Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Arindam Bagchi: গত ৯ মাসে পাক জেলে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভারতীয়ের, ক্ষুব্ধ বিদেশমন্ত্রক

    Arindam Bagchi: গত ৯ মাসে পাক জেলে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভারতীয়ের, ক্ষুব্ধ বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত নয় মাসে পাকিস্তানের জেলে থাকতে থাকতে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভারতীয় বন্দির। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন মৎস্যজীবী। তাঁদেরকে অবৈধভাবে পক জেলে আটকে রাখা হয়েছিল, বলে দাবি ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে পাকিস্তানের (Pakistan) জেলগুলিতে বন্দি ভারতীয়দের (Indian Prisoners) মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘‘সম্প্রতি মৎস্যজীবীদের মৃত্যু বেড়েছে। পাক হেফাজতে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনই মৎস্যজীবী। সাজা শেষ হওয়ার পরেও তাঁদের বেআইনি ভাবে আটক করে রেখেছিল পাকিস্তান।’’ তাঁর কথায়,‘‘এই ঘটনা উদ্বেগজনক। ইসলামাবাদে আমাদের হাইকমিশন এই বিষয়টি তুলেছে। ভারতীয় বন্দিদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে বাধ্য পাকিস্তান।’’

    আরও পড়ুন: মোদির সফল নেতৃত্বের দৌলতেই আজ বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি, বললেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, এর আগে সদ্য পাকিস্তান কয়েকজন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচানোর কথা জানায়। তারা জানিয়েছে, ভারত পাকিস্তানের সীমান্তের মাঝে জলপথে কয়েকজন ভারতীয় মৎস্যজীবী ডুবে যাচ্ছিলেন, তাঁদের রক্ষা করেন পাকিস্তানের সেনা জাওয়ানরা। এরপরই দিল্লি,পাকিস্তানের জেলে বন্দি ভারতীয়দের প্রসঙ্গে মুখ খোলে। কার্যত সেদেশে ভারতীয় বন্দিদের নিয়ে কী ঘটছে তা নিয়েই মুখ খুলেছে দিল্লি।

    আরও পড়ুন: ‘হু’-র সতর্কবার্তার জের! দেশে তৈরি ৪ কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তে কেন্দ্র

    মৎস্যজীবীদের আটক করা নিয়ে প্রায়ই একে অপরের দিকে আঙুল তোলে প্রতিবেশী দুই দেশ। সীমান্ত পেরিয়ে আসার কারণেই আটক করা হয় মৎস্যজীবীদের, এমন যুক্তিও দেয় দুই পক্ষ।  গত জানুয়ারি মাসে গুজরাতের ৫০ বছরের এক মৎস্যজীবীর পাকিস্তানের জেলে মৃত্যু হয়। তাঁর নাম জয়ন্তী সোলাঙ্কি। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। গত জুলাইয়ে গির সোমনাথ জেলার আর এক মৎস্যজীবী কালু সিয়ালের মৃত্যু হয় পাকিস্তানের জেলে। ২০১৮ সালের জুনে আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘনের জন্য আটক করা হয়েছিল তাঁকে। সাজার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরও মুক্তি মেলেনি। এরকম আরও বহু নজির রয়েছে, বলে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়।  উল্লেখ্য, গত ২০ জুন আটারি ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ২০ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে (Indian Fishermen) মুক্ত করেছিল পাকিস্তান তা-ও অনেক চাপের পর। এবার নানান তথ্যপ্রমাণ দিয়ে  যে সকল বন্দিদের  সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ashok Gehlot: গেহলটের সঙ্গে আদানির ছবি, রাহুল গান্ধীর বক্তব্য দিয়ে খোঁচা বিজেপির

    Ashok Gehlot: গেহলটের সঙ্গে আদানির ছবি, রাহুল গান্ধীর বক্তব্য দিয়ে খোঁচা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বড় শিল্পপতিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কারণে বরাবরই কংগ্রেসের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় বিজেপিকে। বিশেষ করে দুই শিল্পপতির নাম উল্লেখ করে বহুবার কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিয়েছে নাম নিয়ে বরাবরই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করছে এই প্রধান বিরোধী দল। কংগ্রেস বছরের পর বছর দাবি করে এসেছে, গরিবের চোখের জলের বিনিময়ে আদানি-আম্বানিকে ধনকুবের করেছে বিজেপি। কংগ্রেসের সেই দাবিকে উদ্ধৃত করেই কংগ্রেসকে (Ashok Gehlot) নিশানা করল বিজেপি। 

    রাজস্থান বিনিয়োগ সম্মেলনে রাজ্য সরকার আম্বানি এবং আদানিকে (Gautam Adani) বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। উভয় উদ্যোক্তার কোম্পানিই মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করছে সেই রাজ্যে। শুক্রবার গৌতম আদানি এবং অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) বৈঠক নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। সেই বৈঠকের ছবিও ভাগ করে নিয়েছেন অমিত মালব্য।

     

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডক্টর সতীশ পুনিয়া বলেন “গতকাল পর্যন্ত যে প্রতিপক্ষ ছিল, আজ সে বন্ধু, টাকার লোভে বদলে গেল আদর্শ।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়াও ট্যুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সংসদে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, রাহুল গান্ধী বলেছেন, “ভারতে যাই ঘটুক না কেন, আদানি জিকে সেখানে দেখা যায়।” জয়পুরে একটি  সমাবেশে রাহুল গান্ধীর দেওয়া বক্তৃতার একটি অংশও ভিডিওতে রয়েছে, সেখানে তিনি বলছেন, “যেখানেই দেখবেন, সেখানেই দুজন মানুষকে দেখতে পাবেন। আদানি জি  এবং আম্বানি জি।” সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দেওয়া উত্তরটিও ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এতে তিনি বলেছেন যে “অশোক গেহলট (Ashok Gehlot), যিনি জনসভায় আম্বানি-আদানির বিরুদ্ধে কথা বলছিলেন, পরের দিনই তাঁদের সঙ্গে মৌ  স্বাক্ষর করলেন।”    

     



     
    রাজস্থানে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২২-এর প্রথম দিনে আদানি গ্রুপ ৬০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের জন্য একটি মৌ স্বাক্ষর করেছে। সংবাদমাধ্যমের সামনে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এই ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও (Ashok Gehlot) গৌতম আদানির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। শীর্ষ সম্মেলনে বিনিয়োগকারী শিল্পপতিদের থাকার জন্য রাজস্থান সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ তারা হোটেলও বুক করা হয়েছে।  

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন লড়বেন না অশোক গেহলট, সোনিয়ার কাছে চাইলেন ক্ষমা     
     
    বিরোধী দলের নেতা রাজেন্দ্র রাঠোড় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ১০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের দাবি করছেন কিন্তু ৯০ শতাংশ বিনিয়োগ আসবে না। সরকার নিজেই অনিশ্চয়তায় রয়েছে। রাজস্থানে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই।” রাঠোড় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিনিয়োগ সামিটের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট করার অভিযোগও করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

      

  • Mukesh Ambani Office: সিঙ্গাপুরে ‘ফ্যামিলি অফিস’ খুলছেন মুকেশ আম্বানি! নিযুক্ত করা হয়েছে ম্যানেজারও!

    Mukesh Ambani Office: সিঙ্গাপুরে ‘ফ্যামিলি অফিস’ খুলছেন মুকেশ আম্বানি! নিযুক্ত করা হয়েছে ম্যানেজারও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে দেশের বাইরেও পারিবারিক অফিস খুলতে (Mukesh Ambani Office) চলেছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুকেশ আম্বানি সিঙ্গাপুরে তাঁর অফিস স্থাপন করতে চলেছেন। তবে এর পিছনে আসল কী কারণ রয়েছে, তা সংস্থা থেকে এখনও কিছু স্পষ্ট জানানো হয়নি। এও জানা গিয়েছে, এই নতুন অফিসের জন্য কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। এমনকি অফিস চালানোর জন্য  ইতিমধ্যেই ম্যানেজার খুঁজে ফেলেছেন তিনি।

    এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তির বিদেশে অফিস খোলা (Mukesh Ambani Office) নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে জোড় জল্পনা শুরু হয়েছে। সিঙ্গাপুরের এই নতুন অফিসের কথা শুনে অনেকেই মনে করছেন যে   আম্বানিরা নতুন করে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় নামছেন। যদিও রিলায়েন্সের মুখপাত্রের তরফ থেকে এখনও বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। এবং রিলায়েন্সের একজন মুখপাত্রের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনিও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।

    আরও পড়ুন: দেশে ৫ জির সূচনা, ভারতে বসে ইউরোপে গাড়ি চালালেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরে ‘ফ্যামিলি অফিস’-এর জন্য অনেক ধনী ব্যক্তিই এখন উদ্যোগ নিচ্ছেন। পৃথিবীর যত সব ধনী ব্যক্তিরা রয়েছেন তাঁধের মধ্যে অনেকেই এই সিঙ্গাপুরকেই পারিবারিক অফিসের জন্য বেছে নেন। এবার বিশ্বের সমস্ত ধনকুবেরদের সঙ্গে এই দৌড়ে সামিল হয়েছেন মুকেশ আম্বানিও (Mukesh Ambani Office)। পৃথিবীতে সবচেয়ে ধনী গোষ্ঠীগুলিকে নিয়ে সম্প্রতি একটি সংস্থা গঠন করা হয়েছে। যার নাম হেজ ফান্ড। বিলিয়নিয়ার রে ডালি ও গুগল এর সহ প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনও ছাড়াও অন্যান্য আরও অনেক ধনী, এই সংস্থার সদস্য হিসাবে যোগদান করেছেন। আর ফলে এতে যোগদান করেছেন মুকেশ আম্বানিও।

    এছাড়াও সিঙ্গাপুরে ফ্যামিলি অফিস খোলার (Mukesh Ambani Office) পেছেনেও অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে দুটি কারণ হল নিরাপত্তা ও ট্যাক্স। এছাড়াও সিঙ্গাপুর মনিটারি অথরিটির তরফে অনুমান করা হয়েছে যে, ২০২১ সালের শেষ নাগাদ সেখানে বৈদেশিক সংস্থার অফিস নির্মাণের জন্য জায়গা ছিল ৭০০ টি যা ২০২০র তুলনায় ৪০০ টি বেশি। ফলে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিরা সিঙ্গাপুরকেই ফ্যামিলি অফিস খোলার জন্য যোগ্য স্থান হিসেবে মনে করেছেন। তবে যে হারে ধনকুবেরদের আধিক্য বাড়ছে সিঙ্গাপুরে, যার ফলে এই দেশের গাড়ি, আবাসন এবং অন্যান্য জিনিসের দামও বাড়ছে। উপপ্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং অগাস্ট মাসে একটি সাক্ষাৎকারে জানান, ধনীদের জন্য কর বাড়ানোর কথা ভাবছে সরকার।

    আম্বানিরা তাঁদের ব্যবসাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতেই এমন পদক্ষেপ (Mukesh Ambani Office) নিয়েছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও ভারতের বাইরেও সম্পদ অর্জনের জন্য এটি তার একটি পরিকল্পনা বলে মনে করছেন অনেকেই। অনেকেই এর নামকরণ করছেন রিলায়েন্সের আন্তর্জাতিকরণের সূচনা। আরও জানা গিয়েছে, ব্লুমবার্গ ওয়েলথ ইনডেক্স অনুসারে আম্বানির সম্পত্তির মূল্য বর্তমানে আনুমানিক ৮৩.৭ বিলিয়ন, তিনি চান সিঙ্গাপুরের এই পারিবারিক অফিসটিকে  এক বছরের মধ্যে চালু করতে, যার জন্য স্ত্রী নীতা আম্বানিও এটি স্থাপনে সহায়তা করছেন তাঁকে।

  • Direct Tax Collection: লক্ষ্মীপুজোয় লক্ষ্মীলাভ! প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ল ২৪ শতাংশ

    Direct Tax Collection: লক্ষ্মীপুজোয় লক্ষ্মীলাভ! প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ল ২৪ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনেই মিলল সুখবর! চলতি অর্থবর্ষের (Fiscal Year) প্রথমার্ধে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের (Direct Tax Collection) পরিমাণ বাড়ল ২৪ শতাংশ। কর্পোরেট ও ব্যক্তিগত আয়ের ওপর ওই কর সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রথম ছ মাসে এই সংগ্রহের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ শতাংশ। রবিবার ট্যাক্স দফতরের তরফে এ খবর জানানো হয়েছে।

    প্রত্যক্ষ কর হল দেশের নাগরিকের আয় ও সম্পদের ওপর নির্দিষ্ট হারে আদায়কৃত সরকারি রাজস্ব। এর উল্টো দিকে রয়েছে পরোক্ষ কর বা মূল্য সংযোজন কর যা পণ্য ও সেবা উৎপাদন ও বিক্রয়, আমদানি ও রফতানি এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর আরোপ করা হয়। প্রত্যক্ষ কর সাধারণত দু প্রকার-আয়কর ও সম্পদ কর।

    ট্যাক্স দফতরের জারি করা বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে অক্টোবরের ৮ তারিখ পর্যন্ত কর্পোরেট আয় বেড়ে হয়েছে ১৬.৭৪ শতাংশ। আর পার্সোনাল ইনকাম ট্যাক্স বেড়ে হয়েছে ৩২.৩০ শতাংশ। ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে অক্টোবরের ৮ তারিখ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের (Direct Tax Collection) পরিমাণ ৮.৯৮ লক্ষ কোটি টাকা। গত বছর এই সময়ের চেয়ে এই বৃদ্ধির হার ২৩.৮ শতাংশ বেশি। এই কর্পোরেট ও ব্যক্তিগত আয় দিয়েই হয় প্রত্যক্ষ করের পরিমাপ। জানা গিয়েছে, রিফান্ড অ্যাডজাস্ট করার পর প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৭.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষের তুলনায় ১৬.৩ শতাংশ বেশি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে বাজেট এস্টিমেটে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ ধরা হয়েছিল ৫২.৪৬ শতাংশ। অর্থবর্ষের প্রথম ছ মাসেই সংগ্রহ হয়েছে যার প্রায় অর্ধেক।

    আরও পড়ুন : চলতি অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহে বিপুল বৃদ্ধি, কত জানলে চোখ কপালে উঠবে!

    কর সংগ্রহের সূচক দেখেই কোনও একটি দেশের অর্থনীতির হালহকিকত সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ হয়। ভারতে  কর সংগ্রহের পরিমাণ বাড়লেও, কমেছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন এবং রফতানির পরিমাণ। প্রসঙ্গত, গত অর্থবর্ষের ৩১ মার্চ পর্যন্ত শেষ হওয়া আর্থিক বর্ষে দেশে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের (Direct Tax Collection) মাত্রা রেকর্ড ছুঁয়েছিল। কর আদায় ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছিল ১৪.১০ লক্ষ কোটি টাকায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Shiv Sena: শিবসেনার ‘তির-ধনুক’ ব্যবহার করতে পারবেন না ঠাকরে-শিন্ডে, নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    Shiv Sena: শিবসেনার ‘তির-ধনুক’ ব্যবহার করতে পারবেন না ঠাকরে-শিন্ডে, নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনা (Shiv Sena) বিতর্কে আপাতত ইতি টানল নির্বাচন কমিশন (EC)। সাফ জানাল, আসন্ন আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শিবসেনার প্রতীক তির ও ধনুক ব্যবহার করতে পারবে না শিবসেনার দুই গোষ্ঠীর কোনওটিই। মাস দুয়েক আগে শিবসেনা (Shiv Sena) ভেঙে দু টুকরো হয়ে যায়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় উদ্ধব ঠাকরেকে সরিয়ে বিজেপির সমর্থনে সরকার গড়েন শিবসেনারই একনাথ শিন্ডে। তার পরেই দু পক্ষ নিজেদের আসল শিবসেনা বলে দাবি করতে থাকে। বিবাদ গড়ায় নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত। সেই বিবাদেই আপাতত জল ঢালল কমিশন। সাফ জানাল, আন্ধেরি পূ্র্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দু পক্ষকেই লড়তে হবে তির-ধনুক বাদে অন্য কোনও প্রতীকে।

    জারি করা নির্দেশে নির্বাচন কমিশন বলেছে, দুই গোষ্ঠীই একই দলের (শিবসেনার) প্রতিনিধিত্ব দাবি করছে। তাই তারা একটি প্রতীকের দাবি করছে। তা সম্ভব নয়। আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দুই গোষ্ঠীই শিবসেনার (Shiv Sena) প্রতীক ছাড়া অন্য কোনও প্রতীক নিতে পারে। দুই গোষ্ঠীকেই নয়া নাম এবং প্রতীক জমা দিতেও বলেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তে বাকরুদ্ধ শিবসেনা (Shiv Sena)  নেতা অনিল দেশাই। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে শিবিরের মুখপাত্র নরেশ মাসকে বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ। আমরা প্রতীক হিসেবে তির-ধনুকই চাই। সেজন্য আমরা আইনি পরামর্শও করছি।

    আরও পড়ুন : আসল শিবসেনা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (Shiv Sena) গোষ্ঠী নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে তাদের প্রতি অবিচার বলে আখ্যা দিয়েছে। মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আম্বাদাস দাঁভে বলেন, এটি আমাদের প্রতি অবিচার। অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ জারি না করে নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশের পর ট্যুইট করেছেন আদিত্য ঠাকরে। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, বাক্সবন্দি বিশ্বাসঘাতকের দল শিবসেনার (Shiv Sena)  নাম ও প্রতীক লোপ করতে লজ্জাজনক কাজ করছে। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা এটা সহ্য করবেন না। আমরা লড়াই করব এবং জয়ী হব। আমরা সত্যের পক্ষে। সত্যমেব জয়তে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Ayodhya Deepotsav 2022: ১২ লক্ষের বেশি প্রদীপ জ্বালিয়ে ফের ইতিহাস সৃষ্টির পথে অযোধ্যা, দীপোৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Ayodhya Deepotsav 2022: ১২ লক্ষের বেশি প্রদীপ জ্বালিয়ে ফের ইতিহাস সৃষ্টির পথে অযোধ্যা, দীপোৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছরের মত এবারও দীপাবলিতে প্রদীপের নানা সাজে সেজে উঠবে রাম নগরী অযোধ্যা (Ayodhya)। আর তারই প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। দেশজুড়ে চলছে উৎসবের মরশুম। আর হাতে মাত্র গোনা কয়েকদিন। তারপরেই দীপাবলি। এবছর দীপাবলি ২৩ অক্টোবর, তাই অযোধ্যার ‘রাম কি পৌড়ি ঘাটে’ ষষ্ঠবারের জন্য দীপোৎসব (Ayodhya Deepotsav 2022) উদযাপনের জন্য যোগী সরকারের তরফে বিশেষ প্রস্তুতি জোরদার ভাবে নেওয়া শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর অনযায়ী, এবছর সরযূ নদীর তীরে আগের বারের থেকেও বেশি প্রদীপ জ্বালিয়ে ফের রেকর্ড গড়ে তোলা হবে।

    গত বারের মতো এবারও অযোধ্যায় রাজকীয় দীপোৎসবের (Ayodhya Deepotsav 2022) আয়োজন করবে যোগী সরকার। জ্বালানো হবে ১২ লক্ষেরও বেশি মাটির প্রদীপ। আগেরবার সর্বাধিক প্রদীপ প্রায় ১২ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে (Guinness World Record) নাম তুলেছিল অযোধ্যা। এবার তাই ১২ লক্ষেরও বেশি প্রদীপ জ্বালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। করোনার রেশ কিছুটা কমায় এবছর আগের থেকে বেশি জাঁকজমকভাবে উদযাপন করা হবে দীপোৎসব ও অতুলনীয় দীপসজ্জায় সেজে উঠবে সরযূ-তীরের নগরী অযোধ্যা।

    আরও পড়ুন: পিএফআইয়ের র‌্যাডারে স্বয়ং মোদি, বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি অযোধ্যা-মথুরার মন্দিরও!

    এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট জানা যায়নি যে, মোট কত প্রদীপ এবছর জ্বালানো হবে, তবে তার পরিমাণ যে গত বছরের তুলনায় বেশিই হবে, সেটা নিশ্চিত। দীপোৎসবের (Ayodhya Deepotsav 2022) প্রস্তুতির জন্য এখন থেকেই অযোধ্যা, লখনউ, গোন্ডা এবং অন্যান্য জেলা থেকে মাটির হাঁড়ি আনা হচ্ছে। ঘাটে প্রদীপ জড়ো করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গত পাঁচ বছরের মত এবারও ৩০ মিনিটের বেশি প্রদীপ জ্বলবে। ফলে মানুষ দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রদীপ জ্বলতে দেখতে পাবে ও এই আলোকসজ্জার প্রত্যক্ষদর্শী হতে পারবে। তাই এবার ৩০ মিলিলিটারের পরিবর্তে, ৪০ মিলি তেল প্রদীপে ঢেলে দেওয়া হবে যাতে সেগুলি দীর্ঘ সময় জ্বলতে পারে।

    প্রসঙ্গত, যোগী আদিত্যনাথের সরকার গঠনের পর থেকে অযোধ্যায় দীপোৎসব (Ayodhya Deepotsav 2022) শুরু হয়েছিল। যোগী রাজত্বে প্রথম বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে জ্বালানো হয়েছিল ১৮০০০০ টি প্রদীপ। এরপর ২০১৮ সালে ৩০১১৫২ টি, ২০১৯ সালে ৫৫০০০০ টি, ২০২০ সালে ৬ লক্ষ ৬ হাজার প্রদীপ এবং ২০২১ সালে ১২ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের পাশাপাশি এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল যোগী রাজ্য। এবারও আরও এক ইতিহাস সৃষ্টির পথে রাম-রাজ্য অযোধ্যা।

    পৌরাণিকভাবে কথিত আছে, ১৪ বছর বনবাসের শেষে রাবণ বধ করে কার্তিক মাসের অমাবস্যার দিনেই অযোধ্যায় স্ত্রী সীতাকে নিয়ে ফিরেছিলেন দশরথ নন্দন রামচন্দ্র। কথিত আছে, রাম-লক্ষ্মণ-সীতা ফেরার আনন্দে প্রদীপের মালায় সেজে ওঠে সরয়ূর তীর। তাঁদের স্বাগত জানাতে ঘরে ঘরে দ্বীপ জ্বালিয়েছিলেন অযোধ্যাবাসী। আর সেই থেকেই দীপাবলির (Deewali) সূচনা।

  • Nashik Maharashtra: মহারাষ্ট্রে চলন্ত বাসে আগুন, মৃত ১২, আহত ৩৮

    Nashik Maharashtra: মহারাষ্ট্রে চলন্ত বাসে আগুন, মৃত ১২, আহত ৩৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলন্ত বাসে ভয়াবহ আগুন। প্রাণ গেল ১২ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ৩৮ । মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাসিকে। 

    মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। আহতদের চিকিত্‍সার দায়িত্ব নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। 

    মহারাষ্ট্রের ইয়াবতমাল (Yavatmal) থেকে মুম্বই (Mumbai) যাচ্ছিল স্লিপার বাসটি। নাসিকের ঔরঙ্গাবাদ রোডে (Aurangabad Road) দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ধুলে থেকে আসা মুম্বইগামী ট্রেলারের সঙ্গে সংঘর্ষের পরেই আগুন ধরে যায় বাসটিতে। যাত্রীদের অনেকেই তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে জ্বলন্ত বাসে পুড়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১২ জনের। নাসিক পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অমল তোম্বে জানিয়েছেন, “দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” ঠিক কী কারণে বাসে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক। পরে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।          
     
    নাসিকের দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা সাহায্য ঘোষণা করেছেন তিনি।  

     


    আরও পড়ুন: এদিন বায়ুসেনার নয়া যুদ্ধকালীন পোশাকও প্রকাশ করা হয়।

    এক আহত ব্যক্তি জানিয়েছেন, বাসটি মুহূর্তে জ্বলে ওঠে। মানুষকে বেরনোর সময়ও দেয়নি। জানলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন যাত্রীরা। এভাবে বহু যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন৷ আহত যাত্রীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। নাসিক পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ভোর ৫.১৫ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • PFI: পিএফআইয়ের র‌্যাডারে স্বয়ং মোদি, বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি অযোধ্যা-মথুরার মন্দিরও!

    PFI: পিএফআইয়ের র‌্যাডারে স্বয়ং মোদি, বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি অযোধ্যা-মথুরার মন্দিরও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দাঁত, নখ বের করতে শুরু করেছে নিষিদ্ধ ইসলামিক সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইসলামিক এই সংগঠনকে। তার পরেই মহারাষ্ট্রের বিজেপির (BJP) এক বিধায়ককে মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি দিয়েছে পিএফআইয়ের (PFI) এক সদস্য। ইসলামিক এই সংগঠনের সঙ্গে আইসিস এবং বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এই সংগঠন ভারত বিরোধী কাজেও লিপ্ত। এই জোড়া অভিযোগের জেরে আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআইকে। হুমকি চিঠি পেয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বিজেপি বিধায়ক।

    দায়ের করা এফআইআরে বিজেপি বিধায়ক বিজয়কুমার দেশমুখ অভিযুক্ত করেছেন পিএফআই (PFI) নেতা মহম্মদ সফি বিরাজদারকে। তাঁর দাবি, সফি তাঁর মুণ্ডচ্ছেদ করা হবে বলে হুমকি চিঠি দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় তাঁকে এই সাজা দেওয়া হবে। কেবল তাই নয়, আত্মঘাতী বম্বারদের দিয়ে অযোধ্যার রাম মন্দির এবং কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন পিএফআইয়ের (PFI) ওই নেতা। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আরও কয়েকজন দক্ষ রাজনীতিবিদও তাঁদের র‌্যাডারে রয়েছেন। পিএফআই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চিঠির সত্যতা যাচাই করছে সোলাপুর পুলিশ।

    পুজোর আগে আগেই পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআইকে (PFI)। ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ইসলামিক ওই সংগঠনকে। কেবল পিএফআই নয়, নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিএফআই, অল ইন্ডিয়া ইমাম কাউন্সিল, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্টকেও। অভিযোগ, এরা প্রত্যেকেই বেআইনি নানা কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। বেআইনি কার্যকলাপের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই সংগঠনগুলিকে।

    প্রসঙ্গত, পিএফআইয়ের (PFI) ডেরায় হানা দিয়ে দেশের ১০টি রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে একশোরও বেশি পিএফআই সদস্যকে। তার পরেই জানা গিয়েছিল, নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতর ও বিজেপির শীর্ষস্তরের কয়েকজন নেতাও ছিলেন পিএফআইয়ের র‌্যাডারে। পিএফআইয়ের টার্গেট যে বিজেপিই, এদিন ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গেল সেটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Mohan Bhagwat: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বর্ণ (Varna) এবং জাতিভেদ প্রথা (Caste System) তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। শুক্রবার নাগপুরে একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সরসংঘ চালক ভাগবত। সেখানেই তিনি বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা বাতিলের পক্ষে সরব হলেন। তিনি এও বলেন, বর্তমান সমাজে এর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই।

    বজ্রসূচি তুঁক বইটি লিখেছেন ডঃ মদন কুলকার্নি ও ডঃ রেণুকা বোকারে। এই বইটিরই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ওই অনুষ্ঠানে ভাগবত বলেন, ভারতে এক সময় সামাজিক সাম্য ছিল। এটা ভারতীয় ঐতিহ্যেরই অঙ্গ ছিল। পরবর্তীকালে সমাজ সেটা ভুলে যায়। এর ফল হয়েছে মারাত্মক।

    আরএসএস প্রধান বলেন, বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথার মধ্যে প্রকৃত পক্ষে কোনও বৈষম্য ছিল না। এর প্রয়োজনও ছিল। তবে এখন আর এর কোনও প্রয়োজন নেই বলেই মনে করেন সরসংঘ চালক। তিনি বলেন, এই দুই প্রথা সম্পর্কে আমাকে কেউ জিজ্ঞাসা করলে, আমি অবশ্যই বলব, এসব এখন অতীত। তাই ভুলে যাওয়া যাক। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, যা কিছু সমাজে বৈষম্যের সৃষ্টি করে, সেগুলি বন্ধ হওয়া উচিত। সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত বলেন, আমাদের আগের প্রজন্ম সর্বত্র ভুল করেছে। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। আরএসএস প্রধান এও বলেন, ওই ভুলগুলি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, আপনি যদি মনে করেন আমাদের পূ্র্ব পুরষের ভুলগুলি স্বীকার করলে তাঁরা হীন হয়ে যাবেন, তা কখনওই হতে পারে না। কারণ এ ভুল করেছেন আমাদের প্রত্যেকের পূর্ব পুরুষ।

    দেশ থেকে বৈষম্য দূর করতে মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) চেষ্টার কোনও খামতি নেই। দুর্গাপুজোর আগেই তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। তাঁরা তাঁকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ অভিধায় ভূষিত করেছিলেন। সেটা যে নিছক সম্মাননাই নয়, এদিন ভাগবতের এই সমাজ সংস্কারমূলক মন্তব্যই তার প্রমাণ।

     

     

  • Cheetah Helicopter: অরুণাচলে ভেঙে পড়ল সেনার চিতা হেলিকপ্টার, মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার

    Cheetah Helicopter: অরুণাচলে ভেঙে পড়ল সেনার চিতা হেলিকপ্টার, মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে (Tawang) ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনার চিতা (Cheetah) হেলিকপ্টার। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন  সেনা এভিয়েশন কোরের এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (Lieutenant Colonel) পদমর্যাদার অফিসারের। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি সহকারী পাইলট। তেজপুরের সেনা মুখপাত্র কর্নেল এএস ওয়ালিয়া সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, চিনা (China) সীমান্তের কাছে রুটিন টহলদারির সময় আচমকা ওই হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। এক পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। অপরজন চিকিৎসাধীন। সকাল ১০ টা নাগাদ ভেঙে পড়ে চিতা হেলিকপ্টারটি। দ্রুত দুই পাইলটকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার সময়ই একজনের মৃত্যু ঘটে।

    [tw]


    [/tw]

    যদিও সেনাবাহিনীর (army) তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানানো হয়নি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরেই বিস্তারিত জানানো হবে। সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেলের নাম সৌরভ যাদব (Lt. Col Saurabh Yadav)। আরেক জখম পাইলটের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

    এই ঘটনার জেরে ফের একবার সেনাবাহিনীর চিতা ও চেতক হেলিকপ্টারের গ্রহনযোগ্যতার উপর প্রশ্ন উঠেছে। ১৯৬০-৭০ সাল থেকে ব্যবহৃত এই হেলিকপ্টারগুলি বর্তমানে বার্ধক্যের ভারে নুইয়ে পড়েছে। এমত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশের উন্নত প্রযুক্তির হেলিকপ্টারের সামনে ভারতীয় সেনা কিভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ভারতের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট রাজ্যসভায় জানিয়েছিলেন যে, গত পাঁচ বছরে বায়ুসেনা বা তার সঙ্গে জড়িত এমন ৪২ জন যুদ্ধবিমান বা সামরিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: গরবা নাচতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, ছেলের শোকে প্রাণ হারালেন বাবাও

    অরুণাচল প্রদেশে গত কয়েক বছরে একাধিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর সামনে এসেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যে খারাপ আবহাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১০ সাল থেকে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ৬টি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন অরুনাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh)  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দর্জি খাণ্ডুও (Dorjee Khandu)।

    এর আগে গত মার্চ মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সেনাবাহিনীর আরও একটি চিতা হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছিল। সেই দুর্ঘটনায় একজন পাইলটের মৃত্যু হয়েছিল। সহকারি পাইলট গুরুতর আহত হয়েছিলেন। প্রাক্তন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) মৃত্যুও হয়েছিল এই কপ্টার দুর্ঘটনার জেরেই। ২০২১-এর ডিসেম্বরে তামিলনাড়ুতে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী-সহ ১২ সেনা শীর্ষকর্তার মৃত্যু হয়।

    হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। যিনি নিজেও অরুণাচল প্রদেশের প্রতিনিধি। তিনি বলেছেন, ‘অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলা থেকে মর্মান্তিক খবর আসছে। ভারতীয় সেনার চিতা হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাইলটদের জন্য প্রার্থনা করছি।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share