Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Saudi Arabia: বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যোগ ব্যায়াম শেখানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে সৌদি আরব

    Saudi Arabia: বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যোগ ব্যায়াম শেখানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে সৌদি আরব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর যোগ ব্যায়ামের (Saudi Arabia) বিশেষ প্রভাব রয়েছে। সেই গুরুত্ব বিবেচনা করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যোগ ব্যায়াম শেখানো ও যোগ ব্যায়ামকে পরিচিত করার উদ্যোগ নিচ্ছে সৌদি যোগা কমিটি। শনিবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।  

    ‘ডেভেলপমেন্ট এন্ড প্রমোশন অব নিউজ স্পোর্টস গেমস ইন ইউনিভার্সিটিস’ নামের একটি অনুষ্ঠান সৌদি যোগা কমিটির চেয়ারম্যান নউফ আল-মারওয়াই জানিয়েছেন, যোগ ব্যায়াম ছড়িয়ে দিতে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি করবেন তারা।

    যোগ ব্যায়াম বিশ্বের অন্যতম পুরোনো শারীরিক কসরতগুলোর মধ্যে একটি। এই ব্যায়ামের বিকাশ ঘটেছিল ভারতেই। সাধারণ ভারতীয়দের মধ্যে যোগ ব্যায়াম জনপ্রিয় করতে কাজ করছে ভারত সরকার। 

    সৌদি যোগা কমিটির (Saudi Arabia) চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন, যোগ ব্যায়ামকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিচিত করা ছাড়াও পুরো সৌদি আরবে এটি ছড়িয়ে দিতে চান তারা। এজন্য যোগ ব্যায়ামে সেরাদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা বলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: এখনই জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন নেই, ফিসচুলার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েও জেলেই ফিরতে হল অনুব্রতকে

    মারওয়া (Saudi Arabia) বলেন, যোগা মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী খেলাধুলায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করতে সাহায্য করবে এই ব্যায়াম।

    যোগব্যায়ামের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন আসনগুলির রয়েছে বহুমুখী উপকারিতা । এর মাধ্যমে আপনি শরীরের বিভিন্ন ধরণের রোগ কমাতে পারেন। যেমন- হাঁটুর ব্যথা, পায়ের ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, স্ত্রী রোগ কোষ্ঠকাঠিন্য,উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতন নানান কঠিন ব্যাধি । প্রত্যহ যোগব্যায়ামের সাহায্যে সারাজীবন তরুণ এবং সুস্থ থাকা যায়।

    যোগাভ্যাসের প্রচারে ভারতের উদ্যোগ

    প্রাচীন কাল থেকেই যোগ চর্চার অভ্যাস ভারতীয় সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেই ঐতিহ্যের কথা বিবেচনা করেই ভারতের যোগকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্প্রসারিত করতেই যোগ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ২১ জুন দিনটিকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫সালের ২১ জুন তারিখ থেকে বিশ্ব জুড়ে যোগ দিবস পালন করা শুরু হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bill Gates: ‘ভারত সফরের অন্যতম সেরা অংশ মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ’, বললেন বিল গেটস

    Bill Gates: ‘ভারত সফরের অন্যতম সেরা অংশ মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ’, বললেন বিল গেটস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) সম্পর্কে আমি আগের চেয়েও বেশি আশাবাদী। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে বৈঠকের পর কথাগুলি বললেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস (Bill Gates)। চলতি সপ্তাহেই ভারত সফরে এসেছিলেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন। বিল গেটস জানান, ভারত সফরের অন্যতম সেরা অংশ ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ। তিনি জানান, বিজ্ঞান থেকে শুরু করে উদ্ভাবন, বিশ্বে অসাম্য কমাতে কী কী বিষয়ে সাহায্য করতে পারে ভারত, তা নিয়েই আলোচনা করেছেন তাঁরা।

    বিল গেটস (Bill Gates)…

    মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা (Bill Gates) তাঁর ব্লগে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উদ্ভাবনী কাজ, জলবায়ু পরিবর্তন, আসন্ন জি-২০ শীর্ষ বৈঠক সহ নানা বিষয়ে মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে উদ্ভাবনী দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। করোনা অতিমারি পর্বে বিল গেটসের সংস্থা গেটস ফাউন্ডেশন ভারতে ভ্যাকসিন পাঠিয়েছিল। সেই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোদি সরকার দক্ষতা দেখিয়েছে বলেও জানান মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি লিখেছেন, জীবন রক্ষার সরঞ্জাম তৈরির পাশাপাশি, ভারত সেগুলি সরবরাহের ক্ষেত্রেও উৎকর্ষ দেখাতে পেরেছে।

    বিল গেটসের মুখে এদিন ছিল কেবলই মোদি-স্তুতি। তিনি বলেন, করোনা অতিমারির কারণে গত তিন বছর আমি খুব একটা কোথাও যাইনি। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও আমি নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলাম। বিশেষ করে করোনা টিকা তৈরি ও ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়। মাইক্রোসফটের কর্ণধার বলেন, সুরক্ষিত, কার্যকরী ও সস্তায় ভ্যাকসিন তৈরি করার অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে ভারতের। এর মধ্যে বেশ কিছু ভ্যাকসিন তৈরিতে গেটস ফাউন্ডেশন সহায়তা করেছে। করোনাকালে ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে এবং বিশ্বে অন্যান্য রোগ ছড়িয়ে পড়া থেকে প্রতিরোধেও সাহায্য করেছে।

    আরও পড়ুুন: ‘পাকিস্তানের নীতির কারণেই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে’, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত

    করোনা অতিমারি পর্বে টিকাকরণের জন্য কো-উইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। মোদির এই উদ্যোগের ভূসয়ী প্রশংসা করে মাইক্রোসফট কর্ণধার (Bill Gates) বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির বিশ্বাস ছিল কো-উইন বিশ্বের জন্য মডেল হয়ে উঠবে। ওঁর চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ সহমত। অতিমারি পর্বে ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার উন্নতি ও গতিশক্তি প্রোগ্রামের প্রশংসাও করেন বিল গেটস। মাইক্রোসফটের কর্ণধার বলেন, বহু বছর ধরে আমরা জলবায়ু নিয়ে কাজ করছি। মিশন ইনোভেশনে ভারতও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ২০১৫ সালে আমরা এই উদ্যোগ শুরু করেছিলাম ক্লিন এনার্জির প্রচারের জন্য। আশা করছি, আগামিদিনেও আমরা এক সঙ্গে কাজ করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
  • Sri Lanka Economic Crisis: ‘ভারত সর্ব শ্রেষ্ঠ’, দৃপ্ত ঘোষণা শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি স্যাব্রির

    Sri Lanka Economic Crisis: ‘ভারত সর্ব শ্রেষ্ঠ’, দৃপ্ত ঘোষণা শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি স্যাব্রির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) সর্ব শ্রেষ্ঠ। শুক্রবার এই ভাষায়ই ভারত-প্রশস্তি গাইল দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। দুর্দিনে (Sri Lanka Economic Crisis) কলম্বোর পাশে দাঁড়ানোয় ভারতের প্রশংসা করলেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী এমইউএম আলি স্যাব্রি। বিপদের দিনে শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়ানো এবং সে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ভারতের অবদানের জন্য নয়াদিল্লিকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, বিশ্বের সব দেশ মিলে শ্রীলঙ্কাকে যে পরিমাণ সাহায্য করেছে তার চেয়েও ঢের বেশি করেছে ভারত। আলি স্যাব্রি বলেন, আমাদের স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং ঘুরে দাঁড়াতে যারা সাহায্য করেছে, তাদের মধ্যে সর্ব শ্রেষ্ঠ হল ভারত। তিনি বলেন, ভারত আমাদের জন্য যা করেছে, তা অন্য সব দেশের সাহায্যের তুলনায় ঢের বেশি। ভারতের ৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সাহায্য করেছে। ভারতের কাছে আমরা খুবই কৃতজ্ঞ।

    শ্রীলঙ্কার দুর্দিন (Sri Lanka Economic Crisis)…

    শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka Economic Crisis) মুখে ভারত-প্রশস্তি অবশ্য এই প্রথম নয়, সপ্তাহ তিনেক আগেও আলি স্যাব্রি ভারতের ব্যাপক প্রশংসা করেছিলেন। সেই সময় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সে দেশে ছিলেন। মালদ্বীপ সফর সেরে তিনি গিয়েছিলেন কলম্বো। সেখানকার রাষ্ট্রপতি রনীল বিক্রমসিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জয়শঙ্কর। দেখা করেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গেও। তখনই শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি স্যাব্রি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটা বললে অতিরঞ্জিত হবে না যে ভারতের ব্যাপক সাহায্য আমাদের কিছুটা আর্থিক স্থিরতা দিতে পেরেছে।

    আরও পড়ুুন: নাম না করে চিনকে কড়া বার্তা কোয়াড গোষ্ঠীর, কেন জানেন?

    শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি (Sri Lanka Economic Crisis) সম্পর্কেও জানান আলি স্যাব্রি। তিনি বলেন, বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। দেশীয় মুদ্রার মূল্যমানেও স্থিরতা এসেছে। আলি স্যাব্রি বলেন, গত মে-জুন মাসে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ার পর অনেকটা সময় পেরিয়ে এসেছে শ্রীলঙ্কা। আমাদের মুদ্রাস্ফীতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে। দেশীয় মুদ্রাও স্থিতিশীল। ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন শিল্প। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা ঋণ হিসেবে নেওয়া অর্থ ফেরত দিতেও শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমরা ক্রমেই স্থিতাবস্থার দিকে এগোচ্ছি। আশা করি, এই মাসের শেষেই আইএমএফের ইএফএফ প্রোগ্রাম শেষ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, তাই আমার মনে হয়, আমরা এবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Ned Price: ‘জঙ্গিবাদের নিন্দা করে আমেরিকা’, হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে জানালেন মার্কিন মুখপাত্র

    Ned Price: ‘জঙ্গিবাদের নিন্দা করে আমেরিকা’, হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে জানালেন মার্কিন মুখপাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে তো বটেই, বিদেশেও মাথাচাড়া দিচ্ছে খালিস্তানি (Khalistani) আন্দোলন। নিরন্তর নিশানা করা হচ্ছে হিন্দু মন্দিরগুলিকে (Hindu Temples)। খালিস্তানিদের এই আন্দোলনের তীব্র নিন্দা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US)। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস (Ned Price) বলেন, যে কোনও ধরনের হিংসা এবং জঙ্গি কার্যকলাপের নিন্দা করে আমেরিকা। তিনি বলেন, আমেরিকার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ হল ধর্মীয় বহুত্ববাদ। নেড প্রাইস বলেন, যারা এর উল্টো কার্যকলাপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদেরও নিন্দা করে।

    নেড প্রাইস (Ned Price) বলেন…

    অস্ট্রেলিয়া, কানাডা সহ বিভিন্ন দেশে হিন্দু মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে খালিস্তানিরা। এদিন সে প্রসঙ্গে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র (Ned Price) বলেন, হিংসার যে কোনও ধরনের রূপেরই আমরা নিন্দা করি। হিংসার হুমকি দেওয়ারও নিন্দা করি। যে কোনও ধরনের হিংসা, জঙ্গি কার্যকলাপেরও নিন্দা করি। তিনি বলেন, আমেরিকা এমন একটি দেশ যাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ রয়েছে। এরই একটি হল, ধর্মীয় বহুত্ববাদ। সব ধর্মের মানুষের প্রতি সহনশীলতাও রয়েছে। যাঁরা কোনও ধর্মপথের অনুসারীও নন, তাঁদেরও আমরা শ্রদ্ধা করি। তিনি বলেন, যাঁরা এর উল্টো পথের যাত্রী, তাঁদের আমরা নিন্দা করি।

    কানাডার ব্রাম্পটনে রয়েছে গৌরী শঙ্করের মন্দির। চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম দিকে ওই মন্দিরে ভাঙচুর চালায় কেউ বা কারা। মন্দিরের দেওয়ালে লেখা হয় ভারত বিরোধী স্লোগান। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিলেন কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। দূতাবাসের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছিল, ব্রাম্পটনের গৌরী শঙ্করের মন্দির ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক। সেই মন্দিরের দেওয়ালে যে ভারত বিরোধী স্লোগান লেখা হয়েছিল, আমরা তার তীব্র নিন্দা করি। মন্দির ভাঙচুরের এই ঘৃণ্য ঘটনা কানাডায় বসবাসকারী হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। কানাডা সরকারের কাছে আমরা এ ব্যাপারে আমাদের উদ্বেগও প্রকাশ করেছি।

    আরও পড়ুুন: ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’, মমতার অস্ত্রেই তৃণমূল বধ সুকান্তর!

    কেবল কানাডা নয়, অস্ট্রেলিয়ায়ও একাধিক হিন্দু মন্দিরে হামলা চালিয়েছে খালিস্তানিপন্থীরা। মেলবোর্নের অ্যালবার্ট পার্কে থাকা হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয় ২৩ জানুয়ারি। মন্দিরের দেওয়ালে লিখে দেওয়া হয় ভারত বিরোধী স্লোগান। অস্ট্রেলিয়ারই ক্যারাম ডাউনে শিব বিষ্ণুর মন্দিরেও ভাঙচুর চালিয়েছে খালিস্তানিরা। সেখানেও মন্দির গাত্রে লেখা হয়েছে ভারত বিরোধী স্লোগান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Prince Harry: প্রাসাদ থেকে কী বিতাড়িত হতে চলেছেন ব্রিটেনের রাজপুত্র? জানুন বিস্তারিত

    Prince Harry: প্রাসাদ থেকে কী বিতাড়িত হতে চলেছেন ব্রিটেনের রাজপুত্র? জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ রাজকুমার প্রিন্স হ্যারি (Prince Harry) ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেল এবার প্রাসাদ থেকে পাকাপাকিভাবে বিতাড়িত হতে চলেছেন বলেই খবর। রাজমহলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, উইন্ডসর এস্টেটে ফ্রগমোর কটেজ থেকে নিজেদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হ্যারিকে। রাজকুমারের বিতর্কিত আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ প্রকাশিত হওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।

    বর্তমান কটেজটি তাঁরা উপহার পেয়েছিলেন ২০১৮ সালে

    জানা গেছে, ২০১৮ সালে বিয়ের উপহার হিসাবে নবদম্পতি হ্যারি-মেগানকে এই কটেজ উপহার দিয়েছিলেন তৎকালীন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ২০২০ সালে রাজপরিবারের সমস্ত দায়িত্ব ছেড়ে ক্যালিফোর্নিয়া চলে যান হ্যারি। পাকাপাকিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা হলেও ব্রিটেনে নিজেদের কটেজ ছাড়েননি তাঁরা।

    হ্যারির আত্মজীবনী প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রাজপরিবারের বিবাদ সামনে আসে

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই প্রকাশিত হয় হ্যারির আত্মজীবনী স্পেয়ার। রাজপরিবারের রীতিনীতি থেকে শুরু করে তাঁর প্রতি পরিবারের একাংশের দুর্ব্যবহার- সমস্ত কিছু নিয়েই তোপ দাগেন হ্যারি। সাধারণ মানুষের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে ব্রিটিশ রাজপরিবার। অন্দরের খবর, তারপরেই রাজা তৃতীয় চার্লস সিদ্ধান্ত নেন, ফ্রগমোর কটেজ থেকে সরিয়ে দিতে হবে হ্যারিকে। 

    হ্যারির ছেড়ে যাওয়া কটেজ কে পাবে

    জানা গিয়েছে, হ্যারির এই কটেজ এবার দেওয়া হবে প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে। যৌন কেলেঙ্কারির জেরে ইতিমধ্যেই রাজপরিবারে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন রাজা চার্লসের ভাই। সেই কারণেই ৩০টি ঘরের প্রাসাদ ছেড়ে অপেক্ষাকৃত ছোট কটেজে পাঠিয়ে দেওয়া হবে তাঁকে। তবে রাজপরিবারের দাবি, খরচ কমিয়ে সাধারণ জীবনযাপনের দিকে জোর দিচ্ছেন সদস্যরা। সেই জন্যই একাধিক কাটছাঁট করছে রাজপরিবার। যদিও এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেও একটি ক্লাবে খোশমেজাজে পার্টি করতে দেখা গিয়েছে হ্যারি-মেগানকে। 

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় জয়ী বিজেপি, নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়ে মুখ পোড়াল তৃণমূল

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Counterterrorism: সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ, বলল মার্কিন রিপোর্ট

    Counterterrorism: সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ, বলল মার্কিন রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে তামাম বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ সন্ত্রাসবাদ। এই সন্ত্রাসবাদ (Counterterrorism) দমনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নানা পন্থা অবলম্বন করছে। তবে ভারতের পন্থাটি যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, তা মেনে নিল আমেরিকার জো বাইডেন (Joe Biden) প্রশাসন। সম্প্রতি কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম ২০২১ : ইন্ডিয়া প্রকাশ করে ইউএস(আমেরিকা) ব্যুরো অফ কাউন্টার-টেররিজম। সেখানেই গাওয়া হয়েছে ভারত (India)-প্রশস্তি। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের সংগঠন চিহ্নিত, চূর্ণবিচূর্ণ করতে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদীদের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতেও ব্যবস্থা নিয়েছে তারা।

    সন্ত্রাসবাদ বিরোধী (Counterterrorism) পদক্ষেপ…

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে জম্মু-কাশ্মীর, উত্তর-পূর্বের কয়েকটি রাজ্য এবং মধ্য ভারতে সন্ত্রাসবাদের (Counterterrorism) বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। লক্সর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন, আইএসআইএস, আল কায়দা এবং জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ- এই সব সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী ভারতে সক্রিয় রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে সন্ত্রাসবাদীরা কৌশল বদলেছে। আগে তারা প্রশাসনের কর্মীদের ওপর হামলা চালালেও, বর্তমানে তারা আক্রমণ করছে সাধারণ মানুষকে। ড্রোনের সাহায্যে তারা হামলা চালিয়েছে ভারতের একটি এয়ার ফোর্স বেসেও। সন্ত্রাসবাদ দমনে ২০২১ সালে ভারত আমেরিকা বৈঠক করে।

    এটি ছিল অষ্টাদশতম বৈঠক। বৈঠক হয়েছে দুই দেশের কাউন্টার টেরটিরজম জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের।ওই বছরেরই নভেম্বর মাসে ভারত অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সঙ্গেও যৌথ সামরিক মহড়া দেয়। কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম ২০২১ : ইন্ডিয়া-র রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আমেরিকার অনুরোধে সন্ত্রাসবাদীদের (Counterterrorism) সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য এবং তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে দ্রুত রিপোর্ট দিয়েছে ভারত। আমেরিকায় সন্ত্রাসবাদীদের হামলা হতে পারে এমন খবরও আগাম দিয়েছে ভারত।

    আরও পড়ুুন: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, শুধু ২০২১ সালেই জম্মু-কাশ্মীরে ১৫৩টি সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে ২৭৪ জনের। এর মধ্যে সাধারণ মানুষ রয়েছেন ৩৬ জন, নিরাপত্তারক্ষী ৪৫ জন। আর জঙ্গি রয়েছে ১৯৩ জন। উল্লেখযোগ্য আরও একটি জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটেছিল মণিপুরে। জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন সাতজন। তাঁদের মধ্যে এক ভারতীয় সেনাও ছিলেন। জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন তাঁর স্ত্রী এবং নাবালক সন্তানও। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটন করতে জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা স্কুল, ট্রেনিং কোর্স, নিয়োগ, মেডিক্যাল ক্যাম্প এবং এমার্জেন্সি সার্ভিসও চালু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ukraine Russia War: ভারতের বাধায় পরমাণু হামলা করেননি পুতিন, মানল আমেরিকা

    Ukraine Russia War: ভারতের বাধায় পরমাণু হামলা করেননি পুতিন, মানল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং চিন বাধা না দিলে হয়ত এতদিনে ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War) শেষ করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতেন। এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বর্ষপূর্তি হয়েছে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের। এখনও যুদ্ধের বিরাম নেই। এমতাবস্থায় ইউক্রেনে ফের পরমাণু অস্ত্র হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন জো বাইডেন সরকারের বিদেশ সচিব। জি ২০- সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে ভারতে আসছেন মার্কিন বিদেশ সচিব। তার আগে তাঁর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, বিশ্বে শান্তি ফেরাতে ভারতের গুরুত্ব কতটা।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)…

    ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়ার মতো দেশের ওপর চিনের মতো দেশের প্রভাব সামান্যই। কিন্তু ভারতের মতো দেশ তাঁকে (পুতিনকে) শান্তি ফেরাতে অনুরোধ করেছে। সে বার্তা সে দেশের রাষ্ট্র প্রধানের কানে পৌঁছেও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এর কিছু প্রভাব পড়েছে।

    মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন, দশকের পর দশক ধরে ভারত রাশিয়ার (Ukraine Russia War) ওপর নির্ভর করত। রাশিয়া ভারতকে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করত। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে ভারত আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করছে। রাশিয়া ছাড়াও তারা আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তপোক্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, এদের মধ্যে ফ্রান্সও রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: কৃষকদের জন্য সুখবর! কিষাণ যোজনার টাকা দিল মোদি সরকার

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের এই আবহে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ার কারণ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বক্তব্য। চলতি সপ্তাহেই তিনি বলেছিলেন, রোসাতম ও তাঁর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে আমাদের দেশ প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করবে।

    গত বছর কাজাখাস্তানের সমরখণ্দে মুখোমুখি হয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই মোদি পুতিনকে পইপই করে বুঝিয়েছিলেন, এটা যুদ্ধের (Ukraine Russia War) যুগ নয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বার্তার পরেও হয়ত রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধে ইতি পড়েনি, তবে মোদির ওই বার্তায় যে বিশ্বশান্তির বার্তা স্পষ্ট, তা মেনে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। জো বাইডেন প্রশাসনও আগে একবার স্বীকার করেছে একথা। ফের একবার ভারতের ‘প্রভাব’ মনে করিয়ে দিলেন বাইডেন প্রশাসনেরই বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

  • Pakistan: এবারে ওষুধের তীব্র সংকট পাকিস্তানে, শেষের পথে জীবনদায়ী ওষুধ, বন্ধ অস্ত্রোপচার

    Pakistan: এবারে ওষুধের তীব্র সংকট পাকিস্তানে, শেষের পথে জীবনদায়ী ওষুধ, বন্ধ অস্ত্রোপচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে গোটা দেশ! এর আগেই জানা গিয়েছিল, খাবারের জন্য রাস্তায় মারামারি করছে মানুষ। গমের দাম আকাশ ছোঁয়া। এবারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতেও পড়েছে এর প্রভাব। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তান। সূত্রের খবর, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক মন্দার উত্তাপ এখন তার ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়’ পৌঁছেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের জন্য হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। প্রয়োজনীয় ওষুধ বা অপরিহার্য ওষুধের উপাদান (এপিআই) আমদানি করা যাচ্ছে না। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এর ফলে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারও হচ্ছে না এবং অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) মাত্র দুই সপ্তাহের ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাকি রয়েছে।

    চরম সংকটে প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তান

    চরম দুরাবস্থা পড়শি দেশ পাকিস্তানে। কোষাগারে বিদেশী মুদ্রার ভাণ্ডারে টান। চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। এর মাঝেই পর্যাপ্ত ওষুধের অভাবে ভেঙে পড়েছে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। নেই জীবনদায়ী ওষুধ। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে এসে ঠেকেছে, আমদানি করা যাচ্ছে না গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। যার ফলে দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারকদের উপর জোর দিচ্ছে সরকার। এমনকি অলিখিত ভাবে চিকিৎসকদের উপর ফতোয়া জারি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বলা হচ্ছে বেশি অপারেশন না করতে। রোগী কম দেখতে।

    মাত্র দুই সপ্তাহের ওষুধ মজুত রয়েছে

    পাক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বর্তমানে অপারেশন থিয়েটারে মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের জন্য চেতনানাশক ওষুধ অ্যানেসথেসিয়া মজুত রয়েছে। হার্ট, ক্যানসার এবং কিডনির মত রোগের অস্ত্রোপচারের জন্য যা অত্যাবশ্যকীয় একটি ওষুধ। ওষুধের ঘাটতি এবং সেগুলো তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদানের কারণে ওষুধ কোম্পানিগুলো ওষুধের পণ্য কমিয়ে দিয়েছে। এ কারণে হাসপাতালের রোগীরা বিপাকে পড়েছেন।

    ছাঁটাই শুরু চিকিৎসাক্ষেত্রে

    মনে করা হচ্ছে, ওষুধের ঘাটতি শুধু রোগীদের নয়, বহু মানুষের কর্মসংস্থানকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। চিকিৎসাক্ষেত্রে শুরু হয়েছে ছাঁটাই। কর্মহীন হচ্ছে বহু মানুষ। ফলে এটি মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

    ঋণ দিচ্ছে না ব্যাঙ্কগুলো

    ওষুধ উৎপাদনকারীরা এ সংকটের জন্য বর্তমান আর্থিক ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন। তারা বলেছেন, কাঁচামাল আমদানি করার জন্য লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) ছাড়পত্র দিচ্ছে না বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলো। পাকিস্তানের ওষুধ শিল্প প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর। মোট ওষুধের ৯৫ ভাগ কাঁচামালই ভারত, চিনসহ অন্যান্য দেশগুলো থেকে আসে। কিন্তু ডলার সঙ্কটের কারণে কাঁচামাল করাচি বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে।

    পাকিস্তানের ওষুধ উৎপাদনকারীরা বলছেন, দেশের মুদ্রার মান কমে যাওয়া, তেলের দাম বৃদ্ধি ও পরিবহণ খরচ বাড়ায় ওষুধের দাম বেড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যাতে বিপর্যয়ের দিকে না যায় সেজন্য সরকারের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (পিএমএ)। তবে, কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ না নিয়ে এখনও ঘাটতির পরিমাণ নির্ধারণের চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের খুচরা ওষুধ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ওষুধের সংকট নিয়ে একটি সার্ভে চালিয়েছে সরকার। তারা জানিয়েছেন, বাজারে এখন খুব সাধারণ কিন্তু অতি জরুরি প্যানাডোল, ইনসুলিন, ব্রুফেন, ডিসপ্রিন, ক্যালপল, তাগরাল, নিমেসুলেদে, হেপামারজ, বুসকোপান এবং রিভোট্রিলের মত ওষুধগুলো পাওয়া যাচ্ছে না।

    গত মাসেই (জানুয়ারি) পাকিস্তান ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশনের (পিপিএমএ) কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান সাঈদ ফারুক বুখারি জানিয়েছিলেন, ওষুধ উৎপাদন প্রায় ২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তিনি সতর্কতা দিয়ে বলেছিলেন, যদি আগামী ৪-৫ সপ্তাহ কাঁচামাল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে তাহলে ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দেবে।

  • Debt Trap: চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে আর্থিক সংকটে বহু দেশ, চিন্তিত আমেরিকা

    Debt Trap: চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে আর্থিক সংকটে বহু দেশ, চিন্তিত আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা ঋণের ফাঁদে (Debt Trap) আর্থিক সংকটে একের পর এক দেশ। শ্রীলঙ্কার পর পাকিস্তানের অবস্থাও তথৈবচ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। এবার এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল আমেরিকা। আমেরিকার অনুমান, এভাবেই ঋণের ফাঁদে ফেলে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে পারে চিন।

    আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি 

    কিছুদিনের মধ্যেই সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ভারত সফরে আসছেন। ১ মার্চ থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ভারতে থাকবেন ব্লিঙ্কেন। তার আগে উপমহাদেশের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আমেরিকার হয়ে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সম্পর্কিত বিষয়ের সহ সচিব ডোনাল্ডক লু (Debt Trap) । তিনি বলেন, ভারতের যেসব প্রতিবেশী (পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল) রাষ্ট্রগুলি রয়েছে, তাদের ঋণ দিয়েছে চিন। আমরা এনিয়ে চিন্তিত যে, এই লোন নিজেদের উদ্দেশে সাধনে ব্যবহার করতে পারে তারা।  

    লু বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলছি। ওই এলাকার দেশগুলির সঙ্গে কথা বলছি। বলা হচ্ছে, নিজেদের সিদ্ধান্ত আপনারা নিজেরা নিন। চিন-সহ অন্য কোনও সঙ্গী রাষ্ট্র যেন আপনাদের ওপর তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে না পারে।” সম্প্রতি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার ঘোষণা করেন, “বোর্ড অফ চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (Debt Trap) তাদের ৭০০ মিলিয়ন ডলার ক্রেডিট অনুমোদন করেছে।” এই প্রসঙ্গেই লু বলেন, “চিনকে নিয়ে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে গুরুতর আলোচনা চলছে।”

    আরও পড়ুন: “মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে, বেড়েছে ভোটার”, রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    ডোনাল্ড লু বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলছি। এই অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে কথা বলছি (Debt Trap) । কীভাবে আমরা দেশগুলিকে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারি সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে। চিন যাতে বাইরে থেকে কাউকে চাপ দিয়ে কোনও কিছু করতে বাধ্য না করতে পারে, তা নিয়ে কথা হচ্ছে।” 

    প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকবছর ধরেই চিনা ‘ঋণের ফাঁদ’ নিয়ে উত্তাল বিশ্ব (Debt Trap)। বিভিন্ন দেশকে অর্থ সাহায্য করে নিজের দলে টানতে চাইছে জিংপিং- এর দেশ। গতবছরই শ্রীলঙ্কার ভয়ানক পরিস্থিতি তার অন্যতম প্রমাণ। ভারতের পড়শি নেপাল, বাংলাদেশকেও এই ‘ঋণের ফাঁদে’ ফেলতে চায় চিন। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই সেই ফাঁদে আর্ধেক পা দিয়ে রেখেছে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’র নামে। আর এবার দেশের আর্থিক হাল ফেরাতে চিনের থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য নিল পাকিস্তান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • German Chancellor: ইউরোপে ভারতের সব চেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার জার্মানি, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে বললেন মোদি

    German Chancellor: ইউরোপে ভারতের সব চেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার জার্মানি, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোপে ভারতের (India) সব চেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার হল জার্মানি। শনিবার এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিনই দু দিনের ভারত সফরে এসেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর (German Chancellor) ওলাফ শোলজ। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। তার পরেই বলেন, ইউরোপে ভারতের সব চেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার হল জার্মানি। এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে শোলজকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপির বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি। সূত্রের খবর, এদিন মোদি-শোলজ বৈঠকে ক্লিন এনার্জি, বাণিজ্য ও নয়া প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের শেষে হয় যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন। তখনই জার্মানি প্রসঙ্গে একথা বলেন মোদি।

    ভারত-জার্মানি…

    ভারতের সঙ্গে জার্মানির সম্পর্ক ভাল বলেও জানান শোলজ। সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। আশা করি, এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। আশা করি, আমরা আমাদের দেশের উন্নয়ন এবং বিশ্বের শান্তির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক সমস্ত বিষয় নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করব।

    এদিন বৈঠক শেষে দুই রাষ্ট্র প্রধান দিল্লিতে হায়দরাবাদ হাউসে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেই সম্মেলনে মোদি বলেন, দুই দেশের মধ্যে গভীর বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে ভারত ও জার্মানির সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমাদের বাণিজ্য বিনিময়ের ইতিহাস রয়েছে। এর পরেই মোদি বলেন, জার্মানি ইউরোপে আমাদের সব চেয়ে বড় বাণিজ্যের অংশীদার। ইউরোপে আমাদের বাণিজ্যের সর্ববৃহৎ অংশীদার হওয়া ছাড়াও ভারতে বিনিয়োগের অন্যতম একটি উৎস হল জার্মানি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একে অপরের স্বার্থের অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে ভারত ও জার্মানির মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: জেলের মধ্যেই কুন্তল-তাপসকে শাসানি পার্থর! আরও বিপাকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী

    তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে দু দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আজ মেক ইন ইন্ডিয়া ও আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের ফলে সমস্ত ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ এসেছে। আমরা এই সুযোগগুলিতে জার্মানির আগ্রহ দেখে উৎসাহিত হয়েছি। শোলজ (German Chancellor) বলেন, আমাদের প্রয়োজন মেধা ও দক্ষ কর্মীর। ভারতে তথ্য প্রযুক্তি ও সফ্টওয়্যারের বিকাশ হচ্ছে। অনেক দক্ষ সংস্থা ভারতে রয়েছে। ভারতে এত প্রতিভা রয়েছে। আমরা তা থেকে উপকৃত হতে চাই। আমরা জার্মানিতে সেই প্রতিভা নিয়োগ করতে চাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share