Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Afghanistan: আফগানিস্তানের বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুন, হুঁশিয়ারি আখুন্দজাদার

    Afghanistan: আফগানিস্তানের বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুন, হুঁশিয়ারি আখুন্দজাদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুক বিশ্ব। দীর্ঘদিন পর জনসমক্ষে এসে এই হুঁশিয়ারি দিলেন আড়ালে থাকা তালিবান (Taliban) শীর্ষ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (Hibatullah Akhundzada)। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে (Kabul) ধর্মগুরুদের একটি সমাবেশে ভাষণ দেন তিনি। সেখানেই দেন হুঁশিয়ারি।

    গত ১৫ আগস্ট আফিগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবান। তার পর থেকে সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের দেখা মিললেও আখুন্দজাদা রয়ে গিয়েছিলেন পর্দার আড়ালেই। জনসমক্ষে এলেন এদিন, কাবুলের এই ধর্মগুরুদের সভায় যোগ দিতে। শুধু তাই নয়, ঘণ্টাখানেক ধরে বক্তৃতাও করেন তিনি। সম্মেলন স্থলে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি। তবে তাঁর ভাষণ সম্প্রচারিত হয়েছে সে দেশের রেডিওতে। ওই ভাষণ দিতে গিয়েই আফগানিস্তানের বিষয়ে বহির্বিশ্বের নাক গলানো নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেন আখুন্দজাদা। বলেন, কেন বিশ্ব আমাদের ব্যাপারে মাথা ঘামায়? তারা কেন বলে, তোমরা এটা করো না, কেন করো না? কেন আমাদের কাজে হস্তক্ষেপ করে বিশ্ব?

    আরও পড়ুন : আফগানিস্তানে কূটনৈতিক উপস্থিতি ফের চালু ভারতের, কী প্রতিক্রিয়া তালিবানের?

    আখুন্দজাদা বলেন, তালিবান আফগানিস্তানের জন্য জয়লাভ করেছে। ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা কীভাবে শরিয়ত আইন প্রয়োগ করা যায়, সে ব্যাপারে নয়া শাসকদের পরামর্শ দেবে। আখুন্দজাদা বলেন, ইসলামি ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা সহজে মেনে নেবে না বর্তমান বিশ্ব। হাজার তিনেক ধর্মগুরুর এই সমাবেশে কোনও মহিলা যোগ দেননি। তবে তালিবানের একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন মেয়েদের শিক্ষার মতো কণ্টকাকীর্ণ বিষয়গুলি নিয়েও এই সমাবেশে আলোচনা হবে।

    প্রসঙ্গত, তালিবান দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা দখলের মাস দুয়েক পরে একবার প্রকাশ্যে এসেছিলেন আখুন্দজাদা। সেই সময় কান্দাহারে দারুল উলুম হাকিমা মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছিলেন তিনি। তার পর এই এলেন প্রকাশ্যে। হুঁশিয়ারি দিলেন গোটা বিশ্বকে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে প্রবল ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছিল আফগানিস্তান। মৃত্যু হয়েছিল হাজারেরও বেশি মানুষের। জখমও হয়েছিলেন বহু মানুষ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। তখনও গোপন ডেরা থেকে বের হননি আখুন্দজাদা। এলেন এদিন, কেবল ধর্মগুরুদের সভায়।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরে জি-২০, পাকিস্তানের পরে এবার আপত্তি চিনেরও

  • Sino-Indian Meet: সন্দেহ নয়, একে অপরের প্রতি আস্থা রাখুন, ভারতকে বার্তা চিনের

    Sino-Indian Meet: সন্দেহ নয়, একে অপরের প্রতি আস্থা রাখুন, ভারতকে বার্তা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেহ নয়, সম্পর্ক ভালো করতে একে অপরের ওপর আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। বৈঠকে এমন সম্পর্ক গড়ার কথাই শোনালেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। বুধবার চিনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর ও বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ওয়াই, (Wang Wi) চিনে (China) নিযুক্ত ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত প্রদীপ কুমার রাওয়াতের (Pradeep Kumar Rawat) সঙ্গে বৈঠক করেন। 

    ১৪ তম ব্রিকস সামিটের (14th BRICS Summit) আগে দুই দেশের মধ্যে এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই সামিটে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা উপস্থিত থাকার কথা। এবারের ব্রিকস সামিটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবে চিন।

    আরও পড়ুন: “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের 

    চিনের বিদেশমন্ত্রী এবিষয়ে বলেন, “দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে উভয়ের এগিয়ে আসা দরকার।” চিনের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত ও চিনের অভিন্ন স্বার্থ তাদের পার্থক্যের চেয়ে বেশি। একে অপরকে দুর্বল না করে সমর্থন করা উচিৎ। একে অপরের  বিরুদ্ধে পাহারা দেওয়ার পরিবর্তে, সহযোগিতা জোরদার করতে হবে এবং পারস্পরিক বিশ্বাস বাড়াতে হবে। 

    প্রতিবেশি দেশের বিদেশমন্ত্রী চারটি পয়েন্টের এজেন্ডাও জানিয়েছেন। চিন যে চারটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছ সেগুলি হল, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, চিন ও ভারত প্রতিযোগী নয় সহযোগী। চিন ও ভারত পরস্পরকে হুঁশিয়ারি দেবে না। পারস্পরিক উন্নতিতে সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক জটিল পরিস্থিতির সঙ্গে তারা যৌথভাবে মোকাবিলা করবে।

    আরও পড়ুন: সীমান্ত আগ্রাসন নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের, কী বললেন তিনি? 

    এদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। ইউরোপ সফরে গিয়ে এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না ভারত সরকার।” 

    জয়শঙ্করের (S Jaishankar) এই স্পষ্ট বক্তব্যের প্রশংসা করে ওয়াং ওয়াই বলেন, “ভারত-চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভারতের স্বাধীনতার ঐতিহ্যের বহিঃপ্রকাশ।” 

    গত বছর ভারতের সঙ্গে চিনের ব্যবসায়িক আদানপ্রদান ১২,৫০০ কোটিরও বেশি হয়েছে। আগেরবারই প্রথম এই দুই দেশে ব্যবসায়িক আদানপ্রদান ১০০০ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়েছে। তাই এইবছরের ব্রিক সম্মেলনের আগে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি অত্যন্ত জরুরি। 

    ২৪ মাস আগে ভারতের সীমান্তে চিন আকস্মিক আগ্রাসন চালানোয় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তাই এই বৈঠকের পর দুই দেশের কুটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতির বিষয়ে আশাবাদী রাজনৈতিক মহল।  

     

  • Russia: শতবর্ষে এই প্রথম, বৈদেশিক ঋণ শোধে ব্যর্থ রাশিয়া

    Russia: শতবর্ষে এই প্রথম, বৈদেশিক ঋণ শোধে ব্যর্থ রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো বছরে এই প্রথম! বিদেশি ঋণ (Foreign Debt) শোধে ব্যর্থ রাশিয়া (Russia)। ২৭ মে-র পর দেশটিকে আরও বাড়তি প্রায় এক মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সীমা পেরিয়ে গেলেও ঋণ শোধ করতে পারেনি ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। দেশটিতে এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে, বলশেভিক বিপ্লবের সময়।

    ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের (Ukraine) সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে রাশিয়া। তার পর থেকে চার মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও, এখনও থামেনি যুদ্ধ। পুতিনের দেশকে সবক শেখাতে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা ও ইউরোপের কিছু দেশ। তার পরেও দমানো যায়নি অদম্য রাশিয়াকে। যুদ্ধ চলছেই।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    এর আগে অন্তর্দেশীয় ঋণ পরিশোধে সর্বশেষ রাশিয়া ব্যর্থ হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে পরে রুবেলের সংকট দেখা দেওয়ায় এমনটা হয়েছিল। তবে সেই সময় অভ্যন্তরীণ ঋণ শোধে অপারগ হলেও, বিদেশি ঋণ শোধ করেছে মস্কো। আর এখন বৈদেশিক ঋণ শোধ করতেই ব্যর্থ হয়েছে দেশটি।

    সূত্রের খবর, অনেক আগেই মস্কোর এই ঋণ শোধের কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বিদেশি ঋণ শোধ করতে পারেনি পুতিনের দেশ। ধার শোধের সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয় ২৭ মে। সেবারও ঋণ শোধে অপারগ হওয়ায় সময়সীমা ফের বাড়িয়ে করা হয় ২৬ জুন। এদিনও বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে পারেনি পুতিনের দেশ। জানা গিয়েছে, বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

    আরও পড়ুন : ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া?

    কী কারণে বৈদেশিক ঋণ শোধে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম সুইফট। যার জেরে লেনদেন করতে পারছে না পুতিনের দেশ। ফলশ্রুতিতে বৈদেশিক ঋণ শোধে ফের একবার ব্যর্থ হল মস্কো। প্রসঙ্গত, এর আগে বলশেভিক বিপ্লবের সময় ঋণ শোধ করতে অস্বীকার করেছিলেন কমিউনিস্ট নেতা ভ্লাদিমির লেনিন। একটি রাশিয়ান কোম্পানির বর্ষীয়ান কর্নধার হাসান মালিক বলেন, এটা খুবই, খুবই বিরল একটি ঘটনা। এখানে সরকার ঋণ শোধে ব্যর্থ হয়েছে বিদেশ শক্তির প্রভাবে। ইতিহাসে এই ঘটনা একটি যুগসন্ধিক্ষণ হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

     

  • US parade shooting: ফের রক্তাক্ত আমেরিকা, স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে গুলি, মৃত ৯

    US parade shooting: ফের রক্তাক্ত আমেরিকা, স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে গুলি, মৃত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মেজাজে তখন গোটা দেশ। শিকাগোয় (Chicago) চলছে স্বাধীনতার উদযাপন। তারই মাঝে কাটল তাল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেন রক্তবন্যা থামার নাম নেই। ফের রক্তাক্ত হল ৪ জুলাইয়ের প্যারেড (4th July Parade)। সোমবার শিকাগোর হাইল্যান্ড পার্কে চতুর্থ জুলাইয়ের প্যারেড চলাকালীন এলোপাথাড়ি গুলি (Shooting) চালায় এক বন্দুকবাজ। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন অনেকে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এক বন্দুকধারী একটি দোকানের ছাদ থেকে প্যারেডে অংশগ্রহণকারীদের উপর গুলি চালায়। 

    বন্দুকবাজের হামলায় ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত অন্তত ৫৭ জন। শিকাগোর পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকাল ১০টায় শুরু হয় কুচকাওয়াজ। মিনিট দশেক পরেই স্থানীয় একটি দোকানের ওপর থেকে মুহুর্মুহু গুলি চালায় এক আততায়ী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ২৪ রাউন্ড গুলি চলার শব্দ শোনা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু হামলা নিয়ে নিন্দা আমেরিকার, পালটা ‘বন্দুকবাজ’ খোঁচা ভারতের

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ফুটপাতে বসে কুচকাওয়াজ দেখছিলেন বহু মানুষ। পরের ফ্রেমেই, তাঁদের মাটি থেকে লাফিয়ে দৌড়তে দেখা যায়, শোনা যায় বন্দুকের শব্দ, মানুষের চিৎকার।  

    [tw]


    [/tw]

    হাইল্যান্ড পার্কের পুলিশ চিফ লউ জগম্যান জানিয়েছেন, শহরতলির নানা জায়গায় গুলি চালিয়েছে আততায়ী। তার নাম রবার্ট ক্রিমো। পেশায় ইউটিউবার। আততায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

    শিকাগোর ইলিনয়ের সাউথ ওয়েন্টওয়ার্থ অ্যাভিনিউয়ে ২৪ বছর বয়সি এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: নতুন চার-দেশীয় গোষ্ঠী ‘আই২ইউ২’-র সদস্য ভারত, আছে কারা?  

    হাইল্যান্ড পার্কের নিরাপত্তার দায়িত্বে লেক কাউন্টি শেরিফ বিভাগ। শেরিফ বিভাগের কার্যালয় থেকে সাধারণ মানুষকে ওই এলাকা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা এলাকা টহল দিচ্ছে পুলিশ। এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্বাধীনতা দিবসের সব রকমের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।   

    মার্কিন প্রতিনিধি ব্র্যাড স্নাইডার রয়টার্সকে বলেছেন যে হাইল্যান্ড পার্কে যখন গোলাগুলি শুরু হয়েছিল তখন তিনি প্যারেডের সামনে ছিলেন। স্নাইডার ট্যুইটারে লেখেন, “অনেকের মৃত্যুর  খবর পাওয়া গিয়েছে এবং আরো অনেকে আহত হয়েছেন। হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।”  

     

  • Putin-Modi Phone Call: ফোনালাপ, পুতিনকে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যা মেটানোর পরামর্শ মোদির

    Putin-Modi Phone Call: ফোনালাপ, পুতিনকে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যা মেটানোর পরামর্শ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পেরিয়ে গিয়েছে চার মাস। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অব্যহত। রাশিয়ার বিরুদ্ধে গিয়েছে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ। ভারত কেন এখনও রাশিয়ার প্রতি নরম, সে নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে ইউরোপের দেশগুলি। এবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের  (Vladimir Putin) সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে ফোনে কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। পুতিনকে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যা সমাধান করতে অনুরোধ জানিয়েছেন মোদি। গণতন্ত্র রক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থানের প্রসঙ্গও এদিন আলোচনায় তুলে ধরেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও পুতিনের ডিসেম্বরের ভারত সফরের সময় বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেগুলি কার্যকর করার বিষয়েও শুক্রবার কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে।   

    আরও পড়ুন: শতবর্ষে এই প্রথম, বৈদেশিক ঋণ শোধে ব্যর্থ রাশিয়া

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) শুরু হওয়ার পরে বেশ কয়েকবার ফোনে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন মোদি। ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করার সময়ে ভারতীয়দের ওপর কোনও হামলা হবে না বলেও ভারতকে আশ্বস্থ করেছিল রাশিয়া। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি বিবৃতি জারি করে পুতিনের সঙ্গে মোদির ফোনালাপের বিষয়টি জানানো হয়।  

    আরও পড়ুন: পুতিনের হাতে মাত্র দুবছর! দাবি ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধানের

    এর আগেও ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে পুতিনকে সরাসরি কথা বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন মোদি। যদিও সেই আলোচনার পরেও ইউক্রেন-সঙ্কট সমাধানের কোনও সূত্র মেলেনি। আন্তর্জাতিক শক্তি ও খাদ্য সামগ্রীর আন্তর্জাতিক বাজার নিয়েও এদিন দুই দেশের প্রধানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতেও ভাব বিনিময় হয়েছে দুপক্ষের মধ্যে।  

    গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশের ওপর রাশিয়ার এই আচমকা আঘাতে রাশিয়ার সঙ্গ ছাড়ে বিশ্বের বহু শক্তিশালী দেশ। রাশিয়ার থেকে তেল কেনাও বন্ধ করে তারা। তবে ভারত তেল কেনা বন্ধ করেনি। কম টাকায় ভারতকে তেল সরবরাহ করতে থাকে রাশিয়া। মোদি জানান, দেশের স্বার্থই সবার আগে বিবেচ্য। ভারতের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিতও হয়। ভারত যেমন সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনা করেনি, তেমনি প্রত্যক্ষভাবে ইউক্রেনের পাশেও দাঁড়ায়নি। সবসময়ই ভারত ভারসাম্যের নীতি নিয়ে চলেছে।    

     

  • International yoga day: ‘গার্ডিয়ান রিং’ কর্মসূচি কী? জানুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের সঙ্গে এর যোগসূত্র

    International yoga day: ‘গার্ডিয়ান রিং’ কর্মসূচি কী? জানুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের সঙ্গে এর যোগসূত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ২১ জুন। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International yoga day)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে ভারতবর্ষে (India) ঘটা করে পালিত হচ্ছে দিনটি। বিশ্বজুড়েও পালিত হচ্ছে দিনটি। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে যে যোগের ভূমিকা অনবদ্য, তা মেনে নিয়েছে গোটা বিশ্ব (World)। তার জেরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয় দিনটি। যোগের মাধ্যমে যে রোগকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তা স্বীকার করেছেন চিকিৎসকদের একাংশও। যোগ দিবসে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রয়েছেন কর্নাটকের মাইসুরুতে। এদিন সকালে সেখানেই দিনটি পালন করেন তিনি। চলতি বছর যে বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে, তা হল গার্ডিয়ান রিং (guardian ring)।

    আরও পড়ুন : “যোগ জীবনে শান্তি আনে” আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অভিমত মোদির

    জেনে নেওয়া যাক, গার্ডিয়ান রিং কি? গার্ডিয়ান রিং এমন এক কর্মসূচি যা ‘এক সূর্য, এক পৃথিবী’ ধারণার ওপর আলোকপাত করে। এটি পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সব দেশের লোকেরা উদযাপন করে। সূর্য যেমন পূবে উদিত হয়ে পশ্চিমে অস্ত যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ যেভাবে সূর্যকে স্বাগত জানায়, ভারতে সেটাই সূর্য নমস্কার হিসেবে যুগ যুগ ধরে মান্যতা পেয়েছে। চলতি বছর যোগ দিবসের থিম মানবতার জন্য যোগ। সেই কারণেই এদিন ভোর থেকে গোটা বিশ্বে পালিত হচ্ছে যোগ দিবস। উদীয়মান সূর্যের দেশ জাপানেই এদিন প্রথম শুরু হয়েছে যোগ দিবস উদযাপন।

    আরও পড়ুন : “জ্ঞান, কর্ম এবং ভক্তির একটি নিখুঁত সংমিশ্রণ”, যোগ সাধনা প্রসঙ্গে মোদি

    বিভিন্ন দেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে দিনটি পালিত হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদায়। সরকারি এক আধিকারিক জানান, এ বছরই প্রথম গার্ডিয়ান রিংয়ের ধারণা চালু করা হয়েছে। যাতে পূর্ব থেকে পশ্চিম পৃথিবীর সব দেশের মানুষই অংশ নিতে পারেন এতে।

    দূরদর্শন কর্তৃপক্ষের তরফে ভোর তিনটে থেকে এদিন বেলা ১০টা পর্যন্ত টানা সম্প্রচার করা হয়েছে। তার জেরে নিউইয়র্ক থেকে অষ্ট্রেলিয়া থেকে সারা পৃথিবীর মানুষ ৮০ ধরনের যোগ দেখতে পেরেছেন।  

    এদিন কর্নাটকে অনুষ্ঠান শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সমগ্র মহাবিশ্ব আমাদের দেহ ও আত্মা থেকে শুরু হয়। যোগব্যায়াম আমাদের সচেতনতার পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, যোগ লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে শান্তি আনবে। পাশাপাশি গোটা বিশ্বে শান্তির পরিবেশ তৈরি করবে। এইভাবে যোগ ব্যায়াম মানুষ এবং দেশকে সংযুক্ত করতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, যোগ আমাদের সব সমস্যার সমাধান করতে পারে।

     

  • Teesta Setalvad: তিস্তার গ্রেফতারি নিয়ে উদ্বেগ রাষ্ট্রপুঞ্জের, কী বলল ভারত? 

    Teesta Setalvad: তিস্তার গ্রেফতারি নিয়ে উদ্বেগ রাষ্ট্রপুঞ্জের, কী বলল ভারত? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ (Teesta Setalvad) ও দুই প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ (UN)। অবিলম্বে তাঁদের মুক্তিও দাবি করেছিল তারা। বুধবার তারই কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত (India)। জানিয়ে দিল, এই ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে তিস্তা ও ওই দুই প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাট পুলিশের এসটিএফ (STF)। এদিকে, অন্য একটি ঘটনায় সোমবার গ্রেফতার করা হয় সাংবাদিক মহম্মদ জুবেরকে।

    সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে করা একটি ট্যুইটে তিস্তা সহ তিনজনের গ্রেফতারিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এবং দ্রুত তাঁদের মুক্তির দাবিও জানানো হয়। ট্যুইটারে মানবাধিকার পরিষদ লিখেছে, তিস্তা শেতলবাদকে আটক ও গ্রেফতার করার ঘটনায় আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। আন্দোলন করা এবং ২০০২ এর গুজরাট দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুন : গ্রেফতার তিস্তা, জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু

    এদিকে, জুবেরের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতারেসের মুখপাত্র। তিনি বলেন, একজন সাংবাদিক কী লিখলেন বা ট্যুইট করলেন, সেজন্য তাঁকে জেলে বন্দি করা যায় না।

    রাষ্ট্রপুঞ্জের এহেন মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, তিস্তা শেতলবাদ ও অন্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের মন্তব্য তাঁরা শুনেছেন। বাগচি বলেন, এই ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত ও ভারতের স্বাধীন বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থায় নাক গলানোর শামিল। দেশের বর্তমান বিচার প্রক্রিয়া অনুযায়ী ভারত সরকার আইন লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এই ধরনের আইনি পদক্ষেপকে আন্দোলন-দমন হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। এর ফলে আসলে ভুল বোঝাবুঝি হয়।

    আরও পড়ুন : কে এই তিস্তা শেতলবাদ? জানুন

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয় তিস্তা ও দুই প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকে। দিল্লিতে সোমবার গ্রেফতার করা হয় অল্ট নিউজের সহ প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেরকে। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তৃতা নিরন্তর সমাজমাধ্যমে তুলে ধরা জুবেরকে গ্রেফতার করা হয় ২০১৮ সালের একটি ট্যুইটের জেরে। এর পরেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের পাশাপাশি মহাসচিবের মুখপাত্রের তরফেও প্রকাশ করা হয় উদ্বেগ।

     

     

  • BRICS: ব্রিকসে বাধা পাকিস্তানকে, ভারতের পাশে দাঁড়াল চিনও

    BRICS: ব্রিকসে বাধা পাকিস্তানকে, ভারতের পাশে দাঁড়াল চিনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) সহযোগিতায় ব্রিকস(BRICS) সামিটে পাকিস্তানের (Pakistan) উপস্থিতি আটকে দিল ভারত (India)। বহু চেষ্টা করেও শেহবাজ শরিফের দেশ ঢুকতে পারল না ব্রিকসে। যদিও আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিল আলজিরিয়া, আর্জেন্টিনা, মিশর, ইন্দোনেশিয়ার মতো ১৩টি দেশ। ঘটনাটিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোদি সরকারের জয় হিসেবেই দেখছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, পাকিস্তানকে আটকাতে প্রথম থেকেই সক্রিয় ছিল ভারত। তাতে সাফল্য মিলল কারণ চিনও তার সব চেয়ে কাছের বন্ধু পাকিস্তানের হাত ছেড়ে ভারতের সঙ্গে সহমত হয়েছে। ঘটনায় প্রত্যাশিতভাবেই হতাশ ইসলামাবাদ।  

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জি-২০, পাকিস্তানের পরে এবার আপত্তি চিনেরও

    ভারত, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং রাশিয়াকে নিয়ে গঠিত হয়েছে ব্রিকস। জুনের ২৪ তারিখে শীর্ষ পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। ওই বৈঠকের আগে আগে চিনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দেখা করেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে। প্রকাশ্যে বলা হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ওই বৈঠক। সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক অন্যান্য আলোচনার পাশাপাশি ব্রিকসে পাকিস্তানের আমন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যায় সেখানেই।

    আরও পড়ুন : বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    কূটনৈতিক মহলের মতে, ব্রিকস বৈঠকে যে দেশগুলি যোগ দিয়েছে, তাদের বাজার ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। এদিকে, শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়া হওয়ার পথে পাক অর্থনীতি। পাকিস্তানকে বাদ দেওয়ার পর সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ব্রিকসের মঞ্চে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের কথোপকথন আমরা নজর করেছি। তাতে অনেক উন্নয়নশীল দেশ যোগ দিয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, একটি দেশ পাকিস্তানকে ওই মঞ্চে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে বাধা দিয়েছে। বিবৃতির লক্ষ্য যে ভারত, তা স্পষ্ট। এর জবাবে চিন সরকার যা বলেছে, তাতে আক্ষরিক অর্থেই হতাশ হওয়ার কথা পাকিস্তানের। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়াং ভারতের পক্ষ নিয়ে সাফ জানিয়ে দেয়, এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা ব্রিকসভুক্ত রাষ্ট্রগুলির আলোচনার মাধ্যমে।

    চিনের এই বিবৃতিতে যথেষ্ট হতাশ পাক সরকার। ইমরান খানের বিদায়ের পর দেশের অর্থনীতির হাল ধরতে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ পাকিস্তানের নয়া সরকার। যার জেরে ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ। দৃশ্যতই পাকিস্তানকে একটি বার্তা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল শি জিন পিংয়ের দেশের তরফে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের পক্ষ নিয়ে সেই কাজটিই করে দেখাল ড্রাগনের দেশ।

     

  • Afghanistan earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান, মৃত্যু হাজার পার

    Afghanistan earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান, মৃত্যু হাজার পার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান (Afghanistan)। বুধবার সকালে আফগানিস্তানের পূর্বে আঘাত হানে ভয়াল ভূমিকম্প (Earthquake)। আফগানিস্তানের ভূমিকম্পের ধাক্কা লেগেছে পড়শি দেশ পাকিস্তানেও (Pakistan)। ভূমিকম্পের ধাক্কায় শুধু আফগানিস্তানেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০০ জনের। জখম হয়েছেন পনেরশোরও বেশি মানুষ। বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে।

    আরও পড়ুন :রাস্তায় খাবার বিক্রি করছেন সাংবাদিক! তালিবান শাসনের অভিশাপের ছবি আফগানিস্তানে

    আমেরিকার ভূ-সর্বেক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে প্রথম অনুভূত হয় কম্পন। কম্পনের উৎস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫১ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় ওই এলাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। আফগানিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, ভূমিকম্পের জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০০ জনের। জখম হয়েছেন ১৫০০রও বেশি মানুষ।

    বর্তমানে আফগানিস্তানের রাশ রয়েছে তালিবান প্রশাসনের হাতে। তালিবান প্রশাসনের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান মহম্মদ নাসিম হক্কানি জানান, আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে সিংহভাগ মানুষের। সেখানে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০ জনের। আহতের সংখ্যা তিনশোর কাছাকাছি। নানগড়হার ও খোস্ত এলাকায়ও ভূমিকম্পের জেরে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে ওঠে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ এলাকা।

    আরও পড়ুন : তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে প্রথম সরকারি সফর ভারতের, গলছে বরফ?

    জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে কোনও কিছু বোঝার আগেই কাঁপতে থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বসত বাড়ি। আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে ফাঁকা জায়গায় আশ্রয় নেন বহু মানুষ। চোখের সামনে ঘর ভেঙে পড়তে দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি অনেকে। প্রিয়জনদের অনেককেই ভাঙা বাড়ির মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেও হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা গিয়েছে বহু মানুষকে। কম্পন থামতেই শুরু হয় প্রিয়জনদের বাঁচানোর চেষ্টা। ততক্ষণে অনেক জায়গায় চলে এসেছেন বিপর্যয় বাহিনীর লোকজন। শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য।

    এদিকে, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান প্রতিবেশী দুই দেশেই ভূমিকম্প আঘাত হানলেও, যেহেতু ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তানে, তাই আফগানিস্তানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সব চেয়ে বেশি। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের লাহোর, মূলতান সহ একাধিক জায়গায় ভূমিকম্প হয়েছে বলেও পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।

     

  • Pakistan: অর্থসংকট কাটাতে আইএমএফের শর্ত মেনেই বাজেট পেশে রাজি পাকিস্তান?

    Pakistan: অর্থসংকট কাটাতে আইএমএফের শর্ত মেনেই বাজেট পেশে রাজি পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চূড়ান্ত অর্থসংকটে ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। প্রয়োজন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (IMF) সাহায্যের। সেই সাহায্য পেতে গেলে পাকিস্তানকে বাজেট পেশ করতে হবে আইএমএফ-এর শর্ত মেনেই। তা না হলে মিলবে না অর্থ সাহায্য।

    পাহাড় প্রমাণ অর্থসংকট। পাকিস্তান জুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের হাহাকার। মূল্যবৃদ্ধি পৌঁছেছে চূড়ান্ত পর্যায়ে। দেশবাসীর একটা বিরাট অংশ দুবেলা খেতে পান না পেট ভরে। দেশের এই সংকট মোকাবিলায় একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ করছে সে দেশের সরকার। তার পরেও মেটেনি সমস্যা।

    আরও পড়ুন :ঋণ মেটাতে অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ চিনকে সমর্পণ করতে পারে পাকিস্তান?

    শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি দেখে শঙ্কিত অর্থসংকটে বিপর্যস্ত পাকিস্তান। দ্বীপরাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য চেষ্টার কসুর করছে না শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সরকার। উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে দেশের তলানিতে ঠেকে যাওয়া অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে দেশটির প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ ঋণের। পাকিস্তানকে এই মোটা অঙ্কের ঋণ দিতে পারে কেবল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার।

    এই ঋণ নিশ্চিত করতে ন্যূনতম গ্যারান্টির অর্থ জমা রাখতে হবে পাকিস্তানকে। উন্নতি ঘটাতে হবে সে দেশের আর্থিক অবস্থার। এটা করতে গিয়েই একের পর জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এর মধ্যে রয়েছে অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে জ্বালানিতে ভর্তুকি ছাঁটাই। আরও কিছু কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে বলে দিন কয়েক আগেই পাক সংসদে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।

    আরও পড়ুন : ‘মৃত’ জঙ্গিকে ‘গ্রেফতার’, ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান?

    সম্ভাব্য ঋণখেলাপি (loan default) এড়াতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে পাকিস্তানের প্রয়োজন ৯০ কোটি মার্কিন ডলার। এই ঋণ পেতেই গ্রহণ করতে হবে কড়া পদক্ষেপ। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল জানান, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে পাকিস্তান একটি “মেমরান্ডাম অফ ইকনমিক অ্যান্ড ফিসক্যাল পলিসি” পেয়েছে। সম্প্রতি সংসদে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকার ওপরে বেতন পান যাঁরা, তাঁদের প্রদত্ত ট্যাক্স ছাড়াও আয়ের ওপর আরও অতিরিক্ত ১০ শতাংশ “সুপার ট্যাক্স” বা সারচার্জ দিতে হবে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

    বছর কয়েক আগে প্রায় একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল গ্রিস। তীব্র অর্থসংকট কাটাতে সেবারও গুচ্ছ জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে দেশের সরকার। এবারও প্রায় একই পথে হাঁটতে চলেছে পাকিস্তান সরকার। এখন দেখার, দেশকে দেউলিয়া হওয়ার পথ থেকে বাঁচাতে কী কী পদক্ষেপ করে শেহবাজ শরিফের সরকার।

LinkedIn
Share