Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Shah-Nadda in Bengal: বাংলায় দেড় হাজার ‘সাইবার যোদ্ধা’দের বিশেষ বার্তা শাহ-নাড্ডার

    Shah-Nadda in Bengal: বাংলায় দেড় হাজার ‘সাইবার যোদ্ধা’দের বিশেষ বার্তা শাহ-নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতীতে ভোট এলে চোখে পড়ত দেওয়াল লিখন। এখন প্রচার হয় ‘ফেসবুক ওয়ালে’। জনমত গঠনে এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমাজ মাধ্যমে কাঁটাতারের বাধা নেই। এক লহমায় সাত-সমুদ্র তেরো নদীর পারেও পৌঁছে দেওয়া যায় বার্তা। তাই আসন্ন লোকসভা ভোট (Loksabha Election) প্রচারে সাইবার-যোদ্ধাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Shah-Nadda in Bengal)। কলকাতায় দলের সাইবার টিমকে সেই রণকৌশলই বুঝিয়ে দিলেন শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।

    কী বললেন শাহ

    স্বেচ্ছায় যাঁরা বিজেপির সমর্থন বাড়াতে কাজ করেন, সেই ‘সাইবার যোদ্ধা’দের উৎসাহ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আইটি-সোশাল মিডিয়া টিমের বৈঠকে বার্তা দিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘৩৫টি পদ্ম ফোটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে সাইবার যোদ্ধারা’। পাশাপাশি এদিন তৃণমূলের দুর্নীতি, তোষণ, হিংসার ঘটনাকে সামনে আনার সঙ্গে কৃষক ও উন্নয়ন বিরোধী তৃণমূলের নীতিকে প্রকাশ্যে আনার নির্দেশও দেন শাহ। 

    সাইবার যোদ্ধাদের উৎসাহ

    মঙ্গলবার কলকাতায় রাজ্য নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তাঁরা। বৈঠক শেষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বেরিয়ে জানান, সাইবার যোদ্ধাদের উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন দুই নেতা। তিনি জানিয়েছেন, এই সাইবার যোদ্ধাদের জন্যই বিজেপি ২০১৯ সালে ভাল ফল করেছিল, ২০২১ সালে ৩ থেকে ৭৭ (বিধায়ক সংখ্যা) হওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁদের ভূমিকা যথেষ্ট।

    সূত্রের খবর, কেন্দ্রের জনমুখী প্রকল্পগুলি আরও বেশি করে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মন্ত্রী জেলবন্দি রয়েছেন, সেই সব দুর্নীতি নিয়ে আরও সরব হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াকে আরও বেশি করে ব্যবহার করে শাসক দল তৃণমূলকে কোণঠাসা করার মন্ত্রই দেওয়া হয়েছে তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anupam Hazra: বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ খোয়ালেন অনুপম! কেন এই সিদ্ধান্ত?

    Anupam Hazra: বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ খোয়ালেন অনুপম! কেন এই সিদ্ধান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অনুপম হাজরাকে। সম্প্রতি সর্বভারতীয় নেতা হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অনুপমকে দেওয়া নিরাপত্তা তুলে নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দীর্ঘ দিন কেন্দ্রের ‘ওয়াই ক্যাটেগরি’-র নিরাপত্তা পেতেন অনুপম। তখনই বোঝা গিয়েছিল অনুপমের (Anupam Hazra) দল-বিরোধী আচরণ ভালভাবে নিচ্ছে না গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার তাই কলকাতায় শাহ-নাড্ডার বৈঠকের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি।

    কেন অপসারণ

    একসময়ে বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ ছিলেন অনুপম হাজরা। পরে যোগ দেন বিজেপি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে গত লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর আসনে প্রার্থীও হন। দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক ছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরেই রীতিমতো ‘বেসুরো’ হয়ে উঠেছিলেন অনুপম। স্রেফ রাজ্য নেতৃত্বের সমালোচনা নয়, বোলপুর তৃণমূলের ধরনা মঞ্চের সামনেও চলে গিয়েছিলেন। এক নাগাড়ে রাজ্য নেতৃত্বের সমালোচনা করা, তৃণমূলের মঞ্চে যাওয়া, সমাজমাধ্যমে দলকে অস্বস্তিতে ফেলার মতো মন্তব্য করে চলছিলেন অনুপম। এটা যে রাজ্য নেতৃত্ব ভাল চোখে দেখছেন না তা আগেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও সেটা বুঝিয়ে দেন অনুপমকে। 

    আরও পড়ুন: ‘সিএএ হবেই দিদি, কেউ ঠেকাতে পারবে না’, বাংলায় এসে মমতাকে বার্তা শাহ-র

    দলবিরোধী মন্তব্য

    গত বিধানসভা নির্বাচনে অনুপমকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। তখন থেকেই দলের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করতে থাকেন অনুপম। সেই সময়ে নানা ভাবে তিনি রাজ্য নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন। বিজেপির অনেকেই বলেন, সেই কারণে রাজ্য থেকে সরিয়ে অনুপমকে কম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিহারের সংগঠন দেখতে বলা হয়। কিন্তু তাতেও দলের রাজ্য নেতৃত্বকে ক্রমাগত আক্রমণ করেছেন অনুপম। তাই আর দেরি না করে এবার, ‘দলকে অস্বস্তিতে ফেলা’ প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণ করা হল। বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সদর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নেতা অরুণ সিংহ মঙ্গলবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • RBI: বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি আরবিআই-সহ তিন ব্যাঙ্কের দফতর, তারপর…

    RBI: বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি আরবিআই-সহ তিন ব্যাঙ্কের দফতর, তারপর…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন ব্যাঙ্কের দফতরে বোমা মারার হুমকি। এই ব্যাঙ্ক তিনটির মধ্যে রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও (RBI)। মঙ্গলবার দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দফতরে মেইল পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। যে মেইল-আইডি থেকে হুমকিটি এসেছিল, সেটি হল ‘খিলাফত ডট ইন্ডিয়া অ্যাট জি-মেইল ডট কম’।

    মেইলে দুটি দাবি

    হুমকির পাশাপাশি ওই মেইলে দুটি দাবিও জানানো হয়েছে। এই দাবি না মানলেই অ্যাকশন নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই হুমকি-বার্তায়। এই বার্তায় যে দুটি দাবি করা হয়েছে, সেগুলি হল অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসকেও ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। এই দুই দাবি পূরণ না হলেই অ্যাকশন হবে বলেই জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ১১টি বোমা হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ওই বার্তায়।

    ১১টি জায়গায় বোমা!

    মেইলটিতে বলা হয়েছে, “আমরা মুম্বইয়ের ১১টি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বোমা রেখে দিয়েছি। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে মিলিতভাবে ভারতের ইতিহাসে সব চেয়ে বড় জালিয়াতি করেছে আরবিআই।” মেইলটিতে দাবি করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে মিলে আরবিআই যে জালিয়াতি করেছে, তাতে আরবিআইয়ের গভর্নর ও অর্থমন্ত্রী ছাড়াও ব্যাঙ্কিং সেক্টরের কয়েকজন বিশিষ্ট কর্তা ও ভারত সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী জড়িত রয়েছেন। তাই অর্থমন্ত্রী ও আরবিআইয়ের (RBI) গভর্নরকে প্রেস বিবৃতি দিয়ে এই জালিয়াতির বিষয়ে সবটা জানিয়ে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। এই দুজন বাদে আরও যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের সকলের শাস্তিও দাবি করা হয়েছে।

    মুম্বইয়ে ওই তিন ব্যাঙ্কের কোথায় কোথায় হামলা হবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই মেইলে। দুপুর দেড়টা নাগাদ বোমাগুলিতে বিস্ফোরণ হবে বলেও জানানো হয়েছিল হুমকি-মেইলে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ওই তিন ব্যাঙ্কের দফতরগুলিতে তল্লাশি চালায় মুম্বই পুলিশ। যদিও কিছুই মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যে মেইলটি থেকে হুমকি-বার্তা এসেছিল, সেই মেইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে (RBI) এমআরএ মার্গ থানায়।

    আরও পড়ুুন: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • INDI Alliance: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

    INDI Alliance: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মলগ্ন থেকেই অশান্তির চোরাস্রোত বইছে ইন্ডি জোটের (INDI Alliance) অন্দরে। কখনও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জোটের অন্যতম নেতা শরদ পাওয়ারের মঞ্চ শেয়ার করাকে কেন্দ্র করে, কখনওবা অন্য কোনও কারণে। তবে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মুখ নিয়ে এবার প্রকাশ্যে চলে এল ইন্ডি জোটের কোন্দল।

    মমতার প্রস্তাবে জল পাওয়ারের

    তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি ইন্ডি জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের নাম প্রস্তাব করেন। মঙ্গলবার এনসিপি প্রধানের দাবি, প্রধানমন্ত্রী মুখ ছাড়াই নির্বাচনে জয় সম্ভব।

    কী বললেন পাওয়ার?

    সচরাচর প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তাঁকে প্রজেক্ট করেই নির্বাচনে যায় রাজনৈতিক দলগুলি। কোনও কোনও দল আবার স্ব-দলের সুপ্রিমোকেই প্রধানমন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রজেক্ট করে নির্বাচনে যায়। ভোটাররাও মূলত তাঁকে দেখেই ভোট দেন সংশ্লিষ্ট পার্টির পক্ষে। এর ব্যতিক্রম যে নেই, তা নয়। মঙ্গলবার যে প্রসঙ্গ তুলেছেন পাওয়ার। তিনি বলেন, “১৯৭৭ সালে লোকসভা নির্বাচনে কাউকে প্রধানমন্ত্রী প্রজেক্ট করেনি কংগ্রেস বিরোধী দল। নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী করা হয় মোরারজি দেশাইকে। তার আগে মোরারজি দেশাইয়ের নাম কোথাও ছিল না। বস্তুত, তার পরেই একটি নয়া দল প্রকাশ্যে এল (INDI Alliance)। তাই প্রধানমন্ত্রী মুখ প্রজেক্ট না করেও নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে।” পাওয়ারের কথায়, “মানুষ যদি পরিবর্তন আনতে চায়, তাহলে পরিবর্তন আসবেই।” পাওয়ার-বচনের নির্যাস হল, তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন এনসিপি প্রধান।

    প্রসঙ্গত, মমতার প্রস্তাব শুনেই খাড়্গে জানিয়ে (INDI Alliance) দিয়েছিলেন, সবার আগে জয় কীভাবে আসবে, তার ওপর নজর দেওয়া প্রয়োজন। তারপর আলোচনা হবে প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রীর প্রস্তাবের পর পরই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এবার প্রস্তাবের উল্টো সুর পাওয়ারের গলায়ও। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা লেখেন, মমতা দিদি যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাতে খুশি ছিল না কংগ্রেসও। লোকসভা নির্বাচন হতে পারে মাঝ-এপ্রিলে। ইতিমধ্যেই আস্তিন গুটিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। অথচ এখনও ছন্নছাড়া বিরোধী শিবির।

    প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে কি তবে ইন্ডি জোটে শুরু হয়ে গেল মৌষলপর্ব?

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্য ৩৫ আসন, বাংলায় ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গড়লেন শাহ-নাড্ডা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Ram Mandir: আত্মনির্ভর রাম মন্দির, মিলবে সব রকমের নাগরিক পরিষেবা

    Ram Mandir: আত্মনির্ভর রাম মন্দির, মিলবে সব রকমের নাগরিক পরিষেবা

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা

    সকাল ১১টা থেকে ‘রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর সাংবাদিক বৈঠক। সারা দেশ থেকে হাজির সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। আমরা পৌঁছাতেই দেখলাম বিরাট জেড ক্যাটাগরির কনভয় নিয়ে ঢুকছেন উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। তাঁর সঙ্গেই এলেন তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই। আধঘণ্টার সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই আমাদের নিয়ে যাওয়া হল রাম মন্দির প্রাঙ্গণে। সেখানেও ঢোকার মুখে বোঝা গেল কেন রাম মন্দির (Ram Mandir) এত বিশেষ! ভারতের আর কোনও মন্দিরে বোধহয় এত নিরাপত্তার বলয় থাকে না। মন্দির চত্বরে দেখা গেল কয়েক হাজার নির্মাণ কর্মী এক নাগাড়ে কাজ করে চলেছেন। সময় যে বড় কম! প্রভু রামচন্দ্র ঘরে ফিরবেন তাও আবার ৫০০ বছর পরে। একি কম আনন্দের! জানা গেল সেখানে অনেক আইআইটি পাশ ইঞ্জিনিয়ারও কাজ করছেন। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রম।

    ট্রাস্টের সাংবাদিক বৈঠকে কোন কোন দিক উঠে এল?

    ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই জানিয়েছেন, সব দিক থেকেই আত্মনির্ভর হতে চলেছে এই মন্দির (Ram Mandir)। নিকাশী থেকে জল, বিদ্যুৎ থেকে চিকিৎসাকেন্দ্র সবই থাকছে ভিতরে। অর্থাৎ রাম মন্দির যেন আলাদা একটা ব্যবস্থা। সরকারের কোনও সাহায্যই লাগবে না। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতীয় রীতির মেলবন্ধনে তৈরি হচ্ছে মন্দির। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ভারতীয় মন্দির রীতি ‘গোপুরম’ নামে পরিচিত এবং উত্তর ভারতীয় মন্দির রীতিকে নাগারা বলে। এই দুই রীতির ছোঁয়া দেখা যাবে রাম মন্দিরে। অন্যদিকে ভগবান শঙ্করাচার্যের ভাবনা অনুযায়ী ‘পঞ্চায়তন’ ধারণার ছোঁয়াও দেখা যাবে মন্দির চত্বরে। ‘পঞ্চায়তন’ হল পাঁচ দেবদেবীর মন্দির। সূর্য, শঙ্কর, ভগবতী, গণপতি এবং বিষ্ণু। মূল রাম মন্দিরের চার দিকে এই মন্দিরগুলি থাকবে। ভগবান রামকেই বিষ্ণুর অবতার মানা হয় তাই আলাদাভাবে কোনও বিষ্ণু মন্দির থাকছে না।

    আত্মনির্ভর রামমন্দির

    অযোধ্যার সাংবাদিক সম্মেলনে চম্পক রাই জানান, মন্দির (Ram Mandir) চত্বরেই থাকবে পাওয়ার স্টেশন। যেখান থেকে বিদ্যুৎ বন্টন করা মন্দিরের বিভিন্ন বিভাগে। আবার জল সরবরাহের জন্য তৈরি হচ্ছে মন্দিরের নিজস্ব ওয়াটার প্ল্যান্টও। রামমন্দিরের ঠিক পিছনে থাকবে দিব্যাঙ্গদের জন্য লিফটও। রামমন্দির ট্রাস্টের মতে, ‘‘লাখ লাখ দর্শনার্থী আসবেন মন্দির দর্শনে। তাঁরা পরিক্রমা করবেন মন্দির। তাই তাঁদের জন্য সমস্ত রকমের পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে।’’ মন্দির চত্বরেই মিলবে চিকিৎসা ব্যবস্থাও। গড়ে উঠছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র। আবার ভক্তরা যাতে বিশ্রাম নিতে পারেন সেজন্য তৈরি হচ্ছে বিশ্রামাগারও। জানা গিয়েছে রেলের মতোই হবে এই বিশ্রামাগার। যেখানে ভক্তরা নিজেদের মোবাইল, জুতো, ব্যাগ ইত্যাদি সামগ্রী রাখতে পারবেন। এরজন্য আলাদা কোনও চার্জও দিতে হবে না।

    বশিষ্ট থেকে অহল্যা, বিশ্বামিত্র থেকে নিষাদ রাজের মন্দিরও তৈরি হচ্ছে

    রামজন্মভূমি প্রাঙ্গণে মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হবে আরও বেশ কতগুলি। ভগবান রাম চন্দ্রের জীবনে বিশেষ অবদান রয়েছে যাঁদের তাঁদেরও মন্দির তৈরি হবে। বাল্মিকী, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য, মাতা শবরী, নিষাদরাজ গোহু, অহল্যা এই সাত মন্দির থাকবে রামন্দিরের প্রাঙ্গণে। অর্থাৎ ভক্তরা মন্দির চত্বরে এলেই আরেকবার রামায়ণ মহাকাব্যকেই চাক্ষুষ করতে পারবেন। রামের জীবনে অবদান ছিল জটায়ুরও। তাঁর মূর্তি ইতিমধ্য়ে কুবের টিলাতে স্থাপন করা হয়েছে। 

    ৭০ একর জায়গার মধ্যে ২০ একরে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ৭০ একর জমি পেয়েছি আমরা। কিন্তু এর মধ্যে ২০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থান করবে মন্দির প্রাঙ্গণ। বাকি জায়গায় ১০০-এরও বেশি বৃক্ষরোপণ করা হবে বলে জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এদিন চম্পত রাই আরও বলেন, ‘‘৭০ একর জায়গার একেবারে উত্তর দিকেই তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। সমগ্র ভূমির যে প্লট নিয়ে বিবাদ এবং বিতর্ক ছিল সেই স্থানেই তৈরি হচ্ছে মন্দির।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: গুরুদ্বারে প্রার্থনার পর জনসংযোগ! কালীঘাটে পুজো দিলেন শাহ-নাড্ডা

    Amit Shah: গুরুদ্বারে প্রার্থনার পর জনসংযোগ! কালীঘাটে পুজো দিলেন শাহ-নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাট মন্দিরে (Kalighat Tample) পুজো দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) ৷ মঙ্গলবার বেলা ১২টা বেজে ৯ মিনিটে মন্দিরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি সভাপতি। পুজো দিয়ে বেলা ১২টা ১৮ মিনিটে মন্দির থেকে বেরিয়ে আসেন শাহ-নাড্ডা। এরপর নিউটাউনের হোটেলে ফিরে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তাঁরা। এদিন সকালে প্রথমে জোড়াসাঁকোর বড়া শিখ সঙ্গত গুরুদ্বারে প্রার্থনা সারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও নাড্ডা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পালের মতো বঙ্গ বিজেপি-নেতৃত্ব।

    শাহ-নাড্ডাকে স্বাগত

    বঙ্গ সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সঙ্গে জেপি নাড্ডা। সোমবার রাতে ঝটিকা সফরে বাংলায় আসেন শাহ। তাঁর নিরাপত্তার জন্য সকাল থেকেই জায়গায় জায়গায় মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। উপস্থিত ছিলেন গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকেরা। এদিন সকালে নিউটাউনের হোটেল থেকে বেরিয়ে জোড়াসাঁকোর বরা শিখ সঙ্গত গুরুদ্বারে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপরে উত্তর থেকে দক্ষিণে কালীঘাট মন্দিরে যান শাহ-নাড্ডা। বিশেষ লাল গালিচা পেতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কালীঘাট মন্দিরে স্বাগত জানানো হয়। কালীঘাটে পুজো দিয়েই নিউটাউনের হোটেলে ফিরে যান শাহ-নাড্ডা। সেখানেই দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বৈঠকে হাজির থাকবেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার সহ বঙ্গ বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। 

    শাহ-নাড্ডার বৈঠক

    আগামী তিন-চার মাসের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্য বিজেপির নেতৃ্ত্বের সঙ্গে শাহ-নাড্ডার এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠকে আগামী লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নিউটাউনের পাঁচতারা হোটেলে বৈঠক সেরে আলিপুরের কেন্দ্রীয় গ্রন্থগারে হবে দ্বিতীয় বৈঠক। সেখানে বিজেপির জেলা ও জোন নেতৃত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত থাকবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Passengers: মুম্বইয়ে অবতরণ ফ্রান্সে আটক সেই বিমানের, ফিরলেন ২৭৬ জন ভারতীয়

    Indian Passengers: মুম্বইয়ে অবতরণ ফ্রান্সে আটক সেই বিমানের, ফিরলেন ২৭৬ জন ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানব পাচারের অভিযোগে যাত্রিবাহী একটি বিমানকে ফ্রান্সের বিমানবন্দরে আটকে রেখেছিল সে দেশের প্রশাসন। বিমানটি যাচ্ছিল নিকারাগুয়ার উদ্দেশে। যাত্রীদের মধ্যে ভারতীয় (Indian Passengers) ছিলেন ৩০৩ জন। রবিবার ফ্রান্সের আদালত জানিয়ে দেয়, ফান্স ছাড়তে পারবেন ভারতীয় যাত্রীরা। ফ্রান্স ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয় আটক করা চাটার্ড বিমানটিকেও। প্রশাসনিক অনুমতি মেলায় সোমবার দুপুরে ফ্রান্সের শালোন-ভ্যাত্রি বিমানবন্দর থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি। মঙ্গলবার ভোর চারটে নাগাদ সেটি ছোঁয় মুম্বই বিমানবন্দরের মাটি। যদিও ফ্রান্সে রয়ে গিয়েছেন দুই শিশু সহ মোট ২৭ জন যাত্রী।

    ফ্রান্সে অবতরণ বিমানটির

    ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার। জ্বালানি ভরতে ফ্রান্সের শালোন-ভ্যাত্রি বিমানবন্দরে নামে ওই চাটার্ড বিমানটি। যাত্রীদের মধ্যে ছিল ১১টি শিশু, যাদের অভিভাবক বিমানটিতে ছিলেন না। ফরাসি প্রশাসনের সন্দেহ হয়, শিশুগুলিকে পাচারের উদ্দেশ্যেই নিকারাগুয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এর পরেই আটক করা হয় বিমানটিকে (Indian Passengers)। থাকা-খাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয় সে দেশের প্রশাসনের তরফে। বিষয়টি ততক্ষণাৎ জানানো হয় ভারতীয় দূতাবাসে। ঘটনাস্থলে যান দূতাবাসের আধিকারিকরা। প্রথমে জেরা করা হয় বিমান ক্রু-দের। বিমানটির যাত্রীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে মানব পাচারে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ২০ বছরের জেল হয়।

    বিমানটি রোমানিয়ার

    জানা গিয়েছে, বিমানটিতে থাকা ভারতীয় যাত্রীরা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে কাজ করতেন। নিকারাগুয়া হয়ে আমেরিকা বা কানাডায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। যে বিমানটিকে নিয়ে এত কাণ্ড, সেটি রোমানিয়ার একটি সংস্থার। বিমানকাণ্ডের মামলা গড়ায় ফরাসি আদালতে। রবিবার আদালত নির্দেশ দেয়, বিমানটির ভারতীয় যাত্রীরা ফ্রান্স ছাড়তে পারবেন। বিমানটিও যেতে পারে ফ্রান্স ছেড়ে। আদালতের রায় মেলার পর দুই নাবালক সহ ২৫ জন যাত্রী ফ্রান্সে থেকে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁদের বাদ দিয়েই ২৭৬ জন যাত্রী নিয়ে ভারতের মাটি ছোঁয় রোমানিয়ার ওই বিমানটি (Indian Passengers)।

    আরও পড়ুুন: কোন আইনে সমাবর্তন যাদবপুরে? আদালতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল!

    উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য নিকারাগুয়া ক্রমেই একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠছে। ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রোল সূত্রে খবর, চলতি আর্থিক বর্ষে এ পর্যন্ত অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছে ৯৬ হাজার ৯১৭ জন ভারতীয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: স্মরণীয় ২০২৩! ২০২৪ সালে কী কী অভিযান রয়েছে ইসরোর তালিকায়?

    ISRO: স্মরণীয় ২০২৩! ২০২৪ সালে কী কী অভিযান রয়েছে ইসরোর তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুরন্ত ২০২৩ অতিবাহিত করার পর কী অপেক্ষা করছে ২০২৪ সালে? 

    ২০২৩ কেমন গেল ইসরোর?

    ২০২৩ সালটা দুর্দান্ত কাটল ইসরোর। মুকুটে জুড়েছে একাধিক নতুন পালক। মহাকাশ গবেষণায় ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল কোনও মহাকাশযানকে অবতরণ করা— এই সাফল্য কোনও সাধারণ সাফল্য নয়। চিন, আমেরিকা সহ বিশ্বের তারড় তারড় দেশ আজ পর্যন্ত যা করে দেখাতে পারেনি। সেই অনন্য সাধন করে দেখিয়েছে ভারত। যে কারণে ইসরোকে সেলাম জানিয়েছে নাসাও। এর পাশাপাশি, এবছরই সৌরযান আদিত্য-এল১ উপগ্রহেরও সফল উৎক্ষেপণ করেছে ইসরো। সব ঠিকঠাক চললে, জানুয়ারির গোড়ায় তা নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালটা ইসরোর কাছে স্মরণীয়।

    চলতি বছর সাফল্যের যে ধারাবাহিকতা দেখিয়ে এসেছে ইসরো, যে নজির স্থাপন করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, তারা চাইছে, আগামী বছরও যাতে এই ধারা অব্যাহত থাকুক। আর সেই লক্ষ্যে প্রস্তুত ইসরো। নতুন বছরের কাউন্টডাউন শেষ হলেই, ইসরোর একের পর এক অভিযানের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে। আগামী বছর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য উৎক্ষেপণ রয়েছে ইসরোর তালিকায়। — 

    নিসার উপগ্রহ উৎক্ষেপণ

    মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে একটি যৌথ প্রকল্পে কাজ করছে ইসরো। সংক্ষেপে এই মিশনের নাম নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার, সংক্ষেপে নিসার। আগামী বছর, মিশনের অংশ হিসেবে নিসার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। এটি প্রথম ডাবল-ব্যান্ড রেডার ইমেজিং স্যাটেলাইট। পৃথিবীর বাইরে থেকে পৃথিবীকে দেখে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠাবে এটি। এই উপগ্রহের মাধ্যমে পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র, জলভাগ, বনবিভাগ, ভূ-পৃষ্ঠের উপর বিশেষ নজরদারি রাখা হবে। এই রেডার স্যাটেলাইটটি যে তথ্য সংগ্রহ করবে তা পৃথিবীর ইকোসিস্টেম ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ভূমিকম্প, সুনামি সম্পর্কে জানান দিতে পারবে। শোনা যাচ্ছে, জানুয়ারি মাসেই এই বিশেষ উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠানো হবে। 

    থাকছে আরও কৃত্রিম উপগ্রহ

    ইসরোর উৎক্ষেপণ তালিকায় রয়েছে ইনস্যাট থ্রিডিস। এটি আবহাওয়ার গতি-প্রকৃতি এবং বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে কাজ করবে। এছাড়াও রয়েছে ইসরোর তালিকায় রিস্যাট-১বি, রিসোর্সস্যাট-৩ নামক কৃত্রিম উপগ্রহ। ভারতের মধ্যে রিমোট সেন্সিং ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভাবে কাজ করবে এই উপগ্রহগুলি। একই ভাবে ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযানে তথ্য পেতে সাহায্য করবে এমন দুটি প্রকল্পের কথাও জানা গিয়েছে। পাশাপাশি আরেকটি প্রকল্পের কথা জানা গিয়েছে যা হল ওশেনস্যাট-৩। এটি সমুদ্র বিষয়ক গবেষণা এবং পরিবেশ নিয়ে কাজ করবে। 

    পাখির চোখ গগনযান ১

    তবে, ইসরোর ২০২৪ সালে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হতে চলেছে গগনযান। এর মাধ্যমে মহাকাশে মহাকাশচারী পাঠাতে চলেছে ইসরো। ২০২৪-এর জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি নাগাদ এই গগনযান-১ মিশনের উৎক্ষেপণ হবে। এটি হতে চলেছে মূল গগনযান মিশেনর আগে একটি টেস্ট মিশন। মূল অভিযানে তিন ভারতীয় মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে এবং ফিরিয়ে আনা হবে। এবারের এই টেস্ট মডিউলে মানুষের বদলে একটি রোবটকে পাঠানো হবে। 

    মঙ্গল, শুক্রে অভিযান

    এর পাশাপাশি, মঙ্গল ও শুক্র গ্রহেও মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে ইসরো। আগামী বছরই মঙ্গলের উদ্দেশে পাড়ি দেবে মঙ্গলযান-২। প্রথমটির সাফল্যের পর এটি হতে চলেছে দেশের দ্বিতীয় মঙ্গলযান। এই আকাশযানটি মঙ্গল গ্রহের মাটি, আবহাওয়া এবং প্রকৃতি সম্পর্কে ধরনা দিতে সাহায্য করবে। ২০২৪ সালে হতে চলেছে শুক্রযান ১। ইসরো একটি বিশেষ মহাকাশযান পাঠাচ্ছে, যা ৫ বছরের জন্য গ্রহটিকে প্রদক্ষিণ করবে এবং গ্রহটির আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য দিতে সাহায্য করবে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bharatiya Nyaya Sanhita Bill: খসল পরাধীনতার গ্লানি! দেশে কার্যকর ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন

    Bharatiya Nyaya Sanhita Bill: খসল পরাধীনতার গ্লানি! দেশে কার্যকর ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনে পরিণত হয়ে গেল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita Bill) সহ তিনটি বিল। শীতকালীন অধিবেশনেই সংসদে পাশ হয়ে গিয়েছিল বিল তিনটি। পরে পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। সেই বিলেই স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। স্বাভাবিকভাবেই বিলটি পরিণত হল আইনে।

    বিল পেশ শাহের

    ১১ অগাস্ট সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই তিনটি বিল হল— ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ যা প্রতিস্থাপিত করল ‘ইন্ডিয়ান পিনাল কোড’-কে। ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’, যা দিয়ে প্রতিস্থাপিত ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন’ যা প্রতিস্থাপিত করল ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’-কে। লোকসভায় বিল (Bharatiya Nyaya Sanhita Bill) তিনটি পাঠানোর পাশাপাশি সংসদীয় সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির কাছেও পাঠানো হয়েছিল। আইন বদলের বিষয়ে অবগত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীদেরও।

    অবসান ‘তারিখ পে তারিখযুগের

    সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি পেশ হয় রাজ্যসভায়। সেই সময়ই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এবার অবসান হতে চলেছে ‘তারিখ পে তারিখ’ যুগের। বিচার মিলবে তিন বছরের মধ্যেই। এই বিল তিনটি পেশ করে তিনি গর্বিত বলেও জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। লোকসভার পর রাজ্যসভায়ও বিলটি পাশ হওয়ার পর পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। সূত্রের খবর, সোমবার বিলটিগুলিতে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি। তাই বিল তিনটি পরিণত হয়েছে আইনে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দণ্ড সংহিতার এই নয়া আইন সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে আরও কড়া হতে চলেছে। গণপিটুনি, জাতীয় সুরক্ষা লঙ্ঘন সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তি হতে চলেছে কঠিনতর।

    আরও পড়ুুন: ‘সম্প্রীতি ও সহানুভূতির চেতনা উদযাপনের দিনই বড়দিন’, বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    দেশের গা থেকে পরাধীনতার গ্লানি মুছে ফেলতে চেষ্টার কম কসুর করছে না মোদি সরকার। বিভিন্ন জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও বলতে শোনা গিয়েছে এ কথা। ‘ভারতীয় দণ্ড সংহিতা’ (Bharatiya Nyaya Sanhita Bill) বিল তিনটি পাশ হওয়ায় পূরণ হল তাঁর সেই স্বপ্ন। প্রসঙ্গত, ১৮৬০ সালে ‘ইন্ডিয়ান পিনাল কোড’ চালু করেছিল ব্রিটিশ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Narendra Modi: ‘সম্প্রীতি ও সহানুভূতির চেতনা উদযাপনের দিনই বড়দিন’, বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: ‘সম্প্রীতি ও সহানুভূতির চেতনা উদযাপনের দিনই বড়দিন’, বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যীশু খ্রিস্ট এমন একটি সমাজ তৈরির স্বপ্ন দেখতেন যেখানে প্রত্যেকের জন্য ন্যায়বিচার ছিল। তিনি দয়া ও সেবার আদর্শে জীবনযাপন করতেন। তাঁর আদর্শ সব দেশের কাছে উন্নয়ন যাত্রার পথপ্রদর্শক। বড়দিনে নিজের বাসভবনে যীশুখ্রিস্টের জন্মদিন পালন করে এই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দরিদ্র ও বঞ্চিতদের সেবায় নিয়োজিত খ্রিস্টানদের প্রশংসাও করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    যীশুর আদর্শকে স্মরণ

    ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে সোমবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) বাসভবন ৭ লোক কল্যাণ মার্গে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যীশুর আদর্শ মেনে চলার উপর জোর দিয়েছেন মোদি। সেই সঙ্গে প্রশংসা করেছেন যীশুখ্রিস্টের দয়া এবং সেবার মূল্যবোধের। তিনি বলেন, “২৫ ডিসেম্বর নিছক একটি বড়দিন নয়। যীশুর এই জন্মদিনে তাঁর জীবনের বার্তা ও মূল্যবোধকে স্মরণ করার একটি উপলক্ষও। যীশু দয়া এবং সেবার আদর্শে জীবনযাপন করেছিলেন।”

    পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে তাঁর পুরনো ঘনিষ্ঠতা ও উষ্ণ সম্পর্কের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। দরিদ্র ও বঞ্চিত সেবার দেশের খ্রিষ্টান সংগঠনগুলি যে কাজ করছে, তারও প্রশংসা করেছেন মোদি। বড়দিনের অনুষ্ঠানে পোপের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাৎটিকে তিনি তাঁর জীবনে স্মরণীয় মুহূর্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন। যীশুর মহান শিক্ষাকে সবাইকে অনুসরণ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share