Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Prophet Row: হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, গ্রেফতার তেলঙ্গানার বিধায়ক

    Prophet Row: হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, গ্রেফতার তেলঙ্গানার বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের (Prophet Row) জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিজেপির (BJP) মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma)। সেই বিতর্কের আঁচ পুরোপুরি নেভানোর আগেই ফের হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে তেলঙ্গানার বিধায়ক বিজেপির টি রাজা সিং (T Raja Singh)। মঙ্গলবার সকালে তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজাকে। এর আগেই অবশ্য রাজাকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। তাঁকে কেন দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে পাঠানো হয়েছে শোকজের নোটিশও।  উত্তর দিতে বলা হয়েছে ১০ দিনের মধ্যে।  

    নূপুরের বক্তব্যকে সমর্থন করে সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন গোশামহল কেন্দ্রের দু বারের বিধায়ক রাজা। ভিডিওটি ঘিরে এলাকায় ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় রাজাকে। বিজেপির এই বিধায়কের দাবি, স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকিকে কটাক্ষ করেই ভিডিওটি তৈরি করেছিলেন তিনি। কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। রাজা বলেন, আমি বুঝতে পারছি না, কীসের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। কোনও সম্প্রদায়ের নাম উল্লেখ করে ভিডিও তৈরি করিনি আমি। ভিডিওতে কেবল ফারুকিকে কটাক্ষ করা হয়েছিল। এর পরেই বিধায়কের সাফাই, আমি কারও ভাবাবেগে আঘাত করিনি।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে নূপুর যে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন, তাঁর তৈরি ভিডিওতে তারই পুনরাবৃত্তি করেছেন রাজা। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। বিধায়কের গ্রেফতারির দাবিতে সোচ্চার হয় জনতা। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় রাজাকে। প্রসঙ্গত, রাজার বিরুদ্ধে আগেও অশান্তিতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবারও কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকির শোয়ে জনা পঞ্চাশেক সমর্থককে নিয়ে গিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রাজা। রাজা বলেন, ইউটিউব থেকে তারা (পুলিশ) আমার ভিডিও সরিয়ে দিয়েছে। আমি জানি না পুলিশ ঠিক করতে চলেছে। আমি একবার ছাড়া পেলেই ভিডিওর দ্বিতীয় পার্ট আপলোড করব। আমি এটা করছি ধর্মের জন্য। ধর্মের জন্য আমি মরতেও প্রস্তুত। নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে গোটা দেশ। তাঁর বক্তব্য যে দলের নয়, তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। নূপুরকে সাসপেন্ডও করা হয়। তার পরেও দেশজুড়ে শুরু হয় তাণ্ডব। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির পার্টি অফিসেও। পরে অবশ্য প্রশাসনিক তৎপরতায় প্রশমিত হয় ক্ষোভের আগুন।

    আরও পড়ুন : হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

     

  • Covid-19: “করোনা ভাইরাস ক্লান্ত নয়, আগামী মাসে ফের বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা”, সতর্কবার্তা ‘হু’ প্রধানের

    Covid-19: “করোনা ভাইরাস ক্লান্ত নয়, আগামী মাসে ফের বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা”, সতর্কবার্তা ‘হু’ প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের করোনা (Covid-19) সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করতে চলেছে, এমনটাই জানানো হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organisation) তরফে। বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ নিয়ে একটি সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু (WHO)’। দেশের দৈনিক আক্রান্ত বাড়তে বাড়তে ফের পৌঁছে গিয়েছে ১৫ হাজারের উপরে। যা নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে। গতকালই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২ হাজারের বেশি, আর আজ সেটি ১৫ হাজারের গন্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। 

    হু-এর তরফ জানানো হয়েছে, শীত আসছে। আর আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আবহাওয়ায় বিশাল পরিবর্তন ঘটবে। আর সেই সঙ্গে ফের বাড়বে করোনা ভাইরাসের দাপট। কারণ, আবহাওয়া যত ঠান্ডা হবে, তত মানুষ বেশি করে বাড়ির ভিতরে সময় কাটাবে। আর তাতেই সংক্রমণ বেড়ে যাবে। এর ফলে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে, এমনটাই আশঙ্কা করেছে হু।

    আরও পড়ুন: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০০-এর বেশি, মৃত্যু ১২ জনের

    হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস রিসোর্সেস গেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে ১৫,০০০ মানুষ কোভিড-১৯-এ প্রাণ হারিয়েছেন। মাত্র চার সপ্তাহের মধ্যেই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে ৩৫ শতাংশ। তিনি বলেছেন, “আমরা সপ্তাহে ১৫,০০০ মৃত্যু নিয়ে বাঁচতে পারি না। ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য সরঞ্জামগুলির অসম বন্টন নিয়ে আমরা বেঁচে থাকতে পারব না। যখন আমাদের কাছে সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং জীবন বাঁচানোর সমস্ত সরঞ্জাম আছে, তখন এটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।” তিনি আরও জানিয়েছেন, আজ সবাই সম্পূর্ণরূপে কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। ফলে কেউই অসহায় নয়। টিকা না নেওয়া থাকলে টিকা, বুস্টার ডোজ নেওয়ার কথা বলেছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সমস্ত রকমের কোভিড বিধি মেনে চলতে বলেছেন।

    [tw]


    [/tw]

    তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে গোটা বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্ট (Omicron Variant)। গত মাসে সারা বিশ্ব থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি ক্ষেত্রে বিএ.৫ (BA.5) সাব-ভেরিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। টেস্টিং এবং সিকোয়েন্সিং প্রক্রিয়া সারা বিশ্বেই বেশি পরিমাণে কমে যাওয়ার ফলেই ভাইরাসটি কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই বছরের শুরুতে যে পরিমাণে সিকোয়েন্স প্রক্রিয়া করা হত, বর্তমানে তা ৯০ শতাংশ কমে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, “আমরা সবাই এই ভাইরাস এবং মহামারি নিয়ে ক্লান্ত। তবে ভাইরাসটি আমাদের নিয়ে ক্লান্ত নয়।” তাই করোনার এই বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ফের বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছে হু।

     

  • Loan Apps: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২

    Loan Apps: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋণ (loan) দেওয়ার টোপ দিয়ে ফাঁদে ফেলা হত শিকার। এক বার ফাঁদে পড়লেই কেল্লাফতে। ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে শুরু হত ব্ল্যাকমেইলিং। ঋণ নেওয়া ব্যক্তির ছবি বিকৃত করে পর্ন সাইটে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতানো হত মোটা অঙ্কের টাকা। সেই তথ্য এবং টাকা পাচার হত ড্রাগনের দেশ চিনে। এভাবে ৫০০ কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। একশোটিরও বেশি লোন অ্যাপের (Loan App) মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ থেকে দুষ্কৃতীরা কারবার চালাচ্ছিল বলে জেনেছে পুলিশ। প্রতারণা চক্রের নেপথ্যে কয়েকজন চিনা (China) নাগরিক রয়েছে। চক্রের শেকড় কত গভীরে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    সম্প্রতি একে একে প্রতারণার শ খানেক অভিযোগ পায় দিল্লি পুলিশ। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত। চক্রের পর্দাফাঁস করেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, মূলত লোন অ্যাপের মাধ্যমেই ফাঁসানো হত গ্রাহকদের। এই অ্যাপের মাধ্যমে চড়া সুদে ঋণ মিলত। তবে অনায়াসে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঋণ মিলত। ঋণ দেওয়ার সময় গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। সুদ সমেত আসল ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই তারা ধারণ করত স্বমূর্তি। ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতানো হত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। এভাবেই জালিয়াতি করা হয় ৫০০ কোটি টাকা। হাওয়ালা ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে সেই টাকা পাঠানো হয় চিনে।

    আরও পড়ুন : প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ সহ নানা রাজ্যে জাল বিছিয়েছিল প্রতারকরা। প্রতারকরা মূলত যে লোন অ্যাপগুলি ব্যবহার করত সেগুলি হল ক্যাশ পোর্ট, রুপি ওয়ে, লোন কিউব, ওয়াও রুপি, স্মার্ট ওয়ালেট, জায়ান্ট ওয়ালেট, হাই রুপি, সুইফট রুপি, ওয়ালেটউইন, ফিশক্লাব, ইয়েহক্যাশ, ইম লোন, গ্রোটি, ম্যাজিক ব্যালেন্স, ইয়োক্যাশ, ফরচুন ট্রি, সুপারকয়েন এবং রেড ম্যাজিক। অভিযানে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৫১টি মোবাইল, ২৫টি হার্ড ডিস্ক, ৯টি ল্যাপটপ, ১৯টি ডেবিট কার্ড, ৩টি গাড়ি এবং নগদ ৪ লক্ষ টাকা। এদিন যে বাইশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জেরা করে চিনা চক্রের নাগাল পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন : আন্তর্জাতিক জঙ্গির ঢাল চিন! আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ সাধল বেজিং

     

  • Dolo 650: চিকিৎসকদের হাজার কোটির উপহার ওষুধ সংস্থার ! শীর্ষ আদালতে জানাল মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংস্থা 

    Dolo 650: চিকিৎসকদের হাজার কোটির উপহার ওষুধ সংস্থার ! শীর্ষ আদালতে জানাল মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংস্থা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বর হোক কিংবা ব্যথা আমরা সাধারণত প্যারাসিটামলেই ভরসা রাখি। তবে কোভিড মহামারীর সময়ে যে সব ওষুধগুলি সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল তার মধ্যে ডোলো (Dolo 650) ব্র্যান্ডের প্যারাসিটামল ছিল অন্যতম। তবে এই জনপ্রিয়তা এমনি এমনিই হয়ে যায়নি। এর পিছনে রয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার ‘পিআর স্ট্র্যাটেজি’। ওষুধ সংস্থার তরফ থেকে চিকিৎসকদের দেওয়া হয়েছিল হাজার কোটি টাকার উপহার। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এমনটাই জানিয়েছে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংস্থা।       

    ডোলো ৬৫০ লেখার জন্য চিকিৎসদের বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আগেই উঠেছিল। এবার তারই সমর্থনে তথ্য পেশ করল ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া। সংস্থার তরফে আইনজীবী সঞ্জয় পারিখ বলেছেন ডোলো কোম্পানি তাদের ৬৫০ মিলিগ্রাম ফর্মুলেশন বাজারে চালুর জন্য ১০০০ কোটি টাকারও বেশি সুবিধা চিকিৎসকদের দিয়েছে। এব্যাপারে ওই আইনজীবী সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেসের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেছেন।

    আরও পড়ুন: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?

    বৃহস্পতিবার (১৮ অগস্ট) এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চে। বেঞ্চ এই সমস্যাকে অত্যন্ত ‘গুরুতর বিষয়’ বলে উল্লেখ করে এই বিষয়ে ১০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রের জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। 

    ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া দেশে বিক্রি হওয়া ওষুধের ফর্মুলেশন এবং দাম নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছে। সেখানে ছত্রে ছত্রে উঠে এসেছে উদ্বেগের কথা।

    ডাক্তারদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থআগুলি কীভাবে প্রভাবিত করে, তার উদাহরণ দিতে গিয়ে ‘ফেডারেশন অব মেডিকেল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’ তাদের আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছে ডোলো-৬৫০ (Dolo-650) নামে এক জ্বরের ট্যাবলেটের কথা। আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, ডাক্তাররা যাতে জ্বরের জন্য এই ওষুধটিই লেখেন, তা নিশ্চিত করতে ডোলো-৬৫০’র নির্মাতারা ডাক্তারদের বিনামূল্যে বিভিন্ন উপহার দেওয়ার পিছনে ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে! বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এদিন অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়ার সময় বলেন, “এটা শুনতে একেবারেই ভাল লাগছে না। এমনকি আমার যখন কোভিড হয়েছিল তখন আমাকেও একই ওষুধ খেতে বলা হয়েছিল। এটি অত্যন্ত গুরুতর একটি বিষয়।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে অস্ত্র ফেলল পাকিস্তানের ড্রোন! কিসের ইঙ্গিত উপত্যকায়

    ফেডারেশনের পক্ষে এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী সঞ্জয় পারেখ। তিনি বলেন, “ডোলো সংস্থা ওষুধটির প্রচারের জন্য ডাক্তারদের বিনামূল্যের সুযোগ-সুবিধা দিতে ১০০০ কোটির বেশি বিনিয়োগ করেছে।” তিনি আরও জানান, সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস বা সিবিডিটি, ৯টি রাজ্য জুড়ে থাকা বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক মাইক্রো ল্যাবস লিমিটেডের ৩৬টি প্রাঙ্গনে অভিযান চালিয়ে এই অভিযোগ করেছে। নির্মাতার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজকর্মের অভিযোগ করেছে সিবিডিটি। তাদের দাবি, ডোলো ৩০০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে।

    আবেদনকারী পক্ষ আরও দাবি করেছে, এই ধরনের অনৈতিক কাজের ফলে গ্রাহকরা অত্যাধিক ওষুধ ব্যবহার করার শিকার হন। শুধু তাই নয়, এর ফলে রোগীর স্বাস্থ্যও বিপন্ন হতে পারে। এ ধরনের দুর্নীতি উচ্চমূল্যের বা অযৌক্তিক ওষুধকেও বাজারে ঠেলে দেয়। আবেদনপত্রে আরও বলা হয়েছে, নিয়মের শিথিলতার কারণে, কোভিড মহামারি চলাকালীন ফার্মা সংস্থাগুলি এই ধরনের অনৈতিক কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। শীর্ষ আদালতের কাছে ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটিং অনুশীলনের বিষয়ে একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপনের আবেদন করা হয়েছে। যারা পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা প্রদান করবে এবং এর জন্য ‘ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটিং ইউনিফর্ম কোড’ কার্যকর করা নিশ্চিত করার আবেদন করা হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।  

  • Anupam Kher: ‘লজ্জাজনক ঘটনা’, কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যার নিন্দায় সরব অনুপম খের

    Anupam Kher: ‘লজ্জাজনক ঘটনা’, কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যার নিন্দায় সরব অনুপম খের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যার (Kashmiri Pandit Killing) তীব্র নিন্দা করলেন বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা অনুপম খের (Anupam Kher)। মঙ্গলবার ফের উপত্যকা ভিজেছে কাশ্মীরি পণ্ডিতের রক্তে। দুই কাশ্মীরি পণ্ডিতকে গুলি করে জঙ্গিরা। সেই গুলিতে মৃত্যু হয় এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের। একই পরিবারের সদস্য আর এক পণ্ডিত আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! সেনার উপর গ্রেনেড হামলা

    অনুপম খের এ বিষয়ে বলেন, “ভারতের পক্ষে যারাই সওয়াল করছে তাদেরই খুন করছে জঙ্গিরা। এটা লজ্জাজনক যে কাশ্মীরে পণ্ডিতদের ওপর নৃশংসতার ঘটনা এখনও অব্যহত। নিজেদের লোকেদেরও খুন করছে ওরা। ৩০ বছর ধরে চলে আসছে এই ঘটনা। এই ঘটনার যত নিন্দা করা হবে সেটাই কম। আমাদের মানসিকতা বদলাতে হবে।”

     

    মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের। ওই হামলাতেই জখম তাঁর ভাই। এই নিয়ে কম সময়ের বিরতিতে পর পর দুবার হামলা চালানো হল কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের ওপর। কিছুদিন আগেই ওই একই সম্প্রদায়ের ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা।  

    মঙ্গলবার সকালেই ঘটনাটি ঘটে সোপিয়ানের চিতপোরা এলাকায়। একটি আপেল বাগানে জঙ্গিরা ওই দুই পণ্ডিতের ওপর গুলি চালায়। জঙ্গিদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তাঁদের মধ্যে এক জন। গুরুতরভাবে আহত অন্যজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা, দুই কাশ্মীরি পণ্ডিত ভাইকে গুলি করল জঙ্গিরা, মৃত এক

    জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতের নাম সুনীল কুমার। কাছের ছোটিগাম গ্রামের বাসিন্দা সুনীল এবং তাঁর ভাই পিন্টু। সুনীল কুমারের শরীরের দুটি গুলি লাগে। জঙ্গি হামলায় আহত হন তাঁর ভাই পিন্টুও। হামলার পরেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনী। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

    কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর হামলার দায় শিকার করেছে জঙ্গি সংগঠন কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটারস (KFF)। মূলত এটি লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন। এদের ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে লস্কর জঙ্গিদের সঙ্গে। 

    কিছুদিন আগেই মুক্তি পায় অনুপম খের অভিনীত সিনেমা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)। সিনেমাটিতে ১৯৯০ সালে কীভাবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ভিটে-মাটি ছাড়তে হয় তার ছবি তুলে ধরা হয়েছে। মুক্তি পাওয়ার পর যথেচ্ছ বিতর্কের মুখে পড়তে হয় সিনেমাটিকে। 

     

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Anupam Kher (@anupampkher)

  • Sushil Modi: ’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির  

    Sushil Modi: ’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) সঙ্গ ছেড়ে জেডিইউ (JDU) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) কংগ্রেস (Congress) এবং আরজেডিকে (RJD) নিয়ে গড়েছেন মহাজোট। নীতিশের নেতৃত্বে শপথও নিয়েছে নয়া মন্ত্রিসভা। তার পরেই নীতীশকে তোপ বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদির (Sushil Kumar Modi)। সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, নীতীশের লক্ষ্য প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    অষ্টমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নীতীশ। তার পরেই তাঁকে নিশানা করেন সুশীল মোদি। তিনি বলেন, নীতীশকুমার দীর্ঘদিন ধরে মনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন লালন করছিলেন। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেও সেরকম কোনও সুযোগ মেলেনি তাঁর। কারণ বিজেপিতে উঁচু দরের অনেক নেতা রয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ সহ অন্যরা রয়েছেন। আঠারো বছর ধরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ সামলানোর পরে তিনি চাইছিলেন একটি ঝাঁপ দিতে। তিনি বলেন, নীতীশ কুমারের লক্ষ্য, লালন সিংয়ের লোভ এবং লালু যাদবের ক্ষমতায় ফিরতে বেপরোয়া হওয়া এই তিন কারণের জেরে বিহারের এই পট পরিবর্তন।

    আরও পড়ুন : বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, নীতীশকে উপরাষ্ট্রপতি পদে বসানোর একটা ভাবনা জেডিইউয়ের তরফে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বের কানে। তবে বিজেপি সেটা গ্রহণ করেনি। কিছু বিষয় ছিল। তার পরেও তাঁর লাগাম পরানো যায়নি তাঁর লক্ষ্যে। সুশীল মোদি বলেন, নীতীশের জনপ্রিয়তা প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। ২০১০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ১১৫টি আসন। ২০১৫তে কমে তা দাঁড়ায় ৭১এ। আর ২০২০ সালের নির্বাচনে তাঁর দল পায় মাত্রই ৪৩টি আসন। যেটা বেড়ে এখন ৪৫ হয়েছে। তিনি বলেন, নীতীশ যে ক্রমেই তেজস্বী যাদব শিবিরের দিকে ঝুঁকছেন, তা আমরা জানতাম। কিন্তু আমরা ভাবতে পারিনি তিনি তাঁর পুরানো শত্রু লালুর দলের সঙ্গে হাত মেলাবেন। ১৯৯৪ সালে নিজে দল গড়বেন বলে লালুকে প্রত্যাখান করেছিলেন নীতীশ। সেই থেকে ’১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বিজেপির সঙ্গেই ছিলেন। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস পরিষ্কার। বিহার বিধানসভার পরবর্তী নির্বাচনে আমরা নরেন্দ্র মোদির নামেই ভোট চাইব। তিনি বলেন, বিহার বিধানসভার পরবর্তী নির্বাচনে কী হবে তা বলতে পারব না। তবে ’২৪ সালে মানুষ মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন। সুশীল মোদি বলেন, বিহারে বিজেপির বুথ স্তর পর্যন্ত শক্তপোক্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং আমরা সব শ্রেণিকে নিয়ে কাজ করছি। বিহারে নরেন্দ্র মোদি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধির প্রতীক। তাই বলতেই পারি, মণ্ডলও (মণ্ডল কমিশন) আমাদের সঙ্গে রয়েছে, রয়েছে কমন্ডলুও (হিন্দু ভোট ব্যাংক)।

    আরও পড়ুন : বিজেপি ছেড়ে আরজেডি! মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানুন কী বলছে বিহারের নয়া সমীকরণ

  • Bilkis Bano: বিলকিস বানো মামলায় অভিযুক্তদের মুক্তি, প্রশ্নের মুখে গুজরাট সরকার

    Bilkis Bano: বিলকিস বানো মামলায় অভিযুক্তদের মুক্তি, প্রশ্নের মুখে গুজরাট সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিলকিস বানো (Bilkis Bano) গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে মুক্তি দিল গুজরাট সরকার (Gujarat Govt)। গোধরা পরবর্তী হিংসায় বিলকিসকে গণধর্ষণে (Gang Rape) দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাদের। বিলকিসের পরিবারের সাতজনকে খুনের দায়েও দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাদের। সোমবার স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পায় তারা। সাজা মকুব নীতিতে (Remission Policy) মুক্তি দেওয়া হয়েছে ওই ১১জনকে।  

    ২০০২ সালে গোধরাকাণ্ডের পর গুজরাটে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড়ের একটি গ্রামে কার্যত তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। গ্রামেরই বাসিন্দা বিলকিস এবং তাঁর মা বোনকে গণধর্ষণ করা হয়। পরিবারের ১৪ জন সদস্য সহ মোট ১৭ জনকে নৃশংসভাবে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ২০০৮ সালের ২১ জুলাই মুম্বইয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ওই ঘটনায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি দেওয়া হয় তাদেরই।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    কেন ছেড়ে দেওয়া হল অভিযুক্তদের? অভিযুক্তরা ১৫ বছরেরও বেশি সময় জেলে ছিল। এদের মধ্যে একজন অভিযুক্ত জামিনের আবেদন করে মামলা দায়ের করে সুপ্রিম কোর্টে। এর পরেই দেশের শীর্ষ আদালত অভিযুক্তদের সাজা মকুবের জন্য গুজরাট সরকারকে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় বলে জানান গোধরা জেলার কালেক্টর সুজল মায়াত্র। ওই কমিটিই অভিযুক্তদের সাজা মকুবের সুপারিশ করে গুজরাট সরকারের কাছে। তার পরেই মুক্তি দেওয়া হয় তাদের। অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়ার ঘটনায় সোচ্চার হয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী সামসাদ পাঠান। তাঁর প্রশ্ন, বিলকিসের মামলার থেকে কম জঘণ্য অপরাধ করেছে এমন অসংখ্য অভিযুক্ত কেন কারাগারে বন্দি?

    এদিকে, গুজরাটে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি সরকার। কেন্দ্রের রশিও বিজেপির হাতে। অভিযুক্ত ১১ জনকে মুক্তি দিয়ে কেন্দ্রের গাইডলাইন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্বরাষ্ট্র দফতরের জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ কর্মসূচি উপলক্ষে রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলি বন্দিদের মুক্তি দেবে। তবে ধর্ষক, মানব পাচারকারী এবং মাদক পাচার চক্রীদের মুক্তি দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, এই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রয়েছে অমিত শাহের হাতে।

    আরও পড়ুন : ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

  • Bilkis Bano Case: বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় মুক্তি পেল দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জন

    Bilkis Bano Case: বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় মুক্তি পেল দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০২ সালের বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে (Bilkis Bano Gang Rape) এগারো জন দোষীকে জেল থেকে মুক্তি দিল গুজরাট সরকার। স্বাধীনতা দিবসের দিন গোধরা জেলের বাইরে বের হল গত ১৫ বছর ধরে জেলে থাকা বন্দিরা৷ গোধরা পরবর্তী হিংসায় (Gujarat Riots 2002) বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাদের। ২০০৮ সালে তাদের সকলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত।। কিন্তু গুজরাট সরকারের শাস্তি মকুবের নিয়ম (remission policy) অনুযায়ী, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার আবেদন করে দোষীদের একজন। এবং তারই ভিত্তিতে ওই ১১ জন দোষীকে গতকাল মুক্তি দেওয়া হল।

    সূত্রের খবর, দোষীদের মধ্যে এক জন সুপ্রিম কোর্টের কাছে মুক্তির আবেদন করে। তার ভিত্তিতে গুজরাট সরকারকে বিষয়টি দেখতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর কোর্টের নির্দেশ মতো গঠন করা হয় একটি কমিটি৷ তারপরেই গুজরাট সরকারের তরফে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। গুজরাট সরকারের ওই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন পঞ্চমহলের জেলাশাসক সুজল মায়াত্রা। তিনি জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দোষীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারপরেই গুজরাট সরকারের তরফে রবিবার জানিয়ে দেওয়া হয়, দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের কল্যাণে কাজ করাই জীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, বললেন রাষ্ট্রপতি

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৭ ফ্রেবুয়ারি, গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের পর ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় গোটা গুজরাট জুড়ে। এরপর ৩ মার্চ বারিয়া নামক গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। সেসময় গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানো-সহ তাঁর মা-বোনকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর বাকি সন্তানদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এর পর তাঁর পরিবারের ১৪ জন-সহ ওই গ্রামের মোট ১৭ জনকে খুনও করা হয়। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালান ছয়জন। এই ঘটনার পরেও দীর্ঘদিন এর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরপর এই ঘটনায় ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তারপর ২০০৪ সালে ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। আমদাবাদে শুরু হয় শুনানি। কিন্তু সেখানে তদন্ত হলে, প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন বিলকিস। ফলে মামলাটি আমদাবাদ থেকে মুম্বইয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপর সিবিআই আদালত ২০০৮ সালে ওই ১১ জনকে যাবজ্জীবনের কারাদন্ডের দেয়। গর্ভবতী মহিলাকে ধর্ষণ, হত্যা এবং বেআইনি জমায়েত ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয় অন্য সাত জনকে। আর শুনানি চলাকালীনই মৃত্যু হয় এক জনের। এরপর ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ক্ষতিপূরণবাবদ বিলকিসকে ৫০ লক্ষ টাকা, চাকরি এবং বাড়ি দিতে হবে বলে গুজরাট সরকারকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। 

  • Partition Horrors Remembrance Day:  বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবসে নেহরুকে নিশানা বিজেপির

    Partition Horrors Remembrance Day:  বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবসে নেহরুকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবসে (Partition Horrors Remembrance Day) কংগ্রেসকে নিশানা গেরুয়া শিবিরের। এদিন বিজেপির (BJP) তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। তাতে আক্রমণ শানানো হয়েছে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে (Jawaharlal Nehru)।

    সাত মিনিটের একটি ভিডিও তৈরি করে প্রচার করছে পদ্ম শিবির। আর্কাইভের ছবি ব্যবহার করে তৈরি করা ওই ভিডিওয় পাকিস্তান (Pakistan) গঠনের জন্য মহম্মদ আলি জিন্নার নেতৃত্বাধীন মুসলিম লিগের কাছে নেহরু নতি স্বীকার করেছিলেন বলে অভিযোগ বিজেপির। দেশভাগের সময়কার বিভিন্ন ছবি ব্যবহার করে তৈরি করা ওই ভিডিও ট্যুইট করে বিজেপির পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, যাদের ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সভ্যতা, মূল্যবোধ, তীর্থস্থান সম্পর্কে কোনও জ্ঞানই ছিল না, তারা মাত্র তিন সপ্তাহে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এক সঙ্গে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে দেশভাগের রেখা টেনেছিল। এই বিভাজনকারী শক্তির সঙ্গে লড়াই করার দায়িত্ব যাদের ছিল, সেই সময় কোথায় ছিলেন তাঁরা? বাংলা এবং পাঞ্জাব ভাগের প্রসঙ্গও রয়েছে বিজেপির তৈরি করা এই ভিডিওয়।

    আরও পড়ুন :বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    গত বছরই দেশভাগ বিভীষিকা স্মরণ দিবস পালন করার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিজেপির দাবি, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের জেরে ভারতীয়দের যে সমস্যা, দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়েছিল, তা মনে করাতেই এই উদ্যোগ। দেশভাগ বিভীষিকা স্মরণ দিবসে নেহরুকেই নিশানা বিজেপির। এদিন সকালে এনিয়ে ট্যুইটও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  

    পাল্ট জবাব দিয়েছে কংগ্রেসও। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ ট্যুইট বার্তায় বলেন, এই দিনটি স্মরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মূল উদ্দেশ্য হল বর্তমান রাজনৈতিক লড়াইয়ের রসদ সংগ্রহ করা। লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছিলেন, প্রাণ হারিয়েছিলেন। তাঁদের সেই ত্যাগের কথা ভুললে চলবে না। তাঁর প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী কি আজকে জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও স্মরণ করবেন, যিনি শরৎচন্দ্র বসুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বঙ্গভঙ্গের পক্ষে ছিলেন? তাঁর কটাক্ষ, আধুনিক কালের সাভারকার এবং জিন্নারা ফের বিভক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁর দাবি, গান্ধী, নেহরু, প্যাটেল সহ যাঁরা দেশকে এক করার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের উত্তরাধিকারকে কংগ্রেস এগিয়ে নিয়ে যাবে। পরাজিত হবে বিদ্বেষের রাজনীতি।

    আরও পড়ুন : ফের উদ্ধার মোটা অঙ্কের টাকা, পুলিশ হেফাজতে ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক

     

  • Dharmendra Pradhan: পড়ুয়ারা পড়বে দেশের সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান

    Dharmendra Pradhan: পড়ুয়ারা পড়বে দেশের সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে স্কুলের পাঠ্যসূচি সম্পর্কে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্কুলের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী। একথা জানিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। তবে কেন এমন দাবি করলেন তিনি, এই নিয়ে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে।

    জানা গিয়েছে, খুব কম বয়স থেকেই শিশুরা যাতে দেশের সেনা জওয়ান, তাঁদের বীরত্ব, আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারে তার জন্যই এই পদক্ষেপ। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের “বীর গাথা” (Veer Gatha) প্রজেক্টে বক্তব্য রাখার সময়েই এই বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা জানান কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। তিনি সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “দেশের প্রতি সন্তানদের যাতে খুব কম বয়সেই দায়িত্ববোধ এসে যায় সেই দিকে ভেবেই শিক্ষা মন্ত্রক ও প্রতিরক্ষামন্ত্রক এই আলোচনা করছে। শিশুদের পাঠ্যক্রমে ভারতের সেনা জওয়ানদের বীরত্ব ও গত ৭৫ বছরে ভারতের বীর গাথার কাহিনি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন? জানুন কী করবেন আর কী করবেন না

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বীর গাঁথা প্রজেক্টটি ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ (‘Azadi Ka Amrit Mahotsav’)-এর একটি অংশ হিসাবে চালু করা প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল দেশের সেনা বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ কাজ এবং আত্মত্যাগ সম্পর্কে শিশুদের সচেতন করা ও তাদের অনুপ্রাণিত করা। গত বছর অর্থাৎ ২০২১-এর অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত আয়োজন করা হয়েছিল ‘বীর গাথা প্রতিযোগিতা’-র। যেখানে দেশের মোট ৪,৭৮৮ টি স্কুল থেকে প্রায় ৮.০৪ লক্ষ পড়ুয়া উৎসাহিত ছিল তাদের অনুপ্রেরণামূলক গল্প, বিভিন্ন প্রবন্ধ, কবিতা, ছবি আঁকা এবং মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য। এদের মধ্যে ২৫ জন পড়ুয়াকে বেছে নেওয়া হয়েছে ও তাদের “সুপার ২৫” হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। যে সকল পড়ুয়া এই প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছে তাদের “সুপার সেনা”-র তকমা দেওয়া হয়েছে। যদিও পরে শিক্ষামন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন যে, দেশের সেনাদের সম্মানে এই প্রতিযোগিতার নাম পরিবর্তন করে ‘সেনা সুপার ২৫’ করা উচিত। এই অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ‘বীরগাথা’ প্রতিযোগিতার ২৫ জনকে বিশেষ পুরষ্কারে ভূষিত করেন।

     

LinkedIn
Share