Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Praveen Nettaru: কর্নাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    Praveen Nettaru: কর্নাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকে (Karnataka) কুপিয়ে খুন করা হল বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার (Yuva Morcha) এক নেতাকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রবীণ নেত্তারু ( Praveen Nettaru) ওই নেতার মৃত্যুর ঘটনায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। যত দ্রুত সম্ভব দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হবে, বলে জানিয়েছেন তিনি। 

    প্রবীণ একটি পোল্ট্রির দোকানের মালিক ছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে হাজির হয় দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেল্লারে গ্রামে। পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র হাতে তারা চড়াও হয় বিজেপির ওই যুব নেতার উপরে। কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দ্রুত নিরাপত্তা জোরদার করার চেষ্টা করা হয়। এলাকার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মাঙ্গালুরু ও উদুপি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৮ হাজার ৭৩২ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কিনছে সেনা! অনুমতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের

    জেলা পুলিশ সুপার রুশিকেশ সোনানা বলেন, “অভিযুক্তদের ধরতে ইতিমধ্যেই পুলিশের পাঁচটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। পাঁচটির মধ্যে তিনটি দলকে যথাক্রমে কেরল এবং কর্নাটকের মাদিকেরি ও হাসানে পাঠানো হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের বাইকের নম্বরটি মনে হচ্ছে কেরলের। কিন্তু এখনও সে বিষয়ে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রাজ্যের সীমান্তগুলিতে কড়া পাহারা বসানো হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই।  দোষীদের শীঘ্রই গ্রেফতার এবং শাস্তির আশ্বাসও দেন তিনি।  ট্যুইটারে শোক বার্তায় তিনি বিজেপি নেতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি এই জঘন্য খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। 

    স্থানীয়দের দাবি, এক মুসলিম যুবকের মৃত্যুর বদলা নিতেই এই হত্যাকাণ্ড। যদিও এটি রাজনৈতিক খুন নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে প্রবীণকে মারা হয়েছে তা নিয়ে ধন্দ্বে রয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার বেশ কিছু এলাকায় বনধ ডেকেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

  • Shinzo Abe: মোদি-আবে রসায়নই কি চিন্তা বাড়িয়েছিল চিনের? ইন্দো-জাপান মধুর সম্পর্কের স্থপতি শিনজো

    Shinzo Abe: মোদি-আবে রসায়নই কি চিন্তা বাড়িয়েছিল চিনের? ইন্দো-জাপান মধুর সম্পর্কের স্থপতি শিনজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের (Japan) সঙ্গে ভারতের ‘কৌশলগত বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কের অন্যতম স্থপতি ছিলেন শিনজো আবে (Shinzo Abe)।  শুক্রবার আততায়ীর গুলিতে নিহত হন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সংসদীয় নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে  পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলিবিদ্ধ  হন তিনি। জাপানের সঙ্গে সঙ্গে শোকের ছায়া নামে ভারতেও। বন্ধু হারানোর যন্ত্রণা ধরা পড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) গলায়। মোদি ও আবের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টি সবার জানা। বলা হয়, এই দুই রাষ্ট্রনেতার প্রচেষ্টার ফলেই প্যাসিফিকে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি সবল অবস্থান তৈরি হয়েছে। ২০১৫ সালে শিনজোকে নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে নিয়ে আসেন মোদি। সেখানে দুই রাষ্ট্রপ্রধান পাশাপাশি বসে গঙ্গারতি দেখেন। দু’ বছর পর, ২০১৭ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আমদাবাদ যান। সেখানে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন আবে। ২০১৮ সালে জাপান সফরে গিয়েছিলেন মোদি। সেখানে নিজের একটি বাড়িতে মোদিকে রেখেছিলেন শিনজো। ২০২১ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মবিভূষণে সম্মানিত করা হয় জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।

    প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের সময়েও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল শিনজোর। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণে এ দেশে প্রজাতন্ত্র দিবসের অতিথি হয়ে এসেছিলেন তিনি। তার আগে ২০০৭ সালে সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন আবে। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর মা-বাবার সঙ্গেও ভারতের মধুর সম্পর্ক ছিল। ১৯৫৭ সালে দিল্লিতে এসেছিলেন জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজোর দাদু নোবুসুকে কিশি। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। 

    আরও পড়ুন: জীবন-মৃত্যুর লড়াই শেষ! নিহত জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে

    যুদ্ধ-পরবর্তী জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে। ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৮ বছর ও তারও আগে ২০০৬ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত আবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২০২০-এর অগাস্টে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন আবে। দেশে তাঁর দারিদ্র দূরীকরণ নীতি প্রশংসা কুড়িয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম জাপানের সমরনীতিতেও পরিবর্তন এনেছিলেন আবে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (Indo-Pacific Region) এলাকায় চিনের (China) একক আধিপত্য খর্ব করতে চতুর্দেশীয় কোয়াড (Quad) গঠনের মূল  উদ্যোক্তা ছিলেন আবে-ই। ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াকে সঙ্গে নিয়ে এই কোয়াড গঠন আবের অন্যতম সেরা কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করা হয়। শুধু তা-ই নয়, এশিয়ার রাজনীতিতে ভারতের গুরুত্ব বুঝতে কোনওদিন ভুল করেননি তিনি। ভারতের সঙ্গে তাঁর সরকারের সম্পর্ক সব সময়েই ভাল ছিল। 

  • Amarnath cloudburst: মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে বিধ্বস্ত তুষারতীর্থ অমরনাথ, আপাতত স্থগিত যাত্রা 

    Amarnath cloudburst: মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে বিধ্বস্ত তুষারতীর্থ অমরনাথ, আপাতত স্থগিত যাত্রা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘভাঙা বৃষ্টির (Cloudburst) জেরে হড়পা বানে বিধ্বস্ত তুষারতীর্থ অমরনাথ (Amarnath)। মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৬ জন। প্রশাসনের আশঙ্কা হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। প্রাশসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১৫ হাজার তীর্থযাত্রীকে (Pilgrims) নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আচমকাই প্রবল বর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে বালতাল বেস ক্যাম্পে মেঘভাঙার ঘটনা ঘটে। তাতে তীর্থযাত্রীদের বেশ কিছু তাঁবু ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়। দ্রুত উদ্ধার কাজে নামে কাশ্মীর পুলিশ, আইটিবিপি ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।এই মুহূর্তে বালতাল এলাকার সব ফোন লাইন বিপর্যস্ত। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যাত্রাপথের অনেকাংশ। পরিস্থিতি সামলে না ওঠা পর্যন্ত যাত্রা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।যাঁরা উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য জলের তোড় এতটাই ছিল যে বড় বড় বোল্ডার গড়িয়ে এসে জমছে রাস্তায়। ক্যাম্প চত্বর জুড়ে আবর্জনার স্তূপ। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে দেহ। আরও দেহ চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা উদ্ধারকারীদের।

    আরও পড়ুন : দুবছর পর ফের শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা, কীভাবে আবেদন করবেন?

    জম্মু-কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং জানান, প্রবল বৃষ্টি ও মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। সিন্ধু নদীর জলস্তর আচমকাই বেড়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফি বছর অমরনাথ যাত্রা শুরু হয় ২৮ জুন। শেষ হয় রাখি পূর্ণিমার পর। তুষারতীর্থ দর্শনে প্রতি বছর যোগ দেন বহু পুণ্যার্থী। এই ঘটনার জেরে এ বছর সাময়িক বন্ধ হয়ে গেল অমরনাথ যাত্রা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ট্যুইট বার্তায় জানান, বায়ুসেনার জওয়ানদের ওই জায়গায় পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে আকাশপথে নিয়ে এসে আহতদের চিকিৎসা করানো হবে।

    এদিকে, গুহাতীর্থের সামনে যেসব পুণ্যার্থী ছিলেন, তাঁদের পঞ্চতরণীতে নিয়ে আসা হয়েছে। ২১ জন জখম পুণ্যার্থীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে বালতালে। এখনও পর্যন্ত ৪০ জন নিখোঁজ হয়েছেন বলে খবর। উদ্ধার কাজ তদারকি করছেন কাশ্মীর পুলিশের পদস্থ কর্তারা। কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার ও কাশ্মীরের ডিভিশনাল কমিশনারও উদ্ধার কাজের তদারকি করছেন। দীপক চৌহান নামে উত্তর প্রদেশের এক পুণ্যার্থী বলেন, ঘটনার পরেই পদপৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে সেনা বিশাল সাহায্য করেছে। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বহু তাঁবু।

    আরও পড়ুন : অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক বানচাল, কাশ্মীরে খতম তিন জঙ্গি

    তীর্থযাত্রীদের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে দ্রুত উদ্ধারকাজ এবং ত্রাণ বিলির নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রশাসনের তরফে কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। এগুলি হল, এনডিআরএফ: 011- 23438252, 011-23438253, কাশ্মীর ডিভিশনাল হেল্পলাইন: 0194-2496240, শ্রাইন বোর্ড হেল্পলাইন: 0194-2313149

  • Mohammed Zubair: সুপ্রিম কোর্টে জামিন অল্ট নিউজের মহম্মদ জুবেরের, দিল্লি মামলায় থাকতে হচ্ছে জেলেই

    Mohammed Zubair: সুপ্রিম কোর্টে জামিন অল্ট নিউজের মহম্মদ জুবেরের, দিল্লি মামলায় থাকতে হচ্ছে জেলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের মামলায় অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা (Alt News co-founder) মহম্মদ জুবেরের (Mohammed Zubair) ৫ দিনের শর্ত সাপেক্ষে জামিন (Interim Bail) মঞ্জুর করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। তবে এখনই ছাড়া পাচ্ছেন না তিনি। জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। কারণ দিল্লি পুলিশের মামলায় এখনও জামিন পাননি জুবের।  

    শুক্রবার জুবেরের শর্তাধীন জামিন মঞ্জুর করলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (Indira Banerjee)। কিন্তু জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত মানতে হবে মহম্মদ জুবেরকে। পাঁচ দিনের অন্তর্বর্তী জামিনে কোনও ট্যুইট করতে পারবেন না জুবের। ছাড়তে পারবেন না দিল্লি। পাঁচদিন পর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশকে সোমবার পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন সরকার পক্ষের আইনজীবী তুষার মেহতা। তবে তা মানতে নারাজ আদালত।  

    আরও পড়ুন: চারদিনের পুলিশ হেফাজতে অল্ট নিউজের সহ প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবের

    শুক্রবার শীর্ষ আদালতে অবকাশকালীন বেঞ্চে বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেকে মহেশ্বরী এই মামলা শোনেন। মহম্মদ জুবেরের তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী কলিন গনসালভেজ। পাশাপাশি এলাহাবাদ হাই কোর্টের (Allahabad High Court) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মহম্মদ জুবেরের করা আবেদন নিয়েও পদক্ষেপ করেছে শীর্ষ আদালত। এই আবেদনের ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে (Uttar Pradesh Police) নোটিসও দেওয়া হয়েছে।  

    [tw]


    [/tw]

    প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা জানিয়ে শুক্রবার শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হন জুবের। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের যে এফআইআর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ করেছে তা খারিজ করার আবেদন করেন আদালতের কাছে। উত্তরপ্রদেশের তিন হিন্দুত্ববাদী নেতা বিদ্বেষমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন জুবের। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, বিদ্বেষ ছড়িয়েছিলেন ওই নেতারা। তথ্য যাচাই করা তাঁর মক্কেলের কাজ।   

    ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে গত ২৭ জুন জুবেরকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। হিন্দু দেবতাকে নিয়ে কুমন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। ১ জুন জুবেরের বিরুদ্ধে হিন্দু সাধুদের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করার অভিযোগে মামলা করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।  

     

  • INS Vikrant: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে?

    INS Vikrant: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস, ১৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হবে ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ (INS Vikrant)। বৃহস্পতিবার এই বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) হাতে পেল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। তার পর থেকেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এই প্রথমবার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে (Indigenously built) তৈরি বিমানবাহী রণতরী ব্যবহার করতে চলেছে নৌসেনা। এদিন বিক্রান্তকে নৌসেনার হাতে তুলে দেয় কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড (Cochin Shipyard Limited) বা সিএসএল (CSL)। একাধিক ট্রায়ালের (Trial) পর নির্মাণ সংস্থার তরফে এই রণতরী  তুলে দেওয়া হল নৌসেনার হাতে। 

    [tw]


    [/tw]

    কোচিন শিপইয়ার্ড জানিয়েছে, এই যুদ্ধজাহাজের ওজন ৪৫ হাজার টন। সর্বোচ্চ ২৮ নট (Knot) গতিতে ছুটতে পারে এই বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier)। এই প্রকল্পে মোট খরচ হয়েছে ২৩ হাজার কোটি টাকা। এই যুদ্ধ জাহাজ হাতে পাওয়ার পর এদিন ট্যুইট বার্তায় ভারতীয় নৌসেনা জানায়, ‘স্বাধীনতার ৭৫ বছরে বিমানবাহী রণতরী হাতে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।”

    আরও পড়ুন: দেশীয় প্রযুক্তিতে ভরসা! ভারতীয় সেনার হাতে টাটার নয়া সামরিক যান

    ২৬২ মিটার লম্বা এই যুদ্ধজাহাজ চারটি গ্যাস টারবাইন দিয়ে চালিত হয়। এজন্য এর লাগে ৮৮ মেগাওয়াট শক্তি। ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগর (Indo Pacific region) এবং ভারত মহাসাগরে (Indian Ocean) মোতায়েন করা হতে পারে এই রণতরী। এখানে থাকবে মিগ-২৯কে (Mig-29K) এবং লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (Light Combat Aircraft)। এছাড়াও এই রণতরীতে থাকবে কামোভ-৩১ (Kamov-31), এমএইচ-৬০আর (MH-60R) মাল্টি রোল কপ্টার  এবং অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (Advanced Light Helicopter)। এর প্রায় ৭৬ শতাংশ দেশীয় সামগ্রী দিয়ে এই রণতরী তৈরি হয়েছে। যা আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক বলে মনে করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

  • Rashtrapatni Remark Row: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যের জের, অধীরকে তলব জাতীয় মহিলা কমিশনের  

    Rashtrapatni Remark Row: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যের জের, অধীরকে তলব জাতীয় মহিলা কমিশনের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) নোটিশ পাঠাল জাতীয় মহিলা কমিশন (National Commission for Women)। সংসদে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে তিনি রাষ্ট্রপত্নী (Rashtrapatni) বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই কারণেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাঁকে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে জেরা করছে ইডি। এনিয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন বহরমপুরের সাংসদ কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই সময়ই অধীর দ্রৌপদী সম্পর্কে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ শব্দটি প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ। তিনি বলেছিলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। ভারতের রাষ্ট্রপতি না, না, রাষ্ট্রপত্নীর কাছে যাব। 

    অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে লোকসভার পাশাপাশি হইচই শুরু হয় রাজ্যসভায়ও। পাল্টা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে কংগ্রেসও। দুপক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচির জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উভয় কক্ষ। ঘটনার জেরে দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় দুই কক্ষের অধিবেশন।

    আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী দেশ! দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

    অধীরের এহেন মন্তব্যে ভারতের মহিলা ও আদিবাসীদের অবজ্ঞা করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। তাঁর অভিযোগ, দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করার পর থেকেই কংগ্রেস বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করছে। ঘটনাটিকে বিজেপি নেতৃত্ব নারী বিদ্বেষী আখ্যা দিয়েছেন। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই অধীর বিষয়টিকে স্লিপ অফ টাং বলে স্বীকার করেছেন। তিনি এও জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেবেন।

    অধীরের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই জাতীয় মহিলা কমিশন অধীরকে নোটিশ পাঠিয়েছে। এবং তাঁকে ৩ আগস্ট কমিশনের সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দিতে বলা হয়েছে লিখিত ব্যাখ্যাও। কমিশনের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাঁর(অধীর চৌধুরীর) মন্তব্য অপমানজনক, নারীবিদ্বেষী, মাননীয় রাষ্ট্রপতির সম্মানহানিকর। অধীরের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশন চিঠি লিখেছে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধিকেও।

    এদিকে, অধীরের এই মন্তব্যের জেরে মধ্যপ্রদেশের দিনদরি জেলায় তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জগন্নাথ মার্কম বলেন, অধীরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন কয়েকজন বিজেপি কর্মী।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

  • Satish Agnihotri: দুর্নীতি মামলায় জড়িত বুলেট ট্রেন প্রকল্পের প্রধান! পদ থেকে বরখাস্ত করল মোদি সরকার

    Satish Agnihotri: দুর্নীতি মামলায় জড়িত বুলেট ট্রেন প্রকল্পের প্রধান! পদ থেকে বরখাস্ত করল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বহুদিনের স্বপ্ন এই মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন (Mumbai Ahmedabad Bullet Train)। কিন্তু এবার এই প্রকল্প ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের (National High Speed Rail Corporation Limited) শীর্ষকর্তা সতীশ অগ্নিহোত্রীকে (Satish Agnihotri) বৃহস্পতিবার রেল মন্ত্রকের (Ministry of Railways) তরফে চিঠি দিয়ে বরখাস্ত করা হয়। কেন্দ্রের বুলেট ট্রেনের প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরানো হয়েছে।

    কিছুদিন আগেই তাঁকে অবসর থেকে ফিরিয়ে এনে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু দুনীর্তির অভিযোগ আসায় তাঁকে তাঁর পদ থেকে ছাঁটাই করা হয়। চলতি বছরের ২ জুন আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সতীশের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল আদালত (Lokpal Court)। প্রায় ১ মাস পরে সতীশ অগ্নিহোত্রীকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।

    আরও পড়ুন:ভারতের মাটিতে কবে থেকে ছুটবে বুলেট ট্রেন? জানা গেল অবশেষে

    খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১০০ কোটি টাকার সরকারি তহবিলের অপব্যবহার এবং আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সতীশের বিরুদ্ধে। এরপরই লোকপাল কোর্টের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলে বৃহস্পতিবার এই পদক্ষেপ নিল মোদী সরকার (Modi Government)।

    অন্যদিকে সতীশের (Satish Agnihotri) দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠিতে। সেখানে লেখা আছে, বর্তমানে কর্পোরেশনের বর্তমান প্রোজেক্টস ডিরেক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ (Rajendra Prasad) আপাতত অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদে থাকবেন। আগামী তিন মাস বা পরবর্তী ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিয়োগ হওয়া পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব সামলাবেন।

    আরও পড়ুন: ৫৫ মিনিটেই দিল্লি থেকে মিরাট, কেমন দেখতে ভারতের দ্রুততম আঞ্চলিক ট্রেন!

    তবে এই কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হওয়ার আগে সতীশের (Satish Agnihotri) কাজকর্ম নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবরসূত্রে জানা যায়, সেসময় আরেকটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (RVNL) ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে ছিলেন তিনি। রেল মন্ত্রকের অধীন এই সংস্থায় থাকার সময় সতীশ ও এই সংস্থার আরও একটি অফিসার এক বেসরকারি সংস্থার চুক্তিতে সরকারি অর্থ ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ। এইসব কারণের জন্যেই মোদি সরকার এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল।

     

  • Rajya Sabha: অসংসদীয় আচরণ, সাসপেন্ড করা হল রাজ্যসভার আরও ৩ সাংসদকে

    Rajya Sabha: অসংসদীয় আচরণ, সাসপেন্ড করা হল রাজ্যসভার আরও ৩ সাংসদকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড (Suspend) করা হল রাজ্যসভার (Rajya Sabha) আরও তিন সাংসদকে (MPs)। এঁদের মধ্যে দুজন আম আদমি পার্টির (AAP), অন্যজন নির্দল। এই সপ্তাহের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের। অসংসদীয় আচরণের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজ্যসভার ওই তিন সাংসদকে।

    অসংসদীয় আচরণের জন্য আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজ্যসভার কুড়িজন সাংসদকে। ওই একই কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে লোকসভার চারজনকেও। সাসপেনশনের প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে টানা পঞ্চাশ ঘণ্টার জন্য অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন সাসপেন্ডেড সাংসদরা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল। অবস্থান চলাকালীন সময়ে চলছে ভূরিভোজও।

    বৃহস্পতিবার যে তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা হলেন আম আদমি পার্টির সাংসদ সুশীল কুমার গুপ্ত এবং সন্দীপ কুমার পাঠক। নির্দল সাংসদ অজিত কুমার ভুঁইয়াকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে এদিন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত রাজ্যসভার মোট ২৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। একসঙ্গে এতজন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়নি আগের কোনও অধিবেশনে।

    আরও পড়ুন : ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা, বিরোধী বৈঠকে গরহাজির আপ, তৃণমূল

    এদিন যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের সাসপেনশনের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং। তিনি বলেন, সাসপেন্ডেড এই তিন সাংসদ অধিবেশন চলাকালীন হাউসের ওয়েলে নেমে আসেন। চিৎকার করে স্লোগানও দিতে থাকেন। প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভও দেখাচ্ছিলেন। সতর্ক করা সত্ত্বেও তা বন্ধ না করায় তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বুধবার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, মঙ্গলবার সভা চলাকালীন চেয়ারম্যানের চেয়ার লক্ষ্য করে কাগজ ছুড়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড করা হল ওই দলেরই দুই সাংসদকে।  প্রসঙ্গত, গত বছর বিরোধীদের ১২ জন সাংসদকে পুরো শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। চলতি বাদল অধিবেশনে যে কয়েকজনকে সাসপেন্ড করা  হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের সুস্মিতা দেব, মৌসম বেনজির নুর, শান্তা ছেত্রী, দোলা সেন, সান্ত্বনু সেন, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং মহম্মদ নাদিমূল হক।   

    আরও পড়ুন : ধর্নায় বসে সাসপেন্ডেড সাংসদরা খাচ্ছেন ইডলি-সাম্বার, চিকেন-তন্দুরি!

     

  • Maharashtra: শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না, সাফ জানালেন উদ্ধব 

    Maharashtra: শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না, সাফ জানালেন উদ্ধব 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনার (Shiv Sena) তির-ধনুক (Bow and Arrow) প্রতীক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না। এই ভাষায়ই শিন্ডে শিবিরকে হুঁশিয়ারি দিলেন মহারাষ্ট্রের শিবসেনা প্রধান তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়েছেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নিয়েছেন শিন্ডে। তার পর থেকে এই প্রথম মুখ খুললেন উদ্ধব। সাফ জানালেন, শিবসেনার প্রতীক কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবেন না। সেই সঙ্গে দাবি করলেন বিধানসভা ভোটেরও।

    কংগ্রেস, এনসিপি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়া নিয়ে বিবাদের জেরে দলেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন শিন্ডে। পরে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাট ও পরে চলে যান আসামে। পরে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে গড়েন সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হন শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে। তার পর থেকে এই প্রথম মুখ খুললেন রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব। শিন্ডে শিবিরের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বালাসাহেবের পুত্র বলেন, আমি ওঁদের আজই বিধানসভা নির্বাচন করার জন্য চ্যালেঞ্জ করছি। আমরা যদি অন্যায় করে থাকি, তাহলে মানুষ আমাদের ফিরিয়ে দেবে। আপনাদের যদি এমনভাবে সরকার গঠনের উদ্দেশ্য ছিল, তাহলে তা করা উচিত ছিল আড়াই বছর আগেই। এই ধরনের তামাশার কোনও প্রয়োজন হত না। এই পরেই উদ্ধব জানিয়ে দেন শিবসেনার প্রতীক ছিনিয়ে নিতে পারবেন না কেউই। বলেন, শিবসেনার প্রতীক তির এবং ধনুক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না।

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    শিবসেনায় ভাঙন ধরিয়ে বিজেপির সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করেছেন শিন্ডে। হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। এর পর তাঁর লক্ষ্য যে শিবসেনার কর্তৃত্ব, তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগেই। যেভাবে একের পর এক বিধায়ক এবং সাংসদ শিন্ডে শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন ফি দিন, তার পর শিবসেনার রশি কতদিন উদ্ধবের হাতে থাকবে, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই মুখ খুললেন ঠাকরে। সাফ জানিয়ে দিলেন, শিবসেনার রাশ থাকবে তাঁরই হাতে। শিন্ডেকে নিশানা করে উদ্ধব বলেন, কেউ কেউ বলেন মাতোশ্রীতে ডাকলে তাঁরা আসবেন। কেউ কেউ বলেন, আমার প্রতি নাকি তাঁদের শ্রদ্ধাও রয়েছে। এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। হুমকি অগ্রাহ্য করে যে কয়েকজন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে এখনেও রয়েছেন, তাতে তিনি গর্বিত বলেও জানান উদ্ধব। ১১ জুলাই মহারাষ্ট্র মামলার শুনানি। ওই দিনই ভাগ্য নির্ধারণ হবে শিন্ডে সহ ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়কের। সেই রায় শুধু শিবসেনার নয়, ভারতীয় গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চলেছে বলেও মনে করেন বালাসাহেব পুত্র।

    আরও পড়ুন : নিজের লোকই বিশ্বাসঘতক! লড়াই চালিয়ে যাবেন জানালেন উদ্ধব

  • Anand Sharma: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন আনন্দ শর্মা?

    Anand Sharma: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন আনন্দ শর্মা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ধস নামতে চলেছে কংগ্রেসে (Congress)! কংগ্রেস ছেড়ে শীঘ্রই কি বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছেন আনন্দ শর্মা (Anand Sharma)? সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা। তার পরেই দানা বেঁধেছে জল্পনা। সূত্রের খবর, বিজেপিতে যোগদানের বিষয়েই নাড্ডার সঙ্গে কথা হয়েছে শর্মার। যদিও জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা।

    কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ শিবির জি-২৩ গ্রুপের সদস্য আনন্দ। এই গ্রুপেরই এক সদস্য কপিল সিবাল কিছুদিন আগেই কংগ্রেস ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে অখিলেশ যাদবের সমর্থনে রাজ্যসভায় গিয়েছেন। কয়েক মাস পরেই হিমাচল প্রদেশে নির্বাচন। সেখান থেকেই রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন আনন্দ। তাই শর্মার দলবদলের চর্চা নয়া মাত্রা যোগ করেছে রাজনীতিতে।

    আরও পড়ুন : অরুণাচল প্রদেশে ১০২ আসনে জয়ী বিজেপি, কী বললেন আইনমন্ত্রী?

    কংগ্রেস ছাড়ার জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন আনন্দ। এদিন নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে আনন্দ বলেন, বিজেপি প্রাধান জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করার অধিকার আমার রয়েছে। আমার কাছে উনি শুধুমাত্র বিজেপি সভাপতি নন। আমরা দুজনেই একই রাজ্যের। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক খোঁজার কোনও মানে নেই। তিনি বলেন, আমি কংগ্রেসের সদস্য। মতাদর্শগতভাবে বিরোধিতা থাকলেও আমাদের ব্যক্তিগত স্তরে কোনও বিভাজন নেই। শর্মার গলায় শোনা গিয়েছে নাড্ডার প্রশংসাও। তিনি বলেন, আমার খুব গর্ব হয়, যখন দেখি আমার রাজ্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ শাসকদলের সভাপতি হয়েছেন।

    আরও পড়ুন : মহুয়ার ‘কালী’ মন্তব্যের জের, এফআইআর দায়ের, পথে বিজেপি, সমালোচনার ঝড়

    সূত্রের খবর, বিজেপিও জি-২৩ গ্রুপের বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এই আনন্দ শর্মাই কংগ্রেসের সেই নেতা যিনি দলের দ্রুত নির্বাচন চেয়ে সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন। কপিল সিবাল কংগ্রেস ছাড়ায় একবার ধাক্কা খেয়েছিল কংগ্রেস। এবার আনন্দ শর্মা যদি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে আরও বিপাকে পড়বেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির শীর্ষ কর্তারা।   

     

LinkedIn
Share