Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Amazon Tree: আমাজনে মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো গাছ  

    Amazon Tree: আমাজনে মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো গাছ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছরের চেষ্টায় আমাজনে দেখা মিলল (Amazon) বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গাছ।২৫ তলা উঁচু বাড়ির( 25 Storey) সমান লম্বা গাছটির থ্রিডি ম্যাপিং স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালে।৩ বছরের প্ল্যানিং, ৪ টি অভিযান, ঘনতম জঙ্গলে দীর্ঘ যাত্রার পরে শেষ অবধি এল সেই কাজে সাফল্য ৷ বৈজ্ঞানিকেরা জানিয়েছেন, এই গাছের সামনে পৌঁছতে গিয়ে বারবার বাধা পেয়েছেন তাঁরা। বিষাক্ত মাকড়সা এবং অন্য পোকামাকড়ের কামড় খেয়ে অদম্য সাহস নিয়ে ১৯ জনের টিম দুই সপ্তাহের পর পৌঁছেছে সেই গাছের কাছে।বিজ্ঞানীরা গাছটির বিশালতা দেখার পর থেকেই তাজ্জব বনে গিয়েছে। ঘনজঙ্গল ঘেরা নদী পথে নৌকায় ২৫০ কিলোমিটার, তার পরে আরও ২০ কিলোমিটার হেঁটে বিজ্ঞানীরা সেই গাছের গোড়ায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।তাঁরা জানিয়েছেন, এই বিশালাকার গাছটিতে কত কার্বন জমা রয়েছে তারও পরীক্ষা করবেন৷ উত্তর ব্রাজিলের ইরাতাপুর নদীর নেচার রিজার্ভে (Reserve) গাছটি অবস্থিত৷গাছটির নাম অ্যাঞ্জেলিম বর্মেলো এবং এর বিজ্ঞানসম্মত নাম দেওয়া হয়েছে ডিনিজিয়া এক্সেলসা (Dinizia excelsa) গাছটি লম্বায় ৮৮.৫ মিটার (২৯০ ফুট), প্রায় একটি ২৫ তলা বাড়ির মতো, আর চওড়ায় ৯.৯ মিটার (৩২ ফুট)৷ এখনও অবধি বিজ্ঞানীদের সন্ধানে পাওয়া আমাজনের সবচেয়ে বড় গাছ৷

    [tw]


    [/tw] 

    টিমের অন্যতম সদস্য আমাপা ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Amapa Federal University) ফরেস্ট ইঞ্জিনিয়ার দিয়েগো আর্মান্দো সিলভা বলেন, এই গাছের কাছে পৌছানো তার জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা।তিনি বলেন, দেখে  হচ্ছে গাছটি অন্তত ৪০০-৬০০ বছরের প্রাচীন। বিজ্ঞানীরা সেখানকার মাটি, গাছের পাতা ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তাদের দাবি, বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে নেওয়ার কারণেই এই গাছটির এতটা ওজন।

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত আমাজন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বনাঞ্চল। আমাজন নদী এই বনটির জীবনীশক্তি। প্রায় ৭০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই বনাঞ্চলটি আয়তনের দিক থেকে ভারতের প্রায় ৫ গুন । সমগ্র পৃথিবীতে যত রেইনফরেস্ট আছে তার মধ্যে অর্ধেকই হল এখানে। আমাজনের ৪০ হাজার প্রজাতির প্রায় 3 হাজার 900 কোটি বৃক্ষ রয়েছে। পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের কুড়ি শতাংশ উৎপাদিত হয় আমাজনের জঙ্গলে। সে কারণে এই জঙ্গলকে পৃথিবীর ফুসফুসও বলা হয়। পৃথিবীর প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম এই আমাজন বন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dubai Hindu Temple: ইসলামিক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে খুলল হিন্দু মন্দিরের দরজা

    Dubai Hindu Temple: ইসলামিক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে খুলল হিন্দু মন্দিরের দরজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর দুর্গা পুজোতেই দুবাইয়ে (Dubai) বসবাসকারী হিন্দুরা পেলেন বড় উপহার। মধ্যপ্রাচ্যে এই বিশাল মন্দিরটি ৫ অক্টোবর অর্থাৎ বিজয়া দশমীর (Vijaya Dashami) দিন সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান চিনকে কূটনৈতিকভাবে (Diplomatically) চাপে রাখতে ও মধ্যপ্রাচ্যের (Middle east) দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে সচেষ্ট ভারত। এমত পরিস্থিতিতে ভারতের (India) দিকেও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (United Arab Emirates)। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকেই এই মন্দির নির্মানের কাজ শুরু হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্দিরটির শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (Foreign Minister) এস জয়শঙ্করও  এই মন্দিরটির পরিদর্শন করে এসেছেন।

    [tw]


    [/tw]

    দুবাইয়ে বসবাসকারী হিন্দুরা জানিয়েছেন, এই মন্দিরের মাধ্যমে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিতে চান তাঁরা। এর পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রশাসনকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। দুবাইয়ের জেবেলি আলি (Jebel ali) গ্রামে বিশাল এই মন্দিরটি উদ্বোধন করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহিষ্ণুতা বিষয়ক মন্ত্রকের মন্ত্রী শেখ নাহিয়ান বিন মুবারক আল-নাহিয়ান এবং দুবাইয়ে স্থিত ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় সুধী। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সহিষ্ণুতা বিষয়ক মন্ত্রকের মন্ত্রীও এই মন্দির উদ্বোধনের মাধ্যমে সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতার বার্তা দিয়েছেন। জেবেল আলীর ‘উপাসনা গ্রামে'(Worship Village) খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সাতটি গির্জা, শিখদের গুরুদুয়ারা সহ হিন্দুদের এই নতুন মন্দির মিলিয়ে মোট নয়টি ধর্মীয় উপাসনালয় রয়েছে। এই উপাসনা গ্রামে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের একত্রে তাদের ধার্মিক এবং আধ্যাত্মিকতার উৎসব পালন করতে পারবেন।এই মন্দিরটির মূল আকর্ষণ বিন্দু হল দেবতাদের মূর্তির সংখ্যা। কোনও নির্দিষ্ট দেবতা নন, ১৬টি ভিন্ন হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে এই মন্দিরে। মন্দির নির্মাতার মতে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সকলকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসতেই এই মন্দির তৈরি করা হয়েছে। আরব আমিরশাহী বসবাস করেন প্রায় ৩০ লক্ষ ভারতীয়। এই মন্দির উদ্বোধনের ফলে হিন্দুদের দীর্ঘদিনের উপাসনালয়ের অভাব পূরণ হল।

    [tw]


    [/tw]

    ৭০ হাজার বর্গফুট এলাকার উপর এই মন্দিরটি বানাতে খরচ হয়েছে এক কোটি ৬০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১৩১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা)। মন্দিরের আদল, দেওয়ালের নকশা (Design) লক্ষ করলে দেখা যায়, এখানে রয়েছে আরব এবং হিন্দু সংস্কৃতির মেলবন্ধন । সাদা মার্বেলের তৈরি এই মন্দিরের সঙ্গে গুজরাতের সোমনাথ মন্দিরের সাদৃশ্য রয়েছে।মন্দিরের তলায় দু’টি বেসমেন্ট ছাড়াও আরও দুই তলা জুড়ে মন্দির বানানো হয়েছে।একসঙ্গে ১০০০ থেকে ১২০০ দর্শনার্থী (Visitors) এই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন। পুজো দেওয়ার পাশাপাশি এই মন্দিরে আলাদা ভাবে শেখানো হবে ভরতনাট্যম এবং গীতা পাঠ। জনসাধারণের জন্য মন্দির খুলে দেওয়ার পর ভিড় উপচে পড়েছে মন্দিরে। ভিড় এড়ানোর জন্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট বুক করে মন্দিরে যাচ্ছেন পুণ্যার্থীরা।

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, এই মন্দির উদ্বোধনের খবর আসার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন কট্টরপন্থীরা। বিপুল অর্থ ব্যয় করে হিন্দু মন্দির নির্মান করা হল কেন? প্রশ্ন তুলছেন ইসলামের গোঁড়াপন্থীরা। এই নিয়ে হুমকির সুর শোনা গিয়েছে আমিরশাহীর বিখ্যাত সাহিত্যিক আবদুল্লা আলমাদির গলায়। “ভারতে যখন মুসলিমরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তখন বিপুল অর্থ ব্যয় করে দুবাইতে হিন্দু মন্দির তৈরি করা হল কেন?” প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। যদিও তাঁর এই অভিযোগ মানতে নারাজ আরব আমিরশাহী সরকার প্রশাসন।

    [tw]


    [/tw]

    মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ভারতে সবথেকে বেশী পেট্রোলিয়াম রপ্তানি করে থাকে। পাকিস্তানকে দেওয়া ঋণের অর্থ  ফেরত চাইছে  আরব আমিরশাহী সরকার। জন্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের ক্ষেত্রে ভারতকে সমর্থন করেছিলেন তাঁরা। আবার এরই মধ্যে হিন্দু মন্দির তৈরি করে আমিরশাহীতে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের মন জিতেছে আমিরশাহী সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     
  • Indian origin family murder: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিবারের শিশু সহ ৪ জনকে খুন

    Indian origin family murder: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিবারের শিশু সহ ৪ জনকে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (USA) ভারতীয় বংশোদ্ভূত (Indian Origin) চার সদস্য সহ যার মধ্যে একটি আট মাসের ছোট্ট শিশুটির পরিবার বেশ কিছুদিন ধরেই নিখোঁজ ছিল। বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার মার্সেড কাউন্টিতে একটি বাগান থেকে ওই শিশু কন্যা সহ পরিবারের চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আট মাসের ওই শিশুটির নাম আরুহি ধেরি। শিশুটির মা বছর ২৭ এর জসলিন কৌর এবং তার বাবা বছর ৩৬ এর যশদীপ সিংকে একটি ট্রাকিং কোম্পানি থেকে অপহরণ করেছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার (California) পুলিশ জানিয়েছে শিশুটির কাকা আমনদীপ সিংকে (Amandeep Singh)ও অপহরণ করা হয়েছিল। বাগানের কাছের একজন খামার কর্মী মৃতদেহগুলি দেখতে পান।প্রাথমিক তদন্তে মার্কিন পুলিশের অনুমান, অপহরণের পরদিনই এই পরিবারকে খুনের চেষ্টা করা হয়। যদিও ক্যালিফোর্নিয়ার শেরিফের (California sheriff) দাবি, মুক্তিপণ আদায়ের জন্যেই অপহরণ করা হয়েছিল।

    পুলিশ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে জসদীপ এবং আমনদীপ তাদের হাত বাঁধা । কয়েক সেকেন্ড (Second) পর শিশু ও তার মাকে অপহরণকারীর সঙ্গে ভবন থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। ঘটনাস্থল ত্যাগ করার আগে পরিবারের চার সদস্যকে একটি ট্রাকে নিয়ে যাওয়া হয়।

    পরিবারকে অপহরণ করার একদিন পর, পুলিশ সন্দেহভাজন অপহরণকারী 48 বছর বয়সী যিশু ম্যানুয়েল সালগাদো – কে হেফাজতে নিয়েছিল। সালগাদো বর্তমানে একটি হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠছেন। মার্সেড কাউন্টি পুলিশ বলেছে যে সালগাদোর পরিবার পুলিশদের সাথে যোগাযোগ করেছে এবং জানিয়েছে যে সে তার অপরাধ স্বীকার করেছে।

    গত কয়েক মাসে একাধিকবার হেনস্থার (Harassment) শিকার হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ভারতীয়রা। গত ২১ অগাস্ট ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেমন্টে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। অভিযোগকারী জয়নারায়নানের দাবি, ওই দিন আচমকাই তেজিন্দর সিং নামে এক ব্যক্তি তাঁকে দেখে বর্ণবিদ্বেষমূলক (Racist) মন্তব্য করতে শুরু করেন।সেই ঘটনা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন তিনি। প্রায় ৮ মিনিটের ওই  ভিডিওতে অভিযুক্তকে জয়নারায়নানের উপর অন্তত দু’বার থুতু ছেটাতে দেখা গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাঁকে ‘নোংরা হিন্দু’ এবং ‘বিরক্তিকর কুকুর’ বলেও মন্তব্য করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। পাশাপাশি, মাংস না খাওয়ার জন্যও কুমন্তব্যের মুখে পড়তে হয় জয়নারায়নানকে। রেস্তোরাঁয় অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মার্কিন পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি অভিযোগকারীর থেকে ঘটনার video সংগ্রহ করেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Saudi Prime Minister: দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী সৌদির যুবরাজই

    Saudi Prime Minister: দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী সৌদির যুবরাজই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌদি যুবরাজ মহম্মদ  বিন সালমানকে (Mohammed bin Salman) দেশটির প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) ঘোষণা করা হয়েছে। সৌদির (Saudi) বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের নির্দেশে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বছর সাঁইত্রিশের যুবরাজ ইতিমধ্যেই দেশের উপপ্রধানমন্ত্রীর (Deputy Prime Minister) পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

    সৌদির প্রধানের পদে আসীন না হলেও যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমানই ছিলেন বিশ্বের সর্বাধিক তেল রপ্তানিকারী দেশটির অঘোষিত নিয়ন্ত্রক। মন্ত্রিসভার রদবদলে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী করা হয়েছে তাঁর ভাই খালিদ বিন সালমানকে। খালিদ এতদিন উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তবে রাজকীয় ফরমানে অন্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে কোনও বদল করা হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে প্রিন্স ফায়সাল বিন ফারহান আল সৌদ, অর্থমন্ত্রী পদে মোহাম্মাদ আল- জাদান এবং বিনিয়োগমন্ত্রী পদে খালিদ আল ফালিহর বহাল রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: অডিও ক্লিপ ইস্যুতে অস্বস্তিতে শাহবাজ সরকার, জরুরি বৈঠকের ডাক পাক প্রধানমন্ত্রীর

    সৌদিতে সাধারণতঃ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিজের কাছে রাখতেন বাদশাহ। ছেলে মহম্মদ বিন সালমানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করলেও নিজের হাতেই ক্ষমতার রশি ধরে রেখেছেন বছর ছিয়াশির বাদশাহ সালমান।

    রাজকীয় ফরমানে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের কোনও কারণ দর্শানো হয়নি। তবে সৌদির এক রাষ্ট্রীয় সংস্থা জানিয়েছে, বাদশাহই থাকছেন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান (Head of State)। মন্ত্রিসভায় (Cabinet) উপস্থিত থাকলে বাদশাহই সভাপতিত্ব করবেন। এর আগেও একাধিকবার বাদশাহ শারীরিক সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বাদশাহের অসুস্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন করা হল যুবরাজকে। 

    প্রসঙ্গত, যুবরাজ সালমান রাশিয়ার (Russian) তৈরি ‘বিষাক্ত আংটি’ ব্যবহার করে তৎকালীন বাদশাহকে খুন করে বাবার জন্য সৌদি আরবের সিংহাসন আরোহণের পথ পরিষ্কার করতে চেয়েছিলেন। তাঁর এই গোপন পরিকল্পনার কথা পরে জানিয়েছিলেন তাঁর কাকার ছেলে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিন নায়েফকে। ২০১৫ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান সৌদির বাদশাহ আবদুল্লাহ। তাঁর সৎ ভাই এবং মহম্মদ বিন সালমানের বাবা সালমান বিন আবদুল আজিজ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। মহম্মদ বিন নায়েফকে তখন ক্রাউন প্রিন্স করেছিলেন বাদশাহ সালমান। এরপর ২০১৭ সালে বিন নায়েফকে সরিয়ে নিজেকে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে ঘোষণা করেন মহম্মদ বিন সালমান স্বয়ং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nobel Prize: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    Nobel Prize: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানব বিবর্তনের জিনোম সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার (Nobel Prize in Medicine) পেলেন সুইডিশ জিনতত্ত্ববিদ ও বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো (Svante Paabo)। সোমবার বিকেল ত টের সময় সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট চিকিৎসা বিজ্ঞানে চলতি বছরের বিজয়ী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নোবেল পুরস্কার সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রথম নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। বরাবরের মতো এবারও পুরস্কারের ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার পাবেন এই নোবেল বিজয়ী। 

    আরও পড়ুন: গরবা নাচতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, ছেলের শোকে প্রাণ হারালেন বাবাও

    বিলুপ্ত হোমিনিন এবং মানব বিবর্তনের জিনোম সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য পাবোকে এবারের ফিজিওলজি বা মেডিসিন বিভাগে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। বর্তমান মানবজাতির বিলুপ্ত পূর্বসূরি নিয়ান্ডারথালের জিনোম সিকোয়েন্সের মতো অসম্ভব আবিষ্কার করেছেন তিনি। সভান্তে পাবো তাঁর গবেষণায় ৭০ হাজার বছর আগের আফ্রিকায় থাকা মানবজাতির পূর্বসূরিরা অভিবাসনের মাধ্যমে কীভাবে হোমিনিন থেকে হোমো সেপিয়েন্সের জিনের স্থানান্তর ঘটেছে তা দেখিয়েছেন। আধুনিক মানুষের কাছে জিনের এই প্রাচীন প্রবাহের শারীরবৃত্তীয় প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ- আমাদের ইমিউনো সিস্টেম যেকোনও  সংক্রমণে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে তার ওপর প্রভাব বিস্তার করে এই জিন। 

    আরও পড়ুন: সপ্তমীর রাতে পূজা প্যান্ডেলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, মৃত অন্তত ৫

    এদিকে আগামীকাল মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞান, বুধবার রসায়ন এবং বৃহস্পতিবার সাহিত্যের নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার আগামী শুক্রবার ৭ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে এবং ১০ অক্টোবর অর্থনীতিতে বিজয়ী নাম ঘোষণা করা হবে।  

    এর আগের বছর, গত বছর তাপমাত্রা এবং স্পর্শের জন্য রিসেপ্টর আবিষ্কারের গবেষণায় চিকিৎসাবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান লেবানিজ বংশোদ্ভূত মার্কিন বিজ্ঞানী আর্ডেম পাতাপুতিয়ান ও মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Chip: সরকারি কম্পিউটারে এএমডি-ইন্টেলের চিপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি চিনে

    Chip: সরকারি কম্পিউটারে এএমডি-ইন্টেলের চিপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি চিনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেদের সরকারি কম্পিউটার ও সার্ভারে এএমডি ও ইন্টেলের মতো মার্কিন চিপ (Chip) কোম্পানির প্রসেসর ব্যবহারের ক্ষেত্রে নয়া নির্দেশিকা জারি চিনের। মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ও বিদেশে তৈরি ডেটাবেস সফটওয়্যারের পরিবর্তে স্থানীয় পণ্য ব্যবহারের নির্দেশনাও রয়েছে বেজিংয়ের জারি করা ওই নির্দেশিকায়।

    জারি নির্দেশিকা (Chip)

    চিন সরকারের তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এখন থেকে চিনের বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে অবশ্যই এএমডি ও ইন্টেলের চিপের (Chip) বদলে ব্যবহার করতে হবে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য স্থানীয় পণ্য। নির্দেশিকায় কোন কোন চিপ ব্যবহার করা যাবে তার একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ১৮টি প্রসেসর। এর মধ্যে রয়েছে হুয়াওয়ে ও চিনের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ফিটিয়ামের বানানো চিপ। উল্লেখ্য যে, উভয় কোম্পানিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ।

    নির্ভরযোগ্য প্রসেসর ও অপারেটিং সিস্টেম

    জানা গিয়েছে, চিনের সরকারি বডি ও অর্গানাইজেশনগুলিকে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল ২৬ ডিসেম্বর। সেটি কার্যকর করা হয়েছে সম্প্রতি। টাউনশিপ লেভেলে থাকা সরকারি সংস্থাগুলির প্রয়োজন নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য প্রসেসর ও অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা।   

    চিনের শিল্পমন্ত্রক গত ডিসেম্বরে জারি করা বিবৃতিতে তিনটি আলাদা আলাদা সিপিইউ, অপারেটিং সিস্টেমস এবং কেন্দ্রীভূত ডেটাবেসের লিস্ট দিয়েছিল। পাবলিকেশন ডেটের তিন বছর পর্যন্ত এগুলি নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য বলে বলা হয়েছিল। এগুলি সবই চিনে তৈরি। মার্কিন পণ্যের পরিবর্তে এগুলি ব্যবহার করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। দ্য স্টেট কাউন্সিল ইফর্মেশন অফিস, যারা চিনা মন্ত্রিসভার কাউন্সিলের হয়ে মিডিয়া হ্যান্ডেল করে, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তারা মুখে কুলুপ এঁটেছে।

    আরও পড়ুুন: ফের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, তালিকায় রয়েছেন ‘রাম’, কঙ্গনাও

    জানা গিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে চিনের সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিগুলি বিদেশি প্রযুক্তি নির্ভরতা কমাতে শুরু করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে বেজিংয়ে সেমিকন্ডাক্টর ইক্যুইপমেন্ট ও প্রযুক্তি রফতানির ওপর নিয়ন্ত্রণ জারি করেছিল। তার পরেই ফুলেফেঁপে উঠতে থাকে চিনের দেশীয় চিপ ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ফার্মগুলি। বাড়তে থাকে তাদের রোজগারও (Chip)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে”, পাকিস্তানকে নিশানা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে”, পাকিস্তানকে নিশানা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।” শনিবার নাম না করে এই ভাষায়ই পাকিস্তানকে নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন সিঙ্গাপুরে নিজেরই লেখা বই ‘হোয়াই ভারত ম্যাটারর্স’ সংক্রান্ত এক বক্তৃতায় পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকে নিশানা করেন জয়শঙ্কর।

    প্রসঙ্গ সন্ত্রাসবাদ (S Jaishankar)

    ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের ওই অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিবেশীর এই বিষয়টি যেখানে গোপন নেই, তখন আপনি সেই প্রতিবেশীর মোকাবিলা করবেন কীভাবে? এটি কোনও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, তারা (পাকিস্তান) এটিকে একটি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে…সেক্ষেত্রে আমাদের কী করণীয়? আমাদের এর মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। কারণ সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া কোনও সমাধান নয়, সেটা শুধু সমস্যাকে আরও ডেকে আনে।” তিনি বলেন, “প্রত্যেক দেশই চায় যাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক থাকে। যদি আর কিছু নাও হয়, যাতে অন্তত প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ভারতের ক্ষেত্রে সে রকম নয়।”

    ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি 

    সন্ত্রাসবাদকে যে ভারত আর বরদাস্ত করবে না, এদিনও তাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে ভারত যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। একদিকে সন্ত্রাসবাদীমূলক কার্যকলাপ চলবে, অন্যদিকে সমানতালেও চলতে থাকবে আলোচনা, এটা যে হতে পারে না, এদিন তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “আমরা কখনওই তাদের বলতে যাব না যে, আচ্ছা, এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে, আসুন আমরা আলোচনা করি।”

    আরও পড়ুুন: “এটাই হল মোদি কা গ্যারান্টি”, কেন বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী?

    পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “আমরা কোনও দেশকেই ফ্রি পাস দেব না। তারা বলবে, এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। এটা কোনও কঠিন সমস্যাও নয়। আবার আমরা বিষয়টিকে উপেক্ষাও করতে পারি না।” পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ ভারত করেছে আগেও। এবারও ফের সুযোগ পেয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে কার্যত ধুয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “এটাই হল মোদি কা গ্যারান্টি”, কেন বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: “এটাই হল মোদি কা গ্যারান্টি”, কেন বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মোদি কা গ্যারান্টি”। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) তৈরি এই শব্দবন্ধ এবার দেশ ছাড়িয়ে চর্চিত হচ্ছে বিদেশেও। কেবল তাই নয়, শব্দবন্ধটি যিনি প্রয়োগ করেছেন তিনি চায়ের দোকানের আড্ডাবাজ কেউ নন, তিনি একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী। আজ্ঞে, হ্যাঁ। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবের গলায়ই শোনা গিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সৃষ্টি এই শব্দবন্ধ।

    কী বললেন শেরিং? (PM Modi)

    বিষয়টি তবে খোলসা করা যাক। শুক্রবার দু’দিনের সফরে ভুটান সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার ফিরেছেন দিল্লিতে। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের ব্যস্ত শিডিউল ছেড়ে মোদি ভুটান সফরে যাওয়ায় তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমার ভাই নরেন্দ্র মোদিজি (PM Modi) আমাদের দেশে আসার জন্য তোমায় একটা বড় ধন্যবাদ। ব্যস্ত কর্মসূচি কিংবা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া…কোনও কিছুই মোদিকে আটকাতে পারেনি তাঁর ভুটান সফরে আসার প্রতিশ্রুতি পূরণ করা থেকে। এটা নিশ্চয়ই মোদি কা গ্যারান্টি, যা নিয়ে এত চর্চা।”

    মোদির ভুটান সফর

    বুধবারই ভুটান সফরে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য সফর পিছিয়ে করা হয় শুক্রবার। এদিন সকালে ভুটানের পারো বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন শেরিং স্বয়ং। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে এদিন ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল ভুটানের স্কুলগুলিতে। সেই পড়ুয়ারাও থিম্পুতে হাজির ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে। এই সফরে মোদিকে ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘অর্ডার অফ ড্রুক গ্যালপো’য় ভূষিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মোদিই হলেন প্রথম কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনেতা, যাঁকে নিজেদের দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করেছে ভুটান।

    চলতি বছরই সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ভারত সফরে এসেছিলেন শেরিং। সেই সময়ই তিনি আমন্ত্রণ জানিয়ে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। ভুটান সফরে যাবেন বলে কথাও দিয়েছিলেন মোদি। শেষমেশ শুক্রবার দু’দিনের জন্য ঘুরে এলেন ভুটান। চলতি সফরে ভুটানের উন্নয়নে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মোদি। আগামী পাঁচ বছরে ভুটানের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের বার্তাও দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।”

    আরও পড়ুুন: কৃষ্ণনগরের পর করিমপুরে মহুয়ার বাড়িতে হানা দিল সিবিআই

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Maldives: পর্যটকের পর শিক্ষক-সংকট মলদ্বীপে! তাই কি এখন মুইজ্জুর মুখে ভারত-স্তুতি?

    Maldives: পর্যটকের পর শিক্ষক-সংকট মলদ্বীপে! তাই কি এখন মুইজ্জুর মুখে ভারত-স্তুতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারকে সামনে রেখে, ভারত বিরোধী আবেগ তৈরি করে মলদ্বীপে (Maldives) ক্ষমতায় এসেছেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু। তাঁর ভারত বিদ্বেষের খেসারত প্রতিদিন দিচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র। ধাক্কা খেয়েছে মলদ্বীপের পর্যটন ব্যবসা। যা এই ছোট দ্বীপরাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি। এবার মুইজ্জুর ভুল নীতির খেসারত দিচ্ছে সেখানকার শিশু থেকে তরুণ প্রজন্ম। মলদ্বীপে (India Maldives Relation) এখন শিক্ষক-সংকট। মুইজ্জু সরকার আসার পর থেকে দলে দলে মলদ্বীপ ছাড়ছেন সেখানকার ভারতীয় শিক্ষকরা। বিষয়টি সেই দেশের সংসদেও তুলেছে মলদ্বীপের বিরোধী দল। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মুইজ্জু সরকার।

    কেন এই শিক্ষক সংকট

    মূলত বেজিংকে খুশি করতেই ‘ইন্ডিয়া আউট’ নীতি অবলম্বন করেছে চীনপন্থী মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) সরকার। আর যার ফল এখন ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ। মুইজ্জুর ঘৃণা সহ্য করতে না পেরে দেশ ছেড়েছেন একাধিক শিক্ষক। বিপুল সংখ্যক ভারতীয় শিক্ষক সেই দেশে যান শিশুদের পড়াতে। বলা যেতে পারে ভারতীয় শিক্ষকরাই সেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে চালান। কিন্তু, মুইজ্জু সরকার আসার পর থেকে, তাঁর ভারত বিরোধী প্রচারের কারণে, দলে দলে ভারতীয় শিক্ষকরা মলদ্বীপ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ফলে, গভীর শিক্ষা সংকট তৈরি হয়েছে মলদ্বীপে।

    আরও পড়ুন: ‘ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ভারত’! সুরবদল মলদ্বীপের, ঋণ মকুবের আর্জি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর

    দেশেই প্রশ্নের মুখে মুইজ্জু সরকার

    সংসদে ভারতীয় (India Maldives Relation) শিক্ষকদের মলদ্বীপ ছাড়ার প্রসঙ্গ তুলে মুইজ্জু সরকারের ব্যাখ্যা চেয়েছে সেই দেশের প্রধান বিরোধী দল, মলদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি। ওই পার্টির (এমডিএম) সাংসদ মহম্মদ শহিদ প্রশ্ন করেন, “ইন্ডিয়া আউট প্রচারের কারণে বহু শিক্ষক দেশ ছেড়েছেন। এর ফলে দেশে শিক্ষকের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। শিশুদের লেখাপড়ার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এই গুরুতর সমস্যা মোকাবিলায় সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?” এই প্রশ্নের মুখে সংসদে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মুইজ্জু সরকার। শিক্ষকের ঘাতটি আছে বলে মেনে নিলেও, মলদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী ড. ইসমাইল শফিফু শিক্ষা সংকটের দাবি মানেননি। তিনি বলেন, “ভারতীয় শিক্ষকরা অনেক সময়ই মলদ্বীপ ছেড়ে চলে যান। এতে কয়েক সপ্তাহের জন্য শিশুদের পড়াশোনায় সমস্যা হয়। এটা কোনও নতুন বিষয় নয়। এর আগেও আমাদের দেশে এমনটা ঘটেছে। গত ৩০ বছরের পরিসংখ্যান লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ভারত থেকে এই ছোট্ট দ্বীপে অনেক সময় শিক্ষকরা এসে এক মাস থেকে আবার চলে যান। দেশে কোনো ধরনের শিক্ষা সংকট তৈরি হয়নি।” তবে মলদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী যতই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান না কেন সমস্যা রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রে। হয়তো সেই কারণেই চিনের হাত ধরলেও ভারতকে ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’বলতে বাধ্য হয়েছেন মলদ্বীপ প্রেসিডেন্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Moscow Terror Attack: মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলায় রাশিয়ার পাশে ভারত, বিবৃতি দিলেন মোদি

    Moscow Terror Attack: মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলায় রাশিয়ার পাশে ভারত, বিবৃতি দিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার সন্ত্রাসবাদী হামলার (Moscow Terror Attack) তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকা, ইতালি সমেত অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। বিবৃতি দিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবও। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আনতেনিও গুতেরেস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ (ভারতীয় সময়) মস্কোতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি 

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র বলেন, ‘‘আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এমন সন্ত্রাসবাদী হামলার। সমবেদনা জানাচ্ছি (Moscow Terror Attack) এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি। ভারত সর্বদাই রাশিয়ার সরকারের এবং জনগণের পাশে রয়েছে এমন দুঃসময়ে।’’

    সতর্ক করেছিল আমেরিকা!

    অন্যদিকে, আমেরিকা জানিয়েছে, তারা চলতি মার্চ মাসেই রাশিয়াকে সতর্ক করেছিল, এমন সন্ত্রাসবাদী হামলা (Moscow Terror Attack) ঘটতে পারে বলে। ওই সতর্কবার্তাতে আমেরিকা আরও জানিয়েছিল, বড় রকমের জমায়েতকে টার্গেট করছে জঙ্গিরা। এর মধ্যে কনসার্টও রয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলার যে ছবিগুলি দেখা যাচ্ছে তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কার্বি, এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদী হামলার ছবিগুলি দেখা খুবই কঠিন। কারণ সেগুলি এতটাই ভয়ানক।’’

    ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলিও

    ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলি যথা ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীও এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের দাবি অনুযায়ী তারাই সন্ত্রাসী হামলার (Moscow Terror Attack) সঙ্গে যুক্ত। এই ধরনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’’ এর পাশাপাশি যাঁরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনাও জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। ইতালির প্রধানমন্ত্রীর জর্জিয়া মেলোনি সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘‘মস্কোতে নিরীহ সাধারণ মানুষের উপর যে ধরনের হামলা হয়েছে তা অত্যন্ত জঘন্য। ইতালি সরকার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।’’

    মস্কোর জঙ্গি হামলা নিয়ে কথার লড়াই রাশিয়া-ইউক্রেনের

    অন্যদিকে রাশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি দিমিত্রি মেদভেদেভ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যদি প্রমাণিত হয় এই ঘটনার সঙ্গে ইউক্রেনের যোগ রয়েছে তবে তাদেরকে শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু ইউক্রেন এই ঘটনায় তাদের যোগ অস্বীকার করেছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির অন্যতম উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলিয়াক শুক্রবার জানিয়েছেন, মস্কোর কনসার্ট হলে যে হামলা (Moscow Terror Attack) হয়েছে তার সঙ্গে ইউক্রেনের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তাঁদের চলছে যুদ্ধক্ষেত্রের লড়াই এবং যা কিছু হবে সবটাই যুদ্ধক্ষেত্রে হবে।

    ক্রোকাস সিটি হল-এ হামলা

    রাশিয়ার রাজধানীর উত্তর দিকে অবস্থিত ক্রোকাস সিটি হল। এই হলের মধ্যে শপিং মল রয়েছে। আবার কনসার্ট হলও আছে। হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে পরপর গুলি চালায় (Moscow Terror Attack) জঙ্গিরা। এর পাশাপাশি গ্রেনেডও ছোড়া হয়। গ্রেনেড ছোড়ার ফলে গোটা বিল্ডিং-এ আগুন জ্বলে যায়। রাশিয়া পুলিশের অনুমান, একটি সাদা রেনো গাড়িতে চেপে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। জানা গিয়েছে, পিকনিক নামের একটি রক ব্যান্ড যখন গান গাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল তখনই এই হামলা চালায় আততায়ীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share