোম্পানি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ-মার্চে বেঙ্গালুরু ভিত্তিক তিনটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত আটটি জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডি (ED)। এই কোম্পানিগুলি মার্কিন নন-প্রফিট ওপেন সোস্যাইটি ফাউন্ডেশন থেকে ফান্ড পেয়েছিল। এই ফাউন্ডেশনের নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন বিলিয়নিয়ার জর্জ সোরোস (George Soros)। এই ফান্ড নেওয়ায় ওই কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।

    ২৫ কোটি টাকা ট্রান্সফার! (George Soros)

    মার্চ মাসে ইডির অভিযানের আগে ওই ফাউন্ডেশন কয়েক মাসে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে ওই কোম্পানিগুলিতে ট্রান্সফার করেছিল ২৫ কোটি টাকা। এই অভিযোগ পেয়েই ওই তিন কোম্পানিতে অভিযান চালায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা জেনেছে, এএসএআর সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যাডভাইজার্স, যেটি ওই কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি, তারাও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) থেকে ৮ কোটি টাকা পেয়েছে। উল্লেখ্য যে, বিদেশে বাম, ডান এবং প্রগতিশীল অ্যাজেন্ডা প্রচারের জন্য এই ইউএসএআইডি-র সমালোচনা করেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই কোম্পানিগুলি ২০২২-২৩ সালে ফরেন ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স হিসেবে ওই অর্থ পেয়েছে। তবে এএসএআরের দাবি, ইউএসএআইডি থেকে তারা যে ফান্ড পেয়েছিল, তা কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারকে দেওয়া পরিষেবার বিনিময়ে।

    কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার

    ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, অলাভজনক নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা সম্পদের ব্যবহার, পুনর্ব্যবহার এবং অপব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণায় নিবেদিত। কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলি বোঝা এবং ভারতের উন্নয়নের প্রভাব নিয়ে কাজ করে (George Soros)। তাদের সব গবেষণা আন্তর্জাতিকভাবে প্রাসঙ্গিক। তবে এএসএআর কর্তারা কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারকে কী ধরনের পরিষেবা দিয়েছিল এবং ইউএসএআইডির এতে কী ভূমিকা রয়েছে, তা উল্লেখ করেননি। কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে জর্জ সোরোস বা ওপেন সোস্যাইটি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কোনও যোগ নেই (ED)। জর্জ সোরোস বা ওপেন সোস্যাইটির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক বা ফান্ড প্রাপ্তির ইতিহাস নেই (George Soros)।

  • Indian Navy: ভারতীয় নৌসেনার অভিযানে পশ্চিম ভারত মহাসাগরে উদ্ধার ২৫০০ কেজি মাদক!

    Indian Navy: ভারতীয় নৌসেনার অভিযানে পশ্চিম ভারত মহাসাগরে উদ্ধার ২৫০০ কেজি মাদক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) অভিযানে এবার পশ্চিম ভারত মহাসাগর থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ মাদক। গোপন খবরের ভিত্তিতে সম্প্রতি ভারত মহাসাগরে অভিযান চালায় ভারতীয় নৌসেনা। পশ্চিম ভারতীয় মহাসাগরে ২৫০০ কেজিরও বেশি মাদক উদ্ধার করতে সফল হয়েছে।

    মাদক পাচার রোধ নৌসেনার

    জানুয়ারি ২০২৫ থেকে পশ্চিম ভারত মহাসাগরে মেরিটাইম সিকিউরিটি অপারেশনে নিযুক্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর ফ্রিগেট আইএনএস তর্কশ। এটি কম্বাইনড টাস্ক ফোর্স (CTF) ১৫০ এর অধীনে কাজ করছে, যা বাহরিনে অবস্থিত কম্বাইনড মেরিটাইম ফোর্সেস (CMF) এর অংশ। এই জাহাজটি অপারেশন “অ্যানজ্যাক টাইগার”-এ অংশগ্রহণ করছে। নৌসেনা (Indian Navy) সূত্রে জানা যাচ্ছে,৩১ মার্চ পেট্রোলিংয়ের সময়, ভারতীয় নৌবাহিনীর ওই জাহাজ থেকে সন্দেহজনক নৌকাগুলি দেখতে পায় সেনা। এরপর মহাসাগরে অভিযানে নামে নৌসেনার পি-৮আই নজরদারি বিমান। মাঝসমুদ্রে সন্দেহজনক নৌকাগুলির চলাচল নিশ্চিত করেন পাইলটরা। এই নৌযানগুলিকে অবৈধ কার্যকলাপ, বিশেষত মাদক পাচার, এর সঙ্গে যুক্ত মনে করা হয়েছিল। সেগুলির দিকে যাওয়ার জন্য আইএনএস তর্কশ তার পথ পরিবর্তন করে। সমস্ত সন্দেহভাজন নৌযানকে পরীক্ষা করার পর, আইএনএস তর্কশ একটি সন্দেহজনক “ঢো” বা নৌকা আটক করে। পি৮আই বিমান এবং মুম্বইয়ের মেরিটাইম অপারেশন সেন্টারের সমন্বয়ে এই অভিযানটি চালানো হয়। আরও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, জাহাজটি একটি হেলিকপ্টারও পাঠায়, যাতে সন্দেহজনক নৌযানের কার্যকলাপ মনিটর করা যায় এবং এলাকায় অন্যান্য সন্দেহভাজন নৌযান সনাক্ত করা যায়।

    সদা সক্রিয় ভারতীয় নৌবাহিনী

    এরপর বিশেষজ্ঞ এবং মেরিন কমান্ডোদের একটি দল সন্দেহজনক নৌকায় উঠতে সক্ষম হয়। এখান থেকেই বিভিন্ন সিল করা প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে, অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদে ২৫০০ কেজিরও বেশি মাদক (২৩৮৬ কেজি হাশিশ এবং ১২১ কেজি হেরোইন) উদ্ধার হয়। এই অভিযান ফের ভারতীয় নৌবাহিনীর দক্ষতা এবং পেশাদারিত্বকে তুলে ধরেছে। সমুদ্রে মাদক পাচার এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপকে রুখে দিতে সদা সক্রিয় ভারতীয় নৌবাহিনী।

LinkedIn
Share