Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Rajasthan Turmoil: রাজস্থানে কংগ্রেসের সমস্যার জন্য রাজ্যবাসী কেন ভুগবেন? প্রশ্ন বিজেপির

    Rajasthan Turmoil: রাজস্থানে কংগ্রেসের সমস্যার জন্য রাজ্যবাসী কেন ভুগবেন? প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে (Rajathan Crisis) শাসক কংগ্রেসের অভ্যন্তরে অসন্তোষ নিয়ে চুপ বিজেপি (BJP) শিবির। পরিস্থিতির উপর শান্ত মাথায় নজর রাখছেন রাজস্থানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া (BJP state president Satish Poonia)। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় বিজেপি শিবির উল্লসিত। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের অন্দরে গেহলট বনাম পাইলট বিবাদ ফের প্রকাশ্যে চলে আসায় রাজস্থানে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির সুবিধা হয়ে গেল, বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

    রাজস্থানের বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র রাঠোরের কথায়, কংগ্রেসের অশোক গেহলট অনুগামী বিধায়করা যখন ইস্তফা দেওয়ার কথা বলছেন, তখন তাঁরা নিয়ম মেনে স্পিকারের কাছে ইস্তফা দিন। সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীরও উচিত বিধানসভা ভেঙে দিয়ে ভোটে যাওয়া। রাঠোরের বক্তব্য, ‘‘অশোক গেহলট সরকারের সূচনাই হয়েছিল দুই গোষ্ঠীর বিবাদ থেকে। বিবাদের জেরে মন্ত্রী, বিধায়করা রাজ্যের কাজ ছেড়ে হোটেলে গিয়ে বসে আছেন। যা রাজ্যবাসীর পক্ষে ঠিক নয়।’’ স্পিকারেরও উচিত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া অভিমত রাঠোরের।

    আরও পড়ুন: ক্ষমতা হস্তান্তর বারবার ভুগিয়েছে কংগ্রেসকে, অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল বিজেপি

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া বলেন, “কংগ্রেসের সমস্যার জন্য রাজ্যবাসী কেন ভুগবেন? যদি কংগ্রেস সরকার চালাতে না পারে তাহলে তারা ছেড়ে দিক। স্পিকারেরও উচিত বিধায়করা যদি নিজেরা ইস্তফা দেন তাহলে তা গ্রহণ করা।” রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট প্রসঙ্গে সতীশ জানান, বিজেপির দরজা সচিনের জন্য কখনওই বন্ধ হয়ে যায়নি। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে। গত দেড় বছর ধরে সচিন যেভাবে শান্ত মাথায় সবকিছু মেনে নিয়েছেন তারও প্রশংসা করে বিজেপি।

    রাজস্থান নিয়ে কংগ্রেসের পদক্ষেপকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুণেওয়ালা। তাঁর ট্যুইট, ‘রাজস্থানে যুযুধান গোষ্ঠীগুলির মধ্যস্থতার ভার কমলনাথকে দেওয়া হয়েছে। গান্ধীদের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং প্রভাবের আর কি কিছু অবশিষ্ট রয়েছে? তাঁরা কি তাঁদের অদক্ষতা স্বীকার করবেন?’ মধ্যপ্রদেশে দলের ভাঙন এড়াতে ব্যর্থ কমল নাথ। তিনি নেবেন রাজস্থানের দায়িত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Viral News: প্রেমিকার নগ্ন ছবি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়, প্রতিশোধ নিতে খুন প্রেমিককে

    Viral News: প্রেমিকার নগ্ন ছবি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়, প্রতিশোধ নিতে খুন প্রেমিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় এক প্রেমিকার নগ্ন ছবি ভাইরাল করে দিয়েছিল তাঁর প্রেমিক। আর এর ফলে চরম পরিণতি ভোগ করতে হল সেই প্রেমিককে। জানা গিয়েছে, তাঁর প্রেমিককে শাস্তি দিতে নিজেই পরিকল্পনা করে তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে খুন করলেন সেই তরুণী। ফলে তিন বন্ধু-সহ ওই তরুণীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ (Bengaluru Police)।

    জানা গিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী যুবক একজন চিকিৎসক ও তাঁর নাম বিকাশ রাজন ও তরুণীর নাম প্রতিভা। রাজন ইউক্রেন থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন। চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্র্যাক্টিস শুরু করেছিলেন। পাশাপাশি বিদেশে যেসব পড়ুয়ারা ডাক্তারি পড়তে যেতে আগ্রহী তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। সেই সময়ই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয় প্রতিভা নামে এক আর্কিটেকচারের সঙ্গে। এরপর কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা লিভ-ইন রিলশনে থাকতে শুরু করেন ও বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নেন। এমনকি দুই পরিবার থেকেও বিয়ের কথা মেনে নিয়েছিল। আর এরই মধ্যে এমন ঘটনা ঘটে গেল।

    আরও পড়ুন: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এমএমএস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই, ৬ দিনের জন্য বন্ধ ক্যাম্পাস

    চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রীতিমতো হতবাক তদন্তকারীরা। কারণ প্রথমে জানা গিয়েছিল যে, একদিন হঠাৎ গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন রাজন। সেখানে প্রথমে কোমায় চলে যান। এরপর তিনদিন পর তাঁর মৃত্যু হয়। তখন এই ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নামলে তাঁর মৃত্যুর পেছনের আসল সত্য জানতে পারে। অনেক চেষ্টা করেও আসল সত্য লুকোতে পারেননি প্রতিভা।

    জানা যায়, একদিন রাজনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা নিজের নগ্ন ছবি দেখে ফেলেছিলেন প্রতিভা। তারপর এই বিষয়ে রাজনকে জিজ্ঞেস করলে বলেছিলেন যে, তাঁর সঙ্গে মজা করতেই এমন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া চরমে ওঠে। এরপর নিজের বন্ধুর বাড়িতে রাজনকে ডাকেন। আর সেখানেই লাঠি নিয়ে রাজনের উপর চড়াও হন ও তাঁকে মারধর করে প্রতিভা ও তাঁর বন্ধুরা। এরপর গুরুতর আহত হয়ে অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন প্রতিভা। সেখানেই মৃত্যু হয় রাজনের। ইতিমধ্যেই প্রতিভা ও তার তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Foodgrains Procurement: খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজে লাগানো হবে বেসরকারি সংস্থাকেও, কেন জানেন?  

    Foodgrains Procurement: খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজে লাগানো হবে বেসরকারি সংস্থাকেও, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও খাদ্যশস্য সংগ্রহের (Foodgrains Procurement) কাজে লাগানো হবে। ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (FCI) এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি খাদ্যশস্য মজুতের লক্ষ্যে অচিরেই আহ্বান জানানো হবে বেসরকারি সংস্থাকে। সোমবার এমনই জানালেন খাদ্য সচিব (Food Secretary) সুধাংশু পাণ্ডে। তিনি জানান, এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে।

    এদিন রোলার ফ্লাওয়ার মিলারর্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার ৮২ তম বৈঠকে ভাষণ দিচ্ছিলেন সুধাংশু পাণ্ডে। তিনি  বলেন, খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য কেন্দ্র রাজ্য সরকারগুলিকে দুটো স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। এক, রাজ্য সরকার যে পরিমাণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ করবে আনুষাঙ্গিক খরচ বাবদ তার জন্য দেওয়া হবে ২ শতাংশ করে। আর দ্বিতীয়ত, খাদ্যশস্য সংগ্রহের খরচ কমাতে কাজে লাগানো হবে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে। খাদ্য সচিব বলেন, খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজে আমরা বেসরকারি সংস্থাগুলিকে যুক্ত করতে চাই। তাঁর প্রশ্ন, কেন কেবল ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এবং রাজ্য সরকারের সংস্থাগুলি খাদ্যশস্য সংগ্রহ করবে?

    আরও পড়ুন :কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার মন্তব্যে মমতাকে মোক্ষম জবাব মালব্যর

    সম্প্রতি খাদ্য সচিব ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইনস কনফারেন্সে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, সেখানে দেখলাম বেসরকারি কোম্পানিগুলি অনেক বেশি দক্ষতার সঙ্গে খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজ করছে। সুধাংশু বলেন, বেসরকারি সংস্থাগুলি যদি খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজ কম খরচে এবং অনেক বেশি দক্ষতার সঙ্গে করতে পারে, তাহলে সরকারের কোনও সমস্যা নেই। খাদ্য সচিব বলেন, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন এজেন্সিগুলি ছাড়াও খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজে বেসরকারি উদ্যোগকে কাজে লাগাতে বলে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছি। আগামী মরশুমে যাতে বেসরকারি উদ্যোগকে এ ব্যাপারে যুক্ত করা যায়, সেই চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। সুধাংশু জানান, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বছরে ৯ কোটি টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করে। যদিও চাহিদা রয়েছে ৬ কোটি টনের। প্রসঙ্গত, খাদ্যশস্য, বিশেষত ধান এবং গম নূন্যতম সহায়ক মূল্যে সরাসরি কৃষকদের থেকে কেনা হয়। পরে সেটাই বিলি করা হয় দরিদ্র কল্যাণমূলক প্রকল্পে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য  দেশ নয় ভারত (India)। এটা যে কেবল ভারতের পক্ষে কাম্য নয়, তা নয়, বিশ্বের পক্ষেও ভাল বার্তা নয়। বুধবার একথাই জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে ভারতের কতদিন সময় লাগবে? এই প্রশ্নের উত্তরেই জয়শঙ্কর জানান ভারতের সদস্য না হওয়ার বিষয়টি বিশ্বের পক্ষেও ভাল নয়।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সব যোগ্যতাই রয়েছে ভারতের। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই। উল্লেখ্য যে, অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন : দিল্লিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক, কবে জানেন?

    কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নীতি আয়োগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরবিন্দ পনাগারিয়ার সঙ্গে কথপোকথন হচ্ছিল জয়শঙ্করের। সেখানেই ওঠে ওই প্রশ্ন। তার জবাবও দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে পরেই গঠিত হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদ। জয়শঙ্কর বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত হয়েছিল দীর্ঘ ৮০ বছর আগে। তখনকার বিশ্ব ও এখনকার বিশ্বের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এই সময়সীমায় বিশ্বে স্বাধীন দেশের সংখ্যা হয়েছে তিনগুণ। তিনি জানান, বিশ্বের একটা বিরাট অংশই রয়ে গিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের বাইরে। জয়শঙ্কর জানান, অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে। বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল সমাজেও পরিণত হবে এই দেশ। বিদেশমন্ত্রী বলেন, এরকম একটা দেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়। এটা আমাদের পক্ষেও যেমন ভাল নয়, তেমনি ভাল নয় তামাম বিশ্বের পক্ষেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Jignesh Mevani: ভোটের মুখে জোর ধাক্কা গুজরাট কংগ্রেসে, ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা জিগনেশ মেবানির

    Jignesh Mevani: ভোটের মুখে জোর ধাক্কা গুজরাট কংগ্রেসে, ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা জিগনেশ মেবানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট (Gujrat) প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তথা বিধায়ক জিগনেশ মেবানিকে (Jignesh Mevani) ছ মাসের কারাদণ্ড দিল আমেদাবাদ আদালত (Ahmedabad Court)। ২০১৬ সালের একটি মামলায় সাজা দেওয়া হল গুজরাটের এই দলিত নেতাকে। কেবল জিগনেশ নন, ওই মামলায় আরও ১৮ জনকেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি গড়ে বড়সড় ধাক্কা খেল গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি কংগ্রেস।

    গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভবন তৈরির সময় ভবনের নাম সংবিধান রচয়িতা বিআর আম্বেদকরের নামে করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন জিগনেশ ও তাঁর অনুগামীরা। সেটা ২০১৬ সালের ঘটনা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাস্তা অবরোধও করেছিলেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয় থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি সমাবেশ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগ দায়ের হয়। সেই সময় জিগনেশ সহ মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই মামলায়ই এদিন রায় দিল আদালত। তবে এদিন সাজা দেওয়া হয়েছে জিগনেশ সহ মোট ১৯ কে। কারণ বিচার চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে এক অভিযুক্তের। তবে জিগনেশদের সাজা এখনই কার্যকর হচ্ছে না। তাঁরা যাতে আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারেন, তাই কারাদণ্ডের সাজা ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন বিচারক।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    এদিকে, সম্প্রতি আমেদাবাদের ভাস্ত্রালে একটি জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন গুজরাট প্রদেশ কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিগেনশ। জিগনেশ ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন তফশিলি জাতি বিভাগের চেয়ারম্যান হিতেন্দ্র পিথাদিয়া। আচমকাই জিগনেশের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। ট্যুইটবার্তায় জিগনেশের দাবি, রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ সিং জাদেজার মদতপুষ্ট গুন্ডা বাহিনীই ওই হামলা চালিয়েছিল।

    দলিত মুখ হিসেবেই রাজনীতিতে দ্রুত উত্থান ঘটেছিল জিগনেশের। ২০১৭ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য কংগ্রেসে যোগ দেন। মাস কয়েক আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন হার্দিক প্যাটেল। তার পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব বর্তায় জিগনেশের ওপর। সেই জিগনেশেরেই কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা হওয়ায় ভোটের আগে যারপরনাই বিব্রত গুজরাট কংগ্রেস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Supreme Court: ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি ৫ হাজারেরও বেশি মামলার!

    Supreme Court: ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি ৫ হাজারেরও বেশি মামলার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর কার্যকালের বয়স মাত্র ১৩ দিন। সপ্তাহ দুয়েকেরও কম সময়ের মধ্যে গতি এসেছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কাজে। এনভি রমানার (NV Ramana) অবসরের পরে দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit)। তার পরেই কার্যত কাজের জোয়ার এসেছে সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালকে উদ্ধৃত করে দেশের শীর্ষ আদালতের (Apex Court) প্রধান বিচারপতি ললিত জানান গত ১৩ দিনে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হয়েছে ৫ হাজার ২০০ মামলার। এই সময় সীমার মধ্যে তালিকাভুক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৩৫টি নতুন মামলা।

    কিছু দিন আগেই দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন ললিত। তাঁর তিন প্রজন্মই রয়েছেন আইনি পেশায়। অবসর গ্রহণের আগে প্রধান বিচারপতি পদে ললিতের নাম প্রস্তাব করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। রামানার প্রস্তাবে সিলমোহর দেয় কেন্দ্র। প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নেন ললিত। তিন মাসেরও কম সময়ের জন্য ওই পদে থাকবেন তিনি। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টে অবসরের বয়স ৬৫ বছর। এই সময়ের মধ্যেই যে তাঁর লক্ষ্য যত বেশি সম্ভব মামলার নিষ্পত্তি করা, শপথ গ্রহণের দিনই তা জানিয়ে দিয়েছিলেন ললিত। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টের কাজে যে জোয়ার এসেছে, তা স্পষ্ট তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যানেই।

    আরও পড়ুন : ইউনিফর্ম চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির, হিজাব বিতর্কে ‘সুপ্রিম’ পর্যবেক্ষণ

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আয়োজন করা হয় সংবর্ধনা সভার। সভার আয়োজন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট চত্বরেই। যোগ দিয়ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি। বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সমস্ত বিচারপতি এবং আইনজীবীদের সমবেত প্রচেষ্টা ছাড়া এ কাজ (এত মামলার নিষ্পত্তি) সম্ভব হত না। প্রধান বিচারপতি জানান, অনেক বিষয় ফলপ্রসূ হয়েছে এবং প্রচুর মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। কিছু মামলা শেষ মুহূর্তে তালিকাভুক্ত হয়েছে। সেগুলি আমার বিচারপতি ভাইয়েরা দক্ষ হাতে সামলেছেন। নয়া ব্যবস্থায় বিচারপতিদের একাংশ খুশি নন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে ললিত বলেন, বিচারপতিরা অখুশি, এটা ঠিক নয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ukraine Returnees: ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দেশের কলেজে ভর্তি করা যাবে না, সাফ জানাল কেন্দ্র

    Ukraine Returnees: ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দেশের কলেজে ভর্তি করা যাবে না, সাফ জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন থেকে (Ukraine Student) ফিরে আসা ডাক্তারি পড়ুয়াদের ভর্তির দাবিতে মামলার শুনানি শুক্রবার পর্যন্ত স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায়, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা দাখিল করে কেন্দ্র জানিয়েছে, এই ছাত্রদের ভারতের কলেজে ভর্তি করা আইনত সম্ভব নয়।        

    আরও পড়ুন: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?  

    কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, এই ছাত্ররা হয় এনইইটি-তে কম নম্বরের কারণে সেখানে গিয়েছিলেন বা কম খরচে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রের পরামর্শ,  এই শিক্ষার্থীরা ইউক্রেনীয় কলেজ থেকে অনুমতি নিয়ে অন্য কোনও  দেশে কোর্স শেষ করতে পারেন। কেন্দ্র তার হলফনামায় আরও জানিয়েছে, এই ছাত্রদের দুর্বল মেধা থাকা সত্ত্বেও যদি দেশের সবচেয়ে ভালো মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়, তবে এটি এই কলেজগুলিতে পঠনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার করা হবে। এনইইটি-তে কম স্কোরের কারণে তাঁরা ভর্তি হতে পারেননি। তাঁদের অন্য কলেজে ভর্তি হতে হয়েছিল।     

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!  

    কেন্দ্রের হলফনামায় এও বলা হয়, এই শিক্ষার্থীদের দেশের বেসরকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার অনুমতি দিলেও, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ফি দিতে সক্ষম নাও হতে পারেন। এর আগে, ৬ সেপ্টেম্বর ইউক্রেন থেকে নিজেদের কোর্স ছেড়ে ফিরে আসা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ত্রাণ দিয়েছিল ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি)। কমিশন একটি এনওসি জারি করে জানিয়েছিল, এই শিক্ষার্থীরা এখন দেশ ও বিশ্বের যে কোনও মেডিকেল কলেজ থেকে তাদের পড়াশোনা শেষ করতে পারবে। তবে, এনএমসি এই ছাত্রদের স্ক্রীনিং টেস্ট রেগুলেশন ২০০২-এর দ্বিতীয় মানদণ্ড পূরণ করার একটি শর্তও রেখেছিল। কেন্দ্র জানায়, এখন অবধি এনএমসি-র তরফ থেকে এই শিক্ষার্থীদের দেশে পড়ার বিষয়ে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের মতে, এনএমসি অ্যাক্ট ১৯৫৬ এবং এনএমসি অ্যাক্ট ২০১৯- এর অধীনে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের কোনও শিক্ষার্থীকে দেশের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করার কোনও নিয়ম নেই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Agnipath scheme: প্রধানমন্ত্রীর অগ্নিপথ প্রকল্পে মোদির পাশেই কেজরীর আম আদমি পার্টি

    Agnipath scheme: প্রধানমন্ত্রীর অগ্নিপথ প্রকল্পে মোদির পাশেই কেজরীর আম আদমি পার্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগে বিরোধিতা করলেও এখন কেন্দ্র সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পকে একযোগে এগিয়ে নিয়ে যাতে চায়, আম আদমি পার্টি। আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, অতীতে অগ্নিপথের বিরোধিতা করেছে আপ। কিন্তু এখন যখন এই প্রকল্প চালু হয়েছে, তখন পিছনে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন নেই। এই প্রকল্পে নিয়োগের ক্ষেত্রে  সবরকম সহযোগিতা করবে আপ।

    প্রসঙ্গত, অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগ নিয়ে বিহার এবং পাঞ্জাবে সবথেকে বেশি প্রতিবাদের ঝড় বয়েছিল। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও প্রতিবাদে সামিল হন। এখন তিনি এই বিষয়ে বেশ কিছুটা নমনীয় হয়েছেন। আসলে সেনা মান সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল যে, রাজ্য সরকার এই প্রকল্পে নিয়োগের জন্য সহযোগিতা করছে না। বলে দেওয়া হয় যে সরকার সাহায্য না করলে এই নিয়োগ সেখান থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও করা হবে। এরপরেই মান তাঁর সম্পূর্ণ সহায়তার কথা বলেছেন।

    আরও পড়ুন: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মোনালিসার দাদার নামে বিপুল জমির হদিশ! বেনামে মালিক প্রাক্তন মন্ত্রী-ই?

    মুখ্যমন্ত্রী মান এক ট্যুইট বার্তায় সকল জেলার জেলা শাসককে সতর্ক থাকতে বলেছেন। নিয়োগ অভিযানের জন্য সেনা কর্মকর্তাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার আদেশ দেন। মান  ট্যুইট বার্তায় লেখেন, “যে কোনও ধরণের সাহায্যকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।” রাজ্য থেকে অগ্নিপথ প্রকল্পে সর্বোচ্চ সংখ্যায় চাকরির বিষয়েও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: প্রদেশ সভাপতিদের বাছবেন সনিয়া! দল কি গান্ধী-পরিবারের প্রভাবমুক্ত হবে? গুঞ্জন কংগ্রেসেই

    উল্লেখ্য, কেন্দ্র এই বছরের জুন মাসে অগ্নিপথ নিয়োগের সূচনা করেছিল। এই প্রকল্পের অধীনে, চার বছরের জন্য সৈন্য নিয়োগ করা হবে। চার বছর পর বাহিনীতে রাখা হবে প্রায় ২৫ শতাংশ জওয়ানকে। এই প্রকল্পের প্রবর্তনে দেশজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়। প্রশ্ন উঠেছিল যে চার বছরের জন্য বাহিনীতে থাকার পরে অগ্নিবীরদের কী হবে। সমালোচকরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে চার বছরের মেয়াদ সৈন্যদের ঝুঁকি-প্রতিরোধ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Chenab Bridge: নৈস্বর্গিক চেনাব সেতুর ছবি প্রকাশ ভারতীয় রেলের, অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকদিনের

    Chenab Bridge: নৈস্বর্গিক চেনাব সেতুর ছবি প্রকাশ ভারতীয় রেলের, অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকদিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেনাব সেতুর (Chenab Bridge) তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু হতে চলেছে এই আর্চ ব্রিজ। যদিও রেল লাইন বসানোর কাজ এখনও শুরু হয়নি। এটি উধমপুর-শ্রীনগর-বারমুল্লা রেল লিঙ্কের প্রকল্প। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ এই সেতু চালু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। এই সেতুর অনবদ্য নির্মাণ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যে প্রথম দিন থেকেই এই সেতু আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সেতুর কিছু অসাধারণ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) শেয়ার করল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। মুহূর্তেই ভাইরাল সেই ছবি।

    আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে মুম্বই-আমেদাবাদ রুটে যাত্রা শুরু হতে পারে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের, কেমন হবে এই ট্রেনে যাত্রা?  

    ভারতীয় রেলের শেয়ার করা ছবিতে দেখা গিয়েছে, মেঘেদের ওপরেই স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ওই সেতু। সেতুটি তৈরি করতে প্রায় ১৮ বছর সময় লেগেছে। এই রেল সেতুর উচ্চতা ৩৫৯ মিটার। ইতিমধ্যেই উচ্চতায় বিশ্ব রেকর্ড করেছে এই সেতু। মূলত, এই সেতুটি উধমপুর, শ্রীনগর, বারামুল্লা রেল সংযোগ প্রকল্পের একটি অংশ। যা দিল্লির কুতুব মিনারের থেকে পাঁচ গুণ বেশি উঁচু। ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ার থেকেও ৩৫ মিটার বেশি উঁচু এই সেতু। এই সেতুর মাধ্যমেই কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত জুড়ে যাবে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্ক।

     

    সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চেনাব সেতু নির্মাণে মোট ১,৪৮৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ১,৩১৫ মিটার দীর্ঘ এই সেতু। প্রাকৃতিক ভাবে অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় এই সেতু তৈরিতে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা ছিল আবহাওয়া। ওই এলাকায় কখনও কখনও ঘন্টায় ১০০-১৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়। সেই কারণেই এই সেতুটি এতটাই মজবুত করা হয়েছে যে তা প্রতি ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার গতিবেগের বাতাসও সহ্য করতে সক্ষম।

    আরও পড়ুন: প্যাসেঞ্জার ট্রেনের বেসরকারিকরণ নয়, জানালেন রেলমন্ত্রী   

    এই সেতুটির আয়ু ১০০ বছরেরও বেশি বলে অনুমান করছে সরকার। এই সেতুতে কখনও জং ধরবে না। কারণ সেতুটি স্ট্রাকচারাল স্টিল দিয়ে তৈরি। এটি মাইনাস ১০ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। এছাড়াও, ভূমিকম্প ও বিস্ফোরণের ফলেও এই সেতুর কোনো ক্ষতি হবে না। যার ফলে সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীও এটি ব্যবহার করতে পারবে। চেনাব সেতু তৈরির কাজ শুরু হয় ২০০২ সালে। কিন্তু ২০০৮ সালে এর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যা ফের ২০১০ সালে শুরু করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • DA Central Govt Employees: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, পুজোর মুখেই ঘোষণা হতে পারে ডিএ?

    DA Central Govt Employees: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, পুজোর মুখেই ঘোষণা হতে পারে ডিএ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের (Central Govt Employees) জন্য সুখবর। পুজোর মুখে আশার খবর শোনাতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁরা এতদিন ধরে বেতন বৃদ্ধির (Salary Hike) জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তাঁদের মুখে এবার ফুটবে হাসি। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক জুলাই মাসের জন্য এআইসিপিআই ইনডেক্স (AICPI Index) ডেটা প্রকাশ করেছে। ওই মাসের জন্য প্রকাশ করেছে অল ইন্ডিয়া সিপিআই-আইডব্লুও (CPI-IW)। এই সিপিআই-আইডব্লু ০.৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৯.৯ পয়েন্টে। এআইসিপিআই ইনডেস্ক বৃদ্ধির জেরে আগামী বছর জানুয়ারি থেকে বাড়বে মহার্ঘ ভাতা। আর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রাপ্ত ডেটার ভিত্তিতে ঘোষণা করা হতে পারে জুলাইয়ের মহার্ঘ ভাতা।

    কেন্দ্রের একটি সূত্রের খবর, পুজোর মুখেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য মিলতে পারে সুখবর। জুলাইয়ের মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হতে পারে সেপ্টেম্বরের ২৮ তারিখে। এই সময় মহার্ঘ ভাতা বাড়তে পারে ৪ শতাংশ। সাধারণত বছরে দুবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়ে। একবার জানুয়ারিতে, পরেরটা জুলাই মাসে। সপ্তম পে কমিশনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এটা করা হয়। তবে কোন বার মহার্ঘ ভাতা কত বাড়বে, তা নির্ভর করে আগের ছ মাসের এআইসিপিআই ইনডেস্কের ওপর।

    আরও পড়ুন : বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    এআইসিপিআই ইনডেস্ক দেখেই আশা করা যাচ্ছে এবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়তে পারে ৪ শতাংশ। এই বৃদ্ধির জেরে এটা হতে পারে ৩৪ থেকে ৩৮ শতাংশ। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা মহার্ঘ ভাতা পান ৩৪ শতাংশ। এটা বেড়ে ৩৮ শতাংশ হলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন এক লপ্তে বেড়ে যাবে অনেকখানি।

    যাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করেন, তাঁদের দেওয়া হয় মহার্ঘ ভাতা। আর ডিয়ারনেস রিলিফ দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের। চলতি বছরের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকার ডিএ তিন শতাংশ বাড়িয়ে ৩৪ শতাংশ করেছে। এই বৃদ্ধির হার প্রযোজ্য হয়েছে কর্মীদের মূল মাইনের ওপর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share