Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Chandrayaan 3: আজ সন্ধ্যায় চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ধাপ?

    Chandrayaan 3: আজ সন্ধ্যায় চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ধাপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার বড়ো পরীক্ষার সামনে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সব ঠিকঠাক চললে, আর কয়েক-ঘণ্টা পরে আজ সন্ধ্যায় চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে চন্দ্র-মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ট্যুইট করে এমনটাই জানিয়েছে ইসরো। সংস্থা আরও জানিয়েছে, দুই-তৃতীয়াংশ পথ ইতিমধ্যেই পাড়ি দিয়ে ফেলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। আজকের এই প্রক্রিয়া সফল হলে, স্বপ্নপূরণের পথে একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ উতরে যাবে ভারতের মহাকাশযান।

    আজ সন্ধ্যায় ঠিক কী হতে চলেছে?

    ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ বর্তমানে চন্দ্র-বৃত্তে (Moon Sphere) অবস্থান করছে। ইসরো জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হচ্ছে লুনার অরবিট অনসার্টশন (Lunar Orbit Insertion)। অর্থাৎ, এখান থেকেই চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় চলে আসবে ‘চন্দ্রযান ৩’। ইসরোর বিজ্ঞানীদের মতে, প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল, নিখুঁত অঙ্কের উপর নির্ভর করছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশেষ ইঞ্জিন ফায়ার করে মহাকাশযানের বেগ ও দিশা নিয়ন্ত্রণ করে তাকে সঠিক লক্ষ্যের দিকে পাঠানো হবে। ইসরো জানিয়েছে, এই সময় চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে থাকবে ‘চন্দ্রযান ৩’।

    এর আগে কী কী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে?

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল (ISRO Moon Mission)। সেই থেকে টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে চলেছিল (Earth-bound Maneuvre) এই মহাকাশযান। অর্থাৎ, ততদিন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ঘেরাটোপেই ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। তবে, পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে করতে নিজের কক্ষপথ পাঁচবার বাড়িয়ে নিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। এই প্রক্রিয়া, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে অরবিট রেইজিং ম্যানুভার (Orbit Raising Maneuvre), তার মাধ্যমে কক্ষপথ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিজের গতিও বাড়িয়ে নিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’।

    এর পর, গত ১ অগাস্ট মধ্যরাতে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে নিক্ষেপ করা হয় বা ঠেলে দেওয়া হয় চাঁদের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন (Translunar Injection)। বেঙ্গালুরুতে স্থিত ইসরোর মিশন কন্ট্রোল (ISTRAC) থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং বা চালু করা হয়। প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও জটিল ছিল বলে জানান ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এর ফলে, পৃথিবীর টান পাকাপাকিভাবে কাটিয়ে চন্দ্র-বৃত্তে প্রবেশ করেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Lunar Transfer Trajectory)।

    আজকের পর কী হতে চলেছে?

    চন্দ্র-কক্ষপথে পৌঁছে ফের চাঁদের চারপাশে ঘুরপাক খেতে শুরু করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার (Moon-bound Maneuvre)। এর মাধ্যমে ‘চন্দ্রযান ৩’ নিজের কক্ষপথের পরিধি ও গতি দুই-ই ধীরে ধীরে কমিয়ে আনবে। বিশেষ রেট্রো-রকেট ইঞ্জিন ফায়ার করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। জানা গিয়েছে, চাঁদকে চার থেকে পাঁচবার প্রদক্ষিণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এর পর, শেষ ধাপে যখন চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার ওপরে থাকবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3), তখন মহাকাশযান মডিউল থেকে পৃথক হয়ে চূড়ান্ত অবতরণ বা ‘টাচডাউন’-এর দিকে এগিয়ে যাবে ল্যান্ডার মডিউল। সম্ভবত, অগাস্টের ২৩ তারিখ হবে কাঙ্খিত ‘সফট-ল্যান্ডিং’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Kashmir Encounter : ফের রক্তাক্ত উপত্যকা! জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ সেনাকর্মীর 

    Kashmir Encounter : ফের রক্তাক্ত উপত্যকা! জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ সেনাকর্মীর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও রক্তাক্ত উপত্যকা! শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Kashmir Encounter) কুলগাম (Kulgam) জেলায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ তিন সেনা জওয়ান। শ্রীনগরের সেনার চিনার কর্পসের তরফে একটি  ট্যুইট করে জানানো হয়েছে এই খবর। তারা আরও জানিয়েছে, এই ঘটনার পরেই সেনার তরফে আরও বাহিনী পাঠানো হয় ওই এলাকায়। সেখানে এখনও জঙ্গিদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।

    সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই

    ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, দক্ষিণ কাশ্মীরের (Kashmir Encounter) কুলগাম জেলার হালান জঙ্গল এলাকায় ভারতীয় সেনার তরফে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। কারণ, পুলিশ এবং সেনা আধিকারিকদের কাছে খবর ছিল, ওই এলাকায় কয়েকজন জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তল্লাশি অভিযান হিসেবে শুরু করা হলেও বিষয়টি অচিরেই এনকাউন্টারে (Encounter) পরিণত হয় কারণ গোপন ঘাঁটি থেকে জঙ্গিরা সেনাবাহিনীর উদ্দেশে গুলি ছুড়তে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালান জওয়ানরাও।

    আরও পড়ুন: ‘মুদ্রা’ লেনদেনে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটাতে চলেছে ভারত, তৈরি হচ্ছে ইতিহাস

    সেনার ১৫ কর্পের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়, সেখানে এখনও অভিযান চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা লেখে, ‘কুলগামে হালানে উঁচু এলাকায় জঙ্গিরা রয়েছে, নির্দিষ্ট এই খবর পেয়ে গত ৪ অগাস্ট অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ের সময়, তিন জওয়ান আহত হন। পরে তাঁদের মৃত্যু হয়। তল্লাশি অভিযান চলছে।’ এর পর পরই সেখানে আরও বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এর আগে গত এপ্রিল ও মে মাসে ৫ কমান্ডো-সহ ১০ সেনা জওয়ান শহিদ হন। পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলায় পৃথক এনকাউন্টারে (Kashmir Encounter) তাঁদের মৃ্ত্যু হয়। এপ্রিল মাসে রাজৌরি সেক্টরের পুঞ্চে (Poonch) সেনার একটি গাড়িতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রসঙ্গত, এই দুই এলাকা গত দুই দশক ধরে জঙ্গিমুক্ত বলে ধরা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Digital Currency: ‘মুদ্রা’ লেনদেনে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটাতে চলেছে ভারত, তৈরি হচ্ছে ইতিহাস

    Digital Currency: ‘মুদ্রা’ লেনদেনে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটাতে চলেছে ভারত, তৈরি হচ্ছে ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মুদ্রা লেনদেনের ব্যাপারে আসতে চলেছে আমূল পরিবর্তন। যা বদলে দেবে লেনদেন ব্যবস্থার ইতিহাস। সমগ্র বিশ্ব যখন ডিজিটাল যুগে চলছে, ঠিক তখন এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতও মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটাতে চলেছে। খুব শীঘ্র সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে চালু হতে চলেছে ডিজিটাল কারেন্সি (Digital Currency)। গত বছরই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এই বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে কিছু নির্ধারিত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই সুবিধা পাওয়াও যাচ্ছে। এর মধ্যে HDFC BANK, ICICI BANK, BANK OF BARODA প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

    কী এই ডিজিটাল কারেন্সি (Digital Currency)?

    ডিজিটাল কারেন্সি বা ‘ডিজিটাল মুদ্রা’ হল ভারতীয় মুদ্রারই একটি ডিজিটাল রূপ। যাকে ইলেকট্রনিক মুদ্রাও বলা যেতে পারে। এই মুদ্রা দিয়ে সাধারণ মুদ্রার মতোই অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে লেনদেন করা যায়। বর্তমানে এই ডিজিটাল মুদ্রা সংক্রান্ত বিষয়টি পরীক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে। ভবিষ্যতে সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল কারেন্সি (Digital Currency) ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হবে। আর এই মুদ্রাগুলি সম্পূর্ণ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা স্বীকৃত। এই মুদ্রার নিজস্ব একটি নাম দেওয়া হয়েছে। সেটি হল সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি বা CBDC। এর মূল্য সাধারণ মুদ্রার সমান।

    ডিজিটাল মুদ্রার (Digital Currency) সুবিধা ও বৈশিষ্ট্যগুলি কী?

    এই ডিজিটাল মুদ্রাগুলির বিশেষ কিছু সুবিধা আছে। যেমন-

    ১) এই মুদ্রাগুলি অনলাইন এবং অফলাইন দুটি মাধ্যমেই ব্যবহার করা যেতে পারে।
    ২) সাধারণ ব্যবহৃত মুদ্রা বা নোটগুলি অনেক সময় ছিঁড়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এই মুদ্রাগুলি ছিঁড়ে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ এটি একটি ইলেকট্রনিক সংস্করণ। 
    ৩) এই ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency) ব্যবহার করার জন্য কোনও আলাদা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় না, আপনার ব্যবহৃত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই এই মুদ্রা লেনদেন সম্ভব।
    ৪) ডিজিটাল মুদ্রাগুলির ব্যাঙ্কের সাথে কোনও সম্পর্ক থাকছে না। এটি সরাসরি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সাথে যুক্ত থাকবে।

    এখনও পর্যন্ত কোন কোন ব্যাঙ্কে এই ডিজিটাল মুদ্রার সুবিধা আছে?

    গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ১ লা নভেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তে এই ডিজিটাল কারেন্সির সূচনা করা হয় এবং একটি পরীক্ষামূলক ভাবে দেশের ন’টি ব্যাঙ্ক এই পাইলট পরিকল্পনার সাথে যুক্ত হয়। যেমন-স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, IDFC First Bank ও HSBC ব্যাঙ্ক।

    কীভাবে ব্যবহার করা হয় এই ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency)?

    ১) ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহারের পাইলট প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী ব্যাঙ্কগুলিতে অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক। সেই ব্যাঙ্কগুলি তাদের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রার অ্যাপ চালু করেছে।
    ২) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটিকে এই ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency) আক্সসেস করার জন্য উপযোগী হতে হবে।
    ৩) আপনার অ্যাকাউন্ট যদি ডিজিটাল মুদ্রার জন্য যোগ্য হয়, তাহলে সরাসরি ব্যাঙ্কের ডিজিটাল মুদ্রা অ্যাপের মাধ্যমে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।

    ডিজিটাল মুদ্রার (Digital Currency) সাথে কি UPI এর কোনও মিল আছে?

    ডিজিটাল মুদ্রার সঙ্গে ইউপিআই-এর কোনও গঠনমূলক সম্পর্ক নেই, এই দুটির মধ্যে রয়েছে অসংখ্য পার্থক্য। যেমন ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency) সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি (CBDC) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, অপরদিকে ইউপিআই ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ডিজিটাল মুদ্রা অনলাইন এবং অফলাইন দুটি মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু ইউপিআই অনলাইন ছাড়া অফলাইনে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। ডিজিটাল কারেন্সি আপনার জমা টাকার একটি ইলেকট্রনিক সংস্করণ যা একটি অ্যাপ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অপরদিকে UPI একটি রিয়েল টাইম পেমেন্ট সিস্টেম।

    ভারতীয় ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency) এবং তার প্রতীক

    ডিজিটাল মুদ্রাকে দুটি ইউনিটে ভাগ করা হয়েছে-টাকা এবং পয়সা। এদের নিজস্ব ডিজিটাল প্রতীক নির্ধারণ করা হয়েছে, টাকার জন্য e₹ আর পয়সার জন্য eप। 
    ডিজিটাল মুদ্রার (Digital Currency) টাকার ব্যবহৃত ফ্রিকোয়েন্সিগুলি হল- e₹2 , e₹5 , e₹10 , e₹20 , e₹50 , e₹100 , e₹200 , e₹500, e₹2,000 এবং পয়সার ক্ষেত্রে 50eप।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Income Tax Refund: আয়কর রিফান্ডের মেসেজ পেয়েছেন? না বুঝে লিঙ্কে ক্লিক করলেই কিন্তু বিপদ!

    Income Tax Refund: আয়কর রিফান্ডের মেসেজ পেয়েছেন? না বুঝে লিঙ্কে ক্লিক করলেই কিন্তু বিপদ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই বছরের ৩১ জুলাই ছিল আয়কর রিটার্ন দাখিল (Income Tax Refund) করার শেষ দিন। উল্লেখ্য, যাঁরা আয়কর জমা করেছেন, তাঁদের অনেকেই আবার রিফান্ডও পাবেন। আর এই রিফান্ড পাওয়ার সময় উপভোক্তাদের ফোনে প্রতারণা করার সুযোগ নিয়ে থাকে কিছু দুষ্ট চক্র। তাই আয়কর দফতর ট্যুইটের মাধ্যমে জনমানসকে সচেতন করেছে।

    কেন আয়কর দফতরের এমন বার্তা (Income Tax Refund)?

    আয়কর দফতরের (Income Tax Refund) এমন বার্তার কারণ হল, অনেক উপভোক্তা রয়েছেন, যাঁরা এই সময়ে রিফান্ডের মেসেজ পাচ্ছেন। আর ঠিক তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করেই সাইবার প্রতারকরা রিফান্ডের মেসেজ পাঠিয়ে সঙ্গে অতিরিক্ত একটি লিঙ্ক দিচ্ছে। মেসেজে টাকার অঙ্কের সঙ্গে বলা হচ্ছে ওই লিঙ্কে ক্লিক করতে। আর তা করলেই নতুন একটি পেজ খুলে যায়। এই পেজ খুললেই বেশ কিছু তথ্য দিতে বলা হয়। তা দিলেই ব্যাঙ্কের সব টাকা উধাও। এই ধরনের সাইবার প্রতারকরা উপভোক্তাদের টার্গেট করে মূলত আয়কর দেওয়ার সময়সীমা অতিক্রমের পরের সময়েই। অনেক গ্রাহক এইভাবে প্রতারণার শিকারও হন। তাই প্রতারণা থেকে গ্রাহকদের সচেতন করতেই আয়কর দফতর বিশেষ বার্তা দিচ্ছে ট্যুইটারে।

    আয়কর দফতর কী বলেছে?

    একটি ট্যুইটে আয়কর দফতর (Income Tax Refund) জানিয়েছে, একটি মেসেজকে প্রতারকরা ভাইরাল করেছে। তাতে বলা হয়েছে, গ্রাহক ১৫ হাজার ৪৯০ টাকা আয়কর রিফান্ড পাওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এই টাকা এখনই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রিফান্ড পেতে নম্বরটি যাচাই করে নিন। যদি অ্যাকাউন্ট ঠিক না হয়, নিচেই একটা লিঙ্ক রয়েছে সেখানে ক্লিক করে অ্যাকাউন্ট নম্বর আপডেট করুন। আর সেখানে চাওয়া হয় প্যান কার্ড, আধার কার্ডের ডিটেইলস। আর তা করলেই উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ। গ্রাহকরা নিজেদের ব্যাঙ্কের টাকা যাতে সুরক্ষিত রাখতে পারেন, সেই কারণেই আয়কর দফতরের এই বিশেষ উদ্যোগ। এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং আবশ্যক বলেই সচেতন গ্রাহকরা মনে করছেন। তাই তাঁরা একে সাধুবাদ জানিয়েছেন।       

    উল্লেখ্য আয়কর দফতর প্রি-ভ্যালিটেডেড ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই একমাত্র রিফান্ড পাঠায়। আয়কর কোনও রকম তথ্য নিশ্চিত করতে বলে না। তাই গ্রাহকদের যে কোনও মেসেজ ভালভাবে খতিয়ে দেখে তবেই ক্লিক করতে হবে, এমনটাই পরামর্শ আয়কর দফতরের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: স্বস্তি শুভেন্দুর! এফআইআর দায়ের নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট 

    Suvendu Adhikari: স্বস্তি শুভেন্দুর! এফআইআর দায়ের নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) স্বস্তি পেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ থাকলে এফআইআর দায়ের করা যাবে। এ ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিতে হবে না। গত ২০ জুলাই এমনই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।

    কী বলল শীর্ষ আদালত

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না বলে এর আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের পর একটি জনস্বার্থ মামলার রায়ে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা যাবে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। নন্দীগ্রামে হিংসা ও অশান্তিতে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে এর পরই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বেশ কিছু এফআইআর দায়ের হয়। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ বলেছে, “আমরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করছি নতুন করে মামলাটি শোনার জন্য। ২০ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এফআইআর দায়ের নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা খারিজ করা হল। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে স্বাধীনতা দেওয়া হল এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা বিচার করে উপযুক্ত নির্দেশ দেওয়ার জন্য।”

    আরও পড়ুন: ‘‘নির্দোষই যদি হন, তাহলে ভয় পাচ্ছেন কেন?’’ অভিষেকের রক্ষাকবচ মামলায় প্রশ্ন ইডির

    কী বলছে বিজেপি

    আদালতের এই রায়ের পর রাজনৈতিক ভাবে শুভেন্দুর অবস্থান মজবুত হল বলেই মনে করছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে উঠে পড়ে লেগেছিল বাংলার শাসক দল তথা সরকার। এতে ফের ওদের মুখ পুড়ল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: কঠোর নিরাপত্তা! জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে এএসআই-এর ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ শুরু

    Gyanvapi Mosque: কঠোর নিরাপত্তা! জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে এএসআই-এর ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Mosque Survey) বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার কাজ শুরু করল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (ASI)। এলাহাবাদ হাইকোর্টের ছাড়পত্র পাওয়ায় শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই শুরু হয়েছে সমীক্ষার কাজ। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে এএসআই-এর পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জ্ঞানবাপী চত্বরে ঢুকে কাজ শুরু করেছেন। সপ্তদশ শতকে তৈরি মসজিদটি কোনও হিন্দু মন্দির ভেঙে গড়া হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখবেন প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা। এএসআই-এর দলের সঙ্গে  হিন্দু পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন আইনজীবী সুধাকর ত্রিপাঠী। বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার কাজ বয়কট করেছে মসজিদ কমিটি। ফলে তাদের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত নেই। 

    সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মসজিদ কমিটি

    বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক অজয় কুমার বিশ্বেসের নির্দেশ অনুযায়ী, এদিনই সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের। কিন্তু আইনি লড়াই পেরিয়ে যেহেতু এদিনই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে, তাই কবে ওই রিপোর্ট জেলা আদালতে জমা পড়বে তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা এএসআই আধিকারিকরা। এদিকে, হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে মুসলিম পক্ষ। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জরুরি ভিত্তিতে আবেদন শুনবেন। মুসলিম পক্ষের দাবি, এই জরিপ (Gyanvapi Mosque Survey) আইন বিরুদ্ধ এবং এতে মসজিদের ক্ষতি হতে পারে। যদিও এলাহাবাদ হাইকোর্ট বৃহস্পতিবারের রায়ে স্পষ্ট বলেছে, জরিপের সময় কোনও ধরনের খনন কাজ করা যাবে না। মসজিদের একটি ইটও সরানো যাবে না।

    আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত মণিপুর! পুলিশকর্তার হত্যা, অস্ত্রাগার লুঠ বিক্ষোভকারীদের

    কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় এবং জরিপ ঘিরে বারাণসীতে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Vishwanath Temple) এবং জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque Survey) পরিসরে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৭ অগাস্ট সোমবার পর্যন্ত। জ্ঞানবাপী মসজিদটি বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে অবস্থিত। মন্দির ভেঙে মসজিদটি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করে মামলা করে হিন্দু সংগঠন। মসজিদের স্থানে আগে হিন্দু মন্দির ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা দাবি ওঠে। সেই থেকেই শুরু বিতর্ক। মসজিদ চত্বরের পাশ থেকেই কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের করিডরে প্রবেশ করেন শয়ে শয়ে ভক্ত। কোনওভাবে যাতে তাঁরা এই এএসআই-এর সার্ভে ক্যামেরাবন্দি না করে বসেন, তা আটকাতেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ৭ অগাস্ট পর্যন্ত এএসআই-এর সার্ভে চলাকালীন জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। আপাতত বিশ্বনাথ করিডরের গঙ্গাদ্বার পর্যন্ত মোবাইল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে ভক্তদের। কিন্তু, তার বেশি মোবাইল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলে আটকাবে বারাণসী পুলিশ। শহরে বিপুল সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জরিপ চলাকালে জ্ঞানবাপীতে জুম্মার নমাজ চলবে। শহরের অন্য মসজিদ, মন্দিরেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur violence: ফের উত্তপ্ত মণিপুর! পুলিশকর্তার হত্যা, অস্ত্রাগার লুঠ বিক্ষোভকারীদের 

    Manipur violence: ফের উত্তপ্ত মণিপুর! পুলিশকর্তার হত্যা, অস্ত্রাগার লুঠ বিক্ষোভকারীদের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিংসা ছড়াল মণিপুরে (Manipur violence)। তবে তা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে নয়। বৃহস্পতিবার অসম পুলিশের সঙ্গে মেইতেই সম্প্রদায়ের মহিলাদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ১৭ জন মহিলা আহত হয়েছেন। ইম্ফল পশ্চিম জেলায় জনতা সঙ্গে সংঘর্ষে আরও এক পুলিশ অফিসারের মৃত্যুর খবর এসেছে। পাশাপাশি, বিষ্ণুপুরে জেলায় কমপক্ষে দুটি নিরাপত্তা চৌকি থেকে স্বয়ংক্রিয় বন্দুক-সহ প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে উন্মত্ত জনতা। 

    নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ

    পুলিশ জানিয়েছে, বিষ্ণুপুর জেলার কেইরেনফাবি এবং থাঙ্গালাওয়াইয়ে অবস্থিত মণিপুর (Manipur violence) সশস্ত্র পুলিশের দ্বিতীয় ব্যাটালিয়নের দুটি ফাঁড়ি থেকে অস্ত্রশস্ত্র লুঠ করা হয়েছে। হেইনগাং এবং সিংজামেই থানা থেকেও অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ লুঠ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কাউতরুক, হারাওথেল এবং সেনজাম চিরাং এলাকায় দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হন এক পুলিশ অফিসার। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দুইজন। নিহত পুলিশ অফিসারের মাথায় গুলি লেগেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে নিকটবর্তী পার্বত্য এলাকা থেকে স্নাইপার রাইফেলে গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। কাউতরুক এবং সেনজাম চিরাং-এ গুলিযুদ্ধে একজন গ্রাম স্বেচ্ছাসেবকও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 

    কার্ফু জারি বিভিন্ন অঞ্চলে 

    পুলিশ সূত্রে খবর, মেইতেই সম্প্রদায়ের মহিলারা জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোঁড়েন। জবাবে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, পরে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় এবং শূন্যে গুলি ছোঁড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন ওই এলাকায় ফের কার্ফু জারি করেছে। উপদ্রুত এলাকাগুলিতে শান্তি ফেরাতে বিশাল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কাউওতরু পাহাড়ি এলাকায় যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে সাতটি অবৈধ বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে। মণিপুরের (Manipur violence) পার্বত্য ও উপত্যকা এলাকার জেলাগুলিতে মোট ১২৯টি চেকপয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আইনভঙ্গের দায়ে প্রায় ১,০৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: লোকসভায় পাশ দিল্লি পরিষেবা বিল, ওয়াক আউট বিরোধীদের

    সংসদে মণিপুর নিয়ে আলোচনা

    অন্যদিকে সংসদীয় সূত্রের দাবি, বিরোধীদের আর্জি, মণিপুর নিয়ে রুল ১৬৭ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক আলোচনা শুরু করুক কেন্দ্রীয় সরকার। বিরোধীদের দাবি, সরকারের তরফে আলোচনায় মণিপুর (Manipur violence) নিয়ে বক্তব্য রাখুন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ রাজ্যসভায় আলোচনা চলাকালীন কোনও একটা সময়ে প্রধানমন্ত্রী সভায় এলেই চলবে৷ সূত্রের দাবি, বিরোধীদের এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সরকারপক্ষ৷ আলোচনা হবে সংসদের শেষ দিন, ১১ অগাস্ট।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Services Bill: লোকসভায় পাশ দিল্লি পরিষেবা বিল, ওয়াক আউট বিরোধীদের

    Delhi Services Bill: লোকসভায় পাশ দিল্লি পরিষেবা বিল, ওয়াক আউট বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীদের ‘আপত্তি’র মধ্যেই বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাশ হল দিল্লি রাজধানী এলাকা সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৩। সারা দিন ধরে এই বিলের উপর বিতর্কের পর, লোকসভায় ধ্বণিভোটে পাস হয় দিল্লির আমলাতন্ত্র নিয়ে এই বিল (Delhi Services Bill)। সংসদের নিম্নকক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার পরই ওয়াক আউট করেন বিরোধী সাংসদরা। এই বিল আইনে পরিণত হলে, দিল্লিতে আমলা নিয়োগ এবং বদলির ক্ষমতা হারাবে দিল্লির নির্বাচিত সরকার। এই ক্ষমতা ন্যাস্ত হবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।

    বিল নিয়ে বিরোধ

    দিল্লির (Delhi Services Bill) আমলাদের নিয়োগ এবং বদলির রাশ কার হাতে থাকবে—এই নিয়ে জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। গত ১১ মে শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মত ভাবে জানিয়েছিল, আমলাদের রদবদল থেকে যাবতীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের। তবে পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা এবং ভূমি দফতর সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতেই থাকবে বলে জানানো হয়। গত ১৯ মে আদালতের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে অধ্যাদেশ জারি করে মোদি সরকার। অধ্যাদেশে বলা হয়, জাতীয় রাজধানী সিভিল সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। আমলাদের নিয়োগ এবং বদলির ব্যাপারে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।

    আরও পড়ুন: ‘লোকসভায় ৩৬ আসন জেতার শপথ নিন’, বিজেপি কর্মীদের বললেন শুভেন্দু

    বিলের স্বপক্ষে যুক্তি

    দিল্লি সার্ভিসেস বিল (Delhi Services Bill) নিয়ে আলোচনার মধ্যেই এদিন লোকসভায় সাসপেন্ড করা হয় আম আদমি পার্টির একমাত্র লোকসভা সাংসদ সুশীলকুমার রিঙ্কুকে। তাঁর বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের চেয়ারের দিকে কাগজ ছোড়ার অভিযোগ রয়েছে। পুরো বাদল অধিবেশনের জন্যই সাসপেন্ড করা হয়েছে আপ সাংসদকে। এদিন এই বিলের বিষয়ে আলোচনার সময় অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, সুপ্রিম কোর্টের আদেশেই বলা হয়েছে, জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লির বিষয়ে যে কোনও বিষয়ে আইন তৈরি করার অধিকার রয়েছে সংসদের। এছাড়া, সংবিধানও কেন্দ্রকে দিল্লির জন্য আইন তৈরির অনুমতি দিয়েছে। এদিন লোকসভায় এই বিল পাশ হওয়ার পর বিলটি রাজ্যসভার বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। রাজ্যসভায় বিরোধী সাংসদদের সংখ্যা বেশি থাকলেও, এই বিলটি সম্ভবত সহজেই পাশ হয়ে যাবে। বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’ এই বিলের বিরোধিতা করলেও, নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দল এবং জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি বিলটিকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদিই ফের প্রধানমন্ত্রী”, দাবি অমিত শাহের

    Amit Shah: “২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদিই ফের প্রধানমন্ত্রী”, দাবি অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিরোধীরা যতই জোটের জুজু দেখাক, আর যতই হইচই করুক, ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদিই ফের প্রধানমন্ত্রী।” বৃহস্পতিবার দিল্লি বিল নিয়ে আলোচনার সময় এই কথাগুলিই বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    ইন্ডিয়া’কে আক্রমণ

    বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’কে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “দিল্লি বিল একবার পাশ হয়ে গেলে আম আদমি পার্টি আর জোটে থাকবে না।” বিরোধী সাংসদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “দিল্লির কথা ভাবুন, জোটের কথা নয়।” শাহ বলেন, “দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদিই হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। এই বিলের পরে আপনাদের জোট যেভাবেই হোক ভেঙে যাবে। কেজরিওয়াল আপনাদের বিদায় জানাবেন।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “বিরোধীরা কেবল তাদের জোট নিয়ে চিন্তা করে, দেশ নিয়ে নয়। আমার ভাল লেগেছে যে এতদিন পর আলোচনা হচ্ছে। সংসদে ৯টি বিল পাশ হয়েছে। বিরোধীরা অংশ নেননি…তাঁরা দেশের কথা চিন্তা করেন না, কেবলমাত্র তাঁদের জোটের কথা চিন্তা করেন…।”

    আম আদমি পার্টিকে নিশানা

    আম আদমি পার্টিকে নিশানা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “রাজধানী দিল্লি সম্পর্কিত যে কোনও আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সংসদের রয়েছে। আর তার জন্যই আমলা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সটি সরকারের তরফে জারি করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে সংবিধানকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।” শাহ বলেন, “দিল্লির আপ সরকার দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হোন। ২০১৫ সালে আপ সরকার ক্ষমতায় আসে। দিল্লিবাসীকে পরিষেবা নয়, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করাই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। সেই সঙ্গে ভিজিল্যান্স বিভাগকে কবজায় রাখার লক্ষ্যও ছিল।”

    আরও পড়ুুন: “বিরোধীদের প্ররোচনায় পা দেবেন না”, এনডিএর সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বার্তা মোদির

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “বাংলো তৈরির মতো দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে ভিজিল্যান্সকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছিল কেজরিওয়াল সরকার। তাই জওহরলাল নেহরু, সর্দার প্যাটেল, বিআর আম্বেদকরের মতো নেতারা দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার বিরুদ্ধে ছিলেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: “বিরোধীদের প্ররোচনায় পা দেবেন না”, এনডিএর সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বার্তা মোদির

    PM Modi: “বিরোধীদের প্ররোচনায় পা দেবেন না”, এনডিএর সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিরোধীরা হতাশাগ্রস্ত। তাঁরা আপনাদের ফাঁদে ফেলতে চাইবে। কিন্তু কোনও অবস্থায়ই বিরোধীদের প্ররোচনায় পা দেওয়া যাবে না।” বুধবার এনডিএর (NDA) সদস্য দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিতর্কিত বিষয় ও মন্তব্য থেকে তাঁদের দূরে থাকার পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী।

    সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    লোকসভা নির্বাচনে গতবারের চেয়েও বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে বিজেপি। তাই এনডিএর সদস্য ১১টি দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তিনি। লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন ৪৩০ জন সাংসদের সঙ্গে। প্রথম বৈঠকটি হয়েছে ৩১ জুলাই। চলবে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত। প্রথম দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলা, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের সাংসদরা। আর বুধবারের বৈঠকে (PM Modi) উপস্থিত ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গনা, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, কেরালা, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবরের সাংসদরা।

    বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ

    গত কয়েক বছরে বিজেপির কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্ররোচনা ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে বিপাকে পড়তে হয়েছে দলকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তাই আগেভাগে সাংসদদের সতর্ক করে দিলেন মোদি। বিজেপি এবং এনডিএর সদস্য দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রচারের সুরও বেঁধে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। প্রথম দিনের বৈঠকেই তিনি সাংসদদের জানিয়েছিলেন, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ কিংবা রাম জন্মভূমির মতো জাতীয় বিষয় নিয়ে প্রচার করতে হবে না। প্রচারের মূল সুর হবে জনগণের মানোন্নয়নে বিভিন্ন রাজ্যে মোদি সরকার কী কী কাজ করেছে, তার ফিরিস্তি। এর পাশাপাশি করতে হবে বিরোধীদের শানিত আক্রমণ। বিজেপি বিরোধী ২৬ দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধে প্রচারের হাতিয়ার কী হবে, তাও বলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: “সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের পাশে নেই, তাই ইমাম ভাতা বাড়াতে পারেন মমতা”, তোপ শুভেন্দুর

    প্রথম বৈঠকে তিন তালাক বাতিলের প্রসঙ্গটিকে প্রচারের হাতিয়ার করতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। পরের বৈঠক হয়েছে ১ অগাস্ট। এই বৈঠকে ‘ইন্ডিয়া’র মোকাবিলায় ইউপিএ সরকারের আমলের দুর্নীতিগুলিকে হাতিয়ার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মোদি। এর পরের বৈঠক হবে ৮ অগাস্ট। সেদিন উপস্থিত থাকবেন মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও গোয়ার ৭৬ জন সাংসদ। তার পরের দু দিন প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, দমন-দিউ এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সাংসদদের সঙ্গে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share