Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • CAA: বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসা ১২ শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দিল মোদি সরকার

    CAA: বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসা ১২ শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দিল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলমানদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে কোনও মতে এক কাপড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেক হিন্দু। এমনই ১২ জন হিন্দু শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব (Indian Citizenship) দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) -এর অধীনে তাঁদের নাগরিকত্বের শংসাপত্র দিয়েছে সরকার। ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ হাতে পেয়ে তাঁরা যেন হাতে চাঁদ পেয়েছেন। যার জেরে অবসান ঘটল বহু দশকের অনিশ্চয়তার। সেই সঙ্গে সূচনা হল এক নিরাপদ ও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের। দীর্ঘদিন বাংলাদেশে থাকলেও, নিরন্তর অত্যাচারের কারণে ভারতকেই তাঁরা তাঁদের মাতৃভূমি হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন। শেষমেশ সেই দেশেই চিরকালের জন্য ঠাঁই জুটল সহায়-সম্বলহীন এই ১২জন হিন্দু শরণার্থীর।

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রা (CAA)

    এই হিন্দু পরিবারগুলির বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রাটি ছিল যথেষ্ট বেদনাদায়ক। তাঁদের অনেকেই পূর্ব বাংলা ছেড়ে আসেন কেবল পরণের পোশাকটি সম্বল করে। ধর্ম, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের কারণে তাঁদের জোর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছিলেন শুধু এই বিশ্বাস নিয়েই যে ভারত তাঁদের রক্ষা করবে। ভারতে বসবাস করলেও বস্তত তাঁরা ছিলেন রাষ্ট্রহীন। নাগরিকত্ব না থাকায় তাঁরা নিয়মিত চাকরির জন্য আবেদন করতে পারতেন না, পাসপোর্ট পেতেন না, কিংবা অন্যান্য মৌলিক সুবিধা থেকেও বঞ্চিত ছিলেন। কোনও নথির প্রয়োজন হলেই তাঁদের বলা হত ১৯৭১ সালের আগের কাগজপত্র দেখাতে। কার্যত এটি ছিল তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। কারণ নিরন্তর হিংসার মধ্যে তাঁরা এ দেশে চলে এসেছিলেন কোনওক্রমে।

    লড়াই চলেছে দশকের পর দশক ধরে

    শরণার্থী এই হিন্দুদের লড়াই চলেছে দশকের পর দশক ধরে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে তাঁদের নাগরিকত্ব পেতে দেরি হয়েছে। তৃণমূল তো বটেই, সিপিএম এবং কংগ্রেসের বহু নেতাও তাঁদের প্রয়োজনীয় নথি দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। যার ফলে এই দেশের হাজার হাজার হিন্দু শরণার্থী দিন কাটিয়েছেন ভয়ে ভয়ে। এই ভয় পাছে কখনও ফের বাংলাদেশে ফিরতে হয়, সেই ভেবে, কখনও বা কাজ হারানোর ভয়ে, এবং যে দেশকে তারা নিজেদের ঘর মনে করত, সেখান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ভয় (CAA)।

    সিএএ

    শরণার্থী পরিবারগুলির জন্য স্বস্থির হাওয়া বয়ে নিয়ে এসেছে সিএএ। মোদি সরকার এই সিএএ-এর বিধি জারি করে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার পর পরিবর্তন হতে থাকে তাঁদের পরিস্থিতির। এই সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে যে অগ্রগতি হয়েছে তাকে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে মতুয়া এবং অন্যান্য হিন্দু সম্প্রদায়দের জন্য যাঁরা দেশভাগের সময় ও পরবর্তী কালে ভারতে এসেছেন। অথচ, এই সিএএ-রই প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলবল (Indian Citizenship)।মতুয়া সম্প্রদায়ই রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী গোষ্ঠী। তাঁরা মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বহু দশক ধরে ঠাকুরবাড়ি ও আশপাশের এলাকায় বহু পরিবার কাগজপত্র ছাড়াই বসবাস করতেন। তাঁরা সব সময় আশঙ্কায় থাকতেন যে তাঁদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। এখন, নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পাওয়ার পর তাঁরা বলছেন, এখন তাঁরা নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবেন।

    বিজেপির অবদান

    এই অগ্রগতির একটি বড় অংশই সম্ভব হয়েছে মাস দুয়েক ধরে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বিজেপির খোলা সহায়তা কেন্দ্র এবং ক্যাম্পগুলির জন্য। নদিয়া, কোচবিহার এবং অন্যান্য অঞ্চলের ক্যাম্পগুলি হাজার হাজার শরণার্থীকে সিএএর ফর্ম পূরণ, তথ্য যাচাই এবং কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে সাহায্য করেছে। যাঁরা একসময় মনে করতেন তাঁরা কখনওই বৈধ নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন না ভারতে, তাঁরাই এখন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন (CAA)।

    কী বলছেন নাগরিকত্ব পাওয়া ভারতীয়রা

    সম্প্রতি ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার এক ব্যক্তি। নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে নিপীড়নের শিকার হয়ে সংখ্যালঘু মানুষ, বিশেষ করে হিন্দুরা ভারতে এসেছিলেন। আমার অভিজ্ঞতায়, যখন আমরা ভারতে এসেছিলাম, তখন রেলওয়ে স্টেশনে জিআরপি আমাদের আটক করে বারাসত ও শিয়ালদহে নিয়ে গিয়েছিল। তখন (Indian Citizenship) আমরা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পাসপোর্ট অফিসে যেতে গিয়েও নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আমাদের সন্তানদের পরীক্ষায় বসা বা ভর্তি হতেও বহু নথিপত্র জমা দিতে হয়েছে। এখন সরকারের প্রণীত আইনের আওতায় নাগরিকত্ব পাওয়ার ফলে উদ্বাস্তু মানুষরা অনেক উপকৃত হয়েছে। উদ্বাস্তুদের পক্ষ থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানাই (CAA)।”

  • PM Narendra Modi: “নাটক অন্য জায়াগায় করুন”, শীতকালীন অধিবেশনের আগে বিরোধীদের তোপ মোদির

    PM Narendra Modi: “নাটক অন্য জায়াগায় করুন”, শীতকালীন অধিবেশনের আগে বিরোধীদের তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার, ১ ডিসেম্বর সংসদে (Parliament) শীতকালীন অধিবেশন বসেছে। অধিবেশন শুরুর আগে সংসদে এবারের দৃষ্টিকোণ ঠিক করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সংসদ ভবনের সামনে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Narendra Modi) বলেন, “পরাজয়ের হতাশা থেকে উর্ধে উঠে সকলকে দেশের কাজের জন্য দায়িত্বশীলভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের অগ্রগতির জন্য কাজ করতে হবে। অযথা বিশৃঙ্খলা করে নিজেদের পরাজয়কে আরও একবার প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন না। হারের হতাশাকে কোনও ভাবেই সংসদে টেনে আনবেন না। সরকারের নীতিকে বাস্তবায়নে সকলকে মনোযোগী হতে হবে।”

    দেশ দ্রুত অগ্রগতির পথে (PM Narendra Modi) 

    ১৮ তম লোকসভার ষষ্ঠ অধিবেশন এবং ২৬৯ তম রাজ্যসভার অধিবেশন শুরুর আগে সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের একটি বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) বলেন, “সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হলে তা যেন কোনও ভাবেই নাটকে পরিণত না হয়। নাটক করার অন্য অনেক জায়গা রয়েছে, সেখানে করুন। সংসদে এই রকম আচরণ চলবে না। সংসদের কাজকর্ম অবশ্যই যেন গঠনমূলক ফলাফল কেন্দ্রিক ও বিতর্কমূলক হয়। সংসদের অধিবেশন কেবলমাত্র কোনও আচার অনুষ্ঠান নয়। আলাপ, আলোচনা এবং দেশকে দ্রুত অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলকে একযোগে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আর তা সম্ভব হলেই আমাদের শক্তি আরও বৃদ্ধি হবে। সাংসদদের আচরণ এমন হতে হবে যাতে দেশের জন্য কী করতে চান তা যেন স্পষ্ট হয়। গোটা বিশ্ব আমাদের দেশের গণতন্ত্র এবং অর্থনীতির প্রভাবকে খুব কাছ থেকে দেখছে। বিহারের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন এবং ফলাফল আমাদের দেশের শক্তিশালী গণতন্ত্রকেই প্রতিফলিত করেছে। মা ও বোনদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নতুন আশার সঞ্চার করেছে।”

    নতুন সাংসদদের অনুপ্রেরণা

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের হারকে সমালোচনা করে বলেন, “পরাজয়ের পর থেকেই অত্যন্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। এখনও কৃতকর্মের ফলে পরাজয়কে হজম করতে পারছেন না। তাই পরাজয়কে হাতিয়ার করে অধিবেশন (Parliament) পর্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। একই ভাবে নির্বাচনের বিজয়কেও অহংকার ভাবে দেখা উচিত নয়। ফলে সকল হতাশা থেকে বেড়িয়ে এসে কাজ করার জন্য সাংসদদের আহ্বান জানাই। যারা অল্প বয়সী সাংসদ তাদের বলার সুযোগ দিতে হবে। নতুন সাংসদদের বলাবার জন্য অনুপ্রেরণা দিতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার জন্য গোটা দেশের বহু ফাঁকা জায়গা রয়েছে, সেখানে গিয়েও দিতে পারেন। কিন্তু সংসদ একটি বিশেষ কাজের ক্ষেত্র এটা ড্রামা করার জায়গা নয়, এখানে শুধু ডেলিভারি করতে হবে। আমি গতকাল এক নেতার ভাষণ শুনলাম, তিনি নির্বাচনী পরাজয়ে ব্যাপক ভাবে হতাশাগ্রস্থ। নির্বাচনে জয় পরাজয় আছে, তবে দেশের কাজের জন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তাই শীতকালের অধিবেশনকে যেন হারের শোক বা জয়ের উল্লাসে পরিণত না হয়, সেটাও ভালো করে ভাবতে হবে। সকল সাংসদকে দেশের জন্য কি করতে পারি আর কি করতে পেরেছি সেই কথাই যেন বলতে শোনা যায়।”

    সংসদে ঠান্ডা মাথায় কাজ

    সংসদের শীতকালীন এই অধিবেশনে (Parliament) কেন্দ্রীয় সরকার মোট ১৪টি নতুন বিল পেশ করতে পারে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে অধিবেশনের শুরুতেই এসআইআর ইস্যুতে সংসদ অচল করতে পারেন বিরোধীরা। রবিবার অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধী দলগুলি এসআইআর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার দাবি তুলেছে। তবে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সংসদের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালানোর জন্য সকল বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলবে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “শীতকালীন অধিবেশন মানে ঠান্ডা মাথায় কাজ করা।” আবার কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি-সহ বেশ কয়েকটি দল দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ড ও এসআইআর ইস্যুতে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি বায়ুদূষণ, বৈদেশিক নীতি, কৃষকের সমস্যা, বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়েও বিস্তৃত আলোচনার দাবি জানানো হয়েছে।

    সম্প্রতি বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-আরজেডি মহাজোটের ভরাডুবি হয়েছে। একক ভাবে এনডিএ জোটের নেতৃত্ব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন নীতিশ কুমার। এই নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে একক ভাবে সবচেয়ে বেশি আসন। ফলে ভোটের হারার চরম হতাশা লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশনে দেখা যায় কিনা তাই এখন দেখার।

  • Parliament Winter Session: সংসদে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন, কোন কোন বিল পেশ করতে পারে সরকার?

    Parliament Winter Session: সংসদে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন, কোন কোন বিল পেশ করতে পারে সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session) শুরু হচ্ছে আজ, সোমবার। ১৯ দিনের এই অধিবেশনে ১৫ বার সভা বসার কথা। জাতীয় মহাসড়ক সংশোধনী বিল , পারমাণবিক শক্তি সংক্রান্ত বিল, বীমা আইন সংশোধনী বিল এবং ভারতের উচ্চ শিক্ষা কমিশন ২০২৫ এর মতো মোট ১৩টি বিল এই অধিবেশনে উত্থাপিত হবে। ধূমপায়ী ও তামাক সেবনকারীদের জন্য খারাপ খবর আসতে চলেছে এই অধিবেশনে। বাড়তে চলেছে নেশার খরচ। তামাক ও তামাকজাত পণ্যের উপরে কেন্দ্রীয় আবগারি শুল্ক বা এক্সাইজ ডিউটি (Excise Duty) বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। দাম বাড়তে চলেছে সিগারেট ও অন্য তামাকজাত পণ্যের। দাম বাড়তে চলেছে পানমশলারও।

    কতদিন চলবে অধিবেশন

    সোমবার শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session)। চলবে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ছুটির দিনগুলি বাদ দিলে মোট ১৫ দিন অধিবেশন চলবে। গান্ধীদের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা ও দেশজুড়ে চলা এসআইআর নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আপাতত শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরই এই দুই বিষয় নিয়ে মাঠে নামতে চলেছে। কেন্দ্র ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ বিল আনতে চলেছে, যার মধ্যে রয়েছে নিউক্লিয়ার এনার্জি রিফর্ম (Nuclear Energy Reform), হায়ার এডুকেশন কমিশন বিল (Higher Education Commission), কোম্পানি আইন সংশোধন (Corporate Law Reform) এবং সিকিউরিটিজ মার্কেট সংশোধন (Securities Market Reform)। এই পরিস্থিতিতে ২৬ নভেম্বর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বাড়িতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। অধিবেশন মসৃণভাবে চালাতে সর্বদলীয় বৈঠকও ডাকেন সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

    নতুন আবগারি বিল

    শীতকালীন অধিবেশনের (Parliament Winter Session) প্রথম দিনেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নতুন আবগারি বিল পেশ করতে পারেন। এই বিলে পান মশলা ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের উপরে অতিরিক্ত সেস বসানোর কথা বলা হয়েছে। শুল্ক থেকে আয় হওয়া টাকা খরচ করা হবে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের খাতে। ওয়াকিবহাল সূত্রের খবর, এই বিলে পান মশলার উপরে সেস বসতে পারে। এছাড়া অন্যান্য ‘সিন গুডস’ (Sin Goods) অর্থাৎ সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের উপরেও অতিরিক্ত সেস বসতে পারে। তবে ছাড় দেওয়া হবে বিড়িতে। এই বিলে এমন বিধানও রয়েছে যে জনস্বার্থে সরকার পরবর্তী সময়ে ‘সিন গুডসে’র তালিকায় আরও সংযোজন করতে পারে। বিল সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়ে আইনে পরিণত হলেই, তা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

    কত দাম বাড়বে

    নতুন আবগারি বিলে সরকার ৭৫ এমএম দৈর্ঘ্যের বেশি ফিল্টার সিগারেটের প্রতি এক হাজার স্টিকে ১১ হাজার টাকা সেসের প্রস্তাব দিয়েছে। আগে এই শুল্ক ছিল মাত্র ৭৩৫ টাকা। নন ফিল্টার সিগারেট (৬৫-৭০এমএম) ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার স্টিকে ৪৫০০ টাকা শুল্কের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা আগে ছিল ২৫০ টাকা। অর্থাৎ ১৮ গুণ বেশি সেস বসবে। এছাড়া পাইপ ও সিগারেটে ভরা স্মোকিং মিক্সচারে আগে যে ৬০ শতাংশ সেস ছিল, তা বাড়িয়ে ৩২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে আবগারি শুল্ক তুলনামূলকভাবে কম রাখা হয়েছিল, যাতে সেস বসলেও দামে বিশেষ প্রভাব না পড়ে। এবার সেই শুল্কে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। এই বিলে বিভিন্ন নির্দিষ্ট পণ্যের উৎপাদনের ক্ষমতার উপরেও সেস বসবে। অর্থাৎ ধরা যাক, যদি কোনও মেশিনে প্রতি মিনিটে ২.৫ গ্রামের পান মশলার ৫০০ প্যাকেট তৈরি হয়। তাহলে প্রতি মেশিন পিছু প্রত্যেক মাসে ১০০ টাকা করে সেস বসবে। যদি উৎপাদন আরও বাড়ে, পণ্যের ওজন বাড়ে, তাহলে সেসও বাড়বে।

    অ্যাটমিক এনার্জি বিল

    প্রথামাফিক অধিবেশন শুরুর আগে, রবিবার সংসদে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্র। ওই বৈঠকে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) ছাড়াও দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়েও আলোচনার দাবি জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি। বিরোধী দলগুলির সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দিল্লি এবং দেশের নানা প্রান্তে ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানানো হবে। শীতকালীন অধিবেশনে ১৩টি বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্র। তার মধ্যে উল্লেখ্য হল ‘অ্যাটমিক এনার্জি বিল, ২০২৫’। এই বিলে দেশের পরমাণু শক্তি ক্ষেত্রও বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য খুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পরমাণু শক্তি আইন, ১৯৬২ মেনে এত দিন পরমাণু শক্তি ক্ষেত্র পুরোপুরি সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। সবটাই দেখত পরমাণু শক্তি দফতর (ডিএই)।

    কোন কোন বিল আসতে পারে

    দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বশাসিত করতে ‘হায়ার এডুকেশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া বিল, ২০২৫ পেশ করতে পারে কেন্দ্র। তালিকায় রয়েছে কর্পোরেট আইন (সংশোধনী) বিল, মণিপুর জিএসটি (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল। রবিবারের সর্বদল বৈঠকে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। কেন্দ্রের তরফে অধিবেশন সুষ্ঠু ভাবে চালানোর জন্য বিরোধী দলগুলির সাহায্য চাওয়া হয়েছে। সংসদ বিষয়কমন্ত্রী রিজিজু বলেন, “সংসদের কাজ থমকে দেওয়া উচিত নয়। সরকার সভার কাজ সুষ্ঠু ভাবে চালাতে সব দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে।”

     

     

     

     

     

     

  • Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখে নিন এ সপ্তাহের ছবিটা

    Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু নির্যাতন, দেখে নিন এ সপ্তাহের ছবিটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) চলছেই। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণগুলির গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ২৩ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত এই সপ্তাহে কী কী ঘটনা ঘটেছে দেশ এবং বিদেশে।

    উত্তরাখণ্ডে নারীর ধর্মান্তর (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে বাংলাদেশের নাগরিক মামুন হাসানকে অবৈধভাবে অবস্থান, নথি জালিয়াতি এবং রীনা চৌহান নামে এক নারীর ধর্মান্তর ও পরবর্তী বিবাহের পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।   উত্তরপ্রদেশে জুনাইদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে আর্যন রাজপুত নামে ভুয়ো পরিচয়ে একটি ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল তৈরি করে এক হিন্দু নাবালিকাকে প্রলোভন দেখায়, যৌন নির্যাতনও করে। এডাপাডাভুরে স্কুটারে থাকা চারজন যুবকের একটি দল সোমবার সন্ধ্যায় ২২ বছর বয়সী অখিলেশের ওপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা একজনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন, পরে গ্রেফতার করা হয় আরও একজনকে।

    ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে হিন্দু মেয়েকে প্রলোভন

    ইউপির সীতাপুর জেলার খৈরাবাদ এলাকার পণ্ডিত পুরওয়ার বাসিন্দা নাজিম। সে পেশায় ট্রাক চালক। অভিযোগ, সে অজয় নামে ভুয়ো ইনস্টাগ্রাম পরিচয় ব্যবহার করে নিজের প্রকৃত ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে এক হিন্দু মেয়েকে প্রলোভন দেখায়। পরে তাকে নিয়ে পালিয়েও যায়। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের ধর্মান্তর বিরোধী আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে (Roundup Week)। ২৫ নভেম্বর অযোধ্যায় রাম মন্দিরে ধ্বজারোহন উপলক্ষে (Hindus Under Attack) এক বিরাট অনুষ্ঠান হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্দিরের চূড়ায় গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করেন। প্রত্যাশিতভাবেই, পাকিস্তান, কিছু ইসলামপন্থী গোষ্ঠী এবং ভারতের ‘ওয়োক’ মহলের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানের বিরোধিতা ও সমালোচনা করা হয়েছে। কালাবুরগী শহরের রামনগর এলাকায় রিং রোডে ঘটে যাওয়া এক উদ্বেগজনক ঘটনায় রোহিত এবং অনিল নামে দুই ব্যক্তি একটি লরি থামিয়ে তাতে অবৈধভাবে গবাদি পশু বহনের সন্দেহে নথি পরীক্ষা করতে চান। অভিযোগ, তাঁরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তাঁদের ওপর সহিংস হামলা চালানো হয়।

    বাংলাদেশের ছবিটাও বিশেষ বদলায়নি। এখানে প্রায় ১৫০ বছরের পুরানো ‘সুন্দরী মিত্র বাড়ি দুর্গা মন্দির’, যা সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভরশীল ছিল, রাতারাতি ভেঙে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ, এটি বেআইনি জমি দখল করতেই করা হয়েছে (Hindus Under Attack)।

  • SIR: বিএলওদের সুরক্ষা দেবে বিজেপি, কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় কমিটি গড়ল পদ্ম-পার্টি

    SIR: বিএলওদের সুরক্ষা দেবে বিজেপি, কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় কমিটি গড়ল পদ্ম-পার্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটার লিস্টে নিবিড় তালিকা সংশোধন (SIR) করতে বিএলওদের সুরক্ষা দিতে বিশেষ সমন্বয় কমিটি (BJP National Coordination Committee) গঠন করেছে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ফর্ম বিলি, ফর্ম জমা এবং ডিজিটাইজেশেনের কাজে সমস্যা তৈরি হওয়ায় কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে বিএলওরা অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। এবার সমস্যা সমাধান এবং রাজ্যে এসআইআরের কাজকে আরও শুদ্ধ করতে বিজেপি সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে। অন্য দিকে তৃণমূল নেতাদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে বিএলওদেরও। তাই বিজেপি এবার সুরক্ষা দেবে বিএলওদের।

    বিজেপির সমন্বয় কমিটিতে কে কে আছেন (BJP National Coordination Committee)?

    নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট ১৩টি রাজ্যে এসআইআরের কাজ করছে। তবে শাসকদল তৃণমূলের হুমকির মুখে বার বার হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বিএলওদের। আর এই অবস্থায় কমিশনের কাজকে দ্রুত কার্যকর করতে এবং বিএলওদের (SIR) কাজের সুবিধা দিতে বিজেপি সমন্বয় কমিটি (BJP National Coordination Committee) করেছে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন অসমে বিশেষ সংশোধন করার কাজে সহযোগিতা করার জন্য একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে। তবে কাজের পরিচালনার জন্য কমিশন ইতিমধ্যে রাজ্যে বিশেষ পরিদর্শন করার কাজ করছে।

    বিজেপির এই এসআইআর বিষয়ক সমন্বয় কমিটিতে ৭ জন সদস্যকে নিযুক্ত করেছে। গোটা কমিটিকে নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ। এছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন ডক্টর কে লক্ষ্মণ, কে আন্নামালাই, ওম প্রকাশ ধনখড়, অলকা গুর্জর, ডক্টর অনির্বাণ গাঙ্গুলি এবং জাময়াং সেরিং নামগিলাও। একইভাবে রাজ্যগুলির মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর, ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাট, কেরালা, লাক্ষাদ্বীপ, মধ্যপ্রদেশ, পদুচেরি, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমেও আলাদা আলাদা সমন্বয় কমিটি গঠন হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতি রাজ্যের কমিটিতে ৪-৫ জন করে সদস্য রাখা হবে।

    ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন

    এসআইআর সমন্বয় কমিটির সদস্য (BJP National Coordination Committee) অনির্বাণ গাঙ্গুলি রবিবার নদিয়া জেলায় এসআইআর (SIR) কাজের পর্যালোচনা করেছেন। আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনও করবেন তিনি। তৃণমূলকে তোপ দেগে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বিএলওদের হুমকি দিচ্ছে। কাজ করতে রাজনৈতিকভাবে চাপ তৈরি করা হচ্ছে। বিএলওদের ঘিরে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ৯৯.৪৩ শতাংশের বেশি ফর্ম গণনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০ কোটির বেশি ভোটারদের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

  • National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ডে গান্ধি পরিবার সহ ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও এক নতুন এফআইআর

    National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ডে গান্ধি পরিবার সহ ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও এক নতুন এফআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মানি লন্ডারিং (National Herald Case) মামলায় কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা রাহুল গান্ধি এবং সোনিয়া গান্ধির (Rahul Gandhi-Sonia Gandhi) বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের আরও একবার অভিযোগ আনা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ দুর্নীতি শাখা গান্ধি পরিবার সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে নতুন করে এফআইআর দায়ের করেছে। এফআইআরে স্যাম পিত্রোদা, সুমন দুবে, সুনীল ভান্ডারি এবং একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির পাশাপাশি তিনটি কোম্পানি-অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল), ইয়ং ইন্ডিয়ান এবং ডোটেক্স মার্চেন্ডাইজ প্রাইভেট লিমিটেডের নামও রয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের মূল কোম্পানি অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল)-এর সঙ্গে প্রতারণা এবং অপরাধমূলক একটি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে।

    ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ন্যাশনাল হেরাল্ডে আর্থিক দুর্নীতির পুরো তালিকা তুলে ধরা হয়েছে। এই নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “কংগ্রেসের এই পরিবার (গান্ধি পরিবার) সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত। এরা দুর্নীতি করে, আর যখনই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়, তখন ভিকটিম কার্ড খেলে।” তবে শতবর্ষের পুরাতন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এই ভাবে আর্থিক তছরূপের ঘটনা সত্যই অসম্মান জনক।

    ইয়ং ইন্ডিয়ানকে ১ কোটি টাকা প্রদান (National Herald Case)

    কলকাতা-ভিত্তিক শেল কোম্পানি, ডোটেক্স মার্চেন্ডাইজ, ইয়ং ইন্ডিয়ানকে ১ কোটি টাকা দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এই  ইয়ং ইন্ডিয়ান কোম্পানিতে দুজন কংগ্রেস নেতার ৭৬ শতাংশ শেয়ার ছিল। অভিযোগ করা হয়েছে, ইয়ং ইন্ডিয়ান কংগ্রেস দলকে ৫০ লক্ষ টাকা প্রদান করে এজেএলের দখল নেয়। এজেএলের সম্পত্তির মূল্য প্রায় ২০০০ কোটি টাকা, এই টাকায় বিরাট হেরফের হয়েছে। গত ৩ অক্টোবর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এই সংক্রান্ত মামলায় একটি অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করেছে। সেই সঙ্গে দিল্লি পুলিশও ইডিকে তদন্ত করতে সহযোগিতা করছে। আর্থিক দুর্নীতি (National Herald Case) প্রতিরোধ আইনের (PMLA) ধারা ৬৬ (২) এর অধীনে ইডি তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছে।

    মামলা করেছিল বিজেপি

    দিল্লির আদালত ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার রায় ঘোষণা ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করার একদিন পরই এই এফআইআর তথ্য প্রকাশিত করা হয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলাটি ২০১২ সালে শুরু হয়, আর তখন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী স্থানীয় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতারণা এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য ১৯৩৮ সালে জওহরলাল নেহেরু এবং অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সংবাদপত্র ন্যাশনাল হেরাল্ড শুরু হয়েছিল। আর এই বিষয়ে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় (National Herald Case) এখন অভিযুক্ত খোদ গান্ধি পরিবারই।

    কংগ্রেসই দুর্নীতির মূলে

    কংগ্রেস জানিয়েছে, আর্থিক সংকটের (National Herald Case) কারণে ২০০৮ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকাটি ছাপা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় অবশ্য মূল কোম্পানির ৯০ কোটি টাকার ঋণ অপরিশোধিত ছিল। সংকট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য, কংগ্রেস দল ১০ বছর ধরে প্রায় ১০০টি কিস্তিতে ৯০ কোটি টাকার ঋণ দেয়। কিন্তু কংগ্রেসের মতে, ন্যাশনাল হেরাল্ড বা এজেএল কেউই ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি, তাই এটিকে ইক্যুইটি শেয়ারে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। যেহেতু একটি দল ইক্যুইটি শেয়ারের মালিক হতে পারে না, তাই সেগুলি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি অলাভজনক কোম্পানি ইয়ং ইন্ডিয়ানকে বরাদ্দ করা হয়েছিল।

    রাহুল-সোনিয়া কি জেলে যাবেন?

    গান্ধি পরিবারের এই কোম্পানিতে (National Herald Case) ৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এবং বাকি শেয়ারগুলি মতিলাল ভোরা, অস্কার ফার্নান্দেজ, স্যাম পিত্রোদা এবং সুমন দুবের হাতে রয়েছে। আর এভাবেই ইয়ং ইন্ডিয়ান এজিএল (AJL)-এর সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডার হয়ে ওঠে, যার পরিচালক ছিলেন স্বয়ং রাহুল-সোনিয়া। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে রাহুল গান্ধি এবং সোনিয়া গান্ধি (Rahul Gandhi-Sonia Gandhi) জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তবে মামলায় দুর্নীতি প্রমাণিত হলে জেলে যাওয়াটা খুব নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহালের একাংশ।

  • Sonia Gandhi: ভারত-বিরোধী মন্তব্যের জন্য পরিচিত মিশেলকে ইন্দিরা পুরস্কার দিয়ে বিতর্কে কংগ্রেস

    Sonia Gandhi: ভারত-বিরোধী মন্তব্যের জন্য পরিচিত মিশেলকে ইন্দিরা পুরস্কার দিয়ে বিতর্কে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে নানা সময় গিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন কংগ্রেসের (Sonia Gandhi) প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী। এবার তাঁর দলই ইন্দিরা গান্ধী স্মারক ট্রাস্টের মাধ্যমে মর্যাদাপূর্ণ শান্তি, নিরস্ত্রীকরণ ও উন্নয়নের জন্য ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার দিয়েছে চিলির প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মিশেল বাসেলেটকে। এই মিশেল আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ঘোর বামপন্থী মতাদর্শের জন্য পরিচিত। কাশ্মীর সংক্রান্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবের সমর্থক। ভারতবিরোধী মন্তব্যের জন্যও তিনি নানা সময় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন (Indira Gandhi Peace Prize)।

    মিশেলের হাতে পুরস্কার (Sonia Gandhi)

    এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি হয় বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫। পুরস্কারটি মিশেলের হাতে তুলে দেন কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন এবং ট্রাস্টের প্রধান সোনিয়া গান্ধী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মিশেলকে এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়ার ঘটনাটিকে স্রেফ একটি কাকতালীয় ঘটনা হিসেবে দেখছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, এটি কংগ্রেসের একটি সুপরিকল্পিত আদর্শগত বার্তা। মিশেলের পরিচয় এমন একটি রাজনৈতিক বর্ণনার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে মিলে যায় যা প্রায়ই বর্তমান ভারত সরকারের বিপরীতে নিজেকে উপস্থাপন করে, এমনকি জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নেও।

    তীব্র ভারত বিদ্বেষী

    মিশেল অতিবামপন্থী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি চিলির সোশ্যালিস্ট পার্টির আজীবন সদস্য। তাঁর দলের প্রধান লক্ষ্যই হল বৈপ্লবিক পরিবর্তন। তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার এই অতিবামপন্থী আদর্শের ভিত্তিতে নির্মিত। তিনি তাঁর আন্তর্জাতিক ভূমিকার মধ্যেও এই আদর্শিক অবস্থান বজায় রেখেছেন। এমন নির্দিষ্ট মতাদর্শের একজন রাজনীতিককে সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা এবং আন্তর্জাতিক মিত্র বাছাই সম্পর্কে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তোলে (Sonia Gandhi)। মিশেল তীব্র ভারত বিদ্বেষী। কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতিও তিনি সহানুভূতিশীল। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার হিসেবে মিশেল কূটনৈতিক ভাষার সীমানা ছাড়িয়ে ভারতের সার্বভৌম সিদ্ধান্তগুলির অন্যতম জোরালো আন্তর্জাতিক সমালোচকে পরিণত হন। তাঁর শাসনকাল উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে চিরকাল।

    কাশ্মীরের পরিস্থিতি

    এর কারণগুলি হল, কাশ্মীরে হস্তক্ষেপ (Indira Gandhi Peace Prize)। কাশ্মীর থেকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর ২০১৯ সালে মিশেল তাঁর রাষ্ট্রসংঘের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী লবির বক্তব্যের সঙ্গে সহমতও পোষণ করেছিলেন তিনি। তিনি সরাসরি দাবি করেছিলেন যে কাশ্মীরের জনগণকে প্রতিটি সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়ায় পরামর্শ ও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। তাঁর এই দাবি যা ভারতের সাংবিধানিক অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করতে চাওয়া গোষ্ঠীর বক্তব্যের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগও করেছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে ইউএন হিউম্যান রাইটস অফিস কাশ্মীর নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল, ভারত সরকার সেটিকে অফিসিয়ালি প্রত্যাখ্যান করে “মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” এবং “স্পষ্ট পক্ষপাতদুষ্ট” বলে উল্লেখ করে। এসব রিপোর্টে ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আইনি কাঠামোর সমালোচনা করা হয়েছিল এবং সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদের হুমকিকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছিল (Sonia Gandhi)।

    ভারতকে লক্ষ্য করে বিবৃতি

    ভারতের অভ্যন্তরীণ নীতির সমালোচনাও করেছিলেন মিশেল। তিনি এনআরসির বিষয়ে একাধিকবার ভারতকে লক্ষ্য করে বিবৃতি দেন, যাকে ভারত সরকার অযাচিত এবং বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয়। মিশেল বারবার ও ধারাবাহিকভাবে ভারতকে টার্গেট করেছে, যেখানে তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আইনি পদক্ষেপগুলিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তাঁর বিবৃতিগুলিতে প্রায়ই কাশ্মীর এবং এনআরসি প্রসঙ্গে মুসলিম সংখ্যালঘুদের উদ্বেগের কথা জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে, কিন্তু ভারতের সামনে থাকা জটিল নিরাপত্তা ও জনসংখ্যাগত চ্যালেঞ্জগুলি উপেক্ষিত হয়েছে। মিশেল নিজেকে বৈশ্বিক বিরোধ প্রচারক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন (Indira Gandhi Peace Prize)। রাষ্ট্রসংঘের পদ ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক বিষয়গুলি নিয়ে তির্যক সমালোচনা করেছেন। তিনি বারংবার ইউএপিএর মতো ভারতীয় আইনগত কাঠামোর সমালোচনা করেছেন এবং নাগরিক স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এসবই ভারত সরকারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের বিরোধী (Sonia Gandhi)।

    মিশেলের ভারতবিরোধী মন্তব্য

    পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে সোনিয়া গান্ধী চিলিতে মিশেলের নারী-অধিকার ও সামাজিক সংস্কারমূলক কাজের প্রশংসা করেন। যদিও রাষ্ট্রসংঘে তাঁর বিতর্কিত মেয়াদকাল বা ভারতের সঙ্গে তাঁর সরাসরি সংঘাতের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন সোনিয়া। সমালোচকদের মতে, এই নির্বাচিত প্রশংসা মিশেলের ভারতবিরোধী অবস্থানের প্রতি নীরব সমর্থনই প্রকাশ করে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শান্তি পুরস্কার এমন একজন বিদেশিকে দেওয়া হল, যিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে ভারতের অবস্থানকে দুর্বল করেছেন। এর মাধ্যমে কংগ্রেস একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা দিয়ে দিল। কংগ্রেসের এহেন পদক্ষেপকে এমন একটি রাজনৈতিক জুয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা নিরঙ্কুশ জাতীয় সংহতির চেয়ে আন্তর্জাতিক বামপন্থী স্বীকৃতি এবং অভ্যন্তরীণ বিরোধী রাজনীতিকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়। এই পুরস্কার আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করেছে যে কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে আদর্শ পুরস্কারপ্রাপক (Indira Gandhi Peace Prize) সেই ব্যক্তি, যাঁর আন্তর্জাতিক প্রভাব ভারতের কর্মকাণ্ড ও বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে কাজে লাগানো হয়েছে (Sonia Gandhi)।

  • India Afghanistan: ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে মউ স্বাক্ষর ভারত-আফগানিস্তানের, চিন্তার ভাঁজ পাকিস্তানের কপালে

    India Afghanistan: ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে মউ স্বাক্ষর ভারত-আফগানিস্তানের, চিন্তার ভাঁজ পাকিস্তানের কপালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও কাছাকাছি চলে এল ভারত-আফগানিস্তান (India Afghanistan)। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তার ভাঁজ পাকিস্তানের কপালে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বকে উন্নত ও সুদৃঢ় করতে ভারত এবং আফগানিস্তান ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে একটি মউ (Pharma MoU) স্বাক্ষর করেছে। এর মূল্য ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই মউ নয়াদিল্লি ও কাবুলের কৌশলগত, বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার এক নতুন যুগের সূচনা করবে। ভারতের এবং আফগানিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্ততকারী সংস্থাগুলি দুবাইয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে। আফগানিস্তানের রোফি’স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ অব কোম্পানিজ এবং ভারতের অন্যতম বৃহত্তম ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান জাইডাস লাইফ সায়েন্সেস দুবাইয়ে আফগান কনস্যুলেটে এই মউ স্বাক্ষর করতে রাজি হয়। পরে সই হয় মউ।

    স্বাক্ষরিত মউ (India Afghanistan)

    দুই দেশের এই চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এক নয়া অধ্যায়ের সূচনা করে, যেখানে ভারত আফগানিস্তানকে যথাযথ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাহায্য করবে। নয়াদিল্লির জন্য এই চুক্তি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও ওষুধ শিল্পে তার শক্ত অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করে। কারণ পরিমাণের দিক থেকে ভারতীয় ওষুধ শিল্প বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। প্রসঙ্গত, ভারত ও আফগানিস্তানের বাণিজ্য দ্রুত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, বিশেষত তালিবান সরকারের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আলহাজ নূরউদ্দিন আজিজির সম্প্রতি ভারত সফর করার পর থেকে। এই দ্বিপাক্ষিক সফরের উদ্দেশ্যই ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধন। এই মউয়ের প্রাথমিক শর্ত অনুযায়ী, ভারত প্রথমে কাবুলে ওষুধ রফতানি করবে এবং কয়েক বছর পর কোম্পানিটি আফগানিস্তানে নিজস্ব প্রতিনিধি অফিস স্থাপন করবে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদন শুরু করবে। এটি আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নতি ও ব্যবসায়িক পরিবেশে বড় ধরনের গতি আনবে (Pharma MoU)। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছেন যে, স্থানীয় উৎপাদন সক্ষম করতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত জ্ঞান হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে (India Afghanistan)।

    আফগানিস্থানের প্রশংসা

    আফগানিস্তান সরকার এই চুক্তিকে দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে একটি রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসা করেছে। এই চুক্তি কাবুলে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চমানের ওষুধের ধারাবাহিক এবং সময় মতো সরবরাহ নিশ্চিত করবে। দীর্ঘমেয়াদে এই মউ গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে এবং দেশীয় ওষুধ সরবরাহ শৃঙ্খলকে সক্ষম করে তুলবে। ব্যবসায়ী ও স্বাস্থ্যপেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এই চুক্তিকে দূরদর্শী তো বটেই, উপকারী বলেও স্বাগত জানিয়েছেন। ভারতের ওষুধ শিল্প বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। উৎপাদনের পরিমাণের দিক থেকে এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। বিশ্বের মোট টিকার ৫০ শতাংশই ভারত সরবরাহ করে। শুধু তাই নয়, জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনেও দেশটির নামডাক রয়েছে। ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প ২০৩০ সালের মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার মূল্যে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে (Pharma MoU)। সাশ্রয়ী মূল্য প্রক্রিয়ার কারণে ভারতীয় ওষুধ এখন বিশ্বজুড়ে সহজলভ্য হয়েছে। ভারত ২০০-এরও বেশি দেশে ওষুধ এবং অন্যান্য ফার্মা পণ্য রফতানি করে। এর মূল্য ২৭.৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ক্ষেত্রে তামাম বিশ্বে ভারতের স্থান ১২ নম্বরে (India Afghanistan)।

    শাহবাজ শরিফের দেশের কপালে চিন্তার ভাঁজ

    ভারত ও আফগানিস্তানের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত অংশীদারিত্ব আবারও দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের স্বার্থে একটি গুরুত্বপূর্ণ আঘাত হেনেছে। একদিকে, সীমান্ত সংঘর্ষ ও বোমা হামলা বৃদ্ধি এবং ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘনের কারণে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সম্পর্ক দিন দিন তলানিতে ঠেকছে। অন্যদিকে, ভূ-রাজনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আফগানিস্তান-ভারত সম্পর্ক বিকশিত হচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের শিরঃপীড়ার কারণ। ফার্মাসিউটিক্যাল খাত সম্পর্কিত সাম্প্রতিক স্বাক্ষরিত মউ পাকিস্তানের পক্ষে একটি বড়সড় ধাক্কা।  কারণ নয়াদিল্লির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় কাবুল তার কোম্পানিগুলিকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে (Pharma MoU) এবং পাকিস্তানি সরবরাহকারীদের সঙ্গে ওষুধ ব্যবসা বাতিল করতে বলেছে। তালিবানও ফার্মা কোম্পানিগুলিকে তিন মাসের মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করার আলটিমেটাম দিয়েছে। এটিও ইসলামাবাদের পক্ষে একটি বড় ধাক্কা বই কি (India Afghanistan)!

  • Asia Power Index 2025: ‘আত্মনির্ভরতা’-তেই বাজিমাত! ‘এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সে’ তৃতীয় ভারত, কোথায় পাকিস্তান?

    Asia Power Index 2025: ‘আত্মনির্ভরতা’-তেই বাজিমাত! ‘এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সে’ তৃতীয় ভারত, কোথায় পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক শক্তির দৌড়ে বিশ্ব তালিকায় আরও একধাপ উঠে এল ভারত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার লোই ইন্সটিটিউটের তরফে এবছরের ‘এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৫’ (Asia Power Index 2025) তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, শক্তির তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। এই তালিকায় বর্তমানে ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে শুধুমাত্র আমেরিকা এবং চিন। এর পাশাপাশি ‘মেজর পাওয়ার’ তালিকাভুক্ত হয়েছে ভারত। এই তালিকায় প্রথম দশের মধ্যেও জায়গা পায়নি পাকিস্তান। তালিকায় অনুযায়ী, প্রতিবেশী দেশের স্থান ১৬ নম্বরে।

    কীভাবে তৈরি হয় এই ইনডেক্স

    অস্ট্রেলিয়ার একটি বিখ্যাত থিঙ্ক ট্যাঙ্ক লোই ইনস্টিটিউট তাদের ২০২৫ সালের বার্ষিক এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স প্রকাশ করেছে। আটটি বিষয়ের ১৩১টি সূচকের উপর নির্ভর করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তারা। আটটি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সামরিক ক্ষমতা, প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক, অর্থনৈতিক ক্ষমতা, সম্পর্ক, কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব। সাতাশটি দেশ এই তালিকায় রয়েছে। সেই তালিকায় প্রথমে রয়েছে আমেরিকা। লোই ইনস্টিটিউটের মতে, ১০০-র মধ্যে আমেরিকা পেয়েছে ৮১.৭। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চিন পেয়েছে ৭৩.৭। আগের বারের চেয়ে চিনের পয়েন্ট বেড়েছে ১। আর এরপরই উঠে এসেছে ভারত। তৃতীয় স্থানে থাকা ভারত পেয়েছে ৪০। চতুর্থ স্থানে রয়েছে জাপান। আর পঞ্চম স্থানে রাশিয়া রয়েছে। ২০১৯ সালের পর রাশিয়ার অবস্থান উপরে উঠে এল। আর এই তালিকায় পাকিস্তান পেয়েছে মাত্র ১৪.৫ পয়েন্ট।

    মেজর পাওয়ার ভারত

    এশিয়ায় সামরিক শক্তির দিক দিয়ে কোন দেশ এগিয়ে প্রতিবছর তার তালিকা প্রকাশ করে ‘এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স’। কোনও দেশের সামরিক ক্ষমতা, প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক, অর্থনৈতিক শক্তি, কূটনৈতিক প্রভাব, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যৎ সম্পদের উপর ভিত্তি করে নম্বর দেওয়া হয়। এশিয়াতে নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে বিশ্বের এমন দেশগুলিকেও ধরা হয় এই তালিকায়। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, এশিয়ার মধ্যে ভারত লাগাতার নিজের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বাড়িয়ে চলেছে। ২০২৫ সালে এই নিরিখে ভারতের স্কোর হয়েছে ৪০.০০। যার ভিত্তিতে তালিকায় মেজর পাওয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। আগামী দিনে সেটাও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি

    অর্থনীতি থেকে সামরিক শক্তি, ক্রমশ ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠছে ভারত। জঙ্গি হামলার জবাব দিতে শত্রু দেশের সীমানায় ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতেও দু-বার ভাবে না। আবার কোভিড কালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিয়ে মানবিকতার নতুন নজির গড়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের বার্তার গুরুত্ব বেড়েছে। আর এই সবের ফলেই এশিয়ায় শক্তিশালী দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। করোনার মতো মহামারীর পর থেকে ভারতের অর্থনীতি দ্রুত উন্নত হয়েছে। এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী ভারতের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কগুলিতে ভারত উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। এর পাশাপাশি, সামরিক বাহিনীর সক্ষমতাও শক্তিশালী হয়েছে।

    ভারতের আধিপত্য

    কোভিড-১৯ মহামারীর পর থেকে ভারতের অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধি হয়েছে। গত কয়েকমাস ধরে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চাপানউতোর চলছে। আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মোকাবিলা করতে দেশবাসীকে ভারতীয় পণ্য আরও বেশি করে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মুহূর্তে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত। খুব শীঘ্রই ভারত এক ধাপ উপরে উঠে আসবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা। সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে ভারত। এখন শুধু নিজের সেনাবাহিনীর জন্যই সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করছে না, রফতানিও বাড়িয়েছে। বিশ্বের দরবারে ভারতের সামরিক সরঞ্জামের চাহিদা বাড়ছে। যেকোনও হামলার মোকাবিলা করতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শক্তি আরও বেড়েছে। শুধু তাই নয়, জঙ্গি হামলার মোকাবিলায় শত্রু দেশে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। কয়েকমাস আগে অপারেশন সিঁদুরে সেটা ফের করে দেখিয়েছে ভারতীয় সেনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এশিয়ায় ক্রমশ আধিপত্য বিস্তার করছে ভারত।

    এক নম্বর, তবু পয়েন্ট কমেছে

    অন্যদিকে, এই তালিকায় এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে চিন। আমেরিকার পর সুপার পাওয়ার হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। যদিও ২০১৮ সালে এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স চালু হওয়ার পর এবারই সবচেয়ে নিচে এসেছে আমেরিকার স্কোর। বিশ্লেষকদের অনুমান, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তাঁর গৃহিত নীতিগুলির জেরেই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চিন লাগাতারভাবে আমেরিকার সঙ্গে নিজেদের স্কোরের ব্যবধান কমিয়ে আনছে। ২০১৯ সালের পর এশিয়ায় রাশিয়া তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। মস্কোর ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উপস্থিতি মূলত চিন এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে তার কৌশলগত প্রতিরক্ষা এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের জন্য দায়ী। ২০২৪ সালে রাশিয়াকে পিছনে ফেলে অস্ট্রেলিয়া উপরে উঠে এলেও এবার রুশ ফের পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে এবার নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে জাপানও। লোই ইনস্টিটিউটের একটি রিপোর্ট অনুসারে, ভারত ভবিষ্যতে একটি প্রধান এশীয় শক্তি হিসেবে তার অবস্থান আরও সুসংহত করতে পারে। এদিকে, এই তালিকায় প্রথম দশেও স্থান পায়নি। পাকিস্তান। ভারতের এই পড়শি দেশ রয়েছে ১৬ নম্বর স্থানে।

     

     

     

  • PM Modi: প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে গেল দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে গেল দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) দেশের অর্থনীতি (Economic Growth)। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস ছিল ৭ শতাংশ। সেই প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গিয়েছে দেশের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের আর্থিক বৃদ্ধি। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৮.২ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির হার খুবই উৎসাহজনক এবং সরকার সংস্কার আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং প্রতিটি নাগরিকের অনায়াস জীবনযাপনকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ চালিয়ে যাবে।” জানা গিয়েছে, শিল্পে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি জিএসটির হার হ্রাসের ফলে সাধারণ মানুষ বেশি কেনাকাটা করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত এই দু’টি কারণেই আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

    জিডিপির এই বৃদ্ধি (PM Modi)

    বিগত ছ’টি ত্রৈমাসিকে জিডিপির এই বৃদ্ধি দেখা যায়নি। এর ঠিক আগের ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৮ শতাংশ। অথচ এক বছর আগেও এই সময় বৃদ্ধি হয়েছিল ৫.৬ শতাংশ। এই বৃদ্ধিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে চতুর্থ ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি হয়েছিল ৮.৪ শতাংশ (PM Modi)।  এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, “২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপির বৃদ্ধি হয়েছে ৮.২ শতাংশ। আমাদের উন্নয়নমূখী নীতি এবং স্কংস্কারকেই প্রতিফলিত করছে এই ফল। এটি দেশবাসীর কঠিন পরিশ্রমেরও প্রমাণ। তাঁদের উদ্যোগকেও প্রতিফলিত করে।” তিনি বলেন, “এটি আমাদের সরকার সংস্কারকে আরও এগিয়ে নিতে এবং প্রতিটি নাগরিকের জীবন-যাপনের মানোন্নয়ন নিশ্চিত (Economic Growth) করতে কাজ চালিয়ে যাবে। আমাদের সরকার সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাবে। শক্তিশালী করবে প্রত্যেক নাগরিকের জীবনযাত্রার মান (PM Modi)।”

    কী বললেন অর্থমন্ত্রী সীতারামন

    জিডিপির বৃদ্ধি ৮.২ শতাংশ হওয়ায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “আজ প্রকাশিত জিডিপি অনুমানগুলি ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং অর্থনীতির গতিশীলতা প্রদর্শন করে।” এর পরেই তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতির দেশ।” সীতারামন বলেন, “২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ, যা ভারতের অবস্থানকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতির দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বর্তমান অর্থবর্ষে প্রথম ছ’মাসে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার নথিবদ্ধ হয়েছিল ৮ শতাংশ।” তিনি বলেন, “এই প্রবৃদ্ধি এসেছে ধারাবাহিক আর্থিক সংযম, লক্ষ্যমাত্রা ভিত্তিক সরকারি বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে। এটি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করেছে এবং অনায়াস করেছে ব্যবসা করার প্রক্রিয়া (PM Modi)।” এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী লেখেন, “বিভিন্ন উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি সূচকও ধারাবাহিক অর্থনৈতিক গতিশীলতা এবং বিস্তৃতভিত্তিক ভোগ বৃদ্ধির দিকে নির্দেশ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার এই প্রবৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সাহায্য করে এমন সংস্কার এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (Economic Growth)।”

    কী বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল

    বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “জিডিপির এই পরিসংখ্যান নীতিগত ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বের ফল। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “এই অসাধারণ ফল নীতিগত ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বের প্রতিফলন, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধিকে শক্তিশালী করছে।”  সরকারি তথ্য বলছে, চলতি অর্থবর্ষে ২০২৫-’২৬ এর জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ভারতের বাস্তব জিডিপি ৮.২ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে গত অর্থবর্ষের একই প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৬ শতাংশ (PM Modi)।

    ভারতের নামমাত্র জিডিপি

    পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের অধীনে থাকা জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর (NSO) জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের মোট জিডিপি ত্রৈমাসিক অনুমান প্রকাশ করেছে। তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ভারতের নামমাত্র জিডিপি ৮.৭ শতাংশ হারে বেড়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্ষেত্র ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাস্তব জিডিপি বৃদ্ধির হারকে ৮.০ শতাংশের ওপরে উঠতে সাহায্য করেছে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে উৎপাদন ৯.১ শতাংশ এবং নির্মাণ ৭.২ শতাংশ বৃদ্ধি অর্জন করেছে। এই প্রান্তিকে স্থির মূল্যে ৭.০ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি নথিভুক্ত হয়েছে। তৃতীয় ক্ষেত্রে আর্থিক, রিয়েল এস্টেট ও পেশাগত পরিষেবা ১০.২ শতাংশ বৃদ্ধির হার ধরে রেখে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ক্ষেত্রে স্থির মূল্যে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে (Economic Growth)। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট খাত এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস, জল সরবরাহ ও অন্যান্য ইউটিলিটি পরিষেবা খাত ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ক্ষেত্রে মাঝারি মাত্রার বাস্তব প্রবৃদ্ধি দেখেছে (PM Modi)।

    বাস্তব জিডিপি

    বাস্তব জিডিপি ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) ৮.০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এটি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধের ৬.১ শতাংশ বৃদ্ধির তুলনায় বেশি। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ভারতের বাস্তব জিডিপি ৭.৮ শতাংশ বেড়েছে, যা আগের অর্থবর্ষের একই সময়ের ৬.৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রান্তিকে ভারতের নামমাত্র জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৮ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ‘বিকশিত ভারতে’র লক্ষ্য অর্থাৎ ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে, ভারতের প্রায় দশ থেকে বিশ বছর ধরে গড়ে ৮ শতাংশের মতো স্থির মূল্যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে (PM Modi)।

LinkedIn
Share