Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • BJP worker Killed: বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় বাতিল সরকারি অনুষ্ঠান! শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

    BJP worker Killed: বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় বাতিল সরকারি অনুষ্ঠান! শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার (Yuva Morcha)  নেতাকে খুনের ঘটনায় শোকাহত কর্নাটকের (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই। নিহত নেতার স্মরণে বৃহস্পতিবার রাজ্যের বেশকিছু সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। বাসভরাজ বোম্মাই তাঁর সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। তার মধ্যে মূল ছিল ‘জনোৎসব কনভেনশন’। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার। সেই অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে।  

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায় কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতি বাইকে চড়ে পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী প্রবীণ নেত্তারুকে ( Praveen Nettaru)। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেলারে গ্রামে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ব্যাঙ্গালুরু এবং উদুপি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও পাঠানো হয়েছে। এদিকে বিজেপি নেতার হত্যার ঘটনা সামনে আসতেই দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতা কর্মীদের বচসা বাঁধে। দফায় দফায় বিক্ষোভ কর্মসূচীতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। কয়েকটি জায়গায় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। পাল্টা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। অভিযুক্তদের ধরতে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: কর্নাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    বিজেপি নেতার মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে  মুখ্যমন্ত্রী জানান, যত দ্রুত সম্ভব দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হবে। তিনি আজ নিহত বিজেপি যুবকর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তবে এই ঘটনায় রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি। উত্তেজনা না ছড়িয়ে তদন্তে সাহায্য করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ, বিজেপি নেতার খুনের সঙ্গে গত ১৯ জুলাই রাজ্যের অপর একটি খুনের ঘটনার যোগ থাকতে পারে। কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেছেন, সন্দেহভাজনরা কেরালা থেকে এসেছেন। “আমরা এসপির নেতৃত্বে পাঁচটি দল গঠন করেছি এবং তদন্ত চলছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ১০ জনকে হেফাজতে নিয়েছে  তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দোষীরা শাস্তি পাবেই।”

     

  • Bakrid: খোলা জায়গায়  ‘কুরবানি’ না দেওয়ার আর্জি ইমামদের

    Bakrid: খোলা জায়গায় ‘কুরবানি’ না দেওয়ার আর্জি ইমামদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ১০ জুলাই রবিবার পালিত হতে চলেছে বখরি ইদ বা ইদ-আল-আধা। মুসলিম সমাজের প্রধান দুটি উত্‍সবের অন্যতম হল এই বখরি ইদ। একে কুরবানির ইদও বলা হয়ে থাকে। এবছর ইদে খোলা রাস্তায় বা জনসমক্ষে কুরবানি না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ইমামরা। জুম্মার নমাজের পর তাঁরা এই আর্জি রাখেন সাধারণ মানুষের কাছে। কুরবানির কোনও ভিডিও তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট না করারও আবেদন রাখা হয়েছে।  ইমামদের তরফে বলা হয়েছে, দেশের আইন মেনে এবং শান্তিপূর্ণভাবে কুরবানি দেওয়াটাই প্রকৃত ইসলামের কাজ। এমন কোনও কাজ করা উচিত নয়, যা অন্যের অস্বস্তির কারণ হতে পারে। 

    প্রসঙ্গত, হিজরি ক্যালেন্ডারের ১২তম ও শেষ মাস ধুল হিজার দশমতম দিনে পালিত হয় ইদ-উল-আধা। আকাশে নতুন চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা এই উত্‍সব পালন করেন। গোটা বিশ্বের মুসলিমরা এদিন নতুন জামাকাপড় পরে, ভালো ভালো রান্না করে, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে এই দিনটি কাটান। ইদের প্রার্থনার পরেই কুরবানি দেওয়া হয়ে থাকে। কুরবানি দেওয়া পশুর মাংস তিন ভাগে ভাগ করেন মুসলিমরা। একটা ভাগ গৃহস্থ নিজে রাখেন, অন্য ভাগে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের মধ্যে ভাগ করে দেন এবং তৃতীয় ভাগটি দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়।

    বখরি ইদে ছাগল, উট বা অন্য কোনও পশুকে বলি দিয়ে সেই মাংস গরীবদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়ার প্রথা প্রচলিত আছে। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নিজের প্রিয় কিছু উত্‍সর্গ করাই হল কুরবানির ইদের মূল কথা। বকরি ইদ পালনের মধ্যে দিয়েই শেষ হয় মুসলিম ধর্মের অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য হজযাত্রা। আল্লাহের প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বাস প্রদর্শনের উত্‍সব এটি। সত্যের পথে থাকতে সবকিছুরই বলিদান দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তাই বকরিদের কুরবানির মাধ্যমে দেওয়া হয়। ইদের আগে মানুষের মধ্যে সেই ত্যাগের বার্তাই পৌঁছে দিতে চেয়েছেন দিল্লির ইমামরা।

  • Maharashtra Gujarat Flood: বন্যায় বিধ্বস্ত গুজরাট – মহারাষ্ট্র, মৃতের সংখ্যা ১০০-এর বেশি

    Maharashtra Gujarat Flood: বন্যায় বিধ্বস্ত গুজরাট – মহারাষ্ট্র, মৃতের সংখ্যা ১০০-এর বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্র (Maharashtra), গুজরাট (Gujarat)। সোমবার গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র-সহ অনেক জায়গায় ভারী বৃষ্টির কারণে জনজীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে মহারাষ্ট্রে ৮৯ জন ও গুজরাটে ৬৪  জন প্রাণ হারিয়েছেন। ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতর থেকে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ, জলে ডুবে মৃত আরও পাঁচ

    প্রবল বর্ষণের ফলে মুম্বইয়ের পালঘাই (Palghai) জেলার ভাসাই (Vasai) এলাকায় ভূমিধস নামায় সেই মুহূর্তেই একজন প্রাণ হারায় ও দুজন আহত হন। এখনও উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে। অনবরত বৃষ্টি হওয়ার ফলে অন্ধেরিতে ট্রেন চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটেছে। রাস্তাঘাট জলমগ্ন থাকায় যাতায়াতকারীদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৮৩৯-এর বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এদিন বৃষ্টিতে সাময়িক বিরতি হলেও একাধিক গ্রামে যোগাযোগের রাস্তা এখনও প্লাবিত। বিভিন্ন নদীর জলস্তরও বেড়ে গিয়েছে। এছাড়াও কিছু কিছু বাঁধের জল ছাড়ার ফলে মহারাষ্ট্রের একাধিক গ্রাম রামটেক, উমরেদ, ভিভাপুরে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    প্রবল বৃষ্টির ফলে গুজরাটের অবস্থাও বেশ ভয়াবহ। বেশ কিছুদিন ধরেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে গুজরাটে। সেই কারণেই তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। রাজ্যের একাধিক বাঁধের মধ্যে ন্যারি (Nyari) বাঁধের অবস্থা উদ্বেগজনক। উপচে পড়ছে নদী। সরকারি সূত্রের খবর, গুজরাটের একাধিক এলাকা বন্যাপ্রবণ। বৃষ্টির কারণে নদী উপচে পড়লে বিশাল এলাকা বানভাসি হয়ে গিয়েছে। ৯ হাজারের বেশি লোককে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে ও বন্যাপ্রবণ এলাকা থেকে ৪৬৮ জন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রবল বর্ষণের ফলে ৩৮৮-এর বেশি রাস্তা জলমগ্ন থাকায় বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। 

    বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে গুজরাট ও মহারাষ্ট্র। ভারী বৃষ্টিতে এই দুই রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১০০-এর বেশি মানুষ। জলমগ্ন হয়ে রয়েছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা।  তবে শুধুমাত্র গুজরাট, মহারাষ্ট্র নয়, দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যের অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে নাজেহাল অবস্থা।

  • Gyanvapi Row: শৃঙ্গার গৌরীর স্থলে পুজোর অধিকার চেয়ে আবেদন ৫ হিন্দু মহিলার, চলবে শুনানি

    Gyanvapi Row: শৃঙ্গার গৌরীর স্থলে পুজোর অধিকার চেয়ে আবেদন ৫ হিন্দু মহিলার, চলবে শুনানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসী জেলা আদালতে শুরু হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার (Gyanvapi Mosque Case)  শুনানি। এদিন দুপুর দুটোয় জেলার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এ কে বিশ্বাসের এজলাসে শোনা হয় আবেদনকারী পাঁচ হিন্দু (Hindu) মহিলা ভক্তের তরফে জ্ঞানবাপী চত্বরের মা শৃঙ্গার গৌরীস্থলে (Shringar Gauri)  পুজোআচ্চার জন্য আবেদনের পক্ষে যুক্তি।

    জুলাই মাসের চার তারিখে মুসলিম পক্ষের তরফে ৫১ দফা যুক্তি শুনেছিল আদালত। অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটিই দেখাশোনা করে জ্ঞানবাপী মসজিদ। ওই কমিটির আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছিলেন, ব্রিটিশ আমলেও জ্ঞানবাপী মসজিদের জমিতে মন্দির গড়ার দাবি উঠেছিল। ১৯৩৬ সালে বারাণসী আদালতে সেই আবেদন জানানো হলেও, ওই মসজিদে নমাজ আদায়ের অধিকার বজায় থাকে ১৯৩৭ সালের রায়ে। তার পর থেকে মসজিদে নিত্য নমাজ পড়েন নমাজিরা।

    ২০২১ সালের অগস্টে পাঁচজন হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর মা শৃঙ্গার গৌরী এবং মসজিদের ভিতরের পশ্চিমের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্ব রয়েছে দাবি করে তা পুজোর অনুমতি চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। এর পর দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটি মসজিদের ভিতরে সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দেয়। সেই ভিডিওগ্রাফির একটি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, তাতে দেখা গিয়েছে মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ রয়েছে। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, শিবলিঙ্গ নয়, ওজুখানার জলাধারে রয়েছে পুরানো ফোয়ারা।  

    ভিডিওগ্রাফির কাজ শেষ হওয়ার পরেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পায় বারাণসী জেলা আদালত। ১৯৯১ সালে সোমনাথ ব্যাস এবং রামরঙ্গ শর্মা নামে দুই আবেদনকারী জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুত্বের অধিকারের দাবিতেও একটি মামলা করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, ১৯৯১ এর ধর্মীয় উপাসনাস্থল আইন অনুযায়ী জ্ঞানবাপী মসজিদ আবেদনকারী পক্ষকে দেওয়া সম্ভব নয়। সেখানে বর্তমান বন্দোবস্তই বহাল থাকবে। ওই আইনের ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্টের আগে থেকে দেশে যেসব ধর্মীয় কাঠামো রয়েছে, তার চরিত্র কোনওভাবেই পালটানো যাবে না। যদিও হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন এবং হরিশঙ্কর জৈনের দাবি, ১৯৯১ সালের ওই আইন জ্ঞানবাপীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

     

  • BJP on Hamid Ansari: হামিদ আনসারি এবং পাক চর এক মঞ্চে, ছবি প্রকাশ বিজেপির 

    BJP on Hamid Ansari: হামিদ আনসারি এবং পাক চর এক মঞ্চে, ছবি প্রকাশ বিজেপির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সাংবাদিকের বেশে ভারতে আসা পাক গুপ্তচর ইস্যুতে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) হামিদ আনসারির (Hamid Ansari) বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)।  

    সম্প্রতি প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “পাকিস্তানি সাংবাদিক নুসরত মির্জাকে চেনেন না প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। ২০০৯ বা ২০১০ সালে সন্ত্রাসবাদ বা অন্য কোনও সম্মেলনে ওই সাংবাদিককে কখনও তিনি আমন্ত্রণ জানাননি।” আর এর পরেই প্রমাণ নিয়ে হাজির হয় বিজেপি। শুক্রবার একটি ছবি প্রকাশ করে বিজেপি দাবি করেছে পাক চর নুসরত মির্জার সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন হামিদ আনসারি। পাক সাংবাদিক নুসরত মির্জা এর আগেই দাবি করেছেন, ইউপিএ ভারতের সরকারে থাকাকালীন তিনি পাঁচবার ভারতে এসেছিলেন এবং যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে পাচার করেছিলেন। এমনকি মির্জা এও দাবি করেন, হামিদ আনসারির আমন্ত্রণেই তিনি ভারতে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। এরপরই শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে একটি ছবি প্রকাশ করেন বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া (Gaurav Bhatia)। তাঁর দাবি, ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সন্ত্রাসবাদ দমন সংক্রান্ত একটি সম্মেলেনে একই মঞ্চে ছিলেন হামিদ আনসারি ও নুসরত মির্জা।     

    আরও পড়ুন: সত্য গোপন করছেন হামিদ আনসারি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর সহ-জীবনীকারের
      
    নুসরত মির্জা আরও দাবি করেছিলেন, হামিদ আনসারি নাকি বেশ কিছু স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন। তবে সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন হামিদ আনসারি। গৌরব ভাটিয়া এদিন বলেন, “এরকম অনুষ্ঠানের আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার থেকে সবুজ সঙ্কেত নিতে হয়। তখন মুম্বই হামলার এক বছরও কাটেনি। তার মধ্যেই আইএসআই চরকে ভারতে আতঙ্কবাদ নিয়ে বক্তৃতা দিতে ডাকা হল?”  

    আরও পড়ুন: প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি পাক চরকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন! বিস্ফোরক দাবি

    এদিকে বিজেপির সুরেই সুর মিলিয়ে আনসারির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন অল ইন্ডিয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আদিশ আগরওয়াল। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল জামা মসজিদ ইউনাইটেড ফোরাম। সেই সম্মেলনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেই সম্মেলনে সাংবাদিক মির্জাকে আমন্ত্রণ করার জন্যে উপরাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে তাঁর ওপর চাপ এসেছিল। তিনি রাজী না হওয়ায় উপরাষ্ট্রপতি কার্যালয় তাঁর ওপর রুষ্ট হয়।”

  • Parliament Monsoon Session: সংসদ প্রাঙ্গণে পালন করা যাবে না বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি? 

    Parliament Monsoon Session: সংসদ প্রাঙ্গণে পালন করা যাবে না বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে (Parliament) অসংসদীয় শব্দে (Unparliamentary Words) নিষেধাজ্ঞা জারি বিতর্কের রেশ এখনও মেলায়নি। তার মধ্যেই শুরু ফের এক দফা বিতর্ক। শুক্রবার এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এবার সংসদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি পালন করা যাবে না। এদিন সংসদের দুই কক্ষের সচিবালয় থেকে চলতি বাদল অধিবেশনে এই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, এভাবে কার্যত গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।

    ১৮ জুলাই সংসদে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন (Monsoon Session)। শেষ হবে ১৩ আগস্ট। তার আগেই সংসদের তরফে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে হিন্দি, ইংরেজি মিলিয়ে প্রায় ৫০টি শব্দকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই শব্দগুলিকে অংসসদীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে পুস্তিকায়। তা নিয়ে কম হইচই হয়নি। যদিও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও শব্দেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। সংসদীয় রীতি মেনে সদস্যরা নিজস্ব বক্তব্য পেশ করতে পারেন।

    আরও পড়ুন :কোনও শব্দেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি, সাফ জানালেন লোকসভার স্পিকার

    শুক্রবার সচিবালয়ের তরফে জারি করা নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সাংসদরা সংসদ প্রাঙ্গণে কোনও বিক্ষোভ, ধরনা বা অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না। এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, স্পিকারের আগাম অনুমতি ছাড়া সংসদ চত্বরে কোনও পামফ্লেট, লিফলেট বা প্ল্যাকার্ড প্রকাশ করা যাবে না। পার্লামেন্টের ভিতরে প্ল্যাকার্ড কঠোরভাবে নিষিদ্ধও করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, বিশ্বগুরুর সর্বশেষ আক্রমণ…ধরনা নিষিদ্ধ। সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির মতে, এটি গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, এই ধরনের স্বৈরাচারী নির্দেশ জারি করে গণতন্ত্রকে উপহাস করা হচ্ছে। সংসদ ভবন কমপ্লেক্সে সাংসদের ধর্নার রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা আগেই রাজনৈতিক দলগুলিকে কোনও তথ্য ছাড়াই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি সম্পর্কে অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন।

     

  • Patna: পাটনায় ধৃত পাক স্লিপার সেলের সদস্য! হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যকলাপ

    Patna: পাটনায় ধৃত পাক স্লিপার সেলের সদস্য! হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যকলাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জঙ্গিজালের খোঁজ মিলল বিহারে (Bihar)। পাটনার (Patna) ফুলওয়াড়ি শরিফের কাছ থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় পাকিস্তানের ‘স্লিপার সেল’ (sleeper cell)- এর সদস্য মার্ঘুব আহমেদ দানিশ নামে এক যুবককে। ২৬ বছরের মার্ঘুব ওরফে ইলিয়াশ তাহির দেশে সন্ত্রাসের জাল বুনছিলেন বলে জানান পাটনার সিনিয়র সুপারেন্টেন্ড অফ পুলিশ মানবজিৎ সিং ধীলন (senior superintendent of police, Manavjit Singh Dhillon)। তাহির এখানে দুটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছিল।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক! ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র করার ডাক জঙ্গিদের

    মানবজিৎ জানান, এই গ্রেফতারের সঙ্গে আগের কোনও ঘটনার যোগ নেই। নতুন করে ইলিয়াশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তিনি জানান,’গাজওয়া-ই-হিন্দ’ বা ‘ডিরেক্ট জিহাদ ২০২৩’নামে দুটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালায় তাহির। বাংলাদেশ, ইয়েমেনের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে তাহিরের। এই গ্রুপের মাধ্যমে কাশ্মীরেও জঙ্গিকার্যকলাপে মদত দেওয়া হয়। এই গ্রুপের মাধ্যমে স্থানীয়দের সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে প্ররোচনা দেয় তাহির। পুলিশ সূত্রে খবর, তাহির পাটনার ছেলে। তার আত্মীয়েরা করাচিতে থাকে। সে ২০০৬ সাল থেকে আরবে কাজ করত। কোভিডের সময় পাটনায় আসে। এরপর এখান থেকেই জঙ্গিকার্যকলাপ চালায় সে।  তদন্তে জানা গিয়েছে, অন্য রাজ্য থেকেও পাটনায় তাহিরের সঙ্গে দেখা করতে লোকজন আসত। পরিচয় গোপন রাখতে নাম বদল করে তাহিরের গ্রুপে যোগ দিত তারা। ধৃতের কাছ থেকে বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদী নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে। তার সঙ্গে একাধিক বিদেশি সংস্থার সদস্যদেরও যোগাযোগ ছিল বলে জানতে পেরছে পুলিশ। ওই সংগঠনগুলি ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে মদত জোগায় বলে দাবি বিহার পুলিশের।

    আরও পড়ুন: ৩৬টি রাফালই ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, জানালেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

    প্রসঙ্গত, বুধবার গভীর রাতে পাটনার ফুলওয়ারি শরিফ থেকে ঝাড়খণ্ড পুলিশের এক প্রাক্তন আধিকারিক-সহ দু’জনকে জঙ্গি-যোগ থাকার জন্য গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা জঙ্গি গোষ্ঠী পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-এর সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি পুলিশের। তবে এদের সঙ্গে তাহিরের যোগ রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। 

     

  • Nupur Sharma case: নূপুরকে ভর্ৎসনা! সুপ্রিম পর্যবেক্ষণের সমালোচনায় আদালত অবমাননা হয়নি, মত অ্যাটর্নি জেনারেলের

    Nupur Sharma case: নূপুরকে ভর্ৎসনা! সুপ্রিম পর্যবেক্ষণের সমালোচনায় আদালত অবমাননা হয়নি, মত অ্যাটর্নি জেনারেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দুই বিচারপতির পর্যবেক্ষণের সমালোচনার মামলায় প্রাক্তন বিচারক ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার অনুমতি দিলেন না দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল (Attorney General KK Venugopal)।

    আদালত অবমাননা আইনের ১৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টে কোনও ব্যক্তি যদি আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করতে চান, তা হলে অ্যাটর্নি জেনারেলের সম্মতি প্রয়োজন হয়। তাই আইনজীবী সিআর জয় সুকিন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালের কাছে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি এসএন ধিংড়ার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অবমাননার মামলা শুরু করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। বেণুগোপালকে পাঠানো আবেদনে ওই আইনজীবী লিখেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট নূপুর মামলায় যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন, বেআইনি এবং অনৈতিক বলে অভিহিত করেছেন বিচারপতি ধিংড়া।’ পাশাপাশি সুকিন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের কড়া সমালোচনার অভিযোগে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আমন লেখি ও প্রবীণ আইনজীবী কে রামকুমারের বিরুদ্ধেও অবমাননার মামলা শুরু করার আবেদন জানান বেণুগোপালের কাছে। এই দু’জনের বিরুদ্ধেও সুপ্রিম কোর্টের নূপুর পর্যবেক্ষণের সমালোচনার অভিযোগ করেছেন সুকিন।

    আরও পড়ুন: ৩৩ কোটি হিন্দু দেব দেবীর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন! দুঃখিত আজমীর শরিফের ধর্মগুরু আদিল চিস্তি

    যদিও অ্যাটর্নি জেনারেল সুকিনের আবেদনে সাড়া দেননি। বেণুগোপাল জানিয়েছেন, নীতিগত এবং যুক্তিসঙ্গত সমালোচনা আদালত অবমাননার আওতায় পড়ে না।  তাই নতুন করে মামলা শুরু করার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গত, পয়গম্বরকে নিয়ে নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সারা দেশে বিভিন্ন থানায়  তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়র করা হয়। নূপুর সেই সমস্ত অভিযোগকে এক সঙ্গে দিল্লিতে স্থানান্তরের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলাতে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নূপুরকে ভর্ৎসনা করে এবং বলে, দেশে যে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য একা নূপুর দায়ী। সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণে আপত্তি জানান দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ধিংড়া-সহ কয়েক জন। 

  • Unparliamentary Words Row: কোনও শব্দেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি, সাফ জানালেন লোকসভার স্পিকার

    Unparliamentary Words Row: কোনও শব্দেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি, সাফ জানালেন লোকসভার স্পিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও শব্দেই কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। সাংসদরা স্বাধীনভাবে তাঁদের মতামত জানাতে পারেন। তবে সংসদীয় পরম্পরা মেনে বক্তব্য রাখাই বাঞ্ছনীয়। অসংসদীয় শব্দ (Unparliamentary Words) নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই এমন মন্তব্য করেন লোকসভার (Lok Sabha) স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla)।

    ৮ জুলাই বাদল অধিবশেন শুরুর আগে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে কেন্দ্র জানিয়ে দেয় গণতন্ত্রের মন্দিরে আপত্তিকর এবং অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগ করা যাবে না। সম্প্রতি বিলি করা হয়েছে ওই পুস্তিকা। তাতে অংসদীয় শব্দের বেশ কিছু তালিকাও দেওয়া হয়েছে। হিন্দির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ইংরেজি শব্দও এতে রয়েছে। সংসদে বক্তব্য রাখার সময় এই শব্দগুলি ব্যবহার করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে পুস্তিকায়। এর মধ্যে রেয়েছে জুমলেবাজি, শকুনি, তানাশাহি, গদ্দার, দালাল, বহেরি সরকার, কালা দিনের মতো শব্দ। এই সব হিন্দি শব্দের পাশাপাশি রয়েছে কিছু ইংরেজি শব্দও। এগুলি হল, ডাংকি, অ্যাবিউজড, কোরাপ্ট, কাউওয়ার্ড, ক্রিমিনাল, ড্রামা, ক্রোকোডাইল টিয়ার্স প্রভৃতি। শব মিলিয়ে অসংসদীয় শব্দের সংখ্যা পঞ্চাশের কাছাকাছি। এই পরেই সূত্রপাত হয় বিতর্কের।

    আরও পড়ুন : ৩৩ কোটি হিন্দু দেব দেবীর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন! দুঃখিত আজমীর শরিফের ধর্মগুরু আদিল চিস্তি

    বিতর্কে ইতি টানতে উদ্যোগী হয়েছেন লোকসভার স্পিকার স্বয়ং। তিনি বলেন, এই ধরনের পুস্তিকা প্রকাশ হয়ে আসছে ১৯৫৯ সাল থেকে। কোনও শব্দই নিষিদ্ধ করা হয়নি। সংসদের সদস্যরা তাঁদের নিজেদের মতামত জানাতে পারেন। কারওরই কোনও কোনও অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না। তবে সংসদীয় পরম্পরা মেনে বক্তব্য রাখাই বাঞ্ছনীয়। তিনি বলেন, আগেও এ ধরনের পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে। কাগজের অপব্যবহার রুখতে আমরা সেগুলিকে ইন্টারনেটে রেখে দিয়েছি। কোনও শব্দই নিষিদ্ধ করা হয়নি। 

    আরও পড়ুন :ভারত এগোচ্ছে, প্রগতির ছবিও স্পষ্ট, জানালেন মোহন ভাগবত

    ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর কটাক্ষ, নতুন ভারতের নতুন অভিধান। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে পদ্ম শিবিরও। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, লোকসভার স্পিকার পুরো ঘটনাটি তুলে ধরেছেন। বিরোধীদের ধোঁয়াশা পরিষ্কারও করে দিয়েছেন তিনি। তার পরেও অযথা বিতর্ক হচ্ছে। বিরোধীরা এই অধিবেশনে তোলার মতো কোনও ইস্যু পাচ্ছেন না। তাই এটা নিয়ে হইচই করছেন। সম্বিত বলেন, স্পিকার তো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও শব্দই নিষিদ্ধ করা হয়নি।

     

  • RBI: “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! সম্মতি আরবিআইয়ের

    RBI: “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! সম্মতি আরবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ান কারেন্সি রুবেলকে এদেশের মুদ্রা রুপিতে রূপান্তরিত করে চলবে ভারত-রাশিয়া বাণিজ্য। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা চলছিল। এবার তাতে সম্মতি দিল আরবিআই (RBI)। এটা করতে গেলে রুশ ব্যাংকগুলিকে ভারতীয় ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুপি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একইভাবে ভারতীয় ব্যাংকগুলিও রাশিয়ার ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুবল অ্যাকাউন্ট খুলবে। দুই দেশই অ্যাকাউন্টে একশো কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের রুপি এবং রুবল জমা রাখবে। এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলেই ডলার এড়িয়েই দিব্যি বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারবে পুতিনের রাশিয়া এবং মোদির (Modi) ভারত। শুধু রাশিয়া নয় রুপির সঙ্গে যে কোনও দেশই এই বিনিময় করতে পারবে। এর ফলে ইরান-সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের লেনদেন সহজ হবে।

    রাশিয়া ইউক্রেনে (Russia Ukraine) সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই রুবেলের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে থাকে পশ্চিমী দেশগুলি। এমতাবস্থায় ভারত স্থানীয় মুদ্রা (রুপি বা রুবেল) ব্যবহার করে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সহজতর করার জন্য ভাবনা চিন্তা করে ভারত। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১০.৮ বিলিয়ন ডলার। যা কিনা দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির মোট বাণিজ্যের থেকে ১.৫ শতাংশ কম। রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়ার উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপায় পশ্চিমের দেশগুলি। যা ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক সরবরাহকে ব্যহত করে ও ফলে দাম বৃদ্ধি পায় নানা আমদানি করা পণ্যের। যা ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের পরিস্থিতিকে ঘোরালো করে তুলেছে। তাই নয়া এই নীতি গ্রহণ করা হল, বলে মনে করছে অর্থনৈতিক মহল। 

    ভারতীয় টাকা বা রুপির (Rupee) পতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন ডলারের (US Dollar) সাপেক্ষে সর্বকালের সর্বনিম্নস্তরে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় টাকা (Indian Rupee)। দেখা যায়, ৭৯.৫৫-র স্তরে চলে গিয়েছে রুপি (Rupee)। ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, বাণিজ্যে ঘাটতি বৃদ্ধি, ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভে পতন, ফরেন ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরস বা এফআইআই (FII)-এর বহির্গমন এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভারতীয় টাকা বেশ চাপের মধ্যেই রয়েছে। তাই আরবিআইয়ের এই প্রয়াস বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

LinkedIn
Share