Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Texas Shooting: বন্দুকবাজের গুলিতে ফের রক্তাক্ত আমেরিকা, নিহত শিশু সহ ৫

    Texas Shooting: বন্দুকবাজের গুলিতে ফের রক্তাক্ত আমেরিকা, নিহত শিশু সহ ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্দুকবাজের গুলিতে (Texas Shooting) ফের রক্ত ঝরল আমেরিকায় (America)। এবার অকুস্থল টেক্সাসের ক্লিভল্যান্ড। বছর আটেকের এক শিশু সহ ৫ প্রতিবেশীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও তিনজন। জানা গিয়েছে, যাঁদের গুলি করে খুন করা হয়েছে, তাঁরা সবাই দক্ষিণ আমেরিকার দেশ হন্ডুরাস থেকে টেক্সাসে এসেছিলেন। ফ্রান্সিসকো ওরোপেজ নামে ওই বন্দুকবাজের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

    কী পরিস্থিতিতে বন্দুকবাজ গুলি চালাল (Texas Shooting)?

    শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়ি লাগোয়া একটি ফাঁকা জায়গায় এআর-১৫ স্টাইলের একটি বন্দুক নিয়ে গুলি ছুড়ছিলেন বন্দুকবাজ। ওই সময় নিহতরা তাঁকে শব্দ করতে বারণ করেন। তাঁরা তাঁকে জানান, বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। শব্দ করায় বাচ্চা ঘুমোচ্ছে না। সেই সময় বন্দুকবাজ বলেন, আমার বাড়ির সীমানায় আমি যা খুশি করব। অভিযোগ, এর পরেই বন্দুকবাজ তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশু সহ পাঁচজনের।

    সান জাসিন্টো কাউন্টির (Texas Shooting) শেরিফ গ্রেগ ক্যাপারস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রতিবেশীরা ফান্সিসকোর বাড়ির সীমানার কাছে এসে তাকে বলেছিলেন, কিছু মনে করো না। আমাদের বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছি। তুমি এখন শব্দ করো না। সেই সময় ফ্রান্সিসকো বলে, আমার বাড়ির সীমানায় আমি যা খুশি করব। সে সময় সিসি টিভি ক্যামেরায় ফ্রান্সিসকোকে বন্দুক নিয়ে তেড়ে আসতে দেখা যায়। তিনি জানান, এর পরেই বছর চল্লিশের ওই বন্দুকবাজ এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। শেরিফ বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়েও ওই মহিলারা বাচ্চাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন।

    আরও পড়ুুন: প্রতিবাদ পরিণত হিংসায়, মণিপুরে বন দফতরের অফিসে আগুন, নৈশ কারফিউ

    বন্দুকবাজ যাঁদের খুন করেছে, তাঁদের প্রত্যেকের মাথায় গুলি করেছে। তিনি জানান, গুলি চালানোর সময় বাড়িটিতে ১০জন ছিলেন। মৃতেরা প্রত্যেকেই হন্ডুরাস থেকে টেক্সাসে এসেছিলেন। তিনি জানান, বন্দুকবাজ (Texas Shooting) এই শহরে এসেছিল মেক্সিকো থেকে। ঘটনার পরে পরেই কাউন্টি থেকে চম্পট দিয়েছে ওই দুষ্কৃতী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sudan Crisis: দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদানে শুরু ভারতীয়দের উদ্ধার কাজ

    Sudan Crisis: দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদানে শুরু ভারতীয়দের উদ্ধার কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদান (Sudan Crisis) থেকে ভারতীয়দের (India) উদ্ধার কাজ শুরু হল। সুদানে আটকে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সুদানে ভারতের রাষ্ট্রদূত রবীন্দ্রপ্রসাদ জয়সওয়াল, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরী, নৌ সেনাপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার এবং বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা। তার পরেই শুরু হয় উদ্ধার কাজ। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত ১২টি দেশের ৬৬ জন নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ভারতীয়ও রয়েছেন।

    দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদানে (Sudan Crisis) উদ্ধার কাজ…

    সৌদি আরব মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ জন সৌদি নাগরিক নিরাপদে পৌঁছেছেন। কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, টিউনিশিয়া, পাকিস্তান, ভারত, বুলগেরিয়া, বাংলাদেশ, ফিলিপিন্স, কানাডা এবং বুরকিনার ৬৬ জন নাগরিককেও উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুদানে (Sudan Crisis) যেভাবে দ্রুত পরিস্থিতি বদলাচ্ছে, সেই প্রেক্ষিতে ভারতীয়দের আকস্মিকভাবে সরিয়ে আনার জন্য পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সুদানের প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, আফ্রিকার এই দেশটিতে গত কয়েকদিন ধরেই পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক। সেনাবাহিনী ও আধাসেনাবাহিনীর মধ্যে শুরু হয়েছে ক্ষমতা দখলের লড়াই। দু পক্ষের সশস্ত্র সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন ৬০০ জন। যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটি এর চেয়ে ঢের বেশি।

    আরও পড়ুুন: পুলিশের জালে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিংহ

    ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের জেরেই সুদানে (Sudan Crisis) শাসন ক্ষমতা হাত বদল হয়েছিল। সেবার অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দেশের সেনাপ্রধান আবদেল ফতাহ আল বুরহান এবং তাঁর ডেপুটি মহম্মদ হামদান ডাগলো। ডাগলো ছিলেন সুদানের আধা সামরিক বাহিনীর আরএসএফের অন্যতম শীর্ষ নেতা। আবদেল ফতাহ ও ডাগলো কার হাতে থাকবে ক্ষমতার রশি, তা নিয়েই শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ। সূত্রের খবর, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুদানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। জানা গিয়েছে, সুদানে বিপন্ন ৩ হাজারের বেশি ভারতীয় নাগরিক। তাঁদের যাতে নিরাপদে উদ্ধার করা যায়, সে ব্যাপারে তৎপর প্রধানমন্ত্রী। গত সপ্তাহে সুদানে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন এক ভারতীয়। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hinduphobia in Britain: হিন্দু ছাত্রদের উত্যক্ত করা হচ্ছে ব্রিটেনের স্কুলগুলিতে, প্রকাশ রিপোর্টে

    Hinduphobia in Britain: হিন্দু ছাত্রদের উত্যক্ত করা হচ্ছে ব্রিটেনের স্কুলগুলিতে, প্রকাশ রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের স্কুলগুলিতে মুসলিম ছাত্ররা হিন্দু ছাত্রদের লাগাতার উত্যক্ত করছে। এই ঘটনাকে হিন্দুফোবিয়া (Hinduphobia in Britain) আখ্যা দিয়ে সেদেশে রিপোর্ট প্রকাশ করল একটি সংস্থা। জানা গিয়েছে, ৫১ শতাংশ হিন্দু অভিভাবকই উদ্বিগ্ন এবং এই হিন্দু বিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাঁরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, ব্রিটেনের স্কুলগুলিতে কীভাবে হিন্দুদের সঙ্গে ভেদাভেদ করা হচ্ছে তা এই রিপোর্ট সামনে আনল।

    আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের পদ বিক্রি! নাম জড়াল বিধায়ক সোহমের আপ্ত সহায়কের

    কী বলছেন অভিভাবকরা    

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে ধর্মীয় শিক্ষা আবশ্যিক। সেদেশের স্কুলগুলিতে ১৬ বছর বয়স অবধি ছাত্রদের ধর্মীয় শিক্ষার পাঠ নিতে হয়। অর্থাৎ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বলা যেতে পারে। জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের হাজারের বেশি স্কুলে ৯৮৮ জন অভিভাবকের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হেনরি জ্যাকসন সোসাইটি নামের ওই সংস্থা। রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর অনেক অভিভাবকই নিজের মতামত রেখেছেন। এক অভিভাবকের মতে, এই রিপোর্ট অনেক কিছুই সামনে আনল। আমাদের ছেলেরা স্কুলে হিন্দু বিরোধী পরিবেশে যেতে ভয় করছে। এটা হওয়া উচিত নয়। জানা যাচ্ছে, নিরামিষভোজী হিন্দু ছাত্রদের বিভিন্নভাবে তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে উত্যক্ত করা হয়। হিন্দু দেবদেবীদের অবজ্ঞা করা হয়। সবমিলিয়ে ব্রিটেনের স্কুলগুলিতে তৈরি হয়েছে হিন্দু বিরোধী পরিবেশ।

    আরও পড়ুন: দড়ির উপর খেলায় মর্মান্তিক মৃত্যু, স্বামীকে ধরতে গিয়ে হাত ফসকে পড়ে গেলেন স্ত্রী

    শার্লট লিটলউড নামের জনৈক মহিলা এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। তিনি বলেন, স্কুলগুলিতে এমন হিন্দুফোবিয়ার ঘটনা লেস্টারে হিন্দু মুসলিম সাম্প্রদায়িক অশান্তির পর থেকেই বেড়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর অগাস্ট মাসে দুবাইয়ে ভারত পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে এই গণ্ডগোল বেধেছিল।

    আরও পড়ুন: মিশনারিদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ! পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়ছে নেপালে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heat Wave: বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ দিনে তাপমাত্রা ছিল ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস! কোথায় জানেন?

    Heat Wave: বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ দিনে তাপমাত্রা ছিল ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গে তাপমাত্রা রেকর্ড ভাঙছে। ৪২ এর মাত্রা ছাড়িয়েছে ইতিমধ্যেই। বঙ্গবাসীর নাজেহাল অবস্থা। এই পর্বে বৃষ্টির আশা থাকলেও ভবিষ্যতে ফের কতদিন এই গরম সহ্য করতে হবে, জানা নেই। এবার ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বহু মানুষ, অশেষ দুর্ভোগের মধ্যেই অফিস ছুটতে হয়েছে চাকরিজীবীদের। স্কুল-কলেজে তো আগেই ছুটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আপনার কি জানা আছে, এই ৪২ ডিগ্রির থেকেও মারাত্মক গরম (Heat Wave) সহ্য করেছে মানুষ? বিশ্বের ইতিহাসে আছে এমন এমন বছর, যেগুলি জনজীবনে অভিশাপ হয়ে উঠেছিল। তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়েছিল জীবন। 

    কবে, কোথায় এই মারাত্মক তাপপ্রবাহ থাবা বসিয়েছিল?

    যখন কোনও স্থানে তাপমাত্রা দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায় এবং সেই সঙ্গে আর্দ্রতা বেড়ে যায়, তখন সৃষ্টি হয় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। আর ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, বিশ্বে এরকম অনেক সময় আছে, যে বছরগুলিতে তাপপ্রবাহের (Heat Wave) পরিমাণ ছিল মারাত্মক। পৃথিবীর সবথেকে উষ্ণ দিনটি রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯১৩ সালের জুলাই মাসে, ক্যালিফোর্নিয়াতে। তখন সেই জায়গায় তাপমাত্রা ছিল ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয়, কীভাবে মানুষ এই মাত্রাতিরিক্ত গরম সহ্য করেছে। মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়া। আরও অনেক জায়গায় এই দাবদাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। ইতিহাসে তার মধ্যে ৪ টি হল নিউইয়র্ক বিপর্যয় ১৮৯৬ সাল, দ্যা গ্রেট স্টিনক ১৮৫৮, ইউরোপের দাবদাহ ১৭৫৭ সালে, ইউরোপের খরা ১৫৪০ সালে। 

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত প্রচণ্ড তাপের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে এবং তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এই বছর সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে। এপ্রিলের এই তাপপ্রবাহ উত্তর ও পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বেশি আঘাত হেনেছে। 

    ভারতের ইতিহাসে কি এর থেকেও খারাপ পরিস্থিতি হয়েছে?

    শুধু সুদূর বিদেশের মাটিতে নয়, ভারতও এর থেকে মারাত্মক গরম (Heat Wave) সহ্য করেছে। ২০২১ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ১৯৭১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশে ৭০৬ টি তাপপ্রবাহের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ সালে ভারতের রাজস্থানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৫৬ সালে রেকর্ড করা হয়েছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ১৯৯৮ সালে মে-জুন মাসে তাপমাত্রা ছিল ৪৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায় ২৫০০ জনের মৃত্যুও হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Elon Musk: যাত্রা শুরুর ৪ মিনিটের মধ্যে ভেঙে পড়ল ইলন মাস্কের রকেট

    Elon Musk: যাত্রা শুরুর ৪ মিনিটের মধ্যে ভেঙে পড়ল ইলন মাস্কের রকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ইলন মাস্কের (Elon Musk) মালিকাধীন সংস্থা স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট। ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। হুহু করে যাত্রা শুরু করে রকেটটি। কিন্তু ৩৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পরেই ভেঙে পড়ে সেটি। শোনা যাচ্ছে, ধনকুবের ইলন মাস্ক এমন একটি মহাকাশযান তৈরি করতে চাইছে, যা বার বার ব্যবহার করা যাবে। স্টারশিপের উচ্চতা ৩৯৪ ফুট, যা স্ট্যাচু অফ লিবার্টির চেয়েও ৯০ ফুট বেশি উঁচু। এই মহাকাশযানে ৩৩টি শক্তিশালী র‌্যাপ্টর ইঞ্জিন রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে তিন মহাকাশচারীকে এই মহাকাশযানে করে চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার।

    বিশ্বের বৃহত্তম রকেট ছিল স্টারশিপ

    বৃহস্পতিবার এই রকেটটি টেক্সাসের স্টারবেস থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। বিশ্বের বৃহত্তম রকেট ছিল স্টারশিপ। পরীক্ষামূলক ভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। যদিও সেই পরীক্ষা ব্যর্থ হয়। স্টেজ বিচ্ছেদের ঠিক আগের মুহূর্তেই রকেটের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়।

    কী বললেন ইলন মাস্ক (Elon Musk) 

    জানা গিয়েছে, ইলন মাস্কের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপন করা। পৃথিবীর বৃহত্তম রকেট স্টারশিপের মাধ্যমে সেই লক্ষ্যপূরণের চেষ্টা করতে চেয়েছিলেন তিনি। ৩৯৪ মিটার লম্বা এই রকেটটি দু’টি ভাগে বিভক্ত। সুপার হেভি বুস্টার এবং উপরের-অংশের স্টারশিপ, উভয়েই পুনর্ব্যবহারযোগ্য। এদিন উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য ছিল, রকেটটি পূর্ণ পৃথিবী কক্ষপথ ঘুরে প্রশান্ত মহাসাগরে নেমে আসবে। কিন্তু মাঝ আকাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় মেক্সিকো উপসাগরের উপরে বিস্ফোরিত হয়।
    স্টারশিপের এদিনের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ অসফল হলেও এদিনের শুরুতে নিজের চিরাচরিত, অদম্য মেজাজেই ছিলেন ইলন মাস্ক (Elon Musk) । ট্যুইটে স্পেসএক্সকে অভিনন্দন জানান। বলেন,  কয়েক মাসের মধ্যেই পরবর্তী পরীক্ষামূলক লঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nepal: মিশনারিদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ! পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়ছে নেপালে

    Nepal: মিশনারিদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ! পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়ছে নেপালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর মধ্যে খ্রিস্টান জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নেপালে সবথেকে বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৬১ সালে যেখানে নেপালে মাত্র ৪৫৮ জন খ্রিস্টান বাস করতেন, সেখানে ২০১১ সালের সেনসাসে মোট জনসংখ্যার ১.৪ শতাংশ মানুষ খ্রিস্টান ছিলেন। আবার, ২০২২ সালে এই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে দেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ। নেপালের এই ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তনে বিপদ দেখছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সামাজিক এবং ধর্মীয় বিন্যাস ক্রমশই বদলে যাচ্ছে নেপালে। বিশেষজ্ঞদের মতে নেপালের সামাজিক এবং ধর্মীয় বিন্যাস স্থিতিশীল ছিল ২০০৬ পর্যন্ত। তখন নেপাল ছিল একটি হিন্দু রাষ্ট্র। কিন্তু পরবর্তীতে নেপাল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে যখন থেকে আত্মপ্রকাশ করে, তখন থেকে সুযোগটা নিতে থাকে মিশনারিরা।

    সেদেশে ৬৫ বছর ধরে কাজ করে চলেছে United Mission নামের একটি সংগঠন

    সেদেশের হিন্দু বৌদ্ধরা এই ধর্মান্তকরণের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। তবুও কাজ সেভাবে হচ্ছেনা বলেই জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে নেপালের সংবিধানে ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারা রয়েছে, তবে তা শুধুমাত্র সংবিধানেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে তার কোনও প্রয়োগ দেখতে পাওয়া যায়না। আন্তর্জাতিক খ্রীস্টান সংগঠনগুলি থেকে ব্যাপক ফান্ডিং আসে নেপালে। মিশনারিরা ধরেই নিয়েছেন যে নেপাল হল তাদের সহজ লক্ষ্যবস্তু। তারা প্রতি মুহূর্তে সক্রিয় ধর্মান্তকরণের কাজে। জানা যাচ্ছে সেদেশে ৬৫ বছর ধরে কাজ করে চলেছে United Mission নামের একটি সংগঠন। খাতায় কলমে দেখায় যে তারা গরিব এবং জনকল্যাণমূলক কাজ করে, কিন্তু আদতে তাদের লক্ষ্য নেপালকে খ্রীস্টান রাষ্ট্র বানানো। এই কাজে তাদের সাহায্য করে চলেছে বিভিন্ন খ্রীস্টান এনজিও।

    উত্তর নেপালে মিশনারিদের এই প্রভাব সবথেকে বেশি

    উত্তর নেপালে মিশনারিদের এই প্রভাব সবথেকে বেশি বলে জানা যাচ্ছে। গরিব মানুষদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে, তাদের ভাল জীবন ও জীবিকার স্বপ্ন দেখিয়ে খ্রিস্টান মিশনারিরা ধর্মান্তকরণ করে চলেছে।  “to make Christ known by word and life”……. এই নামে চলছে প্রচার অভিযান। অন্যদিকে মুসলিম সংগঠনের নেতারা এবং খ্রীস্টান সংগঠনগুলি লাগাতার দাবি জানিয়ে আসছে ধর্ম পরিবর্তনের অধিকারকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দানের জন্য। ২০১৪ সালে সেদেশের ব্রিটিশ দূত বলেন, ব্যক্তির নিজ ইচ্ছায় ধর্ম পরিবর্তনকে আমরা সর্বদাই সমর্থন করি। ধর্ম পরিবর্তনের অধিকারকে সদা সুরক্ষিত রাখব আমরা।

    গসপেল অফ ট্রুথ কেন প্রচার করা হচ্ছে গরিব মানুষের সেবা কাজে 

    সেদেশের খ্রিস্টান মিশনারিরা অবশ্য এসব অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বলছে, আমরা কাউকে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ করছিনা। সবাই নিজেদের জীবনকে সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বানানোর জন্য খ্রিস্টান হচ্ছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সবাই যখন নিজের ইচ্ছায় খ্রিস্টান হচ্ছে, তবে বাইবেলের সঙ্গে তাদের টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে? গসপেল অফ ট্রুথ কেন প্রচার করা হচ্ছে গরিব মানুষের সেবা কাজে?

    সবথেকে বেশি ধর্মান্তকরণের কাজ মিশনারিরা করেছে ২০১৫ সালে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সময় 

    বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সবথেকে বেশি ধর্মান্তকরণের কাজ মিশনারিরা করেছে ২০১৫ সালে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সময়। সেসময় সেবা কাজের অজুহাতে তারা ব্যাপক ধর্মান্তকরণ চালাতে থাকে। ভূকম্প বিধ্বস্ত নেপালে তখন ঘরবাড়ি হারান বহু সংখ্যক মানুষ, তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে এগিয়ে আসে মিশনারিরা।

    একনজরে….

    ১৯৫১ সালে মোট খ্রিস্টান সংখ্যা –  ০

    ১৯৬১ সালে মোট খ্রিস্টান সংখ্যা- ৪৫৮

    ২০১১ সালে মোট খ্রিস্টান সংখ্যা- ৩,৭৬,০০০

    ২০২২ সালে মোট খ্রিস্টান সংখ্যা- ৫,৪৫,০০০

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chinese Acrobat: দড়ির উপর খেলায় মর্মান্তিক মৃত্যু, স্বামীকে ধরতে গিয়ে হাত ফসকে পড়ে গেলেন স্ত্রী

    Chinese Acrobat: দড়ির উপর খেলায় মর্মান্তিক মৃত্যু, স্বামীকে ধরতে গিয়ে হাত ফসকে পড়ে গেলেন স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দড়ির উপর খেলা দেখাতেন (Chinese Acrobat) স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। ৩০-৪০ ফুট উচ্চতায় এক দড়ি থেকে অন্য দড়ি লাফিয়ে ধরতেন। অতখানি উচ্চতায় কখনও জাম্প করে একে অপরকে ধরতেন। কিন্তু হঠাৎই বিপত্তি। ৩০ ফুট উচ্চতায় স্বামীকে ধরতে গিয়ে হাত ফসকে পড়ে গেলেন স্ত্রী। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে চিনের আনহুই প্রদেশে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, মৃতা মহিলার নাম সান। অন্যান্যদিনের মতো এদিনও তিনি দড়ির উপর আক্রোব্যাট করছিলেন স্বামীর সঙ্গে। এটাই ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। প্রথম থেকে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু হঠাৎই ঘটে এমন দুর্ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তাঁদের দুজন কখনও সেফটি বেল্ট পরে স্টান্ট দেখাতেন না। স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। মর্মান্তিক এই ভিডিও ইতিমধ্যে পৃথিবী জুড়ে ভাইরাল হয়েছে।

    স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কি অশান্তি চলছিল?

    চিনের (Chinese Acrobat) মিডিয়ার একাংশ দাবি করেছে, এদিন ঘটনার সময় বাদানুবাদ চলছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মৃতার স্বামী। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই একসঙ্গে কাজ করছি। কখনও আমাদের মধ্যে অশান্তি হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sudan Clash: প্রকাশ্যে চলছে গোলাগুলি, সেনা-আধাসেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সুদান, মৃত ৫৬, জখম ৫৯৫

    Sudan Clash: প্রকাশ্যে চলছে গোলাগুলি, সেনা-আধাসেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপ্ত সুদান, মৃত ৫৬, জখম ৫৯৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক বাহিনী এবং প্যারামিলিটারি ফোর্স অর্থাৎ আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে সুদান (Sudan Clash)। রাজধানী খার্তুম এবং আশপাশের এলাকায় অহরহ চলছে গোলাগুলি। রবিবার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখমের সংখ্যা ৫৯৫। তবে অন্য একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ রাজধানীর খবর যেভাবে আসছে, আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মৃত্যুর খবর সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।

    ‘এমন ভয়াবহ দৃশ্য তাঁরা আগে কখনও দেখেননি’

    এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, সর্বত্র গোলাগুলি চলছে, বাদ যাচ্ছে না ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকাও। এমন ভয়াবহ দৃশ্য (Sudan Clash) তাঁরা আগে কখনও দেখেননি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘের মহাসচিব, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান, আরব লিগের প্রধান এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের প্রধান সহ শীর্ষ কূটনীতিবিদরা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চাপ দিলেও লড়াই কিন্তু এখনও জারি রয়েছে। আক্রমণ চালানো হয়েছে বিমানবন্দরেও। সেখানে বিমান যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি মৃত্যুও হয়েছে দুই সাধারণ নাগরিকের। 

    প্রাণ গেল এক ভারতীয় নাগরিকেরও

    দুই বিবদমানের প্রকাশ্য লড়াইয়ে (Sudan Clash) প্রাণ গেল এক ভারতীয় নাগরিকেরও। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে এই খবর জানানো হয়েছে। ডক্টর এস জয়শঙ্কর ট্যুইট করে জানিয়েছেন, নিহত ভারতীয়ের পরিবারকে সবরকম সাহায্য করার জন্য দূতাবাস চেষ্টা চালাচ্ছে। খার্তুমের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। ওই ব্যক্তি সুদানের একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। প্রকাশ্য রাস্তায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। 

    দাবি-পাল্টা দাবি অব্যাহত

    প্যারামিলিটারির সাপোর্ট ফোর্সেস-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস, সেনাবাহিনীর প্রধানের বাড়ি, স্টেট টেলিভিশন স্টেশন এবং বিমানবন্দর তারা দখল করে নিয়েছে। যদিও সেনার পক্ষ থেকে এইসব দাবি নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। সেনার পাল্টা দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা রাজধানীর কাছে প্যারামিলিটারির ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে। সুদানের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালোর মধ্যে কয়েক মাস ধরেই ক্ষমতা দখলের দড়ি টানাটানি (Sudan Clash) চলছে। আর তারই মর্মান্তিক পরিণতি এই যুদ্ধ বলে জানা গিয়েছে। সেনার পক্ষ থেকে যেমন যাবতীয় সমঝোতার পথ বন্ধ বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তেমনি আধাসেনার পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর প্রধানকে ‘ক্রিমিনাল’ তকমা দেওয়া হয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায়, যুদ্ধ এখনই থামার নয়।

    নানা কারণে বরাবরই খবরের শিরোনামে

    অন্তর্ন্দ্বন্দ্বে জর্জরিত পৃথিবীর যে সমস্ত দেশ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল সুদান। উত্তর আফ্রিকার এই রাষ্ট্রটি নানা কারণে বরাবরই খবরের শিরোনামে। একদিকে অনগ্রসর এবং অন্যদিকে মুসলিম অধ্যুষিত এই রাষ্ট্রে শুরু হয়েছে সেনা এবং আধা সেনাবাহিনীর লড়াই (Sudan Clash)। ২০২২ সালের অক্টোবরে ভয়ংকর জাতিসংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল এই সুদান। জমি নিয়ে বিবাদে জাতিসংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল ১৭০ জনের। এবার প্রকাশ্য লড়াইয়ে সেনা এবং আধা সামরিক বাহিনী। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের সময় যে আধাসেনা ছিল তাদের সাহায্যকারী, আজ তারাই লড়েইয়ের ময়দানে তাদের প্রতিপক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dubai: বহুতল আবাসনে বিধ্বংসী আগুন, মৃত অন্তত ১৬, জখম ৯, এলাকায় আতঙ্ক

    Dubai: বহুতল আবাসনে বিধ্বংসী আগুন, মৃত অন্তত ১৬, জখম ৯, এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে বিকট শব্দ। তারপরেই আশপাশের বাসিন্দারা দেখতে পেলেন, বহুতলের জানালা দিয়ে গল গল করে বাইরে বেরিয়ে আসছে ধোঁয়া ও আগুন। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক। শনিবার দুপুরে দুবাইয়ের (Dubai) বহুতল আবাসনের একটি তলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হল অন্ততপক্ষে ১৬ জনের। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন ৯ জন। তাঁরা সকলেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আগুন পুরপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে রবিবার সকাল হয়ে যায়। 

    কী জানালেন সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র?

    সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থল হল আল রাসের (Dubai) একটি আবাসন। আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যান দমকলকর্মী এবং পুলিশের কর্মকর্তারা। কিন্তু ধোঁয়ায় চারদিক এমনভাবে ঢেকে গিয়েছিল যে কাজ করতে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ চারপাশের কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। 
    ওদিকে বহুতলে আটকে পড়া বাসিন্দা এবং বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা বুঝে উঠতে পারছিলেন না, কী করবেন। ধোঁয়ার দাপট কিছুটা কমতে কর্মীরা ক্রেন দিয়ে মানুষকে উদ্ধারের কাজ শুরু করেন। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে ওই আবাসনটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিল করে দেওয়া হয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে সিভিল ডিফেন্স জানতে পেরেছে, নিরাপত্তার গাফিলতির কারণেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাই এ নিয়ে শুরু হয়েছে আরও তদন্ত। 

    আশপাশের বাসিন্দারা কী জানালেন?

    দুবাইয়ের (Dubai) ওই আবাসনের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তাঁরা চতুর্থ তলে আগুনের বলের মতো কিছু দেখতে পান। প্রথমে ভেবেছিলেন এয়ারকন্ডিশন মেশিন থেকে হয়তো কিছু হয়েছে। তারপরেই ভুল ভাঙে বিকট শব্দে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখেন তাঁরা। ওই আবাসনেরই এক আবাসিক জানালেন, শুরুতে তাঁরা পোড়া গন্ধ পেয়েছিলেন। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনের হলকা তাঁদের দিকে ধেয়ে আসে। তখনই তাঁরা আতঙ্কে ব্যালকনিতে দৌড়ে যান এবং সাহায্যের জন্য আর্ত চিৎকার শুরু করে দেন। যদিও ব্যালকনিতে পৌঁছে তাঁরা দেখেন, নিচের রাস্তায় মানুষের ভিড়।

    নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ভারতীয়ও

    অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে চারজন ভারতীয় রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে আবার দুজন কেরলের এক দম্পতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Economic Crisis: আর্থিক সংকটের পাকিস্তানে খাদ্যের হাহাকার! রেশন বিতরণে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ২৩

    Pakistan Economic Crisis: আর্থিক সংকটের পাকিস্তানে খাদ্যের হাহাকার! রেশন বিতরণে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চরম আর্থিক সংকটে (Pakistan Economic Crisis) পাকিস্তান! এমন পরিস্থিতিতে সেদেশের সরকার বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী বন্টনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তাতেই বিপত্তি। ময়দার ট্রাক লুঠ, সরকারি আধিকারিকদের দুর্নীতির অভিযোগ তো আসছেই পাশাপাশি সেদেশের বিভিন্ন প্রদেশে ময়দা বিতরণকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত অন্তত পক্ষে ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

    গত ১৫ দিনে বিভিন্ন জায়গায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে 

    ৩১ মার্চ করাচিতে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছিল। সেখানেই হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে ছিল ৮ মহিলা এবং ৩ শিশু। করাচির সিন্ধ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেডিং এস্টেট এলাকায় পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জেরে ৭ জনকে গ্রেফতারও করে পাক প্রশাসন। ২৮ মার্চ  পাঞ্জাবের সাহিওয়াল জেলায় বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী বিতরণে পদদলিত হয়ে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। আবার ২৩ মার্চ খাইবার পাখতুনখোয়ার চরসাদ্দা জেলায় রেশন সামগ্রী বিলির সময় পদদলিত হয়ে একজন নিহত ও চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। কিছু দিন আগে, কয়েক হাজার ময়দার বস্তা ট্রাক থেকে লুট হয়েছিল।

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের প্রধান খাদ্যশস্য হল গম। কিন্তু, গত কয়েক মাস ধরেই গম ও গমজাত দ্রব্য, আটা, ময়দা, এমনকি পাউরুটিরও আকাল দেখা দিয়েছে পাকিস্তানে। জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতি বুধবার সকাল ৬টা থেকে জেলা প্রশাসনিক কেন্দ্রগুলি থেকে বিনামূল্যে গম বিতরণের কথা ঘোষণা করেন পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের সরকার। সেই ঘোষণার পরই প্রশাসনিক কেন্দ্রগুলিতে জনগণের ভিড় জমে যায়। তারপর গম ভর্তি ট্রাক কেন্দ্রগুলিতে পৌঁছতেই কার্যত লুঠ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত ব্যর্থ হয় পুলিশ-প্রশাসন। আগে বেশি গম পাওয়ার হুড়োহুড়িতেই বিভিন্ন জায়গায় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে এবং বিভিন্ন জেলায় মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share