Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India Maldives Relation: ‘ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ভারত’! সুরবদল মলদ্বীপের, ঋণ মকুবের আর্জি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর

    India Maldives Relation: ‘ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ভারত’! সুরবদল মলদ্বীপের, ঋণ মকুবের আর্জি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত মলদ্বীপের ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’ (India Maldives Relation)। নয়াদিল্লির কাছে ঋণ মকুবের আর্জি জানিয়ে এই কথা বলেন ‘চিন-ঘনিষ্ঠ’ মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর। ক্রমশই বাড়ছিল ভারত-মলদ্বীপ কুটনৈতিক জটিলতা৷ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) ভারত-বিরোধী পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা বাড়িয়েছিল। কিন্তু ভারত কখনওই প্রতিবেশীর হাত ছাড়েনি। এবার তা মেনে নিল মলদ্বীপও।

    কী বললেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

    গত বছরের শেষে ভারত থেকে ৪০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল মলদ্বীপ (India Maldives Relation)। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২,৯০০ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) জানান, মলদ্বীপকে সাহায্যের বিষয়ে ভারত অগ্রগণ্য। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়েছে। পূর্বসূরিদের আমল থেকে। সে কারণে আমরা আলোচনা করছি, যাতে ঋণ মেটানোর ক্ষেত্রে নরম পদক্ষেপ করা হয়।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, এর প্রভাব যাতে কোনও ভাবেই কোনও প্রকল্পে না পড়ে। প্রেসিডেন্টের আশা, ভারত এই ঋণ মেটানোর বিষয়টি আরও সহজ করবে। এই নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ভারত মলদ্বীপের ঘনিষ্ঠ সহযোগী থাকবে। এই নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। মুইজ্জু বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে, আমি কোনও বর্তমান প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে চাই না। বরং সেগুলি আরও মজবুত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি।’’

    আরও পড়ুন: ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ড্রাক গ্যালপো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    ভারত-মলদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

    দিনকয়েক আগে সে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান মহম্মদ মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) জানিয়ে দেন, কোনও পোশাকেই ভারতীয় সেনা সেদেশে থাকতে পারবে না ৷ ফলে আরও কঠিন হয়েছিল ভারত-মলদ্বীপ (India Maldives Relation) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক৷ তারপরেই আচমকা সুরবদল৷ একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে মুইজ্জু জানিয়ে দিলেন, ভারতই মলদ্বীপের ‘ঘনিষ্ঠ’ সঙ্গী৷ ভারতীয় সেনাদের একটি দল ইতিমধ্যে মলদ্বীপ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। তার পরেই মুইজ্জুর মুখে প্রশস্তি। গত কয়েক বছর ধরে মলদ্বীপে রয়েছে ভারতের দু’টি হেলিকপ্টার এবং একটি বিমান। অসুস্থদের এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে নিয়ে যায় সেগুলি। জরুরিকালীন পরিষেবার কাজে ব্যবহৃত হয়। সেগুলি চালনার জন্য মলদ্বীপে মোতায়েন ছিল ভারতীয় সেনা। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পেও সাহায্য করেছে ভারত। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Moscow Terror Attack: মস্কোয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা, মৃত ৬০, আহত শতাধিক, দায় স্বীকার আইসিসের

    Moscow Terror Attack: মস্কোয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা, মৃত ৬০, আহত শতাধিক, দায় স্বীকার আইসিসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়াতে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার (Moscow Terror Attack) ঘটনা। শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ (ভারতীয় সময়) রাশিয়ার একটি কনসার্ট হলে এই সন্ত্রাসী হামলায় মারা গিয়েছেন ৬০ জন মানুষ। ঘটনাস্থলেই ৪০ জন মানুষ মারা যান। পরে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়ে ৬০-এ পৌঁছায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনায় আহত হয়েছেন ১১৫ জন (Moscow Concert Hall Massacre)। আহতদের মধ্যে ৫ জন শিশুও রয়েছে। ৬০ জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কা জনক বলে মনে করা হচ্ছে।

    হামলার দায় স্বীকার ইসলামিক স্টেটের

    রুশ সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, যখন গুলি চালানো হয় তখন ওই কনসার্ট হলে ৬,২০০ মানুষের উপস্থিতি ছিল বলে অনুমান। ১০০ জন মানুষ কোনওভাবে কনসার্ট হল থেকে বেরোতে সক্ষম হন। এছাড়া বাকিরা ছাদে অথবা অন্য কোথাও আশ্রয় নেন। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গি সংগঠন। আইএস জঙ্গি সংগঠন সন্ত্রাসবাদী হামলার (Moscow Terror Attack) পরে টেলিগ্রাম অ্যাপে নিজেদের বার্তা দেয়। জঙ্গিরা এর পরে নিজেদের সুরক্ষিত ঘাঁটিতে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি আইএস-র।

     

    কী জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা

    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একদল লোক ছদ্মবেশে ঢুকে পড়েছিল কনসার্টে (Moscow Concert Hall Massacre), অনুষ্ঠান চলাকালীন তারা গুলি চালাতে থাকে। ঘটনার পরেই আমেরিকা জানিয়েছে, রাশিয়াতে (Moscow Terror Attack) এমন জঙ্গি হামলা হতে পারে এ বিষয়ে মস্কোকে তারা আগেই সতর্ক করেছিল। অন্যদিকে, এই ঘটনায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর আপডেট দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, হামলার নেপথ্যে ইউক্রেনের যোগ প্রমাণিত হলে কঠোরতম পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যদিও ইউক্রেনের দাবি, এই হামলার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই।

    ক্রোকাস সিটি হল-এ হামলা

    রাশিয়ার রাজধানীর উত্তর দিকে অবস্থিত ক্রোকাস সিটি হল। এই হলের মধ্যে শপিং মল রয়েছে। আবার কনসার্ট হলও আছে। হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে পরপর গুলি চালায় (Moscow Terror Attack) জঙ্গিরা। এর পাশাপাশি গ্রেনেডও ছোড়া হয়। গ্রেনেড ছোড়ার ফলে গোটা বিল্ডিং-এ আগুন জ্বলে যায়। রাশিয়া পুলিশের অনুমান, একটি সাদা রেনো গাড়িতে চেপে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। জানা গিয়েছে, পিকনিক নামের একটি রক ব্যান্ড যখন গান গাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল তখনই এই হামলা চালায় আততায়ীরা।

    বন্দুকবাজদের হামলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে 

    বন্দুকবাজদের হামলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে। তাতে দেখা গিয়েছে, হল থেকে বের হচ্ছে কালো ধোঁয়া (Moscow Concert Hall Massacre)। আতঙ্কে মানুষজন সিটের পিছনে লুকোতে চেষ্টা করছে অথবা পালানোর চেষ্টা করছেন। কনসার্ট হলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের বক্তব্য হল, সাধারণ পোশাক পরেই গুলি চালাচ্ছিল দুই থেকে পাঁচজন আততায়ী (Moscow Terror Attack)। টানা ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত গুলি চালায় তারা। প্রসঙ্গত, এটাই নতুন নয়। মার্চ মাসেই মস্কোতে ইসলামিক স্টেট সেল-এর একটি হামলাকে ব্যর্থ করে রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থা। তারও আগে রাশিয়ার পুলিশের হাতে ৬ জন জঙ্গির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মনে করা হচ্ছে কনসার্টে হামলা তারই পাল্টা প্রতিক্রিয়া।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

      

  • PM Modi in Bhutan: থিম্পুতে মোদি, ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi in Bhutan: থিম্পুতে মোদি, ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের ভুটান সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bhutan)। শুক্রবার সকালেই ভুটানের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। পারো বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে যান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরেই দেওয়া হয় গার্ড অফ অনার।  

    মোদিকে উষ্ণ আলিঙ্গন (PM Modi in Bhutan)

    লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই ফের সরকার গঠিত হবে বলে ধরে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ইতিমধ্যেই তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানরা। শান্তির দূত হিসেবেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে শুরু করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি। এহেন (PM Modi in Bhutan) আবহে এদিন পড়শি দেশ ভুটান রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবারই দেশে ফিরবেন তিনি। এদিন পারো বিমানবন্দরে পৌঁছতেই প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। সে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘অর্ডার অফ দ্য ড্রুক গ্যালপো’য় সম্মানিত করা হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে।

    মোদির সম্মানে বন্ধ ভুটানের স্কুল

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে এদিন বন্ধ রাখা হয়েছে ভুটানের সমস্ত স্কুল। রাজধানী থিম্পুতে তাঁকে স্বাগত জানান স্কুল পড়ুয়া ও স্থানীয় বাসিন্দারা। সেওয়াং দোরজি নামে ভুটানের এক বাসিন্দা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানাতে আমরা অত্যন্ত উৎসাহিত। আজ ভুটানের সব স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েছে ভুটানের পড়ুয়ারা।” চলতি বছরই সাধারণ নির্বাচন হয়েছে ভুটানে। সেই নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শেরিং। তার পরেই ভারত সফরে এসেছিলেন তিনি। সেই সময় পরিকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, শক্তি ও জ্বালানি, জলবিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা হয়েছিল ভারত ও ভুটানের মধ্যে।

    সম্প্রতি ভুটান সীমানায় তৎপরতা বাড়িয়েছে চিনা সেনা। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এহেন আবহে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পড়শি দেশ ভুটানও যাতে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার মতো চিনা ঋণের ফাঁদে না পড়ে, বেজিং যাতে ভুটানভূমকে কাজে লাগিয়ে ভারতকে চোখ রাঙাতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করতেই ভুটান সরকারের ডাকে লোকসভা নির্বাচনের মুখে সে দেশে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “থিম্পুতে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Bhutan) সফরে ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিকে গুরুত্ব দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার চেষ্টা হবে।”

    আরও পড়ুুন: কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বোলপুরের বাড়িতে ইডি হানা, বাড়ি ঘিরে রেখেছে বাহিনী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • China Population Crisis: সন্তান ধারণে আগ্রহ নেই মহিলাদের! জনসংখ্যা সংকটের মুখোমুখি চিন

    China Population Crisis: সন্তান ধারণে আগ্রহ নেই মহিলাদের! জনসংখ্যা সংকটের মুখোমুখি চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন বর্তমানে জনসংখ্যা সংকটের (China Population Crisis) মুখোমুখি হচ্ছে। এর কারণ বহু মহিলা ব্যক্তিগত জীবনের পরিবর্তে তাঁদের পেশাগত জীবনের প্রতি বেশি মনোনিবেশ করছেন। পরিবার শুরু করার জায়গায় কেরিয়ারকে বেছে নিচ্ছেন। যার ফলে জনসংখ্যা দ্রুত হারে কমতে শুরু করেছে এবং জনসংকট একটি প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। জন্মহার বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সময়ে একাধিক বিশেষ পরিকল্পনা চালিয়েছে চিন। জন্মহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৬ সালে এক-সন্তান নীতি বাতিল করেছিল চিন। এর পর ২০২১ সালে সন্তান প্রসবের ঊর্ধ্বসীমাকেও বাতিল করে ড্রাগনের দেশ। তা সত্ত্বেও দম্পতিদের সন্তান প্রসব কম হচ্ছে। এবার গবেষণায় এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান কী বলছে (China Population Crisis)?

    সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু ঝেং বলেছেন, “চিনে (China Population Crisis) বিবাহিত দম্পতিরা কম সন্তান ধারণ করছেন। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে একেবারেই সন্তান না থাকা পছন্দ করছেন। কোভিড এখনও তার অনেক নেতিবাচক প্রভাব অব্যাহত রেখেছে এবং ভবিষ্যতের দিকে অনিশ্চয়তার ধারা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও একটি অসহায়তার অনুভূতি রয়েছে যা অনেক মহিলাকে সন্তান ধারণ করতে নিষেধ করছে। জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় পরিবার প্রসারিত করতে চাওয়া থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।” চিনের ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস রিপোর্ট করেছে যে জনসংখ্যা ২০২১ সালে ১.৪১৩ বিলিয়ন থেকে গত বছর ১.৪১২ বিলিয়ন হয়েছে। তথ্য অনুসারে, ১৯৬০ সালের পর প্রথমবারের মতো প্রাকৃতিক বৃদ্ধির হার নেতিবাচক ছিল ড্রাগনের দেশে।

     কেরিয়ারকে গুরুত্ব চিনা মহিলাদের

    পশ্চিমের দেশগুলির তুলনায় চিনের (China Population Crisis) কর্মশক্তিতে মেয়দের সংখ্যা বেশি। একজন অর্থনীতিবিদ অ্যান্ডি জি বলেছেন, “চিনে কেরিয়ার গড়ার ইচ্ছা আছে মহিলাদের মধ্যে। বাড়িতে থেকে মা হওয়া কখনই লক্ষ্য নয় তাঁদের। বহু মহিলা উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করে কর্মক্ষেত্রে পদে উন্নতি করেছেন। ফলে তাঁরা আশা করেন যে, তাঁদের স্বামীরা তাঁদের থেকে বেশি উপার্জন করবে। ২০২০ সালে মহিলা পড়ুয়াদের ডক্টরেট ডিগ্রি নথিভুক্তিকরণ প্রায় ৪২% বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরুষদের তুলনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্যও উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সংখ্যক মহিলা নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।”

    সন্তানধারণ করতে উৎসাহ

    বেশি মহিলাকে সন্তান ধারণে উৎসাহিত করার জন্য উৎসাহ দেওয়ার কাজ করছে ট্রিপ ডট কম হল একটি চিনা কোম্পানি। চিনে (China Population Crisis)  এই সংস্থায় ৩০,০০০ কর্মচারীর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মহিলা। অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি কোম্পানি মহিলা কর্মীদের আরও সন্তান নিতে উৎসাহ দিয়ে থাকে৷ আবার এই সংস্থার সিইও জেন সান গত মাসে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “আমাদের সংস্থায় মহিলাদের একটি কেরিয়ার, একটি পরিবার এবং সন্তান ধারণের জন্য শুধুমাত্র সাত থেকে আট বছর সময় দেওয়া হয়। গর্ভবতী কর্মচারীদের কর্মস্থলে এবং সেখানে বিনামূল্যে ট্যাক্সি চড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়ে থাকে। তাঁদের সন্তানের জন্ম ও স্কুল শুরু হলে নগদ সুবিধা দেওয়ার কথাও বলা হয়।

    বিয়ে না করে সন্তান নেওয়ার প্রবণতা

    এনইউএইচ-এর সহকারি অধ্যাপক মু বলেছেন, “চিনের (China Population Crisis) কিছু মহিলা সন্তান চান, কিন্তু তাঁরা বিয়ে বা বৈবাহিক জীবনের জন্য প্রস্তুত নন। মহিলারা এখন অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি স্বাধীন। তাই তাঁদের অনেকের কাছে বিয়ে তেমন আকর্ষণীয় বিকল্প নয়।” সিএআইসি-এর তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে ৭৬.৪ লক্ষ মহিলা বিয়ে করেছে। তুলনায় ২০২০ সালের ৮১.৪ লক্ষ থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে।

    কী বলছেন সন্তানের মায়েরা

    যে মহিলাদের সন্তান ধারণের পর বিবাহবিচ্ছেদ হয়, তাঁরা সামাজিক কলঙ্কের সম্মুখীন হন এবং একা সন্তান লালন-পালন করার সময় তাঁদের কর্মজীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যাপক সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়। চিনে একজন ৩৬ বছর বয়সি মহিলা এক সন্তানের মা বলেন, “আমি বিয়ে না করে একক ভাবে মা হওয়া লজ্জাজনক বলে মনে করি না। তবে আমি আমার সহকর্মীদের কাছ থেকে গোপন রেখেছিলাম কারণ আমি চাই না যে সকলে আমাকে অন্যভাবে দেখুক।” সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ সিচুয়ানে বছরের শুরুতে ঘোষণা করেছে যে অবিবাহিত বাসিন্দারা বিবাহিত দম্পতিদের মতো একই সুবিধা পাবেন। এই পদক্ষেপ যা আশা করছে চিনের (China Population Crisis) দেশটির জন্মহার বৃদ্ধি করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip kumar-Raj Kapoor: মিউজিয়াম হচ্ছে পেশোয়ারে দিলীপ কুমার-রাজ কাপুরের পৈতৃক ভিটে-বাড়ি

    Dilip kumar-Raj Kapoor: মিউজিয়াম হচ্ছে পেশোয়ারে দিলীপ কুমার-রাজ কাপুরের পৈতৃক ভিটে-বাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেশোয়ারে দিলীপ কুমারের (Dilip kumar-Raj Kapoor) পৈতৃক বাড়ি হচ্ছে মিউজিয়াম। একইভাবে, রাজ কাপুরের বাস্তুভিটেও পরিণত হবে যাদুঘরে। দেশ ভাগের আগে এই দুই তারকা থাকতেন বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ারে। পরবর্তী সময়ে ভারতে চলে আসেন তাঁরা। এবার এই দুই তারকার বাড়িকে পুনরুদ্ধারের কাজ করা হচ্ছে। দিলীপের স্ত্রী সায়রা বানু ২০২১ সালের একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “দিলীপ নিজের পৈতৃক বাড়ি নিয়ে খুব আবেগপ্রবণ ছিলেন। বাল্য এবং শৈশবের একটা সময় কাটিয়েছেন ওই বাড়িতে। আমি চাই সরকার বাড়িকে সংরক্ষিত করুক।”

    তহবিল গঠনের পর শুরু হবে কাজ (Dilip kumar-Raj Kapoor)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপ কুমারের (Dilip kumar-Raj Kapoor) বাড়ি ছিল এই শহরের কিসসা খাওয়ানি বাজারে। এই বাড়িটি বর্তমানে খাইবার পাখতুনখোয়া সরকারের মালিকাধীনে রয়েছে। এখন বাড়িটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। বাড়িটিতে বর্তমানে সেখানকার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কাজ করছে। তবে বাড়িটিকে যাদুঘরে পরিণত করতে গেলে কিছুটা সময় লাগবে। তবে এই কাজের জন্য আর্থিক তহবিল গঠন করার কাজ শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক জাতীয় নির্বাচনে একটি নতুন সরকার গঠনের পর এই তহবিল গঠনের কাজ সম্পূর্ণ হবে। অপর দিকে, রাজ কাপুরের পৈতৃক ভিটেও সরকারের মালিকানায় রয়েছে। এটিও যাদুঘরে পরিণত হবে।

    খাইবার পাখতুখাওয়া পুরাতত্ত্ব বিভাগের বক্তব্য

    খাইবার পাখতুখাওয়া পুরাতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ডাক্তার আব্দুস সমদ খান এই বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, “দেশ ভাগের আগে থেকেই ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের দুই তারকা রাজ কাপুর (Dilip kumar-Raj Kapoor) এবং দিলীপ কুমার এই বাড়িগুলিতে থাকতেন। জীবনের একটা বিশেষ সময় তাঁরা কাটিয়েছেন তাঁদের বাড়িতে। রাজ কাপুরের পৈতৃক বাড়ির নাম ছিল কাপুর হেভেলি। তাঁর বাবা দিওয়ান বিশ্বেম্বরনাথ কাপুর এই বাড়িটি তৈরি করে ছিলেন। আনুমানিক ১৯১৮ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। এখানেই তাঁর কাকা তিলক কাপুরের জন্ম হয়েছিল।”

    দিলীপের বাড়ি সম্পর্কে পুরাতত্ত্ব বিভাগের বক্তব্য

    পুরাতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ডাক্তার আব্দুস সমদ খান দিলীপের বাড়ি সম্পর্কে বলেন, “দিলীপ কুমারের (Dilip kumar-Raj Kapoor) বাড়িটি পাকিস্তানের জাতীয় হেরিটেজ। এখানে ১৯২২ সালে জন্ম হয় দিলীপ কুমারের। ১৯৩২ সালে এই বাড়ি ত্যাগ করে ভারতে চলে আসেন দিলীপ। ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই তাঁর এই বাড়িকে পাকিস্তান সরকার জাতীয় হেরিটেজ ঘোষণা করে ছিলেন। দেশভাগের পর দিলীপ কুমার একবার এই বাড়িতে এসেছিলেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parachuri Abhijit: আমেরিকায় ফের খুন ভারতীয় ছাত্র, জঙ্গলে উদ্ধার দেহ

    Parachuri Abhijit: আমেরিকায় ফের খুন ভারতীয় ছাত্র, জঙ্গলে উদ্ধার দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় ফের এক ভারতীয় ছাত্রের (Indian Student Death In US) অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, তাঁকে খুন করা হয়েছে। একটি জঙ্গলে গাড়ির ভিতর থেকে ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। মৃত পড়ুয়ার নাম পারাচুরি অভিজিৎ (Parachuri Abhijit)। বছর কুড়ির এই  ছাত্র অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের বাসিন্দা ছিলেন। এই নিয়ে চলতি বছরেই মোট আট ভারতীয় পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হল আমেরিকায়। 

    ঘন জঙ্গল থেকে মিলল দেহ

    পুলিশ সূত্রে খবর, আমেরিকার বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন অভিজিৎ (Parachuri Abhijit)। সম্প্রতি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ, টাকা এবং ল্যাপটপের জন্য অভিজিৎকে খুন করেছে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের সন্দেহ, টাকাপয়সা নিয়ে কারও সঙ্গে ঝামেলা হয়ে থাকতে পারে অভিজিতের (Indian Student Death In US)। তার জেরে খুন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলাকারীদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি। অভিজিতের মৃতদেহ ক্যাম্পাসের মধ্যে ঘন জঙ্গলে পাওয়া গিয়েছে। তাঁর দেহ ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে আমেরিকা প্রশাসন। 

    আরও পড়ুন: রুদ্ধশ্বাস অভিযান ভারতীয় নৌসেনার, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হারিয়ে উদ্ধার জাহাজ

    শোকাহত পরিবার

    পরিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিৎ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন অভিজিৎ (Indian Student Death In US)। অভিজিতের বাবা পারাচুরি চক্রধর জানিয়েছেন, পুত্র বিদেশে পড়তে যেতে চাইলেও তাঁর মায়ের ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু তাঁর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তাঁরা রাজি হয়েছিলেন। বস্টন বিশ্ববিদ্যালয় যথেষ্ট নামকরা। এই ঘটনার পর প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গিয়েছে, অনেকেই অনুমান করছেন যে অভিজিতের (Parachuri Abhijit) সঙ্গে কিছু পড়ুয়ার মতবিরোধ হতে পারে। এই প্রথম নয়, এর আগেও আমেরিকায় গিয়ে খুন হতে হয়েছে ভারতীয় পড়ুয়াদের। তা-ও আবার কয়েক মাসের মধ্যেই আট জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে জো বাইডেনের দেশ থেকে। সম্প্রতি অমরনাথ ঘোষ নামে এক নৃত্যশিল্পী খুন হন ওয়াশিংটনে। বছর চৌত্রিশের অমরনাথ নৃত্যে স্নাতকোত্তর করতে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vladimir Putin: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রেকর্ড জয় পুতিনের, শোনা গেল তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি

    Vladimir Putin: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রেকর্ড জয় পুতিনের, শোনা গেল তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ছ’বারের জন্য রুশ প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসতে চলেছেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। ৮৭.৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের মস্কোর মসনদে এলেন তিনি। পুতিনের জয়ের ধারে কাছেও দেখা যাচ্ছে না নিকটতম বাম প্রতিদন্দ্বীকে। ওই বাম প্রার্থীকে পেতে দেখা যাচ্ছে মাত্র ৪ শতাংশ ভোট। সোভিয়েট-পরবর্তী রাশিয়ায় প্রথম এত বিপুল ব্যবধানে জয়ী হলেন তিনি। জেতার পরে পুতিন যদি প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদ পূরণ করতে পারেন, তবে রাশিয়ার ২০০ বছরের ইতিহাসে দীর্ঘমেয়াদি শাসক হিসাবে প্রথম স্থানে থাকবেন তিনি। ভেঙে যাবে জোসেফ স্ট্যালিন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভের টানা ২৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড। জয়ের পরেই পুতিন দিলেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারিও।

    জেতার পরে নিজের ভাষণে কী বললেন পুতিন? 

    জেতার পরে নিজের ভাষণে পুতিন (Vladimir Putin) বলেন, ‘‘আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য দেশের সমস্ত নাগরিককে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটা কোনও ব্যাপার নয় কে কতটা আমাদের ভয় দেখাতে চায়। আমাদের দমন করে রাখতে চায়। অতীতে যারা আমাদের চেতনা এবং ইচ্ছাকে দমন করে রাখতে চেয়েছে, ইতিহাসে তারা কেউ সফল হতে পারেনি। ভবিষ্যতেও তারা সফল হবে না। কখনওই না।’’

    হুঁশিয়ারি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের

    তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারিও শোনা গেল তাঁর গলায়। মার্কিন নেতৃত্বে চলা পশ্চিমী রাষ্ট্রজোট ‘নেটো’র সঙ্গে রাশিয়ার সংঘাতের কোনও সম্ভাবনা রয়েছে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে পুতিন (Vladimir Putin) জানিয়েছেন, আধুনিক বিশ্বে সবই সম্ভব। রুশ সংবাদমাধ্যমকে পুতিন বলেন, “এটা সকলের কাছেই স্পষ্ট যে, তেমন হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে এক ধাপ দূরে থাকা হবে। আমি মনে করি খুব কম মানুষই তেমনটা চাইবেন।” প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পরমাণু যুদ্ধের হুমকিও শোনা গিয়েছিল পুতিনের গলায়। তিনি বলেছিলেন, ‘‘রাশিয়া কারিগরি এবং কৌশলগত দিক থেকে পরমাণু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’’ ২০২২ সাল থেকেই চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে ব্রিটিশ এবং ফরাসি সেনারাও রয়েছেন বলে দাবি করেছেন পুতিন। তাঁর আরও দাবি, নেটোর অধিকাংশ সেনাই রুশ সেনার ‘প্রতিরোধে’র সামনে মারা যাচ্ছেন।

    ২০১৮ সালে ৭৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতেন পুতিন

    রাশিয়ায় তিন দিন ধরে চলেছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। গতকাল রবিবারই তা শেষ হয়েছে। সোমবার সামনে এল ফলাফল। এর আগে ২০১৮ সালে রাশিয়াতে এই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিল। সেবার সাড়ে ৭৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন পুতিন। তবে পুতিন (Vladimir Putin) সমর্থকদের বিরুদ্ধে ভোটে জালিয়াতি ও বিরোধীদের ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগও ওঠে সেবার। সম্প্রতি, জেলবন্দি পুতিন বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু হয়। এনিয়েও অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলা হয় পুতিনকে। সেই আবহেই এল পুতিনের বিপুল জয়ের খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Canada News: বাড়িতে ‘সন্দেহজনক’ আগুন, কানাডায় মৃত্যু ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতি, কিশোরী কন্যার

    Canada News: বাড়িতে ‘সন্দেহজনক’ আগুন, কানাডায় মৃত্যু ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতি, কিশোরী কন্যার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় (Canada News) আগুনে পুড়ে মারা গেলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতি। জানা গিয়েছে, নিহত দম্পতির নাম রাজীব ওয়ারিকু (৫১) এবং শিল্পা ওয়ারিকু (৫১)। মর্মান্তিক এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই দম্পতির কিশোরী কন্যা মেহেকেরও (১৬)। জানা গিয়েছে, গত ৭ মার্চ কানাডার অন্টারিওতে ঘটনাটি ঘটে। তখনই স্থানীয় পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে। কানাডার পুলিশ অনুমান করছে, কোনওভাবে বাড়িতে আগুন লাগার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই পরিবারের সদস্যদের।

    আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি 

    যদিও আগুন লাগার কারণ কী, তা এখনও পর্যন্ত কোনওভাবে জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত করছে কানাডার হোমিসাইড শাখা। এ নিয়ে ধন্দে পড়েছেন খোদ তদন্তকারীরাও। রাজীব ওয়ারিকু পেশায় পুলিশ কর্মী ছিলেন বলে জানা যায়। ২০১৬ সালে তিনি অবসর নেন। কানাডার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই পরিবারের আবাসস্থলে আগুন লাগার ঘটনা যথেষ্ঠ ‘সন্দেহজনক’। আগুন লাগার সময় তাঁদের বাড়িতে আর অন্য কেউ ছিলেন কি না, তা পুলিশ এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: আরও ৫ বছর নিষিদ্ধ ইয়াসিন মালিকের জেকেএলএফ, ঘোষণা কেন্দ্রের

    কী জানাল কানাডার পুলিশ

    কানাডার পুলিশ নিজেদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত (Canada News) ওই পরিবার অন্টারিওর ব্রাম্পটনের ভ্যান কার্ক ড্রাইভ এলাকায় বসবাস করতেন। গত ৭ মার্চ তাঁদের বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখেন এক প্রতিবেশী। ওই প্রতিবেশীর নাম কেনেথ ইউসুফ তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এক বিকট আওয়াজ তিনি শুনতে পেয়েছিলেন আগুন লাগার আগে। সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রতিবেশী পুলিশে খবর দেন। প্রশাসনের সঙ্গে সেখানে পৌঁছয় দমকলও। এর পরেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। শেষে দেহাবশেষ উদ্ধারের কাজে লাগেন দমকলকর্মীরা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। আগুন লাগার কারণও খুঁজে বার করতেও তৎপর হয়েছেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ, উদ্ধার করল ভারতের নৌবাহিনী

    Indian Navy: জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ, উদ্ধার করল ভারতের নৌবাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমালিয়া উপকূলে বাংলাদেশি জাহাজের উপরে জলদস্যুদের হামলা রুখল ভারত। এর পাশাপাশি জাহাজে থাকা সমস্ত নাবিকদেরও উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে ভারতের নৌবাহিনী (Indian Navy)। বাংলাদেশের পতাকা লাগানো জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লা’ কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। কিন্তু মাঝ পথেই হঠাৎ জলদস্যুদের আক্রমণের শিকার হয়ে ওই জাহাজ। আটক করা হয় জাহাজে থাকা সকল নাবিকদেরও। খবর পেয়েই অপারশেনে নামে ভারতের নৌবাহিনী। উদ্ধার করা হয় জাহাজকে।

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট নৌবাহিনীর

    এই উদ্ধারকাজের বর্ণনা নিজেদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy)। সেখানে লেখা হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী বাংলাদেশের জাহাজকে জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে। খবর মেলে, জলদস্যুদের হামলার মুখে পড়েছে বাংলাদেশি জাহাজ। দ্রুততার সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফ থেকে একটি যুদ্ধজাহাজকে সেখানে পাঠানো হয়। তারপরেই চলে উদ্ধার কাজ।

    মার্চের প্রথমেই আরও ১ বাণিজ্যিক জাহাজ উদ্ধার

    তবে এটাই নতুন কিছু নয়, মার্চ মাসের প্রথমেই ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy) এডেন উপসাগরের একটি পণ্যবাহী জাহাজের উপর আগুন লেগে গেলে সেখান থেকেও ২১ জন নাবিককে উদ্ধার করে। জানা যায়, জলদস্যুদের মিসাইল হামলার জেরে ওই জাহাজে আগুন লেগে গিয়েছিল। ওই উদ্ধারকৃত নাবিকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ভারতীয়ও ছিলেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালেই এমভি আবদুল্লা নামের ওই বাংলাদেশি জাহাজকে সোমালিয়ার জলদস্যুরা আটক করে।

     

  • TikTok Ban:  ভারতের পথেই আমেরিকা, চিনা অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ হতে চলেছে মার্কিন মুলুকে

    TikTok Ban: ভারতের পথেই আমেরিকা, চিনা অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ হতে চলেছে মার্কিন মুলুকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের দেখানো পথেই এবার হাঁটতে চলেছে আমেরিকা। শর্ট ভিডিও তৈরির জনপ্রিয় চিনা অ্যাপ টিকটক আগেই নিষিদ্ধ হয়েছিল ভারতে। মার্কিন মুলুকেও এবার নিষিদ্ধ হবে চিনা অ্যাপ টিকটক। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে বিল পাশ হয়েছে আমেরিকার সংসদে। ভারতে টিকটক (TikTok) অ্যাপ নিষিদ্ধ (TikTok Banned) হয়েছে প্রায় চার বছর হল।  ২০২০ সালে ভারত সরকার এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। 

    বিপুল ভোটে বিল পাশ

    বিভিন্ন ইস্যুতে মার্কিন শাসক ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে মতানৈক্য থাকলেও টিকটককে নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে ঐক্যমত পোষণ করেছে। টিকটককে নিষিদ্ধ করতে যৌথভাবে এই বিল পেশ করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ডেমোক্র্যাট সদস্য রাজা কৃষ্ণমূর্তি এবং রিপাবলিকান সদস্য মাইক গ্যালাহে। বুধবার ইউএস হাউস অভ রিপ্রেজেনটেটিভে টিকটককে (TikTok) নিষিদ্ধ করার বিল পাশ হয়। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সেই বিল পাশ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। টিকটককে নিষিদ্ধ ঘোষণার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩৫২ জন। এর বিরোধিতায় ভোট দিয়েছেন ৬৫ জন। যদিও হাউস অব রিপ্রেজেনটিভে এই বিল পাশ হয়ে গেলেও সেনেটে পাশ নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। সেনেটে পাশ হলেই তবে আমেরিকায় নিষিদ্ধ হবে টিকটক।

    ভারতে আগেই নিষিদ্ধ

    ভারতে মূলত জেনারেশন ওয়াই এবং জেড- এর কাছেই মারাত্মক ভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল এই টিকটক অ্যাপ। তবে এই অ্যাপ ব্যান হওয়ার পর এর বেশ কিছু ফিচার ইনস্টাগ্রামে যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হল রিলস। টিকটক (TikTok) ছাড়াও একাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়েছে ভারতে। সেই তালিকায় রয়েছে উই চ্যাট, শেয়ারইট, হ্যালো, লাইক, ইউসি নিউজ, ইউসি ব্রাউজার, বিগো লাইভ ও আরও অনেক অ্যাপ। ইউজারদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা বজায় রাখার খাতিরেই এইসব অ্যাপ ব্যান করা হয়েছিল। এ যাবৎ ৩০০-র বেশি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়েছে ভারতে। 

    আরও পড়ুন: আহমেদনগর এখন থেকে অহল্যানগর, নয়া নামে সিলমোহর মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার

    কেন এই পথে আমেরিকা

    ভারতে নিষিদ্ধ হলেও বিশ্বের অনেক দেশেই রমরমিয়ে এখনও ব্যবসা করছে টিকটক (TikTok) অ্যাপ। চিন, আমেরিকা, রাশিয়া- সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এক লক্ষেরও বেশি কর্মী রয়েছেন যাঁরা টিকটকে কর্মরত। প্রায় ১৭ কোটি আমেরিকান বর্তমানে টিকটক ব্যবহার করেন। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্ন হচ্ছে এই অভিযোগেই টিকটক নিষিদ্ধ ঘোষণার উদ্যোগ শুরু হয়। এই অ্যাপ ইতিমধ্যেই গুগল এবং অ্যাপল স্টোর থেকে বাদ গিয়েছে।  চাইনিজ মালিকানা থেকে এই অ্যাপের মালিকানা অন্য হাতে গেলে তবেই তা অনুমোদিত হতে পারে মার্কিন মুলুকে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share