Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Capt Amarinder Singh joins BJP: ‘দেশের জন্য কিছু করার সময় এসেছে…’, বিজেপিতে যোগ দিয়ে অমরিন্দর সিং

    Capt Amarinder Singh joins BJP: ‘দেশের জন্য কিছু করার সময় এসেছে…’, বিজেপিতে যোগ দিয়ে অমরিন্দর সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনা ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিলেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Capt Amarinder Singh joins BJP)। সম্প্রতি  কংগ্রেসের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে নতুন দল গঠন করেছিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। এবার নিজের তৈরি পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস-কে (Punjab Lok Congress) বিজেপির সঙ্গে মিশিয়ে দিলেন তিনি। ক্যাপ্টেনের হাতে বিজেপির (BJP) পতাকা তুলে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) ও  কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর (Narendra Singh Tomar)। সোমবার বিজেপির হেড কোয়ার্টারে এসে দলে যোগ দেন ৮০ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ। কংগ্রেসের এই হেভিওয়েট নেতার দলে যোগদানের পর কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, “দলের থেকে দেশকে বরাবরই উপরে রেখেছেন ক্যাপ্টেন সাহেব। খুব ভালো লাগছে আজ তাঁর পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে মিশে গেল। তাঁকে ও তাঁর অনুগামীদের বিজেপিতে স্বাগত জানাচ্ছি। পাঞ্জাব সীমান্ত রাজ্যে। তাই সবসময় এই রাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিৎ। বিজেপি এমন একটি দল যারা দলের উপরে রাখে দেশকে। তাই আজ অমরিন্দর আমাদের সঙ্গে বসে রয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এমএমএস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই, ৬ দিনের জন্য বন্ধ ক্যাম্পাস           
     
    গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন অমরিন্দ সিং। সেইসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের নিরাপত্তা ও মাদকের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে কথা বলেন। বিজেপি যোগদানের বিষয়টিও সেই সময়ই ঠিক হয় বলে ধারণা করছে রাজনৈতিক মহল।  

    কংগ্রেসের দলীয় কোন্দলের জন্যেই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে আসতে বাধ্য হন অমরিন্দর। আর এর পরেই কংগ্রেসের থেকে দূরে সরে আসেন এই প্রবীণ নেতা। কিন্তু এরপরেও পাঞ্জাব বিধানসভায় ভরাডুবির মুখে পড়ে কংগ্রেস। ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেসকে হারিয়ে পাঞ্জাবের মসনদে বসে আম আদমি পার্টি। ১১৭ আসনের পাঞ্জাব বিধানসভায় আপের দখলে আসে ৯৭ আসন। কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী চরণজিত্ সিং চন্নি দুটি আসনে লড়াই করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। সেই সময় অমরিন্দর সিং, তাঁর দল পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস নিয়ে বিজেপির সঙ্গে জোট করে লড়াই করেছিলেন, কিন্তু কোনও আসন জিততে পারেননি। ভোটের কিছুদিনের মধ্যেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন অমরিন্দর। তাঁর সঙ্গে এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন ৭ জন প্রাক্তন বিধায়ক ও ১ জন প্রাক্তন সাংসদ।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে আর কে কে জানেন?

    দলে যোগদানের পর সাংবাদিক বৈঠকে অমরিন্দর সিং বলেন, “প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থাকাকালীন অ্যান্টনি কোনও অস্ত্র আনেনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজ চিন অস্ত্রশস্ত্রের দিক থেকে ভারতের থেকে এগিয়ে আছে। এর জন্য কংগ্রেস দায়ী। এবার দেশের জন্যে কিছু করার সময় এসেছে।” এর আগেও এই ইস্যুতে কংগ্রেসে থাকাকালীন ক্ষোভ উগরেছেন ক্যাপ্টেন সিং। তোপ দেগেছিলেন ইস্তফা পত্রেও।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Army: আত্মনির্ভর ভারতে আস্থা! আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চাইল সেনা

    Indian Army: আত্মনির্ভর ভারতে আস্থা! আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চাইল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরি ভিত্তিতে সামরিক সরঞ্জাম কিনতে চলেছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। তার জন্য দরপত্রও চেয়েছে তারা। ড্রোন, মিসাইল, অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম, আগ্নেয়াস্ত্র, সাঁজোয়া গাড়ি সবই রয়েছে সেই তালিকায়। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি টেন্ডার ডেকেছে ভারতীয় সেনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পের ওপর ভরসা করে দেশীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারী  সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চেয়েছে সেনা। 

    প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর থেকেই বিদেশ থেকে বহু প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি। পাশাপাশি, দেশেই সামরিক সরঞ্জাম তৈরির ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে সরকার নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র কারখানার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় সেনা সেই মতোই আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দরপত্র চেয়েছে বিভিন্ন সংস্থার কাছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই টেন্ডার চূড়ান্ত করা হবে। 

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! দাবি ইডির, জানেন আর কী বলা হয়েছে চার্জশিটে?

    সেনা সূত্রে খবর, যে সংস্থাগুলি সামরিক সরঞ্জাম তৈরির বরাত পাবে, তাদের এক বছরের মধ্যে নির্দিষ্ট সরঞ্জামগুলি সরবরাহ করতে হবে। সেনাবাহিনীর ভাইস চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিএস রাজু কিছুদিনআগে হায়দরাবাদ গিয়েছিলেন, সেখানে বিভিন্ন গবেষণাগার ও অস্ত্র তৈরির কারখানা ঘুরে দেখেন তিনি। মিসাইল স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমস, ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট ল্যাব, সেন্টার ফর হাই এনার্জি সিস্টেমস অ্যান্ড সায়েন্সেস, ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড প্রভৃতি জায়গা ঘুরে দেখেন তিনি। তাঁর মতে, এই সংস্থাগুলি ভাল কাজ করছে। তাই ওপেন টেন্ডার ডেকে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও ভাল করার জন্য সেনা দ্রুত সামরিক সরঞ্জাম কিনতে চায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Karnataka Hijab Row: হিজাব-বিতর্ক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ! সুপ্রিম কোর্টে কী বলল কর্নাটক সরকার?

    Karnataka Hijab Row: হিজাব-বিতর্ক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ! সুপ্রিম কোর্টে কী বলল কর্নাটক সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজাব (Hijab) কখনও বাধ্যতামূলক নয়। কোরানে উল্লেখ থাকলেই যে সেই প্রথা জরুরি হবে এমন নয়। ইসলামিক দেশগুলিতেই হিজাব পরা নিয়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন মেয়েরা। ইরানের (Iran) রাজপথে হিজাব না পরার পক্ষে সওয়াল করেছেন সেখানকার স্বাধীনচেতা মেয়েরা। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কর্নাটক হাইকোর্টের (Karnataka High Court) রায়ের পক্ষে সওয়াল করে একথাই জানালেন আইনজীবী তুষার মেহতা। ভারতের সলিসিটর জেনারেল তথা কর্নাটক সরকারের আইনজীবী তুষার মেহতা জানিয়েছেন, দেশে হিজাব-বিতর্ক তৈরি করা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)-এর চক্রান্ত।

    আরও পড়ুন: খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজে লাগানো হবে বেসরকারি সংস্থাকেও, কেন জানেন?

    তুষার মেহতা দাবি করেন, কর্নাটকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করেছে যে ছাত্রছাত্রীরা তাঁরা চরমপন্থী সংগঠন পিএফআই দ্বারা প্রভাবিত। এটা একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ। হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করার জন্য এই চক্রান্ত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে  বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে মঙ্গলবার সওয়াল করেন তুষার। তিনি  বলেছেন যে ২৯ মার্চ, ২০১৩ উদুপিতে সরকারি প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় গার্লস কলেজ একটি রেজোলিউশন পাস করেছিল যে একটি নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরা হবে। ইউনিফর্মে হিজাব অন্তর্ভুক্ত ছিল না এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থী ইউনিফর্মই পড়ত। যারা ২০২১ সালে পিইউ কলেজে ভর্তি হয়েছিল, তারা প্রাথমিকভাবে ইউনিফর্মের নিয়ম মেনে নিয়েছিল। 

    আরও পড়ুন :কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার মন্তব্যে মমতাকে মোক্ষম জবাব মালব্যর

    মেহতা বলেন, হিজাব নিয়ে কর্নাটক হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, তা ধর্মনিরপেক্ষ। গেরুয়া উত্তরীয় হোক বা হিজাব -কোনওটাই স্কুলে পরে আসার অনুমতি ছিল না। তিনি  দাবি করেন, যে পড়ুয়ারা পিটিশন দাখিল করেছেন, তাঁরা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজ্যে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। সুপ্রিম কোর্ট আগে জানিয়েছিল, জরুরি ধর্মীয় প্রথার বিষয়ে যাওয়া উচিত হয়নি কর্নাটক হাইকোর্টের। এর বিপক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে সলিসিটার জেনারেল জানান, ‘এটা আমার কাছে একেবারেই ধর্মীয় বিষয় নয়, বরং এটা পড়ুয়াদের ইউনিফর্মের বিষয়।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tejashwi Yadav: তেজস্বীর জামিন খারিজের আবেদন নিয়ে আদালতে সিবিআই

    Tejashwi Yadav: তেজস্বীর জামিন খারিজের আবেদন নিয়ে আদালতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআরসিটিসি কেলেঙ্কারিতে (IRCTC Scam) জামিন পেয়েছেন বিহারের (Bihar) উপমুখ্যমন্ত্রী আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। এবার তাঁর জামিন খারিজের আবেদন নিয়ে দিল্লি আদালতে গেল সিবিআই (CBI)। অভিযোগ, জামিন পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কয়েকজন আধিকারিককে তিনি হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, সম্প্রতি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তেজস্বী হুমকি দেন। এভাবে তিনি মামলায় প্রভাব খাটিয়েছেন বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের।

    আইআরসিটিসি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের। অভিযোগ, রাঁচি এবং ওড়িশার পুরীতে ওই সংস্থার দুই হোটেল সংস্কারের ক্ষেত্রে আর্থিক তছরুপ হয়। ২০০৬ সালের ওই ঘটনায় নাম জড়ায় তেজস্বীর। তদন্তে নেমে সিবিআই ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এদিন সিবিআইয়ের জামিন খারিজের আবেদনের প্রেক্ষিতে তেজস্বীকে নোটিশ পাঠায় আদালত।

    আরও পড়ুন : চাকরি পেতে জমি লিখে দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন লালু-পুত্র তেজস্বী!

    জানা গিয়েছে, গত মাসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় তিনি বলেন, সিবিআই আধিকারিকদের কি মা এবং ছেলেমেয়ে নেই? তাঁদের কি পরিবার নেই? তাঁরা কি চিরকাল সিবিআই অফিসার হিসেবেই থাকবেন? তাঁরা কি অবসর নেবেন না? কেবল এই দলই কি চিরকাল বিহারের ক্ষমতায় থাকবে? কী বার্তা আপনারা পাঠাতে চাইছেন? আপনাদের উচিত সৎ ভাবে সাংবিধানিক সংস্থার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া।

    তেজস্বী যখন এভাবে সিবিআইকে হুমকি দিচ্ছেন, তার ঠিক আগে আগেই রাষ্ট্রীয় জনতা দলের কয়েকজন নেতার বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগের মামলায় তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তার পরেই সিবিআইকে তেজস্বী হুমকি দেন বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, চাকরি পেতে জমি লিখে দেওয়ার মামলায়ও নাম জড়িয়েছে বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রীর। ইউপিএ-১ সরকারের আমলে রেলমন্ত্রী ছিলেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। সেই সময়ই ওই দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Akhilesh Yadav: চিতা নিয়ে কটাক্ষ অখিলেশের, এসপি নেতার ‘অজ্ঞতা’ নিয়ে বিদ্রুপ বিজেপির

    Akhilesh Yadav: চিতা নিয়ে কটাক্ষ অখিলেশের, এসপি নেতার ‘অজ্ঞতা’ নিয়ে বিদ্রুপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুনো ন্যাশনাল পার্কে (Kuno National Park) চিতা (Cheetah) ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাকে কটাক্ষ করে ট্যুইট করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির (SP) নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। এবার তারই পাল্টা দেওয়া হল বিজেপির (BJP) তরফে। গেরুয়া শিবিরের এক নেতার বিদ্রুপ, অখিলেশকে পড়াতে গিয়ে যে পয়সা খরচ হয়েছে, তা পুরো বরবাদ হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : ৭০ দশক পর চিতা ফিরল দেশে, ছাড়া হল কুনো জাতীয় উদ্যানে

    ভারতে চিতার অস্তিত্ব লুপ্ত হয়েছে সাত দশক আগে। সম্প্রতি দেশে চিতা ফিরিয়ে আনতে নামিবিয়া থেকে সব মিলিয়ে আটটি চিতা নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি পুরুষ, তিনটি স্ত্রী। ১৭ অগাস্ট, শনিবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে সেগুলিকে ছাড়া হয় মধ্য প্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে। এদিনই ওই চিতাগুলির একটি ভিডিও শেয়ার করে সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব ট্যুইট বার্তায় লেখেন, প্রত্যেকে অপেক্ষা করছিল গর্জন শুনবে বলে। কিন্তু দেখা গেল, এরা বাক্সের মধ্যে বিড়ালের মতো মিউমিউ করছে। এর পরেই অখিলেশের অজ্ঞতাকে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা তথা বিজেপির দিল্লি মুখপাত্র অজয় শেরওয়াত। তিনি জানান, চিতা গর্জন করে না। পাল্টা ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, আপনি অষ্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করেছেন…সব পয়সা বরবাদ হয়ে গিয়েছে।

    অখিলেশকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নেটিজেনরাও। কেউ কেউ তাঁকে শোধরাতে গিয়ে বলছেন, চিতা বাঘ, সিংহ কিংবা চিতাবাঘের মতো গর্জন করে না। কারণ তাদের প্রত্যেকের ভয়েস বক্সের গঠন আলাদা। কোনও কোনও ট্যুইটার ব্যবহারকারী আবার বলছেন, এটা অখিলেশের ভুল নয়। কারণ তিনি জানেন না ১৯৫২ সালেই দেশে চিতা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। এদিকে, কুনো পার্কে চিতা ছাড়ার ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। কংগ্রেসের দাবি, চিতা ছাড়ার এই প্রজেক্ট মহমোহন সিংয়ের সরকারের আমলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Cheetah in India: রাতের বিমানে ভারতে, কুনো জাতীয় উদ্যানে ৮টি চিতা পৌঁছবে বায়ুসেনার ‘চিনুক’ কপ্টারে

    Cheetah in India: রাতের বিমানে ভারতে, কুনো জাতীয় উদ্যানে ৮টি চিতা পৌঁছবে বায়ুসেনার ‘চিনুক’ কপ্টারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ভারতে এসে পৌঁছবে ৮টি চিতা (Cheetah)। একটি বাণিজ্যিক বিমানে করে চিতাগুলিকে ভারতে (India) নিয়ে আসা হচ্ছে আফ্রিকা (Africa) মহাদেশের দেশ নামিবিয়া থেকে। সেখান থেকে চিতাগুলিকে নিয়ে আসা হবে রাজস্থানের জয়পুরে। পরে সেখান থেকে বাঘ প্রজাতির ওই প্রাণীগুলিকে নিয়ে আসা হবে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে (Kuno National Park)। এজন্য প্রস্তুত ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) হেভিলিফট হেলিকপ্টার চিনুক (Chinook)।

    ১৭ অগাস্ট নামিবিয়া থেকে কুনো ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে আসা হচ্ছে ৮টি চিতা। এগুলির মধ্যে পাঁচটি পুরুষ, তিনটি স্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) চিতা পুনরুদ্ধার প্রোগ্রামের সূচনা করবেন। ঘটনাচক্রে এই দিনটি আবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনও (PM Modi birthday)। এদিনই চিতাগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে ওই পার্কে। সেই চিতা আনতেই নামিবিয়া গিয়েছে বাঘ মুখ আঁকা বিশেষ বিমান। বিমানে চিতাগুলি নিয়ে আসা হবে জয়পুরে। সেখান থেকে সোজা পার্কে।

    সরকারি সূত্রে খবর, বিমানে করে চিতাগুলিকে প্রথমে জয়পুরে নিয়ে আসা হবে। সেখান থেকে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের চিনুক হেলিকপ্টারে করে বাঘ প্রজাতির ওই প্রাণীগুলিকে নিয়ে আসা হবে কুনো ন্যাশনাল পার্কে। সরকারি সূত্রে এও জানা গিয়েছে, নামিবিয়া থেকে চিতাগুলিকে কুনো জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি কোনও বিমানবন্দরে নামানোর চেষ্টা চলছে। তা সম্ভব না হলে সেগুলিকে নামানো হবে জয়পুরে। সেখান থেকে অতিথিরা পৌঁছে যাবে কুনো জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে।

    আরও পড়ুন : বাঘ আঁকা জাম্বো বিমানে করে ভারতে আনা হচ্ছে চিতা

    জানা গিয়েছে, ৭০ বছর পরে ভারতে ফের দেখা যাবে চিতা। ১৯৫২ সালে ভারতে চিতাকে বিলুপ্ত প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তার পর এই প্রথম নিয়ে আসা হচ্ছে চিতা। চিতা বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন লিমিটেডও। বাঘ প্রজাতির এই প্রাণীগুলিকে বাঁচাতে আগামী পাঁচ বছর ধরে তারা খরচ করবে ৫০.২২ কোটি টাকা। এজন্য চলতি বছরের ২ অগাস্ট ন্যাশনাল টাইগার কনজার্ভেশন অথরিটির সঙ্গে মউ স্বাক্ষরও করেছেন ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্তৃপক্ষ। চিতা আসার খবরে উৎসাহিত কুনো ন্যাশনাল পার্কের কর্মীরা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে নবাগত অতিথিদের বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • NIA Raid: দেশব্যাপী এনআইএ হানায় প্রকাশ্যে এল দেশী গ্যাংস্টার-পাক জঙ্গি আঁতাত

    NIA Raid: দেশব্যাপী এনআইএ হানায় প্রকাশ্যে এল দেশী গ্যাংস্টার-পাক জঙ্গি আঁতাত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসল। এছাড়াও কিছু অবৈধ অস্ত্র, বেআইনি নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকালই গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে বড়সড় তল্লাশি অভিযানে নামে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, চণ্ডীগড় এবং দিল্লি-এনসিআরের ৫০ টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালানোর পর এইসব উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গ্যাংস্টার ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে, এবিষয়েও বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।

    সূত্রে খবর অনুযায়ী, সংস্থাটি পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর করেছে। গ্যাংস্টারদের দৌরাত্ম ও গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসী সম্পর্ক ভাঙতে গত আট মাস ধরে  এনআইএ সহ আন্যান্য সরকারি তদন্তকারি সংস্থাগুলি তৎপর হয়ে উঠেছে। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে এনআইএ-র যৌথ অভিযানে বিপুল অস্ত্র, নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্যাংস্টার বীরেন্দ্র প্রতাপ সিং ওরফে কালা রানার যমুনানগরের বাড়ি থেকে ছয়টি অবৈধ অস্ত্র, ৯০টি কার্তুজ এবং ১০টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে। সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী গোল্ডি ব্রারের মুক্তসারের বাড়িতেও প্রায় তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়। এনআইএ দল তার বাড়ি থেকে একটি মোবাইল সিম কার্ড উদ্ধার করেছে। এনআইএ গৌরব পাতিয়াল ওরফে লাকির বাড়ি থেকে কিছু নথিও নিজেদের দখলে নিয়েছে। একইভাবে, কারাগারে থাকা জগ্গু ভগবানপুরিয়ার বাটালার গুরুদাসপুরের বাড়ি থেকে দুটি মোবাইল ফোন সেট এবং কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। জেল বন্দী লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দুতারনওয়ালী ও আবোহারের বাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে একটি মোবাইল সেট এবং দুটি মোবাইল সিমকার্ড উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এমনকি এইসব গ্যাংস্টারদের বাড়ি থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআরও নিয়ে গিয়েছে এনআইএ আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ, দিল্লি-সহ দেশের ৫০টি জায়গায় তল্লাশি এনআইএ-র

    এই অস্ত্র, নথি ও মোবাইল সেট ছাড়াও এনআইএ-এর আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন যে, পাকিস্তানের আইএসআই গোষ্ঠী পাঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদ পুনরুজ্জীবিত করার জন্য গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসী সম্পর্ককে কাজে লাগাচ্ছে। তদন্তে আরও জানা গেছে যে পাকিস্তান-ভিত্তিক খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী এবং গ্যাংস্টাররা এখানেই থেমে থাকেনি। তারা অল্প পরিমাণ অর্থের প্রস্তাব দিয়ে বেকার যুবকদের লোভ দেখিয়ে জঙ্গিদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করানোর চেষ্টা করছিল।

    সূত্র অনুযায়ী, গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসী, হরবিন্দর সিং রিন্দা, যে বর্তমানে পাকিস্তানে আছে, সে দেশের কিছু গ্যাংস্টার সহ এক হাজারেরও বেশি অপরাধীর সাথে যোগাযোগ করেছে বলে মনে করা হয়। যে গ্যাংস্টাররা তার সংস্পর্শে আছে বলে মনে করা হয় তাদের মধ্যে রয়েছে হরজিন্দর সিং আকাশ, প্রদীপ চানা, জয়পাল ভুল্লর এবং দিলপ্রীত দাহা।

    এদিকে, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি আসন্ন উৎসবগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে এমন খবর এসেছে, ফলে ভারত-পাক সীমান্ত সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা শাখাও গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসী সংযোগের বিষয়ে আলাদাভাবে তদন্ত করছে। পাঞ্জাবের ডিজিপি গৌরব যাদব বলেছেন, “আমরা এই অপরাধীদের কার্যকলাপের উপর নজর রাখছি এবং জেলা পুলিশ প্রধানদের সেই অনুযায়ী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

     
  • CAA Supreme Court: পেছাল সিএএ মামলার শুনানি, রায় ঘোষণা ১৯শে সেপ্টেম্বর

    CAA Supreme Court: পেছাল সিএএ মামলার শুনানি, রায় ঘোষণা ১৯শে সেপ্টেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ মামলার শুনানি পেছাল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Amendment Act) নিয়ে রায় মুলতুবি রাখল দেশের প্রধান বিচারপতির ইউ ইউ ললিতের (Chief Justice U U Lalit) ডিভিশন বেঞ্চ। ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মামলা মুলতুবি রাখা হয়েছে। সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে।

    আরও পড়ুন: শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিল পিএফআই-এসডিপিআই! আদালতকে জানাল দিল্লি পুলিশ

    নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে রাজ্যগুলির। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে চ্যালেঞ্জ করে দেশজুড়ে প্রায় ২০০-র বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। দেশের একাধিক রাজনৈতিক দল এবং সংগঠন কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। মামলাকারীরা দাবি জানায়, নতুন আইনের মাধ্যমে সংবিধানে দেওয়া সমানাধিকারের মৌলিক বিষয়টি খর্ব করা হয়েছে। যদিও বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার খারিজ করেছে। কেন্দ্রের মতে, এই নতুন আইন ভারতে আসা সংখ্যালঘুদের সুবিধা করে দেবে। সেই সিএএ (CAA) মামলাগুলির আজকে ছিল শুনানি। কিন্তু শীর্ষ আদালতে এই মামলার রায় দান আজ মুলতবি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ শে সেপ্টেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণা হবে। 

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে। তখনও এই আইনে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে কেন্দ্রকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে এই আইন কার্যকর করার প্রক্রিয়া স্থগিত ছিল। এদিকে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি একাধিক সংগঠন এই আইনের বিরোধিতায় মামলা দায়ের করে। সুপ্রিম কোর্টে দু’শোটিরও বেশি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাগুলিরই শুনানি হওয়ার কথা ছিল সোমবার। যা আপাতত আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতুবি রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: উমর খলিদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতায় উঠল সার্জিল ইমাম প্রসঙ্গ 

    ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হয় সংসদে। এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয় গোটা দেশজুড়ে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। এদিকে, সিএএ দ্রুত কার্যকর করার। যদিও এখনও তা কার্যকর হয়নি। নতুন আইন অনুসারে পাকিস্তান, বাংলাদেশ,আফগানিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি শরণার্থীদের ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় কেন্দ্র সরকার।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

     

     

     

  • Drug Smuggling: গুজরাট উপকূলে আটক ২০০ কোটি টাকার মাদক, বরাত দেওয়া হয়েছিল পাঞ্জাব জেল থেকে

    Drug Smuggling: গুজরাট উপকূলে আটক ২০০ কোটি টাকার মাদক, বরাত দেওয়া হয়েছিল পাঞ্জাব জেল থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উপকূল রক্ষা বাহিনী এবং গুজরাট অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (Gujarat ATS) মিলিত অভিযানে ২০০ কোটি টাকার মাদকসহ একটি পাকিস্তানি নৌকা আটক করল। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই নৌকা আরোহী ছয় পাকিস্তানিকেও। সূত্রমতে জানা গিয়েছে গুজরাট হয়ে ওই মাদক পাচার (Drug Smuggling) করা হচ্ছিল পাঞ্জাবে (Punjab)। পাঞ্জাব জেল (Punjab Jail) থেকে ওই বিপুল মাদকের বরাত দেওয়া হয়েছিল। এক বিদেশী ওই বরাত দিয়েছিলেন। বিদেশীর নামসহ যাবতীয় তথ্য পাঞ্জাব পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মাছ ধরার নৌকা নিয়ে গুজরাট হয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল ওই পাকিস্তানিরা। আপাতত ওই পাকিস্তানিদের গ্রেফতার করে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উপকূল রক্ষা বাহিনী (India Coast Guard)।

    আরও পড়ুন: ১,৫৪,০০০ কোটি টাকার সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন প্রকল্প গুজরাটে, মউ সাক্ষর করল বেদান্ত-ফক্সকন  

    গুজরাটের সন্ত্রাস দমন বিভাগ এবং ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনী যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, পাকিস্তানিদের ওই নৌকায় ছিল প্রায় ৪০ কেজির কাছাকাছি মাদক। আন্তর্জাতিক বাজারে যার মূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। উপকূলবাহিনীর দুটি দ্রুত গতির নৌকা নিয়ে ধাওয়া করে আটক করা হয় মাদক পাচারকারীদের নৌকা। জাখাউ উপকূলের কাছে ভারতীয় জলসীমার প্রায় ৩৩ মাইল ভিতরে দেখা গিয়েছিল ওই পাকিস্তানি নৌকাটিকে। মাদকের বেশিরভাগটাই হেরোইন। এর আগেই উপকূল রক্ষা বাহিনীর কাছে তথ্য ছিল, ভারতে মাদক পাচারের চেষ্টা করছে পাকিস্তান। 

    আরও পড়ুন: কেন অনুব্রতর স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ বহন? গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই-তলব ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে

    জানা গিয়েছে, এর আগেও গুজরাট উপকূল দিয়ে মাদক পাচার করার চেষ্টা করেছিল পাচারকারীরা। গত মাসে গুজরাটের কছ জেলার উপকূল থেকে দুটি পাকিস্তানি নৌকা আটক করেছিল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। গত বছর অক্টোবর মাসে গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দরে ২১ হাজার কোটি টাকার ২,৯৮৮ কেজি মাদক আটক করেছিল উপকূলরক্ষা বাহিনী। এটাই ছিল গুজরাটের সবচেয়ে বড় মাদক উদ্ধার অভিযান।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rishi Agarwal: ব্যাংক জালিয়াতিকাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার এবিজি শিপইয়ার্ডের কর্ণধার ঋষি আগরওয়াল

    Rishi Agarwal: ব্যাংক জালিয়াতিকাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার এবিজি শিপইয়ার্ডের কর্ণধার ঋষি আগরওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সব থেকে বড় ব্যাংকঋণ জালিয়াতি-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত এবিজি শিপইয়ার্ডের (ABG Shipyard) প্রাক্তন প্রধান ঋষি আগরওয়ালকে (Rishi Agarwal) গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। ঋষিসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মোট ২২,৮৪২ কোটি টাকার আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।  

    আগেই ঋষির বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছিল সিবিআই। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI), আইসিআইসিআইসহ অন্তত ২৮টি ব্যাংকের সঙ্গে ঋণখেলাপি করেছে গুজরাটের জাহাজ নির্মাণকারী এবং মেরামতি সংস্থা এবিজি।

    সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ঋষি, ডিরেক্টর শান্থনম মুথুস্বামী এবং অশ্বিনী কুমার-সহ অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, জালিয়াতি, বিশ্বাসভঙ্গের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এক অডিট সংস্থার করা ফরেন্সিক অডিটে দেখা যায় যে, ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে অভিযুক্তেরা একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অর্থ তছরুপ করেছেন। অভিযোগ, ওই বিপুল অঙ্কের ঋণের প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা অন্তত ৯৮টি সংস্থায় সরিয়েছে এবিজি।  

    আরও পড়ুন: বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    কীভাবে এই জালিয়াতি করল এবিজি? 

    ১৯৮৫ সালে ঋষি আগরওয়ালের হাতে তৈরি হয় সংস্থাটি। জাহাজ নির্মাণ এবং মেরামতি সংস্থার অফিস তৈরি হয় গুজরাটের সুরাট এবং দাহেশে। আইসিআইসিআই-সহ মোট ২৮টি ব্যাংক এই সংস্থার জন্যে ঋণ দেয়। ২০০৯ সালে বিশ্ব মন্দা থাকা সত্ত্বেও ২০০৫-২০১০ সাল অবধি ব্যাংক থেকে একাধিকবার ঋণ পেয়েছে এই সংস্থা। ২০১৪ সালে এবিজিকে ঋণ দেয় এসবিআই। কিন্তু ঋণ এবং তার সুদ শোধে ব্যর্থ হয় এবিজি। এর পর থেকে বার বার ঋণখেলাপি করে এবিজি। ২০১৭ সালে এবিজিকে দেউলিয়া ঘোষণা করে। সংস্থা থেকে ২৭,৪০০ কোটি টাকা পাওনা দাবি করে আইসিআইসিআইসহ অন্যান্য ব্যাংকগুলি। ২০১৯ সালে আর্থিক তছরুপ দুর্নীতি চিহ্নিত করে এসবিআই। ওই বছরই একটি মামলা দায়ের করে এসবিআই। ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার  তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই। সিবিআই জানায়, ২২,৮৪২ কোটি টাকার মধ্যে, আইসিআইসিআই- এর পাওনা ৭,০৮৯ কোটি টাকা, এসবিআই- এর ২,৯২৫ কোটি টাকা, আইডিবিআই- এর পাওনা ৩,৬৩৯ কোটি টাকা, ব্যাংক অফ বারোদার ১,৬১৪ কোটি টাকা, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ১,২৪৪ কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংকের ১,৩২৭ কোটি টাকা, ইন্ডিয়ান ওভারসিস ব্যাংকের ১,২৪৪ কোটি টাকা, ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ৭১৯ কোটি টাকা।  

    আরও পড়ুন: পিএফআই-এর বিরুদ্ধে বাংলা সহ ১০ রাজ্যে ইডি-এনআইএ যৌথ হানা, গ্রেফতার ১০০

    উল্লেখ্য, হলদিয়া বন্দরে হ্যান্ডলিংয়ের কাজের জন্য এবিজি শিপইয়ার্ড বরাত পেয়েছিল। তার পর ২০১২ সালে হঠাৎই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করে তারা। শুধু তাই নয়, তাদের অভিযোগ ছিল হলদিয়ায় আইন শৃঙ্খলার সমস্যা রয়েছে ও তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এ কথা বলে হলদিয়া থেকে কাজ গোটোনোর কথা ঘোষণা করেছিল এবিজি। তা নিয়ে বাংলায় তীব্র রাজনৈতিক জলঘোলা হয়।      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share