Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Miss Universe 2022: বিশ্ব সুন্দরীর মঞ্চে পরাজয় ভারতের দিভিতা রাই- এর, মুকুট মার্কিন সুন্দরীর মাথায়

    Miss Universe 2022: বিশ্ব সুন্দরীর মঞ্চে পরাজয় ভারতের দিভিতা রাই- এর, মুকুট মার্কিন সুন্দরীর মাথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিস ইউনিভার্স ২০২২ -এর খেতাব জিতে নিলেন মার্কিন সুন্দরী আর বনি গ্যাব্রিয়েল। তাঁর মাথায় বিশ্ব সুন্দরীর ক্রাউন পরিয়ে দেন ২০২১ সালে মিস ইউনিভার্স খেতাব জয়ী হরনাজ সান্ধু। এ বছরের বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার প্রথম তিন জন হলেন আমেরিকা, ভেনিজুয়েলা, এবং ডমিনিকান রিপাবলিক। শেষ দুইয়ে পৌঁছয় আমেরিকা ও ভেনিজুয়েলা। শেষ হাসিটি হাসেন মিস আমেরিকা (Miss Universe 2022)। জিতে নেন বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট।

     


     

    এ বছর ভারতের হয়ে এই বিউটি পেজেন্টে (Miss Universe 2022) প্রতিনিধিত্ব করেন কর্নাটকের মেয়ে দিভিতা রাই। ম্যাঙ্গালুরুর বাসিন্দা, দিভিতা জাতীয় পোশাকের রাউন্ডে সোনার পাখি সেজে সবার নজর কেড়েছিলেন। ভারতের সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মের রূপক হিসেবে ওই পোশাককে তুলে ধরা হয়েছিল। তবে তাঁর বিশ্ব সুন্দরী হওয়ার স্বপ্ন থেকে গেল অধরাই। তিনি টপ ১৬ -এ ওঠার পর প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান। এবং বিশ্বসেরার খেতাব জিতে নেন মার্কিন সুন্দরী। 

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে ধৃত দুই জঙ্গির যোগ পাক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে? পাঠানো হয়েছিল মৃতদেহের ভিডিও

    কে এই আর বনি? 

    ১৯৯৪ সালের ২০ মার্চ টেক্সাসের হিউস্টনে জন্ম (Miss Universe 2022) হয় আর বনিত। নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমার বাবা ফিলিপিনসের বাসিন্দা ছিলেন। কলেজে স্কলারশিপ পেয়ে আমেরিকায় এসেছিলেন। তখন তাঁর পকেটে মাত্র ২০ ডলার (মার্কিন) ছিল।” তিনি আরও বলেন, “উনি নিজের জীবন গড়েছিলেন। আমার মায়ের সঙ্গে টেক্সাসে আলাপ হয়েছিল বাবার। তিনি বিউমন্টের বাসিন্দা ছিলেন। আমি গর্বিত ফিলিপিনা টেক্সান।” হুলা হুপ ভালোবাসেন এই সুন্দরী। মাঝেমধ্যে ব্যাগপত্র গুছিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। অবসর সময়ে বই পড়েন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Pakistan Food Crisis: একটা বস্তা দাও! বাইকে আটা-ভর্তি ট্রাক ধাওয়া স্থানীয়দের, পাকিস্তানে ভয়াবহ খাদ্য-সঙ্কট

    Pakistan Food Crisis: একটা বস্তা দাও! বাইকে আটা-ভর্তি ট্রাক ধাওয়া স্থানীয়দের, পাকিস্তানে ভয়াবহ খাদ্য-সঙ্কট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থনৈতিক সংকটের মাঝেই পাকিস্তানের (Pakistan Food Crisis) জায়গায় জায়গায় খাদ্য সঙ্কট ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। একটু আটা সংগ্রহের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিতে বাধ্য হচ্ছেন সেই দেশের নাগরিকরা। এর আগেই এক ব্যাগ আটার জন্য পাক নাগরিকদের হাতাহাতির ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার আটা ও অন্যান্য শস্য বহনকারী ট্রাকগুলিতেও শুরু হয়েছে লুঠপাট। 

    ভাইরাল ভিডিও

    সম্প্রতি, পাকিস্তান থেকে আরও এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে একটি আটা বহনকারী ট্রাকের পিছনে মোটরসাইকল নিয়ে ধাওয়া করতে দেখা যাচ্ছে আম পাকিস্তানিদের। ন্যাশনাল ইকুয়ালিটি পার্টি জম্মু-কাশ্মীর গিলগিট বালিস্থান অ্যান্ড লাদাখের চেয়ারম্যান প্রফেসর সাজ্জাদ রাজা সম্প্রতি নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এই ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে, আটার বস্তা বোঝাই একটি লরির পিছনে প্রাণপণে ছুটছে ক্ষুধার্ত জনতা। ওই ট্রাকে বস্তা ভর্তি আটা ছিল। তবে লুঠ করতে নয়, দাম দিয়েই ওই আটা কেনার চেষ্টা করেন তাঁরা। এক ব্যক্তি ট্রাকটির খুব কাছে চলে আসেন। পাকিস্তানি টাকার নোট হাতে নিয়ে তিনি এক বস্তা আটা কিনতে চান। তবে ট্রাকটি দাঁড়ায়নি।

    অধ্যাপক রাজা ভিডিও ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এটা কোনও মোটরসাইকেল র‍্যালি নয়। পাকিস্তানের মানুষজন মাত্র ১ ব্যাগ আটা পাওয়ার জন্য এই ভাবেই প্রাণ হাতে করে গম বোঝাই ট্রাকের পিছনে ছুটছে। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের এবার জেগে ওঠা উচিত। ভাগ্যিস আমি পাকিস্তানি নই, এবং এখনও নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে আমার। কিন্তু আমাদের কি আদৌ পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও ভবিষ্যৎ রয়েছে?’

    আরও পড়ুন: মহিলাদের পঠন পাঠন ও চাকরিতে তালিবানি নিষেধাজ্ঞা জারি হল আফগানিস্তানে

    আটার দাম আকাশছোঁয়া

    আটার দাম ভয়াবহ জায়গায় গিয়েছে পাকিস্তানে। করাচিতে কিলো প্রতি আটার দাম ১৪০-১৬০ টাকা। ইসলামাবাদে ১০ কেজির আটার বস্তার দাম প্রায় ১৫০০ টাকা। সবথেকে খারাপ অবস্থা খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের। ২০ কেজি আটার বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩২০০ টাকায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সমস্ত ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে তা থেকে স্পষ্ট পাকিস্তান তীব্র সঙ্কটে। বাজারে ভর্তুকিযুক্ত আটার মজুত কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়া, সিন্ধু এবং বেলুচিস্তান প্রদেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বাজার বিশৃঙ্খল হয়ে উঠেছে এবং সাধারণ মানুষের পদদলিত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। গমের ঘাটতি মেটাতে পাকিস্তান সরকার মোট ৭৫ লক্ষ টন গম আমদানি করছে। রাশিয়া থেকে আমদানি করা গম করাচি বন্দরে পৌঁছেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nepal Plane Crash: কেন বারবার নেপালে ঘটে চলেছে বিমান দুর্ঘটনা? নেপথ্যে কারণ কী?

    Nepal Plane Crash: কেন বারবার নেপালে ঘটে চলেছে বিমান দুর্ঘটনা? নেপথ্যে কারণ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার কাঠমান্ডু থেকে পোখরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। আকাশপথে এই দূরত্ব ১৪৬ কিলোমিটার, যেতে সময় লাগে ৩০ মিনিট মতো। ৭২ জন যাত্রী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এই বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে রওনা হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ভেঙে পড়ে। ৭২ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। 

    নেপালে কেন বারবার বিমান দুর্ঘটনার (Nepal Plane Crash) ঘটনা ঘটছে

    নেপালে বিমান দুর্ঘটনা (Nepal Plane Crash) নতুন কিছু নয় বারবার সেখানে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বিমান। ২০১৮ সালের একটি রিপোর্ট বলছে গত ৩০ বছরে ২৭টি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে সেদেশে অর্থাৎ প্রতিবছরে গড়ে একটি বিমান দুর্ঘটনা হয়েই থাকে নেপালে কিন্তু কেন বারবার এমন হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের উচ্চতা ১,৩৩৮ মিটার। তারপর আবার অপ্রশস্থ উপত্যকার উপর গড়ে উঠেছে বিমানবন্দর।

    নেপালের র‍্যাডার প্রযুক্তির অবস্থাও খুব খারাপ। তাই বিমানচালকে নিজের দৃষ্টির উপরেই নির্ভর করতে হয়। আবার সে দেশে বাজেট কম থাকায়, কম বিমানচালক  নিয়োগ করা হয়ে থাকে। গত কয়েক বছরে একের পর এক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে নেপালে। গত ৬ মাসে পোখরায় এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কোনও বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। 

    ভৌগলিক ও আবহাওয়া জনিত কারণ গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাদ দেওয়া যাচ্ছে না নজরদারির অভাব, পুরনো বিমানের ব্যবহার, ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এয়ারলাইন্সের মতো প্রসঙ্গও। নেপালের মতো পাহাড়ি এলাকায় বিমান চালানোর জন্য বিমানচালকেরা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পান কি না বা এয়ারলাইন্সগুলি উপযুক্ত বিমানচালক নিয়োগ করেন কি না,তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। 

    গত কয়েক বছরে নেপালে কতগুলি বিমান দুর্ঘটনার (Nepal Plane Crash) নজির 

    ২০২২ সালের ২৯ শে মে তারা এয়ারের একটি বিমান দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। নেপালে সবার ছিলেন ২২ জন যাত্রী সকলেরই মৃত্যু হয়েছিল।
     
    ২০১৯ সালে কাঠমান্ডু ফিরছিল এয়ার ডায়নাস্টি সংস্থার একটি হেলিকপ্টার, পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে সেটি পড়ে। সাতজন যাত্রীরই মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নেপালের পর্যটন মন্ত্রী রবীন্দ্র অধিকারী।

     ২০১৮ সালের ১২ই মার্চ নেপালে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামার সময় ভেঙে পড়ে বোম্বাদিয়ার কিউ ৪০০ বিমান। সমস্ত যাত্রীর মৃত্যু হয়।

    ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পোখরা থেকে জমসম যাচ্ছিল ছোট একটি বিমান। মাঝ আকাশে বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে ২৩ জনেরই মৃত্যু হয়। 

    ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে সীতা ইয়ার সংস্থার একটি বিমান। যাত্রী ছিল ১৯ জন, সবার মৃত্যু হয়।

    ২০১২ সালের জমসম যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় একটি বিমান। ২১ জন যাত্রী সওয়ার ছিলেন। ২১ জনের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

    ২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়ে বুদ্ধ এয়ারের একটি বিমান। সবারই মৃত্যু হয়েছিল।

    ২০১০ সালের ডিসেম্বরে তারা এয়ার সংস্থার আরও একটি বিমান ভেঙে পড়ে। মোট ২৫ জনের মৃত্যু হয়।

    ওই ২০১০ সালেই অগ্নি এয়ারের একটি বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়।

    ১৯৯২ সালে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস এর একটি বিমান কাঠমান্ডুতে ভেঙে পড়ে, ১৬৭ জন যাত্রীরই মৃত্যু হয়।

    নেপালের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে চিনের বাড়বাড়ন্ত

    এর উপরে রয়েছে চিন। সাম্প্রতিক অতীতে নেপালের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে সে দেশের নানা কাজে নানা ভাবে নাক গলাতে শুরু করেছে চিন সরকার। চিনা অর্থে তৈরি হচ্ছে সড়ক, বিমানবন্দর।

    পোখরার নবনির্মিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও চিনের ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণের টাকাতেই তৈরি। তৈরি করেছে চিনা ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা CAMC Engineering Co. Ltd। যা,  চিনের সীমান্তবর্তী এলাকায় সড়ক এবং বন্দর তৈরির প্রকল্প China’s Belt and Road Initiative (BRI)-এর অংশ। তার উপরে কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই গত ১ জানুয়ারি তড়িঘড়ি সেই বিমানবন্দর উদ্বোধন করা হয়েছিল। দুর্ঘটনার পরে সেই বিমানবন্দরও সকলের প্রশ্নের মুখে।

    অনেকেই আবার অভিযোগ করেছেন পোখরার নতুন বিমানবন্দরেই গলদ রয়েছে। নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই বিমানবন্দরটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। গত ১ জানুয়ারি বিমানবন্দরটি খুলে দেওয়া হয়। একটি চিনা সংস্থা বিমানবন্দরটি নির্মাণ করছে। প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড বিমানবন্দরটি উদ্বোধন করেছিলেন ১ জানুয়ারি। তার কয়েকদিনের মধ্যেই এই বিপত্তি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pakistan: পাকিস্তানে খাদ্যসংকট তুঙ্গে, কী লিখলেন সে দেশের অধ্যাপক, জানেন?

    Pakistan: পাকিস্তানে খাদ্যসংকট তুঙ্গে, কী লিখলেন সে দেশের অধ্যাপক, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীর বেগে ছুটে যাচ্ছে আটা-ময়দা ভর্তি ট্রাক। তার পিছু নিয়েছেন বাইক সওয়ারিরা। ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়চ্ছেন তাঁরা। ট্রাক কবজা করতে পারলেই চলছে লুঠতরাজ। গত কয়েক দিন ধরে এমনই ছবি দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানে (Pakistan)। এক বস্তা আটা-ময়দা পেতে নিত্যদিন এভাবেই জীবন বাজি রেখে দৌড়চ্ছেন পাকিস্তানবাসীর একাংশ (Food Crisis)।

    অধ্যাপক সাজ্জাদ রাজা…

    সম্প্রতি এরকমই একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন অধ্যাপক সাজ্জাদ রাজা। তিনি ন্যাশনাল ইক্যুয়ালিটি পার্টি জেকেজিবিএলের চেয়ারম্যান। ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, এটা কোনও মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা নয়, বরং আটা-ময়দা ভর্তি ট্রাকের পিছু ধাওয়া করছেন পাকিস্তানের বাসিন্দারা। এই আশায় তাঁরা ধাওয়া করছেন, অন্তত এক বস্তা আটা-ময়দা তাঁরা কিনতে পারবেন। এর পরেই একটি প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের এই অধ্যাপক। তিনি লিখেছেন, এর পরেও কি পাকিস্তানে আমাদের কোনও ভবিষ্যৎ রয়েছে? সাজ্জাদ আরও লিখেছেন, এই ভিডিওটি পাকিস্তানে কী ঘটছে, তার একটা ঝলক মাত্র।

    আরও পড়ুুন: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    বাজারে আটা-ময়দা অমিল। অথচ এই আটা-ময়দাই পাকিস্তানের (Pakistan) বাসিন্দাদের প্রধান খাদ্য। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের ওপর রয়েছে পেঁয়াজ সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। পেঁয়াজের দর বেড়েছে ৫০ শতাংশ। মুরগির মাংসের দাম আকাশ ছোঁয়া। আটা-ময়দার মতো দাম বেড়েছে চাল-ডালেরও। এ সবেরই দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। বাজারে সব কিছু নিয়মিত মিলছেও না। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য গায়ে ছ্যাঁকা দিচ্ছে। টান পড়ছে পাক নাগরিকদের পকেটেও।

    ২০২২ সালে ভয়ঙ্কর বন্যার জেরে খাদ্যসংকট প্রবল হয়েছে পাকিস্তানে। গত বছর পাকিস্তানে পেঁয়াজের দর ছিল ৩৬.৭০ টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারির পাঁচ তারিখে সেটাই বেড়ে হয়েছে ২২০.৪ টাকা। ডিজেলের দর বেড়ছে ৬১ শতাংশ। আর পেট্রোলের দর বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। সে দেশের বিভিন্ন বাজারে দশ কেজি গমের বস্তার দর হয়েছে ১৫০০ টাকা। বস্তা কুড়ি কেজি হলেই মূল্য চোকাতে হচ্ছে ২৮০০ টাকা। খাদ্য সংকটের জেরে বাজারগুলিতে কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন বাজারে পদদলিত হওয়ার খবর মিলেছে। খাইবার পাখতুনখোয়া, সিন্ধু এবং বালুচিস্তান প্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় পদদলিত হওয়ার খবর মিলেছে।

    চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেশটির (Pakistan) অর্থনীতির হাল যে হাঁড়ির হয়েছে, তা স্বীকার করেছেন সে দেশের অর্থনীতিবিদদের একাংশও। জানা গিয়েছে, দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার এক বছরে হয়েছে অর্ধেক। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা ছিল ২৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সেটাই হয়েছে ১১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Nepal Plane Crash: নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা! নিহত ৬৮ জন, আগামীকাল রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

    Nepal Plane Crash: নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা! নিহত ৬৮ জন, আগামীকাল রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। এবারে নেপালের পোখরায় ঘটে এই দুর্ঘটনা। আজ, রবিবার ৭২ জন যাত্রী নিয়ে নেপালের পোখরায় ভেঙে পড়ল ইয়েতি এয়ারলাইনসের ATR-72 বিমান। পোখরা বিমানবন্দরের রানওয়েতেই ভেঙে পড়ে এই বিমানটি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কাঠমাণ্ডু থেকে পোখরা যাচ্ছিল বিমানটি। বিমানে ছিলেন ৬৮ জন যাত্রী ও ৪ জন কেবিন ক্রু সদস্য। দুর্ঘটনার বেশ কিছু ছবি ইতিমধ্যই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অন্তত ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায় (Nepal Plane Crash )।

    নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা

    নেপালের সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, পোখরার পুরনো অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর এবং পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর উদ্ধারকারী দল পৌঁছে গিয়েছে দুর্ঘটনাস্থলে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নেপালের বাসিন্দারা ছিলেন, ১০ জন বিদেশি পর্যটকরাও ছিলেন বিমানে। পাহাড়ে ধাক্কা লেগেই বিমানটি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৬৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ২ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা হাত লাগিয়েছেন উদ্ধারকাজে। পাহাড়ের খাদে বিমানটি পড়ে গিয়ে আগুন ধরে গিয়েছে। ফলে উদ্ধারকাজে খুবই বেগ পেতে হচ্ছে। বিমানে ৫ জন ভারতীয় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।  

    ইতিমধ্যেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহল মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করেছে নেপাল সরকার। সোমবার ১ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে নেপাল সরকার।

    ইতিমধ্যেই সেই বিমান ভেঙে পড়ার পর আগুন ধরে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছে, বিমানটি যেখানে পড়ে আছে সেখানে আগুন জ্বলছে এবং আশেপাশে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বিমানটি নীচে ভেঙে পড়তেই আগুন ধরে যায় তাতে। ফলে বিমানের প্রত্যেকেরই মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। বহু মানুষ সেখানে ভিড় জমিয়েছেন। আপাতত পোখরা বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

     

  • Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ বাহিনীর! মৃত অন্তত ১৪

    Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ বাহিনীর! মৃত অন্তত ১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ইউক্রেনে ভয়াবহ মিসাইল হামলা। ইউক্রেন জুড়ে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় ডিনিপ্রো শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভেঙে গুড়িয়ে যায়। সেখানে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ধ্বংসস্তূপের নিচেও বহু মানুষ চাপা পড়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও কিভ, খারকিভ এবং ওডেসা শহরের ওপরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর একাধিক শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে। সূত্রের খবর, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

    রুশ বাহিনীর মিসাইল হামলা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, শনিবার রাতে ইউক্রেনের ডিনিপ্রো শহরের একটি বহুতলে মিসাইল হামলা হয়। মৃত্যু হয় ১৪ জনের। হামলার পরই প্রবল শীতের মধ্যেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য শুরু হয়। একইদিনে রাজধানী কিভ এবং অন্যান্য স্থানেও হামলা চালায় রাশিয়া। বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৬ টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

    ইউক্রেনের শীর্ষ জেনারেল জানিয়েছেন, রাশিয়া শনিবার প্রায় ২৮ টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৫টি গাইডেড এয়ার মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। এর পরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ২০ টির মত ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নীচে নামানো হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ আটকাতে একের পর এক হামলা চালায় রাশিয়া, এমনই অভিযোগ। তবে এই প্রথমবার নয়, ইউক্রেনের শক্তি সরবরাহকারী ইউনিটগুলিকে বারবার নিশানা করে আক্রমণ করেছে রাশিয়া। প্রথমে জানা গিয়েছিল, গতকালের হামলায় ডিনিপ্রো শহরে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আজ তা বেড়ে হয়েছে ১৪। আহত হয়েছেন অন্তত ৬৪। ধ্বংসস্তূপের নিচেও আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের উদ্ধারকার্য এখনও চলছে।

    অন্যদিকে পূর্ব ইউক্রেনের সোলেদার শহর দখল করেছে তারা, শুক্রবার এই দাবি করেছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার এই দাবি অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অবশ্য দাবি করেছেন, সোলেদারে এখনও জোর লড়াই চলছে এবং প্রতিরোধ করে যাচ্ছে তাঁর বাহিনী।

    সাহায্য চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

    গতকালের ফের নৃশংস হামলার পর পশ্চিমী দেশগুলির কাছে সাহায্য চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর আর্জিতে সাড়া দিয়ে চলতি সপ্তাহেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ১৪টি চ্যালেঞ্জ ২ যুদ্ধ ট্যাঙ্ক পাঠাচ্ছে ব্রিটেন। শনিবার এমনই ঘোষণা করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। রাশিয়ার মোকাবিলা করতে আরও অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ৩০টি সেলফ প্রপেলড এএস ৯০ বন্দুক পাঠানো হবে। সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছে আমেরিকাও। ফলে এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, নতুন বছরেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের পথে নেই, বরং নতুন করে মোড় নিচ্ছে এই যুদ্ধ।

     

  • Dhakeshwari temple: ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি মৌলবাদীদের দখলে! জানুন বিস্তারিত

    Dhakeshwari temple: ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি মৌলবাদীদের দখলে! জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের  রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ঢাকেশ্বরী মন্দিরের (Dhakeshwari temple) জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ উঠল সে দেশের মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। মন্দিরের জমি এইভাবে দখল করার বিরুদ্ধে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা সমাজ ইতিমধ্যে আন্দোলন শুরু করেছে। সংখ্যালঘু হিন্দু সমাজ জমি উদ্ধারের দাবিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনাতেও বসেছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের পূজো উৎসব পরিষদের সহ-সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন যে শুধুমাত্র ঢাকেশ্বরী মন্দির (Dhakeshwari temple) নয় সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বহু ধার্মিক পীঠস্থান এবং তীর্থস্থানের জমি কট্টরপন্থীরা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে, এগুলিকে যত দ্রত সম্ভব দখল মুক্ত করা সরকারের কর্তব্য।

    ঢাকেশ্বরী মন্দিরের (Dhakeshwari temple) ইতিহাস

    অতি প্রাচীন ঢাকেশ্বরী মন্দির (Dhakeshwari temple) ঢাকার প্রথম মন্দির বলেই জানা যায়। এই মন্দিরের নাম অনুসারেই শহরের নাম হয়েছে ঢাকা। অনেকেই ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে (Dhakeshwari temple) বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির মানেন। কথিত আছে বাংলার সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন ১২ শতাব্দীতে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অনেক ঐতিহাসিক অবশ্য এই মতকে স্বীকার করেন না কারণ এই মন্দিরের নির্মাণশৈলী তৎকালীন সময়ের সঙ্গে মেলে না। হিন্দু ধর্মাবলীদের বিশ্বাস রয়েছে ভগবান বিশ্বকর্মা স্বয়ং এই মন্দিরের নির্মাণ করেছিলেন। মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ঢাকেশ্বরীর প্রতিমা ৮০০ বছরের পুরনো মূর্তি বলে জানা যায়। দেশভাগের সময় কলকাতার কুমোরটুলি এলাকার দুর্গাচরণ স্ট্রিটের শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মাতা মন্দিরে এই মূর্তিকে এনে রাখা হয়। সম্ভাব্য হামলা থেকে প্রতিমাকে রক্ষা করতে ১৯৪৮ সালে রাজেন্দ্র কিশোর তিওয়ারি এবং হরিহর চক্রবর্তী বিশেষ বিমানে অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে কলকাতাতে এই মূর্তিটি এনেছিলেন বলে জানা যায়। 

    সেদেশের সংখালঘু সংগঠন কী বলছে

    বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান একতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন মণীন্দ্রকুমার নাথ। তিনি বলেন, “রাজা মানসিংহ এই মন্দিরের (Dhakeshwari temple) পাশে ১৯০৮ সালে ২০ বিঘা জমি দিয়েছিলেন। এখন মন্দিরের জমি ৭.৫ বিঘা থেকে কিছুটা বেশি রয়েছে। আন্দোলন করে, দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ১.৫ বিঘা জমি ফেরত পাওয়া গেছে কিন্তু এখনও ১২ বিঘা জমি অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর পাশাপাশি আরও অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। বর্তমান সরকারের বিরোধিতা করতে চাইনা আমরা কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিত যে জমি ফিরে পাওয়া আমাদের আইনি অধিকার”।

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সফরে এসে এই মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে (Dhakeshwari temple) বাংলাদেশের জাতীয় অস্মিতার  প্রতীক মানেন  অনেকেই। গত দুর্গাপূজোর সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফরে থাকার জন্য অনলাইনে পুজোর আয়োজকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখেছিলেন।

  • Generic Medicine: বাড়ছে করোনা, ভারতের জেনেরিক ড্রাগের চাহিদা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী চিনে   

    Generic Medicine: বাড়ছে করোনা, ভারতের জেনেরিক ড্রাগের চাহিদা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী চিনে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলটপুরাণ! যে ভারতের (India) বিভিন্ন অঞ্চলে দখলদারি করতে মুখিয়ে রয়েছে চিন (China), করোনা পরিস্থিতিতে সেই ভারতের ওষুধের দিকেই হা-পিত্যেশ করে রয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। হ্যাঁ, ভারতের জেনেরিক ড্রাগের (Generic Medicine) চাহিদা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী চিনে। চাহিদা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সে দেশে বিক্রি হচ্ছে ব্যাপক জাল ওষুধ। চিনের বিশেষজ্ঞরা অবশ্য সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন ক্রেতাদের।

    করোনার ঢেউ…

    সম্প্রতি চিনে ফের আছড়ে পড়েছে করোনার ঢেউ। এক সময় চিনেই প্রথম মিলেছিল মারণ এই ভাইরাসের দেখা। সেখানে থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল তামাম বিশ্বে। পরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে এলেও, ব্যতিক্রম কেবল চিন। অথচ করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে নানা পন্থা অবলম্বন করেছে বেজিং। নেওয়া হয়েছিল জিরো টলারেন্স নীতিও। তার পরেও রোখা যায়নি করোনার বাড়বাড়ন্ত। জানা গিয়েছে, চিনে ফি দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমিতের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। এমতাবস্থায় চিনের ভরসা ভারতের জেনেরিক ড্রাগ। রবিবার চিনের ন্যাশনাল হেল্থ সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, ফাইজারের তৈরি প্যাক্সলোভিডকে রেজিস্টার অফ ড্রাগের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। কারণ কোম্পানির কোটেশন চড়া। যেহেতু প্যাক্সলোভিডের সরবরাহ কম, তাই চিনের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় ওষুধের জেনেরিক ভার্সানের (Generic Medicine) দাম গিয়েছে চড়ে।

    আরও পড়ুুন: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    সে দেশের একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে…অন্তত ভারতে উৎপন্ন চারটি জেনেরিক কোভিড ওষুধ-প্রাইমোভির, প্যাক্সিসটা, মলনুনাট এবং মলনাট্রিস বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। প্রাইমোভির এবং প্যাক্সিসটা দুটোই প্যাক্সলোভিডের জেনেরিক ভার্সান। বাকি দুটি মলনিপিরেভির জেনেরিক ভার্সান। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই চারটি ওষুধ জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগ করার কথা বলেছেন। তবে চিনে এটির প্রয়োগ বৈধ নয়। বেজিং মেমরিয়াল ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান হি জিয়াওবিং সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ভারতই একমাত্র দেশ যেখানকার সোর্স বিশ্বস্ত, যার কোভিড ওষুধে গ্যারান্টিযুক্ত ফল হচ্ছে। তিনি বলেন, কিছু অবৈধ গোষ্ঠী এই ওষুধগুলির বিপুল চাহিদাকেই কাজে লাগাচ্ছে। তারা জাল ওষুধ তৈরি করছে। এতে রোগীর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এদিক, ভারত চিনকে এই বলে আশ্বস্ত করেছে যে তারা ইচ্ছে করলে সে দেশের নাগরিকদের জন্য ওষুধের দাম কমাতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pakistan Economic Crisis: চরম অর্থনৈতিক সংকটে পাকিস্তান, লাগামছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম

    Pakistan Economic Crisis: চরম অর্থনৈতিক সংকটে পাকিস্তান, লাগামছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার মতো পাকিস্তানও অর্থনৈতিক সংকটের (Pakistan Economic Crisis) সম্মুখীন। নিত্য বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। মুদ্রাস্ফীতিও চরমে পৌঁছেছে। ফলে সে দেশের সাধারণ মানুষের দুবেলার দুমুঠো ভাত জোগাড় করাটাই এখন সবচেয়ে বড় লড়াই। অবস্থা এমন যে, দুবেলা পেট ভরে ভাত বা রুটি খেতে পারছে না সাধারণ নিম্নমধ্যবিত্তরাও। কারণ চাল, গম, আটার দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে। অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রান্তিক মানুষরা। চাল, আটা ছাড়াও দাম বেড়েছে চিকেন, পেঁয়াজ, দুধ, ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের। দুবেলার খাবারের জন্যে হাহাকার করছেন পাকজনতা।

    আকাশ ছুঁয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম 

    পাকিস্তানে প্রতি কেজি চিকেনের দাম বেড়ে হয়েছে ৩৮০ পাক মুদ্রা (Pakistan Economic Crisis)। একবছরে পিঁয়াজের দাম ৩৭ পাক মুদ্রা বেড়ে এখন তা প্রায় ২০০ পাক মুদ্রা। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৫০০ শতাংশ। প্রতি কেজি ডালের দাম ২৫০ পাক মুদ্রা। এক ডজন কলার দাম ১২০ পাক মুদ্রা। অন্যদিকে, অসুস্থ রোগী ও শিশুর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দুধের দাম রয়েছে ১৫০ পাক মুদ্রা/ লিটার। বড় সমস্যার মুখে পাকিস্তানবাসী। 

    ২০০ টাকার চিকেনের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৮০ টাকা। প্রায় দ্বিগুণ (Pakistan Economic Crisis)। পাশাপাশি নুনের দামও দেড়গুণ বেড়েছে। এছাড়া দুধের দাম গত বছরের শুরুতে ছিল ১১৫ পাকিস্তানি রুপি, এখন তা  প্রতি লিটার ১৫০ পাক মুদ্রা।

    গত কয়েক ধরেই পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি লাফিয়ে বাড়ছে। গত একবছরে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি (Pakistan Economic Crisis) ১১.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩২.৭ শতাংশ হয়েছে। এই মুদ্রাস্ফীতির জন্য দায়ী করা হচ্ছে খাবারের অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধিকেই।

    পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার (Pakistan Economic Crisis) দ্রুত খালি হচ্ছে। গত এক বছরেই পাকিস্তানের সংগ্রহে যা বৈদেশিক মুদ্রা ছিল, এখন তার পরিমাণ প্রায় অর্ধেক। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারের পরিমাণ ছিল ২৩.৯ বিলিয়ন ডলার, ২০২২- এর ডিসেম্বরে তা দাঁড়িয়েছে ১১.২ বিলিয়ন ডলারে। বৈদেশিক মুদ্রা কম হওয়ার ফলে প্রয়োজনের সময় ঋণ পাওয়া কষ্টসাধ্য হতে পারে পাকিস্তানের জন্য।

    আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেও উত্তর ভারতে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস, তাপমাত্রা নামতে পারে -৪ ডিগ্রিতে

    আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এমনিতেই বন্ধু হারিয়েছে এই দেশ। আন্তর্জাতিক তহবিলের (Pakistan Economic Crisis) তথ্য অনুযায়ী, ঋণের বোঝা বাড়ছে পাকিস্তানের উপর। ২০১১ সালে পাকিস্তানের ঋণ ছিল ৫২.৮ শতাংশ, ২০১৬ সালে সেই ঋণের পরিমাণ হয় ৬০.৮ শতাংশ। অনুমান করা হচ্ছে, এই বছর সেই ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭৭.৮ শতাংশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

      
        
       
     
      

     

  • Dawood Ibrahim: যে হাতে গর্জে উঠত বন্দুক, সেই হাতেই লাঠি দাউদের, ডনের দশা করুণ!

    Dawood Ibrahim: যে হাতে গর্জে উঠত বন্দুক, সেই হাতেই লাঠি দাউদের, ডনের দশা করুণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গতির সীমা নেই গ্যাস্টার দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim)! এক সময় যে হাতে গর্জে উঠত একে সাতচল্লিশ, এখন সেই হাতেই উঠেছে লাঠি। না, লাঠি চালানো শিখছেন না তিনি। আসলে লাঠির সাহায্য ছাড়া চলতেই পারছেন না গ্যাংস্টার। তার কারণ, পায়ে গ্যাংগ্রিন হওয়ায় বাদ দিতে হয়েছে পায়ের দুটি আঙুল। তার জেরে আপাতত লাঠিই ভরসা এই ডনের।

    মুম্বইয়ে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ…

    এক সময় মুম্বইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডের ওপর একছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন দাউদ। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনাও তাঁর। ওই বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। পরে গ্যাংগ্রিনে আক্রান্ত হন তিনি। কড়া প্রহরায় করাচির একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়া হয় তাঁর পায়ের দুটি আঙুল। বছর দুই আগে দাউদের প্রাক্তন সহযোগী এজাজ লাকদাওয়ালাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনিই পুলিশকে জানিয়েছিলেন, গ্যাংগ্রিন হয়েছে দাউদের পায়ে। যদিও দাউদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছোটা শাকিল ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই দাবি। ছোটা শাকিলের দাবি অবশ্য পরে মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের তত্ত্বাবধানে করাচির একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় দাউদের (Dawood Ibrahim)। তখনই গ্যাংগ্রিন আটকাতে বাদ দেওয়া হয় পায়ের আঙুল। তার পরেই দাউদ কার্যত হয়ে পড়েন অথর্ব। যদিও মানসিকভাবে তিনি এখনও সক্রিয় রয়েছেন বলেই সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: দলের লোক ভুল করলেও সেটা ভুল! আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব দেব

    ডন যে বিষম বেকায়দায়, তা জানা গিয়েছে আরও একটি খবরে। ফি বার ঘটা করে ডনের জন্মদিন পালন করা হলেও, এবার তা হয়েছে নিতান্তই নিয়মরক্ষার। ২৬ ডিসেম্বর ডনের জন্মদিন। এক সময় তাঁর জন্মদিনে উপস্থিত থাকতেন পাকিস্তানের পদস্থ কর্তারা। উপস্থিত থাকতেন বলিউডের অনেক তারকাও। করাচির পশ ক্লিফটন এলাকায় ডিফেন্স কলোনিতে তাঁর প্রাসাদোপম বাড়িতে হত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। অনুষ্ঠানে ডাক পাওয়ার আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন করাচি, লাহোর এবং পাকিস্তানের অন্যান্য শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অথচ এবার? জানা গিয়েছে, এবার তেমন অনুষ্ঠান হয়নি। পাকিস্তানে থাকা তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। চলচ্ছক্তিহীন হয়ে পড়ায় দাউদ (Dawood Ibrahim) তাঁর অনেক ক্ষমতা তুলে দিয়েছেন ভাই আনিস ইব্রাহিম ও ছোটা শাকিলের হাতে। শাকিল রয়েছেন অপারেশনাল বিষয়গুলির দায়িত্বে। আর আনিস দেখাশোনা করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা তাঁর বিশাল সাম্রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share