Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: ২০১৯-এর পর এই প্রথম, চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    PM Modi: ২০১৯-এর পর এই প্রথম, চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জাপান ও চিন (China) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অগাস্টের শেষের দিকে বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানে যাবেন তিনি। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই এসসিও (সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন চিনে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই দুই দেশ সফরের নেপথ্যে কাজ করছে ভারত ও চিনের শি জিনপিং সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার চেষ্টা।

    সলতে পাকানোর কাজ শুরু (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিন সফরে যান, তাহলে এটাই হবে উনিশের পরে তাঁর প্রথম চিন সফর। ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চিনা ফৌজদের মধ্যে সংঘর্ষের পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। যদি প্রধানমন্ত্রী এসসিও সম্মেলনে যোগ দেন, তবে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের মধ্যে সর্ব শেষ দেখা হয়েছিল কাজানে, ব্রিকস (BRICS) সম্মেলনে। সেই সময়ই শুরু হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার সলতে পাকানোর কাজ।

    চিন সফরে জয়শঙ্কর

    প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত চিন সফরের আগে সোমবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বেজিংয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং ভারতের প্রতি বিরল মাটির চুম্বক ও সার রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে বাণিজ্যে সীমাবদ্ধতা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতায় বাধার বিষয়টি উত্থাপন করেন। চলতি চিন সফরে জয়শঙ্কর মঙ্গলবার বেজিংয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে তাঁকে অবহিতও করেন। তিনি তিয়ানজিনে এসসিও-র বিদেশমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দেন।

    এসসিও গঠনের কারণ

    এসসিও কাউন্সিলে জয়শঙ্কর বলেন, “এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই করার (PM Modi) জন্য। তাই এসসিওকে অবশ্যই তার মূল উদ্দেশ্যের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকতে হবে এবং এই চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থান নিতে হবে (China)।” তিনি জানান, চলতি বছর ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত জঙ্গি হামলা ছিল এই জাতীয় একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। এই হামলা ইচ্ছাকৃতভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এবং ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছিল। ভারতের বিদেশমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি বিবৃতি জারি করে এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে এবং এই নৃশংস সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা, সংগঠক এবং পৃষ্ঠপোষকদের জবাবদিহির আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছে।

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    এসসিও বর্তমানে ১০টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। এই দেশগুলি হল, চিন, রাশিয়া, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং বেলারুস। পাকিস্তানের তরফে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। জয়শঙ্কর বলেন, “এসসিও-র বৈঠক এমন একটা সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। কারণ বিগত কয়েক বছরে সংঘাত, প্রতিযোগিতা ও জোরজবরদস্তি বেড়ে গিয়েছে এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতাও বাড়ছে। আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করা, বিভিন্ন দিক থেকে ঝুঁকি হ্রাস করা এবং এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে সেই সব দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সমাধান করা যা আমাদের সমষ্টিগত স্বার্থের জন্য হুমকি স্বরূপ (China)।”

    ভারতের অবস্থান

    তিনি বলেন, “ভারত ভবিষ্যতেও এমন সব নতুন ধারণা ও প্রস্তাবকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করবে, যেগুলি (PM Modi) প্রকৃত অর্থেই সম্মিলিত কল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রস্তাবিত।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব এখন আরও মাল্টি পোলারিটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেবল জাতীয় ক্ষমতার পুনর্বণ্টনের দিক থেকেই নয়, বরং এসসিও-র মতো কার্যকর গোষ্ঠীগুলির উদ্ভবের দিক থেকেও।  বিশ্ব পরিস্থিতি গঠনে এই গোষ্ঠীর ভূমিকা নির্ভর করবে এই বিষয়ের ওপর আমরা সবাই কতটা একটি শেয়ার্ড অ্যাজেন্ডারপর একত্রিত হতে পারি, তার ওপর।” অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা সেই অনুযায়ীই কাজ করেছি এবং তা চালিয়ে যাব।”

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানের সঙ্গে চারদিনব্যাপী সংঘর্ষ শুরু হয়। ১০ মে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি হয় (PM Modi)। বর্তমানে পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য।

    জয়শঙ্করের সাফ কথা

    জয়শঙ্কর বলেন, “এসসিও-র মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর করতে হলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পারস্পরিক আদান-প্রদানের পরিমাণ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। আর এজন্য বর্তমান কিছু সমস্যার সমাধান অপরিহার্য।” তিনি বলেন, “এই সমস্যাগুলির একটি হল – এসসিও অঞ্চলের মধ্যে নির্ভরযোগ্য ট্রানজিটের অভাব (China)। এই অভাব অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে তোলে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহণ করিডোর (INSTC)-এর প্রসারে উদ্যোগী হওয়া (PM Modi)।”

  • Apache Helicopter: আগামী সপ্তাহেই ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ অ্যাপাচে হাতে পাচ্ছে ভারতীয় সেনা, মোতায়েন হবে পাক-সীমান্তে

    Apache Helicopter: আগামী সপ্তাহেই ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ অ্যাপাচে হাতে পাচ্ছে ভারতীয় সেনা, মোতায়েন হবে পাক-সীমান্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান! দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে মার্কিন অ্যাপাচে হেলিকপ্টার (Apache Helicopter)। সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক চললে, আগামী ২১ জুলাই ভারতে এসে পড়বে প্রথম দফার তিনটি ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’। দীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি দেরি এবং দু-দুবার সময়সীমা পার করার পর অবশেষে ভারতীয় সেনার অ্যাভিয়েশন কোরের হাতে আসতে চলেছে প্রথম ব্যাচের অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই অ্যাটাক হেলিকপ্টার (Apache AH-64E Attack Helicopter)। জানা গিয়েছে, ভারতীয় বায়ুসেনার হিন্ডন এয়ারবেসে প্রথমে অবতরণ করবে এই হেলিকপ্টারগুলি। পরে, সেগুলি মোতায়েন করা হবে রাজস্থানে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে।

    ভারতীয় সেনার অ্যাপাচে স্কোয়াড্রন তৈরি

    ২০২০ সালে ছ’টি ‘অ্যাপাচে’ হেলিকপ্টার কেনার জন্য আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ভারতের। মোট ৬০ কোটি ডলারের (৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা) বিনিময়ে এই লড়াকু হেলিকপ্টারগুলি কিনছে ভারত। এর জন্য রাজস্থানের যোধপুরে নতুন স্কোয়াড্রনও গঠন করে ভারতীয় সেনা। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে স্থলসেনার প্রথম অ্যাপাচে স্কোয়াড্রন গঠিত হয়। কথা ছিল ২০২৪ সালের মে-জুন মাসেই এই হেলিকপ্টারগুলি (Apache Helicopter) পেয়ে যাবে ভারত। কিন্তু তা হয়নি। পরে গত বছরের ডিসেম্বরে সেগুলি ভারতকে সরবরাহ করার কথা হয়। তা-ও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। এদিকে, গঠন হওয়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় পার হলেও, ওই স্কোয়াড্রনের হাতে কোনও অ্যাটাক হেলিকপ্টার না পৌঁছানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত। গত মাসে আমেরিকার প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। সেখানেই নিজেদের বিরক্তি প্রকাশ করে ভারত। অবশেষে ওই হেলিকপ্টারগুলি হাতে পেতে চলেছে ভারতীয় সেনা।

    ভারতীয় বায়ুসেনায় রয়েছে ২২টি অ্যাপাচে (Apache Helicopter)

    বর্তমানে, ধ্রুব এবং চেতকের মতো ইউটিলিটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আর্মি এভিয়েশন কোর। এছাড়া, তাদের হাতে রয়েছে, ডরনিয়ার ২২৮, ইউএভি এবং মি-১৭ হেলিকপ্টার। গত বছর অসমের মিসামারিতে দেশীয়ভাবে তৈরি হালকা কমব্যাট হেলিকপ্টার (এলসিএইচ) প্রচন্ডকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এবার আসছে আমেরিকার অ্যাপাচে। বস্তুত, ভারতীয় বায়ুসেনা অনেক আগে থেকেই অ্যাপাচে ব্যবহার করছে। তাদের হাতে ইতিমধ্যেই ২২টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টারের (Apache Helicopter) একটি বহর রয়েছে, যা পূর্ব এবং পশ্চিম উভয় ফ্রন্টেই মোতায়েন করা হয়েছে। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত হওয়া পৃথক একটি চুক্তিতে ওই হেলিকপ্টারগুলি কেনা হয়েছিল।

    ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ অ্যাপাচে

    অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই হেলিকপ্টারগুলি (Apache AH-64E Attack Helicopter) অত্যাধুনিক অস্ত্র ও নিশানাভেদী প্রযুক্তিতে সজ্জিত। বিশ্বে মোট ১৭টি দেশ এই কপ্টার ব্যবহার করে। এই হেলিকপ্টারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৮৪ কিলোমিটার। লেজার-চালিত হেলফায়ার (নরকের আগুন) ক্ষেপণাস্ত্র, ৭০ মিলিমিটার রকেট, ৩০ মিলিমিটার স্বয়ংক্রিয় কামান রয়েছে এই কপ্টারে। প্রয়োজনে মিনিটে ২৮০০ ফুট উচ্চতায় উঠে যেতে পারে আমেরিকায় তৈরি এই যুদ্ধ কপ্টার। এই কপ্টারের ডিজিটাল ককপিট রয়েছে। শত্রুপক্ষকে নিশানা করে অ্যাপাচে মিনিটে ১২৮টি গুলি ছুড়তে পারে। এতে হাইড্রো রকেট ছোড়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। এয়ার-টু-এয়ার স্ট্রিংগার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তেও সক্ষম অ্যাপাচে। এতে রয়েছে লং বো ফায়ার কন্ট্রোল রেডার। প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্ক ধ্বংসে এর জুড়ি মেলা ভার। তাই অ্যাপাচে হেলিকপ্টারগুলোকে ‘ট্যাঙ্ক কিলার’ নাম দেওয়া হয়েছে। প্রায় অভেদ্য বর্মের জন্য ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ হিসাবেও জানা যায় অ্যাপাচেকে। অ্যাপাচে আসায় এই কোরের ক্ষমতা আরও অনেকটা বাড়বে বলে আশা করছেন সেনা কর্তারা। এক আধিকারিকের কথায়, ‘অ্যাপাচের (Apache Helicopter) মতো অ্যাটাক হেলিকপ্টার যুদ্ধক্ষেত্রে গেমচেঞ্জার প্রমাণিত হতে পারে।’

  • PM Modi: ২১ জুলাই সংসদে শুরু বাদল অধিবেশন, মোদি সরকার পেশ করবে ৮টি বিল

    PM Modi: ২১ জুলাই সংসদে শুরু বাদল অধিবেশন, মোদি সরকার পেশ করবে ৮টি বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে ২১ জুলাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সরকার অধিবেশনে আয়কর বিলের জন্য সংসদের অনুমোদন চাইবে। আটটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে সুশাসন ব্যবস্থার (New Bills) মাধ্যমে খেলাধুলোয় নৈতিক অনুশীলন নিশ্চিত করার একটি বিল এবং ভূ-ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য আরও একটি বিল। মঙ্গলবার লোকসভার একটি অভ্যন্তরীণ বুলেটিনেই এ খবর জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে এই অধিবেশনে পেশ হবে মোট ১২টি বিল।

    বিলের অবস্থা (PM Modi)

    এর মধ্যে কয়েকটি বিল ইতিমধ্যেই সংসদে পেশ হয়েছে। কয়েকটি বিল এখনও সংসদীয় কমিটির বিবেচনাধীন রয়েছে। সেগুলি সরকার পক্ষের আইন প্রণয়নের কর্মসূচির অংশ হিসেবেই বাদল অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে। ২১ জুলাই শুরু হওয়া এই অধিবেশন শেষ হবে ২১ অগাস্ট। জানা গিয়েছে, এই অধিবেশনে সরকার মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য উভয় কক্ষের অনুমোদন চাইবে। উত্তর-পূর্বের ওই ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি। সংসদে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ‘ইমপিচমেন্ট মোশান’ও উঠতে পারে।

    জাতীয় ক্রীড়া প্রশাসন বিল, ২০২৫

    প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, “জিওহেরিটেজ সাইটস ও জিও-রেলিকস বিল, ২০২৫”-এর লক্ষ্য হল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ জিওহেরিটেজ সাইট ও জিও-রেলিকসগুলিকে ঘোষণা, সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি পরিকাঠামো দেওয়া যাতে করে ভূতাত্ত্বিক গবেষণা, শিক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পর্যটনের ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। এই অধিবেশনেই পেশ হবে জাতীয় ক্রীড়া প্রশাসন বিল, ২০২৫। এই বিলের উদ্দেশ্য হল, “ক্রীড়ার বিকাশ ও প্রচার, ক্রীড়াবিদদের কল্যাণমূলক ব্যবস্থাগুলির প্রসার, এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে নৈতিকতা রক্ষার জন্য সুশাসনের মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এছাড়া, বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন পরিচালনার জন্য এমন প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও বিধিসম্মত মানদণ্ড গঠন করা, যা অলিম্পিক ও ক্রীড়া আন্দোলনের নৈতিকতা, ন্যায্যতা ও সুশাসনের সর্বজনীন মৌলিক বিধিগুলির ওপর ভিত্তি করে গঠিত।

    বিল পেশের কারণ

    যেমন, অলিম্পিক চার্টার, প্যারালিম্পিক চার্টার, ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট প্র্যাকটিসেস, এবং এস্টাবলিশ লিগ্যাল স্ট্যান্ডার্ড। এছাড়াও, ক্রীড়া সংক্রান্ত অভিযোগ ও বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ন্যায্য ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা (New Bills) গঠন করাই এই বিলের অন্যতম লক্ষ্য।” জানা গিয়েছে (PM Modi), এই বিলটি শীঘ্রই সংসদে উপস্থাপন করা হবে। বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার ম্যানেজমেন্টকে নিয়ে সম্প্রতি কিছু বিতর্ক উঠেছে। উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগও। সেই প্রেক্ষাপটেই আনা হয়েছে এই বিল।কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুর পণ্য ও পরিষেবা কর (সংশোধন) বিল, ২০২৫-কে একটি অর্ডিন্যান্সের পরিবর্তে পাস করার জন্য তালিকাভুক্ত করেছে বলেও খবর। এই বিলের লক্ষ্য হল, কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে কোনও বিরোধ এড়ানো। সহজে যাতে ব্যবসা করার পরিবেশ তৈরি ও জীবনযাপন সহজতর করা যায় তাই সংশোধন আনা হবে “জন বিশ্বাস বিলে”।

    লোকসভা বুলেটিন

    লোকসভা বুলেটিন (New Bills) অনুযায়ী, “ভূ-ঐতিহ্য স্থান ও ভূ-অবশেষ (সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ) বিল, ২০২৫” অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্রহণ করা হবে। বুলেটিনে বলা হয়েছে, “এই বিলের উদ্দেশ্য হল ভূ-তাত্ত্বিক গবেষণা, শিক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পর্যটনকে উৎসাহিত করতে জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন ভূ-ঐতিহ্য স্থান ও ভূ-অবশেষগুলির ঘোষণার মাধ্যমে সেগুলিকে সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের আইন করা (PM Modi)।” সরকারের আরও পরিকল্পনা, “খনিজ ও খনি (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) সংশোধনী বিল, ২০২৫” এবং “জাতীয় অ্যান্টি-ডোপিং আইনে” আন্তর্জাতিক বেস্ট প্র্যাকটিসগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে সংশোধন আনার।

    আয়কর বিল, ২০২৫

    লোকসভার বুলেটিন অনুযায়ী, খনিজ সংক্রান্ত বিলটির উদ্দেশ্য হল – সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ খনিজের কার্যকর পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করা, গভীরে থাকা খনিজের বৈজ্ঞানিক ও সর্বোত্তম খনন নিশ্চিত করতে পার্শ্ববর্তী এলাকা লিজে অন্তর্ভুক্ত করা, জাতীয় খনিজ অনুসন্ধান ট্রাস্টের কাজের পরিসর বাড়ানো, এবং সেই খনিজের পুরানো মজুত যেগুলি ব্যবহারের উপযুক্ত নয়, সেগুলির বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ (New Bills) রাখা। সংসদের বাজেট অধিবেশনেই পেশ হয়েছিল আয়কর বিল, ২০২৫। এটি আয়কর আইন, ১৯৬১-এর ভাষা ও কাঠামো সহজতর করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই বিলটি বর্তমানে রয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটির পর্যালোচনার আওতায়। এই কমিটি বুধবার তাদের রিপোর্ট গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে। পর্যালোচনা শেষ হলে সরকার বাদল অধিবেশনেই বিলটি পাসের জন্য উপস্থাপন করতে পারবে।

    প্রসঙ্গত, প্রথমে ঠিক ছিল বাদল অধিবেশন চলবে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত। পরে সেটাই বাড়িয়ে করা (New Bills) হয় ২১ অগাস্ট পর্যন্ত। অর্থাৎ এবার অধিবেশনের মেয়াদ হবে পুরোপুরি এক মাস (PM Modi)।

  • Swarm Drone: অধিক-উচ্চতা থেকে হামলা! যৌথ উদ্যোগে সোয়ার্ম ড্রোন বানাচ্ছে পাক-চিন, রুখতে কী ভাবছে ভারত?

    Swarm Drone: অধিক-উচ্চতা থেকে হামলা! যৌথ উদ্যোগে সোয়ার্ম ড্রোন বানাচ্ছে পাক-চিন, রুখতে কী ভাবছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌমাছির মতো ঝাঁক বেঁধে আক্রমণ। কোনওটার গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক। কোনওটার কাজ আবার শুধুই গুপ্তচরবৃত্তি। এ রকম শয়ে শয়ে ড্রোন বানাচ্ছে চিন ও পাকিস্তান (China-Pakistan)। সূত্রের খবর, দুই দেশ যৌথভাবে অধিক-উচ্চতায় কার্যক্ষম আধুনিক সোয়ার্ম ড্রোন (Swarm Drone) বানাচ্ছে। যা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, এই ড্রোনগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এগুলো বিমান বিধ্বংসী অস্ত্রের নাগালের বাইরে কাজ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এল-৭০ বন্দুকের কার্যকর সীমা যেখানে প্রায় ৩,৫০০ মিটার, সেখানে এই ড্রোনগুলো ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ মিটার বা তারও উপরে উড়তে সক্ষম। এর ফলে ভারতকে স্বল্পমেয়াদী ও ব্যয়বহুল মিসাইল নির্ভর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপর নির্ভর করতে বাধ্য করা হবে, যেমন আকাশ, এমআরস্যাম, এবং এস-৪০০ সিস্টেম।

    কৌশলগত পরিকল্পনা

    অপারেশন সিঁদুরের পর গত ৮ এবং ৯ মে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাটের একাধিক জায়গায় ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়ে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় পাক সেনা। সঙ্গে সঙ্গেই সক্রিয় হয়ে ওঠে ভারতীয় সেনার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ফলে ড্রোনগুলিকে (Swarm Drone) চিহ্নিত করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। তাই এবার উচ্চ উচ্চতার ড্রোন বানানোর চেষ্টা চলছে। চিন-পাকিস্তান এই কৌশলগত উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো বিপুল সংখ্যক সস্তা, সমন্বিত ড্রোন দিয়ে ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ক্লান্ত করে ফেলা। একবার যদি ভারতের মিসাইল মজুদ শেষ হয়ে যায় তাহলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়বে। এরপর ক্রুজ মিসাইল এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে বড় আকারের হামলা চালানো হবে। এই পদ্ধতি ইতিহাসের সেই পুরনো যুদ্ধকৌশলকে মনে করিয়ে দেয়, যেখানে প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে প্রথমে কম দামের বা সহজলভ্য অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালানো হতো।

    চিনের ভূমিকা এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর

    চিন শুধু পাকিস্তানকে (China-Pakistan)  প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না, বরং অত্যাধুনিক ‘ড্রোন মাদারশিপ’ প্রযুক্তিও সরবরাহ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা একাধিক ড্রোন একসঙ্গে নিক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই গভীর সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ভারতের কৌশলগত পরিকল্পনাকে জটিল করে তুলছে, বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীর ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর অঞ্চলে।

    ভারতের উপর সম্ভাব্য প্রভাব

    অপারেশনাল চাপ: ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তিন স্তরের – বন্দুক, স্বল্প-পাল্লার মিসাইল এবং দীর্ঘ-পাল্লার মিসাইল। উচ্চ-উচ্চতায় উড়তে সক্ষম ড্রোনগুলো বন্দুক স্তরকে অকার্যকর করে ফেলবে, ফলে অধিক ব্যয়বহুল মিসাইল ব্যবহারের প্রয়োজন হবে।

    সম্পদের অপচয়: প্রথম পর্বে সস্তা ড্রোন ব্যবহারে ভারত তার মূল্যবান মিসাইল মজুদ খরচ করতে বাধ্য হবে। এর ফলে পরবর্তী বড় ধরনের হামলার সময় দেশের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও অসামরিক স্থাপনাগুলোকে প্রতিরক্ষাহীন করে তুলতে পারে ।

    কৌশলগত অস্থিরতা: দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক প্রেক্ষাপটে ড্রোন এবং মিসাইল প্রতিযোগিতা নিরাপত্তাজনিত অস্থিরতা বাড়াতে পারে । যেকোনো সময় পরিস্থিতির ভুল ব্যাখ্যা বা সংঘর্ষের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

    সোয়ার্ম ড্রোন কী

    প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, মূলত ঝাঁক বেঁধে হামলা চালানোয় সিদ্ধহস্ত সোয়ার্ম ড্রোন (Swarm Drone) পরিচালিত হয় কৃত্রিম মেধার (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই) দ্বারা। একসঙ্গে উড়লেও তাদের একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধার কোনও আশঙ্কা নেই। যে কোনও পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে এই সোয়ার্ম ড্রোন। এগুলিতে থাকে অ্যাক্সিলোমিটার, জাইরোস্কোপ, ম্যাগনেটোমিটার, ক্যামেরা এবং অত্যাধুনিক সেন্সর, যা আশপাশের এলাকা চিহ্নিতকরণ (পড়ুন নেভিগেট) এবং তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এই ঝাঁকে ছোট-বড় মিলিয়ে বিভিন্ন আকারের মানববিহীন উড়ুক্কু যান থাকতে পারে। সর্বাধিক ১০ হাজারের বেশি ড্রোনের ঝাঁক পাঠিয়ে হামলা চালানোর নজিরও পৃথিবীতে রয়েছে। সোয়ার্ম ড্রোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, ঝাঁকের মধ্যে পর পর এগুলির বেশ কয়েকটিকে ধ্বংস করলেও বাকিগুলি ঠিক কাজ করতে থাকে। ঐতিহ্যবাহী সামরিক সরঞ্জামের তুলনায় এগুলি বেশ সস্তা।

    প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পথে ভারত

    গত ৮ ও ৯ মে রাতে পাকিস্তানের (China-Pakistan) ড্রোন হামলা আটকাতে বেশ কয়েকটি হাতিয়ার ব্যবহার করেছে ভারতীয় ফৌজ। সূত্রের খবর, সেই তালিকায় রয়েছে রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এ ছাড়াও এল-৭০ বন্দুক, জু-২৩এমএম অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্‌ট বন্দুক এবং শিল্কা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ড্রোন আটকাতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্বল্প উচ্চতায় প্রতিপক্ষের ড্রোন, যুদ্ধবিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রকে গুলি করে নামানোর ক্ষেত্রে এল-৭০র জুড়ি মেলা ভার। এর নির্মাণকারী সংস্থা হল সুইডেনের বফোর্স। এটি প্রকৃতপক্ষে ৪০ এমএম ‘অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্‌ট’ বন্দুক। নিখুঁত ভাবে হামলা করার জন্য এই বন্দুকটিকে অত্যাধুনিক করেছে ভারতীয় সেনা। জু-২৩ এমএম হল সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমানে রাশিয়া) তৈরি ‘অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্‌ট’ বন্দুক। এর মারণক্ষমতা অনেক বেশি। খুব অল্প উচ্চতায় প্রতিপক্ষের কোনও ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এলেই সঙ্গে সঙ্গে তা চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে পারে এই হাতিয়ার। শিল্কার অপর নাম জেডএসইউ-২৩-৪। এটি একটি রেডার পরিচালিত ‘অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্‌ট’ বন্দুক। ড্রোন ধ্বংস করতে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলে সূত্র মারফত মিলেছে খবর। এ ছাড়াও পাক ড্রোন ওড়াতে ব্যবহার হয়েছে ‘আনম্যান্‌ড এরিয়াল সিস্টেম’। কিন্তু এবার তো চিনের সঙ্গে মিলে অধিক উচ্চতায় উড়তে পারে এমন সোয়ার্ম ড্রোন বানাচ্ছে পাকিস্তান। এই ড্রোন প্রতিরোধ করতে ভারতকে এখনই তার বিমান প্রতিরক্ষা কৌশল নতুনভাবে সাজাতে হবে, উন্নত ‘অ্যান্টি-ড্রোন’ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, এবং নিজস্ব ড্রোন যুদ্ধশক্তি জোরদার করতে হবে – যাতে আঞ্চলিক কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখা যায়।

  • Odisha Government: পুরীর জগন্নাথ ধামের আচার-অনুষ্ঠানের কপিরাইট নিতে চলেছে ওড়িশা সরকার! কেন জানেন?

    Odisha Government: পুরীর জগন্নাথ ধামের আচার-অনুষ্ঠানের কপিরাইট নিতে চলেছে ওড়িশা সরকার! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আচার-অনুষ্ঠান ও রীতিনীতি নিয়ে কপিরাইট নেওয়ার ভাবনা চিন্তা করছে ওড়িশা সরকার (Odisha Government)। বিষয়টি বর্তমানে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন স্বয়ং পুরীর সম্মানীয় রাজা ও জগন্নাথ মন্দির পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান গজপতি মহারাজ দিব্যসিংহ দেব। তাঁর বক্তব্য, মূল উদ্দেশ্য হল পুরীর (Puri Temple) ঐতিহ্যবাহী পুজো-পদ্ধতি ও আচার-অনুষ্ঠানকে নিরাপদ রাখা এবং তা যাতে বেহাত না হয়, তা নিশ্চিত করা। এখনই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন কেন দেখা দিল? সাধারণত কপিরাইট ব্যবহার করা হয় কোনও কিছুর নকল রোধ করতে। তাহলে কি পুরীর মন্দির বা তার ধর্মীয় রীতিনীতির নকল হওয়া শুরু হয়েছে? এখানেই দুটি বিতর্ক সামনে এসেছে (Odisha Government)। একটি দিঘার জগন্নাথ মন্দির। অপরটি রথযাত্রার নির্দিষ্ট দিনের বদলে বিদেশে অন্যদিনে ইসকনের রথযাত্রা পালন।

    দিঘার জগন্নাথ ধাম বিতর্ক

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মন্দিরের নাম তিনি ‘জগন্নাথ ধাম’ দেন। এতে তীব্র বিতর্ক ছড়ায়। সাধু-সন্ত থেকে আরম্ভ করে ধর্মবিশেষজ্ঞরা জানান যে, জগন্নাথ ধাম সারা পৃথিবীতে একটি আছে এবং তা পুরীতে। মমতা সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন পুরীর (Odisha Government) গোবর্ধন পীঠের শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী এবং জগন্নাথ ভক্তদের বড় অংশ।

    ইসকন বিতর্ক

    অন্যদিকে, ইসকনের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে যে, এই সংগঠন বিদেশে অন্য একটি তারিখে রথযাত্রা উৎসব আয়োজন করেছে, যা জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার সঙ্গে মেলেনি। এখানেই আপত্তি জানিয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং তারা এই ধরনের কাজকে ধর্মগ্রন্থ ও প্রাচীন ঐতিহ্যের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে (Odisha Government)।

    কী বললেন গজপতি মহারাজা দিব্যসিংহ দেব

    এ নিয়েই পুরীর রাজা এবং ভগবান জগন্নাথ দেবের প্রথম সেবক গজপতি মহারাজা দিব্যসিংহ দেব বলেন যে, ভারতে ইসকন জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা ও রথযাত্রার জন্য নির্ধারিত তারিখ মেনে চলতে সম্মত হয়েছে। আমরা মায়াপুরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আলোচনা এখনও চলছে। এই নিয়েই তিনি পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপের মায়াপুরের কথা বলেন। প্রসঙ্গত এই মায়াপুরই (Puri Temple) হল ইসকনের সদর দফতর, যা বিশ্বব্যাপী তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপনকে তত্ত্বাবধান করে (Odisha Government)।

  • India Energy: দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশই অজীবাশ্ম জ্বালানি থেকে! ‘ঐতিহাসিক’, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    India Energy: দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশই অজীবাশ্ম জ্বালানি থেকে! ‘ঐতিহাসিক’, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি ঘোষণা করেছেন যে, বর্তমামনে ভারত (India Energy) দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশ এখন আসছে অজীবাশ্ম জ্বালানির উৎস (non-fossil fuel) থেকে। প্রসঙ্গত, এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০৩০ সাল। তবে পাঁচ বছর আগেই, ২০২৫ সালেই ভারত এই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

    এই ঘটনাকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন মন্ত্রী

    এই উপলক্ষে নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি ঘটনাটিকে “ঐতিহাসিক” আখ্যা দেন এবং এর কৃতিত্ব দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দিয়েছেন। ২০২৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত, ভারতে মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ৪৮৪.৮ গিগাওয়াট, যার মধ্যে ২৪২.৮ গিগাওয়াট অজীবাশ্ম জ্বালানি উৎস (non-fossil fuel) থেকে আসে। এর মধ্যে ১৮৪.৬ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎস (সৌর, বায়ু, জৈব শক্তি প্রভৃতি) থেকে। ৪৯.২ গিগাওয়াট বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে, এবং ৮.৭ গিগাওয়াট পারমাণবিক শক্তি থেকে আসে।

    প্রধানমন্ত্রী কুসুম এবং পিএম সূর্য ঘর

    মন্ত্রী জানান, ভারতের বিদ্যুৎ (India Energy) খাতে অজীবাশ্ম জ্বালানির অংশ বৃদ্ধির পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নবায়নযোগ্য শক্তিনির্ভর কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে ‘প্রধানমন্ত্রী কুসুম’ (PM-KUSUM) এবং ‘পিএম সূর্য ঘর’ (PM Surya Ghar) প্রকল্পগুলির মাধ্যমে দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রামীণ পরিবার এবং কৃষকদের জন্য সৌরশক্তি সহজলভ্য হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন তাঁদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগও তৈরি হয়েছে। কৃষকদের ক্ষেত্রেও সৌর পাম্পের ব্যবহার যেমন সেচ খরচ কমিয়েছে, তেমনই নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ তাদের উৎপাদনশীলতাও বাড়িয়েছে। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন নয়, গ্রামীণ ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়ন—উভয়ই সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। এর পাশাপাশি সৌর পার্ক, জৈব শক্তি এবং ভবিষ্যতে কৃত্রিম মেধা (AI)-র প্রয়োগ জ্বালানির পরিকাঠামোতেও গভীর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ইন্টেলিজেন্ট এনার্জি মার্কেটপ্লেস, স্মার্ট মিটার, এবং ডিমান্ড সাইড ম্যানেজমেন্ট সম্ভব হচ্ছে। তবে, প্রহ্লাদ জোশি সতর্ক করে দিয়েছেন, এ সব কিছুর মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে (India Energy) সাইবার নিরাপত্তাকে। কারণ ভবিষ্যতের জ্বালানি ব্যবস্থার ডিজিটাল নির্ভরতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়বে।

  • Manipur: মণিপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ১৬ জঙ্গি, উদ্ধার ৮৬টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র

    Manipur: মণিপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ১৬ জঙ্গি, উদ্ধার ৮৬টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) সেনাবাহিনী, রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের মোট ১৬ জন কট্টরপন্থী জঙ্গিকে। জানা গিয়েছে, অভিযান চলাকালীন উদ্ধার করা হয়েছে ৮৬টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, ১১টি আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস), প্রচুর গুলি এবং যুদ্ধসামগ্রী। এই অভিযানগুলি চালানো হয়েছে মণিপুরের পাঁচটি জেলাজুড়ে— কাংপোকপি, বিষ্ণুপুর, তেঙ্গনৌপাল, ইম্ফল পূর্ব ও পশ্চিমে। কাংপোকপির পাহাড়ি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ইনসাস রাইফেল, পয়েন্ট ৩০৩, বোল্ট অ্যাকশন, পুল মেক ও একাধিক ইম্প্রোভাইজড মর্টার (Manipur News)।

    ধৃত জঙ্গিরা কোন সংগঠনের সদস্য (Manipur)

    এই অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে ছিল সেনাবাহিনীর ‘স্পিয়ার কর্পস’ এবং অসম রাইফেলস, সহযোগিতা করেছে মণিপুর (Manipur News) পুলিশ, সিআরপিএফ, বিএসএফ ও আইটিবিপি। বিস্ফোরক শনাক্তকরণে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষিত সেনা কুকুর। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিষ্ণুপুর, থৌবল এবং ইম্ফল পশ্চিম জেলায় আরও ছয় জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে মণিপুর পুলিশ। ধৃতরা কেওয়াইকেএল, কেসিপি ও পিএলএ-র সক্রিয় সদস্য। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র, মোবাইল ফোন, আধার কার্ড, দুই চাকার গাড়ি ও নানান গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। সবকিছু হস্তান্তর করা হয়েছে পুলিশের হাতে।

    গুজব থেকে দূরে থাকতে বলল প্রশাসন

    পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জঙ্গিরা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মীদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায়ে যুক্ত ছিল এবং সংগঠনে নতুন সদস্য নিয়োগেও ভূমিকা রাখছিল। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান এবং এলাকা নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। পাশাপাশি, নাগরিকদের (Manipur) উদ্দেশে পুলিশ বার্তা দিয়েছে— যেন কেউ ভুয়ো ভিডিও বা গুজবে বিশ্বাস না করেন। কোনও অডিও-ভিডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। সামাজিক মাধ্যমে ভুয়ো পোস্ট ছড়ানোর ঘটনা বেড়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে, এবং এমন কাজের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। জনগণকে আহ্বান জানানো হয়েছে, কারও কাছে লুন্ঠিত অস্ত্র বা বিস্ফোরক থাকলে তা দ্রুত স্থানীয় থানায় অথবা নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে জমা দিতে (Manipur)।

  • Bihar Poll 2025: বিহারের ভোটের তালিকায় নেপালি-বাংলাদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’! বাদ লক্ষ নাম, চিন্তিত মমতা?

    Bihar Poll 2025: বিহারের ভোটের তালিকায় নেপালি-বাংলাদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’! বাদ লক্ষ নাম, চিন্তিত মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটমুখী বিহারে (Bihar Poll 2025) চলছে ভোটার তালিকা সংশোধন (Special Intensive Revision of voter list)। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী- সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ ভোটার রিভিউ ফর্ম পূরণ করেছেন। যা মোট ভোটারের ৮৮.১৮ শতাংশ। ২৫ জুলাই পর্যন্ত ফর্ম পূরণের সময় রয়েছে। প্রাথমিকভাবে খবর, বিহারের (Bihar) বর্তমান ভোটার তালিকা থেকে ৩৯ লাখ ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে। তারা ভারতীয় নন বলে কমিশনের বুথ লেভেল অফিসারের চিহ্নিত করেছে। এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন। কেন? আসলে কী ভয়। এ রাজ্যে বিরোধীদের সঙ্গে শাসক দলের ভোটের ফারাক খানিকটা ওরকমই। তাই কী ভয় পাচ্ছেন মমতা?

    ভোটার তালিকায় বিদেশিরা

    এই বছরের অক্টোবর বা নভেম্বরে বিহারে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। তারই প্রস্তুতিতে এখন তৎপর নির্বাচন কমিশন। ভোটার (Bihar Poll 2025) তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে জোরকদমে। সেই প্রক্রিয়াতেই উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভোটার তালিকায় নেপাল, বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে আগত বিপুল সংখ্যক মানুষের নাম রয়েছে বলে দাবি নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকার পর্যালোচনার অংশ হিসেবে বুথ স্তরের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনে যাচ্ছেন। তাতেই তাঁদের নজরে আসে ভোটার তালিকায় এই ‘বিদেশি’ অভিবাসীদের উপস্থিতি। কমিশনের মতে, এঁদের মধ্যে কেউই ভারতে ভোটাধিকার পাওয়ার যোগ্য নন। সূত্রের খবর, ১ অগাস্টের পর থেকে কমিশন এই তালিকায় থাকা সন্দেহভাজন নামগুলি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চালাবে। সেই অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ৩০ সেপ্টেম্বর যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে, তাতে এ ধরনের ‘অবৈধ’ ভোটারদের নাম আর থাকবে না বলেই জানানো হয়েছে।

    স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের উদ্দেশ্য

    বিহারের (Bihar Poll 2025) ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ২০০৩-এর ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের সমস্যা নেই। কিন্তু বাকিদের মধ্যে যাঁদের জন্ম ১৯৮৭ সালের আগে, তাঁদের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। তাঁরা গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকলেও ছাড় নেই। ১৯৮৭ থেকে ২০০৪-এর মধ্যে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের নিজেদের এবং বাবা-মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। ২০০৪-এর পরে জন্ম হলে নিজের ও বাবা-মায়ের দু’জনেরই জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। কমিশন সূত্রের খবর, এই ভুয়ো ভোটার বাছতে গিয়েই ভূরি ভূরি বিদেশি ভোটারের হদিশ মিলছে। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশ বা নেপালের বাসিন্দা। কেউ কেউ রয়েছেন মায়ানমারের। সংখ্যাটা সঠিকভাবে জানানো না হলেও সেটা চমকে দেওয়ার মতো। কমিশন সূত্রের খবর, এই ধরনের ভোটারদের নাম আগামী সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হতে চলে ভোটার তালিকায় রাখা হবে না। ওই ভোটার তালিকায় শুধু ভারতীয়দের নাম থাকবে। সেটাই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের উদ্দেশ্য।

    সারা দেশে হবে ভোটার তালিকা সংশোধন

    এই পদক্ষেপ শুধু বিহারেই (Bihar Poll 2025) সীমাবদ্ধ থাকবে না, নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সারা দেশে ভোটার তালিকা পর্যালোচনার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এমনই কড়া নজরদারি চালানো হবে। সন্দেহজনক ভোটারদের জন্মস্থান যাচাই করে, প্রয়োজনে তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার দিকেই এগোবে কমিশন। বাংলায় আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে ভোটার তালিকা থেকে এই বিপুল সংখ্যক ভোট বাদ পড়লে সমস্যায় পড়বে মমতা সরকার। টলমল করবে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। তাই কী ভীত মমতা? তাই কী এই পদক্ষেপের বিপক্ষে সুপ্রিম দুয়ারে কড়া নাড়ছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

    ৮০ শতাংশ ভোটার ফর্ম জমা দিয়েছেন

    এদিকে বিহারে (Bihar Poll 2025) ২৫ জুলাইয়ের মধ্যেই ভোটার তথ্য যাচাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কমিশনের দাবি, ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার ফর্ম জমা দিয়েছেন। এরই মাঝে, সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির সময় আধার কার্ড, ভোটার আইডি এবং রেশন কার্ড এই তিনটি নথিকে গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। পাশাপাশি আদালত এটাও খতিয়ে দেখবে যে, তালিকা সংশোধনের নামে আদৌ কোনও নাগরিক তাঁর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কিনা। এই পরিস্থিতিতে বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার তালিকা সংশোধন এখন রাজনীতির অন্যতম স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

  • DGCA: ডিজিসিএ-র কড়া পদক্ষেপ, সব বোয়িং বিমানের জ্বালানি সুইচ পরীক্ষা করতে বিমান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ

    DGCA: ডিজিসিএ-র কড়া পদক্ষেপ, সব বোয়িং বিমানের জ্বালানি সুইচ পরীক্ষা করতে বিমান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিসিএ (DGCA) বোয়িং এবং ম্যাকডোনাল্ড ডগলাস নির্মিত নির্দিষ্ট বিমান মডেলগুলোর জন্য একটি জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে। বোয়িং ৭১৭, ৭৩৭, ৭৪৭, ৭৫৭, ৭৬৭, ৭৮৭ এবং এমডি-১১ ও এমডি-৯০ মডেলগুলোতে ব্যবহৃত জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচের লকিং মেকানিজম ২১ জুলাইয়ের মধ্যে পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা এই পরীক্ষা শুরু করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৮ সালে মার্কিন FAA এসব বিমানের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচে সমস্যা থাকার সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্ক করেছিল।

    আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা (DGCA)

    গত মাসের ১২ তারিখে আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ানে কিছুক্ষণ পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং বিমান একটি মেডিক্যাল কলেজ ভবনের উপর ভেঙে পড়ে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিসহ বিমানে থাকা ২৬০ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন। দুর্ঘটনার ফলে বিমানে আগুন ধরে যায় এবং অধিকাংশ দেহ এতটাই পুড়ে যায় যে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকারী দল মেডিক্যাল কলেজ ভবনের ছাদ থেকে বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য—বিমানের দুটি ইঞ্জিনে আচমকাই জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে বোয়িং নির্মিত বিমানগুলোর প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

    ককপিটের ভয়েস রেকর্ডারে থাকা কথোপথন

    ককপিটের ভয়েস রেকর্ডারে এক পাইলটকে (DGCA) আরেকজনকে প্রশ্ন করতে শোনা যায়, “কেন জ্বালানি বন্ধ করলেন?” — যার জবাবে বলা হয়, “আমি বন্ধ করিনি।” এই কথোপকথনের পরপরই পাইলট “মে ডে, মে ডে” বলে কন্ট্রোল টাওয়ারে জরুরি বার্তা পাঠান, তবে উত্তর আসার আগেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতীয় বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) বোয়িং বিমান পরিচালনায় (Boeing Aircrafts) নিযুক্ত সকল এয়ারলাইনকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে বিমানের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচের লকিং ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ জারি করেছে।

  • President Murmu: তিনজন নয়া রাজ্যপাল-উপরাজ্যপাল নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি

    President Murmu: তিনজন নয়া রাজ্যপাল-উপরাজ্যপাল নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনজন নয়া রাজ্যপাল ও উপরাজ্যপাল নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Murmu)। ১৪ জুলাই, সোমবার নিয়োগ করা হয় তাঁদের। এঁদের মধ্যে বাংলা থেকে রয়েছেন একজন। তিনি প্রাক্তন অধ্যাপক আসীম কুমার ঘোষ (Prof Ghosh)। তাঁকে দেওয়া হয়েছে হরিয়ানার রাজ্যপালের দায়িত্ব। গোয়ার রাজ্যপাল পদে নিয়োগ করা হয়েছে পুসাপতি অশোক গজপতি রাজুকে। আর লাদাখের উপরাজ্যপাল করা হয়েছে কবিন্দর গুপ্তকে। হরিয়ানার বর্তমান রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়র জায়গায় যাচ্ছেন অসীম। ২০২১ সাল থেকে হরিয়ানার রাজ্যপাল রয়েছেন দত্তাত্রেয়। গোয়ার রাজ্যপাল রয়েছেন পিএস শ্রীধরন পিল্লাই। তাঁর জায়গায় বসানো হচ্ছে পুসাপতি অশোক গজপতি রাজুকে।

    অসীম কুমার ঘোষ (President Murmu)

    প্রাক্তন অধ্যাপক অসীম কুমার ঘোষ পশ্চিমবঙ্গের একজন প্রবীণ বিজেপি নেতা। শিক্ষাবিদ হিসেবেও তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার পর তিনি দীর্ঘ সময় ধরে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। পরে যোগ দেন রাজনীতিতে। নানা সময়ে তিনি অলঙ্কৃত করেছেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক, রাজ্য সভাপতি ও সহ-সভাপতি এবং ত্রিপুরার পর্যবেক্ষকের পদ। সাম্প্রতিক কালে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন তিনি। তবে সাংগঠনিক কর্মসূচিতে প্রবীণ চিন্তক হিসেবে জায়গা পেতেন তিনি। এহেন এক শিক্ষাবিদকেই বসানো হল হরিয়ানার রাজ্যপাল পদে (President Murmu)।

    অশোক গজপতি রাজু

    পুসাপতি অশোক গজপতি রাজু টিডিপির একজন প্রবীণ নেতা। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগরম রাজ পরিবারের সদস্য। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী। অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে টিডিপি এনডিএ সঙ্গ ছাড়লে পদত্যাগ করেন রাজু। তিনি বিজয়নগরম থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন সাতবার।

    কবিন্দর গুপ্ত

    প্রবীণ বিজেপি নেতা কবিন্দর গুপ্তকে দেওয়া হল লাদাখের উপরাজ্যপালের পদ। ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে পরপর তিনবার জম্মুর মেয়র হয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। প্রবীণ এই বিজেপি নেতা ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের শেষ উপমুখ্যমন্ত্রী। এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে (Prof Ghosh) জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। সেই লাদাখেরই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তাঁকে (President Murmu)।

LinkedIn
Share