Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Adipurush Controversy: ‘আদিপুরুষ’- এ হিন্দু সংস্কৃতি নিয়ে উপহাস করা হয়েছে, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    Adipurush Controversy: ‘আদিপুরুষ’- এ হিন্দু সংস্কৃতি নিয়ে উপহাস করা হয়েছে, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বহু প্রতিক্ষিত বিগ বেজেট ছবি ‘আদিপুরুষ’- (Adipurush Controversy) এর প্রথম টিজার। টিজার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই যেন বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না এই ছবির। প্রথমে ছবির ভিএফএক্স ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। এবার ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ উঠল ‘আদিপুরুষ’- এর নির্মাতাদের বিরুদ্ধে।  

    ইতিমধ্যেই সিনেমাটি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে ধর্মীয় হিন্দু সংগঠনগুলি। এবার এই সিনেমার বিরুদ্ধে হিন্দু সমাজ, হিন্দু সংস্কৃতি, হিন্দু ধর্মকে উপহাস করার অভিযোগ তুলল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Hindu Parishad)। ভিএইচপি- র দাবি, ‘আদিপুরুষ’-এর টিজারে রাম, হনুমান এবং রাবণের চিত্র ঠিকভাবে উপস্থাপিত করা হয়নি। সিনেমাটি বয়কটের ডাকও দিয়েছে এই সংগঠন। এই সিনেমা কোনওভাবেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। 

    ভিএইচপি- র সম্বল ইউনিটের প্রচার প্রধান অজয় ​​শর্মা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ভগবান রাম, রাবণ এবং লক্ষ্মণকে যেভাবে ‘আদিপুরুষ’-এ চিত্রিত করা হয়েছে, তা হিন্দুধর্মের উপহাস। হিন্দু সমাজের মূল্যবোধকে উপহাস করা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া হবে না। রাবণকে যেভাবে চিত্রিত করা হয়েছে এখানে, রামায়ণ এবং অন্যান্য ধর্মীয় শাস্ত্রের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই।”

    অযোধ্যার রাম মন্দিরের তরফ থেকেও এই ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি তোলা হয়েছে। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস বলেন, “টিজারে যেভাবে রাম ও রাবণের চরিত্রকে দেখানো হয়েছে তার সঙ্গে পৌরাণিক চরিত্রের কোনও মিল নেই। এই চরিত্রায়ন সম্পূর্ণ ভুল এবং নিন্দনীয়। এই ছবিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি আমরা।”

    উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং ব্রজেশ পাঠকও এ ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন। বিজেপি মুখপাত্র মালবিকা অবিনাশ বলেছেন, “ছবিতে যে রাবণকে আকাশে উড়তে দেখা যাচ্ছে, সে আদৌ ভারতীয়? চোখে নীল মেকআপ, চামড়ার জ্যাকেট পরা ও কী মূর্তি! কেবলমাত্র সৃষ্টির অধিকার আছে বলেই যা খুশি করা যায় না বোধহয়! ছবি বানানো কোনও অপরাধ নয়। কিন্তু যা ইচ্ছে তাই করা উচিৎ নয়।” 

    আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়েছে ‘আদিপুরুষ’- এর টিজার, মুগ্ধ দর্শক

    সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপকভাবে ট্রোলড হয়েছে ছবির টিজার। রাবণের বেশে সইফকে দেখে হতভম্ব অনেকেই। অনেকের মতেই, লম্বা ঘন দাড়ি, ছোট ছোট চুল আর চোখে সুরমা পরা সইফকে রাবণ তো মনে হচ্ছেই না, বরং আলাউদ্দিন খিলজি বা বাবর বেশি মনে হচ্ছে। একজন লিখেছেন, সইফকে দেখে ঔরঙ্গজেবের মতো লাগছে না? রাবণের মতো একেবারেই দেখাচ্ছে না। রাবণ উত্তর ভারতের হিন্দু ব্রাহ্মণ ছিলেন। কিন্তু সইফকে দেখে মনে হচ্ছে যেন কোনো ইসলামিক অনুপ্রবেশকারী। এই দাবিও করেছেন অনেকে। আবার কেউ লিখেছেন, রাবণের বদলে রিজওয়ান বানিয়ে দেওয়া হয়েছে সইফকে। 

    গত ২ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে আদিপুরুষের প্রথম টিজার। পৌরাণিক এই গল্পে রামচন্দ্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাস। সীতার ভূমিকায় কৃতি স্যানন এবং রাবণের ভূমিকায় সইফ আলি খান। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ২০২৩ সালের শুরুর দিকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Mohan Bhagwat: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    Mohan Bhagwat: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশেরার অনুষ্ঠানে নাগপুরে আরও একবার ‘অখণ্ড ভারত’ ও ‘হিন্দুরাষ্ট্রের’ কথা শোনা গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের  (Rashtriya Swayamsevak Sangh) প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)।   গলায়। বুধবারের অনুষ্ঠানে সংঘ প্রধান বলেন, “হিন্দু রাষ্ট্রের কথা সর্বত্র আলোচনা করা হয়। অনেকে এর সঙ্গে সহমত। অনেকে আবার এর বিরোধিতা করেন। হিন্দু শব্দটি নিয়েও অনেকের আপত্তি রয়েছে। কেউ যদি হিন্দু শব্দের পরিবর্তে সমার্থক অন্য শব্দ ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে ধারণার স্বচ্ছতার জন্য আমরা আগেও যেমন হিন্দু শব্দের ওপর জোর দিয়েছি, এখনও হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব।”

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়েও এদিন সরব হন মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িক হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজ স্বাধীন ভারতেও পুরোদমে চলছে। এই সমস্ত মানুষরা নিজেদের স্বার্থের জন্য আমাদের কাছে আসে। এদের বিষয়ে আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। সংঘ কোনওদিন অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছড়াতে বলে না।” এদিন সংঘ প্রধান সমাজে ঐক্যের কথাও তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে সবাইকে জেগে উঠতে হবে। তিনি দাবি করেন, শিশুদের শুধু চাকরি পাওয়ার জন্য নয়, বরং ভালো সংষ্কার এবং উন্নত মানুষ হওয়ার জন্য শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। তিনি বলেন,”সাধারণ মানুষের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, ভালো কেরিয়ারের জন্য ইংরেজি জানা প্রয়োজন। তবে এটা একটা মিথের বাইরে কিছু নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    এদিন বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের অবস্থান নিয়েও কথা বলেন ভাগবত। শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট, ইউক্রেন ও রাশিয়ার দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ টেনে আনেন সংঘ প্রধান। তিনি বলেন,”বিশ্বে আমাদের মর্যাদা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বেড়েছে। আমরা শ্রীলঙ্কাকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছি। ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাতে ভারতের মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে শোনা হচ্ছে।” মোহন ভাগবত বলেছেন, করোনায় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে ভারতের অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়েছে। কিন্তু ভারত সেই প্রভাব বর্তমানে কাটিয়ে উঠেছে। বিশ্বের বিভিন্ন অর্থনীতিবিদরা ভবিষ্যদ্বানী করেছেন, ভারতের অর্থনীতির আরও উন্নতি হবে। ভারত বর্তমানে ব্রিটেনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে ভারতের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। খেলোয়াড়রা দেশকে গর্বিত করেছে।

  • Modi-Zelenskyy: “আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করতে হবে…”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    Modi-Zelenskyy: “আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করতে হবে…”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে ফের কথা বললেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে কথা বলেন তাঁরা (Modi-Zelenskyy)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) পরিস্থিতির মধ্যে যেভাবে পারমাণবিক শক্তির তত্ত্ব উঠে আসছে, সেই নিয়ে মূলত দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কথা হয়েছে। এর আগেও মোদি পুতিনকে (Vladimir Putin) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার কথা বলেছিলেন, এবং আজও জেলেনস্কিকে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধে ইতি টানার পরামর্শ দিয়েছেন মোদি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান নিয়ে প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। ফলে আজ আবার তাঁদের মধ্যের আলোচনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।

    আরও পড়ুন: ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ায় যুক্ত করতে চলেছেন পুতিন?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদি ফোনে কথা বলার সময় বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণুকেন্দ্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের সুদূর প্রসারী ক্ষতি হতে পারে। নেমে আসতে পারে বিপর্যয়। তিনি এদিন আরও জানান, শান্তি বজায় রাখার জন্য যে কোনও ধরণের প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে ভারত পুরোপুরি প্রস্তুত।

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, যুদ্ধ থেকে কোনও সমাধান আসে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি আবারও রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আলোচনা এবং কূটনীতির পথ অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও আজ প্রধানমন্ত্রী মোদি রাষ্ট্রসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং সমস্ত দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মানের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।  

    আরও পড়ুন: ‘রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে রয়েছে…’, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Narendra Modi: মানবিক মোদি! রাত ১০টায় সভায় এসে চাইলেন ক্ষমা, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ছাড়লেন রাস্তা

    Narendra Modi: মানবিক মোদি! রাত ১০টায় সভায় এসে চাইলেন ক্ষমা, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ছাড়লেন রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি নিয়মের বাইরে নন। দেশের প্রধান হলেও নিয়ম তার জন্যও প্রযোজ্য। তাই রাত ১০টায় জনসভায় পৌঁছে মাইক ব্যবহার করলেন না। দেরিতে সভায় পৌঁছনোর জন্য চাইলেন ক্ষমা। সকলের সামনে আদর্শ স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। শুক্রবার রাজস্থানের সিরোহির আবু রোডের একটি সভায় পৌঁছতে দেরি হয়ে যায় তাঁর। তাই সভায় বক্তব্য না রেখে মাইক ছাড়াই সমাবেশে উপস্থিত সকলের কাছে ক্ষমা চাইলেন মোদি। সকলের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘আমার পৌঁছতে দেরি হয়ে গিয়েছে। এখন রাত ১০ টা বাজে। আমার বিবেক বলে, আমার নিয়ম নীতি মেনে চলা উচিত। তাই আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’

    পুনরায় ওখানে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোদি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আবার আসব আমি এখানে এবং আমাকে দেওয়া আপনাদের সব ভালবাসা সুদ সমেত ফিরিয়ে দেব।’ এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের বক্তৃতাই এখন সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল। এরপরই মঞ্চে হাঁটু গেড়ে বসে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান তোলেন মোদি। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত জনতাও স্লোগান দিয়ে ওঠেন। একাধিক বিজেপি নেতা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবহারের প্রশংসা করেছেন। তাঁর মাইক্রোফোন এবং লাউডস্পিকারের নিয়ম অনুসরণ করার জন্য তাঁকে বাহবা দিয়েছেন।

    এর আগেও এদিন মোদির মানবিক রূপ দেখেন দেশবাসী। অ্যাম্বুল্যান্সকে জায়গা দেওয়ার জন্য থেমে যায় প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। শুক্রবার আমেদাবাদ থেকে গান্ধীনগরে (Gujarat) যাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ধীরে ধীরে বাঁদিকে সরে গিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ করে দিচ্ছে মোদির কনভয়। প্রধানমন্ত্রীর ভিডিয়ো পোস্ট করে গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি লিখেছেন, ‘জনগণের সরকার। আমেদাবাদ থেকে গান্ধীনগর যাওয়ার পথে অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ দিতে থামল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়।’আর কিছু দিন বাদেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নবরাত্রী উৎসবের মধ্যে নিজের রাজ্যে গিয়েছেন মোদি। গুজরাটে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন করছেন তিনি। শুক্রবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। 

  • PFI: কেন্দ্রের নিষিদ্ধ ঘোষণার পরেই, পিএফআইকে ‘বেআইনি সংগঠন’ আখ্যা তিন রাজ্যের

    PFI: কেন্দ্রের নিষিদ্ধ ঘোষণার পরেই, পিএফআইকে ‘বেআইনি সংগঠন’ আখ্যা তিন রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) ওপর পাঁচ বছরের জন্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার (Central Goverment)। কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরেই তামিলনাড়ু (Tamil Nadu), কেরল (Kerala) এবং মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকারও পিএফআই- কে এই রাজ্যগুলিতে ‘বেআইনি সংগঠন’ (Unlawful Association) ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার তিন রাজ্যের তরফে, বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, রাজ্যগুলিতে পিএফআই-এর সব অফিস বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টও বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্যগুলি। এই রাজ্যগুলিতেই এই নিষিদ্ধ সংগঠনের সব থেকে বেশি বাড়বাড়ন্ত ছিল। শুধুমাত্র কেরলেই সংগঠনটির ১৪০-এর বেশি  অফিস রয়েছে। এই দলের সঙ্গে যুক্ত যে কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারবে পুলিশ। এমনটাই বলা হয়েছে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে।  তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার গতিবিধিতেও নজর রাখা হবে। 

    আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার আগে পিএফআইকে প্রকাশ্যে সমর্থন পাকিস্তান দূতাবাসের

     

     

    ইতিমধ্যেই পিএফআই-এর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পিএফআই-কে। সেই সঙ্গে এই দলের সঙ্গে যুক্ত নেতাদের অ্যাকাউন্টও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সংগঠনটির অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ৮১ হাজার ফলোয়ার ছিল। দলের চেয়ারপার্সন ওএমএ সালামের ট্যুইটারে ফলোয়ার সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ হাজার। দলের সাধারণ সম্পাদক আনিস আহমেদের ফলোয়ার সংখ্যা ছিল প্রায় ৮৫ হাজার। সব কটি অ্যাকাউন্টই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্যুইটার থেকে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Spoon Swallow: মানুষের পেটের ভিতরে মিলল ৬৩টি চামচ! কীভাবে এল জানেন?

    Spoon Swallow: মানুষের পেটের ভিতরে মিলল ৬৩টি চামচ! কীভাবে এল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের পেটের ভিতরে মিলল চামচ! একটা, দুটো নয়, ৬৩টি। অবিশ্বাস্য এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মিরাটের এক বেসরকারি হাসপাতালে। রবিবার ওই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় এক ব্যক্তির। ঘণ্টা দুয়েকের অস্ত্রোপচারে (Operation) বের করা হয় ৬৩টি মাথাবিহীন চামচ (Spoon)। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল (Stable)। কয়েক দিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হবে তাঁকে।

    আরও পড়ুন: নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই? 

    উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) মুজাফফর (Muzaffarpur) জেলার বাসিন্দা বিজয় চৌহান ১৫ দিন আগে তীব্র পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি হন। পরীক্ষানিরীক্ষার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর পেটে ৬৩টি মাথাবিহীন চামচ রয়েছে বলে নিশ্চিত হন। তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় চামচ। 

    আরও পড়ুন: “স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া স্বামীর কর্তব্য…”, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    হাসপাতাল (Hospital) কর্তৃপক্ষ জানান, ওই ব্যক্তি মাদকাসক্ত (Addicted) ছিলেন। নেশা ছাড়ানোর জন্য পরিবার তাঁকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে (Drug De-addiction Center) ভর্তি করেছিল। গত সাত মাস ধরে ভর্তি ছিলেন তিনি। ওই ব্যক্তির পেটে কীভাবে এই মাথাবিহীন চামচগুলি এল, তার সদুত্তর দিতে পারেননি নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্তারা।

    আরও পড়ুন: হিন্দু নেতাদের হত্যা থেকে হাওয়ালা কারবার! কী কী করত পিএফআই, জানেন? 

    তবে হাসপাতালের এক চিকিৎসক (Doctor) জানান, রোগী একবার বলেছিলেন যে নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্মীরা জোর করে চামচ গিলতে বাধ্য করেছিলেন তাঁকে। তবে ফের রোগীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, স্বেচ্ছায় চামচ গিলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: দ্বিগ্বিজয়, কমল নাথ না গেহলট! কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে শশী থারুরের প্রতিদ্বন্দ্বী কে? 

    রোগীর পরিবারেরও দাবি, নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্মীরাই রোগীকে জোর করে চামচ খেতে বাধ্য করেছিলেন। যদিও তাঁরা এনিয়ে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Kashmir: কাশ্মীরে অগ্নিবীর নিয়োগ র‍্যালিতে নাশকতার ছক,পুলিশি অভিযানে খতম দুই জঙ্গি

    Kashmir: কাশ্মীরে অগ্নিবীর নিয়োগ র‍্যালিতে নাশকতার ছক,পুলিশি অভিযানে খতম দুই জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত এক সপ্তাহ ধরেই জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীকে খতম করছে ভারতীয় সেনা। ফের মিলেছে সাফল্য। শুক্রবার ভোররাতে বারামুল্লায় সন্ত্রাসবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে সাথে যুক্ত দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে বলেই কাশ্মীরের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, অগ্নিপথ নিয়োগ র‍্যালিতে নাশকতা করতেই এই জঙ্গিদের বরাত দেওয়া হয়েছিল। আর সেই উদ্দেশ্যেই ওঁত পেতে বসে বসে ছিল ওই দুই জঙ্গি। কিন্তু তাদের সব পরিকল্পনা বানচাল করে দিল পুলিশ। জঙ্গিদের থেকে ২টি একে ৪৭ এবং একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।  

    আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগেই জোড়া বিস্ফোরণে কাঁপল উপত্যকা 

     

    বারামুল্লার ইয়েদিপোরা, পাত্তান এলাকায় এনকাউন্টার শুরু হয়েছিল। কাশ্মীর জোন পুলিশ টুইট করে জঙ্গি দমনের খবর নিশ্চিত করেছে। প্রথমে একজন জইশ জঙ্গির মৃত্যুর খবর জানানো হয়। তারপরেই আরও একজনের মৃত্যু হয়। কাশ্মীরের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল বলেছেন, “বারামুল্লা এনকাউন্টার আপডেট: আরও একজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। উভয় স্থানীয় সন্ত্রাসী নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন জেএম-এর সাথে যুক্ত। অনুসন্ধান অভিযান চলছে। আরও বিশদ বিবরণ জানানো হবে।” বারামুল্লার আগে আজ শুক্রবারেই শোপিয়ান জেলার চিত্রগাম এলাকায় সন্ত্রাসবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে আরেকটি এনকাউন্টার শুরু হয়। এনকাউন্টার সাইটে অনুসন্ধান করে দুটি একে সিরিজের রাইফেল, গ্রেনেড এবং অন্যান্য যুদ্ধের দোকান উদ্ধার করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ফের জঙ্গিদের নিশানায় পরিযায়ী শ্রমিক! পুলওয়ামায় গুলিবিদ্ধ বিহারের দুই বাসিন্দা 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Ashok Gehlot: কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন লড়বেন না অশোক গেহলট, সোনিয়ার কাছে চাইলেন ক্ষমা

    Ashok Gehlot: কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন লড়বেন না অশোক গেহলট, সোনিয়ার কাছে চাইলেন ক্ষমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের সভাপতি পদের নির্বাচন ( Polls for Congress President) লড়বেন না প্রবীণ নেতা অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) জানিয়ে দিলেন সে কথা। সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পরই সিদ্ধান্তে এই বদল। এর আগে তাঁর সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার পর রাজস্থান কংগ্রেসে তীব্র অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস হাইকমান্ডও। তারপরই বৃহস্পতিবার বিকেলে দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন গেহলট। রাজস্থান কংগ্রেসের অন্তর্কলহের কারণে নেত্রীর কাছে ক্ষমাও চান বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের নিষিদ্ধ ঘোষণার পরেই, পিএফআইকে ‘বেআইনি সংগঠন’ আখ্যা তিন রাজ্যের  

    সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর অশোক গেহলট বলেন, “আমি কোচিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচনে লড়তে অনুরোধ করেছি। তিনি রাজি না হওয়ায়, আমি বলেছিলাম আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। কিন্তু, এখন রাজস্থান রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” 

    আরও পড়ুন: রাজস্থান বিদ্রোহকাণ্ডে ছাড় গেহলটকে!  

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদে থাকবেন কি না সেই সিদ্ধান্তও দলনেত্রীর ওপরই ছেড়েছেন তিনি। এ বিষয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রিত্বের বিষয়ে হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবে। আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকব কি না তা ম্যাডামই জানাবেন। ইন্দিরাজির সময় থেকে আমি কংগ্রেসের অনুগত সৈনিক। জয়পুরে যা ঘটেছে, তাতে আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি। দু দিন আগে যা ঘটেছিল, তাতে আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হয়েছে, আমার মুখ্যমন্ত্রী হতে চাওয়াতেই এটা ঘটেছে। আমি সোনিয়াজির কাছে ক্ষমা চেয়েছি।”    

    কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে, গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এরপরই তাঁর অনুপস্থিতিতে শচীন পাইলট মুখ্যমন্ত্রী হবেন এই আশঙ্কায় বিদ্রোহের পথে হাঁটেন গেহলট অনুগামীরা। এই ঘটনার পরেই গেহলট অনুগত তিন নেতাকে হাই কম্যান্ডের পক্ষ থেকে শো কজের নোটিসও ধরানো হয়। তারপরও দলের অভ্যন্তরীণ এই রাজনীতি থামানো যায়নি।   
     
    গেহলটের উত্তরসূরি বেছে নিতে কংগ্রেস জয়পুরে দলীয় বিধায়কদের একটি বৈঠক ডেকেছিল। কংগ্রেস নেতা অজয় ​​মাকেন এবং মল্লিকার্জুন খড়্গেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু তাঁদের অবজ্ঞা করে গেহলট অনুগতরা ‘সমান্তরাল বৈঠক’ করেন। এই বিষয়ে মাকেন এবং  খড়্গে, সোনিয়া গান্ধীকে একটি লিখিত রিপোর্ট দেওয়ার পরই তাঁর সঙ্গে এদিন সাক্ষাৎ করেন অশোক গেহলট।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PFI: আইইডি তৈরির পাঠ চলছিল চুপিসাড়ে! জানুন কী কী করত নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই?

    PFI: আইইডি তৈরির পাঠ চলছিল চুপিসাড়ে! জানুন কী কী করত নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে দফায় দফায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। উদ্ধার হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। যা থেকে স্পষ্ট বেআইনি কার্যকলাপ ও অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (PFI)। সেই কারণে সংস্থাটিকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central govt)। পিএফআইয়ের সঙ্গে জড়িত অন্য সংগঠনগুলিকেও ইউএপিএ (UAPA) আইনে কালো তালিকাভুক্ত করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry)। যার অর্থ এখন থেকে এই সংগঠনগুলি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বলে বিবেচিত হবে। ফলে আগামী পাঁচ বছর কোনও সভা, সমাবেশ, সম্মেলনের পাশাপাশি অনুদান সংগ্রহ করতে পারবে না সংগঠনগুলি। শুধু পাতে মারা নয়, পিএফআইয়ের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেবে না মমতা প্রশাসন

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি অনেকদিন ধরেই নজরদারি চালাচ্ছিল পিএফআই ও তাঁর সঙ্গে যুক্ত অন্য সংগঠনগুলির উপর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সবুজ সংকেত মেলার পরেই দেশের ১৫টি রাজ্যের ৯৩টি জায়গায় একযোগে অভিযান চালায় এনআইএ এবং ইডি। বেআইনি কার্যকলাপ, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রায় তিনশো জনের বেশি পিএফআই নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও জিনিসপত্র। যা দেখে চোখ কপালে ওঠার সামিল গোয়েন্দাদের। বিস্ফোরক তৈরির মডিউল, নজরদারি চালানোর যন্ত্রপাতি মিলেছে অভিযানে। যাতে পিএফআই-এর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী যোগ স্পষ্ট।

    আরও পড়ুন: নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযান শেষে উদ্ধার হওয়া সমস্ত নথি প্রকাশ্যে এনেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে আইইডি বানাতে হবে তার বিস্তারিত ম্যানুয়েল রয়েছে। উত্তর প্রদেশের দুই পিএফআই নেতা মহম্মদ নাদিম ও আহমেদেপ বেগের কাছ থেকে বিস্ফোরক তৈরির যে নথি এনআইএ এবং ইডি আধিকারিকরা উদ্ধার করেছেন, তা দেখে মনে হচ্ছ আইইডি তৈরির পাঠ চলছিল চুপিসাড়ে। বড় কোনও পরিকল্পনা ছিল তাদের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, উত্তর প্রদেশের খাদরার পিএফআই নেতা আহমেদ বেগ নাদবির থেকে একটি নথি পাওয়া গিয়েছে। যেখানে রয়েছে, হাতের সামনে থাকা জিনিস দিয়ে কীভাবে দ্রুত আইইডি বানানো যাবে। এছাড় মিশন ২০৪৭ সংক্রান্ত নথি, একাধিক সিডি, পেনড্রাইভও হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। যা তদন্তে আরও গতি আনবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PFI: সন্ত্রাসের নাগরিক মুখ PFI, ভারতে জেহাদি গৃহযুদ্ধের আন্তর্জাতিক চক্রান্ত?

    PFI: সন্ত্রাসের নাগরিক মুখ PFI, ভারতে জেহাদি গৃহযুদ্ধের আন্তর্জাতিক চক্রান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) ওপর পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার (Central Goverment)। বেআইনি কাজকর্মের জন্য পিএফআইয়ের সমস্ত সহযোগী সংস্থা এবং অনুমোদিত সংস্থার উপরও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। অনলাইনেও পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার গতিবিধি রুখতে পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। পিএফআই এবং আটটি সহযোগী সংস্থার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পিএফআইকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

    পিএফআই বরাবরই দাবি করে এসেছে যে, তাদের লড়াই দেশের সাধারণ নাগরিকের জন্যে। কিন্তু তথ্য অন্য কথা বলছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলি পিএফআই- এর আড়ালে ভারতে জেহাদি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমনই প্রমাণ হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। পিএফআই- এর আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগ রয়েছে, সেই দাবি আগেই করেছিলেন গোয়েন্দারা। ধীরে ধীরে পিএফআই- কে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। 

    ২০১৫ সালে পিএফআই এর নেতারা ইউসুফ আল কারযাভীর মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে দিল্লিতে ইজিপ্ট দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিলেন ইউসুফ আল কারযাভী। কর্ণেল গদ্দাফির খুনে বড় ভূমিকা এই আন্তর্জাতিক জঙ্গির। সব জানা সত্ত্বেও এই জঙ্গির সমর্থনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল পিএফআই। 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের নিষিদ্ধ ঘোষণার পরেই, পিএফআইকে ‘বেআইনি সংগঠন’ আখ্যা তিন রাজ্যের

    কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামিক স্টেট ও জেএমবির মতো বিদেশি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে পিএফআইয়ের যোগাযোগের কথা বলা হয়েছিল। ‘নর্ডিক মনিটর’ নামে সুইডেনের স্টকহলমের একটি গোয়েন্দা প্ল্যাটফর্মের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আল কায়দা-যোগে অভিযুক্ত তুরস্কের একটি সংগঠনের সঙ্গে পিএফআইয়ের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ‘ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমস অ্যান্ড হিউম্যানিটেরিয়ান রিলিফ’ (আইএইচএইচ) নামে তুরস্কের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অতিথি হয়ে পিএফআইয়ের জাতীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ই এম আব্দুল রহমান এবং পি কোয়া ইস্তানবুলে গিয়েছিলেন। আইএইচএইচের সঙ্গে আল কায়দার যোগ রয়েছে। ২০১৪ সালে সিরিয়ায় জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। বলা হয়েছে, তুরস্কের সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা এমআইটি-র সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করে আইএইচএইচ। আরও অভিযোগ, ২০১৬ সালে তুরস্কে যখন সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়, তখন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ানের সমর্থনে বিবৃতি দিয়েছিল পিএফআই। আবার ‘পিএফআইয়ের উপরে ভারতীয় পুলিশের নির্যাতন’-এর অভিযোগ তোলা হয়েছিল তুরস্কের সরকারি সংবাদমাধ্যমেই। 

    পিএফআই- এর বিরুদ্ধে কেন্দ্রের অভিযানে, অপারেশন অক্টোপাসের দ্বিতীয় রাউন্ডে, এনআইএ, এটিএস এবং রাজ্য পুলিশ সংগঠনের কার্যালয় থেকে, ‘মিশন  ২০৪৭’ সম্পর্কিত বেশ কিছু প্রমাণ পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারতকে গৃহযুদ্ধে ও অশান্তিতে জর্জরিত করা, ২০৪৭ সালের মধ্যে অপারেশন গাজওয়া-ই-হিন্দ সম্পূর্ণ করা এবং ভারতে ইসলামি শাসন জারি করা।   

    গোয়েন্দা সূত্রে বেশ কিছু বড় রহস্য সামনে এসেছে। পিএফআই- এর যে অ্যাকাউন্টগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেখানে জমা অর্থের একটা বড় অংশ উপসাগরীয় মুসলিম দেশগুলি থেকে এসেছে। কাতার, বাহারিন, কুয়েত এবং তুরস্কে পিএফআই-এর তহবিল ও নেটওয়ার্কেরও হদিশ মিলেছে। কর্ণাটক এবং কেরালা ছিল পিএফআই-এর মানি ব্যাঙ্ক এবং এখান থেকে টাকা সারা ভারতে ছড়িয়ে দেওয়া হত। আর সেই টাকাতেই চলত দেদার বেআইনি কার্যকলাপ।  উপসাগরীয় দেশ থেকে যে অর্থ আসত তা স্থানীয় অনুদান হিসেবে দেখানো হত। রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন নামে পিএফআই -এর একটি দাতব্য সংস্থার অ্যাকাউন্টে সৌদি আরব থেকে আসা প্রচুর  কালো টাকা জমা হত। 

    তদন্তে দেখা গিয়েছে, পিএফআই এবং পিএফআই- এর রাজনৈতিক  সংস্থা এসডিপিআই -এর অনেক সিনিয়র নেতা এনজিও- র কাজের নামে তুরস্কে যেতেন। মূলত তুরস্ক থেকে ভারত বিরোধী অ্যাজেন্ডা স্থির করা হতো। তুরস্কে, পিএফআই-এর সদস্যরা সিরিয়ায় সন্ত্রাসে যে সব সংস্থা থেকে হাওলার মাধ্যমে টাকা আসত তাদের সঙ্গে দেখা করত।   

    শুধু তাই নয়, এন আই এ-এর কাছে পিএফআই এবং এসডিপিআই-এর সঙ্গে যুক্ত এমন কিছু মানুষের তালিকা রয়েছে যারা ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে দেশ ছেড়েছে। সূত্রের খবর, পিএফআই-এর অ্যান্টি-ইন্ডিয়া ব্রিগেড এই অ্যাজেন্ডায় কাজ করছিল, কিন্তু অপারেশন অক্টোপাস প্রতিটি পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share