Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Captain Zoya Agarwal: প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় গর্বিত নারীরা! প্রতিক্রিয়া মহিলা পাইলটের

    Captain Zoya Agarwal: প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় গর্বিত নারীরা! প্রতিক্রিয়া মহিলা পাইলটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের  ভাষণে ভারতীয় মহিলাদের অগ্রগতির এক রূপরেখা তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লালকেল্লা থেকে প্রশংসা করেছিলেন ভারতীয় মহিলা পাইলটদের। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় গর্বিত ভারতের মহিলা পাইলট ক্যাপ্টেন জোয়া আগরওয়াল (Captain Zoya Agarwal)। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা তাঁর কাছে অনুপ্রেরণার কাজ করবে বলে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন ভারতীয় ওই বাণিজ্যিক মহিলা পাইলট।

    কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী

    ৭৭ তম  স্বাধীনতা দিবসে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়নে মনোনিবেশ করেছে। বিমান চালনা থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষেত্রে পারদর্শিতা দেখিয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের নারী শক্তির সাফল্যকে কুর্নিশ জানাই। আমরা ভারতের অগ্রগতিতে নারীদের ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিই। আমাদের সরকার নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে যাবে।” দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নারী শক্তির প্রয়োজনের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সিভিল এভিয়েশনে মহিলা পাইলটের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে মোদি বলেন, “বর্তমানে সিভিল এভিয়েশনে সর্বাধিক মহিলা পাইলট আছে। আর এটা দেশের পক্ষে গর্বের বিষয়।”

    আরও পড়ুন: অতিভারী বৃষ্টিতে তিনদিনে ৭১ জন মৃত হিমাচলে, ‘পর্বত সমান চ্যালেঞ্জ’ বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    শুধু এভিয়েশন নয়, ভারতের চন্দ্রযান মিশনের নেতৃত্বেও মহিলারা আছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জি-২০ ভুক্ত দেশগুলিও ভারতে মহিলাদের অগ্রগতির গুরুত্ব স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি। মহিলা পরিচালিত গ্রামীণ ভারতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির কাজেরও প্রশংসা করেন মোদি। সেই সঙ্গে উল্লেখ করেন মহিলাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নই তাঁর সরকারে প্রধান লক্ষ্য বলে তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আগামী দিনে ড্রোন ওড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার সরকারি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি। ড্রোন মেরামতের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন। 

    গর্বিত জোয়া

    মহিলাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নানান ঘোষণার প্রশংসা করেন মহিলা পাইলট ক্যাপ্টেন জোয়া আগরওয়াল (Captain Zoya Agarwal)। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা, আগামী দিনে আরও বেশি করে মহিলাদের বাণিজ্যিক পাইলটের পেশা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা যোগাবে। শুধু পাইলট নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও মহিলাদের যোগদানের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন জোয়া। কোভিডের সময় বিদেশ থেকে ভারতীয়দের আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন জোয়া আগরওয়াল। বেঙ্গালুরু-সান ফ্রান্সিসকো দীর্ঘতম রুটে বিমান চালানোর ছাড়পত্র রয়েছে তাঁর।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drugs Smuggling: ১০০ কেজিরও বেশি মাদক বাজেয়াপ্ত, এমবিএ পাশ যুবক সহ গ্রেফতার ৭ পাচারকারী

    Drugs Smuggling: ১০০ কেজিরও বেশি মাদক বাজেয়াপ্ত, এমবিএ পাশ যুবক সহ গ্রেফতার ৭ পাচারকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো কেজিরও বেশি মাদক সহ গ্রেফতার সাত পাচারকারী (Drugs Smuggling)। এই পাচারাকারীদের সঙ্গে যোগ রয়েছে আন্তর্জাতিক মাদক বাজারের। লিঙ্ক রয়েছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিরও। পাচারকারীদের গ্রেফতার করতে অসমের গুয়াহাটি ও মণিপুরের ইম্ফলে অভিযান চালিয়েছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় পাচারকারীদের। মাদক বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি মাদক তৈরিতে ব্যবহৃত কেমিক্যালও উদ্ধার হয়েছে। মাদকগুলি সরবরাহ করা হচ্ছিল ৫৫৩টি প্যাকেটে। সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদকের পরিমাণ ১১০.৫ কেজি। মাদকগুলি ছিল ট্যাবলেটের আকারে।

    বি-টু-বি প্লাটফর্ম

    জানা গিয়েছে, মাদক পাচারে (Drugs Smuggling) মূল অভিযুক্ত মহঃ আবদুল ওয়াকলি এমবিএ স্নাতক। মাদক পাচারের জন্য সে খুলেছিল বি-টু-বি প্লাটফর্ম। ধূর্ত আবদুল  জাল নথিপত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াত। মিজোরামস আইজল নামের একটি স্টোরের ভুয়ো ডকুমেন্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াত সে। পরে সে আমেদাবাদের ভদ্রেশ প্যাটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সংগ্রহ করে ১৫০০ প্যাকেট ট্যাবলেট আকারে থাকা মাদক। পুলিশ যাতে মাদক পাচারের খবর জানতে না পারে, তাই ট্যাবলেটের প্যাকেটগুলির লেবেল বদলে দেওয়া হয়েছিল।

    মাদক পাচার ট্যাবলেটের আকারে

    লিভোসেট এবং কলজেন নামের ভুয়ে লেবেল সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছিল মাদকের প্যাকেটগুলিতে। একাধিক অফিস, গোডাউন এবং বাড়িতে হানা দিয়ে সেগুলি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান এনসিবির আধিকারিকরা। নীতীন কুমার পাঞ্চাল এবং অনিলভাই নায়ক অর্ডার সংগ্রহ করত। প্যাকেটের (Drugs Smuggling) গায়ে ভুয়ো লেবেলও সাঁটাত তারা। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে এরাও। কিছুদিন আগেই মায়ানমার থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ১.৩ মিলিয়ন কলজেন ট্যাবলেট। যা থেকে প্রমাণ হয়, আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্র সক্রিয় উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে।

    আরও পড়ুুন: এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়ল ছত্তিশগড়ের আটটি গ্রামে

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে ত্রিপুরার আমবাসা থানার আধিকারিকদের সঙ্গে যৌথ অভিযানে নামে অসম রাইফেলস। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর মারিজুয়ানা। বর্তমানে এই পরিমাণ মাদকের বাজার দর এক কোটি টাকার কাছাকাছি। অভিযান শেষে পুলিশ জানিয়েছিল, একটি গাড়িতে করে ওই মাদক পাচার করার চেষ্টা হচ্ছিল। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে গাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয়। বাজেয়াপ্ত হয় ২৫৭ কেজি মাজুরিয়ানা। ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয় দুজনকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়ল ছত্তিশগড়ের আটটি গ্রামে

    Chhattisgarh: এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়ল ছত্তিশগড়ের আটটি গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পরে এই প্রথম ছত্তিশগড়ের বস্তারের আটটি মাওবাদী অধ্যুষিত গ্রামে তেরঙা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হল মঙ্গলবার। গ্রামগুলি হল সিলগার, নালা, চিন্নাগেলুর, তিমেনার , মানহাকাল, হিরোলি, বেদ্রে, দুব্বামার্কা এবং টেন্ডামার্কা। গোটা দেশ যখন ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মশগুল, তখন প্রথম বার তেরঙা পতাকা উত্তোলন করল ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত বলে পরিচিত বস্তার এলাকার এই গ্রামগুলি। কেন্দ্র সরকারের সক্রিয় চেষ্টায় ক্রমশ উন্নয়নের মুখ দেখছে পিছিয়ে পড়া এই গ্রামগুলি। স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনে এদিন সামিল হন সাধারণ মানুষও।

    উন্নয়নের পথে সামিল মানুষ

    পুলিশের দাবি, এই গ্রামগুলির আশপাশে নতুন ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। এতেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মাওবাদীরা। ১৯৪৭-এর ১৫ অগাস্টের পর কেটে গিয়েছে প্রায় আট দশক। কিন্তু এত দিনে এক বারও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সুযোগ পাননি বিজাপুর জেলার চিন্নাগেলুর, তিমেনার এবং হিরোলি গ্রামের বাসিন্দারা। একই অবস্থা সুকমা জেলার বেদ্রে, দুব্বামার্কা এবং টোন্ডামার্কা গ্রামেরও। বস্তার রেঞ্জের আইজি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, এই গ্রামের বাসিন্দারা এবার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বার এমনটা হল। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় সুকমা জেলার পিডামেল, ডুব্বাকোনটা, সিলগের এবং কুন্দেদ গ্রামেও। 

    আরও পড়ুন: ১০০ শহরে ১০ হাজার বৈদ্যুতিন বাস! ৫ শতাংশ সুদে ১ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন ‘বিশ্বকর্মা’রা

    পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, গ্রামগুলির খুব কাছাকাছি পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে সরকারি সুযোগসুবিধাও সরাসরি ওই অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। তাতে বঞ্চনার অভিযোগকে শূন্যে নামিয়ে আনা যাবে। যা মাওবাদীদের পিছনে ঠেলতে সাহায্য করবে। এর ফলে স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসে কালো পতাকা উত্তোলনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাঁর কথায়, ‘‘এর আগে প্রতি বছরই এমন দিনগুলিতে কালো পতাকা উত্তোলন করত মাওবাদীরা।’’ প্রসঙ্গত, মাওবাদীরা মনে করেন, দেশের নিপীড়িত, শোষিত মানুষ এখনও পরাধীন। তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই বনেজঙ্গলে চলছে বলেও দাবি করে অধুনা নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shimla Landslides: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ধস, শিমলায় মন্দির চাপা পড়ে মৃত একই পরিবারের তিন প্রজন্ম

    Shimla Landslides: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ধস, শিমলায় মন্দির চাপা পড়ে মৃত একই পরিবারের তিন প্রজন্ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে নামল ধস (Shimla Landslides)। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল আস্ত একটি শিব মন্দির। মন্দিরের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন প্রজন্মের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে শিমলার সামার হিল এলাকায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার ধস নামার সময় শিব মন্দিরে ছিলেন একই পরিবারের সাতজন। হঠাতই ভেঙে পড়ে মন্দিরটি।

    মন্দিরের নীচে চাপা পড়ে মৃত

    চাপা পড়ে মৃত্যু হয় সাতজনেরই। এঁরা হলেন পবন শর্মা, তাঁর স্ত্রী সন্তোষ, ছেলে আমন, বৌমা অর্চনা এবং তাঁর তিন নাতনি। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শর্মা পরিবারের পাঁচজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। দু জনের খোঁজ এখনও মেলেনি। শর্মা পরিবারের তরফে সুনীতা বলেন, “আমার একটাই অনুরোধ, যাঁরা নিখোঁজ, তাঁদের খুঁজে বের করুন। আমাদের হাতে তুলে দিন। তাঁরা (Shimla Landslides) জীবিত বা মৃত যাই হোক না কেন, আমরা মেনে নেব। তাঁদের জন্য তিন দিন ধরে অপেক্ষা করছি আমরা।”

    নিখোঁজও রয়েছেন কয়েকজন

    সুনিধি নামে নিখোঁজ একজনের বোন বলেন, “আমরা জানিনা, ভগবান আমাদের কপালে কী লিখে রেখেছেন।” নিখোঁজ আরও একজনের ভাই বিনোদ বলেন, “এই এলাকার সুরক্ষা বজায় রাখা উচিত প্রশাসনের। বৃষ্টি হলেই যাতে জমা জল বেরিয়ে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা উচিত।” শর্মা পরিবারের এক প্রতিবেশী মেহের সিং এইচ ভার্মা বলেন, “শর্মা পরিবার হারাল তিন প্রজন্মকে।” প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, এ পর্যন্ত ১৩টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃষ্টিজনিত (Shimla Landslides) কারণে হিমাচল প্রদেশে এ পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুকু জানান, সব মিলিয়ে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: অতিভারী বৃষ্টিতে তিনদিনে ৭১ জন মৃত হিমাচলে, ‘পর্বত সমান চ্যালেঞ্জ’ বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    শিবমন্দিরের পাশাপাশি ধসের কবলে ভেঙে পড়েছে একটি কষাইখানাও। কৃষ্ণনগর এলাকার ওই কষাইখানার ওপর ভেঙে পড়েছিল আশপাশের কয়েকটি বাড়ি। কষাইখানাটি ভেঙে পড়ার সময় সেখানে ছিলেন বছর আটচল্লিশের ইয়াম থাপা। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর দুই সহকর্মীর (Shimla Landslides) জীবন্ত সমাধি হয়েছে। পরে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এঁরা হলেন কষাইখানার ম্যানেজার নবীন ভাল্লা এবং কষাই রাজু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Modi Cabinet: ১০০ শহরে ১০ হাজার বৈদ্যুতিন বাস! ৫ শতাংশ সুদে ১ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন ‘বিশ্বকর্মা’রা

    Modi Cabinet: ১০০ শহরে ১০ হাজার বৈদ্যুতিন বাস! ৫ শতাংশ সুদে ১ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন ‘বিশ্বকর্মা’রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ই-বাস পরিষেবার অধীনে ১০০টি শহরে ১০০০ নতুন বৈদ্যুতিন বাসের ঘোষণা করল কেন্দ্র। বুধবার ‘পিএম বিশ্বকর্মা’ বা ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা’ প্রকল্পেরও অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। এই প্রকল্পের অধীনে, প্রথম কিস্তিতে ‘উদার শর্তে’ ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। দ্বিতীয় কিস্তিতে আরও ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, সুদ দিতে হবে মাত্র ৫ শতাংশ হারে।

    ই-বাস পরিষেবা

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, গ্রিন মোবিলিটি বাড়ানোর জন্য মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী ই বাস পরিষেবার অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্পে ৫৬, ৬১৩ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে কেন্দ্র প্রদান করবে ২০,০০০ কোটি।

    কীভাবে বাস্তবায়িত হবে এই প্রকল্প? জানা গিয়েছে ১৬৯ শহরের মধ্যে বেছে নেওয়া হয়েছে ১০০টি শহরকে। সেই শহরগুলিতে এই পরিষেবা চালু হবে যেখানে ৩ লক্ষ বা তার বেশি জনবসতি। এছাড়াও, যে সব অঞ্চলে কোনও সংগঠিত বাস পরিষেবা নেই, সেই সমস্ত শহরকেও পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি মডেলে তৈরি হবে ১০ হাজার ই-বাস। দূষণ কমাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিটি বাস পরিষেবায় ই-বাসের সংখ্যা বাড়ানোয় জোর দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফুটে উঠল ভারতের জাতীয় পতাকা! স্বাধীনতা দিবসে বুর্জ খলিফায় জ্বলল তেরঙা

    প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা স্কিম

    বুধবার (১৬ অগস্ট), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের অধীনে সরকার মৃৎশিল্প, কমার, নির্মাণ, টেলারিং এবং নৌকা নির্মাণ সহ ঐতিহ্যগত দক্ষতার প্রচার করবে। বিশ্বকর্মা যোজনায় উপকৃত হবে ৩০ লক্ষ কারিগর।

    এই প্রকল্পের আওতায় আসা শিল্পীরা ৫ শতাংশ সুদের হারে ১ লক্ষ টাকা ঋণ পেতে পারবেন। আর্থিক সাহায্য পাবেন আধুনিক সরঞ্জাম কেনার জন্যও। ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে ১৩,০০০ কোটি টাকার আর্থিক ব্যয়ের এই প্রকল্প চালু করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Atal Bihari Vajpayee: ভারতীয় অর্থনীতিকে দিশা দেখিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী

    Atal Bihari Vajpayee: ভারতীয় অর্থনীতিকে দিশা দেখিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনবার। ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৩ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। দ্বিতীয় দফায় তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল ১৩ মাস। আর তৃতীয় দফায় (১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত) পুরো পাঁচ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এতক্ষণ যাঁর কথা বলা হল, তিনি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বিজেপির অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee)। এই স্বল্প মেয়াদের ভারত-শাসন কালে দেশকে এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

    বাজপেয়ী জমানা

    বাজপেয়ীর কথা উঠলেই আমাদের মনে পড়ে ১৯৯৮ সালে পোখরানে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা ও ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের কথা। সব মিলিয়ে তাঁর বছর ছয়েকের রাজত্বকালে যে উন্নয়নের ধ্বজা তিনি উড়িয়েছিলেন, তা দেশকে দেখিয়েছে নয়া দিশা। নেহরু-গান্ধী পরিবার চেয়েছিলেন সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে। সেই কারণে সব কিছুই ছিল কেন্দ্রীভূত। কোনও দেশের উন্নয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে জিডিপি গ্রোথ। এই জিডিপি গ্রোথের জন্যই হয় কর্মসংস্থান। যে দফায় বাজপেয়ী পুরো মেয়াদ শেষ করেছিলেন, সেই সময় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছিলেন দেশে।

    উন্নয়নের জোয়ার

    তাঁর আমলেই উন্নয়ন হয়েছে রাস্তাঘাটের। উন্নত হয়েছে সড়ক। উন্নত হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। বিপ্লব এসেছিল টেলিকমের ক্ষেত্রে। সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্প তাঁরই (Atal Bihari Vajpayee) অবদান। দেশের চার মেট্রো শহর কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি এবং মুম্বইকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক সূত্রে গেঁথেছেন তিনি। এই চার শহর বাদেও দেশের প্রধান প্রধান শিল্প, কৃষি এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোকেও সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়ে এসেছিলেন একই বন্ধনীতে। গ্রামীণ রাস্তার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা চালু করেছিলেন তিনিই। যার ফলশ্রুতি হিসেবে বর্তমানে দেশের রাস্তার দৈর্ঘ সব মিলিয়ে ৬.৪ মিলিয়ন কিলোমিটার। এই পুরো রাস্তার দু’ শতাংশ জাতীয় সড়ক। প্রসঙ্গত, কোনও একটি দেশের উন্নতিতে বড় ভূমিকা পালন করে রাস্তা ও রেললাইন। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে সুগম হয় পরিবহণ। যা অর্থনৈতিক উন্নতির অন্যতম একটি কারণ।

    আমরা যদি চিনের দিকে তাকাই, তাহলে দেখব অর্থনৈতিক সংস্কার করতে গিয়ে বেজিং প্রথমেই রেল এবং সড়ক উন্নয়নে জোর দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের সহায়তায় নয়ের দশকের মাঝামাঝি চিন চালু করে রোডস ইমপ্রুভমেন্ট ফর পোভার্টি অ্যালিভিয়েশন। তারপর থেকে চিন রেল ও সড়কের উন্নতিতে প্রাণপাত করছে। বেজিংয়ের সমৃদ্ধির এটাই হল চাবিকাঠি। তার পর থেকে আজও চিন জোর দিয়ে চলেছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে। বিশ্ব বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ড্রাগনের দেশ হাতে নিয়েছে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্প। এবার তাকানো যাক ভারতের (Atal Bihari Vajpayee) দিকে। তথ্য বলছে, ১৯৯৯ সালের পর থেকে এ দেশে তরতরিয়ে বেড়েছে জিডিপি। বলা বাহুল্য, এই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বাজপেয়ী। এটা সত্য যে, নরসিমহা রাওয়ের সরকার যে অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু করেছিলেন নয়ের দশকের মাঝামাঝি, তার পর থেকেই ফিরতে থাকে ভারতীয় অর্থনীতির হাল।

    আরও পড়ুুন: পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসীকে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে প্রার্থী করল বিজেপি

    ১৯৯৪ সালে ভারতের জিডিপি ছিল ৩৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০২ সালে জিডিপির লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। তার পরের দু বছরে ভারতের জিডিপি দাঁড়ায় ৫২৩.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। তার পরের দু বছরে এর পরিমাণ হয় ৭২১ বিলিয়ন ডলার। তার পর থেকে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে চলেছে ভারতের জিডিপি গ্রোথ। ১৯৯৮ সালে বাজপেয়ী যখন ক্ষমতায়, তখন ভারতের জিডিপির পরিমাণ ছিল ৪২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাহলে দেখা গেল, বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee) যখন দেশের হাল ধরেন, তখনই প্রকৃত দিশা পায় ভারতীয় অর্থনীতি। কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, ভারতের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্পর্কের উন্নতিও ঘটেছিল বাজপেয়ীর হাত ধরে। পোখরানে পরমাণু বোমা পরীক্ষার পর ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। যদিও বাজপেয়ীর আমলেই সেই ভাঙা সম্পর্ক ফের জোড়া লেগেছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি

    BJP: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের শেষের দিকে হওয়ার কথা পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই কারণে আজ, বুধবার ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের। নয়াদিল্লিতে দলের সদর দফতরে হবে বৈঠক। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সহ কেন্দ্রীয় কমিটির ১৫ জন সদস্য।

    প্রস্তুতি বৈঠক

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এ বছরই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, তেলঙ্গনা এবং মিজোরাম বিধানসভার নির্বাচন। এদিনের প্রস্তুতি বৈঠকে মূলত দুর্বল আসনগুলিকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, তা নিয়েই আলোচনা হবে। নির্বাচনী কৌশল কী হবে, প্রার্থীই বা হবেন কারা, তা নিয়েও এদিন আলোচনা হতে পারে বলে বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর। এই পাঁচ রাজ্যের যে আসনগুলিতে বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন, তার একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে দলের তরফে।

    নির্বাচনী কৌশল

    এদিনের বৈঠকে ওই পাঁচ রাজ্যের বিজেপি নেতারা জানাবেন, কীভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জনগণের কল্যাণে নানা প্রকল্প চালু করেছে, সেকথা তৃণমূলস্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এদিনের প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভিডি শর্মা, ছত্তিশগড় বিজেপির সভাপতি অরুণ সাও এবং দলের অন্য নেতারা। প্রসঙ্গত, যে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে, তার মধ্যে একমাত্র মধ্যপ্রদেশেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুুন: “আমি ভারতীয়, এই দেশ আমারও”, তিরঙ্গা উড়িয়ে বললেন জঙ্গির দাদা বশির

    সূত্রের খরব, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এদিনের প্রস্তুতি বৈঠকে। সচরাচর কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সম্ভাব্য প্রার্থী কারা হতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা (BJP) হয়। এমন বৈঠক হয় নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরে পরেই। কিন্তু এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই প্রস্তুতি বৈঠকে বসছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, এই পাঁচ রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে বিজেপি নেতৃত্ব এখনই প্রার্থীর নাম ঠিক করে ফেলতে চলেছেন। প্রার্থীদের জানিয়েও দেওয়া হবে যে, তাঁরা প্রার্থী হতে চলেছেন। তাঁদের এখন থেকেই প্রচারে নামতে বলা হবে। বিরোধী দলের প্রার্থীদের পরাজিত করতেই এই কৌশল অবলম্বন করা হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Independence Day: “আমি ভারতীয়, এই দেশ আমারও”, তিরঙ্গা উড়িয়ে বললেন জঙ্গির দাদা বশির

    Independence Day: “আমি ভারতীয়, এই দেশ আমারও”, তিরঙ্গা উড়িয়ে বললেন জঙ্গির দাদা বশির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি ভারতীয়, এই দেশ আমারও”, ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে কথাগুলি যিনি বললেন তিনি বশির আহমেদ। মঙ্গলবার বাড়ির সামনে জাতীয় পতাকা তোলেন তিনি। বশির কোনও কেউকেটা নন। তবে তিনি ‘খবর’ হয়েছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা এলাকায় বাড়ি বশিরের। তাঁর ভাই ইরশাদ আহমেদ জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। সেই কারণেই খবরের শিরোনামে বশির। মঙ্গলবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বশির বলেন, “আমি ভারতীয়। এই দেশ আমারও।” গত বছরের অক্টোবরেই ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়েছে বশিরের ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

    স্বাধীনতা দিবসে উৎসবের মেজাজ

    এদিন সকালে বশিরের বাড়ির সামনে আক্ষরিক অর্থেই ছিল উৎসবের (Independence Day) মেজাজ। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সবাই গাইলেন জাতীয় সঙ্গীত। বশির বলেন, “ভাইয়ের (ইরশাদ) জন্য আমার মা মানসিক কষ্ট পাচ্ছেন। বাবাও তার অভাব অনুভব করছেন। তার জন্য আমাদের অনেক খেসারত দিতে হয়েছে। এই দেশ আমাদের। আমরা ভারতীয়। এই দেশের জন্য মরতেও পারি। এই তিরঙ্গা আমাদের বড় গর্বের।”

    ইরশাদ ওরফে ইদ্রিস 

    ১৯৯৪ সালে জঙ্গি খাতায় নাম লেখায় ইরশাদ। সূত্রের খবর, বর্তমানে সে ইদ্রিস নাম নিয়ে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাস করছে। এদিন ছোট্ট একটি জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বশির যেন তাদেরই বার্তা দিলেন এই বলে যে, যারা এই দেশের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করবে, তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে। এদিন (Independence Day) ভাইয়ের সংগঠনের আদর্শেরও সমালোচনা করেন বশির। বলেন, “আমরা ভারতে খুবই সুখে এবং নিরাপদে রয়েছি। এই দেশকে দুর্বল করা নয়, আমাদের উচিত সবাই মিলে এই দেশকে আরও উন্নত করা।” ভাই যে ভুল পথে গিয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন ভূস্বর্গের এই বাসিন্দা। বলেন, “আমার ভাই ভুল পথ বেছে নিয়েছে। ভাইকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আমি অনুরোধ করব সরকারকে।”

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ‘কালো দিন’ পালন সিন্ধ-বালোচ ফোরামের

    প্রসঙ্গত, ইরশাদের পরিবারের তরফেও বারংবার তাকে সশস্ত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। আবেদন জানানো হয়েছে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে সুখে জীবনযাপন করতে। তাঁরা সরকারের কাছেও বশিরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, এই ডোডা জেলা থেকেই পালিয়ে গিয়েছে ১১৯ জন জঙ্গি। ২০১৯ সালে কাশ্মীর থেকে রদ করা হয়েছে ৩৭০ ধারা। তার পর থেকে ভূস্বর্গে এসেছে উন্নয়নের জোয়ার। তাই সুখে রয়েছেন (Independence Day) কাশ্মীরবাসী। যে সুখের বার্তা এদিন প্রতিধ্বনিত হয়েছে বশিরের পরিবারের সদস্যদের গলায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi : “ভারত লাভবান হয়েছে তাঁর নেতৃত্বে”, প্রয়াণ দিবসে অটল বিহারী বাজপেয়ীকে স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi : “ভারত লাভবান হয়েছে তাঁর নেতৃত্বে”, প্রয়াণ দিবসে অটল বিহারী বাজপেয়ীকে স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর। বুধবার অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে সদৈব অটল মেমোরিয়ালে যান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং অন্যান্য আরও অনেকে।

    বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা

    সোশ্যাল সাইটে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে লিখতে গিয়ে মোদি জানান যে, বাজপেয়ীর নেতৃত্বে দেশ ভালোভাবে লাভবান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, “অটল বিহারী বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানাতে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর সঙ্গে আমিও যুক্ত হলাম। ভারত তাঁর নেতৃত্ব থেকে ভালভাবে লাভবান হয়েছে। দেশের উন্নতির ক্ষেত্রে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন যা ২১ শতকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে”।

    গোয়ালিয়রে  ১৯২৪ সালে জন্ম হওয়া অটল বিহারী বাজপেয়ী বিজেপির অন্যতম মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। প্রথম অকংগ্রেসীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পূর্ণ সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালের ১৬ মে থেকে ১ মে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এবং পরবর্তীতে ১৯ মার্চ ১৯৯৮ সাল থেকে  ২২ মে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হন। এছাড়া ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ে ক্যাবিনেটে বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে অগাস্টের ১৬ তারিখে দিল্লির এইমস হাসপাতালে প্রয়াত হন অটল বিহারী বাজপেয়ী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sulabh International: বিশিষ্ট সমাজসেবী সুলভ ইন্টারন্যাশনালের পুরোধা বিন্দেশ্বর পাঠক প্রয়াত

    Sulabh International: বিশিষ্ট সমাজসেবী সুলভ ইন্টারন্যাশনালের পুরোধা বিন্দেশ্বর পাঠক প্রয়াত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুলভ ইন্টারন্যাশনালের (Sulabh International) প্রতিষ্ঠাতা বিন্দেশ্বর পাঠক আজ দিল্লিতে প্রয়াত হয়েছেন। তিনি আজ দিল্লির এইমস হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মূলত তিনি একজন সমাজ কর্মী ছিলেন। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের বহু পুরস্কারের সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শোকজ্ঞাপন করেছেন তাঁর মৃত্যুতে।

    কে ছিলেন বিন্দেশ্বর পাঠক (Sulabh International)?

    বিশিষ্ট সমাজকর্মী মূলত সমাজ সেবামূলক কাজ করতেন। তাঁর জন্ম ১৯৪৩ সালের ২রা এপ্রিল বিহারের হাজীপুরে। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি লাভ করেন। তিনি কাজের মাধ্যমে সমাজকে কীভাবে সংস্করণ করা যায়, সেই বিষয়ে বিশেষ প্রচেষ্টা করতেন। বিশেষ করে পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য বিধি, সুরক্ষাবিধি, কীভাবে সমাজকে উন্নত এবং সুরক্ষিত রাখতে পারে, সেই বিষয়ে বিশেষ চিন্তা ভাবনার প্রকাশ রেখে গেছেন। সুলভ শৌচালয় নির্মাণকে কীভাবে কম খরচে, সস্তায় বেশি পরিমাণে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায়, সেই বিষয়ে বিশেষ কাজের দৃষ্টান্ত রেখেছেন তিনি। তাঁর সুলভ (Sulabh International) প্রকল্প মূলত প্যান ইন্ডিয়া যোজনার আওতায় ছিল। প্রথম জীবনে গান্ধী সেন্টেনারি কমিটিতে কাজ করতেন। মহাত্মা গান্ধীকে তাঁর জীবনের আদর্শ হিসাবে মান্যতা দিতেন তিনি। সামজিক অস্পৃশ্যতা এবং সামজিক অধিকারের জন্য মানবাধিকার বিষয়ে অনেক ইতিবাচক কাজ করেছেন।

    নানা সম্মানে ভূষিত

    বিন্দেশ্বর পাঠক (Sulabh International) নিজে উদ্যোগী হয়ে ১৭৪৯ টি শহরে আনুমানিক ১ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি শৌচলায় নির্মাণ করছেন। তিনি এনার্জি গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড এবং দুবাই ইন্টার ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন। এছাড়াও প্যারিসের ফরাসি সনেট লিজ্যান্ড অফ প্ল্যানেট সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে নিউইয়র্কে ‘বিন্দেশ্বর পাঠক দিবস’ হিসাবে পালন করা হয় ১৪ই এপ্রিল দিন টিকে।

    প্রধানমন্ত্রীর শোক বার্তা

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশেষ শোক জ্ঞাপন করেছেন। তিনি বলেন, বিন্দেশ্বর পাঠকের (Sulabh International) সমাজ সংস্কারকের কাজ থেকে অনেক মানুষ অনুপ্রাণিত হবেন। আমাদের দেশের জন্য একটি জাতীয় শূন্যতার সৃষ্টি হল। ভারতের স্বচ্ছতার অভিযানে অন্যতম নায়ক ছিলেন বিন্দেশ্বর পাঠক। তাঁর পরিবারের প্রতি বিশেষ সমবেদনা জানাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share