Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ujjains Clock Tree: ঘুরবে ভাগ্যের চাকা! এই বিশ্বাসে উজ্জয়িনীতে গাছে বাঁধা হয় ঘড়ি

    Ujjains Clock Tree: ঘুরবে ভাগ্যের চাকা! এই বিশ্বাসে উজ্জয়িনীতে গাছে বাঁধা হয় ঘড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উজ্জয়িনীর ঘড়ির গাছ (Ujjains Clock Tree) এক অন্যতম বিস্ময়। এখানেই দলে দলে ভক্তরা ছুটে আসেন মনস্কামনা পূরণের আশায়। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী (Ujjain) শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে এই জায়গাটি। এখানকার গাছ ঘড়ি ওয়ালে বাবা বা ঘড়ির গাছ নামে পরিচিত। বর্তমানে এটি একটি তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে দূর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা তাঁদের মনস্কামনা নিয়ে আসেন। তাঁদের বিশ্বাস, এই গাছ তাঁদের সঙ্গে কথা বলে। ভক্তদের বিশ্বাস, এই গাছে ঘড়ি বাঁধলে তাঁদের সময় ভালো যাবে এবং ভাগ্যেরও পরিবর্তন হবে। জানা যাচ্ছে, ঘড়ি ওয়ালে গাছে বর্তমানে এক লাখেরও বেশি ঘড়ি ঝোলানো হয়।

    কী বলছেন স্থানীয় বালু সিং?

    উজ্জয়িনীর ওই ঘড়ির গাছের (Ujjains Clock Tree) রক্ষণাবেক্ষণ করেন বালু সিং। তিনি স্থানীয় অঞ্জনা মন্দিরেরও দায়িত্বে রয়েছেন। বালু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এটা সম্পূর্ণরূপে ভক্তদের একটি বিশ্বাস। মানুষ এখানে আসেন মনস্কামনা পূরণের আশায়। গাছের সঙ্গে একটি হাতঘড়ি কিংবা দেওয়াল ঘড়ি বেঁধে দেন। এই বিশ্বাস নিয়েই তাঁরা ঘড়ি বাঁধেন এবং গাছ দর্শন করেন যে তাঁদের সময় পরিবর্তন হবে। আবার অনেকে ইচ্ছা পূরণ হওয়ার পরেও ঘড়ি ঝুলিয়ে দিয়ে যান গাছে।’’

    মানুষের মনের ইচ্ছা সর্বদাই প্রতিধ্বনিত হয় ঘড়ির শব্দে

    উজ্জ্বয়িনীর ঘড়ি (Ujjains Clock Tree) গাছ হল এমন একটি গাছ যেখানে মানুষের মনের ইচ্ছা সর্বদাই প্রতিধ্বনিত হয় ঘড়ির শব্দে। যেখানে ভক্তি মিশেছে ঘড়ি বাঁধার বিশ্বাসে। গাছের নীচে অথবা তার কাছাকাছি যে কোনও জায়গাতেই যদি আপনি দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে কানে শুধু ভেসে আসবে একটাই আওয়াজ। তা হল ঘড়ির টিক টিক শব্দ। এই জায়গাটি আপনাকে আরও একবার বুঝতে সাহায্য করবে যে সময় কারও জন্য সত্যিই অপেক্ষা করে না। গত কয়েক বছর ধরেই এখানে ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দর্শনার্থীদের জন্য আশপাশে একটি বড় বাজারও তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবে এখানে সে অর্থে কোনও পুরোহিত বা পুজোর রীতিনীতি নেই। ঘড়ি (Ujjains Clock Tree) ছাড়াও অনেক ভক্ত আসেন এখানে। তাঁরা ঘড়ি গাছে নারকেল, ধুপকাঠি ইত্যাদি উৎসর্গ করেন। মানুষদের আস্থা-বিশ্বাস এবং ভক্তির জেরে জায়গাটি পরিণত হয়েছে তীর্থক্ষেত্রে।

  • Amit Shah: হয়েছে রাম মন্দির, বাতিল ৩৭০ ধারা, এই আবহে ইউসিসি নিয়ে বড় ঘোষণা শাহের

    Amit Shah: হয়েছে রাম মন্দির, বাতিল ৩৭০ ধারা, এই আবহে ইউসিসি নিয়ে বড় ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির হয়েছে। বাতিল ৩৭০ ধারা। বাকি আছে ইউসিসি হতে। আমরা তাও করব। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করতে শোনা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah)। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরকে (Jammu And Kashmir) খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে এবং এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রাজ্যের মর্যাদা খুব তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু-কাশ্মীরে। কিন্তু সেটা কবে হবে? তা এইভাবে প্রকাশ্য মঞ্চে বসে বলা সম্ভব নয়।

    ইউসিসি নিয়ে কী বললেন শাহ (Amit Shah)?

    এদিন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়েও ফের একবার বলতে শোনা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (Amit Shah)। তিনি বলেন, ‘‘এটা আসবেই। এটা ছিল সংবিধান সভার সিদ্ধান্ত (ইউসিসি চালু করার)। কংগ্রেস হয়তো ভুলে গেছে কিন্তু আমরা তা ভুলে যাইনি। আমরা বলেছিলাম আমরা ৩৭০ ধারা বাতিল করব। আমরা তা করেছি। আমরা বলেছিলাম আমরা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করব। আমরা তাও করেছি। এখন ইউসিসি হতে বাকি। আমরা তাও করব।’’ হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার দিল্লির বাসভবনে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধারের অভিযোগে শাহ বলেন, ভারতের প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে জম্মু-কাশ্মীরের ভোটের প্রসঙ্গ

    প্রসঙ্গত, গত বছরই জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন হয়। সে প্রসঙ্গও এদিন সাংবাদিকদের সামনে উল্লেখ করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা ছিল প্রথমবারের জন্য জম্মু-কাশ্মীরে ভোট, ৪০ বছরে যেখানে কোনও জায়গাতে ফের ভোট নিতে হয়নি। কখনও কাঁদানে গ্যাসও ছুড়তে হয়নি। একটা গুলিও চলেনি। তারপরেও ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরে। এটা একটা বড় পরিবর্তন এসেছে বলেই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)।

  • PM Modi: গড়লেন ইতিহাস, আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর, কী বললেন মোদি?

    PM Modi: গড়লেন ইতিহাস, আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর, কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রবিবার হিন্দু নববর্ষ। এদিনই নাগপুরে আরএসএসের (RSS) দফতরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নাগপুরে কেশবকুঞ্জে একটি চক্ষু হাসপাতালের সম্প্রসারণের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সকালে তিনি প্রথমে যান রেশমিবাগে আরএসএসের সদর দফতরের কাছে স্মৃতি মন্দির দর্শনে। শ্রদ্ধা জানান সংঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারকে।

    আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন আরএসএসের সদর দফতরে। ২০১২ সালে শেষবারের মতো সংঘের সদর দফতরে গিয়েছিলেন মোদি। তবে তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। তারপর কেটে গিয়েছে আস্ত একটা যুগ। রাজনীতির কারবারিদের মতে, এই পর্বে দেশজুড়ে বিজেপিকে বিপুল রাজনৈতিক মাইলেজ দিয়েছে সংঘ। তবে সেই কারণে তিনি নাগপুর যাননি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিন আরএসএস প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এই বৈঠকের পর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নাম ঘোষণা করা হতে পারে।

    মোদির পাশে ভাগবত   

    এদিন মোদির শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পর্বে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সরসংঘচালক মোহন ভাগবতকে। আরএসএসের শ্রুতি মন্দিরে সংঘ প্রতিষ্ঠাতাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর দীক্ষাভূমি মন্দিরে যান প্রধানমন্ত্রী। পরে সংবিধান প্রণেতা বাবা সাহেব আম্বেডকরকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী যান দীক্ষাভূমিতে। এখানেই হিন্দু ধর্ম ছেড়ে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নিয়েছিলেন আম্বেডকর (PM Modi)।

    এর আগে গত বছর অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে সংঘ প্রধানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৪ সালে একবার প্রকাশ্য অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছিল মোদি ও ভাগবতকে। তার পরে আবার এদিন এক মঞ্চে দেখা গেল দুই মহীরুহকে। আরএসএসের দফতর ঘোরার শেষে ভিজিটর্স বুকে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “নাগপুরে স্মৃতি মন্দির দর্শন একটি অত্যন্ত বিশেষ অভিজ্ঞতা। এটি জাতির সেবা করতে প্রাণিত করে।” ভিজিটর্স বুকে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ভারতীয় সংস্কৃতি, জাতীয়তাবাদ ও সংগঠনের মূল্যবোধের প্রতি নিবেদিত এই পবিত্র স্থান আমাদের দেশের সেবায় প্রেরণা জোগায়। এই স্থানের সঙ্গে যুক্ত সকল মহান ব্যক্তিদের নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রম (RSS) জাতির সেবায় লক্ষ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবকদের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভারত মাতার গৌরব উজ্জ্বল হবে (PM Modi)।”

  • Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, ব্যবস্থা নিচ্ছেনা ইউনূস সরকার, অভিযোগ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, ব্যবস্থা নিচ্ছেনা ইউনূস সরকার, অভিযোগ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর হওয়া অত্যাচারে কোনও রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে না সেদেশের ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার মধ্যপ্রদেশে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এমনই অভিযোগ তুলল। এই সংগঠনের মতে, ‘‘বাংলাদেশ সরকার এবং সেখানকার সেনাবাহিনী কোনওরকম পদক্ষেপ করছে না হিন্দুদের (VHP) ওপর নির্যাতনরোধে।’’

    কী বললেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা (Bangladesh)

    সংগঠনের তরফ থেকে অভিযোগ আনা হয়, ‘‘প্রত্যহ বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য ঘটনা আসছে। যেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে। বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর। গত অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ আনে ভিএইচি। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পারান্দে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার এবং সেনাবাহিনী কোনও রকমের পদক্ষেপ করছে না হিন্দুদের ওপর চলা অত্যাচারকে প্রতিরোধ করার জন্য। গত বছর থেকেই সে দেশে হিংসা এবং নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তা ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে বর্তমানে। সম্পূর্ণ দক্ষিণ এশিয়ার পক্ষেই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) নৈরাজ্য। বিশেষত ভারতের পক্ষে নিরাপত্তার জন্য তা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’

    হিন্দুদেরও মানবাধিকার আছে বলে স্মরণ করান বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    তিনি আরও বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকার এবং এদেশের কূটনীতিকরা এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য অনেক পদক্ষেপ করেছেন।’’ এর পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা স্মরণ করিয়েছেন যে প্রত্যেককে মনে রাখা উচিত যে হিন্দুদেরও মানবাধিকার রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি নিন্দা করেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীরও। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সরব হওয়া দরকার ছিল, সেটা দেখা যায়নি। প্রসঙ্গত, গত বছরের অগাস্ট মাসেই পতন হয় হাসিনা সরকারের। জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রে দখল করা হয় গণভবন। এরপরেই বাংলাদেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতনের খবর সামনে আসতে থাকে। সেদেশে রাজনৈতিক হিংসা অনেকক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয় সাম্প্রদায়িক হিংসাতে।

  • RSS: “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,” বললেন হোসাবলে

    RSS: “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,” বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দু একটি ভৌগোলিক-সাংস্কৃতিক পরিচয়। অন্য কোনও ধর্ম গ্রহণ করলেই কারও সাংস্কৃতিক পরিচয় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় না”। কথাগুলি বললেন (Hindu) আরএসএস (RSS) নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে। তিনি বলেন, “ভারতের মুসলমানরা তাঁদের ধর্মীয় অনুশীলন পরিবর্তন করলেও, হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়”।

    “হিন্দু ও মুসলমানদের একই পূর্বপুরুষ” (RSS)

    প্রসঙ্গত, আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবতও বলেছিলেন, হিন্দু ও মুসলমানদের একই পূর্বপুরুষ। তিনি এও বলেছিলেন, সমস্ত ভারতীয় একই ডিএনএ শেয়ার করে। তাই উপাসনার ভিত্তিতে তাদের মধ্যে পার্থক্য করা যায় না। তারও আগে ভাগবত বলেছিলেন, “হিন্দু শব্দটি আমাদের মাতৃভূমি, পূর্বপুরুষ ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সমতুল্য এবং প্রতিটি ভারতীয় একজন হিন্দু।” হোসাবলের গলায়ও শোনা গেল প্রায় সেই একই সুর। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের বক্তব্যকে সমর্থন করে হোসাবলে বলেন, “দেশের মানুষ বিভিন্ন জাতিতে বিভক্ত নয়”।

    ‘এটি আদতে মানব ধর্ম’

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে হোসাবলে (RSS) বলেন, “এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, ভারতের মানুষ, তাঁদের ধর্ম, ভাষা বা ঐতিহ্য নির্বিশেষে, বিভিন্ন জাতির অন্তর্গত নয়। বাবাসাহেব আম্বেডকর তো নিজেই এটি বলেছেন। হিন্দু হওয়া একটি ধর্মীয় পরিচয় নয়। এটি একটি জীবনধারা। এস রাধাকৃষ্ণন এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্টও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।” আরএসএসের এই নেতা বলেন, “হিন্দুদের দ্বারা পালন করা ধর্মকে সাধারণত হিন্দু ধর্ম বলা হয়।  কিন্তু এটি আদতে মানব ধর্ম। মানবিক মূল্যবোধের সার্বজনীন নীতি। হিন্দু একটি ভৌগোলিক-সাংস্কৃতিক পরিচয়। এটি কোনও সম্প্রদায়গত বা কঠোর ধর্মীয় ধারণা নয়।” তিনি বলেন, হিন্দু ধারণাটি কখনওই একটি মাত্র ঐতিহ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কেউ অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হলে তার জাতীয় পরিচয় হারায় না (Hindu)।”

    হোসেবলে বলেন, “ভারতের মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারে। একজন বৌদ্ধ কি কালই লিঙ্গায়ত হতে পারবে না? একজন ব্রাহ্মণ, যদি তিনি চান, বৌদ্ধ হতে পারবেন না? একই পরিবারের ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী পৃথকভাবে শৈব ও বৈষ্ণব মত অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে এক সঙ্গে বসবাস করেন — এর অসংখ্য উদাহরণ আছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায় বা ঐতিহ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। শুধুমাত্র অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার অর্থ সাংস্কৃতিক ও জাতীয় পরিচয় ছিন্ন করা উচিত নয় (Hindu)। এটিই সংঘের (RSS) অবস্থান।”

  • VHP: তেজাজি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর, বিক্ষোভে বিশ্বহিন্দু পরিষদ, বজরং দল

    VHP: তেজাজি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর, বিক্ষোভে বিশ্বহিন্দু পরিষদ, বজরং দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেজাজি মন্দিরে (Tejaji Temple) ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখাল বিশ্বহিন্দু পরিষদ (VHP) এবং বজরং দল। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার জয়পুরের টঙ্ক রোড অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিও জানান তাঁরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিড়ও বাড়তে থাকে মন্দির চত্বরে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মৃদু বল প্রয়োগ করে পুলিশ। কয়েকজনকে আটক করে রাস্তা অবরোধমুক্ত করা হয়।

    মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর (VHP)

    শনিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই মন্দির চত্বরে ভিড় জমে যায়। চলে আসেন বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের সদস্যরা। রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির কর্মীদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভে যোগ দেয় এবং ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। এদিন বিক্ষোভকারীরা টায়ার পুড়িয়ে ব্যস্ত টঙ্ক রোড অবরোধ করে। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থার আশ্বাস দিলেও, প্রতিবাদ চলতে থাকে। শেষে পুলিশি হস্তক্ষেপে ছত্রভঙ্গ হয় জনতা।

    কী বলছে পুলিশ

    অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার বিনোদ শর্মা জানান, পুলিশের দিয়ে ভিড় ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে এবং রাস্তা ফের খুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছে।” বিশ্বহিন্দু পরিষদের মুখপাত্র অমিতোষ পারিক বলেন, “গত রাতে কয়েকজন অসমাজিক লোকজন মূর্তি ভাঙচুর করায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে রোষ ছড়িয়ে পড়ে।” তিনি বলেন, “এটি তেজাজি মহারাজের অবমাননা। আমরা বিষয়টিতে জড়িত অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছি।

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ও বজরং দল মাঠে নামতেই আসরে নেমে পড়ে কংগ্রেসও। ঘটনার নিন্দা করে তারাও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তিকারাম জুলি বলেন, “মূর্তি ভাঙার ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি শুধু একটি মূর্তি নয়,  এটি আমাদের বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের ওপর হামলা, যা কখনওই সহ্য করা হবে না। সরকারের উচিত দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং তাদের গ্রেফতার করা (Tejaji Temple)।” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেন, “এমন ঘটনার মাধ্যমে মানুষের অনুভূতি ও বিশ্বাসে আঘাত দেওয়া কখনওই মেনে যায় না (VHP)।”

  • Chhattisgarh Encounter: সুকমায় রাতভর গুলির লড়াই, বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম ১৬ মাওবাদী, জখম দুই জওয়ান

    Chhattisgarh Encounter: সুকমায় রাতভর গুলির লড়াই, বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম ১৬ মাওবাদী, জখম দুই জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সুকমায় (Sukma) নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ফের খতম হল ১৬ জন মাওবাদী। এই নিয়ে চলতি বছর ১৩০ জনেরও বেশি মাওবাদী নিহত হয়েছে বিভিন্ন অভিযানে। এই সংঘর্ষে সামান্য আহত হয়েছেন বাহিনীর (Chhattisgarh Encounter) দুই জওয়ান। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এখনও তল্লাশি অভিযান জারি আছে বলে জানিয়েছেন বস্তার রেঞ্জের পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল সুন্দরজ পি সাইড।

    রাতভর গুলির লড়াই

    পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে তারা খবর পায় যে, সুকমা-দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানায় উপমপল্লি কেরলাপাল এলাকায় জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে মাওবাদীদের (Chhattisgarh Encounter) একটি দল। সেই খবর পাওয়া মাত্রই শুক্রবার রাতে সিআরপিএফ, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং পুলিশের যৌথবাহিনী ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযানে যায়। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাচ্ছিল বাহিনী। পুলিশ সূত্রে খবর, বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গলের ভিতর থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। রাতভর গুলির লড়াই চলেছে। শনিবার ভোরেও গুলির লড়াই জারি ছিল। পুলিশের দাবি, এই সংঘর্ষে ১৬ জন মাওবাদী খতম হয়েছে। মাওবাদীরা সংখ্যায় কত জন ছিল সেই সংখ্যাটি স্পষ্ট হয়নি।

    অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার

    সুকমা হল বস্তার এলাকার সবথেকে দুর্ধর্ষ নকশাল উপদ্রুত এলাকা। অতীতে বহুবার এই এলাকায় মাওবাদী হামলা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে কেরলাপাল এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে মাওবাদীরা (Chhattisgarh Encounter)। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যৌথ অভিযান চালায় রিজার্ভ গার্ড বা ডিআরজি এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (Security forces)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর পর্যন্ত ১৬ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহত মাওবাদীদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাকি মাওবাদীদের খোঁজে জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে বাহিনী। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা আন্তঃরাজ্য অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষে দুশোর বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ওই তিন রাজ্যে।

    মাওবাদী মুক্ত ভারত

    উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারতকে মাওবাদী মুক্ত করার লক্ষ্য স্থির করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে বিগত বহু মাস ধরে ক্রমাগত মাও নিধন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীগুলি। এই আবহে ২০২৪ সালে ছত্তিশগড়ে ২১৯ জন মাওবাদীকে মারা হয়েছিল। ২০২৩ সালে যে সংখ্যাটা ছিল মাত্র ২২, আর ২০২২ সালে তা ছিল ৩০। এদিকে ২০২৫ সালে আগের সপ্তাহ পর্যন্ত ১১৩ জন মাওবাদীকে খতম করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল সরকার। এছাড়া ১০৪ জন মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৬৪ জন আত্মসমর্পণ করেছে।

    রেড করিডর এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে

    ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh Encounter) বস্তার বিভাগের বস্তার, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর, কাঙ্কের, নারায়ণপুর, কোন্ডাগাঁও এবং সুকমা মাওবাদী বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত। ‘রেড করিডর’ নামে পরিচিত মাওবাদী বিরোধী অভিযানের জন্য এইসব এলাকায় হাজার হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিদ্রোহীদের পিছনে ঠেলে দিতে লগাতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনী পূর্বের মাওবাদী নিয়ন্ত্রিত ৪ হাজার বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল সহ ছত্তিশগড় এবং মহারাষ্ট্র-আবুঝমাড়-এ ১৭টি নতুন ক্যাম্প তৈরি করেছে।

    জওয়ানদের সাফল্য প্রশংসনীয়

    ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ ‘মাওবাদী মুক্ত’ করার ঘোষণা আগেই করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২৩ সালে বিজেপি ছত্তিশগড়ের ক্ষমতায় আসার পরে মাওবাদী দমনে যৌথ বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক কিছু সূত্রের দাবি। তার পর থেকেই পুরো শক্তি কাজে লাগিয়ে মাওবাদী দমন অভিযান চলছে। বাহিনীর এই সাফল্যকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণ দেও সাই। তিনি বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘২০২৬–এর মধ্যে বস্তার ভয়মুক্ত হয়ে বাঁচবে, আমি নিশ্চিত। ছত্তিশগড়ে মাওবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই প্রবল পরাক্রমে এগোচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি দেশ তথা ছত্তিশগড় থেকে ২০২৬ মার্চের মধ্যে মাওবাদ মুছে ফেলার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনী তাতে একের পর এক সাফল্য অর্জন করছে। জওয়ানদের সাফল্য প্রশংসনীয়। তাঁদের সাহসিকতাকে স্যালুট জানাই।’

    মাওবাদীদের ঘরে ফেরার বার্তা

    তবে শুধু মাওবাদী দমন (Chhattisgarh Encounter) অভিযানই নয়, তাদের ঘরে ফেরার বার্তাও দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও ঘোষণা করেছেন, নতুন প্রকল্পে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসন, চাকরি, আর্থিক পুরস্কার এবং আইনি সুরক্ষা প্রদান করা হবে। মাওবাদী নেতাদের পদ অনুযায়ী সুবিধা প্রদান করা হবে নয়া পুনর্বাসন নীতিতে। রাজ্য কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্যদের মতো উচ্চপদস্থ ক্যাডারদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। যাঁরা লাইট মেশিনগান-সহ আত্মসমর্পণ করবেন, তাঁরাও পাবেন পাঁচ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার। যে সব ক্ষেত্রে মাওবাদী ইউনিটের ৮০ শতাংশ সদস্য একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করবেন, সেখানে দ্বিগুণ পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুনর্বাসনের এই প্যাকেজে রয়েছে চাকরি এবং সন্তানদের শিক্ষায় সাহায্যও।

  • LCH Prachand: বৃহত্তম চুক্তিতে ছাড়পত্র মোদি মন্ত্রিসভার, ৬২ হাজার কোটি টাকায় কেনা হবে ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’

    LCH Prachand: বৃহত্তম চুক্তিতে ছাড়পত্র মোদি মন্ত্রিসভার, ৬২ হাজার কোটি টাকায় কেনা হবে ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সুরক্ষায় বিরাট বড় পদক্ষেপ করল মোদি সরকার (Modi Government)। প্রতিরক্ষাকে আরও জোরদার করতে দেশে তৈরি ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) বা এলসিএইচ কেনায় চূড়ান্ত ছাড়পত্র (Defence Acquisition) দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (Hindusthan Aeronautics Limited) বা হ্যালের সঙ্গে এই মর্মে চুক্তি করতে চলেছে সরকার। চুক্তির মূল্য ৬২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। মোদি মন্ত্রিসভা যে এই হেলিকপ্টার কেনায় ছাড়পত্র দিতে চলেছে, তা আগেই জানিয়েছিল মাধ্যম। সেই কথাই সত্যি হল।

    মার্চ মাসে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা কেনায় ছাড়পত্র

    এর আগে, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ৬১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও সমরাস্ত্র কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল মোদি সরকার (Modi Government)। একদিকে, ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি (DAC) ৫৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের আটটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে যার মধ্যে রয়েছে— সেনাবাহিনীর অন্যতম ভরসা টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্কের (T-90 Bhisma) জন্য আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন, নৌবাহিনীর জন্য অ্যান্টি-সাবমেরিন টর্পিডো (Anti-Submarine Torpedo) এবং বায়ুসেনার জন্য এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল (AEW&C) এয়ারক্রাফট সিস্টেম। এর আগে, একই দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS) প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ভারতে তৈরি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS) কেনার বিষয়ে অনুমোদন দেয়। এবার, ৬২ হাজার কোটি টাকার হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) কেনায় ছাড়পত্র দিল মোদি সরকার।

    এলসিএইচ প্রচণ্ড (LCH Prachand) দেশের গর্ব

    জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জুনে মাসে, হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ১৫৬টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র পেয়েছিল। সেই নিয়ে আলোচনা-পর্ব মেটার পর এখন তা চূড়ান্ত অনুমোদন পেল। বিশ্বের অন্যতম আধুনিক এই সামরিক চপার (অ্যাটাক হেলিকপ্টার) তৈরি হবে কর্নাটকে হ্যালের বেঙ্গালুরু ও টুমকুরের কারখানায়। এটাই এখনও পর্যন্ত হ্যালের সবচেয়ে বড় মূল্যের প্রতিরক্ষা বরাত হতে চলেছে। এই ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) হেলিকপ্টারের মধ্যে ৯০টি ভারতীয় স্থলসেনার জন্য এবং ৬৬টি ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বরাদ্দ করা হবে। এর ফলে, একদিকে যেমন ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সুরক্ষিত হবে। একইসঙ্গে, প্রতিরক্ষা উৎপাদনে দেশে জোয়ার আসবে, যা মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত-এর (Atmanirbhar Bharat) পক্ষে জোরালো সওয়াল হবে এবং একইসঙ্গে ভারতে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

    এক নজরে হ্যাল এলসিএইচ প্রচণ্ড-র (LCH Prachand) বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি

    হ্যাল-নির্মিত ‘প্রচণ্ড’ বিশ্বের একমাত্র আক্রমণকারী বা অ্যাটাক হেলিকপ্টার, যা ৫,০০০ থেকে ১৬,৪০০ ফুট উচ্চতায় অবতরণ ও উড়তে সক্ষম। সিয়াচেন হিমবাহ ও পূর্ব লাদাখের মত অতি উচ্চ এলকায় যুদ্ধের জন্য এগুলি আদর্শ।

    অধিক উচ্চতার অভিযানে দক্ষতার পাশাপাশি, প্রচণ্ড হেলিকপ্টারগুলি আকাশ থেকে ভূমি এবং আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত।

    প্রচণ্ড চপারগুলো ডেটা চিপ দিয়ে সংযুক্ত, যা তাদের নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক অভিযানে অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা দেয়। ডেটা চিপগুলির জন্য এই কপ্টারগুলি (Light Combat Helicopters Deal) সামরিক অভিযানে সমন্বয় গঠনের মাধ্যমে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে ওঠে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ডকে (LCH Prachand) ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় বায়ুসেনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

  • PM Modi: রামনবমীতে রামানাথাস্বামী মন্দিরে পুজো দেবেন মোদি, করবেন পামবান রেল সেতুর উদ্বোধন

    PM Modi: রামনবমীতে রামানাথাস্বামী মন্দিরে পুজো দেবেন মোদি, করবেন পামবান রেল সেতুর উদ্বোধন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৬ এপ্রিল রামনবমীর দিন তামিলনাড়ুর রামেশ্বরামের রামানাথাস্বামী মন্দিরে পুজো দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। এরপর তিনি উদ্বোধন করবেন পামবান রেল সেতুর। প্রসঙ্গত ভারতের প্রথম ‘ভার্টিকাল লিফট সি-ব্রিজ’ হল পামবান সেতু। সমুদ্রের ওপর তৈরি হওয়া সর্বাধিক দৈর্ঘ্যের সেতু এটি। এমনভাবে এই ব্রিজকে নির্মাণ করা হয়েছে যে উপরে ছুটবে ট্রেন আবার জাহাজ এলেই সরে যাবে সেতু।

    রামনবমীর পুণ্য তিথিতেই কেন সেতু উদ্বোধন?

    তবে রামনবমীর পুণ্য তিথিতেই এই সেতুর উদ্বোধন কেন? অনেকেই বলছেন, হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, রামেশ্বরম হল সেই জায়গা যেখানে ভগবান রামচন্দ্র এবং তাঁর সেনাবাহিনী মিলে তৈরি করেছিলেন রাম সেতু। এরপরেই রাবণের হাত থেকে মাতা সীতাকে উদ্ধার করা হয়। রামনবমীর পুণ্য তিথিতে রামানাথাস্বামী মন্দিরের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) যাওয়া এবং সেতু উদ্বোধন তাই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। দেশ জুড়ে রাম ভক্তদের মধ্যে এনিয়ে উন্মাদনাও ছড়িয়েছে।

    প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় ভূখণ্ডের সঙ্গে রামেশ্বরাম বা পামবান দ্বীপকে জুড়তেই তৈরি হয়েছে নয়া এই রেলব্রিজ (Pamban Bridge)। সমুদ্রের উপরে তৈরি হওয়া নতুন সেতু উদ্বোধনে খরচ পড়েছে মোট ৫৪০ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই। এরপর কাজ শুরু ২০২০ সালের গোড়ার দিকে। পরবর্তীকালে করোনা মহামারীর কারণে কাজ বন্ধ থাকে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়। উল্লেখ্য, গত মাসেই এই রেল সেতুতে প্রথম ট্রায়াল রানও সম্পন্ন হয়েছে। এবার আগামী মাসেই রামনবমীতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে (PM Modi) উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এই সেতুর। জানা যাচ্ছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ায় খুব সহজেই প্রতি ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে এই নতুন রেল সেতু হয়ে ছোটানো যাবে ট্রেনগুলি। একই সঙ্গে, জাহাজ পারাপার করানোর জন্য মাঝখান থেকে ১৭ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উঠে যেতে পারে ব্রিজটি।

  • S Jaishankar: “ভারত চেষ্টা করেও প্রতিবেশীর মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না”, পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ভারত চেষ্টা করেও প্রতিবেশীর মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না”, পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নয়াদিল্লি বারংবার স্পষ্টভাবে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু একটি প্রতিবেশী দেশের (পড়ুন, পাকিস্তান) উন্মত্ত ও সংকীর্ণ মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে (Pakistan) না।” শুক্রবার লোকসভায় কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে জয়শঙ্কর পাকিস্তানে ফেব্রুয়ারি মাসে হিন্দুদের ওপর হওয়া ১০টি হামলার ঘটনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর মধ্যে সাতটি ঘটনায় অপহরণ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, দুটি ঘটনায় অপহরণ এবং একটি ঘটনায় হোলি উদযাপনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

    শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তিন ঘটনা (S Jaishankar)

    জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তানে শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তিনটি ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটনায় একটি শিখ পরিবারকে আক্রমণ করা হয়। অন্য ঘটনায় একটি পুরানো গুরুদ্বার পুনরায় খোলার কারণে একটি শিখ পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। ওই সম্প্রদায়ের একটি মেয়ের অপহরণ ও ধর্মান্তরকরণের সমস্যাও ছিল। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত দুটি মামলাও ছিল। একটি ঘটনায় একটি মসজিদ সিল করে দেওয়া হয় এবং অন্য ঘটনায় ৪০টি কবর ভেঙে ফেলা হয়। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলাও ছিল, যেখানে একজন খ্রিস্টানকে, ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীর কঠোর অবস্থানের মতো কোনও কঠোর পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছে কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “একটি সরকার ও দেশ হিসেবে আমরা প্রতিবেশীর ধর্মান্ধ ও সংকীর্ণ মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারি না। ইন্দিরা গান্ধীও তা পারেননি (Pakistan)।” ২৬ মার্চ হিউম্যান রাইটস ফোকাস পাকিস্তান ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে সংস্থাটি এই ক্রমবর্ধমান নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে বলে যে, সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাবের কারণে সাহায্য ও ন্যায়বিচার এখনও অধরা রয়েছে।

    হিউম্যান রাইটস ফোকাস (S Jaishankar) পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নাভিদ ওয়াল্টার বলেন, “পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা হামলা, হত্যা, ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগ, অপহরণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও জোরপূর্বক বিয়ের জন্য সহজ লক্ষ্য। তাদের দুর্দশা ও অবহেলার প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ না দেওয়া আরও বেশি বেদনাদায়ক (Pakistan)।”

LinkedIn
Share