Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • G20: জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারির মোকাবিলা করতে হবে একযোগে, বললেন মোদি

    G20: জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারির মোকাবিলা করতে হবে একযোগে, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছর ধরে জি ২০র (G20) সভাপতিত্ব করবে ভারত। এটা যে ভারতের কাছে সুবর্ণ সুযোগ, তা আগেই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, বিশ্বের কাছে রয়েছে একাধিক চ্যালেঞ্জ – জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারি। এদের মোকাবিলা করতে বিশ্বকে সহযোগিতা করতে হবে।

    জি ২০…

    গত মাসেই ইন্দোনেশিয়ার বালিতে হয়েছে জি ২০ সম্মেলন। এই সম্মেলনেই আগামী জি ২০ সম্মেলনের দায়িত্ব পায় ভারত (India)। আগামী বছর হবে ওই সম্মেলন। বালির ওই সম্মেলন যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। সেখানে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ওই যুদ্ধ শুরু হয়। এখনও থামার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। বালির জি ২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে সদস্য দেশগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে জি ২০ (G20) প্রেসিডেন্সি। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আজ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধের কোনও প্রয়োজন নেই। আমাদের এই যুগ, যুদ্ধের নয়।

    আরও পড়ুন: ‘সারের কমতি মানে আগামী দিনে খাদ্যের ভাঁড়ারে টান’, জি ২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা অনেক বড় বড় সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। এগুলি হল, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারি। নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করে এগুলির মোকাবিলা করা যাবে না। এর সমাধান করতে হবে একযোগে কাজ করে। তাঁর এদিনের এই মন্তব্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলা কথার প্রতিধ্বনি।  ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে সেপ্টেম্বরে পুতিনকে মোদি বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন খাদ্য, রাসায়নিক সার এবং মেডিক্যাল প্রোডাক্ট নিয়ে অরাজনৈতিকরণের লক্ষ্যে এগোবে ভারত। ভারত এটা করবে কারণ তাতে বিশ্বে কমবে উত্তেজনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেমন আমাদের পরিবারের মধ্যে হয়, যাঁদের প্রয়োজন সব চেয়ে বেশি, তাঁদের সমস্যার সমাধানই আগে করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অগ্রাধিকারের বিষয়বস্তুগুলি নিয়ে কেবল জি ২০ (G20) সদস্য দেশগুলির সঙ্গেই আলোচনা করা হবে, তা নয়। যাঁদের কণ্ঠস্বর শোনা যায় না, তাঁদের সঙ্গেও আলোচনা করব। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গেও কথা বলব। গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং বিশ্বের নিরাপত্তা নিয়েই আলোচনা করব তাদের সঙ্গে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Aftab Poonawalla: নারকো টেস্ট চলাকালীন অবচেতন মনে কী কী বলল আফতাব?

    Aftab Poonawalla: নারকো টেস্ট চলাকালীন অবচেতন মনে কী কী বলল আফতাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পলিগ্রাফ টেস্টের পর বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) নারকো পরীক্ষাও করা হল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার (Aftab Poonawalla)। আর এই পরীক্ষা চলাকালীনই বেরিয়ে এল একের পর এক সত্য। এদিন সে আবার বলে, “হ্যাঁ, আমিই খুন করেছি শ্রদ্ধাকে।” সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল তাকে রোহিণীর বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে সকালে নিয়ে যাওয়া হয় ও প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে তার নারকো টেস্ট। জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে আফতাবের কাছ থেকে একাধিক গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

    আফতাবের নারকো টেস্ট

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল আফতাবকে (Aftab Poonawalla) তিহার জেল থেকে কড়া নিরাপত্তায় বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল প্রায় ৮টা ৪০ মিনিটে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ও তাকে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার পর তার নারকো টেস্ট শুরু হয় সকাল ১০টা নাগাদ। এরপর দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুর ১টার দিকে ফের তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এফএসএল থেকে জানানো হয়েছে, যদি পুলিশ এবং ফরেনসিক দল তার উত্তর সন্তোষজনক না মনে হয়, তবে আফতাবকে আরেকটি নারকো পরীক্ষার জন্য ডাকা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: শেষ হল পলিগ্রাফ পরীক্ষা, ডিসেম্বরের শুরুতেই আফতাবের নারকো টেস্ট?

    নারকো টেস্টে কী কী বলল আফতাব?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, নারকো পরীক্ষায় অবচেতন মনে শ্রদ্ধাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আফতাব (Aftab Poonawalla)। পলিগ্রাফ টেস্টের মত এই টেস্টেও সে শ্রদ্ধাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। পরীক্ষার সময় আফতাব দাবি করেছে, রাগ ও ক্ষোভের বশেই সে শ্রদ্ধাকে হত্যা করেছিল। পাশাপাশি সে জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে মোট ৭টি অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছে, হত্যার পর সেই সব অস্ত্র সে কোথায় ফেলেছে, তাও জেরায় জানিয়েছে আফতাব। শ্রদ্ধার মোবাইল ও জামাকাপড় কোথায় ফেলেছে, তাও এদিন জানিয়েছে আফতাব।

    আরও জানা গিয়েছে, গতকাল আফতাবের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো ছিল ফলে পুনাওয়ালার নারকো পরীক্ষা সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। পুলিশ কমিশনার সাগর প্রীত হুডা জানিয়েছেন, নারকো টেস্টের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে ও  পরীক্ষার পরেও তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তবে আরও জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র পলিগ্রাফ টেস্ট বা নারকো টেস্টই যথেষ্ট নয়, দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, যদি তার পলিগ্রাফ এবং নারকো বিশ্লেষণের ফলাফল অনিশ্চিত হয়, তবে তারা অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার ব্রেইন ম্যাপিং করাতে পারে। ফলে পুনাওয়ালার ব্রেন ম্যাপিং করার জন্য আদালতের অনুমতি চাইতে যেতে পারে তারা। পরে আর কোনও নারকো টেস্ট হয় কিনা আফতাবের (Aftab Poonawalla) বা টেস্ট হলেও নতুন কোন তথ্য সামনে বেরিয়ে আসে, সেটাই এখন দেখার।

  • BSF: পাক হানাদারি রুখতে বিএসএফ-এর হাতে এল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন

    BSF: পাক হানাদারি রুখতে বিএসএফ-এর হাতে এল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ড্রোন তৈরির ইতিহাসে নয়া সংযোজন। বিগত কয়েক মাস ধরেই ভারত-পাক সীমান্তে শুরু হয়েছে শত্রুপক্ষের ড্রোনের উৎপাত। আর এবারে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা ড্রোনকে ধ্বংস করতেই দেশীয় প্রযুক্তিতে ড্রোন তৈরী করা হচ্ছে। সীমান্তরক্ষীদের ব্যবহারের জন্য ভারতে তৈরি হয়েছে এই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক ড্রোন। এদিন বিএসএফ (BSF) থেকে জানানো হয়েছে যে, দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেসব ড্রোন তৈরি করা হচ্ছে, তা অন্যান্য ড্রোনের তুলনায় অনেক গুণ ভালো ও শক্তিশালী।

    দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোন

    বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF) থেকে বলা হয়েছে, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা ড্রোনগুলি অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক বহনকারী ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করতে সফল হয়েছে। চলতি বছরে এই বিশেষ ড্রোন প্রায় ১৬ টির মত অনুপ্রবেশকারী ড্রোনকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।

    বিএসএফ-এর (BSF) ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ সিং বলেন, “ড্রোন একটি বড় চ্যালেঞ্জ৷ যদিও আমরা সীমান্তে একটি অ্যান্টি-ড্রোন সেট আপ করেছি, তবে আমাদের এমন কোনও সেটআপ নেই যা পুরো পশ্চিমাঞ্চলকে কভার করে৷ আমরা অনেক ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছি৷ আগামী দিনে, আমরা এই নতুন প্রযুক্তিটি আরও অনেক এলাকায় ব্যবহার করতে পারি।”

    তিনি আরও বলেছেন, এমন ড্রোনও তৈরি করা হচ্ছে যা কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফেলতে পারে। তিনি বলেন, “টেকানপুরে, আমাদের টিয়ার-গ্যাস ইউনিট এই ধরণের ড্রোন তৈরি করেছে যেগুলি পাঁচটির মতো শেলও বহন করতে পারে, এবং শেলগুলিকে সুনির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে পারে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত, এই প্রযুক্তিটি শুধুমাত্র তৈরি করা হয়েছে এবং কোনও সেনাবাহিনীদের দেওয়া হয়নি।

    আরও পড়ুন: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদক

    বিএসএফ-এর (BSF) মতে যেসব ড্রোন সাধারণত ব্যবহার করা হয় তা চিনে তৈরি ও ব্যয়বহুলও। ফলে বিদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি করা ড্রোনের থেকে দেশীয় প্রযুক্তির ড্রোন অনেক নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও এগুলো ভালোভাবে শত্রুপক্ষের ড্রোনগুলিকে নষ্ট করে দিতে সক্ষম। তাই তারা এখন থেকে দেশের তৈরি ড্রোন তৈরিতেই বেশি নজর দিয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ড্রোনগুলো ঘন কুয়াশাতেও যাতে কাজ করতে পারে ও ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস শনাক্ত করতে পারে, সেখানেই তৈরি করা হচ্ছে। ফলে এই ড্রোনগুলো দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে কড়া নজর রাখার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ সিং জানিয়েছেন, সীমান্তে প্রায় ৫,৫০০ ক্যামেরা লাগাতে চলেছেন তাঁরা। আর এসবের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৩০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।

    প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে অস্ত্রশস্ত্র, মাদক, জাল টাকা পাঠানো হচ্ছে ভারতে। আকাশপথে তার মোকাবিলা করার প্রযুক্তি এতদিন ভারতের অধরা থাকলেও এবারে অনুপ্রবেশকারী পাক ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করে মাটিতে মিশিয়ে দিতে আসতে চলেছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন।

  • Himanta Biswa Sarma: উচ্চ মাধ্যমিক পাশ মেধাবীদের স্কুটার দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: উচ্চ মাধ্যমিক পাশ মেধাবীদের স্কুটার দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের স্কুটার বিলি করলেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের হাতে ওই স্কুটার (Scooter) তুলে দেন তিনি। প্রয়াগ ভারতী প্রকল্পের অধীনে দেওয়া হয়েছে ডাঃ বাণীকান্ত কাকাতি মেরিট অ্যাওয়ার্ড। চলতি বছর সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮০০ জন। এর মধ্যে ছাত্র রয়েছে ৬ হাজার ৫২ জন। আর ছাত্রীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৪৮ জন।

    পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা…

    তবে মুফতে মেলেনি এই পুরস্কার। এজন্য পুরস্কার দাতাদের তরফে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল মাণদণ্ড। যেসব ছাত্র অসম হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন কাউন্সিল থেকে ৭৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন, তাঁদেরই হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে স্কুটার। ছাত্রীদের ক্ষেত্রে নম্বরের গণ্ডি ছিল ৬০ শতাংশ। এদিন মূল অনুষ্ঠানটি হয় কামরূপ জেলায়। কামরূপ মেট্রোপলিটনের পড়ুয়াদের হাতে স্কুটারের চাবি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। অসম সরকারের এক আধিকারিক বলেন, বাকি পুরস্কার প্রাপকের হাতে স্কুটারের চাবি তুলে দেওয়া হবে চলতি বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে।

    এদিনের অনুষ্ঠান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক মাইলস্টোন তাঁদের জীবনে, যাঁরা ডাঃ বাণীকান্ত কাকাতি মেরিট অ্যাওয়ার্ড প্রাপকদের তালিকা তৈরি করেছেন। এটা সমাজের তরফে একটা উপহার এবং আশীর্বাদ তাঁদের, যাঁরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেছেন।

    আরও পড়ুন: অসম-মেঘালয় সীমান্তে মাফিয়া-পুলিশ সংঘর্ষ, নিহত ৬, বন্ধ ইন্টারনেট

    হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma) বলেন, আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বিকাশের মূল মন্ত্র হয়ে উঠবে ডিজিটাইজেশন। তাই ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবনের ওপর জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, এতে কী হবে, কোনও এক ব্যক্তি চাকরি খোঁজার চেয়ে অন্যদের চাকরি দেবেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁরা মেধাবী, তাঁদের সব সময় লক্ষ্য হওয়া উচিত আকাশছোঁয়া। অদূর ভবিষ্যতে তোমরা যদি নিজেদের গ্রেড ৩ কিংবা গ্রেড ৪ এর চাকরিতে বেঁধে ফেল, তাহলে তা হবে তোমাদের মেধার অপব্যবহার। আগামী বছর থেকে মেধাবীদের ইলেকট্রিক স্কুটার দেওয়া যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)। তাঁর মতে, এতে জ্বালানির খরচ কমবে। আরও একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে বলেও এদিন জানান হিমন্ত। তিনি জানান, যেসব ছাত্রী স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হবেন, তাঁদের বছরে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • KCR Daughter: দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় উঠে এল কেসিআরের মেয়ে কে কবিতার নাম

    KCR Daughter: দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় উঠে এল কেসিআরের মেয়ে কে কবিতার নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির তদন্ত এখন তেলঙ্গানায় পৌঁছেছে। আর এই কেলেঙ্কারি মামলায় নাম উঠে এসেছে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের মেয়ে কে. কবিতার নাম। আজ ইডি তাদের রিপোর্টে কে কবিতার বিষয়ে এই তথ্য জানান। শুধু তাই নয়, ইডি এদিন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর এর কন্যার (KCR Daughter) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে, দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারিতে কবিতা প্রায় ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে আম আদমি পার্টি-কে।

    দিল্লির মদ কেলেঙ্কারিতে নাম এসেছে কেসিআর কন্যার

    এই মামলায় গত মঙ্গলবার গুরুগ্রাম থেকে ব্যবসায়ী অমিত অরোরাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এরপর ধৃত অমিত অরোরার বক্তব্যের ভিত্তিতে দিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি দাবি করেছে যে, কেসিআরের মেয়ে কে কবিতা “সাউথ গ্রুপ” এর একজন বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন ও তিনি অন্য এক ধৃত ব্যবসায়ী বিজয় নায়ারের মাধ্যমে দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতাদের অন্তত ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতারের পর স্থানীয় আদালত মদ কোম্পানি বাডি রিটেইল প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক অমিত অরোরাকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইডি-র হেফাজতে পাঠায়।

    কেন্দ্রীয় সংস্থা একটি রিপোর্টে দাবি করেছে যে আপ নেতারা, যাদের মধ্যে কিছু সরকারে রয়েছেন, তাঁরা দিল্লির আবগারি নীতিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের খরচে অবৈধ তহবিল তৈরি করার জন্য ব্যবহার করতেন। এছাড়াও অভিযোগ করা হয়েছে যে, দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া এবং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এক পিএ সহ ব্যবসায়ী, খুচরো মদ বিক্রেতা এবং আমলা মিলিয়ে কমপক্ষে ৩৬ জন ডিজিটাল প্রমাণ লোপাটে ১৭০ টি মোবাইল সেট ধ্বংস করেছে।

    আবগারি নীতি দুর্নীতি

    গত বছরের ১৭ নভেম্বর দিল্লিতে নতুন আবগারি আইন চালু করা হয়। নতুন আবগারি নীতিতে সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন দোকান ও সংস্থাকেও মদ তৈরি ও বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা এই আবগারি নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই জুলাই মাসে ওই নীতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ও পুরনো নীতিই চালু করা হয়। এক্ষেত্রে বিজেপিও সরব হয়েছিল ও অভিযোগ করেছিল, নতুন আবগারি নীতিতে আপ সরকার নিজেদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকেই সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। পরে আবগারি নীতির দুর্নীতিতে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া সহ একাধিক আমলার নাম জড়িয়েছে। দিল্লির আবগারি আইন নিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নর প্রশ্ন তোলার পরই তদন্ত শুরু করে  সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এফআইআরের ভিত্তিতেই আর্থিক তছরুপের মামলায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর এরপরেই ইডি কেসিআর কন্যা (KCR Daughter) কে কবিতার নামও উল্লেখ করল। আর এই অভিযোদ আসার পরেই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-এর মেয়ে বলেছেন, “আমরা ইডিকে স্বাগত জানিয়েছি এবং তাঁদের সাথে সহযোগিতা করব।”

  • Bypoll Results: মুখ পুড়ল নীতীশের, কুরহানিতে জয়ী বিজেপি, আজম ‘গড়ে’ও ফুটল পদ্ম

    Bypoll Results: মুখ পুড়ল নীতীশের, কুরহানিতে জয়ী বিজেপি, আজম ‘গড়ে’ও ফুটল পদ্ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপ নির্বাচনের ফলে (Bypoll Results) মুখ পুড়েছে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar)! একই দশা অখিলেশ যাদবেরও! নীতীশ এবং অখিলেশের গড়ের রাশ এবার এল বিজেপির (BJP) হাতে। উত্তর প্রদেশের রামপুর কেন্দ্রটি সমাজবাদী পার্টি (SP) নেতা আজম খানের (Azam Khan) গড় হিসেবেই পরিচিত। এখানেই এবার উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে সমাজবাদী পার্টি। জয়ী হয়েছে বিজেপি।

    বিজেপি প্রার্থী…

    তার পরেই নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ তুললেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। পুনর্নির্বাচনের দাবিও জানান তিনি। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে এই মর্মে দলের তরফে পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সপা সুপ্রিমো অখিলেশ। বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগও করেছেন তিনি। ২০০২ সাল থেকে রামপুর কেন্দ্রের রাশ রয়েছে সপার হাতে। এই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক আজম খান ও তাঁর পরিবার ১৯৮০ সাল থেকে একবার বাদে প্রতিবার জয়ী হয়েছেন। একটি মামলায় জেলবন্দি আজম খান বিধায়ক পদ খোয়ানোয় উপনির্বাচন হয় এই কেন্দ্রে। সেখানেই হেরে যান সপা প্রার্থী আজম ঘনিষ্ঠ আসিম রাজা। শেষ হাসি হাসেন বিজেপি প্রার্থী আকাশ সাক্সেনা।

    আরও পড়ুন: এক পদ, দাবিদার ৪, হিমাচলে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী কে?

    রামপুর কেন্দ্রে জয়কে বড় পাওনা হিসেবেই দেখছে বিজেপির একটা অংশ। এই কেন্দ্রের ভোটারদের বড় অংশই মুসলিম। এই কেন্দ্রে এর আগে কখনও জেতেনি বিজেপি। ১৯৮০ থেকে পরের তের বছর বিভিন্ন দলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন আজম। ২০০২ সাল থেকে ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তিনি কিংবা তাঁর আত্মীয়রা। এদিকে, বিহারে মহাজোটের হাত ধরার পর এই প্রথমবার ধাক্কা খেল নীতীশ কুমার। বিহারের কুরহানি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। গোহারা হেরেছে নীতীশের দল জেডিইউয়ের শরিক দল আরজেডি প্রার্থী অনিলকুমার সাহানি। এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কেদার গুপ্তা। জেডিইউ প্রার্থী মনোজ খুশওয়াকে ৩ হাজার ৬৬২ ভোটে পরাজিত করেছেন কেদার।

    প্রসঙ্গত, এই নিয়ে তৃতীয়বার কুরহানি কেন্দ্রে হার স্বীকার করতে হল নীতীশের দলকে। কিছুতেই এই আসনটির রশি হাতে নিতে পারেনি তারা। বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে মহাজোটে শামিল হওয়ার পর থেকে নীতীশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এই আসনটি দখল করা। কিন্তু সেখানেই চরম ব্যর্থ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Badruddin Ajmal: হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, অসম মহিলা কমিশনের নোটিশ মুসলিম সাংসদকে

    Badruddin Ajmal: হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, অসম মহিলা কমিশনের নোটিশ মুসলিম সাংসদকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম রাজ্য মহিলা কমিশন বৃহস্পতিবার এআইইউডিএফ প্রধান তথা ধুবরির লোকসভা সাংসদ বদরুদ্দিন আজমলকে (Badruddin Ajmal) একটি নোটিশ জারি করে হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে তার বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলেছে। আজমলকে দেওয়া নোটিশে কমিশন বলেছে, রাজনীতিবিদকে তিন দিনের মধ্যে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হবে, তা না হলে তাকে কমিশনে হাজির হতে হবে। হিন্দু মহিলাদের বিয়ের বয়স সম্পর্কে তাঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অসামাজিক, যৌনতাবাদী, আপত্তিকর এবং অনৈতিক বলে অভিহিত করেছে কমিশন।

    আজমল (Badruddin Ajmal) ইতিমধ্যেই হিন্দু ছেলে-মেয়েদের বিয়ের বয়স এবং বিয়ের আগে তাদের আচরণ নিয়ে তাঁর মন্তব্যের জেরে প্রচুর সমালোচিত হয়েছেন। অনেকে আজমলের উর্বর জমির সঙ্গে নারীর তুলনা করাতেও আপত্তি জানিয়েছেন। হিন্দু মহিলাদের কম বয়সেই বিয়ে করা উচিত বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন তিনি। এআইইউডিএফ প্রধানের মতে, বিয়ে এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে হিন্দু মহিলাদের উচিত মুসলিম ‘ফরমুলা’ অনুসরণ করা।

    আরও পড়ুন: আজ মধ্যরাতেই উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মনদৌস, লাল সতর্কতা জারি তামিলনাড়ুতে

    কী সেই মন্তব্য? 

    গত সপ্তাহে বদরুদ্দিন আজমল (Badruddin Ajmal) বলেন, “সরকারের নির্দেশ এবং আইন মেনে, ১৮ বছরেই মুসলিম মেয়েরা এবং ২১ বছরের ছেলেরা বিয়ে করেন। কিন্তু, হিন্দুরা ৪০ বছরের আগে বিয়ে করেন না। যদিও তার আগে তারা ২-৩টি অবৈধ সম্পর্ক এবং স্ত্রী রাখেন। সেই সময়ে কোনও সন্তানের জন্ম দেন না, খরচ বাঁচান। তারপরে পরিবারের চাপে বিয়ে করেন। ৪০ বছর বয়সে বিয়ে করে কী পাবেন? আপনার কী করে সন্তান জন্মগ্রহণ করবে?” আজমলের আরও বলেন, “১৮-২০ বছর বয়সে মেয়েদের এবং ২১ বছরেই ছেলেদের বিয়ে হওয়ার কারণেই মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হিন্দুদের উচিত বিয়ের ক্ষেত্রে ‘মুসলিমদের ফর্মুলা’ ব্যবহার করা। কারণ, বাঁজা জমিতে ফসল উৎপাদন হয় না। ভাল ফসল হয় একমাত্র উর্বর জমিতে।”

    আজমলের (Badruddin Ajmal) এই মন্তব্যের পরেই দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। আজমলের এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করে বিজেপি। অসমের বিজেপি বিধায়ক ডি কালিতা সতর্ক করে বলেন, “এই ধরনের অপমানজনক কথা হিন্দুরা কোনও মতেই মেনে নেবে না। এই রকম অপমানজনক কথার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। এবার থেকে সংযত থাকুন। আর তা করতে না পারলে বাংলাদেশ চলে যান। এটা ভগবান রাম এবং মা সীতার দেশ। এখানে বাংলাদেশিদের কোন জায়গা নেই। আপনি একজন মুসলিম এবং আমরা হিন্দু। আমাদের আপনার এবং আপনাদের কাছে শিখতে হবে না।”

    সে রাজ্যের মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা বলেন, “বদরুদ্দিন আজমল (Badruddin Ajmal) চাইছেন সবাই ১৫-২০টা করে সন্তান জন্ম দিক। তারপরে তারা অশিক্ষিত হয়ে থাকবে, আর চুরি করবে। তারপরে ধনীরা যেন তাদের শোষণ করতে পারে।” আজমলের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে। 

    যদিও এরপরেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ক্ষমা চেয়ে নেন আজমল (Badruddin Ajmal) । তিনি বলেন, “আমি কাউকে আঘাত দিতে চাইনি। তবে, যদি আমার মন্তব্য কারোর আবেগে আঘাত করে থাকে তাহলে আমি আমার বক্তব্য ফিরিয়ে নিচ্ছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Modi: মোদিই সব চেয়ে বড় ভোট ক্যাচার, কেন জানেন?

    PM Modi: মোদিই সব চেয়ে বড় ভোট ক্যাচার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড গড়ে ফের গুজরাটের (Gujarat) রশি এসেছে বিজেপির (BJP) হাতে। গুজরাট বিধানসভার ১৮২টি আসনের মধ্যে পদ্ম শিবির জয়ী হয়েছে ১৫৬টিতে। বিজেপি ঝড়ে কার্যত দুরমুশ হয়ে গিয়েছে বিরোধীরা। এর যাবতীয় কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) দিচ্ছেন দলীয় নেতৃত্ব। মোদি নিজেও স্বীকার করেছেন, ভূপেন্দ্রকে জেতাতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে নরেন্দ্রকে। প্রশ্ন হল, কেন মোদিই বৃহত্তম ভোট ক্যাচার?

    গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে...

    দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে। ১২ বছরেরও বেশি সময় তিনি ছিলেন ওই পদে। পরে প্রধানমন্ত্রী হয়ে দিল্লি চলে যান। তাঁর নেতৃত্বেই দু দুবার দিল্লির তখতে বসে বিজেপি। এর প্রধান কারণ মোদির নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে যখন ধুঁকছিল গোটা বিশ্বের অর্থনীতি, তখনও ভারতের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল হয়নি। সাময়িক টাল খেয়েছে বটে, তবে ফের তা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যার জেরে গোটা বিশ্বে ভারতের অর্থনীতির ঠাঁই হয়েছে পঞ্চম স্থানে। এতদিন যে স্থান দখল করেছিল ব্রিটেন।

    মোদির (PM Modi) সুশাসনও তাঁর তুঙ্গ জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ। গুজরাট হিংসায় নাম জড়িয়েছিল মোদির। পরে আদালতে কলঙ্কমুক্ত হন তিনি। ওই হিংসার সময়কার পরিস্থিতিও দক্ষ হাতে সামলেছেন মোদি। অন্যান্য রাজ্যে যেখানে বেকারত্ব বেড়েছে চড়চড়িয়ে, সেখানে মোদির গুজরাটে তা কমেছে দিনের পর দিন। এর পর কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী হন মোদি। তাঁর নেতৃত্বেই হয়েছে দেশে একের পর এক উন্নয়ন। বেকারত্ব সমস্যার সমাধানও হয়েছে আগের সরকারের তুলনায় ঢের বেশি পরিমাণে। মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রে বিজেপি রয়েছে প্রায় সাত বছর। এই সময়সীমায় একটাও দাঙ্গা দেখেনি দেশ। সর্বোপরি, বিশ্বের দরবারে নানা সময় উজ্জ্বল হয়েছে দেশের মুখ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মোদি আর ভারত হয়েছে সমার্থক। এর নেপথ্য নায়ক সেই মোদিই।

    আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক জয়ের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’-কে প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর, ট্যুইটে কী লিখলেন মোদি?

    মোদির (PM Modi) ক্যারিশ্মাও তাঁর তুঙ্গ জনপ্রিয়তার অন্যতম একটি কারণ। সেই কারণেই তিনি ভোট পান সমাজের উচ্চতম শ্রেণির পাশাপাশি সমাজের দরিদ্রতম অংশেরও। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের কাছে তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। মোদির জনপ্রিয়তার কাছে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বড়ই ম্লান। এসব কারণেই দিনের পর দিন বাড়ছে বিজেপির জনপ্রিয়তা। দুর্বল হচ্ছে বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Narendra Modi: ঐতিহাসিক জয়ের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’-কে প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর, ট্যুইটে কী লিখলেন মোদি?

    Narendra Modi: ঐতিহাসিক জয়ের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’-কে প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর, ট্যুইটে কী লিখলেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে বিজেপির আজ ঐতিহাসিক জয়। জয় নিশ্চিত হতেই গুজরাটের বিজেপি সভাপতি সিআর পাতিল এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দুই জনকেই অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তিনি। আজকের এই রেকর্ড জয়ের খুশীতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আজ গুজরাটের দলের প্রত্যেক কর্মীকে ‘চ্যাম্পিয়ন’ বলে সম্বোধন করেছেন। কারণ গেরুয়া শিবির এক ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে। ফলে তিনি তাঁর আবেগকে ধরে রাখতে না পেরে তিনি ট্যুইট করে তাঁর মনের কথা জানিয়েছেন।

    ট্যুইটে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ট্যুইট করে লিখেছেন, “গুজরাট বিজেপির সমস্ত পরিশ্রমী কার্যকর্তাদের আমি বলতে চাই – আপনারা প্রত্যেকেই একজন চ্যাম্পিয়ন! এই ঐতিহাসিক জয় আমাদের দলের প্রকৃত শক্তি, আমাদের কার্যকর্তাদের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কখনওই এটি সম্ভব হত না।”

    এরপরে তিনি (Narendra Modi) গুজরাটবাসীদের উদ্দেশেও বার্তা দিলেন ট্যুইটের মাধ্যমে। নির্বাচনের ফলাফলের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’র কাছে ‘প্রণাম’ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, “ধন্যবাদ গুজরাট। অভূতপূর্ব নির্বাচনের ফলাফল দেখে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। এই ফলাফল দেখে আমি আপ্লুত। মানুষ উন্নয়নের রাজনীতিকে আশীর্বাদ করেছে এবং একই সঙ্গে এই উন্নয়নকে আরও গতিশীল করতে চায় বলে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে জনগণ। আমি গুজরাটের জনশক্তির কাছে প্রণাম জানাই।”

    আরও পড়ুন: ফের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, সোমবার শপথগ্রহণ, উপস্থিত থাকবেন মোদি-শাহ

    হিমাচলবাসীদেরও ধন্যবাদ জানালেন মোদি

    এদিন হিমাচল প্রদেশে আশানুরুপ ফল না করতে পারলেও হিমাচল প্রদেশের মানুষকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। আলাদা ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, ‘‘বিজেপির প্রতি ভালবাসা এবং সমর্থনের জন্য হিমাচল প্রদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। রাজ্যবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ভবিষ্যতে আমরা আরও পরিশ্রম করব। মানুষের সমস্যাগুলির কথা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি করে তুলে ধরব।”

    উল্লেখ্য, ১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভায় জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯২ আসন। গত নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৯৯টি আসন। তবে এবার বিজেপি ১৫৮ আসনে জয়ী। দীর্ঘ ২৭ বছরে এত ভোট বা আসন পায়নি বিজেপি। অন্যদিকে আপ ও কংগ্রেস পদ্ম শিবিরের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এদিন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে বিজেপি। ফলে এই ঐতিহাসিক জয়ের পর নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) হওয়ার পথ আরও মসৃণ হয়ে গেল বলেই আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

  • Gujarat Election:  ধোনির স্টাইলে ফিনিশ! পিছিয়ে পড়েও বড় ব্যবধানে জয়ী রবীন্দ্র জাদেজার পত্নী রিভাবা

    Gujarat Election: ধোনির স্টাইলে ফিনিশ! পিছিয়ে পড়েও বড় ব্যবধানে জয়ী রবীন্দ্র জাদেজার পত্নী রিভাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী পিচে প্রথমবার নেমেই জামনগর উত্তর কেন্দ্রে দুর্দান্ত জয় পেলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা জাদেজা। ৩ বছর আগে বিজেপিতে যোগ দেন রবীন্দ্র পত্নী রিভাবা। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই ৮৩ হাজার ভোট পেলেন জামনগর উত্তরের বিজেপি প্রার্থী। গুজরাট নির্বাচনের ফল বেরনোর আগেই রোড শো শুরু করলেন রিভাবা জাদেজা। 

    বড় জয় রিভাবার

    ভোটে জয় প্রায় নিশ্চিত হওয়ার পর এদিন সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘যারা আনন্দিত হয়ে আমাকে প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করেছেন, আমার জন্য কাজ করেছেন, মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন আমারা বার্তা নিয়ে – আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এটা শুধু আমার নয়, আমাদের সবার জয়।’ প্রথমবার নির্বাচনের ময়দানে পা রেখেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রচার করতে নেমেছিলেন পরিবারে নিকটাত্মীয়রাই। কেন পরিবারের বিরুদ্ধ মতাদর্শের দলে যোগদান করেছেন, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সমস্ত সমস্যা আর সমালোচনাকে বাউন্ডারির বাইরে ফেলে দিলেন তিনি। প্রথম থেকেই রিভাবার স্পষ্ট কথা ছিল, এটা আদর্শের লড়াই। পরিবারের মধ্যে কোনও বিভাজন নেই। যেই দলকে যে সমর্থন করে তাঁর হয়ে সে প্রচার করছে। পাশাপাশি তিনি ধারাবাহিক ভাবে এও বলে এসেছেন যে রবীন্দ্র জাদেজা তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন।মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী রিভাবা এর আগে রাজস্থানে কর্নি সেনার হয়ে কাজ করেছেন। তবে এই প্রথম সক্রিয় রাজনীতিতে পথ চলা শুরু হবে রিভাবার। 

    জামনগর বিধানসভা এলাকায় নাগরিকদের মধ্যে একাধিক কাজ করেন রিভাবা। তাঁর কাজে খুশি হয়েই বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Assembly Election) তাঁকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য বিজেপি। এই কেন্দ্রের বিধায়ক ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজাকে সরিয়ে রিভাবাকে প্রার্থী করা হয়। ভোটে নিকটতম প্রার্থী কংগ্রেসের বিপেন্দ্রসিং চতুরসিং জাদেজাকে তিনি ৪০,৯৬৩ ভোটের বড় ব্যবধানে পরাস্ত করলেন। তবে, গণনার শুরুতে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিলেন তিনি। জামনগর উত্তর বিধানসভার নির্বাচনে আপের কর্ষণভাই কামরুর এবং কংগ্রেসের বিপেন্দ্রসিং চতুরসিং জাদেজার পিছনে তিন নম্বরে ছিলেন তিনি। তবে, ঠিক এমএস ধোনি স্টাইলে ‘ফিনিশ’ করেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করা রিভাবা।

    আরও পড়ুন: মোদি-ম্যাজিকে ভর করে টানা সপ্তমবার গুজরাট দখলের পথে বিজেপি

LinkedIn
Share