Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • IPC Bill 2023: সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই পেশ হবে ন্যায় সংহিতা বিল ২০২৩! ইঙ্গিত কেন্দ্রের

    IPC Bill 2023: সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই পেশ হবে ন্যায় সংহিতা বিল ২০২৩! ইঙ্গিত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এই অধিবেশনেই আইপিসি বিল ২০২৩ (IPC Bill 2023) পেশ করতে পারে নরেন্দ্র মোদির সরকার। বুধবার কেন্দ্রের তরফে ১৮টি বিল নিয়ে আলোচনার জন্য তালিকাভুক্তির নোটিশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তার মধ্যেই রয়েছে আইপিসি বিলটিও। এই বিল নিয়ে বিস্তর আপত্তি তুলেছে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বিভিন্ন বিরোধী দল। তবে মোদি সরকার যে সে সবে বিশেষ আমল দিচ্ছে না, এই নোটিশ জারিই তার প্রমাণ।

    কী বলেছিলেন অমিত শাহ?

    সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিন ১১ অগাস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় জানিয়েছিলেন, ১৮৬০ সালে তৈরি আইপিসি প্রতিস্থাপিত হবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা দিয়ে (IPC Bill 2023)। ১৮৯৮ সালের ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট প্রতিস্থাপিত হবে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা বিল দিয়ে। আর ১৮৭২ সালের ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট প্রতিস্থাপিত হবে ভারতীয় সাক্ষ্য বিল দ্বারা। সেই সময়ই বিল তিনটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এনিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার প্রেক্ষিতেই আপত্তি জানান বিজেপি-বিরোধী কয়েকটি দল।

    পেশ হবে ১৮টি বিল

    এ ছাড়াও (IPC Bill 2023) আরও বেশ কয়েকটি বিল এই অধিবেশনেই আনতে চলেছে মোদি সরকার। বকেয়া ১১টি বিলও রয়েছে এর মধ্যে। নতুন বিল পেশ হবে ৭টি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল ২০২৩ পেশ হতে পারে। পোস্ট অফিস বিলটি আটকে রয়েছে রাজ্য সভায়। সেটিও পাশ করাবে সরকার। সচরাচর শীতকালীন অধিবেশন বসে নভেম্বরের মাঝামাঝি। এ বছর এই সময়টায় হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন বিরোধীরাও। সেই কারণেই ঠিক হয়, অধিবেশন বসবে ওই রাজ্যগুলির নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে।

    আরও পড়ুুন: শ্রমিক হয়ে উত্তরকাশীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সৌভিক! বেআব্রু বাংলার হা-শিল্প দশা

    সেই মতো অধিবেশন শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর। চলবে ২২ তারিখ পর্যন্ত। সব মিলিয়ে অধিবেশন হবে ১৫ দিন। আসন্ন অধিবেশন সরগরম হতে পারে কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে। ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে সংসদের এথিক্স কমিটি। সেই সুপারিশ পেশ করতে পারেন অধ্যক্ষ। প্রথা মেনে অধিবেশন বসার আগে এবারও হবে সর্বদলীয় বৈঠক। ২ ডিসেম্বর হবে ওই বৈঠক। বৈঠকে যোগ দিতে সব দলকেই আবেদন করেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bullet Train: দু’বছরেই বুলেট ট্রেন চলবে দেশে! সময় ঘোষণা রেলমন্ত্রীর, কবে চালু?

    Bullet Train: দু’বছরেই বুলেট ট্রেন চলবে দেশে! সময় ঘোষণা রেলমন্ত্রীর, কবে চালু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষা আর মাত্র দুই বছরের। ২০২৬ সালেই দেশে বুলেট ট্রেনের (Bullet Train) প্রথম সেকশনের কাজ শেষ হবে বলে জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। বুধবার দিল্লিতে এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। রেলমন্ত্রী জানান, গুজরাটের বিলিমোরা এবং সুরাটের মধ্যে ৫০ কিলিমিটার রেল রুটে প্রথম বুলেট ট্রেন সেকশনটি গড়ে তোলা হবে। সেই কাজ সম্পন্ন হবে ২০২৬ সালের অগাস্ট মাসের মধ্যে। 

    বুলেট ট্রেনের কথা

    রেলমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পে ১০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ভায়ডাক্ট (পিলারের উপরে বসানো কংক্রিটের রেলপথ) এবং ২৩০ কিলোমিটার পিলার বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। বিলিমোরা-সুরাট সেকশনটি মুম্বই-আমেদাবাদ রুটেরই অংশ। ইতিমধ্যেই গুজরাটের ভালসাদ, নভসারি, সুরাট, বরোদা এবং আনন্দ জেলায় বুলেট ট্রেন প্রকল্পে ভায়াডাক্ট বসানোর কাজও শেষ হয়েছে। সেই ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। বুলেট ট্রেন প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে আনুমানিক ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকা। যার মধ্যে ১০ হাজার কোটি দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। ৫ হাজার কোটি করে দেবে গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র সরকার। বাকি অর্থ ০.১ শতাংশ সুদের হারে ঋণ দেবে জাপান।

    রেলের নানা নয়া পরিকল্পনা

    শুধু বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্প নয়, দেশের রেল পরিষেবাকে আরও উন্নতি করতে নতুন কী কী পরিকল্পনা রয়েছে, তাও এদিন জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, ট্রেন দুর্ঘটনা রুখতে ট্রেনে দেশীয় কবচ প্রযুক্তি বসানোর কাজ আরও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে। ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্য়ু রুখতে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি ‘গজরাজ’ প্রযুক্তির কথাও জানান অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। এদিন রেলমন্ত্রী জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তকে রেলপথে সংযুক্ত করতে, আরও রেললাইন বসানো হবে। করোনার জেরে উদ্ভুত অতিমারি পরিস্থিতির আগে, দেশে এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৬৮। নতুন ট্রেন যুক্ত করায়, বর্তমানে তা বেড়ে ১ হাজার ১২৪ হয়েছে। শহরতলিতে ৫ হাজার ৬২৬ ট্রেনের পরিষেবা মিলত আগে, এখন তা বেড়ে ৫ হাজার ৭৭৪ হয়েছে এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যাও বেড়ে ২ হাজার ৭৯২ থেকে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮৫৬। ২০২২-‘২৩ সালে যেখানে যাত্রীসংখ্যা ছিল ৬৪০ কোটি, ২০২৩-‘২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭৫০ কোটি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PMGKAY: ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের! আরও ৫ বছর বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পাবেন ৮১ কোটি মানুষ

    PMGKAY: ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের! আরও ৫ বছর বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পাবেন ৮১ কোটি মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ খাদ্যশস্য যোজনায় (PM Garib Kalyan Yojana) আরও ৫ বছর তালিকাভুক্ত নাগরিকদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য (Free food grains) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet)। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নেতৃত্বে হওয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে আরও পাঁচ বছর বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়েছে। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আরও ৫ বছরের জন্য এই সরকারি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হল। 

    কী এই যোজনা

    জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় এমনিতেই প্রতি মাসে ভর্তুকিযুক্ত দামে প্রদত্ত ৫ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়া হয় দরিদ্র মানুষদের।  করোনা মহামারির (Covid Pandemic) ফলে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার অধীনে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া চালু করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে রেশন কার্ড থাকা ভারতীয় নাগরিকরা প্রতিমাসে পাঁচ কিলো করে হয় গম না হয় চাল পাচ্ছিলেন। অতিরিক্ত খাদ্য সরবরাহ প্রকল্পের মাধ্যমে ছোলাও দেওয়া হচ্ছিল। দেশের ৮১ কোটি দরিদ্র মানুষকে প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য সরবরাহ করার জন্য এই প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র সরকার।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায়, আরও ৫ বছর ধরে দরিদ্র মানুষকে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হবে। আগামী পাঁচ বছরে এর জন্য সরকার প্রায় ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করবে।” তবে তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তহবিল আরও বাড়ানো হবে। এই প্রকল্পের মেয়াদ য়ে বাড়ানো হবে, তা অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নভেম্বরের শুরুতেই ছত্তীসগঢ়ের দুর্গে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার মেয়াদ এই ডিসেম্বরেই শেষ হচ্ছে। কিন্তু, বিজেপি সরকার এই প্রকল্পের মেয়াদ আরও ৫ বছরের জন্য বাড়াবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Indian Navy IAC 2: আরও একটি দেশীয় বিমানবাহী রণতরী আসছে নৌসেনার হাতে! সিদ্ধান্ত আজই?

    Indian Navy IAC 2: আরও একটি দেশীয় বিমানবাহী রণতরী আসছে নৌসেনার হাতে! সিদ্ধান্ত আজই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবাহিনীর বাড়বাড়ন্তকে মাথায় রেখে আইএনএস বিক্রান্ত-এর পর দেশে আরও একটি প্রায় সমান ক্ষমতাসম্পন্ন বিমানবাহী রণতরী (Indian Navy IAC 2) নির্মাণ করার প্রস্তাবে সম্ভবত শীঘ্রই সায় দিতে চলেছে কেন্দ্র। 

    ভারত মহাসাগরে চিনকে রোখা প্রয়োজন

    সূত্রের খবর, ভারতীয় জলসীমার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে বেশ কিছুদিন আগেই দ্বিতীয় দেশীয় বিমানবাহী রণতরীর জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছিল ভারতীয় নৌসেনা। প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছিল ডিফেন্স প্রোকিওরমেন্ট বোর্ডের বা সংক্ষেপে ডিপিবি-র কাছে। এই ডিপিবি হল এমন কমিটি যারা মূলত বৃহত সামরিক ক্রয় বিষয়ক প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সুপারিশ পাঠায় কেন্দ্রের সামরিক সরঞ্জাম কেনার শীর্ষ কমিটি ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা সংক্ষেপে ডিএসি-র (Defence Acquisition Council) কাছে। 

    রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে বসছে বিশেষ বৈঠক

    নিয়ম অনুযায়ী, ডিপিবি-র সুপারিশের ওপর সময় মতো অ্যাকসেপ্টেন্স অফ নেসেসিটি (এওএন) বা সিলমোহর দেয় ডিএসি (Indian Navy IAC 2)। তার পর সব শেষে কেনার ছাড়পত্র দেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস।  যার পরেই, গোটা প্রক্রিয়া কার্যকর হয়। সূত্রের খবর, দেশে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী তৈরি করার প্রস্তাবকে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে ডিএসি-র টেবিলে পাঠিয়েছে ডিপিবি। আগামিকাল বসছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিএসি-র (Defence Acquisition Council) বৈঠক। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই বিষয়ে। তবে, কেন্দ্রীয় সূত্রের দাবি, চিনের কথা মাথায় রেখে সম্ভবত এই প্রস্তাব গৃহীত হতে পারে। 

    আইএনএস বিক্রান্ত-এর ‘মিরর’ হতে চলেছে আইএসি-২

    যা জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ইন্ডিজেনাস এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার ১ বা আইএনএস বিক্রান্ত-এর তুলনায় ৩০ শতাংশ বড় হবে আইএসি-২ (Indian Navy IAC 2)। বিক্রান্তের ওজন ৪৪ হাজার টন। সেখানে নকশা অনুযায়ী, আইএসি-২ এর ওজন হওয়ার কথা ছিল ৬৫ হাজার টন। পরবর্তীকালে, তা বাতিল করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বিক্রান্তের মতোই নকশা অনুযায়ী হবে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী। অর্ছাৎ, নকশায় কোনও পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। এর ফলে, সময় বাঁচবে। জানা যাচ্ছে, তেমনটা হলে, ৮-১০ বছরের মধ্য়েই ভারতীয় নৌসেনার হাতে আইএসি-২ আসতে পারে।

    নতুন রণতরীর ডেকে থাকবে রাফাল-এম

    আইএনএস বিক্রান্ত তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, নতুন বিমানবাহী রণতরী নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। ওই রণতরী থেকে উড়বে অত্যাধুনিক ফরাসি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান। কয়েকদিন আগে, নৌসেনা প্রধান আর হরি কুমার জানিয়েছিলেন, আপাতত রিপিট অর্ডারের দিকেই ঝোঁকা হচ্ছে (Indian Navy IAC 2)। অর্থাৎ, ওজনে প্রায় এক হবে নতুন জাহাজটি। তবে, আরও অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন হবে। সেই সময় তৃতীয় বড় আকারের বিমানবাহী রণতরীর নকশা তৈরি করা হবে। যা হবে ওই ৬৫ হাজার টনের আশেপাশে। যে সময় সেটি অন্তর্ভুক্ত হবে নৌসেনায়, আইএনএস বিক্রমাদিত্য অবসর নেবে।

    বৈঠকের নজরে প্রচণ্ড ও তেজস-ও

    নতুন বিমানবাহী রণতরীর পাশাপাশি, আগামিকালের বৈঠকে বায়ুসেনার পেশ করা ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া রয়েছে স্থলসেনার জন্য ১৫৬টি প্রচণ্ড সামরিক হেলিকপ্টার, যার মূল্য হতে পারে ৪৫ হাজার কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Tunnel Collapse: সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারের পর কেক কাটল এনডিআরএফ, কী উদযাপন হল?

    Tunnel Collapse: সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারের পর কেক কাটল এনডিআরএফ, কী উদযাপন হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭ দিনের মাথায় সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের কাছে গতকাল পৌঁছয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উত্তরাখণ্ডের (Uttarkashi Tunnel Collapse) সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে মঙ্গলবার রাতে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। টানেল থেকে উদ্ধারের পর সব শ্রমিককে চিনিয়ালিসাউর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে রাখা হয়েছিল। যেখানে সব শ্রমিকদের ডাক্তারি পরীক্ষা চালানো হয়। ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকদের নজরে থাকার পর তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারবেন।  ১৭ দিনের কঠোর পরিশ্রমের পরে সমস্ত কর্মীকে টানেল থেকে বাইরে বের করে আনতে পেরে খুশি এনডিআরএফ সহ অন্যান্য উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা। ওই উদ্ধারকারী দলের এক সদস্যের গতকাল জন্মদিন ছিল। শ্রমিকদের নিরাপদে বের করে কেক কেটে সহকর্মীর জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নিলেন তাঁরা। সেই ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল।

    আবেগাপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী

    গত ১২ নভেম্বর দিওয়ালির রাতে টানেলের একটি অংশ ধসে ৪১জন শ্রমিক টানেলের ভিতরেই আটকা পড়েছিলেন। এর পরে এনডিআরএফ সহ অন্যান্য উদ্ধারকারী দল তাদের বাঁচাতে কোনরকম চেষ্টা বাকি রাখেনি। এই কয়েকদিন ধরেই উদ্ধারকারী কর্মীদের সঙ্গে লাগাতার কথাবার্তা চালিয়ে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। এমনকি তাঁবু গেড়ে তিনি সেখানেই ছিলেন। ৭ মিটার টানেল খোঁড়ার কাজ সম্পূর্ণ হতেই প্রার্থনা করতে থাকেন তিনি। টানেলের ভিতর থেকে শ্রমিকদের বাইরে আনা হলে খুশিতে ভাসেন সকলে। 

    অ্যাম্বুল্যান্সে বসেই টানেলের বাইরে বেরোন শ্রমিকরা। তাঁরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন। অস্থায়ী হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখা হয় তাঁদের। বুধবার সকালে ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুকে চাপিয়ে শ্রমিকদের হৃষীকেশ এমসে ভর্তি করানো হয়। দ্রুত যাতে ৪১ জনের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়, সে কারণেই এই ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Uttarkashi Tunnel Collapse: ১৭ দিন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে ৪১ জন শ্রমিক, কেমন ছিল সেই লড়াই

    Uttarkashi Tunnel Collapse: ১৭ দিন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে ৪১ জন শ্রমিক, কেমন ছিল সেই লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে মুক্তির আলো দেখলেন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিক। ১৭ দিন পর, নানা বাধা বিপত্তি কাটিয়ে, সুড়ঙ্গ থেকে একে একে উদ্ধার করা হয় বাংলার ৩ শ্রমিক-সহ ৪১ জনকে। ১২ নভেম্বর দুপুরের পর থেকে ওই অন্ধকার কূপে তাঁরা কী করেছেন, কেমন ছিলেন। বেরিয়ে এসে সেই কথা জানালেন তাঁরা। তাঁদের বিপদের দিনের কথা শোনালেন চিকিৎসকরাও। উৎকণ্ঠা আর আতঙ্ক ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় আবশ্যিক জিনিস কোনওভাবে তাঁদের কাছে পৌঁছনো গিয়েছিল। শ্রমিকদের উদ্ধারে সবরকম প্রয়াস করেছে সরকারও। তাই সুড়ঙ্গ থেকে বাইরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন শ্রমিকরা।

    জিওটেক্সটাইল শিটের বান্ডিল বিছানা

    সুড়ঙ্গের বাইরে এসে শ্রমিকরা জানান, “যখন ধস নামল, তখনই বুঝতে পেরেছিলাম আমরা আটকে গিয়েছি। প্রথম ১০-১৫ ঘণ্টা আমাদের পরিস্থিতি কঠিন ছিল। কিন্তু পরে একটা পাইপের মাধ্যমে আমাদের ভাত, ডাল ও শুকনো ফল পাঠানো হয়। একটা মাইকও লাগিয়ে দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে আমরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতাম।” তাঁরা জানান, যেখানে তাঁরা আটকে পড়েছিলেন, সেখানে জিওটেক্সটাইল শিটের বান্ডিল পড়েছিল। শ্রমিকরা সেটাকেই বিছানার মতো করে বানিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। টানেলের ভিতরে কর্মীদের খুব একটা ঠান্ডা লাগেনি। সেখানে তাপমাত্রা ২২-২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। আটকে পড়া শ্রমিকরা সুড়ঙ্গেই যোগব্যায়াম ও ব্যায়াম করছিলেন। সকাল-সন্ধ্যা টানেলের ভেতরে হেঁটছেন। যে অংশে শ্রমিকরা আটকে পড়েছিলেন, তার দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ২ কিলোমিটারের মতো। ফলে, হাঁটাচলায় অসুবিধে হয়নি।

    টানেলে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল

    শ্রমিকদের উদ্ধাকাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা এক আধিকারিক জানান, তিনি বলেন, ওঁরা ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পেয়েছেন। ধ্বংসাবশেষের কারণে বিদ্যুতের সরবরাহের কোনও ক্ষতি হয়নি। নির্মাণের সময়, সুড়ঙ্গের দেওয়াল বরাবর বৈদ্যুতিক তারগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেগুলি ভাল অবস্থাতেই ছিল। ফলে অন্তত একটু আলোর ব্যবস্থা ছিল অন্ধকার সুড়ঙ্গে। সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস, যেমন টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, তোয়ালে, জামাকাপড়, অন্তর্বাস ইত্যাদি শ্রমিকদের দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মোবাইল ফোনও দেওয়া হয়েছিল। তাতে সিনেমা এবং ভিডিও গেমও ছিল।

    পাঠানো হয়েছে পর্যাপ্ত খাবার

    সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের প্রথমে তরল খাবার দেওয়া হলেও কয়েকদিন পর থেকে সলিড খাবার দেওয়া শুরু হয়। শ্রমিকদের দেখার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা জানান, “আমরা সকালে তাদের কাছে ডিম, চা এবং পোরিজ(ওটস, সুজি জাতীয়) পাঠাচ্ছিলাম। দুপুর ও রাতের খাবারে ডাল, ভাত, রুটি এবং সবজি খাচ্ছিলেন। তাঁদের খাওয়ার জন্য ডিসপোজেবল প্লেটও পাঠানো হচ্ছিল।” চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শ্রমিকরা যাতে পর্যাপ্ত জল খান, তা নিশ্চিত করতে বোতলের মধ্যে ভরে পাইপের মাধ্যমে ওআরএস পাউডার পাঠানো হয়েছিল। তাছাড়া চোখের ড্রপ, ভিটামিন পিল এবং অন্যান্য এনার্জি ড্রিংকও পাঠানো হয়েছে। শুকনো ফল ও বিস্কুটও শ্রমিকদের কাছে পাঠানো হয়।

    আরও পড়ুন: জীবনের ঝুঁকি, মনের জোরে সাফল্য! উত্তরকাশীতে ‘হিরো’ র‍্যাট হোল মাইনার্স

    সুড়ঙ্গ থেকে বেরনোর পর রাতেই শ্রমিকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টানেলের মুখের সামনে তৈরি মন্দিরে পুজো দেওয়া হয়। আপাতত চিনিয়ালিসৌরের হাসপাতালে রয়েছেন উদ্ধার হওয়া শ্রমিকরা। এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে থাকাকালীন তাঁদের কোনওরকম শারীরিক সমস্যা হয়নি। সকালে তাঁদের হালকা খাবার দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Collapse: জীবনের ঝুঁকি, মনের জোরে সাফল্য! উত্তরকাশীতে ‘হিরো’ র‍্যাট হোল মাইনার্স

    Uttarkashi Tunnel Collapse: জীবনের ঝুঁকি, মনের জোরে সাফল্য! উত্তরকাশীতে ‘হিরো’ র‍্যাট হোল মাইনার্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাওয়া-খাওয়া ভুলে পাথর কেটেছেন। প্রতি মুহূর্তে ছিল ঝলসে যাওয়ার ভয়। তবু পাথর কেটে চলেছেন ১২ জন র‍্যাট হোল মাইনার্স। বিদেশি যন্ত্র যেখানে হার মেনে গিয়েছিল, সেখানে এই ১২ জনের মনের জোরেই উদ্ধার করে আনা গেল উত্তরকাশীর (Uttarkashi Tunnel Collapse) সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে। উদ্ধারকাজ সফল হওয়ার পরে ওই ১২জন শ্রমিকের মুখে ছিল তৃপ্তির হাসি। এদিন তাঁরা রিয়েল-হিরো। 

    কী এই র‍্যাট হোল মাইনিং

    র‍্যাট হোল মাইনিং বা ইঁদুরের গর্ত খনন একটি বিতর্কিত এবং বিপজ্জনক প্রক্রিয়া। খুব ছোট গর্ত (৪ ফুটের বেশি চওড়া নয়) খনন করে কয়লা তোলার একটি অভিনব পদ্ধতি। খনি শ্রমিকরা কয়লা সীমায় পৌঁছে গেলে, কয়লা উত্তোলনের জন্য পাশে টানেল তৈরি করা হয়। উত্তোলিত কয়লা কাছাকাছি ডাম্প করা হয় এবং পরে উত্থিত করা হয়। এই পদ্ধতিকেই বলে র‍্যাট হোল মাইনিং। এই পদ্ধতি ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খুব সরু গর্ত করে নীচের দিকে এগিয়ে যাওয়া হয়। অনেক সময় গর্ত এতটাই সরু হয় যে একজন মাত্র সেই গর্তে নামতে পারেন। 

    নিষিদ্ধ পদ্ধতিতেই সাফল্য

    মার্কিন অগার মেশিন ভেঙে পড়ার পর উত্তরকাশীর টানেলে আটক ৪১ শ্রমিকদের উদ্ধারে র‍্যাট হোল মাইনার্সদের উপরেই ভরসা করতে হয়। দিল্লি ও ঝাঁসি থেকে উড়িয়ে আনা হয় র‌্যাট হোল মাইনার-দের। তারাই কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় সরু পাইপের মধ্যে বসে সরিয়ে ফেলেন ১৫ মিটার ধস। প্রায় ৪০০ ঘণ্টার পর এক ঝটকায় টানেলে আটক শ্রমিকদের সামনে খুলে যায় সব বাধা। মোট ১২ জন বিশেষজ্ঞ র‍্যাট হোল মাইনার দলে দলে ভাগ হয়ে এই কাজ শুরু করেন৷ উদ্ধার অভিযান শেষে সেই র‍্যাট হোল মাইনার্স নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন৷ তাঁরা জানিয়েছেন, শ্রমিকদের উদ্ধার করার অদম্য জেদই তাঁদের শক্তি জুগিয়েছে৷ সেই কারণে গতকাল তিনটে থেকে পাথর ভাঙার কাজ শুরু করে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই কার্যত অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন৷  

    আরও পড়ুন: যবনিকা পতন ১৭ দিনের লড়াইয়ে, উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার ৪১ শ্রমিকই

    র‍্যাট হোল মাইনার্স-দের প্রশংসা

    ১২ জনের র‌্যাট হোল মাইনার টিমের নেতৃত্বে ছিলেন ওয়াকিল হাসান। তাঁর কথায়, ” মনে হল দেশের জন্য কিছু করতে পারলাম। খুব কঠিন কাজ। সরু জায়গায় কাজ করতে হয়েছিল। ৪১ জনের প্রাণ বাঁচাব ভেবেই মনে জেদ চেপে গিয়েছিল। আমার সঙ্গীরা খুব পরিশ্রম করেছে। জীবনে এমন চ্যালেঞ্জিং কাজ আগে কখনও করিনি। টিমের কর্মীরা টানা ২৪ ঘণ্টা বিরামহীন কাজ করেছে।”

    অপর এক র‌্যাট হোল মাইনার-এর কথায়, “আমরা ঠিক করে নিয়েছিলাম, যেভাবেই হোক আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার করতেই হবে৷ তাই তো না খেয়েই আজ সকাল থেকে পাথর ভেঙে গিয়েছি৷ পাথর কাটতে কাটতে কখনও কখনও সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে স্টিলের টুকরোও চলে এসেছে৷ আমরা সেসবও কেটে ফেলেছি৷ এখন এত আনন্দ হচ্ছে, ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না৷” উদ্ধার অভিযান শেষে সাংবাদিক বৈঠক করতে গিয়ে এই র‍্যাট হোল মাইনার্স-দের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি৷ ১২ জন উদ্ধারকারীর সঙ্গে কথাও বলেন তিনি৷ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Rescue: যবনিকা পতন ১৭ দিনের লড়াইয়ে, উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার ৪১ শ্রমিকই  

    Uttarkashi Tunnel Rescue: যবনিকা পতন ১৭ দিনের লড়াইয়ে, উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার ৪১ শ্রমিকই  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চূড়ান্ত পর্বের অভিযান শুরু হয়েছিল রাত ৭টা ৪৯ মিনিটে। রাত ৮টা বেজে ৩৮ মিনিটের মধ্যে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হল ৪১ জন শ্রমিককেই। সেই সঙ্গে যবনিকা পতন হল টানা ১৭ দিনের লড়াইয়ের। এদিন সুড়ঙ্গ থেকে প্রথমে বেরিয়ে আসেন ঝাড়খণ্ডের বিজয় হোরো। তার পর একে একে বের করে আনা হয় আরও চল্লিশজন শ্রমিককে। আটক শ্রমিকদের উদ্ধার করার সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী।

    কেমন ছিল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি?

    মঙ্গলবার সন্ধের সময়ই সুড়ঙ্গে আটকে (Uttarkashi Tunnel Rescue) পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যান উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। যে পাইপের মাধ্যমে ওই শ্রমিকদের বের করে আনা হবে, সেটি প্রস্তুত রাখা হয়েছিল আগে থেকেই। শেষ মুহূর্তের কাজ শেষে একে একে উদ্ধার করা হয় শ্রমিকদের। সুড়ঙ্গের বাইরে প্রস্তত রাখা হয়েছিল চিকিৎসকদের একটি দলকে। উদ্ধার করা শ্রমিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন তাঁরাই। পরে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতালে।

    চাকা লাগানো স্ট্রেচারে আনা হল বাইরে

    জানা গিয়েছে, যে পাইপের মধ্যে দিয়ে আটক শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি আড়াই ফুট চওড়া। চাকা লাগানো স্ট্রেচারের মাধ্যমে এই পাইপ দিয়েই বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁদের। এই পাইপের মধ্যে দিয়ে প্রথমে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। তাঁরাই শ্রমিকদের বুঝিয়ে দেন কীভাবে স্ট্রেচারের সাহায্যে সাবধানে বেরিয়ে আসতে হবে তাঁদের। টানা সতের দিন ধরে সুড়ঙ্গে আটকে থাকায় ক্ষীণকায় হয়েছেন শ্রমিকরা। তাই চাকা লাগানো স্ট্রেচারে করে তাঁদের বের করে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: খননকাজ শেষ করে শ্রমিকদের মঙ্গল কামনায় পুজোয় বসলেন আর্নল্ড ডিক্স

    সুড়ঙ্গে আটকে ছিলেন বাংলার তিনজন সহ মোট ৪১ জন শ্রমিক। তাই সুড়ঙ্গের বাইরে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল ৪১টি অ্যাম্বুলেন্স। গড়া হয়েছিল অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রও। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উদ্ধার করা শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হবে তিরিশ কিলোমিটার দূরের জেলা হাসপাতালে। শ্রমিকদের যাতে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া যায়, তাই (Uttarkashi Tunnel Rescue) তৈরি করা হয়েছে গ্রিন করিডর। এই হাসপাতালের পাশেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার চিনুক। কোনও শ্রমিকের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দ্রুত উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে হৃষিকেশের এইমস হাসপাতালে। প্রশাসন জানিয়েছে, শ্রমিকদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪১টি বেড। ট্রমা কেয়ার ইউনিট, আইসিইউ এবং অক্সিজেনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আটা হাসনাইন বলেছিলেন, “আমার মনে হয়, এই অপারেশন শেষ করতে পুরো রাত লেগে যাবে।” তবে তার আগেই আটক শ্রমিকদের উদ্ধার করায় খনি বিশেষজ্ঞদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Rescue: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আশার আলো, আটক শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রস্তুত ‘চিনুক’, সুখবর শীঘ্রই!

    Uttarkashi Tunnel Rescue: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আশার আলো, আটক শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রস্তুত ‘চিনুক’, সুখবর শীঘ্রই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সিল্কিয়াড়া সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel Rescue) ফের ধস। সেই কারণেই দেরি হচ্ছে উদ্ধার কাজে। তবে ছোট্ট এই ধসের কারণে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। সূত্রের খবর, সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারবর্গকে ‘সুখবর’ দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে।

    প্রস্তুত বায়ুসেনার হেলিকপ্টার

    সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের উদ্ধার করার পর নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে। পরে নিয়ে যাওয়া হবে অন্যত্র। তাই সুড়ঙ্গের কাছেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে বায়ুসেনার একটি চিনুক হেলিকপ্টার। এনডিএমএ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনাইন বলেন, “চিনুক হেলিকপ্টারটি, চিন্যালিসাউর এয়ারস্ট্রিপে রয়েছে। এর ওড়ার সময় ছিল বিকেল সাড়ে চারটে। আমরা এটি রাতে ওড়াব না। যেহেতু সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে দেরি আছে, তাই আগামিকাল সকালে শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হবে।”

    সাফল্যের খুব কাছাকাছি!

    তিনি বলেন, “আমরা বড় সাফল্যের খুব কাছাকাছি থাকলেও, এখনও সেখানে পৌঁছতে পারিনি (Uttarkashi Tunnel Rescue)। আটকে পড়া শ্রমিকরা মেশিনের শব্দ শুনেছেন। একবার ব্রেকথ্রু পাওয়া গেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করতে তিন-চার ঘণ্টা সময় লাগবে। পাইপের মধ্যে দিয়ে চাকাযুক্ত স্ট্রেচারে প্রত্যেক শ্রমিককে বের করতে প্রায় পাঁচ মিনিট সময় লাগবে।” তিনি বলেন, “ইঁদুরের গর্ত খোঁড়ার খনি শ্রমিকরা চব্বিশ ঘণ্টারও কম সময়ে ১০ মিটার খনন করে আসাধারণ কাজ করেছেন।”

    প্রসঙ্গত, দিন কুড়ি ধরে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারে একাধিক পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল। আমেরিকায় তৈরি অগার মেশিনও নামানো হয়েছিল আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে। সেই মেশিনটি ভেঙে যাওয়ায় প্রয়োগ করা হয় ‘ইঁদুর-গর্ত’ পদ্ধতি। ১২ জন খনি বিশেষজ্ঞ এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছেন সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের।

    আরও পড়ুুন: ‘‘গেরুয়া সুনামি দেখবে শহরবাসী’’, বুধবারের শাহি-সভা নিয়ে প্রত্যয়ী সুকান্ত

    এদিকে, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে আশার আলো দেখা দিতেই দুর্ঘটনাস্থল ছাড়লেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। উত্তরকাশীর ওই সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন বাংলার তিনজন শ্রমিকও। উদ্ধারকাজ শেষ পর্বে পৌঁছে যেতেই তাঁদের ঘরে ফেরাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তিন প্রতিনিধির একটি দল রওনা দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশে। প্রসঙ্গত, খনি শ্রমিকদের কল্যাণ ও নিরাপদে দ্রুত উদ্ধারের (Uttarkashi Tunnel Rescue) আশায় এদিনই পুজো দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BJP Slams Nitish: পুজোর ছুটিতে কাঁচি, ইদে তিনদিন স্কুলে ছুটি! বিহারকে ‘ইসলামিক রিপাবলিক’ কটাক্ষ বিজেপির

    BJP Slams Nitish: পুজোর ছুটিতে কাঁচি, ইদে তিনদিন স্কুলে ছুটি! বিহারকে ‘ইসলামিক রিপাবলিক’ কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পুজোতে স্কুলের ছুটির দিনে কাটছাঁট করে দিল বিহারের স্কুল শিক্ষা দফতর। উল্টোদিকে, দুই ইদে তিনদিন করে ছুটির (School Holidays) কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মুসলিমদের দুই পরবে মোট ছয়দিন স্কুল বন্ধ থাকবে। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি (BJP Slams Nitish) নেতৃত্ব। রাজ্যের বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, লালু প্রসাদ ও নীতীশ কুমার মিলে রাজ্যটিকে ‘ইসলামিক রিপাবলিক অফ বিহার’ বানিয়ে ফেলছেন। আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে নীতীশকে ‘তোষণ সম্রাট’ বলে কটাক্ষ করেন।

    ভোটের জন্য তোষামোদ

    বিহার সরকারের শিক্ষা দফতরের বক্তব্য, শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী ২২০ দিন স্কুল খোলা রাখতেই ছুটির তালিকায় অদলবদল করতে হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট বিহার সরকারের আর একটি সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। তখন শিক্ষা দফতর বছরের বাকি দিনগুলিতে প্রাপ্য কুড়িটি ছুটি কমিয়ে আটটি করে দিয়েছিল। বিতর্কের মুখে সেই নির্দেশিকা বাতিল করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের স্কুলের ছুটির ক্য়ালেন্ডার প্রকাশ্য়ে এসেছে। এরপরই সোশ্য়াল মিডিয়ায় নানা মন্তব্য ভেসে আসছে। এই নতুন ক্যালেন্ডারে দেখা যাচ্ছ সব মিলিয়ে ৬০দিন ছুটি রয়েছে। (BJP Slams Nitish) তার মধ্য়ে তিনদিন করে ঈদ আর বকরিদের জন্য। দুর্গাপুজো আর ছটের জন্য় যেমন ছুটি তেমন ওই পরবের জন্য়ও ছুটি। অন্যদিকে, দুটি হিন্দু পরব হরতালিকা তিজ এবং জিতিইয়ার ছুটি কমানো হয়েছে।

    রাজনৈতিক মহলের দাবি, নীতীশ কুমারের সরকার ভোটের জন্য একটা সম্প্রদায়কে তোষামোদ করছে। বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদির দাবি, হিন্দুদের সেন্টিমেন্টকে আঘাত করা হয়েছে। মুসলিমদের উৎসবে ছুটির দিন এভাবে বাড়িয়ে দেওয়া আর হিন্দুদের উৎসবে কমিয়ে দেওয়া এর পেছনে কোনও যুক্তি নেই (BJP Slams Nitish)।

    আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনে এসি কোচ! ডিসেম্বরেই শিয়ালদা শাখায় চালু নতুন পরিষেবা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share