Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Joe Biden: করোনা আক্রান্ত মার্কিন রাষ্ট্রপতি, ভিডিও বার্তায় জানালেন নিজেই

    Joe Biden: করোনা আক্রান্ত মার্কিন রাষ্ট্রপতি, ভিডিও বার্তায় জানালেন নিজেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড আক্রান্ত (Covid-19) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। বৃহস্পতিবার খবরটি নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস (White House)। বর্তমানে নিভৃতাবাসে (Isolation) রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President)। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রোগের খুব সামান্য উপসর্গ রয়েছে প্রেসিডেন্টের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসায় ভালোভাবে সাড়া দিচ্ছেন তিনি। দ্রুত সেরে উঠবেন। চিকিৎসকরা এও জানিয়েছেন, যেহেতু তাঁর সবকটি টিকা নেওয়া আছে তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই।

    আরও পড়ুন: পিছন থেকে ডাকছে কে! মোদিকে দেখে এগিয়ে এলেন বাইডেন

    ফাইজারের তৈরি অ্যান্টি-ভাইরাল ট্রিটমেন্ট ‘প্যাক্সলোভিড’ (Paxlovid) নেওয়া শুরু করেছেন ৭৯ বছর বর্ষীয় জো বাইডেন। এই প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন বাইডেন। প্রেসিডেন্টের চিকিৎসক কেভিন ও’কনর (Dr. Kevin O’Connor) জানিয়েছেন, বাইডেনের সর্দি লেগেছে, সামান্য শুকনো কাশি রয়েছে এবং ক্লান্তিও রয়েছে। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোভিডজনিত সমস্য়া কমানোর জন্য বিশেষ ধরনের অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ দেওয়া হচ্ছে জো বাইডেনকে। 

    আরও পড়ুন: চিনকে রুখতে বিশেষ পরিকল্পনা জি-৭ গোষ্ঠীর, কী সেই মাস্টার প্ল্যান? 

    হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জঁ-পিয়ের (Jean-Pierre) বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এখন কিছুদিন আইসোলেশনে থাকবেন বাইডেন। আর সেখান থেকেই দায়িত্ব সামলাবেন। সকালে হোয়াইট হাউসের স্টাফসহ অন্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছেন রাষ্ট্রপতি। নির্ধারিত মিটিং করেছেন ফোন এবং জুমে। চারদিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরে শেষে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে ফেরেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর তারপরেই রোগে আক্রান্ত। 

    ট্যুইটারে একটি ভিডিও বার্তায় মার্কিন রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউস থেকে সমস্ত কাজ করবেন। তিনি বলেন, “আমি এই মুহূর্তে কোভিড আক্রান্ত। সামান্য উপসর্গ রয়েছে। আমার কোভিড ভ্যাক্সিনের দুটি ডোজসহ দুটি বুস্টার ডোজ নেওয়া রয়েছে। আপনাদের আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখে আমি অভিভূত। আমি ভালো আছি। অনেক কাজ করছি। খুব দ্রুত সব ঠিক হয়ে যাবে।”  

    [tw]


     [/tw]

    যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ বাড়ছে। এ অবস্থায় সবাইকে কোভিডবিধি (Covid Guidelines) মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।   

     

     

     

  • Jaishankar On LAC: সীমান্ত আগ্রাসন নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের, কী বললেন তিনি?

    Jaishankar On LAC: সীমান্ত আগ্রাসন নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (line of actual control) চিনের (China) এক তরফা আগ্রাসন মেনে নেবে না ভারত (India)। শনিবার এক অনুষ্ঠানে একথা সাফ জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। দিন কয়েক আগেই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী। মোদি সরকারের বর্ষপূর্তিতে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে একটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানে ভারতের মত ব্যক্ত করেছিলেন জয়শঙ্কর। সেই অনুষ্ঠানে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে তিনি বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার বিষয়ে ভারত কখনও তার অবস্থান বদলাবে না। ১৯৬২ সালের পর নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর প্রচুর ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। দেশের সুরক্ষার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন :পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত?

    শনিবার ইস্টার্ন লাদাখ বর্ডার বিবাদ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের একতরফা আগ্রাসন ভারত মেনে নেবে না। তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতেও আমরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা আগ্রাসন রুখে দিয়েছিলাম। বিদেশমন্ত্রী বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর তারা সেনা মোতায়েন করলে, আমরাও পাল্টা সেনা মোতায়েন করি। তার পর থেকে আমরা দু দেশটি বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করেছি। এবং তার ফলে দু দেশের মধ্যে বিতর্কিত অনেক সমস্যাই মেটানো গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে মুখিয়ে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    তিনি বলেন, কোনও কোনও ক্ষেত্রে তারা পিছু হটেছে। কখনও আবার আমরা। এপ্রিল মাসের আগে আমাদের দু দেশের সম্পর্ক যেমন ছিল, এখন আমরা তার থেকে ঢের বেশি এগিয়ে এসেছি। সমস্যা মেটাতে আমাদের উপযুক্ত সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। বিদেশমন্ত্রী বলেন, কাজটা কঠিন। ধৈর্যের কাজ। কিন্তু একটা বিষয়ে আমরা একমত, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের একতরফা আগ্রাসন আমরা কখনওই মেনে নেব না।

     

  • Everest Base Camp: বিশ্ব উষ্ণায়নে গলছে হিমবাহ, জায়গা বদল হচ্ছে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের?

    Everest Base Camp: বিশ্ব উষ্ণায়নে গলছে হিমবাহ, জায়গা বদল হচ্ছে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এভারেস্টের বেস ক্যাম্প (Everest base camp) সরিয়ে নিচ্ছে নেপাল (Nepal)। ২০২৪ সাল নাগাদ বেস ক্যাম্প সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে নেপাল প্রশাসন। বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং মানুষের যাতায়াত বেড়ে যাওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে।  

    এই মুহূর্তে বেস ক্যাম্পটি রয়েছে খুম্বু হিমবাহের (Khumbu Glacier) ওপরে। বসন্তকালে এই অঞ্চলে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্বতারোহীরা। তখন তাঁরা এই বেস ক্যাম্পটিই ব্যবহার করে থাকেন। এবছর প্রায় দেড় হাজার মানুষ এই বেস ক্যাম্পটি ব্যবহার করেছেন। নেপালের পর্যটন দফতরের মুখ্য আধিকারিক তারানাথ অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে জানান, তুলনামূলক কম উচ্চতায় একটি নতুন স্থান বেছে নেওয়া হবে। যেখানে সারা বছর বরফ থাকে না। বর্তমান বেস ক্যাম্পটি পাঁচ হাজার ৩৬৪ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। উষ্ণায়নের ফলে ক্রমাগত বরফ গলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হিমবাহটি। 

    আরও পড়ুন: খোঁজ মিলল নেপালের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের, ১৪টি ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার

    পর্বতারোহীদের অভিযোগ, ক্যাম্পে ঘুমানোর সময়ও তুষারধসের আতঙ্ক তাঁদের তাড়া করে বেড়ায়। তারানাথ এবিষয়ে বলেন, বেস ক্যাম্পের জন্য বাছাই করা নতুন জায়গাটি বর্তমান ক্যাম্প থেকে ২০০ থেকে ৪০০ মিটার নীচে। সারা বছর সেখানে তুষারপাতও হয় না। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে বেস ক্যাম্প স্থানান্তরের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং পরামর্শ করা হচ্ছে।

    এর আগে ২০১৮ সালে লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছিলেন, খুম্বু হিমবাহে প্রতিবছর ৯৫ লক্ষ কিউবিক মিটার জল কমছে। আধিকারিক বলেন, “দেশের পর্বতারোহণের ব্যবসা এবং পর্বতারোহীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।”  

    আরও পড়ুন: কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    ১৯৫৩ সালে তেনজিং নোরগে, এডমন্ড হিলারিদের সময় বেস ক্যাম্প যেখানে ছিল তার থেকে বর্তমানের বেস ক্যাম্পটি ৫০ মিটার নীচে। লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর বেস ক্যাম্প অঞ্চলের বরফ প্রতিবছর ১ মিটার করে পাতলা হচ্ছে। আর তাতেই চিন্তিত নেপাল প্রশাসন। পর্বতারোহীদের জন্যে বর্তমানের বেস ক্যাম্পটিকে আর নিরাপদ মনে করছে না তারা।    

    তারানাথ অধিকারী বলেন, “বরফ গললে তার ওপরে থাকা বড় বড় বোল্ডার এবং পাথর নিচে গড়িয়ে পড়ে। আর সেটাই সব থেকে ভয়ের। জলের পরিমাণও প্রচুর বৃদ্ধি পায়।”

     

  • Sri Lanka Crisis: কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা

    Sri Lanka Crisis: কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বালানি তেলের সংকটে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য। আর্থিক সংকটে জর্জরিত দেশ। জ্বালানি তেলেরও আকাল। আগেই জানানো হয়েছিল চাইলেই মিলবে জ্বালানি তেল (fuel crisis)। এবার জ্বালানি তেলের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল শ্রীলঙ্কা সরকার (Sri Lanka government)। শুধু আপৎকালীন পরিষেবায় যুক্ত গাড়িগুলি একমাত্র পেট্রল, ডিজেল পাবে। সে কারণেই সমস্ত বেসরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সরকারি মুখপাত্র বান্দুলা গুনাওয়ারদানা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরী পরিষেবা ছাড়া কাউকে জ্বালানি তেল বিক্রি করা হবে না। কারন যেটুকু তেল রয়েছে তা বাঁচিয়ে রাখতে চাইছে সরকার। দেশবাসীর অসুবিধার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছে সরকার।

    এদিকে বিভিন্ন পেট্রল পাম্পের সামনে ইতিমধ্যেই গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে।  দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা।  গত সপ্তাহেই সমস্ত সরকারি স্কুল বন্ধের নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। কিছু অফিস স্বল্প সংখ্যক কর্মী দিয়ে চলছিল। এবার সকল সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকেই কাজ করার কথা বলা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    দেশে জ্বালানির ভাণ্ডার বাড়ন্ত। এমন অবস্থায় রাশিয়া থেকে কম দামে তেল (Russian Crude Oil) কিনে অবস্থা সামাল দিতে চেষ্টা করছে শ্রীলঙ্কা। ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের সঙ্গে তেল কেনার বিষয়ে আলোচনা করতে রাশিয়া (Russia) রওনা দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার দুই মন্ত্রী। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে রুশ তেলের দাম অনেকটাই কমেছে। সেই কারণেই সস্তায় তেল কিনতে তৎপর ঋণের বোঝায় জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র। বিদেশি মুদ্রাও শেষ হয়ে গিয়েছে তাদের। 

    আরও পড়ুন: আর্থিক সঙ্কটে পড়ে নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা

    যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) আবহে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে তেলের দাম। এদিকে জ্বালানি না থাকার ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। পেট্রল কিনতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই মৃত্যু হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ অবস্থা ভয়াবহ। শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka Crisis) বিদ্যুৎ মন্ত্রী কাঞ্চনা বিজেসেকারা জানিয়েছেন, দু’জন মন্ত্রী রাশিয়ায় যাচ্ছেন। তেল কেনা নিয়ে সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তাঁরা।

  • India US relation: ভারতের পাশে রয়েছে আমেরিকা, জানালেন মার্কিন কর্তা

    India US relation: ভারতের পাশে রয়েছে আমেরিকা, জানালেন মার্কিন কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) পাশে রয়েছে আমেরিকা (America)। সম্প্রতি একথা জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। রাশিয়া (Russia) -ভারত সম্পর্ক বহু পুরানো। তখন বন্ধু (Partner) খুঁজতে তারা প্রস্তুত ছিল না বলেও জানিয়েছে আমেরিকা।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বদলে গিয়েছে বিশ্বরাজনীতি। গোটা বিশ্ব ভাগ হয়ে গিয়েছে আড়াআড়িভাবে। একটা অংশ দাঁড়িয়েছে ইউক্রেনের পাশে। আর একটি অংশ রাশিয়ার পাশে। ইউক্রেনের পাশে রয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকা। এমতাবস্থায় ভারত এখনও সম্পর্ক রেখে চলেছে রাশিয়ার সঙ্গে। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসনের যে নিষেধাজ্ঞা কানে তোলেনি সাউথব্লক। যুদ্ধের আবহেও নিয়মিত জ্বালানি কিনে চলেছে ভারত। এ নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারির মুখেও পড়তে হয়েছে। তার পরেও দমানো যায়নি মোদির ভারতকে। কূটনৈতিক মহলের মতে, তাই ভারতের সঙ্গে ‘সন্ধি’ করতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন,  আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে নানা বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। মস্কোর সঙ্গে বিভিন্ন দেশ আলাদা আলাদা সম্পর্ক রেখে চলেছে।

    এক সময় সৌদি আরব থেকে প্রচুর পরিমাণ তেল কিনত ভারত। তবে বর্তমানে সৌদি আরবকে পিছনে ফেলে দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার জেরে মার্কিন ডলারে তেল কেনা যাচ্ছে না রাশিয়া থেকে। প্রত্যাশিতভাবেই সস্তা হয়েছে পুতিনের দেশের তেল। এই পরিস্থিতিতে তেলের ভাঁড়ার পূরণ করে নিতে মরিয়া ভারত। সেই কারণেই এখন রুপি-রুবেল মেকানিজম দিয়ে লেনাদেনা চালিয়ে যাচ্ছে মোদির ভারত ও পুতিনের রাশিয়া। কূটনৈতিক মহলের মতে, এটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকার।

    আরও পড়ুন : ভারতকে না কেনার হুঁশিয়ারি দিয়ে যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া থেকে বেশি তেল কিনেছে আমেরিকা!

    প্রাইস বলেন, ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক কয়েক দশকের পুরানো। এই সম্পর্ক এমন সময় বিকশিত হয়েছিল যখন আমেরিকা বন্ধু বেছে নিতে প্রস্তুত ছিল না। বর্তমানে এই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমরা যে বন্ধুত্বে আগ্রহী, সে কথা আমরা আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের জানিয়ে দিয়েছি।

     

  • Pakistan FATF Grey List: এখনই ধূসর তালিকামুক্ত হচ্ছে না পাকিস্তান, জানাল এফএটিএফ 

    Pakistan FATF Grey List: এখনই ধূসর তালিকামুক্ত হচ্ছে না পাকিস্তান, জানাল এফএটিএফ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর (Terror Funding) অভিযোগ উঠেছে বারংবার। তার পরেও পাকিস্তানের (Pakistan) মাথা থেকে সরেনি ‘সন্ত্রাসবাদের আঁতুড় ঘরে’র তকমা। নিজেকে শুধরে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর একাধিক শর্ত আরোপ করেছিল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ (FATF)। পাকিস্তানকে তারা রেখে দিয়েছিল ধূসর তালিকায়। এই তালিকা থেকে এখনই সরানো হচ্ছে না পাকিস্তানের নাম। শর্ত পূরণ হয়েছে কিনা, তা দেখেই ব্যবস্থা নেবে এফএটিএফ।

    আরও পড়ুন : ভারতকে বন্ধু হিসেবে চায় পাকিস্তান! বেনজির-পুত্রর মন্তব্যে বরফ গলার ইঙ্গিত?

    এফএটিএফের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ২০৬ জন। এর মধ্যে রয়েছেন আইএমএফ, রাষ্ট্রসংঘ, বিশ্বব্যাংক সহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। এফএএফটির প্রেসিডেন্ট মার্কাস প্লেয়ারের নেতৃত্বে সম্প্রতি বসেছিল পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। এই অধিবেশনেই অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে আলোচনা হয় পাকিস্তান নিয়েও। ঠিক হয়, পাকিস্তান যথাযথভাবে সব শর্ত মেনেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে সে দেশে যাবে এফএটিএফের প্রতিনিধি দল। শর্তপূরণ করলে তবেই অক্টোবরের দিকে ধূসর তালিকা থেকে সরানো হতে পারে শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) দেশের নাম। মার্কাস বলেন, পাকিস্তানকে এখনই ধূসর তালিকা থেকে সরানো হচ্ছে না। শর্ত পূরণে যথাযথ পদক্ষেপ করা হয়েছে কিনা, তা দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন : “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    জন্মলগ্ন থেকেই নানা কারণে সন্ত্রাসবাদে মদতদাতা বিভিন্ন দেশের তালিকায় ঢুকে গিয়েছে পাকিস্তানের নাম। বিশ্বের একাধিক কুখ্যাত জঙ্গির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়েছে শেহবাজের দেশ। ভিন দেশেও যে সব জঙ্গির ঠাঁই হয়েছে, পাকিস্তান তাদেরও নিয়মিত অর্থ জুগিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। ইসলামবাদ জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে বিশ্ব দরবারে একাধিকবার সরব হয়েছে ভারত (India)। তার পরেও ইসলামাবাদ সন্ত্রাসবাদে অর্থ সাহায্য বন্ধ করেনি বলে অভিযোগ।

    এফএটিএফ কোনও দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করার আগে দুটি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। একটি হল ‘ধূসর তালিকা’, অন্যটি ‘আরও বেশি ধূসর’। এই দুই তালিকাভুক্ত করে কোনও দেশকে দুবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তার পরেও কাজ না হলে ওই দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। অনেক আগেই এফএটিএফের তরফে ইসলামবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, শর্ত ঠিক মতো পালন না করলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। গত চার বছর ধরে এফটিএফের ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। শেষমেশ ঘটতে চলেছে ‘শাপমুক্তি’! তবে এখনই নয়।

     

  • Dinosaur Fossil: ৯৮ মিলিয়ন বছর পুরনো ডাইনোসরের জীবাশ্মের  সন্ধান পাওয়া গেল সাহারায়

    Dinosaur Fossil: ৯৮ মিলিয়ন বছর পুরনো ডাইনোসরের জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া গেল সাহারায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাইনোসর বিশ্বের বিলুপ্ত প্রাণী। কিন্তু ডাইনোসরকে নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। এরইমধ্যে এক আশ্চর্যকর তথ্য ঘোষণা করলেন ইজিপসিয়ান-আমেরিকার গবেষকদের দল। তাঁরা জানান, গত বুধবার, ইজিপ্টের (Egypt) সাহারা মরুভূমির (Sahara Desert) বাহারিয়া নামক জায়গা থেকে ৯৮ মিলিয়ন পুরনো নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্ম উদ্ধার করা হয়েছে। এই বাহারিয়া ফরমেশন জায়গাটি জীবাশ্মের জন্য বিখ্যাত ও এখানে এর আগেও বিভিন্ন প্রজাতির জীবজন্তুর জীবাশ্ম উদ্ধার করা হয়েছে। এবারে এখানে খননকার্য চালিয়ে এই নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্ম উদ্ধার করেছেন। যদিও এই প্রজাতির নামকরণ এখনও করা হয়নি, তবে এটি থেরোপডস প্রজাতির আবেলিসৌরিদ (abelisaurid) গোষ্ঠীর অন্তর্গত এবং যেই পাথরে এই জীবাশ্মটি পাওয়া গিয়েছে সেটি ক্রিটেশিয়াস (Cretaceous) যুগের।

    আরও পড়ুন: গ্রহাণুর আঘাতেই কি বিলুপ্ত হয়েছে ডায়নোসর? নিদর্শন মিলল ফসিল সাইটে

    এই গবেষনার লিডার জানিয়েছেন যে, এই আবিষ্কারের একটি আশ্চর্যকর তথ্য হল যে, এই জায়গাতেই একসঙ্গে অনেক মাংসাশী ডাইনোসর একই সময়ে বসবাস করতে সক্ষম ছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, মধ্য ক্রিটেশিয়াস যুগে এই বাহারিয়া মরুদ্যানটি (Bahariya Oasis) পৃথিবীর অন্যতম ভয়ঙ্কর জায়গা ছিল। একই সময়ে একসঙ্গে অনেক বিশালাকৃতির ডাইনোসর কিভাবে বসবাস করতে পারত, সেটিই একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। যদিও ধারণা করা হয়েছে, তাদের শিকার হয়ত বিভিন্ন ধরণের ছিল বলেই তারা একসঙ্গে বসবাস করতে পারত। গবেষকরা জানিয়েছেন, বাহারিয়াতে এটিই শুধুমাত্র উদ্ধার করা হয়নি, এর আগেও এই জায়গা থেকে অনেক জীবাশ্ম উদ্ধার করা হয়েছে।

    এই নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্ম থেকে বোঝা যায়, এটির দৈর্ঘ প্রায় ৬মিটার। এর মুখ বুলডগের মুখের ন্যায় ও এর ছোট আকৃতির দাঁত ও  ছোট হাত ছিল। এই আবেলিসৌরিদ গোষ্ঠীর জীবাশ্ম উদ্ধারের পর জানা যায়, এই জায়গায় একসময়ে এর চেয়েও বড় আকৃতির ডাইনোসর ঘুরে বেড়াত। ২০২২ সালেও এত বছর পুরনো ডাইনোসরের জীবাশ্ম পাওয়ার পর মানুষের কৌতূহল আরও বেড়ে গিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আর কী কী উদ্ধার করা হবে তা নিয়েই বিশেষ আগ্রহী হয়ে পড়েছে মানুষ।

    আরও পড়ুন: বিলুপ্তির ৭০ বছর পর ফের ভারতে আসতে চলেছে চিতা?

     

  • China: বুমেরাং হচ্ছে চিনা ঋণের ফাঁদ?

    China: বুমেরাং হচ্ছে চিনা ঋণের ফাঁদ?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলিকে ঋণের ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিল ড্রাগনের দেশ। বর্তমানে সেটাই কাল হয়েছে চিনের। এক সময় যে দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিল তারা, সে সব দেশেই আক্রান্ত হচ্ছে চিন।

    আরও পড়ুন : চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?

    সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো যেসব দেশ চিনা ঋণের ফাঁদে পা দিয়েছে, সেসব দেশে আক্রান্ত হচ্ছেন চিনা নাগরিকরা। গত মাসে পাকিস্তানে হামলায় অন্তত তিনজন চিনা নাগরিক খুন হন। ২৬ এপ্রিল বোরখা পরা বালুচ লিবারেশন আর্মির আত্মঘাতী বাহিনীর এক সদস্যের হামলায় নিহত হন তিন চিনা শিক্ষক। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের একটি যাত্রিবাহী বাসে বিস্ফোরণ ঘটালে মারা যান তাঁরা। ওই ঘটনায় জখমও হন এক চিনা নাগরিক। এই বালুচ লিবারেশন আর্মি চিন পাকিস্তান ইকনমিক করিডর নির্মাণের ঘোরতর বিরোধী। তার প্রমাণ ২০২১ সালের একটি ঘটনা। ওই বছর পাকিস্তানের ডাসু জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি বাসে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হন ৯ জন চিনা প্রযুক্তিবিদ। ওই ঘটনায় মোটা অঙ্কের টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। ওই বছরেরই শেষের দিকে অপ্রয়োজনীয় চেক পয়েন্ট অপসারণের দাবি এবং চিনা মাছ ধরার ট্রলার দেওয়ার বিরোধিতায় গদর এলাকায় ব্যাপক আন্দোলন হয়। করিডরের বিরোধিতা করেও সংগঠিত হয়েছিল ব্যাপক আন্দোলন।

    অন্য একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মহেন্দ্র রাজাপক্ষে চিনপন্থী। কিছুদিন আগেই সরকার বিরোধী আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করেন তিনি। এর পরেই শ্রীলঙ্কায় কর্মরত চিনা নাগরিকদের সতর্ক করে দেয় ড্রাগন প্রশাসন।

    আরও পড়ুন : এখন শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চাইছে চিন!

    শ্রীলঙ্কাবাসীর সিংহভাগই মনে করে চিনা ঋণের ফাঁদে পা দিয়েই দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দেশ। অর্থনৈতিক দুর্দশা থেকে দেশকে টেনে তুলতে বেজিংয়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। অভিযোগ, সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় বেজিং। তাতেই আরও ক্ষোভ বেড়েছে কলম্বোর। যার জেরে চিনা নগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছেন ড্রাগন প্রশাসন।

     

  • Al Qaeda: এবার বাংলাদেশকেও হুমকি চিঠি আল কায়দার!

    Al Qaeda: এবার বাংলাদেশকেও হুমকি চিঠি আল কায়দার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (india) পর এবার বাংলাদেশ (bangladesh)। নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দার (Al Qaeda) শাখা সংগঠন ‘আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট’ বা আকিস (AQIS) হুমকি শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দেশকে। বুধবারই নূপুর শর্মাকাণ্ডে (Nupur Sharma) ভারতকে হুমকি চিঠি দিয়েছিল এই জঙ্গি সংগঠন। এবার একই চিঠি দেওয়া হল ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রকেও।

    ৬ জুন ভারতকে পাঠানো হুমকি চিঠিতে আল কায়দা জানিয়েছে, নবীর (Prophet) সম্মানের জন্য এই লড়াই। দিল্লি, মুম্বই, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাটের বিভিন্ন শহরে আত্মঘাতী হামলা চালানো হবে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, হিন্দুত্ববাদীরা (Hindutva) আল্লার শরিয়ত (Shariat) বিরোধী। ভারতীয় চ্যানেলে মহম্মদ ও তাঁর স্ত্রীকে অত্যন্ত খারাপ ভাষায় অপমান করা হয়েছে।

    বিশ্বজুড়ে সমস্ত মুসলিমের হৃদয় রক্তাক্ত হয়েছে। তাঁদের মন প্রতিহিংসায় পরিপূর্ণ। এর বদলা অবশ্যই নেওয়া হবে। চিঠিতে এও বলা হয়েছে, বিশ্বের সব উদ্ধত হিন্দুবাদী সন্ত্রাসী যারা ভারতকে কব্জা করে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়ব। নবীর সম্মানের জন্য সকলকে এই লড়াইয়ে যোগ দিতে বলব। নবীর সম্মানে মৃত্যুবরণ করতে বলব। যাঁরা আমাদের প্রিয় নবীকে অসম্মান করেছে, তাদের হত্যা করব। নিজেদের এবং শিশুদের শরীরে বিস্ফোরক বেঁধে পাঠাব। যারা আমাদের নবীকে অবমাননা করেছে তাদের নিস্তার নেই।

    আরও পড়ুন :পয়গম্বরকে অবমাননার ‘বদলা’! ভারতে নাশকতার হুমকি-চিঠি আল-কায়দার

    ভারতকে এই হুমকি চিঠি পাঠানোর পরপরই চিঠি পাঠানো হল বাংলাদেশকে। বাংলাদেশে ৭ নির্দোষ ব্যক্তিকে কেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জঙ্গি সংগঠন। বাংলাদেশ সরকার হিন্দুত্বের এজেন্টের মতো আচরণ করছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে আল কায়দার তরফে। ইসলামের নিন্দাকারীদের শাস্তি দেওয়ায় কেন বাংলাদেশ সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পাল্টা শাস্তি দিল, সে প্রশ্নও তুলেছে আল কায়দা। বাংলাদেশ হিন্দুত্বের এজেন্ট বলেও মন্তব্য করেছে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠনটি।

    আরও পড়ুন : কর্নাটক হিজাব বিতর্কে মুণ্ডুচ্ছেদের হুমকি, গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতা

    ঈশ্বর নিন্দা (Blasphemy) করায় ২০১৪ ও তার পরের বছর হত্যা করা হয় লিজিয়ন ও বিজয়কে। বাংলাদেশ সরকার হত্যাকারীদের ফাঁসি দেয়। সেই কারণেই আকিস হুমকি চিঠি দিয়েছে হাসিনার সরকারকে।

  • Dinesh Gunawardena: শপথ নিলেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী, জানেন কি দীনেশ গুণবর্ধনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক

    Dinesh Gunawardena: শপথ নিলেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী, জানেন কি দীনেশ গুণবর্ধনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী (Sri Lanka Prime Minister) দীনেশ গুণবর্ধনে (Dinesh Gunawardena)। শুক্রবার শপথগ্রহণ করলেন তিনি। ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে (Ranil Wickremesinghe) দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন পরই গুণবর্ধনেকে নিয়োগ করা হয়। ২০২০ সালের সংসদ নির্বাচনের পর গুণবর্ধনে বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কয়েক মাস আগে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রক। গত এপ্রিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও হন তিনি। এবার দ্বীপরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমসিংহে তাঁকে বেছে নিলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। সূত্রের খবর, যে যতক্ষণ দেশের বিরোধী দলগুলি দেশ চালাতে সহযোগিতা না করছে, ততক্ষণ পুরনো মন্ত্রিসভার সদস্যদের দিয়ে কাজ চালাবেন বলে জানিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট।

    [tw]


    [/tw]

    গুণবর্ধনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বহুদিনের। তাঁর বাবা ফিলিপ গুণবর্ধনে ছিলেন ভারতীয় রাজনীতিবিদ জয়প্রকাশ নারায়ণ ও ভিকে কৃষ্ণা মেননের সহপাঠী। ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াইও করেছেন ফিলিপ ও তাঁর স্ত্রী। শ্রীলঙ্কায় সমাজতন্ত্রের জনক (father of socialism in Sri Lanka) ছিলেন ফিলিপ গুণবর্ধনে। দক্ষিণ এশিয়াকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৩ সালে ফিলিপ ও তাঁর স্ত্রী কুসুমা ব্রিটিশদের নজর এড়িয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে আসেন। ভারতের স্বাধীনতার জন্য গোপনে লড়াইও করেন তাঁরা। ব্রিটিশ পুলিশ তাঁদের ধরে ফেলে। তৎকালীন বম্বের আর্থার রোড জেলে বন্দি করে রাখা হয় তাঁদের। পরে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয়। স্বাধীনতার পর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ফিলিপ এবং তাঁর স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আসেন। দীনেশ গুণবর্ধনের ভাবমূর্তিও তাঁর বাবার মতোই স্বচ্ছ্ব। শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রীও যে ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব বজায় রাখবেন তা আশা করাই যায়।

    আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে নির্বাচনের ঘণ্টা, বাদ সাধতে পারে চিল্লাই কলন!

    সূত্রের খবর, গুণবর্ধনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় দেশে নতুন করে বিক্ষোভের সূচনা হতে পারে বলেও মনে করছে দ্বীপরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা। নতুন প্রধানমন্ত্রী শুধু পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের ঘনিষ্ঠই নন, তাঁর দল এসএলপিপি-র সদস্যও বটে। দ্বীপরাষ্ট্রের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষই দায়ি বলে মনে করেন দেশের অধিকাংশ মানুষ। এই অবস্থায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠকে আদৌও দেশের জনতা মেনে নেবেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সন্দেহ।

LinkedIn
Share