Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Pakistan: “আসিম মুনির হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন,” তোপ প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    Pakistan: “আসিম মুনির হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন,” তোপ প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আসিম মুনির (Asim Munir) হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন।” পাক (Pakistan) সেনাপ্রধান সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তা মাইকেল রুবিন। তিনি বলেন, “ইসলামাবাদ যুদ্ধোন্মাদ আচরণের মাধ্যমে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে।” রুবিন পাকিস্তানের কার্যত সামরিক শাসক মুনিরকে ৯/১১ হামলার মূল হোতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “মুনিরের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলি বিশ্বের কাছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বক্তব্যের মতো শোনাচ্ছে।”

    বিতর্কের সূত্রপাত (Pakistan)

    বিতর্কের সূত্রপাত মুনিরের একটি বক্তব্যকে ঘিরে। সোমবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ট্যাম্পায় পাকিস্তানের কনসাল আদনান আসাদ আয়োজিত ব্ল্যাক-টাই ডিনারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুনির বলেছিলেন, “আমরা একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি আমরা মনে করি আমরা ডুবে যাচ্ছি, তাহলে আমরা বিশ্বের অর্ধেককে আমাদের সঙ্গে নিয়ে ডুবব।” ভারত মুনিরের পারমাণবিক যুদ্ধের এই হুমকির আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দে করেছে। বিদেশমন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “পারমাণবিক অস্ত্রের ঝনঝনানি পাকিস্তানের চিরাচরিত কৌশল এবং দুঃখের বিষয় হল এ ধরনের মন্তব্য একটি বন্ধুত্বপূর্ণ তৃতীয় দেশের মাটি থেকে করা হয়েছে (Asim Munir)।”

    মুনিরকে ধুয়ে দিলেন রুবিন

    কেবল ভারত নয়, মুনিরকে ধুয়ে দিয়েছেন রুবিনও। তিনি বলেন, “আমেরিকানরা সন্ত্রাসবাদকে ক্ষোভের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। তারা অনেক জঙ্গির আদর্শগত ভিত্তি বোঝে না।” এর পরেই তিনি বলেন, “আসিম মুনির হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন (Pakistan)।” প্রাক্তন মার্কিন আধিকারিক রুবিনের ইঙ্গিত, পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে। তাঁর যুক্তি, পাকিস্তান ঐতিহ্যগত কূটনৈতিক বিরোধের তুলনায় মৌলিকভাবে এক ভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করছে। রুবিন বলেন, “মুনিরের বক্তব্য অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কি পাকিস্তান একটি রাষ্ট্র হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম?” তিনি বলেন, “একজন ফিল্ড মার্শালের কথাবার্তা আমাদের ইসলামিক স্টেটের কাছ থেকে শোনা বক্তব্যের মতো শোনাচ্ছে।”

    রুবিনের প্রস্তাব

    রুবিনের প্রস্তাব, আন্তর্জাতিক (Asim Munir) সম্প্রদায়ের উচিত পাকিস্তানকে তার ভাষায় পরিকল্পিত পতনের মধ্যে দিয়ে যেতে দেওয়া, যার মধ্যে বালুচিস্তানের মতো বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়াও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। তিনি এমনকি ভবিষ্যতে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার সুরক্ষার জন্য সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাও উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, “সময় প্রায় এসে গিয়েছে যখন ভবিষ্যতের কোনও প্রশাসনকে অন্য এসইএএল টিম পাঠিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে তার পারমাণবিক অস্ত্র সুরক্ষিত করতে হবে। কারণ বিকল্পটি এতটাই ভয়াবহ যে সেটি সহ্য করার মতো নয়।”

    পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত

    রুবিনের মতে, এমন (Pakistan) কোনও কারণ নেই যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে একটি প্রধান অ-ন্যাটো মিত্র হিসেবে বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের হওয়া উচিত প্রথম প্রধান অ-ন্যাটো মিত্র, যাকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে এবং তার আর যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের সদস্য থাকা উচিত নয়।” কঠোর কূটনৈতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে রুবিন বলেন, “আসিম মুনিরকে আমেরিকার উচিত অবাঞ্ছিত ব্যক্তি ঘোষণা করা এবং যেন কখনওই তিনি আমেরিকান ভিসা না পান। একই সঙ্গে কোনও পাকিস্তানি কর্মকর্তাও নয়, যতক্ষণ না পাকিস্তান নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে এবং মুনিরের এহেন বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চায় (Asim Munir)।”

    ওসামা বিন লাদেনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে

    রুবিন বলেন, “আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের এহেন হুমকি মেনে নেওয়া যায় না। ইসালামাবাদের এই হুমকি বিশ্বের সামনে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এই দেশ কি আদৌ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করবে অথবা শেষ সময় চলে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানি (Pakistan) ফিল্ড মার্সালের উসকানিমূলক ধমক ওসামা বিন লাদেনের মুখের কথাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। আমেরিকা সন্ত্রাসবাদকে দেখে অভাব-বঞ্চনার চশমা চোখে। তারা বোঝে না বহু জঙ্গির মনে আদর্শগত আক্রোশ চোরা স্রোতের মতো ঘুরে বেড়ায়।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন

    মার্কিন ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে মুনিরের এহেন মন্তব্যের পরেও ট্রাম্প কোনও পদক্ষেপ না করায় ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পেন্টাগনের এই প্রাক্তন কর্তা। তিনি বলেন, “আসিম মুনির যখন এই মন্তব্য করেছিলেন, তার আধ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে টাম্পা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে গিয়ে আমেরিকা থেকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো উচিত ছিল।” একই সঙ্গে ভারতের বক্তব্যকে সমর্থন করে (Asim Munir) পেন্টাগনের এই প্রাক্তন আধিকারিক বলেন, “পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ঘোষণা করা হোক (Pakistan)।”

  • US: স্বাধীনতাকামী বালুচ গোষ্ঠী বিএলএ-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের

    US: স্বাধীনতাকামী বালুচ গোষ্ঠী বিএলএ-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা (US)। স্বাধীনতাকামী বালুচ গোষ্ঠী বালুচিস্তান (Balochistan) লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন। বিএলএ-র সহযোগী মজিদ ব্রিগেডকেও জঙ্গিগোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন প্রশাসন। সোমবারই এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো এ কথা জানিয়েছেন। ২০১৯ সালেই বিএলএকে ‘স্পেশাল ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেরটিস্ট’ বলে দেগে দিয়েছিল আমেরিকা। মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির দ্বিতীয়বার আমেরিকা সফরে যাওয়ার পরেই এই বিবৃতি দেওয়া হল মার্কিন প্রশাসনের তরফে।

    স্বাধীনতাকামী বালুচ বিদ্রোহী (US)

    বালুচিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তানি সেনা ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছে স্বাধীনতাকামী বালুচ বিদ্রোহীরা। গত মঙ্গলবার রাতেও বালুচিস্তানের নৌশকি জেলায় বিএলএর বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত হন এক মেজর-সহ তিন পাক সেনা। তার আগে গত মে মাসে বালুচ বিদ্রোহীদের হামলায় ১৪ জন পাক সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়। সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলির জেরে নাকানিচোবানি খাচ্ছিল পাক সরকার ও পাক সেনাপ্রধান। এই আবহেই বালুচ স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের ঘোষণা করা হল জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে।

    জঙ্গিগোষ্ঠীর তালিকায় ঢুকল বিএল

    সোমবার বিবৃতি জারি করে বিএলএ এবং তার শাখা সংগঠন মজিদ ব্রিগেডকে বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর তালিকায় ঢুকিয়ে দিল আমেরিকা। বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ দফতরের দাবি, ২০১৯ সাল থেকে বিএলএ এবং মজিদ ব্রিগেডে বিভিন্ন হামলার দায় স্বীকার করেছে। ২০২৪ সালে করাচি বিমানবন্দর এবং গ্বদর বন্দরের কাছে আত্মঘাতী হামলার দায়ও স্বীকার করেছে বিএলও। গত মার্চ মাসে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে মার্কিন বিদেশ দফতর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ওই ট্রেন (US) অপহরণের ঘটনায় সাধারণ মানুষ এবং সেনাকর্মী-সহ ৩১ জন নিহত হন।

    ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্ত ইসলামাবাদের স্বঘোষিত সন্ত্রাসবিরোধী কর্মসূচির সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই ঘোষণা করা হল এমন একটা সময়ে যখন পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশ ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে যে তারা বিএলএ কর্মীদের আশ্রয় দিচ্ছে, যা তেহরান (ইরানের রাজধানী) প্রায়ই অস্বীকার করে। তবে এই সহযোগিতা এমন একটা প্রেক্ষাপটে হচ্ছে যেখানে পাকিস্তান নিজেই বালুচিস্তানে (Balochistan) কঠোর দমননীতির অভিযোগের মুখে যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী নির্বিচারে শক্তি প্রয়োগ করে স্থানীয়দের প্রতিরোধ দমন করছে, অসামরিক জনগণকে টার্গেট করছে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করছে (US)।

  • India-Pakistan: বন্ধ জল-গ্যাস-সংবাদপত্র! ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের হেনস্তা

    India-Pakistan: বন্ধ জল-গ্যাস-সংবাদপত্র! ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের হেনস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই ইসলামাবাদে চূড়ান্ত হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে ভারতীয় কূটনীতিকদের! এর ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের (India-Pakistan) কর্মীদের জল, রান্নার গ্যাসের পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁদের দৈনিক সংবাদপত্র দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। এর ফলে ভারতীয় কূটনীতিকরা তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। দূতাবাস কর্মীদের উপর এরকম অমানবিক আচরণের তীব্র নিন্দা করেছে ভারত।

    ভিয়েনা চুক্তি লঙ্ঘন

    সূত্রের খবর, পাকিস্তানে ভারতীয় হাইকমিশন এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের বাসভবনে সংবাদপত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর জবাবে ভারতও দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানি কূটনীতিকদের জন্য একই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে ভারতীয় কূটনীতিকদের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাঁদের বাসভবন ও অফিসে বিনা অনুমতিতে প্রবেশেরও অভিযোগ উঠেছে। প্রসঙ্গত, এই ধরনের কার্যকলাপ ‘ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স’(Vienna Convention on Diplomatic Relations)-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করে। উল্লেখ্য, এই ধরনের হয়রানির ঘটনা এর আগেও দেখা গেছে। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার প্রত্যুত্তরে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ একই ধরনের কৌশল গ্রহণ করেছিল।

    নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বন্ধ

    একটি সরকারি সূত্রে জানিয়েছে, পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের দূতাবাস কর্মীদের হেনস্তার পরিকল্পনা করেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। যাতে করে তাঁদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা এবং কাজ ব্যাহত হয়। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সুই নর্দার্ন গ্যাস পাইপলাইনস লিমিটেডের (এসএনজিপিএল) গ্যাস পাইপলাইন রয়েছে দূতাবাসে। ইচ্ছাকৃতভাবে সেই সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতারা, যাঁরা ইতিপূর্বে জ্বালানি সরবরাহ করতেন, তাঁদেরও পাক কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে—তাঁরা যেন ভারতীয় কর্মীদের কাছে গ্যাস বিক্রি না করেন। এই অবস্থায় খোলা বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার কিনছেন দূতবাস কর্মীরা। জানা গিয়েছে, একই ভাবে পানীয় জল সরবরাহকারী ভেন্ডারের মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁর যেন ভারতীয় দূতাবাসে পানীয় জল সরবরাহ না করেন। এর ফলে চরম বিপদে পড়েছেন দূতাবাস কর্মীরা। যেহেতু পৌরসভার জল ফিল্টার না করে খাওয়া বিপজ্জনক, তাই সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। একইভাবে সংবাদপত্র ব্যবসায়ীদেরও দূতাবাস কর্মীদের কাছে সংবাদপত্র বিলি করতে বারণ করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ভারতীয় দূতাবাস যাতে স্থানীয় সংবাদ সম্পর্কে অবগত না হতে পারে, সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে কৌশলে।

    অমানবিক আচরণ

    আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতে মিসাইল হামলার হুমকি দিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তার পরে ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। এ বার ভারতীয় হাই কমিশনের কূটনীতিকদের গ্যাস, পানীয় জল, সংবাদপত্রের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় এবং অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী দেওয়া বন্ধ করে দিল শেহবাজ শরিফের সরকার। দিও বিদেশ মন্ত্রক এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে, পাকিস্তানের এই আচরণ ক্রমশ ভঙ্গুর ভারত-পাক সম্পর্কের জন্য বিপজ্জনক।

  • Israeli Ambassador: নিহত সাংবাদিক আনাস-আল-শরিফ আসলে হামাস জঙ্গি, বললেন ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত

    Israeli Ambassador: নিহত সাংবাদিক আনাস-আল-শরিফ আসলে হামাস জঙ্গি, বললেন ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় ইজরায়েলের হামলায় নিহত হন আল জাজিরার সাংবাদিক আনাস আল শরীফ। এবার ওই সাংবাদিককেই হামাসের জঙ্গি বলে আখ্যা দিলেন ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত রুভেন আজার (Israeli Ambassador)। এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হামাস সারা বিশ্বকে প্রতারণা করছে। তাদের জঙ্গিরা কখনও সাংবাদিকের ছদ্মবেশে, কখনও চিকিৎসক বা ত্রাণকর্মীর ছদ্মবেশে আত্মগোপন করছে।

    হামাসের জঙ্গিকে সাংবাদিক সাজানো এক বড় ধরনের প্রতারণার উদাহরণ

    তিনি (Israeli Ambassador) আরও বলেন, হামাসের জঙ্গিকে সাংবাদিক সাজানো এক বড় ধরনের প্রতারণার উদাহরণ। আমরা আনাস আল শরীফ নামে একজন জঙ্গিকে টার্গেট করেছিলাম। সে আসলে হামাসের সদস্য এবং তাদের একটি ইউনিটের কমান্ডার ছিল। হামাসের সামরিক শাখা তাকে একাধিকবার প্রশিক্ষণ দিয়েছে। রাষ্ট্রদূতের দাবি, কোনও সাংবাদিক গাজায় স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না যদি না তিনি হামাসের সদস্য হন অথবা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন। তিনি বলেন (Israeli Ambassador), “ইজরায়েল কেবল কারও রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে কাউকে টার্গেট করে না। আনাস আল শরীফকে আমরা বহুদিন ধরেই পর্যবেক্ষণ করছিলাম। কারণ সে একজন হামাস জঙ্গি ছিল। আমাদের কাছে তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, যা আমরা রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পেয়েছি।”

    ইজরায়েলের হামলায় নিহত ৭

    জানা যায়, গাজায় ইজরায়েলের সাম্প্রতিক এক হামলায় নিহত সাতজনের মধ্যে আনাস আল শরীফও ছিলেন (Hamas)। তাঁর বয়স আনুমানিক ২৮ বছর। তিনি নিজেকে একজন সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং গাজার পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও তিনজন সাংবাদিক — মহম্মদ ইব্রাহিম, মোমেন আলিয়া, ও মোহাম্মদ নওফাল — ওই হামলায় নিহত হন। হামলার পর ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়ে দেয়, তিনি সন্ত্রাসবাদে যুক্ত ছিলেন। তাদের দাবি, তিনি হামাসের সামরিক শাখার একজন প্রধান এবং গাজা থেকে ইজরায়েলের (Israeli Ambassador) অসামরিক নাগরিক ও সেনাবাহিনীর ওপর রকেট হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন।

    ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর পোস্ট

    এই প্রসঙ্গে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)–এ একটি পোস্ট করে লিখেছে, “সন্ত্রাসী আনাস আল শরীফ, যিনি নিজেকে একজন সাংবাদিক হিসেবে উপস্থাপন করতেন, আসলে হামাসের একটি জঙ্গি ইউনিটের প্রধান ছিলেন এবং তিনি ইজরায়েলি নাগরিক ও সেনার ওপর একাধিক হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গাজা থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য এবং নথিপত্র থেকে আমরা এসব তথ্য পেয়েছি।”

  • Operation Sindoor: আর কত নিচে নামবে পাকিস্তান! ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই-কমিশনে সরবরাহ বন্ধ জল-গ্যাস এবং সংবাদপত্রের

    Operation Sindoor: আর কত নিচে নামবে পাকিস্তান! ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই-কমিশনে সরবরাহ বন্ধ জল-গ্যাস এবং সংবাদপত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে এঁটে উঠতে না পেরে এবার পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের ওপর ‘প্রতিশোধ’ (Operation Sindoor) নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। যার জেরে ফের একবার বিশ্বের দরবারে মুখ পুড়ল ইসলামাবাদের (Pakistan)। শুধু তাই নয়, এর ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছে। প্রবীণ সরকারি আধিকারিকদের মতে, এই পদক্ষেপ ইচ্ছাকৃত, পরিকল্পিত এবং ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া অপারেশন সিঁদুর। সেই অভিযানে কার্যত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল খায় পাক সেনাবাহিনী। পরে পাল্টা প্রতিশোধ নিতে শুরু করে তারা। যদিও ভারতের কাছে পরাস্ত হয়ে শেষমেশ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠায় ভারতের কাছে। তাতে সাড়া দেয় ভারত।

    বন্ধ গ্যস, জল এবং খবরের কাগজ

    পাকিস্তানে ভারতীয় হাই কমিশন প্রাঙ্গনে গ্যাস পাইপলাইন বসিয়েছে সুই নর্দার্ন গ্যাস পাইপলাইন্স লিমিটেড। এতদিন তারাই গ্যাস সরবরাহ করছিল ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের বাড়ি এবং তাঁদের অফিসে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই গ্যাস সরবরাহ। এর ফলে ভারতীয় কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারকে বাধ্য হয়ে খোলাবাজারে চড়া দরে সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে। নিতান্তই তা সম্ভব না হলে ব্যবস্থা করতে হচ্ছে বিকল্প জ্বালানির।

    কেবল জ্বালানি নয়, বন্ধ (Operation Sindoor) করে দেওয়া হয়েছে জল সরবরাহও। ইসলামাবাদের সব বিক্রেতাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন ভারতীয় হাই কমশনকে মিনারেল ওয়াটার সরবরাহ না করেন (Pakistan)। এই ফতোয়ার জেরে ঘোর বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা। পানীয় জলের পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সংবাদপত্র বিক্রিও। তথ্য প্রবাহ সীমিত করতেই ভারতীয় দূতাবাস ও তাদের কর্মীদের বাড়িতে কোনও প্রকাশনা সংস্থাই যেন খবরের কাগজ কিংবা ম্যাগাজিন বিক্রি না করে, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এই সব নির্দেশ ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্সের বিরোধী। এই ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স ভারতীয় দূতাবাসগুলির নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ কার্যকলাপ নিশ্চিত করে (Operation Sindoor)।

  • Asim Munir: মার্কিন-ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে ফের পরমাণু বোমার হুমকি মুনিরের! নেপথ্যে ট্রাম্পের ইন্ধন?

    Asim Munir: মার্কিন-ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে ফের পরমাণু বোমার হুমকি মুনিরের! নেপথ্যে ট্রাম্পের ইন্ধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন-ভূম থেকে পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir) পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলেন ভারতকে। এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মার্কিন ভূমে দাঁড়িয়ে ভারতকে সরাসরি হুমকি কী করে দিচ্ছেন মুনির? ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এর নেপথ্যে নিশ্চয়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইন্ধন রয়েছে, নয়তো, এত দুঃসাহস মুনিরের হত না।

    ঠিক কী বলেছেন মুনির?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাম্পায় পাকিস্তানের কনসাল আদনান আসাদ আয়োজিত ব্ল্যাক-টাই ডিনারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুনির বলেন, “আমরা একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি আমরা মনে করি আমরা ডুবে যাচ্ছি, তাহলে আমরা বিশ্বের অর্ধেককে আমাদের সঙ্গে নিয়ে ডুবব।” তিনি আরও বলেন, “আমরা শুরু করব ভারতের পূর্ব দিক থেকে, যেখানে তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ রয়েছে, তারপর পশ্চিম দিকে এগোব (Asim Munir)।” সিন্ধু জল চুক্তির প্রসঙ্গে মুনির বলেন, “এই চুক্তি স্থগিত করে ভারত ২৫ কোটি মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। আমরা অপেক্ষা করব ভারতের বাঁধ নির্মাণ করা পর্যন্ত। যখন তারা এটা করবে তখন ১০টি মিসাইল দিয়ে তা ধ্বংস করে দেব।” তিনি বলেন, “সিন্ধু নদ ভারতীয়দের পারিবারিক সম্পত্তি নয়। আমাদের মিসাইলের কোনও অভাব নেই (Asim Munir)।”

    ভারত-মার্কিন বাণিজ্য জটকে হাতিয়ার

    এর পরেই ভারত ও পাকিস্তান প্রসঙ্গে (Inflammatory Nuke Speech) মুনির একটি মার্সিডিজ গাড়ি এবং নুড়ি-পাথর ভর্তি ট্রাকের উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি বোঝাতে আমি একটি সরল উদাহরণ ব্যবহার করছি। ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, যা হাইওয়েতে ছুটছে, আর আমরা নুড়ি-পাথরে ভর্তি একটি ডাম্প ট্রাক। যদি ট্রাকটি গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়, তবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কে?”  ভারত-আমেরিকার মধ্যে বর্তমান বাণিজ্যিক উত্তেজনার প্রসঙ্গও তোলেন মুনির। ট্রাম্পের অধীনে ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির বর্তমান বাণিজ্য উত্তেজনাকে নিশানা করে তাঁর কটাক্ষ, পাকিস্তানের উচিত প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় মাস্টারক্লাস অফার করা। মুনির বলেন, “আমাদের সাফল্যের আসল কারণ হল আমরা কৃপণ নই। কেউ ভালো কাজ করলে আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁকে স্বীকৃতি দিই। এই কারণেই আমরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছি।”

    মুনিরের বক্তব্য ওড়ালেন বিশেষজ্ঞরা

    মুনিরের উসকানিমূলক ভাষণে কী বললেন সেটা নয়, বরং কোথায় দাঁড়িয়ে মুনির কথাগুলি বললেন, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। মুনিরের এই বক্তব্যকে আসলে আমেরিকার তরফে একটি পরোক্ষ হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রাক্তন রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র’)-এর প্রধান বিক্রম সুদ। তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানকে বোঝাতে মুনির যে উদাহরণ দিয়েছেন – ভারতকে মার্সিডিজ-বেঞ্জ এবং পাকিস্তানকে কাঁকরবাহী ট্রাকের সঙ্গে তুলনা—তা যথার্থ।  এক্স হ্যান্ডেলে বিক্রম বলেন, এক অর্থে, মার্কিন ভূমিতে মুনিরের ঘোরাঘুরি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরোক্ষ হুমকি। এটিকেই সেইভাবে দেখা উচিত। মার্সিডিজ আর ডাম্প ট্রাকের উদাহরণটি সঠিক—শুধু পার্থক্য হল, ডাম্প ট্রাকে এক কণা নুড়িও নেই (Inflammatory Nuke Speech)।” মুনিরের বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল পিকে সেহগলও। তিনি বলেন, “পারমাণবিক অস্ত্র হল প্রতিরোধের অস্ত্র এবং সেগুলি কখনওই ব্যবহার করা যাবে না।”

    কেন আমেরিকার ভূমিকে বাছলেন মুনির?

    প্রশ্ন হল, কেন মুনির ভারতকে হুমকি দিলেন মার্কিন ভূখণ্ড থেকে? মুনিরের আমেরিকাকে তাঁর উসকানিমূলক মন্তব্যের মঞ্চ হিসেবে বেছে নেওয়ার পরিকল্পনার নেপথ্য কারণ হল ট্রাম্পের আমলে পাক-মার্কিন সম্পর্কের সাম্প্রতিক উন্নতি। তাই আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে মুনিরের (Asim Munir) এই হুমকি মোটেই বিস্ময়ের নয়। আয়ুব থেকে জিয়া এবং মোশাররফ থেকে মুনির—প্রত্যেকেই ভেবেছিলেন আমেরিকানরাই তাঁদের প্রকৃত বন্ধু। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁরা হচ্ছেন আদতে দাবার বোড়ে। তাই মুনিরের পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি দেওয়ার মূল কারণ হল ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুরে’ পাকিস্তানের পারমাণবিক ভয় দেখানোর কৌশল ভেঙে দেওয়া।

    উগ্রপন্থীদের আশ্বস্ত করার প্রয়াস মাত্র!

    মুনিরের হুমকি ছিল ভারতের সাহসী সামরিক অভিযানের জবাব, যেখানে ‘অপারেশন সিন্দুরে’ পাক ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি শিবিরগুলিকে টার্গেট করা হয়েছিল। এমনকি প্রতীকী বার্তা হিসেবে কাইরানা পাহাড়েও আঘাত হানা হয়, যা দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের (Asim Munir) ভান্ডার হিসেবে পরিচিত।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুনিরের এই সব মন্তব্য পাকিস্তানের উগ্রপন্থীদের আশ্বস্ত করার উদ্দেশ্যেও করা হয়েছে, বিশেষত যখন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে একের পর প্রশ্নবাণে বিদ্ধ মুনিরের নেতৃত্ব।

    প্রসঙ্গত, এর আগে গত জুন মাসে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে আমেরিকায় গিয়েছিলেন মুনির। সেবার ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজও সেরেছিলেন তিনি। সেই প্রথম কোনও সরকারি আধিকারিক ছাড়াই পাক সেনাপ্রধানকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন কোনও প্রেসিডেন্ট। সেই সময় ভারত-পাক (Inflammatory Nuke Speech) উত্তেজনা প্রশমনেও মুনিরের ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন ট্রাম্প। তার পরেই পরমাণু যুদ্ধ রোখার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব দেন পাক সেনাপ্রধান (Asim Munir)।

  • Bangladesh News: ফের হিন্দু-হত্যা বাংলাদেশে! রংপুরে দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করল মৌলবাদীরা

    Bangladesh News: ফের হিন্দু-হত্যা বাংলাদেশে! রংপুরে দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করল মৌলবাদীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh News) বিপন্ন হিন্দু। মৌলবাদীদের হাতে গত ৯ অগাস্ট রাত দশটা নাগাদ খুন হল ৪০ বছর বয়সি রুপলাল দাস এবং ৩৫ বছর বয়সি প্রদীপ দাস। বাংলাদেশে এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনাটি ঘটে বুড়িরহাট গ্রামে। এটি রংপুর জেলায় তারাগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী রুপলাল দাস এবং প্রদীপ দাস ছিলেন আত্মীয়। রুপলাল দাসের ভাগ্নির স্বামী হলেন প্রদীপ দাস (Hindu)। দুজনকেই পিটিয়ে হত্যা করে মৌলবাদীরা।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    রুপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে ঠিক হওয়ায় সম্প্রতি তাঁর মেয়ের হবু বরের সঙ্গে দেখা করতে প্রদীপ দাস এবং রুপলাল দাস বাংলাদেশের ঘনিরামপুর গ্রামে গিয়েছিলেন। সেখানে মৌলবাদীদের (Bangladesh News) একটা দল হামলা চালায় এবং তাদেরকে ভ্যান চোর বলে আক্রমণ করে। স্থানীয় আলমগীর হোসেন এবং মেহেদী হাসান নামের দুই ব্যক্তি রুপলাল দাস এবং প্রদীপ দাসের ভ্যানের ভিতর থেকে ছোট একটা প্লাস্টিকের বোতল খুঁজে পেয়েছিল এবং তারা দাবি করে যে ওই বোতলের মধ্যে এমন কিছু পদার্থ ছিল যা তাদেরকে অজ্ঞান করে দেয়। এই দাবি শোনার পর মৌলবাদীরা অভিযোগ করে যে প্রকৃত মালিককে অজ্ঞান করে দেওয়ার পর রুপলাল এবং প্রদীপ মিলে ভ্যানটি চুরি করেছে। এরপরে লাঠি, লোহার রড দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ওই দুজনকে। শনিবার রাতেই রুপলাল দাসের মৃত্যু হয়, পরে রবিবার সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা প্রদীপ দাসেরও মৃত্যু হয়।

    বিক্ষোভ হিন্দুদের (Bangladesh News)

    এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে থাকেন স্থানীয় হিন্দুরা (Hindu) এবং বাংলাদেশের রংপুর-দিনাজপুর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তারা। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে একাধিক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বিক্ষোভকারীদের মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে ওই বিক্ষোভ, এরপরে তা উঠে যায়। তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক এম এ ফারুক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই গণপিটুনির ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে (Bangladesh News) চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে, খুব শীঘ্রই মামলা দায়ের করা হবে।

  • John Bolton: ‘‘বিরাট ভুল’’! ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপানোয় নিজের দেশেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    John Bolton: ‘‘বিরাট ভুল’’! ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপানোয় নিজের দেশেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দেশেই কড়া সমালোচনার মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে দেশের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন কূটনীতিকদের কয়েক দশকের প্রচেষ্টা নষ্ট করেছেন – যার লক্ষ্য ছিল ভারতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি আনা এবং রাশিয়া ও চিনের খপ্পর থেকে দূরে রাখা (Tariffs)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন (John Bolton), “ট্রাম্প রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছেন, অথচ চিনের প্রতি তুলনামূলকভাবে নমনীয়।” বোল্টন বলেন, “ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ একটি বিরাট ভুল হতে পারে। কারণ এতে ভারত রাশিয়া ও চিনের আরও কাছাকাছি চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।” তিনি বলেন, “যদিও এ বছরের শুরুতে ট্রাম্প চিনের সঙ্গে সামান্য বাণিজ্যিক বিরোধে জড়িয়েছিলেন, তিনি বেজিংয়ের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির আশায় সেটিকে আর বাড়াননি। উল্টোদিকে, ভারতকে ৫০ শতাংশেরও বেশি শুল্কের মুখোমুখি হতে হয়েছে, যার মধ্যে ছিল রাশিয়া থেকে তেল আমদানির জন্য শাস্তিমূলক ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কও।

    কী বলছেন বোল্টন (John Bolton)

    বোল্টনের মতে, রাশিয়াকে শিক্ষা দিতে গিয়ে ভারতের ওপর আরোপিত দ্বিতীয় পর্যায়ের শুল্কই বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই সবচেয়ে খারাপ ফল তৈরি করেছে। ভারত এ বিষয়ে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এর একটা কারণ হল তারা দেখেছে চিনের বিরুদ্ধে একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর সতর্কবার্তা, এই পরিস্থিতি ভারত, রাশিয়া ও চিনকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে সমন্বয় সাধনে উৎসাহিত করতে পারে। মার্কিন বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার পাডিলা বলেন, “এই শুল্ক ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একজন অংশীদার হিসেবে কতটা নির্ভরযোগ্য, সে বিষয়ে ভারতের সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারে।”

    বোল্টনের যুক্তি

    এর আগে দ্য হিল নামে এক পত্রিকায় প্রকাশিত (John Bolton) এক মতামত নিবন্ধে বোল্টন যুক্তি দিয়েছিলেন, বেজিংয়ের প্রতি ট্রাম্পের নরম অবস্থান চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করার প্রচেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থকে বিসর্জন দিতে পারে। তিনি এও বলেছিলেন, “চিনের ক্ষেত্রে ভারতের তুলনায় শুল্কে বেশি সুবিধা দেওয়া বিশাল একটি ভুল হতে পারে (Tariffs)। প্রসঙ্গত, ভারত রাশিয়ান তেল আমদানি বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ককে অন্যায় ও অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে। রাশিয়া ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবৈধ বাণিজ্যিক চাপ প্রয়োগের অভিযোগ করেছে। বোল্টনের আশঙ্কা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর আসন্ন ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ভারত-শুল্ক বিরোধকে নিজের স্বার্থে কাজে লাগাতে পারেন।

    ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর প্রাক্তন মার্কিন সেনেটের

    এদিকে, ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সেনেটের তথা ডেপুটি সেক্রেটারি কার্ট ক্যাম্পবেল। তিনি সমর্থন করেছেন ভারতকে। কড়া সমালোচনা করেছেন ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের। ক্যাম্পবেল বলেন, “ট্রাম্পের এই অবস্থান ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে।” তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেন কখনওই মার্কিন নেতার সামনে মাথা নত না করেন (Tariffs)।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ক্যাম্পবেল বলেন, শুল্ক ঘোষণার পর থেকে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে অবনতি হয়েছে। তিনি বলেন, “২১ শতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল ভারতের সঙ্গে। কিন্তু এখন তা সংকটে। যেভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারত ও প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্পর্কে কথা বলেছেন, তা ভারত সরকারের জন্য পরিস্থিতিকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলেছে।” ক্যাম্পবেল জোর দিয়ে বলেন, মোদি যেন কোনও অবস্থায়ই ট্রাম্পের কাছে নতিস্বীকার না করেন (John Bolton)।

    ভারতের ওপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক

    ৬ অগাস্ট ট্রাম্প একটি এক্সিকিউটিভ আদেশে স্বাক্ষর করেন, যার মাধ্যমে ভারতীয় আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়, যা আগে থেকেই কার্যকর থাকা ২৫ শতাংশ করের সঙ্গে যুক্ত হবে। প্রশাসন জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যই এই নতুন পদক্ষেপের কারণ, যা ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। ভারত ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে অশ্রদ্ধাশীল ও অযৌক্তিক পদক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সম্ভাব্য সব উপায় অনুসন্ধানের অঙ্গীকারও করে। ঘোষণার পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। একে ওয়াশিংটনের প্রতি সরাসরি প্রতিক্রিয়া হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারত সফর করবেন পুতিন (John Bolton)।

    এখন দেখার কোথাকার জল কতদূর গড়ায়।

  • Asim Munir: “ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক”, অদ্ভূত তুলনায় হাসির খোরাক হলেন আসিম মুনির

    Asim Munir: “ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক”, অদ্ভূত তুলনায় হাসির খোরাক হলেন আসিম মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir) সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন এক তুলনা টেনেছেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রবল ট্রোল ও সমালোচনা। ঘটনার সূত্রপাত হয় পাক সেনাপ্রধানের এক বক্তব্য ঘিরে। আসিম মুনির বলেন, “আমি একটি রূঢ় উপমা দিয়ে বোঝাতে চাইছি। ভারত একটি চকচকে মার্সিডিজ, যা হাইওয়েতে ছুটছে ফেরারির মতো। আর আমরা একটি ডাম্প ট্রাক, যা ভর্তি কাঁকর-নুড়িপাথর দিয়ে। এখন যদি এই ট্রাক গিয়ে মার্সিডিজকে ধাক্কা দেয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত কে হবে?” এই বক্তব্যে মুনির বোঝাতে চেয়েছিলেন, পাকিস্তান হয়তো মার্সিডিজের মতো ঝকঝকে নয়, কিন্তু একটি ডাম্প ট্রাকের মতো ভারি ও ধাক্কা দিতে সক্ষম। তবে তাঁর এই উপমা ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসে।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল

    এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হন মুনির। এক নেটিজেন বলেন, “এই তুলনায় আসলে পাকিস্তানকেই তিনি ‘ডাম্প ট্রাক’ বলে স্বীকার করেছেন, যা একধরনের আত্ম-অপমান।” একজন ব্যবহারকারী লেখেন, “মুনিরের বক্তব্যে একমাত্র সত্য হলো, ভারত একটি মার্সিডিজ, আর পাকিস্তান একটি ডাম্প ট্রাক। বাকিটা কল্পনা।” আরেকজন লিখেছেন, “অন্তত পাকিস্তান নিজেদের বাস্তবতা জানে… তারা ডাম্প ট্রাক ছাড়া অন্য কিছুই নয়। ব্যর্থ মার্শাল স্বীকার করলেন যে তারা কতটা করুণ অবস্থায় আছেন।” কেউ আবার এআই জেনারেটেড ছবি দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, মার্সিডিজ ও ডাম্প ট্রাকের সংঘর্ষে কী হতে পারে। একজন মজা করে লেখেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম এটা মজা। পরে বুঝলাম, না — এটা আসলেই বলেছে! পাকিস্তান সত্যিই আসিম মুনিরের মতো সেনাপ্রধানকে ডিজার্ভ করে।”

    মার্কিন মুলুকে মুনির

    একদিকে ভারতের উপরে ক্রমাগত চাপাচ্ছেন ট্যারিফ, অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা বাড়িয়েই চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এবার ফের মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। বিগত দুই মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন সফরে আসিম মুনির। আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে সরাসরি ভারতকে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে পাকিস্তান যদি অস্তিত্বের সংকটে পড়ে, তাহলে পাকিস্তান পুরো অঞ্চলকে পারমাণবিক সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দেবে।

  • Alaska Meet: শুক্রবার আলাস্কায় মুখোমুখি ট্রাম্প-পুতিন, স্বাগত জানাল ভারত

    Alaska Meet: শুক্রবার আলাস্কায় মুখোমুখি ট্রাম্প-পুতিন, স্বাগত জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছর হতে চলল। এখনও অবসান হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। এহেন আবহে চড়া দরে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধের আকাশে ধ্বনিত হচ্ছে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারিও। এই যখন অবস্থা, তখন শেষমেশ রাশিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন বিশ্বের দুই শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রধানরা। আগামী ১৫ অগাস্ট আলাস্কায় (Alaska Meet) বৈঠকে বসতে চলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া এবং আমেরিকার দুই ‘হুজুরে’র এই বৈঠককে স্বাগত জানাল ভারত (India)। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রকের তরফে এ নিয়ে বিবৃতি জারি করেন মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তাতে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবার যুদ্ধ বন্ধের পথ খুঁজবে রাশিয়া-ইউক্রেন। এর আগে অনেকবারই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রুশ প্রেসিডেন্টকে বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়।” এদিন ফের জারি করা এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর এই বাক্যবন্ধেরও উল্লেখ ছিল। ভারত যে সব সময় ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’য়ের পক্ষে, তাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    বৈঠকে কি যোগ দেবে ইউক্রেন (Alaska Meet)

    প্রশ্ন হল, ট্রাম্প ও পুতিনের এই আলাস্কা বৈঠকে কি যোগ দেবে ইউক্রেন? ইউরোপীয় নেতাদের বক্তব্য, ইউক্রেনে শান্তির পথ কিয়েভকে (ইউক্রেনের রাজধানী) বাদ দিয়ে করা সম্ভব নয়। আলোচনাগুলি হতে পারে নিছকই যুদ্ধবিরতি বা শত্রুতা হ্রাসের প্রেক্ষাপটে। আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। জানিয়ে দিয়েছে, এই বৈঠক ইউক্রেনের এই সংঘাতের অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতিও বহন করে।

    ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া ছেড়ে দিতে হবে

    এদিকে, এনবিসি নিউজ শনিবার জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আলাস্কায় আমন্ত্রণ জানানোর কথা বিবেচনা করছেন। এর আগে, ট্রাম্প প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শেষ করতে শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে উভয় পক্ষের নিয়ন্ত্রিত কিছু এলাকা বিনিময় হতে পারে (India)। সেই পরিকল্পনার মধ্যে থাকতে পারে পুতিনের একটি দাবি, ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া ছেড়ে দিতে হবে, যা ২০১৪ সালে ক্রেমলিন বাহিনী অবৈধভাবে দখল করেছিল, এবং পুরো পূর্ব দোনবাস অঞ্চলও। এমন একটি অবস্থায় জেলেনস্কিকে লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলের সেই অংশ থেকেও সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই ()Alaska Meet অঞ্চলটি এখনও কিয়েভের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।

    বিদেশমন্ত্রকের জারি করা বিবৃতি 

    শনিবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে আলাস্কায় ১৫ আগস্ট ২০২৫-এ বৈঠকের জন্য যে সমঝোতা হয়েছে, ভারত তাকে স্বাগত জানায়।” মন্ত্রক এও বলেছে, “এই বৈঠক ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে শান্তির সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে। যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার বলেছেন—‘এটি যুদ্ধের সময় নয়।’” এদিকে, এনবিসি নিউজ শীর্ষ আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আলাস্কায় আমন্ত্রণ জানানোর কথা বিবেচনা করছে, যেখানে ১৫ আগস্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। ইউক্রেন ওই বৈঠকে যোগ দেবে কিনা, সে প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলেনস্কির কোনও সফর এখনও চূড়ান্ত হয়নি এবং শেষ পর্যন্ত তিনি আলাস্কায় বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, তাও স্পষ্ট নয়, যদিও বিষয়টি এখনও সম্ভাবনার স্তরেই রয়েছে (Alaska Meet)।

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাফ কথা

    যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে নেওয়া যে কোনও সিদ্ধান্তই শান্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত হবে। এগুলি অর্থহীন। কোনও লাভ হবে না।” তবে তিনি বলেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে নেওয়া যে কোনও সিদ্ধান্তই একই সঙ্গে শান্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত হবে। এতে কোনও লাভ হবে না।” তিনি এও বলেন, “ইউক্রেনের আঞ্চলিক প্রশ্নের উত্তর ইউক্রেনের সংবিধানের মধ্যেই রয়েছে। কেউই এর থেকে বিচ্যুত হবে না এবং হতে পারবেও না (India ।”

    ইউক্রেন ভাগের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা মেনে নেব না

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কিছু ভূখণ্ড বিনিময় হবে এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই বলে সতর্ক করেন যে ইউক্রেন দেশটিকে ভাগ করার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা মেনে নেবে না। তিনি বলেন, “ইউক্রেনীয়রা তাদের জমি দখলদারকে উপহার দেবে না।” তিনি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার জন্য কোনও ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং পরে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, শান্তি আসতে হবে ন্যায়সঙ্গতভাবে যুদ্ধের অবসানের মাধ্যমে, রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিয়ে নয় (Alaska Meet)।

    ইউরোপীয় দেশগুলির বক্তব্য

    এদিকে, শনিবার ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ইউক্রেনে শান্তির পথ কিয়েভকে বাদ দিয়ে নির্ধারণ করা যাবে না, পরিবর্তন করা যাবে না আন্তর্জাতিক সীমান্ত বলপ্রয়োগের মাধ্যমেও। এদিকে, ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স শনিবার ব্রিটেনে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা। সেখানে ট্রাম্পের ইউক্রেন শান্তি উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা হবে। এদিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার বৈঠকের আগে জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে মতবিনিময়ও করেছেন বলে সূত্রের খবর। ভারতের প্রাক্তন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পঙ্কজ সারণ বলেন, “আগামী সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া শীর্ষ (India) সম্মেলনের দিকে কড়া নজর রাখতে হবে, কারণ যে কোনও কিছুই ঘটতে পারে। এবং নিশ্চিতভাবেই ভারতের ওপর এর প্রভাব পড়বে (Alaska Meet)।” প্রসঙ্গত, ট্রাম্প এবং পুতিন শেষবার এক সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ২০১৯ সালে, জাপানে অনুষ্ঠিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে তাঁরা একাধিকবার টেলিফোনে কথাও বলেছেন।

    আগেও বৈঠক হয়েছে ট্রাম্প-পুতিনের

    পুতিন এর আগে ২০১৮ সালে হেলসিঙ্কিতে ট্রাম্পের সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠকও করেছিলেন। সেই সময় ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার এই সিদ্ধান্তের চেয়ে পুতিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন বলে মনে হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, রাশিয়া নিউ ইয়র্কের এই ধনকুবেরকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছিল। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুতিন শেষবার কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ২০১৫ সালে, যখন তিনি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বৈঠকে বারাক ওবামার সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন (Alaska Meet)। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউক্রেন প্রেডিসেন্ট বলেন, “ইউক্রেন রাশিয়াকে জমি ছেড়ে দেবে না। ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে আলোচনায় বসাও অর্থহীন। আমরা সবাই শান্তি চাই। কিন্তু ইউক্রেনকে ছাড়া এই যুদ্ধ বন্ধ সম্ভব নয় (India)।”

    ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়ায় পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি নিজেই প্রকাশ্যে এনেছেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, “অবশেষে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও আমার বৈঠকটি হতে চলেছে। ১৫ অগাস্ট শুক্রবার আলাস্কায় আমাদের সাক্ষাৎ হবে। পরে টেলিগ্রামে রাশিয়ার তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চুক্তির বিষয়টি নিশ্চত করতে প্রেসিডেন্টরা নিঃসন্দেহে ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করবেন (Alaska Meet)।”

LinkedIn
Share