Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Congress Polls: সরলেন দিগ্বিজয়, এলেন খাড়গে, কংগ্রেসের রাশ থাকছে গান্ধী পরিবারের হাতেই?

    Congress Polls: সরলেন দিগ্বিজয়, এলেন খাড়গে, কংগ্রেসের রাশ থাকছে গান্ধী পরিবারের হাতেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন গান্ধী (Gandhi) পরিবারের আস্থাভাজন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun kharge)। আজ, ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন বলে কংগ্রেসেরই একটি সূত্রে খবর। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন না বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খাড়গেকে ফোন করেন কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। তার পরেই প্রেসিডেন্ট পদে গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন খাড়গের নাম চূড়ান্ত হয়। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীরও সম্মতি মিলেছে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা বলেন, খাড়গে প্রথম থেকেই হিসেবের মধ্যেই ছিলেন। তবে বয়স জনিত কারণ এবং রাজ্যসভার বিরোধী নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনের চাপ এই জোড়া কারণের জেরে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু যখন মুকুল ওয়াসনিক প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে রাজি হলেন না, তখন খাড়গের নামই চূড়ান্ত হয়। খাড়গে অবশ্য তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, দল যে দায়িত্ব দেবে, তা তিনি পালন করবেন। প্রসঙ্গত, খাড়গে ওই পদে লড়লে তাঁকে নিয়ে এ পর্যন্ত মোট তিনজন থাকবেন লড়াইয়ের ময়দানে। খাড়গে, শশী থারুর এবং দিগ্বিজয় সিং। শেষের দুজন অবশ্য ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। 

    আরও পড়ুন : কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন লড়বেন না অশোক গেহলট, সোনিয়ার কাছে চাইলেন ক্ষমা

    এদিকে, গান্ধী পরিবারের কেউ প্রেসিডেন্ট পদে না লড়লেও, কংগ্রেস যে এখনই গান্ধী পরিবারের প্রভাব মুক্ত হচ্ছে না, তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল দিগ্বিজয় সিংয়ের কথায়। তিনি বলেন, যিনিই পার্টির প্রেসিডেন্ট পদে বসুন না কেন তিনি গান্ধী পরিবারের ছত্রছায়ায় কাজ করবেন। প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা বলেন, আমাদের দেখতে হবে দেশের উন্নতি কতটা হচ্ছে। দেশকে খণ্ডিত হতে দেওয়া যাবে না। দুর্বল করা যাবে না সংবিধানকে। দিগ্বিজয় বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল করে আমি ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নিতে যাব। তিনি বলেন, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রত্যেকের অধিকার আছে নির্বাচনে লড়ার। তবে শুক্রবার বেলার দিকে অবশ্য লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ান দিগ্বিজয়। তিনি জানান, তিনি ভোটে লড়ছেন না। তিনি সমর্থন করবেন খাড়গেকে।  

    অন্যদিকে, এদিনই সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট। আলোচনা করেন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে। তিনি বলেন, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট আমার কথা মন দিয়ে শুনলেন। আমি তাঁকে আমার কথা বলেছি, ফিডব্যাক দিয়েছি। ২০২৩ সালে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করে জিততে হবে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jammu and Kashmir: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগেই জোড়া বিস্ফোরণে কাঁপল উপত্যকা

    Jammu and Kashmir: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগেই জোড়া বিস্ফোরণে কাঁপল উপত্যকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরপর বিস্ফোরণে (Bomb Blast) কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) উধমপুর জেলা। বুধবার গভীর রাতে ও বৃহস্পতিবার ভোরের মধ্যে পরপর দুটি দাঁড়িয়ে থাকা বাসে বিস্ফোরণ ঘটে।  তবে দু’টি ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর খবর নেই। বাসের ২ জন  কন্ডাক্টর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কাশ্মীর পুলিশ। উধমপুরে পৌঁছেছে এনআইএ-এর একটি বিশেষ দল। তারা ঘটনার তদন্ত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ৩রা অক্টোবরই কাশ্মীর সফরে যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তাঁর ২ দিনের এই সফর ঘিরে উপত্যকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তার আগে এই জোড়া বিস্ফোরণের জেরে জেলা জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চলছে নাকা তল্লাশি।

    প্রথম বিস্ফোরণটি হয় রাত সাড়ে দশটা নাগাদ দোমালি চকের একটি পেট্রল পাম্প দাঁড়িয়ে থাকা বাসে। বিস্ফোরণে বাসটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য গাড়িগুলিও কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে এ দ্বিতীয় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দুটি বিস্ফোরণের জেরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর আধিকারিকরা পৌঁছেছেন। এই ঘটনার জেরে জেলা জুড়ে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।  নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকা ফাঁকা করে বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুই বিস্ফোরণ স্থলের মধ্যে দূরত্ব ৪ কিলোমিটার। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।

    আরও পড়ুন: আইইডি তৈরির পাঠ চলছিল চুপিসাড়ে! জানুন কী কী করত নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় মোট ৬ টি বাস পার্ক করা ছিল। বিস্ফোরণের জেরে বাকি বাসগুলিরও ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।বাসের কন্ডাক্টর সুনীল সিং এবং মিনি বাস কন্ডাক্টর বিজয় কুমার এই ঘটনায় আহত হয়েছেন, তাদের দ্রুত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে আশেপাশের বেশ কয়েকটি ভবনও কেঁপে ওঠে। পুলিশ, সেনা ও সিআরপিএফ-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। এই জোড়া বিস্ফোরণের পর প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয়েরা।   

  • Attorney General: ভারতের পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন আইনজীবী আর ভেঙ্কটরামানি

    Attorney General: ভারতের পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন আইনজীবী আর ভেঙ্কটরামানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পরবর্তী নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল (Attorney General of India) হচ্ছেন সিনিয়র আইনজীবী আর ভেঙ্কটরামানি (Senior advocate R Venkataramani)। তিনি তিন বছরের জন্য এই পদে নিযুক্ত থাকবেন। কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রকের আইন বিষয়ক বিভাগের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ্রী আর ভেঙ্কটরামানিকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করেছেন।

    চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর, বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপালের মেয়াদ শেষ হবে। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে এই পদে নিয়োজিত হয়েছিলেন তিনি। এনার আগে মোদি জমানাতেই ২০১৪-১৭ অ্যাটর্নি জেনারেল পদে ছিলেন রোহতগি। পরে কেন্দ্র সরকার থেকে তাঁকে ফের এই পদের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন তিনি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নেন। আর তারপরেই ২০১৭ সালে স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন কে কে ভেনুগোপাল।

    আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে সুখবর, আরও তিনমাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    ভেঙ্কটরামানির নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে, কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর অফিসের তরফে গতকাল একটি ট্যুইট করা হয়েছে, যেখানে লেখা আছে, “মাননীয় রাষ্ট্রপতি ভারতের সিনিয়র আইনজীবী শ্রী আর ভেঙ্কটরামানিকে পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করতে পেরে আনন্দিত।”

    ১৯৫০ সালের ১৩ এপ্রিল পন্ডিচেরিতে জন্মগ্রহণ করেন আর ভেঙ্কটরামানি। তিনি ১৯৭৭ সাল থেকে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন ও তামিলনাড়ুর বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসাবে নিযুক্ত হন। এরপর ১৯৭৯ সালে, তিনি সুপ্রিম কোর্টে যান। ১৯৯৭ সালে, সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসাবে মনোনীত করে। এছাড়াও তিনি তাঁর সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের মেয়াদের আগে কেন্দ্র সরকার, বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবলিক সেক্টর সংস্থায় আইন পরামর্শদাতার কাজ করেছেন। আবার তিনি ২০১০ এবং ২০১৩ সালে ভারতের আইন কমিশনের সদস্য হিসাবেও কাজ করেছিলেন। সুতরাং আইনজীবী হিসেবে চার দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে আর ভেঙ্কটরামানির। 

  • Supreme Court: বৈবাহিক ধর্ষণ ও গর্ভপাত নিয়ে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: বৈবাহিক ধর্ষণ ও গর্ভপাত নিয়ে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈবাহিক ধর্ষণ (Marital rape) ও গর্ভপাত (Abortion) নিয়ে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। গর্ভপাত নিয়ে এক বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিন শীর্ষ আদালত থেকে জানানো হয়েছে, বিবাহিত বা অ-বিবাহিত, দেশের সকল মহিলারই নিরাপদ এবং আইনি গর্ভপাতের অধিকার আছে। এছাড়াও এই প্রসঙ্গে বলার আগে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়েও মন্তব্য করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিনা সম্মতিতে যৌন সংসর্গও ধর্ষণ। আর এর ফলেই মহিলারা জোর করে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

    সুপ্রিম কোর্ট এদিন বলেছে, একজন মহিলা বিবাহিত না অ-বিবাহিত এর সঙ্গে গর্ভপাতের অধিকার নিয়ে কোনও আলোচনার বিষয় হতে পারে না। এমনকি অবিবাহিত মহিলাদেরও ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করার অধিকার রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, শীর্ষ আদালত, এমনও বলেছে যে, কোনও অবিবাহিত মহিলাকে গর্ভপাতের অধিকার না দেওয়া মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের সমান।

    আরও পড়ুন: “স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া স্বামীর কর্তব্য…”, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    এদিন মেডিক্যাল টার্মিনেশন অব প্রেগন্যান্সি আইন সংক্রান্ত মামলায় এ কথা জানিয়েছে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে, “এমটিপি আইনে অবিবাহিত মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার রয়েছে। কিন্তু দেশের গর্ভপাত আইনের ব্যাপারে বিবাহিত এবং অবিবাহিতের কোনও প্রভেদ করা উচিত নয়।” আবার এই প্রসঙ্গে বলার পাশাপাশি বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, বিবাহিত মহিলারাও যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের শিকার হতে পারেন। সম্মতি ছাড়া স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে এক জন মহিলা সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়তে পারেন।

    প্রসঙ্গত, বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের সর্বোচ্চ সময়সীমা ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত। এছাড়া ধর্ষণের শিকার, বিশেষভাবে সক্ষম বা নাবালিকা, পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সহবাসের পর কোনও অবিবাহিত মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে-এইসব বিশেষ ক্ষেত্রে ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত করা যেত। এরপরেই প্রশ্ন ওঠে যে, গর্ভপাতের ক্ষেত্রে এমন কেন ভেদাভেদ করা হবে? এরপরেই আজ, বৃহস্পতিবারে এই নিয়েই এই দৃষ্টান্তমূলক ও যুগান্তকারী রায়টি দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

  • Free Ration: উৎসবের মরশুমে সুখবর, আরও তিনমাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের 

    Free Ration: উৎসবের মরশুমে সুখবর, আরও তিনমাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই সুখবর দিল মোদি সরকার। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিনামূল্যে রেশন (Anouncement of Free ration) দেওয়ার সময়সীমা আরও ৩ মাস বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র সরকার (Central Government)। এই সিদ্ধান্তে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ২০২০ সালে করোনা অতিমারীর সময় এই বিনামূল্যে রেশন দেওয়া শুরু করেছিল ভারত সরকার। এই প্রকল্পে প্রান্তিক ও গরিব দেশবাসীকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক ব্যক্তি মাস প্রতি ৫ কেজি করে খাদ্য শস্য পান। 

    আরও পড়ুন: দুয়ারে রেশন প্রকল্প অবৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট 

    আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বিনামূল্যে রেশন প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দেশজুড়ে আসন্ন উৎসবের কথা মাথায় রেখে এই প্রকল্পের মেয়াদ আরও ৩ মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার (PMGKAY) আওতায় প্রতি মাসে দেশের ৮০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পান। ২০১৩ সালের জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় ওই ৮০ কোটি উপভোক্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্ধারিত কোটার আওতায় তাঁদের প্রাপ্য রেশন তাঁরা পেয়ে থাকেন। তারপরেও বিনামূল্যে অতিরিক্ত পাঁচ কেজি খাদ্যশস্য পান ওই উপভোক্তারা। 

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও ৩ মাস এই বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ফলে সরকারের ওপর অতিরিক্ত ৪৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, খরচ কমাতে অর্থমন্ত্রকের তরফে সরকারকে রেশনে দেওয়া খাদ্যশস্যের পরিমাণ কমানোর সুপারিশ করা হয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমান পদ্ধতিতেই আরও ৩ মাস রেশন প্রকল্প চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অন্যান্য সামগ্রীর ওপর ইতিমধ্যে অতিরিক্ত ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, এর পর রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত আর্থিক চাপ  অনেকটাই। অর্থমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, বিগত ২ বছরে এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের মোট ২ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে।  

    করোনাভাইরাস অতিমারীর সময় প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার প্রকল্পটি চালু করা হয়। প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য (২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের জুন) সেই প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর থেকে একাধিকবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। দ্বিতীয় দফা (২০২০ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর), তৃতীয় দফা (২০২১ সালের মে এবং জুন), চতুর্থ দফা (২০২১ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর), পঞ্চম দফা (২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের মার্চ) এবং ষষ্ঠ দফায় (২০২২ সালের মে থেকে সেপ্টেম্বর) খাদ্যশস্য দেওয়া হয়েছে। এবার সপ্তম দফায় আরও তিন মাস, ডিসেম্বর অবধি বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Afghan Sikh Refugees: চোখেমুখে তালিব-সন্ত্রাসের আতঙ্ক, ভারতে এলেন ৫৫ আফগান শিখ শরণার্থী

    Afghan Sikh Refugees: চোখেমুখে তালিব-সন্ত্রাসের আতঙ্ক, ভারতে এলেন ৫৫ আফগান শিখ শরণার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হল ৫৫ জন হিন্দু ও শিখ। তাঁদের মধ্যে ৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক। এছাড়া রয়েছে ১৪ জন কিশোর-কিশোরী এবং ৩টি শিশু। রবিবার বিকেলে একটি বিশেষ বিমানে করে নয়াদিল্লির (New Delhi) ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছোয় তাঁরা। আফগান সংখ্যালঘুদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারতীয় ওয়ার্ল্ড ফোরাম এবং ভারত সরকারের সমন্বয়ে তৈরি অমৃতসরের শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেছিল।

    তালিবান অধ্যুষিত আফগানিস্তানে চরম দুর্দশার মধ্যে সংখ্যালঘু শিখদের দিন কাটছে। ফলে সেই দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে পৌঁছে অনেকেই তাই স্বস্তির শ্বাস ফেলছেন। পাঞ্জাবের সাংসদ বিক্রমজিৎ সিং সাহনি গতকাল বলেন, “কাবুল, জালালাবাদে আটকে পড়া ৫৫টি পরিবার আজ দিল্লিতে নিরাপদে পৌঁছেছে। ই-ভিসা সহজতর করার জন্য আমি ভারত সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।” তিনি একটি প্রোগাম শুরু করেছেন, যার নাম “আমার পরিবার আমার দায়িত্ব” (“My family My responsibility” ), যার অধীনে ৫৪৩ জন আফগান শিখ এবং হিন্দু পরিবারকে পশ্চিম দিল্লিতে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই ৫৪৩ পরিবারকে মাসিক গৃহস্থলি খরচ, বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা সুবিধা দিয়ে পুনর্বাসন করছি এবং এই লোকদের পুনর্বাসন এই কর্মসূচিরই একটি অংশ।”

    আরও পড়ুন: আজ আবার আদালতে সুবীরেশ! ফের তাঁকে হেফাজতে চাইবে সিবিআই?

    অন্যদিকে জরুরী ই-ভিসা প্রদান এবং তাঁদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ধন্যবাদ জানিয়েছেন আফগান শরণার্থীরা। এক আফগান শরণার্থী বলজিৎ সিং বলেন, “আফগানিস্তানে অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। আমি চার মাস জেলে ছিলাম। আমি ভারতে এবং আমাদের ধর্মে ফিরে আসতে পেরে কৃতজ্ঞ এবং খুশি। আমি আশা করি যে ১১-১২ জন সেখানেই রয়ে গেছে, তাঁরা শীঘ্রই ফিরে আসবেন”। আর এক আফগান শরণার্থী সুখবীর সিং খালসা বলেছেন, “আমাদের জরুরি ভিসা দেওয়ার জন্য এবং এখানে পৌঁছতে সাহায্য করার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের অনেকের পরিবার এখনও আফগানিস্তানে। প্রায় ৩০-৩৫ জন সেখানে আটকা পড়ে আছে।”

    প্রসঙ্গত, জুন মাসে কাবুলের গুরুদ্বার কার্তে পারওয়ানে হামলার পর এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৮ জন আফগান হিন্দু ও শিখ এদেশে এসেছেন। এছাড়াও ৩ অগাস্ট, শিশু সহ কমপক্ষে ৩০ জন আফগান শিখ, কাবুল থেকে দিল্লিতে এসে পৌঁছেছিল। আবার ১৪ জুলাই ২১১ জন আফগান শিখকে কাবুল থেকে এদেশে নিয়ে আসা হয়।

  • Real Shiv Sena tussle: আসল শিবসেনা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Real Shiv Sena tussle: আসল শিবসেনা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসল শিবসেনা (Shiv Sena) কারা? সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার নির্বাচন কমিশনকেই দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) এবং একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) এই লড়াইয়ে রেফারির ভূমিকায় থাকবে কমিশন। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, শিবসেনার প্রতীক নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পারবে কমিশন। কে প্রকৃত শিবসেনা, তা বাছাইয়ের দায়িত্ব যাতে নির্বাচন কমিশন না পায়, সে জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের গোষ্ঠী।  

    আরও পড়ুন: ইয়াকুবের কবর সৌন্দর্যায়ন, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস শিন্ডের          
      
    মঙ্গলবার উদ্ধবদের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রকৃত শিবসেনা হিসেবে স্বীকৃতি এবং শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক প্রদানের যে দাবি জানিয়েছে শিন্ডে শিবির, তা যাতে কমিশন না শোনে, সেই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিল উদ্ধব শিবির। মঙ্গলবার সেই পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।   

    শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, “নির্বাচন কমিশনে সওয়াল-জবাবে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না বলে নির্দেশ দিচ্ছি আমরা।” যে বেঞ্চে আছেন বিচারপতি এমআর শাহ, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারী, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসীমা। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উদ্ধব, তাঁর শিক্ষা পাওয়া প্রয়োজন, জানালেন শাহ

    মঙ্গলবার শুনানির সময় উদ্ধব পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল দাবি করেন, বহিষ্কৃত হওয়ার পরে শিবসেনার প্রতীক প্রদানের দাবি জানিয়ে কমিশনের কাছে যেতে পারেন না শিন্ডেরা। শিন্ডে পক্ষের আইনজীবী নীরজ কিষান কৌল পাল্টা দাবি করেন, কমিশনের কাছে শিন্ডে শিবিরের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ১.৫ লক্ষ শিবসেনা সমর্থক। ভোটের আগে দুই শিবিরের সমস্যা হয়েছিল। বিধানসভায় আস্থা ভোটের একদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন উদ্ধব। এ থেকে ধরেই নেওয়া যায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তাই উদ্ধবদের পিটিশনের কোনও ভিত্তি নেই।     
     
    একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা বিধায়কদের একাংশের বিদ্রোহের জেরে মহারাষ্ট্রে তিন মাস আগেই উদ্ধভ ঠাকরের সরকারের পতন হয়েছে। তারপর বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে গত ৩০ জুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শিন্ডে। শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহ পরই, সংযুক্তিকরণ, বহিষ্কারের মতো বিষয়গুলিতে একনাথের বিরুদ্ধে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় উদ্ধব শিবির। সেইসময় উদ্ধবের আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, শুধুমাত্র অপর কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিশে গেলে সংবিধান দশম তফসিলের আওতায় শিবসেনা থেকে বহিষ্কারের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন শিন্ডেরা। যে বিষয়টি নিয়েও মঙ্গলবারও সওয়াল-জবাব হয় আদালতে।      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Ban PFI: জঙ্গি-যোগ! পিএফআই কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আর্জি দেশজুড়ে, তল্লাশি চালিয়ে কী পেল এনআইএ?

    Ban PFI: জঙ্গি-যোগ! পিএফআই কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আর্জি দেশজুড়ে, তল্লাশি চালিয়ে কী পেল এনআইএ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে ইসলামিক সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)। বিভিন্ন অসামাজিক ও দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ২০০৬ সালে গঠিত, এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে। অভিযোগ , সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে পিএফআই। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে তারা। তাই দেশ জুড়ে পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জোড়াল হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার খুব শীঘ্রই পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিএফআই) নিষিদ্ধ করতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই দলটিকে বেআইনি ঘোষণা করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে, বলে খবর। 

    আরও পড়ুন: পিএফআই-এর বিরুদ্ধে বাংলা সহ ১০ রাজ্যে ইডি-এনআইএ যৌথ হানা, গ্রেফতার ১০০

    বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। কেরল সহ একাধিক রাজ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার বিভিন্ন সংগঠনেই হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা। এখনও অবধি ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে পিএফআইয়ের প্রধান পারভেজ আহমেদকেও। কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, অসম, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, মণিপুরে প্রায় ৩০০ এনআইএ অফিসার একযোগে তল্লাশি চালায়।  ৫টি মামলায় মোট ১০৬ জন পিএফআই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে ৪৫ জন নেতা। কেরল থেকে সর্বাধিক ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরেই রয়েছে তামিলনাাড়ু। সেখান থেকে ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছড়া কর্নাটক থেকে ৭ জন, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ৪, রাজস্থান থেকে ২, তেলেঙ্গানা এবং উত্তর প্রদেশ থেকে ১ জন করে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অবশেষে এনআইএ-এর জালে মাওবাদী নেতা সম্রাট চক্রবর্তী, জানেন কীভাবে?  

    এনআইএ-র দাবি, পিএফআই নেতারা একাধিক জায়গায় জঙ্গি কার্যকলাপ, এবং জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করতেন। তাঁরা অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণও দেন। তল্লাশিতে প্রচুর টাকা, অস্ত্র এবং বিপুল ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। এনআইএ-এর অভিযানের প্রতিবাদে কেরল এবং কর্নাটকের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পিএফআই সদস্যরা। শুক্রবার কেরলে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাকও দিয়েছে সংগঠন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PFI: কেন, কোন ধারায় নিষিদ্ধ পিএফআই? কী অপেক্ষা করছে এই জঙ্গি সংগঠনের জন্য?

    PFI: কেন, কোন ধারায় নিষিদ্ধ পিএফআই? কী অপেক্ষা করছে এই জঙ্গি সংগঠনের জন্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পাঁচ বছরের জন্য পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (PFI) নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র। বেআইনি কাজকর্মের জন্য পিএফআইয়ের সমস্ত সহযোগী সংস্থা এবং অনুমোদিত সংস্থার উপরও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। অনলাইনেও পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই) গতিবিধি রুখতে পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। পিএফআই এবং আটটি সহযোগী সংস্থার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ওয়েবসাইট ব্লক (Social Sight) করে দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল কেন এই নিষেধাজ্ঞা? এরপরে কী হতে পারে? আসলে পিএফআই কে, কী এদের ভবিষ্যৎ?

    পিএফআই-এর জন্ম
    পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া একটি ইসলামিক উগ্রপন্থী সংগঠন। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়। তার পরই তিনটি মুসলিম সংগঠন একত্রিত হয়ে এই সংগঠন তৈরি করে। ২০০৬ সালে গঠিত এই সংগঠনের নাম ছিল ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট। পরবর্তী সময়ে মানিথা নীতি পাসারাই, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি সহ একাধিক সংগঠন মিলিত হয়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া তৈরি করে। দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই সংগঠন।

    আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ হচ্ছে পিএফআই? দেশ জুড়ে এনআইএর দ্বিতীয় দফার অভিযানের পর বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    কেন নিষিদ্ধ
    দেশবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণের সাপেক্ষেই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। ভারত সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একাধিক অপরাধমূলক কাজ এবং সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মে জড়িত আছে পিএফআই। বিদেশ থেকে অর্থ সাহায্যও পায়। যা দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড়সড় উদ্বেগের বিষয়। এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান হয়েছিল বিভিন্ন রাজ্যের তরফে। পরে তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন ১৯৬৭ এর ৩৫ নম্বর ধারার অধীনে দেশে ৪২ টি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পিএফআই-কেও এই ধারায় নিষিদ্ধ করা হয়। এই আইনের ৩৫ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে, যদি কোনও সংগঠন সন্ত্রাসবাদের প্রচার করে, বিভিন্ন সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে তাহলে সেই সংগঠনকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে গণ্য় করা হবে।

    আরও পড়ুন: পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ পিএফআই! মিলেছে জঙ্গি যোগের প্রমাণ, কী বলছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক?

    পিএফআই-এর ভবিষ্যৎ
    সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পিএফআই-র পাশাপাশি আরও আটটি সংগঠনের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বুধবার ইউএপিএ আইনের অধীনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে পিএফআই (PFI) সংগঠনকে। শুধু পিএফআই-ই নয়, এরসঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠন যেমন সিএফআই, অল ইন্ডিয়া ইমাম কাউন্সিল, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্টকেও বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত সংগঠন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই দল যাতে সংবিধানের বিভিন্ন ধারা দেখিয়ে আইনি পথে না যেতে পারে তারও ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতকে ২০৪৭ সালের মধ্যে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল পিএফআই। যা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে খণ্ডন করে। এই দল পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ায় এদেরকে আর কেউ অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করতে পারবে না। করলে তারাও আইন ভঙ্গ করবে। ফলে ভিবিষ্যতে পিএফআইয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Flipkart Sale: শুরু হল ফ্লিপকার্টের ‘বিগ বিলিয়ন ডে’জ’, সদস্যদের জন্য থাকছে বিশেষ সুবিধা

    Flipkart Sale: শুরু হল ফ্লিপকার্টের ‘বিগ বিলিয়ন ডে’জ’, সদস্যদের জন্য থাকছে বিশেষ সুবিধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে শুরু হয়ে গেল ফ্লিপকার্টের (Flipkart) ‘দ্য বিগ বিলিয়ন ডে’জ’ (‘The Big Billion Days’)। উৎসবের মরশুমে আর কী চাই! কারণ এই বিগ বিলিয়ন ডেইসে থাকে জামা-কাপড় থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক জিনিস প্রায় সবেতেই আকর্ষণীয় ছাড়। পুজোতে তো কেনাকাটা করতেই হবে। তাই অনলাইন শপিং থেকে এখন ভালো আর কী হতে পারে! এই সেল ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। তবে জানেন কী, যারা ফ্লিপকার্টের প্লাস মেম্বার (Plus Member) তাঁরা সেল শুরু হওয়ার ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ এক দিন আগে থেকেই আকর্ষণীয় ছাড়ে জিনিসপত্র কিনতে পারবেন।

    কী এই ফ্লিপকার্ট প্লাস?

    যারা ফ্লিপকার্টে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে শপিং করেছেন, তাদের জন্য কেবল এই ফ্লিপকার্ট প্লাস মেম্বার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। গ্রাহকদের সঙ্গে সংস্থার সম্পর্ক উন্নত করতে এবং তাঁদের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়ার জন্য এমন পরিষেবা তৈরি করেছে ফ্লিপকার্ট। প্লাসে যোগদান করার জন্য, আপনাকে কেনাকাটা করে ১২ মাসে কমপক্ষে ২০০টি সুপারকয়েন অর্জন করতে হবে। এই প্লাস মেম্বার হলে ছাড়ের ওপরেও অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন- গ্রাহকরা বিনামূল্যে শিপিং, আরলি অ্যাক্সেস টু সেল (early access to sales), সুপারকয়েন ব্যবহার করে জিনিসের দামও কমানোর সুযোগ থাকে। আর তাই প্লাস মেম্বার হলেই সেল শুরুর আগে আপনি সেলের দামে যা কিছু কিনতে পারবেন (Early Access To Sale)।

    আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে অ্যামাজন গ্রেট ইন্ডিয়ান ফেস্টিভ্যাল সেল! জানুন কিসে মিলবে ছাড়

    পুজোর আগে এই ছাড়ের জন্যই অনেকেই অপেক্ষায় বসে থাকেন। কারণ এটি বছরের সবচেয়ে বেশি ছাড় দেওয়ার সময়। এবছর ইলেকট্রনিক গ্যাজেট এবং স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, টিভি, ল্যাপটপ ইত্যাদি ডিভাইসে প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ফ্লিপকার্টের সঙ্গে কিছু ব্যাঙ্কেরও চুক্তি করা থাকে, যাতে সেই নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটা করলে অতিরিক্ত ছাড় পাওয়া যায়। এবছর, ICICI ব্যাঙ্ক এবং Axis ব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তি করেছে ফ্লিপকার্ট। এর ফলে এই ব্যাঙ্কগুলোর কার্ড ব্যবহার করলে গ্রাহকদের ক্রয়ের উপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ছাড় দেওয়া হবে। 

LinkedIn
Share