Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Indian Army: ৩৮ বছর আগে নিখোঁজ! সিয়াচেনে বরফের নীচ থেকে উদ্ধার শহিদ জওয়ানের দেহ

    Indian Army: ৩৮ বছর আগে নিখোঁজ! সিয়াচেনে বরফের নীচ থেকে উদ্ধার শহিদ জওয়ানের দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৮ বছর পর সিয়াচেনে (Siachen) বরফের মাঝখান থেকে উদ্ধার হল হারিয়ে যাওয়া ভারতীয় জওয়ানের দেহ! ১৯৮৪ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন (Siachen) থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন এই জওয়ান। জানা গেছে, জওয়ানের নাম চন্দ্রশেখর হারবোলা (Chandrashekhar Harbola)। ১৯ কুমায়ুন রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন তিনি। রবিবার রানিক্ষেতের সৈনিক গ্রুপ সেন্টার মৃতদেহটিকে সনাক্ত করেছে।

    সূত্রের খবর, ১৯৮৪ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ২০ জন সদস্যের জওয়ানদের একটি দল পাঠানো হয়েছিল সিয়াচেনে। তিনি সেই দলেরই সদস্য ছিলেন ও অপারেশন মেঘদূত (Operation Meghdoot) নামে সেনার একটি বিশেষ অপারেশনের অংশ ছিলেন। সেনাসূত্রে খবর সিয়াচেনে টহলদারি করার সময় তুষারঝড়ের কবলে পড়ে ২০ জনের এই দলটি। বরফঢাকা সিয়াচেনের প্রতিকূল পরিবেশে তুষারঝড় থেকে প্রাণে বেঁচে ফেরেননি ২০ জনের কেউই। অতিকষ্টে ১৫ জন জওয়ানের দেহ উদ্ধার করা হলেও,  বাকি পাঁচজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে চন্দ্রশেখর হারবোলা ছিলেন একজন। এরপর ৩৮ বছর কেটে গেছে ও এরপর হঠাৎ একদিন বরফে ঢাকা একটি পুরনো বাঙ্কারে মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে আরও একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু সেই জওয়ানকে এখনও সনাক্ত করা যায় নি।

    চন্দ্রশেখর হারবোলার স্ত্রী শান্তি দেবী জানিয়েছেন, ১৯৮৪ সালের জানুয়ারিতে শেষবার বাড়ি এসেছিলেন। তিনি আরও জানান, চন্দ্রশেখর হারবোল যখন নিখোঁজ হয়েছিল তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর। বিয়ের নয় বছরের মাথায় তিনি স্বামীকে হারান। ১৯৮৪ সালে চন্দ্রশেখর হারবোলের নিখোঁজ হওয়ার সময় দুই মেয়েও ছিল খুব ছোট। একটির বয়স ছিল চার, আরেকটির দেড় বছর। শান্তি দেবী আর বিয়ে করেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন তাঁর স্বামীর আত্মত্যাগের জন্য তিনি গর্বিত।

    শান্তি দেবী বর্তমানে সরস্বতী বিহার কলোনিতে থাকেন। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার চন্দ্রশেখর হারবোলের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। হালদওয়ানির সাব-কালেক্টর মনীশ কুমার এবং তহসিলদার সঞ্জয় কুমা জানিয়েছেন, মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছনোর পর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।

     

  • Modi: দেশকে লুট করলে খেসারত দিতে হবে! দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা মোদির

    Modi: দেশকে লুট করলে খেসারত দিতে হবে! দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা (Red Fort) থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সোমবার সকাল ৭টা ৩৩ মিনিটে লালকেল্লায় ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণের শেষলগ্নে দুর্নীতি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন তিনি।  প্রধানমন্ত্রীর সাফ বার্তা, দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে। দেশের প্রভূত ক্ষতি করছে দুর্নীতিও। দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে দুর্নীতি দূর করার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। তাঁর কথায়, “অনেকে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় জেলে রয়েছে। তাও তাদের আলোচনা চলছে। দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রতি কড়া মনোভাব দেখাতে হবে। দেশের টাকা লুঠ করে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। তাই দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।” স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “প্রভাবশালীরাও বাঁচতে পারবেন না। যারা ব্যাংকের সম্পত্তি নিয়ে পালিয়েছিল তারা জেলে। যারা লুট করেছে তাদের সমস্ত সম্পদ ফেরাতে হবে।”

    প্রধানমন্ত্রীর কথায়, দেশে গরিবরা থাকার জায়গা পাচ্ছেন না, আর এক শ্রেণির মানুষের চুরি করা টাকা রাখার জায়গা কুলোচ্ছে না। মোদি বলেন, ‘‘দেশের পরিস্থিতি ভাল নয়। ভারতের মতো গণতন্ত্রে যেখানে মানুষ প্রত্যেক মুহূর্তে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করছে, যেখানে একদল মানুষের থাকারই জায়গা নেই, সেখানে আর একটি দল চুরি করা মাল রাখার জায়গা পাচ্ছে না।’’ মোদি অবশ্য তাঁর বক্তৃতায় কোনও বিশেষ রাজ্য, বা নেতা বা মন্ত্রীর নাম করেননি।

    আরও পড়ুন: ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের পূর্ণশক্তি দিয়ে লড়াই করতে হবে। গত আট বছরে আমরা সে কাজে সফলও হয়েছি।’’ মোদির কথায়, ‘‘‘ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার’-এর সাহায্যে আধার-মোবাইল এবং অন্য আধুনিক ব্যবস্থা প্রয়োগ করে লক্ষ কোটি টাকা ভুল হাতে যাওয়া থেকে বাঁচানো গিয়েছে। এমনকি, সেই টাকা দেশের ভাল কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’’

    মোদি বলেছেন, ‘‘যারা আগের সরকারে ব্যাঙ্ক লুট করে পালিয়ে গিয়েছে, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে করে টাকা ফেরানোর চেষ্টা করছে সরকার। যাঁরা দেশের টাকা চুরি করেছেন, তাঁদের টাকা ফেরাতে বাধ্য করা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভারত কড়া অবস্থান নিচ্ছে। দেখে ভাল লাগছে, এখন দেশে দুর্নীতি-বিরোধী একটা মনোভাবও তৈরি হয়েছে।’’ কিন্তু তাঁর অনুযোগ, অনেকে দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেও কেউ কেউ দুর্নীতিবাজদের ‘সমর্থন’ও করছেন। যা কোনও দেশে শোভা পায় না।

  • Supreme Court: যৌন জীবন নিয়ে প্রশ্ন নয়, নির্যাতিতার প্রতি সংবেদনশীল হওয়া উচিত নিম্ন আদালতের, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: যৌন জীবন নিয়ে প্রশ্ন নয়, নির্যাতিতার প্রতি সংবেদনশীল হওয়া উচিত নিম্ন আদালতের, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার শিকার এমন নির্যাতিতার জন্য এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার মত অনেক ঘটনাই প্রতিনিয়ত আমাদের সামনে আসে। যাদের সঙ্গে এসব ঘটনা ঘটে, তাদের মধ্যে অনেকেই এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারে না সমাজের লোকলজ্জার ভয়ে, চাপে পড়ে। আর যারাও সাহস করে অভিযোগ দায়ের করতে যান, তাদের মধ্যে অনেকেই ন্যায়-বিচার পায় না। এছাড়াও বিচারের আশায় পুলিশ স্টেশন, আদালতে গেলে অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়, যার মুখোমুখি হয়ে উত্তর দেওয়ার মানসিক শক্তি অনেক মহিলারই থাকে না। তাই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, এমন ধরণের ঘটনার ক্ষেত্রে আদালতের অনেক বেশি সংবেদনশীল হওয়া উচিত। বিচার প্রক্রিয়া যাতে আরও সহানুভূতিশীল হয়, তেমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

    এক মামলার শুনানিতে শুক্রবার নিম্ন আদালতগুলিকে বেশ কিছু নির্দেশিকা দিল বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ থেকে বলা হয়েছে, যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে অভিযোগকারী বা নির্যাতিতার ক্ষেত্রে এই বিচার প্রক্রিয়া যাতে কঠিন না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে আদালতগুলিকে। ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ধর্ষণের ক্ষেত্রে অনেক সময় পুলিশ এই মামলা সমাধান করতে না পারলে সেক্ষেত্রে আদালতের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়।

    সুপ্রিম কোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিত বা নির্যাতিতার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা উচিত

    • যেসব মামলার ক্ষেত্রে দরকার একমাত্র সেখানেই ক্যামেরার সামনে বিচার করা যাবে।
    • আদালতকে নিশ্চিত করতে হবে, নির্যাতিতা যাতে কোনও ভাবেই অভিযুক্তকে দেখতে না পান।
    • নির্যাতিতার বয়ান নেওয়ার সময় অভিযুক্তকে আদালত কক্ষের বাইরে বের করে দিতে হবে।
    • নির্যাতিতার যৌনজীবন নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না। কোনও অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা যাবে না।
    • যদি কোনও নির্যাতিতা ইতিমধ্যেই আঘাত পেয়ে থাকে, এমন ক্ষেত্রে আদালতের উচিত অভিযোগকারীকে আরও চাপ না দেওয়া এবং তদন্তের জন্য পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের একটি মামলার জেরেই এমন নির্দেশিকা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় পুলিশ তেমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ও নিম্ন আদালতের তরফেও বলা হয়েছিল, ওই মামলায় যথেষ্ট প্রমাণ নেই। অভিযোগকারিকেই প্রমাণ জোগাড় করতে বলা হয়েছিল। এর পরেই মহিলা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তারপর সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে যে, যৌন হেনস্থার মতো ঘটনায় প্রমাণ জোগাড় ও তদন্তের ক্ষেত্রে এর দায়ভার পুলিশকেই নিতে হবে।

     

  • Independence Day 2022: ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে ভারতের সংগ্রামী যোদ্ধাদের সেরা কিছু উক্তি একনজরে দেখে নিন

    Independence Day 2022: ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে ভারতের সংগ্রামী যোদ্ধাদের সেরা কিছু উক্তি একনজরে দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত জুড়ে পালিত হচ্ছে ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। দেশের সব প্রান্তে তেরঙা পতাকা উড়িয়ে এই বিশেষ দিনটি আড়ম্বরের সাথে পালন করে সাধারণ মানুষ। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে চলছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। তারই একটি হল আজাদি কা অমৃত মহোৎসব (Azadi Ka Amrit Mahotsav)। এই অনুষ্ঠান পালন করতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

    অনেক সংগ্রাম, রক্তক্ষয় ও অশ্রুজলের মধ্যে দিয়ে প্রায় দুশো বছরের পর পরাধীনতার হাত থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। বহু ভারতীয়ের দীর্ঘ এবং কঠিন সংগ্রামের পর ১৯৪৭ সালের ১৫ ই অগাস্ট আমাদের দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ব্রিটিশদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করতে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। সেই বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান কখনও ভোলার নয়। স্বাধীনতা দিবসের মত এই বিশেষ দিনে এমনই কিছু বীরের উক্তি মনে করা যাক একনজরে।

    “নির্দয় সমালোচনা এবং স্বাধীন চিন্তা, বিপ্লবী চিন্তার দুটি প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য।” – ভগৎ সিং

    “চোখের বদলে চোখ সমগ্র বিশ্বকে অন্ধ করে দেবে।” – মহাত্মা গান্ধী

    “পুঁজিবাদী সমাজের শক্তিগুলিকে যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে ধনীরা আরও ধনী এবং দরিদ্ররা আরও দারিদ্রতার স্বীকার হবে।” – জওহরলাল নেহরু

    “কোনো সম্প্রদায়ের অগ্রগতি আমি সেই সম্প্রদায়ের নারীর অগ্রগতির নিরিখে পরিমাপ করি।” – ভীম রাও আম্বেদকর

    “অন্যায় ও অন্যায়ের সাথে আপস করাটাই যে সবচেয়ে বড় অপরাধ, একথা ভুললে চলবে না। এই চিরন্তন সত্যি মনে রাখবে: কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবেই।” – সুভাষ চন্দ্র বসু

    “শত্রুর গুলির সম্মুখীন আমরাই হব, স্বাধীন ছিলাম, স্বাধীনই থাকবো” – চন্দ্র শেখর আজাদ

    “আমাদের হৃদয় ত্যাগের আবেগে পূর্ণ, খুনীদের বাহুতে কতটা জোড়, সেটাই দেখার বিষয়” – রামপ্রসাদ বিশমিল

    “স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার এবং আমি সেটা অর্জন করবই” – বাল গঙ্গাধর তিলক

    “আমরা গভীর আন্তরিকতা, বক্তৃতায় আরও সাহস এবং কর্মে আন্তরিকতা চাই।” – সরোজিনী নাইডু

    “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির,
        জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর
        আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী
        বসুধারে রাখে নাই খণ্ড ক্ষুদ্র করি,
        যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে
        উচ্ছ্বসিয়া উঠে, যেথা নির্বারিত স্রোতে
        দেশে দেশে দিশে দিশে কর্মধারা ধায়
        অজস্র সহস্রবিধ চরিতার্থতায়,
        যেথা তুচ্ছ আচারের মরুবালুরাশি
        বিচারের স্রোতঃপথ ফেলে নাই গ্রাসি,
        পৌরুষেরে করে নি শতধা, নিত্য যেথা
        তুমি সর্ব কর্ম চিন্তা আনন্দের নেতা,
        নিজ হস্তে নির্দয় আঘাত করি, পিতঃ;
        ভারতেরে সেই স্বর্গে করো জাগরিত॥” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

  • Nupur Sharma: খুনের ভার পড়েছিল নূপুর শর্মাকে! উত্তর প্রদেশ পুলিশের জালে জঙ্গি

    Nupur Sharma: খুনের ভার পড়েছিল নূপুর শর্মাকে! উত্তর প্রদেশ পুলিশের জালে জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) ঠিক আগেই জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার যুবক। শুক্রবার উত্তর প্রদেশ পশ্চিমের সাহারানপুর (Saharanpur) জেলা থেকে জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammad) ও তেহরিক-ই-তালিবান (Tehreek-e-Taliban ) জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ রয়েছে এই সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় বছর পঁচিশের ওই যুবককে।

    উত্তর প্রদেশ পুলিশের (UP Police) দাবি, ওই যুবককে গ্রেফতার করায় ফাঁস হল বড়সড় নাশকতার ছক। পুলিশের দাবি, জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ওই যুবককে  বিজেপির সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে খুনের দায়িত্ব দিয়েছিল পাক জঙ্গিরা। পুলিশ জানিয়েছে, সাহারানপুরের কুন্দাকালা গ্রামের ওই বাসিন্দার নাম মহম্মদ নাদিম। পুলিশের দাবি, নূপুরকে হত্যা করতে পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদের এক চাঁই ওই যুবককে দায়িত্ব দিয়েছিল বলে স্বীকারও করেছে নাদিম। সে তার আরও কয়েকজন সহযোগীর নামও জানিয়েছে পুলিশকে। তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

    আরও পড়ুন : হাতে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি! নূপুর শর্মাকে খুনের উদ্দেশে ভারতে পাক যুবক

    প্রসঙ্গত, হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিজেপি সাসপেন্ড করে দলের মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে। তার পরেও এক শ্রেণীর দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালায় দেশের বিভিন্ন অংশে। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ, বিজেপির পার্টি অফিসে হামলা সবই হয়েছে। দিন দুই হাত গুটিয়ে বসে থাকার পর পথে নামে পুলিশ। তার পরেই নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। সেই নূপুরকেই খুন করতে ওই যুবককে দায়িত্ব দিয়েছিল জঙ্গিরা।

    উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে নাদিমের। জইশ-ই-মহম্মদ ও তেহরিক-ই-তালিবান দুই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত ছিল সে। তার ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে পুলিশ জেনেছে, অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তান ও সিরিয়াও যেতে বলা হয়েছিল তাকে। কীভাবে আইইডি তৈরি করতে হয়, ফোনের মাধ্যমে তাকে তার কৌশলও শিখিয়েছিল জঙ্গিরা। পুলিশের দাবি, তার ফোন থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন চ্যাট এবং ভয়েস বার্তায়ও জইশ এবং তেহরিক-ই-তালিবানের সঙ্গে তার যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। শুধু তাই নয়, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ফেসবুক মেসেঞ্জারের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও পাক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত নাদিম। উত্তর প্রদেশ পুলিশের এডিজিপি প্রশান্ত কুমার বলেন, নাদিমের কাছ থেকে দুটি সিম কার্ড এবং বিভিন্ন ধরনের বোমা তৈরির কৌশল লেখা কিছু কাগজপত্রও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক! উত্তরপ্রদেশে ধৃত আইএস জঙ্গি

     

  • Bihar Cabinet: নব কলেবরে নীতীশ মন্ত্রিসভা, আরজেডি পেল কোন কোন দফতর?  

    Bihar Cabinet: নব কলেবরে নীতীশ মন্ত্রিসভা, আরজেডি পেল কোন কোন দফতর?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহ আগে বিহারে (Bihar) শপথ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী। সপ্তাহ পার হতে সম্প্রসারিত হল বিহারের নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)  মন্ত্রিসভা। এদিন সব মিলিয়ে শপথ নিলেন ৩১ জন মন্ত্রী (Minister)।

    এনডিএ (NDA) জোট ছিন্ন করে বেরিয়ে আসে জনতা দল ইউনাইটেড (JDU)। মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। এর পরেই কংগ্রেস (Congress) এবং আরজেডির (RJD) সঙ্গে জোট বেঁধে মহাজোট গঠনের কথা ঘোষণা করা হয় জনতা দল ইউনাইটেডের তরফে। সেই মতো গত মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন নীতীশ। উপমুখ্যমন্ত্রী হন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তার পর এদিন সম্প্রসারিত হল নীতীশ মন্ত্রিসভা।

    আরও পড়ুন :নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    এদিন রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের কাছে শপথ নেন ৩১ জন মন্ত্রী। জানা গিয়েছে, তাঁদের সিংহভাগই আরজেডির। মহাজোটের মোট ৩০ জন বিধায়ক ঠাঁই পেয়েছেন বিহারের নয়া মন্ত্রিসভায়। এর মধ্যে আরজেডি পেয়েছে ১৬টি দফতর। জেডিইউয়ের হাতে রয়েছে ১১টি দফতর। কংগ্রেসের দুই বিধায়ক, জিতিন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার এক বিধায়ক এবং একমাত্র নির্দল বিধায়ক সুমিত কুমার সিং-ও শপথ নিয়েছেন। নীতীশ তাঁর দলের বিজয়কুমার চৌধুরী, অশোক চৌধুরী, সঞ্জয় ঝা, মদন সাহনি, জয়ন্ত রাজ, শীলা মণ্ডল, বিজেন্দ্র যাদব, শ্রাবণ কুমার, সুনীর কুমার ও জামা খান সহ তাঁর দলের বেশিরভাগ মন্ত্রীদের নয়া মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়েছেন। এদিন আরজেডির যাঁরা শপথ নিয়েছেন, তাঁরা হলেন তেজ প্রতাপ যাদব, সুরেন্দ্র যাদব, ললিত যাদব, কুমার সর্বজিৎ, সুরেন্দ্র রাম, শাহনওয়াজ আলম, সমীর মহাশেঠ, ভারত মণ্ডল, অনিতা দেবী ও সুধাকর সিং। কংগ্রেসের আফাক আলম, মুরারি লাল গৌতমকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার সন্তোষ সুমনও শপথ নিয়েছেন এদিন। বিহারের মন্ত্রিসভায় মুখ্যমন্ত্রী সহ মোট মন্ত্রীর জায়গা হতে পারে ৩৬ জনের। ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণের কথা মাথায় রেখে কিছু দফতর খালি রাখা হবে। ২৪ অগাস্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারে নীতিশ সরকার।

    জানা গিয়েছে, নীতীশের হাতে থাকছে স্বরাষ্ট্র, প্রশাসনিক, ক্যাবিনেট সচিবালয় ও নির্বাচন দফতর।  তেজস্বীর হাতে থাকছে— স্বাস্থ্য, রাস্তা নির্মাণ, নগরোন্নয়ন, হাউসিং ও গ্রামোন্নয়ন। তেজস্বীর দাদা, তেজ প্রতাপ যাদব পেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন দফতরের দায়িত্ব। বিজয় কুমার চৌধুরীর হাতে গিয়েছে অর্থ, বাণিজ্যিক রাজস্ব ও সংসদ বিষয়ক দফতর। বিজেন্দ্র যাদব পেয়েছেন শক্তি, প্ল্যানিং ও ডেভেলপমেন্ট।

    আরও পড়ুন : পাটনায় পালাবদল! নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হলেও বেশি ক্ষমতা থাকবে লালু-পুত্রর হাতে?

     

  • Covid 19: ভয় ধরাচ্ছে করোনা, দেশে একদিনে আক্রান্ত ১৬,০৪৭ জন, মৃত্যু ৫৪ জনের 

    Covid 19: ভয় ধরাচ্ছে করোনা, দেশে একদিনে আক্রান্ত ১৬,০৪৭ জন, মৃত্যু ৫৪ জনের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ (Covid 19)। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬,০৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে এযাবৎ দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৪১,৯০,৬৯৭। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। এই অবধি এ দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫,২৬,৮২৬ জনের। 

    এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১,২৮,২৬১। এই মুহূর্তে সুস্থতার হার ৯৮.৫%। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯,৫৩৯ জন। এই অবধি গোটা দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪,৩৫,৩৫,৬১০ জন।

    আরও পড়ুন: কোভিডের এই ১৩টি উপসর্গকে কখনই অবহেলা করবেন না, অবিলম্বে পরীক্ষা করান

    মুম্বইয়ে (Mumbai) বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। একদিনে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৭৯ শতাংশ। স্বপ্ননগরী মুম্বইয়ে করোনার এই বাড়বাড়ন্ত রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫২ জন। এই সময়ে সেখানে করোনায় মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। ১ জুলাইয়ের পর থেকে এটাই মুম্বইয়ে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। ১ জুলাই মুম্বইয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৮ জন এবং সেখানে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল দুই জনের। 

    দিল্লিতেও (Delhi) বাড়ছে সংক্রমণ। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২,১৪৬ জন। ১৮০ দিনের মধ্যেই এটাই সর্বোচ্চ সংক্রমণ। পজিটিভিটি রেট ১৭.৮৩%। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ফের নয়া ভাইরাস-আতঙ্ক চিনে! করোনার থেকেও বেশি প্রাণঘাতী ‘ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস’? 

    পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) করোনা সংক্রমণ সামান্য কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫১৯ জন। মঙ্গলবার এই পরিসংখ্যানটা ছিল ৫২৫। রাজ্য়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা প্রাণ কেড়েছে ৫ জনের। বর্তমানে রাজ্যে কোভিড পজিটিভিটির হার ৯৮.৬৬ শতাংশ। করোনা মহামারী শুরুর দিন থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২১ লাখ ৪৭৭। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ লাখ ৭২ হাজার ৪২১ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৪১০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ হাজার ২১৪ জনের।

  • Bihar Politics: পাটনায় পালাবদলের পট তৈরি করেন সনিয়া! কবে জানেন

    Bihar Politics: পাটনায় পালাবদলের পট তৈরি করেন সনিয়া! কবে জানেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাটনায় পালাবদলের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন বহুদিন আগে থেকেই। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী যখন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখনই তাঁকে ফোন করেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। সনিয়াকে ফোন করে নীতীশ দাবি করেন, বিজেপি তাঁর দল ভাঙার চেষ্টা করছে। তাঁকে যদি কংগ্রেস সাহায্যের আশ্বাস দেয় তাহলে তিনি বিকল্প ভাবতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন নীতীশ। সূত্রের খবর, তখনই তাঁকে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন সনিয়া। সেই মতোই তেজস্বী যাদবের সাহায্য নিয়ে রাহুলের সঙ্গে কথা বলেন নীতীশ। তৈরি হয় পালাবদলের পট।

    বিজেপির সঙ্গে বিরোধ-দূরত্বের মাঝেই কয়েকদিন আগেও কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে ফোন করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। জেডিইউ নেতার হঠাৎ এই ফোনেই বিহারে নতুন জোট ও সরকার গঠনের জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরসিপি সিং আনুষ্ঠানিকভাবে জেডিইউ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই বিজেপি-জেডিইউ জোটের অন্দরে বিরোধ আরও বাড়ে। বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নীতীশ। বুধবার কংগ্রেস, আরজেডির সঙ্গে মিলে নতুন সরকার গঠন করে জেডিইউ।

    আরও পড়ুন: ‘পল্টুরাম’ হলেন ‘কাল্টুরাম’, নীতীশকে বেনজির আক্রমণ গিরিরাজের

    ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের সময় থেকেই নীতীশ কুমার যে বিজেপির উপরে অসন্তুষ্ট ছিলেন, তা ঘনিষ্ট সূত্রেই জানা গিয়েছিল। সম্প্রতি নানা অনুষ্ঠানে তেজস্বী যাদব ও নীতীশ কুমরকে এক মঞ্চে দেখা যাওয়ায় এবং ইফতারের নিমন্ত্রণ রক্ষায় দুই নেতাই একে অপরের বাড়ি যাওয়ায় ফের একবার আরজেডি-জেডিইউয়ের কাছাকাছি আসার জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরমধ্যে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথোপকথন অগ্নিতে ঘৃতহুতির কাজ করে। ২০২০ সালের ভোটের ফল অনুযায়ী বিহারের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি। যদি জেডিইউ ফের একবার আরজেডির সঙ্গে হাত মেলায় এবং কংগ্রেসও সেই জোটে যোগ দেয়, তবে এনডিএ সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহারের মতো বিপুল জনসংখ্যা ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে সরকার বদল হলে তা মোদি সরকারের কাছে বড় ধাক্কা হবে।

     

  • Weather Forecast: বন্যা, ভূমিধসে ভয়াবহ পরিস্থিতি! ওড়িশা, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে তিনদিনে মৃত্যু প্রায় ৫০ জনের

    Weather Forecast: বন্যা, ভূমিধসে ভয়াবহ পরিস্থিতি! ওড়িশা, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে তিনদিনে মৃত্যু প্রায় ৫০ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর এবং পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য প্রবল বৃষ্টিপাত, বন্যা, ভূমিধসে বিপর্যস্ত। গত তিনদিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত (heavy rain) আর তার জেরে বন্যা (flood) ও ভূমিধসে বহু মানুষের মৃত্যু (death) হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত তিন দিনে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand), হিমাচল প্রদেশ (Himachal pradesh) এবং ওড়িশায় (Odisha) ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আরও অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    হিমাচল প্রদেশ

    চার রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হিমাচল প্রদেশ। বন্যার কারণে বেশ কিছু রাস্তা, রেলসেতু ভেঙে পড়েছে। বহু গ্রাম জলমগ্ন। প্রায় ৩৩০ টি রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে। মাটির বাড়িগুলি ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা হল মান্ডি। প্রবল বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই সেখানে ৩৬ জন মারা গিয়েছেন। ১২ জন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন। বন্যায় ভেসে গিয়ে এখনও পাঁচ জন মানুষ নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে।

    উত্তরাখন্ড

    এই রাজ্যে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও ১০ জনের বেশি নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। নদীর দুই কূল ভেসে যাওয়ায় বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত। সেতু ভেঙে গিয়েছে। এরই মধ্যে একটি রেসোর্টে আটকে পড়া ২৪ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তরাখন্ডের দেরাদুন, তেহরি, পাউরি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভূমিধস ও বন্যা, দেশজুড়ে মৃত প্রায় ৩৩

    ওড়িশা

    ওড়িশার পরিস্থিতিও খুব খারাপ। মুষলধারায় বৃষ্টিতে কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ওড়িশায় বন্যায় প্রভাবিত হয়েছেন প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ। বহু মানুষ বন্যার জেরে ঘড় ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে জল ও বিদ্যুত সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে সরানো হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে।

    ঝাড়খন্ড

    এই রাজ্যেও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন বদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২৫০০ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে নলকারী নদীর জলে ভেসে গিয়েছেন কমপক্ষে পাঁচ জন। তবে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত চারজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    মধ্যপ্রদেশ

    মধ্যপ্রদেশের ভোপাল, জব্বলপুর, উজ্জয়িনী, মান্ডসুর সহ ৩৯ টি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে জবলপুরের হনুমান তাল মন্দিরের অনেকাংশ জলের তলায়। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে ও নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

  • Manish Sisodia: সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি, সিবিআইয়ের জেরা ৩ অভিযুক্তকে

    Manish Sisodia: সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি, সিবিআইয়ের জেরা ৩ অভিযুক্তকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আবগারি নীতি মামলায় আরও বিপাকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। শুক্রবার তাঁর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই (CBI)। তার পর রবিবার জারি করা হল লুকআউট নোটিশ (Look Out Notice)। তদন্ত চলাকালীন সিসোদিয়া যাতে বিদেশে যেতে না পারেন, সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কেন্দ্রকে নিশানা করে দিল্লির (Delhi) উপমুখ্যমন্ত্রীর তোপ, সিবিআইয়ের রাজনীতিকরণ হয়েছে। লুকআউট নোটিশ জারির ঘটনাটিকে তিনি নাটক বলেও অভিহিত করেন।

    সিবিআইয়ের তরফে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তাতে সবার ওপরের নামটি সিসোদিয়ার। তিনি ছাড়াও ওই তালিকায় নাম রয়েছে আরও ১৪ জনের। অভিযোগ, বেশ কিছু ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই নয়া আবগারি নীতি আনা হয়েছিল। এই নীতি তৈরিতে সরকারের অংশ নন, এমন ব্যক্তিদেরও মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল। বেআইনিভাবে অনেককে টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। এফআইআর অনুযায়ী, সিসোদিয়া কমপক্ষে দু বার কোটি টাকারও বেশি অর্থ পেয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের হাত থেকে। বেআইনিভাবে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার জন্যই দেওয়া হয়েছিল ওই টাকা।

    আরও পড়ুন : দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি শাসিত সরকারের অঙ্গুলি হেলনেই চলছে সিবিআই। তিনি বলেন, গেরুয়া পার্টি আবগারি কেলেঙ্কারি নিয়ে চিন্তিত নয়, তারা শঙ্কিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিয়ে। কারণ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনিই চ্যালেঞ্জ জানাবেন প্রধানমন্ত্রীকে। সরকারকে আক্রমণ করে সিসোদিয়ার ট্যুইট বার্তা, মোদিজি এটা কি গিমিক। আমি দিল্লিতে মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করছি। বলুন, আমার কোথায় আসা উচিত। এদিন অন্য একটি ট্যুইট বার্তায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, সোমবার থেকেই সিসোদিয়াকে নিয়ে গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারে যাবেন তিনি। 

    এদিকে, ওই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে সিবিআই। রেকর্ড করা হচ্ছে তাঁদের বয়ানও। তল্লাশিতে উদ্ধার হওয়া নথিপত্র এবং বৈদ্যুতিন পণ্যগুলিও পরীক্ষা করছেন তদন্তকারীরা। এই পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হলেই বাকি অভিযুক্তদেরও তলব করা হবে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। এদিকে, শনিবার একটি মানহানি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়া এবং পূর্বতন আপ প্রধান যোগেন্দ্র যাদবকে রেহাই দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। মামলাটি করেছিলেন সুরেন্দর শর্মা নামে এক আইনজীবী।

     

LinkedIn
Share