Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড শোপিয়ানের মৌলবি! পড়ুয়াদের সন্ত্রাসের পাঠ দিতেন ইরফান

    Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড শোপিয়ানের মৌলবি! পড়ুয়াদের সন্ত্রাসের পাঠ দিতেন ইরফান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফরিদাবাদ মডিউলের নেপথ্যে কাজ করছে কার মাথা? কার কথাতে প্ররোচিত হয়ে ডাক্তার, ডাক্তারি পড়ুয়া বা মেধাবী ছাত্ররা যুক্ত হত সন্ত্রাসের সঙ্গে? তার খোঁজেই ছিল তদন্তকারী সংস্থাগুলো। এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়েই তদন্তকারীদের নজরে আসে জম্মু-কাশ্মীরেরই এক বাসিন্দা। নাম ইরফান আহমেদ। পুলিশ ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এই ইরফানই ডাক্তারি পড়ুয়াদের মগজধোলাই করত। পুলিশ সূত্রে খবর, হরিয়ানার ফরিদাবাদ মডিউল সংক্রান্ত ঘটনা ও দিল্লি বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যুর পর জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে ইমাম ইরফান আহমেদ।

    মূল পরিকল্পনাকারী কে?

    দিল্লি বিস্ফোরণ ও ফরিদাবাদের বিস্ফোরক এবং অস্ত্র উদ্ধারের সঙ্গে যোগসূত্র খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বেশ কয়েকটি সূত্র ধরে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। সোমবার রাত থেকে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের মধ্যেই রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানের বাসিন্দা ইরফান। পূর্ব শ্রীনগরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন প্যারামেডিক্যাল কর্মী ছিল সে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, সেই কারণে মেডিক্যাল পড়ুয়া এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই যোগাযোগ এবং সম্পর্ককে কাজে লাগিয়েই মগজধোলাইয়ের কাজ করত ইরফান! নানা ধরনের সন্ত্রাসমূলক কাজে প্ররোচিত করার চেষ্টা করত মেধাবী যুবকদের।

    কীভাবে চলত মগজধোলাই

    তদন্তকারীদের এক সূত্রের দাবি, নওগামের এক মসজিদে যে সব পড়ুয়ারা যেতেন, তাঁদের সঙ্গে প্রথমে আলাপচারিতার মাধ্যমে বন্ধুত্ব করত ইরফান। তার পর ধীরে ধীরে ওই সব পড়ুয়াদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নানা রকম পাঠ পড়াত। নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের বিভিন্ন ভিডিয়ো পড়ুয়াদের দেখাত। আর এ ভাবেই মগজধোলাই চলত বলে দাবি তদন্তকারীদের। সে তরুণ মেডিকেল ছাত্রদের ধীরে ধীরে উগ্রপন্থায় উদ্বুদ্ধ করত। মগজ ধোলাই করে তাদের চরমপন্থী কাজে টেনে আনত। পুলিশ সূত্রে খবর, এই মৌলবী পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এগোচ্ছিল। তদন্তকারীদের ধারণা, ভিডিও কলের মাধ্যমে আফগানিস্তানের হ্যান্ডলারদের সঙ্গেও যোগাযোগ করত সে। তার মূল উদ্দেশ্যে ছিল তরুণদের মৌলবাদে দীক্ষিত করা।

    পছন্দের ছাত্র কাশ্মীরের দুই চিকিৎসক

    তদন্তকারীরা মনে করছেন, ফরিদাবাদ মডিউলের অন্যতম দুই চক্রী— মুজাম্মিল শাকিল ও আদিল আহমেদ রাঠারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ইরফানের। শুধু তা-ই নয়, দিল্লি বিস্ফোরণের মূল সন্দেহভাজন উমর নবির সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ থাকার অনুমান করা হচ্ছে। এ-ও মনে করা হচ্ছে, ফরিদাবাদে বিস্ফোরক নিয়ে আসার নেপথ্যে থাকতে পারেন ইরফান। তবে এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেনি কোনও তদন্তকারী সংস্থাই। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মতে, মেন্টর আহমেদের পছন্দের ছাত্র ছিল কাশ্মীরের দুই চিকিৎসক, ডাঃ মুজাম্মিল শাকিল এবং ডাঃ মহম্মদ উমর। তাদের একেবারে মগজ ধোলাই করে ফেলেছিল ইরফান। উভয় ডাক্তারই মৌলবীর দেখানো লক্ষ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল। তবে আসল মস্তিষ্ক ছিল ইরফানই। সূত্রের খবর, রবিবার তাঁর সহযোগী দুই চিকিৎসক – মুজাম্মিল শাকিল ও আদিল আহমেদ রাঠারকে গ্রেফতারের খবর জানার পরই ভয় পেয়ে উমর বিস্ফোরণ ঘটায়। তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল ইরফানের।

  • Delhi Blast: অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ভারতে ঢুকেছিল নেপাল, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে!

    Delhi Blast: অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ভারতে ঢুকেছিল নেপাল, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও খোঁজ নেই প্রায় ৩০০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের (Delhi Blast)। সোমবার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের পর তদন্তে নামেন গোয়েন্দারা। তার পরেই উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য (Ammonium Nitrate Missing)। ফরিদাবাদ জঙ্গি মডিউল তদন্তের অধীনে পুলিশ এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। বাকি চালানটির হদিশ মেলেনি এখনও। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক নিরাপত্তা উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে।

    নিখোঁজ বিস্ফোরকের সন্ধানে তল্লাশি (Delhi Blast)

    সূত্রের খবর, দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার এখন প্রধান লক্ষ্যই হল ওই ৩০০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সন্ধান ও উদ্ধার করা। এই পরিমাণ বিস্ফোরক যাদের কাছে রয়েছে তাদের চিহ্নিত করা। এ পর্যন্ত ওই সব সংস্থা বিভিন্ন গোপন আস্তানা থেকে প্রায় ৩ টন বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। আধিকারিকদের অনুমান, এর কিছু অংশ এখনও অজানা কোনও জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সেই হারানো বিস্ফোরকের খোঁজেই দেশজুড়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক বলেন, “পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। বাকি উপাদানটি যেন কোনওভাবেই ব্যবহার না করা যায়, তা ঠেকাতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি প্রাণপণ করছে।”

    ভায়া বাংলাদেশ ও নেপাল 

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের চালানটি ভারতে এসেছিল বাংলাদেশ ও নেপালের সীমান্ত দিয়ে। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরা একটি সার কারখানা থেকে এই পদার্থটি চুরি করে সীমান্ত পেরিয়ে চোরাচালান করে এনেছিল (Ammonium Nitrate Missing)। সূত্রের খবর, মোট ৩,২০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ভারতে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই কারণেই পুরো রুটজুড়ে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সতর্কবার্তা জারি করেছে (Delhi Blast)।

    অযোধ্যা ও বারাণসীতে হামলার ছক

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের মডিউল উত্তরপ্রদেশের ধর্মীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেমন অযোধ্যা ও বারাণসীতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অভিযুক্তদের মধ্যে শাহিন অযোধ্যায় একটি ‘স্লিপার মডিউল’ সক্রিয় করেছিল। এই শহরগুলির পাশাপাশি লালকেল্লা, ইন্ডিয়া গেট, সংবিধান ক্লাব, গৌরীশঙ্কর মন্দির, বড় রেলস্টেশন এবং শপিং মলগুলিও তাদের টার্গেটের তালিকায় ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ষড়যন্ত্রের ছক কষা হচ্ছিল ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই। তাদের লক্ষ্য ছিল ২৬/১১ মুম্বই হামলার ধাঁচে সিরিয়াল বিস্ফোরণ ঘটানো।

    উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি

    তদন্তকারীদের মতে, এই মডিউলটি দিল্লি, গুরগাঁও এবং ফরিদাবাদ জুড়ে একযোগে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ২০০টিরও বেশি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল। আধিকারিকরা বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল জনবহুল ও ধর্মীয় স্থানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করা (Delhi Blast)। নিখোঁজ বিস্ফোরকের খোঁজে এবং মডিউলের সঙ্গে যুক্ত সম্ভাব্য স্লিপার সেলগুলি শনাক্ত করতে বিভিন্ন রাজ্যে যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এই নেটওয়ার্কটির শেকড় উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং সীমান্তবর্তী চোরাচালান পথ পর্যন্ত বিস্তৃত। অবশিষ্ট অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করে বড়সড় জঙ্গি হামলা চালানোর আশঙ্কায় সরকার সংবেদনশীল কাঠামো ও বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে জোরদার করেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Ammonium Nitrate Missing)। সোমবার দিল্লির লালকেল্লা এলাকায় ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২ জনের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে এনআইএ-ও। তার পরেই আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিস্ফোরক কোথায় গেল, তারও সন্ধান করছে এনআইএ (Delhi Blast)।

    কোথায় আরও দুই মহিলা চিকিৎসক

    এদিকে, শাহিন ছাড়াও তদন্তকারীরা খোঁজ করছেন আরও দুই মহিলা চিকিৎসকের। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করেছে তারা। কাশ্মীরের অনন্তনাগ ও শ্রীনগরে চিকিৎসাও করেছে তারা। তবে এদের আসল উদ্দেশ্য ছিল, জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের হয়ে কাজ করা। সেই কাজ তারা করেও যাচ্ছিল গোপনে। শাহিন পুলিশের জালে পড়লেও, ওই দুই মহিলা চিকিৎসক অধরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই দুই মহিলা চিকিৎসকই আদতে লিঙ্কম্যান। চমকের শেষ এখানেই নয়। গোয়েন্দারা এও জেনেছেন, ইস্তাম্বুল, দোঁহা থেকে তাদের কাছ থেকে ডিজিটাল ওয়ালেটে মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকেছে (Delhi Blast)।

    ধর্ম প্রচারের আড়ালে আসলে যে জইশ এবং লস্করের জঙ্গি চাঁইরা একাধিকবার বাংলাদেশে গিয়েছিল, তা আগেই জানা গিয়েছিল। বাংলাদেশের (Ammonium Nitrate Missing) মাটি ব্যবহার করে দফতর খুলতে চাইছে আইএসআই। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার সেই অনুমতিও দিয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, যেহেতু পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে এখন ভারতে ঢোকাটা জঙ্গিদের কাছে দুষ্কর, তাই বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে লক্ষ্যে পৌঁছতে চাইছে জঙ্গিরা (Delhi Blast)।

  • Delhi Blast: লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলাই, সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    Delhi Blast: লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলাই, সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ (Delhi Blast) জঙ্গি হামলাই। বুধবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে এমনই (Centre) জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সাফ জানিয়ে দিলেন, সোমবার দিল্লিতে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, তা আসলে ছিল ঘৃণ্য সন্ত্রাসবাদী হামলাই।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (Delhi Blast)

    বুধবার দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছুটে যান দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে। সেখানে তিনি দেখা করেন দিল্লি বিস্ফোরণে জখমদের সঙ্গে। এই হাসপাতালে এখনও অন্তত ২০ জনের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন, এই হামলার নেপথ্যে জড়িতদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের তদন্ত সংস্থাগুলি এই ষড়যন্ত্রের শেকড় পর্যন্ত যাবে। যারা এই ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী, তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে। একজনকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না।” হাসপাতাল থেকে ফিরেই বিকেলে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

    বৈঠকে নীরবতা পালন

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত ওই বৈঠকের শুরুতেই দু’মিনিট ধরে নীরবতা পালন করা হয়। দিল্লির বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এদিন পালন করা হয় নীরবতা। এরপর কেন্দ্রের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দে করা হয় এই হামলার। ঘটনাটিকে দেশ বিরোধী শক্তির কাপুরুষোচিত আক্রমণ বলেও উল্লেখ করা হয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে, তাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়। এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেও উল্লেখ করা হয়। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রীরা। যাঁরা উদ্ধার কাজে সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের এবং হাসপাতালের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের প্রশংসাও করা হয়। ওই হামলার পরে পরেই ভারতের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বার্তা পাঠায় বিভিন্ন দেশ। সেজন্য ওই দেশগুলিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয় কেন্দ্রের তরফে। অভিযুক্তদের ধরে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।

    আই-২০ গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

    সোমবার বিকেলে দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি হুন্ডাই আই-২০ গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে যায় পার্কিংয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি। কাচ ভেঙে যায় অকুস্থলের আশপাশের বাড়ি এবং দোকানেরও। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন বিদেশ সফরে, ভুটানে। সেখান থেকে ফিরেই প্রথমে যান হাসপাতালে, তার পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই (Delhi Blast) বৈঠক শেষে সোমবারের ওই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে উল্লেখ করল সরকার। দিল্লির ঘটনার নেপথ্যে যে বড়সড় ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে তাকে সরাসরি সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই দেগে দেওয়া হল (Centre)।

    বিস্ফোরণের আগে রেকি!

    এদিকে, ঘটনার পর গত ৪৮ ঘণ্টায় অনেকটাই এগিয়েছে তদন্ত। গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে। তাদের জেরা করে অনেক নতুন তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। বুধবারই হরিয়ানার একটি গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে অন্যতম অভিযুক্ত উমর নবির লাল রংয়ের চারচাকার একটি গাড়ি। এই উমরই বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া সাদা হুন্ডাই আই-২০ গাড়ির চালকের আসনে ছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। বিস্ফোরণের আগে আগে এই গাড়িটি কোথায় কোথায় ঘুরেছিল, সেদিকেও নজরদারি করছেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, গাড়িটি এর আগে ঘুরেছিল দিল্লির দুই ব্যস্ততম এলাকা কনট প্লেস এবং ময়ূর বিহার। দিল্লির এই দুই এলাকায় আসার আগে গাড়িটি হরিয়ানাতেই ছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। সূত্রের দাবি, গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্ মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে পার্ক করা ছিল বিস্ফোরণে ব্যবহৃত সেই গাড়িটি। এর ঠিক পাশেই রাখা ছিল ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদের গাড়িও। জানা গিয়েছে, গাড়ির মালিক মুজাম্মিল হলেও, রেজিস্ট্রেশন ছিল মহিলা চিকিৎসক শাহিন শাহিদের নামে। প্রশ্ন হল, তাহলে কি বিস্ফোরণের আগে রেকি করতেই রাজধানীর জনবহুল এলাকাগুলিতে ঘুরপাক খেয়েছে (Delhi Blast) গাড়িটি? লালকেল্লা ছাড়াও রাজধানীর অন্য কোথাও কি আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা? যদিও দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে আত্মঘাতী হামলার সুস্পষ্ট প্রমাণ এখনও মেলেনি।

    উধাও হয়ে গিয়েছিল মহিলা চিকিৎসক

    লালকেল্লার বাইরে বিস্ফোরণের ঠিক আগে লখনউ থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহিন সিদ্দিকি নামে এক মহিলা চিকিৎসককে। তার গাড়িতেও মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র (Centre)। তদন্তকারীদের অনুমান, শাহিন ও তার সঙ্গী মুজাম্মিলের সঙ্গে সরাসরি যোগ থাকতে পারে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের। কানপুরের জেএসভিএম মেডিক্যাল কলেজে পড়াত শাহিন। ২০১৩ সালে আচমকাই উধাও হয়ে যায়। ২০২১ সালে তাকে বরখাস্ত করেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গোয়েন্দাদের ধারণা, সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ায় গায়েব হয়ে গিয়েছিল শাহিন। জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা শাখা জামাত-উল-মোমিনীনের ভারতের প্রধান করা হয় তাকে। সে কাজ করত মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহারের সঙ্গে শলা করে। লখনউয়ের যে বাড়িতে শাহিন থাকত, সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁর ভাই পারভেজ আনসারিকেও (Delhi Blast)। শ্রীনগরে জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে ধৃত আদিল মাজিদ রাথরের সঙ্গেও যোগ রয়েছে ফরিদাবাদের এই হাসপাতালের (Centre)। যদিও বুধবার ওই মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তারা সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া নয়। ধৃত কিংবা আটক সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কই নেই।

  • Delhi Blast: ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় শয়ে শয়ে মানুষ হত্যার পরিকল্পনা ছিল মূলচক্রীদের, চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Delhi Blast: ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় শয়ে শয়ে মানুষ হত্যার পরিকল্পনা ছিল মূলচক্রীদের, চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে ১০ নভেম্বর তেমন বড় পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে শতশত মানুষ মারার পরিকল্পনার বিস্ফোরক (Delhi Blast) ও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায়। দেশের প্রাণকেন্দ্রে বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল হামলাকারী মূলচক্রীদের। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় যেহেতু বড় সমাবেশ হয়, তাই বড় ধরনের বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল উমর-মুজান্মিল-শাহিনদের। একথা জেরায় স্বীকার করেছে ধৃত মুজাম্মিল (Delhi Terror Plan)। জেরায় আরও জানা গিয়েছে, মুজাম্মিল এবং উমর মিলে একাধিকবার লালকেল্লা চত্বরে রেইকি করেছিল। রেইকি করতে এবং ২৬ জানুয়ারি বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ফরিদাবাদে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। সেখানেই ৩০০ কেজি বিস্ফোরক মজুত ছিল। কিন্তু ধরা পরে যেতেই সে সরানোর চেষ্টায় বিস্ফোরণ ঘটে যায়।

    দীপবালিতেও করা হয়েছিল ছক (Delhi Blast)!

    ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, গাড়িতে বিস্ফোরক (Delhi Blast) ভর্তি করে ঠিক কোথায় রাখলে বেশি পরিমাণে মানুষ হতাহত হবেন সেই বিষয়ে আগেই সরেজমিনে গিয়ে কয়েকবার পরিকল্পনা করে এসেছে তারা। দীপাবলিতেও ভিড়ে ঠাসা এলাকাকে টার্গেট করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। মুজাম্মিলের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন থেকেই সমস্ত তথ্য তদন্তকারী অফিসাররা খোঁজ করেছেন । ফরিদাবাদ মডিউল ধরা পড়তেই তাড়াহুড়ো করে পালানোর চেষ্টা করে উমর। আর এই ফাঁকেই অসাবধানতাবসত গাড়ি ভর্তি বিস্ফোরক ফাটে লালকেল্লার সামনে। এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতরভাবে হাসপাতালে ভর্তি হয় ২০ জন। মামলায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে ২০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে জেরার অভিযান চলছে। উঠে এসেছে এক মৌলবীর নামও। তবে মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের মগজধোলাই করত ওই মৌলবী। তবে এই মডিউলের দুজন সদস্য ডাক্তার মুজাম্মিল এবং ডাক্তার উমরকে টেলিগ্রামের মাধ্যমে তুরস্ক যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জইশ-এর (Delhi Terror Plan) কোনও হ্যান্ডেলের মধ্যস্থতাতেই তাঁদের দুজনকে তুরস্কে পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য অপারেশন সিঁদুরের বিরুদ্ধে সরাসরি অস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছিল তুরস্ক।

    দ্রুত মূল মাথার খোঁজ চলছে

    দিল্লি বিস্ফোরণের (Delhi Blast) পর দেশজুড়ে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। বুধবার সকালেও বিস্ফোরণের স্থানে রয়েছে কড়া পুলিশের পাহারা। ইতিমধ্যে দিল্লির একাধিক সন্দেহপ্রবন এলাকায় চলছে তল্লাশি। একই ভাবে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় সূত্র ধরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ধান চলছে। তবে গোয়েন্দাদের অনুমান ডাক্তার যেহেতু একটি সম্মান জনক পেশা তাই চিকিৎসকদের স্লিপার সেল হিসেবে জঙ্গিসংগঠনগুলি ব্যবহার করেছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং দাতব্য সামগ্রীর আড়ালে আইইডি (Delhi Terror Plan) তৈরির উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে হামলায় জড়িতদের মাথা খোঁজ করতে দফায় দফায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বৈঠকে বসেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাফ কথা, যেভাবেই হোক দোষীদের গ্রেফতার করতেই হবে। নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে লিখেছেন, “দিল্লির গাড়িবোমা বিস্ফোরণ নিয়ে রিভিউ মিটিংয়ের সভাপতিত্ব করলাম। শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আধিকারিকদের এই ঘটনার নেপথ্যে জড়িত প্রত্যেক দোষীকে খুঁজে বার করার নির্দেশ দিয়েছি। তারা এ বার আমাদের তদন্তকারী সংস্থাগুলির ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ দেখবে। ”

    পাকজঙ্গিদের বড়সড় ষড়যন্ত্রের অঙ্গ এই বিস্ফোরণ?

    দেশের প্রধানমন্ত্রী ভুটান সফর শেষ করেই দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের পর আহতদের দেখতে যান হাসপাতালে। রাজধানীর লোকনায়ক হাসপাতালে গিয়ে সকলকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। গুরুতর আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। একই ভাবে হাসপাতালের কর্মকর্তা এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন। তবে তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে যা মনে হচ্ছে পাকজঙ্গিদের বড়সড় ষড়যন্ত্রের অঙ্গ এই বিস্ফোরণ (Delhi Blast)। মোদি ভুটান সফর থেকেই সাফ জানিয়েছেন, “ষড়যন্ত্রকারীদের (Delhi Terror Plan) কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না।” তবে ভারতীয় গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান জইশ-ই-মহম্মদই এই হামলার পিছনে রয়েছে। একটি সিসিটিভি ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে বিস্ফোরণের আগে সুনহেরি মসজিদের পার্কিংলটে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিল গাড়িটি। এই গাড়িকে সন্দেহ করে ইতিমধ্যে আটক করেছে দুই সন্দেহভাজনকে।

  • Delhi Red Fort Blast: জইশের টেলিগ্রাম চ্যানেলে কথা, তুরস্কে হামলার ছক তৈরি উমরদের! দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Delhi Red Fort Blast: জইশের টেলিগ্রাম চ্যানেলে কথা, তুরস্কে হামলার ছক তৈরি উমরদের! দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়া যত এগোচ্ছে, ততই নিত্যনতুন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে বিস্ফোরণে আত্মঘাতী হামলাকারী হিসেবে সন্দেহভাজন ডাক্তার উমর মহম্মদ কট্টরপন্থী ডাক্তারদের এক গোপন নেটওয়ার্কের অংশ ছিল। সে তার কার্যকলাপ জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে চালাত। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, জইশ পরিচালিত দু’টি এনক্রিপটেড টেলিগ্রাম গ্রুপের মাধ্যমেই মগজধোলাই শুরু হয়েছিল এই চিকিৎসকদের গ্রুপের৷

    এক জোড়া টেলিগ্রাম গ্রুপ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ‘ফারজানাদন-ই-দারুল উলুম’ নামক একটি টেলিগ্রাম গ্রুপ ব্যবহার করা হত মগজধোলাইয়ের জন্য। উমর বিন খাতাব নামক এক ব্যক্তি এই টেলিগ্রাম গ্রুপ চালাত। উমর পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের এই চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। অন্যদিকে, টেলিগ্রামে ‘র‍্যাডিক্যাল ডক্টর্স গ্রুপ’ নামে একটি চ্যানেল তৈরি করা হয়েছিল। এতে গ্রেফতার হওয়া ডাক্তার আদিল রাথের, মুজাম্মিল শাকিল এবং সন্দেহভাজন হামলাকারী উমর মহম্মদও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরা সকলেই জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য।

    পাকিস্তান থেকে অপারেট হত

    পাকিস্তান থেকে জইশের অপারেটিভ হিসাবে কাজ করত এই চ্যানেলগুলি। এই টেলিগ্রাম সেন্টারগুলিই প্রকৃতপক্ষে ‘ডক্টর্স মডিউল’-এর নার্ভ সেন্টার ছিল৷ তদন্তে উঠে এসেছে, ভারতে নাশকতা ছড়িয়ে দেওয়ার এই কাজ শুরু হয়েছিল মূলত দু’জনের হাত ধরে৷ একজন দিল্লি বিস্ফোরণ মামলার মূল অভিযুক্ত উমর এবং অন্যজন কাশ্মীরের এক ধর্মগুরু মৌলবি ইরফান আহমেদ ওয়াঘা৷ জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা উমরের সঙ্গে সোপিয়ানের বাসিন্দা ইরফান আহমেদের কথা শুরু হয়েছিল টেলিগ্রামের মাধ্যমে।

    আজাদ কাশ্মীর থেকে গ্লোবাল জিহাদ

    সূত্র অনুযায়ী, প্রথমে কাশ্মীরের ‘আজাদি’, কাশ্মীরিদের উপরে দমনের মতো কথা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল কথোপকথন৷ ক্রমে তা বৃহত্তর ক্ষেত্রে ছড়িয়ে যায়৷ গ্লোবাল জিহাদ-এ পরিণত হয় আলোচনা। সেখানে মহজধোলাই পর্ব থেকে হাতেনাতে কাজে লেগে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া শুরু হতে থাকে৷ গ্রুপের সদস্যদের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়, কাজে লাগানো হয়৷ সারা ভারতে ছড়িয়ে ‘প্রফেশনাল কাজের’ আড়ালে স্লিপার সেল তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়৷

    এনক্রিপ্টেড চ্যানেলে কথোপকথন

    বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ডাক্তাররা টেলিগ্রাম চ্যানেলে একে অপরের সঙ্গে কথা বলত। টেলিগ্রাম চ্যানেলের কথোপকথন এনক্রিপ্টেড হওয়ার কারণেই সম্ভবত এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি যে এই টেলিগ্রাম চ্যানেলে কতজন যুক্ত ছিল এবং তাদের মধ্যে কী কী আলোচনা চলছিল। যদি সদস্য সংখ্যা এবং কথোপকথন ডিকোড করা সম্ভব হয়, তাহলে অনেক বড় এবং চমকপ্রদ তথ্য সামনে আসতে পারে।

    তুরস্ক ট্রিপেই সন্ত্রাসী মডিউল তৈরি

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই গ্রুপের হ্যান্ডলাররা সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছিল তুরস্কে। মুজাম্মিল ও উমরকে ডেকে পাঠানো হয় সেখানে। মনে করা হচ্ছে, মনে করা হচ্ছে, জইশ-এর সঙ্গে যুক্ত কোনও হ্যান্ডলারের মধ্যস্থতাতেই তাঁদের তুরস্ক সফর নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছিল৷ গোয়েন্দাদের অনুমান, তুরস্ক ট্রিপেই গোটা সন্ত্রাসবাদী মডিউল তৈরি ও হামলার ছক কষা হয়েছিল। তুরস্ক থেকে ফেরার পরই এরা ভারতে নিজেদের গতিবিধি বাড়ায়। ডাঃ মুজাম্মিল ফরিদাবাদের আল ফালাহ্ মেডিক্যাল কলেজে যোগ দেন। ডাঃ আদিলের পোস্টিং সাহারানপুরে হয়।

  • PM Modi: দেশ ফিরেই দিল্লি বিস্ফোরণে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    PM Modi: দেশ ফিরেই দিল্লি বিস্ফোরণে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখে-মুখে উদ্বেগের ছাপ! দুদিনের ভুটান সফর শেষ করে বুধবার দেশে ফিরেই লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে (Delhi Blast) আহতদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এ দিন দুপুরে তিনি দিল্লির লোক নায়ক হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি একে একে আহতদের সঙ্গে দেখা করছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। কারও পাশে থেকে সমবেদনা জানিয়েছেন। কারও মাথায় হাত দিয়ে দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। কারও সঙ্গে বন্ধুর মতো কথা বলে আতঙ্ক কাটানোর চেষ্টা করেছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ষড়যন্ত্রের শিকড় খুঁজে বের করা হবে

    আজ, বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবার দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে যে বিস্ফোরণ হয়েছিল, সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে এই বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন যে এই বিস্ফোরণের পিছনে যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম পদক্ষেপ করা হবে। বিস্ফোরণের ঘটনায় মোদি মঙ্গলবারই ভুটানের এক অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দোষীদের সাবধান করে দেন। বলেন, যে বিস্ফোরণ হয়েছে, তার ষড়যন্ত্রের শিকড় খুঁজে বের করা হবে। এর নেপথ্যে চক্রান্তকারী যারা রয়েছে তাদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।

    ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে সরকার

    প্রধানমন্ত্রী আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার। এই ঘটনার গভীরে গিয়ে তদন্ত করবে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দিল্লির ঘটনায় আমরা সবাই ব্যথিত। পীড়িতদের কথা আমি বুঝতে পারছি। স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি, সমস্ত দোষীদের কাঠগড়ায় এনে দাঁড় করানো হবে।” আগেই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) স্পষ্ট নির্দেশ দেন— এই হামলার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বের করতে হবে। দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে। দোষীরা কেউই ছাড় পাবে না। এজেন্সিগুলি কঠোরতম পদক্ষেপ করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও (Rajnath Singh)জানান, এই ঘটনার নেপথ্যে যারা আছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোরতম শাস্তিই তাদের প্রাপ্য।

  • Delhi Blast: দু’বছর ধরে বিস্ফোরক সংগ্রহ! দেশের নানা জায়গায় হামলার পরিকল্পনার কথা স্বীকার শাহিনের?

    Delhi Blast: দু’বছর ধরে বিস্ফোরক সংগ্রহ! দেশের নানা জায়গায় হামলার পরিকল্পনার কথা স্বীকার শাহিনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণের (Delhi Blast) নেপথ্যে ফরিদাবাদ ‘ডক্টর-মডিউল’! এমনই আভাস মিলেছে ফরিদাবাদের বিস্ফোরক এবং অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মহিলা চিকিৎসক শাহিন শহিদকে জেরা করে। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা শাহিন। তবে কর্মসূত্রে থাকত ফরিদাবাদে। আল-ফালাহ্‌ মেডিক্যাল কলেজে অধ্যাপক-চিকিৎসক ছিল। ওই হাসপাতালে তার সহকর্মীদের দাবি, তাঁরা কেউই বুঝতে পারেননি, শাহিন এ ধরনের কোনও চক্রের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু খুবই অনিয়মিত জীবনযাপন করত শাহিন, যা ইচ্ছে তাই করত, এমনটাই মত সহকর্মীদের।

    কোনও শৃঙ্খলা ছিল না শাহিনের

    ফরিদাবাদে সোমবার ২৯০০ কেজির বেশি বিস্ফোরক উদ্ধার কাণ্ডে নাম উঠে আসে চিকিৎসক শাহিন শাহিদের (Shaheen Sahid)। ঘটনা ঘিরে একাধিক চিকিৎসক ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে। জানা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা শাহিন, মূলত পাকিস্তানের জইশ-এ-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর মহিলা উইং-র সদস্য। যে উইং চালায় খোদ জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহার। এই কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য শাহিন আপাতত বন্দি। তার বিরুদ্ধে জঙ্গিদের ফান্ড যোগানের অভিযোগও রয়েছে। তার এক চিকিৎসক সহকর্মীর দাবি, কোনও শৃঙ্খলা ছিল না শাহিনের। প্রায়ই কাউকে কিছু না-জানিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যেত। তাঁর বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও করা হয়েছিল। তবে শাহিন কোনও ‘সন্ত্রাসমূলক’ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে, সন্দেহ করেননি কেউই।

    শাহিনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল উমরের

    সোমবার দিল্লির অদূরে হরিয়ানার ফরিদাবাদে ৩৬০ কেজি আরডিএক্স তৈরির মশলা (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট) উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানায়, উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন হাজার কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, ভারতে কোনও বড়সড় নাশকতার ছক কষা হচ্ছিল! দিল্লি বিস্ফোরণ, তারই অঙ্গ। তদন্তের স্বার্থে লালকেল্লা এবং তার আশপাশের অনেক জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। তার মধ্যে একটি ফুটেজ ঘিরেই রহস্য দানা বাঁধছে। সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, লালকেল্লার সামনে যে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, সেই গাড়ি চালাতে দেখা যায় এক জনকে। বিভিন্ন সূত্রে দাবি, ওই চালকই উমর। বিস্ফোরণের কিছু ক্ষণ আগেও তাকেই গাড়ি চালাতে দেখা যায়। এই উমরও পেশায় একজন চিকিৎসক। তার সঙ্গে নাকি যোগাযোগ ছিল ধৃত আদিল মাজিদ রাথর, মুজাম্মিল আহমেদের! জেরায় শাহিন এমনই জানিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারী সূত্রের। শুধু তাদের সঙ্গে নয়, শাহিনের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল উমরের। খোঁজ নিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, মুজাম্মিলের সূত্র ধরেই আল-ফালাহ্‌ কলেজে কাজে যোগ দেয় শাহিন। বিবাহবিচ্ছিন্না শাহিনের সঙ্গে নাকি মুজাম্মিলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

    দেশে একাধিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা

    শাহিন, উমর, আদিল এবং মুজাম্মিল— চার জনই পেশায় চিকিৎসক। তাদের যোগসূত্র গড়ে ওঠে ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্‌ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালকে কেন্দ্র করে! গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শাহিন জেরায় জানিয়েছে, হাসপাতালের কাজ শেষে প্রায়ই উমরের সঙ্গে দেখা হত তার। যখনই দেখা হত উমর নাকি ‘দেশে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটানোর’ কথা বলত। গত দু’বছর ধরে নাকি বিস্ফোরণ বা বিস্ফোরণের মালমশলা সংগ্রহের কাজ চলছিল। শাহিনের দাবি, আদিল এবং মুজাম্মিলের সঙ্গে মিলে উমর অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট জাতীয় বিস্ফোরক বোঝাই করছিল। সেই বিস্ফোরক দিল্লির বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। উল্লেখ্য লালকেল্লার কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণের পরেই কমলা রঙের আগুন দেখা গিয়েছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, সাধারণত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে বিস্ফোরণ ঘটলে এই ধরনের আগুন দেখা যায়।

    শাহিনের সঙ্গে অনেকে দেখা করতে আসত

    যে আল-ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ে শাহিন কর্মরত ছিল, সেখানের এক সহকর্মী তার সম্পর্কে মুখ খুলেছেন। মুখ খুলেছেন শাহিনের বাবাও। হরিয়ানার ওই বিশ্ববিদ্যালয় দিল্লি থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দিল্লিতে সোমবারের বিস্ফোরণের পর মঙ্গলের সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে জোরদার তল্লাশি চলেছে। একাধিক জনের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। আটকও হয়েছে একাধিক। এদিকে, শাহিন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তার আর এক সহকর্মী আরও বড় তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘ওর (শাহিন) সঙ্গে অনেকেই দেখা করতে আসত কলেজে। ও কখনও কখনও অদ্ভূত ব্যবহার করত। ওর বিরুদ্ধে ম্যানেজমেন্টে অভিযোগও দায়ের হয়।’ প্রশ্ন যায়, শাহিনকে নিয়ে কি কখনও সন্দেহ হয়েছে সন্ত্রাস যোগ ঘিরে? শাহিনের সহকর্মী বলছেন,’ওই দিক দিয়ে কখনওই সন্দেহ হয়নি।’

    শাহিনের বাড়িতে তল্লাশি

    এদিকে, উত্তরপ্রদেশের লখনউতে শাহিনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখানে শাহিনের বাবা বলেন, ‘আমার তিন ছেলেমেয়েদের মধ্যে শাহিন দ্বিতীয় সন্তান। শাহিন এলাহাবাদ থেকে এমবিবিএস ও এমডি করেছে।’ তিনি জানান, দেড় বছর আগে শাহিনকে দেখেছেন তিনি। আর মেয়ে শাহিনের সঙ্গে কথা হয়েছে এক মাস আগে। তিনি জানান বড় ছেলে তাঁর সঙ্গেই থাকেন। আর ছোট ছেলে দূরে থাকেন। ছোট ছেলের সঙ্গে প্রতি সপ্তাহে কথা হয়। এদিকে, শাহিনের সঙ্গে নাম জুড়েছে বিস্ফোরক উদ্ধার মামলায় ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিলের। মুজাম্মিল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করায়, শাহিনের বাবা জানান, তিনি এই নাম কখনওই শাহিনের থেকে শোনেননি।

  • Military Grade Explosives: দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ২ ধরনের ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক! অনুমান তদন্তকারীদের, এগুলি কতটা বিপজ্জনক?

    Military Grade Explosives: দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ২ ধরনের ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক! অনুমান তদন্তকারীদের, এগুলি কতটা বিপজ্জনক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লা এলাকায় গাড়ি-বিস্ফোরণে (Delhi Red Fort Blast) কী ধরনের রাসয়নিক বা বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। ফরেনসিক রিপোর্ট না আসায় সঠিকভাবে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ‘মিলিটারি-গ্রেড’ (Military Grade Explosives) বা সামরিক মানের শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। যে বিস্ফোরক সেনা জওয়ানদের ব্যবহারের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি হয়, তাই দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ২ ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার?

    একইসঙ্গে তদন্তকারীরা এও জানাচ্ছেন, সম্ভবত ২ ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়েছে বিস্ফোরণে (Delhi Red Fort Blast)। তদন্তকারীদের সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে নুমনা পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে একটি অ্যামেনিয়াম নাইট্রেটের মতো কোনও রায়াসনিক হতে পারে। তবে দ্বিতীয় বিস্ফোরকের (Military Grade Explosives) প্রকৃতি সম্পর্কে কোনও সুস্পষ্ট তথ্য মেলেনি। ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে সুস্পষ্ট হবে।

    এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, ঘটনাস্থল থেকে ৪২টি নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে রয়েছে আই-২০ গাড়ির টায়ার, চেসিস, সিজিসি সিলিন্ডার, বনেটের অংশ এবং বিভিন্ন অবশেষ। ল্যাবরেটরিতে এই নমুনাগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সম্ভবত পেন্টেরিথ্রিটল টেট্রানাইট্রেট বা সংক্ষেপে পিইটিএন (PETN), সেমটেক্স (SEMTEX) বা আরডিএক্স (RDX)-এর মতো শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল ওই গাড়িতে।

    পিইটিএন, সেমটেক্স, আরডিএক্স

    পিইটিএন অত্যন্ত শক্তিশালী রাসায়নিক (Military Grade Explosives)। অল্প পরিমাণের সাহায্যেই বড় বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা, এর বর্ণহীন স্ফটিক আকৃতির জন্য একে সনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন। পিইটিএন শক বা তাপের অধীনে বিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে, অতিরিক্ত ধাতব টুকরোর প্রয়োজন হয় না। বিস্ফোরক থেকে প্রাপ্ত বিস্ফোরণ শক্তি একটি যানবাহন ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। এর উচ্চ ক্ষমতা এবং কম সনাক্তযোগ্য বৈশিষ্ট্যের কারণে, সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রে এটি বহুল ব্যবহৃত।

    সেমটেক্স ও আরডিএক্স-ও সামরিক মানের শক্তিশালী বিস্ফোরক (Military Grade Explosives), যা সন্ত্রাসী হামলায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত। এগুলির কোনও ক্ষেত্রেই বিস্ফোরণে পেলেট কিংবা শার্পনেল প্রয়োজন হয় না। তদন্তে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং ডিটোনেটরের সম্ভাব্য ব্যবহারেরও ইঙ্গিত মিলেছে। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মিশ্রিত জ্বালানি (ANFO) তেল এবং ডিটোনেটর ব্যবহারের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। এটি আইইডি তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়।

    ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক ঠিক কী?

    কী এই ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক (Military Grade Explosives), যা সেনা ব্যবহার করে থাকে? কতটা শক্তিশালী? ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক সাধারণত, সেনাবাহিনীর কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়। সেনার মানদণ্ড ও প্রয়োজন অনুযায়ী উৎপাদন হয়। জওয়ানরা তা যুদ্ধ বা প্রতিরক্ষা মিশনে ব্যবহার করেন। এই ধরনের বিস্ফোরক পদার্থের শক্তি অনেক বেশি। কার্যকারিতা রীতিমতো ভয়াবহ। নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার উদ্দেশেই ‘সামরিক মানের’ বিস্ফোরক প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত সেনাবাহিনী এবং নির্দিষ্ট কিছু সরকারি সংস্থাই এগুলো ব্যবহার করতে পারে।

    এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে এই রাসায়নিক এল জঙ্গিদের হাতে? এটাই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।

  • Delhi pollution: মারাত্মক আকার ধারণ করল দিল্লির বায়ু দূষণ, জারি তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধ

    Delhi pollution: মারাত্মক আকার ধারণ করল দিল্লির বায়ু দূষণ, জারি তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিস্ফোরণের পরের দিনই বায়ু দূষণ চরম আকার নিয়েছে দিল্লিতে (Delhi pollution)। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রাজধানীতে বায়ুদূষণ ভয়ঙ্কর মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার দিল্লিতে গড় একিউআই ছিল ৩৬২। একদিনের বায়ু দূষণে দিল্লির আকাশ-বাতাস বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। শান্ত বাতাস, স্থিতিশীল আবহাওয়া এবং দূষণের কারণে বাতাসের মান আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দিল্লি সরকার তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধ (Grap-3) আরোপ করেছে।

    অপ্রয়োজনীয় নির্মাণ ও ভাঙাচোরা কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ (Delhi pollution)

    নতুন পর্যায়ে দিল্লিতে (Delhi pollution) জারি হয়েছে দূষণ সংক্রান্ত তৃতীয় ধাপ। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দিল্লি এবং এনসিআর অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় নির্মাণ ও ভাঙাচোরা কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে পাথর ভাঙা এবং খনন কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ভাবে সরকার জানিয়েছে বিএস-৩ পেট্রোল এবং বিএস-৫ ডিজেল গাড়ি রাস্তায় নামানো যাবে না। তবে যেসব নাগরিক প্রতিবন্ধী তাঁদের জন্য অবশ্য এই নিয়ম কার্যকর হবে না। স্কুলের ক্ষেত্রেও আনা হয়েছে বেশকিছু পরিবর্তন। পঞ্চম শ্রেণি থেকে সমস্ত স্কুলকে হাইব্রিড শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে বলা হয়েছে। তবে অভিভাবকরা চাইলে অনলাইন ক্লাসের বিকল্প বেছে নিতে পারেন।

    তৃতীয় ধাপের কঠিন বিধিনিষেধ কখন জারি হয়

    যদিও শীতকালে দিল্লি (Delhi pollution) এবং এনসিআরে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই শীতকালে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তবে বায়ু দূষণের আসল কারণ হল গাড়ির ধোঁয়া এবং দিল্লি সহ হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে খড় পড়ানোর জন্য। একইভাবে আতসবাজির ধোঁয়া এবং প্রতিকূল আবহাওয়াটাও ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

    গ্রেডেড রেস্পন্স অ্যাকশন (Grap-3) প্ল্যান মূলত দিল্লি এনসিআর চারটি পর্যায়ে নির্ধারণ করা হয়। প্রথম ধাপ পুরএকিউআই ২০১-৩০০, দ্বিতীয় ধাপ ভেরি পুর একিউআই ৩০১-৪০০, তৃতীয় ধাপ সিভিয়ার একিউআই ৪০১-৪৫০ এবং চতুর্থ ধাপ সিভিয়ার প্লাস একিউআই ৪৫০–এর উপরে। যদি বায়ুর দূষণকে কোনও ভাবেই নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তাহলে তৃতীয় ধাপের কঠিন বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে আগামীদিনে জনজীবনের উপর চরম প্রভাব পড়তে পারে।

  • Bihar Exit Polls: বিহারে ফের ফিরবে এনডিএ সরকার! বিজেপি পেতে পারে ৭২-৭৫টি আসন, বাকিরা কোথায়?

    Bihar Exit Polls: বিহারে ফের ফিরবে এনডিএ সরকার! বিজেপি পেতে পারে ৭২-৭৫টি আসন, বাকিরা কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) ক্ষমতা ধরে রাখবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে নয়টি এক্সিট পোল। ২০২০ সালের তুলনায় এবারে বিজেপি আরও বড় ম্যান্ডেট পেতে চলেছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। এক্সিট পোলগুলির গড় হিসেব অনুযায়ী, এনডিএ ২৪৩ আসনের মধ্যে ১৪৭টির বেশি আসনে জয় পেতে পারে — যা স্পষ্টভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার (১২২) সীমা অতিক্রম করছে। বিভিন্ন সংস্থার মতে, মহাগঠবন্ধন তিন অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারবে না, তাদের সম্ভাব্য আসনসংখ্যা প্রায় ৯০-এর কাছাকাছি।

    পিপলস ইনসাইট-এর এক্সিট পোল

    বিহার নির্বাচনের জন্য পিপলস ইনসাইট-এর এক্সিট পোল বলছে, এনডিএ ১৩৩-১৪৮টি আসন পাবে। বিজেপি ৬৮-৭২টি আসন, জেডিইউ ৫৫-৬০টি আসন, এলজেপি (আর) ৯-১২টি আসন, এইচএএম ১-২টি আসন এবং আরএলএম ০-২টি আসন পাবে। এই এক্সিট পোল ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে, মহাজোট ৮৭-১০২টি আসন পাবে, আরজেডি পাবে ৬৫-৭২, কংগ্রেস ৯-১৩, বামপন্থীরা ১১-১৪ এবং অন্যান্যরা ২-৩ আসন পাবে।

    ম্যাট্রিক্স আইএএনএস-এর এক্সিট পোল

    বিহার নির্বাচনের জন্য ম্যাট্রিক্স আইএএনএস-এর এক্সিট পোল বলছে, এনডিএ ১৪৭-১৬৭টি আসন পাবে। দলীয়ভাবে, বিজেপি ৬৫-৭৩টি আসন, জেডিইউ ৬৭-৭৫টি আসন, এলজেপি (আর) ৭-৯টি আসন, এইচএএম ৪-৫টি আসন এবং আরএলএম ১-২টি আসন পাবে। এই এক্সিট পোল ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে মহাজোট ৭০-৯০টি আসন পাবে, আরজেডি পাবে ৫৩-৫৮টি, কংগ্রেস পাবে ১০-১২টি, বামপন্থীরা পাবে ৯-১৪টি এবং বিজেপি পাবে ১-১৪টি।

    চাণক্য স্ট্র্যাটেজিজের এক্সিট পোল

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পর, চাণক্য স্ট্র্যাটেজিজের এক্সিট পোল আরজেডির জন্য উল্লেখযোগ্য সুখবর এনেছে। চাণক্যের মতে, আরজেডি ৭৫ থেকে ৮০টি আসন জিতবে এবং বৃহত্তম দল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিজেপি ৭০ থেকে ৭৫টি আসন পাবে, যেখানে জেডিইউ ৫২ থেকে ৫৭টি আসন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাছাড়া, এনডিএ-র মধ্যে চিরাগ পাসোয়ান ১৪ থেকে ১৯টি আসন জিতবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জিতন রাম মাঝির দল ০-২টি আসন জিততে পারে। উপেন্দ্র কুশওয়াহা ২-৩টি আসন জিতবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মহাজোটে কংগ্রেস ১৭-২৩টি আসন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বামপন্থীরা ১০-১৬টি আসন জিততে পারে। মুকেশ সাহনির দল ৭-৯টি আসন জিততে পারে। অন্যরা ৩-৫টি আসন জিততে পারে।

    অন্যান্য এক্সিট পোল কী বলছে?

    বিহার নির্বাচনের জন্য জেভিসি এক্সিট পোলে, এনডিএ ১৩৫-১৫০ আসন, মহাজোট ৮৮-১০৩ আসন এবং অন্যান্যরা ৩-৬ আসন পাবে বলে পূর্বাভাস। দৈনিক ভাস্কর-এর এক্সটি পোল অনুযায়ী, এনডিএ ১৪৫ থেকে ১৬০টি আসন পাবে। নিউজ ২৪-এর বুথ ফেরত সমীক্ষায় এনডিএ পাবে ১৩৩ থেকে ১৫৯টি আসন। অন্যদিকে, মহাগঠবন্ধনের (INDIA Bloc) জন্য পূর্বাভাস তুলনামূলকভাবে হতাশাজনক — দৈনিক ভাস্কর দিয়েছে ৭৩–৯১ আসন। নির্বাচনের নতুন মুখ প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টি (JSP) ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানাচ্ছে সব এক্সিট পোল। কোনও সংস্থাই প্রশান্ত কিশোরের দলকে দুই অঙ্কের আসনসংখ্যার কাছাকাছি দেখায়নি।

    বিহারকে বদলে দিয়েছেন নীতীশ

    বিহারে এক্সটি পোল প্রসঙ্গে কাটিহারের বিজেপি প্রার্থী তারকিশোর প্রসাদ বলেন, “এই এক্সিট পোলগুলি অবাক করার মতো নয় কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে ২০০৫ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যেভাবে বিহারকে বদলে দিয়েছেন তাতে মানুষ মুগ্ধ। অনেক বৃত্তি দেওয়া হয়েছে এবং নারীশক্তির প্রতি বিশ্বাস জাগানো হয়েছে। বিহারের ভোটারদের উপর আমাদের আস্থা আছে। আমাদের কাজের উপর আমাদের আস্থা আছে। মা-বোনেরা ভোট দিতে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এনডিএ অবশ্যই জিতবে।”

    বিহারের রাজনীতিতে এক যুগ

    এই নির্বাচনকে বিহারের রাজনীতিতে এক যুগের অবসান বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় ১৯ বছর রাজত্বের পর মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের এটি শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব ইতিমধ্যেই দলীয় দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন ছেলে তেজস্বী যাদবের হাতে, যিনি বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। পুরো নির্বাচনী প্রচারে দেখা গিয়েছে ত্রিমুখী লড়াই — এনডিএ, মহাগঠবন্ধন ও প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টির মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যজুড়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে আরজেডির “জঙ্গল রাজ” ইস্যু উত্থাপন করেছেন।

    ভোটারদের একাধিক প্রতিশ্রুতি

    ভোটারদের মন জিততে উভয় পক্ষই একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এনডিএ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে — মহিলাদের জন্য ব্যবসা শুরুতে ₹১০,০০০ সহায়তা, বিনামূল্যে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ-সহ অনেক কিছু। অন্যদিকে, মহাগঠবন্ধন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে — প্রতিটি পরিবারে এক সরকারি চাকরি, আর্থিকভাবে দুর্বল মহিলাদের ₹৩০,০০০ এককালীন অনুদান। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ভোটার তালিকা সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে “ভোট চুরি”র অভিযোগ এনেছেন। এর জবাবে এনডিএ অভিযোগ করেছে, বিরোধী জোট রাজ্য অনুপ্রবেশকারীদের উৎসাহ দিচ্ছে। তবে, আপাতত এক্সিট পোল অনুযায়ী বিহারে আবারও এনডিএ সরকারের প্রত্যাবর্তন প্রায় নিশ্চিত —যদিও চূড়ান্ত রায় জানা যাবে গণনার দিনই।

LinkedIn
Share