Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Indian Origin CEOs: ভিসা বিতর্কের মধ্যেই ২ ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে শীর্ষ পদে বসাল দু’টি বড় মার্কিন সংস্থা

    Indian Origin CEOs: ভিসা বিতর্কের মধ্যেই ২ ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে শীর্ষ পদে বসাল দু’টি বড় মার্কিন সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উল্টো পথে হেঁটে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিকে শীর্ষ (Indian Origin CEOs) পদে বসাল আমেরিকারই দু’টি বড় কোম্পানি। সোমবারই এ খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এই খবরটি এমন একটা সময়ে এল যখন ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন এইচ-১বি ভিসার (H1B Visa) নিয়মগুলি কঠোর করছে।

    ‘শ্রীনি’ গোপালন (Indian Origin CEOs)

    জানা গিয়েছে, মার্কিন টেলিকম জায়ান্ট টি-মোবাইলের প্রধান এক্সিকিউটিভ আধিকারিক হিসেবে ১ নভেম্বর থেকে দায়িত্ব নেবেন বছর পঞ্চান্নর শ্রীনিবাস ‘শ্রীনি’ গোপালন। আইআইএম আমেদাবাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থী গোপালন বর্তমানে টি-মোবাইলের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে কর্মরত। তিনি মাইক সিভার্টের স্থলাভিষিক্ত হবেন। এই সিভার্ট ২০২০ সাল থেকে কোম্পানির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তাঁকে বসানো হচ্ছে অধুনা সৃষ্ট ভাইস চেয়ারম্যান পদে। লিঙ্কডইনের এক পোস্টে গোপালন লেখেন, “টি-মোবাইলের পরবর্তী সিইও (প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক) হিসেবে দায়িত্ব নিতে পেরে আমি দারুনভাবে সম্মানিত। এই কোম্পানি যা অর্জন করেছে, তা আমায় দীর্ঘদিন ধরে মুগ্ধ করেছে—গ্রাহকদের এমনভাবে সেবা দেওয়ার জন্য তারা নির্ভীকভাবে বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছে, যা আগে কেউ ভাবতেও পারেনি।”

    গোপালনের কেরিয়ার

    গোপালনের কেরিয়ার মহাদেশ এবং ইন্ডাস্ট্রিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। হিন্দুস্তান ইউনিলিভারে ম্যানেজমেন্ট ট্রেনি হিসেবে শুরু করে তিনি ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন, ক্যাপিটাল ওয়ান এবং ডয়চে টেলিকমে সিনিয়র হিসেবে কাজ করেছেন (H1B Visa)। সেখানে তিনি প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ করেছেন। লাখ  লাখ বাড়িতে ফাইবার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করেছেন। জার্মানিতে রেকর্ড পরিমাণ মোবাইল বাজারের শেয়ারও ধরে ফেলেছিলেন তিনি (Indian Origin CEOs)। টি-মোবাইলে তিনি প্রযুক্তি, ভোক্তা এবং ব্যবসা বিভাগগুলির তত্ত্বাবধান করেছেন। ৫জি, এআই এবং ডিজিটাল রূপান্তরের উদ্যোগেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন গোপালন। গোপালনকে অত্যন্ত দক্ষ, আবেগপ্রবণ এবং অবিশ্বাস্যভাবে জ্ঞানসম্পন্ন বলে অভিহিত করেছেন সিভার্ট। তিনি জানান, গোপালনের ওপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনি আমাদের কর্মী ও গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে এক নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।

    নতুন প্রেসিডেন্ট এবং সিইও

    এদিকে, শিকাগো-ভিত্তিক পানীয় জায়ান্ট মলসন কুরস তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট এবং সিইও হিসেবে নিয়োগ করেছে বছর ঊনপঞ্চাশের রাহুল গোয়েলকে। ১ অক্টোবর থেকে দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। গোয়েল বসছেন গ্যাভিন হ্যাটার্সলির জায়গায় (H1B Visa)। হ্যাটার্সলি এই বছরের শেষ পর্যন্ত উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ২৪ বছর ধরে (Indian Origin CEOs)।

    ভারতে জন্ম রাহুল গোয়েলের। মাইসুরুতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করেন। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার শহরে যান বিজনেস স্টাডি পড়তে। সেখানেই সেটেলড হয়ে যান। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ভারতে কুরস ও মলসন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেছেন। মলসন কুয়ার্স বোর্ডের চেয়ারম্যান ডেভিড কুয়ার্স বলেন, “একটি দীর্ঘ সিইও উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রক্রিয়ার পর স্পষ্ট হয়ে গেল যে, আমাদের পরবর্তী প্রবৃদ্ধির ধাপকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি রাহুলই নিয়ে এসেছেন।” গোয়েল জানান (H1B Visa), তিনি কোম্পানির ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সামনে আসা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত (Indian Origin CEOs)।

  • Rubio Jaishankar Meet: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক,” বললেন আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী

    Rubio Jaishankar Meet: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক,” বললেন আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক।” সোমবার নিউ ইয়র্কে দ্বিপাক্ষিক ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকের পর কথাগুলি বলেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও। অস্থির অংশীদারিত্বকে স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ওই বৈঠকে বসেছিলেন রুবিও এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Rubio Jaishankar Meet)। এই বৈঠকেরই দিন কয়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়া এইচ-১বি ভিসার (H 1B Visa Row) জন্য ১ লাখ মার্কিন ডলারের ফি (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮ লাখ টাকা) ঘোষণা করেছিলেন। তার পরেও রুবিও-র এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (Rubio Jaishankar Meet)

    রাষ্ট্রসংঘে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আয়োজিত এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ছিল ভারত ও আমেরিকার প্রথম মুখোমুখি আলোচনা। কারণ এই গ্রীষ্মের শুরুতে ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া হারে মার্কিন শুল্ক আরোপিত হওয়ায় বাণিজ্যিক উত্তেজনা তীব্র হয়েছিল। এদিনের বৈঠকে দুই নেতাই আন্তরিকভাবে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান। উভয় দেশই ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্যেও সম্পর্কের ধারাবাহিকতার বার্তা তুলে ধরতে আগ্রহী ছিল।

    ভারত মার্কিন সম্পর্ক

    এদিন বৈঠক শেষে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক রিপোর্ট থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে রুবিও বলেন, “ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক।” তিনি বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, ওষুধশিল্প এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে নয়াদিল্লির অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন। প্রতিশ্রুতি দেন, “কোয়াডের মাধ্যমেও একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তুলতে আমরা এক সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।” ফের একবার ধৈর্যের প্রয়োজনীয়তার কথার উল্লেখ করে বৈঠক শেষে এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লেখেন, “আমাদের আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় (Rubio Jaishankar Meet) অন্তর্ভুক্ত ছিল। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্রগুলিতে অগ্রগতি আনতে ধারাবাহিক সম্পৃক্ততার গুরুত্ব নিয়ে আমরা একমত হয়েছি। আমরা যোগাযোগ বজায় রাখব।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের ভিসা ঘোষণা

    শুক্রবার ভিসা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তার জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল তামাম বিশ্বে, বিশেষত ভারতে। কারণ এইচ-১বি ভিসার সব চেয়ে বড় ব্যবহারকারী দেশ ভারত। গত বছর যেখানে মোট অনুমোদনের ৭১ শতাংশ ভারত পেয়েছিল, সেখানে চিন পেয়েছিল ১২ শতাংশেরও নীচে। বিশ্লেষকদের মতে, নয়া  এই ফি ভারতীয় আইটি পরিষেবা (H 1B Visa Row) দানকারীদের ব্যয় অত্যধিক বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ তারা এর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল (Rubio Jaishankar Meet)।

    শুল্ক বিবাদ

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই আঘাতটি দীর্ঘদিন ধরে চলা বাণিজ্য বিরোধের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে। গত জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর ঠিক এক সপ্তাহ পরে আবারও অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের হার দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ। কারণ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনও নয়াদিল্লি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে। শুধু তাই নয়, সেই তেল বিক্রিও করছে ভারত। স্রেফ এই কারণ দর্শিয়েই চুপ করে যাননি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতকে তিনি এই মর্মে হুঁশিয়ারিও দেন  যে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না করলে মাশুল গুণতে হবে নয়াদিল্লিকে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই শুল্ক আরোপের ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তার ওপর প্রভাব পড়ে। যদিও সেপ্টেম্বর মাসে উভয় পক্ষই ফের আলোচনায় বসেছিল। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে একে ইতিবাচক আলোচনা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তারা এও জানিয়েছে, এটি একটি চুক্তির লক্ষ্যে প্রচেষ্টা জোরদার করার অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করে (H 1B Visa Row)।

    কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত

    নানান বাধাবিঘ্ন সত্ত্বেও ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রেখেছে। জুলাই মাসে রুবিও এবং জয়শঙ্কর জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোয়াডের সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে শেষবারের মতো সাক্ষাৎ করেছিলেন। এঁরা প্রত্যেকেই চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। সোমবারের এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, যা শুল্কবিরোধ বাড়ার পর প্রথম, তার উদ্দেশ্যই ছিল এই বার্তা দেওয়া যে দুই দেশের সহযোগিতা এখনও অটুট রয়েছে (Rubio Jaishankar Meet)।

    প্রসঙ্গত, শুল্কবিতর্কে থমকে যাওয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে ফের আলোচনা শুরু করেছে ভারত ও আমেরিকা দুই দেশই। দিন কয়েক আগেই বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে নয়াদিল্লি এসেছিল আমেরিকার বাণিজ্য সংক্রান্ত প্রতিনিধি দল। সোমবার ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল আমেরিকার গিয়েছেন (H 1B Visa Row)। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয়, সেই পথ আরও মসৃণ করতেই ফের ওয়াশিংটনে আলোচনায় বসছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা (Rubio Jaishankar Meet)।

  • India-Mauritius Relations: সংস্কৃতি থেকে আধ্যত্মিক পরিসর, ভারত-মরিশাস সম্পর্ক আরও মজবুত মোদির নেতৃত্বে

    India-Mauritius Relations: সংস্কৃতি থেকে আধ্যত্মিক পরিসর, ভারত-মরিশাস সম্পর্ক আরও মজবুত মোদির নেতৃত্বে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মরিশাস সম্পর্ক (India-Mauritius Relations) বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সামুদ্রিক নিরাপত্তা থেকে সাংস্কৃতিক যোগসূত্র, সবটা মিলিয়ে ক্রম বর্ধমান যুগের প্রযুক্তি ও অর্থনীতির নানা দিকে বিরাট মাত্রা পেয়েছে সম্প্রতি। গত ৯ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর এক সপ্তাহ ব্যাপী মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী ড. নবীনচন্দ্র রামগুলামের ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন মাত্রা পেয়ছে। তবে এই প্রধানমন্ত্রীর এটি ছিল ভারতে প্রথম সফর। তিনি নতুন দিল্লি ছাড়াও বারাণসী, অযোধ্যা, মুম্বই এবং তিরুপতি পরিদর্শন করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi) দুইদেশের সম্পর্ক বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তাঁর এই সফর একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক ভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত

    চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মরিশাস ভ্রমণ করেছিলেন। ঠিক তার পরেই মরিশাসের (India-Mauritius Relations) প্রধানমন্ত্রী ড. নবীনচন্দ্র রামগুলামের ভারত সফর নয়া মাত্রা যোগ করেছে। মোদি নিজের সফরের সময় ভারত-মরিশাসের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে একটি উন্নত কৌশলগত এবং আঞ্চলিক সম্পর্কের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে এই সম্পর্কের মাত্রা আরও মজবুত করা হয়েছে। তাই দুই দেশের সম্পর্কে এখন কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হচ্ছে।

    জনসংখ্যার মোট ৫০ শতাংশ হিন্দু

    মরিশাস (India-Mauritius Relations) ভারত মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। পূর্ব আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের থেকে প্রায় ২০০০ কিমি দূরে অবস্থিত। ভারত থেকে প্রায় ৫০০০ কিমি দূরে মরিশাস। দেশের আয়তন মোটামুটি ভাবে ২০৪০ বর্গ কিমি। মূল দ্বীপের সঙ্গে আরও দুটি বড় বড় দ্বীপ রয়েছে। এই দেশের ২০ লক্ষ বর্গ কিমি জুড়ে বিরাট একটি আর্থিক পরিমণ্ডলের পরিসর গড়ে উঠেছে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ। এই দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। জনসংখ্যার মোট ৫০ শতাংশ হিন্দু। তবে জনসংখ্যা কম হলেও আর্থিক পরিসরে আফ্রিকার মধ্যে এগিয়ে থাকা দেশগুলির মধ্যে মরিশাস অন্যতম। ভারত চায় এখানেই সম্পর্ক আরও সুসঙ্গত হোক।

    ভিশন সাগর প্রকল্পের

    মরিশাসের অবস্থান ভারত মহাসাগরের ঠিক পশ্চিমে। ভারতের সঙ্গে সামুদ্রিক যোগাযোগে এই দেশের সমুদ্রপথ ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এই পরিসরের কথা ভেবেই ২০১৫ সালে ‘ভিশন সাগর’ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। সামুদ্রিক সহযোগিতার মধ্যে মানবিক ত্রাণ এবং দুর্যোগ মোকাবিলার নানা বিষয়ে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছিল। ভারত কোভিডের সময় এই জলপথেই নানা দেশে প্রয়োজনীয় টিকা, ঔষধ, এবং তরল অক্সিজেন পাঠিয়েছিল। ‘ভিশন সাগরে’-এর মূল উদ্দেশ্য হল ভারতের সামুদ্রিক পরিসরে শক্তিকে আরও জোরদার করা।

    বিনিয়োগের বাজার মোটামুটি ৭৫ বিলিয়ন

    মরিশাস (India-Mauritius Relations) নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের (PM Modi) একটা বিশেষ উদার দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে। কারণ আফ্রিকার পূর্ব দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের জন্য এই দেশটি একটি প্রধান প্রবেশদ্বার। সেখানে ভারতীয় বেসরকারি শিল্পের সক্রিয়তা ক্রমেই ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিনিয়োগকারী সংস্থার মধ্যে রয়েছে তেল, গ্যাস, খনি, বৈদ্যুতিক শক্তি, ওষুধ, টেলি যোগাযোগ। বেসরকারি বিনিয়োগের বাজার মোটামুটি ৭৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। টাটা, মহিন্দ্রা, ভারতীয় টেলিকমের বিরাট বাজার তৈরি হয়েছে আফ্রিকার দেশগুলিতে। দুটি হিন্দু প্রধান দেশের মধ্যে আভ্যন্তরীণ বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ভীষণ দরকার। তাই এই প্রেক্ষিতে আধ্যাত্মিক পরিসরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের মাত্রা আরও দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন।

    নিরাপত্তায় বেশি সক্রিয় ভারত

    গত কয়েক দশকে চিনের বিনিয়োগও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলিতে ব্যাপক ভাবে ঘটেছে। তাই সেই দিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত সরকারকেও নিজের পরিসরের কথা ভাবতে হচ্ছে। চিন মরিশাসের একাধিক বন্দরে নিজেদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। আফ্রিকায় বৃহত্তর বিনিয়োগকারী এবং আইওআর দিয়ে পণ্য যাতায়তের কৌশল করছে। তাদের কাছে সামুদ্রিক স্বার্থে এক চেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখতে চায় চিন। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার এই বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ। আর তাই চিনের তুলনায় ভারত মরিশাসের অভ্যন্তরে জলদস্যু, মাদক পাচার, অবৈধ কারবার বন্ধ এবং নিরাপত্তায় বেশি সক্রিয়। ভারতের এই অবস্থানও ভারত-মরিশাসের কৌশলকে আরও উন্নত এবং সুসংবদ্ধ করবে।

    আফ্রিকায় নতুন মাত্রা ভারতের 

    ধর্মীয় যোগসূত্রে মরিসাশ (India-Mauritius Relations) ভারতের জন্য একটি পর্যটন কেন্দ্র। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চায় উভয় দেশ। মরিশাসের আলগেলা দ্বীপের পরিকাঠামো উন্নয়নে চিনের থেকে আরও বেশি বেশি করে বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে ভারত। আফ্রিকার অন্য দেশের তুলনায় এই দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা অনেক বেশি অনুকূল, তাই এখানে ভারতীয় প্রবাসীদের সহযোগিতায় বিনিয়োগকারীদের পরিসরও বেশ সুরক্ষিত। জিও পলেটিকসে পশ্চিম আফ্রিকায় ভারত যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাও রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

  • H 1B Visa: এইচ-১বি ভিসার দাম এক ধাক্কায় এক লাখি, আত্মঘাতী গোল করল আমেরিকা!

    H 1B Visa: এইচ-১বি ভিসার দাম এক ধাক্কায় এক লাখি, আত্মঘাতী গোল করল আমেরিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার এইচ-১বি ভিসার (H 1B Visa) দাম এক ধাক্কায় ১ লাখ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮ লাখ টাকা) ধার্য করেছেন ৪৭তম মার্কিন (US) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সাজুয্য রেখে মার্কিন নাগরিকদের পেটের ভাত জোগাড় করতেই এই কড়া পদক্ষেপ করা হল। ভারতীয় শিল্পপতি, রাজনৈতিক মহল এবং প্রবাসী ভারতীয় সমাজের প্রতিনিধিরা সবাই এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। তাঁদের সতর্কবার্তা, এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে, যদিও ভারতের জন্য এটি লাভজনক হতে পারে। এদিন ট্রাম্প একটি ঘোষণাপত্রে সই করেছেন যেখানে এইচ-১বি ভিসার ওপর ১ লাখ মার্কিন ডলার বাধ্যতামূলক ফি আরোপ করা হয়েছে। এটি কার্যকর হবে আজ, রবিবার থেকে।

    এইচ-১বি ফাইলিং ফি (H 1B Visa)

    বর্তমানে এইচ-১বি ফাইলিং ফি নিয়োগকর্তার ক্ষমতা অনুযায়ী ২,০০০ থেকে ৫,০০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে হয়ে থাকে। তিন বছরের জন্য বৈধ এবং নবায়নযোগ্য এই ভিসাগুলি আমেরিকান কোম্পানিগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে উচ্চ দক্ষ বিদেশি পেশাজীবীদের আনতে। এঁদের একটা বড় অংশই আসেন ভারত থেকে। ট্রাম্প তাঁর এই সিদ্ধান্তকে আমেরিকান চাকরি রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে সাফাই গেয়েছেন। তাঁর যুক্তি, আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলি এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে মার্কিন শ্রমিকদের সস্তা বিদেশি কর্মী দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে। তিনি একে অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় হিসেবেও বর্ণনা করেন।

    আমেরিকার সর্বনাশ, ভারতের পৌষমাস

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে আদতে আমেরিকার (US) সর্বনাশ হলেও, ভারতের পৌষমাস। প্রাক্তন নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন (H 1B Visa), “ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১,০০,০০০ ডলারের এইচ-১বি ফি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবনকে দমিয়ে দেবে এবং ভারতের উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করবে। বৈশ্বিক প্রতিভার জন্য দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমেরিকা পরবর্তী প্রজন্মের ল্যাব, পেটেন্ট, উদ্ভাবন ও স্টার্টআপগুলোকে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে এবং গুরগাঁওয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।” তাঁর মতে, ভারত এখন এমন একটি সুযোগ পেয়েছে যেখানে তারা চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট এবং বিজ্ঞানীদের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারে। ভারত এই সুযোগ না নিলে তাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

    ইনফোসিসের প্রাক্তন আধিকারিকের বক্তব্য

    ইনফোসিসের প্রাক্তন আধিকারিক ও বিনিয়োগকারী মোহনদাস পাই জানান, খরচ বৃদ্ধি নতুন আবেদনকারীদের নিরুৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, “এর ব্যবহার সীমিত। কারণ এটি ইতিমধ্যেই বিদ্যমান সব এইচ ১বি ভিসার (H 1B Visa) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই এর প্রভাব কেবল ভবিষ্যতের আবেদনকারীদের ওপর পড়বে। নতুন আবেদন কমে যাবে। কেউ এক লাখ মার্কিন ডলার দেবে না, এটাই সত্য।” তিনি বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলি ক্রমবর্ধমান হারে কাজকে বিদেশে সরিয়ে দেবে, যা ভারতের গ্লোবাল ক্যাপেবিলিটি সেন্টারগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে। পাই বলেন, “এখন যা ঘটবে তা হল সবাই অফশোরিং বাড়াতে কাজ করবে। কারণ এর আর কোন মানে হয় না। প্রথমত, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল পাওয়া যাচ্ছে না, দ্বিতীয়ত, খরচ অত্যধিক। আগামী ছ’মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এটাই ঘটবে (US)।”

    কুনাল বাহলের বক্তব্য

    উদ্যোক্তা ও স্ন্যাপডিলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কুনাল বাহলেরও মতে, নয়া ভিসা নীতি অনেক দক্ষ পেশাজীবীকে ভারতে ফিরতে বাধ্য করবে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “নতুন এইচ ১বি নিয়মের কারণে বিপুল সংখ্যক প্রতিভাবান ব্যক্তি ভারতে ফিরে আসবেন।” তিনি আরও লেখেন, “নিশ্চয়ই শুরুতে ভিত্তি পরিবর্তন করা কঠিন হবে। কিন্তু ভারতের বিপুল সুযোগ-সুবিধার কারণে তা তাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে (US)। ভারতে প্রতিভার ঘনত্ব দ্রুত বাড়ছে (H 1B Visa)।” অন্য একটি পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি লেখেন, “২০০৭ সালে মাইক্রোসফটের ডেস্কে বসে আমি একটি ই-মেইল পেলাম যে আমার এইচ ১বি ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সেই মুহূর্তে তা ভীষণ ধাক্কা ও অসাড় করে দেওয়া অভিজ্ঞতা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবন-পরিবর্তনকারী হয়ে উঠল যখন আমি ভারতে ফিরে এলাম। আজ যাঁদের ওপর এর প্রভাব পড়েছে, তাঁরা ইতিবাচক থাকুন। আপনাদের জন্য আরও বড় এবং ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।”

    ভারতের পক্ষে ইতিবাচক

    বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব ভারতের পক্ষে ইতিবাচক হতে পারে। ভিসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিদেশে যাতায়াত নিরুৎসাহিত হবে পেশাজীবীদের। ফলে কোম্পানিগুলি ভারতে নিজেদের কার্যকলাপ বাড়াতে পারে। এর ফলে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে এবং গুরগাঁওয়ের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হতে পারে। ভারতের প্রযুক্তি খাতের জন্য এটি (US) হয়ে উঠতে পারে সেই প্রয়োজনীয় ধাক্কা, যা তাকে একটি বৈশ্বিক উদ্ভাবনী কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরের গতি বাড়িয়ে দেবে (H 1B Visa)।

  • Israel: হামাস নির্মূলে অভিযানের পরিসর বাড়াল ইজরায়েল, খতম কমান্ডার মাহমুদ ইউসূফ আবু আল-খায়ের

    Israel: হামাস নির্মূলে অভিযানের পরিসর বাড়াল ইজরায়েল, খতম কমান্ডার মাহমুদ ইউসূফ আবু আল-খায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও প্রবল সংঘর্ষ চলছে প্যালেস্তাইনের গাজা শহরে। হামাস নির্মূল করতে অভিযানের পরিসর আরও বাড়াল ইজরায়েল (Israel) ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। লক্ষ্যভিত্তিক বিমান হামলার পাশাপাশি ইজরায়েলি ট্যাঙ্কগুলি সশস্ত্র ঘাঁটি ধ্বংস করতে ভারী গোলাবর্ষণ করছে। এখনও গাজা শহরে প্রায় ৬ লাখ মানুষ রয়েছেন। নিরাপদ স্থানে সরে গিয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ।

    সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য (Israel)

    এদিকে, ইজরায়েল তাদের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বড় ধরনের সাফল্য পেল। তারা জানিয়ে দিয়েছে, একটি সুনির্দিষ্ট বিমান হামলায় হত্যা করা হয়েছে হামাস নেতা (Hamas Commander) মাহমুদ ইউসূফ আবু আল-খায়েরকে। এই আবু আল-খায়েরকে হামাসের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের উপ-প্রধান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তিনি ইজরায়েলি নাগরিক ও সৈন্যদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর মৃত্যু হামাসের সামরিক নেতৃত্ব কাঠামোর পক্ষে এক বিরাট ক্ষতি বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আইডিএফের সাফ কথা

    আইডিএফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের প্রধান লক্ষ্য হল হামাসের সামরিক সক্ষমতা ভেঙে দেওয়া, একই সঙ্গে অসামরিক মানুষের ক্ষতি যতটা সম্ভব কমানো। এই উদ্দেশ্যেই ইজরায়েল গাজা শহরের বাসিন্দাদের দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তাঁদের আল-রাশিদ রোড ব্যবহার করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এটিই একমাত্র নিরাপদ পথ হিসেবে সাধারণ মানুষের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার জন্য খোলা একটি অস্থায়ী মানবিক করিডর দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে সফলভাবে সরিয়ে নেওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেটি (Israel)।

    অন্যদিকে, ওয়াশিংটনে ইজরায়েলের প্রতি সমর্থন রয়েই গিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র প্যাকেজের জন্য কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন চেয়েছেন। প্রস্তাবিত চুক্তির মধ্যে রয়েছে ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৩০টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার, ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আধুনিক যানবাহন এবং ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য অতিরিক্ত ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য। ট্রাম্প প্রশাসনের এই প্যাকেজ সাহায্য প্রমাণ করে যে, ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে থাকা অবস্থায়ও ইজরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি ওয়াশিংটনের অঙ্গীকার অটল (Hamas Commander)। ইজরায়েলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যাঁরা সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যেতে ইচ্ছুক, তাঁদের জন্য নিরাপদ পথ এখনও খোলা রয়েছে (Israel)।

  • JEM Hizbul Mujahideen: ভারত ফের যদি সামরিক অভিযান চালায়! ভয়ে ডেরা সরাচ্ছে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি

    JEM Hizbul Mujahideen: ভারত ফের যদি সামরিক অভিযান চালায়! ভয়ে ডেরা সরাচ্ছে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর হাঁটু কেঁপে গিয়েছে জঙ্গিদের। দিন কয়েক আগে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি যে নিছক মিথ্যে নয়, তার প্রমাণ মিলল শুক্রবার, প্রতিরক্ষা ও সামরিক সূত্রে। জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুরে ভারতের সিংহ-বিক্রমে আক্ষরিক অর্থেই ভয় পেয়ে গিয়েছে পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন। সূত্রের খবর, সেই ভয়েই জইশ-ই-মহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিন (JEM Hizbul Mujahideen) তাদের ঘাঁটি পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছে পাকিস্তানেরই (POK) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। তাদের মতে, এই সিদ্ধান্ত এই জঙ্গি সংগঠনগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অভিযোজন। তারা এখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের হামলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ আফগান সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়ায় তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।

    অপারেশন সিঁদুর (JEM Hizbul Mujahideen)

    অপারেশন সিঁদুরে ভারত বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, মুজাফফরাবাদ-সহ একাধিক জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে ৭ মে ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। তার জেরে শুরু হয় ভারত-পাক সংঘর্ষ। চার দিন পরে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় বিধ্বস্ত পাকিস্তান। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় ভারত। সূত্রের খবর, এ পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের পূর্ণ মদত এবং প্রত্যক্ষ সাহায্যে এই জঙ্গি সংগঠনগুলি ডেরা বদলাচ্ছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি সুরক্ষায় জেইএমের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক-ধর্মীয় সংগঠন জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের সহযোগিতাও লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    প্রকাশ্যে জঙ্গি নিয়োগ

    প্রসঙ্গত, এই সব তথ্য ভারতের একাধিক নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথভাবে প্রস্তুত করা একটি ডসিয়ারের অংশ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মানসেহরা জেলার গড়ি হাবিবুল্লাহ শহরে (JEM Hizbul Mujahideen)। এখানে জেইএম গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হওয়ার প্রায় সাত ঘণ্টা আগে প্রকাশ্যে জঙ্গি নিয়োগ কর্মসূচি চালায়। সূত্রের খবর, এই অনুষ্ঠানটি ছিল জেইএম এবং জেইউআইয়ের যৌথভাবে পরিচালিত একটি গণ-সমাবেশ। এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মৌলানা মুফতি (POK) মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মিরি ওরফে আবু মহম্মদ। তিনি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ এবং কাশ্মীর অঞ্চলে জেইএমের শীর্ষ নেতা।

    ইলিয়াস কাশ্মিরি মোস্ট ওয়ান্টেড

    ইলিয়াস কাশ্মিরি ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড টার্গেট। তিনি জেইএমের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। সূত্রের খবর, এম৪ রাইফেল হাতে জেইএম সশস্ত্র ক্যাডার ও স্থানীয় পুলিশ প্রহরায় জনসভায় তাঁর উপস্থিতি পাকিস্তানের জেইএমের প্রতি প্রত্যক্ষ মদতই প্রমাণ করে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে জইশ কমান্ডার ইলিয়াসকে বলে শোনা যায়, “সেনা সদর দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অপারেশন সিঁদুরে নিহত জঙ্গিদের শেষকৃত্যে যাতে পদস্থ পাক কমান্ডাররা উপস্থিত থাকেন। তিনি এও বলেন, শহিদদের সম্মান জানাতে জওয়ানদের সেনার পোশাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। এমনকী কিছু জওয়ানকে সেখানে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল সদর দফতর থেকে। তাঁর দাবি, অপারেশন সিঁদুরের পর জঙ্গিদের সৎকারে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ (POK) দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান খোদ আসিম মুনিরই (JEM Hizbul Mujahideen)।

    প্রকাশ্যে পাক মদত

    অপারেশন সিঁদুরে নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের দেহ জাতীয় পতাকায় মুড়ে শেষকৃত্য করেছিল পাক সেনা। গান স্যালুট দিয়ে জঙ্গিদের শহিদ তকমা দিতেও শোনা গিয়েছিল তাঁদের। ইলিয়াসের দাবি, এই নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল সেনবাহিনীর মুখ্য কার্যালয় থেকে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দিল্লি এবং মুম্বই হামলায় মাদুস আজহারের হাত ছিল বলেও কবুল করেন ইলিয়াস। তিনি বলেন, “দিল্লির তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এবং শত্রুদের কবল থেকে পালানোর পর আমির-উল-মুজাহিদিন মাসুদ আজহার পাকিস্তানে বালাকোটে বসেই দিল্লির সংসদ ভবন এবং মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার ছক কষেছিলেন (POK)। এই মাটি, এর প্রতিটি কণা, তাঁর কাছে ঋণী (JEM Hizbul Mujahideen)।’’

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান যে কেবল জঙ্গিদের আশ্রয়ই দেয় না, বরং ভারত-বিরোধী জঙ্গি হামলায় সরাসরি মদত দেয়, এ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছে ভারত। যদিও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে বারংবার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার স্বয়ং জইশ কমান্ডারের স্বীকারোক্তির পর ভারতের দাবি যে আরও স্পষ্ট হল, তা বলাই বাহুল্য (JEM Hizbul Mujahideen)।

  • Operation Sindoor: জইশ-এর পর এবার লস্কর জঙ্গির স্বীকারোক্তি, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের মিথ্যাচার ফাঁস

    Operation Sindoor: জইশ-এর পর এবার লস্কর জঙ্গির স্বীকারোক্তি, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের মিথ্যাচার ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসুদ আজহারের বাহাওয়ালপুর ক্যাম্প নিয়ে পাকিস্তানের দাবি জইশ-ই-মহম্মদের (জইশ) এক কমান্ডারের বক্তব্যে প্রশ্নের মুখে পড়ার কয়েক দিনের মধ্যেই এবার লস্কর-ই-তৈইবার (এলইটি) এক জঙ্গি স্বীকার করেছেন যে, মুরিদকেতে সংগঠনের সদর দফতর ‘মারকাজ তৈইবা’ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে লস্করের কমান্ডার কাসিম বলেন, ‘‘আমি মুরিদকের ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে একসময় মারকাজ তৈইবা ছিল। ভারতের হামলায় এটি ধ্বংস হয়েছে। এখন আল্লাহর রহমতে এটি আরও বড় করে নির্মাণ করা হচ্ছে।’’ ভিডিওতে কাসিমের পেছনে একটি নির্মীয়মান বাড়ি দেখা যায়।

    মুরিদকে লস্কর ভবন পুনঃনির্মাণ

    ওই ভিডিওয় লস্কর কমান্ডার আরও স্বীকার করেন যে, বহু মুজাহিদ এবং ‘তালাবা’ (ছাত্র) এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতেন এবং ‘ফয়জ’ অর্জন করতেন। যদিও পাকিস্তান সরকার দাবি করেছে যে, এই ভবনটি দীর্ঘদিন ধরেই লস্করের দ্বারা ব্যবহার করা হচ্ছিল না, কাসিমের এই ভিডিও সেই দাবিকে সম্পূর্ণভাবে খণ্ডন করে। আরেকটি ভিডিওতে কাসিম পাকিস্তানের তরুণদের ‘দাওরা-এ-সুফফা’ নামে পরিচিত লস্করের প্রাথমিক জিহাদি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আহ্বান জানান। এই কর্মসূচিতে ধর্মীয় প্ররোচনার পাশাপাশি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের ৭ই মে জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারতীয় বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor)  অধীনে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি একযোগে ধ্বংস করে। এই অভিযানে বাহাওয়ালপুরে জইশ, শিয়ালকোটে হিজবুল মুজাহিদিন, বার্নালা ও মুজাফফরাবাদে লস্করের বিভিন্ন ঘাঁটি ছিল।

    ভারতের দাবিই সত্যি

    একটি ভয়াবহ ভিডিওতে লস্করের ডেপুটি চিফ সাইফুল্লাহ কাসুরি সম্প্রতি দাবি করেন, পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী মারকাজ তইবার পুনর্গঠনের জন্য অর্থ সাহায্য দিয়েছে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, মুরিদকে লস্করের সদর দফতর গোপনে পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ২০২৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি — কাশ্মীর সংহতি দিবসকে সামনে রেখে — নতুন করে নির্মিত মারকাজ তইবা উদ্বোধন করা হবে, যেখানে আবারও প্রশিক্ষণ, প্ররোচনা ও জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর আগে জইশ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরিও এক ভিডিও বার্তায় স্বীকার করেছিলেন, বাহাওয়ালপুরে ভারতীয় হামলায় মাসুদ আজহারের পরিবার “টুকরো টুকরো” হয়ে গিয়েছে। সেই ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনির নিহত জঙ্গিদের জানাজায় অংশ নিয়েছেন। এই ভিডিওগুলি প্রমাণ করে ভারতের দাবি সত্যি। কাঁটাতারের ওপার থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে বহু হামলার পরিকল্পনা করা হয়।

     

     

     

     

     

  • US Army in Chattogram: চট্টগ্রামে মার্কিন সেনার উপস্থিতি, সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি! ভারতের নজরে বাংলাদেশ

    US Army in Chattogram: চট্টগ্রামে মার্কিন সেনার উপস্থিতি, সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি! ভারতের নজরে বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের চট্টগ্রামের (US Army in Chattogram) শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রতি অবতরণ করেছে ‘বিদেশি’ সামরিক বিমান। এদিকে কয়েকদি আগেই নাকি চট্টগ্রামে ১২০ জন মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্য যান। তারা চট্টগ্রামের অভিজাত হোটেল ব়্যাডিসন ব্লু-তে আছেন। এই সব মিলে জল্পনা বর্তমানে তুঙ্গে। এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চর্চাও চলছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস পরিবহন বিমান চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়োকোটা ঘাঁটি (জাপান) থেকে পরিচালিত একটি ট্যাকটিক্যাল ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট। একইসাথে চট্টগ্রামের জহুরুল হক বিমানঘাঁটিতে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৩’ নামে একটি যৌথ সামরিক মহড়া, যেখানে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী।

    চট্টগ্রামে যৌথ মহড়ায় নজর রাখছে ভারত

    এই মহড়া ও সাম্প্রতিক তৎপরতাগুলোর প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে—ভারতের জন্য কি এই মহড়া উদ্বেগের কারণ? ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সন্নিকটে চট্টগ্রামে মার্কিন সেনা উপস্থিতি কী আঞ্চলিক কৌশলগত ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে? গত ১০ সেপ্টেম্বর মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস বিমান শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল। এরই সঙ্গে জানা গিয়েছে, প্রায় ১২০ জন মার্কিন সেনা এবং বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন। এসব সৈন্যরা রেডিসন ব্লু হোটেলে অবস্থান করে, যেখানে তাদের নাম রেজিস্টারে লেখা হয়নি। এই অপারেশনটি ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৪’-এর অংশ। ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনীর মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই মহড়ার বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা হয়েছিল?

    কি ঘটছে চট্টগ্রামে?

    ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৩’ মূলত একটি মানবিক সহায়তা ও সামরিক সহযোগিতা ভিত্তিক মহড়া, যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ২৪২ জন সামরিক সদস্য অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৯২ জন মার্কিন ও ১৫০ জন বাংলাদেশি সেনা সদস্য রয়েছেন। মহড়ায় অংশ নিচ্ছে তিনটি সি-১৩০জে পরিবহণ বিমান (দুটি যুক্তরাষ্ট্রের), একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার (বাংলাদেশ বিমান বাহিনী)। এছাড়াও, আমেরিকার চার্জ দ্যা’ফেয়ার ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন মহড়াস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইউএস প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সেসের (PACAF) প্রতিনিধি ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

    ভারত-মায়ানমার সম্পর্ক

    এর আগে, ৮-১০ সেপ্টেম্বর হাওয়াইতে অনুষ্ঠিত ‘ল্যান্ড ফোর্সেস টকস’-এ ইউএস আর্মি প্যাসিফিক কমান্ড এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেছিল। এদিকে বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রামের অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ। সেখানে চিনের প্রভাব বাড়ছে। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিকে (যেমন আরাকান আর্মি) সমর্থন করতে চায়। এই বিদ্রোহীরা জুন্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এদিকে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপেও আমেরিকার নজর রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, মায়ানমারের সামরিক জুন্তার সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রতিবেশী দেশের সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় রয়েছে। এদিকে মায়ানমারকে নিজেদের ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করে ভারত সরকার। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য। কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট প্রজেক্ট (মিজোরাম থেকে সিত্তে বন্দর পর্যন্ত) এর মতো প্রকল্পগুলি জুন্তার সমর্থনের উপর নির্ভর করে। কিন্তু মায়ানমারে আরাকান আর্মি ও অন্যান্য বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধ চলছে। এই অর্থে, এই গোটা বিষয়টি খুব সংবেদনশীল।

    উত্তরপূর্ব ভারতে অশান্তির আশঙ্কা

    এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর মিশর বিমান বাহিনীর একটি পরিবহণ বিমান চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এবং এর একদিন পরেই মার্কিন সেনারা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পতেঙ্গা বিমান ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মানবিক করিডোর তৈরি করার পরিকল্পনা করছিল মহম্মদ ইউনুসের সরকারের। তবে এই করিডোরের মাধ্যমে উত্তরপূর্ব ভারতে অশান্তি ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এদিকে এই করিডোরের মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজেদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করতে পারে বলে আশঙ্কা শুরু হয়েছিল তাদের দেশের অভ্যন্তরেই। যার জেরে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল ইউনুস সরকারের ওপর। তারপর বেশ কয়েক মাস বিষয়টি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি ইউনুস সরকারের তরফ থেকে। এমনকী বলা হয়েছিল, এই করিডোরের বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তই নেয়নি।

    আমেরিকার লক্ষ্য কি শুধুই চিন-বিরোধিতা?

    বিশ্লেষকদের মতে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল মূলত চিনকে প্রতিহত করা। তবে এর প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ার ভৌগোলিক ভারসাম্যেও পড়ছে। বাংলাদেশে মার্কিন প্রভাব বৃদ্ধির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ভারত মহাসাগরে ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তার সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে চাইছে—যা একদিকে চিনের প্রভাব ঠেকানোর চেষ্টা, অন্যদিকে ভারতকেও নির্দিষ্ট ছকেই রাখতে চাওয়ার ইঙ্গিত। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অগাস্টে বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে। শেখ হাসিনার সরকার ছাত্র-আন্দোলনের মুখে পড়ে সরে যেতে বাধ্য হয়। এর পিছনে আমেরিকার হাত রয়েছে, বলে অভিযোগ করেন হাসিনা। বলা হয়, শেখ হাসিনা ‘সেন্ট মার্টিন’ দ্বীপ মার্কিন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট ছিল।

    বদলে যাওয়া ভূরাজনীতি

    শেখ হাসিনা সরে যাওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ‘টাইগার লাইটনিং ২০২৫’ নামের একটি ছয় দিনের যৌথ মহড়া জুলাই মাসে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা ন্যাশনাল গার্ড এবং বাংলাদেশের প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড অংশ নেয়। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ভারতের জন্য একটি কৌশলগত সতর্ক সংকেত হতে পারে। চট্টগ্রাম ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মায়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি। আমেরিক যদি এই অঞ্চলকে লজিস্টিক হাব বা গোয়েন্দা তৎপরতার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলে, তাহলে তা ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও চিন—উভয় দেশই মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী তৎপরতা ও শরণার্থী সঙ্কটকে জটিল করে তুলতে পারে। এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের যৌথ তৎপরতা মানবিক ও প্রশিক্ষণমূলক দাবি করা হলেও, ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিষয়টি সরলভাবে দেখার সুযোগ নেই।

  • Tommy Robinson: “হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ, শান্তিপ্রিয়”, বললেন মোদির ‘ফ্যান’ ব্রিটেনের টমি রবিনসন

    Tommy Robinson: “হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ, শান্তিপ্রিয়”, বললেন মোদির ‘ফ্যান’ ব্রিটেনের টমি রবিনসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুরা অন্যান্য অভিবাসী গোষ্ঠীর থেকে একেবারেই আলাদা। তারা ব্রিটিশদের সঙ্গে মেলামেশা করে এবং ব্রিটিশ সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হিন্দুরা কখনওই ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। তারা ব্রিটিশ পরিচয়ের ক্ষয়ক্ষতির কারণও নয়।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি কিন্তু ধর্মে হিন্দু নন। তাঁর নাম টমি রবিনসন (Tommy Robinson)। এই মুহূর্তে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে। কারণ লন্ডনে বৃহৎ পরিসরের অভিবাসী-বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনিই।

    ব্রিটিশের মুখে হিন্দু প্রশস্তি (Tommy Robinson)

    ভারতীয়, বিশেষ করে ব্রিটেনের (UK) হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি খুবই আলাদা ও বিশেষ মনোভাব রয়েছে তাঁর। যদিও দেশে যে বেনো জলের মতো অভিবাসীদের দল ঢুকে পড়ছে, তা নিয়ে তিনি অত্যন্ত হতাশ ও ক্ষুব্ধ তিনি। রবিনসন নিজেকে একাধিকবার হিন্দুদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, তারা (হিন্দুরা) ব্রিটিশ জীবনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম। হিন্দুদের তিনি বর্ণনা করেছেন ‘শান্তিপূর্ণ’ ও ‘শান্তিপ্রিয়’ অভিবাসী সম্প্রদায় হিসেবে। তাই তিনি ব্রিটিশ সংস্কৃতি ও পরিচয়ের জন্য হিন্দুদের হুমকিস্বরূপ বলে মনে করেন না।

    আমি হিন্দুদের পাশেই দাঁড়াব

    অবশ্য এই প্রথম নয়, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি টমি রবিনসনের সমর্থন গত বেশ কয়েক বছর ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০২২ সালে এশিয়া কাপ ক্রিকেট খেলা চলাকালীন লেস্টারে ব্রিটিশ হিন্দু-মুসলিমদের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সময় তিনি ঘোষণা করেছিলেন, প্রয়োজনে তিনি শত শত মানুষকে মোবিলাইজ করবেন ব্রিটিশ হিন্দুদের পক্ষে লড়াই করতে এবং তাদের রক্ষা করতে। ওই বছরই এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “কখনও কখনও ব্রিটেনে হিন্দুদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে। তবে আমি কিন্তু তাদের পাশেই দাঁড়াব।”

    ব্রিটিশ রাজনীতিকদেরও নিশানা

    ব্রিটিশ রাজনীতিকদেরও একহাত নেন রবিনসন। তাঁর অভিযোগ, ব্রিটিশ রাজনীতিকরা হিন্দুদের পাশে দাঁড়াননি, রক্ষা করেননি তাঁদের অধিকার। তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে হিন্দুদের সংগ্রাম দেখেছি। এর সঙ্গে আমার ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযানের সঙ্গে খুবই মিল রয়েছে।” হিন্দুরা কীভাবে পক্ষপাতমূলক রাজনীতির শিকার হচ্ছেন, আপোষমূলক রাজনীতির ভুক্তভোগী হচ্ছেন এবং কয়েকটি ইসলামি গোষ্ঠীর টার্গেট হচ্ছেন, তাও তুলে ধরেন এই ব্রিটিশ নাগরিক। হিন্দুদের প্রতি তাঁর আহ্বান, ‘আপনারা নির্জীব না থেকে সক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে বৈষম্যের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়াই করুন এবং নিজেদের রক্ষা করুন (Tommy Robinson)।’

    রবিনসনের মোদি-স্তুতি

    কেবল হিন্দু নন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও ভক্ত রবিনসন। ২০২৪ সালে যখন তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন মোদি, তখন তাঁর জয় উদযাপন করেছিলেন তিনি। ভারতের রাজনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসাও করেন। একে তাঁর পপুলিস্ট মতাদর্শ ও ব্রিটেনের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তুলনা করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে রবিনসন কমপক্ষে দু’টি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি তাঁর সমর্থন প্রকাশ করেন (UK)। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট জয়ী হয়। এর পরে কমিউনিজমের মোকাবিলা করে তৃতীয়বার এনডিএ ক্ষমতায় আসায় তাদের অভিনন্দনও জ্ঞাপন করেন রবিনসন। বিশেষজ্ঞদের মতে, রবিনসনের হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার প্রধান কারণগুলির একটি হল, এই সম্প্রদায় সাধারণত কোনও হিংসা বা ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয় না। এরা সম্পূর্ণভাবে দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।

    মুসলিমদের প্রতি তাঁর মনোভাব

    যদিও রবিনসনের বিরোধীদের বক্তব্য, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর এই সমর্থন একটি পরিকল্পিত কৌশল। এটি তাঁকে এমন এক ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করে যে তিনি সম্পূর্ণভাবে অভিবাসনের বিরুদ্ধে নন, যেমনটি বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁকে তুলে ধরা হয়। বরং তাঁর প্রতিবাদ শুধুমাত্র সেই সব অভিবাসীদের বিরুদ্ধে, যাঁরা ব্রিটিশ পরিচয় ও সংস্কৃতির পক্ষে হুমকি স্বরূপ এবং যাঁরা দেশের সামাজিক বন্ধনকে নষ্ট করে হিংসায় উসকানি দেয় (Tommy Robinson)। রবিনসন তাঁর অ্যাক্টিভিজমকে মুক্ত বাকস্বাধীনতা এবং জাতীয় পরিচয়ের রক্ষাকবচ হিসেবে তুলে ধরেন। যদিও তাঁর মতাদর্শের মধ্যে স্পষ্ট, তিনি মুসলিমদের ‘আক্রমণকারী’ এবং ‘অপরাধী’ হিসেবেই চিহ্নিত করেন (UK)।

    ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’

    প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ দক্ষিণপন্থী কর্মী রবিনসন সম্প্রতি খোদ লন্ডনে (ব্রিটেনের রাজধানী) এক বিশাল মিছিলেন নেতৃত্ব দেন। ওই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। এই কর্মসূচির নাম ছিল ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’, যা মূলত অভিবাসনবিরোধী আন্দোলন হিসেবেই পরিচিত। মনে রাখা প্রয়োজন, রবিনসনের হিন্দুদের প্রতি মন্তব্য এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন ভারতীয় সম্প্রদায় দক্ষিণ এশিয় পরিচয় প্রত্যাখ্যান করেছে (UK)। কারণ এর মধ্যে পাকিস্তানিরাও রয়েছে। এই পাকিস্তানিরাই ব্রিটেনে গ্রুমিং গ্যাং পরিচালনা করেছিল বলে অভিযোগ (Tommy Robinson)।

  • Operation Sindoor: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল পাকিস্তান, বিপাকে ট্রাম্প

    Operation Sindoor: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল পাকিস্তান, বিপাকে ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল পাকিস্তান (Pakistans Foreign Minister)। ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) মন্তব্যের জেরে ফাঁপরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁকে বিপাকে ফেলেছেন খোদ পাক উপপ্রধানমন্ত্রী তথা (Operation Sindoor) বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। তাঁর কবুল করা কথাতেই ফেঁসে গেলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)

    ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় নরেন্দ্র মোদির ভারত। এই অপারেশনে সফল হয় ভারত। তার পরেও বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মোদি সরকারকে। কারণ, যুদ্ধ বিরতির কৃতিত্ব দাবি করেন ট্রাম্প। এর পরেই বিরোধীদের দাবিতে তুলকালাম হয় সংসদে। তাঁদের বক্তব্য, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতির কথা কেন ঘোষণা করবে তৃতীয় পক্ষ। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধবিরতি কোনও তৃতীয় পক্ষের কথা শুনে হয়নি। এবার সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের মুখে। তিনি বলেন, “ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা, তবে ভারত তাতে রাজি হয়নি।” তিনি কবুল করেন, “যুদ্ধ থামাতে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিওর কাছে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি তুলেছিল ইসলামাবাদ।” যদিও শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক এই বিষয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “নয়াদিল্লি সব সময় ভারত ও পাকিস্তানের যাবতীয় বিষয় কঠোরভাবে দ্বিপাক্ষিক হিসেবেই দেখে।”

    পাক বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য

    যুদ্ধবিরতি নিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমরা তৃতীয় পক্ষের জড়িত থাকার বিষয়ে আপত্তি করি না। তবে ভারত বরাবর স্পষ্ট করে বলে আসছে- এটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় কোনও আপত্তি নেই। তবে (Operation Sindoor) আলোচনা ব্যাপক হতে হবে। আগেও আমরা সন্ত্রাসবাদ, বাণিজ্য, অর্থনীতি, জম্মু-কাশ্মীরের মতো বিষয়ে আলোচনা করেছি।” দার জানান, এর আগে মে মাসে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওয়াশিংটন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী)। বলেছিল (Pakistans Foreign Minister), ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা হবে একটি নিরপেক্ষ স্থানে। যদিও ২৫ জুলাই ওয়াশিংটনে রুবিওর সঙ্গে পরবর্তী এক বৈঠকে দারকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভারত এই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত বলেছে এটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়। আমরা কোনও কিছুর জন্য ভিক্ষা করছি না। আমরা একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। আমরা বিশ্বাস করি যে আলোচনা এগিয়ে যাওয়ার পথ। তবে আলোচনার জন্য দু’জনের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।” তিনি সাফ জানান, ভারত যদি সাড়া দেয়, তবে পাকিস্তান এখনও আলোচনায় অংশ নিতে ইচ্ছুক। দার বলেন (Operation Sindoor), “কোনও দেশ যদি আলোচনা চায়, তবে আমরা খুশিই হব। সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আমরা আলোচনায় বিশ্বাস করি। তবে ভারত যদি না চায়, তাহলে আমরাও এগোব না।” অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তান যে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চেয়েছিল, এদিন তাও জানান পাক বিদেশমন্ত্রী। তিনি কবুল করেন, “পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কথা বলার জন্য বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিল (Pakistans Foreign Minister)।”

    শিমলা চুক্তি

    উল্লেখ্য যে, ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত শিমলা চুক্তির অন্যতম শর্তই ছিল ভারত ও পাকিস্তানের কোনও সমস্যার সমাধান দ্বিপক্ষিক স্তরে হবে। সংবাদ মাধ্যম ‘আল জাজিরা’কে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সে কথা মনেও করিয়ে দেন দার। শুধু তা-ই নয়, ১৯৯৯ সালে লাহোর ঘোষণার সময় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বিজপেয়ী যখন পাকিস্তানে যান, তখনও তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে আলোচনার সময়ই এই বিষয়টি উঠে এসেছিল (Operation Sindoor)। জানা গিয়েছে, রুবিও তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারত সব সময় বলে এসেছে, এটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়, তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা নেই। অথচ সেই দেশেরই রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প গত মে মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, “আমার মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।”

    বিক্রম মিস্রির দাবি

    ট্রাম্পের এহেন দাবির পরে পরেই ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এসেছিল পাকিস্তানের তরফে। তবে ভারত তৃতীয় পক্ষের কোনও হস্তক্ষেপ মানেনি। বিদেশসচিব জানান, পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতীয় ডিজিএমও-কে ফোন করে যুদ্ধবিরতির আবেদন করেন। তার পরেই বিকেল ৫টা থেকে গুলি চালানো বন্ধ করার বিষয়ে বোঝাপড়া হয় দুই দেশের মধ্যে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেও ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ভারত তাঁকে কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে বলেছে। তখনই তাঁর দাবি খারিজ করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন শিমলা চুক্তির পর (Pakistans Foreign Minister) থেকে নয়াদিল্লি শুধুই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পক্ষপাতী (Operation Sindoor)।

LinkedIn
Share