Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Medha Patkar: প্রতারণা করেছেন মেধা পাটকর! এফআইআর দায়ের

    Medha Patkar: প্রতারণা করেছেন মেধা পাটকর! এফআইআর দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর নেতৃত্বেই শুরু হয়েছিল ‘নর্মদা বাঁচাও’ (Narmada Bachao movement) আন্দোলন। এবার সেই সমাজকর্মী (Social Activist) মেধা পাটকর (Medha Patkar)-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সংগৃহীত তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠল। তাঁর  বিরুদ্ধে উঠেছে প্রতারণা ও দেশ বিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগও। মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানি থানায় (Barwani Police Station) এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, আদিবাসী শিশুদের (Tribal children) মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের নামে ১৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় (IPC section 420) মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বিজেপি শাসিত শিবরাজ সরকারের পুলিশ। মেধা অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনার নয়া রণকৌশল, চিনকে কুপোকাত করতে মান্দারিন ভাষা শিক্ষা

    ২০০৪-এ আদিবাসী শিশুদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে ‘নর্মদা নবনির্মাণ অভিযান’ (Narmada Navnirman Abhiyan) নামে একটি অলাভজনক সংগঠন তৈরি করা হয়। এই সংগঠনেরই ট্রাস্টি বোর্ডের (Trustee Board) অন্যতম সদস্য মেধা পাটকর। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারী প্রীতম রাজের (Pritam Raj) দাবি, ১৩.৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন মেধা সহ ১২ জন। সংস্থার ট্রাস্টি বোর্ডের কাছে ১৪ বছরের ওই সংগৃহীত অর্থের কোনও হিসেব নেই। দেশবিরোধী প্রচারে ওই অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। শনিবার দায়ের হওয়া এফআইআরে মেধা ছাড়াও নাম রয়েছে পারভিন রুমি জাহাঙ্গির, বিজয়া চৌহান ও প্রমুখের। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে মেধা পাটকরের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। ইডি ছাড়াও মেধা ও তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে একই অভিযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স ও আয়কর দপ্তর।

    মেধা পাটেকর অবশ্য সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। সমাজকর্মী জানিয়েছেন, ‘প্রত্যেকটি আর্থিক বিষয় নিয়ে আমাদের কাছে অডিট রিপোর্ট রয়েছে। আমরা দিল্লির উপরাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলাতেও জিতেছি। কারণ আমরা বিদেশ থেকে অনুদান গ্রহণ করি না। ভবিষ্যতেও সব প্রশ্নের জবাব দেব, প্রমাণও পেশ করব।’

     

  • Delhi Bureaucrats Transfer: দিল্লিতে বিরাট প্রশাসনিক রদবদল, নেপথ্যে কারণ দুর্নীতি? 

    Delhi Bureaucrats Transfer: দিল্লিতে বিরাট প্রশাসনিক রদবদল, নেপথ্যে কারণ দুর্নীতি? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) বাড়িতে সিবিআই হানার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বড় প্রশাসনিক রদবদল (Bureaucratic Reshuffle) হল দিল্লিতে (Delhi)। ১২ জন সরকারি আধিকারিককে বদলির নির্দেশ দিলেন লেফটেল্যান্ট গভর্নর (L-G Delhi)। দিল্লি সরকারের জারি করা বদলির নির্দেশিকা অনুযায়ী, যাঁদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের বিশেষ সচিব, অরুণাচল প্রদেশ-গোয়া-মিজোরাম এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ক্যাডারের ২০০৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার, উদিত প্রকাশ রাই (Udit Prakash Rai)।  

    আরও পড়ুন: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির

    দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনাই কুমার সাক্সেনা সম্প্রতি উদিত প্রকাশ রাই- এর বিরুদ্ধে দুটি দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, উদিত প্রকাশ রাইকে প্রশাসনিক সংস্কার বিভাগে বিশেষ সচিব পদে বদলি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বে সামলাচ্ছেন মণীশ সিসোদিয়া। উদিত প্রকাশ রাইয়ের জায়গায় আসতে চলেছেন ২০০৭ ব্যাচের আইএএস বিজেন্দ্র সিং রাওয়াত। 

    নির্দেশ অনুসারে, ১৯৯০ ব্যাচের অফিসার জিতেন্দ্র নারায়ণকে দিল্লি ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (ডিএফসি) এর চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক করা হয়েছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেমন্ত কুমারকে ডিএফসি-এর নির্বাহী পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের মুম্বইয়ে জঙ্গি-নাশকতার ছক! মিলল অস্ত্রবোঝাই নৌকা, কী বলছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী

    বিবেক পাণ্ডেকে সচিব (আইটি) হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে এবং জিওস্পেশিয়াল দিল্লি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং কেন্দ্রশাসিত সিভিল সার্ভিসের ডিরেক্টরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে তিনি প্রশাসনিক (সংস্কার) সচিব পদে ছিলেন। ২০০৪ ব্যাচের আইএএস শুরবীর সিংকে সমন্বয় সচিবের এর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিদ্যুৎ সচিবের এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তিনি দিল্লি সাবোর্ডিনেট সার্ভিস সিলেকশন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকবেন। 

    অফিসার গরিমা গুপ্তকে পরিবহণের বিশেষ সচিব পদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তিনি শাহজাহানাবাদ পুনঃউন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু উন্নয়নের সচিব পদে বহাল থাকবেন বলে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। 

    ২০০৫ ব্যাচের অফিসার আশিস মাধোরাও মোরেকে সচিব (পরিষেবা)-এর অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিনি সাধারণ প্রশাসনিক দফতর এবং মুখ্য সচিবের স্টাফ অফিসার হিসাবে তাঁর আগের দায়িত্বে বহাল থাকবেন। নারী ও শিশু উন্নয়ন অধিদফতরের পরিচালক কৃষ্ণ কুমারকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে রেজিস্ট্রার সমবায় সমিতির অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

    ২০১০ ব্যাচের আধিকারিক কল্যাণ সাহাই মীনাকে নগর উন্নয়নের বিশেষ সচিব হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। নারী ও শিশু উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক কৃষ্ণ কুমারকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে রেজিস্ট্রার সমবায় সমিতির অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    ২০১০ ব্যাচের অফিসার কল্যাণ সহায় মীনাকে নগরোন্নয়নের বিশেষ সচিব হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এর আগে তিনি প্রশাসনিক সংস্কারের বিশেষ সচিব পদের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১২ ব্যাচের অফিসার সোনাল স্বরূপকে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বিশেষ সচিব হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এর আগে তিনি দিল্লি মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনে অতিরিক্ত কমিশনারের পদে ছিলেন।  

  • SC on Bail Petition: জামিন নিয়ে নয়া আইন! জানুন কী বলল সুপ্রিম কোর্ট

    SC on Bail Petition: জামিন নিয়ে নয়া আইন! জানুন কী বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরে যাচ্ছে জেল! বন্দিদের জামিন নিয়ে নতুন বিধি ( new Act on bails) আনতে কেন্দ্রের (Central Government) কাছে আহ্বান জানালো শীর্ষ আদালত।  কোনও দিনও যেন দেশ ‘পুলিশ স্টেট’ হয়ে না যায়! এই বার্তা দিয়েই জামিনের বিধি নিয়ে বক্তব্য রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কেন্দ্রীয় সরকার যাতে জামিনের আইন নিয়ে নতুন করে ভাবনা চিন্তা করে তার আর্জি জানানো হয়েছে। শীর্ষ আদালতের তরফে, অপরাধীদের সুবিচারের দিকটিও বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে জামিন অল্ট নিউজের মহম্মদ জুবেরের, দিল্লি মামলায় থাকতে হচ্ছে জেলেই

    একটি মামলার রায়দানের সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কৌল, এমএম সুন্দরেশ দুঃখের সুরে জানিয়েছেন, দেশে সমস্ত জেল ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। আইন ভাঙার দায়ে গ্রেফতার হচ্ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ। একথা সরকারকে মাথায় রাখতে হবে।  যাতে দেশে অকারণে গ্রেফতারি এড়ানো যায়, সে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে হবে আইনসভায়। বিশেষত যে সমস্ত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর পর্যন্ত জেল রয়েছে, তার ক্ষেত্রে বিধি-সরলীকরণ করা উচিত। তাঁদের মতে দেশের বিভিন্ন আদালতে ‘নেতিবাচক’ ভাবে জামিনের আবেদনের শুনানি হয়। যা কখনওই কাম্য নয়। এভাবে চলতে থাকলে দেশ একদিন ‘পুলিশ স্টেট’ হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: আম্বানিদের কেন জেড প্লাস নিরাপত্তা? ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম-স্থগিতদেশ

    প্রসঙ্গত, দেশে যখন মহম্মদ জুবেরের (Mohammed Zubair) গ্রেফতারি সহ একাধিক ঘটনা ঘটছে, তখন সুপ্রিম কোর্টের এই বক্তব্য বেশ প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, অপরাধমূলক ঘটনায় দেশে ‘দোষী’র সংখ্যা খুবই অল্প। নানা মামলায় ‘অভিযুক্ত’ এর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে কঠোর এবং সুচিন্তিত মতামত নিতে হবে, বলে মনে করে শীর্ষ আদালত। দেশের সমস্ত কোর্টে অপরাধ নিয়ে সমানভাবে পদক্ষেপ করার কথাও বলা হয়েছে। 

     

  • RSS On Udaipur Incident : উদয়পুর-কাণ্ডে মুসলিমরাও স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে সামিল হোন! আর্জি আরএসএসের

    RSS On Udaipur Incident : উদয়পুর-কাণ্ডে মুসলিমরাও স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে সামিল হোন! আর্জি আরএসএসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুরে  (Udaipur) হিন্দু দর্জি কানাহাইয়া লালকে (Hindu Tailor Kanhaiya Lal) নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানো থেকে বিরত থাকতে মুসলিম সম্প্রদায়ের (Muslim Community) প্রতি আবেদন জানাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। সেই সঙ্গে ওই ঘটনার নিন্দা করার জন্য মুসলিমদের কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। উদয়পুরে হিন্দু দর্জি খুনের ঘটনায় দেশ উত্তাল হলেও এই প্রথম প্রতিক্রিয়া জানাল আরএসএস (RSS)। 

    সাসপেন্ডেড বিজেপি (BJP) নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট (Facebook Post) করার দায়ে খুন করা হয়েছিল উদয়পুরের বাসিন্দা হিন্দু দর্জি কানহাইয়া লালকে। হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ এবং সাংবিধানিক পথে এই ঘটনার প্রতিবাদ করছে ৷ মুসলিমদেরও উচিৎ সেই বিক্ষোভে সামিল হওয়া ৷ উদয়পুর-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতেই এই অভিমত জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। আরএসএস মুখপাত্র সুনীল আম্বেদকর (RSS Spokeperson Sunil Ambekar) বলেন, “আমাদের সকলের একসঙ্গে প্রতিবাদ করা উচিত”। তিনি বলেন, “ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। কোনও কিছু না পছন্দ হলে সবার অধিকার আছে প্রতিবাদ জানানোর। কিন্তু তা গণতান্ত্রিকভাবেই করতে হবে। সভ্য সমাজে কখোনই এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। হিন্দুরা যেমন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তেমনই উদয়পুরের মতো ঘটনা থেকে বিরত থাকতে হবে মুসলিম সম্প্রদায়কেও।”

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ হিন্দু দর্জির, উত্তাল রাজস্থান, বন্ধ ইন্টারনেট

    সম্প্রতি রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রান্ত প্রচারকদের নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছিল আরএসএস। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন সঙ্ঘের প্রধান তথা সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat), সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসবোলে (Dattatreya Hosbole) সহ সঙ্ঘের শীর্ষ নেতারা। অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারকদের নিয়ে তিন দিন ধরে বৈঠক চলে ৷ শিবিরের শেষ দিনে মুখপাত্র জানান, এখন দেশে আরএসএস-এর শাখার সংখ্যা ৫৬ হাজার ৮২৪। ২০২৫-এ সংঘের একশো বছর ৷ ২০২৪-এ তার আগে সংঘের শাখা এক লক্ষে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে সংগঠন। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য সমাজের সব শ্রেণির মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করবে আরএসএস, এমনটাই জানানো হয় সংঘের তরফে ৷

  • Rafale M vs F/A 18 Super Hornets: মার্কিন এফ-১৮ না ফরাসি রাফাল! শীঘ্রই সিদ্ধান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর

    Rafale M vs F/A 18 Super Hornets: মার্কিন এফ-১৮ না ফরাসি রাফাল! শীঘ্রই সিদ্ধান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মার্কিন এফ-১৮ (US F/A 18 Super Hornets) বা ফরাসি রাফাল (French Rafale M) কিনতে আগ্রহী নৌসেনা (Navy)। দেশে তৈরি তেজস (TeJas) থাকলেও বিদেশি বিমানের উপরেই আপাতত ভরসা রাখছে ভারতীয় নৌসেনা। নৌসেনা সূত্রে জানা গেছে, নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরীর জন্য প্রাথমিকভাবে মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা বোয়িংয়ের তৈরি ‘এফ-এ ১৮ সুপার হর্নেট’ বা ফ্রান্সের যুদ্ধবিমান নির্মাতা সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের তৈরি ‘মেরিন রাফাল’কে পছন্দের তালিকায় রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    গত কয়েক মাস ধরে গোয়ার নৌঘাঁটি আইএনএস হংস থেকে দুটি যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পরীক্ষার ভিত্তিতেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি (DAC) এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এর আগে বায়ুসেনার জন্যও যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের তৈরি যুদ্ধবিমান। শেষপর্যন্ত দাম এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে ফ্রান্সের তৈরি মেরিন রাফালকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছিলেন এই বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও, রইল তালিকা

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রামাদিত্যে এবং আইএনএস বিক্রান্তে ব্যবহারের জন্য কয়েক বছর আগে থেকেই রুশ মিগ-২৯কে’র বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হালকা যুদ্ধবিমান তেজস ব্যবহার করার কথা ভাবা হয়েছিল। সে লক্ষ্যে তেজসের কয়েক দফা পরীক্ষাও চলেছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, অ্যারেস্টেড ল্যান্ডিংয়ে সফল হলেও অন্যান্য ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে তেজস। অ্যারেস্টর হুকের সাহায্যে ৯০ মিটারের মধ্যে গতিবেগ ২৪৪ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিল তেজস। তবে অস্ত্রবহন ক্ষমতা ও বেশিক্ষণ ওড়ার ক্ষেত্রে তেজস আমেরিকা ও ফরাসি যুদ্ধবিমানের তুলনায় একটু পিছিয়ে। তাই রাফাল বা সুপার হর্নেটের মধ্য থেকে কোনও একটিকে বেছে নিতে চাইছে নৌসেনা। পরবর্তী পর্যায়ে তেজসকে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে, বলে আশাপ্রকাশ করছেন এক নৌসেনা আধিকারিক।

  • Recession: দেশে এখনই মন্দার সম্ভাবনা নেই! জানুন কী বলছেন অর্থনীতিবিদরা

    Recession: দেশে এখনই মন্দার সম্ভাবনা নেই! জানুন কী বলছেন অর্থনীতিবিদরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু ভারত (India) নয়, গোটা বিশ্বই মুদ্রাস্ফীতির এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই মন্দা (recession) অত্যন্ত ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে। বেশ কিছু বড় দেশে এই মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক মন্দার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়তে চলেছে। তবে বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ এখনও খোলা রয়েছে ভারতের সামনে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে এক সমীক্ষায়।

    আরও পড়ুন: ফের ৫টি ভারতীয় জলাভূমিকে অন্তর্ভুক্ত করা হল রামসার সাইটে

    সম্প্রতি সারা বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা একটি সমীক্ষা করে দেখেছেন, বহু দেশের অর্থনীতি আগামী এক বছরের মধ্যে মন্দার সম্মুখীন হতে পারে। কিন্তু ভারতে সেই সংকটের সম্ভাবনা শূন্য। শ্রীলঙ্কা বর্তমানে আর্থিক সংকটের মুখে। সেখানে আগামী এক বছরে মন্দায় পড়ার সম্ভাবনা ৮৫ শতাংশ। কিন্তু ভারতের উপর বিশ্বব্যপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব হবে মাঝারি এবং স্বল্পমেয়াদী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার প্রভাব দেশে পরোক্ষভাবে পড়বে। মার্কিন মন্দা ভারতের রপ্তানিকে মন্থর করতে পারে তবে সেক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দামও কমে যাবে যা ইতিবাচক। রপ্তানি বাজার হিসাবে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর প্রচুর নির্ভরতার কারণে ভারতের রপ্তানি নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হবে এবং বিশ্ব বাণিজ্য ধীর হয়ে যাবে, বলে দাবি অর্থনীতিবিদদের।

    আরও পড়ুন: ২৩ তম কার্গিল বিজয় দিবসে বীর শহীদদের শ্রদ্ধার্ঘ্য বলিউড তারকাদের

    সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (RBI) তরফে স্টেট অব ইকোনমি রিপোর্টে জানানো হয়েছিল যে, বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছতে চলেছে। এর প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিতেও পড়তে চলেছে। তবে এই মুদ্রাস্ফীতি থেকে মুক্তি পাওয়ার  উপায় রয়েছে ভারতের কাছে। রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের তরফে জানানো হয়, যদি নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম কমানো হয় এবং সরবরাহ চেইনের উপরে তৈরি চাপ কমানো হয়,তবে মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। এই নীতি অনুসরণ করা হলে যদি দেশের অর্থনীতির উপরে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়ে,তবুও সেই প্রভাব খুব একটা গুরুতর হবে না।

  • IAF MiG-21 Crash: ফের দুর্ঘটনার কবলে মিগ ২১, মৃত দুই পাইলট

    IAF MiG-21 Crash: ফের দুর্ঘটনার কবলে মিগ ২১, মৃত দুই পাইলট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান মিগ-২১ (MiG-21 Aircraft)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজস্থানের (Rajasthan) বারমের জেলায় (Barmer District) প্রশিক্ষণের সময় ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) যুদ্ধবিমানটি ভেঙে পড়ে। সেই মুহূর্তে তাতে দুজন পাইলট (Pilot) ছিলেন। দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বায়ুসেনা। আকাশেই আগুন লেগে যায় বিমানটিতে।  

    বায়ুসেনা বিবৃতিতে দিয়ে জানিয়েছে, “বায়ুসেনার একটি বা দুই আসন-বিশিষ্ট মিগ-২১ ট্রেনার যুদ্ধবিমান রাজস্থানের উতারলাই বিমান ঘাঁটি থেকে প্রশিক্ষণের জন্য উড়ছিল। রাত ৯টা ১০ নাগাদ বিমানটি বারমেরের কাছে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। দুজন পাইলটেরই মৃত্যু হয়েছে। বায়ুসেনা গভীরভাবে অনুতপ্ত। শোকাহত পরিবারের পাশে রয়েছি আমরা। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য কোর্ট অফ ইনকোয়ারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: এলএসি-তে উড়ছে চিনা যুদ্ধবিমান! জবাবে দ্বিতীয় এস-৪০০ স্কোয়াড্রন মোতায়েন ভারতের

    [tw]


    [/tw]

    [tw]”      


    [/tw]

    দুর্ঘটনার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীর (ACM VR Chaudhury) সঙ্গে কথা বলেছেন। ঘটনায় শোক প্রকাশ করে তিনি ট্যুইটারে লেখেন, “রাজস্থানের বারমেরের কাছে বায়ুসেনার মিগ-২১ প্রশিক্ষক বিমানের দুর্ঘটনার কারণে দুই যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য আমি গভীরভাবে মর্মাহত। দেশের জন্য তাঁদের সেবা কখনই ভোলার নয়। শোকের এই মুহূর্তে আমি শোকাহত পরিবারের পাশে রয়েছি।” 

    [tw]


    [/tw]

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলেট শোকরপ্রকাশ করে বলেছেন, “বারমেরে আইএএফ মিগ-২১ প্রশিক্ষক বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং কর্তব্যরত অবস্থায় দুই আইএএফ পাইলট প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় আমি গভীরভাবে দুঃখিত। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। তাঁরা যেন এই ক্ষতি সহ্য করে শক্ত থাকেন। আমরা তাঁদের পাশে আছি। তাঁদের সঙ্গে দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার জন্য পাশে থাকব।”

    আরও পড়ুন: অরুণাচল প্রদেশে ঘন অরণ্যে ৭ শ্রমিকের খোঁজ মিলল, এখনও নিখোঁজ ১২

    ১৯৬০ সালে প্রথম ভারতে আসে রাশিয়ার তৈরি এই যুদ্ধবিমান। তারপর থেকে প্রায় ২০০টি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার এই বিমানটি। প্রতিরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট মার্চে রাজ্যসভায় জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে ৪২ জন সেনা কর্মী দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৪৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বায়ুসেনায় দুর্ঘটনাই ২৯টি।

     

     

  • Chess Olympiad: চেজ ওলিম্পিয়াডের পোস্টারে প্রধামমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ছবি,  কী বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট?

    Chess Olympiad: চেজ ওলিম্পিয়াডের পোস্টারে প্রধামমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ছবি, কী বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেন্নাইতে হতে চলেছে ৪৪তম চেজ ওলিম্পিয়াড(Chess Olympiad)। সেই উপলক্ষে টাঙানো হয়েছে বিলবোর্ড (Bill Board)। তাতে ছবি নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। এর পরেই কয়েকজন বিজেপি (BJP) কর্মী গিয়ে বিলবোর্ডে সাঁটিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এর ঠিক পরের দিনই মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court) তামিলনাড়ু সরকারকে সাফ জানিয়ে দেয়, ওলিম্পিয়াডের বিলবোর্ড, পোস্টারে রাখতে হবে রাষ্ট্রপতি (President) এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি।
    কিছুদিন পরেই তামিলনাড়ুতে হতে চলেছে ৪৪তম চেজ ওলিম্পিয়াড। আন্তর্জাতিক এই দাবা প্রতিযোগিতা উপলক্ষে শহর ছয়লাপ মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছবি সম্বলিত পোস্টারে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হওয়া সত্ত্বেও তাতে রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী ছবি ছিল না। আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে যখন দেশ ব্যস্ত তখন রাষ্ট্রপতির ছবি মেলেনি। তাই পোস্টারে ছবি দেওয়া হয়নি রাষ্ট্রপতির। আর পোস্টারে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া হয়নি কারণ, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তাঁর ছবি ছাপার অনুমতি এসেছিল দেরিতে।

    আরও পড়ুন : শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নবম-দশমেও, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    রাজ্য সরকারের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি মুনিশ্বর নাথ ভাণ্ডারি ও বিচারপতি এ আনন্থির ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁরা জানান, দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে জাতির গুরুত্বটাই সবার ওপরে হওয়া উচিত। যে কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের ছবি থাকে। কারণ তাঁরাই দেশের প্রতিনিধি। এটা শুধুই দেশের উন্নতির চিত্র প্রদর্শন নয়, এটা অল্প সময়ে ওই দেশের আয়োজনের ক্ষমতাও প্রমাণ করে। রাজ্য সরকার সহ প্রত্যেক সরকারের এ ব্যাপারে কাজ করা উচিত। যখন দেশ এমন এক আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে, তখন সেটা যাতে নিখুঁতভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেটা যাতে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। জেলা প্রশাসনকে আদালত এও জানিয়ে দিয়েছে, যেসব বিজ্ঞাপনে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও মাননীয় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধামন্ত্রীর ছবি রয়েছে, তা যেন বিকৃত করা না হয়। যদি  এমন খবর আসে, তাহলে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। 

    আরও পড়ুন : রনিল বিক্রমাসিংহেকে ‘চিঠি’ দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি

     

     

  • Rashtrapatni Remark Row: অধীরের ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যে ফাটল কংগ্রেসেই, নিন্দার ঝড় বিজেপিতে

    Rashtrapatni Remark Row: অধীরের ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যে ফাটল কংগ্রেসেই, নিন্দার ঝড় বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) ‘রাষ্ট্রপত্নী’ (Rashtrapatni) মন্তব্যের জেরে ফাটল দলের অন্দরেই। কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি (Manish Tewari) অধীরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জানিয়েছেন কড়া প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানকে সম্মান জানানো উচিত।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে জেরা করছে ইডি (ED)। এনিয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন বহরমপুরের সাংসদ কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই সময়ই অধীর দেশের পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) সম্পর্কে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ শব্দটি প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ। সংসদে তিনি বলেছিলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। ভারতের রাষ্ট্রপতি না, না, রাষ্ট্রপত্নীর কাছে যাব।

    আরও পড়ুন : অধীরের ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যে তোলপাড় সংসদ, ক্ষমা চাওয়ার দাবি বিজেপির

    অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে লোকসভার পাশাপাশি গন্ডগোল শুরু হয় রাজ্যসভায়ও। পাল্টা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে কংগ্রেসও। দুপক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচির জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উভয় কক্ষ। ঘটনার তীব্র নিন্দে করেন পদ্ম শিবিরের মহিলা নেত্রীরা। অধীরের মন্তব্যের জেরে ফাটল ধরেছে কংগ্রেসের অন্দরেও। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি বলেন, যিনি কোনও একটি সাংবিধানিক পদে রয়েছেন, তিনি নারীই হোন বা পুরুষ যেই হোন না কেন, তিনি সম্মানীয়। তিনি বলেন, যাঁর যে সম্মান প্রাপ্য, তাঁকে তা দিতে হয়। যিনি কোনও একটি সাংবিধানিক পদে রয়েছেন, তিনি লিঙ্গ বৈষম্যের উর্ধ্বে। অধীরের মন্তব্যকে লিঙ্গ বৈষম্যমূলক অপমান বলে দাবি করেছে বিজেপি। অধীরের পাশাপাশি এ ব্যাপারে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীরও ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।

    বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও কড়া নিন্দা করেছেন অধীরের। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা অধীরের মন্তব্যকে অশালীন বলে উল্লেখ করেছন। তিনি বলেন, কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী জনজাতি সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে অশালীন শব্দ প্রয়োগ করেছেন। প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের এর সমালোচনা করা উচিত। প্রত্যেক ভারতীয়ের কংগ্রেস, তার নেতারা এবং সোনিয়া গান্ধীকে বয়কট করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

    আরও পড়ুন : ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যের জের, অধীরকে তলব জাতীয় মহিলা কমিশনের

    উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কংগ্রেস সাংসদের এহেন মন্তব্য নিন্দার্হ। এটা সংবিধান, মহিলা ও জনজাতির মহিলাকে অপমান।এক দিক থেকে এটা জাতির অপমানও। ভারতবাসীর কাছে তাঁদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। জাতি কখনও এই জাতীয় মন্তব্য মেনে নেবে না।  

     

    অধীরের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। তিনি বলেন, জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিতর্কিত মন্তব্য করতেই অভ্যস্ত অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর উচিত দেশের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা রাষ্ট্রপতিকে সম্মান করা। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু দেশের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা রাষ্ট্রপতি। তাঁর প্রতি এহেন মন্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা করি। দেশবাসীর কাছে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। অধীরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের মতে, অধীরের মন্তব্য অসাংবিধানিক ও রাষ্ট্রপতি পদের অসম্মান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, নয়া রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে এহেন মন্তব্য অধীর আগেও করেছেন।

     

  • Election Commission:  বয়স ১৭ হলেই নাম তোলা যাবে ভোটার তালিকায়? কী বলল নির্বাচন কমিশন

    Election Commission:  বয়স ১৭ হলেই নাম তোলা যাবে ভোটার তালিকায়? কী বলল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর ১৮ নয়, এবার মাত্র ১৭ বছর বয়স হলেই নাম তোলা যাবে ভোটার তালিকায় (Voter List)। বৃহস্পতিবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election commission) তরফে জানানো হয়েছে, সতের বছর বয়স হলেই কোনও ভারতীয় নাগরিক (Indian Citizen) অগ্রিম তাঁর নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন ভোটার তালিকায়। এর ফলে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না নয়া প্রজন্মের ভোটারদের।

    ভারতীয় সংবিধান অনুসারে, এদেশে ভোট দিতে গেলে ভোটারদের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর। তাই এতদিন ১৮ বছর বয়স হলেই নাম তোলা যেত ভোটার তালিকায়। এতদিন পয়লা জানুয়ারি কোনও নাগরিকের বয়স আঠারো হলে, তবেই নাম তোলা যেত ভোটার তালিকায়।

    আরও পড়ুন : অধীরের ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যে তোলপাড় সংসদ, ক্ষমা চাওয়ার দাবি বিজেপির

    এদিন একটি বিবৃতি জারি করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যাদের বয়স ১৭ বছরের ঊর্ধ্বে, তারা ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করতে অগ্রিম আবেদন করতে পারে। আগে যোগ্যতার মাপকাঠি অনুযায়ী ১ জানুয়ারি অনুযায়ী আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর হতে হবে না।

    মুখ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডে সব রাজ্যের সিইও/ইআরও/এইআরওদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের যুবসমাজ যাতে অগ্রিম ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারে, সেই জন্যই এমন নির্দেশ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। এখন থেকে প্রতি ত্রৈমাসিক ভোটার তালিকা আপডেট করা হবে।এতদিন ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করা যেত কেবল ১ জানুয়ারি। এবার থেকে ওই দিনটি ছাড়াও তা করা যাবে ১ এপ্রিল, ১ জুলাই এবং ১ অক্টোবরেও। যে ত্রৈমাসিকে যাঁরা যোগ্য হবেন, তাঁদের নাম তোলা হবে ভোটার তালিকায়। নাম নথিবদ্ধ হলেই মিলবে ভোটার কার্ড। বয়স ১৮ বছর হলেই ভোট দিতে পারবে সে।

    আরও পড়ুন : ধর্নায় বসে সাসপেন্ডেড সাংসদরা খাচ্ছেন ইডলি-সাম্বার, চিকেন-তন্দুরি!

     

LinkedIn
Share