Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Congress President Election: প্রদেশ সভাপতিদের বাছবেন সনিয়া! দল কি গান্ধী-পরিবারের প্রভাবমুক্ত হবে? গুঞ্জন কংগ্রেসেই

    Congress President Election: প্রদেশ সভাপতিদের বাছবেন সনিয়া! দল কি গান্ধী-পরিবারের প্রভাবমুক্ত হবে? গুঞ্জন কংগ্রেসেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলিকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে,তাঁরা যেন অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মনোনীত করতে অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রস্তাব পাশ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের দলের অভ্যন্তরে বিরোধ দেখা দিয়েছে। কংগ্রেসের অন্দরে গুঞ্জন, দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের রাশ নিজেদের হাতে রাখতেই গান্ধী পরিবারের এই উদ্যোগ।

    আরও পড়ুন: হিন্দি ভাষা কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং বন্ধু, বললেন অমিত শাহ

    দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের আগেই প্রতিটি রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে নেতা নির্বাচন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও রাজ্যেই তা হয়নি। তাই তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অনেকে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। শুক্রবার দেশে ফিরছেন কংগ্রেসের (Congress) কার্যনির্বাহী সভাপতি সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। চিকিৎসার জন্য গত দিন পনেরো বিদেশে রয়েছেন তিনি। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দেশে ফিরেই দলের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন তিনি। এরই আগে দলের ভিতরে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধছে। মনে করা হচ্ছে, দাবার বোর্ডে সৈন্য সাজতে চাইছেন সনিয়া।

    আরও পড়ুন : হিন্দি ভাষার উপন্যাস জিতে নিল আন্তর্জাতিক বুকার! ইতিহাস সৃষ্টি করলেন গীতাঞ্জলি শ্রী

    তবে, কংগ্রেসে গান্ধী পরিবারের অনুগামীদের যুক্তি,  সহমতের ভিত্তিতে নতুন সভাপতি বাছাই করতে চাইছেন সনিয়া। এক শীর্ষ নেতার কথায়, গান্ধী পরিবারের কেউ সভাপতির দৌড়ে নেই এটা এখন স্পষ্ট। সনিয়া, রাহুলরা ওই পদে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে চান। তবে দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী বলে পরিচিত জি-২৩-এর নেতাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে চান সনিয়া। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন তিরুবনন্তপূরমের সাংসদ শশী তারুর। অন্যদিকে, পাঞ্জাবের নেতা মনীশ তিওয়ারিও প্রার্থী হতে পারেন। ২৪ তারিখ থেকে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা করা শুরু হবে। চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Supreme Court: অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ সংবিধানের সাম্যের অধিকার খর্ব করে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট  

    Supreme Court: অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ সংবিধানের সাম্যের অধিকার খর্ব করে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির (Economically Weaker Section ) জন্য সংরক্ষণ (Quota) সংবিধানের সাম্যের (Equality) অধিকার খর্ব করে। এই সাম্যের অধিকার সংবিধানের হৃদয় স্বরূপ। চাকরিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ রয়েছে। সেই মামলা সম্পর্কে রায় দিতে গিয়ে মঙ্গলবার এই মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। একে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার রায় দিতে গিয়েই দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়ে এটা সংবিধানের হৃদয়কে নষ্ট করে দেয়।

    এদিন আদালতে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। এই পাঁচ বিচারপতি হলেন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, এসআর ভাট, বেলা ত্রিবেদী এবং জেবি পার্দিওয়ালা। এই বেঞ্চেই শুনানির জন্য জমা পড়েছিল ৩৯টি আবেদন। এর মধ্যে আবেদন করছিলেন জনৈক জনহিত অভিয়ানও। সংবিধানের ১০৩ নম্বর সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। সংবিধানের এই সংশোধনীতেই সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। আগে এই মামলার শুনানি হচ্ছিল তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি বিআর গাভাই। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট মামলাটি পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। এদিন সেখানেই হয় শুনানি।

    আরও পড়ুন : পথ-কুকুর কাউকে কামড়ালে চিকিৎসার দায়িত্ব তাঁদের যাঁরা খেতে দেন, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে অধ্যাপক মোহন গোপাল সংবিধানের সংশোধনীকে আক্রমণ করে বলেন, সংরক্ষণের এই ব্যবস্থা সংবিধানের প্রতি প্রতারণা। তিনি বলেন, সংরক্ষণ পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধিত্বের জন্য একটা হাতিয়ার মাত্র। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করছেন সমাজের অগ্রসর শ্রেণিও। এর পরেই সওয়াল করতে ওঠেন প্রবীণ আইনজীবী মিনাক্ষী অরোরা। তিনিও বলেন, এটা সমাজের একটি বিশেষ অংশকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। এবং এভাবে সাম্যের অধিকারকে খর্ব করে। প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় পারিখও বলেন, সংবিধানের এই সংশোধনী সাম্যের অধিকারকে খর্ব করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sonali Phogat: বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাটের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে সিবিআই, নির্দেশ স্বরাষ্টমন্ত্রকের

    Sonali Phogat: বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাটের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে সিবিআই, নির্দেশ স্বরাষ্টমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি তারকা নেত্রী সোনালি ফোগাটের (Sonali Phogat) রহস্যময় মৃত্যুর তদন্ত করবে সিবিআই (CBI)। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সেই নির্দেশের কথা জানানো হয়েছে। ২৩ অগাস্ট গোয়ায় মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক নয় জানিয়ে খুনের অভিযোগ তুলেছিল তাঁর পরিবার। সোনালি মামলার তদন্ত চালাচ্ছিল গোয়া পুলিশ। তবে গোয়া পুলিশে অনাস্থা প্রকাশ করেছিল তাঁর পরিবার। বারবার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিল তাঁরা। এরপরেই সিবিআই তদন্তের দাবি মেনে নিয়েই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। এর পরেই সোনালি খুনের তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

    সোনালির মৃত্যুর প্রসঙ্গে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি গোয়া পুলিশের তদন্তের ওপর ভরসা করেন। কিন্তু হরিয়ানার মানুষ, সোনালির পরিবার বিশেষত, সোনালির মেয়ের ক্রমাগত দাবির ফলে তাঁরা এই ঘটনার তদন্ত ভার সিবিআইকে দিচ্ছে। এই ব্যাপারে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। ফলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও সিবিআই তদন্তে সম্মতি দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাট খুনে নয়া মোড়, এ কী বললেন তাঁর সহকারী?

    জানা গিয়েছে, গত রবিবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের সঙ্গে দেখা করে সোনালির পরিবার। গোয়া পুলিশের (Goa Police) তদন্তে উপর অনাস্থা প্রকাশ করে তাঁরা। পরিবারের সেই দাবি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পাঠিয়ে দেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এরপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে খুশী সোনালির পরিবার।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৩ অগস্ট গোয়ায় হয় সোনালি ফোগাটের। হাসপাতাল থেকে প্রথমে জানা হয়েছিল যে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ। কিন্তু সোনালির পরিবার এই ঘটনাকে খুন বলে দাবি করে। এরপরেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে এই মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধে। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় সোনালির দুই সহকারী-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। দুই ব্যক্তিগত সহকারী সুধীর সাঙ্গোয়ান এবং সুখবিন্দ্র ওয়াসির সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। এবারে সিবিআই তদন্তে আসল দোষী ধরা পড়বে বলে আশা করেছে সোনালির পরিবার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Jharkhand: ঝাড়খণ্ডে বাড়ছে ‘লাভ জিহাদ’! রামগড়ে ভাইকে হত্যা বোনের, রাঁচিতে স্কুলে হিন্দু ছাত্রীদের ‘হুমকি’

    Jharkhand: ঝাড়খণ্ডে বাড়ছে ‘লাভ জিহাদ’! রামগড়ে ভাইকে হত্যা বোনের, রাঁচিতে স্কুলে হিন্দু ছাত্রীদের ‘হুমকি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে লাভ জিহাদের (Love Jihad) ঘটনা। সোমবারই চঞ্চলা কুমারী নামে এক তরুণীকে তার ভাইকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ চঞ্চলার সঙ্গে সোনু আনসারি, নামে এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক চঞ্চলার ভাই রোহিত কুমার মেনে নেয়নি। এর ফলেই রোহিতকে খুন করে চঞ্চলা ও সোনু। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলায়। পাত্রাতু তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার করা হয় রোহিতের দেহ। এরপরই সোমবার চঞ্চলা ও সোনুকে গ্রেফতার করে ঝাড়খণ্ড পুলিশ।

    পুলিশ জানিয়েছে যে কুমার অন্য সম্প্রদায়ের যুবকের সঙ্গে তাঁর বোনের সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার পুলিশ কুমারের বিকৃত দেহটি উদ্ধার করে। চঞ্চলা এই অপরাধে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, চঞ্চলা ও রোহিতের বাবা নরেশ মাহাতোর পাত্রাতু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রাঁচির ব্যবসায়ী নরেশ এফআইআরে জানিয়েছেন, চঞ্চলার সঙ্গে দেখা করতে রোহিত রাঁচি থেকে রামগড়ে যায়। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

     অন্যদিকে, রাঁচিরই একটি স্কুলে ঢুকে হিন্দু মেয়েদের বাধ্য করা হল মুসলিম যুবকদের বন্ধুত্ব মেনে নিতে। অভিযোগ, একদল মুসলিম যুবক ওই সরকারি স্কুলে ঢুকে ছুড়ি দেখিয়ে হিন্দু ছাত্রীদের ভয় দেখায়। হুমকি দেওয়া হয়, বন্ধুত্ব স্বীকার না করলে মেয়েদের অপহরণ করা হবে। কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ওই মেয়েদের পাশে দাঁড়ালে তাঁদেরকেও মারধর করা হয়। অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই নবম শ্রেণির কয়েকজন হিন্দু ছাত্রীকে বিরক্ত করছে একদল মুসলিম যুবক।

    এক সিনিয়র পুলিশ অফিসারের কথায়, ঘটনাটিকে অযথা সাম্প্রদায়িকতার রঙ দেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের এবং স্কুলের ম্যানেজমেন্টের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই একটি এফআইআর দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপি এই ঘটনায় হেমন্ত সোরেন সরকারকে দায়ী করেছে। বিজেপির দাবি করেছে যে রাজ্যে লাভ জিহাদ এবং গুন্ডামি নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে, কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না।

  • Raja Hari Singh: রাজা হরি সিংয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি জন্মু-কাশ্মীরে

    Raja Hari Singh: রাজা হরি সিংয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি জন্মু-কাশ্মীরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোগরা সাম্রাজ্যের (Dogra dynasty) শেষ রাজা হরি সিংয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করল কেন্দ্র। ২৩ সেপ্টেম্বর ছুটি জন্মু-কাশ্মীরে। কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে দীর্ঘ প্রায় ৭৫ বছর পর রাজা হরি সিংয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা হল। প্রসঙ্গত, গত এক বছর ধরে ডোগরা জনগোষ্ঠী হরি সিংয়ের জন্মদিনে সরকারি ছুটির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল।

    আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ভারতীয় দূতাবাসের

    জন্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) লেফটেন্যান্ট গর্ভনর মনোজ সিনহা জানান, কাশ্মীরের রাজার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারের এই ঘোষণায় খুশি উপত্যকাবাসী। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে কাশ্মীর থেকে রদ হয় ৩৭০ ধারা। রাজ্যকে পরিণত করা হয় দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। জন্মু-কাশ্মীরের শেষ রাজা হরি সিং ভারতের অন্যান্য দেশীয় রাজ্যের মতো কাশ্মীরকেও ভারতের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করেন।

    আরও পড়ুন: কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে আসছে ‘প্রধানমন্ত্রী প্রণাম’ প্রকল্প

    ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতা লাভ করলে কাশ্মীরকে পাকিস্তান বা ভারত কোনওটির সঙ্গে যুক্ত না করে স্বতন্ত্র দেশীয় রাজ্য হিসেবে রাখতে চেয়েছিলেন হরি সিং। কিন্তু, পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী মুসলিম অধ্যুষিত এই রাজ্যটিকে দখল করতে এগিয়ে এলে হরি সিং ভারতের শরণাপন্ন হন। ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয় কাশ্মীর।

    কিন্তু কাশ্মীরের স্বতন্ত্রতা ও বৈচিত্র্যতা নিয়ে রাজা উদ্বিগ্ন থাকায় ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরেও ভারত সরকার হরি সিংহের পূর্বসূরি রণবীর সিংয়ের সম্মানে ‘রণবীর পেনাল কোড’ (Ranbir Penal Code) নামে একটি আইন প্রনয়ণ করে। এছাড়াও রাজ্যের নিজস্ব শাসন আইনে (State Subject law) অ-কাশ্মীরিরা কেউ জমি কিনতে পারতেন না। ৫ অগাস্ট ২০১৯ সালে সংসদে ৩৭০ ও ৩৫এ বাতিল করা হলে কাশ্মীর এই বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Cheetah in India: চিতাদের পাহারায় একজোড়া হাতি! কী খাচ্ছে আগত অতিথিরা, জানেন?

    Cheetah in India: চিতাদের পাহারায় একজোড়া হাতি! কী খাচ্ছে আগত অতিথিরা, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে আনা হয়েছে আটটি চিতা (Cheetah)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জন্মদিনে এই চিতাগুলো ভারতের মাটিতে পা রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে চিতাগুলোকে খাঁচামুক্ত করেছে তাঁর জন্মদিনে। ভারতে আসার মাত্র কয়েকদিন হলেও ভালোই খোশমেজাজে রয়েছে চিতাগুলো, বলে জানা যায়। এবার এই চিতাগুলোকেই পাহারা দেওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ২টি হাতিকে। একজনের নাম লক্ষ্মী আর একজনের নাম সিদ্ধনাথ।

    সূত্রে খবর অনুযায়ী, নর্মদাপুরমের সাতপুরা টাইগার রিজার্ভ থেকে তাদের কুনো জাতীয় উদ্যানে নিয়ে আসা হয়েছিল গত মাসেই। চিতাগুলিকে পাহারা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে লক্ষ্মী, সিদ্ধনাথকে। জঙ্গলে যে জায়গায় চিতাগুলোকে রাখার জন্য যে বিশেষ জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেই জায়গার পাশেই এই হাতি দুটি কড়া নজর রাখছে। সিদ্ধনাথ এবং লক্ষ্মী বন কর্মীদের সঙ্গে ক্রমাগত টহল দিচ্ছে, যাতে অন্য কোনও বন্যপ্রাণী চিতাগুলোর আশেপাশে না আসে।

    আরও পড়ুন: ভারতে চিতার বংশবৃদ্ধিতে ভূমিকা নেবে ‘আশা’, বাকিদের নাম কী রাখা হল জানেন?

    উল্লেখ্য, কুনোতে নতুন চিতাদের জন্য যে বিশেষ জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছিল, সেখানে কিছু দিন আগে পাঁচটি চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছিল। তখন তাদের সেখান থেকে তাড়ানোর কাজেও সহযোগিতা করেছিল এই দুই হাতি। কুনো ন্যাশনাল পার্কের ডিএফও প্রকাশ কুমার ভার্মা জানিয়েছেন, সিদ্ধনাথের বয়স ৩০ বছর। বিভিন্ন এলাকায় বাঘ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়ে থাকে সে। তবে মাঝেমধ্যে সিদ্ধনাথের মেজাজ বিগড়ে যায় বলেও জানিয়েছেন আধিকারিকরা। ২০১০ সালে তার আক্রমণে দু’জন মাহুতের মৃত্যু হয়েছিল। অন্য দিকে ২৫ বছরের লক্ষ্মী স্বভাবে শান্ত প্রকৃতির কিন্তু তার কাজে দক্ষ।

    এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বর্তমানে আইসোলেশনে রেখেছে চিতাগুলোকে। সেখানেই পৌঁছে যাচ্ছে তাদের খাবার। জানা গিয়েছে, তাদের নামিবিয়া থেকে আনার সময় এক বিশেষ উদ্দেশে খালি পেটে আনা হয়েছিল। আর তাদের এখন মহিষের মাংস খেতে দেওয়া হচ্ছে। এও জানা গিয়েছে যে, আইসোলেশনে থাকাকালীন আগামী এক মাস তাদের মহিষের মাংসই খেতে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে চিতাগুলোকে শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ তাদের প্রত্যেককে তিন কেজি করে মাংস খেতে দেওয়া হয়েছিল। 

  • Rear Seat Belt Alarm: সাইরাস-কাণ্ডের জের! বাধ্যতামূলক হতে চলেছে গাড়ির পিছনের সিটবেল্ট অ্যালার্মও?

    Rear Seat Belt Alarm: সাইরাস-কাণ্ডের জের! বাধ্যতামূলক হতে চলেছে গাড়ির পিছনের সিটবেল্ট অ্যালার্মও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাড়িতে সিট বেল্ট (Seat Belt) পরা নিয়ে আরও কড়াকড়ি করতে চলেছে কেন্দ্র। আগে শুধুমাত্র চালক এবং তাঁর পাশের সিটের যাত্রীর সিট বেল্ট পরা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এখন থেকে গাড়িতে বসা পিছনের যাত্রীকেও সিট বেল্ট পরতে হবে। তাই এর জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক থেকে একটি খসড়া প্রস্তাব জারি করা হল, যেখানে বলা আছে, গাড়ির পেছনের সিটবেল্টের জন্য অ্যালার্ম সিস্টেম ইনস্টল করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে হবে। এই খসড়া প্রস্তাবের বিষয়ে সাধারণ জনগণ নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। জনগণের মতামত জানানোর শেষ তারিখ ৫ অক্টোবর। এ কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)।

    টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যুর পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র সরকার। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছিল, সাইরাস মিস্ত্রি গাড়ির পিছনের সিটে ছিলেন। কিন্তু সিটবেল্ট পরে ছিলেন না তিনি। সিটবেল্ট না পরার কারণেই তিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন ও তাঁর মৃত্যু হয়। আর তারপরেই গাড়ির পিছনের সিটে সিটবেল্ট পরার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরপরেই নিতিন গড়করি ও কেন্দ্র সরকারের তরফে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অ্যামাজনকে সিট বেল্ট অ্যালার্ম বন্ধ করার ক্লিপ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

    অন্যদিকে এই মাসের শুরুতেই, ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে গাড়ির সিট বেল্ট অ্যালার্ম (Seat Belt Alarm) অচল করার ডিভাইস বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমানো। তিনি আরও জানিয়েছেন, এবছরই সমস্ত গাড়িতে বাধ্যতামূলক ছয়টি এয়ারব্যাগের জন্য খসড়া তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    এতদিন পর্যন্ত সবাই জানতেন যে, শুধুমাত্র গাড়িতে সামনে বসা চালক এবং তাঁর পাশের সিটের যাত্রীর জন্যই সিটবেল্ট বাধ্যতামূলক ছিল ও নিয়ম না মানলে জরিমানাও দিতে হত। কিন্তু কেন্দ্রীয় মোটরযান আইনের ১৩৮(৩) ধারা অনুযায়ী পিছনের সিটে বসা যাত্রী সিট বেল্ট না পরলে তাঁকেও জরিমানা করার নিয়ম রয়েছে। এই আইনেই বলা হয়েছে, “চালক, চালকের পাশের সিটে বসা যাত্রীকে অবশ্যই সিট বেল্ট পরতে হবে। নয়তো ১ হাজার টাকা অবধি জরিমানা করা হতে পারে।” কিন্তু আইনটি থাকলেও, এই আইনের কথা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে জানলেও তা মেনে চলেন না। এমনকি ট্রাফিক পুলিশরাও এই নিয়ম মানেন না ও যাত্রীদের থেকে জরিমানাও নেন না।

    উল্লেখ্য, একটি রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ভারতে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রতি চার মিনিটে একজনের মৃত্যু হয়। সড়ক মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে সিট বেল্ট না পরার কারণে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫ হাজার ১৪৬ জনের। আহত হন ৩৯ হাজার ১০২ জন।

  • UP Madrasas Survey: মাদ্রাসাগুলির উচিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা, মত দারুল উলুমের

    UP Madrasas Survey: মাদ্রাসাগুলির উচিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা, মত দারুল উলুমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুমোদনহীন মাদ্রাসারগুলির (Madrasa) উপর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে সমীক্ষা শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার (Uttar Pradesh)। সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়ও বেধে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট জমা দিতে হবে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে। এ নিয়ে মুসলিম মহলে যথেষ্ট ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এবার উল্টো সুরে কথা বলল উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দের দারুল উলুম। দেওবন্দের দারুল উলুমের (Darul Uloom Deoband) অধ্যক্ষ মৌলানা আরশাদ মাদানি (Maulana Arshad Madani) এই সমীক্ষায় কোনও অন্যায় দেখছেন  না। বিভিন্ন মাদ্রাসার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ৫০০ জন ব্যক্তি রবিবার দারুল উলুমের কনভেনশনে অংশ নেন। সেখানে এই সমীক্ষার বিষয়টিও উত্থাপিত হয়। সেই আলোচনার পর মৌলানা আরশাদ মাদানি বলেন, “মাদ্রাসাগুলির উপর সমীক্ষা করার অধিকার সরকারের রয়েছে। তাই তাদের সমীক্ষাটি শান্তিতে করতে দিন। আমি এর মধ্যে কোনও ভুল দেখছি না।” অবশ্য মৌলানা আরশাদ মাাদানি দাবি করেন, মাদ্রাসাগুলোতে কোনও ধরনের অবৈধ কাজ করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, “জমি দখল করে যদি কোনও মাদ্রাসা অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়ে থাকে, তাহলে সরকার যদি তা ভেঙে দেয় তাহলে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না। আমাদের কিছু বলার নেই।”     

    আরও পড়ুন: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম   

    তিনি আরও বলেন, “মাদ্রাসাগুলো সম্পর্কে সরকারকে তথ্য দিতে মুসলিম সমাজের কোনও সমস্যা নেই। সরকার জাতীয় স্বার্থে সব কিছু করতে পারে। কিন্তু মুসলমানদের নিশানা করা করা উচিত নয়। যদিও দেশজুড়ে সর্বত্র এমন একটি বার্তা পাঠানো হচ্ছে যাতে মনে হচ্ছে যে আমরা মাদ্রাসার উপর সমীক্ষার বিরোধিতা করছি।” মৌলানা মাদানি বলেন, “মাদ্রাসাগুলো হাজার হাজার বছর ধরে জ্ঞানার্জন ও ভালোবাসা কেন্দ্র। আমাদের ধর্মীয় চাহিদা পূরণের জন্য মাদ্রাসাগুলো আছে। লক্ষ লক্ষ মসজিদের জন্য ইমামদের প্রয়োজন। তারা এসব মাদ্রাসা থেকে এসেছেন। মাদ্রাসাগুলিকে বলেছি, সরকারের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মাদ্রাসার জমি বৈধ হওয়া উচিত। মাদ্রাসা যাঁরা পরিচালনা করেন, তাঁদের বলা হয়েছে, মাদ্রাসাগুলিতে যেন স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।” উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে মোট ১৬,৪৬১টি মাদ্রাসা রয়েছে, যার মধ্যে ৫৬০টিকে সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত।         

    আরও পড়ুন: ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যোগীর 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Chandigarh University MMS Row: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এমএমএস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই, ৬ দিনের জন্য বন্ধ ক্যাম্পাস

    Chandigarh University MMS Row: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এমএমএস কাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই, ৬ দিনের জন্য বন্ধ ক্যাম্পাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইরাল চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ জন ছাত্রীর স্নানের দৃশ্য (Chandigarh University MMS Row)। আর তারপর থেকেই বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এই ঘটনায় উত্তপ্ত পাঞ্জাব (Punjab) সহ গোটা দেশ। ফলে ক্যাম্পাসে অশান্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত ক্লাস ও পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ও ভিডিও-কাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে মেয়েদের হস্টেলের ওয়ার্ডেন রাজবিন্দর কৌরকে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।

    স্নানের সময় তোলা ছাত্রীদের ভিডিও ফাঁস হয়ে গিয়েছে দাবি করে শনিবার মধ্যরাত থেকেই বিক্ষোভ চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। আর এরই মধ্যে এই ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগে সিমলা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব পুলিশের (Punjab Police) হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আরও একজন ৩১ বছর বয়সি যুবককে পুলিশ আটক করেছে। ফলে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত ছাত্রী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ছাত্রীদের স্নানের দৃশ্য ভাইরাল, মধ্যরাতে উত্তাল চণ্ডীগড়

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নাম সানি মেহেতা। সে সিমলার রহুর মহকুমার বাসিন্দা। এর পাশাপাশি এই ঘটনায় রঙ্কজ বর্মা নামে এক ব্যক্তিকেও আটক করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর সামনে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি ভিডিওই পাওয়া গিয়েছে ও ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োটি অভিযুক্ত ছাত্রীর, যার বিরুদ্ধে বাকি পড়ুয়াদের স্নানের ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। অন্য কোনও ভিডিও এখনও মেলেনি বলেই দাবি পুলিশের।

    চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ (Chandigarh University Protest) অব্যাহত থাকায়, রবিবার গভীর রাতে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) জিএস ভূল্লার। তিনি বলেন, “আইনি প্রক্রিয়ার উপর ভরসা রাখা একান্ত প্রয়োজন। আইনি প্রক্রিয়া মেনেই তদন্ত চলছে।“ রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলতে থাকে, ফলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের শান্ত করার চেষ্টা করে। বেশিরভাগ বিক্ষোভকারী কালো পোশাক পরে পুলিশের উপস্থিতিতে “উই ওয়ান্ট জাস্টিস” (We Want Justice) স্লোগান দেয়। এসময় তারা পুলিশের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেয়। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নয়, পুলিশের উপরও ক্ষোভ উগরে দিয়েছে পড়ুয়ারা।

    অন্যদিকে দাবি করা হয় যে, পড়ুয়াদের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে ছাত্রীরা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পুলিশ এই অভিযোগ কে মেনে নেয়নি। পাশপাশি পুলিশের রিপোর্টে এও বলা হয়েছে এই ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। যদিও, পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, অন্তত ৮ জন ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। একজন মারা গিয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকি ৭ জন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা সঙ্কটজনক। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Chandigarh University) প্রো-চ্যান্সেলর আরএস বাওয়া বলেন, ”৬০ জন ছাত্রীর এমএমএস বানানোর বিষয়টি ভিত্তিহীন। এমনকী আট জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে এই ব্যাপারটিও গুজব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Assam Jihadi Link: ১১৪টি জেহাদি-যোগ, দেড় হাজার যুবক জঙ্গি সংগঠনে! উদ্বিগ্ন অসমের মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    Assam Jihadi Link: ১১৪টি জেহাদি-যোগ, দেড় হাজার যুবক জঙ্গি সংগঠনে! উদ্বিগ্ন অসমের মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন অসমে ছুকছে জঙ্গিরা। অসম, উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গিদের আখড়া হয়ে উঠেছে। গত ১০ বছরে অসমে ১১৪টি জেহাদি-যোগ চিহ্নিত করা গিয়েছে। বিভিন্ন ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্তরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চলতি বছরে এখনও অবধি ৪০ জনকে জঙ্গি-যোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। শরৎ অধিবেশনের প্রথম দিনে এই কথা জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে হিমন্ত বলেন, গ্রেফতার হওয়া অনেকেই মাদ্রাসার ইমাম ও শিক্ষক। 

    মুখ্যমন্ত্রী যে খুব একটা ভুল বলেনি, তা বোঝা গেল সোমবারও। এদিনও রাজ্যে আরও দুই সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ইমামও রয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’ তথা ‘আনসার বাংলা’র সঙ্গে যোগ রয়েছে এই দুই সন্ত্রাসবাদীর। সোমবার অসমের মরিগাঁও জেলার মইরাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুসাদিক হোসেনকে এবং নগাঁও জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইমাম ইকরামুল ইসলামকে। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবারও সারাদিন বৃষ্টি চলবে, নেমেছে তাপমাত্রার পারদ, বুধে বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস

    রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরপর জঙ্গিদের গ্রেফতারিতে উদ্বিগ্ন প্রতিরক্ষা মহল। প্রশ্ন উঠছে, উত্তর-পূর্ব ভারতে কতটা শিকড় ছড়িয়েছে জেহাদি সংগঠন ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’টি? উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মইরাবাড়ি এলাকায় একটি মাদ্রাসা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন। ওই মাদ্রাসাটির সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দার (Al-Qaeda) যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। আল কায়দা যোগের অভিযোগে ক’দিন আগে পাঁচ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। রাজ্যে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনে দেড় হাজার যুবক নাম লিখিয়েছে। তবে, সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি যুবককে জঙ্গি সংগঠন থেকে জীবনের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা গিয়েছে। হিমন্তের কথায়, ২০১৬ সাল থেকে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ১৫৬১ জন যুবক বিভিন্ন জঙ্গি দলে যোগ দিয়েছে। অন্যদিকে সরকারের সাফল্য হিসেবে তিনি বলেছেন, ৭হাজার ৯৩৫ জন যুবককে সন্ত্রাসের পথ থেকে জীবনের মূল স্রোতে ফেরানো গিয়েছে। অসম বিধানসভায় বিরোধী নেতা দেবব্রত সাইকিয়া শর্মার প্রশ্নের উত্তরে লিখিত বিবৃতি দিয়ে এই তথ্য জানান হিমন্ত। 

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মামলায় পূজার্চনার আবেদনের শুনানি চলবে, জানিয়ে দিল আদালত

    মাদ্রাসা ভাঙা নিয়ে অনেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁকে মুসলিম-বিরোধীও আখ্যআ দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে হিমন্ত বলেন, “ তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধি। BJP চায় ভারতকে নতুন করে নির্মাণ করতে। হিন্দু আমাদের ডিএনএ। কিন্তু মুসলমানদের বাদ দিয়ে ভারত নয়। আমরা মুসলিম বিরোধী নই। আমরা চাইছি মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নতি করতে।” তিনি জানান, রাজ্যে যে সমস্ত মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা হয়েছে সেগুলির সঙ্গে যুক্ত আছে আল কায়দা এবং বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share