Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Gujarat Oath: আজ গুজরাটে মেগা শপথ! থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ ২০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

    Gujarat Oath: আজ গুজরাটে মেগা শপথ! থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ ২০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে টানা সপ্তমবারের জন্য সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। আজ, সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel)। এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আজ গান্ধীনগরে চাঁদের হাট।

    কে কে থাকছেন

    বিজেপি সূত্রে খবর, গান্ধীনগরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, নীতিন গড়করি এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বিজেপি শাসিত রাজ্য ও জোট সঙ্গী রাজ্যের ২০ জন মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেবেন এই মেগা শো-য়ে। তালিকায় রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টর, মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান, কর্ণাটকের বাসবরাজ বোম্মাই, উত্তরাখণ্ডের পুষ্কর সিং ধামি, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং তাঁর উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। এছাড়াও ভূপেন্দ্র প্যাটেলের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ২০০ জন সন্ন্যাসীর উপস্থিত থাকার কথা। বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডা, প্রবীণ নেতা বিএল সন্তোষ থাকতে পারেন। 

    আরও পড়ুন: গোয়ায় নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, দেওয়া হল নতুন নাম

    শপথ অনুষ্ঠান

    গুজরাটে রেকর্ড গড়ে ১৮২টি আসনের মধ্যে ১৫৬টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। সাধারণত নির্বাচনের আগে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম তুলে ধরে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই সমস্ত জায়গায় বিজেপির মুখ হিসাবে তুলে ধরা হয়। গুজরাট ভোটের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে আগেই  ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে মসনদে ফিরলে ভূপেন্দ্র প্যাটেলই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও নির্বাচনী প্রচারে ‘নরেন্দ্র-ভূপেন্দ্রের ডবল ইঞ্জিন সরকার’-এর পক্ষে সওয়াল করেন। সকলের বিশ্বাস অর্জন করেই রেকর্ড আসনে জয় পায় গেরুয়া শিবির। আজ, দুপুর ২টোয় গান্ধীনগরের হেলিপ্যাড ময়দানেই শপথ নেবেন ভূপেন্দ্র। মেগা শপথগ্রহণের জন্য  তিনটি বিশাল মঞ্চ থাকবে। মধ্যের প্ল্যাটফর্ম হবে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভার জন্য। বাকি দুটি করা হয়েছে অতিথিদের জন্য। মূল মঞ্চের ডানদিকের প্ল্যাটফর্মে প্রধানমন্ত্রী ও ভিভিআইপিদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। বাম দিকে  রাজ্যের ২০০ জন সাধু বসবেন, যাদের অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Fake Currency: মথুরা পুলিশের জালে জাল নোট চক্র, চিনা যোগ?

    Fake Currency: মথুরা পুলিশের জালে জাল নোট চক্র, চিনা যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেল পুলিশ (জিআরপি), মথুরা পুলিশের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ল জাল নোটের (Fake Currency) আন্তর্জাতিক চক্র। চিন থেকে আমদানি করা সরঞ্জাম দিয়ে নোট ছাপানো হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। চক্রের ‘কিংপিন’- কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

    কী কী উদ্ধার হয়েছে? 

    মথুরা জিআরপি এবং বারাণসীর পুলিশ কমিশনারেটের যৌথ দল রবিবার মুকেশ ওরফে রৌনককে গ্রেফতার করেছে। মুকেশই এই চক্রের মাথা। পুলিশ এই ব্যক্তির মাথার দাম রেখেছিল ২৫,০০০ টাকা। বারাণসী থেকে গ্রেফতার করা হয় রৌনককে। গোয়েন্দারা ২১,০০০ টাকা মূল্যের জাল মুদ্রা (Fake Currency), অর্ধ-মুদ্রিত জাল নোট, জাল নোট ছাপার সরঞ্জাম এবং আনুমানিক ৭ লক্ষ টাকা মূল্যের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছেন৷

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জাল মুদ্রা (Fake Currency) ছাপানোর জন্য ব্যবহৃত উপকরণ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি ফটোস্ট্যাট মেশিন, ল্যামিনেশন মেশিন, পাঞ্চিং মেশিন, বিভিন্ন  আকারের ফ্রেম স্লাইডার ইত্যাদি। চিনা সংস্থা  www.alibaba.com এবং  Guangzhou Bonedry Co. Ltd থেকে আমদানি করা হয়েছিল সরঞ্জামগুলি। চক্রটি উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে পশ্চিমবঙ্গের মালদা এবং দেশের অন্যান্য রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। 

    ৯ ডিসেম্বর প্রথম এই মামলায় রৌনকের নাম সামনে আসে। সেই সময় মথুরা জিআরপি ১.৫ লক্ষ টাকার জাল নোট সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের থেকেই পুলিশ রৌনকের নাম জানতে পারে।

    আরও পড়ুন: ‘২০০০ টাকার নোট কালো টাকার সমান’, বাতিল করার পরামর্শ সুশীল মোদির 

    মথুরার এসপি জিআরপি মুস্তাক আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “জিআরপি একটি অভিযোগ দায়ের করে এবং জাল মুদ্রার অবৈধ ব্যবসায় জড়িত গ্যাংয়ের নেতা এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে আটটি দল গঠন করে। দলগুলি ক্রমাগত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বারাণসী পুলিশের সহায়তায় শ্রীনগর থেকে রৌনককে গ্রেফতার করে। অভিযান চালানো স্থান থেকে প্রচুর পরিমাণে জাল মুদ্রার নোট এবং মুদ্রণের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।”  

    রৌনক মথুরা জিআরপির হেফাজতে রয়েছে  এবং বারাণসী পুলিশ জাল নোট তৈরির সমস্ত সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। পুলিশ এখন মথুরায় যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Income Tax Free Slab: আয়করে ফ্রি স্ল্যাবের হার বেড়ে হতে পারে ৫ লক্ষ টাকা!

    Income Tax Free Slab: আয়করে ফ্রি স্ল্যাবের হার বেড়ে হতে পারে ৫ লক্ষ টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় নতুন বছরের বাজেট (Budget)। ফি বছরের মতো এবারও ১ ফেব্রুয়ারি পেশ হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। এবারও বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সদর দফতর নর্থব্লকে চলছে জোরকদমে প্রস্তুতিপর্ব। সূত্রের খবর, আসন্ন বাজেট অধিবেশনে ব্যক্তিগত আয়ে কর কাঠামোয় বড়সড় ছাড়ের (Income Tax Free Slab) কথা ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র। গত দু বছর আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমায় কোনও বদল করা হয়নি। ট্যাক্স স্ল্যাব বা করের হারে বদল করা হলেও, সেভাবে স্বস্তি পায়নি মধ্যবিত্ত। তবে এবার কেন্দ্র সেটাই করতে চলেছে।

    মুদ্রাস্ফীতি…

    বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনযাত্রার মান গিয়েছে বেড়ে। মুদ্রাস্ফীতির জন্যই এমনটা হয়েছে। অথচ করের বোঝা রয়ে গিয়েছে অপরিবর্তিত। সেই কারণেই কমানো হতে পারে ব্যক্তিগত আয়করের হার। ২০২০-২১ সালের বাজেটে কেন্দ্র যে কর ব্যবস্থা চালু করেছিল, সেই ব্যবস্থা অনুযায়ী, আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় পুরোপুরি করমুক্ত। আড়াই থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে কর দিতে হয় পাঁচ শতাংশ হারে। পাঁচ লক্ষ থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হয় ১০ শতাংশ হারে। সাড়ে সাত লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে কর দিতে হয় ১৫ শতাংশ হারে। ১০ থেকে সাড়ে ১২ লক্ষের ক্ষেত্রে কর দিতে হয় ২০ শতাংশ হারে। সাড়ে ১২ থেকে ১৫ লক্ষের ক্ষেত্রে কর দিতে হয় ২৫ শতাংশ হারে। আর ১৫ লক্ষের ওপরে দিতে হয় ৩০ শতাংশ হারে কর।

    আরও পড়ুন: ‘১ লাখ ২৫ হাজার কোটি কালো টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্র’, দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    সূত্রের খবর, কেন্দ্র এবার পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগারে পুরোপুরি করছাড় (Income Tax Free Slab) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর ফলে যাঁরা বার্ষিক পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন তাঁরা কোনওরকম বিনিয়োগ না করলেও, করছাড় পাবেন। আর যাঁরা পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি রোজগার করেন, তাঁদেরও করযোগ্য আয় ধরে হবে মোট আয় থেকে ৫ লক্ষ টাকা বাদ দিয়ে। প্রসঙ্গত, আয়কর আইনের ৮০সি ও ৮০বি ধারায় বিনিয়োগ করলে আয়করে ভাল ছাড় মেলে। তবে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত হলে, এসব আর করতে হবে না। প্রসঙ্গত, গত মাসে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি প্রস্তাব দিয়েছিল আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোনও কর যাতে দিতে না হয়। আর আড়াই লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশের বদলে আড়াই শতাংশ হারে কর দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Arunachal Clash: তাওয়াং সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করল চিন! জবাব ভারতীয় সেনার

    Arunachal Clash: তাওয়াং সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করল চিন! জবাব ভারতীয় সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) কাছে আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হল ভারত ও চিনের সেনা। অরুণাচলের তাওয়াংয়ে ফিরে এল লাদাখের গালওয়ানের ছবি। সংবাদ সংস্থা এনআইএ সূত্রে খবর, ২০২০ সালের গালওয়ান-কাণ্ডের মতো প্রাণহানি না ঘটলেও শুক্রবার রাতের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন সেনা আহত হয়েছেন।

    সংঘর্ষের ঘটনা

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ‘রুল অব এনগেজমেন্ট’মেনে গালওয়ানের মতোই তাওয়াংয়েও দ্বিপাক্ষিক সেনাস্তরের  কোনও পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি। শুক্রবার রাতে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে ভারতীয় সেনা ‘দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিরোধ’করে। সে সময় সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন আহত হন। হাতাহাতি এবং লাঠি-পাথর নিয়ে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার ৬ জন জওয়ান ‘সামান্য আহত’ হন বলে সেনা সূত্রে খবর। 

    সেনার এক সূত্রের মতে, ভারতীয় সেনা রুটিনমাফিক প্যাট্রলিং করছিল। টহলদারির সময়ে চিনা সেনার অন্তত ৩০০ জনের একটি দল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করার চেষ্টা করে। এমনকি রীতিমতো ভারতের ভুখণ্ডে পা রাখারও চেষ্টা হয় বলে ওই সেনা সূত্র জানিয়েছেন। তাঁরা ভারতীয় সেনার টহলদারির কাজে বাধা দেয়। এলাকা দখল নিয়ে বাদানুবাদ শুরু করে লাল ফৌজ। যদিও পাল্টা প্রস্তুত ছিল ভারতীয় সেনাও। চিনের সমস্ত ছক ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আর তা করতেই সংঘাতে ভারত এবং চিনের বাহিনী জড়িয়ে পড়ে বলে দাবি ওই কর্তার। শুধু তাই নয়, ধাক্কা দিয়ে সীমান্ত থেকে লাল ফৌজকে ভারতীয় সেনার জওয়ানরা বার করে দেয় বলেও দাবি। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভারত এবং চিনের বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতি চলে বলে জানাচ্ছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক। ভারতীয় জওয়ানদের আঘাত খুব একটা গুরুতর নয়। তাঁদের হাতে, পায়ে এবং পিঠে লেগেছে। এমনকি মুখেও ঘুষির কারণে আঘাত লেগেছে বলে দাবি করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ভারতীয় সেনার থেকে অনেক বেশি আক্রান্ত হয়েছে চিনের জওয়ানরা। 

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে কুখ্যাত জঙ্গির দোতলা বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের  ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চিনের সেনা অনুপ্রবেশ করে। তখনই চিনা ফৌজকে ভারতীয় বাহিনী বাধা দেওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সংঘর্ষে মোট ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন। তাওয়াং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। আর এই সমস্ত অঞ্চলে একাধিকবার চিনের সঙ্গে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। তবে গালওয়ানের পর এটিই বড় ঘটনা বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার পরেই সমস্ত এজেন্সিগুলিকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sushil Modi: ‘২০০০ টাকার নোট কালো টাকার সমান’, বাতিল করার পরামর্শ সুশীল মোদির

    Sushil Modi: ‘২০০০ টাকার নোট কালো টাকার সমান’, বাতিল করার পরামর্শ সুশীল মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০০ টাকার নোট সন্ত্রাসবাদ এবং মাদকপাচারের মতো ঘৃণ্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্যসভায় এমনটাই বললেন বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদি (Sushil Modi)। তিন বছর আগেই ২০০০ হাজার টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বিজেপি সাংসদের দাবি , ২০০০ হাজার টাকার নোট জমিয়ে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদে মদত ও মাদকপাচারের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই টাকা কালো টাকার সমান।

    আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর পড়ুয়া-নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি, অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর   

    কেন এমন মন্তব্য করলেন সাংসদ?

    রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ (Sushil Modi) বলেন, “২০১৬ সালে বাতিল হওয়া ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের বিকল্প হিসেবে ২ হাজার টাকার নোট নিয়ে এসেছিল আরবিআই। কিন্তু বেশ কিছু কারণে গত তিন বছর ধরে এই নোটের মুদ্রণ বন্ধ রয়েছে। ফলে ২ হাজার টাকার নোটের কালোবাজারি বাড়ছে।” তিনি আরও বলেন, “আমজনতার কষ্টের উপার্জনের টাকা যাতে পুরোপুরি রূপান্তরিত করা যেতে পারে, সে জন্য তাঁদের আরও সময় দেওয়া দরকার। অন্য দেশের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “বহু আধুনিক দেশেই ছোট অঙ্কের নোট চালু রয়েছে। আমেরিকায় যেমন সর্বোচ্চ অঙ্কের নোট ১০০ ডলার, চিনের সর্বোচ্চ অঙ্কের নোট ১০০ ইউয়ান, কানাডায় ১০০ ক্যাড, ইউরোর ক্ষেত্রে ২০০ ইউরো। মাদক পাচার, আর্থিক নয়ছয়, সন্ত্রাসবাদে মদত এবং করফাঁকির মতো বেআইনি কার্যকলাপ আটকাতে ইইউ ২০১৮ সালে ৫০০ ইউরোর নোট বাতিল করে। ২০১০ সালে রাস্তায় হেঁটে ১০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলারের নোট বাতিল করে সিঙ্গাপুর।”

    সুশীল মোদির (Sushil Modi) বক্তব্য, যেহেতু ভারত এখন ডিজিটাল লেনদেনের হাব হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তাই এখানে ২০০০ টাকার নোটের প্রয়োজন কম। ২০১৬ সালে কালো টাকা, দুর্নীতি এবং জালনোট রোধে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে গোটা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধী শিবির থেকে অর্থনীতিবিদ, নানা মহলের বিপুল সমালোচনার মুখে পড়ে সেই পদক্ষেপ। কিন্তু স্বয়ং দলীয় সাংসদের বক্তব্যে ২ হাজার টাকার নোট নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে বিজেপি।   

    কোনও আগাম সূচনা ছাড়াই ২০১৬-র ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, মধ্যরাত থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার পুরনো নোট বন্ধ হচ্ছে। এরপর ৫০০ ও ১০০০ টাকা দিয়ে কোনও লেনদেন করা যাবে না, ঘোষণা করেন তিনি। সঙ্গে জানান, বদলে বাজারে শীঘ্রই আসতে চলেছে ৫০০ ও ২০০০ টাকার নতুন নোট। তাঁর যুক্তি ছিল, কালো টাকা, দুর্নীতি এবং জালনোট রোধে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু যাঁদের কাছে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট রয়েছে, তাঁরা কী করবেন? উপায়ও বাতলে দিয়েছিলেন মোদি। জানিয়েছিলেন, ওই বছরের ১০ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরনো নোট ব্যাঙ্কে জমা করা যাবে। কেন্দ্রের এই আচমকা সিদ্ধান্তের বিপুল সমালোচনা শুরু করে বিরোধী শিবির। পথে নামার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার রিজার্ভ ব্যাঙ্কেও যান তিনি। ছ’বছর পরও সমালোচনার কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengaluru: রাত ১১টার পর রাস্তায় ঘোরা ‘বেআইনি’! দম্পতিকে ৩০০০ টাকা জরিমানা বেঙ্গালুরু পুলিশের

    Bengaluru: রাত ১১টার পর রাস্তায় ঘোরা ‘বেআইনি’! দম্পতিকে ৩০০০ টাকা জরিমানা বেঙ্গালুরু পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত ১১ টার পর বাইরে থাকা ‘অপরাধ’। এটি ‘আইন-বিরুদ্ধ’ কাজ। ফলে এর জন্য দিতে হবে ৩০০০ টাকা জরিমানা। এমন আইন কখনও শুনেছেন আপনি? কিন্তু এমনটাই ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। এমনই এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন বেঙ্গালুরু এক যুবক। রাত্রিবেলা স্ত্রীর সঙ্গে একটি অনুষ্ঠান থেকে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) বাসিন্দা এক যুবক। কিন্তু রাতে নাকি এইভাবে হেঁটে বেড়ানোর ‘অনুমতি নেই।’ এমন আশ্চর্য দাবি করেই ওই দম্পতির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল কয়েকজন পুলিশকর্মীর (police) বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই দুই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) যুবকটির নাম কার্তিক পাত্রী। কার্তিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ বেঙ্গালুরু পুলিশের হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী। জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির প্রায় কাছেই পথ আটকায় দুই পুলিশ আধিকারিক। তাঁদের জানায়, রাত ১১ টার পরে বাড়ির বাইরে থাকা একপ্রকার ‘আইন লঙ্ঘন’। এরপর তাঁদের কাছে প্রথমে পরিচয় পত্র দেখতে চান ওই আধিকারিকরা। ফোনে আধার কার্ডের ছবি দেখাতেই ৩০০০ টাকা জরিমানা করেন বলে অভিযোগ জানান ওই দম্পতি।

    তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তিনি বুঝতে পারেন না, প্রাপ্তবয়স্ক দম্পতি রাত্রে রাস্তায় হাঁটলে পরিচয় পত্র দেখাতে হবে কেন। এরপরেই ওই পুলিশকর্মীরা একটি চালান বই বের করে কার্তিক ও তাঁর স্ত্রীর নাম এবং আধার কার্ডের নম্বর তাতে লিখতে শুরু করেন। বিপদ বুঝতে পেরে তাঁদের প্রশ্ন করেন কার্তিক, ‘কেন আমাদের নামে চালান কাটছেন?’

    উত্তরে ওই পুলিশকর্মীরা জানায়, রাত ১১টার পর নাকি রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো নিষেধ। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকলেও ঝামেলা বাড়াননি দম্পতি। কিন্তু ওই পুলিশকর্মীরা তাদের ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করে নেয়। এরপর আইন না জানার জন্য ক্ষমা চান কার্তিক ও তাঁর স্ত্রী। কিন্তু ওই পুলিশকর্মীরা বলে, এর জন্য ৩ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। তাঁরা কাকুতিমিনুতি করলেও কোনও কাজে দেয়নি। এমনকি পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করারও হুমকি দেয়। পরে তাঁর স্ত্রী কাঁদতে শুরু করলে এক পুলিশকর্মী কার্তিককে বলে, ঝামেলা না বাড়িয়ে মাত্র ১ হাজার টাকা পেটিএমের সাহায্যে দিয়ে দিতে। এরপরে সেই টাকা দিয়ে দেওয়ার পর তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

    এরপর বাড়ি আসার পর পুরো ঘটনাটি ট্যুইট করে বেঙ্গালুরু সিটির পুলিশ কমিশনারকে জানান কার্তিক। এরপরেই অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে সামপিগহল্লি থানার একজন হেড কনস্টেবল এবং অন্য এক কনস্টেবলকে। ঘটনাটি নজরে আনার জন্য কার্তিককে ধন্যবাদও জানিয়েছে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) সিটি পুলিশ।

  • Indo China Clash: চিনা ড্রোনের আনাগোনা রুখতে ভারত আগেই উড়িয়েছিল যুদ্ধবিমান!

    Indo China Clash: চিনা ড্রোনের আনাগোনা রুখতে ভারত আগেই উড়িয়েছিল যুদ্ধবিমান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের ৯ তারিখে অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) তাওয়াং (Twang) সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাত বাঁধে চিন ও ভারতীয় সেনার (Indo China Clash) মধ্যে। সূত্রের খবর, চিন যাতে ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে না পারে, তাই নজরদারি চালাতে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে অরুণাচল প্রদেশে টহল দিচ্ছে বিমান। অবশ্য সংঘাত শুরুর আগে থেকেই আকাশে ওড়ানো হয়েছিল যুদ্ধবিমান। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক সূত্র বলছে, গত কয়েক সপ্তাহে দু তিনবার আমাদের যুদ্ধবিমান ওড়ানো হয়েছিল। কারণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আমাদের ছাউনির দিকে এগিয়ে আসছিল চিনা ড্রোন। চিনা ড্রোন যাতে আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে না পারে, সেজন্য ওড়ানো হয়েছিল সুখোই ৩০ এমকেআই। প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগে পিএলএল-র তিনশো সেনা জওয়ান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে। তার পরেই সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের সেনা।

    চিনের ড্রোনের গতিবিধি…

    জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের ড্রোনের গতিবিধির ওপর লাগাতার নজর রেখে যাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, যদি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সমান্তরালে কোনও ড্রোন ওড়ে, তাহলে ভারতের কোনও আপত্তি নেই। কোনও ড্রোন ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে এগিয়ে আসছে বলে র‌্যাডারে ধরা পড়লেই বায়ুসেনা পদক্ষেপ করে।

    আরও পড়ুন: চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন রাজনাথ

    সূত্রের খবর, অরুণাচল প্রদেশে চিন যাতে কোনওভাবে আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে না পারে, তাই সাম্প্রতিককালে এক সপ্তাহে দু থেকে তিনবার টহল দিতে হবে ফাইটার জেটগুলিকে। ভারতীয় বায়ুসেনা অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সম্প্রতি চিনা বিমানের কার্যকলাপ শনাক্ত করেছে। তাই বাড়তি সতর্কতা নিয়ে অরুণাচল প্রদেশের আকাশসীমায় টহল দিচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার জেটগুলি।

    আরও পড়ুন: তাওয়াং সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করল চিন! জবাব ভারতীয় সেনার

    এদিকে, চিন সীমান্তের বিষয়টি মাথায় রেখে উত্তরপূর্ব ভারতে বায়ুসেনার যথেষ্ট শক্তি বাড়িয়েছে। অসমের তেজপুর, ছাবুয়া-সহ একাধিক জায়গায় সুখোই ৩০ যুদ্ধবিমানের একাধিক স্কোয়াড্রন মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায় একাধিক রাফাল যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। যা ভারত-চিন সীমান্তের কাছেই অবস্থিত। ফলে প্রয়োজন হলে হাসিমারা থেকে রাফাল ওড়ানো হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rajnath Singh: চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যতদিন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, ততদিন দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও কেউ দখল করতে পারবে না। তাওয়াঙে (Tawang) ভারত-চিন সংঘর্ষ (Indo China Clash) নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন ভারতীয় সেনার অবদানকে কুর্নিশও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ৮-৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সেনাবাহিনী যে বীরত্ব দেখিয়েছে, তাকে স্যালুট জানাই। চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

    চিনা আগ্রাসন…

    এদিকে, অরুণাচল প্রদেশে চিনা আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে যে নিশানা করেছেন বিরোধীরা, এদিন তার জবাব দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তাঁর দাবি, ভারতীয় জওয়ানরা চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে। তাদের নিজেদের পোস্টেও ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সংসদে বলেন, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ের ঘটনা সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চাই। ৯ ডিসেম্বর, ২০২২-এ পিএলএ সৈন্যরা সীমান্তে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করে। আমাদের সেনাবাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে তার মোকাবিলা করে। দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। আমাদের জওয়ানরা চিনা সেনাদের বাধা দেয় এবং তাদের পোস্টে ফেরত পাঠায়। তিনি বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীর কোনও জওয়ান নিহত বা আহত হয়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, এই ঘটনার পর স্থানীয় কমান্ডার ১১ ডিসেম্বর চিনের সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ঘটনাটি নিয়ে আলোচনাও করেন। চিনকে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: তাওয়াং সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করল চিন! জবাব ভারতীয় সেনার

    এদিকে, তাওয়াঙে ভারত-চিন সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানরাও। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, উভয় পক্ষের সংঘর্ষ নিয়ে খবর নেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সূত্রের খবর, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙ সেক্টরে গত ৯ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের সংঘর্ষে চিনা বাহিনীকে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। সংঘর্ষে ভারতীয় জওয়ানদের থেকে চিনা জওয়ানদের জখম হওয়ার সংখ্যা বেশি।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ানেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল চিনা সেনা ও ভারতীয় বাহিনী। ওই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেও ওই একই এলাকায় ঢুকে পড়েছিল প্রচুর চিনা সেনা। সেই সময়ও দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ashwini Vaishnaw: ‘১ লাখ ২৫ হাজার কোটি কালো টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্র’, দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    Ashwini Vaishnaw: ‘১ লাখ ২৫ হাজার কোটি কালো টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্র’, দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার এ পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি কালো টাকা (Black Money) উদ্ধার করেছে। সোমবার এমনই দাবি করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। এদিন এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। এর পরেই তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ কোটি কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে। ক্রোক করা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি মূল্যের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি। অশ্বিনী বৈষ্ণবের দাবি, মোদি সরকারের নেতৃত্বে কল্যাণমূলক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্য টাকার পুরোটাই পাচ্ছেন দেশের দরিদ্র মানুষরা। ডিজিটাল অর্থনীতির সাহায্যে বিভিন্ন স্তরে রোধ করা গিয়েছে দুর্নীতি। কংগ্রেস জমানার কয়লা, স্পেকট্রামের মতো দুর্নীতির পথও বন্ধ হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

    রাজীব গান্ধীর প্রসঙ্গও…

    এদিন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর প্রসঙ্গও টানেন এই বিজেপি নেতা। নাম না করে নিশানা করেন কংগ্রেসকে। বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী বলেছিলেন, দরিদ্রদের কল্যাণের জন্য বরাদ্দ এক টাকার মধ্যে মাত্র ১৫ পয়সা তাঁদের কাছে পৌঁছায়। অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, আর এখন প্রকল্পের একশো শতাংশ অর্থ সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন। এর ফলে আমজনতার সঞ্চয় বাড়ছে।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী বলেছিলেন ৮৫ শতাংশ সরকারি প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছায় না। কিন্তু বর্তমানে ২৬ লাখ কোটি টাকা সরাসরি আমজনতার অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে। সঞ্চয় হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২৫ কোটি টাকা। জনধন অ্যাকাউন্টের মতো প্রকল্পে আমজনতার সুবিধার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: প্রতি মাসে ১৫ থেকে ১৬ লাখ চাকরির আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। প্রধানমন্ত্রী দেশে সুশাসন মডেল চালু করেছেন বলে দাবি তাঁর। অশ্বিনী (Ashwini Vaishnaw) বলেন, শর্টকাট রাজনীতির দিকে না গিয়ে সুশাসনের পথে দেশকে নিয়ে যেতে হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গী নিয়েই চলছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশকে সুশাসনের লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম পথ হল ডিজিটাল লেনদেন। তাঁর দাবি, ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত স্পেকট্রাম নিলামে পুরানো দুর্নীতির মুখে কেন্দ্র লাভ করেছে ৪.৫ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Delhi Liquor Scam: দিল্লি মদ কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের জেরার মুখে কেসিআর কন্যা কে কবিতা

    Delhi Liquor Scam: দিল্লি মদ কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের জেরার মুখে কেসিআর কন্যা কে কবিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি মদ কেলেঙ্কারি মামলায় (Delhi Liquor Scam) সিবিআই জেরার মুখে পড়ে তেলঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-এর কন্যা কে কবিতা। গতকাল, রবিবার বেলা ১১ টা নাগাদ হায়দ্রাবাদে কবিতার বানজারা হিলসের বাসভবনে সিবিআই গিয়ে পৌঁছয় ও টানা ৭ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। গতকালের জেরা পর্ব ঘিরে বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কেসিআর কন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি দিল্লি মদ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত রয়েছেন ও এই মামলায় কবিতা প্রায় ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে আম আদমি পার্টি-কে। সূত্রের খবর, গতকাল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।

    সিবিআই জেরার মুখে কে কবিতা…

    দিল্লি মদ কেলেঙ্কারিতে (Delhi Liquor Scam) কবিতার নাম উঠে এসেছে গত ৩০ নভেম্বর। এরপরেই ১১ ডিসেম্বর তাঁকে জেরা করা হবে বলে নোটিশ পাঠিয়েছিল সিবিআই। আর এর উত্তরে কবিতাও জানিয়েছিলেন যে, ১১ ডিসেম্বর তিনি তাঁর বাড়িতে থাকবেন ও দিল্লি আবগারি মামলার তদন্তে সহযোগিতা করবেন। অবশেষে গতকাল, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর বাসভবনে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, কবিতাকে কিছু তথ্যের পাশাপাশি তাঁর মোবাইল ফোনও জমা দিতে বলেছে সিবিআই। টিআরএস সূত্রের খবর, টিআরএস শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, অযথা বাসভবনের বাইরে ভিড় না করার জন্য। দলের তরফেও সিবিআইকে এই মামলায় সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় উঠে এল কেসিআরের মেয়ে কে কবিতার নাম

    অন্যদিকে এই মামলায় (Delhi Liquor Scam) কবিতার বিরুদ্ধে ইডিও তদন্ত করছে। তাই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কবিতা তাঁর মোবাইল ফোন একাধিক বার পরিবর্তন করেছেন। অন্যদিকে, জেরার একদিন আগেই শনিবার তাঁর বাড়ির চারপাশে কবিতার সমর্থনে পোস্টার ছেয়ে যায়। তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি বা টিআরএস-এর কর্মী-সমর্থকরা তাঁর ছবি নিয়ে স্লোগান দিয়ে মিছিল করে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, “এক যোদ্ধার মেয়ে কখনও ভয় পাবে না। আমরা কবিতার সঙ্গে রয়েছি।”

    মামলাটি কী?

    দিল্লির আবগারি দুর্নীতির মামলায় ইডি দিল্লি আদালতে রিপোর্ট পেশ করে। সেখানে কে কবিতার নাম উঠে আসে। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হলেন অমিত অরোরা। ফলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও তাঁর বক্তব্যের ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি দাবি করেছে যে, কেসিআরের মেয়ে কে কবিতা “সাউথ গ্রুপ” এর একজন বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন ও তিনি অন্য এক ধৃত ব্যবসায়ী বিজয় নায়ারের মাধ্যমে দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতাদের অন্তত ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত কবিতা সহ মদ কেলেঙ্কারিতে সাত অভিযুক্তের নাম উঠে এসেছে। এর মধ্যে দিল্লির ডেপুটি সিএম মণীশ সিসোদিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী, বিজয় নায়ার এবং হায়দ্রাবাদের ব্যবসায়ী অভিষেক বোয়নাপল্লির নাম রয়েছে।

LinkedIn
Share