Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • World Hindu Congress: ‘হিন্দুইজম’ নয়, সনাতন ধর্মকে বোঝাতে ব্যবহৃত হোক ‘হিন্দুত্ব’, সিদ্ধান্ত বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেসে

    World Hindu Congress: ‘হিন্দুইজম’ নয়, সনাতন ধর্মকে বোঝাতে ব্যবহৃত হোক ‘হিন্দুত্ব’, সিদ্ধান্ত বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মকে বোঝাতে এবার থেকে ‘হিন্দুইজম’ নয়, ‘হিন্দুত্ব’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করা হবে। দু’দিনের বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে যোগ দিতে তাইল্যান্ড গিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রধান মোহন ভাগবত। সেখানেই তিনি বলেন, “হিন্দুইজম এই শব্দবন্ধটি পরিত্যাগ করতে হবে। কারণ এই শব্দবন্ধটি অত্যাচার ও বৈষম্যকে প্রতিফলিত করে।”

    তৃতীয় বিশ্ব হিন্দু সম্মেলন

    ব্যাংককে শুক্রবারই শুরু হয়েছে তৃতীয় বিশ্ব হিন্দু সম্মেলন। এদিনই গৃহীত হয় ব্যাংকক ঘোষণাপত্র। তাতে বলা হয়েছে, ‘হিন্দুইজম’-এর প্রথম শব্দটি ‘হিন্দু’। এটি সীমাহীন একটি শব্দ। যা কিছু সনাতন, এটি তাকে প্রতীকায়িত করে। তার পরে আসে ধর্ম। যার অর্থ হল যা কিছু ধরে রাখে। ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘হিন্দু’ আর ‘হিন্দুইজম’ সম্পূর্ণ আলাদা। সেই কারণে আমাদের অনেক প্রবীণই ‘হিন্দুইজমে’র বদলে ‘হিন্দুত্ব’ শব্দটিকে বেশি পছন্দ করেন। কারণ ‘হিন্দুত্ব’ শব্দটি অনেক বেশি যথাযথ। এর মধ্যে ‘হিন্দু’ শব্দের যাবতীয় অর্থ নিহিত। আমরা তাঁদের সঙ্গে সহমত। আমাদেরও তাই করা উচিত।

    ‘হিন্দুত্ব’ কোনও জটিল শব্দ নয়

    ঘোষণাপত্রে (World Hindu Congress) আরও বলা হয়েছে, ‘হিন্দুত্ব’ কোনও জটিল শব্দ নয়। এর সরলার্থ ‘হিন্দু’ শব্দের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অন্যরা এর পরিবর্তে ‘সনাতন ধর্ম’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে। সংক্ষেপে একে ‘সনাতন’ বলা হয়। এখানে ‘সনাতন’ শব্দটি অ্যাডজেকটিভ, এটি ‘হিন্দুইজমে’র শাশ্বত চরিত্রকে নির্দেশ করে। রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা ও ব্যক্তিগত পক্ষপাতিত্বের জন্য অনেক রাজনৈতিক নেতা সনতন ধর্মের সমালোচনা করে চলেছে। বিশ্বহিন্দু সম্মলেনে এরকম সমালোচনা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের। তামাম বিশ্বের হিন্দুদের একজোটও হতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘মিড ডে মিলের টাকাও মেরে খায়!’ তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, শুক্রবারই সম্মেলনের উদ্বোধনের দিন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত বলেছিলেন, “হিন্দু ধর্মে অনেক মত রয়েছে, উপাসনার পদ্ধতি রয়েছে। এর প্রতিটিই হল ধর্মের উদাহরণ।” তিনি বলেছিলেন, “সমগ্র বিশ্ব হল একটি পরিবার। প্রত্যেককে আর্য তৈরি করতে হবে আমাদের। আমরা সর্বত্র যাব, আমরা প্রত্যেকের হৃদয় স্পর্শ করার চেষ্টা করব। তাঁরা আমাদের সঙ্গে সহমত হতেও পারেন, নাও হতে পারেন। কিন্তু প্রত্যেকের সঙ্গেই আমরা যোগাযোগ রাখব (World Hindu Congress)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hindu Nation: ‘হিন্দু রাষ্ট্রব্যবস্থা ফেরাও’, দাবিতে উদ্বেল নেপালি জনতা

    Hindu Nation: ‘হিন্দু রাষ্ট্রব্যবস্থা ফেরাও’, দাবিতে উদ্বেল নেপালি জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু রাষ্ট্রব্যবস্থা (Hindu Nation) ফেরাও। ফেরাও রাজতন্ত্রও। এই দুই দাবিতে শুক্রবার নেপালের কাঠমান্ডুতে মিছিল করলেন কয়েক লাখ মানুষ। জাতীয় ঐক্য ও দেশের মানুষের ভালর জন্যই যে হিন্দুরাষ্ট্র ও রাজতন্ত্রের প্রয়োজন, তা জানিয়েছে পথে নামা জনতা।

    ওলির শাসন

    তামাম বিশ্বে একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল নেপাল। ২৪০ বছর ধরে ছিল রাজতন্ত্রও। অবসান ঘটে ২০০৮ সালে। এর পরেই বুদ্ধের দেশ পরিণত হয় প্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রে। ২০১৫ সালে গৃহীত হয় নয়া সংবিধান। প্রথম সাধারণ নির্বাচন হয় এর ঠিক দু বছর পর। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসে সিপিএম-ইউএনএল ও সিপিএন (মাওবাদী) জোট। বর্তমানে নেপালের ক্ষমতায় রয়েছে এই জোটই। প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। সংবিধান প্রণয়ন, সুশাসন ও গণতন্ত্র মজবুত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ওলি। যদিও (Hindu Nation) কোনও প্রতিশ্রুতিই তিনি পূরণ করতে পারেননি বলে অভিযোগ। ওলি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর অবনতি ঘটে ভারত-নেপাল সম্পর্কে। তাঁর আমলেই নেপালের ভূখণ্ডে থাবা বসিয়েছে চিন। এই সব কারণেই ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে নেপালের ওলি সরকারের বিরুদ্ধে।

    হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার দাবি

    দেশের পরিস্থিতি যখন এরকম, সেই সময়ই উঠল নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার দাবি। নেপালের বাসিন্দারা সোচ্চার হলেন রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে। শুক্রবারের মিছিলে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি আধুনিক নেপালের জনক হিসেবে পরিচিত পৃথ্বী নারায়ণ শাহের ছবিও দেখা গিয়েছে। মিছিলের আয়োজন করেছিল রাষ্ট্রীয় নাগরিক আন্দোলন সমিতি ২০৭৭। এই প্রথম নয়, ১০ নভেম্বরও সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ও নেপালকে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণার দাবিতে হয়েছে মিছিল। সেদিন মিছিল হয়েছিল জাতীয়তাবাদী নাগরিক সমাজের ব্যানারে। ১২ নভেম্বর বিরাট মিছিল হয় বিরাটনগরে। ওলির শহর ঝাপায়ও হয়েছে মিছিল। সেদিনও মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ।

    আরও পড়ুুন: মিড ডে মিল দুর্নীতিতেও এবার সিবিআই তদন্ত! কী বললেন শুভেন্দু?

    নেপাল যখন হিন্দুরাষ্ট্র ছিল, সেই সময় সে দেশে নিষিদ্ধ ছিল গোহত্যা। দেশবাসীর মাত্র ১০ শতাংশ ছিলেন মুসলমান। হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ঘুঁচে যেতেই বাড়তে থাকে মুসলমান অনুপ্রবেশের মতো ঘটনা। চলছে গোহত্যা। এসবেরই বিরুদ্ধে ক্রমেই সোচ্চার হচ্ছেন নেপালিরা। তাঁরা চাইছেন, দেশ (Hindu Nation) ফিরে যাক হিন্দুরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায়। ফিরুক রাজতন্ত্র।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
          

            

  • Hamas-Israel Conflict: সাময়িক যুদ্ধবিরতি! প্রায় দু-মাস পর ২৫ পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস

    Hamas-Israel Conflict: সাময়িক যুদ্ধবিরতি! প্রায় দু-মাস পর ২৫ পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় সাময়িক (Gaza Temporary Ceasefire) যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ২৫ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস (Hamas) বাহিনী। প্রায় দু-মাস পর অবশেষে মুক্তি পেলেন ১২ জন থাইল্যান্ডের ও ১৩ জন ইজরায়েলের নাগরিক। প্রথমে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রসের (Red Cross) তরফে খবরটি জানানো হয়। পরে ট্যুইট করে খবরটি নিশ্চিত করেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। মুক্ত পণবন্দিদের ফিরিয়ে আনতে দূতাবাসের আধিকারিকেরা যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাল্টা হিসাবে ইজরায়েলের (Hamas-Israel Conflict) জেলে বন্দি প্যালেস্টাইনিদেরও একটি অংশকে মুক্তি দেওয়ার কথা ভাবছে তেল আভিভ।

    রেড ক্রসের সদস্যদের হাতে পণবন্দিরা

    রেড ক্রসের যে কনভয়ে মুক্ত পণবন্দিদের আনা হচ্ছে, তাতে খানচারেক গাড়ি রয়েছে বলে খবর। এক একটি গাড়িতে অন্তত ছ’জন রয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। সদ্যমুক্তদের  ইজরায়েলের (Hamas-Israel Conflict) একটি শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা করা হতে পারে। সেই মতো তৈরি হচ্ছে হাসপাতালটি। পণবন্দিদের মধ্যে কোনও শিশু থাকলে, কী ভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে সে ব্যাপারে আইডিএফ সদস্যদের আগেই বিশদ নির্দেশিকা দিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু প্রশাসন। বিনা শর্তেই পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে হামাস। তারপর রেড ক্রসের সদস্যরা পণবন্দিদের নিয়ে গাজা-মিশর সীমান্ত বরাবর রাফার দিকে রওনা দেন। অন্যদিকে, দু-মাস টানা পণবন্দি থাকার ফলে অনেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৭ সপ্তাহের বন্দিদশা কাটিয়ে মিশরে পৌঁছেও গিয়েছেন ১৩ জন ইজরায়েলি। 

    আরও পড়ুন: ‘সব রকম পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত’! চিনে নয়া সংক্রমণ প্রসঙ্গে বিবৃতি কেন্দ্রের

    যুদ্ধ বিরতির নানা শর্ত

    প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েল ও হামাস বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে। হামাস (Hamas-Israel Conflict) বাহিনীকে শিক্ষা দিতে নানা দিক থেকে হামলা চালানোর পাশাপাশি গাজা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে দেয় ইজরায়েল সরকার। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। যুদ্ধ বিরতির অঙ্গ হিসেবে ইতিমধ্যেই অবরুদ্ধ গাজা স্ট্রিপে জ্বালানি এবং রসদ সরবরাহের পথও খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ইজরায়েল। জানা গিয়েছে, ইজরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে আগামী চার দিন ধরে ১৫০ জন প্যালেস্টাইনিকে জেল থেকে মুক্তি দেবে। আর হামাস মুক্তি দেবে ৫০ জন পণবন্দিকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Qatari court: এখনই কার্যকর হচ্ছে না নৌ-অফিসারদের মৃত্যুদণ্ড, দিল্লির আবেদন গ্রহণ কাতারের আদালতে

    Qatari court: এখনই কার্যকর হচ্ছে না নৌ-অফিসারদের মৃত্যুদণ্ড, দিল্লির আবেদন গ্রহণ কাতারের আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের আবেদন গ্রহণ করল কাতারের আদালত। গত ২৬ অক্টোবরে ভারতীয় নৌ বাহিনীর ৮ প্রাক্তন অফিসারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল সে দেশের কোর্ট (Qatari court)। কাতারের কোর্টের সেই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন যে করা হবে তা তখনই জানিয়েছিল মোদি সরকার। বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর কাতারের আদালতে (Qatari court) ভারত সরকারের সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে এখনই অভিযুক্ত ওই ৮ জন প্রাক্তন নৌ সেনা আধিকারিকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে না। সূত্রের খবর, এই মামলার রায় ঘোষণার আগে ভারতের আবেদন বিবেচনা করবে কাতারের আদালত। দ্রুতই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।

    পরিবারবর্গের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ভারত সরকার

    গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৬ নভেম্বর বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছিলেন, ওই ৮ প্রাক্তন নৌ অফিসারের পরিবারবর্গের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলেছে ভারত সরকার। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, কাতারের (Qatari court) কাছে ভারত সরকার ওই অফিসারদের মৃত্যুদণ্ড রদ করার আবেদন করেছে। সেই আবেদন কয়েকদিন পরেই গ্রহণ করল কাতার। বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর এই মামলার প্রথম শুনানি ছিল। শুনানির সময় আদালত অনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের আবেদনের নথি গ্রহণ করে।

    ‘দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস’ নামক সংস্থায় কাজ করতেন তাঁরা

    প্রসঙ্গত, নৌসেনার এই জন এই ৮ জন প্রাক্তন অফিসারই ‘দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস’ নামে কাতারের একটি সংস্থায় কাজ করতেন বলে জানা যায়। এই সংস্থার হয়ে মূলত তাঁদের কাজ ছিল কাতারের সেনাবাহিনীর সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া। ২০২২ সালের অগাস্টে এই ৮ অফিসারকে গ্রেফতার করে কাতার প্রশাসন। সেই থেকেই তাঁরা কাতারের (Qatari court) জেলে বন্দি রয়েছেন বলে জানা যায়। মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আগে এবং পরে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন ভারতের হাইকমিশনার। তবে তাঁদের কেন গ্রেফতার (Qatari court) করা হয়েছিল এবং কেনই বা তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে? এ বিষয়ে কিছু জানায়নি কাতার কর্তৃপক্ষ। এমনকি ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকেও জানানো হয় যে তারা এ বিষয়ে কিছু জানে না। তবে সূত্রের খবর, ওই আট অফিসারের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের হয়ে কাতারের সেনাবাহিনীর উপর চরবৃত্তি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Hindu Congress: ‘‘হিন্দু ধর্মের সমস্ত সম্প্রদায়কে শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে’’, তাইল্যান্ডে বললেন সঙ্ঘ প্রধান

    World Hindu Congress: ‘‘হিন্দু ধর্মের সমস্ত সম্প্রদায়কে শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে’’, তাইল্যান্ডে বললেন সঙ্ঘ প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারে তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে (World Hindu Congress) শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ‘যত মত তত পথ’-এর কথাই শোনা গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের মুখে। এদিন তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্মে অনেক মত রয়েছে, উপাসনার পদ্ধতি রয়েছে, এবং এর প্রত্যেকটিই হল ধর্মের উদাহরণ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্মের সমস্ত সম্প্রদায়কে শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে।’’ বসুধৈব কুটুম্বকমের কথাও শোনা যায় এদিন মোহন ভাগবতের মুখে। তিনি বলেন, ‘‘সমগ্র বিশ্ব হল একটি পরিবার। প্রত্যেককে আর্য তৈরি করতে হবে আমাদের।’’ সত্য এবং অহিংসা ব্রতের কথাও এদিন বলেন সঙ্ঘ প্রধান। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমরা সর্বত্র যাব, আমরা প্রত্যেক জনের হৃদয় স্পর্শ করার চেষ্টা করব। তাঁরা আমাদের সঙ্গে সহমত হতেও পারেন অথবা নাও হতে পারেন। কিন্তু প্রত্যেকের সঙ্গেই আমরা যোগাযোগ রাখব।’’

    ধন বিজয় ও অসুর বিজয় কী জিনিস?

    প্রসঙ্গত প্রতি চার বছর অন্তর বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনের (World Hindu Congress) আয়োজন করা হয়। চলতি বছরের তা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাইল্যান্ডের রাজধানীতে। বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনের (World Hindu Congress) উদ্যোগ নেয় ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন’। আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই সম্মেলন এবং তা চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে ধর্মই যে হল কর্তব্যবোধ সেকথা আবারও বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে স্মরণ করান মোহন ভাগবত। এদিন মোহন ভাগবত আবারও একবার বলেন, ‘‘ভারতবর্ষ সাক্ষী থেকেছে ধন বিজয়ের অর্থাৎ (বস্তুগত দখলের) এবং অসুর বিজয়ের অর্থাৎ আগ্রাসনের।’’ সঙঘ প্রধান বলেন, ‘‘কোনও কিছু দখল করার উদ্দেশ্য হল পার্থিব সুখ এবং এই কারণেই জনগণ একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে। আমরা এর সাক্ষী রয়েছি। আমরা অসুর বিজয়েরও (আগ্রাসন) সাক্ষী রয়েছি। যা ভারতীয় সমাজকে পাঁচ হাজার দুশো বছর ধরে শাসন করেছে। তারা আমাদের ভূমিকে ধ্বংস করেছে। আমরা আড়াইশো বছর ধরে সাক্ষী রয়েছি ধন বিজয়ের (বস্তুগত দখল) যখন আমাদের দেশকে লুট করা হয়েছে।’’

    ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন’-এর চেয়ারম্যান কী বললেন

    আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। সে নিয়েই বক্তব্য রাখেন স্বামী বিজ্ঞানানন্দ, যিনি কিনা ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন’-এর চেয়ারম্যানও বটে। বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনের (World Hindu Congress) প্রধান উদ্যোক্তাও তিনি। এদিনের ভাষণে বিজ্ঞানানন্দ বলেন, ‘‘রামমন্দির উদ্বোধনের ওই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে ব্যাংককে এবং সারা পৃথিবীতে যত হিন্দু রয়েছেন, প্রত্যেকেই সাক্ষী থাকবেন ওই অনুষ্ঠানের। সেদিন কীর্তন, ভজন, পুজো এবং মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে পবিত্র মুহূর্তটি পালন করা হবে।’’ সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বামী বিজ্ঞানানন্দ বলেন, ‘‘অযোধ্যা থেকে আমাদের জন্য প্রসাদও আসবে ওইদিন। রামমন্দিরের ছোট রেপ্লিকা এখানে (ব্যাঙ্ককে) স্থাপন করা হবে। প্রসঙ্গত, ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৯ সালে এবং এর সদর দফতর হল নয়াদিল্লিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Netherlands Elections: নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই গির্ট ওয়াইল্ডার্স হতে চলেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী!

    Netherlands Elections: নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই গির্ট ওয়াইল্ডার্স হতে চলেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বিশ্বে তাঁর পরিচিতি উগ্র দক্ষিণপন্থী ও ইসলাম বিরোধী রাজনীতিবিদ হিসেবে। ইসলামের কড়া সমালোচনা ও কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে প্রায়ই খবরের শিরোনামে থাকেন এই ডাচ রাজনীতিবিদ। এহেন গির্ট ওয়াইল্ডার্সই হতে চলেছেন নেদারল্যান্ডসের (Netherlands Elections) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

    কী বলছে এক্সিট পোল?

    সে দেশের সবকটি এক্সিট পোল বলছে, ওয়াইল্ডার্সের ‘পার্টি ফর ফ্রিডম’ই ডাচ পার্লামেন্ট নির্বাচনে সব চেয়ে বেশি আসন পেতে পারে। নেদারল্যান্ডস পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আসন রয়েছে ১৫০। এর মধ্যে ওয়াইল্ডার্সের দল এবার ৩৫টি আসন পেতে পারে। যেহেতু তাঁর দলই হতে চলেছে একক বৃহত্তম দল, তাই ওয়াইল্ডার্সের নেতৃত্বেই হতে পারে জোট সরকার। ওয়াইল্ডার্স বলেন, “ফ্রিডম পার্টিকে এখন আর অবহেলা করা যাবে না। এখন আমরা দেশ চালাব। আমরা দেশ শাসন করতে চাই। ৩৫টি আসন দিয়েই আমরা দেশ শাসন করব। ৩৫টি আসন অনেক বড় বিষয় এবং অনেক বড় দায়িত্বও।” তিনি বলেন, ডাচ (Netherlands Elections) ভোটাররা তাঁদের আশার পূরণের পক্ষে কথা বলেছেন।”

    দ্বিতীয় স্থানে বামপন্থী জোট

    ওয়াইল্ডার্সের দলের পরেই থাকতে পারে বামপন্থী জোট। তারা পেতে পারে ২৫টি আসন। তৃতীয় স্থানে থাকতে পারে দিলান ইয়েলিসগোজের নেতৃত্বাধীন মধ্য-ডানপন্থী দল। আর চতুর্থ স্থানটি পেতে চলেছে পিটার ওমটজিগটের নয়া রাজনৈতিক দল। এই তৃতীয় ও চতুর্থ দলের সমর্থন নিয়েই সরকার গড়তে পারেন ওয়াইল্ডার্স। কারণ বামপন্থী জোটের নেতা ফ্রাঁ টিমারম্যানস সাফ জানিয়েছেন, ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে কোনও সমঝোতায় যাব না।

    ওয়াইল্ডার্স ঘোরতর ইসলাম বিরোধী হিসেবে পরিচিত। নেদারল্যান্ডসে বসবাসকারী মরক্কোর নাগরিকদের নিয়ে বৈষম্যমূলক মন্তব্য করায় ২০১৬ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। ইসলামের ধর্মগ্রন্থ কোরানকে তিনি হিটলারের ‘মাইন কাম্ফ’ গ্রন্থের সঙ্গে তুলনা করে সমালোচিত হন। ২০১৮ সালে হজরত মহম্মদকে নিয়ে কার্টুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য সেই পরিকল্পনা বাতিল করেন। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের প্রচারে গিয়েও মসজিদ এবং মাথার স্কার্ফ নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ওয়াইল্ডার্স।

    আরও পড়ুুন: “স্বার্থসিদ্ধি করতেই আদানিদের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছিল রাজ্যের”, ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    তিনি অবশ্য এও বলেছিলেন, “নেদারল্যান্ডসে ইসলাম নিষিদ্ধ করার চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামনে রয়েছে। জীবনযাপনের উচ্চ ব্যয় মোকাবিলার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন।” প্রসঙ্গত, ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করার পর যখন ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন নূপুর, তখন তাঁকে সমর্থন করেছিলেন এই ডাচ রাজনীতিবিদ (Netherlands Elections)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Mysterious Pneumonia: করোনার পর ফের মহামারি? চিনে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করল অজানা নিউমোনিয়া

    Mysterious Pneumonia: করোনার পর ফের মহামারি? চিনে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করল অজানা নিউমোনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর কোনও মহামারি কি ফের একবার থাবা বসাতে চলেছে? এমনই আশঙ্কা দানা বাঁধতে শুরু করেছে। সম্প্রতি, চিনে ছড়িয়ে পড়েছে এক রহস্যময় সংক্রমণ (Mysterious Pneumonia)। নিউমেনিয়ার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা। এই ভাইরাসে বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছে চিনের স্কুল পড়ুয়ারা। ভাইরাসের প্রকোপ এতটাই বেশি যে ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিনের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলিকে। চিনের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, এই রহস্যময় নিউমোনিয়া (Mysterious Pneumonia) রোগ মূলত বেজিং এবং লিয়াওনিং প্রদেশে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেই ছড়িয়েছে। বেশ কয়েকটি স্কুলে শিক্ষকরাও আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি ওই চিনা সংবাদমাধ্যমগুলির।

    রহস্যময় নিউমোনিয়ার লক্ষণ

    চিনের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রহস্যময় এই নিউমোনিয়ার (Mysterious Pneumonia) লক্ষণগুলি হল— প্রবল জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে প্রদাহ এবং গায়ে-হাতে-পায়ে ব্যথা। অর্থাৎ কিনা করোনার সঙ্গে উপসর্গগুলির বেশ খানিকটা মিল রয়েছে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ খানিকটা কম বলেই জানা যাচ্ছে। স্কুলছাত্রদের মধ্যে সংক্রমণের প্রকোপ এতটাই বেশি হয়েছে যে একাধিক জায়গায় ক্লাস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

    সংক্রমণের ওপর রিপোর্ট তৈরি করা সংস্থা কী বলছে?

    প্রোমেড নামের একটি সংস্থা রয়েছে। যারা বিশ্বের বিভিন্ন সংক্রমণগুলির ওপরে রিপোর্ট তৈরি করে এবং নজরদারি চালায়। এই সংস্থা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসকে ‘অজানা নিউমোনিয়া’ (Mysterious Pneumonia) নাম দিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই সংস্থা করোনা ভাইরাস মহামারি রূপ ধারণ করার আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেই কোভিড ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, অজানা নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত শিশুদের শরীরের জ্বর হচ্ছে এবং তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই অজানা রোগের বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে৷ হু চিনের কাছে এই অজানা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সংক্রমণের বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে৷

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hamas Israel War: হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে ৪ দিনের বিরতি, কোন শর্তে জানেন?

    Hamas Israel War: হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে ৪ দিনের বিরতি, কোন শর্তে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে যুদ্ধ। শেষমেশ তাতে পড়ল ইতি। তবে মাত্রই চার দিনের জন্য। হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে (Hamas Israel War) গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হল চারদিনের। বুধবার ইজরায়েল ক্যাবিনেটের তরফে মঞ্জুর করা হয় হামাসের দেওয়া চুক্তি।

    ৫০ পণবন্দিকে মুক্তি

    জানা গিয়েছে, হামাসের হাতে বন্দি প্রায় ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে। তার বিনিময়েই মিলছে সাময়িক যুদ্ধবিরতি। পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল হামাসের তরফে। ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়েছে, সাময়িক এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হচ্ছে মানবতার স্বার্থেই। ইজরায়েলের এক সরকারি আধিকারিক জানান, ৫০ জন ইজরায়েলি ও বিদেশি পণবন্দি নাগরিককে মুক্ত করা হবে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা এবং শিশুরাও। এর পরিবর্তে যুদ্ধ বন্ধ থাকবে চারদিন। এই চুক্তির পর প্রতি ১০ জন করে পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হলে আরও একদিন করে যুদ্ধ বন্ধ রাখবে তেল আভিভ।

    ‘জারি রাখা হবে যুদ্ধ’

    ইজরায়েলের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইজরায়েলি সরকার, ইজরায়েলি সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর অপহৃতদের ফিরিয়ে আনতে, হামাসকে নির্মূল করতে ও গাজা থেকে ইজরায়েলের ওপর যাতে কোনও ঝুঁকি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে যুদ্ধ জারি রাখা হবে।” তবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর বিবৃতি দেওয়া হয়েছে হামাসের তরফেও। তাতে (Hamas Israel War) বলা হয়েছে, “মানবিকতার স্বার্থে এই আবেদন। তবে আমরাও দেখতে চাই ১৫০ জন প্যালেস্তিনীয়কে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে কিনা।”

    আরও পড়ুুন: মোদির নেতৃত্বে আজ শুরু ভার্চুয়াল জি২০ সম্মেলন, যোগ দেবেন কি ট্রুডো?

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে যে সাময়িক বিরতি হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল মঙ্গলবারই। এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, “পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে শিগগিরই চুক্তি সই হতে চলেছে।” হামাসের পলিটিক্যাল চিফ ইসমাইল হানিয়েও বলেছিলেন, “কাতারের মধ্যস্থতায় আমরা যুদ্ধবিরতির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি।”

    গত ৭ অক্টোবর ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর প্রথম হামলা চালায় ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপের সশস্ত্র বাহিনী হামাস। নৃশংসভাবে খুন করা হয় ইজরায়েলি নাগরিকদের। তার পরেই প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনার হানায় কোণঠাসা হয়ে পড়ে হামাস। হামলার প্রথম দিনেই ইজরায়েল থেকে ২৫০ জনকে অপহরণ করে পণবন্দি করে হামাস। এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে যেমন মুক্তি দিয়েছে হামাস, তেমনি বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে খুনও করা হয়েছে (Hamas Israel War) বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel: লস্কর-ই-তৈবাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইজরায়েল, ভারতকে নয়া বার্তা তেল আভিভের?

    Israel: লস্কর-ই-তৈবাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইজরায়েল, ভারতকে নয়া বার্তা তেল আভিভের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের রক্তে রাঙানো পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার হাত। তার জেরে এই জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইজরায়েল (Israel)। এ ব্যাপারে একটি পোস্ট করা হয়েছে ইজরায়েল সরকারের তরফে।

    নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তৈবা

    মঙ্গলবার ইজরায়েলি দূতাবাসের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত সরকার অনুরোধ না করা সত্ত্বেও, ইজরায়েল রাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে এবং লস্কর-ই-তৈবাকে ইজরায়েল অবৈধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্যই সন্তুষ্ট করেছে।” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “লস্কর-ই-তৈবা একটি মারাত্মক ও নিন্দনীয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন, যেটি শত শত ভারতীয় সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি অন্যদেরও হত্যার জন্য দায়ী। ২৬ নভেম্বর, ২০০৮ এর জন্য কর্মকাণ্ড এখনও সমস্ত শান্তিকামী জাতি ও সমাজের মননে রয়ে গিয়েছে।”

    ‘সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় একজোট হওয়া প্রয়োজন’

    বিবৃতিতে (Israel) এও বলা হয়েছে, “লস্করকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করতে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা ও বিদেশমন্ত্রীরা যৌথভাবে কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে সকলের একজোট হওয়া প্রয়োজন, এই বিষয়টিও তুলে ধরতে চায় ইজরায়েল।” হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে তেল আভিভের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের। গত ৭ অক্টোবর ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে হামলা চালায় ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামাসের নৃসংশ হামলায় মৃত্যু হয় বহু সাধারণ মানুষের। এর পরেই প্রত্যাঘাত করতে শুরু করে তেল আভিভ। তারা হামলা চালায় গাজা স্ট্রিপের উত্তরে। এই গাজা স্ট্রিপই দখল করে রেখেছিল হামাস। ইজরায়েলি সেনার হানায় পিছু হঠতে থাকে হামাস জঙ্গিরা।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের ‘জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার’ নিদান দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ায় ভারত। তবে গাজা স্ট্রিপে বহু নিরীহ মানুষের মৃত্যু হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নয়াদিল্লি। গাজায় রসদও পাঠায় ভারত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূতের আর্জি ছিল, হামাসকে এবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করুক নয়াদিল্লি। তবে ইজরায়েলে হামাসের হামলার নিন্দে করলেও, হামাসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি নরেন্দ্র মোদির ভারত। এবার লস্কর-ই-তৈবাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ বার্তা দিল মোদির ভারতকে। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে হামলা চালিয়েছিল লস্কর-ই-তৈবা। তিনদিন ধরে চলা জঙ্গিদের হামলায় মৃত্যু হয় ১৬৬ জনের। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ইহুদিও ছিলেন। জঙ্গিদের হামলায় জখম হয়েছিলেন ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh: বাংলাদেশের সংসদীয় ভোটে লড়তে পারবে না জামাত-ই-ইসলামি, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Bangladesh: বাংলাদেশের সংসদীয় ভোটে লড়তে পারবে না জামাত-ই-ইসলামি, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না জামাত-ই-ইসলামি। সোমবার এই মর্মে নির্দেশ দিল বাংলাদেশের (Bangladesh) সুপ্রিম কোর্ট। বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় ইসলামি দল হল জামাত-ই-ইসলামি। তবে এই দল ধর্মনিরপেক্ষ নয়। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে দশ বছর আগেই জানিয়ে দিয়েছিল সে দেশের হাইকোর্ট। তার পরেই বাতিল হয়ে যায় এই ইসলামি দলটির রেজিস্ট্রেশন।

    সুপ্রিম কোর্টের রায় 

    হাইকোর্টের সেই নির্দেশই বহাল রইল সুপ্রিম কোর্টেও। বাংলাদেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “জামাত-ই-ইসলামি ধর্মনিরপেক্ষ দল নয়, যা দেশের সংবিধানের পরিপন্থী। তাই এই দলকে প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়াইয়ের ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারবে এই ইসলামি দল।” ব্যক্তিগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে এদিনের শুনানিতে (Bangladesh) হাজির ছিলেন না জামাত-ই-ইসলামির আইনজীবী। এই মামলার শুনানি ছ’সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার যে আবেদন করেছিলেন জামাত-ই-ইসলামির আইনজীবী, এদিন তাও খারিজ করে দিয়েছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ।

    জামাত-ই-ইসলামির বিরুদ্ধে অভিযোগ

    জামাত-ই-ইসলামিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি দীর্ঘদিনের। ১৯৭১ সালে সাবেক পাকিস্তান ভেঙে যখন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ, তখন তার বিরোধিতা করেছিল জামাত-ই-ইসলামি। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। তার পরেই সে দেশে গণহত্যায় জড়িত এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার হয়েছিল, তাদের খুঁজে বের করতে উদ্যোগী হয় হাসিনা সরকার। এদের অনেককেই ২০১৩ সালে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়েছে অনেককে।

    আরও পড়ুুন: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! শুভেন্দুকে বাঁকুড়ায় সভার অনুমতি আদালতের

    শীর্ষ আদালতের এই রায়ে খুশি বাংলাদেশিরা। আইনজীবী তানিয়া আমির বলেন, “এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা (জামাত-ই-ইসলামি) যদি মিটিং করে, সমাবেশ করে কিংবা হাইকমিশন, দূতাবাস কিংবা অন্যত্র নিজেদের বৈধ বলে দাবি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে।” প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবার জয়ী হলে চতুর্থবারের জন্য ক্ষমতায় ফিরবে শেখ হাসিনার দল। এবারও নির্বাচন বয়কট করবে (Bangladesh) বলে হুমকি দিয়েছে খালেদা জিয়ার বিএনপি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share