Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • China Bank Crisis: ব্যাংক বাঁচাতে ট্যাংক মোতায়েন চিনে, উসকে দিল তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের স্মৃতি

    China Bank Crisis: ব্যাংক বাঁচাতে ট্যাংক মোতায়েন চিনে, উসকে দিল তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের স্মৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাংক (Bank) বাঁচাতে ট্যাংক মোতায়েন করল চিনের (China) কমিউনিস্ট (Communist) শাসক। যা দেখে বিশ্ববাসীর মনে ভেসে উঠছে চিনেরই তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের স্মৃতি। ছাত্র বিক্ষোভ দমন করতে তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে নির্বিচারে ট্যাংক (Tank) দেগেছিল সে দেশের কমিউনিস্ট সরকার। প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় দশ হাজার ছাত্র। ব্যাংক বাঁচাতে ট্যাংক মোয়ায়েন করায় ফের উসকে উঠল তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি।

    চিনে ভেঙে পড়ার মুখে ব্যাংকিং ব্যবস্থা। গ্রামীণ ব্যাংকগুলিতে আমানতকারীদের জমা রাখা অর্থ ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। এর বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে মধ্য চিনের হেনান প্রদেশে। ঘটনার প্রতিবাদে সম্প্রতি হাজারেরও বেশি প্রতিবাদী হেনানের রাজধানী ঝেংঝাউতে ব্যাংকে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান।

    আরও পড়ুন : শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    সূত্রের খবর, জনরোষ অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়তে পারে আঁচ করে শানডং প্রদেশের রিঝাও অঞ্চলের একটি ব্যাংকের সামনে ট্যাংক মোতায়েন করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর সম্প্রতি একটি বড়সড় আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়িয়েছে চিনের এই ব্যাংকটির। কষ্টার্জিত আমানত খুইয়ে ক্ষোভ উগরে দেন ব্যাংকটির গ্রাহকরা। বিক্ষোভ দেখাতে রিঝাও অঞ্চলে ব্যাংকটির স্থানীয় শাখার সামনে জড়োও হন আমানতকারীরা। যদিও তাঁদের ব্যাংকের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ব্যাংকের সামনে মোতায়েন করা ছিল বেশ কয়েকটি ট্যাংক ও সেনা জওয়ান। ট্যাংক এবং সেনার সমাবেশ থেকে আর প্রতিবাদ করার সাহস পাননি সর্বস্ব খোয়ানো আমানতকারীরা।  

    আরও পড়ুন : বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দেশের একাধিক ব্যাংক দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়িয়েছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাবশালীদের। তবে এ খবর চাপা ছিল দীর্ঘদিন। খবরটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে এপ্রিল মাসে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হেনান ও আনহুই প্রদেশের কয়েকটি ব্যাংকে আমানতকারীদের লেনদেন করতে দেওয়া হচ্ছে না। পরে বেশ কয়েকটি ব্যাংকেও এই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। সেই সব অভিযোগ যাতে ‘বিপ্লবে’র আকার ধারণ করতে না পারে, তাই কি ট্যাংক এবং সেনা মোতায়েন কমিউনিস্ট শাসকের? উঠছে প্রশ্ন।

     

  • Pakistan: ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে ভারতকে জ্ঞান! মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, হিন্দু মন্দিরে হামলা

    Pakistan: ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে ভারতকে জ্ঞান! মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, হিন্দু মন্দিরে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) ফের হামলা হল হিন্দু মন্দিরে (Hindu temple attacked)। ফের আতঙ্কিত পাকিস্তানি সংখ্যালঘুরা।  বুধবার করাচির (Karachi) কোরাঙ্গি (Korangi) এলাকার শ্রী মারি মাতা মন্দিরে (Shri Mari Maata Temple) ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ভাঙা হয়েছে দেবতার মূর্তি (idols deities vandalised)। ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় পৌঁছে মন্দির ঘিরে ফেলে। পাশাপাশি এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    প্রাথমিক তদন্তের পরে করাচি পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ৭-৮ জন ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাদের খোঁজে তদন্ত চলছে। ওই এলাকার এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ছয় থেকে আটজন লোক মোটরসাইকেলে চেপে এসে মন্দিরে হামলা চালায়। কোরাঙ্গির এসএইচও ফারুক সানজরানি জানিয়েছেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।   

    আরও পড়ুন: হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    গত বছরই পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের করক জেলায় শ্রী পরমহংসজি মহারাজের (Paramhansaji Maharaj) সমাধি এবং কৃষ্ণদ্বার মন্দিরে (Krishnadwar Temple) ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল পাক শীর্ষ আদালত। আদালত পাক সরকারকে মন্দির সংস্কারের নির্দেশ দেয়।

    এক হিন্দু কিশোরের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে গতবছরই রহিম ইয়ার খান জেলার গনেশ মন্দিরে হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা। ভাঙচুরের পাশাপাশি মন্দিরের একাংশে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিছুদিন আগেই পাক সন্ত্রাসদমন আদালত ওই ঘটনায় ২২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের জেলের সাজা দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পাঠানো হচ্ছে ফাঁকা ড্রোন, ভারতে ফিরছে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক বয়ে!

    কিছুদিন আগেই ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে ভারতের দিকে আক্রমণ শানিয়েছিল পাকিস্তান। সেই পাকিস্তানেই আক্রান্ত সংখ্যালঘু ধর্মীয় বিশ্বাস। নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) মন্তব্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সরব হয়েছে পাকিস্তান। যদিও ভারত পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিয়ে বলে, তাদের দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের যত্ন নিতে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মুখ পুড়ল পাক সরকারের। 

    পাকিস্তানে প্রায়ই হিন্দু মন্দিরগুলি আক্রান্ত হয়। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে সিন্ধু নদীর (Indus River) তীরে কোটরিতে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মন্দিরও ভাঙচুর করা হয়েছিল। 
     

     

  • Bangladesh Fire: বাংলাদেশের রাসায়নিক ডিপোয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত ৪১

    Bangladesh Fire: বাংলাদেশের রাসায়নিক ডিপোয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত ৪১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) দক্ষিণে চট্টগ্রামের (Chittagong) সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত বহু। আহত চার শতাধিক। বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৪১। তবে বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্য়া প্রায় পঞ্চাশেরও বেশি হতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    মৃতদের মধ্যে ৯ জন ছিলেন দমকল কর্মী এবং ঘটনায় সাড়ে চারশোর বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি শনিবার ঘটে। জানা গিয়েছে, একটি রাসায়নিক কনটেনার ডিপোতে (Chemical Container Depot) একাধিক বিস্ফোরণের পর এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই কন্টেনার ডিপোতে কম করে ৬০০ জন ব্যক্তি কাজ করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা পরে আরও বাড়তে পারে।

    [tw]


    [/tw]

    ডিপোর ডিরেক্টর মহম্মদ মাইনুদ্দিন (Mohammad Moinuddin) বলেন, “রাসায়নিক পদার্থ হাইড্রোজেন পারক্সাইড (hydrogen peroxide)-এর ফলেই আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, দমকল কর্মীরা শনিবার থেকেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করে চলেছে।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রাথমিক বিস্ফোরণের জেরে চার কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা কেঁপে উঠেছিল। তাঁরা জানিয়েছেন, আশা করা হচ্ছে যে দমকল কর্মীরা আজ রাতের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে। আশেপাশের কোনও খাঁড়ি ও বঙ্গোপসাগরে যাতে কোনও ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে না যায় সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

    সীতাকুণ্ডের (Sitakunda) বিএম কনটেনার ডিপোর (BM Container Depot) অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই দমকলকর্মীরা ছুটে যান কিন্তু সেই আগুনেই মারা যায় নয় জন দমকল কর্মী। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম, যেখানে একসঙ্গে এতজন দমকল কর্মী প্রাণ হারালেন।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে বিধ্বংসী আগুনে মৃত ২৭, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    চট্টগ্রাম হাসপাতালে (সিএমএইচ) দমকল কর্মীসহ আহতদের চিকিৎসা চলছে। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সামরিক হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার (ডিসি) আশরাফ উদ্দিন বলেছেন যে, নিহতদের পরিবারকে ডিসি কার্যালয় থেকে ৫৬০ মার্কিন ডলার (৫০,০০০ বাংলাদেশি টাকা) এবং আহতদের পরিবারকে ২২৪ মার্কিন ডলার (২০,০০০ বাংলাদেশি টাকা) দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: দাবানলের আঁচে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, কাঁপল কাশ্মীরের পুঞ্চ

    বিএম কন্টেনার ডিপোর পরিচালক মজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, “কী কারণে আগুন লেগেছে তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু আমার মনে হয় আগুনের সূত্রপাত কন্টেনার থেকে। আহতদের ভালে চিকিৎসা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসার পুরো খরচ আমরা বহন করব। যাঁরা দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁদের সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে,” একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, “এছাড়া, আমরা সব নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেব।”

     

  • Battle of Haifa: কীভাবে কয়েকজন ভারতীয় বদলে দিয়েছিল হাইফার ভাগ্য, একনজরে সেই ইতিহাস

    Battle of Haifa: কীভাবে কয়েকজন ভারতীয় বদলে দিয়েছিল হাইফার ভাগ্য, একনজরে সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, ইজরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ হাইফা বন্দর (Haifa Port) কিনেছে ভারতের আদানি গোষ্ঠী (Adani Group)। কিন্তু, ভারতের সঙ্গে এই ঐতিহাসিক বন্দরের সম্পর্ক আজকের নয়। তা জানতে হলে ফিরে যেতে হবে ১০০ বছর আগে— যখন অটোমান এবং জার্মানদের হাত থেকে এই বন্দর উদ্ধার করেছিল ভারতীয় ঘোড়সওয়ার সেনা। ইতিহাসের সরণী বেয়ে ফিরে দেখা যাক সেই ঘটনা—

    সময়টা ১৯১৮। আজ থেকে ১০০ বছরেরও বেশি আগে। ২৩ সেপ্টেম্বর শুধুমাত্র বল্লম সম্বল করে ভারতীয় ঘোড়সওয়ার সেনারা (Cavalry) মেশিনগানধারী জার্মান-অটোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মুক্ত করেছিল ইজরায়েলের (Israel) হাইফা শহরকে। এই ঘটনা বদলে দেয় সেনার ইতিহাস। এই ঘটনার দুমাস পরেই শেষ হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। পৃথিবী এমনভাবে বদলে যায়, যার কল্পনা কেউ কোনওদিন করেনি। ভারতীয়রা ইজরায়েলে আজ কেন এত সমাদৃত, তা বুঝতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে আজ থেকে ১০০ বছর পিছনে।

    আরও পড়ুন: বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি

    প্রেক্ষাপট

    ইজরায়েলের হাইফা শহর তখন জার্মান এবং তুর্কিদের দখলে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের উত্তেজনা তখন মধ্যগগনে। বিশ্বের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলিকে তখন দখলের চেষ্টায় রয়েছে অ্যালাইড ফোর্স বা মিত্র সেনা এবং সেন্ট্রাল পাওয়ারের দেশগুলি। কারণ বন্দরগুলিকে দখল করতে পারলে শহর দখল করা সহজ হয়। পক্ষান্তরে যুদ্ধ জেতা সহজ হত। হাইফা তৎকালীন সময়ে বাণিজ্য ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্দর ছিল।

    মিত্র বাহিনীর অন্তর্গত ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন এবং রাশিয়ার নজরে ছিল হাইফা, নাজারেথ এবং দামাস্কাস। এই হাইফা এবং নাজারেথ বর্তমান ইজরায়েলের অংশ। দামাস্কাস বর্তমান সিরিয়ার রাজধানী। জার্মান- অটোমানদের থেকে এই হাইফা বন্দর ছিনিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব পড়ে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনের অধীনস্থ ফিফটিনথ ক্যাভালরি ব্রিগেডের ওপরে। 

    হায়দ্রাবাদ, মাইসোর, পাটিয়ালা, আলওয়ার এবং যোধপুর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ইম্পেরিয়াল সার্ভিস ট্রুপের অন্তর্গত এই বল্লমধারী ঘোড়সওয়ার সেনাদের। ভারতীয় বল্লমধারী সেনাদের নিয়ে গঠিত এই ঘোড়সওয়ার সেনাবাহিনীকে হাইফা বন্দর আক্রমণের নির্দেশ দেয় ইংরেজ সরকার। কারণ তখন ইংরেজ সৈনিকরা অন্যত্র পাহারায় ব্যস্ত ছিল। 

    কিন্তু এ ছিল এক অসম্ভব এবং অসম যুদ্ধ। কারণ হাইফা শহরের একটু আগেই কারমেল পর্বতে, যুদ্ধের জন্যে সুবিধাজনক উঁচু স্থানে পাহাড়ায় ছিল জার্মান, অস্ট্রিয়ান এবং অটোমান সেনারা। তাদের হাতে ছিল উন্নত আর্টিলারিগান, মেশিনগান। আর ভারতীয় সেনাদের ভরসা শুধুই বল্লম। ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে পাহাড় চড়াও প্রায় এক অসম্ভব কাজ। যেন এক ‘সুইসাইডাল মিশন’। কিন্তু সেদিন এই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছিল ভারতীয় সেনা।   

    যুদ্ধ

    ভারতীয় সেনারা জানতে পারেন, অটোমানরা পাহাড়ের ঢালু অংশের দিকে সবথেকে বেশি মাশিগানধারী সেনা মোতায়েন করেছে। কামান নিয়ে সেনারা পাহাড়ের চার জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। মাইসোর ল্যান্সারদের ওপর মেশিনগানধারী সেনাদের পূর্ব দিক থেকে আক্রমণ করার দায়িত্ব পরে। যাতে তারা মেশনগানের আগুনের হাত থেকে যোধপুর ল্যান্সারদের (Lancer) সুরক্ষিত রাখতে পারে এবং তারা (যোধপুর ল্যান্সার) যাতে উত্তরদিক থেকে আক্রমণ করে কারমেল পাহাড় এবং হাইফা শহর সহজেই দখল করতে পারে।  

    ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে সেইমতো মাইসোর ল্যান্সাররা পাহাড়ের নীচের ভাগে আক্রমণ চালায়। আর যোধপুর ল্যান্সাররা আক্রমণ চালায় পাহাড়ের মূল অংশে জার্মান সেনাদের ওপরে। অবরোধ করা হয় রাস্তা। মেশিনগান এবং আর্টিলারির সামনে পড়ে যায় যোধপুর ল্যান্সাররা। নদীর চোরাবালিতে বাধাপ্রাপ্ত হয় তারা। কিন্তু এত বাধার পরেও হাইফা শহরে উপস্থিত হয় যোধপুর ল্যান্সাররা। তাদের পেছনেই শহরে ঢোকে মাইসোর ল্যান্সাররা। মেশিনগান, বুলেট কিছুই দমাতে পারেনি এই ভারতীয় বীরদের। ভয়ঙ্করভাবে আহত হওয়ার পরেও লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েনি ভারতীয় সেনা। 

    ঘোড়সওয়ারদের এই দুই রেজিমেন্ট যৌথভাবে ২ জার্মান অফিসার এবং ৩৫ অটোমান অফিসারসহ ১৩৫০ জার্মান এবং অটোমানকে বন্দি বানায়। এছাড়াও ১৭টি আর্টিলারি গান, আটটি ৭৭ এমএম বন্দুক, চারটে ক্যামেল গান ও নেভাল গান এবং ১১টি মেশনগান বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু জয় কি বলিদান ছাড়া আসে! ভারতীয় সেনাদেরও এই জয়ের মূল্য চোকাতে হয়েছিল। যুদ্ধে ৮ জন ভারতীয় সেনার প্রাণ জ্যায়। আহত হয় ৩৪ জন।

    ঘোড়সওয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান মেজর দলপত সিং- প্রাণ হারান যুদ্ধে। তাঁর বীরত্বের পুরো ঘটনা ইজরায়েলের পাঠ্যপুস্তকে আজও পড়ানো হয়। ‘হিরো অফ হাইফা’- র খেতাব দেওয়া হয় তাঁকে। এই যুদ্ধে হতবাক হয়েছিল গোটা বিশ্ব। কীভাবে কয়েক জন বল্লমধারী, ঘোড়সওয়ার সেনা সংখ্যায় বহুগুণ বেশি মেশনগানধারী সেনাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে জল ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিল! 

    যুদ্ধের তাৎপর্য 

    সেদিনের যুদ্ধ যে শুধু হাইফা দখলের জন্যই ছিল, তা নয়। ওই যুদ্ধের পর মনোবল ভেঙে গিয়েছিল তুর্কী এবং জার্মান সেনাদের। এছাড়াও ভারতীয় সেনাদের ওপর বিশ্বাস জন্মাতে শুরু করে ইংরেজ সরকারের। এরপর থেকে ভারতীয়দের দিয়ে সেনা বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ানোও শুরু করে ব্রিটিশ সরকার। এরপরেই ১৯২২ সালে দ্য প্রিন্স অফ ওয়েলস রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারি কলেজের প্রতিষ্ঠা হয়।

    ৬১তম ঘোড়সওয়ার রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠা 

    স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে একটি নতুন ঘোড়সওয়ার রেজিমেন্ট তৈরির কথা ভাবা হয়। মাইসোর এবং যোধপুর ল্যান্স্যারদের স্মরণে ১৯৫২ সালে জয়পুরে ৬১তম ঘোড়সওয়ার রেজিমেন্ট গঠন করা হয়। এটাই পৃথিবীর সর্বশেষ ঘোড়সওয়ার বাহিনী। পদ্মশ্রী, অর্জুন পুরষ্কার ছাড়াও একাধিক সম্মান পেয়েছে ভারতের এই ঘোড়সওয়ার বাহিনী। 

    হাইফা যুদ্ধে নিহত ভারতের বীর সেনাদের স্মৃতিতে দিল্লির তিন মূর্তি চকে একটি স্মৃতি সৌধ বানিয়েছে ভারত সরকার। ২০১৮ সালে ওই জায়গার নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাইফা চক’।

  • Sri Lanka Presidential Polls: শ্রীলঙ্কায় বিপুল ভোটে রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী রনিল বিক্রমসিংহে

    Sri Lanka Presidential Polls: শ্রীলঙ্কায় বিপুল ভোটে রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী রনিল বিক্রমসিংহে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) নয়া প্রেসিডেন্ট (New President) রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa) দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর অ্যাক্টিং প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছিলেন রনিল বিক্রমসিংহে। বুধবার ভোটে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হলেন তিনিই।

    বছর তিয়াত্তরের রনিল বিক্রমসিংহে ছ’বার দেশের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) ছিলেন। ২২৫ জন সাংসদের মধ্যে ১৩৪ জনের ভোট পেয়েছেন তিনি। তার পরেই জয়ী ঘোষণা করা হয় তাঁকে। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এসএলপিপির-ই বিদ্রোহী সদস্য ডালাস আলাহাপ্পেরুমা। প্রাক্তন এই সাংবাদিকের পিছনে সমর্থন ছিল শাসক দলের বিক্ষুব্ধদেরও। তিনি ভোট পেয়েছেন ৮২টি। লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন বামপন্থী নেতা আনুরা কুমার দিসানায়েকও। তিনি পেয়েছেন মাত্র ৩টি ভোট। ভোট শুরু হওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট পদের দৌড় থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন দেশের প্রধান বিরোধী দল এসজেপি-র নেতা সাজিথ প্রেমদাসা। রনিল আপাতত ২০২৪-এর নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে থাকবেন। কারণ এই সময়ই রাষ্ট্রপতি হিসেবে গোতাবায়ার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে মোদিকে পাশে থাকার আবেদন শ্রীলঙ্কার বিরোধী নেতার

    আগে জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হতেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। তবে জরুরি ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন করা হয়। ঠিক হয়, জনগণ নন, আপাতত সাংসদরাই ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। সেই মতো কড়া নিরাপত্তায় ব্যালট পেপারে ভোট হয় এদিন। সংসদের ২২৫ জন সাংসদের মধ্যে ভোট দেন ২২৩ জন। ভোটদানে বিরত ছিলেন দুজন। যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বাতিল হয় চারটি ভোট। বৈধ ভোটের সংখ্যা ২১৯টি। জানা গিয়েছে, ৪৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সাংসদরা ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করলেন। ১৯৮২, ১৯৮৮, ১৯৯৪, ১৯৯৯, ২০০৫, ২০১০, ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে জনগণ ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছিলেন। এবারই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করলেন সাংসদরা। 

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    প্রসঙ্গত, চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে। যার জেরে বিদেশ থেকে আমদানি করা যাচ্ছে না জ্বালানি। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যও আকাশ ছোঁয়া। এর পরেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান জনতা। জনরোষের আঁচ পেয়ে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে।

     

  • Attack on Hindu in Bangladesh: হিন্দুদের উপর নির্যাতন বাংলাদেশে! ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক

    Attack on Hindu in Bangladesh: হিন্দুদের উপর নির্যাতন বাংলাদেশে! ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফেসবুকে পোস্ট (facebook post) ঘিরে ‘ধর্ম অবমাননা’র অভিযোগ তুলে সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Hindu) উপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটল বাংলাদেশে (Bangladesh)। গত শুক্রবার নড়াইল (Narail) জেলায় কয়েকটি বাড়ি, দোকান ও মন্দিরে হামলার পর অগ্নিসংযোগ করা হয়। সূত্রের খবর, নড়াইলের লোহাগড়া (Sahapara area of Lohagara) উপজেলায় ফেসবুক (Facebook) পোস্টকে কেন্দ্র করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে। সেদিন নমাজের পর ওই পোস্ট দেওয়া যুবকের খোঁজ করতে থাকে হিংসা সৃষ্টিকারীরা। আর তারপরই সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়ি, দোকান ও মন্দিরে হামলা চলে। ঘটনার পর ওই এলাকার বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই হামলাকে সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে একযোগে প্রতিবাদে নেমেছেন বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা। 

    আরও পড়ুন: মোদিকে পাশে বসিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জগদীপ ধনখড়ের

    স্থানীয়রা জানান, আকাশ সাহা নামে এক কলেজছাত্রের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে দীঘলিয়া গ্রামে শুক্রবার নমাজের পর থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। পরে সন্ধ্যায় উত্তেজিত জনতা দীঘলিয়া বাজারে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালায়। উত্তেজিত জনতা রাতে স্থানীয় একটি পুজোমণ্ডপেও আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। আকাশ সাহা পলাতক থাকায় তার বাবা অশোক সাহাকে পুলিশ হেফাজতে নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

    আরও পড়ুন: শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন, শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা-নির্যাতন (Attack) নতুন নয়। এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। হিন্দু নিপীড়নের ঘটনায় এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের (Bangladesh) মানবাধিকার কমিশন বলেছে, “বাংলাদেশের মতো একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে দ্রুত তদন্ত চালিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে কমিশন। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজা (Mashrafe Bin Mortoza)। তিনি বলেন, “যে নড়াইলকে আমি চিনতাম, এটা সেই নড়াইল নয়। এখানে আমি বড় হয়নি। আমার নড়াইল হারিয়ে গেছে।” ঘটনার নিন্দা করেছে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়।

  • UK PM Race: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন, প্রথম রাউন্ডের শেষে এগিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক

    UK PM Race: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন, প্রথম রাউন্ডের শেষে এগিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (UK PM Race) বরিস জনসন (Boris Johnson)। এরপরে কার মাথায় উঠবে প্রধানমন্ত্রীর খেতাব তা নিয়েই এখন বিশ্বজোড়া চর্চা। ভোটাভুটির প্রথম রাউন্ডের পরে প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থানে রইলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রাক্তন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তিনি পেয়েছেন ২৫ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট পেয়েছেন ১৯ শতাংশ ভোট। লিজ ট্রস ১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন (Liz Truss)। চতুর্থ স্থানে কেমি বেদেনোক ১১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, টম টুজেন্ট ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে ৫ নম্বরে রয়েছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রাভারম্যান ৯ শতাংশ ভোট নিয়ে ছয় নম্বরে রয়েছেন। এলিমিনেশন  রাউন্ডে, দুই প্রার্থী, নাদিম জাহাভি এবং জেরেমি হান্ট যথাক্রমে ৭ এবং ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে বাদ পড়েছেন। 

    আরও পড়ুন: কী হল বরিস সরকারের? চার মন্ত্রীর পদত্যাগে চিন্তায় জনসন

    দলের ৩৫৮ জন সাংসদের মধ্যে ৮৮ জনের সমর্থন পেয়েছেন ঋষি সুনক। প্রতি রাউন্ডে যারা সবচেয়ে কম ভোট পাবেন, তাঁরা প্রতিযোগিতা থেকে বাদ যাবেন। চলতে হবে ভোট। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে দুজনকে চূড়ান্ত করতে হবে। তারপর কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা তাঁদের নতুন নেতা নির্বাচন করবেন। এরপরে ৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে কে হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?

    বর্তমানে দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ঋষি সুনক। প্রতিযোগিতায় রয়েছেন আরেক ভারতীয় রাজনীতিবিদ সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান। 

    কে এই ঋষি সুনক?  

    বহুজাতিক তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের (Infosys) প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির (Narayana Murthy) জামাই এই ঋষি সুনক। ১৯৮০-র ১২ মে ব্রিটেনের বন্দর শহর সাউদাম্পটনে (Southampton) জন্ম হয় ঋষি সুনকের। অক্সফোর্ড (Oxford) ও স্ট্যান্ডফোর্ড (Stanford) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ঋষি রাজনীতিতে আসার আগে ছিলেন ব্যবসায়ী। ২০১৫-য় রিচমন্ড ইয়র্কশায়ার (Richmond Yorkshire) থেকে জিতে প্রথমবার সাংসদ হন তিনি। বরিসের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলান। ২০০৯-এ বিয়ে করেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির কন্যা অক্ষতাকে। দম্পতির দুই মেয়ে রয়েছে। একটা সময় ব্রেক্সিটের প্রচারে বরিসের পাশে ঋষিকেই মুখ্য ভূমিকায় দেখা যায়। একাধিক বিতর্কেও নাম জড়িয়েছে তাঁর। পার্টিগেট কেলেঙ্কারিতে (Partygate scandal) নাম জড়ায় ঋষি সুনকের।  

    দলের নতুন প্রধানমন্ত্রী খুঁজতেও কনজারভেটিভ পার্টিতে মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়। যে প্রার্থীরা ৩০ এর কম ভোট পেয়েছেন তাঁদের বাদ দেওয়া হয়। ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে কেবলমাত্র সেই প্রার্থীরাই পরের রাউন্ডে যেতে পারবেন, যারা অন্তত ৩০ জন সাংসদের সমর্থন পাবেন। ভোটের আগে সব প্রার্থীদের পার্টির কর্মীদের সামনে বক্তৃতা রাখার জন্যে ১২ মিনিটের সময় দেওয়া হয়।   

    শেষ রাউন্ডের শেষে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন তিনি কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য হয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আগামী ৫ সেপ্টেম্বরেই মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী পাবে ব্রিটেন। এমনটাই আশা করা হচ্ছে। 

  • Sri Lanka crisis: শ্রীলঙ্কায় জরুরি ব্যবস্থা জারি রনিল বিক্রমাসিংঘের, সিঙ্গাপুরেও স্বস্তিতে নেই গোতাবায়া

    Sri Lanka crisis: শ্রীলঙ্কায় জরুরি ব্যবস্থা জারি রনিল বিক্রমাসিংঘের, সিঙ্গাপুরেও স্বস্তিতে নেই গোতাবায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থনৈতিক সংকটের মোকাবিলা করতে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রোহ ঠেকাতে শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka) নতুন করে জরুরি অবস্থা জারি করলেন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংঘে (Acting President Ranil Wickremesinghe)। তিনি বলেছেন, দেশবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং জরুরি পরিষেবার সরবরাহ অব্যাহত রাখতে এই পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় ছিল।

    এদিন তিনি রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজ নিজ বিভেদ সরিয়ে রেখে সর্বদলীয় সরকার গঠন করার করার আহ্বান জানান। দ্বীপরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচত করতে শনিবার থেকেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে সেদেশের পার্লামেন্ট। সিঙ্গাপুরে আশ্রয় নেওয়া গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa) প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শ্রীলঙ্কার কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট হন রনিল। আসন্ন নির্বাচনে তিনিই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী ২০ তারিখ ভোটাভুটি হওয়ার কথা। 

    আরও পড়ুন: আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া?

    শ্রীলঙ্কার এই চরম সংকটে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত সহ কয়েকটি মিত্র রাষ্ট্র। এদিনই দ্বীপরাষ্ট্রে পৌঁছেছে জ্বালানি। দেশে চরম আর্থিক দুরবস্থার জেরে খাদ্য থেকে শুরু করে সার ও ওষুধ আমদানি করার ক্ষমতা নেই প্রশাসনের। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের থেকে সাহায্য নিয়ে কথাবার্তা চলছে শ্রীলঙ্কার।

    এদিকে, সিঙ্গাপুরেও স্বস্তিতে নেই সদ্যপ্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। তাঁর থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে না বলে একপ্রকার জানিয়ে দিয়েছে সিঙ্গাপুর প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার মালদ্বীপ থেকে বিশেষ বিমানে করে সিঙ্গাপুরে পৌঁছন গোতাবায়া। তাঁর সফরকে ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করে সিঙ্গাপুর সরকার। সেদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, গোতাবায়া সেখানে আশ্রয় চাননি বা তাঁকে আশ্রয় দেওয়াও হয়নি। 

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সঙ্কটের জন্যে রাশিয়াকেই দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র, কেন?

    শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে (Sri Lanka Crisis) সর্বদলীয় বৈঠকে (All-Party Meeting) ডাক দিয়েছে ভারত সরকার। মঙ্গলবার হতে চলেছে সেই বৈঠক। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। 

     

  • Indian Officials in Kabul: তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে প্রথম সরকারি সফর ভারতের, গলছে বরফ?

    Indian Officials in Kabul: তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে প্রথম সরকারি সফর ভারতের, গলছে বরফ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের অগাস্টে আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করেছিল তালিবান (Taliban)। তার পর প্রায় সাড়ে ন’মাস পরে এই প্রথম তালিবান-শাসিত আফগানিস্তান সফরে গেল ভারত (India) সরকারের কোনও প্রতিনিধি দল।

    বিদেশমন্ত্রকের (MEA) এক শীর্ষকর্তার নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলটি পৌঁছেছে কাবুলে (kabul)। এই সফরের বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা তালিবানের ঊর্ধ্বতন সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন। আফগানিস্তানের জনগণের জন্য ভারতের মানবিক সহায়তা নিয়েও আলোচনা করবে এই প্রতিনিধি দল।

    জানা গিয়েছে, বিদেশমন্ত্রকের পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরান বিষয়ক  যুগ্মসচিব জে পি সিংহের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দল কাবুল পৌঁছে দেখা করেছেন তালিবান বিদেশমন্ত্রী ওয়াকিল আহমেদ মুত্তাওয়াকিল সহ কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে।

    আরও পড়ুন : সন্ত্রাসমুক্ত আফগানিস্তান গড়তে, মানুষের পাশে সর্বদা থাকবে ভারত, বার্তা ডোভালের

    বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি আফগানিস্থানে গিয়েছে। দলটি মানবিক সহায়তা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করবে। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এমন জায়গাগুলি পরিদর্শন করবেন, যেখানে ভারতীয় প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে এও জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভারত এপর্যন্ত ২০ হাজার মেট্রিক টন গম, ১৩ টন ওষুধ, ৫ লক্ষ ডোজ অ্যান্টি-কোভিড ভ্যাকসিন, শীতপোশাক ইত্যাদি পাঠিয়েছে। এই ত্রাণসামগ্রীগুলি কাবুলের ইন্দিরা গান্ধী চিলড্রেন হাসপাতাল, ডব্লিউএইচও, ডব্লিউইপির মতো সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এদিন ভারতীয় কূটনীতিকরা ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থে গিয়ে কথা বলেছেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। পরে পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার তৈরি চিটমালা ইলেকট্রিসিটি সাব-স্টেশনও পরিদর্শন করেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন : রাজস্থানে ভাঙা পড়ল ৩০০ বছরের প্রাচীন শিব মন্দির, ‘তালিবান’ রাজ চালাচ্ছে কংগ্রেস দাবি বিজেপির

    আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াকুব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে আমরা সম্প্রীতির সম্পর্ক চাই। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ভারত। আমরা আশা করব, ভারতও একইভাবে আমাদের দেখবে। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আগেও খুবই ভাল ছিল। আমি ভারতকে স্বাগত জানাচ্ছি এবং আমাদের দরজা খুলে রাখছি। আশা করব, আমাদের সম্পর্ককে চাঙ্গা করতে উদ্যোগী হবে ভারতও।

    গত বছর আফগানিস্তানের রাশ তালিবানদের হাতে চলে যাওয়ার পরেই সে দেশে নিজেদের সব কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারতীয় দূতাবাসের কাজকর্মও। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ১৫ অগাস্টের পর আফগানিস্তান থেকে ভারতের সব কর্মীকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছিলেন। আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং সামজিকভাবে আবদ্ধ। সেই সূত্রে ধরেই আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বজায় থাকবে।

     

  • Bill Gates: ভারতের করোনা টিকাকরণ অভিযান নিয়ে বড় মন্তব্য বিল গেটসের

    Bill Gates: ভারতের করোনা টিকাকরণ অভিযান নিয়ে বড় মন্তব্য বিল গেটসের

    নিউজ মাধ্যম ডেস্ক: করোনা টিকাকরণ অভিযানে ভারতের সাফল্যকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস (Bill Gates)। করোনা ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ নিয়ে তিনি বলেছেন ভারত প্রায় সমস্ত জনসাধারণের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে সফল হয়েছে। এর জন্য ভারত বিশ্বব্যাপী এক উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    গত সপ্তাহে সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে বিল গেটস ও ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মাণ্ডব্যর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এর পর মাণ্ডব্য টুইট করে বলেন, “বিল গেটসের সঙ্গে কথা বলে আমি আনন্দিত। কোভিডের ব্যবস্থাপনা এবং বিশাল টিকাকরণ প্রচেষ্টায় ভারতের সাফল্যের প্রশংসা করেছেন তিনি।”

    তিনি আরও বলেন, “আমরা ডিজিটালে স্বাস্থ্যের প্রচার, রোগ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, এমআরএনএ আঞ্চলিক হাব তৈরি এবং কম মূল্যের এবং ভালো ডায়াগনস্টিকস ও চিকিৎসা করার বিভিন্ন যন্ত্রের উন্নয়নকে শক্তিশালী করা সহ স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি।”

    বিল গেটসও তাঁর উত্তরে ট্যুইটারে লেখেন, “মানসুখ মাণ্ডব্যর সঙ্গে দেখা করে ও বিশ্বের স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করে আমি আনন্দিত। ভারতের টিকাকরণ অভিযান ও চিকিৎসায় বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার, এক সাফল্য এনে দিয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী এক বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছে।”

    বিল গেটসের মতে, বিশ্বজুড়ে দারিদ্রতা দূর করার জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তা করোনার জন্য সম্পূর্ণ হতে পারেনি। তাই এইসময়ে বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন খুবই দরকার।

    গত বছরের জানুয়ারিতে কোভিডের বিরুদ্ধে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাদান অভিযান শুরু করার পর ভারত দেশের প্রায় ৮৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের সম্পূর্ণরূপে টিকা দিয়েছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের (Serum Institute)  মাধ্যমে ভারতের জনসংখ্যার একটি বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে কোভিশিল্ড (Covishield) এবং কোভ্যাক্সিন (Covaxin)  টিকা দেওয়া হয়েছে।

    বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ( Bill & Melinda gates Foundation) বিশ্ব উন্নয়ন রিপোর্ট (Global Development Report) অনুসারে, এরা ২০০৩ সাল থেকে ভারতে কাজ করছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় ভারতে বেশি বিনিয়োগ করেছে।

LinkedIn
Share