Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: লোকসভা ভোটের রণনীতি স্থির করতে সোমবার থেকে এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে মোদি

    PM Modi: লোকসভা ভোটের রণনীতি স্থির করতে সোমবার থেকে এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন বিরোধীরা। বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী ২৬টি দল গঠন করেছে ‘ইন্ডিয়া’। বিরোধীদের এই জোটকে অবশ্য পাত্তা দিচ্ছে না বিজেপি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও। লোকসভা নির্বাচনে এবার আগের বারের চেয়েও বেশি আসন নিয়ে সংসদে ফিরতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেই কারণে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএতে থাকা বিভিন্ন দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    দুই পর্বে বৈঠক 

    লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করতে সহযোগী দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। বৈঠক শুরু হবে ৩১ জুলাই। চলবে অগাস্টের ১০ তারিখ পর্যন্ত। প্রতিদিন দুটি পর্যায়ে হবে বৈঠক। প্রথমটি শুরু হবে সাড়ে ৬টায়। পরেরটি সাড়ে ৭টায়। জানা গিয়েছে, প্রথম দিন প্রথম পর্যায়ের বৈঠকটি হবে উত্তর প্রদেশের সাংসদদের নিয়ে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, ব্রজ, কানপুর এবং বুন্দেলখণ্ডের সাংসদরা। উপস্থিত থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং নীতিন গডকড়িও। বৈঠক সঞ্চালনা করবেন সঞ্জীব বালিয়ান ও বিএল ভার্মা। ওই দিনই দ্বিতীয় পর্বে যে বৈঠকটি হবে তাতে যোগ দেবেন পশ্চিমবাংলা, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার সাংসদরা। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সঞ্চালনায় ধর্মেন্দ্র প্রধান ও শান্তনু ঠাকুর।

    থাকবেন শাহ, রাজনাথ 

    সব মিলিয়ে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ৪১ জন সাংসদ। পরের দিনের প্রথম বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন উত্তর প্রদেশের কাশী, গোরখপুর এবং অওয়ধের সাংসদরা। এই বৈঠকেও (PM Modi) থাকবেন শাহ এবং রাজনাথ। দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকে যোগ দেবেন অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গনা, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, কেরল, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং লাক্ষাদ্বীপের সাংসদরা। তার পরের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বসবেন বিহার, হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, ছত্তিসগড়, উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের সাংসদদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া”, রাজস্থানের সভায় ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা মোদির

    অগাস্টের ৮ তারিখের বৈঠকে যোগ দেবেন রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং গোয়ার সাংসদরা। তার পরের দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে গুজরাট, দাদরা নগর হাভেলি, দমন ও দিউয়ের সাংসদদের। ওই দিনই দ্বিতীয় পর্বে তিনি (PM Modi) বৈঠক করবেন মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়ের সাংসদদের সঙ্গে। শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার সাংসদদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Enforcement Directorate: ‘দেশের স্বার্থে’ ইডি ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট

    Enforcement Directorate: ‘দেশের স্বার্থে’ ইডি ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের আবেদন মেনেই ইডি প্রধান (Enforcement Directorate Chief) হিসাবে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সঞ্জয় কুমার মিশ্র ইডি-র প্রধান পদে থাকতে পারবেন বলে নির্দেশ জারি করেছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বিচারপতি আরএস গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের কৌঁসুলি, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার আবেদনে সাড়া দেন। ‘দেশের স্বার্থে’ই সঞ্জয় কুমারের মেয়াদ কিছুটা বাড়ানো হল বলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে।

    কেন বাড়ানো হল মেয়াদ

    আদালত সূত্রে খবর, ইডি-র (Enforcement Directorate) ডিরেক্টর পদে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত করার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র। এব্যাপারে কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, সঞ্জয় কুমার মিশ্রের ইডি-র অধিকর্তা পদে থাকার বিষয়টি দেশের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। তাঁর অনুপস্থিতি ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)-এর পর্যালোচনার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। কেন্দ্রের এই যুক্তির প্রেক্ষিতেই সঞ্জয় কুমার মিশ্রের ইডি অধিকর্তা পদে মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই নিয়ে চতুর্থ বার ইডির ডিরেক্টর পদে মেয়াদ বাড়ল সঞ্জয়ের। 

    আরও পড়ুন: হুবহু মিলে গেল মোদির ‘ভবিষ্যদ্বাণী’! সেই বাদল অধিবেশনেই অনাস্থা পেশ বিরোধীদের

    ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের অফিসার সঞ্জয়কুমার মিশ্রকে ২০১৮ সালে প্রথম বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর (Enforcement Directorate) ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। সে বার দু’বছরের জন্য তাঁকে ওই দায়িত্ব দিয়েছিল কেন্দ্র। এর পর ২০২০ সালে তাঁর মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধি করা হয়। আর্থিক দুর্নীতির বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তে জড়িত রয়েছে ইডি। ফলে সে সব তদন্তের স্বার্থেই ডিরেক্টর হিসাবে সঞ্জয়ের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে, বৃহস্পতিবার বিচারপতি গাভাই বলেন, ‘‘কোনও অবস্থাতেই ১৫ সেপ্টেম্বরের পরে সঞ্জয়কুমার মিশ্রকে ইডির ডিরেক্টর পদে রাখা যাবে না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indigenous LRSAM: দেশীয় ‘এস-৪০০’! নিজস্ব ত্রিস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করছে ভারত?

    Indigenous LRSAM: দেশীয় ‘এস-৪০০’! নিজস্ব ত্রিস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগলো ভারত। এবার দেশের আকাশসীমার (Air Defence System) সুরক্ষার্থে, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নিজস্ব অত্যাধুনিক দূরপাল্লার মিসাইল তৈরি করছে ভারত। জানা যাচ্ছে, রুশ নির্মিত ‘এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই নতুন এই লং রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল (Indigenous LRSAM) বা দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা হবে ৪০০ কিলোমিটার।

    কেন নতুন দূরপাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রয়োজন?

    বর্তমানে, দেশের আকাশসীমাকে রক্ষা (Air Defence System) করার জন্য রাশিয়া থেকে কেনা ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমকে চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করেছে ভারত। ৪০০ কিমি দূরত্বের মধ্যে যে কোনও টার্গেটে আঘাত হানতে সক্ষম এই অত্যাধুনিক মিসাইল। বিশ্বের সেরা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমগুলির অন্যতম রাশিয়ার এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই মিসাইলের তিনটি স্কোয়াড্রন ইতিমধ্যেই ভারতে পৌঁছে গিয়েছে। তাদের মতোয়েনও করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বাকি আরও ২টি সিস্টেম কবে আসবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, স্বদেশীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Air Defence System) নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা বাড়াতে এবং নিজস্ব ক্ষমতা দেশকে রক্ষা করার লক্ষ্যেই এই বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ভাবনাচিন্তা করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মিসাইলের (Indigenous LRSAM) নির্মাণ-পর্ব কার্যকর হলে, ৪০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যে কোনও শত্রু বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন ধ্বংস করা অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে। এর ফলে, দেশের আকাশসীমা সুরক্ষা অনেক বেশি সুরক্ষিত ও নিশ্ছিদ্র হবে। 

    এই সিস্টেম তৈরি হলে কতটা লাভ ভারতের?

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে এই স্বদেশীয় ত্রিস্তরীয় ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম (Indigenous LRSAM) তৈরির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। হয়ত শীঘ্রই এই মিসাইল সিস্টেম উৎপাদনের সবুজ সঙ্কেত মিলতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রজেক্টে আনুমানিক ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার (আনুমানিক ২০ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা) খরচ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, একবার এই মিসাইল সিস্টেম তৈরি হলে, তা হবে অত্যন্ত গর্বের। ভারত বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশের তালিকায় ঢুকে পড়বে, যাদের স্বদেশীয় ত্রিস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Air Defence System) রয়েছে। 

    আকাশসীমার সুরক্ষায় বর্তমানে ‘এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি, ভারতের নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের কয়েকটি নির্মাণ-পর্বে ও কয়েকটি গবেষণা ও পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে। তবে, কোনওটাই ‘এস-৪০০’ সমকক্ষ নয়। ‘মৈত্রী কুইক রিয়্যাকশন এসএএম’ (QRSAM) নিয়ে পরীক্ষা চলছে। এটির সাফল্যের হার অত্যন্ত ভালো। ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই মিসাইল নিয়ে ভীষণই আশাবাদী। এটি তৈরি করছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। এছাড়া, ভারতের আস্তিনে রয়েছে ‘আকাশ’, ‘ত্রিশূল’, ‘আকাশ-এনজি’। এছাড়া রয়েছে ‘অ্যাডভান্সড এয়ার ডিফেন্স’ মিসাইল যা ১০ কিমি পর্যন্ত শত্রু-টার্গেটকে ধ্বংস করতে সক্ষম। এটি ভারতীয় বায়ুসেনা ব্যবহার করে।

    কী থাকবে এই সিস্টেমে?

    জানা যাচ্ছে, দেশীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে (Air Defence System) তিন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মজুত থাকবে, যা মূলত তিন ধরনের দূরত্বের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। এক-একটি সিস্টেমে ৩ ধরনের পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে। একটি দূরপাল্লার— যা আনুমানিক ৪০০ কিমি দূরত্বে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারবে। দ্বিতীয় স্তর হলো মাঝারি পাল্লার, যা ৭০ কিমি পর্যন্ত বস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হবে। তৃতীয় তথা শেষ স্তর হবে স্বল্পপাল্লার। যা ৩৫ কিমি পর্যন্ত যে কোনও বস্তুকে ধ্বংস করতে পারবে। ইতিমধ্যে, ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে মাঝারি পাল্লার সারফেস টু এয়ার মিসাইল (MRSAM) প্রযুক্তি তৈরির কাজ চলছে। যা ৭০ কিমি দুরত্বে যে কোনও লক্ষ্যকে আঘাত হানতে সক্ষম হবে। প্রতিটা এলআরএসএএম সিস্টেমের (Indigenous LRSAM) অঙ্গ হিসেবে থাকবে তিন ধরনের মিসাইল, রেডার, কন্ট্রোল সিস্টেম, ভার্টিকাল লঞ্চার ও দু-ওয়ে কমিউনিকেশান লিঙ্ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া”, রাজস্থানের সভায় ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা মোদির

    PM Modi: “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া”, রাজস্থানের সভায় ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মহাত্মা গান্ধী যেমন ভারত ছাড়ো স্লোগান দিয়েছিলেন, আজকের মন্ত্র হল দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, পরিবারতন্ত্র কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া। এই কুইট ইন্ডিয়াই পারে আমাদের দেশকে বাঁচাতে।” বৃহস্পতিবার রাজস্থানে বিজেপির (BJP) এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজোট হয়েছে কংগ্রেস সহ দেশের ২৬টি রাজনৈতিক দল। বেঙ্গালুরুর সভায় এই দলের নাম হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’।

    ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা

    এদিন এই ‘ইন্ডিয়া’কেই নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী একবার স্লোগান দিয়েছিলেন – ভারত ছাড়ো – ইংরেজ কুইট ইন্ডিয়া। ব্রিটিশদের দেশ ছাড়তে হয়েছিল। একইভাবে আমরা সমৃদ্ধ ভারত গড়ার সংকল্প নিয়েছি।” এর পরেই তিনি বলেন,“মহাত্মা গান্ধী যেমন ভারত ছাড়ো স্লোগান দিয়েছিলেন, আজকের মন্ত্র হল দুর্নীত কুইট ইন্ডিয়া, পরিবারতন্ত্র কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া। এই কুইট ইন্ডিয়াই পারে আমাদের দেশকে বাঁচাতে।”

    ইন্ডিয়া ইজ ইউপিএ

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ইন্ডিয়ার লেবেল দিয়ে তারা তাদের পুরনো কাজগুলো, ইউপিএ জমানার কাজগুলোকে ধামাচাপা দিতে চায়। তারা যদি সত্যিই ভারতের কথা ভাবত, তাহলে কি তারা বিদেশিদের বলত ভারতে হস্তক্ষেপ করতে? তারা একবার স্লোগান দিয়েছিল, ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া ইজ ইন্দিরা। তখন জনগণ তাদের উপড়ে ফেলেছিল। এই অহংকারীরা আবারও সেই একই কাজ করেছে। তারা বলে ইউপিএ ইজ ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়া ইজ ইউপিএ। মানুষ আবার তাদের সঙ্গে একই আচরণ করবে।”

    কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস একটি দিশাহীন দলে পরিণত হয়েছে। ঠিক আগেকার দিনের জালিয়াত কোম্পানিগুলোর মতো নাম পরিবর্তন করেছে কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা। তারা তাদের নাম পরিবর্তন করেছে যাতে তারা সেই দাগ মুছতে পারে, যা সন্ত্রাসের সামনে আত্মসমর্পণ করার পর তাদের গায়ে লেগেছিল। তারা দেশের শত্রুদের পথ অনুসরণ করছে। ইন্ডিয়া নামটি তাদের দেশপ্রেম দেখানোর জন্য নয়, বরং দেশকে লুট করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।”

    আরও পড়ুুন: ভোটে সন্ত্রাস! “আগামী বছর সুদে আসলে হিসেব দিতে হবে”, বিধানসভায় শুভেন্দু

    তিনি (PM Modi) বলেন, “স্বাধীনতার কয়েক দশক পরে আজ দেশে এমন একটা সরকার ক্ষমতায় এসেছে, যারা কৃষকদের যন্ত্রণা বোঝে, তাঁদের উদ্বেগ বোঝে। সেই কারণে গত ন’ বছর ধরে তাঁদের কল্যাণের কথা ভেবেই নেওয়া হয়েছে যাবতীয় সিদ্ধান্ত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NDA: মোদির পাশেই জগন মোহন! অনাস্থা প্রস্তাবে সরকারকেই ভোট দেওয়ার ঘোষণা

    NDA: মোদির পাশেই জগন মোহন! অনাস্থা প্রস্তাবে সরকারকেই ভোট দেওয়ার ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির পাশেই (NDA) অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সরকার পক্ষেই ভোট দেবে তাঁর দল। অন্যদিকে রাজ্যসভায়  জন্য কেন্দ্রের আনা ‘দিল্লি সার্ভিস অর্ডিন্যান্স’ বিলেও মোদির পাশেই থাকছেন জগনমোহন। প্রসঙ্গত, ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির রাজ্যসভায় নয়জন এবং লোকসভায় ২২ জন সাংসদ রয়েছেন। অন্যদিকে এই বিলকে সমর্থনের কথা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে ওড়িশার বিজু জনতা দলও। এর ফলে রাজ্যসভায় অনায়াসেই বিল পাশ করিয়ে নিতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই বিল আইনে পরিণত হলে দিল্লির আমলাদের নিয়ন্ত্রণ সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে চলে যাবে।

    আরও পড়ুন: এবার বুলেট ট্রেনের মানচিত্রে জুড়ল বাংলা! লোকসভায় ঘোষণা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মোদির পাশে নবীন ও জগন মোহন

    তবে শুধুই কি বিল পাশ? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নবীন পট্টনায়ক এবং জগন মোহনের বিজেপিকে সমর্থন (NDA) বিরোধী জোটের কাণ্ডারীদের কাছে বড় ধাক্কা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ‘‘আঞ্চলিক বঞ্চনার প্রতিবাদে এবং ফেডারেল কাঠামো মেনে চলার দাবিতেই মূলত একত্রিত হয়েছিল তৃণমূল-আরজেডি-সমাজবাদী পার্টির নেতারা। কিন্তু ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এনডিএ-এর (NDA) দিকে চলে যাওয়া, বিরোধীদের দাবিকেই নস্যাৎ করে দিল।’’ তবে এই প্রথম নয় একাধিক কর্মসূচি এবং ইস্যুতে মোদির পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে নবীন পট্টনায়েক এবং জগন মোহনকে।

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

    ৩১ জুলাই বিল পেশ হবে রাজ্যসভায়

    জানা গিয়েছে ৩১ জুলাই রাজ্যসভায় পেশ হতে চলেছে এই বিল। বর্তমানে এনডিএ (NDA) জোটের ১০১ জন সদস্য রয়েছেন রাজ্যসভায়। অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটের কাছে রয়েছে ১০০ জন সদস্য। নবীন পট্টনায়েক এবং জগন মোহনের দলের রাজ্য সভায় সদস্য আছে ৯ জন করে। এরফলে মোদি সরকার কার্যত বিনা বাধায় বিল পাশ করে নিতে পারবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Monsoon Session: হুবহু মিলে গেল মোদির ‘ভবিষ্যদ্বাণী’! সেই বাদল অধিবেশনেই অনাস্থা পেশ বিরোধীদের

    Parliament Monsoon Session: হুবহু মিলে গেল মোদির ‘ভবিষ্যদ্বাণী’! সেই বাদল অধিবেশনেই অনাস্থা পেশ বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ন’বছরে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। বুধবার বিরোধী দলগুলির জোট ‘ইন্ডিয়া’র হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। বিআরএসের হয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস জমা দেন সাংসদ নামা নাগেশ্বর রাও। ইতিমধ্যে এই অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। বিরোধীদের আনা অনাস্থার আবহেই সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদির একটি পুরনো বক্তৃতা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী জানাচ্ছেন যে, ২০২৩ সালে আবারও অনাস্থা প্রস্তাব আনার ‘সুযোগ পাবেন’ বিরোধীরা। ভিডিওটি ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।

    মোদির ‘ভবিষ্যৎ বাণী’ 

    বিজেপির দাবি, ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সংসদের বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক চলছিল। সেই সময় মোদি বলেছিলেন, “আমি (আপনাদের) শুভেচ্ছা জানাতে চাই। প্রস্তুত থাকুন, কারণ আপনারা আবার ২০২৩ সালে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সুযোগ পাবেন।” সেই দিনের বক্তব্যে কংগ্রেসের নাম না করেই মোদী বলেছিলেন, “অহঙ্কারের কারণে আপনারা ৪০০ (লোকসভার সাংসদ) থেকে ৪০-এ এসে পৌঁছেছেন।” এই ভিডিওটি তুলে ধরেই বিজেপির তরফে মোদির ‘নির্ভুল অনুমান’-এর প্রশংসা করা হচ্ছে। 

    ভাবতে নারাজ বিজেপি

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে সংসদের বাদল অধিবেশনেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)। সেই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছিল কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিজেপি-বিরোধী দল। বিজেপির সংখ্যাধিক্যের জোরে বিরোধীদের আনা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গিয়েছিল। সেবারও বিরোধীরা পরাস্ত হয় ৩২৫- ১২৫-এর ব্যবধানে। এবারও একই ঘটনা ঘটবে, দাবি বিজেপির। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব সম্পর্কে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং বিজেপির উপর মানুষের আস্থা রয়েছে। বিরোধীরা আগেও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। কিন্তু মানুষ ওদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘শ্যালিকার মত উনিও দেশের বাইরে পালাতে চাইছেন..’, অভিষেককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    সংসদীয় বিধি অনুযায়ী লোকসভার স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস গ্রহণ করার ১০ দিনের মধ্যেই তা নিয়ে সংসদে বিতর্কের সূচনা হওয়ার কথা। এ বিষয়ে দিন নির্ধারণের ক্ষমতা এক মাত্র স্পিকারের। কবে কখন এই মর্মে ভোটাভুটি হবে তা নির্ধারিত সময় জানাবেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে পাত্তা নয়, তৃতীয় দফায় জয় নিয়ে নিশ্চিত মোদিও

    PM Modi: ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে পাত্তা নয়, তৃতীয় দফায় জয় নিয়ে নিশ্চিত মোদিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যাতত্ত্বের হিসেব বলছে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব কোনও প্রভাবই ফেলবে না মোদি সরকারের (PM Modi) ওপর। তা সত্ত্বেও মোদি সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আনল বিজেপি-বিরোধী ২৬টি দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’। ওই প্রস্তাবকে কার্যত পাত্তা না দিয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, “আগামী বছর যে লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে, তাতে বিজেপির জয় নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তাই নেই গেরুয়া শিবিরের।”

    তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ

    বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লির প্রগতি ময়দানের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার তৃতীয় দফার কার্যক্রমে আপনারা দেখবেন চোখের সামনে আপনাদের স্বপ্ন পূরণ হতে।” বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার লক্ষ্য হল, ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা এবং তৃতীয় মেয়াদে ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করা।”

    গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ 

    এদিকে, বিরোধীদের তৈরি হট্টগোলের আবহেই একাধিক বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে বিজেপি (PM Modi)। এর মধ্যে রয়েছে বহু-রাষ্ট্রীয় সমবায় সমিতি (সংশোধন) বিল, ২০২২ এবং জৈবিক বৈচিত্র্য (সংশোধন) বিল, ২০২২-র মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল। সোমবার জাতীয় নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কমিশন বিল, ২০২৩ জাতীয় ডেন্টাল কমিশন বিল, ২০২৩ এবং সংবিধান (তফশিলি উপজাতি) আদেশ (পঞ্চম)-ও পেশ করা হয়েছে।

    এদিকে, কংগ্রেস সহ ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবে কংগ্রসের অস্ত্রেই কংগ্রেসকে বধ করতে চাইছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও, সরকার ফেলার সামর্থ্য বিরোধীদের নেই জেনেও, মণিপুর নিয়ে বিতর্কে দেশবাসীর মন জিততেই অনাস্থা এনেছে তারা। লোকসভার আসন সংখ্যা ৫৪৩। এর মধ্যে পাঁচটি আসন শূন্য রয়েছে। বাকি আসনের মধ্যে এনডিএর (PM Modi) মধ্যে রয়েছে ৩৩০টি আসন। বিরোধীদের হাতে রয়েছে ১৪০টি আসনের রাশ। তাই সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে সরকার পতনের কোনও সম্ভাবনাই নেই।

    আরও পড়ুুন: ‘শ্যালিকার মত উনিও দেশের বাইরে পালাতে চাইছেন..’, অভিষেককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    ২০১৮ সালের ২০ জুলাইও অনাস্থা এনেছিলেন বিরোধীরা। সেবারও ৩২৫-১২৫ এর ব্যবধানে গোহারা হেরেছিল তারা। সূত্রের খবর, অনাস্থা বিতর্কে বিজেপি কংগ্রেস জমানায় নারী নির্যাতনের বিষয়গুলি তুলে ধরার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে নারী সুরক্ষা নিয়ে কংগ্রেস কতটা উদাসীন, সেই তথ্যও লোকসভায় পেশ করবে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণেও তুলে ধরা হবে কংগ্রেসের ব্যর্থতার দিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘‘আমার তৃতীয় মেয়াদে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে’’! কথা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘আমার তৃতীয় মেয়াদে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে’’! কথা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি সরকার ফের ক্ষমতায় এলে চব্বিশের পর ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে, ‘গ্যারান্টি’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বুধবার নতুন ভাবে গড়ে ওঠা প্রগতি ময়দানের আইটিপিও (ITPO) কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চব্বিশের ভোটে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকলে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পৌঁছে দেওয়া হবে। আমেরিকা-চিনের পরেই তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে নাম থাকবে ভারতেরই।

    প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস

    দিল্লিতে বসতে চলেছে জি-২০ বৈঠক। গোটা বিশ্বের অধিকাংশ দেশের বড় বড় প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়েছেন রাজধানী শহরে। তারই আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রথম পর্বের শাসনকালে ভারত বিশ্বের অর্থনীতিতে দশম স্থানে উঠে এসেছে। আমার দ্বিতীয় পর্বের শাসনকালে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়েছে ভারত। এই ট্র্যাক রেকর্ড অনুসারে আমি দেশবাসীকে বিশ্বাস করিয়ে দেব, আমার তৃতীয় পর্বের শাসনকালে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে থাকবে ভারত।” এদিন অত্যাধুনিক মানের ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন-কাম-কনভেশন সেন্টার ‘ভারত মণ্ডপম’-এর উদ্বোধন করে ভারতের পরিকাঠামোর আমূল বদল হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর জমানার উন্নয়নের পরিসংখ্যান দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ, ভারতের পরিকাঠামো বদলে গিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলব্রিজ ভারতে, সর্বোচ্চ উচ্চতায় দীর্ঘতম টানেল ভারতে, মোটর চলার সর্বোচ্চ রোড, দীর্ঘতম স্টেডিয়াম, দীর্ঘতম স্ট্যাচু- সবই ভারতে রয়েছে।” 

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

    কীভাবে উন্নতির পথে ভারত

    ভারতের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির এই তড়িৎ গতির উত্থান কীভাবে হবে সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে সরকারি স্তরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে ভারত। তা ছাড়াও ভারতের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী, ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর জোরও দেশের অর্থনীতিকে আরও মজবুত করবে। আইএমএফ-এর রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৭ সালের মধ্যে ভারত, জাপান ও জার্মানিকে পিছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৭ সালে জাপানের অর্থনীতি হবে ৫.২ ট্রিলিয়ন ডলার। জার্মানির অর্থনীতি হবে ৪.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। একইসঙ্গে ভারত ততদিনে ৫.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে। অর্থাৎ ২০২৭ সালে ভারতের চেয়ে এগিয়ে থাকবে শুধুমাত্র আমেরিকা ও চিন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত মহিলা কনস্টেবল, নিরাপত্তা বাহিনীর বাসে আগুন

    Manipur: মণিপুরে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত মহিলা কনস্টেবল, নিরাপত্তা বাহিনীর বাসে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) এবার আক্রান্ত খোদ নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার কঙ্গপকপি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। বুধবার সকালে ভারত-মায়ানমারের সীমান্তে মোরে এলাকায়ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। চালানো হয় এলোপাথাড়ি গুলিও। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা কনস্টেবলের। এদিকে, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য সরকারকে শান্তি ফেরাতে সক্রিয় হতে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

    গুলির লড়াই

    এদিন সকাল (Manipur) সাড়ে ন’টা নাগাদ সশস্ত্র দুষ্কৃতী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। মৃত্যু হয় ওই মহিলা কনস্টেবলের। গুলির ওই লড়াইয়ের জেরে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তার আগেই অবশ্য এলাকার অন্তত ৩০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। জানা গিয়েছে, যে বাড়িগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, সেগুলি মেইতেইদের। হিংসার কারণে অবশ্য বাড়িগুলিতে এখন কেউ ছিলেন না। বাড়িগুলির পাশাপাশি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বন বিভাগের অফিসেও।

    বাসে আগুন 

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালে (Manipur) নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর থেকে জেলা সদরে যাওয়ার পথে সাপোরমেইনা এলাকায় অবরোধের মুখে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি বাস। তখনই বাস দুটিতে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত ৩ মে। এদিনই হিন্দু মেইতেইদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে খ্রিস্টান কুকিদের। মেইতেইরা দীর্ঘদিন ধরেই তফশিলি জাতি মর্যাদার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। তার প্রতিবাদে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর মিছিল করে। এর পরেই শুরু হয় দু পক্ষে সংঘর্ষ। যার জেরে ইতিমধ্যেই বলি হয়েছে শতাধিক মানুষের প্রাণ।

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

    হিংসা থামাতে একাধিক (Manipur) পদক্ষেপ করা হয়। তার পরেও জ্বলেছে অশান্তির আগুন। পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু বাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে ভিটেমাটি ছেড়ে সেনাবাহিনীর আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই নিয়েছেন বহু মানুষ। মণিপুরবাসীর জীবন এবং সম্পত্তি বাঁচাতে রাজ্যের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকের ভার তুলে দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহের হাতে। তার পরেও শান্তি ফেরেনি মণিপুরে। যার মাশুল গুণছেন সাধারণ মানুষও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Panchayat Election 2023: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের  

    Panchayat Election 2023: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) ব্যাপক অশান্তি হয়েছে রাজ্যে। এই নির্বাচনের আগে-পরে যত হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেসব ক্ষেত্রেই সিবিআই তদন্ত দাবি করল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। কেবল তাই নয়, বিজেপির দাবি, তদন্ত হতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে। নির্বাচন-পর্বে রাজ্যের যেসব জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, সব ক্ষেত্রেই এনআইএ তদন্ত দাবি করেছে ওই টিম।

    রাজ্যের সমালোচনা

    বুধবার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার হাতে ভোট-হিংসা নিয়ে রিপোর্টও জমা দিয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। দাবি করেছে সিবিআই, এনআইএ তদন্তের। নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারের নিন্দা করেন রবিশঙ্কর। সমালোচনা করেন তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানেরও। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election 2023) ঘিরে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে রাজ্যে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই শুরু হয়ে যায় খুনখারাপি। চলতে থাকে নির্বাচনের ফল বেরনোর পরেও বেশ কয়েকদিন ধরে। সব মিলিয়ে এই পর্বে রাজনৈতিক হিংসার বলি হন ৫২ জন। এঁরা যে সবাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থক তা নয়, এঁদের মধ্যে রয়েছেন ভোটারও।

    রক্তের হোলি খেলা

    এই হিংসায় কোথাও খুন হয়েছেন বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা, কোথাও আবার রাজনীতি করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছেন তৃণমূলেরই কোনও কর্মী-সমর্থক। তিনি অবশ্য বলি হয়েছেন গোষ্ঠীকোন্দলের। রাজ্যে ভোট-হিংসার প্রকৃত চিত্র দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গঠন করেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। টিমের মাথায় রাখায় হয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে। ১২-১৪ জুলাই তাঁরা (Panchayat Election 2023) ঘুরে দেখেন রাজ্যের বিভিন্ন হিংসা প্রবণ এলাকা। এই সময় তাঁরা যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন, সেই সব তথ্যই এদিন দিল্লিতে তুলে দেওয়া হয় নাড্ডার হাতে।

    আরও পড়ুুন: ভোট ‘সন্ত্রাসের শিকার’! আক্রান্ত মহিলাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেল বিজেপির পরিষদীয় দল

    ২৬ পাতার ওই রিপোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় গেলেও, স্পর্শকাতর বুথের তথ্য দেয়নি কমিশন। বাংলার গ্রামাঞ্চলে বিজেপি কর্মীরা যে ভয়ে ভয়ে রয়েছেন, তাও জানানো হয়েছে রিপোর্টে। এর পাশাপাশি সব হিংসার ক্ষেত্রে সিবিআই এবং সব বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে এনআইএ তদন্ত দাবি করা হয়েছে। রবিশঙ্কর বলেন, নির্বাচনের আগে আদালত অন্তত পাঁচবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছিল। স্পর্শকাতর জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share