Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Pahalgam Terror Attack: নিরীহ হিন্দু নাগরিকদের বেছে বেছে নিশানা! গত আড়াই দশকে বার বার ইসলামিক সন্ত্রাসের শিকার কাশ্মীর

    Pahalgam Terror Attack: নিরীহ হিন্দু নাগরিকদের বেছে বেছে নিশানা! গত আড়াই দশকে বার বার ইসলামিক সন্ত্রাসের শিকার কাশ্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কাশ্মীরী পণ্ডিতোঁ, কাশ্মীর ছোড়ো”  ভূস্বর্গ কাশ্মীরে সন্ত্রাসের একটাই ধর্ম, সন্ত্রাসীদের একটাই ধর্ম। ইসলামিক সন্ত্রাসীদের একটাই স্বর “জেহাদি হও, না হয় মরো, নইলে কাশ্মীর ছাড়ো।” কখনও এলোপাথাড়ি গুলি, কখনও গ্রেনেড, আবার কখনও গাড়িবোমা! শুধু পহেলগাঁও নয়, গত ২৫ বছরে বারবার রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ (Jammu Kashmir)। মঙ্গলবার ফের এক ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার সাক্ষী থাকল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও (Pahalgam Terror Attack)। যেখানে সবুজে ঘেরা বৈসরণ উপত্যকায় সাধারণ পর্যটকদের লক্ষ্য করে নির্দ্বিধায় এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করল জঙ্গিরা৷ বেছে বেছে নিশানা করা হল নিরীহ হিন্দু নাগরিকদের৷ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।

    গত সিকি শতকে বারবার রক্তাক্ত ভূস্বর্গ

    কাশ্মীর (Jammu Kashmir) উপত্যকায় বারবার সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছেন হিন্দু তথা অমুসলিমরা। সাধারণ মানুষ, তীর্থযাত্রী, নিরাপত্তা কর্মী, শ্রমিক—সবাইকে একত্রে ক্ষতবিক্ষত করেছে ইসলামিক জঙ্গিরা। গত দুই দশকের নৃশংস হামলাগুলো প্রমাণ করে, এই সহিংসতার প্রকৃতি নিছক নিষ্ঠুরতা, ভয় দেখানো, আতঙ্ক সৃষ্টি।

    শিখদের উপর হামলা

    ২০০০ সালের ২১ মার্চ, অনন্তনাগের ছত্তিসিংপোড়া গ্রামে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। হামলা চালানো হয় সংখ্যালঘু শিখদের উপর। মারা যান ৩৬ জন মানুষ। ওই বছরের অগাস্টে নুনওয়ান বেসক্যাম্পের কাছে হামলা হয়। ঘটনায় ২৪ জন অমরনাথ তীর্থযাত্রী সহ মোট ৩২ জন মারা যান।

    বিধানসভা ভবনে আত্মঘাতী হামলা

    ২০০১ সালের ১ অক্টোবর, শ্রীনগরে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir) রাজ্য বিধানসভা ভবনে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারান ৩৬ জন, যার মধ্যে ছিলেন নিরাপত্তা কর্মী এবং নিরীহ সাধারণ নাগরিক। রাজনৈতিক পরিকাঠামোর কেন্দ্রবিন্দুকে লক্ষ্য করে এই হামলা ছিল নজিরবিহীন। ওই বছরই অনন্তনাগের শেশনাগ বেসক্যাম্পে ফের অমরনাথ যাত্রীদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এবার প্রাণ হারান ১৩জন।

    অমরনাথ যাত্রীদের উপর হামলা

    এর ঠিক এক বছর পরে, ২০০২ সালে, চন্দনওয়ারি বেস ক্যাম্পে অমরনাথ যাত্রার সময় এক জঙ্গি হামলায় নিহত হন ১১ জন তীর্থযাত্রী। ধর্মীয় আস্থার জায়গাকেও রেহাই দেয়নি জঙ্গিরা। ২০০২ সালেরই ২৩ নভেম্বর, দক্ষিণ কাশ্মীরের লোয়ার মুন্ডায় জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে একটি শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণে প্রাণ যায় ১৯ জনের। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ৯ জন নিরাপত্তা কর্মী, ৩ জন নারী ও ২ জন শিশু।

    কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হামলা

    ২০০৩ সালের মার্চ মাসে পুলওয়ামার নন্দিমার্গ গ্রামে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের বর্বর হামলায় নিহত হন ২৪ জন কাশ্মীরি পণ্ডিত, যাদের মধ্যে ১১ জন নারী ও ২ জন শিশু ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ড কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের উপত্যকা ছাড়ার প্রক্রিয়াকে আরও গতি দেয়।

    পুলওয়ামার এক জনবহুল বাজারে হামলা

    ২০০৫ সালের ১৩ জুন পুলওয়ামার এক জনবহুল বাজারে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি বিস্ফোরিত হলে প্রাণ যায় ১৩ জনের। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ২ জন স্কুল পড়ুয়া ও ৩ জন সিআরপিএফ জওয়ান। আহত হন ১০০-র বেশি মানুষ।

    পর্যটক বোঝাই বাসে হামলা

    ২০০৬ সালের ২৬ মে, শ্রীনগরের উপকণ্ঠে জাকুরার বাটাপোরা এলাকায় সন্ত্রাসীবাদীরা একটি পর্যটক বোঝাই বাসে গ্রেনেড ছুড়লে চার জন পর্যটক নিহত এবং ছ’জন আহত হয়েছিলেন। নিহতেরা ছিলেন গুজরাটের বাসিন্দা। ঘটনাচক্রে, সে সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সে বছরেরই ১১ জুলাই শ্রীনগরেরই লালচকে পর্যটক বোঝাই বাসে ফের গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন এক জন। সে দিন শ্রীনগরের বিভিন্ন প্রান্তে পাঁচটি হামলায় মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০৬ সালেরই জুনে কুলগামে ৯ জন বিহারী ও নেপালি শ্রমিককে হত্যা করে জঙ্গিরা, স্পষ্ট করে দেয়, এই সন্ত্রাস কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং সমাজ-অর্থনীতিক কাঠামোকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা।

    মানবিকতা নেই, নেই কোনও ধর্মীয় বোধ

    ২০১৭ সালের ১০ জুলাই, কুলগামে ফের অমরনাথ যাত্রার বাসে হামলা হয়। নিহত হন ৮ জন তীর্থযাত্রী। দক্ষিণ কাশ্মীরের বোয়েতাং অঞ্চলে ঘটে এই ঘটনা। বছর গড়ালেও হুমকি কাটেনি। বারবার রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ (Jammu Kashmir)। ভিনরাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকেরা খুন হয়েছেন হামেশাই। অমরনাথ, বৈষ্ণোদেবী বা অন্যান্য ধর্মস্থানে আগত পুণ্যার্থীরাও বার বার হামলার শিকার হয়েছেন। প্রায় দু’দশকের ব্যবধানে কাশ্মীর উপত্যকার ফের মঙ্গলবার এত বড় হামলার (Pahalgam Terror Attack) শিকার হলেন পর্যটকেরা। এই ধারাবাহিক হামলাগুলোর দিকে তাকালে স্পষ্ট হয়, সন্ত্রাসবাদের কোনও মানবিকতা নেই, নেই কোনও ধর্মীয় বোধ। ধর্মের নামে যারা হত্যা চালায়, তারা মানবতা থেকেই বিচ্যুত। তারা কাশ্মীরের ভালো চায় না। কাশ্মীরীদের রুজি-রুটি পর্যটন সেখানেই ধাক্কা দিল জঙ্গিরা। আসলে সন্ত্রাসের লক্ষ্যই হল জন্নত-এ-কাশ্মীরকে জাহান্নামে পরিণত করা।

  • Jammu And Kashmir: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা, “জঙ্গিদের রেয়াত করা হবে না,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Jammu And Kashmir: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা, “জঙ্গিদের রেয়াত করা হবে না,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পর্যটকদের ওপর হামলা চালাল জঙ্গিরা (Terrorist Attack)। মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর হামলা চালানো হয়। পর্যটকদের ভিড়েই মিশেছিল জঙ্গিরা। আচমকাই তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০ জনের। জখম পর্যটকদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।

    ট্রেকিংয়ের সময় হামলা (Jammu And Kashmir)

    এদিন বেশ কয়েকজন পর্যটক ট্রেকিং করছিলেন। সেই সময় হামলা চালানো হয় তাঁদের ওপর। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সেনা ও পুলিশ। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, জখম পর্যটকদের মধ্যে তিনজন স্থানীয় বাকি তিনজন রাজস্থানের বাসিন্দা। জম্মু-কাশ্মীরের আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলগুলির মধ্যে পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় পহেলগাঁও। ফি বছর প্রচুর পর্যটক বেড়াতে আসেন এখানে। এদিন সেরকমই এক পর্যটক দলকে নিশানা করে জঙ্গিরা। বর্তমানে সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর পেয়ে তিনি ফোন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। নেন ভূস্বর্গের সামগ্রিক পরিস্থিতির খবর। প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে দ্রুত কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন শাহ।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া

    এদিকে, ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন (Jammu And Kashmir) প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “এই জঘন্য অপরাধের পিছনে যারা রয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। যাঁরা আপনজনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুন, এই প্রার্থনা করি। আক্রান্তদের সব রকমের সাহায্য করা হচ্ছে।” তিনি লেখেন, “এই নারকীয় ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের রেয়াত করা হবে না। তাদের অসৎ উদ্দেশ্য কখনওই সফল হবে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অটল প্রতিজ্ঞা অটুট, বরং আরও দৃঢ় হবে।”

    পর্যটকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “পর্যটকদের ওপর এই ধরনের হামলা নিন্দনীয়। এই ঘটনা বর্বরোচিত। হামলাকারীরা পশুর সমান, নির্মম, ঘৃণার যোগ্য। তাদের জন্য কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি।” তিনি বলেন, “মৃতের সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পরিষ্কার হলে সরকারিভাবে জানানো হবে। সম্প্রতি বছরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যেসব হামলা হয়েছে, তার মধ্যে এটিই সব চেয়ে বড় (Terrorist Attack)।” ঘটনার নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও।

  • Alphabet: ভিয়েতনাম থেকে ভারতে পিক্সেল উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে অ্যালফাবেট!

    Alphabet: ভিয়েতনাম থেকে ভারতে পিক্সেল উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে অ্যালফাবেট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট (Alphabet) তাদের পিক্সেল (Pixel Production) স্মার্টফোন উৎপাদনের একটি বড় অংশ ভিয়েতনাম থেকে ভারতে সরিয়ে নিয়ে আসছে। এজন্য তারা চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ডিক্সন টেকনোলজিস ও ফক্সকনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বলেও খবর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই পদক্ষেপটি অ্যালফাবেটের সরবরাহ শৃঙ্খল ডাইভার্সিফাই করার পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার ঝুঁকি কমানোর বৃহত্তর কৌশলেরও অংশ। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি পিক্সেল স্মার্টফোনের বর্তমান প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র ভিয়েতনাম থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর ৪৬ শতাংশ শুল্কের প্রস্তাব করেছে। ভারতের ক্ষেত্রে এই হার মাত্রই ২৬ শতাংশ। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই নতুন শুল্ক হার ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রেখেছেন, তবে বেসলাইন ১০ শতাংশ শুল্ক এখনও কার্যকর রয়েছে।

    পিক্সেল স্মার্টফোন (Alphabet)

    বর্তমানে ভারতে তৈরি পিক্সেল স্মার্টফোনগুলি মূলত দেশীয় বাজারের জন্য তৈরি, যেখানে আমদানি শুল্ক ১৬.৫ শতাংশ। ডিভাইসগুলি নয়ডার ডিক্সন এবং তামিলনাড়ুর ফক্সকন দ্বারা একত্রিত করা হয়। এখানে ডিক্সন নতুন মডেল তৈরি করে এবং ফক্সকন পুরানো মডেলগুলি তৈরি করে (Pixel Production)। ভারতে তৈরি পিক্সেলের প্রায় ৭০ শতাংশই ডিক্সনে তৈরি হয়। ফক্সকনই প্রথম ২০২৩ সালের অগাস্টে এখানে উৎপাদন শুরু করে। তাইওয়ানের কম্পাল ইলেকট্রনিক্সের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ডিসেম্বরে ডিক্সন এই প্রচেষ্টায় যোগ দেন (Alphabet)।

    ভারতে স্থানান্তরের পরিকল্পনা

    সূত্রের খবর, অ্যালফাবেট প্রাথমিকভাবে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পিক্সেল উৎপাদন ধীরে ধীরে ভারতে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সম্ভাব্য মার্কিন-ভিয়েতনাম শুল্ক ব্যবস্থার কারণে কোম্পানিটি তার কৌশল দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হয়েছে। সংস্থাটি এখন ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং অন্যান্য দেশেও সম্ভাব্য চালান অনুসন্ধান করছে।

    এই অগ্রগতি নয়াদিল্লির বৈশ্বিক ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও কাজ করছে, যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমান ১৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা (Pixel Production)।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্ট্যাটকাউন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গুগলের পিক্সেল স্মার্টফোনের বাজার শেয়ার সাম্প্রতিক লঞ্চের পর প্রায় ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে। ভারতে প্রিমিয়াম মূল্য নীতির কারণে এই ব্র্যান্ডটি এখনও একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ। যদিও অফলাইন রিটেল চ্যানেলে প্রবেশের পর থেকে কিছুটা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে (Alphabet)।

  • Battle of Jalalabad Hill: জালালাবাদ যুদ্ধ, ২২শে এপ্রিল ১৯৩০! পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মাইলফলক

    Battle of Jalalabad Hill: জালালাবাদ যুদ্ধ, ২২শে এপ্রিল ১৯৩০! পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মাইলফলক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে মাস্টারদার (Masterda Surya Sen) সঙ্গী ছিল চারটি বই। গীতা, চণ্ডী, মহাভারত আর রবীন্দ্রনাথের ‘চয়নিকা’। গীতাই মৃত্যুভয় দূর করতে সাহায্য করেছিল মাস্টারদা-সূর্য সেনকে। মহান বিপ্লবী এক চিঠিতে লিখেছেন, ‘গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলছেন, মানুষ যেমন জীর্ণবস্ত্র পরিত্যাগ করে নূতন বস্ত্র গ্রহণ করে, সেরূপ আত্মা জীর্ণ শরীর ত্যাগ করে অন্য নূতন দেহ ধারণ করে। কবি বলছেন, মরণ রে, তুঁহু মম শ্যাম সমান। মানুষ এত সুন্দর লেখা পড়েও উপলব্ধি করতে পারে না বলেই কি মৃত্যুকে ভয়ের জিনিস বলে মনে করে?’ এই মৃত্যুভয়কে চুচ্ছ করেই দেশ সেবায় ব্রতী হয়েছিলেন মাস্টারদা। ১৯৩০ সালের ২২ এপ্রিল, চট্টগ্রাম জালালাবাদ পাহাড়ে (Battle of Jalalabad Hill) মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বেই বিপ্লবী এবং ব্রিটিশ সৈন্যদের মধ্যে এক অসম যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিপ্লবীরা লড়াই করে, পরাজিত হলেও। পরাধীন ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে এর গুরুত্ব অপরিসীম।

    ২২শে এপ্রিল ১৯৩০: জালালাবাদ যুদ্ধ

    ২২শে এপ্রিল ১৯৩০। জালালাবাদ যুদ্ধ (Battle of Jalalabad Hill) । মাস্টারদা পুরো দলবলসহ এসে পৌঁছলেন জালালাবাদ পাহাড়ের নিচে। সিদ্ধান্ত হল পাহাড়ে চড়ার। ওইদিন সবাই যখন ভোরবেলা মাস্টারদার নেতৃত্বে পাহাড়ে চড়েছেন সেইদিন বিকেল চারটের সময় চট্টগ্রাম নাজিরহাট শাখা রেল লাইনের ‘ঝরঝরিয়া বটতলা’ মসজিদের পাশে এসে থামল একটি ট্রেন। রেলগাড়ি থেকে নেমে এল ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস ও সুর্মা ভ্যালি লাইট ইনফ্যান্ট্রির সশস্ত্র সেনাবাহিনীর দল। তারা রওনা হল জালালাবাদ পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। পাহাড়ের দুদিকে অন্য দুটো উঁচু পাহাড়ের মাথায় বসানো হল মেশিনগান।ইতিমধ্যে বিপ্লবী লোকনাথ বলের নির্দেশে আটভাগে বিপ্লবীদের বাহিনীকে পাহাড়ের চারপাশে সাজানো হল। এইদিকে পাহাড় বেয়ে উঠে আসছে ব্রিটিশ সেনার দল। নিঃশ্বাস চেপে তরুণ বিপ্লবী দল অপেক্ষা করছে নেতৃত্বের নির্দেশের। ওপর থেকে গাছের আড়ালে থেকে লড়াইয়ের যে সুবিধা আছে তার পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করল ‘অনুশীলন এবং যুগান্তরের’ সমন্বয়ে গঠিত ইন্ডিয়ান রিপাবলিক আর্মি’র তরুণ যোদ্ধারা। পাহাড়ের কোলে একে একে লুটিয়ে পড়ল ব্রিটিশ সেনা।

    যদি প্রাণ থাকে, যদি বাঁচানো যায়

    কিন্তু অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কাছে বেশিক্ষণ মনের জোরে লড়াই চালাতে পারলেন না বিপ্লবীরা। সেনার গুলিতে প্রাণ হারালেন লোকনাথ বলের অনুজ হরিগোপাল বল ওরফে টেগরা। দুদিকের পাহাড় থেকে বৃষ্টিধারার মতো মেশিনগানের গুলি ছুটে আসছে। একে একে মৃত্যুবরণ করলেন ১২ জন বিপ্লবী হরিগোপাল বল অন্য নাম টেগরা, প্রভাস বল, নরেশ রায়, ত্রিপুরা সেন, বিটু ভট্টাচার্য, মতি কানুনগো, অশোক দত্ত, নির্মল লালা,  জিতেন দাশগুপ্ত, মধুসূদন দত্ত, পুলিন চন্দ্র ঘোষ ও অর্ধেন্দু দস্তিদার। একটা একটা করে দেহ আসে আর মাস্টারদা বুকের ওপর কান রেখে বসে থাকেন কিছুক্ষণ, যদি হৃদপিণ্ডের স্পন্দন শোনা যায়! যদি প্রাণ থাকে, যদি বাঁচানো যায়। ধীরে ধীরে রাতের অন্ধকারে বিপ্লবীদের শক্তি বুঝতে না পেরে সাময়িক যুদ্ধ বিরতি দেয় সেনা। সেই সুযোগেই আত্মগোপনের চেষ্টা করেন সূর্য সেন-সহ অন্যান্য বিপ্লবীরা।

    চট্টগ্রামে চারদিনের স্বাধীনতা

    ২২-শে এপ্রিল রাত্রে জালালাবাদ পাহাড় (Battle of Jalalabad Hill) থেকে নেমে আসার পরে আবার চলা শুরু হল। এদিকে ক্ষিদে-তেষ্টায় প্রাণ ওষ্ঠাগত তবু চলতেই হবে। কিছুতেই ধরা পড়া চলবে না। শত্রুপক্ষ জেনে গেছে বিপ্লবীদের আশ্রয়। জালালাবাদ পাহাড় থেকে দূরে, আরও দূরে সরে যেতেই হবে। ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল, মধ্যরাতে সহ বিপ্লবীদের নিয়ে চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার লুঠ করেছিলেন মাস্টার দা। প্রথমে টেলিফোন ও টেলিগ্রাম ধ্বংস করা, ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমণ, চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের নিয়ন্ত্রণ বিপ্লবী বাহিনীর কাছে চলে যাওয়ার পর চার দিন চট্টগ্রাম শহর স্বাধীন ছিল। ১৯৩০ সালের ২২ এপ্রিল সংঘটিত ঐতিহাসিক জালালাবাদ যুদ্ধের পর ব্রিটিশ শাসকেরা আবার চট্টগ্রাম শহরের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়। এরপরেও তিন বছর গোপনে আন্দোলন চালিয়ে যান মাস্টার-দা।

    সূর্যকুমার সেন থেকে ‘মাস্টারদা’

    বিপ্লবী সূর্য সেনের আসল নাম সূর্যকুমার সেন (Masterda Surya Sen)। ডাকনাম কালু। জন্মেছেন ২২ মার্চ, ১৮৯৪। তদানীন্তন চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়ায় বাস ছিল তাঁদের। মা শশীবালা সেন এবং বাবা রাজমণি সেন। দুই পুত্র ও চার কন্যা রেখে তাঁদের অকালপ্রয়াণের পর কাকা গৌরমণি সেনের কাছে বড় হন সূর্য সেন। পড়াশোনা দয়াময়ী উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াপাড়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়, নন্দনকাননের ন্যাশনাল হাইস্কুল হয়ে চট্টগ্রাম কলেজ। কিন্তু তৃতীয়বর্ষের কোনও এক সাময়িক পরীক্ষায় ভুলক্রমে টেবিলে পাঠ্যবই রাখার কারণে কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হলে পড়তে আসেন বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে। সেখান থেকে বিএ পাশ করে চট্টগ্রামে ফিরে সেই ন্যাশনাল হাইস্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। অসহযোগ আন্দোলনের (১৯২০-২২) সময় স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে দেওয়ানবাজারে অধুনালুপ্ত উমাতারা উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে গণিত শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এ সময় থেকেই বিপ্লবীদলের সঙ্গে তাঁর সখ্য গভীরতর হয় এবং হয়ে ওঠেন বিপ্লবীদের ‘মাস্টারদা’।

    মরদেহ দেওয়া হয়নি পরিবারকে

    ১৯৩৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এক বিশ্বাসঘাতকের চক্রান্তে ক্ষীরোদপ্রভা বিশ্বাসের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন সূর্য সেন। জেলে মাস্টার দার সঙ্গী ছিল গীতা, মহাভারত ও রবীন্দ্র-রচনা। বন্দি দশায় ভোরে উঠে স্তোত্র পাঠ করতেন মাস্টার দা। ১৯৩৩ সালে বিশেষ আদালতে বিচার হয় সূর্য সেনের। ১৪ আগস্ট সূর্যসেনকে ফাঁসির নির্দেশ দেয় ব্রিটিশ সরকার। ফাঁসির আগে মাস্টারদা ওপর নির্মম অত্যাচার করে ব্রিটিশ পুলিশ। নৃশংসভাবে পিটিয়ে হাতুড়ি দিয়ে সূর্য সেনের দাঁতগুলি ভাঙে, নখগুলি থেঁতো করে উপড়ে ফেলে, গোটা শরীরের সমস্ত হাড়পাঁজরা টুকরো টুকরো করে। অত্যাচারের চোটে চৈতন্য হারান সূর্য সেন। সেই অবস্থাতেই ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি ফাঁসি দেওয়া হয় সূর্য সেনকে। এমনকি সরকারিভাবে মৃত্যুঘোষণার পরে সূর্য সেনের মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে সৎকারের ব্যবস্থাও করা হয়নি। বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের মধ্যে কোনও জায়গায় লোহার টুকরো বেঁধে তাঁর দেহ ডুবিয়ে দেয় ব্রিটিশ পুলিশ।

     

     

     

     

     

  • JD Vance: ‘‘ভারত-মার্কিন বাণিজ্যের শর্ত চূড়ান্ত’’, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরদিন জানালেন ভান্স

    JD Vance: ‘‘ভারত-মার্কিন বাণিজ্যের শর্ত চূড়ান্ত’’, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরদিন জানালেন ভান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের ঠিক পরদিন, আজ মঙ্গলবার আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (JD Vance) জানালেন, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে শর্তাবলী চূড়ান্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির মধ্যে মার্কিন (USA) উপরাষ্ট্রপতির এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    কী বললেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট

    মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট (JD Vance) বলেন, ‘‘আমাদের দেশ সর্বদা সেভাবেই বাণিজ্য বন্ধু বানাতে চায় যারা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আমাদের সঙ্গে কাজ করবে। আমরা সবসময় নিজেদের জাতীয় স্বার্থকেই সামনে রাখি। আমরা চাই বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে একটি শক্তপোক্ত সম্পর্ক। যে দেশগুলি তাদের শ্রমিকদের সম্মান করে এবং নিজেদের রফতানি বাড়ানোর জন্য শ্রমিকদের মজুরি কেটে নেয় না বরং তাঁদের শ্রমের মূল্যকে সম্মান করে।’’ মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘আমরা এমন দেশকেই নিজেদের বাণিজ্য বন্ধু হিসেবে চাই, যারা আমেরিকার সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সেই সমস্ত দেশকেই নিজেদের বাণিজ্য বন্ধু হিসেবে চাই, যারা উন্মুক্ত, স্থিতিশীল এবং ভারসাম্যপূর্ণ একটি বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হবে।’’ মার্কিন উপরাষ্ট্রপতির মতে, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে ভারতের অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তিতেই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।’’

    সোমবারই তিনদিনের ভারত সফরে এসেছেন ভান্স

    প্রসঙ্গত, সোমবারই তিন দিনের ভারত সফরে এসেছেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (JD Vance)। সোমবার সকালে দিল্লির পালাম বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে তাঁর বিশেষ বিমান। ভান্সের সঙ্গে সফরে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা ভান্স এবং তিন শিশুসন্তান— ইওয়ান, বিবেক ও মিরাবেল। ভান্সের তিন সন্তানই ভারতীয় পোশাক পরে এদেশে আসে। প্রসঙ্গত, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথমবার ভারতে এলেন মার্কিন (USA) উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভান্স। দিল্লির পালাম বিমানঘাঁটিতে তাঁকে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় রেল এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিমানঘাঁটিতে ভান্সকে (JD Vance) ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়।

  • Deendayal Upadhyaya: পাশ্চাত্য দর্শনে ব্যক্তি সুখ, একাত্ম মানববাদে ধর্ম-মোক্ষের ধারণা দেন দীনদয়াল

    Deendayal Upadhyaya: পাশ্চাত্য দর্শনে ব্যক্তি সুখ, একাত্ম মানববাদে ধর্ম-মোক্ষের ধারণা দেন দীনদয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয় আমাদের দেশ ভারতবর্ষ। তারপর থেকে এদেশের কংগ্রেস এবং বামপন্থী দলের নেতারা পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদ এবং সোভিয়েত মডেলকেই ভারতের নীতি করতে চেয়েছিলেন। ঠিক এই সময়েই ভারতীয় সভ্যতার প্রতিধ্বনি নিয়ে হাজির হন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhyaya)। ১৯৬৫ সালের ২২ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে তিনি চারটি সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। এই বক্তব্যগুলি শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতাদর্শই ছিল না, এটা ছিল ভারতের সনাতন সংস্কৃতি এবং সভ্যতার প্রতিধ্বনি। পরবর্তীকালে এটাই হয়ে ওঠে একাত্ম মানববাদ। দীনদয়াল উপাধ্যায়ের প্রবর্তিত একাত্ম মানববাদ বর্তমানে প্রতিফলিত হয় বিজেপির সংবিধানের তিন নম্বর ধারায়।

    ব্যক্তি সুখের কথাই বলে পাশ্চাত্য দর্শন

    দীনদয়াল উপাধ্যায়ের (Deendayal Upadhyaya) মতে, এই সমাজের চারটি উপাদান রয়েছে। প্রথমটি হল দেশ বা রাষ্ট্র, দ্বিতীয়টি হল সংস্কৃতি, তৃতীয় হল জনগণ, চতুর্থ হল সরকার। একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠায় এবং সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ে তুলতে এই চারটি উপাদানকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়। এই ৪ উপাদানের মধ্যে যদি সংযোগ না ঘটে তাহলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় না বলেই মনে করতেন দীনদয়াল উপাধ্যায়। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বর্তমান উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলায়, নাগলা চন্দ্রভাগ নামক স্থানে। শৈশবে অত্যন্ত দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়ে বড় হন তিনি। মাত্র ৭ বছর বয়সেই তিনি তাঁর পিতামাকে হারান এবং বড় হয়ে ওঠেন আত্মীয়দের কাছে। অত্যন্ত মেধাবী দীনদয়াল ছাত্রজীবনে স্বর্ণপদকও লাভ করেন। পরবর্তীকালে চাকুরি না করে তিনি দেশের সেবায় অংশগ্রহণ করেন। যোগ দেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে। এরপরেই দীনদয়াল উপাধ্যায় দেশজুড়ে বীজ বুনতে থাকেন সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের। তাঁর দর্শন (Ekatma Manava Darshan) ভারতীয় ভাবধারায় গড়ে উঠেছিল। সেখানে ঔপনিবেশিকতার কোনও ছায়া দেখা যায়নি। পাশ্চাত্য দর্শনে যেখানে ব্যক্তি জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বলেছে, দীনদয়াল উপাধ্যায়ের দর্শন সেখানে ব্যক্তি-সমাজ-প্রকৃতি-আধ্যাত্মিকতার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে।

    দীনদয়াল উপাধ্যায় প্রণীত একাত্ম মানববাদ (Ekatma Manava Darshan)

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhyaya) বলতেন, ‘‘ভারতবর্ষে জাতীয়তাবোধের ভিত্তি হল ভারত মাতা, যদি মাতা শব্দটা সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে শুধু ভারত, মাটির টুকরো হয়েই পড়ে থাকবে।’’ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মতে, প্রতিটি মানুষের সম্পূর্ণ গঠন হয় চারটি উপাদানের ভিত্তিতে। এগুলি হল শরীর, মন, বুদ্ধি এবং আত্মা। এই চারটি উপাদানের সঙ্গে ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ এই চারটি বিষয় সম্পর্কিত। ধর্ম হল ভিত্তি এবং মোক্ষ হল সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। অন্যান্য মতাদর্শ যেখানে শুধুমাত্র মন এবং শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণের কথা বলে সেখানে একাত্ম মানববাদে ধর্ম এবং মোক্ষেরও ধারণা দিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলতেন, ‘‘ধর্ম হচ্ছে ব্যাপক এবং বিস্তৃত। সমাজকে সংগঠিত করতে ধর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ নীতিনিষ্ঠ এবং মূল্যবোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস রাখতেন পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhyaya)।

  • RBI: বয়স ১০ হলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে চালাতে পারবে ছোটরা, মিলতে পারে এটিএম কার্ডও, জানাল আরবিআই

    RBI: বয়স ১০ হলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে চালাতে পারবে ছোটরা, মিলতে পারে এটিএম কার্ডও, জানাল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ বছর বয়স হলেই এখন থেকে ছোটরা তাদের নিজেদের সেভিংস বা টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট (Minor Bank Accounts) খুলতে ও নিজেরাই চালাতে পারবে। এমনটাই ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই নতুন নিয়মটি প্রযোজ্য হবে সব ধরনের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক এবং কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেই। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে প্রাইমারি (আরবান) কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এবং ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল, ব্যাঙ্ক যদি মনে করে সেক্ষেত্রে ১০ বছরের বেশি বয়সি শিশুদের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, এটিএম কার্ড, চেকবুক ইত্যাদির সুবিধাও দিতে পারবে। তবে এসব দেওয়ার আগে ঝুঁকি-সংক্রান্ত নিয়মাবলি পর্যালোচনা করবে ব্যাঙ্ক। আগে নিশ্চিত হতে হবে, যে এইসব শিশুদের উপযুক্ত কিনা।

    ১ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে নয়া নীতি (Minor Bank Accounts)

    অ্যাকাউন্ট খোলার সময় এবং পরবর্তীকালে ব্যাঙ্ককে কেওয়াইসি নিয়ম মেনে চলতে হবে বলেও জানিয়েছে আরবিআই। শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্ত ব্যাঙ্ককেই আগামী ১ জুলাই ২০২৫-এর মধ্যে এই নতুন নির্দেশ কার্যকর করে নিজেদের নীতি প্রণয়ন করতে হবে। গতকাল সোমবারই এক বিবৃতিতে আরবিআই জানায়, বহু বছর আগে জারি করা পুরনো এক নির্দেশিকাকে পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে। তারপরেই এই নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। শিশুদের জন্য ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলার ও পরিচালনার নিয়ম করা হয়েছে। আরবিআই (RBI) আরও জানিয়েছে, যে কোনও বয়সের অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু তার আইনি অভিভাবকের মাধ্যমে সেভিংস বা টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। ১০ বছর বা তার বেশি বয়স হলেই তারা এখন নিজেরাই এসব অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারবে।

    অ্যাকাউন্টে সবসময়ই পজিটিভ ব্যালান্স রাখতে হবে

    এই নিয়মের পাশাপাশি, ব্যাঙ্কগুলিকে নিজেদের অ্যাকাউন্টগুলিকে শর্ত নির্ধারণ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাকাউন্টে জমা টাকার সীমা নির্ধারণ, অন্যান্য শর্তাবলি স্থির করা এবং সেগুলো স্পষ্টভাবে কিশোর গ্রাহকদের জানানো। যখনই কোনও অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৮ বছরে পৌঁছে যাবে, তখনই তাকে আবার অ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্য নতুন নির্দেশনা ও সিগনেচার দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে। আরবিআই (RBI) আরও জানিয়েছে, শিশুর নামে থাকা অ্যাকাউন্ট, সেটা অভিভাবক দ্বারা পরিচালিত হোক বা শিশু নিজে পরিচালনা করুক, কোনওভাবেই ওভারড্রাফট সুবিধা পাবে না। অর্থাৎ অ্যাকাউন্টে সবসময়ই পজিটিভ ব্যালান্স রাখতে হবে বলে জানিয়েছে আরবিআই।

  • India BrahMos Missile: ব্রহ্মোসের গর্জনে কাঁপবে চিন! ফিলিপিন্সের পর ভিয়েতনামের সঙ্গে ৭০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তির পথে ভারত

    India BrahMos Missile: ব্রহ্মোসের গর্জনে কাঁপবে চিন! ফিলিপিন্সের পর ভিয়েতনামের সঙ্গে ৭০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তির পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দাপট দেখাচ্ছে ভারত। আমেরিকা-রাশিয়ার মতো এবার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানির খেলায় ময়দানে নেমে পড়েছে ভারতও। ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (India BrahMos Missile) রফতানিতে ভারতের পরবর্তী গন্তব্য হতে চলেছে ভিয়েতনাম। ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, এই চুক্তি কয়েক মাসের মধ্যেই স্বাক্ষরিত হতে পারে। ফিলিপিন্সের মতোই ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের উপকূলীয় ব্যাটারি সিস্টেম ভারত থেকে সংগ্রহ করতে চায় ভিয়েতনাম।

    চিনকে টক্কর দিতেই ব্রহ্মস

    ব্রহ্মোসের (India BrahMos Missile) ২৯০ কিলোমিটার পাল্লার নিখুঁত আঘাত হানার ক্ষমতা ভিয়েতনামকে দক্ষিণ চিন সাগরে তার সামুদ্রিক সীমানা সুরক্ষিত করতে সহায়তা করবে। এতে করে চিনা যুদ্ধজাহাজের হুমকির মোকাবিলায় ভিয়েতনাম আরও প্রস্তুত থাকবে, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। যদি ভারত-ভিয়েতনাম ব্রহ্মস চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তাহলে ফিলিপিন্সের পর ভিয়েতনাম হবে দ্বিতীয় দেশ, যারা তাদের নৌবাহিনীতে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত করবে। প্রসঙ্গত, ভারত ২০২২ সালে ফিলিপিন্সের সঙ্গে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের একটি ব্রহ্মোস চুক্তি করেছিল, যা ছিল এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম আন্তর্জাতিক বিক্রি। ভিয়েতনামের এই সম্ভাব্য চুক্তি ইঙ্গিত দেয় যে, চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধে জড়িত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ব্রহ্মোসের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ব্রহ্মোস নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াই নয়, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশও ব্রহ্মোস সংগ্রহে আগ্রহ দেখিয়েছে।

    ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব কী?

    ব্রহ্মোস (India BrahMos Missile) ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২৯০ কিলোমিটার এবং এটি শব্দের গতির চেয়ে আড়াই গুণ বেশি গতিতে উড়তে পারে। এটি বিশ্বের দ্রুততম সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে একটি। এটি যৌথভাবে রাশিয়ার ডিআরডিও এবং এনপিওএম দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। সম্প্রতি, ভারতীয় বিমান বাহিনী সুখোই বিমান থেকে ৪০০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মোস সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিনটি শাখাই ব্রহ্মোস ব্যবহার করে। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র তার গতি ও নির্ভুল আক্রমণের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। পদাতিক সেনা তো বটেই, বায়ুসেনা এবং নৌবাহিনীও এই ক্ষেপণাস্ত্রে ভরসা রেখে আসছে।

    আরও উন্নত ব্রহ্মোস

    ২০১৬ সালে ভারত মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম (MTCR)-এর সদস্য হওয়ার পর, ব্রহ্মোসের পাল্লা ৩০০ কিমির বেশি বাড়ানোর পথ খুলে যায়। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, ৩০০ কিমির বেশি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। ফলে প্রথমে ভারত ও রাশিয়ার যৌথভাবে তৈরি ব্রহ্মোসের পাল্লা সীমিত ছিল ২৯০ কিমি পর্যন্ত। বর্তমানে ভারত এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৪০০ থেকে ৬০০ কিমি পর্যন্ত বাড়ানোর কাজ করছে। সম্প্রতি ভারতীয় বায়ুসেনা একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান থেকে ৪০০ কিমি পাল্লার ব্রহ্মোসের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।

    প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানিতে এগোচ্ছে ভারত

    মেক-ইন-ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় বেড়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ‘চলতি বছরে ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করা হবে। আমাদের লক্ষ্য ২০২৯ সাল পর্যন্ত ৩ লক্ষ কোটি টাকা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করবে ভারত।’ একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ভারতের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির পরিমাণ ছিল ৪০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের। যা চলতি বছরে এসে ঠেকেছে ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকায়। প্রসঙ্গত, ফিলিপিন্সকে ব্রহ্মোস পাঠিয়েই ক্ষান্ত হয়নি ভারত। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামের সঙ্গে ব্রহ্মোস-চুক্তি সাক্ষর করতে চলেছে নয়াদিল্লি।

    চিন্তায় চিন

    ব্রহ্মোসের (India BrahMos Missile) প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বৃদ্ধিতে চিন্তিত চিন। বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগরের ওপর তার দাবিকে ঘিরে ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে চিনের সম্পর্ক উত্তপ্ত। এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য ব্রহ্মোস এক প্রতিরক্ষা কৌশলের মূল হাতিয়ার হয়ে উঠছে। দক্ষিণ চিন সাগরে আধিপত্য থাকবে কার, এই নিয়ে উত্তর-পূর্ব দেশগুলির মধ্যে বিরোধ নতুন নয়। চিনের ‘দাদাগিরি’ আটকাতে প্রায়ই ফিলিপিন্স, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া লড়াই করে। দক্ষিণ চিন সাগরে একাধিপত্য বিস্তার করতে সব সময়ই আগ্রাসী ভূমিকা নেয় বেজিং। এই সাগরে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ তারা। ফিলিপিন্স-সহ অন্য দেশগুলিও যে পিছু হটতে নারাজ তা বার বার বুঝিয়ে দিয়েছে। তাই এই সব দেশগুলির সঙ্গে সংঘাত লেগেই রয়েছে চিনের। সেই সংঘাতেই এবার জড়িয়ে পড়ল ভারতও। এ দেশে তৈরি দূরপাল্লার ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্সে পৌঁছেছে। এবার পালা ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার।

     

     

     

  • Modi-Vance Meeting: ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তির জন্য আলোচনা এগোচ্ছে, ভান্সের সন্তানদের সঙ্গে মজা মোদির

    Modi-Vance Meeting: ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তির জন্য আলোচনা এগোচ্ছে, ভান্সের সন্তানদের সঙ্গে মজা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-আমেরিকা (Modi-Vance Meeting) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষর করতে চায় দুই দেশ। চিনের সঙ্গে আমেরিকার বানিজ্য-যুদ্ধের আবহেই ৪ দিনের ভারত সফরে এসেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন, তাঁদের মধ্যে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকও হয়। এই বৈঠকে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    বাণিজ্য-চুক্তির দিকে তাকিয়ে দিল্লি-ওয়াশিংটন

    ভারতের ওপর চাপানো অতিরিক্ত শুল্কের বোঝা আপাতত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রেখেছেন ট্রাম্প। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির (Modi-Vance Meeting) অগ্রগতির জন্যই তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এই চুক্তির ফলে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকে ভান্স দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে জোর দেন। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে যে, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী। ভারতের সঙ্গে এই বাণিজ্য চুক্তিটি হলে তা বিশ্বের বৃহত্তম পণ্য প্রস্তুতকারক চিনের সঙ্গে তাঁদের বাণিজ্য যুদ্ধের ধাক্কা কিছুটা হলেও কমাতে সাহায্য করবে আমেরিকাকে। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, জুলাই মাসের শেষেই এই বাণিজ্য চুক্তিটি সম্পন্ন করার ব্যাপারে আশাবাদী দিল্লি। সূত্রের খবর, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নয়াদিল্লির এক কর্তা জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং জেডি ভান্সের মধ্যে বৈঠকের পরপরই, এই সপ্তাহে নির্দিষ্ট একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। অপরদিকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শীঘ্রই আইএমএফ বৈঠকের জন্য ওয়াশিংটনে যাবেন। সেখানে তিনি ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করবেন বলেও জানা গিয়েছে।

    ভারতীয় পোশাকে ভান্সের সন্তানরা

    সোমবার সকালেই ভারতে পৌঁছন ভান্স। সকাল ১০টার কিছু আগে দিল্লির পালাম বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে তাঁর বিমান। ভান্সের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী উষা ভান্স এবং তিন শিশুসন্তান— ইওয়ান, বিবেক ও মিরাবেল। তিন সন্তানেরই পরনে ছিল ভারতীয় পোশাক। দুই পুত্র পরেছিল কুর্তা-পাঞ্জাবি। কন্যার পরনে ছিল চোলি-লেহঙ্গা। পালাম বিমানঘাঁটিতে ভান্সকে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় রেল এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিমানঘাঁটিতে ভান্সকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদির ৭ লোক কল্যাণ মার্গের সরকারি বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাতের সময়ও স্ত্রী এবং সন্তানদের নিয়ে গিয়েছিলেন ভান্স। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময়েও ভান্সের তিন সন্তানের পরনে ছিল ভারতীয় পোশাক। ইওয়ানের পরনে কালো বন্ধগলা, বিবেক সেজেছিল কুর্তা এবং জহর কোটে। হালকা রঙের চুড়িদার পরেছিল ছোট্ট মিরাবেল।

    প্রধানমন্ত্রী না ‘দাদু’ মোদি

    সোমবার রাতে সপরিবারে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান ভান্স। গাড়ি থেকে নেমেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দিব্যি ভাব হয়ে যায় ভান্সের (Modi-Vance Meeting) তিন সন্তানের। ভান্স পরিবারকে নিজের বাসভবন ঘুরিয়ে দেখান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বাড়িতে গিয়ে রীতিমতো হুটোপাটিতে মাতে তিন খুদে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কোলে চড়তে দেখা গিয়েছে ইওয়ান এবং বিবেককে। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদি নন, ‘দাদু’ মোদি। ভান্সের তিন সন্তানকে ময়ূরের পালক উপহার দেন মোদি। ভান্স মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তরফে শুভেচ্ছাবার্তা দেন মোদিকে। মোদিও ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে ভান্সের মাধ্যমে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান। বৈঠকের শেষে ভান্স এবং তাঁর পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ছিল বিশেষ নৈশভোজের আসর।

    জ্বালানি, প্রতিরক্ষা নানা ক্ষেত্রে সাহায্যের বার্তা

    বাণিজ্যচুক্তির পাশাপাশি এদিন জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, কৌশলগত প্রযুক্তি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ভারত মার্কিন সহযোগিতা নিয়ে মোদি ও ভান্সের মধ্যে আলোচনা হয়। নানা ক্ষেত্রে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের দৃঢ়তা বাড়ানো নিয়ে কথা হয়েছে তাঁদের। চলতি বছরের শেষের দিকে ভারত সফরে আসতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও, এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে মোদি-ভান্স বৈঠকের পর। মঙ্গলবার দিল্লি থেকে জয়পুর যাবেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। আমের ফোর্ট-সহ নানা স্থাপত্য ঘুরে দেখবেন তিনি। তারপর রাজস্থান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে বক্তৃতাও দেবেন।

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০,০০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য

    কিছুদিন আগে ভারতীয় পণ্যের উপর ২৬ শতাংশ পারস্পরিক শুল্কের কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তবে আপাতত ৯০ দিনের জন্য সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন তিনি। দুই দেশের স্বার্থে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তিতে অনেকটাই এগিয়েছে ভারত ও আমেরিকা। ২০৩০ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০,০০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে চুক্তি করতে চায় নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন। এখন যা প্রায় ১৯,১০০ কোটি ডলার। অতিরিক্ত বাণিজ্যসচিব এবং এই আলোচনায় ভারতের প্রধান প্রতিনিধি রাজেশ আগরওয়াল সম্প্রতি জানিয়েছেন, মে-র শেষে মুখোমুখি বৈঠক শুরু হবে বলে আশা করছেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত সময়সীমা মেনেই সব কিছু এগোচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পারস্পরিক শুল্ক নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে এগোনো সম্ভব বলেও মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

     

     

     

     

     

     

  • Manipur Violence: কুকি নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের গোপন বৈঠক! মণিপুরে ভাইরাল নোটিশ ঘিরে ফের উত্তেজনা

    Manipur Violence: কুকি নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের গোপন বৈঠক! মণিপুরে ভাইরাল নোটিশ ঘিরে ফের উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও এক বার উত্তপ্ত হয়ে উঠল মণিপুর (Manipur Violence)। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি বিতর্কিত নোটিশ নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই নোটিশে কুকি সম্প্রদায়ভুক্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের এক অজ্ঞাতনামা বৈঠকে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেখানে অংশ নেবে কুকি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিও। এই নোটিশটি কুকি-প্রধান এলাকার এক স্থানীয় গ্রাম উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে, সামসাও নামে পরিচিত একটি কুকি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক আয়োজিত হবে। এই সংগঠনটিকে সাধারণত কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্ট (KNF)-এর গুপ্ত বাহিনী হিসেবে ধরা হয়। গ্রামপ্রধানরা যেন নিশ্চিত করেন, এই বৈঠকে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটালিয়ন (IRB), মণিপুর রাইফেলস এবং মণিপুর পুলিশের কুকি সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

    কেন এই নোটিশ ঘিরে আতঙ্ক

    ২০২৩ সাল থেকেই কুকি ও মেইতেইদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অশান্ত মণিপুর (Manipur Violence)। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পর পরিস্থিতি খানিক নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলছে রাজ্য জুড়ে। চলতি মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘অবাধ চলাচল’ নির্দেশের প্রতিবাদে মণিপুরের কুকি জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন‍্ধের ডাক দেওয়া হয়। গত ১৩ মার্চ বন্‌ধ প্রত্যাহার করা হলেও কুকিরা জানিয়ে দিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ তাঁরা মানবেন না৷ কুকিদের দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ‘অবাধ চলাচল’-এর বিরোধিতা করে যাবেন। এমন এক সংবেদনশীল সময়ে, এই ধরনের নোটিশ ভাইরাল হওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা এবং নাগরিক সমাজের মধ্যে তৈরি হয়েছে চাপা আতঙ্ক।

    নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের আশঙ্কা

    নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নোটিশ যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে এটি এক ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত বহন করে। এটি দেখায় যে রাজ্য সরকারের সেবায় নিযুক্ত কর্মীরা হয়তো জোর করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংযুক্ত হতে বাধ্য হচ্ছেন। এই ঘটনা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতায় বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক বলেন, “জাতিগত ভিত্তিতে যদি বাহিনীর উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়, তবে তা সরকারি কাঠামোর উপরেই আঘাত। এটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।” সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে যদি কোনও ধরনের ‘সমন্বয়’ হয়, তবে তা রাজ্যের স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফেরানোর প্রচেষ্টায় বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত মণিপুর সরকার কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দা ব্যুরো (IB) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কড়া নজর রাখছে।

LinkedIn
Share